নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই শিশুদের বেশিরভাগেরই বয়স দশ বছরের মধ্যে, অথচ তাদের আচরণ হয় প্রাপ্তবয়স্কর মত; এদের দেখা মেলে শিশু প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায়। এইসব প্রতিযোগিতায় শিশুরা কোন খ্যাতিমান শিল্পীকে অনুকরণ করে নাচ বা গান করে, অনুকরণ যত বেশি ভালো হবে তত বেশি নাম্বার! প্রেমের আকুলতার ভাব চোখে-মুখে- কন্ঠে ফুটিয়ে তুলে একজন তরুণ গান গাইতেই পারে, একজন তরুণী তা নাচের মুদ্রায় প্রকাশ করতেই পারে, কিন্তু একটা ছোট শিশু যখন বড়দের মতো করে এসব করে, আর তা দেখে প্রতিযোগিতার বিচারকেরা উচ্ছ্বাসে ভেসে মুগ্ধ কন্ঠে মন্তব্য করেন "ওর এক্সপ্রেশনটা দেখো, ভয়েস থ্রোয়িংয়ে কি আবেগ... আরেকবার দেখাও তো"... শিশুটা আবারও প্রেমের আকুলতা বোঝাতে চোখ ছোট করে, মুখ বাঁকা করে দুই লাইন গান গায়। দেখে আমার কেমন পাগল পাগল লাগতে থাকে...ব্যবসায়ীরা কেমিক্যাল দিয়ে ফল পাকায় লাভ করার জন্য, এই বাচ্চা গুলোকে এভাবে পাকিয়ে দিয়ে কার কি লাভ হচ্ছে জানিনা!! বিচারকদের উচ্ছ্বাস পূর্ণ "আরেব্বাস, কেয়া বাত!" উক্তির পাশাপাশি দেখা যায় শিশুদের বাবা-মায়ের গর্বিত মুখ, সন্তানের অকালপক্কতা তাদের মনে কোনো গ্লানি বয়ে আনেনা!!!
আমাদের দেশের টিভিতে এক সময় "নতুন কুড়ি" নামে ছোটদের প্রতিভা অন্বেষণের একটা অনুষ্ঠান হতো। সেখানে গান হত- ছড়া গান, শিশুদের উপযোগী নজরুল- রবীন্দ্র সংগীত, পল্লীগীতি, দেশের গান ইত্যাদি। নাচও তেমনি ছিল। সেই অনুষ্ঠানগুলোতে শিশুদের শিশুদের মতই দেখাতো, শিশুদের সাথে বসে বড়রাও অনুষ্ঠান উপভোগ করতেন। অথচ এই যে অনুষ্ঠানগুলো- "সা রে গা মা পা লিল চ্যাম্প", "ডান্স বাংলা ডান্স জুনিয়র", অথবা এদের আদলে তৈরি আমাদের দেশের "ক্ষুদে গানরাজ", সবই যেন শিশুদের অনাবিল শৈশবকে আবিলতায় ভরিয়ে দেবার জন্য তৈরি!!
এই শিশুরা সেলিব্রিটি, তাদের জন্মদাতা হিসেবে তাদের বাবা-মায়েরাও সেলিব্রিটি মর্যাদা উপভোগ করেন অনুষ্ঠান শেষ হবার পরও বেশ কিছুদিন ধরে। তারপর একসময় সাঙ্গ হয় খেলা,
অনুষ্ঠান শেষ হয়। শিশুটি দেখতে পায় তাকে নিয়ে আর মাতামাতি করা হচ্ছে না, রুপালি স্বপ্নের জগত থেকে সে নেমে আসে প্রতিদিনকার ম্যাড়ম্যাড়ে জগতে। এই পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো একটা ছোট শিশুর পক্ষে আদৌ সহজ হয় কিনা তা কি কেউ ভেবে দেখে! একটা মেয়ের কথা মনে পড়ছে, ডান্স বাংলা ডান্স জুনিয়ারের মস্ত সেলিব্রিটি। চার বছরের মেয়ে, অথচ তার চোখ- মুখের আর নাচের ভঙ্গিমা নাকি হুবহু বড়দের মত! তার প্রতিভায় সকলে মুগ্ধ, গরবিনী মায়ের সাথে তার ঝলমলে মুখের ছবি নানা জায়গায় দেখতাম। তারপর আর তার দেখা নেই, কিন্তু সে সম্ভবত রুপালি জগতকে ভুলতে পারছিল না; ৩/৪ বছর পর দেখি মেয়েটা সিরিয়ালে অভিনয় করার চেষ্টা করছে, কিন্তু তেমন জুৎ করতে পারছে না! অবশেষে মেয়েটি হারিয়ে গেল... জানিনা সে জীবনের সাথে কিভাবে খাপ খাইয়েছে!
এ তো গেল মাত্র তিন চার মাস রুপালি জগতে অবস্থান করা শিশুর গল্প। কিন্তু এমনও শিশু আছে, যারা তিন চার বছর ধরে এই রুপালি জগতে বাস করে, তারপর হঠাৎ দেখতে পায় মরীচিকার মত রুপালি জগত মিলিয়ে গেছে! এই শিশুরা কোন সিরিয়ালের মূল চরিত্রে অভিনয় করে থাকে। "পটল কুমার গানওয়ালা" নামের সিরিয়ালে পটল কুমারের নাম ভূমিকায় অভিনয় করা আট বছরের মেয়েটার কথা মনে পড়ছে। দুই বছরের বেশি সময় মেয়েটা সিরিয়ালে অভিনয় করেছে। এক সাক্ষাৎকারে দেখলাম মেয়েটার মা বলছেন, স্কুলে সে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়তো। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাকে শুটিং করতে হয়, তাই এখন আর স্কুলে যাবার সুযোগ পায় না। সন্তানকে সেলিব্রিটি বানাতে গিয়ে মা বাবা তাকে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছেন!!
সন্তানকে প্রতিভাবান, সেলিব্রেটি প্রমাণ করতে গিয়ে মা-বাবারা মাঝে মাঝে মরিয়া হয়ে ওঠেন। বছর ছয়েক আগে আমাদের বাংলাদেশেই এক ছয় বছরের শিশু কম্পিউটার প্রতিভা নিয়ে মাতামাতি শুরু হল; বলা হল সে কম্পিউটার উইজার্ড, গিনেস বুক অব রেকর্ডসে তার নাম উঠেছে। অতএব সে স্কুলে যায় না, সারাদিন ঘরে বসে শুধু বার্গার খায় আর কম্পিউটার প্রোগ্রামিং করে। ফলে তার আকার অনেকটা ফোলানো বেলুনের মতো হয়ে গেছিল! যখন দেখলাম ভারতীয় তের বছরের এক ছেলে গুগোলে যোগ দিয়েছে, তখন আমার মনে পড়ল এই কম্পিউটার উইজার্ডের কথা। এখন তার কি অবস্থা, তা জানবার জন্য অন্তর্জালে অনেক খোঁজাখুঁজি করলাম, কিছু পেলাম না... লেখাপড়া, খেলাধুলা বাদ দিয়ে সারাদিন বসে প্রোগ্রামিং করলে একটা ছয় বছরের ছেলের কোন উপকার হয় না, মা- বাবা কি সেটা বুঝতে পারেন নি! নাকি সেলিব্রেটির মা- বাবা হবার আকাঙ্খায় সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভাবেনই নি!!
শৈশব হওয়া উচিত আনন্দময়, নিশ্চিন্ততায় ভরা, অন্তত জীবনের প্রথম দশ বছর। অবশ্যই অনেক শিশু প্রতিভাবান হয়, কিন্তু তাই বলে সেই প্রতিভাকে পুঁজি করে শিশুকে সেলিব্রেটি বানিয়ে তার শৈশবের আনন্দকে বিসর্জন দেয়া ঠিক হয় কি!! অনেক দেশে দেখি রাজপরিবারের, প্রেসিডেন্টের, বা যেকোন সেলিব্রেটির শিশু সন্তান থাকলে তারা চেষ্টা করেন শিশুর উপর যেন সেলিব্রেটির তকমা না লাগে, শিশু যেন একটা স্বাভাবিক শৈশব পায়। অথচ আমাদের দেশে এর উল্টোটাই দেখা যায়!
প্রার্থনা করি, কোন মা- বাবা যেন সেলিব্রেটি সন্তানের মা- বাবা হতে গিয়ে সন্তানকে শৈশবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না করেন।
১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:০১
করুণাধারা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, আজ ভালো আছি মুক্তা নীল। তবু উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল!
"এসো গান শিখি" চমৎকার একটা অনুষ্ঠান ছিল। এইসব অনুষ্ঠান থেকে শিশুরা কেবল গান শিখতে তা না, বরং বড়দের সাথে বিনয়ের সাথে কথাবার্তা বলা, ভদ্রতা এসবও শিখত। আমি যে অনুষ্ঠানগুলোর কথা বলছি, এই অনুষ্ঠানগুলো বাচ্চাদের আত্মম্ভরী করে তোলে- এটা ভালো নয়, বড়দের এটা বোঝা উচিত। তবে ওই যে আপনি যেমন বলেছেন, এগুলো সব হয় বাণিজ্যিক কারণে।
চমৎকার মন্তব্য আর প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম মুক্তা নীল। শুভকামনা রইল।
২| ১১ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৪৬
মুক্তা নীল বলেছেন:
আমিও আপনার সাথে প্রার্থনা করি ,
প্রার্থনা করি, কোন মা- বাবা যেন সেলিব্রেটি সন্তানের মা- বাবা হতে গিয়ে সন্তানকে শৈশবের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না করেন।
১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫
করুণাধারা বলেছেন: সেটাই! মা বাবারা আজকাল যেভাবে সন্তানদের সেরা বানাবার জন্য তাদের ইঁদুর দৌড়ে শামিল করেন, সেটা কিছুতেই কাম্য নয়। বাচ্চারা শেখে কেবল দৌড়ে আগে যেতে হবে, আশপাশের কাউকে হাত বাড়িয়ে দেয়াটা এরা শেখে না...
আবার ফিরে আসায় ধন্যবাদ মুক্তা নীল।
৩| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:২২
শায়মা বলেছেন: আজ ভুল হয়নি আপুনি!!!!!!!!!!!!
আগেই এসে গেছি!!!!!!!!!!!!
১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:১১
করুণাধারা বলেছেন: এত রাতে না ঘুমিয়ে হাজিরা দিলে!! আমি কি ভয়ানক এক হুকুমদার হয়ে গেলাম নাকি!!!
কষ্ট করে এসে মন্তব্য করে তারপর প্লাস দিয়েছ!
৪| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:২৮
শায়মা বলেছেন: ঠিক তাই আপু......
আমিও ভাবি কারা শেখায় এসব বাচ্চাদেরকে?
গান বা নাচ ছোট থেকেই শিখতে হয় । এসব গুরুমুখি বিদ্যা বটে। আমাদের সময় গুরুমুখী বিদ্যার গুরুরাও ছিলো শ্রদ্ধাভাজন মানুষজন! আর এই শিশুদেরকে যারা শিখাচ্ছেন কারা তারা! জানিনা ......
শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বা নৃত্যের বদলে এখন হিন্দী নাচও নাকি একটা নাচ সেই নাচের মুদ্রাও আবার মুদ্রা। যেদিন শাহরুখ খান বাংলাদেশে এলো আর মানুষজন স্টেজে উঠে নাচছিলো সেদিন দেখেই জানলাম এটাও নাকি শিখবার বিষয়!
মাইকেল জ্যাকসন আর হিন্দী স্টাইল মিলে হলুদ সন্ধ্যা ও মাঠে ঘাটে যেসব নাচ হয় আমি বসে বসে ভাবি এসব কি! এও আবার শিখতে লাগে!!!!!!!! ফুহ!!!!!!!!!!!
১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:২০
করুণাধারা বলেছেন: কি ভয়ঙ্কর সংস্কৃতি আমাদের গ্রাস করছে!! হিন্দি নাচ- গানের সংস্কৃতি ভারতীয়দের, তারা নাচ গান করলে ততটা চোখে লাগে না। কিন্তু আজকাল আমাদের দেশে হিন্দি গানের সাথে হলুদ সন্ধ্যায় যেভাবে নাচের ভিডিও দেখি, আমি অবাক হয়ে যাই দেখে!! মনেহয় যেন বিয়েটা একটা হিন্দি সিনেমা, তাই বর বউ নাচের রিহার্সেল করে!! কোথায় যাচ্ছি আমরা!!!
ছোট বাচ্চারা এসব আজগুবি জিনিস দেখছে। ওই যে বলেছি, শৈশব এখন আর অনাবিল থাকে না। এসব দেখলে কি করে থাকবে বলো!!
