নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুয়েটের প্রথম ভিসি ডঃ এমএ রশিদ।
বুয়েটের প্রতিষ্ঠাতা ভিসি ছিলেন ডঃ এম এ রশীদ। ১৯৬২ সালের বুয়েট (তৎকালীন ইপিইউয়েট) প্রতিষ্ঠার সময় তিনি কতগুলো নীতিমালা তৈরি করেন, তার অন্যতম হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা (কিভাবে নেয়া হবে এবং কিভাবে খাতা দেখা হবে), শিক্ষার্থী ভর্তিতে কোনরকম কোটা না থাকা (যার ফলে অনেক শিক্ষকের ছেলেমেয়েদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল পড়তে হয়)। বুয়েটের শিক্ষকদের রাজনৈতিক দলাদলি পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছিল এই নীতিমালায়।
বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়া ছাত্র ভর্তি করা হয় কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে বুয়েটে শিক্ষকদের মধ্যে রাজনীতির দলাদলি ঢুকেছে ভিসি ডঃ নজরুল ইসলামের হাত ধরে। ১০ই আগস্ট,২০১০ সালে ভিসির দায়িত্ব নিয়েই তিনি বিতর্কিত নিয়োগ দেওয়া শুরু করেন রাজনৈতিক বিবেচনায়। বুয়েটে কোন প্রো-ভিসির পদ না থাকা সত্ত্বেও, কেবল রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে তিনি একজনকে প্রো ভিসি পদে নিয়োগ দেন, এবং শুরু হয় বুয়েটের সর্বস্তরে রাজনীতি। ভিসির দলের নাম হয় বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ, অনেক শিক্ষক এতে যোগদান করেন। যারা যোগদান করেন না, তারা চিহ্নিত হন "জামাতি ইসলামী" বলে।
অবশ্য এমন না যে, বুয়েটের শিক্ষকরা কখনো রাজনীতি করতেন না। করতেন, কিন্তু ডঃ রশিদের তৈরি করা নীতিমালা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে তারা নিজেদের রাজনৈতিক মতাদর্শ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে যেতেন না। ডঃ মিজানুল হক ১৯৮৬ সালে আওয়ামী লীগের পক্ষে নির্বাচন করার সিভিলের অধ্যাপক পদ থেকে ইস্তফা দেন। আবার ডঃ এনামুল হক, যিনি একইসাথে বুয়েটের অধ্যাপক এবং নাট্যাভিনেতা ছিলেন, তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। বুয়েটের শিক্ষকদের রাজনীতি করাটা কি ধরনের ছিল, একটা ঘটনা বলি। ২০০৫ সালের ২৭ শে জানুয়ারি তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শাহ্ এ এম এস কিবরিয়াকে হত্যা করা হয়। এর একদিন, বা দুদিন পর ছিল বুয়েটে সমাবর্তন; খালেদা জিয়া প্রধান অতিথি হয়ে আসার কথা। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ডঃ এনামুল হক এবং অন্যান্য আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা জানান, খালেদা জিয়া সমাবর্তনে আসলে তারা তাতে যোগ দেবেন না বলে। কিন্তু পরে টিভিতে দেখলাম, খালেদা জিয়া বক্তৃতা দিচ্ছেন, বক্তৃতার মাঝে অন্যান্যদের মত ডঃ এনামুল হকও হাসিমুখে হাততালি দিচ্ছেন। এটা কেন করলেন? শিক্ষকদের মধ্যে কোন দলাদলি থাকবে না, বুয়েটের এই ঐতিহ্য রক্ষা জন্য!! সে সময় শিক্ষকেরা বুয়েটের মর্যাদা রক্ষায় নিজেদের রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে যেতেন।
তবে ছাত্র রাজনীতি সব সময় ছিল, যখন যে দল ক্ষমতায় সেই দলের ছাত্র সংগঠন থাকতো ক্ষমতায়। কিন্তু সে সময় রাজনীতি করা ছাত্ররা তেমন ক্ষমতাশালী বা সুবিধাভোগী ছিল না। শিক্ষকরাও কখনো স্বার্থসিদ্ধির জন্য এদেরকে ব্যবহার করতেন না। এদের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন টেন্ডারের টাকা থেকে কিছু অর্থ উপার্জন। মারামারি কামড়াকামড়ি যা করত তা নিজেদের মধ্যেই। ২০০২ সালের ৮ জুন বুয়েট ক্যাম্পাসে ক্ষমতাসীন বিএনপি জামাত জোটের শাসনামলে ছাত্রদলের বুয়েট শাখার ছাত্রদল ক্যাডার মুকিত এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হল শাখা ছাত্রদল ক্যাডার টগরের মধ্যকার সংঘর্ষে পরে নিহত হন বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিকুন নাহার সনি। এরপর কিছুদিন বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ থাকে।
কিন্তু বুয়েটের বর্তমানের এই ছাত্ররাজনীতি, যেখানে ছাত্রলীগ একক সাম্রাজ্য কায়েম করেছে হিংস্রতা, অন্যায়, অত্যাচার এবং নিপীড়নের মাধ্যমে, তার শুরু কবে হয় জানি না। মনে আছে দু-তিন বছর আগে একজন বলছিল বুয়েটের ছাত্রলীগের ভিপির খুব মন খারাপ, কারণ তার চাইতে তিতুমীর কলেজের ছাত্রলীগের ভিপির উপার্জন বেশি। ঘটনা হচ্ছে, নিউমার্কেট থানার অধীনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, এবং বুয়েট। তাই টাকা যা আসে সব তিন ভাগে ভাগ হয়ে যায়, অথচ তিতুমীর কলেজের ভিপি তার এলাকার সমস্ত টাকা একাই পায়। তাই বুয়েটের ছাত্রলীগের ভিপির মন খারাপ! তার সঞ্চয় মাত্র ১০০ কোটি টাকা!!
