নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডক্টর মুসাকে অভিনন্দন, ও উপদেশ (!)

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০১

 আমার প্রিয় ছড়াকার-ব্লগার স্নিগ্ধ মুগ্ধতার (MBBS) ডিগ্রী অর্জন উপলক্ষে অভিনন্দন জানাই। সেই সাথে নানা কিসিমের ডাক্তার সম্পর্কিত কিছু জ্ঞান এই নবজাত ডাক্তারের সাথে শেয়ার করতে চাই, যাতে ডাক্তারি জীবনের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তিনি বেছে নিতে পারেন কোন ধরনের ডাক্তার তিনি হতে চান!

স্নিগ্ধ-মুগ্ধতার  কবিতা দিয়ে শুরু করি:

 "আই ব্যাটারা, এই দিকে আয়, আয় ঘাড়ে কোপ বসাই,
পাঁচটা বছর বাঁশটা খেয়ে আজকে হলাম কসাই।"

কবিতায় একটা ভুল আছে, অদৃশ‍্য কোপটা পড়ে রোগীর পকেটে, ঘাড়ে না! "সহজে রোগীদের পকেট কাটার ১০১ টি উপায়" ইন্টার্নি ডাক্তারদের শিক্ষানবিসীর শুরু থেকেই সম্ভবত শেখানো হয়। এর উদাহরণ প্রাইভেট হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে কর্মরত ডাক্তাররা। একবার গেছি পা ভাঙ্গা রোগী নিয়ে, ইমারজেন্সিতে ঢোকার পাঁচ মিনিটের মধ্যে সেখানকার ডাক্তার পঞ্চাশ হাজার টাকার টেস্ট করতে দিয়ে দিলেন! কিভাবে? রোগী আসার খবর পেয়ে অর্থোপেডিক্সের ডাক্তার জরুরী বিভাগে এসে পৌঁছানোর আগেই সেখানকার  ডাক্তার  পনের রকম ব্লাড টেস্ট, পাঁচ রকম এক্সরে, ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি, বোন স্ক্যান, এম আর আই, সিটি স্ক্যান, আলট্রাসনোগ্রাফিসহ প্রায় ৫০ রকম টেস্টের তালিকা তৈরি করে ফেলেন; আসলে ছাপানো তালিকাটা তৈরিই থাকে; ডাক্তারের কাজ শুধু তালিকার খোপে খোপে টিক চিহ্ন দেওয়া। ইতিমধ্যে সিনিয়র ডাক্তার এসে টেস্টগুলোর প্রায়োরিটি ঠিক করে দেন। পা ভাঙ্গা রোগী তেমন সিরিয়াস কিছু না, এক্সরে দেখেই ডাক্তার প্লাস্টার করে বাড়ি যেতে দিতে পারেন, কিন্তু তা না করে তিনি প্লাস্টারের পর হাসপাতালে ভর্তি করে নেন, তারপর চলতে থাকে টেস্টের পর টেস্ট! অপ্রয়োজনীয় টেস্ট- কিন্তু সে কথা তো ডাক্তারকে রোগী বলতে পারে না! কিন্তু যদি পা না, মাথা ভাঙ্গা রোগী জরুরী বিভাগে যান তাহলে? সেক্ষেত্রে আগে এমআরআই, সিটি স্ক্যান ইত্যাদি টেস্ট না করে  চিকিত্সা শুরু করা যায় না, তাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসা শুরু হতে কিছুটা সময় লাগে। ততক্ষণে জরুরী বিভাগ থেকে রোগীর জায়গা হয় আই সি ইউতে, সেখান থেকে ভাগ্য ভালো থাকলে কেবিন; খারাপ থাকলে লাইফ সাপোর্ট; ইতিমধ্যে রোগীর পকেট অনেকটাই খালি হয়, অল্প যেটুকু ভরা থাকে, লাইফ সাপোর্ট সেটুকুও খালি করে ফেলে............

ঝকঝকে প্রাইভেট হাসপাতালের জরুরী বিভাগে যাবার পর এইরকম চিকিৎসা আমি পরিচিত কয়েকজনের বেলা দেখেছি। তাই যখন আমি একদিন অসুস্থ হলাম, তখন এক মুহুর্তেই ঠিক করলাম, প্রাইভেট হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কিছুতেই যাবনা। জান হয়ত বাঁচাতে পারবো না, কিন্তু ডাক্তারদের হাত থেকে আমার টাকা তো বাঁচাতে হবে! ঘটনাটা হয়েছিল এরকম- বিকাল বেলায় আমি শুয়ে শুয়ে বই পড়ছি, হঠাৎ করে মনে হল সব অক্ষরের মাত্রাগুলো কেমন লম্বা হয়ে যাচ্ছে। তারপর দেখি সেই লম্বা মাত্রাগুলো বেঁকে যাচ্ছে তারপরই মনে হলো সব লাইন গুলো জিগজাগ হয়ে গেছে।  এই এরকম:


তাড়াতাড়ি বই বন্ধ করে চোখ বন্ধ করলাম, দেখি বন্ধ চোখেও শুধু সাদাকালো জিগজাগ দেখছি, চোখ খুলেও এটা ছাড়া চারপাশের আর কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। মনে হলো আমার স্ট্রোক করছে, তাড়াতাড়ি সবাইকে ডেকে বললাম, "আমার স্ট্রোক করছে, হাসপাতালে নিয়ে চল!" আমার বাসার খুব কাছেই একটা ঝকঝকে প্রাইভেট হাসপাতাল আছে, কিন্তু আমি কিছুতেই সেখানে যেতে চাইলাম না; (জরুরী বিভাগ থেকে আই সি ইউ না ঘুরে গিয়ে রোগী কেবিনে গেছে, এমন ঘটনা সেখানে অতি বিরল)! আমি যেতে চাইলাম সরকারী হাসপাতালে, আগারগাঁওয়ের ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সাইন্সের জরুরি বিভাগে। ঘরের লোকের প্রবল আপত্তি সত্বেও আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল রইলাম, যদিও  হাঁটতে গিয়ে পা টলছিল! সময়টা ছিল এপ্রিলের এক  সুন্দর মেঘলা বিকেল। রাস্তায় যেতে যেতে মনে হল, এত সুন্দর পৃথিবী, আর হয়ত দেখা হবে না!! সুন্দর পৃথিবী দেখছি! তারমানে চোখের সামনে থেকে জিগজাগ  উধাও হয়ে গেছে! ততক্ষণে হাসপাতালে কাছেই চলে এসেছি, তাই আপাত সুস্থ বোধ করলেও গেলাম জরুরি বিভাগে, মাত্র দশ টাকার টিকিট কেটে! এখানকার ডাক্তাররা খুবই যত্ন নিয়ে পরীক্ষা করলেন আঙ্গুল অবশ কিনা, কথা জড়িয়ে যাচ্ছে কি না; এইসব। তারপর বললেন তেমন কিছু হয় নি, চাইলে আমি সিটি স্ক্যান করতে পারি, কিন্তু সেটার প্রয়োজন নেই। কিছু ওষুধ খাবার জন্য লিখে দিলেন।

এবার বাড়ি ফিরতে লাগলাম খুশিমনে- প্রাইভেট হাসপাতালের জরুরী বিভাগে না যাওয়ায় বেঁচে গেল অন্তত ১,৯৯,৯৯০ টাকা, আর সাথে জান টাও- কারণ আইসিইউ থেকে একবার লাইফ সাপোর্টে গেলে লাইফ কি আর ফিরে পেতাম!

ঘরে ফিরে, প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধের নাম দিয়ে গুগল সার্চ দিলাম। দেখলাম অকুলার মাইগ্রেন নামের এক রোগের ওষুধ এগুলো, যে রোগে রোগীরা কিছুক্ষণের জন্য চোখে জিগজাগ দেখেন, আমিও ঠিক এমনই দেখেছি। অর্থাৎ মাত্র ১০ টাকা নিয়ে ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সের ডাক্তাররা ঠিকঠাকমতো  আমার রোগ নির্ণয় করে ঠিক ওষুধ দিয়েছিলেন,  সেটা খেয়ে কিছুদিনের মধ্যেই আমি পূর্ণ সুস্থ হয়ে গেছিলাম!!!!

  তাই বলে সব সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার এই ডাক্তারের মতো ভালো নয়! একটা ঘটনা বলি!  আমার বাসায় কাজ করে যে মহিলা, সে গিয়েছিল সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে। সেখানকার আউটডোরের ডাক্তার নাকি তাকে হাসপাতালের পাশের একটা নির্দিষ্ট দোকান থেকে ওষুধ কিনতে বলেছেন। আমি তার প্রেসক্রিপশন দেখতে চাইলাম, দেখলাম হিব্রু ভাষার মতো অক্ষরে কিছু লেখা, কোন মতেই কিছু পড়তে পারলাম না!

প্রেসক্রিপশন পড়তে না পেরে বললাম যে ওষুধ কিনেছে, সেটা নিয়ে আসতে। দেখি যে সেই ওষুধ একেবারে অনামী কোম্পানির, গুগলে সার্চ দিলাম কিন্তু খুঁজে পেলাম না! যা বুঝলাম তা এই- এগুলো ভুয়া কোম্পানির ভূয়া ওষুধ; অশিক্ষিত রোগীদের প্রেসক্রিপশনে ডাক্তার সাংকেতিক ভাষায় এগুলোর নাম লিখেন, এই সাংকেতিক চিহ্ন বোঝে কেবল তার ফার্মেসীর লোক। এই ওষুধ খাবার ফলে রোগীর স্বাস্থ্য ভালো হয় না, কিন্তু ডাক্তারের পকেটের স্বাস্থ্য ভালো হয়। 

ডাক্তারদের নিয়ে আরো অনেক গল্প আছে। আজ আর না!

স্নিগ্ধ মুগ্ধতার জন্য প্রার্থনা, সে যেন ২৬ তারিখে বিসিএসের ভাইভায় ভালোভাবে উত্তীর্ণ হয়, এবং সেই রকম ডাক্তার হয় যেমন ডাক্তার আমি পেয়েছিলাম নিউরো সাইন্স হাসপাতালে!