৫| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:২৮
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আল্ট্রা ট্যালেন্টেড শিশুদেরকে বলা হয় প্রডিজি। এদেরকে গড গিফটেডও বলা যায়। ছয় বছরের কম্পিউটার বিস্ময়টা হলো রূপকথা। তার মতো শত শত শিশু এই দুনিয়ায় আছে। ইভেন অনেক কম বয়সেও কিছু কিছু শিশুর আই-কিউ ১৫০ মতো। যা কিনা মিরাকল হিসেবেই ধরা যায়।
আমার এক কাজিনের কথাই বলি। ও প্রথম শ্রেণীতে না উঠেই সরল অংক পারতো। গণিতে ওর চমৎকার দক্ষতা ছিলো।যা ওর পরবর্তী জীবনেও কাজে লাগে।
এবার আসি আপনার পোস্টের সেলিব্রিটিদের নিয়ে। শিশুরা কিছুটা অনুকরণপ্রিয় হয়। তবে যারা তা একটু বেশি এক্সপ্রেশন দিয়ে করে তারাই এসব শো তে ভালো করে। এটা সাময়িক এবং যার প্রভাব পরবর্তীতে পড়ে। অনেক গুণী অভিনেতার শুরুটা তো ছোটকালেই হয়েছিল।
এজন্যই একসময় তাদের খুঁজে পাওয়া অনেক সময় দুঃষ্কর হয়ে যায়।
নিচে বিজ্ঞানী Michio Kaku এর বিখ্যাত বই Physics of the Impossible: A Scientific Exploration Into the World of Phasers, Force Fields, Teleportation, and Time Travel এর মুখবন্ধের কিছু লাইন তুলে দিলামঃ
In high school for my science fair project I assembled an atom
smasher in my mom's garage. I went to the Westinghouse company
and gathered 400 pounds of scrap transformer steel. Over Christmas I
wound 22 miles of copper wire on the high school football field. Even
tually I built a 2.3-million-electron-volt betatron particle accelerator,
which consumed 6 kilowatts of power (the entire output of my house)
and generated a magnetic field of 20,000 times the Earth's magnetic
field. The goal was to generate a beam of gamma rays powerful
enough to create antimatter.
My science fair project took me to the National Science Fair and
eventually fulfilled my dream, winning a scholarship to Harvard, where
I could finally pursue my goal of becoming a theoretical physicist and
follow in the footsteps of my role model, Albert Einstein.
১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭
করুণাধারা বলেছেন:
সুচিন্তিত আর সুলিখিত দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আর্কিওপটেরিক্স। এক এক করে জবাব দেই; রূপকথা কে চিনে ফেলবেন এটা ভাবি নি!! আমি ছাড়া আর কেউও তাহলে তাকে মনে রেখেছে! নাকি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন!!
আমি কী বললাম আর কী বুঝলেন!! আমি শিশুদের প্রতিভা অন্বেষণের বিপক্ষে নই। অনেক শিশুরাই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি প্রতিভাবান হয়, তাদের আবিষ্কার এবং প্রতিভার লালন প্রয়োজন, দেখুন এই শিশুটিকে! শিশু প্রডিজি
আমার আপত্তির কারণ, যেভাবে এই প্রতিভা নিয়ে কদিন তুমুল মাতামাতি করা হয়(পুরোপুরি বানিজ্যিক কারণে), তারপর প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে শিশু প্রতিভার কি হলো তার খবর আর কেউ রাখেনা, সেটা। ক্ষুদে গানরাজের জুয়েল রানা, যার বাবা ছিলেন রিকশাচালক, অনুষ্ঠানে তাকে মুকুট পরিয়ে নিয়ে অনেক মাতামাতি করা হলো। আজ কি হলো তার? আরেকটা দরিদ্র পরিবারের মেয়ে ছিল ঝুমা, খুবই ভালো গাইতো! এরা হারিয়ে গেছে, আমার মনে হয়, কদিনের জন্য এই রুপালি জগতে বিচরণ তাদের জন্য কোন শুভ ফল বয়ে আনেনি, মনে হয় হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
আমি পোস্টে উল্লেখ করেছি একটা মেয়ের কথা, যে নাচে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, তারপর তাকে আর কেউ মনে রাখেনি। অভিনয় করতে গিয়েছিল, সেটাও পারেনি। এদের প্রতিভাকে এদের মা বাবা পুঁজি করেন কিছুদিনের জন্য সেলিব্রেটি স্ট্যাটাস উপভোগ করার জন্য, কিন্তু এর ফলে এদের অনেকের লেখাপড়ার ক্ষতি হয় যা আর পোষানো যায় না। অথচ এটা ঠিক রেখে বাকি সব করা উচিত ছিল। রূপকথাকে অতি প্রতিভাবান বলে তার মা বাবা ছয় বছর বয়সেও স্কুলে পাঠান নি, পরে যদি পাঠিয়েও থাকেন, দিনরাত চেয়ারে বসা বাচ্চাটার সেখানে সবার সাথে এডজাস্ট করা কষ্টকর হবার কথা।
মোদ্দা কথা আমি বলতে চেয়েছি, শিশুর প্রতিভা যদি এমন হয় যে, সে হাজার শিশুর মধ্যে একজন, তবে হয়তো সেই প্রতিভার লালন করা যায়, লেখাপড়া- খেলাধুলা শৈশবের এইসব অবশ্যকরণীয় জিনিসগুলো স্যাক্রিফাইস করে। কিন্তু যে শিশুদের উল্লেখ আমি করেছি, তারা তেমন বিরল প্রতিভাধর কিছু নয় যে, তাদের মা বাবা এভাবে তাদের লেখাপড়ার ক্ষতি করতে থাকবেন।
শেষ দুই প্যারায় যে উদ্ধৃতি দিয়েছেন তা পড়েও ভালো লাগলো। এইরকম প্রতিভাধর শিশুদের নিয়ে এমন মাতামাতি হয় না, তাই তাদের পরে হতাশায় ভোগার আশংকাও নেই। এই যে গণিত অলিম্পিয়াড আর অন্যান্য সব অলিম্পিয়াডে পদকজয়ী যারা, এরাও প্রতিভাধর কিন্তু এদের নিয়ে তেমন মাতামাতি হয় না বলেই সম্ভবত এরা প্রত্যেকে তাদের প্রতিভার চর্চা করে যেতে পেরেছে; এরা প্রায় সবাই বিদেশের নামকরা প্রতিষ্ঠান পড়াশোনা করেছে। খ্যাতির মোহে বন্দী হওয়া কারো জন্যই ভালো নয় শিশুদের জন্য তো নয়ই।
সুদীর্ঘ মন্তব্য আর প্লাসের জন্য ধন্যবাদ আর্কিওপটেরিক্স। শুভকামনা।
৬| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:৩৫
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: অনেক শিশুই স্বাভাবিক শৈশব পায় না বা শৈশবটাকে তাদের নিজের মতো করে তৈরী করতে চায়। এক্ষেত্রে অটিস্টিক বাচ্চাদের কথা বলা যেতে পারে। তারা কিন্তু উপর্যুক্ত শিক্ষা এবং এ্যাসিস্ট্যান্স পেলে চমৎকার চমৎকার কাজ করতে পারে। বিদেশি বাচ্চাদের ক্ষেত্রে স্পেশাল কেয়ার দেখা গেলেও এদেশের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের নিয়ে ততটা কাজ করা হয় বলে মনে হয় না। তাই তাদের প্রতিভা লুক্কায়িতই থাকে !
১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: অনেক শিশুই স্বাভাবিক শৈশব পায় না বা শৈশবটাকে তাদের নিজের মতো করে তৈরী করতে চায়।
অটিস্টিক বাচ্চাদের কোন একদিকে বিশেষ প্রতিভা থাকে মা-বাবার অবশ্যই দায়িত্ব সেই বিশেষ প্রতিভাকে খুঁজে বের করা, সেটাকে লালন করা, কারণ অটিস্টিক বাচ্চাদের জন্য পৃথিবীটা সংগ্রামের জায়গা। তবে আমি তাদের কথা বলিনি। আমি বলেছি স্বাভাবিক বাচ্চাদের কথা, যাদের আর দশটা স্বাভাবিক বাচ্চাদের মত শৈশব পাওয়া উচিত, সেলিব্রেটি হয়ে গিয়ে সবার থেকে আলাদা হওয়া ভালো নয় বলে আমি মনে করি।
৭| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ৩:২৬
ল বলেছেন: প্রার্থনা কবুল হোক -
যদিও অরণ্য রোদন ছাড়া কিছু নয়।।।
অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন ++++
১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্য আর প্লাস দিয়ে অনুপ্রাণিত করায় অনেক ধন্যবাদ, ল।
জানি অরণ্যে রোদন, তবু আমাদের সচেতন হওয়া দরকার। ঠিক তাই, প্রার্থনা কবুল হোক মা-বাবার সুবুদ্ধি ফিরে আসুক।
৮| ১২ ই জুন, ২০১৯ ভোর ৬:৩১
হাবিব বলেছেন: আপনার প্রার্থনা কবুল হোক। ভালো লাগলো লেখা ও লেখার বিষয়বস্তু
১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ হাবিব স্যার, আপনার প্লাস আমার জন্য অনুপ্রেরণা, আরেকবার ধন্যবাদ।
৯| ১২ ই জুন, ২০১৯ সকাল ৯:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ শিশুদের কিভাবে শিক্ষা দিতে হবে তা খুব সুন্দর করে বলে গেছেন।
১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৯
করুণাধারা বলেছেন: ভালো কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। তবে আজকাল তো রবীন্দ্রনাথের যুগ নয়, সবাই চায় খ্যাতি এবং অর্থ। তাই শিশুদের শিক্ষা অন্যরকমভাবে দেয়া হয়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর।
১০| ১২ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:০৯
পবিত্র হোসাইন বলেছেন: এক শ্রেণীর মানুষ নিজের ব্যবসায়িক স্বার্থে এসব করে চলছে।
১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৪২
করুণাধারা বলেছেন: একেবারে সঠিক পয়েন্টটা ধরেছেন পবিত্র হোসাইন, এই সমস্ত কিছু করা হচ্ছে বাণিজ্যিক কারণে। শিশুদের বড়দের মতো দেখতে পেলে কিছু মানুষ বিনোদিত হয়, ঠিক যে কারণে শিশু পর্নোগ্রাফির চাহিদা বেশি। এসব কি হওয়া উচিত?
১১| ১২ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:০৬
মা.হাসান বলেছেন:
Your children are not your children.
They are the sons and daughters of Life's longing for itself.
They come through you but not from you,
And though they are with you yet they belong not to you.
You may give them your love but not your thoughts,
For they have their own thoughts.
You may house their bodies but not their souls,
For their souls dwell in the house of tomorrow,
which you cannot visit, not even in your dreams.
You may strive to be like them,
but seek not to make them like you.
For life goes not backward nor tarries with yesterday.
You are the bows from which your children
as living arrows are sent forth.
The archer sees the mark upon the path of the infinite,
and He bends you with His might
that His arrows may go swift and far.
Let your bending in the archer's hand be for gladness;
For even as He loves the arrow that flies,
so He loves also the bow that is stable.
On Children : Kahlil Gibran
১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: আমার প্রিয় কবিতা পুরোটা তুলে দিতে অনেক কষ্ট করেছেন মা হাসান। অনেক ধন্যবাদ।
মন খারাপ করে বসে একবার আমি এটা অনুবাদ করেছিলাম এই পোস্টে, সন্তান আশাকরি পোস্টের শেষ প্যারাটা পড়ে দেখবেন। ভালো থাকুন।
১২| ১২ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩
নজসু বলেছেন:
খুবই সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে আলোকপাত করেছেন।
সেই সময়ের নতুন কুঁড়ি আর এই সময়ের প্রতিভা অন্বেষণের নামে অনুষ্ঠানগুলোর পার্থক্য রাতদিন।
সচেতন মা বাবা (???) তাদের সন্তানদের সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে যেভাবে গড়ে তুলছেন আল্লাহ জানেন অদূর ভবিষ্যতে কি ঘটবে?
শিশু বড় হওয়ার সাথে সাথে নানা বিষয়ে সে জ্ঞান লাভ করে। প্রথমে সামগ্রিকভাবে, পরে নির্দিষ্টভাবে কোনো বিষয় বা বস্তু সম্পর্কে সে জানতে পারে।
অথচ সেলিব্রেটি সন্তানের গর্বিত পিতা মাতা হওয়ার লোভ সামলাতে না পেরে সন্তানদের পাকনা হিসেবে গড়ে তুলছেন।
ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছেন যেন।
সন্তানকে কোন ডিভাইসের সাথে নয়; ভালো কোন কিছুর সঙ্গী বানাতে হবে।
রিয়েলিটি শোগুলোর নতুন উপাদান হচ্ছে শিশু।
প্রতিভা অন্বেষনের নামে চলছে এক ধরনের ক্ষতিকর ব্যবসা।
আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের মগজ ধোলাইয়ের প্রচেষ্টা।
১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:০১
করুণাধারা বলেছেন: আজকালকার বাচ্চাদের দেখে আমার অবাক লাগে। তারা ৩/৪ বছর বয়সেই মোবাইল নিয়ে ভিডিও করতে পারে, অনেক কিছু ডাউনলোড করতে পারে এবং বাবা মা তাই নিয়ে গর্বিত বোধ করেন!! নিজের সন্তানকে টিভিতে দেখাবে, এটা তাদের কাছে অনেক বড় গর্বের ব্যাপার!! এর বিনিময় তাদের সন্তানের জীবন থেকে কি কি হারিয়ে যাবে সেটা তারা ভাবেন না। অনেক মা আজকাল ভারতীয় সিরিয়ালের ভক্ত। সন্তান পাশে নিয়ে তারা সিরিয়াল দেখেন। সিরিয়াল নির্মাতারাও এমন, তারাও বাণিজ্য বোঝে, এবং সিরিয়ালের কাহিনীতে এমনভাবে কিছু শিশু চরিত্র রাখে যেন আমাদের বাচ্চারা এসব সিরিয়ালে আসক্ত হয়। একমাত্র মা-বাবার সচেতনতাই পারে শিশুকে সুন্দর শৈশব উপহার দিতে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, নজসু।
১৩| ১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব ভালো একটি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেছেন। বর্তমান যুগে প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে বাচ্চাদের পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে একটা বিশেষ পারদর্শিতা দেখাতে না পারলে মা-বাবার গেল গেল রব তোলাটা একটা কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তারই অঙ্গ হিসাবে এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় বাচ্চাদেরকে স্টেজ পারফর্ম নিয়ে মাথা ব্যাথা । এতে শৈশব বিপন্ন। বিপন্নতার ছন্দময় জীবনও। বহু বাবা-মায়ের অপরিণামদর্শিতা বাচ্চার জীবনকে ভয়াবহ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আমাদের শৈশবের সুকুমার রায়,উপেন্দ্রকিশোর আজ মিথে পরিণত হয়েছে। অবশ্য মগজ ধোলাইটি হচ্ছে ঘরে ঘরে টিভিতে রিয়েলিটি-শো দেখে তাকে অন্ধ অনুকরণ করা।
অত্যন্ত যুগোপযোগী, সচেতন পোস্টে দশম লাইক।
শুভকামনা জানবেন।
১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্য ভালো লাগলো, পদাতিক চৌধুরী।
আজকাল সময়টা যেন শুধু দৌড়াবার; মা বাবা শিশুর মনের দিকে তাকাবার সময় পান না। আপনি ঠিকই বলেছেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি আজকাল কোন বিষয়ে সন্তানকে বিশেষ পারদর্শী করে তুলতে না পারলে মা-বাবার যেন সম্মানহানি হয়। এক মা দেখলাম মেয়ের জন্য গানের মাস্টার খুঁজে বেড়াচ্ছেন, এমন মাস্টার টেলিভিশন চ্যানেলের সাথে যার যোগাযোগ আছে, সহজেই যে তার মেয়েকে টেলিভিশনে "চান্স" দিতে পারবে... আজকাল মনে হয় মানুষের সহিষ্ণুতা, ভদ্রতা সব চলে গিয়ে সেখানে এসেছে এক অদ্ভুত হিংস্রতা আর রাগ। এসব ভাবলে খুব খারাপ লাগে...
