নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগের পর্ব: নতুন জীবন- দুই
শুধু প্রাণী না, মাঝে মাঝে ফল- ফসলেও বিকৃতি দেখা যেত। সেগুলোও বাবা ধ্বংস করতেন; কখনো কখনো এজন্য পুরো মাঠ ধরে ফসল জ্বালিয়ে দিতেন।
আমার বাবা খুব ধার্মিক ছিলেন; শষ্য বা গবাদি পশুর বিকৃতি, তা যত ছোটই হোক, তিনি সেটার কোন চিহ্ন রাখতেন না, নিজ হাতে ধ্বংস করে দিতেন। অথচ আমাদের প্রতিবেশীদের অনেকেই এমন ছোটখাট বিকৃতি ধ্বংস করতেন না, একান্তই ইন্সপেক্টর বাধ্য না করলে! বাবার হাতে নিয়মিতভাবে বিকৃতি ধ্বংস দেখতে দেখতে খুব অল্প বয়সেই আমি বুঝে গেছিলাম, বিকৃতি কাকে বলে। কোনো প্রাণী বা ফল- ফসল যদি হুবহু তার জন্মদাতার মত না হয়ে সামান্য পরিমাণও অন্যরকম হয়, তবে সেটাই বিকৃতি। আবার বিকৃতি যদি হয় মানুষের মধ্যে, তবে সেটা মানুষ নয়, তাকে বলা হয় "পাপাত্মা"...স্বাভাবিকতা থেকে যে কোন বিচ্যুতিই উদ্ভিদ বা প্রাণীকে বিকৃত বা পাপাত্মায় পরিনত করে।
ছোটখাটো বিকৃতি নিয়ে জন্মানো উদ্ভিদ আর প্রাণী এভাবে ধ্বংস করার ফলে আমাদের ওয়াকনুকে উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিচ্যুতি ধীরে ধীরে কমে আসছিল। সেজন্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্রমশই দক্ষিণের অনাবদী ভূমি আবাদ করে এলাকার সীমানা বাড়ানো হচ্ছে। এর ফলে কিছুটা বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে, কারণ সীমানা বাড়ানোর সাথে সাথে প্রান্তভূমি কাছে চলে আসছে। বিপদটা কি, তা বলার আগে আমি আমাদের এলাকাটার বর্ণনা দিয়ে নেই!
আমাদের এই এলাকা এক প্রান্তবর্তী এলাকা। পূবের এলাকাগুলোর তুলনায় আমাদের এলাকায় জনসংখ্যা অনেক কম। মাত্র তিন/ চার প্রজন্ম আগে এখানে প্রথম বসতি স্থাপনের পর থেকে দ্রুত এলাকা বাড়ছে। দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিমে প্রায় ত্রিশ মাইল ভালো ভূমি, এরপর থেকেই পতিত ভূমি শুরু হয়, সেখানে শতকরা ৫০ ভাগ উদ্ভিদ আর প্রাণীই বিকৃত। তারপর প্রায় দশ মাইল বিস্তৃত জঙ্গল, এখানেও বিকৃতির আধিক্য। এরপরই আছে প্রান্তভূমি, আমার বাবা এই ভূমি সম্পর্কে বলেন, "যেখানে ঈশ্বরের সমস্ত নিয়মকে উল্টে দিয়ে শয়তান রাজত্ব করছে।" এই এলাকার পর শুরু পোড়া ভূমির এলাকা; পোড়া ভূমি সম্পর্কে কেউ তেমন কিছু জানেনা!! কারণ এই এলাকায় যে একবার পা রেখেছে সে আর জীবিত ফেরেনি, যে দুয়েকজন ফিরে আসতে পেরেছিল তারা কয়েকদিনের মধ্যেই মারা গেছেন...
এই প্রান্তভূমি এলাকায় থাকা মানুষেরা, যাদের দেখতে মানুষের মতো দেখতে হলেও আসলে পাপাত্মা, তারা আমাদের মাঝেমাঝেই বিপদে ফেলছে... তারা যেখানে থাকে সেখানে খাবারদাবার, গরু ঘোড়া, কাপড়চোপড়, হাঁড়ি পাতিল, কোন কিছুই পাওয়া যায় না। তাই মাঝে মাঝেই তারা এসব ছিনিয়ে নেবার জন্য অতর্কিতে কোন এলাকায় হামলা করে। আগে বছরে ৩/৪ বার এমন ছোটখাটো হামলা হত, কিন্তু আমাদের এলাকার সীমানা বেড়ে প্রান্তভূমির কাছাকাছি হওয়ার সাথে সাথে হামলা বাড়ছে, এখন এরা অনেকজন মিলে সংগঠিত ভাবে হামলা করায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। রিগোর সরকারি দপ্তরে এ ব্যাপারে জানান হয়েছে। তারা বলেছে এতদূর থেকে তাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয় বরং আমরা যেন নিজেদের জন্য রক্ষীবাহিনী তৈরি করি! আমাদের জনসংখ্যা কম বলে আলাদা করে রক্ষীবাহিনী তৈরি করা হয়নি, কিন্তু কোন হামলার ঘটনা ঘটলেই আমাদের পুরুষেরা ক্ষেতের কাজ ফেলে রেখে হামলা ঠেকাতে ছুটে যান। এতে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। আমাদের ওয়াকনুকে এখন পর্যন্ত হামলা হয়নি, কিন্তু কে জানে হয়তো কোনদিন তারা এখানেও পৌঁছে যাবে...
