নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন জীবন- চার

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৭




আগের পর্ব: নতুন জীবন- তিন

খালুকে এত উদ্বিগ্ন দেখে আমি আর বলতে পারলাম  না, রোজালিন ছাড়াও এমন আরো কয়েকজন আছে! মনে মনে ঠিক করলাম, ওদেরকেও এই গোপনীয়তার প্রতিজ্ঞা করাতে হবে। প্রতিজ্ঞার কথা আরেকবার মনে করিয়ে দিয়ে খালু আমার পিঠ চাপড়ে দিয়ে কাজে ফিরে গেলেন।

সেদিন সন্ধ্যায় রোজালিন আর বাকিদের কাছে আমি এই ঘটনাটা বললাম। আমাদের প্রত্যেকেই কখনও না কখনও অসতর্ক হয়েছি, আশেপাশে কেউ হয়তো তাতে ভ্রুকুটি করেছে, কিন্তু কোন সন্দেহ করেনি!! এক্সেল খালুর উদ্বেগ দেখে এখন বুঝতে পারছি, আমাদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। সবাই এর গুরুত্ব বুঝতে পারল, সকলেই গোপনীয়তা রক্ষার প্রতিজ্ঞা করল। এই প্রথম আমরা বুঝতে পারলাম, আমরা অন্যদের থেকে আলাদা, অন্যরকম মানুষ !!

৪)
 এর কিছুদিন পর একদিন খবর এলো প্রান্তভূমি- মানুষের একটা দল আমাদের কাছের এলাকায় অতর্কিতে আক্রমণ করেছে। তাদের আক্রমণ মানে অনেক কিছু লুটতরাজ হওয়া, কারণ আমাদের লোকজন এত দূরে দূরে থাকে যে, লুটপাটে বাঁধা দেবার জন্য একত্রিত হতে হতেই অনেক সময় নষ্ট হয়। জানা গেল, তারা ওয়াকনুক থেকে মাত্র সাতমাইল দূরে আছে। খবর আসা মাত্র আমাদের উঠোনে লোকজন জমায়েত হতে লাগলেন; বাবা তাদের লড়াইয়ের নির্দেশনা দিলেন,কিছুক্ষণ পর তারা প্রান্তভূমির মানুষের সাথে লড়াই করতে চলে গেলেন।

একদিন পরে তাদের একজন ফিরে এসে জানালো, যুদ্ধে  প্রান্তভূমি-মানুষেরা পরাজিত হয়ে পালিয়ে গেছে, আর কয়েকজনকে ধরে বন্দী করে আনা হচ্ছে।

বিকেল বেলায় দুই বন্দী সহ আমাদের লোকজন ফিরল। আমি খুব আগ্রহ নিয়ে দেখতে এলাম, আমার ধারণা ছিল প্রান্তভূমি- লোকজনের দুটো মাথা, সারা গায়ে চুল, অথবা ৫/৬ টা করে হাত-পা থাকবে। কিন্তু দেখলাম তারা একেবারে আমাদের মতই দেখতে, শুধু তাদের চুল দাঁড়ি লম্বা আর কাপড় ছেঁড়াখোঁড়া! বন্দীদের একজন বুড়ো, আরেকজনকে দেখার সাথে সাথে আমি ভীষণ চমকে গেলাম; এই লোকের দাঁড়ি কামিয়ে নতুন কাপড় পরালে দেখাবে হুবহু আমার বাবার মত!

বাবা ঘর থেকে বেরোলেন বন্দীদের দেখার জন্য। কিন্তু এই লোকটিকে দেখা মাত্র বাবার মুখ ছাইয়ের মত সাদা হয়ে গেল। লোকটাও বাবাকে দেখছিল... তীব্র ঘৃণায় লোকটির মুখ ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছিল! বাবা যেন ভীষণ এক ধাক্কা সামলাতে তাড়াতাড়ি ঘরে ঢুকে পড়লেন!

 বন্দীদের হাত- বাঁধা দড়ি খুলে তাদের ঘোড়া থেকে নামানো হলো। এবার আমি বুঝতে পারলাম গোলমাল কোথায়; লোকটি স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে প্রায় দেড় হাত লম্বা!! পুরো শরীর  লম্বা না, শুধু হাত- পা গুলো অস্বাভাবিক রোগা আর লম্বা! দেখে মনে হয় যেন আধা- মাকড়সা, আধা- মানুষ!

