নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জেসিকা লালের ঘটনাটা এরকম:
জেসিকা লাল ছিলেন দিল্লির এক বারের কর্মী। ১৯৯৯ সালের এক রাতে তিনি যখন বার বন্ধ করছেন, তখন মনু শর্মা তার দুই বন্ধু নিয়ে এসে উপস্থিত হয়, এবং তাদের মদ দিতে নির্দেশ দেয়। নির্দেশ উপেক্ষা করেন জেসিকা লাল; রেগে গিয়ে জেসিকার কপালে বন্দুক ঠেকিয়ে দুবার গুলি করে তাকে হত্যা করেন মনু শর্মা। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন অনেকজন।
মনু শর্মা ছিলেন হরিয়ানার অতি প্রভাবশালী ও ধনবান, সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং-এর ঘনিষ্ঠ সহযোগী বিনোদ শর্মার ছেলে। সুতরাং মনু শর্মার বিরুদ্ধে আনা হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের তদন্ত ও বিচারে তার বাবার রাজনৈতিক ও আর্থিক প্রভাব খাটানো হয়। ফলে সমস্ত প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও দেখা গেল হত্যাকাণ্ডের বাদী জেসিকার পরিবার,(মূলত তার বোন সাবরিনা) বিবাদী মনু শর্মার পরিবারের বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারল না। ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আদালত পর্যাপ্ত প্রমাণের অভাব দেখিয়ে মনু শর্মা ও তার বন্ধুদের মুক্তি দেয়, অর্থাৎ বলা হয় জেসিকাকে কেউ মারে নি। এই রায় দেখে জেসিকার মা হার্টফেল করে মারা যান, আর তার বাবা অসুস্থ হয়ে আই সি ইউ তে ভর্তি হন। দীর্ঘকাল শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়াই করে হেরে যাওয়া সাবরিনা নীরবে দূরে চলে যায়।
কিন্তু সাধারণ জনগণ এই রায়ের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়ে, ফলে আবার নতুন করে তদন্ত শুরু এবং দ্রুত বিচার হয়। ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাসে বিচার শেষ হয়, এবার মনু শর্মার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় হয়।
রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে কিভাবে সমস্ত প্রমাণ লোপাট করে হত্যার অভিযোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, এই ঘটনায় তার বিশদ বিবরণ মেলে। এই ঘটনা নিয়ে পরে "No one killed Jessica" নামে চলচ্চিত্র তৈরি হয়।
এমন ঘটনার বাংলাদেশী ভার্সনও আছে, অর্থাৎ দীর্ঘ কাল বিচারকাজ চলার পর রাজনৈতিক প্রতিপত্তিশালী হত্যাকারী বেকসুর খালাস পেয়ে যায়, যেমন বুশরা হত্যার ঘটনা। জেসিকা হত্যার এক বছর পর, ২০০০ সালে রূশদানিয়া ইসলাম বুশরাকে ধর্ষণের পর খুন করা হয় তার নিজের বাড়িতে, নিজের ঘরে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে দেখা যায় প্রধান সন্দেহভাজন বুশরার চাচা এম এ কাদের, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের কারণে নিরীহ বুশরা খুন হয়েছে। কাদের ছিলেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা, ফলে তদন্ত কাজ ঢিমেতালে আগাতে থাকে। কিন্তু মিডিয়ায় বার বার ফলো আপ আসতে থাকে, ফলে পুলিশ কাদেরকে রিমান্ডে নেয় এবং হত্যাকাণ্ডে তাকে সহযোগিতার দায়ে গ্রেপ্তার করে কাদেরের স্ত্রী রুনু কাদের এবং দুই শ্যালক শওকত ও কবীরকে। শোকসন্তপ্ত বুশরার বাবাও তিন বছর পর মারা গেলেন, তখন তার মা বিচারের আশায় একাই লড়ে গেছেন। ২০০৩ সালের ৩০শে জুন নিম্ন আদালত কাদেরসহ তিনজনকে মৃত্যুদন্ডের এবং রুনুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। মামলা যায় হাইকোর্টে। ২০০৭ সালের ২৯শে জানুয়ারি হাইকোর্টে আপিলের রায়ে কাদেরের ফাঁসি ও রুনুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকে, বেকসুর খালাস পায় শ্যালকদ্বয় শওকত ও কবীর। এই রায়ের বিরুদ্ধে দুই পক্ষই সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে রায় হয় ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর; রায়ে কাদের ও রুনু খালাস পান, অর্থাৎ বুশরা খুন হলেও কোন খুনী নেই, No one killed Bushra...
দীর্ঘ ষোল বছর মেয়ের হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে লড়াই করার পর যখন বুশরার মা দেখলেন এই
হত্যাকাণ্ডের কোন খুনী পাওয়া গেল না, তিনি বললেন,
" - - - তাহলে বুশরাকে খুন করলো কে? আমার তো মনে হয়, বুশরা নামে কখনো কেউ ছিল না..." view this link
একই ভাবে বলা যায়, আবু বকরকে কেউ খুন করেনি!! ৩ ফেব্রুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আবু বকরের মৃত্যুর দশ বছর পূর্ণ হল। ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী ছাত্র লীগের গোলাগুলি চলাকালীন হলে নিজের ঘরে বসে পড়ছিল মেধাবী ছাত্র আবু বকর। দরিদ্র পরিবারের এই ছেলেটিকে নিয়ে মা-বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তার মা তিন বছর মাথায় তেল না দিয়ে জমিয়েছিলেন। আবু বকরের স্বপ্ন ছিল শিক্ষক হবার, সে তার শ্রেণীতে সর্বোচ্চ সিজিপিএ পেয়েছিল। মাথার ভেতর একটি বুলেট ঢুকে তার সমস্ত স্বপ্ন ও সম্ভাবনার সমাপ্তি টেনে দেয়...
২৬ জানুয়ারি, ২০১৮ এর প্রথম আলোর খবরের শিরোনাম, "আবু বকরকে কেউ খুন করেনি।" কারণ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের দশ নেতা-কর্মীর সবাই বেকসুর খালাস পান। রাষ্ট্রপক্ষ এ নিয়ে আর আগায় নি, এমনকি আবু বকরের পরিবারকে রায়টাও জানায়নি। view this link
আবু বকর হত্যার দশ বছর কেটে গেছে। তার পরিবার সম্ভবত মেনে নিয়েছে এই অবিচার। আবু বকরের ভাই বলছে,
"- - - বিশ্ববিদ্যালয়ই একমাত্র স্থান, যেখানে কোনো ছাত্র হত্যার বিচার ঠিকমতো হয়নি।"
" আমার ভাই আবু বকর হত্যার সুষ্ঠু বিচার পাইনি। আমরা জানতে চাই, আমার ভাই আবু বকরের খুনি কে?" view this link
আরো দশ বছর অপেক্ষা করলেও কি আবু বকরের প্রিয়জনরা জানতে পারবে খুনি কে? বরং তারা ভেবে নিক না,আবু বকর বলে কেউ ছিলই না...
মরাল: রাজনৈতিক প্রতিপত্তিশালী কেউ যদি সাধারণ জনগণের কাউকে খুন করে, তবে বুঝে নিতে হবে বিচার শেষে কোন খুনী পাওয়া যাবে না; এক্ষেত্রে নিহতের সম্পর্কে ভেবে নিতে হবে, আসলে এমন কেউ কখনোই ছিল না।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১১
করুণাধারা বলেছেন: এটা লেখার জন্য খুব ভালো বিষয় না, নেগেটিভ ভাবনা এড়িয়ে চলতেই চাই, এমন লেখা আগেও লিখে পরে মুছে দিয়েছি, তারপরও লেখাটা পোস্ট করলাম। পত্রিকায় আবু বকরের কথা পড়ে গেল সেসময় পত্রিকায় পড়েছিলাম ছেলেটা কী ভীষণ অভাবের সাথে লড়াই করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছিল... ছেলেটা খুন হল, অথচ একজনও খুনি নেই!! এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া খুব দরকার।
আপনার মন্তব্য আর প্লাস আমার অনুপ্রেরণা, অনেক ধন্যবাদ শের শায়রী।
২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৬
নীল আকাশ বলেছেন: চিন্তা করবেন না। কয়েকদিন পরেই শুনবেন-
১. No one killed biswajit
২. No one killed abrar
৩. No one killed democracy
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৯
করুণাধারা বলেছেন: এক নাম্বার ইতিমধ্যেই শুনেছি, দুই নাম্বার শোনার আশঙ্কা করি, আর তিন নাম্বার- যার অস্তিত্বই নেই তাকে কি করে মারা সম্ভব!!!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ নীল আকাশ।
৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৭
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: এইদেশে কোনো খুন খারাবী হয় না। বিশেষ করে এখন যারা ক্ষমতায় আছে তাদের রাজ্যে খুনের অভিযোগ করার মতো অনেক মাতালই আছে। না, মাতাল না। এই দেশে মদ পান বিক্রি আমদানি নিষিদ্ধ। যারা খুনের অভিযোগ করে তারা সুস্থ নয়। আসলে সাগর রুনি, তনু, বুশরা বা আবু বকর যাই বলেন না কেন, এগুলা পাগল সাংবাদিক আর পাগল ব্লগারদের সৃষ্ট গুজব। সরকারি লোকজন বলেছে গুজবে কান দিবেন না।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: যারা খুনের অভিযোগ করে তারা সুস্থ নয়। আসলে সাগর রুনি, তনু, বুশরা বা আবু বকর যাই বলেন না কেন, এগুলা পাগল সাংবাদিক আর পাগল ব্লগারদের সৃষ্ট গুজব।
ঠিকই বলেছেন। তনু, আবু বকর নামে কেউ ছিল না! তবে সাগর রুনি যেহেতু মিডিয়ার মানুষ ছিল, আমাদের ব্লগেও ছিল তাই তাদের অস্তিত্ব এত সহজে অস্বীকার করা যাচ্ছে না। তাদের খুন সম্পর্কে যে তত্ত্ব দেয়া হয়েছে, 'সাগর প্রথমে ছুরি দিয়ে রুনিকে খুন করে নিজের পেটে ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যা করে' এই তত্ত্বটাই মনে হচ্ছে শেষ পর্যন্ত মেনে নেব আমরা সবাই।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জুলিয়ান সিদ্দিকী।
৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০৮
ধ্রুব অন্যকোথাও বলেছেন: আইন এর শাসন এর এত অভাব দেশে।অবাক ও হই না আর
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪০
করুণাধারা বলেছেন: আইন এর শাসন এর এত অভাব দেশে।অবাক ও হই না আর
ঠিক বলেছেন। কিন্তু অবাক না হলেও মাঝে মাঝে খুব দুঃখ বোধে আক্রান্ত হই।
আমার ব্লগে আপনাকে প্রথম পেলাম ধ্রুব অন্যকোথাও, শুভকামনা রইল।
৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪১
নতুন বলেছেন: মানুষের জীবন খুব সস্তা আমাদের দেশে।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: মানুষের জীবন খুব সস্তা আমাদের দেশে। সেজন্যই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন এত মানুষের প্রাণ যায়, বাসযাত্রী মেয়েকে ধর্ষণ করে ঘাড় মটকে রাস্তায় ফেলে দেয়, মোবাইল ফোনের জন্য সিএনজি যাত্রীকে মেরে ফেলে- আমরা গভীর উদাসীনতায় শুধু দেখে যাই...
