নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বছর খানেক আগেও রাইফেল স্কয়ারের ফুড কোর্ট ছিল নিচতলায়। তখন সকালের দিকে রাইফেলস স্কয়ারে গেলে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যেত। ফুড কোর্টের চেয়ারগুলোতে, রাইফেল স্কয়ারের চওড়া সিঁড়িতে- সব জায়গায় দেখা যেত স্কুল ড্রেস পরা ছেলে মেয়েদের; হাসি- গল্প করছে, কেউ কেউ হাত ধরাধরি করে বসে আছে। এদের কাউকে কাউকে দেখে মনে হতো বয়স ১০/১২ বছরের বেশি না! এদের মাঝ দিয়ে হেঁটে যাবার সময় আমি এর ওর দিকে কট কট করে তাকাতাম, যেন ওরা বোঝে আমি ওদের এভাবে দেখতে পছন্দ করছি না, তবে আমাকে তারা থোড়াই কেয়ার করতো...
এখন ফুডকোর্ট ছাদে, হয়ত এখনো এই শিশুরা সেখানে এভাবে আড্ডা দেয়...
এই শিশুগুলো ধানমন্ডি আর এর আশপাশের স্কুল থেকে পালিয়ে আসা। শুধু এই জায়গা না, ঢাকার সব এলাকার একই চিত্র। ঢাকার প্রতিটি এলাকায় এমন অসংখ্য খাবারের দোকান, সেসব দোকানে অনেক ছেলে শিশু মেয়ে শিশু স্কুল পালিয়ে আসে। এই শিশুরা দুষ্টু বুদ্ধিতে মোটেও শিশু নয়, তালাশ টিমের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এদের সম্পর্কে যা জানলাম তাতে আমি লজ্জা আর বিস্ময়- দুটোতেই বাক্যহারা হলাম। দেখুন ভিডিও: view this link
বাবা মা এদের পড়াশোনা করার জন্য স্কুলে পাঠান অথচ নানা ছলচাতুরি করে তারা স্কুল থেকে এভাবে পালায় কেন? তালাশ টিমের ভিডিওতে দেখলাম, এমন একজন স্কুল পালানো মেয়ে বলছে, "স্কুলে টিচারদের লম্বা লেকচার শুনে কি লাভ! ফ্রেন্ডের সাথে এভাবে সময় কাটানোই ভালো।" বাহ! চমৎকার! শুনে মনে পড়ল আমার নিজের এই বয়সটাকে; বিজ্ঞানের ক্লাসে নতুন জিনিস শেখার কি আনন্দ যে ছিল!! মাটির কলসিতে পানি রাখলে তা কেন ঠান্ডা থাকে, অথবা কাঁথার তুলনায় লেপ গায়ে দিলে কেন বেশি গরম লাগে, সাবানের সাথে হলুদ মেশালে কী আশ্চর্যজনক ভাবে রং পাল্টায়- এসব জানতে পেরে আমরা যে আনন্দটা পেতাম, এই শিশুরা সেই জানার আনন্দ থেকে নিজেদের বঞ্চিত করছে!! তার বদলে তারা কি পাচ্ছে! তাদের ভাষায়, "ফ্রেন্ডদের সাথে সময় কাটাবার আনন্দ"!
খুব ইচ্ছা করে জানতে, এই শিশুরা কি নিয়ে গল্প করে! মানুষ যত বড় হয় ততো তার জ্ঞানের পরিধি বাড়ে, তখন সে নানা বিষয়ে কথা বলতে পারে। এই ছোট বাচ্চাগুলোর জানাশোনার পরিধি খুবই কম, কি নিয়ে তবে কথা বলে তারা? আর এই যে এরা স্কুলের সময়ে লেখাপড়া বাদ দিয়ে প্রেম করে বেড়ায়, তাহলে লেখাপড়াটা যে একটা ধারাবাহিক প্রসেস, এদের শেখার বিষয়ে যে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে, সেটা পূরণ হবে কি করে? নাকি এই ঘাটতি কখনোই পূরণ হয় না!! এজন্যই কি প্রশ্ন ফাঁস করে এদের সংকট নিরসন করে দেয়া হচ্ছে? এটা খুবই সম্ভব, আমি শুনেছি অধিকাংশ স্কুলের পরীক্ষারতেও "ইম্পর্টেন্ট" এমন ভাবে দাগিয়ে দেয়া হয়, যাতে সবাই পাশ করতে পারে। এই যদি হয় খুবই পরিস্থিতি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার, খুব অন্ধকার!
তালাশের ভিডিওতে দেখলাম, ক্লাস ফাইভের মেয়েও প্রেমের তাড়নায় এভাবে স্কুল পালায়! বাল্যপ্রেমের বহু ঘটনা আমি দেখেছি সন্তানরা যখন স্কুলে পড়তো, তখন। আমি উন্নত দেশের স্কুল দেখিনি, শুনেছি সেখানে ছেলে মেয়েদের বন্ধুত্ব/প্রেম হয়, কিন্তু 'পড়ার সময় পড়া', এই কাজটা তারা মেনে চলে, প্রেম করবার জন্য তারা জ্ঞান আহরণে ফাঁকি দেয় না। বাবা মাকে ঠকিয়ে, শিক্ষকদের লুকিয়ে, শপিং মলে গিয়ে, পোশাক পাল্টে প্রেম করা- আমাদের শিশুদের এই আচরণ কি তাদের সততার কোন পরিচয় বহন করে?
আর এই যে হরেক রকম বিদেশি খাবার- বার্গার, পাস্তা, নাচো, পিজা, আরো কত খাবার, যার নাম আমি জানিনা, তার সাথে কোলড্রিংকস- এসব খেতে দুজনের অন্ততপক্ষে ৪০০ টাকা লাগে! প্রতিদিন খরচ করার জন্য বাচ্চাগুলো এত টাকা কোথায় পায়! এরা তো রোজগার করে না! এদের দেখে আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের একটা স্মৃতি মনে পড়ে। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ জুটিই সময় কাটাতো বিশাল খেলার মাঠের জায়গায় জায়গায় বসে। একদিন আমাদের সিনিয়র এক আপুর কথা শুনলাম, তাকে এক সিনিয়র ভাই প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায় তিনি রাজি হয়েছেন এক শর্তে- তিনি মাঠে হাঁটু মুড়ে বসে ঘাস খেতে পারবেন না, গল্প করতে হলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় নিয়ে গিয়ে বসতে হবে!! তখন আমাদের ক্যাফেটেরিয়ায় পাওয়া যেত শুধু সিঙ্গারা, সমুচা, পরটা, কোক, পেপসি চা এসব। এই কমদামি খাবারগুলো খাওয়ার রেস্তই থাকত না বেশিরভাগেরই। তাই জুটিরা মাঠে বসত, আর মাগনা মাঠের ঘাস ছিঁড়ে খেতে খেতে গল্প করতো...
স্কুলের শিশুরা এভাবে টাকা কোথায় পায় এই প্রশ্নের উত্তর আমি পাইনি। এমনকি তালাশ টিমের প্রতিবেদনেও এই প্রশ্নের উত্তর নেই। তবে এই প্রতিবেদনে দেখলাম, এই শিশুদের বেশিরভাগেরই স্মার্ট ফোন আছে, সেই ফোন তাদের মা বাবা কিনে দেয় নি, তারা জানেনও না যে সন্তানের স্মার্ট ফোন আছে!!! স্কুলে ফোন নেয়া নিষিদ্ধ, তাই তারা পায়ের পাতার নিচে ফোন রেখে, মোজা পড়ে, তারপর জুতা পড়ে ফাঁকি দিয়ে ফোন নিয়ে ঢোকে। এত বুদ্ধি তারা পড়াশুনার কাজে যদি ব্যবহার করত...