তাঁকে খাবার আর বিয়ার দেয়া হল। খেতে খেতে তিনি চারপাশ খুঁটিয়ে দেখছিলেন, আমার দিকে চোখ পড়তেই হাত নেড়ে ডাকলেন। আমি তার লম্বা হাতের নাগালের কিছুটা বাইরে থেকে কাছে গেলাম।
-তোমার নাম কি?
-ডেভিড, ডেভিড স্ট্রর্ম।
- দরজায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি কি তোমার বাবা?
- হ্যাঁ
লোকটা বাড়ির চারপাশে আরেকবার দেখে বললেন,
-এটা তাহলে ওয়াকনুক!!

হয়তো তিনি আরো কিছু জিজ্ঞেস করতেন, কিন্তু সে সময় কে যেন আমাকে সেখান থেকে চলে যেতে বলল! কিছুক্ষণ পর দেখি আবার বন্দীদের হাত-পা বেঁধে ঘোড়ায় চড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দেখে নিশ্চিন্ত বোধ করলাম। মাকড়সা মানবকে দেখার পর থেকেই আমার ভয়ানক চিন্তা আর অস্বস্তি হচ্ছিল...

কয়েকদিন পর, যখন হামলার উত্তেজনা মিলিয়ে  এসেছে, লোকজন আবার খামারের কাজে ব্যস্ত হয়েছে, তখন বাবা আবার এনগাস মর্টনের সাথে ঝামেলায় জড়ালেন। এমনিতেই দুজনের সাপে- নেউলে সম্পর্ক, এবারের ঝামেলা দৈত্য ঘোড়া নিয়ে। এনগাস মর্টন দুটো দৈত্য- ঘোড়া এনেছেন, এই খবর পেয়েই আমার বাবা ঘোড়া দেখতে গেলেন। বিশালাকৃতির ঘোড়া দুটি দেখেই বাবা নালিশ করে ফেললেন; ইন্সপেক্টর যেন অবশ্যই ঘোড়াগুলোকে বিকৃত সৃষ্টি হিসেবে ধ্বংস করে ফেলেন। 
-এগুলো ধ্বংস করা আমার এক্তিয়ারের বাইরে,  এগুলো সরকার অনুমোদিত, ইন্সপেক্টর বললেন।
-এমন ঘোড়া ঈশ্বর কখনোই বানাতে পারেন না! সরকার অনুমতি কেন দেবে?
- কিন্তু সত্যিই এগুলো অনুমোদিত। তাছাড়া এনগাস মর্টন তো তার প্রতিবেশীর স্বভাব ভালোই জানে; দৈত্য- ঘোড়া সে এনেছে সরকারি ছাড়পত্র সহই !

বাবা অনেকক্ষণ সরকার আর এনগাস মর্টন সম্পর্কে কটূক্তি করলেন, ইন্সপেক্টরকে খুব করে তাগাদা দিলেন ঘোড়াগুলোকে ধ্বংস করে দেবার জন্য। কিন্তু ইন্সপেক্টর রাজি হলেন না। বললেন,
- পারলে আপনিই এগুলোকে মেরে ফেলুন, তারপর দেখুন কি হয়!

বাবা পারলে ইন্সপেক্টরকে ধরে পেটাতেন! সেটা করতে না পারায় রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বাড়ি ফিরে এলেন।

 পরের রবিবারে তিনি বক্তৃতায় বললেন, বিকৃতির বিরুদ্ধে সবাইকে লড়ে যেতে হবে... যারা  বিকৃতিকে লালন করে, অথবা লালন করতে সহায়তা করে, তারা শয়তানের দোসর।  ইন্সপেক্টর কিছু বললেন না, কিন্তু সকলের মুখ দেখে মনে হচ্ছিল, দৈত্য ঘোড়াকে বিকৃত বলাটা কেউ পছন্দ করছে না... 

চলবে...






মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আগের ২টা পর্ব পড়া হয়নি। পড়ে ফেলবো যতো শীঘ্র সম্ভব। :)

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫০

করুণাধারা বলেছেন: ব্লগারদের উৎসাহ দেবার জন্য নানারকম খেতাবের প্রচলন করা যেতে পারে। একটা খেতাব হতে পারে, "দ্রুততম সময়ে লাইক প্রদানকারী"। আমেরিকাবাসী কেউ ঝামেলা না পাকালে এই খেতাব আপনারই প্রাপ্য! ৯-৩৭ এ পোস্ট করে আমি নিজে পড়ে সারতে পারলাম না, দেখি ৯-৩৮এ লাইক পেয়ে গেছি আপনার থেকে!!

এমন ভাবে লাইক দিয়ে অনুপ্রেরণা দেয়ায় দারুন আনন্দিত হলাম!! আপনি দীর্ঘায়ু হোন।

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০০

(লাইলাবানু) বলেছেন: চলুক পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১২

করুণাধারা বলেছেন: আপনাকে মনে হয় আমার ব্লগে প্রথম পেলাম, (লাইলাবানু)। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য ও প্লাস দিয়ে অনুপ্রেরণা দেয়ায়।

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০১

আনমোনা বলেছেন: অবশেষে সবুরের মেওয়া পেলাম। বরাবরের মতই আকর্ষনীয়।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৮

করুণাধারা বলেছেন: আড্ডা ছেড়ে মাঝে মাঝে তাহলে এদিকেও উঁকি মারেন আনমোনা!!! খুবই ভালো লাগলো আপনাকে পেয়ে। চেষ্টা করব তাড়াতাড়ি পরের পর্ব দিতে। অনেক ধন্যবাদ।

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হে হে হে........১০০ মিটার স্প্রিন্টে আমার সাথে পাল্লা দেয়ার মতো কে আছে গাধা ট্রাম্পের দেশে?

আপনি দীর্ঘায়ু হোন দোয়া করবেন, যেন কমপক্ষে ১০০ বছর ব্লগিং করতে পারি!!! =p~

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: ১০০ মিটার স্প্রিন্টে আমার সাথে পাল্লা দেয়ার মতো কে আছে গাধা ট্রাম্পের দেশে? তা নেই।

দোয়া করবেন, যেন কমপক্ষে ১০০ বছর ব্লগিং করতে পারি করলাম দোয়া।
আজি হতে শতবর্ষ পরে
ভুয়া মফিজ ব্লগিং করুক
বিশ্বজগত জুড়ে।

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২০

রাজীব নুর বলেছেন: গত কয়েকদিন ধরে ব্লগে বেশ গল্প আসছে।
কিন্তু গল্প গুলো একই রকম। ভিন্ন কিছু পাচ্ছি না।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫২

করুণাধারা বলেছেন: এই গল্প অন্যরকম, পারমাণবিক গল্প। B-)

তবে আপনার গল্পগুলো আমার ভালো লেগেছে।

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,




আকৃতি নয়, মানুষের মনের বিকৃতিকে কোথাও ঠাঁই না দেয়াই উচিৎ!

পড়ছি......................

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: আকৃতি নয়, মানুষের মনের বিকৃতিকে কোথাও ঠাঁই না দেয়াই উচিৎ!

পুরোপুরি সহমত। মানুষের মনের বিকৃতি সবকিছুর মধ্যেই অশান্তি আর কদর্যতা ছড়িয়ে দেয়।

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫১

সোহানী বলেছেন: তাড়াতাড়ি পরেরগুলো দেন। অনেকদিন পর ব্লগে ফিরে অনেকটা তাজা লাগছে..............

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০২

করুণাধারা বলেছেন: এমন মন্তব্য পেয়ে আমিও খুব তাজা বোধ করছি, সত্যি বলছি।

পরের পর্বগুলো তাড়াতাড়িই দেবার চেষ্টা করব, কারণ ধারাবাহিক গল্পে ছেদ পড়লে পাঠক আগের পর্ব ভুলে যায়। সমস্যা হচ্ছে এতে হয়ত আক্ষরিক অনুবাদ হবে...

৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: সত্যি বোন পরের পর্বের অধীর প্রতীক্ষায়। পর্বগুলো একটু বড় করা যায় না? মনে হচ্ছে প্রাগৈতিহাসিক কোন কিছু অথচ এটা দূর ভবিষ্যতের গল্প। হেনরী রাইডার হ্যাগার্ডের "নেশা" বইটি পড়ছেন? সম্পূর্ন ভিন্ন আঙ্গিকে কিন্তু কেমন যেন তেমন বোধই হচ্ছে।

সাথে আছি।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৪

করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে অনুপ্রাণিত বোধ করছি শের শায়রী।

পর্বগুলো বড় তো করাই যায়, কিন্তু আমার সবসময় মনে হয় বড় পোস্ট কেউ পড়তে চায় না। তাই কাটছাঁট করতে দীর্ঘ সময় ব্যয় করি। এটা না করতে পারলে আমার জন্যও সহজ হয়।

হেনরী রাইডার হ্যাগার্ডের "নেশা" বই পড়িনি- পড়ার আগ্রহ হচ্ছে। আশাকরি খুঁজে পাব। আমি সেবা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত "শী" আর "রিটার্ণ অফ শী" পড়েছি শুধু।

সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক।

৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৬

নিভৃতা বলেছেন: অবশেষে বহুল প্রতিক্ষার অবসান ঘটলো। ভালো লাগছে খুব। কিন্তু দেরি ভালো লাগে না একদম। পরের পর্ব তাড়াতাড়ি চাই।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৮

করুণাধারা বলেছেন: আচ্ছা, দেব তাড়াতাড়ি... কিন্তু আপনার অনেকগুলো পোস্ট পড়ে উঠতে পারিনি, সেগুলো পড়তেও তো সময় লাগবে।

১০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অনুপম,অতুলনীয়,

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
আধা মাকড়সা আধা মানব এই মাকড়সা-মানব শেষ পরিণতি
কী হয় গল্পে তা নিয়ে ডেবিট এর মত আমারো চিন্তা হচ্ছে।
বিকৃত সৃষ্টির চেয়ে বিকৃত মন-মানসিকতার কতটা জঘন্য...
ভালো লাগলো অনুবাদ পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
শুভরাত্রি ও অনেক ধন্যবাদ ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৮

করুণাধারা বলেছেন: মুক্তা নীল, মাকড়সা মানবের পরিণতি জানা যাবে আরো কয়েক পর্ব পরে। আশাকরি সাথে থাকবেন...

বিকৃত সৃষ্টির চেয়ে বিকৃত মন-মানসিকতার কতটা জঘন্য..., সত্যিই। কারণ বিকৃত মানসিকতা সুন্দর সৃষ্টিকেও বিকৃত করে তোলে। বর্তমান পৃথিবীর যা কিছু যুদ্ধ, অশান্তি সব ঘটাচ্ছে এই বিকৃত মানসিকতার মানুষেরাই।

আপনাকেও ধন্যবাদ মুক্তা নীল, সুন্দর মন্তব্য আর প্লাসের জন্য। শুভকামনা রইল।

১২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৭

নিভৃতা বলেছেন: আমার মত লেখকের পোস্ট না পড়লেও চলবে। :) কিন্তু আপনার মত একজন লেখকের এই লেখাটা শেষ করা খুব জরুরী।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২২

করুণাধারা বলেছেন: আশাকরি লেখাটা শেষ করতে পারব, সাথে সাথে আপনার লেখাগুলোও পড়ে ফেলব। আসলে ক'দিন কিছু কাজ নিয়ে পড়েছিলাম, তাই ব্লগে আসতে পারিনি বলে পিছিয়ে পড়েছি।

১৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২১

আনমোনা বলেছেন: মনরাখা মন্তব্য নয়, আপনার লেখাটার জন্য আমি অপেক্ষা করে থাকি।
আপনি ভুল ধরানোর কথা বলছেন, কিনতু গোগ্রাসে পড়ার সময় আর কি ভুল ধরব? তবে মনে হলো সব কিছু খুব দ্রুত ঘটছে। আরেকটু স্লোডাউন করে ঘটনার বর্ননা বাড়ালে ভালো হয়।
আর লেখাটা খুব ছোট। এতদিন অপেক্ষার পরে পড়া আরম্ভ করতে না করতেই শেষ!

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৭

করুণাধারা বলেছেন: ঠিক আছে আনমোনা, এরপর কাটছাঁট না করে লেখা দেবার চেষ্টা করব। কী রাখব আর কী বাদ দেব সেটা ঠিক করতেই আমার অনেক সময় ব্যয় হয়। ছোট করি, কারণ আমার পূর্ব অভিজ্ঞতায় একটা ধারণা বদ্ধমূল হয়ে গেছে যে, বড় লেখা কেউ পড়তে চায় না।

১৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:২৮

করুণাধারা বলেছেন: আবার ফিরে আসায় অনেক ধন্যবাদ, রাজীব নুর। শুভেচ্ছা রইল।

১৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল আপু,
আকৃতি নয়, মানুষের মনের বিকৃতিকে কোথাও ঠাঁই না দেয়াই উচিৎ! - স হ মত।
লেখা বেশ ছোট হয়ে গেছে আমার কাছে মনে হচ্ছে। যা সাইজ আছে তার দেড়গুন পারফেক্ট সাইজ প্রতি পর্বের জন্য।
পর্বের নাম ৪) এভাবে না দিয়ে, এভাবেও দিতে পারেন- চার কিছুটা ভালো লাগবে মনে হয় দেখতে।
পেজ ফরম্যাটিং এবার ঠিক আছে।
সবাই জানে এটা সিরিজ। শেষে চলবে আর আপ্নাকে কষ্ট করে লিখতে হবে না।
নেশা অসাধারণ একট বই। না পড়ে থাকলে অবশ্যই পড়ুন। আমি নিশ্চিত আপনি মুগ্ধ হবেন।
(নাম পাই নি এখনও)।
শুভ কামনা রইলো।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

করুণাধারা বলেছেন: লেখা সম্পর্কে আপনার পরামর্শগুলো মেনে চলার চেষ্টা করছি নীল আকাশ। হ্যাঁ, এই পর্ব ছোট হয়ে গেছে, আগামীতে বড় করার চেষ্টা করব।

ধন্যবাদ আপনাকে, পরামর্শ এবং প্লাসের জন্য। শুভকামনা।

১৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: বাহ্, বেশ লিখেছেন ।

ব্যাকগিয়ার দিয়ে পড়ে আসি বাকি পর্বগুলো।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৫

করুণাধারা বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো শামছুল ইসলাম। আশাকরি আগামী পর্বগুলোতেও পাশে থাকবেন।

১৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
চোর দেখার মত কাহিনী কিছুটা.........ছোট বাচ্চা মনে করেছে চোর বুঝি মানুষ নয়, মানুষের মত বিশাল কিছু একটা কিন্তু যথন বাস্তবে চোর দেখল সে বলল-চোর কই এটাতো মানুষ।


ভাল হয়েছে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: এই পর্বে অনেকটা এটাই বলা হয়েছে।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার।

১৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৬

ফয়সাল রকি বলেছেন: আধা-মাকড়শা কি ওর দাদা বা চাচা? পরে কি আর পাবো তার খবর?
যাই হোক, চালিয়ে যান। মানে শেষ করুন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪

করুণাধারা বলেছেন: আধা-মাকড়শা কি ওর দাদা বা চাচা? এখনই বলে দিলে শেষ পর্যন্ত কি আর পড়বেন? B-)

এখনও শুধু নানা চরিত্রের পরিচিতি চলছে। শেষটা খুব নাটকীয়, তখন অনেক রহস্য উন্মোচন হয়। ততদিন পর্যন্ত আশাকরি সাথে থাকবেন, আমি চেষ্টা করবো নিয়মিত হতে।

১৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার লাগলো আজকের পর্বটিও। বড় বড় চুল দাড়ি ওয়ালা হুবহু বাবার মতো দেখতে বন্দিটা ঘৃণাভরা দৃষ্টিতে বাবার দিকে তাকিয়ে ছিল।‌‌‌আর বাবা তৎক্ষণাৎ ঘরের ভেতরে ঢুকে গেলেন। সম্ভবত এখান থেকে গল্পটা অন্যদিকে মোড় নিতে চলেছে।
ডেভিডের প্রতিক্রিয়া খুব স্বাভাবিক লেগেছে।
আর বড় বড় ঘোড়াদুটিকে অস্বাভাবিকত্ব দেখিয়ে মারার কথা বললেও সরকারি কর্মীরা রাজি না হওয়ায় ও সঙ্গে উপস্থিত জনতা বিষয়টিকে বিরূপ ভাবে দেখায় একদিকে যেমন ডেভিডের বাবার একচ্ছত্র আধিপত্যে কিছুটা ভাটা পড়েছে অন্যদিকে ঘটনা ভবিষ্যতে অন্য দিকে মোড় নিতে পারে বলে মনে হল।
পোস্টে ভালোলাগা।
শুভকামনা প্রিয় আপুকে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০

করুণাধারা বলেছেন: এই গল্প কখন কোন দিকে মোড় নেয় আগে থেকে বলা কঠিন। যদি সাথে থাকেন তাহলে জানতে পারবেন। আশাকরি সাথেই থাকবেন। B-)

চমৎকার মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ, পদাতিক চৌধুরী। শুভেচ্ছা।

২০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আবার ফিরে আসায় অনেক ধন্যবাদ, রাজীব নুর। শুভেচ্ছা রইল।

ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০

করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আপনিও ভালো থাকুন।

২১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

ফয়সাল রকি বলেছেন: চেষ্টা করবো সাথে থাকার।
তবে দ্রুত আপডেট দিন, সবাই অপেক্ষা করে। আমিও করি।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২২

করুণাধারা বলেছেন: লিখে রাখা অনেকখানি ভুল করে মুছে ফেলেছিলাম। আবার নতুন করে লিখে পোস্ট করেছি।

২২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ব্লগে বেশ অনিয়মিত থাকায়, আজই শুরু করলাম আপনার এই সিরিজ ! আশা করছি চমৎকার একটা সিরিজ পাচ্ছি। সাথে আছি ।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৫

করুণাধারা বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগছে মনিরা। সাথে থাকা মানে ব্লগে নিয়মিত হচ্ছেন- পড়তে এবং পড়াতে। বহুদিন কোন পোস্ট দেননি। নতুন পোস্টের অপেক্ষায় থাকলাম। শুভকামনা।

২৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৬

মা.হাসান বলেছেন:
আকৃতি নয়, মানুষের মনের বিকৃতিকে কোথাও ঠাঁই না দেয়াই উচিৎ!


সর্বনাশ ! ব্লগ তো কানা হইয়া যাইবে ।

ভুয়া লোকদের ভুয়া লাইকে ভুলিবেন না ।
উনি ব্রেক্সিটের আনন্দে এখন লাফাইতেছেন।

অনুবাদের সময় কাটাছেঁড়া করিয়া ওজন ৬৫ শতাংশ কমাইয়া দেওয়ায় ফিগার অতি চমৎকার হইয়াছে । মহরত হইয়া গিয়াছে, আর ডায়েটিং করাইয়েন না ।

সেবার অনুবাদ না পড়িয়া 'নেশা' মূল বইটি পড়িলে অধিক আনন্দ পাইবেন বলিয়া মনে করি। Allan and the ice gods লিখে গুগুলে সার্চ দিলে বইটি পাইয়া যাইবেন। প্রোজেক্ট গুটেনবার্গ এর অধীনে বইটি ফ্রী .txt হিসেবে টাইপ করা অবস্থায়ই পাওয়া যাবে, কোন কপিরাইট লঙ্ঘিত হবে না ।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: আকৃতি নয়, মানুষের মনের বিকৃতিকে কোথাও ঠাঁই না দেয়াই উচিৎ!

