নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগের পর্ব: নতুন জীবন- এক
আমি আবার বললাম,
"জুতা না খুলে কোনভাবেই পা বের করতে পারবেনা!"
সোফি আবারো আতঙ্কিত গলায় বলল,
" না না, কিছুতেই না! আমি কিছুতেই জুতা খুলব না!"
আমি বুঝতে পারলাম না কি করব! সোফি তার দুই হাত দিয়ে আমার হাত ধরে নিঃশব্দে কাঁদতে লাগল; বোঝাই যাচ্ছিল তার পায়ের ব্যথা বেড়ে যাচ্ছে! এবার আমি ওকে আবার বোঝালাম:
"আর কোন উপায় নেই! এভাবে পা বের না করলে তোমাকে এখানেই বসে থাকতে হবে সারাজীবন।"
আরো কিছুক্ষণ পা বের করার চেষ্টা করার পর সোফি হাল ছেড়ে দিল... আমি যখন ওর জুতার ফিতা কাটছি তখন সে খুব উদ্বিগ্ন হয়ে তাকিয়ে ছিল; কাটা শেষ হতেই বলল, "তুমি দূরে যাও, এদিকে তাকাবে না।" আমি ওর দিকে পিঠ দিয়ে সরে দাঁড়ালাম। একটু পরেই কান্না শুনে তাড়াতাড়ি কাছে গিয়ে দেখি, সোফির পা আটকে গেছে!
আমি ওকে সাহায্য করার জন্য হাঁটু মুড়ে বসতেই ও কাঁদতে কাঁদতে বলল, "তুমি একথা কখনো কাউকে বলবেনা, প্রমিস?" কিসের প্রমিস তা না বুঝেই বললাম, "প্রমিস"।
দুজনে মিলে অনেক টানাটানির পর যখন পা বের হলো, তখন সেটা ফুলে এমন বিকৃত হয়ে গেছে যে, ছয় নাম্বার আঙ্গুলটা আমি প্রথমে দেখতেই পাইনি! পা বের করার পর দেখা গেল, সোফি মাটিতে পা রাখতেই পারছে না!
" কাউকে ডেকে আনি সাহায্য করার জন্য।" আমি এ কথা বলা মাত্র সোফি আঁতকে উঠল, "না না, আমি হামাগুড়ি দিয়ে যেতে পারবো"
হামাগুড়ি দিয়ে বাঁধ পেরিয়ে সোফি অনেকদূর এগুলো, পাশে পাশে জুতা হাতে আমি; কিন্তূ একসময় থামতেই হল, সোফির হাঁটু রক্তাক্ত হয়ে গেছিল। এবার অনেক কষ্টে আমার কাঁধে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে সোফি দেখালো ওর বাড়ি কোথায়; দূরে যেখানে ক্ষীণ একটা ধোঁয়ার রেখা দেখা যাচ্ছিল, সেখানে। আমি ভালো করে ধোঁয়াটা দেখতে দেখতেই দেখি সোফি হামাগুড়ি দিয়ে একটা ঝোপের পিছনে লুকিয়েছে!
ধোঁয়া দেখে দেখে সেই বাড়িতে পৌঁছে গেলাম। দরজায় নক করতে লম্বা একজন মহিলা দরজা খুলে দিলেন।
" আপনি কি সোফির মা?
মহিলা কপাল কুঁচকে উদ্বিগ্ন ভাবে প্রশ্ন করলেন, "কি হয়েছে?" আমি সব বলার পর তিনি চমকে গিয়ে বললেন, " হায়! ওর পা!" এরপর জানতে চাইলেন সোফি কোথায়। আমি যখন ওনাকে নিয়ে গেলাম, ওনার গলা শুনতে পেয়ে সোফি হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে এলো। সোফির রক্তাক্ত, ফোলা, কিম্ভূতকিমাকার পা দেখে ওর মা ওকে আদর করে জড়িয়ে ধরলেন।
"মা, আমি অনেক চেষ্টা করেও পা বের করতে পারিনি, তাই ওর সাহায্য নিতে হয়েছে। ও আমার পা দেখে ফেলেছে মা!"
দীর্ঘশ্বাস ফেলে ওর মা বললেন "ঠিক আছে, এখন কিছু করার নেই। বাসায় চলো।" সোফিকের পিঠে চাপিয়ে উনি বাসায় নিয়ে এলেন।
সোফির বাসা আমাদের বাসার চাইতে ছোট, কিন্তু পরিপাটি করে গোছানো। সোফির মা যখন ওর পা ধুয়েমুছে গরম সেঁক দিচ্ছিলেন, তারপর পায়ে ব্যান্ডেজ করছিলেন, আমি তখন চুপচাপ বসে দেখছিলাম। সোফির পায়ে ৬ টি আঙ্গুল দেখেও আমার কিছুই অস্বাভাবিক মনে হলো না। অথচ একজন স্বাভাবিক মানুষ কেমন হবে তার বর্ণনা আমার মাথায় গেঁথে আছে; আমার জীবনের প্রায় প্রতিটি রোববারে এই বর্ণনা আমি বারেবারে শুনেছি,- " ঈশ্বর মানুষকে নিজের আকৃতিতে সৃষ্টি করলেন। তার সৃষ্ট প্রতি মানুষের থাকবে একটি ধড়, একটি মাথা, দুটো হাত আর দুটো পা; প্রত্যেক হাতে দুটো জোড়া থাকবে, হাতের পাতায় পাঁচ আঙুল, আঙুলের মাথায় চ্যাপটা নখ...
এই বর্ণনার পর থাকে উপদেশ। বলা হয়, অংগে বিকৃতি থাকা মানুষ আসলে মানুষ নয়; সে পাপাত্মা, তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে...
আমাকে অপেক্ষা করতে বলে সোফির মা সোফিকে তার ঘরে শোয়াতে গেলেন। একটু পর ফিরে এসে আমার হাত ধরে কিছুক্ষণ বসে রইলেন। তিনি কথা না বললেও সোফির জন্য তার গভীর উদ্বেগ আমি শুনতে পাচ্ছিলাম। আমি তাকে একইভাবে ভরসা শোনাতে চাইলাম, কিন্তু তিনি সেটা বুঝতে পারলেন না!
অবশেষে উনি কথা বললেন, "ডেভিড, তুমি খুব ভালো ছেলে! তোমাকে অনেক ধন্যবাদ"
আমি কী উত্তর দেবো বুঝতে না পেরে মাথা নিচু করে বসে রইলাম; কিন্তু তিনি তখনো কথা বলছিলেন,
"সোফি ভালো মেয়ে, তাই না?"
আমি বললাম, "হ্যাঁ, সোফি খুব সাহসী মেয়ে।" উনি বললেন "সোফির জন্য তুমি কি কথাটা গোপন রাখবে ডেভিড? না হলে মহা সর্বনাশ হয়ে যাবে"
" নিশ্চয়ই", বললাম আমি; গোপন কথাটি কি তা না বুঝেই।
"তুমি... তুমি কি ওর পায়ের আঙ্গুল দেখেছো?" উদ্বিগ্ন চোখে তাকিয়ে সোফির মা জিজ্ঞেস করলেন।
"হ্যাঁ", আমি একটু দ্বিধান্বিত স্বরে বললাম।
" এটাই গোপন কথা ডেভিড! এই কথাটা কেউ যেন না জানে। আমি আর সোফির বাবা ছাড়া একমাত্র তুমি এখন এ কথা জানো।" উনি চুপ করলেন। কিন্তু আমি স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছিলাম, ভয় আর উদ্বেগ নিয়ে উনি মনে মনে বলছেন, "কেউ না... কখনো না..."! চিন্তার মাধ্যমে তাকে উত্তর পাঠালে তিনি ধরতে পারছেন না, তাই এবার আমি যতদূর সম্ভব জোর দিয়ে বললাম, "কখনোই না, কেউ কখনো জানবে না"
" এটা কেউ জানতে পারলে তারা সোফিকে প্রচন্ড নিষ্ঠুরভাবে শাস্তি দেবেন... সেটা যেন কখনো না হয়... কি করে যে কথাটা তোমাকে বোঝাই!"
বোঝাবার কোন দরকার ছিল না। তিনি মুখে না বললেও তার মনের সমস্ত কথাই আমি বুঝতে পারছিলাম।
"আমি এই কথা কাউকে বলব না, আপনি চাইলে কসম কাটতে পারি"
"না ডেভিড, তোমার মুখের কথাই যথেষ্ট!"
আমি ঠিক করলাম একথা গোপন রাখবো, এমনকি রোজালিনের থেকেও। যদিও মনের ধন্দ যাচ্ছিল না, একটা বাড়তি ছোট আংগুলে অসুবিধা কোথায়! সোফির মায়ের দুঃখিত চাহনি দেখে আমার অস্বস্তি হচ্ছিল। তিনি আমার অস্বস্তি বুঝতে পেরে সহৃদয় হাসি হাসলেন।
"আমরা কথাটা গোপন রাখবো, ঠিক আছে? কখনোই কাউকে বলবো না!"
চলে আসার সময় আমি জিজ্ঞেস করলাম,
" আমি কি আবার আসতে পারি?"
" এ্যা... হ্যাঁ...আসতে পারো, যদি কাউকে একেবারেই না জানিয়ে আসতে পারে", অল্প চিন্তা করে উত্তর দিলেন তিনি।
(২)
যখন আমি বাঁধের উপর দিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম, তখন হঠাৎ করে রবিবারের উপদেশগুলোর তাৎপর্য বুঝতে পারলাম। মনে পড়ল মানুষের বর্ণনা শেষ হয়েছে এভাবে, "... প্রতিটি পায়ে থাকবে একটি করে পায়ের পাতা, প্রতিটি পায়ের পাতায় পাঁচটি করে আঙ্গুল..." বর্ণনা শেষে বলা হয়, "যে কোন সৃষ্টি, যাকে মানুষের মতো দেখায় অথচ অথচ যে এই বর্ণনার সাথে মিলে না, সে আসলে মানুষ নয় সে এক পাপাত্মা, ঈশ্বরের দৃষ্টিতে চরম ঘৃন্য।"
আমার সব কিছু গোলমেলে লাগছিল; পাপাত্মা মানে ভয়ঙ্কর কিছু একটা; কিন্তু সোফি কেন ভয়ঙ্কর হবে? সে ছোট একটা মেয়ে, সাহসী আর ভদ্র! শুধু পায়ে একটা বাড়তি আঙ্গুলের জন্য সে ঈশ্বরের দৃষ্টিতে ঘৃন্য কেন হবে!! কোথাও নিশ্চয়ই কোন ভুল হচ্ছে!
বাড়ি ফিরলাম খুব সাবধানে, সবার অগোচরে। বাঁধ থেকে নেমে প্রথমে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পায়ে চলা পথে মাইলখানেক হাঁটার পর জঙ্গল হালকা হয়ে এল, তিন চারটা আবাদি জমির পর আমাদের বাড়ি দেখা যাচ্ছিল। আমি জঙ্গলের গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে প্রথমে দেখে নিলাম মাঠে কাউকে দেখা যাচ্ছে কিনা। যখন দেখলাম কাউকে দেখা যাচ্ছে না তখন ঝোপঝাড়ের আড়ালে তিনটা জমি পার হলাম। বাড়ির উঠোনে বুড়ো জেকব কাঠ ফাঁড়ছিল, ও পেছন ফিরতেই আমি দৌড়ে উঠোন পেরিয়ে বাড়ির পেছনের জানালার কাছে গেলাম, তারপর জানলা বেয়ে সোজা নিজের ঘরে!
আমাদের বাড়িটা এ এলাকার সবচেয়ে পুরনো বাড়ি। আমার দাদা এলিয়াস স্ট্রর্ম পঞ্চাশ বছর আগে এ বাড়ি তৈরি করেছিলেন; তারপর এত বছরে বাড়িতে অনেক ঘর যোগ হয়েছে। দাদা বাড়িটি তৈরি করেছিলেন বিশাল গাছের কান্ডের খুঁটির উপর, দেয়াল তৈরি করেছিলেন প্রাচীন যুগের মানুষের ঘরবাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে ইট-পাথরে এনে। এখন বাড়ির চারপাশে আস্তাবল, শস্য রাখার ঘর, গরুর ঘর, কামলাদের ঘর এমন অনেক ঘর তৈরি করা হয়েছে। দাদা ছিলেন একজন শক্তিশালী মানুষ, প্রচন্ড ঈশ্বর ভক্ত আর সব রকম অপশক্তি বা শয়তানের বিরুদ্ধে সদা সতর্ক। তার এই ভক্তি তিনি তার ছেলে, আমার বাবা জোসেফ স্ট্রর্মের মধ্যে সঞ্চারিত করেছিলেন।
আমাদের এই এলাকার নাম ওয়াকনুক, এলাকার প্রথম বাড়ি হিসেবে আমাদের বাড়ির নামও ওয়াকনুক। শোনা যায়, অনেক অনেককাল আগে, প্রাচীন মানুষের সময়, এই জায়গার নাম ছিল ওয়াকনুক। যদিও প্রাচীন কালের সবই ধ্বংস হয়ে গেছে, কিন্তু প্রাচীন ঐতিহ্য হিসেবে আজও কিছু ঘরবাড়ির ভিত রয়ে গেছে; আর আছে বিশাল লম্বা বাঁধ, যা একেবারে পাহাড় পর্যন্ত পৌঁছেছে। কে জানে কেন, প্রাচীনকালের অমানুষিক শক্তিশালী মানুষেরা পাহাড়টাকে পর্যন্ত কেটেছিল!! প্রাচীন ওয়াকনুকের সেই শক্তিশালী মানুষদের সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায় না, তবে ওয়াকনুকে এখনও তাদের যেটুকু চিহ্ন আছে তা দেখে বোঝা যায় তারা আমাদের মত ছিল না।
এখনকার ওয়াকনুকে শ'খানেক পরিবার আছে, তাদের ছোট-বড় ঘরবাড়ি, জমি জমা নিয়ে।আমার বাবা এই এলাকার মানী মানুষ। ১৬ বছর বয়স থেকেই ধর্ম সম্পর্কে তার অগাধ জ্ঞান তিনি মানুষের মধ্যে প্রচার শুরু করেন। ঈশ্বরের দৃষ্টিতে কোন জিনিসটি পছন্দনীয়, পাপ থেকে বাঁচতে কি করতে হবে, এসব তিনি খুব ভালো জানতেন। কোন সৃষ্টিতে অস্বাভাবিকতা বা বিচ্যুতি আছে কিনা, এ সম্পর্কে প্রায়ই তিনি সিদ্ধান্ত দিতেন।
আমাদের বাড়িতে একটা বড় ঘর ছিল। এখানে খাওয়া-দাওয়া আর প্রার্থনা সভা হত। এই ঘরের দেয়ালে কাঠের তক্তায় নানারকম নীতিকথা লেখা থাকত। নীতিকথাগুলো এরকম:
- ঈশ্বরের প্রতিমূর্তি মানুষ।
- আমাদের প্রভুর বংশধারার বিশুদ্ধতা রক্ষা করতে হবে।
- সর্বদা উত্তম মান বজায় রাখতে হবে, বিশুদ্ধতাই আনবে মুক্তি।
- যে কোনো রকম বিকৃতি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে, বিকৃতি দেখামাত্র তা জানাতে হবে।
- বিকৃত সৃষ্টি শয়তানের সৃষ্ট।
এই কথাগুলোর সবটা আমি বুঝতে পারিনি, কিন্তু বিকৃতি কাকে বলে সেটা বুঝতাম। কারণ বিকৃতি থাকার পরিনাম প্রায়ই চাক্ষুষ দেখতে হতো। কোন কিছুর বিকৃতি ঘটলে বাবা খুবই খারাপ মেজাজে ঘরে ফিরতেন। তারপর সন্ধ্যাবেলা বাড়ির সবাইকে, এমনকি কাজের লোকদের পর্যন্ত নিয়ে প্রার্থনায় বসতেন। প্রার্থনায় আমরা অনুতাপ প্রকাশ করে ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চাইতাম। পরদিন ভোরে সবাই উঠোনে জমা হতাম, আর বাবা দুই মাথাওয়ালা খাসির বাচ্চা অথবা চার পাওয়ালা মুরগির বাচ্চা অথবা যাই হোক, সেটাকে জবাই করে ধ্বংস করতেন!
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৭
করুণাধারা বলেছেন: আমারও খুব ভালো লাগছে অনেক দিন পর আপনাকে দেখে...
প্রথম মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ, মুক্তা নীল।
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার নিের ভাবনা, নাকি এই ধরণের কিছু একটা পড়েছেন?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২০
করুণাধারা বলেছেন: উত্তর নীচে দিলাম।
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
টাইপো:
আপনার *নিজের ভাবনা, নাকি এই ধরণের কিছু একটা পড়েছেন?
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৭
করুণাধারা বলেছেন: আমার নিজের ভাবনা না, অনেক আগে পড়া এই The Chrysalids বইয়ের গল্প।
আণবিক বোমা বিস্ফোরণ বা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুর্ঘটনার পর এমন বিকলাঙ্গ প্রাণী ও উদ্ভিদ জন্ম নেবে, মাটি ও পানিতে তেজস্ক্রিয়তার কারণে।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সাবলিল গল্পে ভাললাগা একরাশ।
হুম, সংস্কার যখন অন্ধ হয়ে পড়ে কার্যকারণহীন হয়ে অন্ধ অনুসরনে চলে আসে তখনই কু'তে পরিণত হয়।
যাই, আগের পর্বটা পড়ে আসি
+++
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: ভৃগু, আপনার মন্তব্য ও প্লাস আমার জন্য অনুপ্রেরণা একরাশ...
এই গল্প মূলত পারমাণবিক দুর্ঘটনায় পুড়ে যাওয়া পৃথিবীর এক অংশে যে মানব সমাজ গড়ে ওঠে, তাদের মধ্যে কয়েকজনের টেলিপ্যাথিক পাওয়ার নিয়ে। আমাদের রূপপুর নিয়ে ভয় আছেই, সম্প্রতি ব্লগে ত্রিশ বছর পরেও চেরনোবিলের ভয়াবহতা নিয়ে লেখা পড়ার পর এটা লেখার ইচ্ছা হল। এটা ঠিক অনুবাদ না, কারণ তাতে কপি রাইট লংঘন করার ঝুঁকি থাকে। চেষ্টা করব তাড়াতাড়ি শেষ করতে। আশাকরি মাঝে মাঝে সাথে থাকবেন।
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পড়তে ভালো লাগছে, অবশ্য আপনার লেখা ভালো লাগারই কথা!!!
এ'ধরনের ঘটনা (পৃথিবীব্যাপী পারমানবিক বিস্ফোরণ) শেষ পর্যন্ত যদি ঘটেই যায়, তাহলে আসলেই কি হবে দেখার জন্য বেচে থাকার সম্ভাবনা যেহেতু খুবই কম, তাই এভাবে দুধের স্বাদ ঘোলেই মেটাতে হবে। তবে কথা হলো, এ'ক্ষেত্রে ঘোলই ভালো.....দুধের স্বাদ নিতে চাই না।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৫
করুণাধারা বলেছেন: এ'ক্ষেত্রে ঘোলই ভালো.....দুধের স্বাদ নিতে চাই না ১০০% সহমত। এমন দুধের স্বাদ নিতে গিয়ে জানটা দেব নাকি!!
কিন্তু আমার একটা ভয় আছেই, পৃথিবীব্যাপী না হোক কোন অঞ্চলে পারমাণবিক বিস্ফোরণ হতে পারে, ডে আফটার সিনেমার মত। এক পাগল যখন বলল, আমি চাইলেই আমেরিকায় বোমা ফেলতে পারি, তখন আমেরিকান পাগল বলে, আমার টেবিলে একটা বোতাম আছে, টিপে দিলেই বোমা নামবে তোমার দেশে...
এইসব পাগল ছাগলকে কোন বিশ্বাস নাই!!
৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: বড্ড অগোছালো লাগলো।
স্যরি ফর দ্যাট।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৭
করুণাধারা বলেছেন: দুঃখিত হবার কিছু নেই, আমি খুশি হয়েছি আপনি সত্যি কথা বলেছেন বলে। চেষ্টা করব পরের পর্ব গুছিয়ে লিখতে।
৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপু,
গল্পটা শুরু করেছিলেন একভাবে।তখন বুঝতে পারেনি যে শেষ পরিণতিটা এতটা করুন হবে। বলার যে শেষ হলো অত্যন্ত বিষন্নতার মধ্য দিয়ে।পারমাণবিক যুদ্ধের প্রভাব মানব সভ্যতার উপর কতটা ভয়ঙ্কর গল্পে এক টুকরো নমুনা আছে ঠিকই কিন্তু তার চেয়েও বেশি ভয়ংকর লাগলো মানুষের আচার-আচরণ কুসংস্কারের এক ভয়ঙ্কর অবস্থাকে প্রত্যক্ষ করানোয়।
পোস্টে চতুর্থ লাইক।
শুভকামনা প্রিয় আপুকে।
।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৩
করুণাধারা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য আর লাইকের জন্য অনেক ধন্যবাদ, পদাতিক চৌধুরী।
গল্পটা থ্রিলার ধরণের, কিন্তু যেহেতু আমাদের অপরিচিত পৃথিবী আর মানুষ নিয়ে, তাই মাঝে মাঝেই তাদের বর্ণনা আছে, সেগুলো গল্পকে ধীরগতি করে দেয়। তাই চেষ্টা করব তাড়াতাড়ি শেষ করতে।
আশাকরি কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝে সাথে থাকবেন।
৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০১
শের শায়রী বলেছেন: ভালো লেখার এই এক গুন, রেশ রয়ে যায়, শেষ হয়েও হইল না শেষ, আপনার এই লেখা পড়তে পড়তে আমি চলে গিয়েছিলাম অতীতে, যখন মানুষ ছিল অসহায়, ব্জ্র কে ভাবত ঈশ্বরের লাঠি, আর বাজের আওয়াজ কে ভাবত ঈশ্বরের চিৎকার, অজ্ঞতা থেকেই আসত ধর্মীয় কুসংস্কার।
পারমানবিক দুর্ঘটনা আমাদের কে পৌছে দেবে সে রকম এক অতীতে যে খানে পায়ের ছয় আঙ্গুল চিহ্নিত হবে ঈশ্বরের অভিশাপ হিসাবে। নিজেদের তৈরী মারনাস্ত্রই কি আমাদের সেই প্রস্তর যুগে ফিরিয়ে নেবে? নিলে খুব একটা খারাপ হয় না, সব কিছুর পর আবার নতুন করে শুরু করা।
আপনার লেখনির জোরে অনুবাদ বা ভাবার্থে অনুবাদটিকে পড়তে গিয়ে এক নিমিষে শেষ হয়ে গেল। ভালো লাগা।।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩২
করুণাধারা বলেছেন: আইনস্টাইন তো বলেই গেছেন, চতুর্থ বিশ্বযুদ্ধে মানুষের অস্ত্র হবে মাটির ঢেলা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শুধু আমেরিকার হাতে ছিল পারমাণবিক অস্ত্র, আর আজ অন্তত এক ডজন দেশের হাতে। আশাকরি মানুষের শুভবুদ্ধির জয় হবে। কিন্তু আমাদের রূপপুর নিয়ে ভয় মুক্ত হতে পারছিনা।
আপনার ভালো লাগায় আমারও অনেক ভালো লাগলো।
৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৫
মা.হাসান বলেছেন: কভিন কস্টনারের ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে এরকম কিছু একটা দেখেছি। রেডিয়েশনের ফলে মানুষের শরীরে পরিবর্তন আসতে পারে। জাপানে ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর বিকলাঙ্গ শিশুর জন্মের কথা পড়েছি। তবে যে বিষয়টা নিয়ে কৌতুহল রয়ে যাচ্ছে তা হলো পাঁঠা দের কি পরিবর্তন হবে ? নাকি পাঁঠারা এরকম দুর্গন্ধই ছড়িয়ে যাবে?
২৪ ঘন্টার কম সময়ে দ্বিতীয় পর্ব আশা করি নি। এরকম দ্রুত পর্ব দিতে থাকুন। পোস্টে অনেক অনেক প্লাস।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: কভিন কস্টনারের ওয়াটার ওয়ার্ল্ডে এরকম কিছু একটা দেখেছি। জানেন তো অনেক কিছু, সেগুলো শেয়ার করলে তো পারেন! তা না করে খালি ক্যাচাল বাঁধাতে চান... কারণ কি?
লেখা তো রেডি ছিল, তাই চব্বিশ ঘন্টা না পেরোতেই পোস্ট করলাম। এরপর থেকে ধীরে ধীরে করব।
১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৫৫
নীল আকাশ বলেছেন: আমি বরাবরই কাঠখট্টা ব্লগার। আপনি আমাকে ভালো ভাবে দেখতে বলেছিলেন আর তাই শুরুতেই কিছু কথা-
১। ছবি কোনভাবে পছন্দ হয়নি। আপনি বলতে পারেন এই পর্বের সাথে মিল আছে (৬) তবে যেহেতু আপনি একটা বইয়ের অনুবাদ করছেন, সেটা প্রচ্ছদে থাকলে অনেক আজেবাজে মন্তব্য আর আসবে না। এই বইটার অনেকগুলি ছবি পেয়েছি। একটা আমার পছন্দ হয়েছে। নীচে দিলাম। না হলে আপনাকে প্রতি পর্বেই আলাদা করে ছবি আর বিভিন্ন জনকে এই লেখা কিসের বলতে হবে। এই বইয়ের অন্য কোন ছবিও দিতে পারেন আপনি যেটা আপনার পছন্দ।
২। আপনি প্যারা করার সাথে সাথে ঘটনার ক্রম হিসেবে ১,২,৩,৪ করে লিখে যান। কেন লিখবেন তা বলছি-
- পাঠক জানবে সে আগে কতটুকু পড়েছে আর আপনিও জানবেন কতটুকু লিখেছেন
- পড়ার মাঝে যে কোন সময় গ্যাপ পরলেও খুঁজে পেতে সুবিধা হবে পাঠকের
- আপনি অনুবাদ করার সময় এই হিসেবে লিখতে পারবেন। অরিওজিনাল বইতে না থাকলেও অসুবিধা নেই, অনুবাদক হিসেবে সেই স্বাধীনতা আপনার আছে।
৩। কথোপকথন এবং এর আগের লাইনের মাঝে গ্যাপ বেশি হয়ে যাচ্ছে। দেখতে খারাপ লাগে। প্যারারা মাঝে গ্যাপ থাকবে কিন্তু একই প্যারার লাইন গুলির মাঝে কোন গ্যাপ থাকবে না।
৪। কথোপকথন দেয়ার সময় " " এর পরিবর্তে - ব্যবহার করতে পারেন। এটার আলাদা কিছু সুবিধা আছে। লেখার সময় বুঝবেন।
এই মন্তব্য দেখে বিরক্ত বোধ যদি করেন তাহলে সাথে সাথে ডিলিট করে দেবেন। আমি কিছুই মনে করবো না। আপনার জায়গায় অন্য কেউ হলে এক দুই লাইনের মন্তব্য করেই চলে যেতাম।
শুভ কামনা রইলো।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই চমৎকার ছবিটা উপহার দেয়ায়, এটা নিয়েই নিলাম। এই ছবিটা আমি আগে দেখিনি, কিছুতেই ভালো কোন ছবি পাচ্ছিলাম না। ঠিকই বলেছেন, এই ছবি দেবার ফলে আমাকে আর বারবার বলতে হবে না গল্প কোথা থেকে নেয়া।
আপনার পরামর্শগুলোও ভালো। কিছুটা ঠিক করেছি, কিন্তু কথোপকথন আর প্যারাগ্রাফ ঠিক করতে হলে সময় প্রয়োজন। আশাকরি পরের পর্ব থেকে ঠিক করতে পারব।
বিরক্ত বোধ করব কেন? বরং আপনি যে আমার পোস্ট ভাল করার জন্য এত ভেবেছেন এজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।
১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: সবাই খুব ভালো মন্তব্য করেছেন।
আমার সমস্যা হলো আমি গুছিয়ে মন্তব্য করতে পারি না।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: আপনি আপনার মতোই থাকুন, অন্যের মত হবেন না।
১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: খুব কষ্টকর একটা জীবন সোফির পরিবারের, মতান্তরে এমনসব পরিবারের। আর প্রার্থনার বিয়ষ হিসেবে যা আলোচনা করা হচ্ছে তা খুবই মর্মান্তিক। যুগে যুগে এই মানুষগুলোই বিভেদ তৈরি করে এসেছে। যাই হোক, গল্প কি শেষ? না কি আরো পর্ব পাবো?
সাবলিল অনুবাদ। লেখায় +++++
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৮
করুণাধারা বলেছেন: ফয়সাল রকি, এটা একটা প্রায় দুশো পৃষ্ঠার উপন্যাস, সতের পর্ব, প্রতি পর্বে ১০/১২ পৃষ্ঠা। পুরোপুরি অনুবাদ করছি না, মোটামোটি বোঝা যায় এমন ভাবে করছি যেন ২২/২৩ পর্বে শেষ করতে পারি। এটা ভবিষ্যতের ধ্বংসপ্রাপ্ত এক পৃথিবীতে আবার মানব সভ্যতা শুরুর গল্প।
না, এটা শেষ নয়, ইচ্ছা আছে শেষ পর্যন্ত যাবার।
আপনার মন্তব্য এবং প্লাস আমার অনুপ্রেরণা, অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গল্পের সাথে ছবি মাননসই হয়নি। আর গল্পটা যে অনুবাদ সেটা পাঠকের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। এগুলো ছাড়া ভালই লাগলো।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার, নীল আকাশের সৌজন্যে ছবিটা বদলে দিতে পেরেছি, আশাকরি এবার ভালো লাগছে!!
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেবার জন্য। কেউ ধরিয়ে না দিলে ভুল শোধরানোর উপায় থাকে না যে!
গল্পটা অনুবাদ এ কথা প্রতি পর্বে বলার দরকার আছে কিনা বুঝতে পারছি না।
১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: কুসংস্কার আর জ্ঞান এর মাঝ থেকে উত্তরন সভ্যতার ,
তাই গল্পের পটভূমি, সময়কাল পাঠকের জন্য জরুরী
...................................................................................
গল্পর গতিপ্রবাহ ভালো , শুভকামনা ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১০
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম স্বপ্নের শঙ্খচিল। চমৎকার ছবিটার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার জন্যও শুভকামনা।
১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫১
নীল আকাশ বলেছেন: ছবিটা আমি দিয়েছিলাম টেস্ট হিসেবে। যেহেতু আপনি পছন্দ করেছেন, আমি ছবিটা আরও বড় করে রেজুলেশন ভালো করে দিলাম নীচে। এটা ব্যবহার করুন। আপনার ছবি প্রয়োজনের তুলনায় ছোট ছোট লাগছে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১২
করুণাধারা বলেছেন: আরেকবার ধন্যবাদ, ছবি নিয়ে আমি এসব একেবারেই পারি না।
নতুন ছবি দিয়ে দিয়েছি, খুব ভালো লাগছে।
১৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প পড়তে ভালো লাগছে
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৩
করুণাধারা বলেছেন: এই মন্তব্য আমার জন্য অনুপ্রেরণা ছবি। অনেক ধন্যবাদ।
১৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪৩
ফয়সাল রকি বলেছেন: বাকী সকল পোষ্ট পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম। নিয়মিত ভাবে না পড়তে পারলেও , পরে এসে পড়ে যাবো।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৬
করুণাধারা বলেছেন: আমি প্রতি পোস্টে আগের পোস্টের লিঙ্ক দেবার ইচ্ছা রাখি। তাই মাঝে মাঝে এসে পড়ে গেলে খুব খুশি হব।
অনেক ধন্যবাদ ফিরে আসার জন্য। শুভকামনা।
১৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৩
নিভৃতা বলেছেন: ভীষণ ভালো লাগছে গল্পটা। অসাধারণ লিখেন আপনি। অফুরান শুভ কামনা রইল।
বুড়ির গল্প কোনটা বললেন না তো।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪০
করুণাধারা বলেছেন: অসাধারণ লিখেন আপনি। আহা! মন্তব্য পেয়ে মন ভরে গেল- হোক না অন্যের লেখা, প্রশংসাটা আমিই নিলাম। আর শুভকামনা রইল আপনার জন্যও।
বুড়ির গল্প হচ্ছে এক হিংসুটে শাশুড়ির গল্প। আমি ভেবেছি আপনি লিখেছেন। ভুল করলাম নাকি
১৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫১
আনমোনা বলেছেন: আগ্রহ নিয়ে পড়ছি। প্রতিদীন খোঁজ নেই পরের পর্ব এলো কিনা।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৪
করুণাধারা বলেছেন: সেকি আনমোনা, এই গল্প পড়ার জন্য কেউ খোঁজ নিতে পারে এমন ভাবিই নি। তাই আপনার জন্যই আজকে পোস্ট করার চেষ্টা করব।
অনেক দিন পর আপনাকে পেয়ে ভালো লাগলো, ভালো থাকুন সবসময়।
২০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৩
নিভৃতা বলেছেন: হিংসুটে না। তবে শাশুড়ির গল্প লিখেছিলাম। কিন্তু এই ব্লগে না। ফেসবুকে। তৃতীয়পর্ব কখন পাবো? গল্পটা আপনার না হলেও অনুবাদ তো আপনারই। অনুবাদ আকর্ষণীয় বলেই তো পড়ার এত আগ্রহ জাগছে।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩০
করুণাধারা বলেছেন: ও আচ্ছা! ফেসবুকের শাশুড়ি- গল্প এবার ব্লগে দিয়ে দিন!
তৃতীয় পর্ব দিয়ে দিয়েছি। চতুর্থ পর্ব কাল/ পরশু।
আপনার প্রশংসা বাক্যে আপ্লুত হলাম- শেষ অবধি থাকছেন আশাকরি?
২১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ছবিটা যথার্থ হয়েছে।
প্রতিপর্বে দিলে ভালো একদিক থেকে যে নতুন কেউ পড়লেও বুঝতে পারবে যে এটা অনুবাদকৃত গল্প।
ধন্যবাদ।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: আবার ফিরে এসে মন্তব্য করায় ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার।
ঠিক বলেছেন, ছবিটা অনেক প্রশ্নের উত্তর দেবে।
২২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১২
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
কিছু কুসংস্কারাচ্ছন্ন অজ্ঞতা , তেজস্ক্রিয়তা দূষণ এর জন্য প্রযুক্তি ও পরিবেশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত । তেজস্ক্রিয় দূষণের স্বাস্থ্যকর ক্ষতিকর প্রভাব প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত বহাল থাকে
এর মধ্যে বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসেবে ধরনের প্রকল্পের রিক্স অনেক বেশি।
জানিনা অদূর ভবিষ্যতে আমাদের জন্য কি অপেক্ষায় আছে ।
আপনার গল্পের স্বার্থে আপনি যে উদাহরণ টেনে এনেছেন তা পড়তে পেরে ভালো লাগছে আর আফসোস করা ছাড়া আর কি করার আছে ।
ভালো থাকুন ও ধন্যবাদ জানবেন।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪০
করুণাধারা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মুক্তা নীল।
পারমাণবিক শক্তি এমন যে ভালো কাজে ব্যবহার করা হলে মানুষের কল্যাণ হবে নিঃসন্দেহে। কিন্তু খারাপ মানুষের হাতে পড়ে এটা মানুষের ধ্বংস ডেকে আনবে। এখন ভবিষ্যৎই বলে দেবে মানব জাতির ভাগ্যে কল্যাণ নাকি অকল্যাণ আছে...
আপনিও ভালো থাকুন, শুভকামনা।
২৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
পড়ছিলুম। লেখার ষ্টাইলে মনে হচ্ছিলো কোনও কিছুর অনুবাদ কিনা। প্রতিমন্তব্যে বুঝলুম, ভাষান্তর না হলেও ভাবান্তর।
"নতুন জীবন" এর এই গল্পে জীবনের জয়গান আস্তে আস্তে সুর তুলুক।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: "নতুন জীবন" এর এই গল্পে জীবনের জয়গান আস্তে আস্তে সুর তুলুক।
তাই তো আমরা সবাই চাই। তবু যে কেন জীবন মাঝে মাঝে বেসুরে বাজে...
আমার প্রিয় এই গল্প আমি সামুতে সবার সাথে শেয়ার করতে চাইছি, অনেকটা নিজের মত করে বলে। গল্প বলার আসরে মাঝে মাঝে আপনার উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য। ভালো থাকুন।
২৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪২
আখেনাটেন বলেছেন: অসাধারণ। আপনার ভাবানুবাদের প্রশংসা না করলেই নয়। চমৎকার।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫২
করুণাধারা বলেছেন: একসাথে এত প্রশংসার তোড়ে আমি তো বাক্যহারা!
অনেক ধন্যবাদ এমন মন্তব্য আর সাথে প্লাস দেয়ায়।
২৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪
নিভৃতা বলেছেন: অবশ্যই শেষ অবধি থাকবো। এমন গল্প তো সচরাচর পাওয়া যায় না। আর আজকাল বই কিনে পড়া হয় না। তাই এই সুযোগ হাতছাড়া করবো না ইনশাআল্লাহ।
ভয় শেষ হলে শাশুড়ি বউর গল্পটা দিবো।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪১
করুণাধারা বলেছেন: পড়লাম গল্প। কমপ্লিমেন্টও দিয়ে এসেছি।
২৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৯
সোহানী বলেছেন: অসাধারন সাবলিলল লেখা। কোথাও থামতে হয়না.............
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০১
করুণাধারা বলেছেন: দারুন অনুপ্রেরণা!! পরের পোস্ট দেবার জন্য উৎসাহ পেলাম। তবে ভুল ধরিয়ে দেবেন আশাকরি।
২৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩০
শামছুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার কাহিনি ।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শামছুল ইসলাম। আপনার মন্তব্য আমার অনুপ্রেরণা।
২৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আজকে ধারাবাহিক ভাবে পড়ছি;
আপনার সাবলীল বর্ণনা লেখাকে আকর্ষণীয় করেছে।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এমন মন্তব্যের জন্য। চেষ্টা করছি, কিন্তু সেভাবে আগাতে পারছি না।
২৯| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৫:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: বিকৃতির মাত্রা, প্রকৃতি, প্রসার ও প্রকারভেদ দিনে দিনে বিস্তৃত হচ্ছে। একদিন যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক, রণতরী ইত্যাদি সবই কালের গহ্বরে হারিয়ে যাবে। শুরু হবে জীবাণুযুদ্ধের মারাত্মক অধ্যায়। এতে মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণী পক্ষী এ পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে বলে অনুমিত হয়।
একটা বড় কাজে হাত দিয়েছেন, শুভকামনা রইলো। আমার অবশ্য কিছুটা সময় লাগবে সবগুলো পর্ব পড়তে, তবে পড়বো ইন শা আল্লাহ!
১৪ নং মন্তব্যের ছবিটার উপর চোখদুটো আটকে থাকলো কিছুক্ষণ!
১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: এই গল্পে যারা মানুষের দেহের বিকৃতি নিয়ে অতি সচেতন ছিলেন, তাদের নিজেদের মনের বিকৃতির কথা তারা জানতেন না, নাহলে কী করে বিকৃতি ধ্বংসের নামে মানুষের জীবন শেষ করে দিতেন!
এই বই আমি অনেকবার পড়েছি, কিন্তু এবার অনুবাদ করতে গিয়ে প্রথম দেখলাম, এই বইয়ে বর্ণিত চরিত্রগুলোর মতো চরিত্র আমাদের আশেপাশে অনেক আছে। মানুষ কিভাবে মানুষ মারার জন্য অস্ত্র বানায়, জীবাণু অস্ত্র বানায়, তারপর অক্লেশে তা দিয়ে মানুষ হত্যা করে!!
একটা বড় কাজে হাত দিয়েছেন, শুভকামনা রইলো। আপনাদের শুভকামনা সম্বল করে এটা শেষ করার চেষ্টা করব ইন শা আল্লাহ। একটা বই সহজেই পড়ে ফেলা যায়, কিন্তু অনুবাদ করাটা বেশ কঠিন, এটা আগে বুঝতে পারিনি। আমার এক ধরণের লেখা লিখতে ভালো না লাগলেও, যেহেতু শুরু করে ফেলেছি তাই এটা শেষ করতে হবে!!
১৪ নম্বর ছবি দেখে আমিও অবাক হয়েছিলাম; প্রকৃতির মাঝে কত বিস্ময় লুকিয়ে থাকে।
৩০| ০৯ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৫:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: বিকৃত সৃষ্টি শয়তানের সৃষ্ট - বিকৃত সৃষ্টি নয়, বরং এ ধারণাটাই শয়তানের সৃষ্ট!
১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: বিকৃত সৃষ্টি শয়তানের সৃষ্ট - বিকৃত সৃষ্টি নয়, বরং এ ধারণাটাই শয়তানের সৃষ্ট! সহমত। আসলে ডেভিডের পরিবার যেসব ধারণা পোষণ করত সেগুলো ভুল ছিল। যেমন "ঈশ্বরের প্রতিরূপ মানুষ" এই কথাটি।
আপনার মন্তব্য আর প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম, অনেক ধন্যবাদ।
৩১| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৫৫
মলাসইলমুইনা বলেছেন: এই পর্বে আপনাকে খুবই চেনা যাচ্ছে । আমাদের করুণাধারার মায়াবী লেখার ছোয়া লাইনে লাইনে । বিদেশী পটভূমি আর কাহিনীর কথাই বলেছেন কিন্তু বোঝা যাচ্ছে না একটুও আপনার ঝরঝরে লেখার কারণে ।পড়তে খুবই ভালো লেগেছে এই পর্ব । চমৎকার !!
১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০০
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্যে খুবই অনুপ্রাণিত বোধ করছি মলাসইলমুইনা ( সেজন্য পুরো নাম উচ্চারণ করলাম)।
কখনো গল্প অনুবাদ করিনি, তাই বারে বারে থেমে গেলেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশাকরি উধাও না হয়ে মাঝে মাঝে দেখা দেবেন।
শুভকামনা রইলো।
৩২| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:১৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
প্রথম পর্ব তা পড়েছিলাম। এর পর অনেক পর্ব লিখে ফেলেছেন। দুর্ভাগ্যবসত পড়া হয়নি। আর দেরি করতে চাইনা। ধীরে ধীরে পড়া শুরু করলাম।
ঈর্ষণীয় লিখনী। চমৎকার গল্প। +++
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
প্রথম এক ঝলক একটু পোস্টটা দেখে নিলাম, ফিরছি
লেখায় সময় নিয়ে । অনেকদিন পর আপনার লেখায় প্রথম আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে ।