নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এ আমাদের ব্লগের ভূয়া মফিজ না, সত্যিকার মফিজ। আমার সহপাঠী ছিল; তার গল্প।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ পর্যায়ে যখন থিসিস করতে হবে, তখন দুজন আমার থিসিসের পার্টনার হলো। একজনের নাম মফিজ, দারুন চৌকস, তাকে আমি আগে চিনতাম না। আরেকজন রাণা; একটু আলাভোলা টাইপ, আগে থেকেই আমি ভালভাবে চিনতাম। প্রথম দিন অধ্যাপক বুঝিয়ে দিলেন, আমাদের কি নিয়ে কাজ করতে হবে। অধ্যাপকের ঘর থেকে বের হয়েই মফিজ বলল,
-আমি ভাই বুঝি কম, কি করতে গিয়ে আবার কি গোলমাল লাগাই ফেলবো, তোমরা দুইজন মিলে কাজ করো, আমি পিছনে আছি। যেসব কাজ করতে বুদ্ধি লাগে না, যেমন ধরো নীলক্ষেতে গিয়ে কিছু প্রিন্ট করা, এইসব কাজ আমি করতে পারি।
এমন কুন্ঠিত মুখে বলল, শুনে আমি বললাম,
-ঠিক আছে, ঠিক আছে! আমি আর রাণাই করতে পারব।
হলও তাই, আমি আর রাণা দু'জনে মিলে তিনজনের কাজ করতাম, খুব খাটতাম।মফিজের দেখা কখনো পেতাম না। প্রতি বুধবার অধ্যাপকের সাথে দেখা করার কথা; তখন মফিজের দেখা দেখা মিলত। জিজ্ঞেস করত, এই এক সপ্তাহে আমরা কতদূর কি করলাম, বুঝে নিত। তারপর আমরা একসাথে অধ্যাপকের সাথে দেখা করতে যেতাম। সেখানে মফিজ সবজান্তার মত দু একটা প্রশ্ন করত, খুব মন দিয়ে অধ্যাপকের কথা শুনত, মনে হতো সব কাজ ও একাই করেছে!
একদিন কিসের জন্য জানি কোথাও আমাদের কিছু তথ্য দিতে হবে, সেটা দিতে গিয়ে দেখি মফিজের বয়স আমাদের দুজনের তুলনায় অনেক কম, অথচ ওকে বেশ বয়সী দেখায়! জিজ্ঞেস করলাম,
-তোমার বয়স এত কম মফিজ!!
-আরে না না। ভূয়া; এটাতো আমার আসল বয়স না! আমার নামও তো মফিজ না, ওটাও ভূয়া! আমাদের গ্রামের স্কুলে ক্লাস ফোরে যখন ভর্তি হতে গেলাম, আমার নাম ছিল তীতু মিয়া। স্যার বলল, "এটা ভালো লাগেনা, তোর নাম রাখলাম মফিজ মিয়া।" তারপর স্যারই একটা বয়স লিখে দিলো। নাইনে উঠে রেজিস্ট্রেশনের সময় আমি নাম লিখলাম, "মফিজুর রহমান", বয়সটা আরও একটু কমায় নিলাম। এসব বলে মফিজ খুব হাসলো, আমরাও খুব হাসলাম।
একসময় থিসিসের কাজ শেষ হলো। ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হবার দশ দিনের মধ্যে থিসিস জমা দিয়ে ডিফেন্স হবার কথা। এবার মফিজ সত্যিই কাজ করল অনেক। নীলক্ষেত থেকে সুন্দর করে থিসিস বাঁধিয়ে আনল জমা দেবার জন্য। অবশ্য এই বাবদে আমাদের দুজনের কাছ থেকে বেশ অনেকটা টাকা নিল; একটু খুঁত খুঁত করছিলাম,
এত টাকা লাগে! বলল,
- আমি বাবা যা তা করে কাজ করতে পারিনা। ভালো জিনিস বানাব, খরচ যা লাগে লাগুক!
কি আর করা! দিলাম টাকা। আমাদের ডিফেন্স হয়ে গেল। তখন দেখি আমার জন্য থিসিসের কোন কপি নেই।
-কি ব্যাপার মফিজ, আমি তো আমার কপির জন্য টাকা দিয়েছি! আমার কপি নেই কেন? তোমাদের তো আছে!
-স্যরি স্যরি! আসলে টাকা কম পড়ে গিয়েছিল তাই শুধু দুটো কপি করতে পেরেছি।
-তাহলে আমার কাছে আমার থিসিসের কোন কপি থাকবে না?
- কেন থাকবে না! কি যে বল না! আমি আজকেই তোমার কপি করে দিচ্ছি। কিন্তু আমার পকেটে একটাও টাকা নাই......তুমি প্লিজ এখন টাকা দাও। আমি হিসাব করে তোমার থেকে যা বাড়তি নিয়েছি সেই টাকা, আর তোমার কপি পরশুদিন নিয়ে আসব।
দিলাম টাকা। পরদিন মনে হল, রেজাল্ট আউট এর আগে আর বিশ্ববিদ্যালয় গিয়ে কি হবে, রেজাল্টের পরে ওর থেকে নিয়ে নিলেই হবে। রেজাল্ট আউট হবার পর যখন একের পর এক ক্লিয়ারেন্স নিচ্ছি, এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দৌড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে তখন শুধু মফিজকে খুঁজছি, কোথাও দেখি না! হঠাৎ দেখি মফিজ, আমার থেকে বেশ খানিকটা দূরে। আমি চিৎকার করে বললাম,
- এই মফিজ, এই মফিজ! আমার থিসিস কই? ও তাড়াতাড়ি হাত নেড়ে ব্যস্ত ভাবে অন্যদিকে চলে গেল। আমি কিছুই বুঝলাম না।
তারপর প্রায় এক বছর কেটে গেছে। এর মাঝে আমি চেনা জানা অনেকের কাছে ওর খোঁজ করেছি। যাকেই আমি এই গল্প বলি, সেই শুনে হাসতে হাসতে মরে। মুখে বলে, "ইস! তুমি কি সরলমনা", সরলমনা যে বোকার প্রতিশব্দ তখনই আমি প্রথম শিখলাম!
ইতিমধ্যে আমি চাকরি করতে শুরু করেছি; একদিন অফিসের লিফটের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, ১১ তলায় যাব। হঠাৎ দেখি পাশের লিফটের লাইনে মফিজ! আমি যেই ওর দিকে তাকিয়েছি, সাথে সাথে দেখি লাইন ছেড়ে ও তাড়াতাড়ি সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠতে শুরু করেছে! ওর নাম ভুলে গিয়ে আমি "এই, এই" বলে ডাকতে লাগলাম, দেখি ও একবার তাকিয়ে আরও তাড়াতাড়ি উঠতে লাগলো। অন্য লোকেরা অবাক হয়ে আমাকে দেখছে; চুপ করে গেলাম।
কিন্তু এর পরের বার ও আর পালাতে পারলো না একদিন অফিসে কাজ করছি বসে, হঠাৎ করে দরজা খোলার আওয়াজে মুখ তুলে তাকিয়ে দেখি মফিজ ঢুকছে। ও বোধহয় জানতো না যে আমি এই অফিসে কাজ করি। ও-ও সেই মুহূর্তেই আমাকে দেখেছে! তৎক্ষণাৎ অ্যাবাউট টার্ন- মফিজ দরজা দিয়ে বের হয়ে গেল। কিন্তু এবার তো আমার নিজের অফিস, আমি দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে সামনে পিয়নকে দেখে বললাম,
- ঐ যে পালাচ্ছে! শিগগিরই একে ধরে আনো।
দুই মিনিট পরেই দেখি পিয়নের সাথে মফিজ আসছে। আমাকে দেখে খুব অবাক হয়ে বলল,
- আরে, তুমি এখানে! কত দিন পর দেখা হল বল তো?
- কত দিন পর দেখা মানে! কিছুদিন আগেই তো তুমি আমাকে দেখলে, আমাকে দেখেই লিফটের
লাইন ছেড়ে পালালে, আবার পালাতে পালাতে আমার ডাক শুনে সিঁড়ির থেকে আমার দিকে তাকালেও তো, ভুলে গেলে নাকি এত তাড়াতাড়ি?
- ও আল্লাহ! ওটা তুমি ছিলে নাকি? দেখে এতো কম বয়সী মনে হচ্ছিল! আমি তো ভাবলাম তোমার ছোট বোন হবে; ওটা তুমি ছিলে!! আশ্চর্য! এখনো অবশ্য তোমাকে ঠিক চিনতে পারছি না, আমাদের বয়স বাড়ছে, আর তোমায় দেখি বয়স কমছে! রহস্যটা কি?
- কোন রহস্য নাই। আমার থিসিসের কপি দাও। টাকাও তো কিছু পাই তোমার কাছে।
- ও, ভালো কথা মনে করেছ। কবে থেকে যে ওটা বয়ে বেড়াচ্ছি, তোমাকে তো আর পাই না। যাক, অবশেষে তোমাকে পাওয়া গেল! একসময় এসে দিয়ে যাব। তারপর, কেমন লাগছে চাকরি?
ভাবলাম, বেচারা আমাকে খুঁজে পায়নি; আমি মিছেমিছি ভুল বুঝেছি। এবার তাকে খাতির করে বসালাম। বলল,
- যা গরম! গলা শুকিয়ে গেছে। খুব ঠান্ডা কিছু খাওয়াতে পার? তোমার অফিসের নিচে দেখলাম কোয়ালিটি বেকারির শাখা। এদের চিকেন প্যাটিস নাকি খুব ভালো হয়?
ঠান্ডা কোক আর পেটিস খাওয়ালাম। বলল, দু'চারদিনের মধ্যেই একদিন সময় করে এসে আমার বহু কাঙ্খিত কপি খানা দিয়ে যাবে। আমি আমার বাসার ফোন নাম্বার আর অফিসের ফোন নাম্বার দিয়ে বললাম, আসার আগে যেন একটা ফোন করে নিশ্চিত হয়, আমি অফিসে এসেছি। ও বলল, ও একটা বাসায় সাবলেট থাকে। তাদের ফোন নাম্বার দিল; যদি আমি দু'চার দিনের মধ্যে কোন দিন অফিস কামাই করি, তাহলে যেন অবশ্যই ওকে ফোন করে জানিয়ে দেই। (এটা মোবাইল ফোন আসার বহু বছর আগের কথা)। তারপর আমি অপেক্ষা করি প্রতিদিন, একদিন- দুদিন করে ১৫ দিন কেটে গেল, মফিজ আসে না। ভাবলাম হয়তো অসুখ-বিসুখ করেছে। একদিন সেই নাম্বারে ফোন করলাম, ওপাশ থেকে জানালো, এটা লালমাটিয়া ফায়ার ব্রিগেডের নাম্বার।
আমার এক সহপাঠী ছিল আমার অফিসেই সহকর্মী। একদিন তাকে বললাম এইসব ঘটনা। আমি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না, এই সামান্য জিনিস নিয়ে মফিজ কেন এত মিথ্যা কথা বলেছিল। আমার সেই সহপাঠী বলল,
- তুমি এত বোকা! বোঝনা, তোমার টাকা ও খেয়ে ফেলেছিল! কোনদিনই ও তোমার জন্য কোন কপি করে নি, একটা মিথ্যা ঢাকার জন্য একের পর এক মিথ্যা বলে গেছে।
বোকাদের নাকি মফিজ নামে ডাকা হয়। মাঝে মাঝে এই ঘটনার কথা মনে পড়ে, আর মনে মনে ভাবি, সত্যিকারের মফিজ যে কে.......
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩০
করুণাধারা বলেছেন: মফিজ কাহিনীর পোস্টে প্রথম মন্তব্য মফিজের হওয়ায় পোস্টের ইজ্জত বহুলাংশে বৃদ্ধি পেল! প্রথম মন্তব্য আর প্লাস এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, ভুয়া মফিজ।
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই মফিজতো দেখি মফিজ গোষ্ঠির ইজ্জত পুরোপুরি ডুবিয়েছে। মফিজরা একটু বোকা কিসিমের হয়, যেমন আমি। এই ভদ্রলোক তো বোকা না, ডাবল চালাক! কাজেই উনি আসলেই ভুয়া মফিজ!!
যাইহোক, কপি কি শেষ পর্যন্ত পেয়েছিলেন? কোনভাবে?
মজার লেখা......খুব ভালো লাগলো।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০২
করুণাধারা বলেছেন: এই ভদ্রলোক!!!
এর আচরণ দেখে সত্যিই সব ভুলভাল হয়ে যায়। চিরকাল জানতাম মফিজ বলা হয় সাদাসিধে মানুষদের, সবসময় যে এটা সত্যি হয় না, সেটা বোঝানোর জন্য এই গল্প বলা........
কপি আর কি করে পাবো! ও তো কখনও করেইনি, টাকা অল্প কিছু টাকা আত্মসাৎ করার জন্য। অথচ ভালো করেই জানত, এটার মূল্য আমার কাছে কতখানি। পৃথিবীতে মানুষ কত বিচিত্র চরিত্রের হয়- একে দিয়েই আমার প্রথম সেটা জানা শুরু হয়.......
লেখাটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো, আবারো ধন্যবাদ ভূয়া মফিজ।
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩
ল বলেছেন: খুব সুন্দর রম্য লেখায় মফিজ চরিত্রের মাধ্যমে ভদ্রবেশী চালাক সহপাঠীর চিত্র তুলপ ধরেছেন।
মফিজ নিয়ে একটা লেখা আমি ও দাড় করার চেষ্টা করছি, আপনার লেখাটা সাহায্য করবে নিঃসন্দেহে।
ভালো থাকুন মফিজদের নিয়েই থাকুন।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৪
করুণাধারা বলেছেন: আমার ব্লগে পেয়ে খুব ভালো লাগলো ল।
আসলে মানুষের নাম, কিংবা বাহ্যিক চেহারা দেখে কিছুতেই তার ভেতর বোঝা যায় না। অনেক মানুষ নিজের অল্প লাভের জন্য অন্যের বড় ক্ষতি করতেও পিছপা হয়না। এই কথাটাই বলতে চেয়েছি। আপনার ভালো লেগেছে খুব ভালো লাগলো।
শুভকামনা রইল।
৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮
নতুন নকিব বলেছেন:
সত্যিকারের মফিজ যে কে, সেটাই প্রশ্ন!!!
সুন্দর রম্য।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৭
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো, নতুন নকীব। আসলেই কোন নাম মানুষের ভেতরের পরিচয় প্রকাশ করে না....
৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:০০
ঢাবিয়ান বলেছেন: হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হয়ে গেল। ফায়ার ব্রিগেডের নাম্বার দিয়ে কেটে পড়েছে ।এই জাতীয় কিছু ছাত্র সকল যুগেই থাকে যাদের কাজ মুলত সহপাঠী ছাত্রীদের পকেট কাটা।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২১
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্য আর প্লাস এর মাধ্যমে অনুপ্রেরণা দেয়ায় অনেক ধন্যবাদ, ঢাবিয়ান। আসলেই সব যুগে এমন কিছু ছাত্র থাকে, যারা ছাত্রীদের পকেট কাটার জন্য ওঁত পেতে থাকে! এই ধরনের মানুষ থেকে দূরে থাকা দরকার।
৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৭
আরোগ্য বলেছেন: মফিজের মফিজামি দেখে আমিতো পুরাই মফিজ বনে গেলাম।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৩
করুণাধারা বলেছেন: ভূয়া, না সত্যিকার?
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ আরোগ্য।
৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫৬
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা,হাসলাম অনেকক্ষণ। আমি ভাবছি, ভুয়া মফিজ কি ভাবছেন? দারুণ মজা করে লিখেছেন সত্যি ঘটনা। সবারই ভালো লাগবে।
সামনে পিছনে ডানে বামে এই তিতু মিয়াদের অভাব নেই।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৬
করুণাধারা বলেছেন: সামনে পিছনে ডানে বামে এই তিতু মিয়াদের অভাব নেই। একেবারে ঠিক কথা মুক্তা নীল, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এদের সহজে চেনা যায় না!
আপনার মন্তব্য আর প্লাস আমার জন্য অনুপ্রেরণা, মুক্তা নীল। ভালো থাকুন সতত।
৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২১
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর চেহারা দুষ্প্রাপ্য নয়,
কিন্তু সুন্দর মন খুবই দুষ্প্রাপ্য।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৯
করুণাধারা বলেছেন: সুন্দর চেহারা দুষ্প্রাপ্য নয়,
কিন্তু সুন্দর মন খুবই দুষ্প্রাপ্য।
আল্লার কাছে শুকরিয়া, আপনি ঘরে একের ভিতর দুই-ই পেয়ে গেছেন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, রাজীব নূর।
৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
এতোদিন পরে আপনার কেন যে ছোটকালের থিসিসের কথা মনে পড়লো! আর পড়লো তো পড়লো একেবারে মফিজ নামের কারো কথাও।
ব্লগের "ভুয়া মফিজ" এর নাম তো চোখের সামনেই দেখছেন অহরহ, তারপরও সহপাঠী মফিজের কথা মনে পড়েনি? আশ্চর্য্য !!!!!!!!
এ্যাদ্দিন পরে সেই মফিজকে নিয়ে লেখা এই গল্পটার একটা শানেনযূল না থেকেই পারেনা!
না কি আমাদের মফিজ বানালেন ? তবে চুপি চুপি বলি কেউ যেন শুনতে না পায় --- আসল মফিজ আপনি। নইলে এত্তো এত্তো ঘোরানোর পরেও গাঁটের পয়সা খরচ করে কেউ পলাতক আসামীকে ধরে এনে সামনে বসিয়ে ঠান্ডা কোক আর পেটিস খাওয়ায়? আপনার তো ঐ ফায়ার ব্রিগেডের নম্বরে ফোন দিয়ে বলা উচিৎ ছিলো - মেজাজ জ্বলছে দাউ দাউ........
থিসিসের মতো তরতর করে লিখে যাওয়া গল্প। হাসি আছে, মজা আছে আর আছে একটু কষ্টও..............
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: আপনি কখনো ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন কিনা জানিনা! আমি পড়েছি। ছিনতাই হবার পরে নিজেকে কেমন যেন বোকা বোকা লাগে, আমাকে বোকা বানিয়ে আমার কষ্টের অর্জন একজন ২ মিনিটের মধ্যে নিয়ে চলে গেল!! একই অনুভূতি আমি বয়ে বেড়াচ্ছি কয়েক দশক ধরে, থিসিসের দুঃখ না, মফিজ হবার দুঃখ। এই গল্পের সাথে ভূয়া মফিজের কোন সম্পর্ক নেই; সত্যিকারের একজন মফিজের স্বভাব কেমন ছিল তা এই গল্পে জানালাম, ভূয়া মফিজ নিশ্চয়ই এর বিপরীত চরিত্রের, অর্থাৎ সাদাসিধা, ভালো মানুষ....... এতকাল পরে এই গল্প লিখলাম শুধু এটা বোঝানোর জন্য, এটাই শানে নুযুল।
আমার ধারণা, সহপাঠী মফিজ ক্লাস নাইনে রেজিস্ট্রেশন এর সময় নিজের মফিজুর রহমান রেখেছিল সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা করে। সবাই জানবে সে বোকাসোকা মফিজ, আর সে শুধু অন্যদের মফিজ বানিয়েই চলবে....
সত্যিকারের মফিজ যে আমি, সেটা প্রথম আবিষ্কারকর্তা বুঝি আপনি? তা নয়! বহুদিন আগেই অন্য অনেকেই এটা আবিষ্কার করে ফেলেছেন।
মন্তব্য আর প্লাস এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, আহমেদ জী এস।
১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু দারুণ মজা পেয়েছি। তবে ভুয়া ভাই ইতিমধ্যে চলে এসেছে বলে কিছু বলব না । আপনি এভাবে হাটে হাঁড়ি ভেঙেছেন বলে রাগে না আমাদের হাড়মাস চিবিয়ে খান। গল্পে ভালো লাগা রেখে গেলাম।++++
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫২
করুণাধারা বলেছেন: না না, আমি তো বরং ভূয়া মফিজের প্রশংসা করলাম এই গল্পের মাধ্যমে। সত্যিকারের মফিজ নামধারীর কার্যকলাপ ঠকবাজ, টাউটের মতন, সুতরাং ভূয়া মফিজ নিশ্চয়ই তার উল্টো হবেন; অর্থাৎ সাদাসিধা, ভালো মানুষ...........
মন্তব্য ও প্লাস দিয়ে অনুপ্রেরণা দেওয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ, পদাতিক চৌধুরী।
১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০৭
জুন বলেছেন: কি ধুরন্ধর লোক এই মফিজ! আমিতো তাজ্জব হয়ে গেলাম তার কায়কারবারের কথা শুনে।
এখন থেকে সবরকম মফিজ থেকেই সাবধান সে ভুয়াই হোক আর আসলই হোক
আমি কিন্ত আমাদের প্রিয় ব্লগার ভুয়া মফিজের কথা বলি নাই করুনাধারা
মজার লেখাটিতে অনেক ভালোলাগা রইলো।
+
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫৯
করুণাধারা বলেছেন: হ্যাঁ, আমাদের আশেপাশে এই মফিজের মত লোকজন সবসময়ই থাকে, এরজন্য সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
আমার ব্লগার ভূয়া মফিজ নিশ্চয়ই এই সত্যিকারের মফিজের বিপরীত চরিত্রের হবেন, অর্থাৎ সাদাসিধে, ভালো মানুষ!! ব্লগে ভূয়া মফিজ নাম দেখতে দেখতে আমার এই মফিজের কথা মনে পড়ে গেল.....তাই কাহিনী বর্ণনা।
আপনার ভাল লাগায় আপ্লুত হলাম জুন, অসংখ্য ধন্যবাদ।
১২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এইসব মফিজদের দূরে রাখতে কিছু টাকা ধার দেয়া ভাল।
তাহলে বার বার চেয়ে বিরক্ত করবে না।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৩
করুণাধারা বলেছেন: ঠিক বলেছেন, এদের একবার ধার দিয়েই দূরে সরিয়ে রাখতে হয়। অবশ্য এই পরামর্শ সব সময় ফলপ্রসূ হয় না। অনেকে একবার ধার পেলে সেটা শোধ না দিয়ে বারবার চাইতে থাকে, নানা অজুহাতে....
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, হাসান কালবৈশাখী।
১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৩
কিশোর মাইনু বলেছেন: কনফিউশনে আছি।
মফিজ নাম বলতেই আমরা মফিজ বুঝি কেন?!?!?
আর মফিজ বলতে আসলে কি বুঝি???
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৭
করুণাধারা বলেছেন: বহুদিন পর তোমাকে ব্লগে পেয়ে ভালো লাগলো, কিশোর মাইনু।
মফিজ নাম বলতেই আমরা মফিজ বুঝি কেন?!?!?
আর মফিজ বলতে আসলে কি বুঝি???
গবেষণা শুরু করে দাও, কনফিউশন একেবারে চলে যাবে।
১৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৯
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: এই আসল মফিজের চেয়ে আমাদের ব্লগার ভুয়া মফিজই ভালো।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৯
করুণাধারা বলেছেন: এই আসল মফিজের চেয়ে আমাদের ব্লগার ভুয়া মফিজই ভালো। ১০০% কারেক্ট!!! এই কথাটা বলার জন্যই তো এত বড় গল্প ফাঁদলাম।
১৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩৮
সুমন কর বলেছেন: মজার অভিজ্ঞতা। যদিও শেষটা ভালো নয় !! তা শেষ পর্যন্ত, কোন খবর পেয়েছেন.........
+
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১৩
করুণাধারা বলেছেন: হ্যাঁ, শেষটা ভালো নয়; কিন্তু জীবনে কত কিছুই তো হারিয়ে যায় রেখে যায়, রেখে যায় অভিজ্ঞতা আর শিক্ষা!!! এটাও তেমনি এক হারিয়ে যাওয়া।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, সে এখন কানাডার অভিবাসী।
মন্তব্য ও প্লাস দিয়ে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ, সুমন কর।
১৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:২৪
রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: মফিজীয় কেচ্ছা সিরাম লাগলো।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫
করুণাধারা বলেছেন: কিচ্ছা হিসেবে সীরাম, সন্দেহ নেই। তবে আপনি যেন জীবনে কখনো এমনকি কিচছার অংশ না হন, দোয়া রইল।
১৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৫১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই জাতীয় মফিজ আমিও পেয়েছিলাম অনেক । এমন মানুষ আছে প্রচুর। এরা ঠগ। এদের থেকে সাবধান।
শুভ সকাল ।
ভালো থাকুন প্রতি দিন।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩
করুণাধারা বলেছেন: এমন মানুষ আমাদের আশেপাশে সবসময়ই থাকে, তবে একবার না ঠকা পর্যন্ত এদের চেনা যায় না।
আপনার শুভকামনা মন ভালো করে দিল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল প্রতিটি দিন সুন্দর হোক।
মন্তব্য ও প্লাস এর জন্য অনেক ধন্যবাদ, মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।
১৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:১৮
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা আপু, জী ভাই এর কথাতে আমার শতভাগ সহমত। আসল মফিজ কে তার ব্যাখ্যা পেয়ে গেছি। তা না হলে এতো কিছুর পর তাকে পেটিস খাওয়ান?? তারেতো দুইটা চটকনা দেবার দরকার ছিল। তার উপর ফায়ার বিগ্রেড এর নাম্বার............হাহাহাহা। আমি হাসতে হাসতে নাই, কি মফিজই আপনাকে পেয়েছে!!!
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: হাহাহা আমি একটু হেসে নিলাম- হাসাটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।
যাকেই আমি এই কাহিনী বলেছি সেই হেসেছে, বলেছে, "তোমার সাথে একটু প্র্যাকটিক্যাল জোক করল", যে কথাটি বলেনি সেটা আমি বুঝতে পারি, কিন্তু কিছু বলার নেই.....
কেন কোক-প্যাটিস খাওয়ালাম? আমিও খুব ভেবেছি এটা, তারপর উত্তর পেলাম সমারসেট মমের লাঞ্চন গল্পে। সেখানে লেখক লিখেছেন, তার যে বয়স ছিল সে সময়, একটু ফ্ল্যাটারিতেই সবকিছু ভুলে যাওয়া যায়। তা নইলে তিনি সারা মাসের সঞ্চিত টাকা একজনকে খাওয়াতে শেষ করেন!!! আমার বয়স ছিল ২৫+, ধুরন্ধর মফিজ ঠিকই বুঝেছিল, একটু ফ্ল্যাটারি করেই সঙ্কট কাটিয়ে ফেলবে........ নিজেকেও চিনতে পারলাম এর ফলে
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য ধন্যবাদ, সোহানী।
১৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪
মা.হাসান বলেছেন: মফিজ ভাইয়ের মা ওনাকে নিয়মিত হরলিকস খাওয়াতেন, আপনার মা সম্ভবত আপনাকে হরলিকস খাওয়ান নি
যা হোক, আমার পরিচিত কিছু লোক জন আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং নীলক্ষেত এলাকাতে। আপনার থিসিসের একটা কপি লাগলে জানায়েন, কিছু খরচপাতি আছে, একটা নাম্বারে কিছু টাকা বিকাশ করে পাঠালে আমি চেষ্টা করতে পারি। বিফলে থিসিসের প্রিন্ট খরচ ফেরৎ দেয়া হবে (তবে আমার খরচ ফেরত যোগ্য না)।
আমার জানামতে উত্তরবঙ্গের সরল (!) লোকদের পচানোর জন্য একসময় মফিজ নামে ডাকা হতো। অপরিচিত লোকদের ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকি তবে নিজের ক্লাসমেটদের ব্যাপারে এরকম সতর্ক শুধু সত্যিকারের মফিজরাই থাকে।
গল্পের মফিজভাইকে মন্ত্রিসভায় দেখতে চাই।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৯
করুণাধারা বলেছেন: আপনি যে আমার কথা ভেবেছেন, তারপর এভাবে সাহায্যের প্রস্তাব করেছেন- আপনার এই সহমর্মিতায় আমি মুগ্ধ মা. হাসান। আপনি যদি এখন একটু খরচা করে থিসিসের কপিটা করে দিতেন, তবে বড় ভালো হয়। ইদানিং আমার একটু অর্থ সমস্যা যাচ্ছে, শিগগিরই ঠিক হয়ে যাবে, তখন নিশ্চয়ই বিকাশ করে আপনার টাকাটা পাঠিয়ে দেব।
গল্পের মফিজভাইকে মন্ত্রিসভায় দেখতে চাই। আপনার কথা শুনে একটু অবাক হলাম। এমনিতে এখন যারা মন্ত্রিসভায় আছেন, তারা প্রত্যেকেই তো এই ধরনের মফিজ!! শুধু তাদের নাম মফিজ নয়। খুঁজে দেখলে প্রত্যেকের এমন কোন না কোন গল্প পাওয়া যাবে অবশ্যই।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য ধন্যবাদ মা. হাসান।
২০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: প্রথম মন্তব্যটাই ভুয়া মফিজের
আসল মফিজ কোথায়
মজা ও দুঃখ দুটোই পেলাম লেখাটা পড়ে.......
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৭
করুণাধারা বলেছেন: আসল মফিজ এখন কানাডায়, যদি কোনভাবে সে এই গল্পটি আর মন্তব্যগুলো পড়তে পারত.....
মন্তব্য ও প্লাস এর মাধ্যমে অনুপ্রেরণা দেয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ, আর্কিওপটেরিক্স। শুভকামনা।
২১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪০
নাসির ইয়ামান বলেছেন: কিছুলোক মেয়েদের ঠকিয়ে মজা পায়!
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১০
করুণাধারা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম, নাসির ইয়ামান। মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুধু মেয়েদের না, কিছু লোক এমন আছে, যে সারাক্ষণ লোক ঠকানোর ধান্দা করে......
