নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১) স্থান: উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর, রাজউক অফিস।
"ভাই পনের দিন ধরে আপনাদের অফিসে ঘুরছি, কিন্তু আমার ফাইলটা আপনারা এখনো খুঁজে পেলেন না!
"এইভাবে কি আর ফাইল খুঁজে পাওয়া যায় আপা, এর জন্য খরচাপাতি লাগবে।"
"ও...........
বলেন, কি খরচাপাতি লাগবে?"
"খরচা পাতির হিসাব দিতে কিছু সময় লাগবে; একটু বসেন; আমি নামাজটা পড়ে আসি। আজান হয়ে গেলে জামাতের সাথে নামাজ না পড়লে আমি কোন কাজেই মন দিতে পারি না আপা।"
২) স্থান: একজন ব্লগারের বাসা।
"মা, অন্তত দশবার তোমাকে শিখিয়েছি!! তুমি কম্পিউটারের এই সাধারণ জিনিসটা মনে রাখতে পারছ না! এত সময় লাগে কেন তোমার শিখতে?"
"এ্যাই! কম্পিউটার কি সহজ জিনিস, যে টুক করে শিখে ফেলবো! কম্পিউটার শেখা একটা কঠিন কাজ। ভেবে দ্যাখ, এই কম্পিউটার-কঠিন- কাজ লেখার জন্য যে ক লেখা লাগে, শুধু সেই ক লেখা তুই কতদিনে শিখেছিলি? কত হাতি এঁকে, তার শুঁড় আঁকিয়ে, তারপর না তোকে ব-এর পিঠে শুঁড় ক লেখা শিখিয়েছিলাম।
৩)স্থান: রূপসা নদীতে প্রচন্ড বেগে ছুটন্ত স্পিডবোট।
- সায়মা, তুমি কি সাঁতার জানো?
- না....... দেখছ না, ভয়ে কেমন স্টিফ হয়ে বসে আছি।
- ওহ্, তাইতো! তেলাপোকা ভয় পাও?
- ওরে বাবা, খুউব। তেলাপোকা কখনো গায়ের উপরে উঠলে ভয়ে আমার মাথা আউলায় যায়।
-তোমার হাঁটুতে একটা তেলাপোকা কিন্তু অনেকক্ষণ ধরে বসে আছে !!!
৪) স্থান: নীলক্ষেত, ঢাকা।
- বিকেল বেলা ইন্দিরা রোডের খালার বাসায় যাব।
- কেন?
- আজকের ফটোগ্রাফি ক্লাসে বাদলস্যার স্টিল লাইফের ছবি তোলার অ্যাসাইনমেন্ট দিয়েছেন। খালার বাসায় অনেক স্টিলের বাসন আছে, সেগুলোর ছবি তুলব।
৫) স্থান: ন্যাম ভবন, ঢাকা
"হ্যালো, হ্যালো, শুনছো; একটা খুশির খবর আছে; আমি এমপি পদের জন্য আবার মনোনয়ন পেয়েছি"
"বাহ, দারুন খবর! এমপি হয়ে কিন্তু তোমরা এমপিরা এবার একটা করে হেলিকপ্টার নেবে। ট্রাক বাসের যে মারমুখী ভাব থাকে রাস্তায়, গাড়িতে করে নিশ্চিন্তে কোথাও যাওয়া যায় নাকি!!!"