সংজ্ঞানুসারে ১৮ (নাকি ১৬?) বছরের কম বয়সীদের শিশু বলার কথা। তাই আমি এদের শিশু বলছি; এদের আচরণ দেখলে অবশ্য শিশু বলে মনে হয়না। এদের এই আচরণ একজন মনোবিজ্ঞানী ব্যাখ্যা করেছেন ভিডিওতে।
শিশু শিক্ষার্থীদের প্রধান কাজ পড়াশোনা, সেই পড়াশোনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এরা যা করছে, তা কোন ভালো ফল বয়ে আনবে না; না তাদের মা-বাবার জন্য, না সমাজের জন্য না দেশের জন্য! আর এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, শিশুদের মধ্যে পড়াশোনা বাদ দিয়ে তথাকথিত ফ্রেন্ডের সাথে সময় কাটানোর প্রবণতা ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে। তালাশের ভিডিওটা দেখুন, আর মাঝে মাঝে খাবার দোকানে ঢু মারুন; দেখবেন আমি সত্যি কথাই বলছি। তবে আমাদের করণীয় কি এটা কিছুতেই বুঝতে পারছি না। এইসব শিশুদের উপদেশ দেব, তাদের মা-বাবাদের বলে দেব??
সেই সব দিন আর নেই
সব ছবি অন্তর্জাল থেকে নেয়া।
১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:২১
করুণাধারা বলেছেন: এদের কে সঠিক ভাবে শিক্ষিত করিয়া তোলা উচিত। নইলে সামনে খবর আছে। সহমত। শুধু এটা জানা নেই কি উপায়ে এদের শিক্ষিত করা যাবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন।
২| ১৪ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: শিশুদেরকে দুপুরের লাঞ্চ প্যাকেট করে সাথে দিতে হবে । নগদ কোন টাকা দেওয়া যাবে না । মার্কেটে প্রশাসন কর্তৃক নজরদারি বাড়াতে হবে। স্কুল ড্রেস পরা কাউকে মার্কেটে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।
১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:২৩
করুণাধারা বলেছেন: এত এত খাবার দোকান সাজিয়ে বসে আছে এদের জন্য আর আপনি বলছেন মার্কেট প্রশাসন নজরদারি বাড়াবে!
এই পোস্টে একটা ভিডিও আছে, একবার সময় করে সেটা দেখুন। তাহলে বুঝতে পারবেন শিশুদের অবস্থা এখন কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ফিরে এসে মন্তব্য করায় আবার ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।
৩| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:২১
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার, খুবই অন্ধকার!!!!!
শুধু অন্ধকার হলে তবুও বাঁচার একটা পথ থাকে কিন্তু চোখ যদি তার সাথে সাথে অন্ধ হয়ে রয় তবে গর্তে পড়ে নির্ঘাত মৃত্যু।
আমাদের আহাম্মক ও বেলাহাজ প্রজন্ম সে দিকেই যাচ্ছে, মৃত্যুর দিকে কি মানসিকতায়, কি সামাজিক আদব কায়দায়, কি পারিবারিক সম্ভ্রম রক্ষায়।
অবশ্য আমাদের পারিবারিক, সামাজিক সম্ভ্রম বলতে কোনও কালেই কিছু ছিলোনা কারন নৃ-তাত্ত্বিক ভাবে বাঙালীর পূর্বপুরুষের আদি ইতিহাস গাঙেয় ব-দ্বীপ এলাকার কালো কালো খর্বকায় অশিক্ষিত, ইতর ও অন্ত্যজ পেশাজীবিদের । সাথে বাইরে থেকে আসা কপর্দকহীন ভবঘুরেদের সংমিশ্রন। কুকুরের লেজের চরিত্র যেমন সোজা না হওয়া, তেমনি আমাদের ইতরামী চরিত্রও কখনও সোজা হবার নয়! সেই অশিক্ষা থেকে , অন্ত্যজতা থেকে আমাদের পরিত্রান নেই - সবই "ডিএনএ"-র কারবার। সবখানেই তাই এইসব নীচুতার ছড়াছড়ি।
খুব আশংকার ও উদ্বেগজনক একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। এসব পড়ে কারোই হয়তো বোধদয় হবেনা কারন এই প্রজন্ম 'ফেসবুক' নামের একমাত্র বইটির নামাবলী গায়ে দেয়া। আর আমরাও ! ঐ যে বললেন --- এ সব লেকচার শুনে কি লাভ...........
১৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য আহমেদ জী এস, যদিও মন খারাপ হয়ে গেল। আমার পোস্টটাই তো মন খারাপ করে লেখা!! যে জাতির সন্তানেরা এত অল্প বয়সে "সু" পথের বদলে "কু" পথে পা বাড়ায়, জ্ঞানার্জনের স্পৃহা হারিয়ে ফেলে- তাদের দিয়ে ভালো কিছু কি সম্ভব। আমাদের জাতীয় বৈশিষ্ট্য আপনি চমৎকার ভাবে বর্ণনা করেছেন। এই জাতিকে দিকনির্দেশনা দেবার জন্য এখন বিদেশ থেকে শিক্ষক এবং ডাক্তার আনা হবে, গতকাল প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন।
হতাশ লাগে খুব। আমাদের যুগে দীর্ঘ পথ হেঁটে স্কুলে গেছি, পরিশ্রম করেছি, ভেবেছি লেখাপড়া করলে, শিক্ষকদের লেকচার শুনলে জীবনে কিছু অর্জন করতে পারব। আমাদের জীবনের একটা লক্ষ্য ছিল, অনেক পরিশ্রমের সেখানে পৌঁছাতে হত। আজ এদেশের তরুণেরা লক্ষ্যহীন, মানবিক গুন বিবর্জিত... কিন্তু শিশুরাও সেই একই পথে হাঁটছে। যারা তাদের পথ দেখাতে পারত, তারা বরং এদের ভুল পথে ঠেলে দিচ্ছে... এই প্রজন্ম বড় হতে হয়তো দশ বছর, তখন দেশ ক্যানাডা হবে তো!!
মন্তব্য আর প্লাসে অনুপ্রেরণা দেয়ার ধন্যবাদ আহমেদ জী এস। ভালো থাকুন সর্বদাই।
৪| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:২৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা
শুভ সন্ধ্যা ।একদম আমার মনের মত একটি পোস্ট দিয়েছেন সে জন্য আলাদা ধন্যবাদ। আমিও আপনার মতই রাইফেল স্কয়ার বলি (সীমান্ত স্কয়ার) আসে না।
আপনার কট কট করে তাকানোর বিষয়টিতে আমি স্যালুট। আরেকটা উঠতি বয়সীদের জন্য প্রেমের আড্ডাখানা আছে বসুন্ধরা সিটির ফুড কোর্ট । আরো অন্যান্য উন্মুক্ত জায়গার কথা বাদই দিলাম।বিভিন্ন নামীয় ব্র্যান্ড ও নন ব্রান্ড ফাস্টফুডের দোকান গুলায় এগুলার ভিড় থাকে স্কুল টাইমে --- এটা আপনি একদম সত্যি কথা বলেছেন।আর এগুলো বসার ঢং ,কথা বলার স্টাইল দেখে মনে হয় কত ভুলটাই না করছে ।
আসলেই আপা, এদের বাবা ও মায়ের সচেতন হতে হবে । কোথায় যায় কী করে সব দিকে খেয়াল রাখা উচিত।
এই যদি হয় খুবই পরিস্থিতি, তাহলে আমাদের ভবিষ্যত অন্ধকার, খুব অন্ধকার! ---সহমত।
ভালো থাকুন সব সময় খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
১৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:১১
করুণাধারা বলেছেন: মুক্তা নীল,
সন্ধ্যায় শুভেচ্ছা জানানো অনেক ধন্যবাদ। খুব দুঃখিত, গতকাল সন্ধ্যায় করা মন্তব্যর উত্তর করতে করতে আজ দুপুর হয়ে গেল। গতকাল ওয়াইফাই খুব খারাপ ছিল, ভিপিএন কেটে যাচ্ছিল। আজ সকালেও তাই। এজন্যই অনিচ্ছাকৃত বিলম্ব।
আসলে এদের বয়স এমন, শাসন করলে এরা উল্টো প্রতিক্রিয়া দেখায়। মা বাবার সচেতনতার অভাবেই সন্তানেরা এভাবে ভুল পথে পা বাড়ায়। আমি একাধিক মায়েদের দেখেছি, যখন তারা দেখেন সন্তান জীবনকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে, তখন তারা সচেতন হন, নিজের ক্যারিয়ার বা অন্য কর্মকাণ্ড বাদ দিয়ে সন্তানের পেছনে সময় দেন। কিন্তু একজনকেও দেখিনি সন্তানকে ঠিক পথে ফেরাতে পেরেছেন!! এ বড় কঠিন সময়! এজন্য সময় থাকতে থাকতে সকলের সচেতন হওয়া দরকার।
কদিন পর পর নতুন নতুন নামে কোন প্রতিষ্ঠানকে ডাকা খুবই বিড়ম্বনার, আমি তাই রাইফেলস স্কয়ার, পিজি হাসপাতাল, চীন মৈত্রী- এই ভাবেই বলি। আপনারও এই একই অভ্যাস জানতে পেরে ভালো লাগলো।
মন্তব্য ও প্লাসের জন্য ধন্যবাদ মুক্তা নীল। শুভকামনা।
৫| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: শিশু কেন বলছেন?? ওরা ফিডারে দুধ খায়??