২০/২৫ বছরের একটি ছেলের হাতে কোটি কোটি টাকা, আছে প্রচুর ক্ষমতা। সেই ছেলে তখন আর সুবোধ বালক থাকতে পারেনা অন্যের উপর অত্যাচার করে সে ক্ষমতা প্রদর্শন করবেই। ছাত্রলীগের ছেলেদের ক্ষমতার নমুনা আমাকেও দেখতে হয়েছে। একদিন আমার ড্রাইভার বুয়েট থেকে ফোন করে বললো, একটা ছেলে এসে হেলমেট দিয়ে বাড়ি মেরে আমার গাড়ির উইন্ডশিল্ড ভেঙে দিয়েছে। তখন সে ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করেছিল, "আপনি এটা ভাঙলেন কেন?" উত্তর না দিয়ে ছেলেটা তাকে মারা শুরু করে, এবং একটু পরে একদল ছেলে হকিস্টিক নিয়ে আসে গাড়ি এবং ড্রাইভার কে মারবে বলে। সে সময় কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ড তাদের নিরস্ত করে। আমি দেখতে গেলাম, সিকিউরিটি গার্ডরা জানাল যে ড্রাইভার গাড়ি পার্ক করার সময় ছাত্রলীগের নেতার মোটরসাইকেল নিয়ে পেছনে এসে পড়ে, ড্রাইভারের দোষ ছিল না, মটরসাইকেলেরও কোনো ক্ষতি হয়নি, তবু উইন্ডশিল্ড ভাঙচুর করেছে।
আমি ডি এস ডব্লিউর সাথে দেখা করতে গেলাম। নালিশ নয়, শুধু জিজ্ঞেস করলাম, অকারনে আমার গাড়িটা কেন ছাত্রলীগ নেতা এভাবে ভেঙে দিল! উনি অনেকক্ষণ গালে হাত দিয়ে বসে থাকলেন। তারপর বললেন, "শক্তি প্রদর্শন করার জন্য।"
এখন বুয়েটে ছাত্রলীগের শক্তি প্রদর্শনের যেসব গল্প শুনছি তাকে এক কথায় বলে চলে "নারকীয়"!! একে একে যেসব কাহিনী প্রকাশিত হচ্ছে, তাতে জানা গেছে অনেক ছেলেকেই তারা শিবির সন্দেহে মারধোর করত, প্রচন্ড মার; যেমনভাবে আবরারকে মারতে মারতে থেঁতলে ফেলেছিল!! একাজ করতে তাদের উৎসাহ যোগাত বুয়েটেরই কিছু প্রাক্তন ছাত্র!! এমন মার খেয়ে অনেকেই আধমরা হয়ে গেছে, অনেক যন্ত্রনা হয়ে বেঁচে থেকেছে; শুধু আবরারই একেবারে মরে গিয়ে বুয়েটের ছাত্রলীগকে কি যে বিপদে ফেলে দিল!
অবশ্য বিপদ হয়তো তেমন বেশি নয়। অভিযুক্ত ছাত্রলীগের উকিল যেমন বলছেন, আবরারের গায়ে যেসব দাগ দেখা যাচ্ছে তা চর্মরোগ। এটা যদি প্রমাণ করতে পারেন, তবে ছাত্রলীগের ছেলেরা সসম্মানে বুয়েটে ফিরে আসবে। আর যদি খুনের অভিযোগ প্রমাণ হয়েই যায়, তবে হয়ত সোনার ছেলেদের জামিন নিয়ে কয় বছরের জন্য বিদেশ যাওয়া লাগবে। তা সেটা আর এমন মন্দ কি!!
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: অল্প বয়সী ছেলেগুলো যে নারকীয় অত্যাচার করত বলে এখন খবর বের হচ্ছে, সেগুলো পড়ে খুবই মন খারাপ হয়। তাই এই পোস্ট দিলাম। পাঠ, মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ, রাকু হাসান।
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:২৫
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ বুয়েটের ছাত্র ও শিক্ষক রাজনিতীর প্রেক্ষাপট তুলে ধারার জন্য।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪০
করুণাধারা বলেছেন: ভয়ঙ্কর কিছু শুনেছি, ছাত্রীলীগদের ব্যবহার করে কি করে অসহায় ছাত্রদের বিপদে ফেলত ছাত্রলীগ। সেই কথাগুলো মাথা থেকে বের করে দেবার জন্য এই পোস্ট। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ মোস্তফা কামাল পলাশ।
৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১:৩১
সোহানী বলেছেন: অনেক অজানা বিষয় জানলাম আপু।
সত্যি কথাটাই বলেছেন, এতো অর্থ শক্তি তাদের তা প্রদর্শন তো করতেই হবে। তবে আবরার মরে ওদের মর্যাদা আরো বেড়েছে। এখন ওরা কেন্দ্রীয় ক্ষমতা পাবে। আর বিচার? ওটতো চর্মরোগ। অসুস্থ ছেলে কে হসপিটালে নিয়ে কি অপরিসীম মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে.....
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: তবে আবরার মরে ওদের মর্যাদা আরো বেড়েছে। এখন ওরা কেন্দ্রীয় ক্ষমতা পাবে। আর বিচার? ওটতো চর্মরোগ।
আমিও ঠিক এই কথাটাই ভাবছি! কিছুদিন আন্দোলন চলবে, নানা রকম প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে... আজ পর্যন্ত দেখিনি কারো শাস্তি হয়েছে। বিশ্বজিৎ, তনু, রুপা.... এই নির্মম হত্যাকান্ডের হত্যাকারীদের বিচার দেখলাম তো!
৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:২৬
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আজ অভিনেতা আবুল হায়াতের বক্তব্যে ডঃ এমএ রশিদ সম্পর্কে শুনেছি।
তখনকার শিক্ষক আর এখনকার শিক্ষকদের মধ্যে পার্থক্যের শেষ নেই। এখনকার ভিসি'রাও তেমন।
চাটুকারিতা করাই যেনো তিনাদের একমাত্র কাজ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: ভাবতে খুব অদ্ভুত লাগে, ভিসি পদে বসবার জন্য ছাত্রনেতাদের শিক্ষকেরা তোষামোদ করেন!! বিনিময় ছাত্রনেতারা কি আদায় করে নেয় কে জানে!! সত্যিই বলেছেন, আগের ভিসিদের সাথে এখনকার ভিসিদের অনেক পার্থক্য। এদের ভিসি পদ আছে, কিন্তু কোনো সম্মান নেই।
৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৫:২৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এখন সব চেয়ে অযোগ্যরাই ভিসি নন।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:১২
করুণাধারা বলেছেন: এখন সব চেয়ে অযোগ্যরাই ভিসি নন।
ঠিক! এদের একমাত্র যোগ্যতা মেরুদণ্ডহীনতা।
৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:১৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু পোস্টটার জন্য।
আবুল হায়তের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তিনিও তার সময়কার ভিসি এবং শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে কথা বলেছেন এবং আজকের পরিবেশে নিয়ে কথা বলেছেন। সবাইকে এখন জাগ্রত হতে হবে। মুখ খুলতে হবে।। সবাই মুখ খুললে কয়টা মুখ বন্ধ করতে পারবে , খুনী হায়েনার দল?
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:২৪
করুণাধারা বলেছেন: ঢাবিয়ান, আবরারকে তিন দফায় পেটানো, আটবার বমি, একফোঁটা পানি চেয়ে খেতে না পাওয়া- এইসব শুনে ভাবতে ভাবতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। এখনো নির্যাতনের যেসব কাহিনী শুনছি, সে সব শুনে মনে হচ্ছে স্বয়ং শয়তান ছাত্রলীগের উপর ভর করেছে। হয়তো শুনে থাকবেন, নির্যাতনের অভিযোগ করবার জন্য বুয়েটের সিএসই বিভাগ একটি সার্ভার খুলেছিল, সেখানে ছাত্রলীগের করা অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ আসছিল গতরাতে বিটিআরসি এই সার্ভার বন্ধের আদেশ দিয়েছে। আজ থেকে বুয়েটের ওয়েবসাইট বন্ধ। কি মনে হচ্ছে আপনার, মুখ খোলার কোন উপায় আছে? এদেশের কোন আন্দোলনের দাবী কখনো সফল হতে দেখেছেন?
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:৩১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এখন সব চেয়ে অযোগ্যরাই ভিসি হন।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:২৫
করুণাধারা বলেছেন: অন্য কাজের যোগ্যতা নেই, কিন্তু ছাত্রদের তোষামোদি করার যোগ্যতা আছে।
৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৮:৩৭
ল বলেছেন: জানা হলো।।
শক্তির মহড়া আর কতকাল কে জানে????
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: যেহেতু এদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, শক্তির মহড়া সহজে বন্ধ হবে বলে মনে হয় না ল। একটি ছবিতে দেখলাম, পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে আর নেতা হাসছে। ভাবখানা এমন, "দেখনা দুদিন পর কিভাবে বের হই"!
৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ৯:০৬
সাইন বোর্ড বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু জানা গেল ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৯
করুণাধারা বলেছেন: খুব কষ্টে আছি, কিন্তু তবুও আপনার মন্তব্য পড়ে হাসি পেল। যে কথাগুলো জানাতে চাচ্ছিলাম, তার জানাবার সাহস হল না। এই পোস্টে যা লিখেছি তা এমন দরকারি কিছু নয়।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ সাইন বোর্ড।
১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার, হৃদয়গ্রাহী পোস্ট। +
এ বিষয়টি নিয়ে যারা এ ব্লগে পোস্ট লিখছেন, তাদের অধিকাংশই এক বুক ব্যথা নিয়ে তাদের লেখা লিখছেন। আবার অনেকে আছেন ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে কিছুই লিখতে পারছেন না। স্বাভাবিক সময়, স্বাভাবিক পরিবেশ থাকলে এ নিয়ে হয়তো তীব্র গণ আন্দোলনের সৃষ্টি হতো। কিন্তু বিচারহীনতা এবং দোর্দন্ড প্রতাপশালী অপশাসনের ভয়ে অনেকেই মুখ খুলছেন না। অসাধু সুশীল সমাজ এবং চরিত্রহীন, অকর্মণ্য রাজনীতিবিদদের নীরবতা, নির্লিপ্ততা দেখে গণমানুষ আজ আশাহত।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: নিয়মিত ব্লাড প্রেসারের ওষুধ খাওয়া সত্বেও দুদিন ধরে আমার প্রেসার বেড়ে গেছিল। ঠান্ডা মাথায় কি করে এতজন মানুষ মিলে একটা নিরীহ ছেলেকে এতটা যন্ত্রনা দিয়ে মারল!! এবং এরকম নাকি আগে আরো অনেকের সাথে হয়েছে, আবরারের মৃত্যু হওয়াতে এটা প্রকাশ পেল। খুব জানতে ইচ্ছে করছে, এই নিষ্ঠুরতার শিক্ষা কি তারা পরিবার থেকে পেয়েছিল? সেই পরিবারগুলো সম্পর্কে কোন তথ্য নেই কেন? আবরার আটবার বমি করেছে, একটু পানি খেতে চেয়েছে, তারা দেয়নি বরং ওকে মেরে ফেলে হাসতে হাসতে বাইরে খেতে গেছে। খেয়ে এসে বার্সেলোনার খেলা দেখতে বসেছে...
এইসব জিনিস ঘুরেফিরে মাথার মধ্যে আসছিল, আর সাথে সাথে ভাবছিলাম এই যে ছাত্র গুলো এত কষ্ট করে আন্দোলন করছে তাতে তো কোন লাভ হবে না, অল্প কিছু দাবি মেনে তাদের আন্দোলন বন্ধ করা হবে... এইসব চিন্তা থেকে মুক্তি পেতেই এই পোস্ট দেওয়া। আপনার মন্তব্য এবং প্লাসে অনুপ্রাণিত বোধ করছি।
১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: সব সমস্যার সমাধান হোক। মানুষজন মানবিক হোক।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: এটা আমরা সবাই চাই, অনেকদিন ধরে চাইছি, কিন্তু মানুষ দিন দিন বেশি করে অমানুষ হয়ে উঠছে।
১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কিছু চাটুকার শিক্ষক আর রাজনীতিবিদের জন্য দেশের আপাতদৃষ্টিতে সর্বোচ্চ মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটল...
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: কিছু চাটুকার শিক্ষক আর রাজনীতিবিদের জন্য দেশের আপাতদৃষ্টিতে সর্বোচ্চ মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটল...
এই ঘটনা কিন্তু এই প্রথম নয়, বিচার মানি তালগাছ আমার। বরং আবরার মারা গেছিল বলে,এবং ওর মৃত্যুকে কোন মিথ্যা দিয়ে ধামাচাপা দিয়ে দেবার আগেই প্রকাশ হয় যে ছাত্রলীগের নির্যাতনের সে মারা গেছে। এরপর এখন এমন অনেক নির্যাতনের খবর আসছে। আবরার মারা গেল, কিন্তু হয়তো তার মৃত্যুর ফলে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন নির্যাতনের শিকার হবে না।
১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:০০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এলজ্জা দেশের প্রতিটি মানুষের। এমন একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের এমন হালচাল! সবকিছু যেনো ঠিক হয়ে যায় অপরাধীরা যেনো দৃষ্টান্তমূলক স্থাস্তি পায়। যেনো সামনে আর এমন ঘটনার পুনুরাবৃত্তি না ঘটে এইটুকুই কামনা।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৯
করুণাধারা বলেছেন: এ লজ্জা দেশের প্রতিটি মানুষের, আপনার সাথে একমত মাহমুদুর রহমান সুজন। আপনার মত আমিও চাই অপরাধীরা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়।
কিন্তু জানি এ প্রার্থনা পূরণ হবে না।
১৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:১৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: খায়রুল আহসান ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে সহমত।
অধিক শোকে অনেকেই পাথর হয়ে গেছেন।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৫
করুণাধারা বলেছেন: অধিক শোকে অনেকেই পাথর হয়ে গেছেন! যাবারই কথা; এরপর মনে হয় "ভ" অক্ষর উচ্চারণ করার আগে ভালো করে ভাবতে হবে। আজ আবরারের অতি বৃদ্ধ দাদার আহাজারি ভিডিও দেখে খুবই খারাপ লাগছে।
১৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ভয় হয় সব ধ্বংস করে দিয়ে যাবে ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮
করুণাধারা বলেছেন: ধ্বংস হবার মতো আর খুব বেশি কিছু বাকি নেই... শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে, মানুষের মূল্যবোধ ধ্বংস হয়ে গেছে, সুন্দরবন ধ্বংস হচ্ছে, ভারী ট্রাক চলাচলের ফলে ভাঙাচোরা রাস্তা ঘাট আরও ধ্বংস হবে।
১৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:১৮
ডার্ক ম্যান বলেছেন: এইসব অথর্ব ভিসিদের নিয়ে আহমদ ছফা গাভী বৃত্তান্ত নামক একটা উপন্যাস লিখেছিলেন ।
ক্ষমতা কাউকে দানব আবার কাউকে মহামানবে পরিণত করে।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১০
করুণাধারা বলেছেন: বর্তমান ভিসি অথর্ব কিন্তু বুয়েটকে অথর্ব করেছেন যে ভিসি তার নাম ডঃ নজরুল ইসলাম। বুয়েটের সমস্ত মতাদর্শকে তিনি ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন। তিনি একজন মানবরূপী দানব।
১৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: ফেসবুকে দেখেছি খবরটা যে, বুয়েটের কম্পিউটার সাইন্স ডিপার্টমেন্ট এর সার্ভার বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ভয়ঙ্কর সব নির্যাতনের অভিযোগ আসছিল সাইটটিতে। ভাবছি বুয়েটের মত প্রতিষ্ঠানের এই অবস্থা হলে, বাদবাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কি অবস্থা।
শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান স্বল্প বাক্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন দেশের বর্তমান অবস্থা।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৫
করুণাধারা বলেছেন: এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার আজ প্রথম আলোকে বলেন, অন্যায় করে থাকলে পেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে বন্ধ করা হয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিটিআরসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতি কে আরো খারাপ করতে পারে এই আশঙ্কা থেকে পেজটি বন্ধ করা হয়েছে।
১৯ নাম্বার মন্তব্য দেখুন, তিনি সুপারিশ করেছেন সমস্ত থানা বন্ধ করে দিতে; যেন কেউ কোন অভিযোগ দিয়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপ না করতে পারে।
১৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫১
শামছুল ইসলাম বলেছেন: একাত্তরে টর্চার সেলের কথা শুনেছি, পড়েছি ।
আমাদের দেশেও বুয়েট, চুয়েট, ঢাবি, .... তে শুনছি টর্চার রুম আছে । তবে কেউ এর আগে বলতে সাহস পায়নি ।
একজন আবরার জীবন দিয়ে সবার মুখ খুলে দিয়েছে । কী লোমহর্ষক সে সব কাহিনি ।
ভাবতেও গা শিউরে ওঠে । আর যাদের উপর দিয়ে এগুলো চলে, চলেছে ; তাদের অবস্থাটা কল্পনার অতীত।
হায়! অভাগা দেশ আমার!
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:২১
করুণাধারা বলেছেন: একজন আবরার জীবন দিয়ে সবার মুখ খুলে দিয়েছে । কী লোমহর্ষক সে সব কাহিনি ।
দুঃখজনক হলেও এটা খুব সত্যি কথা। আবরার যদি মারা না যেত, তবে তারা তার এমন অবস্থা করত, যেন সে আর কখনো হাঁটাচলাও না করতে পারে, পড়ালেখা তো দূরের কথা। এমন আরও অনেক ছাত্রকে করেছে আগে। আবরার মারা যাওয়ার ফলে সেসব ঘটনা এখন বের হয়ে আসছে। সত্যিই লোমহর্ষক ঘটনা। তারা নাকি সিগারেটের আগুন দিয়ে চোখে ছ্যাকা দিত! ভাবা যায় না।
১৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:২১
মা.হাসান বলেছেন: গতকাল দুপুরে আমার এক সহকর্মী বুয়েটের অভিযোগ সংক্রান্ত ওয়েব সাইটটি দেখিয়েছিলেন, ১০৩টা অভিযোগ ছিল, কোনটারই বিচার হয় নি। অভিজ্ঞতা বলে, শতকরা দশ জন লোক ও অভিযোগ করে না। এরকম কত হাজার ঘটনা যে ঘটেছে তা বলা মুশকিল।
যেমনটা বলা হয়েছে, বিটিআরসির নির্দেশে সামুর মতো এই অভিযোগের সাইট ও বন্ধ (বন্ধ করতে যেয়ে বুয়েটের সব পেজই সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে গেছে)। -পেজ বন্ধ করার জন্য বিটিআরসির নির্দেশ।
কেন বন্ধ করা হলো এই পেজ টি? বিটিআরসির চাটাম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করতে পারে, এই আশঙ্কা থেকে পেজটি বন্ধ করা হয়েছে।
আভিযোগ জানালে নিরাপত্তা পরিস্থিতি যদি খারাপ হতে পারে তবে সরকারের উচিৎ সব পুলিশি থানা গুলোতে ডায়েরি, মামলা , অভিযোগ ইত্যাদির ব্যবস্থা তুলে দেয়া (থানা থাকার দরকার আছে- নারী নির্যাতন, ইয়াবা খাওয়া, মাঝরাতে ব্যালট ভরানো এসবের জন্য)।
এর আগে নিরাপদ সড়ক নিয়ে আন্দোলনের সময়ে কি হয়েছিল তা মনে আছে। বুয়েটের ঘটমান আন্দোলন থেকে ভাল কিছু বের হবে এমন আশা করি না। আপনি বলতে পারেন- বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, এটা ভালো। সেক্ষেত্রে আমি বলবো সোনার ছেলেরা এতদিন যে মারধোর করেছে তা কি আইনসিদ্ধ ছিল? নিষিদ্ধ কাজ ধরা যাদের কাজ, তারা স্বার্থের কারণে চোখ বন্ধ করে ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। এর আগে এক মহান নেতা বলেছিলেন- ক্ষমতায় যদি ভবিষ্যতে নাও থাকি, আর কোন দিন হরতাল করবো না। এদের কথা বিশ্বাস করার আগে চিন্তা করে দেখবেন।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: গান দুপুর পর্যন্ত ১০৩ টি ছিল, তারপর অনেক অভিযোগ আসতে থাকে। ১৬৬টি অভিযোগ জমা হতেই বিআরটিসি পেজটি বন্ধ করে দেয়। : এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার আজ প্রথম আলোকে বলেন, অন্যায় করে থাকলে পেজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। তবে বন্ধ করা হয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না।[/s]
তাদের হিসেবে একটু ভুল হয়ে গেছিল। বুয়েটের সি এস ইর ছাত্ররা কাগুর চাইতে বেশি জ্ঞান ধরে। তারা মাইক্রোসফটের একটি সার্ভারে এগুলো সব জমা করে, যদিও ভিপিএন ছাড়া সেই সার্ভারে ঢোকা যায় না। আমি অবশ্য জিনিসটা বিস্তারিত বুঝিনি, তাই ঠিকমত বলতে পারছিনা। শুধু এটুকু জানি, সরকার যতই চেষ্টা করুক অভিযোগ আটকাবার, অভিযোগ জমা হচ্ছে সব সময়। প্রকাশিত হবে পরে।
আপনার মত আমিও জানি এসব করে কিছুই হবে না। বুয়েটে ২০১২ সালে এর চাইতে বড় আন্দোলন হয়েছিল। সমস্ত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী, এলামনাই, সাংবাদিক সবাই এক পক্ষে ছিলেন, ন্যায়ের পক্ষে! জামাত-শিবিরের আন্দোলন বলে সেই আন্দোলন ব্যর্থ করা হয়েছিল। সে আন্দোলন ব্যর্থ করার মত বুদ্ধি যাদের ছিল, এবারকার আন্দোলন ব্যর্থ করার মত বুদ্ধিও তাদের আছে।মিছিমিছি ছেলেমেয়েগুলো আশা করছে কিছু হবে...
২০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৬
আখেনাটেন বলেছেন: ভার্সিটিগুলোর ভিসিদের কর্মকান্ড দেখলে ঘৃনায় গা রি রি করে উঠে। শিক্ষকতা পেশাটাকে অসুস্থ রাজনীতিবিদ ও কুশিক্ষিত শিক্ষিকরা মিলে পচে ফেলার চেষ্টায় রত। ধিক!
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: ভার্সিটিগুলোর ভিসিদের কর্মকান্ড দেখলে ঘৃনায় গা রি রি করে উঠে।
অথচ এদের সুযোগ ছিল মেধাবীদের মেধাকে দেশের উন্নয়নের কাজে লাগানোর, নানা রকম গবেষণা করানোর। গতকাল দেখলাম বুয়েটের ভিসি সকালে উঠতে পারেন না দেখে সাড়ে বারোটায় কাজ শুরু করেন, এবং এরফলে অনেক ফাইল তিনি দেখতে পারেন না। ফলে ২৪ কোটি টাকা ফেরত গেছে! এই টাকাটা গবেষণায় লাগতে পারত।
আর কি বা বলার আছে, "ধিক" বলা ছাড়া!
২১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৯
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @ উকিল যেমন বলছেন, আবরারের গায়ে যেসব দাগ দেখা যাচ্ছে তা চর্মরোগ।
এই তথ্য কই পেলেন ম্যাডাম?
পুনশ্চঃ অভিযুক্তদের আজীবন বহি:স্কার ও ৫-২০বছর শাস্তি চাই। [আমি ফাঁসির বিপক্ষে]
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫
করুণাধারা বলেছেন: পত্রিকায় উকিলের ছবিসহ তার এই উক্তি দেয়া হয়েছিল। সেটা গতকাল কিংবা পরশুর পত্রিকা। আমি অনলাইনের লিংক দিতে পারলাম না খুঁজে পাই নি বলে। এই খবরটার মধ্যে আপনি পেয়ে যাবেন উকিল যে চর্ম রোগের কথা বলেছে, সে কথা। view this link
অভিযুক্তদের যদি কোনো শাস্তি হয়, তবে বড়জোর তারা বুয়েট থেকে বহিস্কৃত হবে। কোন জেল-জরিমানা হবে না। সসম্মানে তারা এ দেশেই থাকবে, এবং কিছুদিন পর বড় নেতা হবে।
তনু, বিশ্বজিৎ, রুপা এদের খুনিরা ধরা পড়েছিল। কারুর কোন শাস্তি হয়েছিল কি?
২২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি কি ইন্জিনিয়ার হিসেবে চাকুরী করেন, দেশে কংবা বিদেশে?
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: না, দেশে কিংবা বিদেশে আমি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করি না। আমি প্রধানত রান্নাবান্নার কাজ করি।
২৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সময়টা এখন অপেক্ষা করার, এছাড়া আর কিছু করার নেই।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০২
করুণাধারা বলেছেন: সময়টার অপেক্ষার। তনু হত্যার পরে সারাদেশ প্রতিবাদে উত্তাল হয়েছিল, সমস্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা রাস্তায় মানব বন্ধন করেছিলো। ভেবেছিলাম সেবার অভিযুক্ত নিশ্চয়ই শাস্তির মুখোমুখি হবে। হয়নি। এবারও কিছু হবেনা অভিযুক্তদের।
২৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
অতি সুশীল এইসব ভিসিদের সবাইকে মনেহয় একই রকম।
আজ দুদিন ধরে আবরারের এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পত্রিকা ও ইন্টারনেটে সবকিছু দেখা বাদ দিয়ে দিয়েছি। মানা যায় না মানতে পারছিনা। খুব কষ্ট লাগছে।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৩
করুণাধারা বলেছেন: আমার ভাবতে খুবই অবাক লাগে, এরা ভিসি পদ গ্রহণ করে শুধু নাম হবার জন্য, এবং নানারকম সুবিধা নেবার জন্য। যেমন এই ভিসি বছরের বেশির ভাগ সময় বিদেশ সফর করতে থাকেন, কখনোই বুয়েটের জন্য কল্যাণকর কিছু করেন নাই। রাত্রে বেলা যখন তাকে ফোন করে বলা হলো এভাবে একটা ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে, তিনি বললেন, "পুলিশে খবর দাও"! বলে আবার ঘুমাতে গেলেন। এসব কথা ভাবলে মাথার মধ্যে যন্ত্রনা হতে থাকে।
২৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বুয়েটে পড়েছিলেন?
১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৭
করুণাধারা বলেছেন: এটা জানতে গেলে আমার জীবনী পড়তে হবে; দাড়ান, জীবনীটা লিখে নেই, আপনাকে এক কপি পাঠাবো।
আমার গাড়ি বুয়েটে ছিল কেন সেটা জানার জন্য হয়ত আপনার এ কৌতুহল। এটার জবাব দিতেই পারি, আমার ছেলেকে বাসায় আনার জন্য।
২৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: এক পুলিশ এসে হাজির হয়েছে আপনার ব্লগে, জেরা করতে।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০
করুণাধারা বলেছেন: জবাব ঠিকমতো হলো তো?
২৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
@ঢাবিয়ান বলেছেন, " এক পুলিশ এসে হাজির হয়েছে আপনার ব্লগে, জেরা করতে। "
-ঢাকা ইউনিভারসিটি র্যাংকিং না পাওয়ার অনেক কারণ আছে।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১১
করুণাধারা বলেছেন: যদি সবিস্তারে আলোচনা করতেন....
২৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দুহাজার দশ সতের ডিসেম্বর
বু আজিজি নিজের গায়ে নয়
আগুন জ্বালিয়েছিল পুরো আরবে
আরব বসন্তে ভেসে গেছে স্বৈরাচারীগণ!
দু হাজার উনিশ সাত অক্টোবর
আবরার পড়ে থাকে সিড়ি ঘরে
আগুন জ্বলে উঠুক বাংলায়
বাংলা বসন্তে হোক স্বৈরাচারের পতন।
বু-আজিজি থেকে আবরার
স্বপ্নরা জেগে থাকে বারবার।।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩
করুণাধারা বলেছেন: আপনার কবিতা ভালো হয়েছে ভৃগু, তবে এ আশা পূরণ হবার নয়। এর আগেও বহুবার আন্দোলন হয়েছে, কোন লাভ হয়নি। এবারও কিছুই হবে না, শুধু দেখে যান।
২৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৯:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
@বিদ্রোহী ভৃগু ,
আরব বসন্ত ফুল ফুটেছে সিরিয়া, লিবিয়া ও মিশরে।
৩০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:০৬
মা.হাসান বলেছেন: ডঃ নজরুল ইসলামের বিষয়ে শুনেছিলাম উনি শীর্ষস্থানীয় কারো গৃহ শিক্ষক ছিলেন।
বুয়েটে শিক্ষক নিয়োগের সময়ে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য হলো মেধাক্রম অনুসরন করা। এটি যে সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি এমন বলবো না, তবে ভালো বলতে আপত্তি নেই, এবং এতে বিতর্ক কম হয়। এরকম অভিযোগ শুনেছি , নজরুল ইসলাম সাহেব চেষ্টা করেছিলেন কিছু নির্দিষ্ট ছাত্রদের মেধাক্রম পরিবর্তন করে নির্দিষ্ট গোষ্টির ছা্ত্রদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার। প্রায় সকলের বাধার মুখে এটা সম্ভব হয় নি।
আগের ওয়েব সাইট বন্ধ হবার পর বুয়েটের ছা্ত্ররা একটি বিকল্প ওয়েব সাইট চালু করেছে অভিযোগ পোস্ট করার জন্য।
আপনি রক্তচাপ কমানোর ওষুধ খান শুনে খারাপ লাগলো। ওষুধের বিকল্প আছে। আপনার বাসায় যদি টেলিভিশন থাকে তবে খুব ভালো, না থাকলে একটি টেলিভিশন কিনুন। প্রতিদিন বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান নিয়মিত দেখবেন। সংবাদ দেখা অতি জরুরী। মন উৎফুল্ল থাকলে শরীর ভালো থাকবে। আপাতত মন ভালো করার মতো কিছু খবর/ছবি দিলাম। এই বিষয়ে পোস্ট দিতাম, কিন্তু আজই কিছুক্ষন আগে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একটা পোস্ট দিয়েছি, প্রথম পাতায় এক সঙ্গে দুটো পোস্ট না দেয়াই ভালো মনে করি।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০
করুণাধারা বলেছেন: ঠিকই শুনেছিলেন।
গৃহ শিক্ষকের সাথে অনেক স্টুডেন্টেরই গোপন বা ব্যক্ত প্রেম থাকে...
এই খবরগুলো বিনোদনমূলক সন্দেহ নেই। তবে আমার মনে হচ্ছে আরো বিনোদন বাকি আছে। এরপর আরেকজন মুখপাত্র বাণী দেবেন, সব দোষ আবরারের মার। ছোটবেলায় নিশ্চয়ই হরলিক্স খাওয়ায় নাই আবরারকে, নাহলে পিটুনি খেয়ে মরল কেন?
৩১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা আমরা সবাই চাই, অনেকদিন ধরে চাইছি, কিন্তু মানুষ দিন দিন বেশি করে অমানুষ হয়ে উঠছে।
সত্যিকথা বলতে কি সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করার জন্য এদেশ ছেড়ে পালাতে হবে।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: এদেশে থাকতে গেলে, প্রতিমুহূর্তে নানারকম ভয়ের সাথে বসবাস করতে হয়।
৩২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১১:৩৫
সুপারডুপার বলেছেন: ডঃ এনামুল হক হচ্ছেন একজন ফাঁকিবাজ বুয়েট রসায়ন শিক্ষক, যিনি ক্লাসে যাওয়ার পর চেয়ার ছেড়ে ওঠেন না। কি যে রসায়ন পড়ান, উনিই ভালো জানেন। তবে ভাইবা তে ভালো , উনি রস কষের রসায়ন নিয়ে প্রশ্ন করেন । ভালোই গ্রেড দেন। তাই ছাত্ররা অভিযোগ ও করে না।
বুঝি না, বুয়েটে এই রকম ফাঁকিবাজ টিচার কিভাবে টিকে থাকে।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: উনি ফাঁকিবাজির সাথে সাথে তেলবাজিও জানেন, তাই বুয়েটে টিকে থাকতে পেরেছিলেন। টিভি, মঞ্চ, রাজনীতি এতসব করার পর উনার পড়াশোনা করার সময় কোথায়? চাকরিটা রেখেছিলেন শুধু বুয়েটের অধ্যাপক, এই স্ট্যাটাসটার জন্য।
৩৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০১
নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
বুয়েটের বর্তমান অবস্থা দেখে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। বিশ্বাস করুন এই বুয়েট আমরা রেখে আসি নি।
এই ক্যাম্পাসে মনে হয় আমরা পড়া লেখা করিনি।
উপরে ম। আহসান ভাই খুব সুন্দর করে আমার মনের কথাই বলে দিয়েছেন। তাই আর রিপিট করলাম না।
খুব শিঘ্রই ভালো কোন কিছু না হলে এই দেশে একদম শেষ হয়ে যাবে।
আজকে দেখলাম প্রায় সব দাবীই মেনে নিয়েছে। ছাত্র রাজনীতিও বন্ধ।
এটা খুব ভাল হয়েছে।
আপু,
বুয়েটের বর্তমান অবস্থা দেখে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। বিশ্বাস করুন এই বুয়েট আমরা রেখে আসি নি।
এই ক্যাম্পাসে মনে হয় আমরা পড়া লেখা করিনি।
উপরে ম। আহসান ভাই খুব সুন্দর করে আমার মনের কথাই বলে দিয়েছেন। তাই আর রিপিট করলাম না।
খুব শিঘ্রই ভালো কোন কিছু না হলে এই দেশে একদম শেষ হয়ে যাবে।
ইকবাল মাহমুদ স্যারের মতো স্যার আর কি কখন বুয়েটে ভিসি হয়ে আসবে?
আজকে দেখলাম প্রায় সব দাবীই মেনে নিয়েছে। ছাত্র রাজনীতিও বন্ধ।
এটা খুব ভাল হয়েছে।
ধন্যবাদ।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:১৮
করুণাধারা বলেছেন: নীল আকাশ, আশায় বুক বাঁধতে কোন ক্ষতি নেই, আপনি বাঁধতেই পারেন। এদেশে সব দাবি সবসময়ই তো মানা হয়; নিরাপদ সড়কের এর দাবি কি মানা হয়নি? কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবি মানা হয়নি? বুয়েটের সব দাবি মানা হয়েছে! শেরে বাংলা হল ছাড়া বাকি সব হলগুলোতে ছাত্রলীগ একটু চুপচাপ আছে অবস্থা শান্ত হলেই পূর্ণ উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়বে। আমি আশাবাদী হতে পারছিনা একেবারেই।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা রইল।
৩৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি বুয়েটের অতীতের সন্মানিত শিক্ষকদের সাথে বর্তমানের শিক্ষকদেরকে গুলিয়ে ফেলেছেন। এটা একরকমের সামাজিক অপরাধ। আগের শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা, ডেডিকেশান, ছাত্রদের প্রতি ভালোবাসা, চারিত্রিক দৃঢ়তা, গবেষণা এবং প্রচুর পড়াশুনা ছিল। উনারা ছাত্রদেরকে যেমন পড়াতেন, নিজেরাও পড়তেন। এটা মোটামুটি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই প্রযোজ্য।
এখন এই গুনাবলীর সাথে বর্তমানের শিক্ষকদেরকে মিলিয়ে নেন। এটুকু ইশারাই কাফি হবে আশাকরি।
আপনার এই পোষ্ট আগেই পড়েছি। মন-মেজাজ খারাপ থাকায় মন্তব্য করা হয়ে উঠেনি।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: আমি মোটেও আগের শিক্ষকদের সাথে বর্তমান শিক্ষকদের গুলিয়ে ফেলি নি, শুধু বলতে চেয়েছি ডঃ নজরুল ইসলাম কিভাবে দলীয় রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে বুয়েটকে ধ্বংস করেছেন। যেমন ধরুন, ডঃ রশিদ ভর্তি পরীক্ষার জন্য কোটা বিহীন, মেধাভিত্তিক যে নিয়ম করেছিলেন, সেই নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে তার নিজের ছেলে বুয়েটে প্রকৌশল পড়ার সুযোগ পাইনি। অথচ ২০১০ সালের ভিসি ডঃ নজরুল ইসলাম ছাত্র ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা করতে চাইলেন। সেটা আন্দোলন করে ঠেকানো গেল, কিন্তু তিনি শিক্ষকদের ভিতরে রাজনীতি ঢোকালেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদ তৈরি করে। ক্ষমতালোভী, অর্থলোভী, পদলোভী শিক্ষকরা এখানে যোগদান করে, এবং নিজের স্বার্থের জন্য ছাত্রলীগের সমস্ত অন্যায় আচরণকে বৈধতা দেয়। এরা শিক্ষক নামের কলঙ্ক। অবশ্য এরা ছাড়া কিছু ভালো শিক্ষক বুয়েটে এখনো আছেন।
তবে মোটাদাগে আপনার কথা ঠিক আছে, আগের শিক্ষকদের সাথে এখনকার এইসব শিক্ষকদের তুলনাই হয় না- এদেরকে বরং পা চাটা কুকুরের সাথে তুলনা করা যায়।
৩৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:০২
প্রামানিক বলেছেন: অজানা কিছু জানা হলো। পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ২:৪২
করুণাধারা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ প্রামানিক, আমার ব্লগে আসার জন্য এবং মন্তব্য করার জন্য। করি এখন থেকে ব্লগে নিয়মিত আপনার ছড়া পাবো।
৩৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩
জুন বলেছেন: অল্প কথায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর অতীত এর উজ্জ্বল ঘটনা আর বর্তমানের শিক্ষক আর ছাত্রদের কিছু নৈরাজ্যময় ঘটনার দৃশ্য তুলে এনেছেন। বছর কয়েক আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনের রাস্তায় আমার সামনেই এক রেন্ট এ কারের সাথে এক মোটরসাইকেলের হাল্কা ধাক্কা লাগলো, ছেলেটাই হটাৎ সামনে চলে এসেছিল। কিছুই হয়নি আমি গাড়ির জানালা দিয়ে দেখছি। রোগা পটকা ছেলেটি হুংকার দিয়ে নেমে গাড়ি চালকের কলার চেপে ধরলো। তারপর মোবাইল বের করে তার সাংগোপাংগোদের তখুনি চলে আসতে বল্লো আরো কয়েকজনকে সাথে নিয়ে। রেন্ট এ কারের ড্রাইভার এর প্রতি অসীম মমতা অনুভব করলেও এই অরন্যে কিছুই করার নেই ভেবে আমার ড্রাইভারকে দ্রুত স্থান ত্যাগের নির্দেশ দিলাম। আমার ড্রাইভার দীর্ঘশ্বাস ফেলে বল্লো "আফা আইজ এই বেডার জীবন শেষ " ।
লেখায় প্লাস দিয়ে গেছি আগেই ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩
করুণাধারা বলেছেন: জুন, আমার এটা ভাবতে খুবই খারাপ লাগে, আজকাল চারপাশের মানুষের মধ্যে সততার- সহিষ্ণুতার অভাব আর নির্মমতার বিস্তার বেড়েই যাচ্ছে! সেজন্যই হয়তো অনেক ভালো প্রতিষ্ঠানগুলোতেও দেখছি দুর্নীতি আর হিংস্রতার বিস্তার, যার উদাহরণ বুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনা। খুবই দুঃখবোধ নিয়ে পোস্টটা দিয়েছিলাম।
রাস্তায় চলাফেরা করতে গেলে খুবই সাবধানে করতে হয়। আপনি যে ঘটনাটা বললেন, এটা শুনে খুব একটা অবাক হইনি। ২০০৯ সালে আমার সাথেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। একদিন দুপুরের দিকে আমি কাওরান বাজারে যাচ্ছিলাম, গাড়ি ঠিকই চালাচ্ছিল ড্রাইভার। হঠাৎ করে দেখলাম সামনে একটা গাড়ি থেমে গেল, আমার গাড়িও থামালো।সেই গাড়ি থেকে দুজন প্রায় ৪০ বছর বয়স্ক লোক নেমে আমার ড্রাইভার এর সামনে এসে গ্লাস নামাতে বলল। গ্লাস নামানো মাত্র তাদের একজন ড্রাইভারকে মুখে সমানে কিল ঘুষি মারতে মারতে বলতে লাগলো, "তুই আমার গাড়ি চাপাইলি কেন?" এটার অর্থ কি আমি বোঝার আগেই দেখলাম ড্রাইভারের পুরো মুখ রক্তাক্ত আর সে ঢলে পড়েছে। ড্রাইভার ঢলে পড়তেই লোক দুটো তাদের গাড়িতে করে চলে গেল। ততক্ষণে আশেপাশের লোকজন এসে আমার অজ্ঞান ড্রাইভারকে নামিয়ে একটা ফার্মেসিতে নিয়ে গেল। তারপর কিভাবে চিকিৎসা দিল আর কিভাবে জ্ঞান আসলো আমার মনে নেই, পুরো সময়টা আমি হতভম্ব হয়ে বসে ছিলাম। কি কারনে ছেলেটাকে এভাবে মারলো আমি বুঝতেই পারিনি। পরে যাকেই এই ঘটনার কথা বলেছি, সেই বলেছে, এরা ক্ষমতাশালী। শক্তি ওভারফ্লো করে যায় দেখে মাঝে মাঝে এভাবে যাকে তাকে মারপিট করে কিছুটা শক্তি খরচ করে।
কেবলই ভয়ের সাথে বসবাস... তার মধ্যে মাঝে মাঝে সামুতে এসে কিছু নিঃশ্বাস ফেলা।
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ, শুভকামনা রইল।
৩৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৮:২৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: "আফা আইজ এই বেডার জীবন শেষ " - কথাটা যেন সত্য না হয়।
সীমা লংঘনকারীদের ব্যাপারে আমাদের ধর্মগন্থে বহুবার সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে। আশাকরি, অন্যান্য ধর্মগ্রন্থেও তা আছে। তবুও মানুষ অনলমুখী পতঙ্গের ন্যায় সীমা লংঘন করেই চলে এবং ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মননশীল মন্তব্যের উত্তরে একটা দীর্ঘ মন্তব্য লিখছিলাম, অর্ধেকটা লিখতে ওয়াইফাই চলে গেল। একবার একটা লেখার মুড নষ্ট হয়ে গেলে সেটা আর হয় না।
ইদানিং সবকিছুতেই বাড়াবাড়ি আর সীমালংঘন দেখতে পাচ্ছি। তবুও মানুষ অনলমুখী পতঙ্গের ন্যায় সীমা লংঘন করেই চলে এবং ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়। একেবারে ঠিক কথা। অথচ পবিত্র কোরআন শরীফে বারবার সবরের গুরুত্ব, সহিষ্ণুতার পুরস্কার সম্পর্কে বলা হয়েছে। জানিনা এসবের পরিণতি কোথায় গিয়ে পৌঁছাবে!!
আবার ফিরে এসে মন্তব্য করায় ভালো লাগলো। ভালো থাকুন সবসময়।
৩৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:১৮
ইমরান আশফাক বলেছেন: বাংলাদেশের অর্জন অনেক, কিন্তু সময়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা বর্তমানে "বাংলাদেশ ছাত্রলীগ"। স্বয়ং পিএম ও এদের কাছে অসহায়।
আমাদের গর্ব বুয়েটের বারোটা বাজিয়েছে দলীয় শিক্ষক রাজনীতি, যার হাত ধরেই আসুক না কেন এটা। অপেক্ষা করুন, দেশের বারো টা বাজলো বলে এই কমনসেন্সবিহীন রাজনীতির কারনে, যেটা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলেই আমার ধারনা।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: বুয়েটের শিক্ষকেরা রাজনৈতিক দলের সমর্থক হলেও বুয়েটের স্বার্থকে সবার উপরে স্থান দিতেন। পদ বা অর্থলোভে নৈতিকতা বিসর্জন দিতেন না। বুয়েটই বাংলাদেশের একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে শিক্ষকদের সন্তানদের জন্য কোন কোটা নেই। অথচ এখানে কোটা আনতে চাচ্ছিলেন ডঃ নজরুল ইসলাম।
ঠিকই বলেছেন, সবকিছুর মত বুয়েটও ধীরে ধীরে ধ্বংস হচ্ছে। আমরা দুঃখের সাথে চেয়ে দেখছি।
৩৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১১
নীল আকাশ বলেছেন: ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭ - লেখক বলেছেন: না, দেশে কিংবা বিদেশে আমি ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি করি না। আমি প্রধানত রান্নাবান্নার কাজ করি। রান্না না খেলে বুঝবো কীভাবে আপনি রান্না করেন না কী করেন? যাই হোক যে জন্য এসেছি-
১। নাম এবং পোস্ট তো দিলেন না, অপেক্ষা করছি। ফেসবুকে যদি থাকতেন তাহলে ভালো হতো। ম্যাসেঞ্জারে আলাদা করে দিয়ে দিতে পারতেন। ব্লগের গ্রুপেই আমাকে পবেন।
২। আপনি আমাকে খোজ নিতে বলেছিলেন। রকমারীতে সুনামী/সাইক্লোন চলছে। এদের আমার শবনম আপ্লোড করতে সময় লাগবে ভীড়ের জন্য। যদি বইমেলায় না যান তাহলে অপেক্ষা করতে হবে। এটা আমার হাতের বাইরে। কিছু করতে পারবো না।
সরাসরি যোগাযোগ থাকলে বই অন্যভাবে পাঠানোর কথা চিন্তা করা যেত।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:০৭
রাকু হাসান বলেছেন:
অজানা কিছু জানলাম । ধন্যবাদ আপু।