মন্তব্য ৬৩ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৬৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

বিজন রয় বলেছেন: যাক আপনি ভাল চিকিৎসা পেয়েছিলেন। আপনার ভাগ্যভাল।
যদিও আপনার উপস্থিত সঠিক সিদ্ধান্তই ঠিক ছিল।

আপনাকে এবং স্নিগ্ধ মুগ্ধতাকে শুভকামনা।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

করুণাধারা বলেছেন: এমন একটি লেখাতেও আপনি মন্তব্য করেছেন এবং প্লাস দিয়েছেন- অনেক ধন্যবাদ বিজন রয়। এটা লেখার উদ্দেশ্য ছিল আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করা, এ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে অনেক দুর্ভোগের শিকার হয়েছি। যদি আমি প্রাইভেট হাসপাতালে যেতাম, তাহলে অবজারভেশনে রাখার কথা বলে অন্তত সাতদিন হাসপাতালে থাকতে হতো, আই সি ইউ তে যদি নাও যেতে হতো! আমার ভাগ্য সত্যিই ভালো, এবার তেমন কোন দুর্ভোগ হয়নি!

সুস্থ থাকুন' বিজন রয়, শুভকামনা রইল।

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লেখাটি বেশ ভাল লাগল।স্নিগ্ধ মুগ্ধতার জন্য রইল শুভ কামনা।
আমার তো দেশের ডাক্তারদের কাছে যেতেই ভয় করে!

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫২

করুণাধারা বলেছেন: মোস্তফা সোহেল, এটা খুব একটা সাধারণ লেখা- আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো। যা বলতে চেয়েছিলাম তা ঠিক মতো বলতে পারিনি। সেটা এই যে- বেসরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গেলে তারা যেভাবেই হোক, অনেক অদরকারী টেস্ট করাবেই, চেষ্টা করবে দরকার না হলেও হাসপাতালে ভর্তি করে রাখতে। সবার এ ব্যাপারটায় সজাগ থাকা দরকার।

আমারও ডাক্তারদের কাছে যেতে খুব ভয় করে! খুব দরকার না হলে যাই না কখোনো।

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

শামছুল ইসলাম বলেছেন: নিউরো সাইন্স হাসপাতালে আমি বেশ কয়েকবার গিয়েছি - রোগী দেখতে। ওদের পরিচ্ছন্ন হাসপাতাল ও নিয়মকানুন আমার খুব ভালো লেগেছে। এমন হাসপাতাল আর ও চাই। আর সোহরাওয়ার্দী সম্বন্ধে আপনি যা লিখেছেন, সে রকম বাজে অভিজ্ঞতা অনেকের ই আছে।

আপনি সুস্থ আছেন জেনে ভালো লাগলো।
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছান্তে।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: ডাক্তারের কাছে যাবার সময় আমি খুব দ্বিধায় থাকি, ভালো হবে কি খারাপ হবে সেটা ভেবে। কিন্তু নিউরোসাইন্স হাসপাতালে যাবার সময় আমি বেশ নিশ্চিন্ত থাকি। কারণ দেখেছি তারা বেশ আন্তরিকতার সাথে রোগী দেখেন, আর এদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা আপনি যেটা বলছেন, সেটা আসলেই অন্য কোন সরকারি হাসপাতালে আমি দেখি নি।

আপনার শুভেচ্ছা পেয়ে ভালো লাগলো। আপনিও সুস্থ থাকুন, দোয়া করি।

৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: আমি তাকে পরিপুর্ন মানুষ হতে পারে সে জন্য অভিনন্দন দিয়েছি। ডাক্তার হবার জন্য নয়। আমার মাকে সারা বাংলাদেশে প্রায় ১৫ জন বিশেষগ্গ ডাক্তার দেখিয়েছিলাম। মজার ব্যাপার হলো এরা সবাই প্রত্যেকে একটা করে নতুন রোগের কথা বলেছিল আর বলেছিল সে ছাড়া সারা দেশে এর চেয়ে ভালো কেউ চিকিৎসা করতে পারবে না.......হার্ট প্রবলেম থেকে শুরু করে কিছুই বাদ দেয়নি। হতাশ হয়ে সব চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়ার, এক মাস পরে মা এমনিতেই ভালো হয়ে গেছে, তাও প্রায় ১০ বছর হলো মা এখন পুরোপুরি সুস্থ। এদের কে নিয়ে আমার যে বিচিত্র অভিগ্গতা হয়েছে সেটা লিখতে গেলে মহা কাব্য হয়ে যাবে, এত ধৈর্য্য নেই।
ভালো একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
শুভ কামনা রইল আপু।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০২

করুণাধারা বলেছেন: আপনার মাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবার অভিজ্ঞতা শেয়ার করায় অনেক ধন্যবাদ নীল আকাশ। উনি ভালো আছেন জেনে ভালো লাগলো। দোয়া করি, এভাবে সবসময় উনি সুস্থ থাকুন।

অনেকের ধারণা, টাকা খরচ করলেই ভালো চিকিৎসা পাওয়া যায়। এটা ভুল ধারণা। তাই অসুখ হলে ডাক্তার দেখাবার আগে ভেবেচিন্তে যাওয়া উচিত, যাতে ঠিক চিকিৎসা টা পাওয়া যায়।

আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা।

৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: বর্তমানে প্রাইভেটের চেয়ে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ভালো ! খালি সমস্যা হইলো ব্যাপক ভিড় !! পরিচিত কেহ থাকিলে বা ধৈর্য্য ধরিতে পারিলে বেসরকারিতে না যাওয়াই উচিত !