শুভকামনা রইল।
২২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন:
ফায়ার বিগ্রেডের আইডিয়াটা নিলাম
অসাধারণ লাগলো
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২
করুণাধারা বলেছেন: ফায়ার বিগ্রেডের আইডিয়াটা নিলাম
অসাধারণ লাগলো জানি কথাটা ঠাট্টা করে বলা, কিন্তু তবু বলছি, মানুষকে ঠকানোয় কোন কৃতিত্ব নেই। তাই এসব আইডিয়া কখনোই মাথায় রাখবে না।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য ধন্যবাদ ব্লগার_ প্রান্ত।
২৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২
আনু মোল্লাহ বলেছেন: আমি নিজেই একজন বোকা কিসিমের তাই বুঝতে কষ্ট হয়েছে যে, ক্লাসমেটদের সাথে অল্প কিছু টাকা পয়সার জন্য মানুষ এই ধরনের আচরণ করতে পারে!
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নেবেন।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম আনু মোল্লাহ!
আপনি একেবারে আমার মনের কথাটাই বলেছেন। আমিও বুঝিনা কেন মানুষ প্রতারণা করে বিশেষ করে চেনা পরিচিত বা ক্লাসমেটদের সঙ্গে! সম্ভবত এটা কারো কারো স্বভাব.......
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনিও শুভেচ্ছা নেবেন।
২৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: এতো দেখি চালাক মফিজ! যাইহোক, কাতালিয়ভাবে আমারও একজন মফিজ ছিল!
তখন আন্ডারগ্রাজুয়েট করি সাউথ কোরিয়াতে, ৪র্থ ইয়ারে একজন কোরিয়ান আমার সাথে থিসিসের জন্য জুটল। তাকে প্রফেসরের কাছে নিয়ে গেলাম, প্রফেসার সেই ছেলেটিকে দেখে আমাকে বলল তুমি এর সাথে থিসিস করবে ? (আমি এই প্রফেসরের ল্যাবের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট থেকে মাষ্টার্স পর্যন্ত ছিলাম ) তুমি একে চেন ? প্রফেসর বলল আমার ল্যাবেই ও কয়েক বছর ছিল, পরে মাঝপথে পড়াশুনা বন্ধ করে চলে গেছে, ৩-৪ বছর ধরে থিসিস করতে না পেরে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট শেষ করছে না!
তারপরও ওর সাথে থিসিস করলাম, কোন কাজই ও করেনি, মাঝে শুধু এক্সপারিমেন্টের দিন আসত। তবে থিসিস পেজেন্ট্রেশোনের দিন অনেক পরিশ্রম করে পাওয়ার পয়েন্ট বানিয়েছে, ডিপার্টমেন্টে দৌড়াদৌড়ি করেছে। ওখানে নিয়ম হল থিসিস যার যারটা সে সে লেখবে, কোরিয়ানরা কোরিয়ানে লেখে।
আমি ইংরেজীতে লেখলাম, ও লেখল কোরিয়ানে। আমি বললাম তোমার কোরিয়ান এক কপি আমাকে দিও ?
আপনার মফিজের মত ব্যাচারার আর দেখা নাই।
শেষে আমাদের গ্রাজুয়েশোনের দিন ওর সাথে আমার দেখা হল। ওর বাবার সাথে সম্ববত পরিচয় করিয়ে দিল। তবে কোরিয়ান কপি আর আমাকে দেয় নাই!
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: আপনার দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, কাছের মানুষ। আপনার মন্তব্য পেয়ে জানতে পারলাম, শুধু আমাদের দেশের মানুষ না, কোরিয়ানদের মধ্যেও এই স্বভাবের মানুষ আছে!! আপনার গল্প শুনে তাই কিছুটা সান্ত্বনা পেলাম।
আপনি দক্ষিণ কোরিয়াতে পড়াশোনা করেছেন? সে সম্পর্কে কিছু লিখুন না। দক্ষিণ কোরিয়াতে নাকি কোন রকম চাষাবাদ হয় না, তারা চাল ডাল সব আমদানি করে? কদিন আগে এটা জানতে পেরে খুব অবাক হয়েছি।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
২৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২
অন্তরা রহমান বলেছেন: এই ধাঁচের মানুষ এই এক জীবনে কত যে দেখলাম আর মফিজ হইতেই থাকলাম। আসলেই, কে যে মফিজ!
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: সত্যি! এই ধরনের মানুষ অনেক আছে, তবে একে দিয়েই আমার এমন মানুষ দেখা প্রথম শুরু হয়........
আমার ব্লগে আপনার আগমনে আন্তরিকভাবে আনন্দিত হলাম, অন্তরা রহমান। ভালো থাকবেন।
২৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯
অজ্ঞ বালক বলেছেন: নাহ, আপনের বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা কম। নাইলে এমন ধোঁকা। একবার হইলে তাও কথা ছিল না, দুই না; তিন তিন বার। মফিজদের স্ট্যাটাসটাই লো কইরা দিলেন।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০৪
করুণাধারা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, এতবার ধোকা খাওয়া ঠিক হয়নি। তবে একটা কথা আছে না, "বারবার তিনবার"- সবকিছু তিন বারে গিয়ে শেষ হয়!
মফিজদের স্ট্যাটাসটাই লো কইরা দিলেন। তাই নাকি!! 'অজ্ঞ বালক' নিকের আড়ালে আপনার সত্যিকারের নাম নিয়ে একটা সন্দেহ মনে এল........
আমার ব্লগে প্রথমবারের মতো এলেন, অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১০
নীলপরি বলেছেন: আপনার লেখা ও মন্তব্য সবই পড়লাম । খুব সুন্দর লিখেছেন । মজা করে লিখেছেন । তবে আমার বেদানাদায়কই লাগলো । কারণ আমিও বোকাদের দলেই আছি । আপনার কথা মতো মাফিজ । তারচেয়েও বেশী , এটা নিজে উপলব্ধি করেও শোধরাতে পারি না ।
+++++++
শুভকামনা
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:১৪
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে খুবই ভালো লাগলো নীলপরী। আসলে আমার মনে হয় পৃথিবীতে তিন ধরনের মানুষ আছে: একদল সব সময় অন্যের থেকে সুবিধা নেয়ার তালে থাকে, ছলে- বলে- কৌশলে; আরেকদল সব সময় এদের শিকার হয়; আর তৃতীয়দলের মানুষেরা পরিস্থিতি বিবেচনা করে মানুষ চিনে চলতে পারে। তৃতীয় দলের মানুষের সংখ্যা খুব কম; আমি-আপনি যদিও দ্বিতীয় দলে পড়ি, কিছু হারাইও, কিন্তু জানি আমাদের মনে দিন শেষে বেদনার চেয়ে প্রশান্তিই বেশি থাকবে.........
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ নীলপরী। শুভকামনা জানবেন।
২৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমরা এই ব্লগে "ভূয়া মফিজ" এর সান্নিধ্যে থাকি বলে টেরই পাই না আসল মফিজ কতটা প্রতারক ও ক্ষতিকর হতে পারে। যাক, আপনার এ গল্প পড়ে অনেকেই হয়তো সাবধান হয়ে ওঠার চেষ্টা করবেন। কারো কাছ থেকে টেলিফোন নেয়ার সময় তার নম্বর না টুকে তাকে বলবেন সে যেন তার নম্বরে একটা ফোন দেন, পরে তিনি সেভ করে রাখবেন। তাহলে আর ফায়ার ব্রিগেড বা পুলিশ স্টেশনের নম্বর দিয়ে কেউ ধোঁকা দিতে পারবে না এবং বিপদেও ফেলতে পারবে না। (একটি গল্পে পড়েছিলাম, আমাদের এই ব্লগেরই একজন ব্লগার তার সদ্য ঘনিষ্ঠ হওয়া প্রবাসী বন্ধুকে একবার তার পীড়াপীড়িতে গুলশান থানার টেলিফোন নম্বর দিয়েছিলেন! ) অবশ্য আপনার সময়ে তো সেলফোনের কোন কায় কারবার ছিলই না!
রম্য আঙ্গিকে লেখা এ গল্পটি বেশ উপভোগ্য হয়েছে, তা পাঠকের এই খরার দুর্দিনে পঠিত সংখ্যা এবং মন্তব্য সংখ্যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমিও এখানে আমার ভাল লাগার চিহ্নটি রেখে গেলাম! + +
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩১
করুণাধারা বলেছেন: ব্লগার ভূয়া মফিজের আহবান জানিয়েছিলেন ব্লগে ঝাঁপিয়ে পড়তে, লগইন থাকতে, আর যে যা পারেন লিখতে। সেই আহবানে সাড়া দিতে গিয়ে আমি আমার পরিচিত মফিজকে নিয়ে এই লেখাটা দিলাম। পদ্মলোচন নাম যার সে যেমন চক্ষুহীন হতে পারে, তেমনি মফিজ নাম হলেই তাকে বোকাসোকা ভাবা ঠিক নয়- আমার এই অভিজ্ঞতাটাই এখানে শেয়ার করতে চেয়েছিলাম।
ব্লগে পাঠকের এই দুর্দিনে এই পোস্টে পাঠকের এমন সাড়া দেখে আপনার মত আমিও খুবই অবাক হয়েছি। আসলে অন্যের বোকামির গল্প শোনায় একটা মজা আছে; নিজেকে এই বলে বাহবা দেওয়া যায়, "আমি জীবনেও এমন বোকামি করিনি, করবোও না কখনো"। যাক, সহব্লগারদের কিছুটা আনন্দ দেয়া গেল।
মন্তব্য ও প্লাস দিয়ে আমাকে আবারো অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছিনতাই হবার পরে নিজেকে কেমন যেন বোকা বোকা লাগে (৯ নং প্রতিমন্তব্য) - বছর পাঁচেক আগে পহেলা রোযার দিনে ইফতারি কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় আমার মানি ব্যাগ পকেটমারের হাতে খোয়া যায়। যখন টের পেলাম, তখন পকেটমারের খোঁজে এদিক ওদিক খোঁজাখুজির পর অবশেষে যখন সম্বিৎ ফিরে এলো, তখন নিজেকে খুব মফিজ মফিজ মনে হচ্ছিল। উল্লেখ্য, সেই মানিব্যাগে আমার আইডি কার্ড এবং এটিএম কার্ডও ছিল!
না জানি, কানাডার কত বাঙালী/বিদেশী সেই মফিজের কাছে আজও প্রতারিত হচ্ছে! (১৫ নং প্রতিমন্তব্য দ্রষ্টব্য)
১৮ নং প্রতিমন্তব্যে দেয়া ব্যাখ্যাটা বেশ লাগলো!
মা. হাসান এবং নীলপরি এর মন্তব্য দুটোও।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্যগুলো আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন, এবং আবার ফিরে এসে সেগুলো নিয়ে মন্তব্য করেছেন। খুবই ভালো লাগলো।
প্রতারক, ছিনতাইকারী আমাদের আশেপাশেই আছে, আমার ধারণা দিন শেষে এদের প্রাপ্তির যাইতে অপ্রাপ্তি অনেক বেশি হয়; আর আমরা যারা প্রতারণা বা ছিনতাইয়ের শিকার হই, দিনশেষে আমাদের জন্য ভালো কিছুই অপেক্ষা করে।
শুভেচ্ছা রইল।
৩০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল প্রিয় আপু,
গতকালকেই লেখাটা পড়ে গিয়েছিলাম। ব্যস্ততার জন্য তখন মন্তব্য করে যেতে পারি নি।
খুব করে আশা করেছিলাম ভুয়া মফিজ ভাই, আসল মফিজ আর ভুয়া মফিজের সংগা বেশ ভালো করে লিখে দিবেন কারন
আপনার এই লেখা পড়ার পর আমার জানা মফিজ সম্পর্কিত জ্ঞানে গিট্টু লেগে গেছে। এই গিট্টু এখন ছুটাবে কে?
সব সময়ই দেখে এসেছি থিসিস করার সময় প্রত্যেক গ্রুপে কেন যেন একটা বা দুইটা রাম ফাকিবাজ থাকে। আর কিভাবে কিভাবে এরা যেন ঠিকই পার পেয়ে যায়।
আপনি কি জানেন, বাংলাদেশে একটা জেলার লোকজনকে মফিজ বলে ডাকা হয়, এমনকি দুরপাল্লার গাড়িতেও মফিজদের জন্য আলাদা সিট রাখা আছে।
রম্য লেখাটা খুবই চমৎকার লেগেছে পড়তে। কেন যে আপনি নিয়মিতভাবে লেখালিখি করেন না!!
ধন্যবাদ আর আপনি এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইল!
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪
করুণাধারা বলেছেন: দুপুর হয়ে গেল উত্তর দিতে দিতে, তবুও আপনার শুভকামনার জবাবে শুভ কামনা জানাই, নীল আকাশ।
ব্যস্ততার মধ্যে সময় করে এসে মন্তব্য এবং প্লাস দেয়ায় ধন্যবাদ জানাই। না, এই গল্প পড়ে গিট্টু লাগার কিছু নেই। শুধু মনে রাখতে হবে, মফিজ নাম শুনলেই তাকে মফিজ ভাবার কোন কারণ নেই, যে সেন্সে উত্তরবঙ্গে মফিজ নামে ডাকা হয়।
হ্যাঁ, আমিও জানি উত্তর বঙ্গের কিছু জেলায় মফিজ নামের অর্থ কি। যানবাহনে মফিজ নামের প্রচলনের গল্প জানতাম, ভুলে গেছিলাম; আপনি বলায় মনে পড়ল।
ভালো থাকুন নীল আকাশ।
৩১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৩
আঁধার রাত বলেছেন: যদি কোন দিন জানতে পারেন আপনার ঐ টাকা দিয়ে মফিজ ভাত কিনে খেয়েছিল তাহলে কি খুব খারাপ লাগবে আপনার? সে সম্ভবত নিশ্চিত ছিল যে এ কয়টা টাকা আপনার কাছে কোন ব্যাপার না। সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে বহু ছাত্র দিনের পর দিন চিড়া আর পানি খেয়ে কাটায় অথচ তাদের বন্ধুরা জানেও না। জানিয়ে তেমন কোন বেনিফিট পাওয়া যায় না অধিকাংশ ক্ষেত্রে বরং নিচু চোখে দেখে অনেকে। নয়ছয় আর ইধার উধার করে এক একটা দিন পার করে। যে প্রোগ্রাম গুলোতে টাকা বা চাঁদা লাগে সে প্রোগ্রামগুলোতে কোন না কোন ওজুহাতে ওরফে অনিবার্য কারনবশত যাওয়া হয় না তাদের। এমন দু’নম্বরী করতে হয় টিকে থাকার জন্য।
তবে আপনার সহপাঠি খুব স্মার্ট সে শৈল্পিক ভাবে আপনাকে বলেছে অফিসের নিচে ভাল চিকেন স্যান্ডউইচ পাওয়া যায় বলেনি যে, নাস্তা করার টাকা নাই তাই সকালে নাস্তা করি নাই একটা স্যান্ডউইচ খাওয়া। মফিজ শব্দের অর্থ জ্ঞানী তবে আপনার সহপাঠী আসলেই জ্ঞানী।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক জ্ঞান লাভ হল, আঁধার রাত। শৈল্পিকভাবে সে সকালের নাস্তা খেতে চেয়েছে, কারণ তার পকেটে নাস্তা খাবার টাকা ছিল না! বলুন তো, প্রথম শ্রেণীর সরকারি চাকরি করে যে, সরকারি গাড়ি চড়ে অন্যের অফিসে আসে, তার পকেটে নাস্তার টাকা কেন থাকবে না??
ইয়ে, তীতু মিয়া বলে আপনার কোন আত্মীয় আছে?
আমার ব্লগে প্রথমবারের মতো আপনার আগমনে অত্যন্ত আনন্দিত হলাম।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
৩২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:১৩
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: কি আশ্চর্য! আপনাকে এভাবে বোকা বানিয়েছে! সে আসলে মফিজ নয়, মফিজের দাদা। হয়ত সে অভাবী ছিল, তাই আপনার কাছ থেকে ফাঁকতালে কিছুটা খসিয়ে নিয়েছে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫২
করুণাধারা বলেছেন: যতদূর জানি সে অভাবী ছিল না, এভাবে লোক ঠকানোকে সে একটা মজা হিসেবে নিয়েছিল। যাকগে, এমন করে ছিল বলেই আপনাদের গল্পটা শুনতে পারলাম, আর আপনারও আমার পোষ্টে আগমন ঘটলো!!!
ভালো থাকুন, সম্রাট ইজ বেস্ট
৩৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮
আমি মুক্তা বলেছেন: সত্যিকারের মফিজ কাহিনী পড়তে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলাম, মনে হচ্ছিল পুরো ঘটনা আমি সিনেমাহলে বসে দেখছি, যখন শেষ হলো তখন বুঝলাম আমি ব্লগে আছি।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: অনেক বছর আগের ঘটনা, তবু প্রতিটি দৃশ্য আমার মনে থেকে গিয়েছিল। তাই একটানে লিখতে পেরেছি, ছবি দেখতে দেখতে...
মন্তব্য ও প্লাস এর মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন- অনেক ধন্যবাদ, আমি মুক্তা।
৩৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৫৩
নীল আকাশ বলেছেন: হাসান ভাইয়ের মন্তব্য আর আপুর প্রতি মন্তব্য পড়ে যারপরনাই আনন্দ পেলাম।
আপুর থিসিস পেপার আগে খুজে বের করুন হাসান ভাই, দরকার পরলে সামু থেকে চাদা তুলে আপনার খরচের টাকা তুলে দেয়া হবে
১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫১
করুণাধারা বলেছেন: আবার ফিরে এসে মন্তব্য করায় যারপরনাই আনন্দ বোধ করছি, নীল আকাশ।
মা. হাসানকে অতি প্রস্তাব গিয়েছেন, দেখা যাক তিনি এখন কি করেন.......
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা।
৩৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০৫
আঁধার রাত বলেছেন: আমার নিজের নামই তিতু মিয়া
১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১১
করুণাধারা বলেছেন: হায় হায়!! কি গল্প লিখলাম!!
৩৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা রে আপু !
আমি ও মানুষ কে বিশ্বাস করতে ভালোবাসি; এমন অনেকের দেখা ও পাই। তবুও বিশ্বাস রাখি।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৫
করুণাধারা বলেছেন: ঠিক! অনেকবার ঠকেছি, মানুষের উপর থেকে বিশ্বাস হারাতে পারি না।
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ মনিরা। শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: মফিজ-কাহিনীতে প্রথম না হলে ইজ্জত থাকবে না!