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪
করুণাধারা বলেছেন: প্রথমবার এসে শুধু হেসেই বিদায় নিলেন ফোয়ারা!! ঠিক আছে, পরের বারে এসে নিশ্চয়ই কথা বলবেন। আপাতত আমিই যাই, না আপনার বাড়ি গিয়ে কথা বলে আসি।
লাইকে লাইক। ভালো থাকুন, সব সময়।
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
খরচাপাতির হিসেব ঠান্ডা মাথায় দিতে হয়, এছাড়া নামাজের ফাঁকে গভীর মনযোগ হিসেব কষা সহজ হয়! মহান এই পরহেজগারের জন্য বড়ই মায়া হচ্ছে!! কি সুন্দরভাবে সৃষ্টিকর্তাকে ধোকা দিচ্ছে এই ভন্ডরা ।
(৫)টিই চমৎকার হয়েছে। প্রথমটি সবচেয়ে বেশি মনে দাগ কেটেছে বলে কিছু লিখলাম। এটা আমাদের বকধার্মিক সমাজেরই অংশ। এদেশে সুদখোর ঘুষখোর খুনি চুর ডাকাত সবাই ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে নিজেদের আখের গোছায়।
লেখায় ভাল লাগা রইলো, আপা। ভাল থাকুন, সব সময়।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯
করুণাধারা বলেছেন: কাওসার চৌধুরী, আপনার কাছে আপনার কাছে বিশেষ কৃতজ্ঞতা এজন্য যে, আমি আপনার ব্লগে অনুপস্থিত থাকলেও আপনি আমার ব্লগে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন। আসলে এটা আমার অনিচ্ছাকৃত অপারগতা।
প্রথম সংলাপটা দেবার আগে অনেকক্ষণ সময় নিয়ে ভেবেছিলাম, এটা পড়ে কেউ হয়তো বলে বসবেন আমি নামাজকে কটাক্ষ করছি! আসলে তা না; এক বিশেষ শ্রেণীর নামাজী আছেন যারা মনে করেন নামাজ পড়েই সব পাপ ধুয়ে মুছে ফেলা যায়- এদেরকে সরকারি অফিসে অনেক দেখা যায়, এদের নিয়েই এই সংলাপ। যেমন ধরুন উত্তরা রাজউক অফিস- চারতলায় অফিসের পাশে বিশাল এক মসজিদ বানিয়ে রেখেছে। আযান হওয়া মাত্র সবাই নামাজ পড়তে চলে যায়, তারপর নামাজ শেষে হিসাব কষতে থাকে কার কাছ থেকে কত আদায় করা যায়!
আপনার মন্তব্য ও লাইকে বরাবরের মতই অনুপ্রাণিত হলাম, আপনিও ভালো থাকুন শুভকামনা রইল।
৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭
নজসু বলেছেন:
(১) নামাজী লোক খরচাপাতি চায়। খরচাপাতি নিয়ে নামাজ কালাম পালন করা বৃথা। বোঝেনা সে বোঝেনা।
(২) অসাধারন যুক্তি। বাস্তব।
(৩) মারাত্মক।
(৪) মজাই মজা।
(৫) এমপিরা চাইলে রকেটও পেতে পারেন।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫
করুণাধারা বলেছেন: নজসু, সত্যিকারের নামাজী কখনো ঘুষ চাইতে পারে না! এক ধরনের নামাজী আছে, যারা নামাজ পড়ে এই আশায় যে তাতে তার ঘুষ নেবার পাপ মাফ হয়ে যাবে।
এমপিরা চাইলে রকেটও পেতে পারেন। সত্যিই পারেন, কারণ তাদের নিরাপত্তা দেয়াকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া আমাদের জনগণের কর্তব্য।
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ১,২,৩,৪,৫ ভালো লাগল।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭
করুণাধারা বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগলো, মাহমুদুর রহমান।
ভালো থাকুন সব সময়, দোয়া রইল।
৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭
শিখা রহমান বলেছেন: সবগুলো সংলাপই ভালো লেগেছে। ১নং সংলাপতো শুধু রাজউক নয়, আরো অনেক অফিসে শুনেছি। আর ২ নং সংলাপ আমার সাথে মায়ের হয় , আর ছেলের সাথে আমার।
ভালো থাকবেন। শুভকামনা নিরন্তর!!
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: ১নং সংলাপতো শুধু রাজউক নয়, আরো অনেক অফিসে শুনেছি। আর ২ নং সংলাপ আমার সাথে মায়ের হয় , আর ছেলের সাথে আমার।
না, শুধু রাজউক অফিসে না; জমি সংক্রান্ত যে কোন সরকারি অফিসে কোন দরকারে গেলেই দেখা যায় মহিলারা হিজাব- বোরকা পরে আর পুরুষেরা দাঁড়ি- টুপি পরে ধার্মিকের ভেক ধরে বসে আছেন। এরা ভন্ড; নানাভাবে তারা ইঙ্গিতে ঘুষ চান, আর আমিও ঘুরাতে থাকি............
মন্তব্যের দ্বিতীয় বাক্যটা একেবারেই বিশ্বাস করতে পারলাম না। এখানে মা দুজন অতি বিদুষী, অতএব তাদের কিছু শিখতে সময় লাগার প্রশ্নই ওঠে না...........
