নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

Midlife crisis- বা ভীমরতি কালের গল্প (শেষ পর্ব)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৭



তাদের অভিনন্দন আর শুভকামনার ঠেলায় শামীম উজ জামানের মনে হতে লাগলো, যেন মনিকা জামান বলে সত্যিই কেউ আছে, শামীম উজ জামান যেন মনিকার প্রাণস্পন্দন অনুভব করতে লাগলেন........

এবার পোস্ট করলেন  একটা কবিতা। অনেক মন্তব্য এলো, সবই প্রশংসাসূচক। আরো দু'তিনটা কবিতা পোস্ট হল- একই রকম প্রশংসার বন‍্যা। এবার অন্যরকম একটা বুদ্ধি এলো শামীম উজ জামানের মাথায়, তার নামে পোস্ট করা সব কবিতা ড্রাফটে নিয়ে প্রথম কবিতাখানা আবার মনিকার নামে পোস্ট করলেন- এবার মন্তব্যকারী ৩৭ জন.......আর মন্তব্যও তেমন! "আপু, আপনার সুকোমল হাতে লেখা বলেই কবিতায় এমন পদ্ম ফুলের শোভা" ........ কিংবা, "আপি, আপনার কবিতার শব্দাবলী তরঙ্গের মতো আমার হৃদয় কে ভাসিয়ে নিয়ে গেল" মন্তব্য পড়তে পড়তে শামীম উজ জামান খুবই বিরক্ত হলেন, "লম্বকর্ণের দল! শামীম উজ জামান নাম ভালো লাগে না, না?"

 অবশ্য এটুকু বিরক্ত হলেও, শামীম উজ জামান হামু আর এর ব্লগারদের ভালোবেসে ফেললেন।  হামু তার জীবনটা একেবারেই বদলে দিল; ইউনিভার্সিটি থেকে বাড়ি এসেই   বসে যান ল্যাপটপ নিয়ে। আগের মত অবসর সময়ে ঘুরতে যাওয়া, মুভি দেখা, খেলা দেখা, সব বন্ধ হয়ে গেল। পরের জন্মদিনে আবার বন্ধুবান্ধবরা এলেন, সেই কেক কাটা, খাওয়া- দাওয়া, আড্ডা..... তবে এবার শামীম উজ জামানের মনে হচ্ছিল তার বয়স কয়েক বছর কমে গেছে!!  মহা উৎসাহ নিয়ে তিনি টেবিল ভরা খাবার, কেক,  ফুল দিয়ে সাজানো ফুলদানি- সব কিছুর ছবি তুলতে লাগলেন; তার  মাথায় একটা নতুন আইডিয়া এসেছে, এবার তিনি মনিকা জামানের জন্মদিন পালন নিয়ে একটা পোস্ট দেবেন। এতদিন ব্লগ পড়ে পড়ে বেশ বানিয়ে লেখা শিখে গেছেন, ছবিগুলো ব্যবহার করে বেশ চমৎকার একটা পোস্ট লিখেও পোস্ট  করলেন না, মনটা খুঁতখুঁত করতে লাগল; এর সাথে যার জন্মদিন তার একটা ছবি দেয়া দরকার...... কিন্তু এই  মায়াকে কায়ায় আনবেন কিভাবে? অবশেষে আইডিয়া পেলেন একখানা!

এক ছুটির দিনে ল্যাপটপ নিয়ে স্টাডিতে বসলেন, তারপর সার্চ দিলেন মালায়ালাম  ফিমেল ফিল্মস্টার লিখে। অনেক ছবি এলো, শামীম উজ জামান খুঁজতে লাগলেন মায়াবতী, লাবণ‍্যময়ী বাঙালি চেহারার মেয়ের ছবি, যাকে সহজেই মনিকা জামান হিসেবে মানিয়ে যাবে। পেয়ে গেলেন তেমন একটি মুখ, অল্প দিন অভিনয় করার পর অভিনয় জগৎকে টা টা জানিয়ে বিয়ে বসেছে, নাম নাভীনা। নাভীনার ছবি দেখে এতটাই পছন্দ হল যে, মনের আনন্দে হেঁড়ে গলায় শামীম উজ জামান গান  ধরলেন, "হে  নবীনা, প্রতিদিনের পথের ধুলায় যায় না চেনা"......গান ঠিক তখনই নাজনীন কিছু বলার জন্য স্টাডিতে ঢুকলেন। দেখলেন ৩০ বছর ধরে সংসার করা তার সুবোধ স্বামীটি ল্যাপটপে কিছু মেয়ের ছবির দিকে চেয়ে আনন্দে গান গাইছেন! হতভম্ব হয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে নাজনীন চলে গেলেন।

এই সামান্য ব‍্যাপারে বিচলিত হবার সময় কই শামীম উজ জামানের! তিনি তখন মহানন্দে মনিকা জামানের জন্মদিনের পোস্টে ছবি দিচ্ছেন। নাভীনার ছবি গুলো কপিরাইটের আওতাভুক্ত থাকতে পারে ভেবে তিনি একটা চালাকি করলেন, কোন কোন ছবিতে দু'চোখ কালো করে ঢেকে দিলেন, কোনটাতে থুতনি কেটে পোস্ট করলেন। বেশ হল; সাপও মরল, লাঠিও ভাঙলো না!  মনিকা জামানের ছবি দেয়া হলো, কিন্তু এই ছবি নাভীনার বলে কেউ কপিরাইট আইন দেখাতে আসবেনা......

 এই পোস্ট দেখে লাইক আর মন্তব্যের যেন জোয়ার এলো! এতদিন সকলে মনিকা জামানের গুণে মুগ্ধ ছিল, এবার ছবি দেখে কতজনের যে "রূপ দেইখা তোর হইয়াছি পাগল" অবস্থা হল; কেউ কেউ তো মনিকাকে নিয়ে হামুতে কবিতাও লিখে ফেললেন.......

পরদিন বিকেলে বন্ধু ইশতিয়াকের ফোন এলো:

-কিরে শামীম, বুড়ো বয়সে এসব কী শুরু করলি? ভাবির কথা এক বার ভাবলি না!

- কী শুরু করলাম?কী বলছিস?

- তুই নাকি কাজ করছিস বলে স্টাডিতে ল্যাপটপ নিয়ে বসে কী সব করিস?

- ধুর! এতো হামু ব্লগ!

- হাগু ব্লক! তাহলে ডাক্তারের কাছে যা। স্টাডিতে কী?

- তুই যা ডাক্তারের কাছে!! ব্যাটা কানে শোনে না, কালা কোথাকার!!

বিরক্ত হয়ে ফোন রেখে দিলেন, বুঝতে পারলেন নাজনীন ইশতিয়াককে কিছু বলেছে..... নাজনীনের উপর রাগ হল না, বরং মনে হল  নাজনীনের সাথে তিনি অন‍্যায় করে চলেছেন, বেচারী খুব একা হয়ে গেছে........ অন‍্যায়ের প্রতিবিধান করতে তক্ষুনি বসে "নাজনীন সুলতানা" নাম হামুতে রেজিস্ট্রেশন করলেন।

এবার নাজনীন কে সব খুলে বললেন; ৫৭ তম জন্মদিনের রাতের সেই শূন্যতার অনুভূতি, হামুতে শামীম উজ জামান নাম নিয়ে লিখে ব্যর্থতা, মনিকা জামান নাম নিয়ে সফলতা, অনেক ব্লগারদের সাথে সখ্যতা, মনিকা জামানকে কল্পনা থেকে বাস্তবে আনতে নাভীনার ছবি ব‍্যবহার- এইসব কথা বলা শেষ করে দেখালেন, নাজনীনের নামেও হামুতে একাউন্ট করে দিয়েছেন।

- এখন থেকে তুমিও লিখো; দেখো, কত ভালো লাগবে।

- আমি কি লিখতে জানি! বরং পোস্ট পড়ব, আর দেখব তোমাকে নতুন কোন আইডিয়া দেয়া যায় কিনা!!

দুদিন পরেই নাজনীন নতুন আইডিয়া নিয়ে এলেন:

- মনিকা জামান তো মেয়ে, সুতরাং রান্না নিয়ে সে পোস্ট দিতেই পারে.........

নাজনীন চাইছিলেন তার কিছু রেসিপি হামুতে দিতে; শামীম উজ জামান ভেবে দেখলেন, আইডিয়াটা ভালোই দিয়েছেন নাজনীন। রান্নার পোস্ট দিলে  বেশ একটা চেঞ্জ আসবে.......

শুরু হলো বালুশাইর রেসিপি দিয়ে। নাজনীন যখন বালুশাই বানানো শুরু করলেন, শামীম উজ জামান তার প্রতি ধাপের ছবি তুললেন(অবশ্যই নাজনীনকে বাদ দিয়ে), তারপর ছবির সাথে মিলিয়ে ধাপে ধাপে বর্ণনা। হিট পোস্ট হল; মন্তব্যকারী সকলেই একমত হলেন যে, এমন বালুশাই ঢাকা শহরের কোন দোকানে তারা দেখেন নি। কেউ কেউ মনিকা জামানের বাসার ঠিকানা চাইলেন, বালুশাই খেতে আসবার জন্য; কেউ কেউ আবার পরামর্শ দিলেন মিষ্টির দোকান খুলতে, এমন বালুশাই বেচে মনিকা জামান লাখপতি হয়ে যেতে পারেন, ইত্যাদি, ইত্যাদি!! এত মন্তব্যের জবাব দিতে দিতে শামীম উজ জামান যখন ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তখন নাজনীন, মনিকা জামান হয়ে প্রতিমন্তব্য করতে থাকেন। অল্প দিনেই নাজনীন ব্লগারদের আপা, ভাইয়া এসব সম্বোধন করে বেশ একটা সখ‍্যতার সম্পর্ক গড়ে তুললেন।

ইতিমধ্যে হামুতে তার কবিতার অনুরাগী একদল পাঠক তৈরি হয়েছেন; তারা খুবই জোরাজুরি করতে লাগলেন, এই চমৎকার কবিতা গুলো নিয়ে বই প্রকাশ করার জন্য। শামীম উজ জামানের মাথাতেও বই প্রকাশ করার চিন্তা এসেছে, ইতিমধ‍্যেই তো বন্ধু আলী রীয়াজের বেশ কয়েক খানা কবিতার বই প্রকাশিত হবার সাথে সাথে তুমুল প্রশংসিত হয়েছে!! কিন্তু সমস্যা একটা আছে- পাঠককুল তো শামীম উজ জামানের কবিতার অনুরাগী নয়, তারা চাইছে মনিকা জামানের কবিতার বই। শামীম উজ জামান কেবল ভাবেন আর দীর্ঘশ্বাস ফেলেন, কোন উপায় বের করতে পারেন না। এদিকে মনিকা জামানের পোস্টে মন্তব্য করে অনেকেই হুমকি দিচ্ছেন, এবার বইমেলায় মনিকা জামানের কবিতার বই না থাকলে তারা মেলা বয়কট করবেন!! হাজার দীর্ঘশ্বাস ফেলার পর অবশেষে শামীম উজ জামান সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি মনিকা জামান নামেই কবিতার বই প্রকাশ করবেন, নাই হলো এ জীবনে নিজের নামে কাব্য খ্যাতি........ 

বই প্রকাশ করা তেমন কঠিন কিছু না, প্রবাসী বাঙ্গালীদের অনেকেই বই লেখেন, সেসব বই প্রকাশে সাহায্য করেন নিউইয়র্কের কয়েকজন এজেন্ট, তারা ঢাকার প্রকাশনী থেকে বই প্রকাশ করে দেন। এমন একজন এজেন্টের সাথে কথাবার্তা বলে শামীম উজ জামান সব ঠিক করলেন। প্রচ্ছদ, প্রুফ সব তিনি আমেরিকায় বসেই ঠিক করলেন, তারপর দীর্ঘশ্বাস জড়ানো সেই বইয়ের নাম দিলেন, "স্বপ্নেরা যায় উড়ে...... হায় রে"। হামুতে পোস্ট দিয়ে বইয়ের কথা জানালেন, অনুরাগীকুল খুব উৎসাহ দেখালেন।

বইয়ের ব্যাপারে তিনি নিজেও খুব উৎসাহ বোধ করছিলেন; হোক না ছদ্মনামে লেখা, বইয়ের প্রতিটি শব্দে যে তার ভালোবাসা জড়িয়ে আছে! তাই বই মেলার সময় সাত দিনের ছুটি নিয়ে শামীম উজ জামান ঢাকায় গেলেন। সাত দিনের প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত তার বইয়ের স্টলে বসে তার বইয়ের ক্রেতাদের নজর করেন। বড় ইচ্ছা করে তাদের সাথে আলাপ করতে, কিন্তু  ভুঁড়িতে হাত বুলিয়ে সেই ইচ্ছা দমন করেন! কেউ কেউ আবার খোঁজ নেয়, "আচ্ছা, মনিকা জামানকে কবে পাওয়া যাবে? তার একটা অটোগ্রাফ নেবার বড় ইচ্ছা!" কয়েকজনের এমন ইচ্ছার কথা শুনে শামীম উজ জামানের মাথায় একটা বুদ্ধি এল, তিনি বিক্রেতাকে বলে দিলেন, এরপর থেকে কেউ অটোগ্রাফ চাইলে তাকে বলতে হবে, মনিকা জামান অটোগ্রাফসহ বই উপহার হিসেবে পাঠাতে চান, তাই ঠিকানাটা  দিতে হবে। নয় জনের নাম-ঠিকানা পাওয়া গেল, শামীম জামান যত্ন করে দু'লাইন শুভেচ্ছা বাণী লিখে অটোগ্রাফ দিলেন প্রতিটি বইয়ে। তারপর একটা স্টেশনারি দোকানে নিজে গিয়ে প্রতিটি বইয়ে সুন্দর করে মোড়ক লাগাতে দিলেন, নিজে সুন্দরবন কুরিয়ার অফিসে গিয়ে বইগুলো ঠিকানা মত পাঠিয়ে দিলেন।

এবার ছুটি....…. রাত তিনটায় ফিরতি ফ্লাইট ধরলেন। তিনি একটুও ক্লান্তি বোধ করছেন না; হামু যেন চমৎকার একটা টনিক- শরীর মনকে তরতাজা করে রাখে! খুব ভালো লাগছিল প্রিয় ব্লগারদের বই গুলো উপহার পাঠাতে পেরে। প্রত্যেকেই নিশ্চয়ই অনেক খুশি হবে তার অটোগ্রাফ সহ বই পেয়ে, বইয়ের রিভিউ নিশ্চয় দেবে হামুতে! ভাবতে শামীম জামানের বেশ ভালো লাগছিল, কিন্তু মনের ভেতর কেন একটা খচখচ করছিল, কিছুতেই কারণটা ধরতে পারছিলেন না তিনি.......

তারপর হঠাৎই খচখচানির কারণটা ধরে ফেললেন- প্রতিটি অটোগ্রাফ দিতে গিয়ে তিনি মনিকা জামান হয়ে দু'লাইনের শুভেচ্ছা বাণীর লেখার পর যে স্বাক্ষর দিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট পড়া যায়, এস ইউ জামান..........



==================================================================================
==================================================================================
Midlife crisis বা মধ্য বয়সের সংকটে পতিত একজন মানুষের গল্প এটা। মধ‍্য বয়সে এসে অনেকের আত্মপরিচয় সংকট দেখা দেয়; Midlife crisisবিষন্নতায় আক্রান্ত হন, বাস্তবকে এড়িয়ে যাবার জন্য নানারকম কল্পনাবিলাসে মগ্ন হন; যেমনটা ডঃ শামীম উজ জামান হয়েছিলেন। গল্পে বর্ণিত সমস্ত ঘটনা ও চরিত্র কাল্পনিক-  ডঃ আলী রীয়াজ এবং বুদ্ধ দেব বসু বাদে, এরা বাস্তব চরিত্র।

পুরো গল্পটাই আরেকজন মধ্যবয়সী মানুষের কল্পনা বিলাসে রচিত- তাই এই গল্পের সাথে বাস্তবের কোন কিছুকে না মিলিয়ে রম‍্য হিসেবে নেওয়াই বাঞ্ছনীয়!!



ছবি: অন্তর্জাল

আগের পর্ব:view this link

এই লিংকটি দিয়েছেন view this link নীল আকাশ। মন্তব্যগুলো পড়ে হাসতে হাসতে শেষ হয়ে গেছি। নীল আকাশ কে ধন্যবাদ, অসংখ্য।





 

 

















মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +২২/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: সামু থুক্কু হামু নিয়ে যা লিখেছেন, তা পড়ে হাসছি আর ভাবছি.....।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬

করুণাধারা বলেছেন: আপনিও এই ভুলটা করলেন!! আমি কিন্তু আমাদের প্রিয় সামু ব্লগের কথা বলিনি, এটা আমার কল্পনার হামু ব্লগ, আর তার ব্লগারদের গল্প........

মন্তব্য ও প্লাস পেয়ে অনেক ভালো লাগলো; অনেক ধন্যবাদ।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চমৎকার.....প্রথম পর্বের চেয়েও চমৎকার। খুবই মজা পেয়েছি পড়ে। আপনি এমন লেখা আরো লেখুন!! :)

মজার ছলে খুবই বাস্তব একটা চিত্র তুলে ধরেছেন ব্লগের। কিছু লুল ব্লগারদের জন্য এটা একটা চপেটাঘাত! মেধাকে মুল্যায়ন করা উচিত মেধা দিয়ে.....লিঙ্গ বিচারে না। ব্লগারদের মতো উন্নত প্রজাতীকেও যদি এসব শেখাতে হয় তাহলে এর চেয়ে দুঃখের আর কি হতে পারে! এখন বুঝেন......সাধারন মানুষের কি অবস্থা!!

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪

করুণাধারা বলেছেন: এমন লেখা আমি লিখিনি আগে, কিন্তু মনে হয় ব্লগাররা এমন পোস্ট পড়তেই পছন্দ করেন। ব্লগে উপস্থিত থাকার জন্য তাই এমন পোস্ট নেই হাজির হলাম। আপনার প্রশংসায় আপ্লুত হলাম ভূয়া মফিজ!

অবশ্য এটা ঠিক, সামু ব্লগে পোষ্টের বিষয়বস্তুর চেয়ে কখনো কখনো পোস্টদাতার পরিচয় মুখ্য হয়ে ওঠে, মন্তব্যর সাথে পোস্টের কোন সম্পর্ক থাকে না। খুবই হাস্যকর লাগে এটা। এটা কে কটাক্ষ কিছুটা করা হয়েই গেল.......

মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: হামুর ছাইয়াদের পিন্ডি যেভাবে চটকালেন। এরপর তো এই ধরণের ভিমরতিওয়ালাদের আর মুখ দেখানো সম্ভব নয় মনে কয়। যদিও হামুতে এখন তেমন আর ছাইয়া-টাইয়া দেখা যায় না বললেই চলে। :D

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯

করুণাধারা বলেছেন: হামু, হাতের মুঠোয় বিশ্ব ব্লগ- পুরোপুরি কাল্পনিক একটা ব্লগ। এর সাথে কোন ছাইয়া ভাইয়াদের মেলানো যাবে না, আমি পোস্টের শেষে বলে দিয়েছি! আর এটা পুরোটাই রম্য, কেউ আবার সিরিয়াসলি নেয় কিনা সেই ভেবে শঙ্কিত আছি.....

মন্তব্য ও প্লাস দিয়েছেন বলে ধন্যবাদ জানাই, আখেনাটেন।

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: রম্য ভালো হয়েছে, তবে আমার অনুমানটা আর আলোর মুখ দেখল না। :)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: ভাগ্যিস আলোর মুখ দেখেনি, কারো সাথে মিলে গেলে তিনি দুঃখ পেতেন, আর রম‍্য হয়ে যেত সিরিয়াস ব্যাপার.......

আপনার যেটা মনে আছে সেটা লিখে ফেলুন, সম্রাট ইজ বেস্ট। বহুদিন হলো কোন পোস্ট দিচ্ছেন না।

মন্তব্য প্লাসের বিনিময়ে ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫২

মুক্তা নীল বলেছেন: আপা,
অসংখ্য ধন্যবাদ তাড়াতাড়ি দিয়েছেন বলে। রম্যরচনায় ভীমরতিতে
শুধু মধ্যবয়সী মানুষের কল্পনা বিলাসে ভাসে না, এদের সাথে অনেকেই ভাসেন।(বিশেষ করে তিনারা)
জয় হোক হামু ব্লগের, জয় হোক রম্য লেখার ++++++
শুভ কামনা রইলো আপা'র জন্য।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্য ও প্লাসে আপ্লুত হলাম, মুক্তা নীল।

শেষ পর্ব তাড়াতাড়ি দিলাম, যাতে ঘটনাগুলো সব মনে করা যায়। ঠিক কথা, ভীমরতি যে কোন বয়সেই হতে পারে, এজন্য নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া দরকার।

শুভকামনা রইল, মুক্তা নীল।

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: গুড। মজার গল্পো।


ভাবছি, একটা ভাপু নিক খুলবো। মাল্টি থেকে ছাইয়া হয়ে যাবো...:D ভুয়া মফিজ, আখেনাটেন সাবধান।
কিন্তু শেষে যদি এস ইউ জামান টাইপের কিছু করে বসি, তাহলে তো কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে....:P



অ.ট:
মিসেস ধারা, শায়মার কি বাবু হবে?(প্রশ্নটা কেন জানি মাথায় এলো)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০৬

করুণাধারা বলেছেন: মিসেস ধারা, শায়মার কি বাবু হবে?(প্রশ্নটা কেন জানি মাথায় এলো)


বাচাল কত চাল মেরে যে কথা বলে.......... শায়মার প্রাইভেট সেক্রেটারির ফোন নাম্বার পেলেই, এই প্রশ্নের উত্তর জেনে নিয়ে জানাবো।

তবে গল্প ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো, থ্যাঙ্ক ইউ পাঠকের প্রতিক্রিয়া।

৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮

অজ্ঞ বালক বলেছেন: সামু আরে ধুরু থুক্কু, হামু ব্লগের এক্কেরে পিন্ডি চটকাইয়া দিছেন। ভাল্লাগছে, খুবই ভাল্লাগছে। তবে শামীমের জইন্য সমব্যাদনা। বেচারা।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১২

করুণাধারা বলেছেন: সত‍্যি, আমারও শামীমের জন্য বড় হয়েছে দুঃখ লাগছে। ব্লগে হয়ত তার স্বাক্ষর নিয়ে তুমুল আলোচনা হবে, অবশেষে তার পরিচয় বের হবে এবং সে বাধ্য হয়ে হামু ছেড়ে যাবে। নাকি, সে আবার কোনো পরিচয় ফিরে আসবে কে জানে!!

মন্তব্য আর প্লাস দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ অজ্ঞ বালক।

৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভীষন মজার।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১২

করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, রাজীব নূর।

৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

হাবিব বলেছেন: আপা, আপনাকে আর স্পেসে ছাড়লো না........ গল্প সম্পর্কে মতামত: B-)

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৫

করুণাধারা বলেছেন: না, আমাকে স্পেস আর ছাড়লো না। অনেক চেষ্টা করলাম, তবুও.............. :((

মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক, ধন্যবাদ হাবিব স্যার।

১০| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২০

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আপনার লেখার হাত সুন্দর।

আমার ভালো লাগে পড়তে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:১৭

করুণাধারা বলেছেন: প্রশংসা বাণীতে আনন্দে আপ্লুত হলাম, মাহমুদুর রহমান

ভালো থাকুন, সব সময়।

১১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভুঁড়িতে হাত বুলিয়ে সেই ইচ্ছা দমন করেন
=p~
খুবই রম্য
মফিজ কীর্তি পড়ে আপনার উপর একটা ভরসা ছিলো
চলুক

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২০

করুণাধারা বলেছেন: আনন্দ দিতে পেরেছি জেনে খুব ভালো লাগছে, ব্লগার প্রান্ত।

শুভকামনা রইল অনেক।

১২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

জুন বলেছেন: হামু যেন চমৎকার একটা টনিক :P
অনেকেই এই টনিকের লোভেই আসে। তারপর যখন দেখে না এখানে সত্যি ভালো ভালো বিষয় নিয়ে লেখালেখি হয়, তথ্যের আদান প্রদান চলে তখন এস ইউ জামানের মত তারা ফিরতি ফ্লাইট ধরে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২০

করুণাধারা বলেছেন: ব্লগ যে সত্যি শক্তিদায়ী টনিকের কাজ করে, এটা বুঝতে পেয়েছিলাম যখন কদিনের জন্য ব্লগে ঢুকতে পারিনি। তখন সবসময় অবসন্ন বোধ করতাম। ভাগ্যিস ঘুর পথে ব্লগে ঢোকার উপায় আবিষ্কার করতে পারলাম!!

ব্লগে থাকার জন্য এইসব পোস্ট। মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ, জুন।

নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

১৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৭

বলেছেন: আপানর লেখার মুন্সীয়ানার প্রশংসা না করলে যেন লেখকের প্রতি অবিচার করা হবে।
মিডলাইফ ক্রাইসিস ভুগা আহত ও অতৃপ্ত রসনার কথা খুব ভালোভাবে উপস্থাপন করেছেন সেই সাথে লেখার ভঙ্গিতে চরিত্রগুলো জীবন্ত করে তুলে ধরেছেন।

আরো লিখুন, আমরা পড়ি।


শুভ কামনা।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৫

করুণাধারা বলেছেন: এমন মন্তব্য আর প্লাস লেখালেখি চালিয়ে যেতে আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দিল ল। আশাকরি ভবিষ্যতেও সাথে থাকবেন।

শুভকামনা রইল।

১৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: নারীদের ভীমরতি নিয়ে কিছু লিখুন

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৭

করুণাধারা বলেছেন: বড় মুশকিলে ফেলে দিলেন! দেখি লেখা যায় কিনা......


শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

১৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৫৪

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: খুব ক্লান্তির দিনের শেষে হামু কাহিনী টনিকের কাজ দিয়েছে। আর কবিতার বইয়ের নাম সেই হয়েছে। নিটোল বিনোদনের জন্যে ধন্যবাদ। আগের পর্বগুলো সময় করে পড়বো।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩১

করুণাধারা বলেছেন: আহা! বড় ভালো লাগলো শুনে :D

এর আগে একটা পর্ব আছে। পড়ে ফেলুন সেটাও সময় করে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, রিম সাবরিনা জাহান সরকার।

১৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৪:২০

কালো যাদুকর বলেছেন: দুটি পর্ব পড় লাম। ভীষণ মজার হোয়েছে। এখন থেকে হামু নিয়মিত পরতে হবে।

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কালো যাদুকর, হ্যাঁ নিয়মিত হয়ে যান এখন থেকে.........

আমি আপনার ব্লগ ঘুরে আসলাম এইমাত্র।

১৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: খুব ভাল লাগলো।

বাস্তব সম্মত হয়েছে।
+++

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: আপনাকে ব্লগে পেয়ে আমারও খুব ভালো লাগলো মোঃ মাইদুল সরকার। প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

১৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আয় হায় !
একি একি! থুতনি কাটা চোখ ডাকা ছবি কুতায় যেন দেখেছি!!!
:P
=p~ =p~
সত্যি করে কনতো রিভার্স মারছেন নাতো ;)
অনেকেই চিনে যাওয়ায় কারো জন্যে শীল্ড প্রটেকশনা রম্য :-/ =p~ =p~

হা হা হা
নার্থিং সিরিয়াস। মন্তব্যটাও রম্য মনে করে নিয়েন। বাস্তবের কারো সাথৈ মিল হলে কাক বা কোকিল তালীয়ে বলে ঝেড়ে ফেলুন!
;)

রম্যে মুগ্ধতার সাথৈ এত্তগুলান +++++

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৯

করুণাধারা বলেছেন: মহা পন্ডিত অধ্যাপক শামীম উজ জামান অনেক মাথা খাটিয়ে এইভাবে কালো ফিতা দিয়ে চোখ ঢেকে, থুতনি কেটে ছবি দেওয়ার সিস্টেম আবিষ্কার করেছেন; এতে চেহারাটা একটু একটু বোঝা যাবে, কিন্তু কপিরাইট আইনে কেউ ধরতে পারবেনা। এই বুদ্ধি অন্য কেউ নিয়ে নিল নাকি? সত্যিই আপনি দেখেছেন??? কুতায়? কুতায়? কুতায়? আমিও মনে হয় দেখেছি, মনে করতে পারছিনা এখন! আর কোন ব্লগে এমন ছুপা মনিকা জামান নাই তো?? সত্যি চিন্তায় পড়ে গেলাম। :||

এটা রম‍্য! কেউ সিরিয়াস হলে আমি গেছি.........

আপনার মুগ্ধতায় তাই আমি আপ্লুত ভৃগু, তাই হ্যাপি নববর্ষ জানাই।

১৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: খুব খুব চমৎকার ভাবে লিখিত পোস্ট;
দারুণ রম্য আপু !! এখন রিয়েল লাইফ মনিকা ভক্ত রা কিছু শিক্ষা নিলেই হয়।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৬

করুণাধারা বলেছেন: পোস্টটা রম্য হিসেবেই দিয়েছিলাম, কিন্তু ভয় পাচ্ছিলাম কেউ আবার ক্যাচাল না লাগায়!! আল্লাহর রহমতে তেমন কিছু হয় নি, সবাই একে রম্য হিসেবেই নিয়েছেন....... তবে ব্লগের একটা বৈশিষ্ট্যের কথা আমি বলেছিলাম, নীল আকাশ আমাকে একটা লিংক দিলেন, সত্যি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটে!!! দুই লাইনের পরিচিতি মূলক পোস্টে ২০১২ মন্তব্য!!! দেখে তো আমি হাসতে হাসতে শেষ! এই যে সেই লিঙ্ক: view this link

২০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,




ব্লগীয় সংস্কৃতির একটা দিক খুব বাস্তবতার সাথেই চিত্রায়িত করেছেন। অন্যদিকটির কথা সহব্লগার জুন যেমন বলে গেছেন সেটা হলো, ব্লগে সত্যি ভালো ভালো বিষয় নিয়েও বেশ লেখালেখি হয়, তথ্যের আদান প্রদান চলে। এটা ব্লগের স্বাস্থ্যকর একটা দিক।

তবে " আপনার লেখায় রস নেই." আপনার কোনও পোস্টে এমন একটি মন্তব্যের কারনে সম্ভবত এই রসালো লেখাটির জন্ম।
এটাও তো নিজেকে এক ধরনের খুঁজে দেখার মতোই!

দারুন রম্য।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্য প্লাসে আপ্লুত হলাম! ব্লগে অনেক রকম তথ্যের আদান-প্রদান হয়, গল্পকবিতা- দর্শন- বিজ্ঞান- ভ্রমণ কাহিনী
আরো নানা বিষয়ে লেখা থাকে, সে সমস্ত জিনিস দেখেই তো শামীম উজ জামান নিজের গবেষণা ভুলে, সমস্ত কিছু ভুলে ব্লগে সময় কাটাতে লাগলেন এটা আমি গল্পের প্রথম পর্বে উল্লেখ করেছিলাম। ব্লগ একটি চমৎকার জায়গা, নিজেকে হারাবার এবং নিজেকে খুঁজে পাবার। তবে সবটাই কেবল কল্পনা নয়, বাস্তবেও এমন হয়- দেখুন এখানে: view this link

এই লেখায় আমি নিজেকে নতুন করে খুঁজে পেলাম, আপনি ধরিয়ে না দিলে এটা অবশ‍্য বুঝতে পারতাম না..... অসংখ্য ধন্যবাদ!

২১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৫১

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
খুব ঝামেলার মধ্যে আছি ব্লগে ঢুকা নিয়ে। আজকেও নতুন একটা প্রক্সি বের করলাম ঢুকার জন্য।
আগে গত পর্বের আপনার মন্তব্যের উত্তর: আমার লেখা আপনার মত ভালো হয় না, সুতরাং আপনাকে অনুরোধ করছি আবার লিখতে- সেই যে ব্লগারদের শ্রেণীবিভাগ সম্পর্কে লিখেছিলেন, অনবদ্য হয়েছিল! আপনার সেই লেখাটির কথা বিশেষভাবে মনে পড়ল নিচের ১২ নম্বর মন্তব্য দেখে! - আপানর লাইন পড়ে আমি সেইরকম বিব্রত হয়েছি। দুস্টামি করে কি সব লিখেছি আর আপনি বলেছেন ভালো?? আর ঐ ১২ নাম্বারের ব্যাপারে নতুন কি বলব? আমার সহী তরীকা # ০২ উনাকে নিয়েই লেখা, এত কষ্ট কি সাধে করেছি সেটা লেখার জন্য?? এই সময়ে আমি অন্য অনেক গুলি গল্প লেখা নিয়ে ব্যস্ত। আপনার ২য় পর্ব লেখার অনুরোধ মনে লিখে রাখলাম। মাথায় আগের মতো কোন কুবুদ্ধি আসলেই লিখে ফেলবো।

আর এই লেখার ব্যাপারে নতুন আর কি বলব? এটা দেখে আসুন। একেও আমার সন্দেহ হয়। অপি আক্তার এর বাংলা ব্লগ

ব্যক্তিগত ভাবে আমি মাল্টি বা ভাপু কোনটাি পছন্দ করি না। তবে এত এত ব্লগের মধ্যে হুট করে এসে জায়গা করে নেয়া সত্যই কঠিন। বিশেষ করে ছেলে হলে অনেক স্ট্র্যাগল করতে হয়। আমি নিজেই সেটা বুঝেছি। জামান সাহেবের বইয়ের শেষে সাইন করা নিয়ে আমি তাকে দোষ দেই না।

আপনার জন্য একটা সারপ্রাইজ রেডি করছি। বলব না কি জিনিস!!

ভালো থাকুন প্রিয় আপু, সব সময়।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা রইল!!

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: দেরি হয়ে গেল উত্তর দিতে দিতে, নীল আকাশ। ব্লগে ঢোকার এই অসুবিধার মাঝেও আপনি এত বড় মন্তব্য করেছেন এবং প্লাস দিয়েছেন দেখে অনুপ্রাণিত হলাম!!!

গতকাল যখন দেখেছিলাম আপনার ব্লগে ঢোকার অসুবিধা হচ্ছে, তখন আমার খুব খারাপ লাগছিল, কিন্তু এই বিষয়ে আমার জ্ঞান এত কম যে, কিছু বলতে পারছিলাম না। যাক সমস্যার সমাধান হয়েছে- এটাই স্বস্তির। আমাকে একজন শিখিয়ে দিয়েছে ভিপিএন দিয়ে ঢোকা, আমি মোবাইল দিয়ে সেভাবেই ঢুকি।

আমি আসলে খুব হাল্কা ভাবে বলেছিলাম আপনাকে এমন পোস্ট দেওয়ার কথা, আসলে এই ধরনের লোকদের পুরোপুরি উপেক্ষা করা উচিত, এদের কথা ভেবে কোন পোস্ট দিয়ে সময় নষ্ট করা ঠিক না। আপনার নতুন গল্প আর সারপ্রাইজ এর অপেক্ষায় রইলাম।

এই লিংকটা অসাধারণ!! আমি পড়ে হাসতে হাসতে শেষ! আমি কিন্তু এটা আমার পোস্টে যোগ করছি!

অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আরেকবার।

২২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নবাবগঞ্জ নিয়ে কিছু লিখুন।
জায়গাটি আমার খুব ভালো লাগে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: ঠিক বুঝলাম না। :(

২৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০১

তারেক ফাহিম বলেছেন: গল্পটি চোখে না পড়াতে মন্তব্য করতে একটু দেরি হল বলে দুঃখিত।

আপনার পূর্বের পর্বের প্রতিত্ত্যর খুজতে গিয়ে প্রত্তিত্যরের থেকে জানলাম, শেষ পর্ব হামুতে থুক্কু সামুতে আসলো :-*

হাগু ব্লক =p~ :-P
পড়ে হাসিতে গড়াগড়ি।


শেষে............. জামাল সাহেবের স্বাক্ষর :-B

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪

করুণাধারা বলেছেন: এমন মন্তব্য পেলে আবার লিখতে ইচ্ছে হয়........

অনেক ধন্যবাদ, তারেক ফাহিম। :)

২৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: হাসতে হাসতে ফিনিশ হয়ে হেলাম B-))

নীল আকাশ ঐ লিংকটা দিয়েছেন দেখছি। সামুর পুরানা ক্যাচাল পোস্ট ঐটা। উনি একটা পোস্ট দিয়েই হিট প্লাস হাওয়া।

শেষটা চমকপ্রদ :)

আপনার ব্লগিংও কি Midlife crisis ;)

ইউটিউব ভিডিও যোগ করতে লিংকটা কপি করে মুভির বা ক্যামেরার রিলে চিন্তিত স্থানে ক্লিক করে লিংক এ্যাড করুন।

নিচের ছবিতে তীর চিন্তিত অংশটাতে ক্লিক করুনঃ

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬

করুণাধারা বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানিয়ে দেই, ইউটিউবের ভিডিও লিংক কিভাবে দিতে হয় সেটা শেখানোর জন্য.....

হাসাতে পেরেছি জেনে খুব ভালো লাগলো, আর্কিওপটেরিক্স। এত বিশাল একটা পোস্ট পড়েও যদি কেউ না হাসতো, তাহলে বিশাল দুঃখ পেতাম।

হ্যাঁ, আমার ব্লগে আগমনের পিছনে প্রধান কারণ এই ক্রাইসিস। :|

২৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০৯

জাহিদ অনিক বলেছেন: হাতের মুঠোয় ব্লগে এমন মনিকা জামান থাকলেও আমার বিশ্বাস আমাদের ব্লগে এমন কেউ নেই ;)
সামু এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্সী নীতি অনুসরণ করে নিশ্চয়ই। :)

হা হা! ভালো লাগলো আপু
শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০

করুণাধারা বলেছেন: হাতের মুঠোয় ব্লগে এমন মনিকা জামান থাকলেও আমার বিশ্বাস আমাদের ব্লগে এমন কেউ নেই

আমারও বিশ্বাস আমাদের ব্লগে এমন মনিকা জামান কেউ নেই। অবশ্য আমাদের ব্লগে নাভীনার মত একজন সুন্দরী ব্লগার আছেন, যিনি কালো ফিতা দিয়ে চোখ ঢেকে, আর নাইলে থুতনি কেটে নিজের ছবি পোস্ট করেন!!!!! উনার নামটা মনে পড়ছে না, মনে পড়লেই জানাবো।

আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো। এই মন্তব্য আর প্লাস পেয়ে আমিও অনুপ্রাণিত হলাম......... ধন্যবাদ জাহিদ অনিক!

২৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার রম্য। তবে রম্য হলেও, বাস্তবের মিশেল লেখাটাকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
মিড লাইফ বা পোস্ট মিড লাইফে বিশেষ করে পুরুষদের ভীমরতি নিয়ে অনেকেই কৌতুহল ও কৌতুক, দুটোই বোধ করেন। কিন্তু এর পেছনে অনেক সময় করুণ কিছু কাহিনী থাকে। আমার এক এন্ডক্রিনোলজিস্ট বন্ধুর কাছ থেকে আড্ডায় বসে কথায় কথায় অনেক কিস স্টাডি'র কথা জেনে রীতিমত অবাক হয়ে গেছি।
"Hormones have an elegance and matchless wonder about them that is little known or understood."
পোস্টে প্লাস + +

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬

করুণাধারা বলেছেন: পুরনো পোস্টে আপনার চমৎকার মন্তব্য আনন্দদায়ক প্রাপ্তি। বরাবরের মতই আনন্দিত হয়েছি এবারও। তবে মনটা খুব বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে বলে এতদিন প্রতিউত্তর করতে যাইনি।

মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার কয়েকটা পোস্ট পড়েছি, কয়েকটা শুধু শিরোনাম দেখেছি। ধীরে ধীরে সব পড়বো ইনশাআল্লাহ। ভালো থাকবেন।

২৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্যরি, উপরের মন্তব্যে "কিস স্টাডি'র কথা" পড়তে হবে কেইস স্টাডি'র কথা

০৬ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮

করুণাধারা বলেছেন: বুঝতে পেরেছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.