নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১) "কঙ্কাবতীর কথা" বইটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে লেখক বলেছেন এভাবে:
ইদানিং কালে ক্রমবর্ধমান সমস্যা সংসারের ভাঙন। দুটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মান-অভিমান বিবাদ বিদ্বেষের মাঝে সন্তানের পায়ের তলার ভিতটি নড়ে যায় যা প্রায়ই আমরা বড়রা অনুধাবন করি না। কিন্তু নেতিবাচক পরিবেশ ও পরিস্থিতি শিশুমনের ও বেড়ে ওঠায় ফেলে নেতিবাচক প্রভাব। এই গল্পটি এগিয়ে গেছে ব্রোকেন ফ্যামিলির একটি শিশুর নানা প্রতিকূলতার মাঝে বেড়ে ওঠা নিয়ে।
এমনই একটি বন্ধুর পথ পরিক্রমায় এগিয়ে গেছে মেয়েটি এবং একান্ত মনোবলে জীবনের শেষ পর্যন্ত লড়ে গেছে ..........
ছিয়ানব্বই পৃষ্ঠার এই উপন্যাসের কাহিনী এগিয়ে গেছে একটি মেয়ের নিজের বয়ানে। গোটা উপন্যাসে মেয়েটিকে কেউ নাম ধরে ডাকে না, তাই মেয়েটির নাম জানা যায় না, কেবলমাত্র উপন্যাসের নামকরণ দেখে মনে হয়, মেয়েটির নাম কঙ্কাবতী। অতি শৈশবে বাবা মায়ের মধ্যে ঘটা বিচ্ছেদের প্রভাব সে বুঝতে পারে না, কিন্তু মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের পরেই তার প্রতি মা কেবল নিস্পৃহ নন, কখনো কখনো খুব নির্দয় আচরণ করতে থাকেন। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ের পর হওয়া নতুন এই সংসারে তার প্রাণ কাঁদত মায়ের একটু ভালোবাসার ছোঁয়া পাবার জন্য...... শুধু মায়ের কাছাকাছি থাকবার জন্য কঙ্কাবতী নতুন বাড়িতে সকলের দেয়া সব উপেক্ষা আর অবহেলা সয়ে রয়ে যায়, তার নিজের দাদুর বাড়িতে না গিয়ে।
কিছু আনন্দের, আর তারচেয়ে বেশি কষ্টের দিনগুলোর পার করে একসময় কঙ্কাবতীর জীবনে ভালোবাসা এলো, তারপর এলো অনাকাঙ্খিত বিচ্ছেদ; তারপর আবারো ভালবাসা এলো........
প্রায় টিন এজার একটি মেয়ে জীবনের সব জটিলতার বিরুদ্ধে কিভাবে একাকী লড়ে যায়, অবশেষে নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেই নেয়, "কঙ্কাবতীর কথা" তারই গল্প। এই গল্পের চরিত্রগুলোয় এবং ঘটনায় কোন ঘনঘটা নেই, নির্মোহ বর্ণনা। কঙ্কাবতীর প্রতি মায়ের বিমাতাসুলভ আচরণ কেন- এই প্রশ্নের উত্তর জানবার জন্য পাঠক প্রথম থেকেই খুব আগ্রহী হয়ে ওঠেন, কিন্তু জানতে পারেন একেবারে গল্পের শেষে। কঙ্কাবতীর মায়ের কিছুটা অদ্ভুত মানসিকতার চমৎকার ব্যাখ্যাও মেলে বইয়ের শেষে এসে, মায়ের ডায়েরি করে কঙ্কাবতী মায়ের জীবনে অনেক না জানা কথা জানতে পারে।
গল্পে আবেগের বাড়াবাড়ি নেই, খুবই সংযত ভাষায় কঙ্কাবতী তার গল্প বলে গেছে, তবু পড়তে পড়তে পাঠক আবেগী হয়ে ওঠেন, কঙ্কাবতীর দুঃখে বেদনাবোধ করেন। ব্রোকেন ফ্যামিলিতে একটা শিশুর অব্যক্ত যন্ত্রণাকে এই গল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে লেখক পুরোপুরি সফলতা অর্জন করেছেন। আবার কখনো কখনো কঙ্কাবতীর কথা হয়ে ওঠে আমাদের অনেকেরই মনের কথা; যেমন:
পৃথিবীতে এত মায়া এত কষ্ট এত পাওয়া না পাওয়ার হিসেব নিকেশের মাঝেও প্রকৃতি বড় সুন্দর আর নির্লীপ্ত। আমার মন হুহু করে ওঠে। হঠাৎ নিজেকে এই বিশাল পৃথিবীতে বড় একা লাগে। আমার পাশে কেউ নেই। কোথাও কেউ নেই। তবু কত মায়ায়, কত কান্নায়, কত হেলাফেলায় জড়িয়ে আছি আমি এই নিষ্ঠুর এবং মায়াময় পৃথিবীতে.......
গল্পে লেখক একটা মেসেজ দিয়েছেন। বাবা- মায়েরা বনিবনা না হলেই পরিবার ভেঙে দিতে পারেন, আবার নতুন করে পরিবার গড়তেও পারেন, কিন্তু ভাঙ্গা পরিবারের সন্তানের মনোজগতের যন্ত্রণার কথা কেউ জানতে পারেন না। তাই যেসব মা বাবারা নিজের সন্তানকে ভালোবাসেন, তাদের এই বইটি পড়া খুব দরকার; যেন পরিবার ভেঙে দেবার আগে একবার ভাবতে পারেন এর ফলে তার আদরের সন্তান কতটুকু যন্ত্রণার মধ্যে পড়তে পারে।
দুটো জিনিস বাদে এই বইয়ের সবকিছু ভালো লেগেছে। প্রথমত, বইয়ের কলেবর; গল্পটিকে অনায়াসে আর একটু বড় করা যেত, কিন্তু মনে হল যেন লেখক হুট করে গল্পটি শেষ করে দিয়েছেন। দ্বিতীয়ত, বইয়ের প্রচ্ছদ; কঙ্কাবতী এক সংগ্রামী মেয়ে, জীবনের নানা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করে পায়ের নিচে শক্ত মাটি খুঁজে নিয়েছে, প্রচ্ছদের চোখ বোজা, লজ্জাবতী লতার মতো ছবিটা একেবারেই তার চরিত্রর সাথে মেলে না! প্রচ্ছদের মাঝখানে এই ছবিটিকে দেখে মনে হয়েছে, গেঞ্জিতে- মগে যেভাবে ছবি প্রিন্ট করে দেয়া হয়, এখানেও মলাটের মাঝখানে সেভাবে একটা চকচকে ছবি প্রিন্ট করে দেয়া হয়েছে!! নিত্যনতুন আইডিয়া বাস্তবায়ন করতে ভালবাসেন প্রচ্ছদশিল্পী শায়মা হক, হয়তো প্রচ্ছদ নিয়ে এটা তার কোন এক্সপেরিমেন্ট..........কিন্তু এই প্রচ্ছদ আমার ভালো লাগে নি!!!
প্রচ্ছদ নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা আছে। মলাটে লেখা, প্রচ্ছদ করেছেন ঘুড়ি টিম; ভিতরে লেখা শায়মা হক!!!
চমৎকার বইটি ঘরে বসে পেতে চাইলে অর্ডার করুন রকমারি ডট কমে!
কঙ্কাবতীর কথা
লেখক: শায়মা হক
প্রকাশক: এক রঙা এক ঘুড়ি
প্রচ্ছদ: শায়মা হক (ঘুড়ি টিম?)
পৃষ্ঠা: ৯৬
মূল্য: ২৫০ টাকা
২) জীবনের পথে চলতে চলতে কবির মনে নানা রকম ভাবনারা ঘোরাফেরা করেছে- সেগুলোকে কবিতায় রূপ দিয়েছেন তিনি "Wandering Thoughts" নামক বইটিতে। এখানে কবিতার বিষয়বস্তু বিবিধ; আছে প্রকৃতি, ভালোবাসা, কবি ও কবিতা, সম্পর্ক, প্রিয়জন আর জীবনে চলার পথে দেখা নানা ছোটখাটো বিষয়, নকশী কাঁথা থেকে বিড়াল! কবিতা গুলো সাজানো হয়েছে কালানুক্রমিকভাবে, প্রথম কবিতা লেখার সময় দেয়া আছে ৬ জুলাই ২০১৩, শেষ কবিতা ২১ মে ২০১৫। অবশ্য দ্বিতীয় কবিতা লেখার সময় দেখাচ্ছে ২ জুলাই ২০১৩, সম্ভবত এটা ১২ জুলাই হবে।
কবিতা গুলো চার বা পাঁচ স্তবক বিশিষ্ট; এর চাইতে কম- বেশি স্তবকের কবিতাও আছে। কোন কোন কবিতার শেষে ছোট ব্যাখ্যাও দেয়া আছে, যাতে কবিতাটা সহজে বোঝা যায়; যেমন A Solitary Flower (পৃষ্ঠা- ৩৫) কবিতার শেষে কবি বলছেন, নেপালের নাঙ্গলকোট ভ্রমণকালে কবি একটি একাকী পুষ্প দেখে এই কবিতা লেখার প্রেরণা পেয়েছিলেন। (অবশ্য এখানে কিছু একটা ভুল আছে; হবে নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা অথবা হবে নাগরকোট, নেপাল)
Going Away কবিতায় কবি বলছেন, ধাবমান যে কোনো যানবাহন, বিমান- রেলগাড়ি- বাস যাকেই তার থেকে দূরে চলে যেতে দেখেন, সেই যানবাহনের অচেনা যাত্রীদের তার খুব আপন মনে হয়, তিনি মনে মনে শুভকামনা জানান যেন তারা নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে যায়। যখন কবির দৃষ্টিসীমার বাইরে যানবাহনটি চলে যায় তখন তিনি বেদনার্ত হন। কবিতা শেষে তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তার এই ব্যাপারটি অদ্ভুত হলেও, একেবারে সত্যি!!
একটি বেশ দীর্ঘ কবিতা লিখেছেন, Love Your Spouse (পৃষ্ঠা-১৫) এখানে কবি জীবনসঙ্গীকে ভালোবাসার তাগিদ দিয়েছেন, বলেছেন জীবনসঙ্গীকে ভালোবাসলে ঘরে ঘরে স্বর্গ নেমে আসবে। চমৎকার বাণী এই কবিতার.....
একটা কবিতা পড়তে গিয়ে মনে পড়ল, বহুদিন আগে গায়ক তাহসান তার স্ত্রী মিথিলাকে নিয়ে একটি গান গেয়েছিলেন, "বিন্দু আমি, বৃত্ত হয়ে তুমি থাকো আমায় ঘিরে", এই ধরনের কিছু কথা ছিল গানে। তখন এই জ্যামিতিক গান শুনে অবাক হয়েছিলাম, কিন্তু এবার এই বই পড়ে জানলাম জ্যামিতিক কবিতাও হয়; যেমন:
When we first met, back in those good old days,
We were as though in an isosceles triangle,
Two equal sides, with equal height,
Standing on the same base.
(Life Geometric, পৃষ্ঠা-৫৮)
আবার,
Life is a void circle,
I am at its center
So, it's no matter
If the circle is
Bigger or smaller,
I remain at its center.
(Life, A Void Circle, পৃষ্ঠা- ৬০)
We all tread on two parallel roads,
One we take to run errands of life,
.................
(In Parallel Ways, পৃষ্ঠা-৪৬)
এমন চমৎকার ৬৭টি কবিতা আছে এই বইটিতে। প্রতিটি কবিতাই সুখপাঠ্য, ছোট ছোট সহজ বাক্যে অন্তমিল দিয়ে লেখা। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সময়াভাবে কবিতা গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারলাম না, এটুকু বলতে পারি কবিতা গুলো বারবার পড়ার মতো। একথার সত্যতা যাচাই করতে চাইলে যোগাযোগ করে ফেলুন রকমারি ডট কম এর সাথে.......
বইয়ের প্রচ্ছদে রয়েছে স্নিগ্ধতার ছোঁয়া।
Wandering Thoughts
লেখক: খায়রুল আহসান
প্রকাশক: জাগৃতি প্রকাশনী
প্রচ্ছদ: মাহমুদ শান্ত
পৃষ্ঠা: ৮০
দাম: ২০০ টাকা।
৩) লেখাজোকায় অভিজ্ঞ, এবং অনভিজ্ঞ সাঁইত্রিশ জন লেখকের লেখা নিয়ে সংকলন "লেখাজোকা"। এখানে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের লেখা- গল্প, কবিতা, স্মৃতিকথা, ফিচার, রম্য, ছড়া ও অনুগল্প। এই সংকলনের মলাটের ফ্ল্যাপে বলা হয়েছে:
সামহোয়্যার ইন ব্লগ, লেখাজোকা গ্রুপ সহ ভার্চুয়াল নানা মাধ্যমে জনপ্রিয় গুণী কিছু লেখকের সেরা লেখাগুলোর মলাটবন্দি রূপ 'লেখাজোকা সংকলন'।
সেরা লেখা, সন্দেহ নেই তাতে! আর এই সেরা লেখাগুলো বাছাই করে, সংকলনে গ্রন্থিত করার কঠিন কাজটা দুই সম্পাদক শায়মা হক আর গিয়াস উদ্দিন লিটন মিলে সুচারুভাবে সম্পন্ন করেছেন।
দেখা যাক কেমন হলো সংকলনটি। পাঁচটি ভিন্ন বিষয়ের ওপর লেখা নিবন্ধর পর রয়েছে নয়টি ছোটগল্প, তারপর একটি অনুগল্প। প্রতিটির বিষয় আর লেখার ধাঁচ একেবারে আলাদা; তাই প্রতিটিই পড়তে ভালো লেগেছে। এরপর আছে তেরটি কবিতা। কবিতার পর তিনটি ছড়া; সব কবিতা আর ছড়া পড়ে ভালো লেগেছে, শুধু প্রথম ছড়াটা বাদে। এই ছড়াটা ভীষণ ভাবে মন খারাপ করে দিল............
তিনটি স্মৃতিকথা, একটা ফেলে আসা সময়কে নিয়ে আর বাকি দুটি প্রিয় মানুষকে নিয়ে। এবারো শেষ স্মৃতিকথা পড়ে আমার ভীষণভাবে মন খারাপ হলো........
গিয়াস উদ্দিন লিটনের রম্য অবশ্য মনের ভার অনেকটাই কাটিয়ে দিয়েছে এরপর!
সবশেষে ভ্রমণ কাহিনী। এটাও চমৎকার লাগলো!
সাঁইত্রিশটি লেখার প্রতিটি নিয়ে আলোচনা করার ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই! শুধু এটুকু বলি, এক মলাটে সাঁইত্রিশ রকম লেখার স্বাদ পেতে হলে বইটি পড়তেই হবে!
চমৎকার প্রচ্ছদ! তবে অঙ্গসজ্জা আরেকটু অন্যরকম হলে ভালো হত। যেমন সংকলনের প্রতি বিভাগের প্রথম লেখার উপর ছোট করে বিভাগের নাম লেখা আছে (গল্প, কবিতা, ছড়া.....ইত্যাদি) যদি প্রতি বিভাগের শুরুতে একটা আলাদা পৃষ্ঠায় এটা লেখা থাকতো, তবে বিভাগগুলোকে আলাদা করতে সুবিধা হতো। সম্ভবত পৃষ্ঠা সংখ্যা কমানোর জন্য এমন করা হয়েছে.......
চমৎকার সংকলনটি যদি পড়তে চান, তবে পাবার সহজ উপায় রকমারি ডট কমে যোগাযোগ করা।
"লেখাজোকা সংকলন"
সম্পাদনা: শায়মা হক ও গিয়াস উদ্দিন লিটন
প্রচ্ছদ: নবী হোসেন
প্রকাশক: এক রঙা এক ঘুড়ি
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৪৪
দাম: ৩০০ টাকা
বইগুলো অনেকদিন আগে পড়েছি, এমন কি এই লেখাটাও আগেই লিখে রেখেছিলাম; পোস্ট করতে পারছিলাম না শুধু এটা ভেবে, কি জানি কারো মনে আবার কষ্ট দিলাম কিনা............
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:৩১
করুণাধারা বলেছেন: প্রথম প্লাস এবং অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ, মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপুনি,
এক কথায় চমৎকার লিখেছেন। কঙ্কাবতীর কথা ও লেখাজোকা সংকলন আমার কাছেও আছে। তবে সময়াভাবে এখনো হাত দিয়ে উঠতে পারেনি। ঋদ্ধ-থ্রি ব্লগার সংকলন নিয়েই আমি একটু ব্যাস্ত আছি। ইতিমধ্যে তিনটি পর্ব প্রকাশও করেছি।
'ওয়ান্ডারিং থট' এর রিভিউ পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। বইটি সম্পর্কে সুন্দর একটা ধারণা লাভ করলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
লেখাজোকা সংকলনের ফিবোনাচ্চি সিরিজ এবং সোনালী অনুপাত ব্লগেও পড়েছিলাম। অসাধারণ পোস্ট।
"পরীক্ষা প্রার্থনীয়।
অবশ্য, এই পরীক্ষা শুধু আনারস নিয়ে করে দেখাই ভাল; নিজের নাক, চোখ, ঠোঁট মেপে অনুপাত বের করতে গেলে মন খারাপ হবার সম্ভাবনা আছে।" হা হা হা হা...
বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭
করুণাধারা বলেছেন: মনে হলো সহ ব্লগারদের বই গুলো পড়ে কেমন লাগলো, এটা তাদের জানানো দরকার, তাই এই লেখা। তাছাড়া শায়মাকে আমি সব সময় তাগাদা দিয়েছিলাম ব্লগে দেয়া পোস্টগুলো বই আকারে বের করতে- সুতরাং বইটা কেমন হল তা তো আমাকে জানাতেই হত.........
এক কথায় বলতে পারি ব্লগারদের সবগুলো বই খুব ভালো লেগেছে। একুশের বইমেলায় নবীন লেখকদের অনেক বই বের হয়, সেগুলো পড়াও হয় অনেক; আমি বলতে পারি, আমাদের ব্লগারদের লেখা অনেক উন্নত মানের।
আপনার ঋদ্ধি- ৩ রিভিউ খুব ভালো হচ্ছে! আশা করি লেখাজোকা নিয়েও সেরকম একটা রিভিউ দেবেন। ইচ্ছা থাকা সত্বেও আমি দিতে পারিনি.........
আমার লেখার ছোট রিভিউ খুব ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইল।
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:২২
নীল আকাশ বলেছেন: শায়মা আপুর কঙ্কাবতীর কথা বইটা আমার খুব পছন্দ হয়েছে। এমন কি আমার বৌ পর্যন্ত এটা পড়ে মুগ্ধ। চমৎকার লেখা। শায়মা আপুকে আবারও ধন্যবাদ।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩২
করুণাধারা বলেছেন: সত্যিই কঙ্কাবতীর কথা চমৎকার একটি বই। গতিময় আর প্রাঞ্জল ভাষা, পড়া তরতরিয়ে এগিয়ে যায়, আর পড়া শেষে ব্রোকেন ফ্যামিলির শিশুদের কষ্ট নিয়ে ভাবতে আমাদেরকে বাধ্য করে।
এসময়ের মধ্যে এসে মন্তব্য আর প্লাস দিয়েছেন, অনেক ধন্যবাদ নীল আকাশ। ভালো থাকুন সতত।
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৪৫
সালাহ উদ্দিন শুভ বলেছেন: শায়মা হক এর কি যেন একটা বই পড়েছিলাম ভুলে গেছি নাম। দারুণ লিখেন উনি। চমৎকার রিভিউ, অন্ততপক্ষে তিনটা বই কেনা হল।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সালাহ উদ্দিন শুভ। শায়মা হকের লেখা সত্যি চমৎকার! আশা করি এই বইটিও পড়ে দেখবেন।
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:০৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: যেসব মা বাবারা নিজের সন্তানকে ভালোবাসেন, তাদের এই বইটি পড়া খুব দরকার; যেন পরিবার ভেঙে দেবার আগে একবার ভাবতে পারেন এর ফলে তার আদরের সন্তান কতটুকু যন্ত্রণার মধ্যে পড়তে পারে। আমার তো মনে হয়, সব বাবা-মার-ই এই বই পড়া উচিত। কারন, যারা ইতোমধ্যে সংসার ভেঙ্গে দিয়েছেন তারাও অন্ততঃ (হয়তোবা) বুঝতে পারবেন যে, কিসের মধ্যে তাদের সন্তানকে তারা ছেড়ে দিয়েছেন। ফলে কিছু রিকোভারী হলেও হতে পারে।
''পাছে লোকে কিছু বলে''! যাই করেন না কেন, কেউ না কেউ কিছু না কিছু বলবেই। এসব নিয়ে চিন্তা করলে কি জীবন চলে?
বইগুলো সংগ্রহ করবো একদিন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪
করুণাধারা বলেছেন: একটা সুন্দর পারিবারিক পরিবেশ আর মা-বাবার ভালোবাসা পাবার অধিকার প্রত্যেক শিশুরই রয়েছে; এগুলোর অভাবে শিশুদের যে যন্ত্রণা হয় বড়রা সেটা বুঝতে পারেন না, কিন্তু তাদের বোঝা উচিত। কঙ্কাবতীর কথা পড়লে মনে হয় সেটা অনেকেই বুঝতে পারবেন।
পাছে লোকে কিছু বলের ভয় আমি পাই না। কিন্তু কেউ যদি বলে," না না, আমার আঁকা ছবিকে খারাপ বলায় আমি একটুও নাগ করিনি" কিন্তু আসলে মনে মনে রাগ করে বসে থাকে......... সেই ভয় আমার খুব আছে ভুয়া মফিজ
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:০৫
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: একটা শিশুর অপরাধের দায় তার পরিবারের তার দেশের সরকারের।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: শিশুর অপরাধের দায় প্রথমত তার বাবা-মায়ের। পৃথিবীতে সে নিজের ইচ্ছেতে আসেনি, সুতরাং তার জীবনটাকে দুঃখে ভরে দেওয়ার অধিকার তার বাবা ময়েরর নেই।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মাহমুদুর রহমান।
৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
কংকাবতীর কথা পড়তে অনেক সময় লেগেছিলো, নাকি বইটি গতিশীল?
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০
করুণাধারা বলেছেন: কঙ্কাবতীর কথা বইটি লেখা হয়েছে খুব প্রাঞ্জল ভাষায়, তাই বইটা গতিশীল বলা চলে; যদি না কেউ বই বন্ধ করে রেখে আবেগাপ্লুত হয়ে ছোট মেয়েটির দুঃখ নিয়ে ভাবতে বসে..........
৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:০৩
ল বলেছেন: মাস্টারপিস রিভিউ আপুনি।
পদাতিক চৌধুরীর রিভিউ আর আপানার রিভিউে মিলটা হলো।খুটিনাটি তুলে ধরা।
ধন্যবাদ নিবেন।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: এমন মন্তব্য পেয়ে আপ্লুত হলাম, ল।
সহব্লগারদের বই নিয়ে, আমি শুধু আমার ভালো লাগা মন্দ লাগা অন্য সহব্লগারদের সাথে শেয়ার করতে চেয়েছি।
৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১০
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।
বইটি এখনও পড়া হয় নি। তবে পড়ে ফেলবো।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নূর। হ্যাঁ, বইগুলো পড়ে ফেলবেন। দেখবেন ভালো লাগবে। ভালো থাকুন সবসময়।
১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০২
জুন বলেছেন: খুব সুন্দর রিভিউ করুনাধারা।
+
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জুন।
আর শুভেচ্ছা.......
১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: রিভিউ ভালো লেগেছে আপু ! খায়রুল আহসান ভাইয়ের বই টা অবশ্য পড়া হয়নি।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯
করুণাধারা বলেছেন: ব্লগার খায়রুল আহসানের বইটি চমৎকার কিছু কবিতা দিয়ে সাজানো হয়েছে মনিরা। আরো কিছু কবিতার উদ্ধৃতি দেইনি বলে আফসোস হচ্ছে।
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য ধন্যবাদ...... আর রইল শুভেচ্ছা.......
১২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর রিভিউ করেছেন। একটা বই নিয়ে এক পোস্ট করলে আরো ভাল হত।
লেখাজোকার জন্য আমরা প্রচুর লিখা পেয়েছিলাম। সেখান থেকে তুলনামূলক ভাল লিখাটা চুজ করা আমাদের জন্য বেশ কঠিন একটা কাজ ছিল। আমরা ৪০ টি লিখা নির্বাচন করে প্রেসে পাঠিয়েছিলাম। ফর্মা মিলাতে গিয়ে প্রেস থেকেও ৩ টা লিখা বাদ পড়ে গেছে।
মানহিনতার কারনে নয়, বইয়ের কলেবরের সার্থে প্রচুর লিখা আমাদের বাদ দিতে হয়েছে। আমাদের সব সময় মনে হয়েছে, যাদের লিখা বাদ দিয়েছি তাদের উপর আমরা অবিচার করেছি।
নিজের বই বের করার চেয়ে সম্পাদনা কঠিন মনে হলেও কাজটা করে প্রভূত আনন্দ পেয়েছি। বইটা পাঠক গ্রহণ করেছে দেখে খুব আনন্দ হচ্ছে।
সকল লিখক, পাঠকের জন্য শুভ কামনা।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:১০
করুণাধারা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, প্রতিটি বই নিয়ে আলাদা রিভিউ দেয়া দরকার ছিল। বিশেষ করে লেখাজোকা নিয়ে। কারণ এই চমৎকার সংকলনের প্রতিটি লেখাই আলাদাভাবে আলোচনার দাবিদার। কিন্তু দুটা লেখা পড়ে আমার খুব মন খারাপ হয়ে গেল...... এই লেখাগুলো নিয়ে কোন আলোচনা পারবো না...... তাই কোন লেখা নিয়েই কোন আলোচনা করলাম না.........
তবে চমৎকার সম্পাদনা হয়েছে; সংকলনটি সংগ্রহে রাখার মতন হয়েছে!!! সেজন্য দুই সম্পাদককেই অভিনন্দন জানাই। এটা পোস্টের ভিতর জানানো উচিত ছিল, আগেই।
শুভকামনা গিয়াস লিটন।
১৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা,
পড়লাম অতঃপর , খুব ভালো লাগলো +++
অনেক ভালো করে রিভিউ লিখেছেন । কঙ্কাবতীর কথা---বইটি রিভিউএ অনেক আবেগ তাড়িত হলাম। শুভ কামনা রইলো।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: মুক্তা নীল, আমি চেষ্টা করেছি আমার মতো করে জানাতে, বইগুলো পড়ে আমার কেমন লাগলো। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগলো, আর ভালো লাগলো প্লাস দিয়ে আমাকে অনুপ্রেরণা দেওয়া........
কঙ্কাবতীর কথা বইটা আসলেই চমৎকার; ব্লগে যখন পোস্ট আকারে আসছিল, তখনই সবাই এটার ভক্ত ছিলেন!
অনেক শুভকামনা রইল, মুক্তা নীল।
১৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৫৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দারুণ রিভিউ
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫০
করুণাধারা বলেছেন: দারুন ধন্যবাদ, প্রথম প্লাস এবং এই মন্তব্যের জন্য।
১৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
বাহ! চমৎকার রিভিউ। তিনটি রিভিউ চমৎকার হয়েছে। আশা করি ভাল আছেন, আপা।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কাওসার চৌধুরী, এমন অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্য এবং প্লাস দেবার জন্য।
আলহামদুলিল্লাহ! আমি ভালোই আছি।
আপনিও ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইল।
১৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০১
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা,
আমার ব্লগে এই ব্রোকেন ফ্যামিলির মেয়ের মতো-ই একটি সত্যি ঘটনা লিখেছি, আপনি পড়লে আমার ভালো লাগবে।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৬
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার গল্প! পড়ে মন্তব্য রেখে এসেছি।
শুভেচ্ছা।
১৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: রিভিউ ভাল লেগেছে যদিও আমি নন-ফিকশন এর ভক্ত ।
আপনার লেখা কোনও বই কি নেই????
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭
করুণাধারা বলেছেন: আমি ও নন-ফিকশন এর ভক্ত। রোজার পরে ইনশাল্লাহ একটা রিভিউ দিব ননফিকশন নিয়ে।
না আমার কোন বই নেই, আসবে এমন কোন সম্ভাবনাও নেই। আপনাকে ব্লগে নিয়মিত হতে দেখছি দেখে ভালো লাগছে, এভাবে থাকুন নিয়মিতভাবে।
১৮| ২২ শে মে, ২০১৯ রাত ৯:০২
মুক্তা নীল বলেছেন: আপা
একটু আগে আপনার একটা পোস্ট দেখছিলাম এবং ওটা দেখেই লগইন করলাম আপনাকে ধন্যবাদ জানাবো বলে।
এখন দেখছি এই পোস্টটি নেই। আপনি সরিয়ে ফেলেছেন? ইশশ আপা আমি যে কেন দেরিতে আসলাম?
ওই পোস্টটি গতকাল আমিও দেখেছিলাম এবং ভীষণ লজ্জিত হয়েছিলাম ,এরকম লেখা কেউ লেখে? যাইহোক ,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ রইল অন্তর থেকে। ভালো থাকবেন।
২৪ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩
করুণাধারা বলেছেন: এত দেরি করে প্রতিমন্তব্য করার জন্য দুঃখিত মুক্তা নীল। আসলে ইদানিং ব্লগে আসার সুযোগ কম পাই, তার মধ্যেও ওই পোস্ট দিয়েছিলাম, যেহেতু আমি খুবই বিচলিত বোধ করছিলাম এমন একটা পোস্ট আলোচিত পাতায় চলে আসায়। আমরা সবাই চাই ব্লগের দুঃসময় কেটে যাক, এই সময় এই ধরনের পোস্ট দেওয়া মানে ব্লগকে আরেকটু ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া সেটা, সবারই বোঝা উচিত।
যখন ওই পোস্ট সরিয়ে নেয়া হলো, তখন আর আমার পোস্টটা রাখার দরকার মনে হয়নি, সেজন্য সরিয়ে নিয়েছিলাম।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মুক্তা নীল, অনেক শুভকামনা।
১৯| ২৬ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: "কঙ্কাবতীর কথা" যখন ব্লগে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছিল, তখন সিরিজটা আমাকে ভীষণভাবে আকর্ষিত করেছিল। আমি সিরিজটার জন্য অপেক্ষা করে থাকতাম। মনে হতো, ব্লগীয় সূত্রে আমি বোধহয় আসল কঙ্কাবতীকে চিনি (আমার বিশ্বাসমতে)। লেখককে বোধহয় এ নিয়ে একবার জিজ্ঞাসাও করেছিলাম, লেখক তার স্বভাবসুলভ ভঙিতে তার উত্তর এড়িয়ে গিয়েছিলেন। খুব ভাল লেগেছিল লেখকের সাবলীল গল্পকথন, তার নিজস্ব অনুভূতির সংমিশ্রণে, তাই এই সিরিজের মনে হয় প্রতিটি পর্বে আমার মন্তব্য আছে। পরে যখন বইটি প্রকাশিত হলো, সবার সাথে আমিও জানলাম, এ ব্লগের আমরা সবাই আসল কঙ্কাবতীকে ব্লগীয় সূত্রে চিনি!
আপনার মত, বইটির প্রচ্ছদ আমারও পছন্দ হয়নি। লেখক একজন গুণী চিত্রশিল্পীও বটে। তাই তার কাছ থেকে আরো চমৎকার একটি প্রচ্ছদ আশা করেছিলাম।
০৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫১
করুণাধারা বলেছেন: কঙ্কাবতী ব্লগে খুবই চমৎকার ভাবে লিখতেন, আমি তার লেখার সাথে স্পর্শিয়ার লেখার হুবহু মিল পেয়েছিলাম; প্রশ্নও করেছিলাম এই নিয়ে, কিন্তু কঙ্কাবতী রাজকন্যা উত্তর এড়িয়ে গেছিলেন। পরে যখন জানতে পারলাম যে শায়মাই স্পর্শিয়া, তখন বুঝতে পারলাম কঙ্কাবতী রাজকন্যাও শায়মাই!! চমৎকার একটি বই, যদিও শেষ দিকে খুব তাড়াহুড়া করা হয়েছে। ভেবেছিলাম ব্লগে যেটুকু লেখা হয়েছে, শায়মা বইয়ে তার সাথে কিছু যোগ করবেন; করলে ভালো হতো।
প্রতিমন্তব্য করতে খুবই দেরি করে ফেললাম, কিছু অসুবিধার মধ্যে ছিলাম। তাছাড়া রমজান মাসের নৈমিত্তিক কাজ তো ছিলই। আপনার মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম, শুভকামনা রইল।
২০| ২৬ শে মে, ২০১৯ রাত ১১:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: পনার চোখে ঠিকই ধয়া পড়েছে যে আমার “Wandering Thoughts” এর কবিতাগুলোর সবগুলোই কালানুক্রমে সাজানো হলেও, প্রথম দুটো অদল বদল হয়েছে। ও দুটোর মধ্যে যেটাকে আমার বেশী ভাল লেগেছে, সেটাকেই প্রথমে রেখেছি।
আপনার সূক্ষ্ম চোখে এটাও ধরা পড়েছে যে “A Solitary Flower” কবিতার নীচে আমি যে ব্যাখ্যা দিয়েছি, তাতে অনবধনতা হেতু নেপালের নাগরকোট এর বদলে আমাদের কুমিল্লার 'লাঙ্গলকোট' লিখে ফেলেছি। পরবর্তী সংস্করণে (যদি কখনো আদৌ তা প্রকাশিত হয়!) এ ভুলটি সম্পাদনা করে নেবার আশা রাখি।
প্রথমতঃ, আমার বইটি ক্রয়ের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। আর তার পর, বইটি নিয়ে এখানে আলোচনার জন্য কৃতজ্ঞতা!
ভাল থাকুন, শুভকামনা....
০৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:০০
করুণাধারা বলেছেন: পরপর চারটি মন্তব্য যখন আপনারই, তখন মাঝখান থেকে প্রতিমন্তব্য করলে আশা করি দোষ হবে না।
প্রথমেই বলে নেই, আপনার বইটি নিয়ে এমন সংক্ষিপ্তভাবে লেখায় আমি যারপরনাই দুঃখিত হয়ে আছি; আপনি চমৎকার ইংরেজি কবিতা লিখেন, ব্লগে অনেকেই এটা জানেন না। আপনার এই পরিচয়টা তুলে ধরার সুযোগ এসেছিল Wandering Thoughts হাতে পাবার পর। ইচ্ছাও ছিল ভালোভাবে কবিতাগুলো নিয়ে আলোচনা করবার, কিছু কিছু কবিতা আমার খুবই ভালো লেগেছে। কিন্তু হঠাৎ করে এমন কিছু ঝামেলার পরিস্থিতি এসে গেল যে, আমার মনে হল ব্লগে আবার কবে লিখতে পারবো জানি না; তাই তাড়াতাড়ি করে বসে তিনটা বইয়ের রিভিউ লিখলাম! একে ঠিক রিভিউ বলা যায় না, তাই আমাকে শিরোনাম দিতে হলো "পড়লাম: অতঃপর"।
আশা করি আপনি এই বইয়ে প্রকাশিত চমৎকার কবিতা গুলো থেকে কয়েকটি অনুবাদ করে ব্লগে দেবেন, যাতে সকলে পড়তে পারেন।
ঈদ মোবারক, শুভেচ্ছা রইল ঈদের।
২১| ২৯ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: লেখাজোকা সংকলন এর রিভিউটা পড়েও বেশ ভাল লেগেছে। অল্প কথায় অনেক কিছু কাভার করেছেন।
ভুয়া মফিজ এর মন্তব্যটা ভাল লেগেছে, এবং আপনার চমৎকার উত্তরটাও। এ ছাড়াও আপনার ৬,৭,১১ এবং ১৮ নং প্রতিমন্তব্য পড়েও ভাল লেগেছে।
লেখাজোকা সংকলন এর দুই কীর্তিমান সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন লিটন ও শায়মা হক কে এমন দুরূহ একটি কাজ সুসম্পন্ন করার জন্য আপনার এই পোস্টের মাধ্যমেই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
০৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: আপনি আমার পোষ্টের সাথে দেয়া মন্তব্য প্রতিমন্তব্যগুলো পড়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো, অসংখ্য ধন্যবাদ।
লেখাজোখা সংকলন খুবই উন্নত মানের হয়েছে, অবশ্যই দুই সম্পাদকের কৃতিত্বে। এই সংকলন নিয়ে অনেক কিছু লেখার ছিল, কিন্তু ওই যে, তাড়াহুড়া করে লিখতে হলো... তাই অনেক কিছুই লিখতে পারলাম না...
আপনার সাথে সাথে আমিও গিয়াস উদ্দিন লিটন আর শায়মা হককে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই, ব্লগারদের লেখা নিয়ে এমন চমৎকার সংকলন উপহার দেবার জন্য।
২২| ২৯ শে মে, ২০১৯ সকাল ৯:৫৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: এই ব্লগেরই ব্লগারদের লেখা বই নিয়ে আলোচনায় আরো অনেক বেশী মন্তব্য দেখতে পাবো বলে আশা করেছিলাম। সেটা দেখতে না পেয়ে আশাহত হ'লাম।
০৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১০
করুণাধারা বলেছেন: আমিও আশাহত হয়েছিলাম, ব্লগারদের লেখা বই নিয়ে যে পোস্ট দিলাম তাতে এত কম ব্লগারের উপস্থিতি দেখে! বিশেষ করে যে দু'জন ব্লগারের বই নিয়ে লিখেছিলাম, তাদের অনুপস্থিতি দেখে আমি ভাবছিলাম, একসাথে তিনটা বই পড়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে দেয়া পোস্ট বোধহয় জগাখিচুড়ি হয়ে গেছে, তাই এই অনুপস্থিতি। এখন আপনার চারটা মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগছে।
ভাবছি, ভবিষ্যতে শায়মার লেখা বই নিয়ে রিভিউ দিলে প্রশংসার বাণীতে ভাসিয়ে দেবো- তবে হয়তো তার একখানা মন্তব্য পাওয়া যেতে পারে!
২৩| ০৫ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:১৬
নজসু বলেছেন:
০৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১১
করুণাধারা বলেছেন: এমন চমৎকার ছবি সহ ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর অনেক ধন্যবাদ নজসু।
আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা, আমি এভাবে ছবি দিতে পারি না, তাই ছবি ছাড়াই।
২৪| ০৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:২২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: একমাস আপনাকে দেখতেই পেলাম না তেমন
সময় পেলে আমার পোস্টগুলো পড়ার অনুরোধ রইলো
০৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৪
করুণাধারা বলেছেন: রমজান মাসটা কাটে হাঁড়ি- খুন্তি ঠেলতে ঠেলতে! তারপর এবার কিছুটা অসুস্থ ছিলাম, সব মিলে ব্লগে আসতে পারছিলাম না। এবার থেকে ইনশাল্লাহ নিয়মিত হবো, এবং পোস্টগুলোও পড়বো ইনশাআল্লাহ।
ঈদ মোবারক।
২৫| ০৯ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮
শায়মা বলেছেন: আপুনি!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
লাভ ইউ লাভ ইউ লাভ ইউ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
১০ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:১২
করুণাধারা বলেছেন: থ্যাঙ্ক ইউ... থ্যাঙ্ক ইউ... থ্যাঙ্ক ইউ.....
লাভ ইউ টু.....
২৬| ০৯ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪
শায়মা বলেছেন: আপুনি কি করে ভাবলে !!!!!!!!!!!!!
আমি রাগ করে কমেন্ট করবো না!!!!!!!!!!!!!
এই লেখা যখন লিখেছিলাম কারা আমাকে টেনে নিয়েছিলো বলো!!!!!!!!
তুমি, কাতিয়াশা আপুনি, ভুয়া মফিজভাইয়া, চাঁদগাঁজী ভাইয়া, শকুনভাইয়া, মলা ভাইয়া!!!!!! কি করে ভুলবো সেই কথা!!!!!!!!
আমি একজন কৃতজ্ঞ মানুষ!!!!!!!!!!!!!!
আমার সামু হয়না ঠিক ঠাক!
আর ঢুকতে পারিনা, কমেন্ট করে এক ঘন্টা ঘুরে তারপর পোস্টনা অনেক কষ্টে আছি আপুনি!
দাঁড়াও পোস্টের উপরে কমেন্ট দিচ্ছি আবারও পড়ে নিয়ে!
১০ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:২২
করুণাধারা বলেছেন: রাগ!! নাহ্, তুমি রাগ করে মুখ বুজে বসে থাকবার মত মানুষ নও বলেই মনে হয়, কিন্তু দুঃখতো পেতেই পারো!! তাই ভাবলাম...যাকগে, ভাবনাটা ভুল হওয়ায় সবচেয়ে খুশি আমি হলাম।
ভিপিএন এর যন্ত্রনায় আমারও ব্লগে কম আসা হয়। জানিনা কবে সব ঠিক হবে, অথবা আদৌ ঠিক হবে কিনা... ভুয়া মফিজের প্রস্তাব মত সব সময় ব্লগে কচ্ছপের মতো কামড় দিয়ে পড়ে থাকতে হবে আমাদের যেন ব্লগ সচল থাকে। থাকবো কি করে! ভিপিএন থাকে না যে!!
২৭| ০৯ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২
শায়মা বলেছেন:
আপু একটা কথা বলি,
এই লেখাটা লেখার সময় আমি কোনোভাবেই চাইনি কেউ জানুক এই লেখার পেছনের লেখিকা বা লেখক কে? কেনো চাইনি বা কি জন্য চাইনি তার ব্যাখ্যা আমার কাছে আছে তাই নিয়ে কখনও কোনোদিন লিখবো অন্য সময়। তবে কঙ্কাবতীর কথা লিখতে গিয়ে অনেক কেঁদেছি আমি। কান্না আমি পছন্দ করিনা! দুঃখ নিয়ে বসে থাকা আমার বড়ই অপছন্দের ব্যাপার। তাই যে কথা কষ্ট দেয় বা যে সব স্মৃতি নিরানন্দের সেসব আমি সযতনে এড়িয়ে চলি।
তবুও লিখতে ইচ্ছে হলো আমার কঙ্কাবতীর কথা। লিখতে গিয়েই পেয়ে গেলাম এক ঝাঁক পাঠক যা আমি আশা করিনি বা চাইনি। কারণ নীরবে নিভৃতে বসে কিছু মনের কথন লিখে রাখতেই চেয়েছিলাম আমি! তবে হ্যাঁ এমন অনেক লেখাই আছে অসমাপ্ত ডায়েরীর মতন যা কখনও সমাপ্ত হয়নি। পাঠকের ভালোবাসাটাই আমাকে এই লেখা এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। তবে যখনই একটা পাতা পড়ি আমার দুচোখে অশ্রুই ঝরে। হয়তো বা তা আনন্দে নয়তো বেদনায়। তবে কি জানো আপু বেদনারও আনন্দ আছে। এই লেখাগুলো তাই সেই আনন্দময় বেদনা।
তুমি লেখার প্রথমাংশে যে বর্ণনাটুকু দিয়েছো তা পড়ে লিখতে গিয়ে আবারও চোখের জলে বুক ভাসলো আমার। মাঝে মাঝে যখন আমি অবসরে থাকি তখন অকারনেই আমার কান্না বিলাস চলে। এ হয়তো তারই অংশ! তুমি লিখেছো ,
(প্রায় টিন এজার একটি মেয়ে জীবনের সব জটিলতার বিরুদ্ধে কিভাবে একাকী লড়ে যায়, অবশেষে নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিজেই নেয়, "কঙ্কাবতীর কথা" তারই গল্প। এই গল্পের চরিত্রগুলোয় এবং ঘটনায় কোন ঘনঘটা নেই, নির্মোহ বর্ণনা। কঙ্কাবতীর প্রতি মায়ের বিমাতাসুলভ আচরণ কেন- এই প্রশ্নের উত্তর জানবার জন্য পাঠক প্রথম থেকেই খুব আগ্রহী হয়ে ওঠেন, কিন্তু জানতে পারেন একেবারে গল্পের শেষে। কঙ্কাবতীর মায়ের কিছুটা অদ্ভুত মানসিকতার চমৎকার ব্যাখ্যাও মেলে বইয়ের শেষে এসে, মায়ের ডায়েরি করে কঙ্কাবতী মায়ের জীবনে অনেক না জানা কথা জানতে পারে। )
মনে পড়ে অনেক কথা এলোমেলো.... তোমার ব্যাখ্যা পড়ে আপ্লুত হয়েছি! ব্লগে লেখার সময় তোমার কমেন্টগুলোও আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে সে নতুন করে বলার নেই......
(গল্পে আবেগের বাড়াবাড়ি নেই, খুবই সংযত ভাষায় কঙ্কাবতী তার গল্প বলে গেছে, তবু পড়তে পড়তে পাঠক আবেগী হয়ে ওঠেন, কঙ্কাবতীর দুঃখে বেদনাবোধ করেন। ব্রোকেন ফ্যামিলিতে একটা শিশুর অব্যক্ত যন্ত্রণাকে এই গল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে লেখক পুরোপুরি সফলতা অর্জন করেছেন। আবার কখনো কখনো কঙ্কাবতীর কথা হয়ে ওঠে আমাদের অনেকেরই মনের কথা; যেমন:
পৃথিবীতে এত মায়া এত কষ্ট এত পাওয়া না পাওয়ার হিসেব নিকেশের মাঝেও প্রকৃতি বড় সুন্দর আর নির্লীপ্ত। আমার মন হুহু করে ওঠে। হঠাৎ নিজেকে এই বিশাল পৃথিবীতে বড় একা লাগে। আমার পাশে কেউ নেই। কোথাও কেউ নেই। তবু কত মায়ায়, কত কান্নায়, কত হেলাফেলায় জড়িয়ে আছি আমি এই নিষ্ঠুর এবং মায়াময় পৃথিবীতে.......)
যাইহোক তুমি বইটার দুটো অপছন্দের কথা বলেছো-
১। বইটার কলেবর আর একটু বেশি হলে ভালো হতো।
২। প্রচ্ছদ.....
কলেবরের কথা যদি বলি তো শেষে দেখো আমি লিখেছি এটি একটি চলমান জীবনের গল্প। পরবর্তী জীবনে এই গল্পের নায়িকা কাউকে জীবনসঙ্গী করবে কিনা করবে না বা তার মায়ের সঙ্গে তার কখনও দেখা হবে কিনা সেসবই তার অজানা। তবে কয়েক বছর পরে বা জীবনের শেষ প্রান্তে হলেও বাকী গল্প তার লেখার ইচ্ছা আছে। সেদিন সেই গল্প কাগজের পাতায় প্রকাশিত না হলেও তোমাকে মেইল করে দেবো আপুনি!!!!!!!!
আর প্রচ্ছদ আঁকার একটা নিয়ম আছে। আমি এই প্রচ্ছদ নিয়মের ধার ধেরে আঁকিনি। এমনিতেই অনেক আগে আঁকা ছবি। নীলভাইয়া যখন বললো তখন দিয়ে দিলাম। তবে এক চোখ বোজা লজ্জাবতী লতাটাকে আমি ব্যাখ্যা করবো কিনা ভাবছি! হা হা হা মানে আন্দাজে ঠেলে নেবার জন্য!
ঠিক বলেছো " প্রচ্ছদের মাঝখানে এই ছবিটিকে দেখে মনে হয়েছে, গেঞ্জিতে- মগে যেভাবে ছবি প্রিন্ট করে দেয়া হয়, এখানেও মলাটের মাঝখানে সেভাবে একটা চকচকে ছবি প্রিন্ট করে দেয়া হয়েছে!! " এটা আমারও পছন্দ হয়নি! আমি তো ভেবেছিলাম পুরাটা পাতা জুড়ে থাকবে ছবিটা। ভাইয়া যখন বইটা বানালো দেখি পুরা পেইজের মাঝে এইটুকু ছবি! কি আর করা তখন বইমেলার কয়েক দিবস গড়িয়ে গেছে ......
যতই নিত্যনতুন আইডিয়া বাস্তবায়ন করতে ভালবাসি আমি প্রচ্ছদশিল্পী শায়মা হক এই আইডিয়া দেইনি, ভাইয়াই দিয়েছে আমার প্রকাশক ভাইয়া।
প্রচ্ছদ নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশার কিছু নেই।
মলাটে লেখা, প্রচ্ছদ করেছেন ঘুড়ি টিম; মানে হয়ত তারা ছেপেছেন তাই কিন্তু ভিতরে লেখা শায়মা হক। আমিই প্রচ্ছদ শিল্পী!!!!!!! হিহিহিহিহিহি এটা বই প্রকাশের আগেই ফেসবুকের সবাই জানে!
আপুনি তুমি যা মন থেকে বলেছো তার সাথে আমি একমত। আর আমি কি এতই বোকা এই কথায় রাগ করবো ভেবে বসে থাকলে তুমি!!!!!!!!!!
তুমিই একটা বোকা আপুনি!!!!!!!!
অনেক অনেক ভালোবাসা!!!!!!!!
লেখাটা প্রিয়তে রাখলাম!!!!!!!!
১০ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:১০
করুণাধারা বলেছেন: মনের কষ্টকে কথার মালায় সাজিয়ে তৈরি করেছ কঙ্কাবতীর গল্প! প্রথম পর্ব থেকেই এ গল্প এত পাঠকপ্রিয় হবার কারণ এর বিষয়বস্তু আর বর্ণনা- দুটোই। গল্প পড়তে পড়তে পাঠক মাত্রই কঙ্কাবতীর সাথে একাত্ম হয়ে যান; মনে হয় কঙ্কাবতী যেন পাশের বাড়ির সেই মেয়েটি যে যাকে প্রতিদিন দেখছি, কথা বলছি, হাসছি অথচ জানতে পারছি না হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকা তার কষ্ট আর সংগ্রামের কথা...
পাঠকমাত্রই নিজের, অথবা পরিচিতের পরিবারের এমন কঙ্কাবতীদের নিয়ে একবার হলেও ভাববেন এই বইটা পড়ার পর। আবার এমনও পাঠক আছেন তোমার গল্পের, যারা সন্তানের জীবনকে নিজের জীবনের উপর প্রাধান্য দিয়ে সারাজীবন অসুখী দাম্পত্যর ভার বয়ে বেড়িয়েছেন; তারা হয়তো স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ভাববেন, তাদের সিদ্ধান্তের ফলে পৃথিবীতে কিছুটা হলেও কঙ্কাবতীর সংখ্যা কম হয়েছে।
অনেক দিন আগে পত্রিকায় একটা ছোট গল্প পড়েছিলাম। মা বাবার ডিভোর্স হয়ে গেছে, ১০ বছরের মেয়ে মায়ের সাথে আর ৮ বছরের ছেলে বাবার সাথে থাকে। এক ছুটির দিনে ভাই বোনদের দেখা করাবার জন্য মা- বাবা তাদের চন্দ্রিমা উদ্যানে নিয়ে এসেছেন। কিছুক্ষণ সময় কাটাবার পর ভাইটি বাবার সাথে বাইক চেপে বারবার পেছনে তাকাতে তাকাতে ফিরে যাচ্ছে, আর বোনটি ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে ক্রমাগত চোখ মুছছে- এখানেই গল্প শেষ। কিন্তু দু'টো কচি প্রাণের কষ্টের বর্ণনা এমন ছিল যে, আজো গল্পটা মনে পড়ে।
বইয়ের প্রচ্ছদ নিয়ে ব্যাখ্যাটা ভালো লাগলো। ছবিটা পুরো মলাট জুড়ে হলে অন্যরকম হতো, নিঃসন্দেহে। আর বইয়ের আকার নিয়ে যা বলেছ সেটাও মেনে নিলাম, সব সময় সব গল্পের শেষ জানা হয় না...
তুমি যে বোকা নও, সেটা আমি ভালো করেই জানি। তবে অভিমানী কিনা সেটা তো ঠিক জানি না। তাই অনেক ভেবে শেষ পর্যন্ত যা মনে ছিল সেটাই লিখে দিয়েছিলাম, ভয় পাচ্ছিলাম কি মন্তব্য কর তাই ভেবে! তারপর দেখি কোন মন্তব্যই করছ না, অথচ এই পোস্ট আলোচিত পাতায় (ব্লগের এই দুর্দিনে সর্বোচ্চ মন্তব্য পাওয়ায়)। তুমি অন্য পোস্টে মন্তব্য করছো, অথচ এটা তোমার নজরে পড়ছে না, এটা আমি ভাবিই নি... যাক! এবার নিশ্চিন্ত!
এই সুবিশাল মন্তব্য, প্লাস আর সবশেষে প্রিয়তে নেয়ায় অনেক খুশি হলাম।
২৮| ০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: @শায়মা,
আপনার ২৭ নং মন্তব্যটার জন্য ধন্যবাদ। ব্যাখ্যাটুকু খুব ভাল লেগেছে। +
১০ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:২৪
করুণাধারা বলেছেন: সত্যি ব্যাখ্যা ভালো হয়েছে, আমারও ভালো লেগেছে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আরেকবার ফিরে এসে মন্তব্য করায়।
২৯| ১০ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪
শায়মা বলেছেন: পড়লাম; অতঃপর........
এই নাম দেখে কি করে বুঝবো!!!!!!!!!!!!!! বলো বলো বলো!!!!!!!!! তাই তো ব্লগের প্রথম পাতায় হয়তো লিস্টে দেখেও বুঝিনি আপুনি!!!!!!!!! তবে আল্লাহর কসম ইচ্ছা করে মন্তব্য করবোনা এটা ভেবো না । কারণ আমিই জানি এই কঙ্কাবতীর সৃষ্টির পিছে শুধু তো আমি নেই তুমি এবং তোমরাও কে কে কিভাবে জড়িয়ে আছো!!!!!!!!! এই বই এর ভালো মন্দ সব কিছুই নিয়ে ভাববার আর ভুল বা খারাপ কিছু নিয়ে বলবার অধিকার তোমার তো আছেই যারা জড়িয়ে ছিলো সবারই আছে!!!!!
আসলেই আমি খুব খারাপ সময়ে ছিলাম। ব্লগে কম এসেছি, ফেসবুকেও। নইলে কেউ না কেউ আমি না দেখলেও বলতো। আর ফেব্রুয়ারী থেকে এপ্রিল আমার খুব ব্যস্ত সময় যায়!!!!!! নানা রকম অনুষ্ঠান নিয়ে! আমার ভীষন জ্বর হয়েছিলো এ্প্রিলে। ১০ দিন ছিলো আমি সেসময় ব্লগে দু একবার আসলেও আসলে ভালো করে চোখ বুলানোর সময়ও পাইনি! উফ! আর কত কিছু মনে করবো !!!!!!!!!!!! শুধু জেনে রাখো তোমাকে ভালোবাসি আর তাই বললাম তো কেমনে মাফ চাইলে মাফ করবা সেটাই বলো তাই করতে রাজী আছি!! কারণ বড় বোন বলো আত্মীয় বলো যাই বলো আপনার চেয়ে আপন যেজন তাদের মাঝেই একজন বলে ভাবি আমি তোমাকে।
তবুও কিছু কিছু অনিচ্ছাকৃত ভুল থাকে আমার সেটাও জানি। কদিন আগে সাজি আপু এমন করেই রাগ দুঃখ বা অভিমানে ভেবেছিলো আমাকে। কি যে লজ্জা লেগেছে!!!!!!!!!
মাঝে মাঝে কি মনে হয় জানো? মানুষ আমাকে যেভাবে ভালোবাসে তার মূল্য আমি সত্যিই দিতে পারি না! তখন খারাপ লাগে কিন্তু আসলেও সেটা আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল!
কাজেই!!!!!!!!!! এবার কিন্তু কাঁদবো!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
১১ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: আশ্চর্য, শায়মা! তুমি এত কৈফিয়ত দিচ্ছ কেন? আমি তো বুঝতেই পারছি, তুমি পোস্ট দেখোই নি; না দেখতেই পারো, ভিপিএন এর ঝামেলার সাথে আমারও পরিচয় আছে ভালোই। এই তো, কিছুক্ষণ আগেই প্রতিমন্তব্য করে দেখি লগ আউট, মুছে গেল...
আর তোমাকে ভুল বুঝে আমিও তো তোমাকে কষ্ট দিয়েছি, মিছামিছি আমাকে বোঝাবার জন্য এত বড় মন্তব্য করতে হল! সেজন্য এখন আমারও কষ্ট হচ্ছে। যাক, দুঃখ দেয়া আর নেয়ায় কাটাকাটি হয়ে গেছে! এখন চলো সুখী হই...
এমন অদ্ভুত শিরোনাম দেখে বিষয়বস্তু সম্পর্কে আসলেই কোনো ধারণা পাবার কথা না; পোস্ট খুব তাড়াহুড়া করে লিখে কিছু না ভেবেই শিরোনাম দিয়েছি। একদিন কোনো কারণে আমার মনে হল, আমি আর সামুতে লিখতে পারবো না। তখন মনে পড়ল, বহুদিন থেকে বইগুলো ফেলে রেখেছি ভালো ভাবে রিভিউ লেখার জন্য। মনে হল ভালো রিভিউ আর লিখতে পারবো না; যা হোক একটা কিছু লিখে পোস্ট করি। যেহেতু বইগুলো আগে থেকে পড়া ছিল, তাড়াতাড়ি বসে যা মনে আসে লিখে ফেললাম, শিরোনাম দিলাম, "পড়লাম: অতঃপর"।
খুব ভালো লাগছে যে, এটা আমার শেষ পোস্ট হয়নি, এখন আমি আবার পোস্ট লিখতে পারছি। ইনশাল্লাহ আজকালের মধ্যে নতুন পোস্ট দেব; তুমি যাদের ভালোবাসো, সেই শিশুদের নিয়ে পোস্ট। অতএব এবার তোমার মন্তব্য চাই-ই চাই!
তোমাদের সবার সাথে থাকতে পারা আমার জন্য এক আনন্দময় অভিজ্ঞতা।
কাঁদবে না কখনোই। বীরভোগ্যা বসুন্ধরা- নরম সরম মানুষদের জন্য পৃথিবীতে কোথাও কেউ নেই।
৩০| ১১ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:৪৬
শায়মা বলেছেন: খায়রুলভাইয়া!!!!!!!!!
করুনাধারা আপুনির রাগ ভাঙ্গানোর ব্যাখ্যা দিতে দিতেই তোমার মন্তবের জন্য যে একটা থ্যাংকস মন্তব্য দেবো সেটাও ভুলে গেছিলাম!!!!!!
এখন আবার দেখতে এসে মনে পড়ে গেলো!!!
নতুন কিছু লিখতে হবে আবার!
নিভৃত নীরজনে একেলা গেহকোনে হা হা হা
১১ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪৪
করুণাধারা বলেছেন: বেচারা শায়মা! আমার রাগ (আসলে নেই) ভাঙাবার জন্য তোমাকে এত লিখতে হচ্ছে যে, আর কোন দিকে তাকাতেই পারছ না।
শুধু থ্যাঙ্কস মন্তব্য দিলেই কি হবে!! উনি দেখো, তোমার বই নিয়ে কত ভালো ভালো কথা লিখেছেন (১৯ নম্বর মন্তব্য)। উনার বই নিয়ে কিছু বলবে না?
৩১| ১১ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:০৫
শায়মা বলেছেন: আপু খায়রুলভাইয়ার বই নিয়ে বলবো!!!!!!!!
আগে একটু পানি খেতে হবে!!!!!
পানি না আরো কিছু!!!!!
ভাইয়ার বইটা পড়েছি!!!!!!!
সবচেয়ে ভালো লেগেছে দ্যা আনসিন বিউটি কাব্য!!!!!!!
কারনটা আমার নিজের জন্য নিজের ভালোলাগা!!!!!!!
বইমেলাতে কেনা সবার বইগুলোই মোটামুটি পড়েছি আমি। রোজ ইফতারের পরে একটা একটা বই শেষ করেই ছেড়েছি!
রিভিউ লিখবো ভাবছিলাম কিন্তু এখনও ঝামেলা ছাড়েনি। আপু দিন দিন বড় হচ্ছি আর আমার স্কুল আমার উপরে বড় বড় বাজে বাজে ঝামেলা জুড়ে দিচ্ছে!
আমি বলেছিলাম বাবা টিচিং থেকে বাদ দিয়ে আমাকে কালচারাল কো অর্ডিনেটর করে দাও না কেনো?
বলে না সেটা তো তোমার অলিখিত শর্ত ।
তোমার ক্রিয়েটিভ আইডিয়াগুলো আমার টিচিং এই চাই!!! কি আর করা!
যাইহোক আমি কি আর দমার পাত্র!
সময় করে ঠিকই লিখে ফেলবো!!!!!
লাভ ইউ আপুনি!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
খুবই চমৎকার একটি পোস্ট দিয়েছেন।
পাঠ করে বিমোহিত হলাম।
আমার ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।