আমরা কি কখনো বিচার চেয়েছি?
৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: এই কাহিনি নিয়ে একটা মুভি হয়েছে ইন্ডীয়াতে। মুভিটা আমি দেখেছি।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: আমি অবশ্য মুভিটা দেখিনি। শুনেছি অনেক গুলো পুরষ্কার পেয়েছে মুভিটা।
শুভকামনা রইল রাজীব নুর।
৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
করুণাধারা আপা,
কি লিখেছেন? ২০২০ সনে এখন পর্যন্ত ব্লগে যা লেখা হয়েছে তার মধ্য অন্যতম একটি লেখা। নো ওয়ান কিল্ড - এটি চলমান ছিলো, চলমান থাকবে, চলমান থাকতে হবে - - - - - - - আমি ইতিহাস দেখা মানুষ আমি এর সত্যতা জানি।
বুশরা, নুশরাত, আবু বকর এরা কারা এই প্রথম ও শেষবারের মতো নাম শুনলাম!
না এই নামগুলো আমার মনে থাকবেনা।
- কি বুঝলেন?
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৬
করুণাধারা বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ ভাই, আপনার থেকে এমন প্রশংসা পেয়ে আপ্লুত হলাম, আপনার লাইক দেয়ায় অনুপ্রাণিত! অনেক ধন্যবাদ।
বিচারহীনতার এই সিস্টেম আমরাই তৈরি করেছি। আমরা যারা প্রতিবাদ করতে পারতাম তারা প্রতিদিন ক্লান্ত ও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ি নুন ভাত জোটাতে, ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় বসে থেকে। তাই তো আমরা মনে করি,
বুশরা, নুশরাত, আবু বকর এরা কারা এই প্রথম ও শেষবারের মতো নাম শুনলাম!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
নীল আকাশ বলেছেন: No one killed democracy
নীল আকাশ ভাই, বাংলার মাটিতে কোন সনে ডেমোক্রেসি ছিলো আমাকে বলুন প্লিজ, আমার সত্যি সত্যি জানা নেই এই দেশে কখনো ডেমোক্রেসি নামক কিছু ছিলো, হ্যাঁ বই পুস্তকে এই শব্দটি পড়েছি তবে এর সাথে আমি পরিচিত নই। যা নেই - কখনো ছিলোনা তা কিভাবে হত্যা হয়? - প্রশ্নটির উত্তর সমানভাবে করুণাধারা আপার কাছেও জানতে চাচ্ছি।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৯
করুণাধারা বলেছেন: No one killed democracy- কথাটা নীল আকাশ বলেছেন, আপনার প্রশ্নের উত্তর তিনিই ভাল দিতে পারবেন।
আমার ডেমোক্রেসি সম্বন্ধে জ্ঞান তিনটা বাক্যে সীমিত- Govt. of the people, by the people, for the people. জনগণের সরকার, জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার আমরা পেয়েছি, কিন্তু জনগণের (কল্যাণকামী) জন্য সরকার কখনো পাই নি। জনগন কেবল ব্যবহৃত হয়েছে ক্ষমতায় আরোহনের সিঁড়ি হিসাবে। আর এখন, ক্ষমতায় আরোহনের জন্য জনগনের আর কোন দরকার হয় না...
৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৩৩
নিভৃতা বলেছেন: একটা কথা আছে, পিপীলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয়। আমাদের দেশে অবিচার অনাচারের পাল্লাটা দিন দিন ভারী হয়ে পড়ছে। সামনে কোন অশুভ দিন আসছে কে জানে। তবুও শুভ কিছুর আশায় পথ চেয়ে থাকি।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৩
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্য খুব ভালো লাগলো নিভৃতা।
আসলেই, যেদিকে তাকাই কেবল অন্যায়ের সাথে আপোষ আর অবিচার। তবু, হতাশায় তলিয়ে যাবার চাইতে আশায় বুক বাঁধা ভালো...
১০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: কোন খুনের বিচারই এই দেশে হয় না।খুনের সাথে যদি সরকারী দলের কেউ জড়িত থাকে তবেতো বিচারের প্রশ্নই উঠে না। আর যদি খুনী সাধারন কেউ হয়, তবেও অসুবিধা নেই। তখন সেটা হয়ে দাঁড়ায় ব্যবসা। কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয় এই ব্যবসায়।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৮
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশ আর কোট করলাম না, এটা সবাই জানে। আর যদি খুনী সাধারন কেউ হয়, তবেও অসুবিধা নেই। তখন সেটা হয়ে দাঁড়ায় ব্যবসা। কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয় এই ব্যবসায়। এই কথাটা একেবারেই মনে ছিলনা, একটা বড় সত্যি মনে করিয়ে দিয়েছেন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ঢাবিয়ান।
১১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: @ ঠাকুরমাহমুদ , ''ডেমোক্রেসী এই দেশে কখনই ছিল না'' সেটা একটা পুরোপুরি ভুল কথা। এরশাদ এর পতনের পর যে গনতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সেটা হয়ত প্রকৃত ও কার্যকরী গনতন্ত্র ছিল না কিন্ত তারপরেও গনতন্ত্র ছিল। মানুষের এটলিস্ট একদলের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে আরেক দলকে বেছে নেয়ার অধিকার ছিল। আর এই কারনেই আজকের আওয়ামিলীগ যে অসমশক্তিশালী দানবে পরিনত হয়েছে সেটার সুযোগ সেই পিরিয়ডে ছিল না।
আগে যারা লুটপাঠ করত তাদের ভেতর একটু ভয় কাজ করত যে ক্ষমতা হারালে খবর আছে। কিন্ত এখনকার লুটেরারা ভয়ডরের উর্ধে উঠে গেছে। কারন ক্ষমতা আর হারানোর ভয় নাই।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: আগে ডেমোক্রেসি কি তা বুঝতে হবে। ভারতের উদাহরণ টানতে পারি, দেখুন জেসিকার খুনি এত প্রভাবশালী হওয়া সত্ত্বেও শাস্তি হয়েছে, কারণ জনগণ শাস্তির দাবি জানাতে পেরেছে। একি ভাবে, নির্ভয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে জনগণ রাস্তায় নেমে আসে। ফলে দায়ী বাস ড্রাইভার ও অন্যদের শাস্তি হয়।
আমাদের দেশে এমন ঘটনা ঘটতে দেখিনি।
১২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ঢাবিয়ান ভাই, আপনি বলছেন এই কথা? আওয়ামী লীগ বিএনপি জামাত এই তিনটি ভগ্নদল মিলে একটি পূর্ণাঙ্গ দল এখন তাদের নিজেদের মধ্য ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ভয়ঙ্কর কলহ চলছে। বিএনপি আওয়ামী লীগের মাঝে কোনো পার্থক্য আছে? - না নেই।।
ঢাবিয়ান ভাই ডেমোক্রেসি সম্পর্কে আমরা অভিধান বই পুস্তকে পড়ে থাকি যার বাস্তবতা সম্পর্কে আমাদের ধারণা নেই। এই দেশে কখনো ডেমোক্রেসি ছিলো না। ১৯৯০ - ১৯৯৫ সন সেইদিনের কথা মাত্র পঁচিশ বছর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের তাবত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অস্ত্রাগারে পরিনত হয়েছিলো। কতো আবরার গুম হয়ে গেছে কেউ জানে না। - দুঃখিত তখন ফেসবুক ও ব্লগ ছিলো না। ঢাকায় কিছু হলে নারায়নগঞ্জের মানুষ জানতো না। ঢাকা থেকে সিলেট অর্থ ঢাকা থেকে লন্ডন! (ভৌগলিক দুরত্ব ও মানুষের যোগাযোদ দুরত্ব বুঝাতে চেয়েছি)
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৯
করুণাধারা বলেছেন: ঢাবিয়ানের জন্য অপেক্ষা....
১৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নীল আকাশ আর ঢাবিয়ান-এর কমেন্টে প্লাস। ঠাকুর ভাইয়ের আলোচনাও গঠনমূলক।
কাদের ও রুনুর খালাসের অংশ পড়ার পরই ইন্সট্যান্টলি যে কথাটা মনের ভেতর জেগে উঠলো, তার পরের লাইনে দেখি বুশরার মা-ই সে কথাটি বলে ফেলেছেন- বুশরা বলে কেউ ছিল না।
সাগর রুনি বলেও কেউ ছিল না এদেশে।
সব মিলিয়ে শুধু রাজনৈতিক প্রভাব ও অর্থবিত্তের দাপটই যে প্রকট হয়ে ওঠে তা না, আমাদের বিচার ব্যবস্থা ও নৈতিক অধঃপতনেরও এটা একটা উলঙ্গ ও ভয়ঙ্কর সূচক।
পোস্টটা পড়তে পড়তে খুব উত্তেজনা বোধ করছিলাম। সেই উত্তেজনা কার বিরুদ্ধে বা কীজন্য, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারবো না- তবে, বুকের ভেতর হয়ত একটা শব্দই খুব তোলপাড় করছিল- হায় নৈরাজ্য! হায় অরাজকতা!
এত সিরিয়াস কথার মধ্যেও একটা ফান কথা বলে শেষ করি।
ব্লগার করুণাধারা No one killed Jessica, বুশরা বলে সত্যি কি কেউ ছিল? আবু বকরকে খুন করল কে... শীর্ষক কোনো পোস্ট লেখেন নি।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮
করুণাধারা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই।
সব মিলিয়ে শুধু রাজনৈতিক প্রভাব ও অর্থবিত্তের দাপটই যে প্রকট হয়ে ওঠে তা না, আমাদের বিচার ব্যবস্থা ও নৈতিক অধঃপতনেরও এটা একটা উলঙ্গ ও ভয়ঙ্কর সূচক।
নৈতিক অধঃপতনের নিত্যনতুন কত নমুনা দেখতে পাচ্ছি!! ভাবলে দমবন্ধ হয়ে আসে। যদি কোন হরর মুভিতে কখনো দেখতাম, একদল তরুণ মিলে তাঁদের মত এক তরুণকে পেটাতে পেটাতে ক্ষুধার্ত হয়ে বিরিয়ানি খেতে গেল, তারপর নতুন উদ্যমে আবার পেটাতে শুরু করে তাঁকে মেরেই ফেলল, আর নিহত তরুণের চামড়ায় জমাট রক্ত দেখে উকিল বলেছেন এগুলো চর্মরোগ- তবে আমি নিশ্চয়ই বলতাম, মুভিতে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে... অথচ বাস্তবে তাই দেখছি। এইসব কিছু মাথায় ঘুরতে থাকে, মাঝে মাঝে লিখে হালকা হই তারপর সে লেখা ডিলিট করি। এই লেখাটা দেয়া হয়ত ঠিক হয়নি।
মনে হচ্ছে যে কথাটা আপনার মনে হচ্ছিল ফান হিসাবে, সিরিয়াস হয়ে যাবে বলে সে কথাটা বলেননি। কথাটা এই, "করুনাধারা বলে কোন ব্লগার কখনো ছিল না।"
ভালো থাকুন, শুভকামনা।
১৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৩
নীল আকাশ বলেছেন: ১১. ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫ ঢাবিয়ান বলেছেন:
ঊনি যা বলেছেন তার পরে কিছু বলার মানে হয় না। তাও যখন আমাকে বলতে বলেছেন তাই-
স্বৈরাচারী এরশাদের পতনের এইদেশে বহুদিন পরে আবার বহুদলীয় গনতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিল বিএনপি। যা ২০০৮ সাল পর্যন্ত এই দেশে ছিল। তৃতীয় বিশ্বের একটা দেশ হিসেবে ছোটখাট কিছু ভুল বাদ দিলে অন্তত এই দেশে সাধারণ ভোটারদের ভোটাধিকার ছিল। নিজের ভোট নিজে দিতে পারতো। কিন্তু এরপর থেকে এই বহুদলীয় গনতন্ত্র এর গলা টিপে নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করা হয়েছে বাকশালী শাষন প্রতিষ্ঠা করার জন্য।
কেউ যদি বলে এইদেশে বহুদলীয় গনতন্ত্র ছিল না সে আসলে ইনডাইরেক্টলি বাকশালীদের ইচ্ছাকেই প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: আমি রাজনৈতিক পোস্ট এড়িয়ে চলি, অথচ আমার পোস্ট কি রাজনৈতিক পোস্ট হয়ে গেল!!!
১৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৫
জুন বলেছেন: আর নারায়ণগঞ্জ এ যে সাত খুন হলো তার বিচার করুনাধারা! নাকি পানিতে ফুলে ওঠা সেই লাশগুলো মরে নি!! আরো অনেক অনেক মানুষ যা পত্রিকার পাতা খুল্লেই চোখে পরে।
ইউরোপের ইতিহাস পড়াতে গিয়ে স্যার একটা ফ্রেইজ বারবার বলতেন "জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড "। তখন মর্মটা না বুঝলেও এখন হাড়ে হাড়ে বুঝি। কত মা বাবা ভাই বোন তাদের প্রিয়জনদের হত্যার বিচার চেয়ে নীরবে নিভৃতে চোখের পানি ফেলছে তার খবর কে রাখে। শুধু আশ্বাসের উপর ভর করে করে তাদের জীবন সায়ানহে শুনছে "তুমি যার খুনের বিচার চাইছো সে মরে নি"। তবে লাশটা কার???
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৯
করুণাধারা বলেছেন: ন "জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড "। বিচার কাজ এত দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে যে, একসময় তা মানুষের মন থেকে মুছে যায়, তখন হয় জাস্টিস ডিনাইড, বিচারের নামে প্রহসন করে রায় দেয়া হয়। তখন নিহতের পরিবার আল্লাহর হাতে বিচারের ভার ছেড়ে দেয়।
নারায়ণগঞ্জ এর সাত খুন- আমি এটার কথা ভুলেই গেছিলাম! কত বছর হল? এত বছরেও বিচার হলো না! রুবেল নামের একটা ছেলের কথা মনে পড়ছে, '৯৮ সালে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পেয়ারা খাচ্ছিল, মিথ্যা অভিযোগে তাকে ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলল, অথচ এই ঘটনায় কারো শাস্তি হলো না... বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি গড়ে উঠছে তাতে ভবিষ্যত নিয়ে কেবল শঙ্কিত হই।
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ জুন।
১৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ভাই, করুণাধারা আপা এমন একটি পোষ্ট দিয়েছেন এক বরফ শীতল রাগ অনুভব করছি, কার উপর এই রাগ? বরফ শীতল বলেই জমাট বেঁধে আছে তাই বলা সম্ভব হচ্ছে না।
না করুণাধারা আপা Jessica, বুশরা বিষয়ে কিছু লিখেছেন বলে মনে করতে পারছিনা। দুঃখিত।।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৩
করুণাধারা বলেছেন: এই পোস্ট দেবার পরিনতি এমন হবে বলে বুঝিনি ঠাকুর মাহমুদ ভাই। আশাকরি কোন রকম রাগ মনে রাখবেন না। ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা রইল।
১৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩০
ঢাবিয়ান বলেছেন: এশা -সোহাগের বিয়ে আজ
কে এই এশা আশাকরি ভুলে যায়নি কেউ। আজকে যদি মানূষের ভোটাধিকার থাকতো তাহলে এই এশাদের স্থান হত জেলখানায় নাহয় আস্তাকুড়ে। আমাদের সময়ে ঢাবির কুখ্যাত ক্যডারদের দেখেছি ক্ষমতা হারানোর সাথে সাথে কি করুন পরিস্থিতির শিকার হতে হত। বিএনপি আওয়ামিলীগ একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ আবার তারা একে অপরের বিড়াট শত্রুও বটে। এই কারনে ভোটাধিকার থাকলে দুই দলের এইসব আবর্জনাদের নিকাশ হতেও সময় লাগে না। বাংলাদেশের কুৎসিত রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এটাই গনতন্ত্রের সুফল। প্রকৃত গনতন্ত্রের সংজ্ঞা এই দেশের জন্য প্রযোয্য নয়। এটা কেবল স্বপ্নেই দেখা সম্ভব , বাস্তবে কোনকালেই নয়। তাই সেটার আশাও কেউ করে না।
নীল আকাশের সাথে একমত যে কেউ যদি বলে এইদেশে বহুদলীয় গনতন্ত্র ছিল না সে আসলে ইনডাইরেক্টলি বাকশালীদের ইচ্ছাকেই প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:২৫
করুণাধারা বলেছেন: আজকে যদি মানূষের ভোটাধিকার থাকতো তাহলে এই এশাদের স্থান হত জেলখানায় নাহয় আস্তাকুড়ে। শুধু ভোটাধিকার? বাক- স্বাধীনতার অবস্থা কী? এদেশে প্রবল আন্দোলন গড়ে ওঠে, তারপর কী হয়? বলতে হয়, "কোন আন্দোলন হয়েছিল নাকি?" উদাহরণ, দুর্নীতির কারণে জাবির ভিসির পদত্যাগের জন্য আন্দোলন।
১৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪২
শার্লক_ বলেছেন: এই দেশ নিয়ে আমি কোন আলো দেখি না। আমার সন্তানদের জন্য কষ্ট হয়, নষ্ট একটা দেশ রেখে যাচ্ছি ওদের জন্য। সেই সিনহা তার প্রাপ্য এখনো পুরোপুরি পায়নি।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩২
করুণাধারা বলেছেন: শার্লক_, আমার ব্লগে আপনাকে প্রথম বার পেলাম- ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
এই দেশ নিয়ে আমি কোন আলো দেখি না। আমার সন্তানদের জন্য কষ্ট হয়, নষ্ট একটা দেশ রেখে যাচ্ছি ওদের জন্য। সেই আমিও কোন আশা দেখি না। ঠিক করেছি বৃদ্ধাশ্রমে থাকব, তবু আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করার জন্য সন্তানদের দেশে থাকতে বলব না।
সিনহা বিষয়ে যে কথাটা আমার মনে ছিল আপনি তাই বলেছেন। এমন রায় উনি কীভাবে দিলেন!
১৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দ্বিতীয় সরকার (ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ)
১৯৯৬ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ১৯৯১ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত গণতন্ত্রকে অনেকটা হুমকির সম্মুখে ঢেলে একদলীয় নির্বাচন করে ২য় বারের মত সরকার গঠন করে। এই সরকারের মেয়াদ ছিল মাত্র ৪৫ দিন।
এখানে দুই দলের বাংলাদেশ দখল ও ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে কলহ ও প্রতিশোধ চলছে। এটি গণতন্ত্র না। গণতন্ত্রের নামে রাজাকারের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা চড়েছে। এটি বোঝার জ্ঞান না থাকলে হযরত বিএনপি ও হযরত আওয়ামী লীগ থাকবে। খাম্বা ও নৌকা নিয়ে যান। আমি খাম্বাদল ও নৌকালীগ করি না।
No one killed Jessica
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: দুই দল মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।
২০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
একই মন্তব্যর দুইভাগ সম্পূর্ণ বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে এটি কিভাবে সম্ভব - একটি দ্রুতগামী চলন্ত বাসের ডি১ সিটের যাত্রী সিলেট যাবেন আর ডি২ সিটের যাত্রী রাজশাহী এটিও সম্ভব?
ঢাবিয়ান বলেছেন:
১ম ভাগ: বিএনপি আওয়ামিলীগ একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ আবার তারা একে অপরের বিড়াট শত্রুও বটে। এই কারনে ভোটাধিকার থাকলে দুই দলের এইসব আবর্জনাদের নিকাশ হতেও সময় লাগে না। বাংলাদেশের কুৎসিত রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এটাই গনতন্ত্রের সুফল। প্রকৃত গনতন্ত্রের সংজ্ঞা এই দেশের জন্য প্রযোয্য নয়। এটা কেবল স্বপ্নেই দেখা সম্ভব , বাস্তবে কোনকালেই নয়। তাই সেটার আশাও কেউ করে না।
২য় ভাগ: নীল আকাশের সাথে একমত যে কেউ যদি বলে এইদেশে বহুদলীয় গনতন্ত্র ছিল না সে আসলে ইনডাইরেক্টলি বাকশালীদের ইচ্ছাকেই প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: কি বলব বুঝতে পারছি না। ভালো থাকুন শুধু, এটুকুই কামনা।
২১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
জেসিকা হত্যা আলোচিত একটি ঘটনা। কিন্তু অপরাধীরা পার পেয়ে যায় ক্ষমতার দাপটে । তাইতো আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধ্য হয় মানুষ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: এই বিচারহীনতা চলতে থাকলে জাতির সামনে অমানিশার অন্ধকার!
২২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সাগর-রুনী, তনু-কেও কেউ হত্যা করেনি...
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডে একটা থিওরি দেয়া হয়েছে। সেখানে খুনি সাগর, রুনিকে পেটে ছুরি ঢুকিয়ে হত্যা করে সে নিজের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে আত্মহত্যা করে!! দেখি তনুকে নিয়ে কি থিওরি আসে!!
২৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি অবশ্য মুভিটা দেখিনি। শুনেছি অনেক গুলো পুরষ্কার পেয়েছে মুভিটা।
শুভকামনা রইল রাজীব নুর।
মুভিটা দেখে নিবেন। ভালো লাগবে। ইউটিউবে আছে।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: তথ্যটা দেয়ায় অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর। শুভেচ্ছা।
২৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
মনে হচ্ছে যে কথাটা আপনার মনে হচ্ছিল ফান হিসাবে, সিরিয়াস হয়ে যাবে বলে সে কথাটা বলেননি। কথাটা এই, "করুনাধারা বলে কোন ব্লগার কখনো ছিল না।"
Min reader! Seriously telling you, I attempted to write exactly so, but it would sound too harsh and cruel and pathetic, thus avoided, though it got imprinted at the end.
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: আবার ফিরে আসায় ধন্যবাদ সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই। আমি খুবই ভীতু মানুষ, নিজের এবং সন্তানদের নিয়ে খুব ভয়ে থাকে পাছে কিছু বেফাঁস বলে বিপদ ডেকে আনি কি-না।
আশাকরি আপনাদের দোয়ায় নিরাপদেই থাকব।
২৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: Mind reader
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: বুঝতে পেরেছি।
২৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রচিলত ডেমোক্রেসি সম্বন্ধে জ্ঞান তিনটা বাক্যে সীমিত- Govt. of the people, by the people, for the people.
আর বাস্তবে যে রুপে পাই তা হলো gvt. off the people, buy the people, far the people.
জনগন কেবল ব্যবহৃত হয়েছে ক্ষমতায় আরোহনের সিঁড়ি হিসাবে।
আর এখন, ক্ষমতায় আরোহনের জন্য জনগনের আর কোন দরকারই হয় না...
স্বৈরাচারিতার মধ্যগগনে দাড়িয়ে চেতনা আর উন্নয়নের দোহাই দিয়ে মৌলিক মানবিক অধিকার আর সংবিধানিক অধীকার কেড়ে নেয়ার মাহেন্দ্রক্ষনে এই বাক্যই তো পরম সত্য! No one killed Jessica,
বুশরা বলে সত্যি কি কেউ ছিল?
আবু বকরকে খুন করল কে?
সাগর রুনি কে? ............. নামের তালিকা প্রলম্বিত হতে থাকে ক্রমশ!!!
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৯
করুণাধারা বলেছেন: ভৃগু, এই পোস্ট দিয়ে বড় লাভ হল, নতুন একটা জিনিস শিখতে পারলাম- gvt. off the people, buy the people, far the people. এটা আপনার বা অন্য যার আবিষ্কারই হোক না কেন, চমৎকার কথা...
একটা কথা মনে হচ্ছে, গত বছরের ১৮ ( সম্ভবত) ফেব্রুয়ারি সামু বন্ধ হয়েছিল। তখনো হয়ত কেউ বলে দিতেন, সামু বলে কিছু ছিল না। একথা বলতে পারেননি কারন এই অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে ব্লগাররা প্রতিবাদী হয়েছিলেন।
যে মানুষ গুলো বিচার পায়না, তাদের পাশে দাঁড়াবার জন্য কাউকে পায় না, তাই বিচারহীনতা বেড়ে যাচ্ছে।
২৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১২
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
লেখায় দুঃখ প্রকাশের সাথে সহমর্মিতা জানানো ছাড়া আর কি
করার আছে? ন্যায় অন্যায় সাথে দেশের প্রশাসন ও আইন যেনো মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ । তাই আর কিছুই বলার নেই।
আর বিচার বিভাগ ?
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: একরাশ হতাশা। রক্ষক যদি ভক্ষক হয়, বিচারক যদি অর্থের বিনিময়ে অন্যায় করে, তবে মানুষের মনে স্বস্তি থাকে না, সমাজে মাৎস্যন্যায় অবস্থা জাঁকিয়ে বসে।
সন্তান চিরদিনের মত হারানোর চেয়ে বড় ব্যথা আর নেই। এরপর যদি দেখতে হয় সন্তানের হত্যাকারী বেকসুর খালাস পায়- তবে তা মা-বাবার জন্য বড় কষ্টকর হয়।
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ মুক্তা নীল, শুভেচ্ছা।
২৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১২
নতুন বলেছেন: গনতন্ত্রের জন্য চাই শিক্ষিত জাতি। আমাদের জনগনে দিয়ে গনতন্ত্র চলার মতন নেতা নিবাচন সম্ভব না।
এখানে লোভী মানুষ ভোট বিক্রি করবে।
ক্ষমতাবানেরা অস্রদিয়ে ভয় দেখাবে।
দূনিতিবাজেরা অন্যায় করবে মানুষবে বোকা বানাবে।
তাই দেশে আসলে ভালো একজন লোক দরকার যে একনায়ক হয়ে ভালো কিছু মানুষকে সাথে নিয়ে দেশ ১০ বছর শাসন করবে।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৫
করুণাধারা বলেছেন: গনতন্ত্রের জন্য চাই শিক্ষিত জাতি একমত, কিন্তু আমাদের নেতাদের মধ্যে কতজন শিক্ষিত বলুন। অথচ সমস্ত সিদ্ধান্ত এরাই নেন।
আমার মনে হয় সর্বগ্রাসী দুর্নীতির কারণে আমাদের অবস্থা কেবলই হীনতর হচ্ছে। আমাদের দরকার একজন সৎ নেতা।
আবার ফিরে আসায় অনেক ধন্যবাদ নতুন।
২৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:৫৮
আনমোনা বলেছেন: এ লেখা নিয়ে কিছু বলবনা, শেষে নিজের অস্তিত্ব নিয়েই টানাটানি পরে যাবে।
কিন্তু আপু, 'নতুন জীবন' কোথায়?
