নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন জীবন- নয়

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০২



আগের পর্ব: নতুন জীবন- আট

অবশেষে আনুষ্ঠানিক ভাবে আমার বোন পেট্রার জন্মকে স্বীকৃতি দেয়া হল। আমাকে জানানো হল আমার একটা বোন হয়েছে। আমি বোন দেখতে গেলাম, দেখি মায়ের পাশে ছোট একটা পুতুলের মত বোনটা শুয়ে আছে। যখন আমরা একজন একজন করে পেট্রাকে দেখতে যাচ্ছিলাম তখন কেউ একজন আস্তাবলের বড় ঘণ্টা বাজিয়ে দিল, যাতে খামারে কর্মরত সকলেই শুনতে পায়। কাজ করা বন্ধ করে একটু পরেই সবাই প্রার্থনা করার জন্য রান্নাঘরে সমবেত হল।

দশ

পেট্রার জন্মের দুই বা তিনদিন পর হঠাৎই এমন কিছু জেনে যাই, যা জানার পর আমার শান্তিময় জীবন অশান্তিময় হয়ে ওঠে!!
সেদিন দুপুরের খাবারের পর আমি মা-বাবার ঘরের পাশের ঘরে বসে ছিলাম, যাতে খাওয়ার পর ক্ষেতের কাজে যাবার সময়টা সকলের নজর এড়িয়ে কাটানো যায়। এ ঘরে আমাকে খোঁজার জন্য কারো আসার সম্ভাবনা কম, তাছাড়া মাও বিছানায় শুয়ে থাকতেন বলে আমাকে দেখতে পেতেন না; ঘণ্টাখানেক এ ঘরে থেকে সবাই কাজে চলে যাবার পর আমি বের হতাম। অবশ্য মা যেন টের না পান সেজন্য পা টিপে টিপে সাবধানে ঘরে হাঁটতে হত। সেদিন সকলেই কাজে চলে যাবার পর যেই ঘর থেকে বের হতে যাব, তখনই একটা দু'চাকার এক্কাগাড়ির আওয়াজ পেলাম। নিঃশব্দে জানালার কাছে গিয়ে দেখি হ্যারিয়েট খালা গাড়ি চালিয়ে উঠানে ঢুকছেন।

হ্যারিয়েট খালা আমার মায়ের ছোট বোন, বয়সে তিন বছরের ছোট। উনি দেখতে অনেকটা আমার মায়ের মত হলেও আচরণে একেবারে আলাদা, খুব দয়ালু আর কোমল। উনি আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় পনের মাইল দূরে কেন্টাক এলাকায় থাকেন। বছরে হয়ত একবার উনার সাথে আমাদের দেখা হয়।

দেখলাম হ্যারিয়েট খালা ঘোড়াদুটো খুঁটির সাথে বাঁধলেন, তারপর গাড়ি থেকে একটা সাদা পুটুলী নিয়ে বাড়ির দিকে আসতে লাগলেন। একটু পরেই তার পায়ের আওয়াজে বুঝলাম উনি মায়ের ঘরে ঢুকলেন।
- একি হ্যারিয়েট!! তুমি হঠাৎ এই অবস্থায়  এসেছ কেন? এতটা পথ নিশ্চয় ছোট বাচ্চাটাকে সাথে নিয়ে আসনি?
মা খুব বিরক্ত হয়েই খালাকে বললেন।
- জানি এমিলি... মায়ের বিরক্ত স্বরে কিছুটা বিব্রত হয়ে হ্যারিয়েট খালা বলতে লাগলেন,
- আমার যে না এসে কোন উপায় ছিল না এমিলি। তখন শুনলাম তোমারও মেয়ে হয়েছে... ওহ্, এই বুঝি বাবুটা! কী মিষ্টি হয়েছে দেখতে!

