নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চলমান( নাকি ইতিমধ্যে থেমে গেছে!) কোটাবিরোধী আন্দোলন আমি খুব কৌতুহল নিয়ে পর্যবেক্ষণ করছি- ইতিহাসের নাকি পুনরাবৃত্তি হয়! ২০১৮ এর জুলাইয়ে এই আন্দোলন দেখতে দেখতে আমার মনে পড়ছে আরেক জুলাই, ২০১২ সালের এক আন্দোলনের কথা। সেই আন্দোলনও, এই আন্দোলনের মতই, শুরু হয়েছিল এপ্রিল মাসে।
আন্দোলন শুরু হয়েছিল বুয়েটে, তখনকার ভিসি ও প্রোভিসির পদত্যাগ দাবি করে। পদত্যাগ দাবি করা যায় হচ্ছিল কারণ এই ভিসি এবং প্রোভিসি মিলে বুয়েটে নানা অনিয়ম করে যাচ্ছিলেন, যা বুয়েটের সততা ও নিয়মতান্ত্রিক ঐতিহ্যের
সম্পূর্ণ পরিপন্থী ছিল। ১৯৬২ সালে বুয়েট প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই বুয়েটের শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগ, ছাত্রদের ভর্তি এবং ছাত্রদের আচরণ বিধি নির্দিষ্ট ছিল, নিয়ম তান্ত্রিক ছিল, এবং দীর্ঘকাল তা কঠোরভাবে মেনে চলা হতো। এর প্রথম ব্যত্যয় ঘটে ২০১০ সালে- যখন নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ভিসি এবং প্রো-ভিসি অন্যায় ভাবে, সমস্ত নিয়ম লংঘন করে, অনুগত কর্মচারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও অনুগত ছাত্রদের নানা অন্যায় সুবিধা দিয়ে, বুয়েটের সমস্ত আইন-কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠেনা। (তাদের নিজেদের নিয়োগেও ছিল আইন লঙ্ঘন করে) তাদের দুজনের কার্যক্রমে ঐতিহ্যবাহী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুয়েটে অশুভ শক্তি জাঁকিয়ে বসেছিল। এর অবসান করতে সচেষ্ট হয়ে ওঠেন বুয়েটের শিক্ষক সমাজ। তারা বুয়েটের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানোর জন্য দু' বছরে দু'বার চেষ্টা করেন প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট, যিনি বুয়েটের চ্যান্সেলর, তার সাথে দেখা করতে,(১) কিন্তু তারা দেখা করতে পারেননি। আর কোন উপায় না পেয়ে বুয়েটের শিক্ষকরা ভিসি ও প্রো ভিসির পদত্যাগ দাবি করে ২০১২ সালের ৭ই এপ্রিল তারিখ থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। কর্মবিরতি শুরুর আগে তারা এক প্রেস কনফারেন্স করেন। সেখানে তারা ভিসি, প্রোভিসির বিরুদ্ধে ১৬ টি অনিয়মের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরেন, এবং জানান যে, আর কোন উপায় না পেয়ে এই অন্যায়ের প্রতিবাদে তারা কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন।(১)
বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের ব্যাপারে, ৫ই মে তে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্বাসের পরে তারা কর্মবিরতি তুলে নেন এবং ক্লাস নেয়া শুরু করেন।(২),(৪)
আশ্বাস দেয়া সত্বেও দু'মাসের মধ্যেও সমস্যা সমাধানে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয় না।(২),(৪) ফলে শিক্ষকরা সাত জুলাই থেকে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ভিসি ও তার প্রশাসন ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি একমাস আগেই শুরু করে ৪৪ দিনের জন্য বুয়েট বন্ধ ঘোষণা করে।(৩) এই স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করতে এবার শিক্ষকদের সাথে আন্দোলনে যোগ দেয় ছাত্ররাও। এরপর ১১ই জুলাই বিভিন্ন বিভাগের ২৪জন শীর্ষ পদে থাকা শিক্ষক পদত্যাগ করেন,(৩) শিক্ষক সমিতির ঘোষণা দেয় যে তাদের দাবি মানা না হলে তারা সকলে ২২ জুলাই একযোগে পদত্যাগ করবেন। কিন্তু তারা পদত্যাগ স্থগিত রাখেন ৩০ জুলাই পর্যন্ত, কারণ শিক্ষামন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন যে এই সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সাথে আলোচনা করে সমাধান বের করা হবে। (৩)
এর কদিন পরেই হাইকোর্ট আদেশ দেয়, বুয়েট ক্যাম্পাসে কোন আন্দোলন করা চলবে না-
শিক্ষকরা যেন নতুন শিক্ষা বছরের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেন।(৩) এরসাথে আসে ভিসির হুমকি, শিক্ষকরা কর্মসূচি চালিয়ে গেলে তিনি সকলকে বরখাস্ত করে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেবেন! (৩) তখনো সমস্যার সমাধানে কোন উদ্যোগ নেই!
আন্দোলন সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়ে যখন বুয়েটের সকল ছাত্র এবং কর্মচারী-কর্মকর্তারা শিক্ষকদের সাথে যোগ দেন, কারণ ততদিনে এটা বুয়েটের ঐতিহ্য রক্ষার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য এর বিরুদ্ধেও অল্প কিছু মানুষ ছিল - এরা অন্যায্যভাবে সুবিধাভোগী শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং ছাত্রলীগ। এরা বলতে লাগলো যে বুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষকরা ভিসি এবং প্রোভিসি পদ দখল করার জন্য এই আন্দোলন করছেন (২) এবং যেসব ছাত্রছাত্রী আন্দোলন করছে তারা বুয়েটের শিক্ষার্থী নয় বরং শিক্ষকরা তাদের ভাড়া করে এনেছেন আন্দোলন করার জন্য! এই মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীরা তাদের বুয়েটের আইডি কার্ড হাতে নিয়ে মৌন মিছিল করে- তা টিভি এবং পত্রিকায় দেখানো হয়।
দেখা গেল আরেক দল ছাত্রও মিছিল করছে- বলা হল, এরা ক্লাস করতে ইচ্ছুক বুয়েটের ছাত্র, এরা আন্দোলন সমর্থন করে না। এরা অবস্থান ধর্মঘটরত আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের উঠিয়ে দেবার চেষ্টা করে, কিন্তু সফল হয় না। এরা যে বহিরাগত সেটা প্রমাণের জন্য একটা সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়ে যায়:
- আপনি কি বুয়েটের ছাত্র?
- হ্যাঁ আমি বুয়েটের ছাত্র।
- তা আপনি কোন ডিপার্টমেন্ট এ পড়েন?
(কিছুক্ষণ ভেবে), -কমার্স ডিপার্টমেন্টে।
বহিরাগতদের দিয়ে যখন আন্দোলন বানচাল করা গেল না, তখন আন্দোলনরত ১০০ জন ছাত্র- শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ভিসির অফিস ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগে শাহবাগ থানায় দুটি মামলা হয়। আন্দোলনরতরা পাল্টা অভিযোগ করে যে ছাত্রলীগের ছেলেরা এই কাজ করেছে।(৪)
ভিসিপক্ষ এত কিছু করার পরও জনমত বিপুলভাবে যায় আন্দোলনকারী ছাত্র-শিক্ষকদের পক্ষে, গুটিকয় মানুষ ছাড়া সকলেই আন্দোলনকারীদের সমর্থন জানাচ্ছিলেন। পত্রিকা ও টিভির খবরে আন্দোলনের খবর নিয়মিত প্রকাশ হতে লাগল; পত্রিকায় নিবন্ধে, টিভির টকশোতে বক্তারা মত প্রকাশ করতে লাগলেন যে, আন্দোলন সম্পূর্ণ যৌক্তিক।
প্রচারণা চালানো হলো যে, বিএনপি-জামাত আন্দোলনে উস্কানি দিচ্ছে (৪)। প্রমাণ? ছাত্র-ছাত্রীদের মৌন মিছিলের সামনে থাকা ছাত্রীদের অনেকেরই মাথায় হিজাব দেখা গেছে। সুতরাং তারা জামায়াতী, তাহলে সকল ছাত্রী জামায়াতী, এইভাবে প্রমাণ করা যায় যে, আন্দোলনরত ছাত্র-শিক্ষক সকলেই জামাত-বিএনপি'র লোক!!!!
এদিকে ভিসি-প্রোভিসি পদত্যাগ করেছিলেন না।
বেশ কিছুদিন আন্দোলন চলার পর অচলাবস্থা নিরসনে অবশেষে শিক্ষামন্ত্রীর উদ্যোগ নিলেন। তিনি আলোচনার জন্য আন্দোলনরত ছাত্র- শিক্ষক প্রতিনিধিদের ডাকলেন। বেশ একটা অনমনীয় মনোভাব নিয়ে প্রতিনিধিদল আলোচনা করতে গেলেন, আর বাকিরা আশায় বুক বেঁধে অপেক্ষা করতে লাগলেন।
দীর্ঘসময় রুদ্ধদ্বার কক্ষে কি আলোচনা হলো তা কেউ কোনদিন জানতে পারল না। আলোচনার পর প্রতিনিধিদল বেরিয়ে এসে অপেক্ষারত সাংবাদিকদের শুকনা মুখে জানালেন যে, আলোচনা সফল হয়েছে। পরদিন থেকেই ছাত্র-শিক্ষকেরা ক্লাসে ফিরে গেলেন। ক'দিন পর প্রোভিসি পদত্যাগ করলেন, ভি সি রয়ে গেলেন বহাল তবিয়তে- ২০১৪ সালে অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত । দুর্নীতির অভিযোগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত হবার পর তাকে বুয়েটে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, বুয়েটে তিনি রয়েই গেলেন!!!
এপ্রিল-জুলাই, আশ্বাস, প্রতিশ্রুতি-ভঙ্গ, বিএনপি-জামাত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ, ভাংচুর, মামলা- ইতিহাস ফিরে ফিরে আসে। শেষ অবধি কি হয় দেখার জন্য আমি গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, I am a curious onlooker.
এই পোষ্টের সমস্ত তথ্যসূত্র তৎকালীন কিছু সংবাদপত্র।
তথ্যসূত্র:
১)https://www.google.com/amp/s/www.thedailystar.net/news-detail-230315?amp
২) https://www.thedailystar.net/news-detail-239751
৩)https://m.bdnews24.com/en/detail/campus/319897?
৪)https://m.bdnews24.com/en/detail/bangladesh/320801?
০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: প্রথম মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম, বিদ্রোহী ভৃগু।
সত্য ও সুন্দরের জয়ের অপেক্ষা তো করতেই পারি, কিন্তু ইতিহাস যে বলছে জয় হয় অসত্যের, অসুন্দরের!!
তবু, আমরা সবাই যেন ভালো থাকি।
২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:২৮
ঋতো আহমেদ বলেছেন: অপেক্ষায় ভাল কিছুর..সত্য ও সুন্দরের জয়ের আশা এখন দুরাশা। এটুকু যদি এখনও বুঝতে না পারেন তো আপনি বোকার স্বর্গে বাস করছেন। আমজনতার 'দেখা' ও 'ঘুমানো' ছেড়ে জাগতে হবে। জাতির ঘাড়ে যে পেত্নী ও ভূতেরা চেপে বসেছে ওদেরকে ঝেটিয়ে নামাতে হবে। তবেই ভাল কিছুর আশা করা যেতে পারে।
০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: প্রথম বাক্যটি কার উদ্দেশ্যে বললেন, আমার নাকি ভৃগুর?
আমি মোটেও জয়ের আশা করছি না। এতক্ষণ তো আমি এক পরাজয়ের ইতিহাস বর্ণনা করছিলাম।
৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৩১
তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন: যে পক্ষের সম্মতি বেশি তাদের জয় হয়। কিন্তু ন্যায় অন্যায় কেউ দেখে না। বেতালে নিয়মনীতি!
০৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন।
অতীতে সংখ্যাগরিষ্ঠরা, যারা ছিল ন্যায়ের পক্ষে, তারা শেষ পর্যন্ত পরাজিত হয়। সেই পরাজয়ের কাহিনী আমি এই পোস্টে বলেছি।
৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫
সিগন্যাস বলেছেন: এইসব আন্দোলন সাধারণ জনগণের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় । যদি আন্দোলন করে অধিকার পাওয়া যেত তবুও একটা কথা ছিল, কিন্তু এতো লাফালাফির পরেও গরুর চামড়া ছাড়া কিছু জোটে না।এখন আন্দোলনের চেয়ে বড় কিছু দরকার।আমাদের সবার উচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা।সরকারের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন করা।
০৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১১
করুণাধারা বলেছেন: ছোটখাটো চাওয়াই যেখানে পূর্ণ হয় না, আন্দোলনকারীদের হাত পা মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়া হয়, তখন বড় আন্দোলন করলে নির্বিচারে মানুষ মারা হবে। সেটা কখনোই কাম্য নয়।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য ধন্যবাদ, সিগন্যাস।
৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫২
ঋতো আহমেদ বলেছেন: আপনার 'I am a curious onlooker'... এবং ভৃগু ভাই এর কথার সুর almost same. যারা ওরকম ভাবছেন তাদের সবার উদ্দেশ্যেই বলছি। অপেক্ষায় কিছু হবে না। নিজেকে এগিয়ে আসতে হবে।
০৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৭
করুণাধারা বলেছেন: আবারো ফিরে এসে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ, ঋতো আহমেদ।
নিজেকে এগিয়ে আনলেই কি সমস্যার সমাধান হয়? এই যে বুয়েটের সমস্ত ছাত্ররা নিজেদের এক সেমিস্টারের সময় বিসর্জন দিয়ে আন্দোলন করলো, তার ফল কি হল? দুর্নীতিবাজ ভিসি স্বপদে রইলেন। যদিও আশ্বাস দেয়া হয়েছিল এই সমস্যার সমাধান করা হবে বলে! অতএব আমি এই আশ্বাস দাতাদের বিশ্বাস করিনা, আন্দোলন করে কোন লাভ হয় বলে মনে করি না।
মন্তব্য এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম।
আপনার জন্য এই খবরটা: Click This Link
৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: কয়েক বছর পর পরই কোনো না কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এরূপ ঘটনা ঘটে। অথচ এরূপ ঘটনা কারোরই কাম্য নয়। তারপরও ঘটে।
০৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০১
করুণাধারা বলেছেন: এই ভিসি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নানা অনিয়ম করেছিলেন, এরকম আন্দোলন করেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। কিন্তু বুয়েটের বেলায় আন্দোলনকে বিএনপি-জামাতের ট্যাগ দিয়ে ব্যর্থ করে দেওয়া হয়!!!
মাঝে মাঝে কিন্তু আন্দোলন সফল হয়, তাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব সময়ই আন্দোলন করা উচিত।
ভালো থাকুন, অর্থনীতিবিদ।
৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪
ঋতো আহমেদ বলেছেন: দেখেছি।
হতাশ হচ্ছেন? হতাশা বা অলস অপেক্ষায় কিছু হবে না। যদি কিছু হয় তো আপনি এগিয়ে এলেই হতে পারে। কার জন্য অপেক্ষায় আছি আমরা? সিনেমার মতো কোনো নায়ক এসে একাই সব উদ্ধার করে ফেলবে?
আপনাকে/আমাকেই এগিয়ে আসতে হবে। ওদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
০৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০৪
করুণাধারা বলেছেন: না, সিনেমার মতো কোন নায়ক আসবে আর উদ্ধার করে নিয়ে যাবে, তেমন আশা মোটেও করিনা। কিন্তু আমাদের প্রয়োজন এক বা একাধিক নেতার। এমন নেতার বড় অভাব। আন্দোলন হওয়া উচিত পরিকল্পনা মোতাবেক, অন্যথায় তা ব্যর্থ হতে বাধ্য।
৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০২
ঢাবিয়ান বলেছেন: বুয়েটের ঘটনা মনে আছে। সাধারন ছাত্রদের দাবি পুরন হয়নি, জয় আসেনি তাদের। যে কোন যৌক্তিক আন্দোলনকে জামাত শিবির, রাজাকার ট্যগিং করে আন্দোলন দমানোর এক অভিনব কৌশল আবিস্কার করেছে আওয়ামিলীগ এবং এই পর্যন্ত দারুন সফলতা পেয়েছে তারা এই কৌশলে। তবে মানুষ এখন ভয়কে জয় করতে শিখে গেছে। এইসব ট্যগিং ফ্যাগিং কারা করে,কেন করে সবাই খুব ভাল করেই বুঝে গেছে। তাই এই নোংরা কৌশল খুব বেশিদিন আর কাজে দেবে না।
অনেক ধন্যবাদ আপনার পোস্টের জন্য। আরো বেশি করে লিখুন। আমরা যারা কোন আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করার অবস্থায় নেই, তাদেরকে কলমকেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
০৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০৮
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ঢাবিয়ান।
আর কোন উপায় না থাকায় কলম ধরাটাই শ্রেয়, যদিও জানি এইসব কথা হাতুড়ির আঘাতে হাঁড় চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাওয়া ছেলেটির যন্ত্রনা একবিন্দুও কমাতে পারবে না..........
ভালো থাকুন ঢাবিয়ান।
৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: সরকার যা চাইবে তাই ই হবে।
০৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৫
করুণাধারা বলেছেন: হীরকের রাজা- ভগবান।
১০| ১১ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫৬
শামচুল হক বলেছেন: এরুপ ঘটনা কেউ কামনা করে না অথচ এরকম ঘটনা দেখতে হয়।
১৩ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮
করুণাধারা বলেছেন: এমন আন্দোলন আবার হবে অন্য কোন ইস্যুতে, সেই আন্দোলনেও একই চক্র চলবে। কোনো দাবি মানা হবে না, বঞ্চিতদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হবে না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, শামচুল হক। ভালো থাকুন।
১১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: এক টুকরো ইতিহাস তুলে ধরলেন, যা আমরা প্রায় ভুলতে বসেছিলাম। শিক্ষাঙ্গণ যখন কলুষিত হয়, তখন পতন আসতে খুব বেশী দেরী হয় না। ঝড়ের আগে আকাশ কিছুটা থমথমে হয়ে রয়।
‘curiosity killed the cat’ জেনেও আপনি curious onlooker হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন, আপনার মত হয়তো অনেকেই ঔৎসুক্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন শেষ পরিণতি দেখার জন্য। সবাই কি একজন হুইসল ব্লোয়ারের অপেক্ষায়?
দেশের শীর্ষ শাসকের দেয়া কথা যখন সত্যে পরিণত না হয়ে মিথ্যা প্রতিভাত হয়, তখন গোটা জাতির আশাভঙ্গ ঘটে, তারা হতাশায় নিমজ্জিত হয়, কেবলমাত্র কিছু চাটুকার আর সুবিধাভোগী ছাড়া।
১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬
করুণাধারা বলেছেন: হঠাৎই আমার বুয়েটের আন্দোলনের কথা মনে পড়ে গেল। সেটা ছিল খুব যৌক্তিক আন্দোলন এবং এজন্যই দাবি পূরণ করার আশ্বাস দেয়া হয়েছিল, শুধু কিছু সময় নেয়া হয়েছিল এজন্য। কিন্তু পরে দেখা গেল, সময় নেয়া হয়েছিল শুধু কালক্ষেপণের জন্য- দাবি পূরণ হয়নি। শূন্য হাতেই বুয়েটের ছাত্র শিক্ষক কর্মচারী সকলে ফিরে গেছিলেন, অবশ্য তাদের কেউ নির্যাতনের শিকার হননি এবারের মত।
এই আন্দোলনের সমাপ্তি আমি দেখতে পাচ্ছি- আমার কৌতুহলেরও সমাপ্তি ঘটেছে। আসলেই দাবি কখনো আদায় হবে না, শুধু শুধু মিথ্যা আশ্বাস দেয়া হবে, কালক্ষেপণ করা হবে, তারপর দেখা যাবে কোন কিছুই পরিবর্তন করা হয় নি। ইতিহাস সত্যিই ফিরে ফিরে আসে....... অন্তত এ দেশের সাম্প্রতিক কালের নানা আন্দোলনের ইতিহাস।
যে কারণে এই পোস্ট লিখেছিলাম সেটা আপনার সাথে শেয়ার করি- আসলে আমি মাথা থেকে হাতুড়ির আঘাতের ব্যাপারটা কিছুতেই বের করতে পারছি না। আমি হাতুড়ি ব্যবহার করে বেল ভাঙি, খুব সাবধানে, যেন কোথাও স্ক্রেচ না পড়ে। এরপর থেকে বেল ভাঙতে গেলেই মনে পড়বে, একটি তরুন তার সমবয়সী আরেকটি তরুণের শরীরে হাতুড়ি পিটিয়ে হাড় ভেঙে দিয়েছিল- তাদের মধ্যে কোন ব্যক্তিগত বিদ্বেষ ছিল না!! তবে কিসের বিদ্বেষ ছিল? আদর্শগত? তাও তো না। কোন আক্রোশে মানুষ মানুষকে এভাবে হাতুড়ি পেটা করতে পারে তাই শুধু ভাবছি। একজন ডাক্তার বলেছিলেন, পায়ের এই হাড় সবচাইতে শক্ত কারণ সমস্ত শরীরের ওজন এই হাড়ের উপর পড়ে। এই শক্ত হাড় যখন ভেঙ্গেছে, তখন নিশ্চয়ই হাড়ের আশেপাশের মাংসপেশী বা লিগামেন্ট ছিড়ে গেছে।হয়তো ছেলেটি কখনই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে না, এই তরুণ বয়সে। ব্যর্থ আন্দোলনের স্মৃতি নিয়ে যন্ত্রণাময় জীবন যাপনই হয়তো তার নিয়তি। পুরো ব্যাপারটাতে আমি গভীরভাবে দুঃখ বোধ করছি। এই ছাত্ররা যদি বুয়েট আন্দোলনের কথা জানত, যদি জানতো ইতিহাস ফিরে আসে, তাহলে কি এভাবে আন্দোলন করতো!!!
আপনার মন্তব্য, এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ।
১২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমরা আসলে সবাই curious onlooker. তাতে কি? দেশের ভাগ্যাকাশে তাতে কি কোন আশার আলো দেখা দিবে?
আজকাল আমি দেশ নিয়ে আসলেই হতাশ। বলতে পারেন একজন depressed onlooker! দেশ শুধু পিছিয়েই যাচ্ছে, পিছিয়েই যাচ্ছে এবং পিছিয়েই যাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে ইতিহাস এবারও ফিরেই আসবে।
world cup এর মওসুম। তাই দেশের পিছিয়ে যাওয়ার একটা উদাহরন ফুটবল জগত থেকেই দেই,
১৯৯৪ সালে ফিফা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশেরও নিচে ছিলো ক্রোয়েশিয়া। ১৬৭ দেশের মধ্যে সেবছর বাংলাদেশের র্যাংকিং ছিলো ১১৯। ৬ ধাপ পেছনে ছিলো ক্রোয়েশিয়া (১২৫)। তার আগের বছর (১৯৯৩) বাংলাদেশের র্যাংকিং ছিলো ১১৬ আর ক্রোয়েশিয়ার ছিলো ১২২।
বাংলাদেশের বর্তমান র্যাংকিং ১৯৪.....আর ক্রোয়েশিয়া!
দেশের জন্য এবং আপনার জন্যও শুভকামনা।
১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: না, আমিও কোন আশার আলো দেখতে পাচ্ছি না, ভুয়া মফিজ। আমিও একজন depressed onlooker!!
ফুটবলের খুব অবাক করা খবর দিলেন! তবে আমাদের অর্জন, আমরা বলতে পারব - একদা আমরা ২০১৮ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন (অথবা রানার্সআপ) ক্রোয়েশিয়ার ছয় ধাপ সামনে ছিলাম। এছাড়া আরো অর্জন আছে- আমাদের নিজস্ব স্যাটেলাইট আছে কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার নেই!! এছাড়া এত জ্যাম পূর্ণ রাজধানী ও মনে হয় আপনি পৃথিবীতে ঢাকা ছাড়া আর কোথাও পাবেন না। গতকাল 5 কিলোমিটার দূরে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে দুই ঘন্টায় হাসপাতালে পৌঁছাতে পারি নি।
এদেশে দু'ধরনের তরুণ আছে, একদল হতাশ, লজ্জিত, কুণ্ঠিত- ছাত্র জীবনের শেষে তারা কোন কাজ করার সুযোগ পায় না। আর আরেকদল তরুণ সারাক্ষণ টগবগ করছে, ছুটছে, মারছে, ধরছে। এদের কিছু করার ক্ষমতা এটুকুতেই সীমাবদ্ধ, এদের দ্বারা কি দেশে ভালো কিছু করা সম্ভব??
তবু, এই দেশের জন্য আপনার শুভকামনা রয়েছে, শুভকামনা রয়েছে আমার জন্যও। সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ধন্যবাদ, মন্তব্য ও প্লাসের জন্যও।
১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭
যাযাবর চখা বলেছেন: সব কিছুরই একটা শেষ আছে। পরিবর্তন একদিন আসবে। কবে সেইটাই দেখার ব্যাপার। আপনের পোস্টটা ভালো লাগলো। দোয়া করি আমাদের দেশটাও যেন ভালো থাকে।
১৩ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০১
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো, যাযাবর চখা।
নিশ্চয়ই পরিবর্তন একদিন আসবে, কিন্তু সেদিন আমি থাকবোনা! কিন্তু এখন যে সমস্ত ক্ষতিগুলো হচ্ছে, যেমন জলাভূমি ভরাট করে ঢাকা কে ডুবন্ত নগরীতে পরিণত করা হচ্ছে, সুন্দরবন ধ্বংস করা হচ্ছে, শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে মূর্খ তরুণ সমাজ তৈরি করা হচ্ছে- পরিবর্তন যদি আসেও, এগুলো আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা খুব কষ্টকর, প্রায় অসম্ভব হবে।
ভালো কিছু আমি দেখতে পারছি না।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল, যাযাবর চখা।
১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে তো depressed onlooker মনে হচ্ছে না।
ফুটবলের যে তথ্য দিলাম তাতে ৯৯% বঙ্গসন্তান গ্লাসের অর্ধেকটা খালি দেখবে, অর্থাৎ হতাশ হবে। আপনিতো গ্লাসের অর্ধেকটা ভরা দেখলেন!!! (তবে আমাদের অর্জন, আমরা বলতে পারব - একদা আমরা ২০১৮ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন (অথবা রানার্সআপ) ক্রোয়েশিয়ার ছয় ধাপ সামনে ছিলাম।), মানে হলো এখান থেকেও আপনি পজেটিভ কিছু বের করে এনেছেন!
এই রকমের আশাবাদী মানুষদের কারনেই দেশ একদিন সিঙ্গাপুর হবে, এটাই আমার আশা।
১৩ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: অনেক সময় একটা বোঝাতে আরেকটা কিছু বুঝিয়ে ফেলি। হয়তো একটা হাস্যকর মুখের ইমো দিলে আপনি বুঝতে পারতেন যে, কথাটা আমি কিছু বিশেষ মানুষের মনোভাব হিসেবে বলছি। এরমধ্যে আমি কোনো পজিটিভ কিছু দেখতে পাইনি। আপনি কি লক্ষ্য করেননি যে আমি স্যাটেলাইটের কথা উল্লেখ করেছি? আগামী ২৩ তারিখ বাংলাদেশের স্যাটেলাইট অর্জন উপলক্ষে পুরো ঢাকা অচল করে দিয়ে এই বিশেষ মানুষেরা বিশাল গণসংবর্ধনা দেবে। সেদিন ঢাকায় অনেক রোগী অ্যাম্বুলেন্সে মারা যাবে। আমিতো জ্যামেরও উল্লেখ করেছি- দেশ নিয়ে আশাবাদী হলে কি এটা বলতাম? আসলে মাগরিবের নামাজের জন্য তাড়াহুড়া করে প্রতি মন্তব্য করেছিলাম যার জন্য আমি বোঝাতে পারিনি যে দেশ নিয়ে আমি প্রচন্ড হতাশ। আমার জীবদ্দশায় এদেশের কোন ভালোর দিকে পরিবর্তন হবে, আমি এটা কিছুতেই ভাবতে পারি না।
ভাল থাকুন, শুভকামনায়।
১৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি খুব ভালোভাবেই বুঝিয়েছেন....loud and clear. আমিও পরিস্কার বুঝেছি। একটু মজা করলাম।
সেদিন আরেকজনের সাথে মজা করে একটা কমেন্ট করলাম, সেও দেখি খুব সিরিয়াস হয়ে গেল। আমি আসলে জীবনটাকে খুব হাল্কাভাবে নেই। সিরিয়াসনেস ব্যাপারটা আমার মধ্যে খুব কম। এ নিয়ে আমাকে অবশ্য অনেক কথাও শুনতে হয়। তবে, আল্লাহ আমাকে এভাবেই বানিয়েছেন। আমি কি করতে পারি বলেন দেখি?