তাহলে ঐশীও কি শিশু ছিল?? এই প্রজন্ম মারাত্মক ভয়ঙ্কর।
১৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:১৫
করুণাধারা বলেছেন: এত রাগ করবেন না রাজীব নুর , দেশের আইন অনুযায়ী এরা শিশু। যদিও শিশুদের প্রধান বৈশিষ্ট্য যে সরলতা, তার থেকে এরা যোজন যোজন দূরে!! ঐশী শিশু ছিল বলেই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়নি। শুভকামনা রইল রাজীব নূর।
৬| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৩১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সামনে ঘোর দূর্যোগ।
বাবা-মা, শিক্ষক, সমাজের আর দেশের নেতাদের খুব বড় মুল্য দিতে হবে এ'জন্যে একদিন। সেদিনটা খুব দুরে না।
এই বাচ্চাগুলোই আর ক'বছর পর দেশ চালাবে। কিভাবে চালাবে তার কিছুটা ধারনা পাওয়া যায় ছাত্র নামধারী ছাত্রসংগঠনগুলোর কার্যকলাপে।
সরকার আজ এমন একটা ভাইরাসকে বাড়তে দিচ্ছে, যেটা একদিন পুরো জাতিকে পঙ্গু করে দেবে। এই ভাইরাস ছড়ানো শুরু হয়েছে। শেষ দেখা পর্যন্ত আমরা বেচে থাকবো তো!!
১৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫
করুণাধারা বলেছেন: বাবা-মা, শিক্ষক, সমাজের আর দেশের নেতাদের খুব বড় মুল্য দিতে হবে এ'জন্যে একদিন। সেদিনটা খুব দুরে না।
বৈষয়িক উন্নতির জন্য মা বাবা শিক্ষক সবাই ছুটছেন। ছোট শিশু যে কিনা কাদা মাটির মত, সেও বড়দের দেখে তাদেরই মত হতে চাইছে। বহুদিন আগে একটা নাটক দেখেছিলাম, সুবচন নির্বাসনে। সুবচন গুলো কি ছিল আজ আর মনে নেই, তবে মনে হয় আজকের সমাজে একটাই বচন "খাও দাও ফুর্তি করো, শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবো।"
আমার একটা হিসাব আছে, ২০১৫তে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে খুব গোলমাল হয়েছিল। শোনা যায় কয়েকশ কোটি টাকার বিনিময়ে তখন মেডিকেলে ছাত্র ভর্তি করা হয়েছিল। সমস্ত প্রমাণ দেবার পরও এই নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কারন পুরো জিনিসটাতে একজন রাঘববোয়াল এর ছেলে জড়িত ছিলেন। তাই আমি ঠিক করেছি আর দু তিন বছর পর থেকে হাসপাতালে গেলে নতুন ডাক্তারদের জিজ্ঞেস করবো তারা পনেরোর ব্যাচ কিনা, যদি হয় তবে চিকিৎসা নেব না। তবে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই প্রজ্ঞাসম্পন্ন, মেডিকেলের ভর্তি কেলেঙ্কারি সম্পর্কে তিনি ওয়াকিফহাল; তিনি গতকাল ঘোষণা দিয়েছেন, অচিরেই এ দেশে বিদেশি ডাক্তাররা চিকিৎসা দেয়া শুরু করবেন!!
কোথা থেকে কি প্রসঙ্গতে চলে গেলাম!! আপনি বলেছেন, এই বাচ্চাগুলোই আর ক'বছর পর দেশ চালাবে। সন্দেহ আছে, এই অশিক্ষিতরা দেশ চালাতে পারবে না। এখন যেমন বিদেশ থেকে ডাক্তার, শিক্ষক আনা হবে, আর ক'বছর পর হয়ত দেশ চালানোর জন্যও বিদেশি আনা হবে।
ধন্যবাদ মন্তব্য আর প্লাসে, শুভকামনা ভূয়া মফিজ।
৭| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:০২
ল বলেছেন: অন্ধকার, শুধুই অন্ধকার
দায় টা কার ?
১৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:০৪
করুণাধারা বলেছেন: দায়টা তাদের, যারা প্রশ্ন ফাঁস করে লেখাপড়ার ব্যাপারটাকে অতি সহজ করে তুলেছেন।
আপনার কাছে একটা অনুরোধ রইলো, বৃটেনের কিশোর কিশোরীরা এই ধরনের মিথ্যাচার, ছলনা, সম্ভবত চুরি (না হয় এত টাকা পায় কি করে!) করে, পড়াশোনা বাদ দিয়ে এভাবে নষ্টামি করে কি? আপনার নোটবুকে একবার এদের নিয়ে লিখুন। তবে আমি নিশ্চিত, ১০-১২ বছরের বাচ্চারা এই ধরনের নষ্টামী করেনা।
মন্তব্য ও প্লাস দিয়ে অনুপ্রাণিত করেছেন, অনেক ধন্যবাদ ল । শুভকামনা রইল।
৮| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:১৭
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: পুরো ভিডিওটা দেখলাম,আপনার আর্টিকেল টাও পড়লাম। এসব বিষয়ে অভিভাবকরা সচেতন হতে আরো কঠিন সচেতন হতে হবে,কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে তাদের,স্কুল শিক্ষকরা তাদের বাবা মা কে ইনফর্ম করবে দ্রুত, যে আপনার ছেলে-মেয়েরা স্কুল কলেজে নিয়মিত না। আফসোস এসব ব্যাপারে কেউ কেয়ারিং না। আমার কথা বলি,এই তো ২০১৪তে আমি এইচ,এস,সি পরীক্ষা দিয়ে পাস করার পর পড়ালেখা বন্ধ করতে হয়,আমার এখনও মনে আছে আমি অর্থনৌতিক ক্লাসটা যেন মিস না করি সেজন্য যানজট উপেক্ষা করে পায়ে হেটে ক্লাসে অংশ নিয়েছি। সরকারী কলেজ ছিলো বলে ইংরেজি টিচার প্রায় ক্লাসে আসতোনা,পরীক্ষার টেনশেনে আমি স্যারকে বলতে বাধ্য হই,স্যার সামনে পরীক্ষা,প্লীজ আমাদেরকে হেল্প করুন। স্যার বললেন অবশ্যই। আমার বন্ধু নাঈম আর আমি স্যারদের লেকচার হা করে শুনতাম,যে গুনি শিক্ষকদের কথার ধরন কি? তারা কিভাবে বুঝায়। আফসোস লাগে,এরা এতো ভালো ভালো সুযোগ সুবিধা পাওয়ার পরেও পড়ালেখা না করে ক্লাস ফাকি দিয়ে ক্যাফে আড্ডা দেয়। সাথে তাদের দামী খাবার,আমি আর নাঈম ৫ টাকার ঝালমুড়িটাও ভাগাভাগি খেতাম,প্রায় সময় পায়ে হেটে বাসায় পৌছেছি। আর এরা ভালো বিত্তবানদের ফ্যামিলি থেকে হয়েও এরা পড়ালেখার সুযোগ কে কাজে লাগাচ্ছে না। আফসোস হয় এদের কাছে নাকি স্যারদের,মেডামদের লেকচার নাকি ভালো লাগেনা। এসব কারণেই নকলে সয়লাব দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো। এদের থেকে কি শিখবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী আর এদের মাঝে আকাশ জমিন পার্থক্য।
১৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:০৯
করুণাধারা বলেছেন: পুরো ভিডিওটা কষ্ট করে দেখায় অনেক ধন্যবাদ মেঘ প্রিয় বালক। আসলেই ভিডিওটা না দেখলে আমি বিশ্বাস করতে পারতাম না, এত ছোট ছোট বাচ্চাদের মাথায় এই ধরনের নষ্টামির বুদ্ধি আসতে পারে।