একটু চুপচাপ, তারপরই খালা বলতে লাগলেন,
- আমারও মেয়ে হয়েছে। ও-ও খুব মিষ্টি দেখতে। এই যে দেখ!
তারপর কিছুক্ষণ বাচ্চাদের নিয়ে দুই বোনের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শোনা গেল।
- এমন মিষ্টি মেয়ে পেয়ে হেনরি নিশ্চয়ই খুব খুশি?
- হ্যা, খুশি তো অবশ্যই... কেমন অনিশ্চিত গলায় খালা বললেন। তারপর বলতে লাগলেন,
- ও জন্মেছে এক সপ্তাহ আগে... বুঝতে পারছিলাম না কী করব। তখনই শুনলাম তোমারও মেয়ে হয়েছে, ভাবলাম ঈশ্বর আমার প্রার্থনা শুনেছেন...
একটু থামলেন, তারপর যেন কথার কথা বলছেন এভাবে জিজ্ঞেস করলেন,
- ওর জন্য নিশ্চয়ই তোমরা সার্টিফিকেট পেয়ে গেছ?
- অবশ্যই পেয়েছি। মায়ের গলা হঠাৎ চড়ে গেল,
- কেন হ্যারিয়েট, তুমি কি সার্টিফিকেট পাওনি?
কোন উত্তর নেই, শুধু চাপা কান্নার আওয়াজ।
- হ্যারিয়েট, বাচ্চাটাকে আবার দেখাও, ঠিকমতো দেখাবে...

আবার চাপা কান্নার শব্দ, তারপর খালা বললেন,
- এটা খুবই ছোট, তেমন বাড়তি কিছু না।
- বাড়তি কিছু না?
মা রাগে ফেটে পড়লেন,
- এই পিশাচটাকে নিয়ে আমার বাড়িতে ঢোকার স্পর্ধা দেখিয়েছ, আবার বলছ 'বাড়তি কিছু না' !!
- পিশাচ!! কান্নার মাঝে চড় খেলে যেমন আর্তনাদ শোনা যায়, খালা তেমন চাপা আর্তনাদ করে উঠলেন। কিন্তু মায়ের ধমকে কান্না প্রায় থেমে গেল।
- এজন্যই ইন্সপেক্টরকে ডাকতে পারনি, না? কিন্তু এই পিশাচকে নিয়ে এখানে এসেছ কেন?

হ্যারিয়েট খালা প্রাণহীন কণ্ঠে বলতে লাগলেন,
- ওকে দেখে প্রথমে আমার ইচ্ছা হয়েছিল নিজেকে শেষ করে দেই! কারণ আমি জানি এটুকু বাড়তির জন্য ওরা ওকে সার্টিফিকেট দেবে না। আমার আদরের সোনা-মানিক...  মনে হল ওকে বাঁচাবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করতে হবে... কিভাবে করব জানতাম না। এটা জানতাম, একমাস সময়ের মধ্যে আমাকে ওর জন্মের কথা জানাতে হবে, আর জানালেই ওরা ওকে নিয়ে যাবে... তাই আমি চেয়েছিলাম অন্তত সেটুকু সময় ওকে আমার কাছে রাখতে, কাউকে না জানিয়ে। তারপর যখন শুনলাম যে তোমারও মেয়ে হয়েছে, তখন ভাবলাম ঈশ্বর আমার প্রার্থনা শুনেছেন।

- বুঝতে পারছি না হ্যারিয়েট, আমার মেয়ের জন্মের সাথে তোমার প্রার্থনা পূরণের কী সম্পর্ক!
খুব কর্কশ কন্ঠে মা বললেন, তুমি ঠিক কী বলতে চাচ্ছ?
- আমি ভাবছি, হ্যারিয়েট খালা অনেক কষ্ট করে বলতে পারলেন,
- যদি আমার মেয়েকে ক'দিনের জন্য তোমার কাছে রেখে তোমার মেয়েকে ধার নেই... বেশি না, এক বা দুদিন, এরমধ্যেই আমি সার্টিফিকেট পেয়ে যাব... এমিলি, তুমি আমার বোন; তুমি আমার এমন বিপদে সাহায্য করবে না?

আবার কাঁদতে শুরু করলেন হ্যারিয়েট খালা। দীর্ঘ সময় পর মায়ের রুক্ষ কণ্ঠ শোনা গেল,
- এমন একটা জঘন্য প্রস্তাব দেবার সাহস তোমার হলো কি করে হ্যারিয়েট? একটা অনৈতিক অপরাধের ষড়যন্ত্রে আমি তোমাকে সাহায্য করবো? কী করে ভাবলে আমি আমার মেয়েকে....

ঘরের বাইরে বাবার পায়ের আওয়াজ পেয়ে মা থামলেন, বাবা ঘরে ঢুকতেই বললেন,
- জোসেফ, একে এক্ষুনি দূর করে দাও। ওকে বল "ঐটা" নিয়ে বেরিয়ে যেতে।
- বের করে দেব? হ্যারিয়েটকে?
বাবা হতভম্ব হয়ে জিজ্ঞেস করলেন। মা সবিস্তারে বর্ণনা করলেন কী ঘটেছে। সব শুনে বাবা সন্দিগ্ধ স্বরে খালাকে জিজ্ঞেস করলেন,
- এসব কি সত্যি? তুমি এমন প্রস্তাব করেছ হ্যারিয়েট ?
ক্লান্ত স্বরে হ্যারিয়েট খালা বলতে লাগলেন,
- এই নিয়ে তিনবার হল। আগের দুবারের মত এবারও ওরা আমার বাচ্চা নিয়ে যাবে। হেনরি আমাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে আবার বিয়ে করবে। আমার আর কিছু থাকবে না,কিছুই না... আমি এখানে খুব আশা নিয়ে এসেছিলাম, ভেবেছিলাম এমিলি আমাকে সাহায্য করবে... এমিলি আমার নিজের বোন... এখন তো মনে হচ্ছে, এই আশা করে বড় বোকামি করেছি...
- আমি তো ভেবেই পাচ্ছিনা, আমাদের মত ধর্মভীরু মানুষের কাছে আসবার সাহস তোমার হলো কী করে! তোমার এখন তো লজ্জা আর অনুতাপে দগ্ধ হবার কথা।

হ্যারিয়েট খালা কথা বললেন, এখন আর কাঁদছেন না।
- লজ্জিত বা অনুতপ্ত হবার মত কিছু আমি করিনি, বরং বলতে পারি আমি হেরে গেছি।
- কিছু করনি মানে? এই যে আমাদের সৃষ্টিকর্তার আদলে সৃষ্টি না করে তুমি অন্যরকম সৃষ্টি করেছ, এটা কি পাপ নয়? আবার সেই সৃষ্টি নিয়ে ষড়যন্ত্র করতে এসেছ! এভাবেই ঈশ্বরের শত্রুরা সারাক্ষণ সুযোগ খুঁজতে থাকে পাপ ছড়িয়ে দেবার... নানা রূপে ধর্মভীরু মানুষের কাছে আসে তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে, যেমন তুমি এসেছ তোমার পাপ সাথে করে।
- পাপ!! আমার ছোট্ট এই মিষ্টি বাচ্চাটা...
-  ছোট্ট বাচ্চা! এই বাচ্চা যদি বড় হয় তবে সে এমন আরও পাপের জন্ম দেবে, সমাজকে নষ্ট করবে। এটা আমরা কিছুতেই হতে দিতে পারি না। জাতিগত বিশুদ্ধতার আইন আমরা কড়াকড়ি ভাবে মেনে চলি। এক্ষুনি তুমি এখান থেকে চলে যাও, বাচ্চার কথা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে  তোমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত কর, ঈশ্বরের কাছে তোমার পাপের জন্য ক্ষমা চেয়ে প্রার্থনা কর।
- নিশ্চয়ই...আমি ঈশ্বরের কাছে অবশ্যই প্রার্থনা করব। প্রার্থনা করব, কোন মানুষ যেন মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলার মত আইন তৈরি না করে, ঈশ্বর যেন  মানুষের মনে দুর্বলের প্রতি দয়া আর দুর্ভাগার প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করেন...

শব্দ শুনে বুঝতে পারছিলাম খালা ঘর থেকে বেরিয়ে গেছেন। সাবধানে জানালার কাছে গিয়ে দেখলাম খালা খুব সাবধানে সাদা পুটুলীটা গাড়িতে রাখলেন। তারপর গাড়িতে চড়ে পুটুলীটা কোলে নিয়ে একহাতে ধরে থাকলেন, আরেক হাতে লাগাম ধরলেন। তারপর তিনি গাড়ি ঘোরাতেই তার চেহারা স্পষ্ট হয়ে উঠল। পাথরের মত কঠিন মুখ, অন্ধের মত আলোহীন চোখে সামনে চেয়ে খালা ঘোড়া ছোটালেন- আর এই ছবিটা চিরদিনের মত আমার মনে স্থায়ী হয়ে গেল।

পাশের ঘরে বাবা তখনও খালার পাপ,ধর্মদ্রোহীতা আর নির্লজ্জতা সম্পর্কে মাকে বলছিলেন। মা মনে হচ্ছিল কাঁদছিলেন। বাবা ক্রমাগত বলে চলেছিলেন, বিশেষ করে মহিলাদের উচিত সবরকম পাপ চিন্তা থেকে মনকে মুক্ত রাখা... আমার শুনতে ভালো লাগছিল না, আমি পা টিপে টিপে ঘর থেকে বেরিয়ে এলাম। আমার খুব জানতে ইচ্ছা হচ্ছিল, হ্যারিয়েট খালার বাচ্চার "ছোট্ট বাড়তি" জিনিসটা কী ছিল; এটা কি সোফির মত বাড়তি একটা আঙ্গুল!

কিন্তু আমার আর কখনোই জানা হয়নি "বাড়তি" জিনিসটা কী ছিল... কারণ পরদিন শুনলাম হ্যারিয়েট খালার মৃতদেহ নদীতে পাওয়া গেছে; হ্যারিয়েট খালা যে একটা মেয়ে জন্ম দিয়েছিলেন, এ প্রসঙ্গে কেউ কোন কথাই বলল না।

সেদিনের সান্ধ্য- প্রার্থনা শেষে বাবা মৃত হ্যারিয়েট খালার কথা উল্লেখ করে প্রার্থনা করলেন, সেই শেষ। এরপর আমাদের বাসায় আর কেউ কখনও হ্যারিয়েট খালাকে নিয়ে কোন কথা বলেনি, মনে হচ্ছিল সকলের স্মৃতি থেকে উনার নাম পুরোপুরি মুছে গেছে। কিন্তু আমার স্মৃতিতে উনি জেগে রইলেন, শেষ দেখা উনার সেই আশাহত মুখের ছবি বারবার মনে পড়ত, আর মনে পড়ত উনার শেষ কথা, "লজ্জিত বা অনুতপ্ত হবার মত কিছু আমি করিনি, বরং বলতে পারি আমি হেরে গেছি।"

হ্যারিয়েট খালার মৃত্যুর কারণ নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি, কিন্তু কানাঘুষায় শুনেছিলাম এটা কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। যেসব কথা শুনেছিলাম তার অনেকটাই বুঝতে পারিনি, কিন্তু কোন অজানা ভয়ে আমি প্রচন্ড বিচলিত হয়ে পড়েছিলাম। সোফির ঘটনাতেও আমি আমার অন্যরকম হওয়া নিয়ে ভয় পেয়েছিলাম, কিন্তু এবারের ভয় আমাকে পুরোপুরি গিলে ফেলেছিল। কয়েক রাত আমি হ্যারিয়েট খালাকে স্বপ্নে দেখলাম, একহাতে সাদা একটা পুটুলী আঁকড়ে ধরে উনি পানিতে ভাসছেন,পাথরের মত মুখ ...

এতসব দুঃখজনক ঘটনা ঘটল এমন একটা শিশুর জন্য, যে কিনা ধর্মের ব্যাখ্যা অনুযায়ী স্বাভাবিক ছিল না। ব্যাখ্যায় যা যা উল্লেখ করা আছে শিশুটি হয়তো তার থেকে একটু অন্যরকম ছিল, অথচ এই একটু অন্যরকম হওয়ার জন্য তাকে বিকৃত সৃষ্টি বলা হলো! ধর্মগুরুরা সবসময় বক্তৃতায় বলতেন,বিকৃত সৃষ্টি ধ্বংসই কাম্য, কারণ বিকৃত সৃষ্টি তার ভিতরে এক পাপকে লালন করে, এই পাপ সবকিছুতে ছড়িয়ে দেয় পঙ্কিলতা, নষ্ট করে দেয় সমস্ত পবিত্রতা। এই যে আমি অন্যদের থেকে আলাদা, তাহলে কি এটাও এমন বিকৃতি যা সমস্ত পবিত্রতা নষ্ট করে দেয়? তাহলে ধরা পড়লে আমার সাথে ওরা কী করবে?

























মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা!

হ্যারিয়েট খালার জন্য ভিষন মন খারাপ হলো।
হুম ধর্মের বরকন্দজরা এভাবেই মানুষের জন্য ধর্মকে ধর্মের জন্য মানুষ রুপ দিয়ে থাকে।

আর লালন গুরু ডাকেন - অবোধদের
'যে সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পূন্যের আর নাই বালাই।'

দারুন সিরিজে ভাল লাগা নিত্যকার মতোই।
+++

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫

করুণাধারা বলেছেন: লালনের এই পঙ্ক্তিমালা জানা ছিল না। চমৎকার উদ্ধৃতিটি খুব ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ আরেকবার প্রথম মন্তব্য ও প্লাস দিয়ে অনুপ্রেরণা দেয়ায়।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বাচ্চাটারও কি মৃত্যু হবে নাকি ? হেরিয়েট কি আত্মহত্যা করেছে নাকি মেরে ফেলা হয়েছে বুঝা গেলনা।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

করুণাধারা বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার, মন্তব্য আর প্লাসে অনুপ্রাণিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

এখানে একটা ছোট ছেলে ঘটনা বর্ণনা করছে, সে যতটুকু জেনেছে ততটুকুই। গল্পের মধ্যে বলা হয়েছে, সেই সমাজের নিয়ম হচ্ছে বাচ্চা জন্মালে তার স্বাভাবিকত্ব পরীক্ষা করতে হবে। অস্বাভাবিক হলে সেই বাচ্চাকে নিয়ে নেয়া হয়, সম্ভবত মেরে ফেলার জন্য। ডেভিড জানে না বাচ্চার কী হয়েছে, অনুমান করে নেয়া যায় যে হ্যারিয়েট খালা আত্মহত্যা করেছেন। কারণ তিনি এমিলিকে বলছিলেন তিনি নিজেকে মেরে ফেলতে চান, কারণ এমন বাচ্চা জন্ম দেয়ায় স্বামী তাকে ত্যাগ করবে আর বাচ্চা নিয়ে যাবে।

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১১

ফয়সাল রকি বলেছেন: খুবই মর্মান্তিক ঘটনা!
সমাজ ব্যবস্থাটা কি শেষ পর্যন্ত পরিবর্তন হবে?
লেখায় ভাললাগা রইলো।
+++

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

করুণাধারা বলেছেন: এটা খুব অদ্ভুত নিয়ম। কিন্তু তখন মনে পড়ে যায় একটা ফুটফুটে শিশুকে তার বাবা কোলে করে এনে মাটিতে শোয়ানোর, তারপর মাটি দিয়ে ঢেকে তাকে মেরে ফেলার দৃশ্য। কারণ শিশুটি মেয়ে।

সেই সমাজ তো পরিবর্তিত হয়েছে... অতএব এই সমাজের নিয়ম নিশ্চয়ই বদলাবে।

মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ ফয়সাল রকি।

৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৫

মা.হাসান বলেছেন: ভাগ্যিশ জন্ম কয়েক বছর আগেই হয়ে গিয়েছে, না হলে এই চেহারায় সার্টিফিকেট পেতাম না।

আমাদের নেতৃস্থানীয়দের দেখে মনে হয় ওনাদের কয়েক প্রস্থ সার্টিফিকেট আছে, ওনারা চরম নিখুঁত। আমাদের মতো খুঁত যুক্তদের উপর ওনাদের মতো মহানুভবদের রাজত্ব করতে চাওয়ার কারণ খুঁজে পাই না।

বইটির পাতায় পাতায় বড় আনন্দ, খুঁত যুক্ত দের খুঁত মুক্ত হতে দেখা বড় আনন্দের ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

করুণাধারা বলেছেন: আমাদের নেতৃস্থানীয়দের দেখে মনে হয় ওনাদের কয়েক প্রস্থ সার্টিফিকেট আছে, ওনারা চরম নিখুঁত। আমাদের মতো খুঁত যুক্তদের উপর ওনাদের মতো মহানুভবদের রাজত্ব করতে চাওয়ার কারণ খুঁজে পাই না।
বাঁধিয়ে রাখার মত কথা- সহমত পোষণ করছি।

মন্তব্য আর প্লাসে কৃতজ্ঞতা আর শুভেচ্ছা।

৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: বিদেশি নাম গুলো আমাকে যন্ত্রনা দিচ্ছে। পোষ্ট পড়ার আনন্দ মাটি করে দিচ্ছে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

করুণাধারা বলেছেন: এই নামগুলো তো উচ্চারণ করা যায়, আপনার যন্ত্রনা কেন হচ্ছে? আপনি ইকথিয়ন্ডরের গল্প পড়েননি, কিংবা হের ক্রাফৎসতুদতের? এই নামগুলো উচ্চারণ করা কঠিন।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর।

৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অসাধারণ । শুভেচ্ছা ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: বরাবরের মতই আপনাকে জানাই কৃতজ্ঞতা, এবং শুভেচ্ছা।

৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

নিভৃতা বলেছেন: রুদ্ধশ্বাসে পড়ে গেলাম। ভেবেছিলাম ডেভিড হয়তো হেরিয়েট খালাকে কোনভাবে সাহায্য করবে। কিন্তু তা আর হলো না। খারাপ লাগছে খুব।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

করুণাধারা বলেছেন: আমার কাছে খুব স্বাভাবিক মনে হয়েছে। আজো আমাদের দেশে পরপর কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য মা অভিযুক্ত এবং নির্যাতিত হন, শেষে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।

৮| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: এই পোস্টে আজকে রাতে ফিরবো আমি।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: নিজের পোস্টের মন্তব্যর উত্তর দিতে দিতে আজ আর এই পোস্টে আসতে পারবেন বলে মনে হয়না! অসুবিধা নেই, পরে আসলেই চলবে।

৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: হ্যারিয়ট খালার জন্য ভীষণ মনে কষ্ট পেলাম। গল্প-উপন্যাস পাঠকালে কোন চরিত্রের সঙ্গে নিজের একাত্মতা অনুভূত হলে তখনই এমন বিষণ্নতা আসে। কি আর করার...
ধর্মের কান্ডারীরা ধর্মের দোহাই দিয়ে নিজেদের স্বার্থপরতাকে আগলে রাখে। যেখানে আত্মীয় স্বজন সকলেই যেন দূর গ্রহের বাসিন্দা।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়.....
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০১

করুণাধারা বলেছেন: আসলেই, ধর্মের কান্ডারিরা দুর্বল আর অসহায়ের উপর সুযোগ পেলেই নির্যাতন করে। মনে হয় সব যুগে,সব জায়গায় এটা ঘটে।

আপনার জন্যও অনেক শুভেচ্ছা।

১০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

ফয়সাল রকি বলেছেন: এখনো কিন্তু একটা শ্রেণির মানুষকে অনাগত শিশু সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় না জানানোর চেষ্টা করা হয়। বাসার বুয়ার মেয়ে যখন কনসিভ করেছে তখন তাদের অনাগত শিশু ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা জানানো হয়নি, ডাক্তার নাকি বলেছে, বাচ্চা উল্টানো ছিল, দেখতে পারেনি... ইত্যাদি ইত্যাদি... ফলাফল বাচ্চা হবার পর দেখা গেলো - মেয়ে শিশু! সাবধানতা বশতঃ এমনটা করে। বাচ্চা নষ্ট না করলেও অন্তত যত্ন যেন কম না হয়।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৮

করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার উদাহরণ দিয়েছেন, কিন্তু আমি শিক্ষিত মানুষকেও দেখেছি পরপর তৃতীয় বার কন্যা হবে শুনলে গর্ভস্থ শিশুকে মেরে ফেলতে...
এই গল্পে তিনবার বিকৃত শিশুর জন্ম দিলে শিশুর বাবা, মাকে ত্যাগ করত। আজো আমাদের সমাজে আকসার দেখেছি পুত্র সন্তানের জন্য বার বার সন্তান নেয়া হয়, আর পুত্র জন্ম না দিতে পারলে মাকে ত্যাগ করা হয়।

ফিরে এসে মন্তব্য করায় ধন্যবাদ ফয়সাল রকি।

১১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,




আগের পর্ব পড়েছি।
এটা সহ সবটা পড়ে মনে হলো, জাতিগত বিশুদ্ধতার একটা বাতাস এখন যেন কোথাও কেমন একটা ঘূর্ণি তুলতে চাইছে........