সর্বনাশ ! ব্লগ তো কানা হইয়া যাইবে ।


এভাবে বলতে হয়না, বয়স্কদের সম্মান করতে হয়। ;)

Allan and the ice gods খুঁজে পেয়েছি। কিছুটা পড়ে বুঝেছি, এটা পড়া ধরলে পড়া শেষ করার পরও এটা মাথায় থেকে যাবে। তাই সেটা না করে আপাতত এই লেখা শেষ করি। এটা শেষ না করলে আর ব্লগে লেখা হবে না।

"নেশা" এর মূল বইয়ের নাম দেয়ায় অনেক ধন্যবাদ।

২৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর । কী ভ্রান্ত ধারণা মানুষের মনে থাকে সেই আদিকাল থেকেই

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

করুণাধারা বলেছেন: মানুষের মনে সবসময় অনেক ভ্রান্ত ধারণা বাসা বেঁধে থাকে। মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ কাজী ফাতেমা ছবি।

২৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩৪

আখেনাটেন বলেছেন: সামনে এগুলুম....।

*আচ্ছা, প্রান্তভূমি মানুষ মানে বলতে কী বুঝিয়েছেন? নাকি 'প্রান্তিক মানুষ'।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৪

করুণাধারা বলেছেন: আগাতে থাকেন, আরো অনেক দূর যেতে হবে...

প্রান্তভূমি মানুষ কথাটা নিয়ে আমার মনেই খুঁতখুঁতুনি আছে, কিন্তু এরচেয়ে লাগসই কিছু পেলাম না! Fringes people, এর অর্থ করেছি প্রান্তভূমি মানুষ। Fringes শব্দের আভিধানিক অর্থ outer, marginal or extreme part of an area, ভেবেছিলাম সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ লিখবো, কিন্তু গল্পে Fringes বলতে বলে পোড়াভূমির মাঝখানে প্রাণের বিস্তার লাভ করেছে এমন ভূমিকে বুঝিয়েছে, এর অধিবাসীদের দেহে কোন না কোন বিকৃতি আছে। এদের প্রান্তিক মানুষ বলা যায় কিনা তা নিয়ে একটু দ্বন্দ্ব আছে মনে। আপনার যদি মনে হয় প্রান্তিক মানুষ, বা অন্য কোন উপযুক্ত শব্দ, তবে জানাবেন। প্রান্তভূমি মানুষ কথাটা বদলাতে পারলে আমিও বাঁচি!!

২৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: কিন্তু দেখলাম তারা একেবারে আমাদের মতই দেখতে - এ দেখাটাতো সবাই দেখতে পারে না!
"বিকৃতির বিরুদ্ধে সবাইকে লড়ে যেতে হবে" - কি মরণপণ প্রতিজ্ঞা রে বাবা!!!
আকৃতি নয়, মানুষের মনের বিকৃতিকে কোথাও ঠাঁই না দেয়াই উচিৎ! - চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন আহমেদ জী এস
কিন্তু আমার সবসময় মনে হয় বড় পোস্ট কেউ পড়তে চায় না। তাই কাটছাঁট করতে দীর্ঘ সময় ব্যয় করি (৮ নং প্রতিমন্তব্য) - তাহলে আমার সাম্প্রতিক পোস্টগুলো পড়বে কে? আমি তো শুধু লিখতেই থাকি আর লিখতেই থাকি...। এ জন্যেই মনে হয় আপনি আমার সাম্পতিক পোস্টগুলোতে আসছেন না!
Fringes people এর বাংলা প্রান্তিক মানুষ করতে পারেন (২৫ নং প্রতিমন্তব্য)।

১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: উত্তর দিতে দেরি করে ফেলায় আন্তরিক দুঃখিত।

এটা ঠিক যে সামুর বেশির ভাগ পাঠকই পোস্ট পড়ার সময় qualityর চেয়ে quantityকে প্রাধান্য দেন, তাই তারা অল্প সময়ে অনেক পোস্ট পড়তে চান, সেক্ষেত্রে বড় পোস্ট এড়িয়ে যেতে চান। অবশ্য ৩০০০ শব্দের পোস্ট পড়ার মতো পাঠক অনেক আছেন, যাদের কাছে পোস্টের প্রকারটাই মুখ্য, আকার নয়।

আপনার পোস্ট সুপাঠ্য, তাছাড়া তেমন বড় হয় না যে পড়তে গিয়ে কেউ হয়রান হয়ে যাবে। অন্য অনেকের মতোই তাই আমিও আপনার পোস্টের নিয়মিত পাঠক। ইদানিং কিছু পোস্ট বাদ পড়ে গেছে শারীরিক আর মানসিক কিছু চাপ যাচ্ছে বলে। আশা করি শিগগিরই নিয়মিত হব।

ভালো থাকুন সপরিবারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.