নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই গল্পটা আমার ছেলেবেলায় পড়া। বর্তমান আলোচিত চুরির প্রসঙ্গে মনে পড়ে গেল।
(১)
এক দেশে ছিলেন এক রাজা। একদিন দরবারে বসে নানা গল্পগুজবের মাঝে একজন বলল যে, স্বর্ণকাররা গয়না থেকে সোনা চুরি করবেই, এমনকি মায়ের গয়না বানালেও তারা কিছু সোনা চুরি করে। রাজামশাই বললেন,
" তাদের চুরি করার সুযোগ দেয়া হয় বলে তারা করে- আমার কাছ থেকে কেউ চুরি করার সুযোগ পাবে না। আমি এমন একখানা প্রহরা তৈরি করব যা কেউ ভাবতেও পারবে না।"
সভাসদদের কেউ কেউ ভিন্নমত প্রকাশ করলেন। বললেন, স্বর্ণকাররা এমন যে তারা কিছু না কিছু পথ বের করবেই সোনা চুরি করার!! রাজামশাই শুনে বললেন,
"বেশ! তবে স্বর্ণকারদের ডাকাও- আমি নিজেই পরীক্ষা নেব।"
ডাক পেয়ে পরদিন দরবারে হাজির সব বড় বড় স্বর্ণকাররা। রাজা বললেন, "রানীর জন্য একশ ভরি সোনা দিয়ে একটা নেকলেস বানাতে হবে, এই রাজপ্রাসাদের একটা ঘরে বসে। সেই ঘরের দরজার থাকবে প্রহরী, ঘরে স্বর্ণকার ছাড়া আর কেউ ঢুকতে পারবে না, তার সব যন্ত্রপাতিও এই ঘরেই রাখা থাকবে কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত। কাজের শেষে স্বর্ণকার প্রতিদিন বাড়ি যেতে পারবে, কিন্তু তাকে সাত স্তরের নিরাপত্তা প্রহরা পার হতে হবে, অর্থাৎ সে যেন এক আনা সোনাও বের করে না আনতে পারে তা নিশ্চিত করা হবে। আবার প্রতিদিন কাজে আসার সময়ও সাত স্তরের নিরাপত্তা চেকিং পার হয়ে তাকে কাজের ঘরে ঢুকতে হবে। ঘরের চাবি থাকবে আমার কাছে।
এই সাত ধাপের নিরাপত্তা প্রহরা পার হয়ে, রাজ প্রাসাদে বসে সোনা চুরি করা কি সম্ভব? যদি সম্ভব হয় তাহলে কতটুকু?"
রাজার প্রশ্ন শুনে স্বর্ণকাররা কিছুক্ষণ ভাবলো। তারপর একেকজন উত্তর দিতে লাগল। কেউ বলল শতকরা ১০ ভাগ, কেউ বলল ৪০ ভাগ, কেউ বলল ৮০ ভাগ, আর একজন স্বর্ণকার বলল যে, সে পুরো ১০০ ভাগ সোনাই চুরি করে ফেলতে পারবে। রাজা শুনে খুবই অবাক হলেন। যে বলেছিল সব সোনা চুরি করতে পারবে, সেই স্বর্ণকারকে বললেন, "করে দেখাও, যদি পারো তবে তোমার জন্য অনেক পুরস্কার থাকবে। আর যদি না পারো, তবে মিথ্যা বলার জন্য তোমার গর্দান যাবে।" স্বর্ণকার এতে রাজি হল।
(২)
এরপর প্রাসাদে স্বর্ণকারের কাজ করার জন্য একটা ঘর নির্দিষ্ট করা হল। সেই ঘরে স্বর্ণকারের জন্য একশ ভরি সোনা রাখা হল, ভালোমত চেকিং করিয়ে স্বর্ণকার তার সমস্ত যন্ত্রপাতি নিয়ে ওই ঘরে রাখল। পরদিন থেকে শুরু হলো স্বর্ণকারের কাজ। সাত প্রহরা দলের কাছে চেকিং শেষে ঘরে এসে প্রতিদিন সে নেকলেস বানানোর কাজ করতে থাকে, ঘরের দরজা বন্ধ করে। বাইরে থেকে খালি শোনা যায় ঠুক ঠুক আওয়াজ, হাঁপরের শব্দ। মাঝে মাঝে রাজামশাই এসে কিছুক্ষণ বসে স্বর্ণকারের কাজ দেখেন, আন্দাজ করতে চেষ্টা করেন কিভাবে সোনা চুরি করা সম্ভব, কিন্তু ব্যাপারটা রাজার কাছে পুরোপুরি অসম্ভব বলে মনে হয়। এভাবে প্রায় এক মাস কেটে গেল, নেকলেসটা প্রায় পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেছে। স্বর্ণকার বলল কিছু পালিশ করার কাজ শেষ করে পরদিন সে নেকলেস রাজামশাইকে দেবে। সেদিন দুপুরবেলা রাজপ্রাসাদে যখন খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সবাই ঘুমাচ্ছে, স্বর্ণকার তার ঘর থেকে বের হয়ে প্রহরীদের বলল, নেকলেসটা চকচকে করার জন্য দু'ঘণ্টা টক দইয়ে ভেজাতে হবে- তার এক কেজি দৈ দরকার। মহা মুশকিলে পড়ল প্রহরীরা। প্রাসাদে রান্নাবাড়া, খাওয়া-দাওয়া শেষ, এখন এই অসময়ে দৈ কোথায় পাওয়া যাবে!!! স্বর্ণকার বলল, দৈ না পাওয়া গেলে সে পরদিন নেকলেসটা রাজামশাইকে দিতে পারবে না। তাহলে উপায় কি!!! প্রহরীরা যখন আকাশ-পাতাল ভাবছে, তখন হঠাৎ শোনে রাস্তায় কে যেন 'দই চাই, দই' বলে হাঁকছে। প্রবলেম সলভড- প্রহরীরা তাড়াতাড়ি বাইরে গিয়ে দেখে এক দইওয়ালী মাথায় দইয়ের ভান্ড নিয়ে চলেছে। প্রহরীরা তাকে ডেকে বলল,
- এক কেজি দৈ দাও।
- এক কেজি করে দেয়া যাবে না! এই দ্যাখো, আমার নিজের হাতে, ঘরে পাতা দই। আমি এটা ভেঙে দিতে পারবো না, নিলে পুরোটাই নিতে হবে।
প্রহরীরা দেখল, ভান্ডর মধ্যে সুন্দর জমাটবাঁধা দৈ।
- এত দৈ নেবার মতো পাত্র তো আমাদের নেই। এক কাজ কর, তুমি আমাদের সাথে ভেতরে চল। একজনের দৈ দরকার- সে তার দরকারমত নেবার পর তুমি বাকিটা নিয়ে চলে যেও, দাম কিন্তু পাবে পুরা দশ কেজির।
প্রহরীরা দইওয়ালীকে নিয়ে স্বর্ণকারের ঘরের সামনে এলো। স্বর্ণকারকে বলল,
- নাও, তোমার দৈ পাওয়া গেছে।
-যাক বাঁচা গেল! দই না পেলে আজ আমার কাজ শেষ হতো না।
দইওয়ালী, আমি দরকারমত দৈ ঢেলে নিয়ে বাকিটা ফেরত দিয়ে দিচ্ছি- রাজবাড়ীতে দই বেচতে এসে আজ তোমার বড় লাভ হলো !!!