আপনি আপনার জীবনের যেসব ঘটনা বর্ণনা করেছেন, সেসব হচ্ছে সৎ পথে থেকে অধ্যবসায়। আমি পড়ে মুগ্ধ হলাম, তবে এটা কিন্তু আপনি প্রথম করছেন না, আমি অনেক সফল মানুষের জীবনেই এমন অধ্যাবসায় দেখেছি, এবং সৎ পথে থাকায় আল্লাহ শেষ পর্যন্ত তাদের সাহায্য করেছেন। তারা একটি সফল জীবন পেয়েছেন, যে জীবনে কোন খারাপ কাজের গ্লানি থাকেনি। দোয়া করি আপনারও সামনে সুদিন আসুক।
ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।
৯| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:২২
মেঘ প্রিয় বালক বলেছেন: আড্ডা মারার সময় আমি পায়নি,সকালে ক্লাস বিকেলে কাজ,বিকেল বেলা একটু বিশ্রাম নিবো সে সুযোগটাও ছিলোনা। আপনি জেনে অবাক হবেন,আমি আমার পড়ালেখার দৌড়ে কোন সাবজেক্টেরয়ি গাইড বই ক্রয় করিনি। কারণ আমাকে মূলবই পড়ে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। তাই আমার ক্লাস মিস দেওয়া মানে অনেক বিপদ।
১৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১২
করুণাধারা বলেছেন: অবাক হইনি মেঘ প্রিয় বালক, আমি তো আগেই বলেছি আপনার জীবনের কাহিনী আমাদের অনেকের জীবনের কাহিনীর সাথে মিলে যায়, এবং এই জীবনের শেষে সফলতা আসবেই ইনশাল্লাহ।
আমি যাদের কথা বর্ণনা করেছি, এরা জীবনে ভোগ কে প্রাধান্য দিয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত এরা জীবনের প্রকৃত অর্থ কখনোই খুঁজে পাবে না। এদের কথা ভেবে আপনি দুঃখ পাবেন না। আপনি সৎ জীবন যাপনের চেষ্টা অব্যাহত রেখে চলুন।
১০| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৫৩
মা.হাসান বলেছেন: সচেতনতামূলক পোস্টটির জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমার এক সহকর্মীর কল্যাণে লিঙ্কটি আনুমানিক দেড়-দু বছর আগে দেখেছিলাম। আজিজুর রহমান ০১ নিকে আজকে এক ভদ্রলোক একটি পোস্ট দিয়েছেন যা প্রথম পাতায় এসেছে। ভদ্রলোকের সব বক্তব্যের সঙ্গে একমত না তবে কিছু কিছু বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে হচ্ছে। বর্তমান প্রজন্মকে কে একটি নষ্ট পরিবেশে ফেলে দিয়ে তাদেরকে কষ্ট আমরা অনুভব করার চেষ্টা করি না। এসব ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন দু-একবার ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করেছে তবে কিছু সুশীল সমাজের সদস্য এবং কিছু সাংবাদিক মানবাধিকার গেল, কচি শিশুদের উপর জুলুম খবরদারী বন্ধ কর - এমন রব তুলে এসব প্রচেষ্টা বন্ধ করে দিয়েছে। আনুমানিক ২০০৫ সালের দিকে সখীপুরে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে বরযাত্রী হয়ে গিয়েছিলাম। রাতে আড্ডার কোন এক পর্যায়ে স্থানীয় একজন জানালেন ওখানকার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশ দিয়েছেন ১৬ (বা ১৮, এখন মনে নেই) বছরের নিচে কোন ছেলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। আমার বিস্ময় দেখে ওই অভিভাবক বলেছিলেন যে ওই এলাকায় প্রচুর প্রোষিতভর্তৃকা রয়েছেন যারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্কুলের ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্ক করছেন। ১৫ বছর আগে থানা পর্যায়ে বিষয়টি এরকম খারাপ ছিল।
বিদেশি প্রভুদের খুশি করার জন্য চক্রান্ত করে পর্যায়ক্রমে সিলেবাস, বইয়ের স্ট্রাকচার, পরীক্ষা পদ্ধতি- এমনকি খাতা দেখার পদ্ধতি পর্যন্ত বদল করে দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি একজন নাগরিককে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় আক্ষেপ করে বলেছিলাম দেশের অবস্থা এখন এমন, এই পদে নিয়োগ দেয়ার যোগ্যতা সম্পন্ন লোক এখন দেশে খুঁজে পাওয়া যায় না। ওই একই জায়গায় আক্ষেপ করে বলেছিলাম খুব শিগগিরই দেশে এমন অবস্থা আসবে যখন দেশের স্কুল-কলেজগুলোতে বিদেশি শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। খুব শিগগিরই বলতে আমি ভেবেছিলাম ২০২১ সালের পরে হতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন দেশের শিক্ষার মান পড়তির দিকে, কাজেই এখনই সরকার বিদেশি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া শুরু করবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকার গত ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার পরেও শিক্ষার মান কেন পড়তির দিকে তা পর্যালোচনা না করে বিদেশী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে কাদের স্বার্থে এটা বোঝার জন্য খুব বেশি বুদ্ধির দরকার হয় না। নষ্ট সমাজ ব্যবস্থায় কোন কিছুর প্রতিবাদ করা যেন অরণ্যে রোদন।
১৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের প্রথম পারা থেকে যা জানলাম তাতে অবাক খবর ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছি!!! আমরা কেবলই কি অধঃপতিত হয়ে চলেছি!! আমার এক বান্ধবী ঢাকার নাম স্কুলের শিক্ষক। তার কাছে ছোট মেয়েদের মোবাইল সংক্রান্ত যেসব গল্প শুনি, শিশুদের নষ্টামী, ভন্ডামি আর মিথ্যাচারের সেসব গল্প বললে কেউ বিশ্বাস করবে না।
আপনি যখন বিদেশি ভাসুরের নাম মুখে আনলেন না, তখন আমিও আনলাম না। অনেক খবরই মিডিয়াতে আসে না তবুও জেনেছি, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার পুরো সংস্কার এই ভাসুরেরাই করবেন। শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, এটাকে চূর্ণ- বিচূর্ণ করে দিয়ে আমাদের
ভবিষ্যত প্রজন্মকে সহজেই দাসে পরিনত করা যাবে। শুধু শিক্ষক না, ডাক্তারও নিয়োগ দেয়া হবে বলে শুনলাম। এটার অর্থ কী জানিনা...
ভালো থাকুন। মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
১১| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:০৬
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে........
১৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২
করুণাধারা বলেছেন: নিশ্চয়ই যাবে। এসব নিয়ে ভাবা বৃথা....
শুভকামনা আর্কিওপটেরিক্স।
১২| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:২৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমাদের দেশে ছেলে মেয়ে পৃথক স্কুল পৃথক ক্লাসরুম হওয়াতে এভাবে স্কুল পালিয়ে এভাবে এসব হয়। ন্যাচারাল জাষ্টিস।
বাসায়ও সুশিক্ষায় অভিভাবকদের সচেতনতা দরকার আছে।
আমি পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে এদের সায়েস্তা করার ঘোর বিরোধী।
১৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: আমি পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে এদের সায়েস্তা করার ঘোর বিরোধী। পুলিশ দিয়ে এদের শায়েস্তা করা সম্ভব না। অভিভাবকদের সচেতনতা প্রয়োজন, এবং ছাত্রদের প্রধান কর্তব্য যে লেখাপড়া করা- এই কথাটা এদের মাথায় ঢোকানো প্রয়োজন।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।
১৩| ১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ১১:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভয়ঙ্কর! এক কথায় ভয়ঙ্করের দিকে এগিয়ে চলেছে নয়া প্রজন্ম। পোস্টের সঙ্গে আপনার লিংকটাও দেখলাম।
এই পেশার সঙ্গে সামান্য একটু পরিচয় থাকার সুবাদে দু একটি কথা বলি।
বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা। কয়েকজন স্টুডেন্টকে পুওর অ্যাটেনডেন্স থাকার জন্য পরীক্ষার বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সব অভিভাবকরা বিষয়টি মেনে নিলেও একজন মা নিজে পুত্রের পুওর অ্যাটেনডেন্স কিছুতেই মানবেন না। ওনার কথা একদিনও ছেলে বাড়িতে থাকে না। প্রত্যেক দিন সঠিক সময়ে বার হয়ে স্কুলে যায়। ফেরেও স্কুল শেষ করে। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে অভিভাবক মিটিং এ ওনাকে অবশ্য একদিনও পাওয়া যায়নি । সেদিন ভদ্রমহিলা বারবার বলাতে ওনাকে মুচলেকা দিয়ে ছেলেকে স্পেশাল পারমিশন দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে হেডমাস্টারমশাই ওনাকে একটি ছোট্ট ডায়েরি ছেলের সঙ্গে পাঠিয়ে দিতে বললেন। যেখানে স্কুলে ওর এ্যারাইভাল' ডিপার্চার উল্লেখ করা থাকবে। শ্রেণি শিক্ষক হিসেবে আমার দায়িত্ব পড়েছিল দিনের শুরুতে এবং শেষে স্পেশাল ডাইরিতে সিগনেচার করে টাইম উল্লেখ করে দেওয়া। পরপর কয়েকদিন স্কুলে আসার পর বেটা বেপাত্তা। সারাদিন স্কুলে ও থাকতে পারে নাকি? মায়ের ফোন নম্বর নেওয়া ছিল ।ওর অজ্ঞাতে মাকে বিষয়টি জানাই। মা এবার আর বুঝতে দেয়নি শ্রীমানের অপকর্ম। যথারীতি বাবু যখন স্কুলে বার হয় মাও পিছন থেকে ওকে অনুসরণ করতে থাকে। স্কুল থেকে 10-12 কিলোমিটার দূরে গাজার কল্কে হাতে ছেলেকে ও তার বন্ধুদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তারপর থেকে সেই মা বাকি তিন মাস ছেলেকে স্কুলে দিয়ে যেতেন এবং নিয়েও যেতেন। গোটা সময় উনি বিদ্যালয়ে অপেক্ষা করতেন। ওনার একাগ্রতার জন্য বিদ্যালয়ের একটি ফাঁকা ঘরে বসানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সব মায়েরা কিন্তু এরকম লেগে থাকতে পারে না। এই ছেলেটি পরে মাধ্যমিকে প্রথম ডিভিশনে উত্তীর্ণ হয়ে আমাদের সকলের মুখে হাসি ফুটিয়েছিল।
বলার বিষয় এটাই যে বাবা- মায়ের সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব তৈরি হলে বয়সন্ধিতে ছেলেমেয়ে বিপথে যেতে বাধ্য। এই সময়টা প্রত্যেকের জীবনের কঠিনতম সময়ে। বাবা মাকে অত্যন্ত সযত্নে এই বয়সটা হ্যান্ডলিং করা প্রয়োজন। দরকার ছেলে মেয়েদেরকে যতটা বেশি সম্ভব সময় দেওয়া।
শুভকামনা শ্রদ্ধেয়া আপুকে।
১৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: বাবা- মায়ের সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব তৈরি হলে বয়সন্ধিতে ছেলেমেয়ে বিপথে যেতে বাধ্য। এই সময়টা প্রত্যেকের জীবনের কঠিনতম সময়ে। বাবা মাকে অত্যন্ত সযত্নে এই বয়সটা হ্যান্ডলিং করা প্রয়োজন। দরকার ছেলে মেয়েদেরকে যতটা বেশি সম্ভব সময় দেওয়া।
আপনি খুব দরকারি কথা বলেছেন, আমি একজন মাকে দেখেছি, অধ্যাপনার ক্যারিয়ারের ইতি টেনে মেয়েকে সুপথে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কথা হচ্ছে, প্রথম থেকেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন ছিল। প্যারেন্টিং খুব সহজ ব্যাপার নয়, অনেকেই এটাকে খুব ভালোভাবে নেন।
চমৎকার মন্তব্য করায় এবং প্লাস দিয়ে অনুপ্রাণিত করার অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।
১৪| ১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:০৮
শায়মা বলেছেন: জ্ঞানের পরিধি অতি ক্ষুদ্র তা আমি আমার স্কুলে আসা আজকালকার ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া এসিসট্যান্ট পিচ্চিপাচ্চা টিচারদেরকে দেখেই বুঝি।
অথচ কত কিছু জানার ছিলো।
তবে আপু সবচেয়ে খারাপ লাগে বেয়াদপ টাইপ ওভার স্মার্ট ছাগলামীগুলো দেখে।
সভ্যতা ভব্যতার মাঝে যে কি অপার সৌন্দর্য্য লুকিয়ে আছে তা হয়ত ইহজীবনে তাদের জানা হবে না।
১৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬
করুণাধারা বলেছেন: সভ্যতা ভব্যতার মাঝে যে কি অপার সৌন্দর্য্য লুকিয়ে আছে তা হয়ত ইহজীবনে তাদের জানা হবে না।
আমারও সবচেয়ে খারাপ লাগে এই প্রজন্মের দুর্বিনীত ভাব দেখলে। মনে পড়ে, ফলে ভরা গাছ নুয়ে পড়ে আর ফলবিহীন গাছ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু একথা এদের কে বোঝাবে কে....
শিক্ষাটা আসে পরিবার থেকে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এক প্রজন্মেই লাভ করা সম্ভব, কিন্তু কালচার গড়ে তুলতে তিন প্রজন্ম দরকার। আমাদের অধিকাংশ পরিবারের এক প্রজন্মের শিক্ষা আছে, কিন্তু মানবীয় গুণ অর্জনের কালচার গড়ে ওঠেনি। তাহলে আর কি আশা করবো বলো
১৫| ১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:২৯
আহা রুবন বলেছেন: এরা দিনকে দিন নির্লজ্জ হয়ে উঠছে। অন্যরা কী ভাবছে তা নিয়ে মোটেই মাথা ঘামায় না। এই অধঃপতন শুরু হয়েছে মূলত পরিবার থেকেই। যৌথ পরিবার নেই, আত্মীয়দের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতা বেড়ে গিয়েছে, পরিবারে আমরা যেমন একে অন্যকে গুরুত্ব দিতাম, বড়দের সম্মান করতাম, সেসব এরা তো চোখেই দেখেনি। আমাদের কপালে দুঃখ আছে।
১৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: বহুদিন পর আপনাকে দেখে খুবই ভালো লাগছে আহা রুবন। আশা করি এই আকালের দিনে ব্লগে নিয়মিতই থাকবেন।
যা বলেছেন তার প্রতিটি বাক্যে সহমত। পারিবারিক শিক্ষা না থাকলে শিশুরা বড়দের সম্মান করতে জানেনা। বড়দের যদি সম্মান করতো, তাহলে তাদের ঠকানোর জন্য এত মিথ্যাচার, এত আয়োজন করত না। বৈষয়িক জিনিসের প্রতি আমরা এত বেশি ঝুঁকে পড়েছি যে, ছোটদের মানবিক গুণাবলীর চর্চা করানোর সময় নেই আমাদের। সব কিছুতে ধ্বস নামবে, কতদিন পর কে জানে!!!
১৬| ১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:৫১
আরোগ্য বলেছেন: আমি যখন স্কুলে পড়তাম টিফিনের জন্য পাঁচ, দশ টাকা দেয়া হত। আমাদের নিয়ে আসার জন্য আয়াও ছিল। কোন নজর রাখার জন্য না বরং নিরাপত্তার জন্য। আগে পড়া দেয়ার প্রতিযোগিতা করতাম। পরীক্ষার সময় এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করতো আর পরীক্ষার পর সেই অনুভূতিটা মিস করতাম। এখনও করি। ফাঁকিবাজি করা, মিথ্যা বলার কখনও সাহস হয় নি।
কিন্তু এখনকার ছেলেমেয়েরা একেবারেই যেন ভিন্ন জগতের। সেভেনে পড়ুয়া আমার এক খালাত ভাগ্নির ডেইলি পকেট মানি তিনশো টাকা । বাপে বলে আর কয়দিন পর মেয়েকে আয়া বাদ দিয়ে একা ছাড়বে, স্বাবলম্বী করবে। আর মেয়েও বেশ চালাক, বান্ধবীদের নিয়ে প্রায়ই পার্টি করে। একটু প্রেমের আভাসও পেলাম।
আরেক ভাতিজা ওর ও ছোট। পাকামি ভালোই জানে। সম্ভবত সিগারেটও ধরেছে । কথা শুনলে মনে হবে কোন মুরুব্বি। আজকালকের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা খেলাধুলায় তেমন আগ্রহ নেই। ওদের দেখলে মনে হয় আমরা যেন আদিম যুগের মানুষ।
" রাব্বানা আতিনা মিন লাদুনকা যুর্রিয়াতান তৈয়্যেবাতান " হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের খাস আপনার তরফ থেকে ভালো সন্তান দান করুন।
১৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫
করুণাধারা বলেছেন: আপনি স্কুলে পড়ার সময় টাকা পেতেন! আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ও কোন টাকা পেতাম না। স্কুলে যেতাম দীর্ঘ পথ হেঁটে, কিন্তু নতুন জিনিস শেখা যে কি আনন্দ ছিল... লক্ষ্য করে দেখবেন, আমি আমাদের সময়কার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের কথা লিখেছি, তারা সকলের সামনে বসেই গল্পগুজব বা প্রেম করতো, এবং দামি খাবার কেন, রোজ রোজ চপ সিংগাড়া খাওয়ার পয়সাও তাদের থাকতো না।
আপনি আপনার যে আত্মীয় বাচ্চাদের কথা বললেন, দোষ তাদের নয়; তাদের মা বাবার দোষ। এই বাচ্চাগুলোকে পৃথিবীতে এনেছেন এদেরকে যাবতীয় মানবিক গুণাবলী শিক্ষা দেবার দায়িত্ব মা-বাবার। এই শিক্ষা না দিলে, দুনিয়া- আখেরাত দুটোতেই তারা ভুগবেন! তবে কথা আজকাল আর কি-ই বা মনে রাখে!!!
চমৎকার মন্তব্য করায়, এবং আমার পোস্টে প্লাস দিয়ে অনুপ্রাণিত করায় অনেক ধন্যবাদ আরোগ্য, ভালো থাকুন সবসময়।
১৭| ১৫ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:১১
নতুন নকিব বলেছেন:
এর জন্য আমরাই দায়ী। আমাদের উদাসীনতা, আমাদের অযোগ্যতা সর্বোপরি আমাদের দায়িত্বহীনতা আমাদের সন্তানদের বিপথগামী করছে। এই অবস্থার পরিবর্তনে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধুমাত্র ৫০ কিংবা মার্কস এর নামকাওয়াস্তে ধর্মশিক্ষা নয়, প্রতিটি শ্রেণিতে ধর্মীয় মূল্যোবোধ যথাযথভাবে শিক্ষা দেয়ার জন্য সুচিন্তিতভাবে প্রয়োজনীয় পরিমান গুরুত্ব দিতে হবে। ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার প্রতি অবহেলা প্রদর্শন বন্ধ করে এগুলোকে জাতি গঠনের মৌলিক বিষয় গন্য করে ভবিষ্যত পরিকল্পনা করতে হবে। সহশিক্ষার গর্হিত কালচার তুলে দিতে হবে।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
১৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯
করুণাধারা বলেছেন: এর জন্য আমরাই দায়ী। আমাদের উদাসীনতা, আমাদের অযোগ্যতা সর্বোপরি আমাদের দায়িত্বহীনতা আমাদের সন্তানদের বিপথগামী করছে। ১০০% সহমত। যদি পরিবারে ধর্মীয় আর নৈতিকতার শিক্ষা না দেয়া হয়, তবে এর চাইতে বেশি আর কি আশা করা যায়? প্রথমত এই ছেলে মেয়েরা একটা খারাপ কাজে যাচ্ছে, তার উপর এই খারাপ কাজটি করার জন্য ওরা বিভিন্ন রকম মিথ্যাচার আর ছলনার আশ্রয় নিচ্ছে। এটা যে পাপ এই বোধটুকু কি ওদের নেই, নাকি পাপ পুণ্যের তোয়াক্কা তারা করে না!!
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ নতুন নকিব, ভালো থাকুন সবসময়।
১৮| ১৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:২৮
জুন বলেছেন: এই সবের জন্য আজকাল যোগ হয়েছে ফ্যাশনেবল বোরকা । আমাদের সামনেই বোরকাটা গলিয়ে তারই সমবয়সী এক ছেলের হাত ধরে চল্লো করুনাধারা । ধানমন্ডি লেকের পাড়ে স্কুল পালানো (ড্রেস পড়া) এমন এক জুটি যেখানে মেয়েটি ছেলেটি কাধে মাথা রেখে বসে কথা বলছে তন্দ্রালু চোখে । ছেলেটিকে আমার একবার ডেকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছিলো, তোমার কি এক কেজি চাল কেনার সামর্থ্য আছে ?
আরেকবার গুলশান ২ নং চত্বরের এক রেডিমেড গার্মেন্টসের দোকানে এক পিচ্চি মেয়ে (কলেজের পোশাক পড়া) এক ছেলের হাত ধরে ঝুলছে আর একটি কামিজ দেখিয়ে বলছে "বল তুই এই জামাটা কিনে দিবি, বল "? (আজকাল প্রেমিক প্রেমিকাদের মধ্যে তুই তোকারি করা ফ্যাশন) আমার বোন ছিল সাথে সে বল্লো "এই কারনেই ছেলেরা এসে হাত খরচের এত অল্প টাকায় হয়না বলে আমাদের মত বাবা মায়ের সাথে চিল্লাচিল্লি করে "।
সুন্দর লেখায় ভালোলাগা রইলো ।
১৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: এই সবের জন্য আজকাল যোগ হয়েছে ফ্যাশনেবল বোরকা একদম ঠিক। একবার আমার মেয়ের স্কুলের মর্নিং শিফটের এক মেয়ে ধরা পড়ল এই বোরখার জন্য। বাই চান্স মেয়েটার ক্লাস টিচার স্কুলের চত্বরে দেখেছিলেন, মেয়েটা আর একটি মেয়ের ব্যাগ থেকে বোরখা নিচ্ছে। তখনই তার মনে হয়েছে, যে মেয়ে বোরখা পড়ে না, সে কী মতলবে বোরখা নিচ্ছে!! ক্লাসের সময় তিনি দেখলেন, সে নেই। তারপর ছুটির সময় ডে শিফট এর মেয়েদের সাথে মেয়েটি আবার স্কুলে ঢুকলো, কিন্তু তার আগেই স্কুল থেকে তার মা-বাবাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে, মেয়ের কীর্তি স্বচক্ষে দেখার জন্য!! পরে জানা গেল, মেয়েটি বোরখা পড়ে প্রায়ই বের হতো, এবার প্রথম ধরা পড়ল।
আর টাকার কথা! আজকাল ছেলে মেয়েদের চাহিদা এত বেড়ে গেছে, তারা একেবারেই ভাবে না বাবার রোজগার কত, কিভাবে তাদের টাকার জোগাড় দেবেন! এজন্যই হয়তো সমাজে দুর্নীতি এত বেড়ে গেছে। আপনি যে মেয়েটির কথা বললেন, বয় ফ্রেন্ডের কাছে জামা চাইছে, ছেলেটি অবশ্যই জামাটা কিনে দেবে। কিন্তু মেয়েটা যখন সেই জামা পরবে, তখন তার মা কি জিজ্ঞেস করবেন না, যে জামাটা সে কোথায় পেল? কি জানি, আজকাল মনে হয় পারিবারিক শিক্ষা সব উঠে গেছে...
মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম জুন, ধন্যবাদ অসংখ্য।
১৯| ১৫ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: বাচ্চাগুলো নির্দোষ। সব দোষ বাংলাদেশের আবহাওয়া, এক্স ওয়াই ক্রোমোজোম আর হরমোনের।
মিসেস রুনা,
হলুদের সাথে সাবান মেশালে কী রং হয়? (আমি টেস্ট করলাম, হালকা হলুদাভ ছাড়া কিছুই তো হয় না! )
১৫ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৭
করুণাধারা বলেছেন: : বাচ্চাগুলো নির্দোষ। সব দোষ বাংলাদেশের আবহাওয়া, এক্স ওয়াই ক্রোমোজোম আর হরমোনের। আমিও এমনটা মনে করি। নাহলে এত ছোট বাচ্চাদের এমন প্রেমের তাড়না আসবে কেন!
গুঁড়ো সাবান পানিতে গুলে তাতে এক চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে দেখুন তো, লাল হয় কিনা!!