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: ঠিক। এসব নিয়ে মন্তব্য না করাই ভালো...
তবে নতুন জীবন নিয়ে মন্তব্য চাই- মনরাখা মন্তব্য নয় বরং ভুল ধরিয়ে দেয়া মন্তব্য। লেখা নিয়ে মনে কেমন খুঁতখুঁতুনি জাগছে, তাই পোস্ট করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি।
৩০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বাতাস সবসময় একদিকে বয়ে চলে না।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৪
করুণাধারা বলেছেন: হতে পারে; তা সেই বাতাস কি আপনাকে কোনদিকে বয়ে নিয়ে গিয়েছিল?
বহুদিন পর আপনাকে দেখে খুব খুশি হলাম। তাই মন্তব্য করা স্থগিত করে উত্তর করতে এলাম।
৩১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৭
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমরা বিভিন্ন বাতাসে ভেসে যাই, মেতে উঠি। তারপর আবারো সেই দৌড়। সময় কথা বলে।
০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২৯
করুণাধারা বলেছেন: আবার হাওয়া!!!
৩২| ০২ রা মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২২
আমি তুমি আমরা বলেছেন: এদেশে আবু বকর হত্যাকান্ডের বিচার আশা করে লাভ নেই। প্রথম আলোতে তার ভাইয়ের লেখাটা পড়েছিলাম, খুব খারাপ লেগেছিল। ইতিহাস তৈরী করা একজন ছাত্র এভাবে নিজের হলে খুন হয়ে গেল-হায়রে ন্যায়বিচার ...
০৭ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০৫
করুণাধারা বলেছেন: এদেশে আমজনতার কেউ খুন হলে বিচারে হত্যাকারীর সাজা হওয়ার ঘটনা বিরল। মনে হয় নিহতের স্বজনরা শেষ পর্যন্ত তাদের প্রিয়জনকে ভোলার চেষ্টা করেন এই বলে, 'অমুক নামে আমার কেউ কখনও ছিল না।"
এই লেখাটা শুরু করেছিলাম আবু বকরের কথা ভেবে। সহজ- সরল দরিদ্র ছেলেটার ছবি দেখলে কষ্ট হয়, জানিনা স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হবার পর যখন ওর মা-বাবা কোনো বিচার পেলেন না তখন তাদের মনের অবস্থা কী হয়েছে!!
৩৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: এসব তথ্য জানার পর মনের মধ্যে দু'ধরণের প্রতিক্রিয়ে হয়ঃ প্রথমে মনটা বিদ্রোহ করে উঠে, প্রতিকারমূলক কিছু একটা করতে চায়। কিন্তু তারপরেই, জীবন যাত্রার গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিতে হয়, এর কোন প্রতিকার নেই, হবে না, ভেবে। যেমনটি আপনিও ভেবেছেন, এ পোস্টে মন্তব্যকারী অনেকেই ভেবেছেন।
দিনে দিনে আমাদের সমাজটা বড্ড বেশী acquiescent হয়ে গেছে। কোন আফিম খেয়ে যে আমরা এভাবে ঘুমিয়ে পড়লাম, কে জানে!
১ নং মন্তব্যে শের শায়রী এর শেষ কথাটাই বাস্তবতা।
চমৎকার হয়েছে আপনার ২ নং প্রতিমন্তব্যটা।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: দিনে দিনে আমাদের সমাজটা বড্ড বেশী acquiescent হয়ে গেছে। কোন আফিম খেয়ে যে আমরা এভাবে ঘুমিয়ে পড়লাম, কে জানে!
এই কথাটা আমিও খুব ভাবি... কোনো এক আফিমের নেশায় আমরা যেন কোন অবস্থার গুরুত্ব বোঝার ক্ষমতা পর্যন্ত হারিয়ে ফেলেছি, অন্যায়ের প্রতিবাদ করা তো বহুদূরের কথা। এমন ঝিমিয়ে পড়া জাতির ভাগ্যে যা ঘটার তাই ঘটছে।
এটাও ভাবি, পৃথিবীর আর কোন দেশে কি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আরেকজন ছাত্রকে মেরে ফেলতে পারে!!
মন্তব্য ও প্লাস দিয়ে অনুপ্রেরণা দেয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪৪
শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় বোন খুব কঠিন একটা বিষয় তুলে এনেছেন, কিন্তু এই সব আলোচনায় বা মন্তব্যে মারাত্মক অনীহা এবং ভয়। নো ওয়ান কিল্ড নো বডি এদেশে রাজনৈতিক প্রতিপত্তিশালীরা কাউকে খুন করে না। এটাই বাস্তবতা।