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৮

করুণাধারা বলেছেন: জাতিগত বিশুদ্ধতার একটা বাতাস এখন যেন কোথাও কেমন একটা ঘূর্ণি তুলতে চাইছে........

এটা বোধহয় সব যুগেই দেখা যায়, হিটলারও তো জাতিগত বিশুদ্ধতার নামে মানুষকে হত্যা করেছিল। দেখা যাক, আগামীতে কী আছে!!

১২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: অতীত কে ভবিষ্যতে প্লট করে দারুন এক কাহিনী। তবে এর মাঝে আবার ভবিষ্যতের মিশেল ও আছে। সাথে আছি।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫০

করুণাধারা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা। দেখা যাক অতীত- ভবিষ্যৎ মিলে আগামীতে কী আসে...

১৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই নামগুলো তো উচ্চারণ করা যায়, আপনার যন্ত্রনা কেন হচ্ছে? আপনি ইকথিয়ন্ডরের গল্প পড়েননি, কিংবা হের ক্রাফৎসতুদতের? এই নামগুলো উচ্চারণ করা কঠিন।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর।

স্টেইনবেক এর উপন্যাস পড়েছি। অসাধারন লিখেন।
বিশেষ করে- তার ''ক্যানারী রো'' অসাধারন। আরেকটা আছে ''টরটিলা ফ্লাট''। দূর্দান্ত।
১৯৫২ সালে এই লেখক নোবেল পেয়েছেন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: উত্তর দিতে দেরি হওয়ায় খুব দুঃখিত রাজীব নুর। সকাল থেকে আমাকে বিচিত্র সব কাজ করতে হয়েছে, একেবারেই সময় পাইনি উত্তর দেবার।

স্টেইনবেকের উপন্যাস পড়িনি। দেখি পড়ার চেষ্টা করব। ফিরে এসে মন্তব্য করায় ধন্যবাদ।

১৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার মন্তব্যের উত্তর দেন নি।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: আরেকবার আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। রাতে মন্তব্য দেখিনি, সকালে সময় পাইনি উত্তর দেবার।

১৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: হ্যারিয়ট খালার জন্য কষ্ট অনুভব করলাম। ধর্মীয় গোড়ামী মানুষকে কোথায় নিয়ে যায় এই পর্ব সেটার ঊদাহরণ।
এইবার অন্য প্রসঙ্গে আসি। এইবারে বইমেলায় দেখলাম অনেক অনুবাদের বই এসেছে।
আপনি অনুবাদ ভালোই করেন। আমি জানি না এটার আর কত পর্ব বাকি আছে। এটা শেষ করার পর আপনি ভাল কোন একটা ইংরেজ বেস্ট সেলার বই নিয়ে লেগে পড়ুন। অভিজ্ঞতা তো হয়েই গেছে। আরেকটা লিখে ফেলুন। হাতে যথেষ্ঠ সময় আছে পরের বইমেলার জন্য। আপনি চাইলে লেখার পর সেটা আমি দেখেও দিতে পারবো।
ধন্যবাদ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১৮

করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর পরামর্শের জন্য, সেই সাথে অনুবাদক হিসেবে কমপ্লিমেন্ট দেবার জন্য।

অবশ্য আমার মনে হয় না ভবিষ্যতে কোন বই অনুবাদ করার আর ইচ্ছা হবে বলে। আমার মনে যা আসে নানা বিষয়ে, তাই ব্লগে লিখি, এভাবে লিখতে লিখতে আমার পছন্দের এই বইটা অনুবাদ করতে শুরু করি। এখন আর একাজ ভালো লাগছে না, অথচ এটা শেষ না করে অন্য কিছু লেখার উপায়ও নাই। ভালো না লাগলেও তাই এটার অনুবাদ করে যাচ্ছি।

যদি ভবিষ্যতে কখনো বই প্রকাশের জন্য অনুবাদ করি, তবে আপনার সাহায্য পাওয়া যাবে, একথা জেনে ভালো লাগলো।

ভালো থাকুন, শুভকামনা।


১৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৮

মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
ডেভিডের মা ও বাবা এরাই তো দেখছি আসলে বিকৃত
মস্তিষ্কের অধিকারী । হ্যারিয়েট খালা ও বাচ্চাটার মৃত্যু
ভীষণ কষ্ট দায়ক এবং অস্বাভাবিক। সাথেই আছি
আগামী পর্ব পড়ার জন্য।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো ।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩১

করুণাধারা বলেছেন: ডেভিডের মা-বাবা ছিল আধা বর্বর- কিন্তু আজকের শিক্ষিত সমাজেও এমন নিষ্ঠুরতা দেখা যায়, মানুষ আইন তৈরি করে অন্য মানুষকে যন্ত্রনা দেয়ার জন্য...

মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম, ধন্যবাদ মুক্তা নীল। শুভকামনা।

১৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা হ্যারিয়েট খালা :(
প্রতি পর্বেই নতুন নতুন চমক, আপনার চিতল মাছ কাটাকুটি দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলুক।
ভালোলাগা।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪১

করুণাধারা বলেছেন: একই জিনিস লিখতে লিখতে ক্লান্তি আসে; কিন্তু আপনার এমন মন্তব্য আর প্লাসে অনুপ্রাণিত হই নতুন উদ্যমে লিখতে।

অনেক ধন্যবাদ মনিরা। শুভকামনা।

১৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

জুন বলেছেন: করুনাধারা ঝরঝরে সাবলীল অনুবাদে মুগ্ধ আমি। পড়ছি পর্বগুলো তবে মন্তব্য করা হয়নি। যেই সময়ে হ্যারিয়েট খালা ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে আসলেন তখন সমাজে কুসংস্কার কতখানি ঘাটি গেড়ে বসেছিল তা তার আত্মহত্যার মধ্যেই পরিস্কার। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো লেখায়।
+

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনি পড়েছেন জেনে, জুন। আপনার মন্তব্য আর প্লাস অনুপ্রেরণা হয়ে থাকল নতুন পর্ব লেখার জন্য।

অসংখ্য ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা।

১৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৪৮

সোহানী বলেছেন: মনটাই খারাপ হয়ে গেল।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: আমারও মন খারাপ হয়েছিল, আমাদের দেশেও কিন্তু বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম দেয়ার অপরাধে মাকে তালাক দিয়ে বের করে দেয়ার কথা শোনা যায় সোহানী।

সাথে থেকে অনুপ্রেরণা দেয়ায় অশেষ কৃতজ্ঞতা। শুভকামনায়।

২০| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৩

আখেনাটেন বলেছেন: "লজ্জিত বা অনুতপ্ত হবার মত কিছু আমি করিনি, বরং বলতে পারি আমি হেরে গেছি।" --- :((

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:২০

করুণাধারা বলেছেন: আমার প্রিয় বাক্য! :(

২১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:০৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: হায়রে! অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কার মানুষকে কোথায় নামাতে পারে! খুব চাইছিলাম হ্যারিয়েট খালা আর তার সদ্যজাত কন্যাসন্তানটি বেঁচে যাক বর্বরদের হাত থেকে। তা আর হলো না!
পোস্টে প্লাস + +।
এর আগের পর্বটিতে দেয়া আমার তৃতীয় মন্তব্যটি বোধহয় আপনি দেখেন নি।

০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

করুণাধারা বলেছেন: অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কার মানুষকে কোথায় নামাতে পারে! সমস্ত বর্বর সমাজেই সন্তানের ত্রুটির জন্য দায়ী হন মায়েরা। এটা লিখতে গিয়ে আমি ভাবছিলাম, প্রাচীন আরবে যখন মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে সন্তানকে জীবন্ত সমাধিস্থ করা হত কেবল মেয়ে হবার অপরাধে, তখন মায়ের কেমন লাগতো!! আজো অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি, জন্মগত ত্রুটি সহ বাচ্চা জন্ম দেবার অপরাধে অনেক পরিবার মা আর বাচ্চাকে ত্যাগ করে আজো। তাই হ্যারিয়েট খালার ঘটনা আমার অবাস্তব মনে হয় নি একেবারেই।

মন্তব্য আর প্লাসের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করায় অনেক ধন্যবাদ। আন্তরিকভাবে দুঃখিত এত দেরি করে উত্তর দেয়ায়। ইতিমধ্যে আগের পর্বের মন্তব্যের উত্তর দিয়ে দিয়েছি। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.