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১০

করুণাধারা বলেছেন: পরিচিত কেহ থাকিলে বা ধৈর্য্য ধরিতে পারিলে বেসরকারিতে না যাওয়াই উচিত ! হ্যাঁ, সরকারি হাসপাতালে দীর্ঘ সময় (প্রায় দুই ঘন্টা) বসে থাকা লাগে, কিন্তু ডাক্তাররা অযথা গাদাগাদা টেস্ট করতে দেন না। এটুকুই লাভ। এই ডাক্তাররাই বেসরকারি হাসপাতালে বসেন, সুতরাং এরা কিছু কম জানেন তা তো নয়!

আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে ভালো লাগলো, টারজান০০০০৭। শুভেচ্ছা রইল।

৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার সবচেয়ে বড় ভয় এটা, বড় থেকে মাঝারি ধরণের অসুস্থতা। তিলে তিলে জমানো টাকা মুহূর্তেই শেষ হয়ে যাবে! এজন্যে বড় খরচ পারতপক্ষে করিই না।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২২

করুণাধারা বলেছেন: এই ভয় বহুদিন আগে থেকেই আমার শুরু হয়েছে। একবার আমার মেয়ে খুব বমি করছিল দেখে ডাক্তার রুটিন ব্লাড টেস্ট করতে দিলেন। দেখা গেল একটা কিছুর মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি এসেছে, সাথে সাথে ডাক্তার বলে দিলেন ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে এবং হেমাটোলজির ডাক্তারের কাছে রেফার করে হুলুস্থুল কান্ড বাধিয়ে দিলেন। পরে অন্য ডাক্তার দেখিয়ে দেখা গেল যে, যা অনেক বেশি ছিল সেটা বাচ্চাদের বেশি হওয়াই নর্মাল, বয়স বাড়ার সাথে সাথে সেটা কমে আসে। হয়তো ডাক্তার এটা জানতেন না, না জেনেই চিকিৎসা শুরু করেছিলেন, এবং আরেকটু হলেই ভুল চিকিৎসায় আমাদের পুরো পরিবার দুর্ভোগে পড়তো!

জানিনা, স্বাস্থ্যসেবার এ অবস্থার কবে উন্নতি হবে!

আপনার জন্য শুভকামনা।

৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আমাদের দেশের প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর অবস্থা ঠিক কসাইখানার মত। ভাগ্যিস আপনি বুদ্ধি করে সরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন।
ডাক্তার মুসাকে (যদিও তাঁর পুরো নাম জানা নেই) অভিনন্দন! আশা করি ডাক্তার মুসা নিজেকে রোগীদের একজন বন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবেন!

আর আপনাকেও এমন একটি পোস্ট দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ সম্রাট ইজ বেস্ট, এমন মন ভালো করা মন্তব্য আর প্লাসের জন্য, আর আরও বেশি ধন্যবাদ লম্বা বিরতির পর আবার ফিরে আসার জন্য..........

স্নিগ্ধ মুগ্ধতার ভালো নাম আহমদ মুসা। তার পরিচিতিতে এটা দেয়া আছে। ডাক্তার হিসেবে তিনি হয়তো এই নামেই পরিচিত হবেন। আমিও আশা করি, ডাক্তার মুসা রোগীদের আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসা করবেন।
শুভেচ্ছাসহ।

৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো আপু। নবাগত ডাক্তার কে অভিনন্দন যাকে উদ্দেশ্য করে আপনি পোষ্টটি লিখেছেন তার পোষ্টের মাধ্যমে একটা বার্তা আছে। পোস্টে প্লাস++
আপনার দেখা বা অভিজ্ঞতায় নিউরোসায়েন্স ডাক্তারের সংখ্যাটা বৃদ্ধি পাক - কামনা করি।

শুভকামনা প্রিয় আপুকে ।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

করুণাধারা বলেছেন: প্রিয় ভাইকে পেয়ে ভালো লাগলো!

এই ছড়াকার ব্লগারের সাথে আপনার হয়তো পরিচয় হয়নি! তার ছড়াগুলোতে মানবিকতার বাণী আছে। তাই আমি আশাবাদী, তিনি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে চিকিৎসার কাজ করবেন। তিনি একটি পোস্ট দিয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে আমার এই পোস্ট।

মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।

৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৪

বিজন রয় বলেছেন: এমন একটি লেখাতেও আপনি মন্তব্য করেছেন এবং প্লাস দিয়েছেন................. আমি তো সব লেখায় যাই, মন্তব্য করি।
যদিও ইদানিং একটু কম মন্তব্য করা হয় সময়ের অভাবে।

আমি আমার ব্লগিংএর প্রথম দিকে প্রচুর মন্তব্য করতাম।

আপনি ভাল থাকুন।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: একেবারে ঠিক কথা বলেছেন! প্রতিমন্তব্য করার সময় আমি মন্তব্যকারীর নামটি ভুলে গেছিলাম, তাই এই বিভ্রাট! হ্যাঁ, আমি যতদিন ধরে এই ব্লগে আছি,আপনাকে দেখেছি আপনি প্রচুর মন্তব্য করেন; সবার পোস্টে। আরেকটা জিনিস আগে দেখছি- আপনি কবিতা লিখতেন! আজকাল সেটা ভুলে গেছেন!

ভালো থাকুন।

১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারি হাসপাতালে ভোগান্তি থাকলেও চিকিৎসা টা ভালো হয়। প্রাইভেটওয়ালারা খুব বেশি টাকা নেয়।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

করুণাধারা বলেছেন: ঠিক। সরকারি হাসপাতালে অনেক সময় ভালো চিকিৎসা পাওয়া যায়, আর বেসরকারিতে যেহেতু পয়সার দিকে নজর বেশি থাকে, তাই চিকিৎসা অনেক সময় ভালো হয় না.......

আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো রাজীব নুর। ভালো থাকুন।

১১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

স্নিগ্দ্ধ মুগ্দ্ধতা বলেছেন: আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা। চাক্ষুষ পরিচয় ছাড়াও যে এতকিছু সম্ভব, বিশ-বাইশ বছর আগেও কেউ সেটা মেনে নিত কি না সন্দেহ!

আসলে ডাক্তাররাও আপনার আমার মতোই মানুষ। তাই বিচক্ষণতা, প্রজ্ঞা, লোভ, নির্লোভ, সুন্দর আচরণ —এসবই এক একজন ডাক্তারের কাছে এক-এক রকম। তাই কেউ হয়তো পয়সার জন্য একটার জায়গায় দশটা ওষুধ লিখে দিচ্ছে, কেউ হয়তো কুৎসিত আচরণ করছে, আবার কোনও ডাক্তারের আচরণে আপনি হয়ে যাচ্ছেন মুগ্ধ!

দেশের ৯০% মানুষ চায়, তার ছেলে বা মেয়েটা ডাক্তার হোক। কিন্তু খুব কম মানুষই আছেন, যারা চান, তার সন্তানটা "ভালো মানুষ" হোক। আমরা যদি আমাদের সন্তানকে ভালো হতে শেখাই, নিজের স্বার্থের আগে অন্যের সুবিধাটা দেখতে শেখাই, তবে সব ডাক্তারই ভালো হতে বাধ্য। কারণ এই ডাক্তারগুলো তো আমাদেরই কারও না কারও ছেলেমেয়ে!

আরেকটা বিষয়, আমি নিজে আমার কিছু সার্টিফিকেটের জন্য SUST এ ঘোরাঘুরি করছি। মূল সমস্যা হলো আমাদের ২০০বছরের পুরনো সিস্টেমে। যে-কারণে একটা সার্টিফিকেটর জন্য কমপক্ষে পাঁচ জায়গায় গিয়ে চৌদ্দ রকমের সাইন নেওয়া লাগে!

সরকারি মেডিকেলেরও একই অবস্থা! কোন টেস্ট কোথায় করাবে, কীভাবে করাবে—এটাই বেশিরভাগ লোক বুঝতে পারে না। আমাদের সিস্টেমগুলোকে আধুনিক করতে হবে। আর এই বিসিএসে ৭০০০ ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হলে জনবল সংকট অনেক কমবে।

এই অদেখা আমার জন্য আপনাদের ভালোবায় আমি সত্যিই মুগ্ধ। এ মুগ্ধতা স্নিগ্ধ মুগ্ধতা!

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: স্নিগ্ধ মুগ্ধতা, এই সুন্দর মন্তব্যটির একটা সুন্দর প্রতিমন্তব্য লিখেছিলাম, ব্লগারদের ভার্চুয়াল হৃদ‍্যতা নিয়ে আর ওসমানী মেডিকেল কলেজের অনেক অধ্যাপকদের (অনেক কাল আগের) নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছিলাম। সেটা পোস্ট করার আগেই মুছে গেল! এখন আর সেসব কথা লিখতে ইচ্ছে করছে না, শুধু বলি মন্তব্যে লেখা সব কথাই ভাল লেগেছে। আশা করি সিস্টেমের পরিবর্তন হবে, নবনিযুক্ত সাত হাজার ডাক্তার এমন ডাক্তার হবেন যাদের দেখে রোগী ভরসা করতে পারে......

 সাস্ট থেকে সার্টিফিকেট আনতে হলে তো অনেক সহজ হয়ে গেছে, আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওসমানী মেডিকেল কলেজের সার্টিফিকেট আনতে হতো!

 সরকারি মেডিকেল কলেজে টেস্টের ঝকমারি খুবই বেশি। আমাকে দু একবার পিজি হাসপাতালে টেস্ট করতে যেতে হয়েছে, তখন সাথে একজন টেকনিশিয়ান থাকতো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা আমাকে চেনানোর জন্য। আমি লেখাপড়া জানা মানুষ, আমার যদি এই অবস্থা হয়, যারা লেখাপড়া জানে না, ঢাকার বাইরে থেকে এসেছে তাদের কি অবস্থা.........  আশা করি একদিন সব ঠিক হবে।

আরেকবার শুভকামনা।

১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:১৮

বিজন রয় বলেছেন: আরেকটা জিনিস আগে দেখছি- আপনি কবিতা লিখতেন! আজকাল সেটা ভুলে গেছেন!

................. হা হা হা ..... লজ্জ্বা পেলাম!!

হ্যাঁ, কবিতা পোস্ট করা হচ্ছে না!
বিষয়টি আমার মাথায় আছে।

কবিতা পোস্ট করলে তো আপনাদের মন্তব্যের প্রতিউত্তর করতে হবে। কিন্তু সময়ে কুলিয়ে উঠতে পারবো না, তাই বিরত আছি।
সংকলন পোস্টের জন্যই সময় বের করা সহজ হচ্ছে না, সেখানে যদি অন্য পোস্ট দিয়ে মন্তব্যের উত্তর করতে না পারি তো নিজের কাছে কাছে খারাপ লাগবে। আর লোকে মন্দ বলবে!

আর একটু সময় পেলেই কবিতা পোস্ট দিব।

অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০০

করুণাধারা বলেছেন:
 সংকলন পোস্টের জন্যই সময় বের করা সহজ হচ্ছে না, সেখানে যদি অন্য পোস্ট দিয়ে মন্তব্যের উত্তর করতে না পারি তো নিজের কাছে কাছে খারাপ লাগবে। আর লোকে মন্দ বলবে!

কেউ মন্দ বলবে না। এমন সংকলন করার কাজ কতটা সময়সাপেক্ষ, সেটা বোঝার মত বুদ্ধি কি ব্লগারদের নেই মনে হয় আপনার!!

তবু মাঝে মাঝে কবিতা লিখুন, শুধু লাইক দিয়ে যাব, আপনাকে মন্তব্যের উত্তর দিতে হবে না............

আপনাকেও ধন্যবাদ, আর শুভকামনা।


 

১৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: "জিগজ্যাগ" রোগ অতি অল্পতেই আপনাকে ছেড়ে দিয়েছিল জেনে স্বস্তি বোধ করলাম। খুব সুন্দর করে লিখেছেন যা বলতে চেয়েছেন, আর নবীন চিকিৎসক ডঃ আহমদ মুসা ওরফে স্নিগ্ধ মুগ্ধতা কে আপনি যে দোয়া এবং পরামর্শ দিয়েছেন, তার সাথে আমিও সামিল হ'লাম।
নিউরো সাইন্স হাসপাতালে কয়েকমাস আগে আমরাও আমাদের বড়ভাইকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম। যদিও তাকে শেষ পর্যন্ত বাঁচাতে পারিনি, তথাপি সেই হাসপাতালের নিয়ম শৃঙ্খলা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আর অন্যান্য হাসপাতালের চেয়ে তুলনামূলকভাবে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম।
পোস্টে প্লাস + +

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০১

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, আমার সাথে ডঃ আহমদ মুসার জন্য দোয়ায় শামিল হবার জন্য। পৃথিবী যতই বদলে যাক না কেন, এখনো নবীনদের জন্য প্রবীনদের এই  দোয়া কার্যকর হয় বলেই আমার বিশ্বাস।

আপনার বড় ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে দুঃখ পেলাম, যে কারো চিরদিনের জন্য চলে যাওয়া তার পরিজনদের জন্য দুঃখজনক। আল্লাহ যেন এই শোক সইবার ক্ষমতা দেন আপনাদের। হ্যাঁ, আমি সেদিন ফিরে এসেছিলাম, আমার সময় তখনো বাকী ছিল বলে, কিন্তু আমাদের জীবন তো এক সুতার উপর ঝুলছে............

সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মধ্যে এই হাসপাতালের আর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরী বিভাগ ভালো- এটা আমি দেখেছি। ব্লগের যারা জানেন না, আশা করি এই পোষ্টের মাধ্যমে তারা জানতে পারবেন।

সুস্থ থাকুন, শুভকামনা রইল।

১৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৫

হাবিব বলেছেন: আল্লাহ তায়ালা আপনাকে সদা আরোগ্য রাখুন.............

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫১

করুণাধারা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্যও দোয়া রইল, ভালো থাকুন।

১৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আপনি সুস্থ থাকুন ও স্নিগ্ধ ভাই ভাল ভাল ভাইবা দিক এই কামনা করি।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬

করুণাধারা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এমন মন ভালো করে দেয়া মন্তব্য করার জন্য, মোঃ মাইদুল সরকার। আপনিও ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

১৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ফি আমানিল্লাহ আশা করছি আপনার দোয়া সহ আমাদের আশা পূর্ণ হোক;
(ডাঃ মুসা) স্নিগ্ধ মুগ্ধতা একজন মানবিক গুন সম্পন্ন ডাঃ হয়ে নিজেকে গড়ে তুলেন।

লেখায় অনেক শুভ কামনা আর মায়া জড়ানো আপু !
অনেক শুভ কামনা।

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৭

করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মনিরা।

হ্যাঁ, আমাদের দেশে আজকাল ভালো, মানবিক গুণসম্পন্ন ডাক্তারের বড় আকাল। স্নিগ্ধ মুগ্ধতা ডাক্তারি ডিগ্রি অর্জন করেছে, তাই প্রার্থনা করি সে যেন ভালো, মানবিক ডাক্তার হিসেবে সুনাম অর্জন করে।

১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: অনেক অনেক ভাল লাগলো।
আপনাকে শুভ কামনা।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

করুণাধারা বলেছেন: শুভকামনা তোমার জন্যেও। ব্লগে কাটানো সময় যেন আনন্দময় হয়!