স্বর্ণকার কিছুটা দৈ ঢেলে নিয়ে বাকি দৈ ভান্ডসহ দইওয়ালীকে ফেরত দিল। দইওয়ালী দৈয়ের দাম নিয়ে চলে গেল। স্বর্ণকার আবার দরজা বন্ধ করে কাজ করতে লাগলো। বিকালে এলেন রাজামশাই। স্বর্ণকার তখন দই থেকে নেকলেসটা তুলে বারবার সাদা পানিতে ধুয়ে, তেঁতুলের পানিতে ভিজিয়ে রাখলো। বলল, "এটা সারারাত ভিজবে, সকালবেলা এসে এটা মুছে পরিষ্কার করে রাজসভায় নিয়ে যাব, আজকের মত আমার কাজ শেষ।" রাজামশাই উঠলেন। ঘরের দরজা বন্ধ করে প্রহরীরা চাবি রাজামশাইকে দিল, রাজামশাই তার কোমরের ফিতায় চাবি বেঁধে ঘরে গেলেন। স্বর্ণকারও চলে গেল তার বাড়ি।
(৩)
সকাল হতেই রাজসভা লোকে লোকারণ্য। শহরের সমস্ত গণ্যমান্য লোকেরা তো এসেছেনই, প্রজাদের মধ্যে যারাই সুযোগ পেয়েছে তারাই এসে হাজির রাজসভায়- না জানি আজ ঘটে! স্বর্ণকার তার ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল, রাজামশাই চাবি নিয়ে এসে ঘর খুলে দিলে সে তেঁতুল পানি থেকে নেকলেস তুলে মসলিনের গামছা দিয়ে মুছে রাজার হাতে দিল, তাই নিয়ে রাজা রাজসভায় এলেন, সঙ্গে স্বর্ণকারও এলো।
কষ্টি পাথর হাতে নিয়ে যাচাইকারী প্রস্তুত হয়ে বসেছিল। রাজা তার হাতে নেকলেস দিলেন। যাচাইকারী কষ্টিপাথর নিয়ে ঘষা দেয়, কি দেখে, আবার ঘষা দেয়, আবার দেখে- দেখতে দেখতে হয়রান হয়ে গেল। রাজামশাই জিজ্ঞেস করলেন, "কী ব্যাপার? কি দেখলে? কতখানি সোনা আছে এতে?"
যাচাইকারী বলল,"মহারাজ এতে কোন সোনা নেই, এটা পুরোপুরি পিতল দিয়ে তৈরি!!"
রাজার মুখে আর কোন কথা সরে না। কিছুক্ষণ পর সামলে নিয়ে স্বর্ণকারকে বললেন,
"তুমি পুরস্কার পাবে। এবার বল কি করে তুমি সবটুকু সোনা সরালে এই সাত স্তর নিরাপত্তা বেষ্টনী পেরিয়ে!!!"
স্বর্ণকার বলল, "মহারাজ!, এই নেকলেস বানাতে আসলে আমার ১৫ দিন দরকার হতো, কিন্তু আমি সময় নিলাম এক মাস। তার কারণ আমি দুটো নেকলেস বানাচ্ছিলাম, দিনের বেলা রাজপ্রাসাদে বসে সোনা দিয়ে যে নেকলেস বানাতাম, রাতের বেলা আমার বাসায় বসে ঠিক একই নকশায় একই আকারের আরেকটা নেকলেস বানাতাম পিতল দিয়ে। এভাবে প্রায় একমাস পরে আমার দুটো নেকলেস বানানো শেষ হল। তখন এই নেকলেস দুটো বদলাবদলি করা দরকার হল। সেজন্য আমি দইয়ের নাটক করলাম। আমি গতকাল এমন সময় দই চাইলাম, যখন জানি প্রাসাদের রান্না খাওয়া সব শেষ হয়ে গেছে, প্রাসাদে কোনো দই পাওয়া যাবে না!! আগে থেকেই আমার বউকে শেখানো ছিল সে যেন এই সময়ে এসে দই বিক্রি করতে আসে। তার দইয়ের ভান্ডে পেতলের নেকলেস রেখে সে জমাটবাঁধা দই বানায়- প্রহরীরা সেই দই ভাঙেনি। আমি দইয়ের ভেতর থেকে পেতলের নেকলেসটি বের করে নিয়ে সোনার নেকলেস ভান্ডে রেখে দেই, আমার স্ত্রী তা নিয়ে বাড়ি যায়। আমি পেতলের নেকলেসটি সকালবেলা ধুয়ে-মুছে এখানে নিয়ে এলাম।"
গল্প শুনে রাজসভার লোকজনের হাততালি দিয়ে স্বর্ণকারের বুদ্ধির তারিফ করতে লাগলো, কিন্তু রাজামশাই গেলেন মহা ক্ষেপে। বললেন, "আমার রাজ্যে বসে তুমি চুরি করো!!!!!!!!!
