নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম শুরু হয়েছিল তার ৫৭ তম জন্মদিনের রাতে। প্রতি বছরে এদিনটিতে যেমন হয়, স্ত্রী নাজনীন আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পরিবারসহ কয়েকজন কাছের বন্ধু বান্ধবকে; হৈ হুল্লোড় করে কেক কাটা, ডিনার, হাসি-গল্প সব হল। সবাই চলে যাবার পর নাজনীন রান্না ঘরে সব গুছাচ্ছেন, অধ্যাপক ডঃ শামীম উজ জামান আধ শোয়া হয়ে চোখ বুজে ভাবছিলেন ফেলে আসা জীবনের কথা। কতকাল আগে একবার মেলায় গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন..... একবার পুকুরে পড়ে প্রায় ডুবে যাচ্ছিলেন..... শৈশবের কত স্মৃতি..... কৈশোর, যৌবন........ হঠাৎই যেন তড়িতাহত হয় উঠে বসলেন ডঃ শামীম উজ জামান- জীবনের এতগুলো বছর কেন হারিয়ে গেল! হায় জীবনে কত কিছু করার ছিল, কিছুই তো করা হলো না, জীবন তো ফুরিয়েই এল! এই মুহূর্তে তার ভেবে খুব অবাক লাগলো, তিনি এতকাল যাবত নিজের জীবন নিয়ে সুখী ছিলেন কেন!! মেরিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা, দুই মেধাবী পুত্র- কন্যা, আর পতিপ্রাণা সুন্দরী স্ত্রী নাজনীন- এই জিনিসগুলোই কি জীবনকে এমন গতানুগতিক, বৈচিত্র্যহীন করে তুলেছে !!
খুব অস্থির মন নিয়ে ডাঃ শামীম উজ জামান বেডরুমে চলে গেলেন। কাজ শেষ করে নাজনীন দুই কাপ কফি নিয়ে এসে দেখলেন, তার স্বামী ছাদের দিকে তাকিয়ে গভীর ভাবে কিছু ভাবছেন। নাজনীন কে দেখে উঠে বসলেন, হাত বাড়িয়ে কফিটাও নিলেন, কিন্তু তারপর কেমন শূন্য দৃষ্টিতে সামনে তাকিয়ে থাকলেন। নাজনীন খুবই অবাক হলেন,
- কি হয়েছে তোমার?
- ঐ যে গানটা, "সখী বহে গেল বেলা....." ওটা খুব শুনতে ইচ্ছে করছে। দাও তো ওই গানটা, শুনি।
নাজনীন তার প্রশ্নের উত্তর পেলেন না, তবু গানটা দিলেন- সখী শামীম উজ জামান তন্ময় হয়ে গান শুনতে লাগলেন। মাত্র ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে কী হয়ে গেল.....শামীম উজ জামান এমন কেন করছেন..... মনে মনে তার উত্তর খুঁজতে খুঁজতে গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলেন নাজনীন।
পরদিন সকাল থেকে শামীম উজ জামানের জীবনটাই যেন বদলে গেল; মনে হতে লাগলো, জীবনের হিসেবগুলো যেন মেলে নি, কোথায় যেন মস্ত একটা ফাঁকি রয়ে গেল! রোববারের সকাগুলোতে একটা আয়েশী ব্রেকফাস্ট হয়, নাজনীনের সাথে বেশ গল্পগাছা হয়, কিন্তু এদিনটা আর অন্য রোববারের মত হল না; শামীম উজ জামানের মন কি জানি কিসের ও লাগি কেবল হায় হায় করতে লাগলো....... উঠে স্টাডিতে গেলেন; এখন বেশ কিছুক্ষণের জন্য নিশ্চিত, নিজের মনকে কাটাকুটি করে বিশ্লেষণ করার সুযোগ পাবেন........উনি স্টাডিতে থাকলে কেউ বিরক্ত করে না........
মনে হল ফেসবুক খুলে দেখা যাক বন্ধুবান্ধবরা কেউ এমন ভাবে হা-হুতাশ করছে কিনা! অধিকাংশই তো তার বয়সী, জীবন ধারার সাথে অনেক মিলও আছে। খুলে দেখলেন..... কোথায় কি! ফেসবুকে সবাই যেন আনন্দ উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছে; কখন কোথায় খেতে গিয়েছে তার ছবি, কখনো সাগরে- পাহাড়ে বেড়াবার সময়ের হাস্যোজ্জ্বল মুখের ছবি, কখনো পুত্র-কন্যার গ্র্যাজুয়েশনের সময়কার গর্বিত মুখের ছবি........তাতে লাইক কমেন্টের বন্যা বয়ে গেছে। বিরক্ত লাগলো শামীম উজ জামানের; এগুলি নিয়ে এরা ভুলে আছে!!!! বিরক্তি নিয়ে ফ্রেন্ডলিস্টের প্রত্যেকের নাম ধরে ধরে দেখতে লাগলেন; হঠাৎ একটা অন্যরকম জিনিস পেলেন! তার স্কুলের বন্ধু সোহরাব ফেসবুকে একটা কবিতা লিখেছে; বলছে, কবিতাটা নাকি কোন ব্লগে ছাপা হয়েছে! ব্লগ জিনিসটার সাথে শামীম উজ জামানের পরিচয় ছিল না; জিনিসটা বোঝার জন্য খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সোহরাবের ফেসবুকের সব পোস্ট পড়লেন; লিংক ধরে পৌঁছালেন সোহরাব যে ব্লগে লিখে, সেটাতে! ব্লগের নাম "হাতের মুঠোয় বিশ্ব", ব্লগাররা সংক্ষেপে বলে "হামু ব্লগ"। অবাক হয়ে গেলেন এটা ভেবে যে, এতদিন কেন এই হাতের মুঠোয় বিশ্বর সাথে তার পরিচয় হয়নি!! কি নেই এই মিনি বিশ্বে!! কত রকম বয়সের কত রকম মানুষের কতরকম যে মনের কত কথা!! রাজনীতি, ধর্মকথা, কবিতা, গল্প, ভ্রমণ কাহিনী, ইতিহাস, বিজ্ঞান, কূটকচালি- কি নেই হামুতে!! সব কিছু ভুলে শামীম উজ জামান হামুতে হারিয়ে গেলেন।
অপেক্ষা করতে করতে নাজনীন যখন শামীম উজ জামানকে লাঞ্চের কথা মনে করিয়ে দিতে আসলেন, তখন লাঞ্চের সময় প্রায় অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। ল্যাপটপ থেকে একটু মুখ তুলে জানালেন,
- লাঞ্চ খাব না। সময় নেই।
- না খেলে এত কাজ করবে কি করে? ঠিক আছে, আমি এখানেই এনে দিচ্ছি, খেয়ে নাও।
এত বেলায় একলা বসে লাঞ্চ করতে নাজনীনের একটু মন খারাপ হলো; ছুটির দিনে একসাথে গল্প করতে করতে লাঞ্চ করা বহু দিনের অভ্যাস......
নাজনীন কি একবারও ভেবেছিলেন, পরের কয়েক সপ্তাহ শামীম উজ জামান আরো বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়বেন! খাবার সময়টা অবশ্য দুজন একসাথেই খাচ্ছেন, সেই সময় শামীম উজ জামান বেশ কথাও বলছেন, কিন্তু বাসায় থাকা বাকি পুরো সময় ল্যাপটপ নিয়ে মগ্ন কি কাজ করতে থাকেন নাজনীন বুঝতে পারেন না! মাঝে মাঝে দেখেন, শামীম উজ জামান কাজের সময় মৃদু হাসছেন- নাজনীন বুঝতে পারেন, নিশ্চয়ই কাজে কোন একটা সফলতা এসেছে!
অবশ্য এই মৃদু হাসির রহস্যটা কেবল শামীম উজ জামানই জানেন; তার সকল হাসি- আনন্দের উৎস এখন হামু ব্লগ! সময় পেলেই ল্যাপটপ নিয়ে তিনি হামু ব্লগ খুলে বসেন; বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা নিয়ে ভাবতে তার এখন আর ভালো লাগে না! হামু ব্লগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন কয়েক সপ্তাহ হলো, এখনো তিনি সেফ হন নি, অর্থাৎ ব্লগে লেখার অধিকার পাননি- কিন্তু তিনি অন্যের লেখা পড়ে আনন্দে আপ্লুত হচ্ছেন! ইতিমধ্যে নিজেও কবিতা লেখা শুরু করেছেন, সেটাও এক অন্যরকমের আনন্দ! নিজের কবিতাগুলো নিয়ে একটু কিন্তু কিন্তু আছে; হামুর ব্লগাররা পছন্দ করবে তো!! কোন একজন ভালো কবিকে দিয়ে একটু দেখিয়ে নিতে পারলে ভালো হত!
ভাগ্যের কি জোর, সহজেই এমন একজন কবি পেয়ে গেলেন। একদিন দেখেন তার বন্ধু ডঃ আলী রীয়াজের লেখা কবিতার উচ্চ প্রশংসা ফেসবুক জুড়ে। ডঃ রীয়াজ ঢাবিতে তার সমসাময়িক, আশির দশকের কবিতা লিখতেন, কিন্তু তারপর এতোকাল তো কেবল রাজনৈতিক বিশ্লেষণমূলক প্রবন্ধ/ গ্রন্থই তো লিখে আসছেন, তার কাব্য প্রতিভা হঠাৎ এমন বিকশিত হলো কি করে? ভাবতে ভাবতেই মনে পড়ল, ডঃ আলী রীয়াজের বর্তমান আবাসস্থল ব্লুমিংটনে ষাটের দশকে কবি বুদ্ধদেব বসু থাকতেন। হয়তোবা স্থান মাহাত্ম্য- ব্লুমিংটনের পরিবেশ হয়তো কাব্য প্রতিভা বিকাশের অনুকূল। দেরি না করে পরের উইকেন্ডেই শামিম উজ জামান উড়ে গেলেন ইলিনয়ের ব্লুমিংটনে, ডঃ আলী রীয়াজের কাছে। বন্ধুবৎসল ডঃ রীয়াজ তার কবিতার খাতা দেখলেন, অনেক কবিতা ঠিক করে দিলেন, অনেক কিছু শেখালেন। ফুরফুরে মন নিয়ে বাড়ি ফিরলেন শামীম উজ জামান!
অবাক কান্ড! দুদিন পরে দেখেন তিনি হামুতে সেফ হয়ে গেছেন। এবার শুরু করলেন কবিতা পোস্ট করা, প্রথমেই দিলেন যেটা পড়ে ডঃ রীয়াজ খুবই প্রশংসা করেছিলেন; ভাবলেন এটা পড়ে ব্লগাররা অনেক লাইক দেবে! একটু পর পর মোবাইলে চেক করেন কে কেমন মন্তব্য করল! মন্তব্য দূরে থাক, কেউ তার কবিতা পড়েই না! ২৪ ঘন্টায় পঠন সংখ্যা হল ২৮। খুবই মন খারাপ হলো শামীম উজ জামানের। তবু হতাশ হলেন না, প্রতিদিন নতুন নতুন কবিতা লিখেন, প্রতিদিন একটা করে কবিতা পোস্ট করেন, কিন্তু দেখা গেল কেউ তার কবিতা পড়ে না; ১৪ টা কবিতায় মন্তব্য এল ৯ টা! খুবই মন খারাপ হল- তিনি তো নিয়মিত অনেক কবিতায় মন্তব্য করেন, সেই কবিরা তো অন্তত তার কবিতায় মন্তব্য করতে পারে! আবার এও দেখলেন, তার পরে ব্লগে এসেও অনেক কবি আলোচিত, সেলিব্রিটি হচ্ছেন! এর রহস্য ভেদ করতে গিয়ে শামীম উজ জামান লক্ষ্য করলেন, কবির নাম যদি স্ত্রীবাচক হয় তবে অনেক পাঠক ও মন্তব্যকারী পাওয়া যায়! দুদিন ভেবে শামীম উজ জামান ঠিক করলেন যে, তিনি একটা মেয়ের নাম নিয়ে হামুতে রেজিস্ট্রেশন করবেন; একজন ভার্চুয়াল মেয়ে ব্লগার সৃষ্টি করবেন, আপন মনের সমস্ত মাধুরী মিশিয়ে তাকে তিনি রচনা করবেন........ এই ভাবনা শামীম উজ জামানের মনের সকল দুঃখ বহু দূরে হটিয়ে দিল.......
প্রথমে নাম ঠিক করতে হবে। মনের মধ্যে কয়েকটা নাম নিয়ে নাড়াচাড়া করলেন- রুমানা, মাহবুবা, সাবরিনা...... নাহ, কোনটাই ঠিক জুতসই হচ্ছে না। এমন একটি নাম দিতে হবে যেটা একটু অন্যরকম হবে, আধুনিক কিন্তু অপ্রচলিত। গল্প উপন্যাসে পড়া কয়েকজন নায়িকার নাম মনে পড়ল; শেষের কবিতার লাবণ্য খুব প্রিয় চরিত্র, কিন্তু তিনি যেমন ঝলমলে চরিত্রের সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন তার সাথে শান্ত, আত্মস্থ লাবণ্য ঠিক মেলে না। সিনেমায় প্রিয় নায়িকার কথা ভাবলেন; সানফ্লাওয়ার দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন, সেই থেকে তিনি সোফিয়া লরেনের ভক্ত। কিন্তু সুফিয়া জামান নামটা যে বড্ড বুড়ি বুড়ি শোনাচ্ছে, এই ব্লগার তো হবে তরুণী.......নাহ্, এই নাম দেয়া যাবে না! এবার ভাবলেন তার তারুণ্যের প্রিয় টেনিস তারকাদের কথা। তখন খুব টেনিস খেলা দেখতেন; স্বর্ণকেশী স্টেফি গ্রাফ ছিল তার খুবই পছন্দের, দেখলেই মনে হতো রাজকন্যা! কিন্তু এই নাম তো বাঙালি মেয়ের হয় না! ভালো লাগতো সুঠামদেহী আর্জেন্টিনার গাব্রিয়েলা সাবাটিনিকে; কিন্তু এই নামও তো চলবে না। হঠাৎ মনে পড়ল মনিকা সেলেসের কথা, এর খেলারও ভক্ত ছিলেন খুব। হ্যাঁ..... এবার পাওয়া গেছে! মনিকা নাম দেওয়াই যায়, মনিকা জামান নামটা আধুনিক বাঙালি মেয়ের নাম হিসাবে চমৎকার হবে! চকিতে একবার মনে হল, কেউ আবার এই নাম শুনে মনিকা লিউনেস্কি ভেবে না বসে। নাহ্, তা ভাবার সুযোগ দেবেন না। মনিকা জামান হবে এমন চমৎকার এক তরুণী.......
হামু ব্লগে জন্ম হলো মনিকা জামান নামে নতুন এক ব্লগারের, সেফ হতে যার সময় লাগলো মাত্র চার দিন। সেফ হবার পর প্রথম পোস্ট কবিতা নয়, নিছক পরিচিতিমূলক পোস্ট; পোস্টের শিরোনাম, "আমি পথ ভোলা এক পথিক এসেছি", পোস্ট লিখলেন কিছু মনভোলানো কথা দিয়ে। দশ মিনিটের মধ্যে মন্তব্য আসা শুরু হল; পথ ভোলা পথিককে পথ দেখানোর জন্য কত চামেলী, মল্লিকা, অশোক, পলাশ এসে হাজির!
চলবে......
ছবি: অন্তর্জাল
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৩১
করুণাধারা বলেছেন: প্রথম মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ, হাবিব স্যার।
ভীমরতি তো আমাকে ধরেই আছে, কিন্তু এটা আমার গল্প না।
জানিনা কেন এই স্পেস গুলো আসে, এবার তো লিংকও দিইনি।
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪৮
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ভীমরতির জীবনধারা বর্ণনা করছেন করুণাধারা ।
আলী রিয়াজ লোকটির অস্তিত্ব বাস্তবেও আছে। তিনি সম্ভবত প্রবাসী অধ্যাপক
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০৪
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে খুবই ভালো লাগলো ডার্ক ম্যান। ঠিকই বলেছেন, আলী রীয়াজ বলে একজন বাস্তবে আছেন, তিনি ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটি অধ্যাপক। সম্প্রতি কয়েকটি কবিতার বই বের হয়েছে তার।
শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: হামু নামটা কিন্তু বেশ। হা মু
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০৫
করুণাধারা বলেছেন: হাতের মুঠোয় বিশ্ব- সংক্ষেপে হামু।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর ভালো থাকুন।
৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তেব্র পরতিবাদ করছি!!!! আপনার লেখার বিরুদ্ধে না, এডমিন আর ব্লগারদের মানসিকতার বিরুদ্ধে! মেয়ে ব্লগারদেরকে এমন এডভান্টেজ / প্রেফারেন্স দেয়া চলতে পারে না। এইটা মানি না....মানবো না।
'হামু ব্লগ', চমৎকার নাম। ততোধিক চমৎকার লেখা। আমার জীবনের সাথে কোথায় যেন একটা সুক্ষ মিল খুজে পেলাম। তা, মনিকা জামান এখন নিশ্চয়ই খুব আনন্দে আছে!!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১১
করুণাধারা বলেছেন: থাক, থাক- পরতিবাদ করার দরকার নাই। এমনিতেই ভয়ে ভয়ে এই পোস্ট দিয়েছি, ব্লগার আর কর্তৃপক্ষের গুমোর ফাঁস করার অভিযোগে আবার না আমাকে ব্যান করে দেয়
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার সাথে মিল খুঁজে পেলেন!! একজন ব্লগার কে নিয়ে আমার খুব সুক্ষ সন্দেহ আছে, তাকে নিয়েই এই রচনা। পরের পর্বে তা প্রকাশ্য হবে। আশা করি সাথে থাকবেন। শুভকামনা।
৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৩
নীল আকাশ বলেছেন: সামুতে বসে হামু নিয়ে পড়লাম। ভাল টপিক নিয়ে লিখেছেন। একসময় খুব ইচ্ছে করত ব্লগে ভাপুদের দৌড়াত্বের গোমর ফাস করে দিতে। সেজন্য মনে মনে সহী তরীকার ২য় পর্ব লিখব ঠিক কতেছিলাম। এরপরই তো ব্লগের করুন দশা শুরু হলো। আর কি লিখব।
২য় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
ভাল থাকুন প্রিয় আপু।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নীল আকাশ। রাতেই আপনার মন্তব্য পড়েছিলাম, কিন্তু ঘুম চোখে কি লিখে ফেলব তাই আর প্রতিমন্তব্য করিনি...
আগামী পর্বে এই গল্প শেষ হবে। আমার লেখা আপনার মত ভালো হয় না, সুতরাং আপনাকে অনুরোধ করছি আবার লিখতে- সেই যে ব্লগারদের শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কে লিখেছিলেন, অনবদ্য হয়েছিল! আপনার সেই লেখাটির কথা বিশেষভাবে মনে পড়ল নিচের ১২ নম্বর মন্তব্য দেখে!
প্লাস দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ, নীল আকাশ। আপনিও ভালো থাকুন, শুভকামনা।
৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয়া আপুনি,
বেশ লাগল আপনার ভীমরতি । শামীম উজ-জামান হামু ব্লগে তার কবিতা পাঠ করার বা লাইক দেওয়ার মতো ভিজিটর পেলেন না। কিছুটা হতাশ হয়ে মনিকা জামান নামে পৃথক একটা আইডি খুলে বসলেন। ব্যস আর যায় কোথায়। মৌমাছির পালের মত ভিজিটর আস্তে আস্তে লাগল। সুন্দরী মনিকা জামান পরম তৃপ্তি সহকারে এবার কবিতার প্রতি মন্তব্য শুরু করলেন। রাতারাতি হয়ে গেলেন উনি হামু ব্লগের সেলিব্রেটি ব্লগার। তবে হামুতে যেমন ঘটেছে আমাদের সামুতেও এরকম হাজার মনিকা জামান আছে। আবার এর উল্টোটাও আছে। আমার জানা একজন মহিলা ব্লগার রীতিমতো ভাই সম্বোধন নিয়ে পুরুষ সেজে ব্লগিং করছেন শুধুমাত্র এই আশঙ্কার জন্য। হাহাহা....
নববর্ষের প্রীতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানবেন আপু।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০২
করুণাধারা বলেছেন: আমার ভীমরতি!!
সত্যি সামুতেও এমন হাজারো মনিকা জামান আছেন, আমি মাঝে মাঝে তাদের কাউকে কাউকে ধরতে পেরে প্রভূত আনন্দ পাই তবে এটা নিছকই গল্প- ব্লগ খুব স্লো হয়ে যাচ্ছে, তাই যা মনে হয় তাই লিখে পোস্ট করছি। তবে মরীচিকার পরের পর্বের জন্য উদগ্রীব অপেক্ষায় আছি....... খুবই কি ব্যস্ততা যাচ্ছে?
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, পদাতিক চৌধুরী। ভালো থাকুন সবসময়।
৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪৮
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর লেখা ভালো লেগেছে আমার কাছে।
লেখা চলুক।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০৫
করুণাধারা বলেছেন: অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, মাহমুদুর রহমান। আপনার আজকের পোস্ট পড়েছি, ভালো লেগেছে। আশা করি প্রতিমন্তব্য লেখা শেষ করে আপনার পোস্টে মন্তব্য করতে পারবো।
ভালো থাকবেন।
৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩০
ল বলেছেন: আপু ,
Midlife crisis to get rid off with @হামু ব্লগ
চমৎকার লেখা ----+++
নববর্ষের শুভেচ্ছা ,
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০৭
করুণাধারা বলেছেন: আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই, ল । নতুন বছর আপনার কাটুক শান্তিতে।
অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, ল।
৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১০
অজ্ঞ বালক বলেছেন: এইডা জোস লিখসেন। এক্কেবারে চোখের সামনে দেখতাসি। কত পানি গেলো বুড়িগঙ্গা দিয়া কিন্তুক ব্লগ কিংবা ফেসবুকের এই কাহিনী পাল্টাইলো না।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১১
করুণাধারা বলেছেন: কত পানি গেলো বুড়িগঙ্গা দিয়া কিন্তুক ব্লগ কিংবা ফেসবুকের এই কাহিনী পাল্টাইলো না।
নিছকই মজা করে লেখা! আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো! আপনার পোস্ট পড়া হয়েছে, এই পোস্ট লিখতে ব্যস্ত ছিলাম দেখে মন্তব্য করা হয়নি। আশা করি করতে পারব এখন।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ, অজ্ঞ বালক।
১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:১২
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানবেন ।
খুব খুউউউউউব সুন্দর একটি পোস্ট দিয়েছেন এই নতুন বছর।
হামু ব্লগ নিয়ে উনি এখন মহাব্যস্ত মনিকা জামান। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি মনিকা জামানের কবিতা সহ (হা হা হা)
ভীমরতি বলেন আর যা-ই বলেন, সাগর সেনের এই গানটা আমারও ভীষন পছন্দের।
পোস্ট আনলিমিটেড ++++++++++++++++++++++
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৯
করুণাধারা বলেছেন: মুক্তা নীল, মন্তব্য আর এই অগুনতি প্লাস আমাকে দিল দারুন অনুপ্রেরণা, অসংখ্য ধন্যবাদ। হ্যাঁ মনিকা জামান ওরফে শামীম উজ জামানের ভীমরতির কাহিনী আশা করি আগামী পর্বে শেষ করতে পারব। আশা করি সাথে থাকবেন।
তবে ব্লগের এই দুর্দিনে সবাইকে থাকতে হবে, আপনারকেও। আপনার কাছ থেকেও পোস্ট চাই!
নতুন বছর হোক শান্তিময়- শুভকামনা রইল মুক্তা নীল।
১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:২৪
তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন বলেছেন:
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২০
করুণাধারা বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ তাজেরুল ইসলাম স্বাধীন।
ভালো থাকবেন।
১২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগারদের সম্পর্কে আপনার ধারণা পরিস্কার নয়; আপনার পোষ্ট আগে পড়েছি কিনা মনে পড়ছে না; তবে, অনেকের পোষ্টে আপনার প্রাণহীন দীর্ঘ মন্তব্য পড়েছিলাম
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৪
করুণাধারা বলেছেন: ব্লগারদের সম্পর্কে আপনার ধারণা পরিস্কার নয়; আপনার পোষ্ট আগে পড়েছি কিনা মনে পড়ছে না; তবে, অনেকের পোষ্টে আপনার প্রাণহীন দীর্ঘ মন্তব্য পড়েছিলাম
আপনার সুচিন্তিত, সুজ্ঞানীত মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, চাঁনগাজী।
১৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৩
শামছুল ইসলাম বলেছেন: মনিকা সেলেস থেকে মনিকা জামান। বাহ। বেশ এগুচ্ছে কাহিনি। সাথে আছি।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৭
করুণাধারা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, শামছুল ইসলাম। আমিও আপনার পোষ্টের তিন পর্বের সাথেই আছি, শুধু জানান দেয়া হয়নি, নিজের পোস্টে ব্যস্ত থাকায়। আশা করি এবার জানাতে পারবো।
ভালো থাকবেন।
১৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৬
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হুম! বুড়ো বয়সে ভীমরতিতে ধরে জানতাম কিন্তু মিডলাইফেও ভীমরতিতে ধরে এটা নতুন করে আপনার কাছ থেকে শিখলাম। আর লেখাটা জোসসসসসস হয়েছে। এই ব্যাপারটা নিয়ে আমিও অনেক ভেবেছি। আগে মনে হয় এদেরকে ছাইয়া নিকধারি বলা হত। এখনও মানুষ এসব করে আর গর্ববোধ করে ভেবে যারপরনাই বিস্মিত হই। ভালো লেখায় মন্তব্য কম হলেও তো হীনম্মন্যতায় ভোগার কোন কারণ নেই। তবে আপনি নিজে মেয়ে হয়েও কিন্তু একটি কঠিন সত্য উন্মোচন করেছেন- মেয়ে ব্লগারদের পোস্টে মন্তব্যের ব্যাপারটা। আমারও একজনকে এমন সন্দেহ হয়েছিল, কিন্তু নাম বলতে চাই না। দেখি আমার অনুমান আপনারটার সাথে মেলে কি না?
সবশেষে, দারুণ একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: আমরা যাকে বলি বুড়ো বয়সে ভীমরতি, পশ্চিমা দেশে তাকেই বলে মিডলাইফ ক্রাইসিস। আমার এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আত্মীয়া বলছিল, সেখানে মানুষের জীবনে জটিলতা কম, অভাব-অনটন নেই, তাই সব পেতে পেতে মানুষকে সহজেই একঘেয়েমিতে পেয়ে বসে। তখন তারা একটা পরিবর্তন চায়, হয় কোন নেশা নাহয় পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়ে। বাঙালিরা একঘেয়েমি কাটাতে বই লিখতে শুরু করে....... এই কথা শোনার পর আমার মাথায় এই গল্পের আইডিয়া আসে। এটা সাধারণত ৫০ বছর পার হলে হয়, এই যে লিঙ্ক দিলাম [link|https://www.forbes.com/sites/forbescoachescouncil/2017/08/31/15-signs-youve-hit-your-mid-life-crisis-and-what-to-do-about-it/#73111b27573c|view this link
আমি মেয়ে না, মধ্যবয়সী মহিলা। তাই অসঙ্গতি দেখলেই করে চেপে ধরতে ইচ্ছা করে, সেই জন্যই এই প্রসঙ্গে লিখলাম। মাঝে মাঝে অনেক ব্লগার এমন হাস্যকর মন্তব্য করেন, যেগুলো খুবই বিরক্তিকর লাগে।
কাউকে কাউকে সন্দেহ করি আমিও, কিন্তু সেটা নিয়ে লিখব না, কি দরকার ব্লগের শান্তি নষ্ট করে!!