মন্তব্য এ লাইক পেয়ে খুব ভাল লাগল শিখা। ভাল থেকো সবসময়।
৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১
পদ্মপুকুর বলেছেন: ভেরি নাইস, মানে বেসম্ভব সুন্দর হইছে।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৫
করুণাধারা বলেছেন: আপনাকে সেইরাম বেসম্ভব ধন্যবাদ- এমন মন ভালো করে দেওয়া মন্তব্য আর লাইক দেওয়ার জন্য।
৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: আমি তাতে বড় খুশি হলাম। আসবেন মাঝে মাঝে আমার বাড়ি।
৮| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪
মলাসইলমুইনা বলেছেন: পাঁচ নাম্বার পছন্দ হয়েছে আমার খুবই ।এই এমপি সাহেবরা তাদের লাট বহর নিয়ে সাধাৰণ মানুষের রাস্তা ব্লক আর জ্যাম না করে আকাশ পথেই যাতায়াত করুন কোনো অসুবিধা নেই । দেবতা দেবতা লাগবে একটু (ইনফ্যাক্ট তারাতো পুরা কালের দেবতাই সর্বক্ষমতাপ্রাপ্ত) !খারাপ কি ?
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩১
করুণাধারা বলেছেন: প্রিয় মলা......, যেমন আপনি ভেবেছেন আমিও ঠিক তেমন ভাবনা থেকেই ৫ নাম্বারটা লিখেছি। বহুদিন থেকেই আমি ভাবছিলাম, ভিআইপিদের চলাচলের জন্য যদি হেলিকপ্টার দেয়া হয় তাহলে আমরা আমজনতা যানজটের হাত থেকে অনেকটা বেঁচে যাই। এইতো কদিন আগে, এমপি হতে ইচ্ছুকরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে ঢাকা শহরের অনেকখানি অচল করে ফেলেছিলেন। সেই অচলাবস্থায় আমিও আটকা পড়েছিলাম। তখনই মনে হল এদের হেলিকপ্টার দেয়া উচিত।
আকাশ পথে চললে এদের দেবতা দেবতা লাগবে, দারুন বলেছেন।
৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪
ওমেরা বলেছেন: নিশ্চয় নামায অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। [ সুরা আনকাবুত ২৯:৪৫ ]
কিন্ত আমরা নামাজও পড়ি সাথে খারাপ কাজ ও করি। নামাজ যে ভাবে পড়ার কথা আমরা সে পড়ি না, আমরা বুঝিও না নামাজে কি বলছি আর নামাজ শেষ করে কি করছি ।
সব কটাই ভাল লাগল । ধন্যবাদ আপু।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৯
করুণাধারা বলেছেন: আমরা যদি প্রতিদিন শুধু ফরজ- ওয়াজিব মিলিয়ে যে বিশ রাকাত নামাজ আছে, তার প্রতি রাকাতে সুরা ফাতেহা অর্থ বুঝে পড়ি, তাতেই আমাদের মন পরিশুদ্ধ হয়ে যাবার কথা। সমস্যা হল আমরা অনেকেই নামাজে দাড়াই, কিন্তু আল্লাহর কাছে সঠিক পথ পাবার প্রার্থনা করি না; বরং নামাজ পড়ি লোক দেখানোর জন্য। এই নামাজ কাউকে পরিশুদ্ধ করে না, সঠিক পথ দেখায় না এবং দুর্নীতি দুর্নীতি করা থেকে দূরে রাখে না।
আজকাল এই ধরনের লোক দেখানো নামাজ পড়ণেওয়ালা বেশি দেখা যায়! আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে সঠিক পথ দেখান।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, ওমেরা।
১০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩
শায়মা বলেছেন: হায় হায় আপুনি!!!
ভাগ্যিস সায়মা লিখেছো। শায়মা লিখলে তো শয়তান তেলাপোকা নিশ্চয় এতক্ষনে আমার দিকে ধাওয়া করতো!!!!
তবে তেলাপোকা তবুও সহ্য হয়। কোনো টিকটিকি যদি কখনও এক মাইল দূর থেকেও উল্টা দিকে তাকিয়েও হেঁটে যায়, আমি সন্মোহিত হয়ে পড়ি আর তারপর পপাৎ ধরণীতলে নিদ্রা যাই !!!!