এদেশে তোমার কোন জায়গা হবে না। যাও, ভাগো আমার দেশ থেকে।"
(মূল গল্পে শেষটা অবশ্য অন্যরকম ছিল। কিন্তু আমার মনে হল, এভাবে শেষ করাটাই ভালো হতো, তাই আমি এভাবে শেষ করলাম।)
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬
করুণাধারা বলেছেন: প্রথম মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ, মোস্তফা সোহেল।
আমিও এটাই বলতে চেয়েছি। চুরি করা যার স্বভাব, সে চুরি করার পথ বের করবেই, যতই ৬/৭ স্তরের প্রহরা থাকুক না কেন!
মন্তব্য ও প্লাসে আপ্লুত হলাম।
শুভকামনা রইল।
২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ঢেকী স্বর্গে গেলেও ধান বাধে।
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪
করুণাধারা বলেছেন: ঢেকী স্বর্গে গেলেও ধান বাধে।
এক কথায় এটাই গল্পের মূল বক্তব্য ।
চোর চুরি করবে, তেমনি ক্ষমতাবান (রাজামশাই) ওয়াদা দিয়ে তার বরখেলাপ করবে- নিজের স্বার্থরক্ষায়।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মাইদুল সরকার।
ভাল থাকুন, সব সময়।
৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: গল্পটি অনেক বছর আগে পড়েছিলাম। বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে দারুন একটি গল্প। আবার পড়ে ভাল লাগলো।
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো, কাওসার চৌধুরী। এটা দেব সাহিত্য কুটিরের পূজাবার্ষিকীর গল্প, আমি নিজে আপনাদের মত গল্প লিখতে পারিনা, তাই এই সময়ের ঘটনার সাথে মিলে যাওয়া এই গল্পটি মনে করে লিখলাম। ভালো লাগলো জেনে যে, আপনি গল্পটা আগে পড়েছেন। আপনি কি কখনো সিলেটের মুসলিম সাহিত্য সংসদ লাইব্রেরির বই পড়তেন?
মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম। শুভকামনা রইলো।
৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯
সিগন্যাস বলেছেন: আহারে বেচারা স্বর্ণকার । আমি হলে তাকি আমার মন্ত্রি বানিয়ে দিতাম ।
গল্প চমৎকার হয়েছে ধারা আপু । যদিও শেষে এসে কিছুটা খারাপ লাগলো
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: স্বর্ণকারের বুদ্ধি দেখে আমিও চমৎকৃত হয়েছিলাম! অবশ্য মূল গল্পে স্বর্ণকারকে অনেক পুরস্কার দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আজকালকার অবস্থা দেখে মনে হয়, প্রতিশ্রুতি পালন না করাটাই ক্ষমতাশালীদের বৈশিষ্ট্য!! তাই আমি গল্পের শেষে রাজাকে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গকারি করে দিলাম।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, সিগন্যাস। ভালো থাকুন সব সময়।
৫| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
"আপনি কি কখনো সিলেটের মুসলিম সাহিত্য সংসদ লাইব্রেরির বই পড়তেন?"
কয়েক বছর আগে নিয়মিত মুসলিম সাহিত্য সংসদে বই পড়তে যেতাম; তবে এখন আর যাওয়া হয় না। এছাড়া সিলেট স্টেডিয়ামের পাশের সরকারী লাইব্রেরিতেও নিয়মিত বই পড়তে যেতাম। আপনি কী মুসলিম সাহিত্য সংসদে কখনো গিয়েছিলেন?
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: না, আমি কখনো যাইনি। বহুকাল আগে যখন আমি মুসলিম সাহিত্য সংসদ লাইব্রেরির বই গোগ্রাসে গিলতাম, তখন সিলেটে মেয়েরা লাইব্রেরীতে যেত না। আমার ভাই আমাকে বই এনে দিত। আপনিও এখানকার বই পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
আবার ফিরে এসে মন্তব্য করায় ধন্যবাদ, কাওসার চৌধুরী।
৬| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১২
রাজীব নুর বলেছেন: আহা !!!