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ সম্রাট ইজ বেস্ট। শুভকামনা রইল, নতুন বছরের।
১৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১১
আখেনাটেন বলেছেন: দিলেন তো এক্কেরে কেঁচে গন্ডুস করে!
কে সেই ভীমবাবু ভীমরতি ঠাকুর?
সুফিয়া জামান নামটা যে বড্ড বুড়ি বুড়ি শোনাচ্ছে --- হা হা হা। বেশ খানিকক্ষণ হাসলুম এই ঝাঁঝালো বৈশাখী দুপুরে।
চমৎকার। চমৎকার। অমত কার?
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার। চমৎকার। অমত কার? বাহ! পোস্ট পড়ে আপনিও দেখছি বেশ কবিতা লিখতে শিখে গেছেন
অমত আছে একজনের, ১২ নম্বর মন্তব্য দ্রষ্টব্য!
রামগরুড়ের বাসা, ধমক দিয়ে ঠাসা......
মন্তব্য আর প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম, ধন্যবাদ আখেনাটেন। নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
১৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৩
জুন বলেছেন: বেশ মজা করেই লিখেছেন করুনাধারা।
স্টেফি গ্রাফ আমার এখনো প্রিয় তালিকায় আছে। অনেকদিন পর মধ্যবয়সী ক্রাইসিস পড়তে গিয়ে সাবাতিনির নামটিও মনে পড়ে গেল
দ্বিতীয় পর্ব পড়ে আসি।
+
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০৭
করুণাধারা বলেছেন: এটা এক ধরনের পিছনে ফিরে যাওয়া পোস্ট, প্রিয় ছিল টেনিস খেলা দেখা, সিনেমা দেখা...... লিখতে গিয়ে অবচেতন মনে থাকা নামগুলো উঠে এলো। এখানে হামুর অংশটা বানানো, কিন্তু শুনেছি আমেরিকায় অনেকেই মধ্য বয়সে পৌঁছে বই লিখতে শুরু করেন, জীবনস্মৃতি.....
এইসব জোড়াতালি দেওয়া ভাবনা থেকে এই পোস্ট। আপনার ভালো লাগায় আপ্লুত!
নববর্ষের শুভেচ্ছা কি জানিয়েছি আগে? জানিয়ে থাকলেও, আরেকবার "শুভ নববর্ষ" জানাই।
১৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হুম! মিডলাইফ ক্রাইসিস!! ভীমরতি!!! যাক, শেখা হল।
আমি মেয়ে না, মধ্যবয়সী মহিলা।
হা হা হা, সেটা কি আর জানি না? আমি আসলে মেয়ে বলতে জেন্ডার বোঝাতে চেয়েছি, তরুণী বা কমবয়সী কাউকে বোঝাতে চাইনি।
সুন্দর করে প্রতিউত্তর দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০৯
করুণাধারা বলেছেন: আরেকবার ফিরে আসায় অনেক ধন্যবাদ, সম্রাট ইজ বেস্ট।
ভালো থাকবেন
১৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ২ দেখে ১ এ এলাম। ব্লগে আমিও দুইতিনজনে আপু ভেবে ফেলছিলাম
এখন ২ এ যাই
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১১
করুণাধারা বলেছেন: সবকিছুতেই যদি এভাবে শেষেরটায় আগে যাওয়া যেত......
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ব্লগার প্রান্ত। শুভকামনা রইল।
১৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। খুব জরুরী একটা বিষয় । যা অনেকেই অবহেলা করে।
দারুন লেখায় ভাললাগা
++++
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১৭
করুণাধারা বলেছেন: ব্লগ নিয়ে রম্য লেখার চেষ্টা করলাম, কেউ আঘাত না পেলেই হল........
তবে মিডলাইফ ক্রাইসিস আর এর সঙ্গে আসা বিষন্নতা সত্যি। এই বিষন্নতা কাটাতে ব্লগের মত ভার্চুয়াল জগতে ভ্রমণ খুবই সহায়ক হতে পারে।
মন্তব্য আর প্লাস এর জন্য অনেক ধন্যবাদ ভৃগু।
নতুন বছরের শুভকামনা জানাই।
২০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
মিডলাইফ ক্রাইসিস এর মধ্যে দিয়ে বেশ মুন্সিয়ানার সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বাস্তবতা তুলে ধরেছেন, সরাসরি। কিন্তু এর আড়ালে যে মানুষের জীবন দর্শনের একটা দিকও তুলে ধরেছেন !
একটা সময় আসে যখন মানুষ নিজেকে খুঁজতে বসে , খোঁজে তার নিজের শেকড়কে। আলেক্স হ্যালীর “ রুট্স্ ” বইয়ের ‘কুনটা কিনটে’র মতো একদিন না একদিন তাকে তা খুঁজতেই হয়। আমরা সবাই জ্ঞাতে অজ্ঞাতে খুঁজে চলি নিজেকে একটা অন্ধের মতো! সবার মধ্যেই একটি কুনটা কিনটে বাস করে বোধ হয়। আর খুঁজতে গিয়ে, জীবনের সব কিছুতেই কিছু নেই এমন একটা ফাঁকি ধরা পড়েই যায়!
আপনার গল্পে তেমন একটি খোঁজার গন্ধ পাচ্ছি। গন্ধ আছে নিজেকে ছড়িয়ে দেয়ারও। আর নিজেকে ছড়িয়ে দেয়ার সাধ তো মানুষের চিরায়ত!
আসলে পার্থিব ঘরসংসারের শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের একান্ত ঠিকানাটুকু ঠিক রাখতে সকল সম্পর্কের মাঝে সম্ভবত একটু ফাঁকা জায়গা থাকা উচিৎ । সে জায়গাটাতে নিজের একটা ভুবন গড়ে নিতে হয়। সেখানটাতে অন্যের প্রবেশ না করাটাই শোভনীয় । ফাঁকটুকু না থাকলে উত্তাপে সম্পর্কগুলি বেঁকে যেতে পারে । নিরানন্দ মনে হতে পারে সব দিনযাপন। এক একটা বৈচিত্রহীন, গতানুগতিক দিন!
নিরবিচ্ছিন্ন সুখ ও সুখীমুখ কখনও তেমন সুখের স্বাদ পায়না যদি না সে সুখের মাঝে কিছু কিছু অসুখের দেখা মেলে।
চমৎকার হচ্ছে আমাদের ব্লগীয় বাস্তবতার সাথে মূল চরিত্রটিকে সিনক্রোনাইজড করে গড়ে তোলা এই সুক্ষ স্যাটায়ার ধর্মী গল্পটি। তবে ভীমরতি নয়, একটা বয়সে এসে এ যেন নিজেকে খোঁজা-ই।
চলবে তো বটেই নইলে এমন রসের ধারা কোনদিকে গড়ায় তা বুঝবো কি করে ?
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: খুবই কাকতালীয়, গতকালই আমি রুটস আর কুনতা কিনতের কথা ভাবছিলাম! অবচেতনে হয়তো শিকড় খোঁজার ইচ্ছা আমারও হয়েছিল.........
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আমার এক আত্মীয় (অবশ্যই মধ্যবয়সী) বলছিল, সেদেশে এই বয়সে পৌঁছে সবাই খুব বই লিখে- আত্মজীবনী। সকলেই এইসময় শিকড়ের কাছে ফিরে যেতে চায়। বলা শেষ করে তার মন্তব্য ছিল, "এটা মিডলাইফ ক্রাইসিস"! আমার গল্পের নায়ক শামীম উজ জামান আত্মজীবনী লিখেন নি, তিনি ব্লগে লিখতেন যেখানে, "দেবে আর নেবে মিলাবে মিলিবে, চাবে না ফিরে".........
আসলে পার্থিব ঘরসংসারের শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের একান্ত ঠিকানাটুকু ঠিক রাখতে সকল সম্পর্কের মাঝে সম্ভবত একটু ফাঁকা জায়গা থাকা উচিৎ । সে জায়গাটাতে নিজের একটা ভুবন গড়ে নিতে হয়। সেখানটাতে অন্যের প্রবেশ না করাটাই শোভনীয় । ফাঁকটুকু না থাকলে উত্তাপে সম্পর্কগুলি বেঁকে যেতে পারে
দরকারি কথা চমৎকারভাবে বলেছেন। আসলেই, সম্পর্কগুলো তাজা রাখতে শুধু জল সেচন করলেই চলে না, আলো বাতাস পাবার মত স্পেস দরকার হয়, সেটা আমরা ভুলে যাই......
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস। নতুন বছরের জন্য শুভকামনা রইল।
২১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপু চমৎকার হয়েছে ; দারুণ !
পরের পর্বে যাচ্ছি।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: দারুন মন্তব্য আর প্লাসে আমাকে অনুপ্রেরণা দেওয়ায় অনেক ধন্যবাদ, মনিরা। নতুন বছরের জন্য শুভকামনা রইল।
২২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
সুন্দর প্রতিমন্তব্যে ধন্যবাদ।
সে কথাই তো বলেছি, মানুষ নিজেকে খোঁজে , খোঁজে তার নিজের শেকড়কে।
গল্পের শামীম উজ জামান যা-ই লিখে থাকুক তার শুরুটা তো তার নিজেকে খোঁজার ভেতর দিয়েই। নিজের জীবনের হিসেব মেলাতে গিয়েই তো তার কলম ধরা! তারপর না হয় ডিজিটাল কালচারের ফাঁকিটা ধরতে পরে নিজেকে তার সাথেই মিলিয়ে দেয়ার চেষ্টা। সে তো আর এক জীবন দর্শন। আর তার নিজেকে তিনি যে খুঁজছেন তার প্রমান তো, এই গল্পের শেষ পর্বে লেখা বইয়ের পাতায় তারই অজান্তে নিজের স্বাক্ষর করাটাতেই বোঝার কথা!
ভালো থাকুন। আর নতুন বছরের চতুর্থ দিনের শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্যেও।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন, আহমেদ জী এস! এভাবে ভাবি নি আমি! আসলে অনেক সময় নিজের মনকেও চেনা যায় না; "কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায়"....... এটা সেটা জানার জন্য আমরা পিছনের দিনগুলো আঁতিপাঁতি করে খুঁজে ফিরি, ঠিক যেমন শামীম উজ জামান খুঁজে ফিরছিলেন.......
আপনি বলার পর কথাটা বুঝতে পারলাম.........
যে গানটা এখনই শুনছি, সেটা আপনার শোনার জন্য দিলাম:
view this link
শুভকামনা সতত।
২৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০৯
তারেক ফাহিম বলেছেন: আপু, প্রথম দিকটাতে পড়তে পড়তে কবির সুমনের গান মনে পড়ল!!!!!!!!!! জীবনের চেনা আদুলী পড়ে গেল কোন ফাঁকে!!!!!
চমৎকার হয়েছে আপু।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯
করুণাধারা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, তারিখ ফাহিম। কিন্তু এই গল্পের পরের পর্ব না পড়লে ঠিক বোঝা যাবে না যে.......
শুভেচ্ছা রইল অনেক।
২৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: হামু ব্লগ নাম দিয়েছেন একখানা। বলতেই হয় মাইরি !
মজা পেলাম
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯
করুণাধারা বলেছেন: হামু ব্লগ! হাতের মুঠোয় বিশ্ব ব্লগ!
