নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগের পর্ব: নতুন জীবন- চৌদ্দ
[এতদিন কাহিনী বর্ণিত হচ্ছিল প্রথম পুরুষে, ডেভিডের ভাষায়। এখন কাহিনী সংক্ষেপ করার জন্য কাঠামো বদলে তৃতীয় পুরুষে বর্ণনা করা হল]
প্রান্তভূমির দিকে যাত্রা
ডেভিডরা স্থির করে,তারা দিনের বেলা লুকিয়ে থেকে শুধু রাতে যাত্রা করবে, দক্ষিণ- পশ্চিম অভিমুখে। দিনের বেলায় পালা করে ঘুমাবে আর পাহারা দেবে। সেইমত প্রথম ঘুমাতে গেল রোজালিন আর পেট্রা, সেইসময়ে মাইকেল ডেভিডের সাথে যোগাযোগ করে জানাল যে, ওদের ধরতে টহল দল তৈরি করে বিভিন্ন দিকে যাবার প্রস্তুতি চলছে। মাইকেল বলল, ও গুজব রটাবে যে ডেভিডদের দক্ষিণ- পূর্ব দিকে যেতে দেখা গেছে, তারপর টহল দলকে সেদিকে নিয়ে যাবে। এই সময় মার্ক যোগ দিল, ও বলল ও গুজব রটাবে ডেভিডদের উত্তর পশ্চিমে দেখা যাবার।
কয়েক ঘণ্টা পর ডেভিড রোজালিনকে জাগিয়ে ঘুমাতে গেল, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই রোজালিনের আর্তনাদে ঘুম ভেঙ্গে গেল; শুনতে পেল মাইকেল রোজালিনকে স্বান্তনা দিচ্ছে। ওদের আলাপ থেকে বুঝলো ডেভিড বুঝল, রোজালিন তীর ছুঁড়ে একটা লোককে মেরে ফেলায় খুব ভয় পেয়ে গেছে, লোকটা গাছের আড়াল থেকে ওকে দেখছিল!! ডেভিড আতঙ্কিত রোজালিনকে শান্ত করল, তারপর দুজন মিলে লোকটার মৃতদেহ একটা গর্তে লুকিয়ে ঝরাপাতা দিয়ে ঢেকে দিল।
বিকালের দিকে ক্যাথেরিনের তীব্র যন্ত্রণাময় কান্না ওদের কাছে পৌঁছাল। ক্যাথেরিনের যন্ত্রণা এত বেশি ছিল যে ও কোন ভাবনা চিত্র পাঠাতে পারছিল না। স্যালী জানালো যে, প্রচন্ড নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ক্যাথেরিন ইন্সপেক্টরকে সব বলে দিয়েছে, স্যালীও স্বীকার করেছে সব, ওরা ইন্সপেক্টরকে শুধু ডেভিড, রোজালিন আর পেট্রার কথা বলেছে, বাকিদের কথা বলেনি...
স্যালীর ভাবনা চিত্র মিলিয়ে গেল; কিন্তু ওদের সবার মাথাতেই ওর যন্ত্রণার চিত্র রয়ে গেল। মাইকেল জানাল, ডেভিড আর ওর সঙ্গীদের নিয়ে ইন্সপেক্টর খুবই বিচলিত হয়েছেন, কারণ তাদের বিকৃতির ধরণ এমন যে, বিশ বছর তারা সবার সাথে মিশে কাটিয়েছে, ধরা না পড়ে। এই ধরনের বিকৃতিকে তিনি বিপজ্জনক মনে করছেন। তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে এই তিনজনকে বিকৃত সৃষ্টি বা না- মানব হিসাবে ঘোষণা দিয়ে এদের দেখামাত্র মেরে ফেলার হুকুম দিয়েছেন। ওদের মেরে ফেলার হুকুম হয়েছে শুনে ডেভিড বলল, প্রাণ বাঁচাতে ওদের খুব তাড়াতাড়ি প্রান্তভূমিতে পৌঁছাতে হবে।
কথা শেষ করেই ওরা যাত্রা শুরু করল, প্রান্তভূমিতে যাবার কথা শুনে পেট্রা মুখে কিছু বলল না কিন্তু ঘোড়া চলা শুরু হতেই হঠাৎ তার সেই প্রচন্ড জোরে আর্তনাদের বিচ্ছুরণ শুরু করল, এই বিচ্ছুরণের ধাক্কা সামলে ডেভিড পেট্রাকে এর কারণ জানতে চাইলে পেট্রা বলল প্রান্তভূমিতে থাকা দৈত্য দানবদের ও ভয় পাচ্ছে!! এসময় মাইকেল পেট্রাকে বোঝাতে লাগলো যে, প্রান্তিক মানুষেরা মোটেই দৈত্য দানব না, তারা ওদের মতোই মানুষ। কথার মাঝখানে পেট্রা মাইকেলকে থামতে বলে বলল, আরেকজন কেউ ওর সাথে যোগাযোগ করতে চাইছে।