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, ফারিহা হোসেন প্রভা।

১৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: কিন্তু আমাদের জীবন তো এক সুতার উপর ঝুলছে............ - কথাটা কত সত্য, অথচ কত নিত্য বিস্মৃত!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: কিন্তু আমাদের জীবন তো এক সুতার উপর ঝুলছে............ - কথাটা কত সত্য, অথচ কত নিত্য বিস্মৃত!

নিত্য বিস্মৃত হয়ে থাকি বলেই আমাদের চারপাশে এত অবিচার, সংঘাত, লোভ, হিংসা.......... কোন কিছু চিরস্থায়ী নয়, যেতে হবে খালি হাতে- কত কথা মনে থাকে, এই কথাট একেবারেই মনে থাকে না!!

মন্তব্য নিয়ে পুনরায় ফিরে আসায় ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ।

১৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৭

বলেছেন: ভুয়া কোম্পানির ভুয়া ঔষধ --
কোপটা যায় রোগী ঘাড়ে ---


তথাকথিত শিক্ষিত ডাক্তাররা যদি আপনার লেখায় একটু শেখে তবে মঙ্গল।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

করুণাধারা বলেছেন: অশিক্ষিত রোগী, যারা অধিকাংশই খুবই দরিদ্র, তারা বুঝতে পারে না দেখে তাদের ভুয়া কোম্পানির ভুয়া ঔষধ গছিয়ে দেয়া হয়।আমি নিজে দেখেছি, কিন্তু এসব তদারকির কেউ নেই। আমাদের মধ্যে থেকে মানবিকতা একেবারেই কমে যাচ্ছে।

প্রথমবারের মতো আপনাকে ব্লগে পেয়ে ভালো লাগলো, ল। ভালো থাকুন আপনি, শুভকামনা রইল।

২০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:১৫

বলেছেন: ভুয়া কোম্পানির ভুয়া ঔষধ --
কোপটা যায় রোগী ঘাড়ে ---


তথাকথিত শিক্ষিত ডাক্তাররা যদি আপনার লেখায় একটু শেখে তবেই মঙ্গল।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৫

করুণাধারা বলেছেন: তথাকথিত শিক্ষিত ডাক্তাররা যদি আপনার লেখায় একটু শেখে তবেই মঙ্গল।

তেমন আশা অবশ্য খুবই কম, সমাজের সব স্তরের মানুষ যখন অর্থের পিছনে ছুটছে, ডাক্তাররা তো আর সমাজের বাইরের কেউ না.......

২১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আপনার মোবাইলে সামুর সমস্যা সমাধান হয়েছে?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: ৫০/৫০ সমাধান। আগে প্রথম পাতার শেষে নাম্বারে ক্লিক করলে "এরর 404" লেখা আসতো, কোন পৃষ্ঠা আসতো না; সাম্প্রতিক মন্তব্য কয়েকটা দেখা যেত। তারপর গত দু-তিন দিন সব ঠিক হয়ে গেছিল- সব পাতা, সব সাম্প্রতিক মন্তব্য দেখা যাচ্ছিল। আজ থেকে সাম্প্রতিক মন্তব্য দেখতে গেলে দেখায় শুধুই ঘূর্ণন! আর ভালো লাগেনা; একটা জিনিস ঠিক করতে এত সময় লাগে! অক্টোবরের ৮ তারিখ থেকে এই ঝামেলা শুরু হয়েছে।

আপনাকে ধন্যবাদ জানতে চাওয়ার জন্য।

২২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

রাকু হাসান বলেছেন:

সব ডাক্তারের মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত হোক । ডাক্তার যেন ভক্ষক না হয়ে রক্ষকেরর ভূমিকা পালন করে । এমন ডাক্তারই আমাদের চাই্

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

করুণাধারা বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগলো, রাকু হাসান।

হ্যাঁ, আমিও চাই যেন সব ডাক্তারদের মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত হয়। তাতে আমাদের মত সাধারন মানুষদের অনেক ভোগান্তি কমে যাবে।

২৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আপনি কোন ব্রাউজার দিয়ে সামু চালান?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: গুগল ক্রোম।

২৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সেক্ষেত্রে ডেস্কটপ মোড এ সামু চালাবেন। আমিও এখন মোবাইলে ক্রোম দিয়ে সামুতে আছি।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