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:১১
করুণাধারা বলেছেন: গল্পটা আমার, কিন্তু তোমার কথা ভাবতে ভাবতে লিখেছি, কারণ তুমি দশ ভূজা! নাম দিয়ে দিলাম সায়মা!!
তোমার কি না টিকটিকি ফোবিয়া! হায় হায়!! ঝাটকা মেরে এই ফোবিয়া দূর করে ফেল, যেমন আমি ঝটকা মেরে তেলাপোকা ফেলে দিয়েছিলাম পানিতে!!
১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: ১ নম্বরটা পড়তে পড়তে মনে হলো, এভাবেই নিজের সাথে প্রতারণা করতে করতে এই সমস্ত ছদ্ম নামাযীরা (তাও আবার জামাতে) একদিন খুব বড় রকমের ধরা খেয়ে যান। তখন আর প্রায়শ্চিত্তের সময়ও থাকেনা।
২ নম্বরের কথোপকথন এর মত কিছু সংলাপ আমার বাসায়ও মাঝে মাঝে হতো। ছেলেদের কাছে শিখতে ভাল লাগে, তবে ওদের এপয়েন্টমেন্ট পেতে অনেক সময় ধর্ণা দিতে হয়। তখন ঐ রকমের কিছু সংলাপ চলে আসে, তবে ইটস ফান!
৩ নম্বরেরটা পড়ে প্রায় একই নামের মত আমাদের একজন ব্লগারের কথা মনে হচ্ছিল- উনি নাতো?
ওমেরা এর মন্তব্যটা ভাল লাগলো।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩০
করুণাধারা বলেছেন: শুনেছি মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীরা সুদের কারবার করেন, মানুষের দারিদ্রতার সুযোগে তাদের সর্বস্বান্ত করে সেই পাপ মুছে ফেলার জন্য নানারকম দান-খয়রাত করেন, এমনকি মন্দিরে পিপড়াদের গুড় খাওয়ান! এদেশের দুর্নীতিবাজ নামাজীদের দেখলে আমার মাড়োয়ারিদের কথা মনে পড়ে যায়। এভাবেই নিজের সাথে প্রতারণা করতে করতে এই সমস্ত ছদ্ম নামাযীরা (তাও আবার জামাতে) একদিন খুব বড় রকমের ধরা খেয়ে যান। তখন আর প্রায়শ্চিত্তের সময়ও থাকেনা। সত্যিই তাই; এক সময় তারা অনুভব করেন শূন্য হাতে ফিরে যেতে হবে, এবং এই ভন্ডামির জবাবদিহিতা করতে হবে, তখন আর প্রায়শ্চিত্তেরও সময় থাকে না।
সমস্যা হচ্ছে, আমাদের সমাজে এই ধরনের মানুষই বেশি।
জি উনিই!! আমাদের ব্লগের দশভূজা ব্লগারকে স্মরণ করে তিন নম্বরের নামকরণ।
ওমেরার চিন্তাধারা একেবারে পরিণত মানুষের মতন, তার মন্তব্য আমারও ভালো লেগেছে।
আপনার মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ।
১২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হাহাহাহাহা সবগুলো' ই দারুণ লেগেছে আপু
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: হাসাতে পেরে আমারও ভালো লাগলো, মনিরা। Laughter is the best medicine.,....
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ মনিরা।
১৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভন্ডরাই আজকাল ধর্মের সবক দেয় আর লোক দেখানো ধর্ম পালন করে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩
করুণাধারা বলেছেন: ভন্ডরাই আজকাল ধর্মের সবক দেয় আর লোক দেখানো ধর্ম পালন করে। একটা বাক্যে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলেছেন, এই জন্যই আজ সমাজে এত অশান্তি, এত অবিচার!!
অনেক ধন্যবাদ পোস্টে লাইক দেবার জন্য। ভালো থাকবেন।
১৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
অরাজনৈতিক সংলাপই বটে!
নীলক্ষেতের ব্লগারের বাসা থেকে যেন ছুটন্ত স্পীডবোটে করে রাজউক অফিস থেকে ন্যাম ভবন ঘুরিয়ে আনলেন ।
ওয়াও.................
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬
করুণাধারা বলেছেন: রাজনৈতিক সংলাপ পত্রিকায় আসে, মানুষের মুখে মুখে ঘুরতে থাকে। অথচ এমন কত অরাজনৈতিক সংলাপ আমাদের জীবনে প্রতিদিন বিনিময় হয়, তার কোন খবর আসে না! সেজন্যই ক'টি সংলাপ তুলে আনলাম ব্লগের পাতায়।
অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য আহমেদ জী এস। শুভকামনা রইল।
১৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এইরে! আমি এত পিছিয়ে পড়লাম। যেগুলো বল দরকার সেগুলো দেখছি সবার বলা হয়ে গেছে। প্রত্যেকটা কথোপকথন সুন্দর।
তবে আমি এক নম্বর সম্পর্কে বলবো। আমার আমার পড়াতে একটি মসজিদ আছে । এলাকায় এডজাস্ট করতে না পারার জন্য বাড়ি বিক্রি করে আমাকে অন্য জায়গায় যেতে হচ্ছে। মসজিদটি ক্রমশ সাধারণ বাড়ি থেকে একটি প্রসাদ আকার ধারণ করছে। এখনো মসজিদের কাজ চলছে। আমার বাড়ি বিক্রির খবর এলাকায় জানাজানি হতেই , পাড়া থেকে কমিটির পক্ষ থেকে লোক এসে একটা ভালো অংকের টাকা দাবি করল, মসজিদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। স্বেচ্ছায় দানের টাকায় নাকি মসজিদ হয়- সমাজ পতিদের এ দাবির কাছে নিজের মনোকষ্ট চেপে রেখে হাসি মুখে সম্মতি জানাতে বাধ্য হলাম। এলাকায় যখন ঢুকি তখনও সমাজ পতিদের এহেন দাবির কাছে হাসিমুখে নত স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলাম।পাঁচ বছর এ স্থানে বসবাস করছি একদিন ওই মসজিদে নামাজ পড়তে যাইনি। যাইনি মানে আমার প্রবৃত্তি হয়নি ।অথচ যে কারো কাছে আকর্ষণীয় কেন্দ্রবিন্দু পাড়ার এই মসজিদটি ।
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় আপুকে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১০
করুণাধারা বলেছেন: মসজিদ নিয়ে শেয়ার করা আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে রাগ, ক্ষোভ, এবং বিস্ময়ের মিশ্র অনুভূতি হল। মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হবার কথা তাকওয়ার উপর, কিন্তু এখন মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয় লাভের হিসাব করে। মসজিদ প্রতিষ্ঠার সময় অন্যের জমি কিছুটা অধিকার করে জায়েজ বলে করা হয়, এমনকি এমনও শুনেছি অন্যের জমি দখল করার জন্য সেখানে কিছু অংশের উপর একটা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হয় প্রথমে। আমি যে মসজিদটার উল্লেখ করেছি, সেটা একটা অফিসের অনেকখানি খালি জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে, যেন সেখানকার কর্মকর্তারা দুর্নীতি করার পর মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে দুর্নীতির পাপ ধুয়ে ফেলতে পারেন!
তবে আপনার অভিজ্ঞতাটা ইউনিক! এভাবে জোর করে মসজিদের নামে অন্যের কাছ থেকে টাকা আদায় করলে, আদায়কারীদের লুন্ঠনের পাপ হওয়া উচিত। ৫ বছরেও যে আপনার প্রবৃত্তি হয়নি সেই মসজিদে নামাজ পড়ার- সেটা খুবই স্বাভাবিক।
লাইকে অনুপ্রাণিত হলাম, পদাতিক চৌধুরী। ভালো থাকুন, সব সময়।
১৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: - ১ নাম্বার টা আমি লাইফে বেশ কয়েকবার পেয়েছি, একেবারেই বাস্তব ঘটনা।
- ২ নাম্বার টা অতিশয় সত্য কথা, বড় ছেলেকে লেখা শিখিয়েছি, এটা যে কতটা কঠিন কাজ একমাত্র যারা করেন তারাই জানে।
- ৩ নাম্বারটার পরবর্তি দৃশ্যের কথা চিন্তা করে বেশ মজা পেলাম।
- কিছু কিছু ফটো দেখলে ৪ নাম্বার টা মোটেও অবাস্তব মনে হয় না।
- ৫ নাম্বার টা কঠিন হয়েছে, একেক জন যে পরিমান টাকা কামায় জেতার পর একটা হেলিকপ্টার কেনা কোন ব্যাপারই না.....