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১
করুণাধারা বলেছেন:
একটু পর যাচ্ছি প্রিয় লেখককে নিয়ে লেখা আপনার পোস্ট পড়ে দেখতে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, রাজীব নুর।
৭| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অত্যন্ত সুন্দর গল্পটি বর্তমান সময়ের পরিপ্রেক্ষিত দারুণ উপভোগ্য লাগলো।
শুভকামনা নিরন্তর ।
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০
করুণাধারা বলেছেন: পরের জাগা পরের জমি ঘর বানাইয়া আমি রই............
পদাতিক চৌধুরি, আমি আপনাদের মত চমৎকার করে গল্প লিখতে জানি না, তাই পরের লেখা গল্প এখানে শেয়ার করলাম। এখনকার সময়ের ঘটনাবলীর সাথে কিভাবে এই গল্পের মিল দেখতে পেলাম!! আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো।
মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম। আপনার জন্যও রইল শুভকামনা।
৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২০
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এক ধনী ব্যক্তির বাড়িতে একজন পুরানো ভৃত্য ছিল । তার স্বভাবই হচ্ছে তাকে কোনকিছু কিনতে দিলেই ১০ পয়সা হলেও সে চুরি করবেই। মালিক সেটা জানতো তবে সে খুবই বিশস্ত এবং বড় ধরনের চুরি করে না, তাই তাকে মালিক বাদ দেন না। একদিন বাড়ির মালিক ভাবলেন তাকে ৫০ পয়সার একটা চকলেট আনতে দেই দেখি কিভাবে ও পয়সা চুরি করে ? ভৃত্য যথাসময়ে চকলেট নিয়ে ফিরে এল। মালিক চকলেট খেতে খেতে বললো এবারতো তুমি এক পয়সাও চুরি করতে পারলে না। ভৃত্য বললো
-চুরি করেছি।
-কিভাবে? এই চকলেটের দামতো ৫০ পয়সাই।
-ভৃত্য বললো হুজুর বেয়াদবী মাফ করবেন আপনার চকলেটে দুটো চাটা দিয়েছি।
আসলে চুরি করা যার স্বভাব তাকে আটকানো মুশকিল।
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪
করুণাধারা বলেছেন: হা হা হা, তারেক_মাহমুদ দারুন গল্প! আসলে যে চোর সে চুরি করবেই যেভাবেই হোক।
দীর্ঘ মন্তব্যের মাধ্যমে এই চমৎকার গল্পটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।
৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
দারুন সময়োপযোগী গল্প
৭ স্তরের নিরাপত্তা যাদের কাছৈ তারাই যদি চোর হয়, স্তর ৭০০ বানালেও যা তাইই!
রাজ্য থেকে চোর খেদাতে হবে।
+++
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: আমাদের গল্প অবশ্য ছয় স্তরের নিরাপত্তা, সাত স্তরের না। তাতে কি আমাদের বুদ্ধিকে কিছু কম আছে!! আমরা চাইলে কি সোনাকে তামা বানাতে পারিনা?
এতদিন জানতাম কেবল স্বর্ণকাররা সোনা চুরি করতে জানে। এখন দেখছি আমরা এতটাই মেধাবী যে, স্বর্ণকার না হয়েও আমরা ব্যাংকের ভল্ট থেকে, বিদেশিদের উপহার দেওয়ার crest থেকে দারুনভাবে সোনা চুরি করতে পারি!!!!
আজকের দিন এলেই আমার বারবার শুধু মনে হয়, হুমায়ূন আহমেদ বেঁচে থাকলে ভালো হতো। তার স্বপ্ন ছিল আমাদের দেশে বিশ্বমানের ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা। বেঁচে থাকলে হয়তো তিনি তা করতে পারতেন, অথৈ এবং তার মত অন্য শিশুরা ক্যান্সারের ভালো চিকিৎসা পেত....
মন্তব্য এবং প্লাস আমার জন্য অনুপ্রেরণা, অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
১০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমরা যতোই ডালে ডালে চলি না কেন, চোর ঠিকই পাতায় পাতায় চলবে।
চুরি বন্ধ করা প্রায় অসম্ভব একটা ব্যাপার!
আমার মতে চুরি বন্ধ করার বা চোর ধরার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে চোরের মতো করে চিন্তা করা!
তবে, শর্ষের মধ্যে যদি ভুত থাকে তাহলে অন্য কথা।
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৫
করুণাধারা বলেছেন: চুরি বন্ধ করা প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করার মতোই অসম্ভব ব্যাপার!
আমার মতে চুরি বন্ধ করার বা চোর ধরার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে চোরের মতো করে চিন্তা করা!
চুরি বন্ধ করার মত সদিচ্ছা কী কারও আছে? আর বন্ধ করার দরকার কেউ বোধ করে? সেই সদিচ্ছা থাকলে একের পর এক ব্যাংকের টাকা চুরি হতো না, ক্রেস্টের সোনা চুরি হবার পর ব্যাংকের ভল্টের সোনা চুরি হতো না........
জীবনের দীর্ঘ সময় কাটানোর পরও কখনো কিন্তু এমন চুরির কথা শুনিনি, দেখিওনি- এখন যা দেখতে হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো কতরকম চুরি হতে দেখব কে জানে!!!
মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম, ভালো থাকুন ভুয়া মফিজ।
১১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮
কাইকর বলেছেন: ভাল লাগলো ।+++
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৯
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ কাকার, আমারও খুব ভালো লাগলো তোমার মন্তব্য পেয়ে।
শুভকামনা রইল।
১২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৮
সোহানী বলেছেন: জী আপু যতই নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকুক স্বয়ং রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে নিজের সিন্দুক বলেন আর রাস্ত্রীয় সিন্দুক বলেন সোনা গায়েব হবেই
ভালো লাগলো গল্পটি। তব আমিও শুনেছিলাম কিন্তু একটু ভিন্নভাবে।
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩০
করুণাধারা বলেছেন: বারবার বলা হচ্ছে, ছয়টি নিরাপত্তা স্তর পার হয়ে চুরি করা অসম্ভব। কিন্তু চুরি যে হয়েছে সেটাতো নিশ্চিত। তারমানে অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন এই নিরাপত্তা স্তরের রক্ষকেরা!!
বারবার বলা হচ্ছে, সোনা যদি কিছু চুরি হয়েও থাকে তবে তার আর্থিক মূল্য এক কোটির কিছু বেশি টাকা। মনে হচ্ছে এই পরিমাণ টাকার সোনা চুরি করাটা তেমন কোনো দোষের ব্যাপার নয়!!!! কি আর বলবো!!
এটা বেশ পুরনো গল্প। স্বর্ণকাররা যে কোনো-না-কোনোভাবে সোনা চুরি করে সেটা বোঝাতে এই গল্পটা অনেকভাবে বলা হয়েছে।
মন্তব্য ও প্লাস পেয়ে ভালো লাগলো সোহানী।
শুভকামনা রইল।
১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ঐ সময়ের জন্য এই গল্প অনেক বুদ্ধিদীপ্তই ছিল...
২০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০২
করুণাধারা বলেছেন: ঐ সময়ের জন্য এই গল্প অনেক বুদ্ধিদীপ্তই ছিল...
তা ঠিক। তবে সাত স্তরের চেকিংয়ের ব্যাপারটা আমার সংযোজন, আমাদের দেশের ছয় স্তরের চেকিং এর কথা মনে রেখে!
আপনার একটা পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়েও করিনি, কিন্তু মাথা থেকে বেরও করতে পারছিনা। আজ আপনাকে আমার ব্লগে দেখে মনে হলো, মন্তব্যটা করেই ফেলি!!
ভালো থাকুন, সবসময়।
১৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৫:০৯
এম এ কাশেম বলেছেন: ভাই - রক্ষক যদি ভক্ষক হয়, চুরি কি কখনও থামান যায়।
টপ টু বটম চোর আর চোর। কেউ ভোট চোর , কেউ গম চোর ,
কেউ সোনা চোর, আর কেউ তামা চোর। চোরে চোরে খালাত ভাই,
মামাত ভাই, পিসিত ভাই - কে কাকে ধরবে?