হা হা... অনেক ভেবে নামটা আবিষ্কার!
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য ধন্যবাদ, আর্কিওপটেরিক্স।
২৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সামু - হামু - মামু
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০
করুণাধারা বলেছেন: সামু সামু মামু
কই আর যামু........
২৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩
জাহিদ অনিক বলেছেন: হা হা হা --- দুর্দান্ত হচ্ছে আপু। চলতে থাকুক হামু ব্লগ নিয়ে লেখা সামু ব্লগে।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: : অনেক ধন্যবাদ জাহিদ অনিক, এভাবে উৎসাহ দেবার জন্য!!
হ্যাঁ, চলছে গল্প; সামনের পর্বে সমাপ্তি!
২৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন! পাঠ উপভোগ্য এবং আনন্দদায়ক হয়েছে। কোন কোন জায়গায় হাল্কা একটু হিউমারের প্রলেপ (যেমন মনিকা লিউনেস্কি প্রসঙ্গ) পোস্টকে সুখপাঠ্য করেছে।
সখী বহে গেল বেলা গানটা অনেকে গেয়েছেন, তাদের মধ্য থেকে সাগর সেন এর কন্ঠে গীত গানটি নির্বাচন করে সুবিবেচনার পরিচয় দিয়ছেন।
প্রথম অনুচ্ছেদের শেষের দিকে "প্রতিপ্রাণা" শব্দটি বোধহয় পতিপ্রাণা হবে, সম্পাদনা করে নিতে পারেন।
একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লেখা পোস্টে প্লাস++।
০৭ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য; এভাবে প্রতিটি শব্দ খেয়াল করে পড়তে পারা অসাধারণ ক্ষমতা!! সাধারণত আমরা যেখানে যে শব্দ হবার কথা, সেটা ভুল থাকলেও লক্ষ্য করি না, তার কারণ চোখে ভুল ধরা পড়লেও ব্রেন তাকে শুদ্ধ বলে ধরে নেয়। শব্দটা ঠিক করে দিয়েছি।
আমাদের দেশে নানা সমস্যার সমাধান করতে করতেই সময় কেটে যায়, তাই "কি যেন কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায়" ভাবনার অবকাশ পাওয়া যায় না। কিন্তু যারা সব পেয়েছির দেশে থাকেন, একটা বয়সে পৌঁছালে তাদের অধিকাংশই যে সমস্যায় আক্রান্ত হন তার নাম মিডলাইফ ক্রাইসিস। এমন একজনের কথা শুনে সেটাই কিছুটা সাজিয়ে নিয়ে গল্প হিসেবে পোস্ট করেছি। এই পুরানো পোস্ট পড়ে আপনি অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্য করেছেন এবং প্লাস দিয়েছেন- অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৮| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার পোস্টটাকে যদি চমৎকার বলি, তবে এ পোস্টে দেয়া প্রাজ্ঞ ব্লগার আহমেদ জী এস এর মন্তব্য দুটোকে অতি চমৎকার বলতেই হয়। উনি একজন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ তা জানি, কিন্তু উনি একজন মনরোগ বিশেষজ্ঞ কিনা, তা জানিনা। তবে সেটা না হলেও, ওনার আরো লেখা (পোস্ট) ও মন্তব্য পড়ে আমার মনে হয়েছে, উনি মানুষের মন নিয়ে নাড়াচাড়া করেন এবং এ বিষয়ে ওনার দৃষ্টি অন্তর্ভেদী। আপনার লেখা পড়ে চমৎকার দুটো প্রাসঙ্গিক মন্তব্য এখানে রেখে যাবার জন্য ওনাকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ।
"একটা সময় আসে যখন মানুষ নিজেকে খুঁজতে বসে , খোঁজে তার নিজের শেকড়কে। আলেক্স হ্যালীর “ রুট্স্ ” বইয়ের ‘কুনটা কিনটে’র মতো একদিন না একদিন তাকে তা খুঁজতেই হয়। আমরা সবাই জ্ঞাতে অজ্ঞাতে খুঁজে চলি নিজেকে একটা অন্ধের মতো! সবার মধ্যেই একটি কুনটা কিনটে বাস করে বোধ হয়। আর খুঁজতে গিয়ে, জীবনের সব কিছুতেই কিছু নেই এমন একটা ফাঁকি ধরা পড়েই যায়!" - কি অসাধারণ একটা পর্যবেক্ষণ!
আর তার মন্তব্য থেকে আপনি যে অংশটুকু উদ্ধৃত করেছেন, সে কথাগুলোও অসাধারণ, বলতেই হয়, নিবিড় পর্যবেক্ষণ প্রসূত।
০৭ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪২
করুণাধারা বলেছেন: জীবনের সব কিছুতেই কিছু নেই এই বাক্যটা আমার সবচাইতে ভালো লেগেছে। মনে হয় জীবনের হিসাব মেলাতে মেলাতে সবশেষে গিয়ে আমরা এই উপলব্ধিতে পৌঁছাব!!
আহমেদ জী এস একজন মনোযোগী পাঠক, এবং তার মন্তব্যগুলো সবসময়ই অসাধারণ হয়!! সেজন্য উনাকে সাধুবাদ জানাই।
আপনি যেভাবে পোষ্টের সাথে সাথে মন্তব্যগুলোর ব্যবচ্ছেদ করেন, সেটাও খুবই অসাধারণ!! আপনাকেও সাধুবাদ জানাই সে জন্য। আবার ফিরে এসে মন্তব্য করায় পোস্ট সমৃদ্ধ হল। অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৫
হাবিব বলেছেন: আপু, ভীমরতি তাহলে আপনাকেও ধরেছিলো?
এই পোস্টেও কিন্তু অনেক স্পেস.........