আপনার সন্তানের জন্য শুভকামনা। প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
১৪| ১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাচ্চা-কাচ্চা মানুষ করা আজকাল এমনিতেই অত্যন্ত কঠিন কাজ। তার উপরে কিছু বাবা-মা তাদের শখ-আহ্লাদ পূরণ করার জন্য বাচ্চাদেরকে ব্যবহার করে...যা আখেরে বাচ্চাদের উপকারের বদলে ক্ষতিই করে বেশী। ওদেরও যে একটা আলাদা সত্ত্বা আছে এটা অনেক বাবা-মাই বুঝতে পর্যন্ত চায় না।
আপনার এই চমৎকার লেখাটা ব্লগের অনেক বাবা-মার দৃষ্টিকে আরো অধিকতর প্রসারিত করবে......এ'টুকু আশা তো করতেই পারি।
১২ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:০৪
করুণাধারা বলেছেন: কিছু বাবা-মা তাদের শখ-আহ্লাদ পূরণ করার জন্য বাচ্চাদেরকে ব্যবহার করে.
আগে দেখতাম যে সব মা-বাবারা নিজেরা শিক্ষাজীবনের তেমন সফল হতে পারেননি, তারা সন্তানের সফলতার মাধ্যমে তাদের নিজেদের ব্যর্থতা ভুলতে চান, সন্তানকে সব সময় পড়াশোনা নিয়ে একটা চাপের মধ্যে রাখেন। আজকাল অন্য জিনিস হয়েছে, মা বাবারা সন্তানকে সফল করতে গিয়ে তাদের অনেক সময় রোবট বানিয়ে ফেলছেন, দীর্ঘ মেয়াদে এর ক্ষতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা তারা একেবারেই ভাবছেন না। সন্তানকে সৎ গুণাবলীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া মা-বাবার দায়িত্ব, এটা অনেক মা-বাবাই মনে রাখেন না। অনেককাল আগে আমার মেয়ে যখন ভিকারুন্নেসা স্কুলের প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষা দেবে, আমি তাকে কোন কোচিং এ ভর্তি করিনি। আমাদের পাশের বাসায় মেয়ের বান্ধবী ভর্তি কোচিং করতো। একদিন আমি তার বাসায় গেছি, দেখি সে পড়ছে। আমি বললাম, দেখি কি পড়ছো! সাথে সাথে সে খাতা লুকিয়ে ফেলল। এত ছোট মেয়েকে কেউ শিখিয়ে না দিলে এই জিনিস জানার কথা না!! ভর্তি পরীক্ষায় আমার মেয়ে টিকেছিল, সেই মেয়েটি পারেনি। মেয়েটির মনে তার মা যে হিংসার বীজ বপন করেছিলেন, না সেটা তার জন্য কোনো ভালো ফল বয়ে আনেনি, পরবর্তীতে দেখলাম।
মন্তব্য ও প্লাস দিয়ে অনুপ্রেরণা দেওয়ায় ধন্যবাদ, ভুয়া মফিজ।
১৫| ১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:৪১
জুন বলেছেন: করুনাধারা গতরাতেই আপনার লেখাটি পড়ে ভালোলাগা দিয়ে গেছি। আমি বহু বছর ধরে যা মনে মনে ভেবেছি আপনি হুবুহু তাই আপনার লেখায় তুলে ধরেছেন। আজকাল অনেক বাবা মা মনে হয় উচ্চাকাংখার যৌক্তিক সীমা পেরিয়ে যায়। আগে কিছু কিছু যাত্রা পালায় বিরতির ফাকে ফাকে প্রিন্সেস অমুক তমুক নামে নর্তকীদের যে সব অশ্লীল নাচ চলতো তা এখন হিন্দি সিনেমায় আইটেম নাচের মর্যাদা লাভ করেছে, সেই সব নাচ শিখে ছোট ছোট বাচ্চারা বিভিন্ন শো বা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করছে যা সহ্য করা সত্যি কষ্টকর।
ভালোলাগলো লেখাটি ।
১২ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:১৮
করুণাধারা বলেছেন: গতরাতে আমি আমার পোষ্টের প্রথম প্লাসটি দেখেছিলাম এবং খুবই খুশি হয়েছিলাম, আপনার থেকে এই প্লাস পেয়ে। এখন মন্তব্য খুব ভালো লাগলো।
আমি অনেক দেশ ঘুরিনি, তাই অন্য দেশের বাচ্চাদের দেখি নি। কিন্তু অন্যদের থেকে শুনেছি, অনেক দেশেই মা বাবারা সন্তানকে একটা আনন্দময় শৈশব দিতে চান, যার জন্য অনেক সেলিব্রেটি পর্যন্ত তাদের নাম ডাকের আওতা থেকে সন্তানকে দূরে রাখেন। অথচ আমাদের দেশে এর উল্টো, মা বাবা চান সন্তানের মাধ্যমে নিজের পরিচিতি অর্জন করতে।
ঠিকই বলেছেন, যাত্রাপালার অশ্লীল নাচ আজকাল হিন্দি আইটেম সং হয়ে আমাদের ঘরে ঢুকে পড়েছে; শিশুরা এগুলো অনুকরণ করছে আর তাদের অনুকরণ দেখে মা-বাবারা আহ্লাদিত হচ্ছেন!!! জানিনা এর শেষ কোথায়!
শুভকামনা রইল, জুন।
১৬| ১২ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:২০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুবই সুন্দর এবঙ গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট
ছোটরা যখন বড়দের মত গায় আর মেকাপ করে মনটাই খারাপ হয়ে যায় ।আল্লাহ জানে মায়েরা ছোট বাচ্চাকে বড়দের মতন কেনো দেখতে চায় আজিব
১২ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩
করুণাধারা বলেছেন: আমারও বড় অদ্ভুত লাগে, মায়েরা কি করে সন্তানের রং মেখে সঙ সেজে বড় হওয়া ভাব সহ্য করেন! শুধু কি বড় হওয়া ভাব, এরা তো ভাবভঙ্গিতে নষ্টামি করে। বাচ্চাদের এভাবে প্রদর্শন করা, আর ছোট কাপড় পরে নিজের শরীরকে প্রদর্শন করানোর মধ্যে আমি কোন তফাৎ দেখি না। দুইটাই সমান ন্যাক্কারজনক।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ, কাজী ফাতেমা ছবি। ভালো থাকুন সব সময়।
১৭| ১২ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আসলে গতকাল আমার বক্তব্যের একটা অংশ মন্তব্য করেছিলাম। এবার আসি কুফল নিয়ে।
এসব শিশুদের বেশিরভাগই কালের স্রোতে হারিয়ে যায়। অন্যদিকে টিআরপির লোভে টিভি চ্যানেলগুলো এ জাতীয় অনুষ্ঠান করতেই থাকে। যার ফলে অনেক শিশু এবং তাদের প্যারেন্টস এসব প্রতিযোগিতার প্রতি আকৃষ্ট হন। তারা তাদের সন্তান কে কারো মতো বানাতে চান যা ঐ সন্তানের স্বাভাবিক শৈশব নষ্ট করে দেয়। সেলিব্রিটি তা সে বড়ো হোক বা বাচ্চা, সাধারণ কারোর সাথে সহজে মিশতে পারে না। সমাজের এক ধরাবাঁধা অংশের বাসিন্দা হয়ে যায়।
শিশুরা ফুলের মতো। কাদার মতো। যেভাবে গড়বেন সেভাবেই তৈরী হবে। পরিবেশটা তাই বড় একটা ফ্যাক্ট। ওদের নিজগুণে প্রস্ফুটিত হতে দেওয়া দরকার। নিজের সোনালী শৈশবের দিকে তাকিয়ে তাদের এসব ফালতু শো তে না পাঠানোটাই উত্তম।
অলিম্পিয়াডের কথা আমি বেশ ভালোই জানি। আমি নিজে বহু অলিম্পিয়াড এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। এখনো বিদেশি সেসব বই আমার কাছে আছে। অলিম্পিয়াডগুলো মানুষের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগিয়ে তোলে। এজাতীয় প্রতিযোগীতা বেশি বেশি হওয়া দরকার। গ্রামের অনেক গরীব মেধাবীরা এসব অলিম্পিয়াড সম্পর্কে ততটা জানে না। তাই আমাদের সকলের উচিত এদিকটায় কিছু করা।
অলিম্পিয়াড যেহেতু এলোই, তাই এই কথাটা না বলে পারছি না। ম্যাথ অলিম্পিয়াডে গোল্ড মেডেল পাওয়া জাওয়াদ এই বছরই এমআইটিতে ভর্তি হবে। যার কিনা বুয়েটের ফর্ম তোলার যোগ্যতাও ছিলো না। দেশের এই দিকটা নিয়ে অনেক ভেবেছি আমি। শিক্ষার মান আজ তলানিতে।
১২ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: শিশুরা ফুলের মতো। কাদার মতো। যেভাবে গড়বেন সেভাবেই তৈরী হবে। পরিবেশটা তাই বড় একটা ফ্যাক্ট। ওদের নিজগুণে প্রস্ফুটিত হতে দেওয়া দরকার। নিজের সোনালী শৈশবের দিকে তাকিয়ে তাদের এসব ফালতু শো তে না পাঠানোটাই উত্তম।
খুব দামী কথা। মনে হয়, আজকাল মা বাবারা এত ব্যস্ত হয়ে গেছেন বাচ্চাদের নিয়ে ভাববার তাদের সময় নেই।
এই দেশের মেধাবী মানুষের খুব প্রয়োজন। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রণোদনা দেয়া দরকার। এই ধরনের অলিম্পিয়াড উপজেলা লেভেল থেকে শুরু করলে আমার ধারণা অনেক মেধাবী ছাত্র উঠে আসবে। আমি কয়েকজন মেধাবী ছাত্রের কথা শুনেছি, যারা ক্ষেতের ধান কেটে লেখাপড়া করেছে প্রায়ই অনাহারে থেকে। পরবর্তীতে বুয়েটে খুব ভালো রেজাল্ট করে। এরা কেবল যে গণিতে ভালো তা নয়, আশ্চর্যজনকভাবে স্বল্প সুবিধার মধ্যে থেকেও ইংরেজিতে ও ভালো!!!
বুয়েটে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ, অনেক মেধাবী এবং যোগ্য প্রার্থী এতে বাদ পড়ে যায়। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষা এবং খাতা দেখা এমন ভাবে হয় যে, স্বজনপ্রীতির কোন সুযোগ নেই। ভিসি পর্যন্ত ফল প্রকাশের আগে জানতে পারতেন না তার ছেলে মেয়ে সুযোগ পেয়েছে কিনা...আপনি প্রসঙ্গ তুললেন, তাই এত কথা বললাম।
ফিরে এসে মন্তব্য করায় অনেক ধন্যবাদ আর্কিওপটেরিক্স।
১৮| ১২ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৯
গরল বলেছেন: আমনার কথার সাথে আমি পুরোপুরি একমত, বেশি ইচড়ে পাকা শিশুরা খুব দ্রুতই হারিয়ে যায়। আর্কিওপটেরিস্ক মিচিও কাকুর যে উদাহরণ দিয়েছেন আমি তার ঠিক একটা বিপরীত উদাহরণ দিচ্ছি। আইনষ্টাইন তিন বছর পর্যন্ত কোন কথাই বলে নি, সবাই ভাবত সে কথা বলতে পারে না। যেদিন সে হঠাৎ কথা বলে বসে সবাইতো অবাক, তুমি কথা বলতে জানো? আইনষ্টাইনের উত্তর ছিল আমার দরকার হয় নাই তাই বলি নাই। আরও একটা উদাহরণ হল টমাস আলভা এডিসন, যাকে কিনা স্কুল থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাকে চিঠি দেয়, মা সেটা গোপন করে অন্য স্কুলে নিয়ে যায় আর ফলাফল বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী।
আবার তারিন, মিম, ঈশিতার মত শিশু ব্রিলিয়ান্টরা কিন্তু কোন আহামরি শিল্পী হয় নাই বড় হয়ে, খুবই সাধারণ মানের। তাই ছোটবেলার ইচড়ে পাকামি দিয়ে আসলে ভবিষ্যত বলা যায় না আর তাই শিশুদের চাপ দিয়ে কোন পারফরমেন্স করানো আমিও সমর্থন করি না।
আমি দুইটা প্রডিজির ভিডিও দিলাম, দেখুন মজা পাবেন।
Kids Dancing On Despacito - Luis Fonsi
১২ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই চমৎকার ভিডিওটি দেবার জন্য। দেখে আমোদিত হলাম, খুবই ভালো লাগলো দেখে যে নির্মল আনন্দে শিশু দুটো নাচছিল। বুঝতেই পারছেন আমি শিশুদের যে পারফরম্যান্সের কথা বলেছি তার সাথে এটা কতটা তফাৎ!!
আপনার মন্তব্য পড়ে মনে পড়ল, "অতি বাড় বেড়োনা, ঝড়ে ভেঙ্গে যাবে..." আসলে এই বাচ্চাগুলোকে খ্যাতির লোভে ছুটিয়ে মা বাবারা দম ফুরিয়ে ফেলেন খুব তাড়াতাড়ি। ফলশ্রুতিতে খুব বেশি দিন তাদের খ্যাতি ধরে রাখতে পারেন না, তারপর আসে হতাশা।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, গড়ল। ভালো থাকুন।
১৯| ১২ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১
নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন বিষয়টা । মনে হয় এগুলো স্ক্রিপটেড শো । চার্লি চ্যাপলীনও ছোটো থেকে কাজ শুরু করেছিলেন ।তখন তাঁর কাছে আর কোনো অপশন ছিল না বলে । এখন সবাই বিখ্যাত হতে চায় ।
++
শুভকামনা
১২ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: চার্লি চ্যাপলিনের কথাটা মনে করিয়ে দেয়ায় অনেক ধন্যবাদ, নীলপরি। তবে আমি যে শিশুদের কথা বলেছি, তাদের খুব তাড়াতাড়ি খ্যাতির শীর্ষে তোলা হয়, তারপর হঠাৎই তারা নেমে আসে, কিন্তু সেই অবস্থার সাথে খাপ খাওয়াতে পারে না। এতে দীর্ঘমেয়াদে শিশুদের ক্ষতি হয়।
আপনার মন্তব্য এবং প্লাস আমার জন্য অনুপ্রেরণার, অনেক ধন্যবাদ নীলপরি।
২০| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:১৫
রাকু হাসান বলেছেন:
সুন্দর সু চিন্তিত । সহজ সরল উপস্থাপন । গভীর দৃষ্টিপাত। আমি এমনটা খুব একটা সময় ভাবি নি । ওদের দেখে বিস্ময় হয়েছে অবশ্য প্রায়ই । ভাবনার খোরাক পেলাম । ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য । সিনেমা ,নাটক হওয়ার দরকার এসব বিষয় নিয়ে ।যা একদম সমাজের ডার্ক স্পটে আলোকপাত করবে । দেখাবে নতুন কিছু । আবারও ধন্যবাদ ।
১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: অনেকদিন পর আমার ব্লগে আসলেন, রাকু হাসান।
চমৎকার মন্তব্য আর প্লাসে আমাকে অনুপ্রাণিত করলেন, অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
২১| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৪৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: খুব সুন্দর করে সমাজের একটা ভয়ংকর দিক তুলে এনেছেন। শৈশব হোক সত্যিকারের শৈশব।
১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৫২
করুণাধারা বলেছেন: সত্যিই, এটা একটা ভয়ঙ্কর দিক! মায়েরা সবকিছু ভুলে সিরিয়াল দেখতে বসেন, বাচ্চাদেরও বসিয়ে দেন। আবার এইসব রিয়েলিটি শো বাচ্চারাও দেখে। বাচ্চাদের যে ভালো জিনিস শেখাতে হয় আমরা একেবারে ভুলেই গেছি!!
প্লাস দিয়ে অনুপ্রেরণা দেয়ায় অনেক ধন্যবাদ মনিরা, শুভকামনা রইল।
২২| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:০৩
রাকু হাসান বলেছেন:
ছোটদের জন্য গল্প: নানা দেশে, নানান সময়ে। --এই পোস্টটা আমার অসম্ভব রকম ভালো লেগেছিল ,আবারও বলছি । শিশুদের আপনার লেখাগুলো চমৎকার হয় । আপনি একজন আমার পছন্দের ব্লগারদের মধ্যে একজন । আপনার লেখাগুলো অবশ্যই আামাকে টানে । ইদানীং ব্যস্ততায় আপনার গুরুত্বপূর্ণ লেখা মিস করছি । তবে সামনে ফেলে অবশ্যই ছেড়ে কথা বলতাম না । সব লেখায় আমার গুরুত্বপূর্ণ লাগে ,আপনার । শুভকামনা আবারও ।
ব্লগাররা অতিমূল্যবান মন্তব্য রেখেছেন ,দেখে ভালো লাগছে । বিশেষ করে আর্কিওপটেরিক্স ভাইয়ের কথা বলতেই । আর্কিওপটেরিক্স ভাই আপনার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো এত সুন্দর মন্তব্য রাখার জন্য ।
১৪ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯
করুণাধারা বলেছেন: রাকু হাসান, অনেকদিন পর আমার ব্লগে আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগলো। আরো ভালো লাগলো আপনার অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্য ও প্লাস।
সন্তান জন্ম দেয়ার সহজ, কিন্তু লালন করা ততটা সহজ নয়। অনেক মা-বাবাই ছোটবেলায় ভুল ভাবে সন্তানকে লালন করেন, এবং এর ফলে ভালো হয় না। শিশুদের নিয়ে আমার ভাবনা শেয়ার করছি ব্লগে।
আপনার জন্যও শুভকামনা, ভালো থাকুন।
২৩| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:০৬
সুমন কর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। সহমত। তবে কিছু কিছু বাচ্চা কিন্তু বড় হয়েও তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে এবং রাখবে। আর বাকিগুলো শুধু কিছুদিনের জন্য লাফালাফি।
+।
১৪ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১
করুণাধারা বলেছেন: তবে কিছু কিছু বাচ্চা কিন্তু বড় হয়েও তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে এবং রাখবে।
অবশ্যই। প্রতিভাধর অনেক মানুষের বেলায় আমরা দেখতে পাই, তারা শৈশবেই তাদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছিলেন। কিন্তু সব শিশু এমন নয়। অনেক শিশুকে প্রতিভাবানদের কাতারে ফেলার জন্য মা-বাবারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেন, এবং স্বাভাবিক শিশুর জীবন থেকে তাদের সরিয়ে নেন। যদি এরা প্রতিভাবান হবার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ে, তখন আর স্বাভাবিক শিশুদের জীবনেও ফিরে আসতে পারে না। এটা তাদের জীবনের ভালো কিছু বয়ে আনে না। তাই বাবা-মায়ের উচিত সন্তানদের জন্য কোনটা ভাল সেটা বিবেচনা করে দেখা।
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ সুমন কর, ভালো থাকুন সবসময়।
২৪| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
ঐসব শিশুদের নিয়ে সেলিব্রিটি সব প্রতিযোগিতার আয়োজনে, যে আরোপিত ও বিজাতীয় নকলপনা দেখে আমাদের অনেকেরই মনের মাঝে যে প্রশ্নগুলো উঁকিঝুকি মারে, তাই তুলে ধরলেন যেন আমাদের হয়ে।
তোতা পাখির মতো বুলি আওড়ানো শৈশব নয়, চাই বসন্ত বাতাসে কোকিলের ডাকের অবারিত, স্বতঃস্ফুর্ত শৈশব। কাগজে তৈরী মেকী ফুল নয়, শিশুরা প্রস্ফুটিত হবে বিজন ঘাসে ফুলের মতো। তবেই না সৌরভ ছড়াবে তাদের!
বিষয়বস্তুর চমৎকারিত্বে, উপস্থাপনার ঢংয়ে একটি ভালোলাগার পোস্ট।
+++++++++++
১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:০০
করুণাধারা বলেছেন: তোতা পাখির মতো বুলি আওড়ানো শৈশব নয়, চাই বসন্ত বাতাসে কোকিলের ডাকের অবারিত, স্বতঃস্ফুর্ত শৈশব। কাগজে তৈরী মেকী ফুল নয়, শিশুরা প্রস্ফুটিত হবে বিজন ঘাসে ফুলের মতো। তবেই না সৌরভ ছড়াবে তাদের!
চমৎকার একটি শৈশবের বর্ণনা দিলেন। দুঃখের বিষয়, এই শৈশব আজকালকার শিশুরা পায়না। সারা সপ্তাহ স্কুল- কোচিং করতে হয়, আবার শুক্রবার সকাল ৮ টায় বের হলেও দেখি মায়ের সাথে ছোট ছোট শিশুরা গানের স্কুল, ছবি আঁকার স্কুলে যাচ্ছে। শিশুদের জীবনে খ্যাতি আনতে মা বাবা তাদের শৈশবের আনন্দ বিসর্জন দেন।
চমৎকার এই মন্তব্য এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম আহমেদ জী এস। ধন্যবাদ অশেষ। শুভকামনা।
২৫| ১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:০৭
আরোগ্য বলেছেন: আজকালকার বাচ্চারাা যখন অকপটে মোবাইলের সব নাড়িনক্ষত্র বিচরণ করে তখন মা-বাবা বাহবা দেয়। আমার বরং এদের জন্য মায়া হয়। এতো বড় হয়েও আমি ঠিকমত সব কিছু বুঝিনা। আর এই বাচ্চাগুলির মেধা মা বাবাই নষ্ট করছে।
চমৎকার পোস্ট।
১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:০৪
করুণাধারা বলেছেন: বাচ্চাদের একটা সুন্দর শৈশব দিতে হবে। আজকাল অধিকাংশ মা-বাবারাই চান বাসায় যেমন শোপিস সাজানো থাকে, তাদের সন্তানকেও তেমন একটি শোপিস বানাতে। এটা কখনোই কাম্য নয়।
মন্তব্য এবং প্লাসে আনন্দিত হলাম আরোগ্য, ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
২৬| ১৪ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: সন্তানের অকালপক্কতা তাদের মনে কোন গ্লানি বয়ে আনে না!!! - জোর করে সবকিছু পাকানোর যুগ এটা। আপন সন্তানেরাও বাদ যায় না।
সন্তানকে তার শৈশব থেকে বঞ্চিত করা শুধু ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক অপরাধও বটে।
তারপর এক সময় সাঙ্গ হয় খেলা! - হায়! সময় থাকতে কেউ বোঝে না!!
বাচ্চারা শেখে কেবল দৌড়ে আগে যেতে হবে, আশপাশের কাউকে হাত বাড়িয়ে দেয়াটা এরা শেখে না... (২ নং প্রতিমন্তব্য) - চমৎকার বলেছেন!!
পোস্টে প্লাস + +
১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:১৩
করুণাধারা বলেছেন: সন্তানকে তার শৈশব থেকে বঞ্চিত করা শুধু ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক অপরাধও বটে। খুবই মূল্যবান কথা। জ্ঞান-বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে মা বাবার সন্তান লালন সম্পর্কে ভালোভাবে জানার কথা, কিন্তু তারা জানতে আগ্রহী নন। মা. হাসান তার মন্তব্যে খলিল জিবরানের কবিতাটি উদ্ধৃত করেছেন। পড়ে আরেকবার ভাবলাম- সন্তান একটি উপহার, যারা এটি গ্রহণ করেছি তারা ঠিকমতো মূল্যায়ন করতে পারছি তো!!
আপনার মন্তব্য ও প্লাস আমার জন্য অনেকটা অনুপ্রেরণা। অসংখ্য ধন্যবাদ, এবং শুভকামনা জানাই।
২৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:১৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আজকালকার গানের প্রতিযোগিতায় ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা যখন রোমান্টিক কিংবা বিরহের গান গায় তখন খুবই হতাশ লাগে। কি গাইছে-তা কি আদৌ এই শিসুগুলো বুঝতে পারে।
অল্প কিছুদিন লাইম লাইটের নীচে থাকার পর আবার রেগুলার লাইফে ফিরে আসাটা এই শিশুগুলোর জন্য মোটামুটি অসম্ভবের কাছাকাছি ব্যাপার। হলিউডে মাঝেমাঝে হারিয়ে যাওয়া চাইল্ড সেলিব্রেটিদের নিয়ে দুয়েকটা প্রতিবেদন হয়। আমাদের দেশেতো তাও হয় না।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৩৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা
কেমন আছেন ? পোষ্টের বিষয়বস্তু চমৎকার এবং শিক্ষণীয়। আমরা ছোট থাকতে বাংলাদেশ টেলিভিশনে নতুন কুঁড়ি অনুষ্ঠানটির খুব ভক্ত ছিলাম এবং মনোযোগ দিয়ে দেখতাম । ইশিতা ,তারিণ
মিম আরো কয়েকজন নতুন কুড়ি থেকে সৃষ্টি । এরা তখনই সেলিব্রেটি হয়ে যায়নি। কিন্তু আজ ধুম ধাড়াকা শিশুরা স্টেজ শো
এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে এমন ম্যাচুরিটি দেখায়
যা আপনার লেখার সাথে পুরোপুরি সহমত।
ফেরদৌসী রহমানের "এসো গান শিখি " ছোটদের এই অনুষ্ঠানটিও খুব জনপ্রিয় ছিল । এখনতো শিক্ষণীয় অনুষ্ঠান দূরে থাক , শুধুই প্রতিযোগিতার নামে বিজনেস।
আপনার পোস্টে লাইক।