আবারও শুভকামনা আপনার জন্যে। অনেক ভালো থাকুন।
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৮
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ,ভুয়া মফিজ আবার ফিরে এসে ব্যাপারটা পরিষ্কার করে বোঝানোর জন্য। আসলে আমি গন্ডারেরও অধম, সবকিছুই সিরিয়াসলি নেই। তাই বুঝতে পারিনি।
ভাল থাকুন, শুভকামনা।
১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:২১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ইতিহাস থেকে আমরা শিক্ষা নেইনা।
এর জন্য মাসুল দিতে হয়।
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:১৪
করুণাধারা বলেছেন: ইতিহাস থেকে আমরা শিক্ষা নেইনা।
শিক্ষা নেই না, তাই মাশুল দিতে হয় চরমভাবে। এই মাশুল দিচ্ছে আজ সাধারণ পরিবারের কয়েকটি সত্যনিষ্ঠ ছেলে। এটা দেখে আমার খুব দুঃখ বোধ হচ্ছে।
১৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: ১১ নং প্রতিমন্তব্যটা পড়ে মনটা ভারাক্রান্ত হলো। একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে গেল!
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৩
করুণাধারা বলেছেন: আবার ফিরে এসে মন্তব্য করায় ধন্যবাদ। ইতিমধ্যে আমরা সবাই জেনে গেছি, এই আন্দোলনের ফলাফল কি হতে যাচ্ছে। বুয়েটে ছাত্রদের আন্দোলনের একমাত্র দাবী ছিল বুয়েটের ঐতিহ্য ধ্বংসকারী ভিসির অপসারণ বা পদত্যাগ। দীর্ঘ আন্দোলনের ফলে তাদের দাবি মেনে নেওয়া হলো- কিন্তু ভিসি রইলেন নিজের পদে!!!!! এবারেও অনেক মারধোর খেয়ে ছেলেরা আন্দোলন চালিয়ে গেল, কিন্তু আন্দোলনের ফল হলো বুয়েটের আন্দোলনের মতোই!!!! শুধু প্রার্থনা করি, এই তরুণ ছেলেগুলো যেন মানুষের উপরে বিশ্বাস না হারায়।
১৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৫
ইমরান আশফাক বলেছেন: আমাদের প্রধানমন্ত্রী এতো শিক্ষিত হয়ে, এতো এতো ডিগ্রিধারী (?) হয়ে ও আমাদের শিক্ষাখাতে যে তান্ডব চালাচ্ছেন তার অনুগত ব্যাক্তিদের দিয়ে, তাতে আমদের আশাবাদী হওয়ার মতো কোন জায়গাই থাকলো না। শিক্ষা ও ব্যাংকিং খাত সম্পূর্নরুপে ধ্বংস করে ফেলার জন্যে তাকে মেডেল দেয়া উচিৎ।
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫১
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ইমরান আশফাক।
যে কোন দেশ ধ্বংস করার জন্য প্রথমে ধ্বংস করতে হয় তার শিক্ষা ব্যবস্থা। হীরক রাজার দেশে দেখেননি? অতএব দেশে যা হচ্ছে তা পরিকল্পনা মাফিক হচ্ছে, ধরে নেয়া যায়।
হ্যাঁ, মেডেল একটা দেয়া যেতে পারে। এইতো দুদিন পর, 21 তারিখে সম্বর্ধনা আছে। সেদিন মেডেল দেয়াই যেতে পারে।
১৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: হীরকের রাজা- ভগবান।
হুম।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮
করুণাধারা বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা আমজনতার আপাতত দেখা ছাড়া আর অপেক্ষা করা ছাড়া গত্যন্তর নেই!
অপেক্ষায় ভাল কিছুর
সত্য সুন্দরের জয়ের।