নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগের পর্ব: নতুন জীবন- এগারো
(তেরো)
এ্যান প্রচন্ড ক্ষেপে গেল,
- আমি কি একটা গর্দভ! ভালো করে ভেবেচিন্তেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি! আমি একটা মেয়ে, সব মেয়ের মত আমারও ইচ্ছা হয় বিয়ে করে ঘরসংসার করতে, সন্তানের মা হতে... অথচ দেখ, আমরা তিনজন ছেলে আর পাঁচজন মেয়ে। তার মানে, দু'জন মেয়েকে হয় কোন সাধারণ ছেলেকে বিয়ে করতে হবে অথবা সারাজীবন অবিবাহিত থাকতে হবে! আমার মনে হয়েছে, অবিবাহিত থাকার চাইতে বরং একজন সাধারণ ছেলেকে বিয়ে করাই ভালো! তাই এ্যালেনকে আমি বিয়ে করবোই, কোন কথা শুনব না।
- কিন্তু এ্যান, এমনও তো হতে পারে, আমাদের মতো ছেলে আরও আছে, হয়ত এখন আমাদের সীমানার বাইরে কোথাও... কিছুদিন যদি অপেক্ষা...
- কেন অপেক্ষা করব? এমনও তো হতে পারে, তেমন কাউকে কখনোই পাওয়া যাবে না। কিসের ভরসায় আমি অপেক্ষা করব? আমি তো নিজে শখ করে এমন হই নি! এমন হয়েছি বলেই কী আমার কোন সাধ- আহ্লাদ থাকতে পারবে না? তিনজন ছেলে তিনজন মেয়েকে বিয়ে করবে, বাকি দুজন সঙ্গীর অপেক্ষায় বছরের পর বছর কাটিয়ে দেবার পর হয়তো একদিন বুঝবে তাদের বাকি জীবন নিঃসঙ্গই কাটাতে হবে। সেই দুজনের একজন কি আমি হব? অসম্ভব!!
এ্যান কিছু ভুল বলেনি, সারাটা জীবন একাকী কাটিয়ে দেয়া সত্যি খুব কঠিন হবে, কিন্তু আমাদের মতো কারো পক্ষে একজন সাধারণকে বিয়ে করে তার সাথে জীবন কাটানো কঠিনতর হবে, আবেগের বশে এ্যান এটা বুঝতে পারছে না। আমাদের আটজনের একাত্মতা এমন যে, পরিবারের সদস্যদের চাইতে আমরা একে অপরকে বেশি আপন মনে করি। কোন সাধারণ মানুষ বুঝতেই পারবে না কিভাবে আমরা একে অপরের অংশ হয়ে থাকি, বুঝতেই পারবে না যে আমরা কিভাবে একসাথে চিন্তা করি! আমাদের কখনো মনের কথা প্রকাশ করার জন্য শব্দ খুঁজে ফিরতে হয়না, আমরা একে অন্যের থেকে কিছু লুকাতে পারিনা, এমনকি একে অন্যকে ভুলও বুঝতে পারি না, প্রত্যেকের মনে কি আছে আমরা প্রত্যেকে জানি ! এই অবস্থায় কী করে একজন সাধারণকে বিয়ে করে দিনযাপন সম্ভব! সে তো একটা বোবা- কালার মত যে তার সঙ্গীর মনের কথা আঁচ পর্যন্ত করতে পারবে না!! এমন বিয়ের পরিণতিতে আসবে দীর্ঘস্থায়ী বেদনা আর হতাশা, যার ফলে হঠাৎ কোন বড় ভুল করে ফেলা, বা দিনের পর দিন সন্দেহ জাগানিয়া ছোটখাটো ভুল করে একদিন ধরা পড়ে যাওয়ার খুবই সম্ভাবনা...
এ্যান এই সবই জানে, তবু একগুঁয়েমি করে আমাদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করতে চাইল; সবাই যখন একসাথে কথা বলি, তখন দেখা গেল এ্যান সাড়া দিচ্ছে না!! ও কি ওর মনকে আমাদের থেকে আলাদা করে নিল, নাকি আমাদের সাথে থেকেও চুপচাপ থাকছে, এটা বুঝতে পারতাম না। সম্ভবত ও আমাদের থেকে আলাদাই হয়ে গিয়েছিল, তবুও আমরা ওকে নিয়ে আলোচনা করতাম না, শুনে ফেলে যদি!!