আপু, লেখা খুব ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা রইল!
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫
করুণাধারা বলেছেন: নীল আকাশ, আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। তবে ইদানিং আপনি একতরফা মন্তব্য করছেন আমাদের মন্তব্য করার সুযোগ দিচ্ছেন না!
কবিতা- স্মৃতি, লেখার পর তো বহুদিন পার হয়ে গেছে............লিখুন নতুন কিছু।
এক নম্বর অনেকেরই পরিচিত, বাংলাদেশে বসবাস করতে গেলে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করতেই হবে। আর বাকিগুলো নানা ঘটনা থেকে নেয়া। পাঁচ নাম্বারটা যদিও কল্পিত, কিন্তু জানি এটা অসম্ভব কিছু নয়। যারা হাজার হাজার কোটি টাকা নয় ছয় করেন তারা এমন শখ পূরণ করতেই পারেন.........
মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম, আপনার জন্য রইলো অনেক শুভেচ্ছা।
১৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: শায়মা আপুকে আপনি ভয় দেখাতে চান! শুনেন মিয়া, নামায টামাজ পড়েন, ভাল মানুষ হন, বুঝলেন?
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: এ জীবনে কত সম্বোধনেই না সম্বোধিত হয়েছি! কিন্তু "মিয়া" সম্বোধন জীবনে এই প্রথম পেলাম; অসংখ্য ধন্যবাদ সৈয়দ তাজুল ইসলাম, এমন নতুনত্বমুলক সম্বোধনের জন্য ।
না না, শায়মাকে ভয় দেখাবো! এত সাহস আমার নেই! আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।
১৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: আপু, আমি লেখার চাইতে পড়তে অনেক অনেক বেশি পছন্দ করি। ব্লগে আমি মোটামোটি সবার লেখা পড়ে যাই। যার টা ভাল লাগে সেখানে সময় নিয়ে মন্তব্য করি। আর নিজের লেখার বিষয়ে খুব খুতখুত করি। খুব শিঘ্রই একটা লেখা দিব তবে এটা একেবারেই নতুন একটা টপিকে। ভাল থাকুন আর এই রকম সুন্দর লেখা দিন পড়ার জন্য।
শুভ রাত্রি।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: আপনার বলা গল্পে সব সময়ই নতুন কিছু থাকে, তাই আপনার গল্পের অপেক্ষায় থাকি, এখনও আছি। নতুন পোস্ট দিয়ে ফেলুন তাড়াতাড়ি!
তবে শবনমের আরেকটা পর্ব পেলে ভালো হতো!
শুভেচ্ছান্তে-
১৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০১
রক বেনন বলেছেন: বরাবরের মতই দুর্দান্ত হয়েছে! পোষ্টে প্লাস!!
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: বরাবরের মতই আপনার প্রশংসায় আপ্লুত হলাম, অসংখ্য ধন্যবাদ।
২০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩
রক বেনন বলেছেন: প্রথম ব্যাপারটা আমার সাথেও ঘটেছিল তবে তিনি আমাকে তাড়া দিচ্ছিলেন হজ্জের ফ্লাইট মিস হয়ে যাওয়ার ভয়ে!!
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯
করুণাধারা বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা জেনে খুব হাসলাম। নামাজিদের নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা আছে, কিন্তু হাজিরাও যে এমন হতে পারে, জানতাম না।
ভালো থাকুন রক বেনন। আর লিখুন কিছু!
২১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ফ্যান্টাস্টিক হয়েছে আপু....
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০০
করুণাধারা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, ফারিহা হোসেন প্রভা। আবার দেখা হবে, তোমার ব্লগে।
২২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৭
শামছুল ইসলাম বলেছেন: সব গুলোই দারুণ হয়েছে।
তবে ৪ নম্বরটা অতি-দারুণ হয়েছে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০২
করুণাধারা বলেছেন: আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে খুব ভালো লাগলো, শামছুল ইসলাম।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: দারুন লেখা আপু।
সব গুলোই অসাধারন।অনেক ভাল লাগল।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৩
করুণাধারা বলেছেন:
প্রশংসায় আবারও আপ্লুত হলাম, মোস্তফা সোহেল।
ভালো থাকবেন সবসময়- শুভকামনা থাকলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০১
ফোয়ারা বলেছেন: