নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজউকের দুর্নীতি ও গাফিলতি, রাজধানীবাসীর ভোগান্তি: ১) অগ্নিকাণ্ড

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২



ভেতরে তখনো অনেক মানুষ...

গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) ধানমন্ডির এক বহুতল ভবনে (১) আগুন লেগে ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে একজন মারা গেছেন। যেহেতু মাত্র একজন মারা গেছেন, এবং যেহেতু মৃত নারী একজন গৃহকর্মী ছিলেন, তাই এই বহুতল ভবনের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য হচ্ছে না। অথচ সাত মাস আগে  এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার পর খুব হৈচৈ হয়েছিল। কারণ তখন ২৬ জন মানুষ মারা গেছিলেন, যাদের মৃত্যুর একমাত্র কারণ ছিল ভবনে অগ্নি নিরাপত্তার অভাব। তখনই প্রথম জানা গেছিল, রাজধানীর অভিজাত এলাকায় কাঁচ ঘেরা সুন্দর এই দালানখানিতে অগ্নি নিরাপত্তার কোন ব্যবস্থা ছিল না, এটা ছিল আসলে একটা মৃত্যু কূপ। জানা গেছিল, ঢাকা শহরের অধিকাংশ ভবনই এমন মৃত্যু কূপ হিসেবে তৈরি হয়েছে।

 নানা অভিযোগের মুখে রাজউক চেয়ারম্যান তখন ঘোষণা দিয়েছিলেন, ঢাকা শহরের সমস্ত বহু তল ভবনগুলো ( দশতলা বা তদূর্ধ্ব) পরিদর্শন করে তার নিরাপত্তা ত্রুটি নির্ণয় করবে রাজউকের ২৪টা টীম। যেসব ভবনে অগ্নি সিঁড়ি, অগ্নি সতর্কতা ও নির্বাপণ ব্যবস্থা ইত্যাদিতে কোন ত্রুটি পাবেন, সেসব ভবনের মালিককে প্রথমে নোটিশ দেবেন, তারপরও ত্রুটি না সারালে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, অর্থাৎ বহুতল বাড়িগুলোতে আগুন যেন না লাগে, এবং লাগলেও যেন প্রাণহানি না ঘটে তার ব‍্যবস্থা করা হবে। ঢাকায় এমন বাড়ির সংখ্যা ৩০০০/৪০০০ মাত্র, তাই এই জরীপ কাজ সম্পন্ন হল তুরন্ত গতিতে, মাত্র সাত দিনে। (যদিও গৃহায়ন ও গণপূর্ত অধিদপ্তর ১৫ দিন সময় দিয়েছিল)। জরীপ শেষ হল ৭ই এপ্রিল, তারপর প্রায় সাত মাস কেটে গেছে; জানা যায়নি এই শহরে এফ আর টাওয়ারের মতো ভবন আর কয়টা আছে... 

ধানমন্ডির ১৪ তলা যে বাড়িটিতে আগুন লাগলো, মানুষ মারা গেল, সেটি কি রাজউকের জরীপে ছিল! রাজউক বাড়িটির অগ্নি নিরাপত্তা নিয়ে কি বলেছিল! আদৌ জরীপ করেছিল?

শুধু এটা না, রাজধানীর কোন ভবনেরই অগ্নি নিরাপত্তা রাজউক আসলে পরীক্ষা করেনি! রাজউকের এই জরীপের কাজকে বিশেষজ্ঞ ব‍্যক্তিরা বলছেন লোক দেখানো, প্রতারণামূলক। কারণ  এই জরীপের দলগুলোতে কোন বিদ‍্যুৎ, ভূমিকম্প, নির্মাণ এবং অগ্নি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রাখা হয়নি। (২)

বিশেষজ্ঞদের অভিযোগের পর রাজউকের কর্মকর্তারা বলছেন, জরীপের উদ্দেশ্য ছিল বিল্ডিং কোড মেনে বাড়ি বানানো হয়েছে কিনা তা যাচাই করা; অর্থাৎ কোন বাড়িতে নকশার বাইরে তলা বাড়ানো, পার্কিংয়ে ঘর তোলা এসব হয়েছে কিনা তা যাচাই করেছেন এই ২৪ দল! অথচ এটা নতুন করে যাচাইয়ের কোন  দরকারই ছিল না! গতবছর জানুয়ারি মাস থেকে অগাস্ট মাস পর্যন্ত করা এক জরিপেই দেখা গেছে ২ লাখ ৪১০৬ টি ভবনের মধ্যে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৬২৫ টি ভবন নির্মিত হয়েছে নিয়ম ভঙ্গ করে, অর্থাৎ দুই-তৃতীয়াংশ ভবনই ত্রুটিযুক্ত; হয় নকশা মেনে নির্মাণ করা হয়নি অথবা অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। সাত তালা বা তার উঁচু ভবনের জন্য ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র বাধ্যতামূলক, কিন্তু ফায়ার সার্ভিস থেকে পাওয়া তথ্যনুযায়ী  দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ভবনের অগ্নি নিরাপত্তা ছাড়পত্র নেই!! এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের পর ফায়ার সার্ভিস দেখেছে, বনানী সুপার মার্কেট, হোটেল সুইট ড্রিম, হাদী টাওয়ারসহ কামাল আতাতুর্ক এভিন‍্যুর অধিকাংশ বাড়িতেই অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়নি। এই ভবনগুলোর সম্পর্কে রাজউক নিশ্চুপ!

 বোঝাই যাচ্ছে রাজধানীবাসী আমরা বেশিরভাগই আগুনে মরার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছি; আগুনে পুড়ে বা ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু। যেমন আমি থাকি নয়তলায় ফ্ল্যাটে, বাড়ির পেছনের অংশে। এই বাড়ির তিনপাশেই অন‍্য বাড়ি। সবতলায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র আছে, কিন্তু বেশিরভাগই ডেট এক্সপায়ার্ড, তাছাড়া কেউই জানেই না কি করে এগুলো ব্যবহার করতে হয়।  জরুরী নির্গমন সিঁড়ি বলে একটা সিঁড়ি আছে, (বিল্ডিং কোড মানার কথা বলে বানানো হয়েছে) সেটা একতলায় ৫ ফিট চওড়া কিন্তু ৪ তলা থেকে হয়ে গেছে ২ ফিট। এই সিঁড়িতে বিভিন্ন ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা অদরকারী জিনিসপত্র জমা রাখেন। যদি আগুন লাগে, দাহ‍্য পদার্থ দিয়ে ভরা এই সরু সিঁড়ি জ্বলতে থাকবে, নামা যাবে না। আরেকটা যে বড় সিঁড়ি আছে, সেটা দিয়ে নামারও উপায় থাকবে না; সেটাও তখন হবে গনগনে চিমনি! কারণ ধোঁয়ায় থাকা বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, আর জলীয়বাষ্প বাতাসের চেয়ে হালকা হওয়ায় সবসময় উপর দিকে উঠার পথ খুঁজতে থাকে, পেয়ে যায় সিঁড়িকে! এজন্যই দমকল বাহিনীর মতে, আগুনে পোড়ার চাইতে বেশি মৃত্যু হয় ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে। ঘরেই বসে থাকব? তিন দিকের বাড়ির চিপা দিয়ে দমকলের গাড়ি ঢুকতে পারবে না, তাও ধরলাম কেউ একজন নীচে থেকে ৮০ ফিট উঁচু মই লাগালো, অথবা আমার জন্য  হেলিকপ্টার থেকে একটা মই নামানো হলো, কিন্তু তাও বের হতে পারব না; কারণ  আমার বাসার বারান্দা গ্রীল দিয়ে খাঁচার মত  বন্ধ, যেভাবে ঢাকার বেশিরভাগ বহুতল বাড়ির বারান্দা গ্রিল দিয়ে বন্ধ থাকে। 

বলতেই পারেন, শুধু শুধু বাড়িতে আগুন লাগবে কেন! আসলে আগুন কবে, কেন, কিভাবে লাগবে সেটা আগে থেকে
বলা যায় না। ধানমন্ডিতে যে আগুন লেগেছিল, সেটা শর্ট সার্কিট থেকে। জাপান গার্ডেন সিটিতে আগুন লেগেছিল জ্বলন্ত সিগারেটের থেকে; একটা খালি ফ্ল্যাটে কাঠের কাজ হচ্ছিল। কোন একজন মিস্ত্রি সিগারেট ঠিকমতো নেভায় নি, তারপর কাজ শেষে চলে গেছে... সেটা থেকেই আগুন, দমকল আসার আগেই ধোঁয়া, সেই ধোঁয়ায় সিঁড়িতে মারা গেলেন ৭ জন। কখনো তড়িৎ সামগ্রী সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণেও অনেকেই ভুল সংযোগ নেন, ফলে শর্ট সার্কিট হয়। আবার আজকাল নতুন তৈরি বাড়িগুলোতে দেখা যায়, বিভিন্ন তালায় ব্যবহৃত গ‍্যাস সিলিন্ডারগুলো একতলায় লাইন দিয়ে রাখা। এগুলো থেকেও আগুন লাগতে পারে।

আগুন থেকে বাঁচার জন্য অবশ্য বাংলাদেশ জাতীয় ইমারত নির্মাণ বিধিমালায় ব‍্যবস্থা রাখা হয়েছে, বাস্তবে যার কিছুই মানা হয় না খরচ কমানোর জন্য। বিধিমালায় বহুতল বাড়ির অগ্নি নির্বাপণ ব‍্যবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে:

১) সমস্ত বাড়িতে তাপ নির্ণায়ক, আগুন, ধোঁয়া নির্ণায়ক যন্ত্র বসাতে হবে। যদি কোথাও তাপমাত্রা ৬২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের উপরে উঠে, তাহলে  স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্প্রিংকলার  চালু করার ব‍্যবস্থা থাকতে হবে। 

২) যথেষ্ট পরিমাণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ফার্স্ট এইড ব্যবস্থা এবং অগ্নি নির্বাপনের দক্ষ কর্মী রাখা অত্যাবশ্যকীয় করা হয়েছে এসব ভবনে।

 ৩) সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়েছে জরুরী নির্গমন ব্যবস্থা বা ফায়ার এক্সিটের ওপর। এটা একটা সিঁড়ি, কিন্তু দেয়াল ঘেরা এবং অগ্নি নিরোধক দরজা দেয়া থাকবে। আগুন আর ধোঁয়ামুক্ত থাকার জন্য এই সিঁড়িতে পর্যাপ্ত ব‍্যবস্থা থাকবে (৩)

এই বিধিমালায় বলা আছে, কোন ভবন নির্মাণের পর ফায়ার সার্ভিসসহ ১১টা দপ্তরের ছাড়পত্র পেলে রাজউক অকুপেন্সি সার্টিফিকেট দেবে। এটা ছাড়া ভবন ব‍্যবহার বা বসবাস করা যাবে না। এই বিধিমালা পাশের পরে রাজউক ৪০,০০০ ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে, যেগুলোর মধ্যে মাত্র ১৬২ টিতে এ সনদ আছে!!  এই গাফিলতির বিষয়ে রাজউকের কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি! (৪)

রাজউক যে কেবল শুধু এভাবেই বিধিমালা লঙ্ঘন করে মৃত্যুকূপ তৈরিতে সহায়তা করছে তা না, তারা অনেক নিরাপদ এলাকাকে দমকলের গাড়ির জন্য অগম‍্য করে তুলেছে। যেমন ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় পর্যাপ্ত রাস্তাসহ  এক বিঘার প্লটগুলো এমনভাবে করা হয়েছিল, সেখানে দমকল পৌঁছাতে কোন অসুবিধা ছিল না। কিন্তু এখন এসব প্লটের অনেকগুলোতে একাধিক বহুতল বাড়ি উঠেছে; প্লটের একপাশে সরু রাস্তা করে পেছনের বাড়িতে পৌছাবার ব্যবস্থা। সেই সব বাড়িতে ছোট গাড়ি পৌঁছাতে পারলেও দমকলের গাড়িরা পৌঁছাতে পারবে না। একটা সুন্দর আবাসিক এলাকাকে এভাবে বিপজ্জনক করে তোলার দায় ১০০% রাজউকের। এছাড়া রাজউকের অনুমোদন দেয়া বাড়িগুলোর ডিজাইনও বিপজ্জনক; ইদানিং নির্মিত সব বাড়ি হয় দুধরনের: (১) সরু বারান্দায় গ্রীলের খাঁচা দেয়া আবাসিক ভবন (২) আগাগোড়া কাঁচে মোড়া বানিজ্যিক ভবন।  বাণিজ্যিক ভবনগুলোর এই কাঁচগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ। আগুন লাগলে বা ভূমিকম্প হলে এই কাঁচ বড় বড় টুকরা হয়ে ভেঙে পড়ে বিপদ ঘটাতে পারে। এই কাঁচ হবার কথা অগ্নিসহ, যা বড় বড় টুকরা হয়ে না ভেঙে গুঁড়া গুঁড়া হয়ে ভাঙ্গবে, যেমনি ভাবে ভাঙ্গে গাড়ির বা ওভেনের কাঁচ। অগ্নিসহ কাঁচ না লাগিয়ে বিপজ্জনক কাঁচ লাগানোর অনুমতি রাজউক কেন দিল? বোঝা খুব কঠিন কিছু না!

 এই কাঁচের বাক্স টাইপ ভবনগুলোর ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা হয় খুবই খারাপ, শুধু এই ভেন্টিলেশনের অভাবের কারণে এসব ভবনে আগুন লাগলে নেভানো কঠিন হয়ে যায়। দক্ষিণ  এশিয়ার সবচেয়ে বড় শপিং মল বলে খ‍্যাত বসুন্ধরা শপিং মলে সাত বছরে চারবার আগুন লেগেছে- ২০০৯ সালের ১৩ মার্চে,( সাত জন হত, আহত শতাধিক) ২০০৯ এর আগস্টে, ২০১৫ সালের  সেপ্টেম্বর আর ২০১৬ এর  আগস্ট।  এখানে যেমন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল, তেমনি প্রশিক্ষিত বাহিনীও ছিল অগ্নি নির্বাপনের জন্য। কিন্তু তাও আগুন ছড়িয়ে যাবার কারণ হিসেবে ভেন্টিলেশনের অভাবকে দায়ী করেছে ফায়ার সার্ভিস।

আবাসিক আর বাণিজ্যিক ভবনের পর হাসপাতাল গুলোর অবস্থা দেখি! বেসরকারি কয়েকটা হাসপাতালে দেখেছি এমন জরুরি নির্গমন সিঁড়ি ঘর আছে, ভেতরে অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামও আছে। সত্যি সত্যি বের হবার ব্যবস্থা আছে কিনা সেটা জানতে পারিনি। সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ‍্যে ইনস্টিটিউট অফ নিউরো সাইন্সে আমি যাই। এই বহুতল ভবনের মাঝখানে দেখি অদ্ভুত ভাবে কিছুটা ফাঁকা যায়গা; সেখানে দেয়ালে কিছু অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম লাগানো। দেখে বুঝলাম এখানে জরুরী নির্গমন সিঁড়ি হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি...

এই হাসপাতাল দেখে রাজউকের ২৪ দল কি ব‍্যবস্থা নিল, বড় জানতে ইচ্ছা করে!

No one killed Jessica- সাত মাস পর এখন মনে হচ্ছে এফ আর টাওয়ার অগ্নিকাণ্ড বলে কিছুই হয়নি। তবু পুরনো কিছু কথা মনে পড়ে যায়। যেমন এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের পর পর পূর্তমন্ত্রী স ম রেজাউল করিম বলেছিলেন,

"আপাত অবস্থায় আমার নিকট প্রতীয়মান হয়েছে যে, দায়িত্ব অবহেলার কারণে এই মানুষগুলির জীবন গিয়েছে। কারও দায়িত্বের অবহেলার কারণে যদি কোনো মানুষের মৃত্যু হয়, সেটাকে দায়িত্বে অবহেলাজনিত কারণে হত্যাকান্ড হিসেবে গন্য করার সুযোগ রয়েছে। আমরা প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।" (৫)

প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রাজউকের কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই এতগুলো প্রাণহানি আর আহত হবার ঘটনা ঘটেছে। এই কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ছিল, এই ভবনটির নকশায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে কিনা তা দেখা, তারপর নকশা অনুযায়ী ভবন তৈরি হয়েছে কিনা তা তদারকি করা; তারা তাদের সেই দায়িত্ব পালন না করে বরং অবৈধভাবে অনুমতি দিয়েছেন নকশায় ব্যত্যয় করে ভবন নির্মাণ করার। প্রাথমিক এই অনুসন্ধানের পর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই কমিটির করা তদন্ত প্রতিবেদন ২২শে মে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম সংবাদ সম্মেলন করে  প্রকাশ করেন। তদন্তে এফ আর টাওয়ারের অনিয়মের সঙ্গে রাজউকের ৫১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রমান পাবার পর অবশ‍্য কারো বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি; তারা বহাল তবিয়তে রয়েছেন নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে, অথবা অবসর গ্রহণ করে ফেলেছেন! অভিযুক্ত  সকলেই কোটিপতি! অথচ অগ্নিকাণ্ডে যারা হতাহত হয়েছে এরা সাধারণ চাকুরিজীবী, অনেকেই পরিবারের প্রধান উপার্জনক্ষম; এই পরিবারগুলো এখন কি অবস্থায় আছে তার কোন খবর নেই। মৃত্যুকূপে এতজন পুড়ল, অথচ এই মৃত্যুকূপ রচনাকারীদের গায়ে কোনরকম আঁচই লাগলো না!!

রাজউকের দায়ী লোকেদের বিরুদ্ধে যেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তেমনি ভবন নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। রূপায়ণের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল আদালতে আত্মসমর্পণ করে মাত্র ২০ হাজার টাকা মুচলেকা দিয়ে জামিন নিয়েছেন ২৩ শে জুন তারিখে। এর আগে ভবনের দুই মালিক এস এম এইচ আই ফারুক ৬ই মে এবং তাসভিরুল ইসলাম ১১ এপ্রিল জামিন নেন। ২৬ জন মানুষের মৃত্যুর দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন মাত্র ২০ হাজার টাকা হলে, একজন মানুষের মৃত্যুর দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির জামিন হওয়া উচিত (২০০০০/২৬) ৭৬৯.২৩ টাকা!!

 যারা একটা ভবন বানিয়ে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেন, তাদের কাছে ১০/২০ হাজার টাকা কিছুই না। ধারণা করা যায়, ভবিষ্যতেও তারা এমন ভবন তৈরি করবেন, আবারো কিছু মানুষ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারাবে, আবারো কিছুদিন হইচই হবে, তারপর সব চুপচাপ হয়ে যাবে... যাদের পকেট ভারী হবার, তাদের পকেট ভারীই রইবে!

ছবি: অন্তর্জাল

সূত্র:

১) ধানমন্ডির ১৪ তলা ভবনে আগুন

২) জরীপের নামে প্রতারণা

৩) অগ্নি নিরাপত্তা বিধিমালা

৪) অকুপেন্সি সার্টিফিকেট মাত্র ১৬২টি

৫) পূর্তমন্ত্রীর নির্দেশ




 


 










 

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন্তব্যে পরথম হইলাম। =p~

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১২

করুণাধারা বলেছেন: আগুনের ঝুঁকি কিন্তু সত্যি আছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঢাকায় ভূমিকম্প হলে ভবন ধ্বসে যত মানুষ মারা যাবে, তার চাইতে বেশি মানুষ মারা যাবে অগ্নিকাণ্ডে।

প্রথম মন্তব্য আর দ্বিতীয় প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: এই দেশে গজব পড়লেও সরকারের টনক নড়বে না।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৭

করুণাধারা বলেছেন: এই দেশে গজব পড়লেও সরকারের টনক নড়বে না।

এত বড় পোস্টের সারকথা এক কথায় বলে দিয়েছেন!! এতগুলো প্রাণহানির পরও সরকারের কিছু কার্যক্রম দেখা গেল না। তাই আবারও ভবিষ্যতে এমন প্রাণহানি হয়তো দেখতে হবে।

মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনিও আছেন!! রাজউকের চেয়ারম্যান কোথায় কোন পরিস্থিতিতে কি বলেছে....সেটা ধরে বসে আছেন!!!

দেশের উন্নতির এখন যে গতি, তাতে এসব দুর্ঘটনা আসলে ঘটনা। ষড়যন্ত্রজনিত ঘটনা। যারা দেশের উন্নয়ন চায় না, তারা রাজউক চেয়ারম্যানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য বিভিন্ন ভবনে গিয়ে আগুন লাগায়। কোন অগ্নিকান্ডে কয়জন মারা যাবে....এটাও আগে থেকেই ঠিক করা। চেয়ারম্যানের তথা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য বিভিন্ন মহল সক্রিয় আছে, তার মধ্যে আন্তর্জাতিক চক্রও অন্যতম।

এরকম মানসিকতা নিয়ে আপনার দেশে থাকার যোগ্যতা বা প্রয়োজন দু'টা নিয়েই আমি সন্দিহান। আপনি এক কাজ করেন, সবকিছু গুছিয়ে ফিরিঙ্গিদের দেশে চলে আসেন। শুধুমাত্র তখনই আপনি এখন কতোটা ভালো আছেন, তা বুঝতে পারবেন। :P

আমাকে কোন কনসালটেন্সি ফি দিতে হবে না। আপনার জন্য ফ্রি। =p~

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫১

করুণাধারা বলেছেন: দেশের উন্নতির এখন যে গতি, তাতে এসব দুর্ঘটনা আসলে ঘটনা। ষড়যন্ত্রজনিত ঘটনা। যারা দেশের উন্নয়ন চায় না, তারা রাজউক চেয়ারম্যানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য বিভিন্ন ভবনে গিয়ে আগুন লাগায়। একেবারে হক কথা। এরা দেশের উন্নয়ন চায় না, তাই ধাক্কা দিয়ে রানা প্লাজা ধ্বসিয়ে দেয়, আরো কতরকম ষড়যন্ত্র করে...

কনসালটেন্সি ফি ছাড়া উপদেশ দিলেন, অনেক ধন্যবাদ। ফিরিঙ্গিদের দেশে যাব কিনা এখনো ঠিক করতে পারছি না! এই দেশের মত এডভেঞ্চার পূর্ণ জীবন কি সেথায় পাব? যেমন ধরুন সকাল বেলা ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ঘরে ফিরে এভারেস্ট জয় করার মত আনন্দ, কিংবা খবরের কাগজে চায়ের দোকানীর ৫০০ কোটী টাকার মালিক হবার খবর পড়ার আনন্দ- অন্য আর কোন দেশে গিয়ে কি এসব পাবো!! দেখি একটু ভেবে...

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুবই ভয়ংকর পরিস্থিতি ঢাকার :(

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৩

করুণাধারা বলেছেন: সত্যি ভয়ংকর পরিস্থিতি। আমরা চোখ বুজে ভাবি, সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে! বিপদ যেকোনো সময় হতে পারে।

মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ছবি।

৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




করুণাধারা আপা,
আমিতো এই দেশের সন্তান, এই দেশের নাগরিক। এই দেশের সবচেয়ে বাজে নষ্ট পঁচা শ্রেণীটা হচ্ছে এই দেশের সাধারণ জনগণ! - আমাকে জিগ্যাসা করুন কিভাবে?


০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৮

করুণাধারা বলেছেন: এই দেশের সবচেয়ে বাজে নষ্ট পঁচা শ্রেণীটা হচ্ছে এই দেশের সাধারণ জনগণ! সহমত। আমরা সবকিছু মেনে নেই, সবকিছুতে গা বাঁচিয়ে চলি...তাই সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যাচ্ছে।

আবার ফিরে আসায় অনেক ধন্যবাদ, ঠাকুর মাহমুদ

৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪২

কিরমানী লিটন বলেছেন: কোথায় কেউ নেই, বলার শুনার.....

দরকারি পোস্ট - তথ্য বহুল। ভালোবাসা আর শুভকামনা....

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৪

করুণাধারা বলেছেন: কোথায় কেউ নেই, বলার শুনার..... কোন আশা নেই প্রতিকারের... তবু বলে যাওয়া!!

আপনার মন্তব্য আর প্লাস আমার জন্য অনুপ্রেরণা, কিরমানী লিটন। ভালো থাকুন সবসময়।

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২২

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাসায় প্যরাস্যূট রাখা ছাড়া আর কোন উপায় দেখতে পাচ্ছি না।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২০

করুণাধারা বলেছেন: প্যারাসুট রাখলেও লাভ হবে বলে মনে হয় না। কারণ বারান্দা খাঁচার মতো বন্ধ, ছাদে ওঠার সিঁড়ি ধোঁয়াময়। বরং লাইফ জ্যাকেট কিনে রাখা দরকার, জলমগ্ন রাস্তায় কাজে দেবে। এখন তো দেড় ঘণ্টার বৃষ্টিতেই ঢাকা ডুবে যায়!

মন্তব্য আর প্লাসের জন্য ধন্যবাদ ঢাবিয়ান।

৮| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

আরোগ্য বলেছেন: আপু আমিতো পুরনোঢাকায় থাকি তাহলে বুঝুন কতটা ঝুঁকি এখানে।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৬

করুণাধারা বলেছেন: অনেক বেশি ঝুঁকি! দোয়া করি নিরাপদে থাকুন।

নিমতলী দেখে কেউ কোন শিক্ষা নেয় নি, তাই চুড়িহাট্টায় মানুষ এতজন মানুষ একেবারে বাতাসে মিলিয়ে গেল!! আমার অবাক লাগে ভেবে, আমাদের স্মৃতি থেকেও কিভাবে এই ঘটনাগুলো মিলিয়ে যায়...

ভালো থাকুন আরোগ্য, শুভকামনা সতত।

৯| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,




"রাজউক" হলো রাজকীয় ভাবে উন্নাসিক একটি কর্তৃপক্ষ। এই ভবনের ইট-বালিতেও দূর্নীতি। তাই তো এখানে কর্মরত সবাই কোটিপতি। শুধু রাজউক কেন, সরকারের সব সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানই আছে নিজেদের সেবা নেয়ার জন্যে , দেয়ার জন্যে নয়। আমরা আহাম্মক জনগণই ঘাম ঝরানো পয়সায় ট্যাক্স দিয়ে তাদের বেতন-ভাতা যুগিয়ে থাকি আর কাজের সময় তাদের বিভিন্ন রকমে আসল সেবা দান করে থাকি নিজের নিজের ফায়দা লাভের আশায়, তাদের পকেট ভারী করে।
ঠাকুরমাহমুদও বলেছেন এমন কথাই যে, সকল সমস্যার মূলে এই নষ্ট জনগণই।
আর আপনি বাসাবাড়ীর যে চিত্র তুলে ধরেছেন তা সর্বত্রই এক এবং অভিন্ন। কোনও কিছুতেই কিছু হবেনা! সচেতন মানুষেদের এভাবে শুধু আহাজারি করেই যেতে হবে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: "রাজউক" হলো রাজকীয় ভাবে উন্নাসিক একটি কর্তৃপক্ষ। এই ভবনের ইট-বালিতেও দূর্নীতি। তাই তো এখানে কর্মরত সবাই কোটিপতি। "উন্নাসিক কর্তৃপক্ষ"- দারুন বলেছেন। রাজউকের পিওনের পদাধিকারীও কোটিপতি, কোন প্রয়োজনে সেখানে গেলে তাদের ভাব দেখে মনে হয়, যেন কোন মিসকিনকে তারা দয়া করে সাহায্য করছে। অথচ এই কাজ করার জন্য আমরা আমাদের করের পয়সা দেই তাদের... এই সংস্থার প্রত্যেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত! এই পোস্টে যেমন বলা হয়েছে, এফ আর টাওয়ারের অবৈধ নির্মাণে অনুমতি দিয়েছিলেন ৫১ জন। এমন মানুষেরা এখনো অনেক অনিরাপদ ভবন নির্মাণে এভাবে অনুমতি দিয়ে যাচ্ছেন, আর অসংখ্য মানুষের প্রাণকে ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছেন।

হ্যাঁ, আপনি ঠিকই বলেছেন, আমরা আহাম্মক জনগণই সরকারি এই সমস্ত সংস্থাগুলোকে এমন অন্যায় করতে সুযোগ দিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু আমরা যে নাচার! আমরা শুধু নতুন নতুন ঘটনা ঘটার অপেক্ষায় থাকি...

১০| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৯

মা.হাসান বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: বাসায় প্যরাস্যূট রাখা ছাড়া আর কোন উপায় দেখতে পাচ্ছি না।

জাম্প দিবেন কোথা থেকে? বারান্দা গ্রিলে ঢাকা, সিড়িতে আগুন, বেশির ভাগ ছাদে তালা।

দুই তৃতীয়াংশ বাসা নকশা বহির্ভুত ডিজাইনে করা? না, আসলে বেশি। আমি কম দামের বাসায় থাকি। এগুলো হলো ঢাকার ছতলা বাসা। ছতলার বেশি উঠাতে চাইলে অনুমতির জন্য কয়েকটা জায়গায় যেতে হয়, লিফট লাগাতে হয় এসব কারনে বেশিরভাগ বাড়ির মালিক ছয় তলার অনুমতি নেয়, এর বেশি না। কিন্তু বাড়ি বানানোর সময়ে ছয় তালার উপরে ছাদে আরো কয়েকটা রুম করে ভাড়া দেয়। আমি এখন পর্যন্ত ঢাকায় যে কটা বাসায় ভাড়া ছিলাম সব জায়গায় একই অবস্থা। এখন যে এলাকায় ভাড়া থাকি এখানে প্রত্যেক বাসায় এই অবস্থা।

বর্তমান বাসার ঠিক পাশেই কিছু টিন শেড ঘর আছে, এক তালা, ভাড়া কম, আগুনের ঝুকিও কম-- তবে রান্না ঘর কমন এবং পানির ব্যবস্থাও কমন-একটা ট্যাপ-- একারনে যাইনা।

৬তলা বাড়ির পাশে যে পরিমান চওড়া রাস্তা থাকা দরকার-- মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বাড্ডা, মালিবাগ এলাকার শতকরা ৯০ ভাগের বেশি বাসার ক্ষেত্রে তা অনুপস্থিত (অন্য এলকায় ভাড়া থাকিনি, মন্তব্য করতে পারবো না)। ডিওএইচএস-গুলশান-বনানি-মিন্টো রোডের কথা জানা নেই।

তবে আপনার লেখা বড় একচোখা। সকালে একজনের পোস্ট থেকে যা বুঝতে পারলাম, দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা এসব বিল্ডিঙ বানিয়ে তাতে বাস করতে পারছি। দেশ স্বাধীন না হলে এসব বিল্ডিঙের মালিক হতো পাকিস্তানিরা, দয়া করে আমাদের ভাড়া দিলে আমরা থাকতে পারতাম, না হলে না।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৮

করুণাধারা বলেছেন: দেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই আমরা এসব বিল্ডিঙ বানিয়ে তাতে বাস করতে পারছি। দেশ স্বাধীন না হলে এসব বিল্ডিঙের মালিক হতো পাকিস্তানিরা, দয়া করে আমাদের ভাড়া দিলে আমরা থাকতে পারতাম, না হলে না। ঠিকই বলেছেন। দেশ স্বাধীন না হলে আমাদের এখন থাকতে হতো করাচির বস্তিতে। এখন বড় বিল্ডিং এ থাকতে পারছি, এসব নিয়ে কথা বলা উচিত না একেবারেই। জানি।

৬তলা বাড়ির পাশে যে পরিমান চওড়া রাস্তা থাকা দরকার-- সে পরিমাণ রাস্তা এখন ঢাকার কোথাও নেই। ওই যে বললাম, পরিকল্পিত আবাসিক এলাকায় পর্যন্ত প্লট কয়েক ভাগে ভাগ করে সরু সরু রাস্তা করে বহুতল ভবন বানানো হচ্ছে। এগুলো দেখার কথা যাদের, তারা পয়সা খেয়ে চোখ বুজে থাকে।

শুধু যে ছয় তলার উপরে অবৈধভাবে তলা বাড়ায় তা নয়, নয় দশ তলাতেও উপরে একতলা বাড়িয়ে নেয়। আপনার স্মরণ আছে কিনা, প্রতিবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেই ছাদের উপর অবৈধ তলা এবং নিচতলায় পার্কিংয়ে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা ভাঙ্গার কাজে নামত। আজকাল আর সেসব নেই...

এতদিন রাস্তায় বেরোলে ফিরে আসার নিশ্চয়তা থাকত না, এখন ঘরেও নিরাপত্তা নেই।

১১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা হলো এই দেশ পচে গলে নষ্ট হয়ে গেছে। মানুষ হয়ে পড়েছে অমানুষ।
তাই ধনী লোকেরা সেকেন্ড হোমের ব্যবস্থা করে রেখেছেন অনেক আগে থেকেই।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১১

করুণাধারা বলেছেন: এই দেশ পচে গলে নষ্ট হয়ে গেছে। মানুষ হয়ে পড়েছে অমানুষ।
তাই ধনী লোকেরা সেকেন্ড হোমের ব্যবস্থা করে রেখেছেন অনেক আগে থেকেই।


বড় সত্যি কথা বলেছেন রাজীব নুর, আমজনতার কথা ভাবার কেউ নেই...

১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২২

শায়মা বলেছেন: বহুতল ভবনে কি কি ব্যাব্স্থা রাখা উচিৎ বা কি কি জিনিস মাথায় রেখে বানাতে হবে সেসব না ভেবে না মেনেই বানানো হচ্ছে বহুতল ভবন! :(

০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩

করুণাধারা বলেছেন: কি বানাতে কি দরকার হয়, কি ব্যবস্থা রাখা দরকার, সেগুলো বোঝার মত মাথা এদের আছে। কিন্তু অর্থলোভ এদের অমানুষ করে তুলেছে। সামান্য কিছু খরচ বেশি করলেই দেয়াল তোলা অগ্নি নিরাপদ সিঁড়ি তৈরি করা যায়, স্প্রিংকলার সিস্টেম রাখা যায়। একেকটা অগ্নিনির্বাপক সিলিন্ডারের দাম ২২০০ টাকা, দু বছর চলে। এই সামান্য খরচ করতে চায়না...

যে দেশে মানুষ সেতু বানায় রডের বদলে বাঁশ দিয়ে, সে দেশে মানুষের জীবনের মূল্য খুব কম! তবে ঢাকা শহরে আমরা কিন্তু সত্যিই খুব ঝুঁকিতে আছি! তুমি বহুতল ভবনে গিয়ে খেয়াল করো, পাশাপাশি দুটো সিঁড়ি থাকে। একটা সিঁড়ি উপর দিকে একেবারে শুরু হয়ে গেছে। আমি যেখানেই যাই সেখানেই লক্ষ্য করি। দু একটা হাসপাতাল ছাড়া আর কোথাও নিরাপদ ভবন বলে কিছু আছে বলে মনে হয় না।

১৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৯

বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:


করুণাধারা আপা,
আমিতো এই দেশের সন্তান, এই দেশের নাগরিক। এই দেশের সবচেয়ে বাজে নষ্ট পঁচা শ্রেণীটা হচ্ছে এই দেশের সাধারণ জনগণ!



তবে আমাকে জিগ্যাসা করবেন না কিভাবে -- কারণ একটাই ....হাতি ঘোড়া গেল তল, পিপড়া বলে কত জল.

০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭

করুণাধারা বলেছেন: আমিতো এই দেশের সন্তান, এই দেশের নাগরিক। এই দেশের সবচেয়ে বাজে নষ্ট পঁচা শ্রেণীটা হচ্ছে এই দেশের সাধারণ জনগণ!

এটা সত্যি কথা ল। কিন্তু জনগণের এই পঁচা হবার পিছনে কাজ করছে ভয়ানক অসহায়ত্ব...

মন্তব্য এবং প্লাস দিয়ে অনুপ্রেরণা দেয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৩

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বিল্ডিং বানানোর সময়, বানানোর পরে সরকারী আমলাকামলারা দায়িত্বপালন করলে এইসব দুর্ঘটনা ঘটতো না। দায়িত্বশীল আমলাকামলারা দায়িত্ব পালন করে না, অথচ আমাদের কাছ থেকে বেতন ভাতা নিচ্ছে, দুর্নীতি করে আমাদের প্রাণ নেওয়ার মৃত্যুকূপ তৈরি করছে।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

করুণাধারা বলেছেন: বিল্ডিং বানানোর সময়, বানানোর পরে সরকারী আমলাকামলারা দায়িত্বপালন করলে এইসব দুর্ঘটনা ঘটতো না। স্পষ্টভাবে বিল্ডিং কোডে বলা আছে, ভবন বানানোর সময় এবং বানানোর পরে তদারক করবে তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠান রাজউক। কেবলমাত্র সব বিধি মেনে তৈরি হলেই ভবনকে অকুপান্সি সার্টিফিকেট দেয়া হবে। রাজউক কোন নিয়ম মানার ধার ধারে না। ফলে আমাদের জীবন হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ।

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জুনায়েদ বি রাহমান।

১৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৯

নীল আকাশ বলেছেন: যেই দেশে জনগনের কাছে জবাবদিহিতা থাকে না সেখানে সবই সম্ভব।
যে যার মতো যা ইচ্ছা করে বেড়াচ্ছে। কেউ নেই কিছু দেখার।
দেশটা এখন ভোগবাদী সমাজের আদর্শ রূপ হয়ে দাড়িয়েছে।
মাল আছে, দুনিয়া তোমার। মাল নেই? ভাগ এখান থেকে!

০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: মাল আছে, দুনিয়া তোমার। মাল নেই? ভাগ এখান থেকে বাংলাদেশের জন্য এর চাইতে সত্যি কথা আর কিছু হতে পারে না। এখানে টাকা থাকলে সাত খুন না, ছাব্বিশ খুন পর্যন্ত মাফ হয়ে যায়... তবে আল্লাহ মাফ করবেন কিনা সেটার নিশ্চয়তা তারা পেয়েছে কি?

মন্তব্য আর প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম, অসংখ্য ধন্যবাদ নীল আকাশ।

১৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৩৭

অনল চৌধুরী বলেছেন: রাজইক-দুদক সব দুর্নীতির আখড়া।
যৌথ অভিযানের পরও শান্তিনগরে কোনো অবৈধ বাড়ি ভাঙ্গা হয়নি।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪০

করুণাধারা বলেছেন: রাজইক-দুদক সব দুর্নীতির আখড়া। কথাটা অতি পুরনো, কিন্তু সবসময়ই সত্যি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে।

অবৈধ বাড়ি কখনো ভাঙ্গা হয় না, সবকিছুই টাকা-পয়সার খেলা।

মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ অনল চৌধুরী।

১৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:১১

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার লেখাতো পড়লাম কিন্তু বুঝতে পারছি না ইয়া নফসি, ইয়া নফসি জপা ছাড়া আর কি করার আছে । একই ঘটনা একের পর এক বছরের পর বছর হচ্ছে খোদ রাজধানীতে ! কি পরিমান অদক্ষ মানুষের হাতে যে রাজধানীর কোটি মানুষের জীবন মৃত্যু নির্ভর করছে সেটা ভেবেই ইন্নালিল্লাহি, ওয়াইন্না ইলাইহি রাজেউন কথাটা মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসছে চাইছে । যাক ঢাকাবাসী সবার জন্য নিরাপদ জীবেনর অনন্ত কামনা সব সময় ।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

করুণাধারা বলেছেন: পর বহুদিন পর আপনাকে ব্লগে, আমার পোস্টে, দেখে খুব ভালো লাগছে মলা...

ঠিকই বলেছেন ইয়া নফসি ইয়া নফসি জপা ছাড়া আমাদের কিছু করার নেই। পরিবহন ব্যবস্থা এমন যে দুর্ঘটনা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে গেছে। এই দুর্ঘটনা কমাতে কোন দৃশ্যমান পরিকল্পনা নেয়া হয়নি।এবার এই অপরিকল্পিত নগরে নানারকম দুর্ঘটনা ঘটবে, আমাদের এসব মেনে নিয়ে ইয়া নফসি, ইয়া নফসি যেতে হবে...

ভাল থাকুন, শুভকামনা।

১৮| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দায়হীন সভ্যতার অসভ্যদের হাতে জীবন মৃত্যু ফাঁদে নগরজীবন।

প্রযুক্তির এই বিকাশমান যুগে কেন শুধু শুধু হাহাকার আর ব্যার্থথার দায় মাথঅয় নিয়ে জীবন নাশ?
সেবার এবং সার্ভিসখাতের জন্য অনলাইন উন্মুক্ত মতামত রাখা যেতে পারে। যাতে করে প্রতিষ্ঠানগুলোর ত্রুটি বিচ্যুতি এবং সংশোধনের স্থানগুরো চিহ্নিত হতে পারে। চাকুরী বিধীতে পাবলিক অপিনিয়নে তার রেটিংয়ে তার প্রমোশন ডিমোশন অপশন রাখা যেতে পারে।

হা হতোম্মি আমি কোথায় এ কথা বলি। যেকানে বিনা ভৌটে ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা যায়?
যেখানে ব্যাক্তি তোষামুদিতে পদ বাগানো যায়! যেখানে ইয়াবা সম্রাট বিশেষ সম্মান পায়
যেখানে গডফাদার, লুটেরারা উপদেষ্টা পদ পায়!

সরি ভুল হয়ে গেছে মাইরি। আমার বক্তব্য ইনুর মতোই প্রত্যাহার করে নিলাম ;)

০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৭

করুণাধারা বলেছেন: প্রযুক্তির এই বিকাশমান যুগে কেন শুধু শুধু হাহাকার আর ব্যার্থথার দায় মাথঅয় নিয়ে জীবন নাশ?
সেবার এবং সার্ভিসখাতের জন্য অনলাইন উন্মুক্ত মতামত রাখা যেতে পারে।
মতামত রাখার ব্যবস্থা আছে, কিন্তু সেগুলো মূল্যায়ন করার মতো কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তা রাখা হলে অনেক প্রাণহানি কমে যেত। এদেশে কোনো জবাবদিহিতা নেই, এই মাৎস্যন্যায় অবস্থায় বেঁচে থাকা এক আশ্চর্য ব্যাপার। আমাদের করের টাকায় সরকারি সংস্থাগুলো চলে, তাদের উৎসাহ দিতে বেতন দ্বিগুণ করা হয়েছে, অথচ জনগন কোন সেবা পায় না তাদের কাছ থেকে! অদ্ভুত স্বদেশ আমার...

১৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের অর্থনীতিকে ঢাকার বাইরে প্রসারিত করতে হবে। সবাই ঢাকায় থাকতে চায় না কিন্তু বাধ্য হয়।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:০৯

করুণাধারা বলেছেন: আমাদের অর্থনীতিকে ঢাকার বাইরে প্রসারিত করতে হবে। সবাই ঢাকায় থাকতে চায় না কিন্তু বাধ্য হয়। অর্থনীতিকে ঢাকার বাইরে প্রসারিত করার দরকার, সেটা আপনি আমি বুঝি! কিন্তু আমাদের করার ক্ষমতা নেই। যাদের ক্ষমতা আছে তারা তা করছেন না।

২০| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬

আখেনাটেন বলেছেন: জবাবদিহিতা না থাকায় প্রতিটা প্রতিষ্ঠান লাগামছাড়া হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন। কেউ একটু ভালো কাজ করতে চাইলেও অন্য দশজন অসৎ ব্যক্তি ঠেসে ধরছে তাকে। যে যেভাবে পারছে লুটেপুটে খাচ্ছে, নৈতিকতার কোনো বালাই নেই। এগুলোর ক্রমপুঞ্জিভূত রূপই হচ্ছে এই উদাসীনতা। যার ফসল মৃত্যু।

বাহ্যিক উন্নয়ন হলেও অভ্যন্তরিন ক্রমাবনতি জাতিকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করাই কে জানে? এগুলো আমরা এখন বুঝব না। সময়ের সাথে সাথে টের পাব। পাকিরা পেয়েছে, পাচ্ছে। ভারতীয়রা পেতে শুরু করেছে। আমাদেরও আসন্ন।

০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:২৩

করুণাধারা বলেছেন: বাহ্যিক উন্নয়ন হলেও অভ্যন্তরিন ক্রমাবনতি জাতিকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করাই কে জানে?

আমরা এখন বড় বড় দালান কোঠায় থাকছি, ফ্লাইওভার দিয়ে যাতায়াত করছি, সুপার মার্কেটে বাজার করছি, শিক্ষার বিপুল উন্নয়ন হচ্ছে- কিন্তু জীবনে এই ঝকঝকে সাফল্য আনতে আমরা মনুষ্যত্ব বিসর্জন দিয়ে চলেছি দিন দিন। আমরা একটু একটু করে অমানুষ হয়ে চলেছি। ১৪ বছরের একটি ছেলে মারা যাচ্ছে, কিন্তু ছেলেটির প্রাণের চেয়ে বাণিজ্য বড় হয়ে উঠলো... আমার খুবই মন খারাপ! এটা নিয়ে একটা পোস্ট দেব হয়তো, আশাকরি পড়বেন। তবে সেখানে কোনো মন্তব্য নেব না!

আপনার ভাষায় বলি, এই আভ্যন্তরীণ ক্রমাবনতি আমাদের শেষ করে দিচ্ছে, আমরা বুঝতে পারছি না।

২১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: টনক নড়ার কোন সম্ভবনা নাই। এতবড় ডেঙ্গুর অগ্রসনের পরেও খোঁজ নিয়ে দেখা যাবে মশা নিধনের ওষুধ ছিটানো বন্ধ আছে। জনগণ টবে মশা চাষ করছে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৯

করুণাধারা বলেছেন: ঢাকাবাসীর রাজধানীতে বসবাস সহজ এবং আরামদায়ক করার দায়িত্ব রাজউকের, কিন্তু তারা সেটা না করে নানাভাবে ঢাকায় জীবনযাপনকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। ঠিকই বলেছেন, আরেকটা দুর্ঘটনা ঘটে পর্যন্ত কারো টনক নড়বে না।

২২| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৫

আল ইফরান বলেছেন: অনেক কিছুই মনে আসে, কিন্তু তীব্র ক্ষোভ আর হতাশায় তা মিলিয়ে যায়।
পত্রিকায় দেখলাম স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ঝুকিতে একেবারে তলানীর দিকে আমরা। সামনে কোন এপিডেমিক আসলে এক আল্লাহর দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আমাদের কোন গতি নাই। ধানমন্ডির যেই বাসাতে আগুনের ঘটনা ঘটেছে তার পাশ দিয়ে প্রায়ই যাওয়া হয়। এইরকম ডেথ ট্র্যাপ এই এলাকাতে আরো অনেকগুলো তৈরি হয়েছে অথবা কাজ চলছে।
প্রশাসন যথারীতি নির্বিকার ! ! !

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৬

করুণাধারা বলেছেন: প্রশাসন নির্বিকার আছে বলেই এত দুর্নীতি করে পার পাওয়া যাচ্ছে। কিছু ঘটনা দেখে আমার মনে হচ্ছে, আজকাল যে অ্যাপার্টমেন্ট গুলো বানায় তারা বীম কলামের ডিজাইন দিয়ে রাজউক থেকে পাস করানোর পর নির্মাণের সময় সেই ডিজাইন অনুযায়ী নির্মাণ করেনা, এগুলো দেখার কেউ নেই। ভূমিকম্প হলে ঢাকার কি হবে আল্লাই জানেন!!

একইভাবে আপনি যেমন বলছেন কোন এপিডেমিক আসলেও আল্লাহ ভরসা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

২৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
নগর কর্তৃপক্ষের চূড়ান্ত অপদার্থতা ও যত্রতত্র বহুতল নির্মাণের অনুমতি এবং অব্যবস্থাপনা সার্বিকভাবে পাশ্ববর্তী অঞ্চলটিকে যতুগৃহে পরিণত করে। এরফলে এতবেশি বেশি অগ্নিসংযোগের ঘটনা...
আপু দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমার নিজের পোস্টে আপনার মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য করার সুযোগ এই মুহূর্তে আমার নাই। গত দুদিন মাঝে মাঝে এরকম ঘটনা ঘটছে নিচের স্ক্রিনশট থেকে আপনার অনুমান করতে পারবেন।



১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১২

করুণাধারা বলেছেন: আমি অবশ্য আপনার মন্তব্য পড়ে প্রথমে বুঝতে পারিনি, কেন প্রতিমন্তব্য করতে পারছেন না। পরে আপনার পোস্টে গিয়ে তারপর বুঝতে পেরেছি। মাঝেমাঝে বোধহয় ব্লগে এরকম টেকনিক্যাল প্রবলেম হয়।

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য পদাতিক চৌধুরী। ভালো থাকুন, শুভকামনায়।

২৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১০

সোহানী বলেছেন: আপুরে দেশের যা অবস্থা চলছে সেখানে রাজউক এর কাছে বা কারো কাছে কিছু বলাটা অবান্তর। কর্তপক্ষ বলে কোন কেউ আছে কিনা কিংবা আদৈা কিছু করে কিনা তা নিয়ে অনেক সংশয়।

সরি অনেক দেরীতে পোস্টটা পড়লাম...........

অনেক ভালো থাকেন।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২০

করুণাধারা বলেছেন: না, আশা করা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছি! একটা সংস্থা, যাদের দায়িত্ব ছিল রাজধানীকে সুন্দর করে গড়ে তোলার, তারা রাজধানীকে কিভাবে খাঁচার মতো আবাসিক ভবন আর কাঁচে মোড়া বাক্সের মত বাণিজ্যিক ভবন দিয়ে এমনভাবে ভরে দিল!!!

রুপায়ন টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডে আমার পরিচিত একজন পুড়ে মারা গেছে। দুইদিন পর তার পরিবার লাশের সন্ধান পায়। এরকম আরো পঁচিশটি পরিবার আছে, আহতদের কথা ছেড়েই দিলাম। আশ্চর্যের কথা, আমরা পুরোপুরি ভুলে গেছি এই অগ্নিকাণ্ডের কথা!! আবার মনে পড়বে, যখন আরেকটা অগ্নিকাণ্ড হবে...

দেরি হোক অসুবিধা নেই, আমার এই বিশাল পোস্ট পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ সোহানী। শুভকামনায়...

২৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
রাজউকের সত্যিকার রূপ তুলে ধরেছেন ।
কার কাছে জানাবেন ফরিয়াদ ।
সেই অনাদিকাল হতেই সকলেই
নীজ নীজ আখের গুছাতেই ব্যস্ত
শুধু কম আর বেশি এই তফাত মাত্র ।
দুর্নীতিবাজেরা ধরা খাওয়ার ভুল হতে শুধু
ততটুকুই শিক্ষা নেয় যা দিয়ে আরো বড়
দুর্নীতি করলেও ধরা খাবেনা কোন মতেই।
মাজে মাঝে কোন কারনে ধরা খেলে সেটা
সাপে বর হয় সহযোগীদের জন্য যেমন করাপশন
ধরার জন্য এন্টি করাপশন কতই না মঝা পায় ।
এন্টির লোকজনের ধরা খাওয়ার কথাতো তাই বলে ।
অপরাধের প্রতিকার চাইতে যার কাছে যাবেন
তার হয় আরো পোয়াবার । আর কারাগারে
গেলেই বা কি, সেখানেওতো রয়েছে আরো
কত বড় বড় চাই বলেন, আর কি চাই ।
তাইতো শত বছর আগে হাছন রাজা
লিখেছেন বিখ্যাত সে গান
লোকে বলে বলেরে ঘর-বাড়ি
ভালা না আমার
ভালা করি ঘর বানাইয়া
কয়দিন থাকমু আর
হায়রে কয়দিন থাকমু আর
আয়না দিয়া চাইয়া দেখি
পাকনা চুল আমার।।
এ ভাবিয়া হাসন রাজা
ঘর-দুয়ার না বান্ধে
হায়রে ঘর-দুয়ার না বান্ধে
কোথায় নিয়া রাখব আল্লায়
তাই ভাবিয়া কান্দে
আগে জানত যদি হাসন
বাঁচব কতদিন
হায়রে বাঁচব কতদিন
বানাইত দালান-
কোঠা করিয়া রঙিন ।


যেখানে জীবনের দাম নাই
সেখানে দালান কোঠার কাম নাই
রাজুকেরও দরকার নাই
আগেতো জীবন বাচাই ।

তার পরে সংগ্রাম চলবেই চলবে
দরি ধরে দিব টান রাজুক সহ
রাজা হবে খান খান ।

শুভেচ্ছা রইল





১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: ডঃ এম এ আলী, মরমী কবি হাসান রাজার গানটি উপহার দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। হাসন রাজার যে জীবন দর্শন এই গানের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, তা একেবারে খাঁটি।

তারপরও আমরা রঙিন দালান কোঠায় বাস করার স্বপ্ন দেখি। সেই স্বপ্ন বাস্তব করার ইজারা নিয়েছে রাজউক; কিন্তু যেমন আপনি বলেছেন, সর্বগ্রাসী দুর্নীতির জন্য আমাদের সব স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে যায়। আমরা সত্যিই অসহায় এই দুর্নীতির কাছে, হয়তো একদিন অবস্থা পরিবর্তন হবে, সেই আশায় অপেক্ষায় থাকি...

অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন সবসময়।

২৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুবই যুক্তিযুক্তভাবে উপস্থাপনা করেছেন আপনার এই জনসচেতনতামূলক পোস্টটি। অনেকের মন্তব্যে যেমন চরম হতাশা প্রকাশ পেয়েছে, আমিও তার বাইরে নই। আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন এর করুণার উপর নিজেকে সঁপে দিয়েছি, তবে দায়িত্বহীনতার বিচার একদিন হতেই হবে, বিশেষ করে যে দায়িত্বহীনতার কারণে কোন মূল্যবান প্রাণ ঝরে গেছে। এখন সেটা ইহকালেই হোক, আর পরকালে। স্রষ্টার বিচারে কোন খুঁত নেই।
পোস্টে প্লাস + +।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: কিছু অসুবিধার কারণে উত্তর দিতে এতটাই দেরি হয়ে গেল যে বছর প্রায় পার হয়ে যাচ্ছিল!! এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

মানুষের প্রাণের মূল্য এখন এত কম হয়ে গেছে যে ভবন দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাবে জেনেও ত্রুটিযুক্ত ভবন নির্মাণ অনুমোদন করে রাজউক। জাগতিক সম্পদের মূল্য এদের কাছে এতটাই!!! ২৬টি পরিবারে নেমে এসেছে দুঃখ, অনেক পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটি  অগ্নিকান্ডে মারা যাওয়ায় পরিবার আর্থিক দুর্দশায় পড়েছে...ভাবতে খুব অবাক লাগে, ভবন নির্মাতা এবং অনুমতিদাতা রাজউকের দায়ী মানুষেরা এরপরও কি করে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন চালিয়ে যেতে পারছেন!!!

আপনি ঠিকই বলেছেন, স্রষ্টার বিচারে কোন খুঁত নেই। আমরা এখন কেবল সেই বিচারের অপেক্ষাই করে থাকি।

 মন্তব্য এবং প্লাসের মাধ্যমে অনুপ্রেরণা দেয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ। নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

২৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৩

আমি তুমি আমরা বলেছেন: তথ্যবহুল এবং চমৎকার বিশ্লেষনী পোস্ট। পড়তে গিয়েই বুঝতে পেরেছি অনেক খেটেখুটে লিখেছেন।

আমরা যে বিল্ডিং-এ থাকি তার কথাই বলি। ডিজাইনে ছিল পুরো গ্রাউন্ড ফ্লোরে শুধু পার্কিং স্পেস থাকবে। কিন্তু সেখানেও অর্ধেক জায়গা নিয়ে একটা ফ্ল্যাট করা হয়েছে।আবার ছয়তলা বিল্ডিং এর অনুমোদন নিয়ে সাত তলায় ছাদের এক পাশে অতিরিক্ত আরো একটি ফ্ল্যাট করা হয়েছে। সিড়ি আছে, তবে সেটা ইমার্জেন্সী এক্সীট নয়। বিল্ডিং এর সামনে সরু গলি, বাকি তিনদিকে আরো তিনটা বিল্ডিং। আল্লাহ না করুক- যদি কোন আগুন লাগে তো কি হবে- আমরা কেউ জানি না।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫০

করুণাধারা বলেছেন: ঠিক বলেছেন আমি তুমি আমরা, পোস্ট লিখতে আমাকে বেশ খাটতে হয়েছে। ইচ্ছে ছিল একটা সিরিজ লিখব রাজধানীবাসের নানা দুর্ভোগ নিয়ে, যে দুর্ভোগ এড়ানো যেত যদি রাজউকের কর্মকর্তাদের দুর্নীতি কম করতেন। শুধুমাত্র ড‍্যাপ ঠিকমতো বাস্তবায়ন করলেই রাজধানীতে বসবাস অনেক স্বস্তিকর এবং ঝুঁকি মুক্ত হত; রাজউক তা করে নি। ড‍্যাপ নিয়ে পড়তে শুরু করে দেখলাম, নানাভাবে আমাদের ঢাকা ধীরে ধীরে বাস যোগ‍্যতা হারিয়ে ফেলছে... এই বিষয়ে লেখার আগ্রহ তারপর আমিও  হারিয়ে ফেলি...

আপনার মন্তব্য এবং প্লাস আমার জন্য অনুপ্রেরণা। অসংখ্য ধন্যবাদ।

নতুন বছরের জন্য শুভকামনা।

২৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার পোস্ট .. .। লাইক।


শুভ নববর্ষ :)

আশাকরি আপনাকে ব্লগে নিয়মিত পাবো..

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা আর্কিওপটেরিক্স।

অনেকদিন পর ব্লগে লগইন করলাম, আপনার মন্তব্য এবং লাইক পেয়ে খুব ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ।

অনেক কিছু নিয়ে লেখার ইচ্ছা হয়, কিন্তু জানিনা কেন লেখাটা হয়ে উঠছে না! আশা করি নতুন বছরে ব্লগে নিয়মিত হতে পারব।

২৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৬

আমি তুমি আমরা বলেছেন: রাজধানীবাসীর দুর্ভোগ নিয়ে একটা সিরিজ লিখলে বেশ ভালই হবে। ড্যাপ নিয়ে কোন আইডিয়া নেই। আশা করি আগামীতে এ ব্যাপারে বিস্তারিত লিখবেন।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৩

করুণাধারা বলেছেন: উত্তর দিতে দেরী করে ফেললাম, আমি তুমি আমরা। রাজধানীতে বসবাসকারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ ছাড়া প্রতিপদেই আছে নানা দুর্ভোগ। লিখতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। ড্যাপ নিয়ে লেখার চেষ্টা করব।

মন্তব্য ও প্লাস দিয়ে অনুপ্রেরণা দেয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।

৩০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সচেতনতা তৈরী, দুর্নীতি রোধ, আইনের বাধ্যবাধকতা ও মান্য করাসহ আরও সুন্দর সুন্দর নিয়ম কানুন তৈরি করা যেতে পারে।

অস্বাভাবিক মৃত্যু কারো কাম্য নয়।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৬

করুণাধারা বলেছেন: সচেতনতা তৈরী, দুর্নীতি রোধ, আইনের বাধ্যবাধকতা ও মান্য করাসহ আরও সুন্দর সুন্দর নিয়ম কানুন তৈরি করা যেতে পারে।


ঠিক বলেছেন। কিন্তু এগুলো করার মানুষ কই!! তাই আমাদের সবসময়ই ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হবে।

আপনার মন্তব্য ও প্লাস আমার অনুপ্রেরণা। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.