বহুদিন পর আপনাকে দেখতে পেয়ে বড় আনন্দিত হলাম। ভালো থাকুন।
২০| ১৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এদেরকে বাসায় ডেকে নিয়ে থাপড়ানো দরকার।
১৫ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯
করুণাধারা বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, এমন কাজ করতে যাবেন না ভুলেও। এরা আজকালকার ছেলে মেয়ে। ঐশীর কথা শুনেছিলেন কি!!
২১| ১৫ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮
মোগল সম্রাট বলেছেন: আপনি যে সব শিশুদের নিয়ে লিখেছেন তারা অধিকাংশ ধনীর দুলাল, তাদের ভবিষ্যত আগে থেকেই তাদের মা বাবা লিখে রেখেছে। একদিন এরাই ইউরোপ আমরিকা থেকে ঘুরে এসে মার্সীডিস নিয়ে দেশে ঘুরবে, শিল্পপতি হবে, রাজনৈতিক নেতা হবে,কালোবাজারি হবে, ঋণখেলাপি হবে,আর আমার আপনার ছেলে মেয়ে তাদের স্যারস্যার করবে। কিচ্ছু করার নাই। সব হজম করে যান.......
১৫ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭
করুণাধারা বলেছেন: আমি লিখেছি ঠিকই, কিন্তু আপনি সম্ভবত ভিডিওটা দেখেননি। ভিডিওতে যেসব বাচ্চাদের কথা বলেছে, আমি যেসব বাচ্চাদের দেখেছি, তারা সব বাংলা মাধ্যমে পড়া; অধিকাংশই মধ্যবিত্ত পরিবারের। ইংরেজি মাধ্যমের ছেলে মেয়েদের এত রাখঢাক করতে হয় না, তাদের স্কুল পালানোর প্রয়োজন নেই কারণ তারা মা-বাবাকে জানিয়েই নানা রকম পার্টিতে যায়, সিসা ক্লাবে যায়। বাংলা মাধ্যমের এই মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেগুলো অর্থের প্রয়োজনে পরবর্তী সময়ে হয় রাজনীতিকের চামচা, আর বিত্তশালী পরিবারের ছেলেরা মেয়েরা হয় তাদের বস!! আমাদের সমাজ একেবারে ভেঙে যাচ্ছে...
আমার ব্লগ আপনার রাজকীয় আগমনে ধন্য হলো, শুভকামনা রইল আপনার জন্য মোঘল সম্রাট।
২২| ১৫ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:৫৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: স্কুল কতৃপক্ষের দায়টাই সবচেয়ে বেশি বলে মনে করি আপু।স্কুল পালায় কিভাবে এরা? স্কুলে প্রবেশ করে, আবার সেই গেইট দিয়ে ছুটির আগে বের হয় কিভাবে ছাত্রছাত্রীরা?
১৬ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৫
করুণাধারা বলেছেন: স্কুল পালায় এরা খুব অদ্ভুত উপায় স্কুল পালায়, ভিডিওতে তার কিছু কিছু দিয়েছে। তবে যত বুদ্ধি করেই পালাক না কেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ সচেতন হলে এদের আটকানো সম্ভব হত। ইচ্ছে করেই আটকানো হচ্ছে না হয়তো, যত ভাবে পারা যায় শিক্ষাকে ধ্বংস করে দেয়া ই তো ভালো...
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ঢাবিয়ান। ভালো থাকুন।
২৩| ১৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:০৬
জুন বলেছেন:
২৪| ১৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:০৭
জুন বলেছেন:
আগের ছবিটা ডেল করে দিয়েন
১৬ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:২৪
করুণাধারা বলেছেন: হাজারো ধন্যবাদ!
দুটোই থাকুক। এমন চমৎকার উপহার দুটো দুহাতে নিলাম।
২৫| ১৭ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:১৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: পারিবারিক শিখাই নাকি আসল, কিন্তু পারিপার্শ্বিকতা কিভাবে ইগ্নোর করি আপু
আমাদের সন্তানদের আল্লাহ হেফাজত করুন।
দু দিন থেকে ডি এস ডি গ্রুপ সহ অনেকের ওয়ালে একটা পোষ্ট ঘুরছিল কিছু ছবি সহ। ১৮ ও পেরোয় নি এমন এক কিশোরের সব ছবি আর গল্প
১৭ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৫
করুণাধারা বলেছেন: আমাদের সন্তানদের আল্লাহ হেফাজত করুন
এই কথাটা আমিও সবসময় বলি, যখনই এদের কথা মনে হয়। সূরা আহক্কাফের ১৫ নম্বর আয়াতে সন্তানদের জন্য এই দোয়াই আল্লাহ চাইতে বলেছেন। কথা হচ্ছে, এক ঝুড়ি আলুর মধ্যে পাঁচটা পঁচা আলু থাকলে সেগুলো ভালো আলুদেরও নষ্ট করে ফেলে।
যত কড়াকড়ি সব নিরীহ সামুর বেলায়...আর এই ছেলেপেলেদের নষ্ট হবার অবাধ সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
২৬| ১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ লেখাটা পড়ে এতটাই হতাশ হ'লাম, যে আর "তালাশ" এর ভিডিও লিঙ্কটাতে ক্লিক করার সাহস হয়নি।
মা বাবারাই এর জন্য মূলতঃ দায়ী, সন্তানের উপর পর্যাপ্ত নজর না রাখার জন্য।
স্মার্টফোন ওদেরকে শেষ করে দিচ্ছে।
৫/৬ বছর আগে একবার ঈদে যখন বাড়ী গিয়েছিলাম, আমি একজন খুবই গরীবাত্মীয়ের মেয়ের লেখাপড়ায় খুব আগ্রহ দেখে এবং ভাল রেজাল্ট করার কথা শুনে খুশী হয়ে কেবলমাত্র তার পড়াশোনায় ব্যয়ের জন্য কিছু অর্থসাহায্য করে এসেছিলাম, যেন সে নির্বিঘ্নে পরীক্ষার ভাল প্রস্তুতি নিতে পারে। এসএসসি পরীক্ষায় মেয়েটি আমার আশানুরূপ না হলেও, মোটামুটি ভাল ফল অর্জন করে। এইচএসসিতে যেন সে আরও ভাল করতে পারে, সেজন্য আমি আমার এক দানবীর বন্ধুর কাছ থেকে বেশ মোটা অঙ্কের সাহায্য সংগ্রহ করে মেয়েটির মাকে দিয়ে বলি, এ টাকা যেন শুধুমাত্র মেয়েটির পড়াশুনা ব্যতীত অন্য কোন কাজে ব্যয় না হয়। কিছুদিন পরে শুনি, মেয়ের পীড়াপীড়িতে ওর মা বাবা ঐ টাকার কিছু অংশ দিয়ে ওকে একটা স্মার্ট ফোন কিনে দেয়, এবং নিজেরাও একটা সাধারণ ফোন কিনে নেয় ওর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ রাখার জন্য। গ্রাম থেকে জেলা শহরের কলেজে ভর্তি হয়েই নাকি মেয়েটি তাদের কাছে ঐ ফোনের জন্য আব্দার ধরেছিল, কারণ তার কলেজে কেবলমাত্র সে ছাড়া আর সবার হাতে ঐ ফোন আছে।
বলাবাহুল্য, এইচএসসিতে মেয়েটি অতি সাধারণ ফলাফল অর্জন করেছিল, যা দিয়ে সে ভাল কোথাও ভর্তি হতে পারেনি।
১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:১৫
করুণাধারা বলেছেন: আমাদের বড়দের মূল্যবোধের অবক্ষয় অনেক আগেই শুরু হয়েছিল, হতাশ লাগে যখন দেখি ছোট শিশুরা পর্যন্ত মূল্যবোধের অবক্ষয়ের শিকার। সমাজের সবদিকে ভোগবাদের হাতছানি, শিশুরাও এই হাতছানিতে সাড়া দিতে গিয়ে নানা রকম মিথ্যাচার করছে। এর ফলাফল শেষ পর্যন্ত কি হয়, ভেবে আমি উৎকন্ঠিত আর হতাশ!
স্মার্টফোনের কালচার আমাদের দেশে বিপদজনক হয়ে উঠেছে। একজন আমাকে বলল, বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের হাতে সে যেসব ফোন দেখেছে, বাংলাদেশী পড়ুয়ারা তার চাইতে দামি ফোন ব্যবহার করে। আমাদের দেশে প্রত্যেকের স্মার্ট থেকে স্মার্টার ফোন না কিনলে সম্মান থাকে না। আপনি যে মেয়েটির কথা বললেন, সেটা শুনে এসব কথা মনে পড়ল। তার সুযোগ ছিল, যে অর্থ সাহায্য পেয়েছিলো তা পড়াশোনার কাজে ব্যবহার করা, যাতে তার ভবিষ্যত সুন্দর হয়। তার কাছে বড় হয়ে দাঁড়ালো স্মার্ট ফোন!! আমার কিছু পরিচিত যারা শিক্ষকতা করেন তাদের কাছে শুনেছি স্মার্টফোন এখন এক ভয়াবহ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে স্কুলে। কিছুদিন আগে এই স্মার্টফোনের জেরে এক ছাত্রী আত্মহত্যা পর্যন্ত করলো। স্মার্ট ফোন খুব ধীরে তরুণ সমাজকে অধঃপতিত করছে অথচ এটা কেউ লক্ষ্য করছে না।
আপনার মন্তব্য এবং প্লাস আমার জন্য অনুপ্রেরণা, অনেক ধন্যবাদ।
২৭| ১৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:২০
খায়রুল আহসান বলেছেন: সমাজের মুরুব্বীদের প্রতি আবেদনঃ
পুরনো সবকিছুই পরিত্যাজ্য নয়। আপনারা আবার আগের মত শিশুদের জন্য সামান্য হলেও, খেলাধুলার ব্যবস্থা করুন। খেলাধুলার প্রতিযোগিতার আয়োজন করুন। পাড়ায় পাড়ায় ব্যায়ামাগার এবং শরীর চর্চা কেন্দ্র গড়ে তুলুন। পাঠাগার গড়ে তুলুন। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং পৃষ্ঠপোষকতা করুন। ইন্টার্নেটের আগ্রাসী অনুপ্রবেশ রোধ করুন।
মা-বাবাদের প্রতি আবেদনঃ
আপনার সন্তানদেরকে কাছে টেনে নিন। দূরত্ব থাকলে সে ফাঁক দিয়ে যাবতীয় অকল্যাণের অনুপ্রবেশ ঘটবে। তাদেরকে ভব্যতা শেখান, সামাজিক দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করুন, তাদেরর মধ্যে মানবিক মূল্যবোধের উন্মেষ ঘটান, জ্ঞানেন্বষণে উৎসাহিত করুন। তবে সবার আগে, নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করুন এবং দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করুন!
১৯ শে জুন, ২০১৯ দুপুর ২:২৪
করুণাধারা বলেছেন: পাড়ায় পাড়ায় ব্যায়ামাগার এবং শরীর চর্চা কেন্দ্র গড়ে তুলুন। পাঠাগার গড়ে তুলুন। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং পৃষ্ঠপোষকতা করুন। ইন্টার্নেটের আগ্রাসী অনুপ্রবেশ রোধ করুন। আমিও এমন ভাবেই ভাবি। একজন ডিপ্রেশনে আক্রান্ত তরুণকে বলা হয়েছিল, ঔষধ খাবার পাশে পাশে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে। কিন্তু শরীর চর্চা কোথায় করবে? আগের মত পাড়ায় পাড়ায় কোন খোলা মাঠ নেই, স্কুল কলেজে নেই খেলার মাঠ! গড়ে উঠেছে অনেক জিম, কিন্তু সেগুলোতে যাবার সাধ্য সবার থাকে না। আবার সেই হতাশার কাছেই আত্মসমর্পণ...
নিজেদেরকে পরিশুদ্ধ করুন এবং দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপন করুন! খুব কঠিন এটা করা। যেভাবে সমাজ ভোগবাদের দিকে ধাবিত হচ্ছে, এর থেকে ফিরে আসা খুবই কঠিন।
পুনরায় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময়।
২৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১০
মাহের ইসলাম বলেছেন: সমাজের সব ক্ষেত্রেই কি পচন ধরেছে?
আমরা অভিবাবকরাও তো ঠিক মতো নিজেদের দায়িত্ব পালন করছি না।
নিজেরাই বাচ্চাদের হাতে মোবাইল তুলে দিচ্ছি। নিজেরাই সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি।
শুধু শিশুদের দিকে নজর দিলে সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করি না।
আমাদের প্রত্যকেরই ভুমিকাতে গলদ দেখতে পাচ্ছি।
সময়োপযোগী এবং মুল্যবান পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১২
করুণাধারা বলেছেন: মাহের ইসলাম, সমাজের অনেক ক্ষেত্রেই পচন ধরেছে। মানুষের মন থেকে দয়া- মায়া- সহিষ্ণুতা সব যেন হারিয়ে যাচ্ছে! মা-বাবারা সন্তানদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেন না! সৎ মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠায় শিক্ষাটা শুরু হওয়া দরকার, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজকাল তা আর হয় না। সুতরাং সন্তানেরা বিভিন্ন অপরাধ ও বিকৃতির দিকে ঝুঁকছে...
সমাজবিজ্ঞানীদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার এখনই সময়।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মাহের ইসলাম, ভালো থাকুন সবসময়।
২৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫১
সোহানী বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল।
ঠিক একই কথা আমি বলার চেস্টা করি আমার সব লিখায়। আমরা নিজেরাই শুধু ধ্বংস হচ্ছি না, ধ্বংস করছি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে। কিন্তু কিভাবে এদেরকে রুখবো???
অনেক কিছুই করার আছে আমাদের দবো সবার আগে ঠিক হতে হবে বাবা মাকে, পরিবারকে। হিন্দি সিরিয়াল যতদিন চলবে সন্তানকে আপনি কিছুতেই আয়ত্বে আনতে পারবেন না। সময় দিতেই হবে সন্তানকে… শুধু কোচিং সেন্টারে দৈাড়ালেই হয় না। আমার এক আত্বীয় মা খুব কড়া। মেয়েকে শুধু ড্রাইভারই নয় বুয়াও সাথে থাকে তার। তারপর একদিকে মেয়েকে গেইটে ঢুকায় অন্যদিকে মেয়েটি বের হয়ে যায়। ব্যাগে থাকে অন্য ড্রেস। আর স্কুলের দাড়ওয়ানকে ম্যানেজ কোন ঘটনা না………..।
যতবেশী আমরা সচেতন হবো ততই তাদের মঙ্গল।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৩
করুণাধারা বলেছেন: আমরা নিজেরাই শুধু ধ্বংস হচ্ছি না, ধ্বংস করছি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে। কিন্তু কিভাবে এদেরকে রুখবো???
অনেক কিছুই করার আছে আমাদের দবো সবার আগে ঠিক হতে হবে বাবা মাকে, পরিবারকে। হিন্দি সিরিয়াল যতদিন চলবে সন্তানকে আপনি কিছুতেই আয়ত্বে আনতে পারবেন না। সময় দিতেই হবে সন্তানকে…
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে কিভাবে রক্ষা করা যায় তার উত্তরটা আপনি নিজেই দিয়েছেন। মা বাবা ছাড়াও রাষ্ট্রেরও দায়িত্ব আছে শিশুদের জীবন সুন্দর করে তোলার... আমাদের দেশে শিশুদের জন্য কোন পরিকল্পনা নেয়া হয় না! একবার ভাবুন, বাচ্চাদের সিলেবাস আর স্কুলগুলোর পরিবেশের কথা! স্কুলে গাদাগাদি করে বসে ক্লান্তিকর ক্লাস করা, তারপর কোচিং দৌড়ানো, এদের জীবনে কোন আনন্দ নেই, ছুটি নেই। তাই হয়তো এভাবে এরা আনন্দ খুঁজে বেড়ায়। শিশুদের আনন্দময় শৈশব উপহার দেবার ক্ষমতা যাদের আছে, তারা কেন জানিনা এসবে আগ্রহী নন। ফলাফল, আজ ১২/১৩ বছরের কিশোরেরা বন্ধুকে খুন করছে, ১২ বছরের কিশোর ৭ বছরের প্রতিবেশী মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করছে। ভাবতে গেলে কিছু ভালো লাগে না...
এত দেরিতে উত্তর দেয়ায় দুঃখিত। নতুন বছরের জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ইহারা অল্প বয়সেই পাকিয়া গিয়াছে। এদের কে সঠিক ভাবে শিক্ষিত করিয়া তোলা উচিত। নইলে সামনে খবর আছে।