চোরের রাজত্বে চোররাই সব।
২০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: রক্ষক যদি কখনো হয় চোরের পৃষ্ঠপোষক, আবার কখনো হয় প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ কারি, তবে বড়ই মুশকিলে পড়তে হয়।
চোরের রাজত্বে চোররাই সব। ঠিক, ভালো মানুষদের সব কোণঠাসা হয়ে কষ্টকর জীবন যাপন করতে হয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, এম এ কাশেম। ভালো থাকুন সব সময়।
১৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: ঐ স্বর্ণকার আর তার দৈওয়ালী বউ (ছদ্মবেশী) কি সেই রাজার আদেশে সে দেশ থেকে ভেগে বাংলাদেশে এসেছিলো?
যতই নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকুক স্বয়ং রক্ষক যদি ভক্ষক হয় তাহলে নিজের সিন্দুক বলেন আর রাস্ত্রীয় সিন্দুক বলেন সোনা গায়েব হবেই - সোহানী এর বক্তব্যের পর আর কিছু বলার নেই।
পোস্টে প্লাস + +
২০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০৭
করুণাধারা বলেছেন: ঐ স্বর্ণকার আর তার দৈওয়ালী বউ (ছদ্মবেশী) কি সেই রাজার আদেশে সে দেশ থেকে ভেগে বাংলাদেশে এসেছিলো? সম্ভবত এসেছিল। তারপর এদেশে বসবাস করেছিল, বংশ বিস্তার করেছিল। তাদের বংশধর না থাকলে এভাবে এদেশে চুরিকে একটা শিল্পে পরিণত করল কে?
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা নিরন্তর।
১৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৫
জুন বলেছেন: করুনাধারা গল্পটি পুরানো হলে হাল আমলের লবংগ দেশের জন্য একশভাগ প্রযোজ্য । এইসব নিয়ে আর কথা বলতে ইচ্ছে করেনা ইদানীং। তবে আপনি সুন্দর উদাহরন দিয়েছেন কিন্ত আমাদের ঐসব ব্যাক্তিবর্গের চামড়া এখন গন্ডারের চেয়েও ভারি। তাদের মান অপমান লজ্জা শরম কিছুই নেই। মুখের সামনে চোর বল্লেও মনে হয় তারা হাসি মুখেই আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবে।
আহা একদা পরম প্রিয় দেবসাহিত্য কুটিরের কথায় আরেকটি গল্প মনে পরলো যা এ গল্পের সাথে অপ্রাসংগিক। দুই কি তিনজন এক বরফ আচ্ছাদিত এলাকায় বেড়াতে গিয়েছিল । সেখানে হঠাৎ বরফে জমে থাকা ডাইনোসোর জেগে উঠে কত ভয়ানক ঘটনাই না সৃষ্টি করলো। কোন মেরুর ঘটনা নাকি মনে করতে পারছিনা । অনেক ছোটবেলায় পড়েছিলাম ।
২০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪
করুণাধারা বলেছেন: লবঙ্গ দেশ! দারুন দেশ! দারুন নাম জুন।
তাদের মান অপমান লজ্জা শরম কিছুই নেই। মুখের সামনে চোর বল্লেও মনে হয় তারা হাসি মুখেই আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবে। খুব হাসলাম এমন চোরের এমন বর্ণনা পড়ে! অবশ্য অবস্থা এখন এমনই দাঁড়িয়েছে- চোরেরা চুরি করে লজ্জা পায় না, এবং তাদের উপদেষ্টারা ৪০০০ কোটি টাকা চুরি গেলেও বলে, "এত সামান্য টাকা চুরি।"
সোনা চুরির কথা ভাবছিলাম, তখন হঠাৎ এই গল্পের কথা মনে পড়ে গেল। আসলে এত আগে পড়া গল্পগুলো এখনও মনে করতে পারি, হয়তো তখন টিভি ছিলনা নাটক ছিল না সেজন্য বইয়ের চরিত্রগুলো চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠত!! আপনার গল্পটা আমি পড়িনি, কিন্তু মনে হচ্ছে যদি পড়তে পারতাম! কি যে ভালো লাগতো glossy paper দেয়া ছবিসহ গল্পগুলো পড়তে!!
ভালো থাকুন, শুভকামনা নিরন্তর।
১৭| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা ,
স্বভাব যায় না ম'লে ......................
২০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১
করুণাধারা বলেছেন: স্বভাব যায় না ম'লে ......................
কোন স্বভাবের কথা বলছেন? চুরি করায় স্বভাবের, নাকি কিছু দেব বলে তারপর দিতে অস্বীকার করার স্বভাবের? এই স্বভাবগুলি কিছুতেই বদলায় না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, আহমেদ জী এস।
ভালো থাকুন, সবসময়।
১৮| ২০ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি কি এশিয়া মহাদেশের কোন এক দেশের কোন এক ব্যাংকের কাহিনী এই গল্পে বুঝাতে চেয়েছেন?
২৬ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: আপনি বুদ্ধিমান মানুষ, মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। একেবারে ঠিক ধরেছেন, এটা এশিয়া মহাদেশের কোন একদেশের কোন এক ব্যাংকের কাহিনী। দেশটার নাম বলেই দেই- উত্তর কোরিয়া।
১৯| ২১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪০
রক বেনন বলেছেন: করুনাধারা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গল্প শোনালেন না তো??
২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩
করুণাধারা বলেছেন: না না, এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের গল্প নয়। এটা বতসোয়ানার ব্যাংকের গল্প।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, রক বেনন। ভালো থাকুন, সবসময়।
২০| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫৫
জাহিদ অনিক বলেছেন:
গল্পটা পড়ে বেশ একটা দেশের বর্তমান চালচিত্রের আবহ পাওয়া গেল।
শ্যাকরা নিজেই যখন চোর !
২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬
করুণাধারা বলেছেন: গল্পটা পড়ে বেশ একটা দেশের বর্তমান চালচিত্রের আবহ পাওয়া গেল।
ঠিক আছে, ঠিক আছে। দেশটার নাম বলিভিয়া।
২১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার গল্পে অনেককিছুই বুঝা যায়। কিন্তু দেশি রাজারা তো কোনোপ্রকার একশন...।
ভালো লাগল।
২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২
করুণাধারা বলেছেন: এক দেশ ছিল, সেই দেশে এক সুরক্ষিত ব্যাংক ছিল। সেই ব্যাংকে রাখা টাকা ও সোনা বাতাসে মিশে যেত, তবে সে দেশের লোকে বলত এসব নাকি চুরি হয়েছে। একবার সেই দেশে লক্ষ টন কয়লা গায়েব হয়ে গেলো। লোকে বলতে লাগলো চুরি হয়েছে, পরে দেখা গেল চুরি হয়নি, আসলে সেই দেশের মানুষ গুড়া করে দাঁত মেজে সব কয়লা শেষ করে ফেলেছে!!
আমার বলা এই গল্পের চাইতে সেই দেশের গল্পগুলো কিন্তু বেশী মজার।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য ধন্যবাদ, আখেনাটেন।
২২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ১১:৪২
মুক্তা নীল বলেছেন: আপা,
অনেক দিন আগে এরকম নয়, তবে কাছাকাছি একটা গল্প শুনেছিলাম। চুরি করা যার স্বভাব সে চুরি করবেই।
টেকনিক টা মজার লাগলো।
ভালোলাগা রইলো।
২৮ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: মুক্তা নীল, এই গল্পটা মনে পড়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের নিছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে থেকে সোনা চুরির ঘটনায়। চুরি করা যার স্বভাব সে চুরি করবেই। একেবারে ঠিক!
এত পুরানো গল্পে এসে মন্তব্য এবং লাইক দিয়ে অনুপ্রাণিত করায় অসংখ্য ধন্যবাদ; শুভকামনা রইল।
২৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দারুণ তো !
আমি তো ভাবলাম গ্যি দ্যা মোপাসার নেকলেস গল্প।
ভালো লেগেছে
০৫ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: নাহ্, এটা অন্য গল্প, নেকলেস চুরির।
২৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: গল্পটা পোস্ট করলামঃ
নেকলেস - Guy de Maupassant
০৫ ই মে, ২০১৯ রাত ১০:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: পড়লাম। এই মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল, দুঃখিত।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: চুরি করার স্বভাব যার সে যেভাবে হোক চুরি করবেই।
গল্পটা আগে পড়া ছিল না।শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ আপু।