এমনিতে আমাদের দিনগুলো কর্মব্যস্ততা আর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে কাটে; দিনের শেষে আমাদের পরিবারের মানুষের সাথে আমাদের ঘরে আর ক্ষেতে কাজ করা মানুষেরা একত্রিত হই রাতের খাবারের জন্য, সবমিলে প্রায় ২০ জন মানুষ!
আমাদের পরিবার বলতে মা-বাবা, আমি, দুই বোন আর এক্সেল খালু। এই খালু আর এলিজাবেথ খালা থাকতেন বহুদূরে, রিগোতে। একবার খালু যখন জাহাজ নিয়ে সমুদ্রে ছিলেন সেসময় খালা মারা যান। কিছুদিন পর এক দুর্ঘটনায় খালু খোঁড়া হয়ে যান; তারপর থেকেই খালু আমাদের সাথেই আছেন, উনি অনেক ধরনের কাজ জানেন। মায়ের আরেক বোন হ্যারিয়েট থাকেন কেনটাক্ এলাকায়; তার স্বামীও বড় খামারী। মায়ের সৎভাই এনগাস মর্টনের খামার আমাদেরটার পাশেই, এক মাইলের বেশি আমাদের দুই খামারের সীমানা পাশাপাশি রয়েছে। বাবা এনগাস মর্টনকে দুচোখে দেখতে পারেন না, সারাক্ষণ পিছে লেগে থাকেন। রোজালিন হল এনগাস মর্টনের মেয়ে, আমার মামাতো বোন।
যদিও আমার বাবা এলাকার সবচেয়ে স্বচ্ছল এবং সমৃদ্ধ খামারি, কিন্তু আমাদের যত দরকার তত কাজের লোক ছিল না। তাই আমাকে যে যখনই ঘোরাঘুরি করতে দেখত, তখনই কোন কাজে লাগিয়ে দিত। তাই আমিও সুযোগ পেলেই লুকিয়ে থাকতাম, যেন কাজ করা না লাগে! সোফির বাসা থেকে ফিরে সেই সন্ধ্যায় আমি লুকিয়েই থাকলাম। যখন বুঝলাম উঠানে কাজের লোকজন সব একে একে ফিরে আসছে তখন বুঝলাম রাতের খাবার সময় হয়ে গেছে। আমিও লুকিয়ে বের হয়ে উঠোনে তাদের সাথে মিশে গেলাম। এরপর খাবার ঘন্টা বাজতেই আমি সবার সাথে খাবার ঘরে ঢুকলাম। দরজা থেকেই চোখে পড়ল বড় বড় করে লেখা সতর্কবাণী:
"যে কোনো রকম বিকৃতি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে, বিকৃতি দেখামাত্র তা জানাতে হবে।"
দেখলাম, কিন্তু এই সতর্কবাণী দেখে একবারও সোফির ব্যাপারে আমার মনে কোনো ভাবনা জাগল না!
৩)
সোফির সাথে আমার বেশ বন্ধুত্ব হল। আমি প্রায়ই স্কুল পালিয়ে বা দুপুরের খাবার পর মাঠের কাজে ফাঁকি দিয়ে সোফিদের বাসায় যেতাম। (স্কুল তেমন কঠোর কিছু না, আমার মত ১০/১২জন শিশুকে একজায়গায় বসিয়ে একজন মহিলা কিছু শেখাতেন) কিছুদিন পর সোফির পা যখন পুরোপুরি সেরে গেল তখন একদিন ও আমাকে ওর বাড়ির আশেপাশের এলাকা দেখাল, তারপর আমরা বসে প্রাচীন মানুষদের নিয়ে কথা বলতে।
- আমার বাবা বলেন, প্রাচীন মানুষদের সম্পর্কে যা শোনা যায় তার চার ভাগের এক ভাগ সত্যি হলেও তাদের মানুষ বলা যায় না, তারা ছিলেন জাদুকর।
- তাদের সত্যিই আশ্চর্যজনক ক্ষমতা ছিল, আমি বললাম।
- এতই আশ্চর্যজনক মানুষ হতে পারে, আমার বিশ্বাস হয়না, সোফি বলল।
- তোমার বাবা কি বিশ্বাস করেন না যে, প্রাচীন মানুষেরা উড়তে পারতো?
- না, এটাতো অবিশ্বাস্য! তারা উড়তে পারলে আমরা পারি না কেন?
আমার একবার মনে হল যে, আমার স্বপ্নে দেখা শহরের উড়ন্ত জিনিসের কথা সোফিকে বলি, কিন্তু তারপর মনে হলো বলে কি হবে! স্বপ্ন তো স্বপ্নই...
সোফির বাড়িতে ফিরে দেখি ওর বাবা জন ওয়েন্ডার চামড়া দিয়ে কিছু একটা তৈরি করছেন। সোফিকে দেখে হেসে আদর করলেন, আমার দিকে ফিরতেই উনার মুখ গম্ভীর হয়ে গেল... প্রথম যেদিন উনাকে দেখি, সেদিন উনি আমার দিকে এমন ভাবে চেয়েছিলেন যে, আমি ভয়ে কুঁকড়ে গিয়েছিলাম... অবশ্য বেশ কয়েকবছর পর আমি উনার সেই চাহনির অর্থ বুঝতে পেরেছিলাম; বুঝতে পেরেছিলাম, সোফির পায়ে ছয় আঙ্গুল আছে এটা জোসেফ স্ট্রর্মের ছেলে ডেভিড স্ট্রর্ম দেখেছে জানার পর তার মনে কি ঝড় উঠেছিল... নিশ্চয়ই সহজ সমাধান, 'মৃত বালক কোন কথা বলতে পারেনা', অনেকবার তাঁর মনে এসেছিল, .. সম্ভবত সোফির মা তাকে এটা করা থেকে নিবৃত করেছিলেন! অবশ্য কিছুদিন পর উনার সাথে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়ে যায়।
সোফির সাথে প্রথম দেখার কিছুদিন পরেই এক্সেল খালু আমার আর রোজালিনের সম্পর্কে জেনে গেলেন! আমি বা রোজালিন কেউই এ নিয়ে কোন বিপদের কথা ভাবিনি, কিন্তু সহজাত প্রবৃত্তিই আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করা শিখিয়েছিল, তাই আমাদের সম্পর্কে এর আগে কেউ জানতে পারেনি...
সেদিন আমি বড় একটা পাথরে বসে রোজালিনের সাথে কথা বলছিলাম। হঠাৎ চোখের কোণে কিছু নড়ছে টের পেয়ে তাড়াতাড়ি ফিরে তাকালাম, এক্সেল খালু লাঠিতে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন! খালু হেসে জিজ্ঞেস করলেন,
- ডেভি বাবা, কার সাথে এত গল্প করছো? পরী, নাকি খরগোশ?
আমি মাথা নাড়লাম; খালু আমার পাশে বসে ঘাসের ডাটি চিবাতে চিবাতে বললেন,
- একা লাগছে?
- না।
উনি একটু ভেবে নিয়ে বললেন,
-একা বসে নিজের সাথে কথা না বলে বন্ধুদের সাথে কথা বললে বেশি ভালো লাগতো না?
- আমিতো তাই বলছিলাম।
- কি বললে? কিছুটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন তিনি।
- আমি রোজালিন এর সাথে কথা বলছিলাম।
উনি আমার দিকে কিছুক্ষন চুপ করে তাকিয়ে থেকে বললেন,
-কিন্তু রোজালিনকে তো দেখছি না!
- রোজালিন তো এখানে নেই! ও তো ওর বাসায়!
উনি প্রথমে বুঝতে পারলেন না আমি কি বলতে চাচ্ছি। তাই আমি তাকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে বললাম। যখন আমি তাকে বোঝাচ্ছিলাম তখন তার মুখ গম্ভীর হয়ে যাচ্ছিল। আমার কথা শেষ হবার পর উনি জিজ্ঞেস করলেন,
- এটা কোনো ঠাট্টা না তো? তুমি কি সত্যি কথা বলছো ডেভি বাবা?
- হ্যাঁ এক্সেল খালু, সত্যি।
- একথা তুমি আগে কাউকে বলেছ?
- না, কাউকে বলিনি।
এবার তাকে বেশ নিশ্চিন্ত মনে হল। তিনি আরেকটা ঘাস নিয়ে চিবাতে চিবাতে বললেন,
-তোমাকে একটা শপথ করতে হবে!
- কি শপথ?
-তুমি আমাকে এইমাত্র যে কথা বললে, একথা তুমি আর কখনোই কাউকে বলবেনা! কেউ যেন এ নিয়ে তোমাকে কোনো সন্দেহ না করে সেটাও তোমাকে খেয়াল করতে হবে। তুমি বুঝতে পারছ না, ব্যাপারটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ!
আমি কখনো এক্সেল খালুকে এতটা উদ্বিগ্ন ভাবে কথা বলতে দেখি নি। তাই উনি যেভাবে বললেন আমি সেভাবেই শপথ করলাম। এরপর উনি আমাকে বললেন, "ভালো হয় যদি তুমি পুরো ব্যাপারটা ভুলে যাও"!
আমি কিছুক্ষণ চিন্তা করে বললাম,
"সেটা সম্ভব না, যেমনভাবে সম্ভব নয় কথা বলা অথবা কানে শোনা ভুলে যাওয়া, তেমনি।"
উনি বললেন,"তুমি কথাগুলো তোমার মাথার ভিতরে শুনতে পাও, তাই না?"
আমি বললাম, "না ঠিক কথা শুনিনা, মাথায় কিছু আকার আসে, সেটা দেখেই আমি বুঝতে পারি।"
"কিন্তু কথার দরকার যদি নাই থাকে, তুমি কথা বলছিলে কেন?"
"কারণ তাতে আকারটা আরো স্পষ্ট হয়!"
" কিন্তু এটা তোমাদের দুজনের জন্যই খুব বিপজ্জনক হতে পারে; তোমাকে আরেকটা প্রতিজ্ঞা করতে হবে, আর কখনোই তুমি জোরে জোরে এভাবে কথা বলবে না"
এরপর উনি বললেন, রোজালিনকেও যেন আমি একই প্রতিজ্ঞা করাই।
("The Chrysalids" এর ভাবানুবাদ।)
চলবে...
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:০১
করুণাধারা বলেছেন: এটা একটা অনুবাদ গল্প, উপরে সূত্র দিয়েছি।
কিছুটা অতিপ্রাকৃত বলা যায়। পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ হবার পর এলাকায় জীবনের চিহ্ন থাকে না। অনেক দূরের এলাকায় অনেক বছর পর যখন জীবন শুরু হয়, তখন দেখা যায় প্রাণী ও উদ্ভিদের মধ্যে বিকলাঙ্গতা। সেই সময়ের মানুষ তখন স্বাভাবিক থেকে বিচ্যুত প্রাণী ও উদ্ভিদকে ধ্বংস করে ফেলত। প্রথম পর্বে বিস্তারিত লিখেছি।
এই গল্প সেই সমাজের একদল তরুণের কথা যারা পরষ্পরের সাথে টেলিপ্যাথির মাধ্যমে যোগাযোগ রাখত।
আপনার ভালো লাগা আমার অনুপ্রেরণা, অসংখ্য ধন্যবাদ।
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৭
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অতি প্রাকৃতিক ঘটনা মানুষকে
ভীত ও বিভ্রান্ত করে ।
..........................................................................
বর্তমান সমাজে প্রতিবন্ধী কাউকে মেরে ফেলা হয় না ।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:০৬
করুণাধারা বলেছেন: অতি প্রাকৃতিক ঘটনা মানুষকে
ভীত ও বিভ্রান্ত করে ।
ঠিক কথা। আমি যে মানুষগুলোর কথা বলছি এরা আমাদের মত আধুনিক আর শিক্ষিত নয়। তাই হয়তো সে সমাজে এভাবে প্রতিবন্ধী প্রাণীকে মেরে ফেলত।
৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করছি আপনি সহজ সরল ভাষায় লিখে গেছেন।
অবশ্যই চলুক।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:০৭
করুণাধারা বলেছেন: আমি অপেক্ষায় থাকি আপনার সুন্দর মন্তব্যের। অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর।
৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫২
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো লেগেছে ।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:০৯
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ব্লগ সার্চম্যান, আপনার মন্তব্য ও লাইক আমার জন্য অনুপ্রেরণা নিয়ে এল...
৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
গল্পের পাতা ভালো লাগছে। ধারাবাহিকতা চলুক। পড়ছি।।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:১২
করুণাধারা বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ, আপনার উপস্থিতি ভালো লাগার, আপনার লাইক অনুপ্রেরণার...
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৩
আনমোনা বলেছেন: খুবই ভালো লাগছে। অনেক কষ্টের কাজ, জানি। তবু অনুরোধ, বইটা সংক্ষেপ না করে যতটা পারেন বিস্তারিত অনুবাদ করুন।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:২২
করুণাধারা বলেছেন: আপনার কথা ভেবেই এই পর্ব দেয়া, তাই আপনার ভালো লাগছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আনমোনা।
মূল বইতে বর্ণনামূলক অনেক কিছু আছে ঘটনার স্থান আর ভয়াবহতা বোঝানোর জন্য। আমার মনে হয় সেই বর্ণনা অনেকেই পড়তে চাইবেন না, তাই সেগুলোর কিছু বাদ দিয়েছিলাম। ঠিক আছে, পরবর্তী পর্বগুলোতে বাদ না দিয়ে লেখার চেষ্টা করব, আর কিছু না বুঝতে পারলে অবশ্যই জিজ্ঞেস করবেন...
৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৫
নিভৃতা বলেছেন: ভীষণ ভালো লাগছে। পরবর্তী পর্ব তাড়াতাড়ি চাই।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:২৩
করুণাধারা বলেছেন: ওকে ওকে...
৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৫০
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
ডেভিড স্ট্রর্ম এর ভিতর মৃত্যু আতঙ্ক কিছুটা হয়েছিল তা ধারনা করতে পারছি ।
এদিকে রোজালিনের সাথে এর যে সম্পর্ক তা আমি পরে বুঝতে পারলাম আমি ভেবেছিলাম , ডেভিডের সাথে সোফির বয়সের পার্থক্য হলেও এখন তা পরিষ্কার । অন্য রহস্যের গন্ধ পাচ্ছি।
অনুবাদটি পড়ার আগ্রহ জানিয়ে গেলাম এবং আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
শুভকামনা সহ অনেক ধন্যবাদ।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩১
করুণাধারা বলেছেন: মুক্তা নীল, প্রথম লাইক দেয়ায় আন্তরিক ধন্যবাদ। আমি তো ভেবেছিলাম লাইক দিয়ে কোথায় উধাও হয়ে গেলেন...
গল্পটা অদ্ভুত- সেজন্যই ব্লগে শেয়ার করতে চাইছি। এটা কিছু মানুষের গল্প যাদের টেলিপ্যাথির শক্তি আছে, এই দিয়ে যোগাযোগ করে তারা আরেক প্রান্তের পৃথিবীতে পৌঁছে যায়।
চেষ্টা করব তাড়াতাড়ি বাকি পর্বগুলো দিতে। আশাকরি সাথে থাকবেন।
শুভকামনা আপনার জন্যও।
৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৩২
শের শায়রী বলেছেন: বোন ফলো করছি, আর পরের পর্বের অপেক্ষা করছি, আপনার অনুবাদ লেখাকে মুল লেখার অনুভুতি দিচ্ছে, অনুবাদ এমনি হওয়া উচিত।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২০
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মত অসাধারণ একটি পোস্টও যদি কখনও দিতে পারতাম!! সে হবার নয়... তবু আপনার থেকে পাওয়া প্রশংসা আমার লেখার জন্য অনেক অনুপ্রেরণা।
অসংখ্য ধন্যবাদ শের শায়রী।
১০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:৫৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
করুণাধারা আপা,
গল্পে কাজে ফাঁকি দেওয়ার কথা পড়ে অনেক অনেক দিন আগের অতীতে চলে গেলাম।
আমাদের গ্রামের বাড়িতে এক সময় শীতের সিজনে শিশু থেকে বড় মানুষ সবাই কাজ করতাম - যার জন্য যেই কাজ উপযুক্ত। বাড়িতে এক সাথে একটির পর একটি ফসল উঠতে থাকতো সরিষা, গম, আলু, পেঁয়াজ, টমেটো, মাসকলাই ডাল - নাম লিখে শেষ করা যাবে না। রাত সাতটা’র মধ্যে (এটাই আমাদের গভীর রাত ছিলো) আমরা গভীর ঘুমে তলিয়ে পড়তাম সারা দিনের কাজের ক্লান্তিতে। - সময়ে লিখবো সেই সব গল্প।
যেই লেখায় হাত দিয়েছেন নিঃসন্দেহে তা পরিশ্রমী কাজ। আপনার পরিশ্রম স্বার্থক হোক এই কামনা করছি।
দোয়া রইলো ভালো থাকুন।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩১
করুণাধারা বলেছেন: আপনি কি লরা ইঙ্গলস ওয়াইল্ডারের লেখা "এক যে ছিল চাষীর ছেলে" পড়েছেন? কি গভীর আগ্রহ নিয়ে পড়তাম দশ বছরের ছেলে কিভাবে গম মাড়াই, আলু তোলা, দুধ দোয়ানো ইত্যাদি সব কাজ করত লেখাপড়ার পাশাপাশি। আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে তেমনি একটি কাহিনী পেতে পারি আপনার থেকে, প্লীজ লিখুন। গভীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষায় থাকলাম আপনার লেখার জন্য।
শুভকামনা এবং ধন্যবাদ।
১১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৪
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গল্পে আমাদের গ্রামীন জীবনের কিছু অংশ আছে। যেমন ফসল বুনা ও তোলার সময় সবাই মিলে কাজ করা। গল্পে অতিপ্রাকৃত কিছু থাকলে আরও ইন্টারেস্ট বেড়ে যায়। ++++++
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩২
করুণাধারা বলেছেন: নিয়মিত পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার।
ভালো থাকুন।
১২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫০
আখেনাটেন বলেছেন: রোজালিন আর সোফির মাঝে ডেভিডের বিচরণ। দেখি ডেভিড ব্যাটা কতদূর যেতে পারে।
সোফির ষষ্ঠ আঙুলের কথা ফাঁস না করলেই হল।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪২
করুণাধারা বলেছেন: দশ বছরের বালক- বালিকা নিজেদের জ্বালায় দিশাহারা হয়ে আছে, আর আপনি এর মধ্যে মজা খুঁজছেন।
অবশ্য আপনি দারুন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মানুষ! আরো দশ বছর পর সত্যিই সোফি আর রোজালিনের মাঝে পড়ে যায় ডেভিড। স্পয়লার।
বুঝলেন কী করে তাই ভাবি...
১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
পড়ছি।
মানুষের যখন স্বাভাবিক মানবিক গুনাবলী থাকেনা তখন মানুষও কিন্তু বিকৃত মানুষ হয়ে যায়। এই বিকৃত মানুষেই (গল্প মতে পাপাত্মা ) সমাজটা ভরা। এটা পারমানবিক বোমার তেজস্ক্রিয়তা নয়, লোভ-লালসা-ক্ষমতার তেজস্ক্রিয়তা!
একটা কথা বলি, প্রতিমন্তব্যে অনেক ক্ষেত্রেই আপনি গল্পের মূল কাহিনী বলে দিচ্ছেন। এতে গল্পের রহস্য থাকেনা, পানসে হয়ে যায়। পর্ব করে লিখছেন রহস্য থাকতে দিন, পাঠক সেই রহস্যে ঘুরপাক খাক।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৫
করুণাধারা বলেছেন: মানুষের যখন স্বাভাবিক মানবিক গুনাবলী থাকেনা তখন মানুষও কিন্তু বিকৃত মানুষ হয়ে যায়। ঠিকই, এরা দেখতে হুবহু মানুষের মত হলেও মানুষ নয়। রূপাকে ধর্ষণ করে গলায় মোচড় দিয়ে ভেঙে বাস থেকে ফেলল, পিয়ালকে পাথর ঠুকে ঠুকে মাথা ভেঙে নদীতে ফেলে দিল, নুসরাতকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে তারপর ধীরে সুস্থে আগুন ধরার তারই বান্ধবী, আবরার মারের চোটে কাপড়ে বমি করে ফেলায় পরিষ্কার কাপড় পরিয়ে তার সহপাঠীরা নবোদ্যমে পিটাতে পিটাতে তাকে মেরে ফেলে বিরিয়ানি খেতে গেল..., এগুলো কোন মানুষের কাজ নয়! এই বিকৃত মানুষেরা আমাদের মধ্যেই আছে!
লোভ-লালসা-ক্ষমতার তেজস্ক্রিয়তা! আমাদের সবকিছু ধ্বংস করছে, সেটা থেকে বাঁচতে পারছি কই!!
গল্পটা যেহেতু নিজে মাথা খাটিয়ে লিখছি না, তাই শেষটা জেনে গেছিলাম। সেজন্য প্রতিমন্তব্য করতে গিয়ে শেষটা যে বলে দিচ্ছি, এই রহস্যধর্মী গল্পের রহস্য ফুরিয়ে ফেলছি, এটা আপনি না বলে দিলে খেয়ালই করতাম না... এবার থেকে সাবধান হব।
অসংখ্য ধন্যবাদ মনে করিয়ে দিয়ে মন্তব্য করায়। ভালো থাকুন, শুভকামনা।
১৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: আপু,
সবাই তো অনেক কিছু বলে গেল। আমি ভিন্ন কিছু বলি।
লেখার সরাসরি আক্ষরিক অনুবাদ হয়ে যাচ্ছে। অনেক কথা ইংরেজিতে ভালো লাগলেও বাংলায় সুন্দর না। আমার মনে হয় আপনি অনেক ক্ষেত্রে ভাবানুবাদে যেতে পারেন। বিশেষ করে কথপোকথন গুলির সময়। আর লেখার ফরম্যাট নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। লাইন গ্যাপ বেশি হচ্ছে। যার ফলে দেখতে খারাপ লাগছে। যেখানে অরিজিনালি লিখছেন সেখানে লাইন গ্যাপ ১.০ দিয়ে লিখুন।
ধন্যবাদ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১২
করুণাধারা বলেছেন: নীল আকাশ, আপনার বলা ভিন্ন কথায় অনেক উপকৃত হলাম। কষ্ট করে ভুলগুলো দেখিয়ে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। দেখি এখন কতটা শোধরাতে পারি...
কথোপকথন লেখায় আমার সমস্যা জানি। আসলে আমি মূলত ফিচার লিখি, মাঝে মাঝে গল্প লেখার চেষ্টা করেছি মাত্র, কিন্তু অনেক ভুল রয়ে যায়। এত বড় কাহিনী লিখতে আমার অনেক ভুল হবে, ধরেই রেখেছি। তাই মাঝে মাঝে পরামর্শ দেবেন লেখার ব্যাপারে। লাইন গ্যাপের বিষয়টা বুঝতে পেরেছি। পরের পর্বগুলোতে আশাকরি ঠিক থাকবে। তবে যেখানে অরিজিনালি লিখছেন সেখানে লাইন গ্যাপ ১.০ দিয়ে লিখুন। অরিজিনালী কথাটি ঠিক বুঝিনি...
অনুবাদের সমস্যা কতটুকু কাটাতে পারব জানিনা। চেষ্টা করছি... আশাকরি ভুল ধরিয়ে দেবেন।
অ ট: আপনি কি এ মাসের ২৭ তারিখ কোথাও ভোট দেবেন? যদি দেন তাহলে একটা ভোট চাইতাম...
অনেক শুভকামনা।
১৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় আপু,
গতদুটি পর্বের অসম্পূর্ণতা এই পর্বে সম্পূর্নতা পেল। কিন্তু বিকৃতি বা পাপাত্মার বিষয়ে মনে কিছু প্রশ্ন জাগলো।
প্রথমতঃ- ডেভিডের বাবার অতিবড় ধার্মিক আচরণের মধ্যে ওনার চরিত্রের একাধিক গোড়ামিকে লেখক তুলে ধরেছেন বলে আমার ধারণা। আগের পর্বের শেষে ও এই পর্বের শুরুতে বিকৃতি প্রাণী বা উদ্ভিদ দেখলেই কিভাবে ডেভিডের বাবা অতি সক্রিয় হয়ে তাকে নষ্ট করেন তার উল্লেখ করেছে। সেখানে কিন্তু তাদের ওয়াকনুকে অনেকেই বিকৃত প্রসঙ্গে তার বাবার মতো এতটা আগ্রেসিভ নয়।
দ্বিতীয়তঃ-তার সৎ মামা, যিনি তার বাবার খামারের পাশে আরেকটি বড় খামারের মালিক তাকেও কিন্তু তার বাবা সহ্য করতে পারেনা। এক্ষেত্রে ওয়াকনুকে যেহেতু তার বাবা একজন সচ্ছল খামারি সুতরাং অন্য কেউ তার বাবার মত আর্থিকভাবে সম্পদশালী হবে এটা বোধহয় তার বাবার কাছে একেবারে না পছন্দ। যেহেতু বিকৃতির তত্ত্বটি তার মামার ক্ষেত্রে একেবারেই অচল।
তৃতীয়ত:-প্রান্ত ভূমির মানুষদের, যাদের দেখতে মানুষের মত হলেও তারা পাপাত্মা। তারা মাঝে মাঝে এই ওয়াকনুকে হামলা করে। রিগোর সরকারি অফিসে অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা হয় নি। শক্তিতে এঁটে উঠতে না পেরে তাদের সম্পর্কে পাপাত্মার যুক্তি উপস্থাপন করেছে।আর যার পিছনে চালিকাশক্তি হিসেবে আর্থিক কতৃত্ব স্পষ্ট।
গল্পে ভালোলেগেছে,
ছোট্ট ডেভিড কীভাবে ছয় আঙ্গুলের সোফির প্রসঙ্গে তার মানবিক অনুভূতি কিম্বা মামাতো বোন রোজালিনের সঙ্গে টেলিপ্যাথিতে কথপোকথনের মাধ্যমে সব সমাজে সবসময় বাচ্চাদের সরলতা পরিস্কার। আগে একবার সোফির মা এখন আবার এক্সেল খালু যেভাবে ডেভিডের কাছ থেকে শপথ আদায় করে নিচ্ছে তাতে সমাজে প্রতি পদে পদে ভীতি শঠতা, কুসংস্কার প্রভৃতির বার্তা তুলে ধরেছে। যদিও এক্সেল খালু যে সংসারে খাওয়া দাওয়া করে সেই সংসারের প্রধান হিসেবে ডেভিডের বাবার প্রতি নৈতিকভাবে আনুগত্য প্রদর্শনে বাধ্য একথা বলা যায়।
সবশেষে বয়সন্ধি পার করে তিন কিশোর-কিশোরীর সম্পর্ক আগামীতে কোনদিকে গড়ায় তার অপেক্ষায় রইলাম।
শুভকামনা প্রিয় আপুকে।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৪
করুণাধারা বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী, আপনার দীর্ঘ সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো, আর আপনার প্লাসতো আমার জন্য অনুপ্রেরণা...
গল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন, এতে আমি গল্পের চরিত্রগুলোকে নতুন ভাবে দেখতে পারছি। যেহেতু গল্পের চরিত্ররা আমার সৃষ্টি নয়, তাই তাদেরকে আপনার আলোচনার মাধ্যমে জানা গেল সহজে। অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্যও।
১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩০
নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় আপু,
যেখানে অরিজিনালি লিখছেন সেখানে লাইন গ্যাপ ১.০ দিয়ে লিখুন। অরিজিনালী কথাটি ঠিক বুঝিনি...
আমি মোবাইল বা কম্পুটারে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে আগে লিখে এনে এই ব্লগে কপি পেস্ট করি। অরিজিনালি মানে আমি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইলের কথা বলেছি। আমার মনে হচ্ছিল আপনি সরাসরি এখানে লেখেন না। মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে প্যারাগ্রাফ ফরম্যাটে লাইন স্পেছিং ১ দিয়ে লিখুন। এই ঝামেলা শেষ!!!
অনুবাদের সমস্যা কতটুকু কাটাতে পারব জানিনা। চেষ্টা করছি... আশাকরি ভুল ধরিয়ে দেবেন।
আমি নিজেও খুব কম জানি। যতটুকু পারি সাহায্য করবো। তবে আমি এই সিরিজ প্রতিটা পর্ব পড়ে যাবো। মন্তব্য করতে হয়তো দেরী হতে পারে। করবো অবশ্যই।
অ ট: আপনি কি এ মাসের ২৭ তারিখ কোথাও ভোট দেবেন? যদি দেন তাহলে একটা ভোট চাইতাম...
আমি গত দশ বছর ধরে কোথাও কোন কাউকে ভোট দেই না। কারণ দেয়ার কোন মানে হয় না। তবে এক্সেপশন হতেই পারে। আপনি কোন জায়গায় কার ভোট লাগবে বলুন আমি আপনার জন্য দিয়ে দেবো। জিজ্ঞেসও করবো না কে। এই দেশে আমার মতো মানুষের ভোটের কোন দাম নেই। কে কাকে ভোট দিল তাতে কারও কিছু যায় আসে না।
কথোপকথন লেখায় আমার সমস্যা জানি। আসলে আমি মূলত ফিচার লিখি, মাঝে মাঝে গল্প লেখার চেষ্টা করেছি মাত্র, কিন্তু অনেক ভুল রয়ে যায়।
ডাইরেক্ট স্পিছ লেখা কঠিন। ভুলে যান এইসব আক্ষরিক অনুবাদ। একটা করে প্যারা ভাবানুবাদ করে ইন-ডাইরেক্ট স্পিছ এ প্যারা করে লিখে দিন। খুব গুরুত্বপূর্ণ না হলে আর ডাইরেক্ট স্পিছ এ যাবেন না।
ধন্যবাদ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৩
করুণাধারা বলেছেন: এই দুদিন ধরে আপনার কথাটাই ভাবলাম- অনুবাদ প্রাঞ্জল না হলে সেটা পড়া কষ্টকর হয় জানি। আমার সমস্যা হচ্ছে আমি অনেক খানি অনুবাদ করে ফেলেছি, আর আমার মনে হয়েছে কথোপকথনের ভাবানুবাদ করা সহজতর, তাই সেভাবে করেছি। আমি কথোপকথনের আক্ষরিক অনুবাদ কিন্তু করিনি।
এখন আপনি যেভাবে বলছেন সেভাবে নতুন করে লিখতে যে সময় আর শ্রম ব্যয় হবে তাতে লেখার ইচ্ছা আর থাকবে না। তার চেয়ে এখানেই সিরিজ থামিয়ে দিতে পারি... কিন্তু ভাবতে ভাবতে মনে হল, খারাপ হচ্ছে বলে লেখা বন্ধ না করে দিয়ে বরং লিখতে থাকি- হয়ত একসময় ভুলত্রুটি কমে আসবে। যেটুকু আগে লেখা সেটা ওরকম থাক, পরের পর্বগুলো নতুন ভাবে লেখার চেষ্টা করব।
বিস্তারিত মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম নীল আকাশ। শুভকামনা।
১৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৯
নীল আকাশ বলেছেন: ঠিক আছে। একটা মাত্র ভোট দেবার জন্য হলেও আমি যাবো।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪১
করুণাধারা বলেছেন: ফিরে এসে জানানোয় আরেকবার ধন্যবাদ নীল আকাশ। না, শুধু এই একটি ভোট দেবার জন্য আপনার যাবার দরকার নেই। কিন্তু আপনি দিতে চেয়েছেন, এতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত...
ও আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের সহপাঠী। আপনি আমাকে ২/১ বার জিজ্ঞেস করেছিলেন আমি কিসে পড়েছি...আমি ব্লগে বলতে চাইনি।
১৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫
ফয়সাল রকি বলেছেন: পরের পর্ব দিন।
অপেক্ষায় আছি।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫১
করুণাধারা বলেছেন: ফয়সাল রকি, দিলাম পরের পর্ব! কিন্তু পর্বগুলোকে এগিয়ে নিতে আপনাদের সাহায্য চাই। আরেকজনের ভাবনাকে ঠিকমত ধরে তা প্রকাশ করা সহজ নয়, অনেক ক্ষেত্রেই আমার ভুল হতে পারে। আশাকরি ভুল ধরিয়ে দেবেন। এমনিতে লেখা নিয়ে মনে খুঁতখুঁতুনি জাগছে, তাই পোস্ট করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি।
ভালো থাকুন।
১৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৩
সোহানী বলেছেন: খুব সহজেই গল্পের গভীরে কখন যে ঢুকেছি তা নিজেই টের পাইনি..............
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: সহজে কি গল্পের গভীরে যাওয়া যাচ্ছে!! আমি চেষ্টা করছি, কিন্তু অনুবাদে সন্তুষ্ট হতে পারছিনা...
অনুপ্রেরণা দেয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ সোহানী।
২০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪১
শামছুল ইসলাম বলেছেন: বিকৃতি ও সোফি ।
এবার রোজালিন ও এক্সেল খালু ।
ছোট ছোট ঘটনায় কাহিনি দারুণ গতিশীল।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩১
করুণাধারা বলেছেন: উত্তর দিতে এত দেরি হয়ে যাওয়ায় দুঃখিত শামছুল ইসলাম, নোটিফিকেশন পাইনি।
এই গল্প শেষ করতে আরো বেশ কিছুদিন লাগবে। আপনার মন্তব্য এবং প্লাস আমার অনুপ্রেরণা হয়ে রইল। অসংখ্য ধন্যবাদ।
২১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: গল্প ভালো লাগতেছে আপি
কখন কয়েক পর্ব গেলা গা দেখলামই না
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: এই মন্তব্য আর প্লাস অনুপ্রেরণা আমার জন্য। অনেক ধন্যবাদ ছোট বোন।
২২| ২১ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: বিকৃত সৃষ্টি মানেই পাপাত্মা - কি ভয়ঙ্কর একটি ধারণা বা বিশ্বাস!
টেলিপ্যাথি আশ্চর্যজনক হলেও, আমার মনে হয় এটা অসম্ভব কিছু নয়। এটা হতে পারে।
২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০০
করুণাধারা বলেছেন: বিকৃত সৃষ্টি মানেই পাপাত্মা ভয়ংকর কথা নিঃসন্দেহে। বিকৃত সৃষ্টিকে তারা মেরে ফেলত, এটা পড়তে খুব খারাপ লাগছিল। তারপর মনে পড়ল, কেবল মেয়ে হয়ে জন্মাবার অপরাধে বাবা নিজের সন্তানকে জীবন্ত কবর দিতেন!!!
এত ব্যস্ততার মাঝেও সময় করে আমার পোস্ট পাঠ করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অতিপ্রাকৃত দিকে মোড় নিচ্ছে কি?
এটাকি কোন অনুবাদ গল্প?
ভাল লাগছে।
++++