করুণাধারা বলেছেন: প্রতিমন্তব্য নিচে করলাম। সমস্যাটা বুঝতে পেরেছেন আশা করি।

২৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

করুণাধারা বলেছেন:
আমি সব সময় ডেস্কটপ মোডে সামু চালাই, কারণ মোবাইল মোডের একমাত্র সুবিধা বড় অক্ষরের লেখায় পোস্ট আর মন্তব্য দেখা; আর অসুবিধা অনেক। এই মোডে কোন মন্তব্য করা যায় না। সাম্প্রতিক মন্তব্য, আলোচিত পোস্ট, অনলাইনে কারা আছেন- কোন কিছুই দেখা যায় না। ডেস্কটপ মোডে সব ঠিক, শুধু ইদানিং সাম্প্রতিক মন্তব্য দেখতে পাচ্ছি না, যেটা আমি আগে দেখতে পেতাম, এটাই হচ্ছে সমস্যা।

আমি দুই মোডের স্ক্রীনশট দিলাম। দেখুন, মোবাইল মোডের স্ক্রিনশটে পুরোটা জুড়ে শুধু পোস্ট দেখাচ্ছে; আর ডেস্কটপ মোডের স্ক্রিনশটে সবকিছুই দেখাচ্ছে, কিন্তু সাম্প্রতিক মন্তব্য আকাশে পাতালে খুঁজে বেড়াচ্ছে!

......


২৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আপনার ব্রাউজারের ডাটা ক্লিয়ার করে দেখতে পারেন। তবে এতে ব্রাউজারের সব ডাটা মুছে যাবে।

আমি এখনো সাম্প্রতিক মন্তব্য দেখতে পারছি।

এই দেখুনঃ



মোবাইল মোডে পোস্ট লিখে ডেস্কটপ মোডে পেস্ট করতে পারেন। এক্ষেত্রে একটা ট্যাবে মোবাইল আর আরেক ট্যাবে ডেস্কটপ মোড এ রাখলেই হবে।

অথবা কোনো এডিটরে পোস্ট লিখে পেস্ট করতে পারেন। তখন শুধু ছবিগুলো যোগ করলেই হবে :)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

করুণাধারা বলেছেন: এই পরামর্শটুকু আমার খুব দরকার ছিল, কারন আমি এসব জিনিস একেবারেই বুঝিনা। দেখি আপনার পরামর্শ অনুসারে কাজ করে, কি হয়!

পরামর্শ দেবার জন্য বারবার আমার পোস্টে ফিরে আসায় অসংখ্য ধন্যবাদ, আর্কিওপটেরিক্স।

২৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৭

হাবিব বলেছেন: আপু, আপনি কি পড়েছিলেন? ভ্রু-কুঞ্চনকারী

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

করুণাধারা বলেছেন: আগে পড়িনি, এইমাত্র পড়ে এবং মতামত জানিয়ে আসলাম।

পোস্টে এসে লিংক দিয়ে যাওয়ায় অনেক ধন্যবাদ।

২৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আরও সমস্যা হলে আমাকে বলতে পারেন।
চেষ্টা করবো সাহায্য করতে :)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

করুণাধারা বলেছেন: দারুন কথা! জানা থাকল, অসংখ্য ধন্যবাদ। অসুবিধা হলে এরপর নিশ্চয়ই জানাবো। :)

২৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: ব্লগে তিন বছর পূর্তি ও অলৌকিকভাবে সামু ব্লগারদের নিয়ে ‘গেট টুগেদার’????

এই লিংকের আপনার কমেন্টের কারনটা জানতে পারি ? (কমেন্ট নং ৭৮)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১

করুণাধারা বলেছেন: আমার ধারণা, ধারণা নয় শুধু, বিশ্বাস যে ব্লগে আপনার সাথে আমার আগেও পরিচয় হয়েছে; কিন্তু নিশ্চিত হতে পারছি না কোথায় আপনাকে দেখেছি। তাই কৌতুহল থেকে সেই কমেন্ট করা।

আশাকরি কিছু মনে করেন নি এজন্য। :D

ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।

৩০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: মনে করবো কেন :||
আমার এই নিকের পূর্ব নাম ছিলো চাঁদগাছী....আমার ব্লগের URL টা খেয়াল করুন :)

আমার অন্য কোন নিক নেই। আপনার সাথে আমার দেখা মানেটা বুঝলাম না B:-)

ভালো থাকবেন :)

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

করুণাধারা বলেছেন: দেখা হওয়া মানে বোঝাচ্ছিলাম অন্য কোনো নিক, যাকে অনেক দিন থেকে ব্লগে দেখছি। এমন অন‍্য কোন নিক নেই আপনার!! তাহলে ভুল হয়েছে আমার।

শুভকামনা আপনার জন্যও।

৩১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: তা কোন নিক কন দেহি :-B
ঐ নিকের সব পোস্ট পড়বো তো তাই চাইলাম :)

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭

করুণাধারা বলেছেন: ঐ যে নিক এখন আবার ফিরে এসেছে, আর আপনি গা ঢাকা দিয়েছেন! সেই নিকের আবার আরেকখানা নিক আছে ;)

কাম ব‍্যাক পিটার!!!!

৩২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:১৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: স্নিগ্ধ মুগ্ধতার ছড়াগুলো মিস করি। উনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

করুণাধারা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম সত্যপথিক শাইয়্যান। স্নিগ্ধ মুগ্ধতা কে আমিও খুব মিস করি, তার ছড়ার আমি একজন ভক্ত।

ভালো থাকুন সত্যপথিক শাইয়্যান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.