এ্যানের থেকে রোজালিন একেবারেই আলাদা। ওর দীর্ঘাঙ্গী, কমনীয় চেহারা এতই আকর্ষণীয় যে, এলাকার প্রতিটা তরুণই ওর সাথে খাতির জমাতে চেষ্টা করেছে। খুব ভদ্র ভাবে রোজালিন তাদের প্রত্যেককে প্রত্যাখ্যান করেছে, কারণ একজন স্বাভাবিক মানুষ যতই উপযুক্ত হোক না কেন, সঙ্গী হিসাবে তার সাথে অনেক ব্যবধান থেকেই যাবে... এ্যানের ঘটনার আগেই রোজালিন এটা স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করেছিল। অবশ্য আমাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে রোজালিন ভালোবাসতেও পারত না, আমিও রোজালিন ছাড়া কাউকে ভাবতেই পারতাম না। তবে সেই মূহূর্তে ভালবাসা না, আমাদের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছিল এ্যানের সৃষ্ট জটিলতার সমাধান!
শেষ পর্যন্ত আমি এক্সেল খালুকে সব খুলে বলে পরামর্শ চাইলাম।
- এ্যান আমাদের সাথে সবরকম যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। ও এখন প্রাণপণ চেষ্টা করছে সাধারণ মানুষের মতো হতে, আর ওর যে অন্যের মনের সাথে যোগাযোগের ক্ষমতা আছে সেটা ভুলে যেতে। এ্যালেনের প্রতি ভালবাসায় ও অন্ধ আর মরিয়া হয়ে উঠেছে।
- খুব করে চেষ্টা করলেও কি এ্যান ওর এই ক্ষমতা ভুলে যেতে পারে না? এক্সেল খালু জানতে চাইলেন।
- না পারে না। এটা অনেকটা এরকম, একজন অন্ধ লোককে বিয়ে করে তার মতো হবার জন্য সারাজীবন নিজের দুচোখ বন্ধ করে রাখার চেষ্টা করা...
এক্সেল খালু কিছুক্ষণ ভাবলেন, তারপর বললেন,
- মেয়েরা প্রেমে পড়লে প্রেমিকের জন্য সবকিছু ছাড়তে পারে। ওর যে আচরণ তোমাদের কাছে পাগলামি, ওর কাছে তা একেবারে ঠিক। ওর মনের উপর এখন একসাথে অনেক ভার; অনুতাপ, পাপবোধ, নিজেকে ভুলে থাকা, নিজেকে বিশুদ্ধ করে তোলার আকাঙ্ক্ষা। এই ভার বইতে বইতে একসময় ও ক্লান্ত হয়ে উঠবে, কারো সাথে এই ভার ভাগাভাগি করতে চাইবে... এটা হবেই, আজ না হলে কাল...
- আমরা এখন কী করব? অসহায়ভাবে জানতে চাইলাম আমি।
- ভেবে দেখ, এ্যান এমন কিছু করতে যাচ্ছে যা কিনা তোমাদের জন্য ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক হতে পারে। ও এই ছেলেটাকে বিয়ে করতে যাচ্ছে, জেনেবুঝেই ও তোমাদের মাথার উপর বিপদের খাঁড়া ঝুলিয়ে দিচ্ছে।
- আমরা তো সবরকম ভাবে চেষ্টা করেছি ওকে বোঝাতে, বিয়েটা ঠেকাতে...
- কিন্তু ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছ! এখন কী করবে? কবে ও কোন ভুল করবে আর তোমরা ধরা পড়বে, সেই অপেক্ষায় থাকবে?
- জানিনা... কিছু বুঝতে পারছি না...
এক্সেল খালু বললেন,
- শোন ডেভিড, তোমাকে এক নাবিকের থেকে শোনা গল্প বলি। একবার জাহাজডুবির পর সে সহ চারজন একটা নৌকায় উঠেছিল।খাবার আর পানি তাদের অল্পই ছিল, এরইমধ্যে একজন নাবিক কিভাবে যেন পাগল হয়ে গেল; সে নৌকা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করতে লাগল... ওর উৎপাত এত বেড়ে গেল যে বাকিরা বাধ্য হয়ে ওকে নৌকা থেকে ছুঁড়ে ফেলে দিল। এর ফলে বাকিরা নিরাপদে তীরে পৌঁছাল, তাদের জান বাঁচল।
- অসম্ভব, এমন কিছু করা আমাদের পক্ষে অসম্ভব, বলে উঠলাম আমি।
- তোমাদের মতো মানুষ, যারা স্বাভাবিক মানুষের থেকে আলাদা, তাদের মাঝে মাঝে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেই হবে, নাহলে টিকে থাকতে পারবে না।
- আপনি যদি বলতেন এ্যালানকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে, আমরা নির্দ্বিধায় সেটা করতে পারতাম। কিন্তু এ্যানের সাথে এটা করতে পারি না; ও আমাদেরই এক অংশ...কতখানি, সেটা আপনাকে বোঝাতে পারবো না।
- তাহলে তোমাদের মাথার ওপর বিপদের খাঁড়া ঝুলিয়ে রাখবে?
- বুকের ভেতর খাঁড়া ঢোকানোর যন্ত্রনার চাইতে মাথার উপরে ঝুলিয়ে রাখা কম যন্ত্রনার, খালু...
এছাড়া বলার মতো আর কিছু পেলাম না।
আমি ভেবে দেখলাম এক্সেল খালু যে সমাধান দিয়েছেন সেটাই একমাত্র কার্যকরী সমাধান, কিন্তু এটা নিয়ে কারো সাথে আলোচনার উপায় ছিল না। অবশ্য জানতাম, আলোচনা করলেও অন্যদের সিদ্ধান্ত আমার থেকে আলাদা কিছু হবে না।
এ্যান আমাদের সাথে যোগাযোগ একেবারে বন্ধ করে দিয়েছিল, ওর বোন রেচেল বলল, এ্যান শুধু মুখে উচ্চারিত কথা শুনছে! পরের কয়েক সপ্তাহ ধরে যখন এ্যান যখন একইরকম রইল, আমরা ভাবতে শুরু করলাম যে, এ্যান হয়তো সাধারণ মানুষ হবার চেষ্টায় সফল হয়ে গেছে!
অবশেষে বিয়ের দিন এল, বিয়ে হয়ে গেল; বিয়ের পর এ্যান এ্যালানকে নিয়ে তাদের বাবার দেয়া নতুন বাড়িতে উঠলো। আমাদের সাথে যোগাযোগ না থাকলেও এ্যানের খবর পেতাম, নতুন সঙ্গীর সাথে ও ভালোই আছে। এটা জেনে আমাদেরও ভালো লাগত, এ্যানকে নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আস্তে আস্তে কমে আসতে লাগলো।
এই সময়টাতেই আমি আর রোজালিন বুঝতে পারলাম, আমাদের জীবন যে একসাথে বাঁধা পড়েছে, এটা আমাদের নিয়তি। যেন প্রকৃতিই আমাদের দুজনকে এক করে দিয়েছে; আমরা দুজন শৈশব থেকে একসাথে সব ভাবনা ভেবে বড় হয়ে উঠেছি, তারপর যখন বুঝেছি আমাদের চারপাশে যারা আছে তারা কেউ আমাদের আপন নয়, তখন আমরা দুজন একে অন্যের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছি, আর তারপর একসময় বুঝতে পেরেছি এটাকেই বলে ভালোবাসা! আমরা বিয়ে করতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু বুঝতে পারলাম, আমাদের ভালবাসা কোন মসৃণ পথে গন্তব্যে পৌঁছাবে না; কারণ আমাদের দুজনের বাবা...
আমার বাবা আর এ্যানগাস মর্টনের মধ্যে সম্পর্ক সবসময়ই তিক্ত ছিল। এরপর দৈত্য ঘোড়া নিয়ে বাবা যে বিবাদ শুরু করেছিলেন তা দিনে দিনে বেড়েই গেছে! দুইজনই গুপ্তচর রেখেছিলেন অন্যের ফসল আর গবাদি পশুর উপর নজরদারি করার জন্য, যদি কখনো ইন্সপেক্টরের কাছে বিকৃতির খবর দেয়া যায় তাহলে অন্যপক্ষকে বেশ একটু হেয় করা যায়! আমার বাবা এ্যানগাস মর্টনের থেকে এগিয়ে থাকবার জন্য কখনো কখনো বড়রকমের ক্ষতিও মেনে নিতেন। একবার ভুট্টা আর টমেটোতে অল্প বিকৃতি দেখামাত্রই বাবা পুরো ক্ষেত জ্বালিয়ে দিলেন। স্ট্রর্ম আর মর্টনদের সম্পর্ক এমন আদায় কাঁচকলায়, তারা যে আমাদের সম্পর্ক মেনে নেবেন এমন কোন সম্ভাবনা ছিল না, আমাদের মাঝে কোন সম্পর্ক থাকতে পারে এটা তারা কল্পনাও করেনি। তাই রোজালিনের আর আমার মা আমাদের দুজনের জন্য পাত্র- পাত্রী দেখছিলেন, পছন্দমত কাউকে পাচ্ছিলেন না বলে রক্ষা!!
আমাদের মনে হচ্ছিল আমরা যেন কানাগলিতে আটকে গেছি, সঙ্কট থেকে বের হওয়ার কোনো পথ নেই! এ্যানের বিয়ের পর ছয়মাস পার হয়ে গেল, কিন্তু আমাদের বিয়ের কোন উপায় করতে পারছিলাম না।
তবে এই ছয়মাসে এ্যানকে নিয়ে আমাদের ভয় আস্তে আস্তে কমে আসছিল, মনে হচ্ছিল ও হয়তোবা ওর অতীত আর আমাদের কথা ভুলেই গেছে!
এরমধ্যেই এক সন্ধ্যায় ওদের বাড়ির সামনের রাস্তায় এ্যালানকে মরে পড়ে থাকতে দেখা গেল, ওর ঘাড়ে একটা তীর বিঁধে ছিল!
আমরা খবরটা পেলাম রেচেলের কাছ থেকে। রেচেল বলল, এই দুঃখজনক মৃত্যুর কথা শুনে ও এ্যানের সাথে যোগাযোগ করতে চেয়েছিল, কিন্তু গত আট মাস যেমন করেছে, এখনও এ্যান মনের সব দুয়ার বন্ধই করেই রেখেছে! রেচেল বলল, ও এ্যানের কাছে যাচ্ছে, এই দুঃসময়ে বোনের পাশে ওর থাকাটা খুব দরকার।
আমরা অপেক্ষা করে বসে রইলাম, ঘন্টাখানেক পর রেচেল যোগাযোগ করল, খুবই বিচলিত হয়ে।
- ও আমাকে বাসাতেই ঢুকতে দেয়নি! প্রতিবেশী এক মহিলাকে ঢুকতে দিল, কিন্তু আমাকে গালিগালাজ করে বলল বেরিয়ে যেতে!
- ও ভাবছে আমরা কেউ এ্যালানকে খুন করেছি। আসলে কি তোমরা কেউ করেছ... বা কিছু জানো এ সম্পর্কে?
মাইকেল জিজ্ঞেস করল। আমরা সমস্বরে অস্বীকার করলাম।
মাইকেল বলল,
- যেভাবেই হোক ওকে বোঝাতে হবে যে আমরা এ্যালানকে খুন করিনি। চল আমরা সবাই মিলে একসাথে ওর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করি।
আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেও এ্যানের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হলাম। শেষপর্যন্ত হতাশ হয়ে মাইকেল রেচেলকে বলল,
- এভাবে হবে না... তুমি বরং ওকে একটা চিঠি লিখে জানাও যে আমরা কেউ একাজ করিনি। এমন ভাবে লিখবে, যেন এর অর্থ একমাত্র এ্যান বোঝে, অন্য কারো হাতে পড়লেও সে যেন চিঠিটার অর্থ বুঝতে না পারে।
- আচ্ছা, দেখি চেষ্টা করে... কেমন দ্বিধান্বিত স্বরে রেচেল বলল।
একঘন্টা পর রেচেল যোগাযোগ করে বলল,
- পারলাম না। একজন মহিলা ওর সাথে দেখা করতে যাচ্ছিল, আমি তাঁর হাতে চিঠিটা দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছিলাম। মহিলা পরে বের হয়ে বলল, এ্যান চিঠিটা ভাঁজ না খুলেই টুকরা টুকরা করে ছিঁড়ে ফেলেছে!
মাইকেল অনেকক্ষণ চুপ করে থাকল, তারপর বলল,
- যেকোনো সময় আমাদের পালাতে হতে পারে, সবাই তৈরি হয়ে থেকো। কিন্তু কারো সন্দেহ হয়, এমন কিছু করে বোসো না। রেচেল, তুমি খেয়াল রেখ, কিছু ঘটলে সাথে সাথে জানাবে।
আমি বুঝতে পারছিলাম না কী করব! পেট্রা ঘুমিয়ে গেছে, এখন কারো নজর এড়িয়ে ওকে আমার কাছে আনা সম্ভব না। আমি মনে মনে ছক কষতে লাগলাম পালাবার জন্য, আর দোয়া করতে লাগলাম যেন তেমন পরিস্থিতিতে পড়লে পেট্রাকে নিয়ে নির্বিঘ্নে পালাতে পারি...
গভীর রাতে রেচেল সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাল,
- আমি আর মা বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। মা ওর সাথে থাকতে চাচ্ছিলেন, কিন্তু এ্যান জোর করে বের করে দিয়েছে। ও একেবারে পাগলের মতো আচরণ করছে। মাকে বলেছে, ও জানে যে কারা এ্যালানকে মেরেছে!
- তার মানে কি ও আমাদের কথা ভাবছে? এ্যালানের কারো সাথে হয়ত শত্রুতা ছিল, এটা ভাবছে না কেন এ্যান? মাইকেল জিজ্ঞেস করল।
- ও আমাকে দেখে যেভাবে চেঁচিয়ে উঠেছিল, তাতে আমি নিশ্চিত, ও আমাদেরকেই খুনী ভাবছে...ভোরে আবার যাব, দেখি ওকে বোঝাতে পারি কিনা!!
রেচেলের কথা শুনে একটু নিশ্চিন্ত হলাম; রাতে এ্যান কিছু করবে না। ক'ঘন্টা ঘুমিয়ে নিতে পারব!
পরদিন সকালে যা হয়েছিল তা পরে রেচেলের থেকে শুনলাম। ভোরের আলো ফোটার আগেই রেচেল এ্যানের বাড়ি গিয়ে হাজির হয়েছিল। আগের দিন এ্যান ওকে যেভাবে গালাগালি করেছে সেসব ভেবে দরজার ঘন্টা বাজাতে ইতস্তত করছিল প্রথমে। কিন্তু পরে সাহস সঞ্চয় করে ঘন্টা বাজায়, বাইরে দাঁড়িয়ে শুনতে পাচ্ছিল ভেতরে ঘন্টার শব্দ। অনেকক্ষণ ঘন্টা বাজানোর পরও ঘরের ভেতরে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে ও ভয় পেয়ে যায়। পাশের বাড়ির যে মহিলা আগের দিন এ্যানের সাথে ছিল তাকে ডেকে আনে; তারপর দুজনে মিলে একটা বড় লাকড়ি দিয়ে জানালা ভেঙ্গে বাসায় ঢুকে। তারপর এ্যানের বেডরূমের কড়িকাঠের সাথে ওর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়!! ওরা দুজন মিলে এ্যানকে নামিয়ে আনে, কিন্তু ওর ঠান্ডা শরীর দেখে বুঝতে পারে এ্যান অনেক আগেই মারা গেছে!!
এ্যানের এমন মৃত্যু রেচেল মানতে পারছিল না; ও যেন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেছিল। প্রতিবেশী মহিলাটি ওকে ধরে ধরে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছিল। যেতে যেতে টেবিলের ওপর একটা ভাঁজ করা কাগজ দেখতে পেয়ে মহিলাটি রেচেলের হাতে দিয়ে বলল,
- তোমার বাবা-মা বা তোমার জন্য হয়ত লিখেছে...
ঘোরের মধ্যে চিঠিটা হাতে নিয়ে দেখে রেচেল মহিলাকে প্রায় বলেই ফেলেছিল যে চিঠিতে প্রাপকের নাম দেয়া আছে ইন্সপেক্টর, কিন্তু শেষ মূহুর্তে নিজেকে সামলাতে পেরেছিল। মহিলা সম্ভবত লেখাপড়া জানত না, তাই না বুঝেই ওটা রেচেলকে দিয়েছিল। চিঠি পড়ে রেচেল দেখে, এ্যান আমাদের সকলের এমনকি পেট্রার সম্পর্কে পর্যন্ত সবকিছু জানিয়ে ইন্সপেক্টরকে চিঠিটা লিখেছিল, ওর ধারণা এ্যালানের খুনের জন্য দায়ী আমরা সবাই! রেচেল একবার পড়েই চিঠিটা পুড়িয়ে ফেলে।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৩
করুণাধারা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি।
ভালো থাকুন সতত- শুভকামনা রইল।
২| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮
নিভৃতা বলেছেন: অবশেষে! আমার প্রিয় গল্প! পড়ে মন্তব্য করবো।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৩
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নিভৃতা, অপেক্ষায় রইলাম...
৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: জীবন একটাই। নতুন পুরোনো আবার কি!
১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১৪
করুণাধারা বলেছেন: হা হা হা...
আমি স্পষ্ট দেখতে পাই, নতুন জীবন পোস্ট দেখলেই বিরক্তিতে আপনার কপাল কুঁচকে যাচ্ছে... তবু আপনি প্রতি পোস্টে আসছেন, সেজন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা। ইচ্ছা আছে শিগগিরই অন্য বিষয়ে পোস্ট দেব আপনাকে উৎসর্গ করে।
নতুন জীবন কী সেটা বুঝতে হলে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তখন নাহয় এখানে এসেই আপনাকে জানিয়ে যাব।
ভালো থাকুন।
৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৫০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
করুণাধারা আপা,
নতুন জীবন ১২ পর্ব শেষ করেছেন। বঙ্গানুবাদের কাজ সহজ কাজ না। বিশাল বড় কাজ।। যে শ্রম ও সময় দিয়েছেন তার জন্য ব্লগের সকল ব্লগারদের পক্ষ থেকে জানাচ্ছি “বিশেষ বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা”। তবে চুপে চুপে একটি কথা বলে রাখি - নতুন জীবন বঙ্গানুবাদ লিখে আপনার লেখার হাত হয়েছে দক্ষ ঘোড়া সওয়ারির হাতের মতো মজবুত কঠিন ও স্নেহ মমতায় আদ্র । এই হাত যেনো তেনো হাত নয়।
আজ ব্লগে অত্যন্ত গর্বের সাথে আমি ব্লগার ঠাকুরমাহমুদ আমাদের সহব্লগার করুণাধারা আপাকে “বৃষ্টিধারা” আপা। উপাধিতে ভূষিত করে সম্মানিত করছি। করুণাধারা আপা বৃষ্টিধারা উপাধি গ্রহণ করে আমাদের কৃতজ্ঞ করবেন।
করুণাধারা বৃষ্টিধারা আপা, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইলো।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, ব্যস্ত থাকুন।।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য পেয়ে আনন্দে আপ্লুত হলাম। যদিও মনে হচ্ছে, এ মনিহার আমায় নাহি সাজে...
ছবিটা খুবই সুন্দর হয়েছে, মুগ্ধ হলাম দেখে। খুবই সুন্দর হয়েছে।
সবশেষে আপনার দেয়া উপাধি মাথা পেতে নিলাম। আপনিও সুস্থ থাকুন, ব্যস্ত থাকুন আর ব্লগে থাকুন। শুভকামনা সতত।
৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০৫
শের শায়রী বলেছেন: বঙ্গানুবাদ ঠিক না আমি বলব ভাবানুবাদ তা আসলেই অনেক কঠিন সঠিক শব্দ চয়নের মাধ্যমে। আপনি ঠিক সেই কাজটাই করে যাচ্ছেন বোন অনায়াসে। পর্বগুলো পড়ছি, অন্য কোন দুর্যোগের মুহুর্তে আসলে এই সময়েরই বিভিন্ন ঘটনা ফুটে উঠছে। ফলোয়িং।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: নিয়মিত সাথে থেকে আমাকে উৎসাহ জোগানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ শের শায়রী। ভালো থাকুন সবসময়, সপরিবারে...
৬| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: না পড়েই আপাততঃ লাইক দিয়ে কাজ এগিয়ে রাখলাম। আগের গুলো না পড়ে এটা পড়া যাবে না।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: লাইকটা আগেই দিয়ে নেবেন। পড়ার পরে যদি লাইক দেয়ার ইচ্ছা চলে যায়!
আপাতত লাইক দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৭| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩৯
সোহানী বলেছেন: এবারের পর্বটা একটা পূর্ণ পর্ব তাই পড়ে তৃপ্তি পাওয়া গেল, আপু। পরের পর্বের অপেক্ষায়।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: আপনার কথা ভেবেই এ পর্ব কিছুটি বড় হলেও এমন ভাবে থামিয়েছি যেন হার্ড ব্রেক বলে মনে না হয়!
এই মন্তব্য আর প্লাস আমার আগামী পর্ব লেখার অনুপ্রেরণা হয়ে রইল। অসংখ্য ধন্যবাদ সোহানী।
৮| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪২
নিভৃতা বলেছেন: অশেষ ভালো লাগা। বোকা এ্যান কী কাণ্ডটাই যে করলো! রেচেল তো বুদ্ধির পরিচয় দিলো। কিন্তু সেটা কি সত্যি কাজে লাগবে? এ্যানের বোকামি ওদের জন্য কোন বিপদ না ডেকে আনে। রোজালিন ও ডেভিডের মিলন হোক। কে জানে পরবর্তী কী বিপদ অপেক্ষা করছে? আশা করছি ডেভিডরা সেই বিপদ কাটিয়ে ওঠে নতুন জীবনের সন্ধান পাবে।
পরের পর্ব তাড়াতাড়ি
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, বারে বারে মন্তব্য করা আর প্লাস দেবার জন্য।
চেষ্টা করব পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দিতে। শুভকামনা নিভৃতা।
৯| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৪
আখেনাটেন বলেছেন: এবার লেখা জমে উঠেছে.......তবে রোজালিনের সাথে ডেভিডের আর একটু মাখামাখি থাকলে ভালো হত।
টানা......আট পর্ব পড়লাম..........পরেরটার জন্য অপেক্ষা করতেই হয়..এট লিস্ট ডেভিড ও রোজালিনের বিয়েটা না খেতে পারলে কেমন দেখায়....।
১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:০৬
করুণাধারা বলেছেন: ডেভিড আর রোজালিনের মাখামাখির আভাস পেতেই গল্প জমে উঠেছে বলে মনে হল? বেশ...
টানা আট পর্ব পড়েছেন দেখে আমিই অবাক হয়ে গেছি...
ডেভিড আর রোজালিনের বিয়ে তো destination wedding. সময়- সুযোগ থাকলে গিয়ে খেয়ে আসবেন। সময় হলেই দাওয়াত দেব।
১০| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার মন্তব্যের উত্তরটা ভালো লাগলো।
১৪ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: আপনাকেও আবার পেয়ে ভালো লাগলো।
১১| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:২৬
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
অ্যালেনের আত্মহত্যার ঘটনাটি মনকে ভীষণভাবে নাড়া দিলো এরকম কিছু একটা হবে তা বুঝতে পারি নাই ।
প্রতিটি পর্বেই কাহিনী অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে যদিও দ্বিতীয়
পর্ব থেকেই রোজালিন আর ডেভিডের ভালোবাসাটাই অক্ষত
আছে । পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায় রইলাম ।
আপনি এই অনুবাদ সিরিজ খুব ধৈর্য্য সহকারে করছেন সেজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
১৪ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৭
করুণাধারা বলেছেন: মুক্তা নীল, অনেক ধন্যবাদ জানাই অ্যালেন বানানটা জানানোয় আমার শুধু মনে হচ্ছিল এ্যালেন বানান ঠিক হচ্ছে না, কিন্তু ভুলটা ধরতে পারিনি। এখন আপনার বানান দেখে বুঝতে পারলাম ঠিকটা কী!
আমি চেষ্টা করছি তাড়াতাড়ি শেষ করবার। আশাকরি সাথে থাকবেন।
মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রেরণা দেয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময়।
১২| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৫৫
নীল আকাশ বলেছেন: বঙ্গানুবাদ ভালো হয়েছে।
উপরের মন্তব্যগুলিতে প্রায় সবাই সবকিছু বলে দিয়েছে দেখে আর রিপিট করলাম না।
প্যারার হেডলাইন ( তেরো ) বোল্ড করে দিবেন। দেখতে সুন্দর লাগবে।
আপনি সিরিয়াসলি ভালো একটা বইয়ের বঙ্গানুবাদ করার কথা চিন্তা করুন। সেটা ব্লগে দেয়ার কোন দরকার নেই।
ধন্যবাদ
১৪ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩১
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য আর প্লাস আমার জন্য অনুপ্রেরণা নীল আকাশ। অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার পরামর্শ ভালো লাগলো, পরের পর্ব তাই করব। আমার মনে যে সব ভাবনা আসে সেগুলো শেয়ার করার জন্য ব্লগে লেখা শুরু করি। এখন যেমন উন্নয়নের নামে ঢাকাকে কী করে ধ্বংস করা হচ্ছে তাই নিয়ে একটা ৪/৫ পর্বের একটা সিরিজ লেখার ইচ্ছা ছিল, এই লেখাটা শেষ না করে সেটা করতে পারছিনা।
আপনার পরের পরামর্শও মাথায় থাকল, আর শুভকামনা রইল।
১৩| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ব্লগার নীল আকাশ ভাইকে আমি সমর্থন করছি। সত্যি সত্যি সিরিয়াস একটি অনুবাদে হাত দিতে পারেন যদি পরবর্তীতে বই মেলাতে বই প্রকাশ করার কথা ভেবে থাকেন। - আপনার পক্ষে অনুবাদ সম্ভব। প্রথম শ্রেণীর অনুবাদ সম্ভব।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
১৪ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো, প্রশংসা পেলে লিখতে অনুপ্রাণিত বোধ করি।
অবশ্য আমি যে বয়সে পৌঁছেছি, এখন সবকিছু নির্মোহ ভাবে দেখতেই ভালো লাগে। প্রকাশের জন্য বই অনুবাদ করা মানেই কিছু টেনশন ঠেকে আনা। এটা শেষ করি, তারপর ভাববো কী করব।
আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা রইল।
১৪| ১৪ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: টানটান উত্তেজনায় এগুচ্ছে, দারুণ উপভোগ্য !
১৪ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪৪
করুণাধারা বলেছেন: অনুপ্রাণিত হলাম এমন মন্তব্য আর প্লাস পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা।
১৫| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৪২
ফয়সাল রকি বলেছেন: উত্তেজনাময় পর্ব গেলো একটা।
চালিয়ে যান। পাশে আছি। +++
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭
করুণাধারা বলেছেন: এমন একটা সময় পার করছি... উত্তর দিতে খুব দেরি করে ফেলায় আন্তরিক দুঃখিত ফয়সাল রকি। চেষ্টা করছি বাকিটা সংক্ষেপে লিখ শেষ করতে।
১৬| ৩০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩০
আনমোনা বলেছেন: আমরা সবাই জীবানুযুদ্ধে ব্যাস্ত, তাই বলে পারমানবিক যুদ্ধের গল্প কি আর এগুবেনা? পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।
০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০
করুণাধারা বলেছেন: এই নিদারুণ দিনে আমাকে মনে করায় অনেক ধন্যবাদ আনমোনা। বাকিটা সংক্ষেপে লিখে শেষ করে পর পর পোস্ট দেবার ইচ্ছা আছে। ভালো থাকুন।
১৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৩
মা.হাসান বলেছেন: আপনার বাচ্চারা কেমন আছে?
দুশ্চিন্তা কম করবেন, মনে জোর রাখবেন।
লেখার মতো মানসিক স্থিরতা থাকলেই লিখুন, না হলে কয়েকদিন বিরতি হলে জগৎ সংসার উচ্ছন্নে যাবে না।
প্রায় সময়ে লগ ইন করার সুযোগ পাইনা, তবে লেখা আগেই পড়েছি। বরাবরের মতো অনন্য।
১৪ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১২
করুণাধারা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, ভালো আছে ওরা। তাদের দুই স্টেটে কোভিড এতটা ভয়াবহ না, কিন্তু সন্তানেদের জন্য সবসময় দুশ্চিন্তা তো থাকেই...
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মা.হাসান, ভালো থাকুন সপরিবারে।
১৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দারুনস........। মন খারাপ করে বসে না থেকে পরের পর্বটা দিয়ে দেন।
জুন আপার পোষ্টে উনার জন্য (সেইসঙ্গে আপনার জন্যও) একটা মন্তব্য রেখে এসেছিলাম......দেখেছেন?
২২ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৭
করুণাধারা বলেছেন: দিচ্ছি....
হ্যা, দেখেছি। অনেক ধন্যবাদ। চেষ্টা করছি মন ভালো করতে।
১৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আগেই পড়েছিলাম আপু। ব্যস্ততার কারণে হয়তো মন্তব্য করতে পারিনি।অ্যানের প্রসঙ্গে এক্সেল খালুর কথাটা দারুন ভাবে কাজ করেছে,
" একজন অন্ধ লোককে বিয়ে করে তার মত হবার জন্য সারাজীবন নিজের দু চোখ বন্ধ করে থাকার চেষ্টা করা।" গল্পের ঘটনাপ্রবাহে পরে বিষয়টি খুব সামঞ্জস্য লেগেছে। অ্যানের লেখা ইন্সপেক্টর উদ্দেশ্যে চিরকুটটি রেচেল পুড়িয়ে খুবই ভালো কাজ করেছে।
যাই পরবর্তী পর্বে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২৭
করুণাধারা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরী। এবার যান পরের পর্বে, কিছুক্ষণ পরেই শেষ পর্ব চলে আসবে!!
২০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উফফ..
যাক বাবা অল্পের জন্য সবাই বেঁচে গেল!!
কানের পাশ দিয়ে গুলি যাওয়ার মতোই...
যাই পরের পর্বে
++++
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২৯
করুণাধারা বলেছেন: হ্যা, একেবারে যাকে বলে কানের পাশ দিয়ে গুলি বের হয়ে যাওয়া...
এতদিন ধরে পাশে থেকে অনুপ্রাণিত করায় অনেক ধন্যবাদ, ভৃগু। শুভকামনা রইল।
২১| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৮:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: কোন শ্রমই বিফলে যায় না। আপনি পরিশ্রম করে অনুবাদ করে যাচ্ছেন, অনুবাদগুলো দিনে দিনে উজ্জ্বলতর হচ্ছে।
এ্যান কী করে বসে, সেটা নিয়ে বেশ উৎকন্ঠিত ছিলাম। শেষ পর্যন্ত আত্মাহুতির পথই সে বেছে নিল! ইন্সপেক্টর উদ্দেশ্যে অ্যানের লেখা চিরকুটটা রেচেল পুড়িয়ে ফেলে সেই উৎকন্ঠা যেন কিছুটা দূর করলো।
"একজন অন্ধ লোককে বিয়ে করে তার মত হবার জন্য সারাজীবন নিজের দু চোখ বন্ধ করে থাকার চেষ্টা করা।" - তুলনাটা ভালো লেগেছে।
পোস্টে প্লাস + +।
০১ লা জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১৩
করুণাধারা বলেছেন: কোন শ্রমই বিফলে যায় না। খুব ভালো লাগলো কথাটা।
আপনার মন্তব্য ও প্লাস পেয়ে অনুপ্রাণিত বোধ করছি। অনেক ধন্যবাদ।
এটা অন্য সময়ের, অন্যদেশের মানুষের গল্প। কিন্তু আমার পড়তে গিয়ে মনে হয়েছে মানুষের অনুভূতিগুলো দেশ কাল পাত্র ভেদে তেমন পরিবর্তন হয় না...
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৫৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পাঠে মুগ্ধ হলাম।