যিল্যান্ডের মহিলা
শুনে সবাই অবাক হলো; ডেভিড, রোজালিন, মাইকেল, রেচেল, মার্ক সবাই খুব মনযোগ দিয়েও কোন ভাবনা চিত্র ধরতে পারল না, কিন্তু পেট্রা চোখ বুজে খুব মন দিয়ে কিছু শুনছিল। চোখ খুলে ও ডেভিডদের বলল, একজন মহিলা ওকে প্রশ্ন করছিলেন। মহিলাটি অনেক অনেক দূরে থাকেন, কিন্তু পেট্রার ভয়ার্ত বিচ্ছুরণ তার কাছে পৌঁছেছে, তাই তিনি জানতে চাচ্ছেন পেট্রা কোথায় থাকে। পেট্রা জানাল ওরা ল্যাব্রাডরে থাকে। মহিলা জানালেন, তিনি বহুদূরে দক্ষিণ- পশ্চিমে থাকেন, সেই জায়গার নাম যিল্যান্ড, সেই জায়গার চারপাশে সাগর। সেই মহিলা জানালেন ল্যাব্রাডর বলে কোন জায়গা আছে বলে তার জানা নেই; মাইকেল- ডেভিড- রোজালিনরাও যিল্যান্ডের নাম কখনো শুনেছে বলে মনে করতে পারল না। ডেভিড পেট্রার কাছ থেকে যিল্যান্ডের বর্ণনা শুনে বুঝতে পারল, ছোটবেলায় ও যে একটা অদ্ভুত শহরের স্বপ্ন দেখত, যিল্যান্ড হুবহু সেই শহর!
সারারাত চলার পর সকালে ওরা এক জায়গায় থামল। সারারাত জেগে পেট্রা হয়রান ছিল বলে ওকে আর রোজালিনকে ঘুমাতে দিয়ে ডেভিড পাহারায় বসল। কিছুক্ষণ পর মাইকেল জানাল, রোজালিন যাকে হত্যা করেছিল সেই লোকের কুকুর লুকিয়ে রাখা লাশ বের করে ফেলেছে, এটা দেখে সবাই বুঝে গেছে ডেভিডরা দক্ষিণ পশ্চিমে যাচ্ছে। এখন অন্যদিকে থাকা সমস্ত দলগুলোকে একত্রিত করা হচ্ছে ওদের পিছু ধাওয়া করার জন্য। আবার পালাতে হবে... রোজালিন আর পেট্রার কাঁচা ঘুম ভাঙ্গিয়ে ডেভিড আবার চলা শুরু করল। এবার হঠাৎ সামনে এল এক ঘোড়সওয়ার, ডেভিড আর রোজালিন কয়েকটা তীর ছুঁড়ে তার ভবলীলা সাঙ্গ করল। লাশ লুকানোর জন্য সময় ব্যয় না করে আবার চলা শুরু করল, এরপর লুকিয়ে থাকার উপযোগী একটা জায়গা পেয়ে ওরা বিশ্রাম নিতে থামল।
ঘোড়ারা ঘাস খাচ্ছে, ডেভিডরাও গোগ্রাসে খাবার খাচ্ছে, এমন সময় যেন তড়িতাহত হয়ে ডেভিড বিষম খেল; একটু ধাতস্থ হয়ে বুঝল পেট্রা তার দূরের বন্ধু, সেই মহিলার সাথে কথা বলছে, এটা তারই অভিঘাত। পেট্রার বন্ধু ডেভিডদের সাথে কথা বলতে চাইলেন, কিন্তু ডেভিড আর রোজালিন তাদের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেও ওনার কাছে পৌঁছাতে পারল না। অবশেষে পেট্রা মহিলার কথা শুনে ডেভিডদের কাছে পাঠাতে লাগলো- মহিলার কথা এই, পেট্রা অসাধারণ অভিক্ষেপণ ক্ষমতার অধিকারী, তাই পেট্রাকে রক্ষা করার জন্য তিনি আসছেন, তার পৌঁছানো পর্যন্ত যেন যে কোন মূল্যে ডেভিডরা পেট্রাকে রক্ষা করে। তিনি বারে বারে একথা বলতে লাগলেন। ডেভিডের খুবই অদ্ভুত লাগছিল, কারণ এক্সেল খালু পৃথিবীর যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে দক্ষিণ পশ্চিমে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত শুধু পোড়াভূমি থাকার কথা, তাহলে এই যিল্যান্ড কোথায়!!
সন্ধ্যার একটু আগে, রোজালিন আর পেট্রা ঘুমাচ্ছে এমন সময় মাইকেল জানাল যে, ধাওয়াকারী দল দৈত্য ঘোড়ার পায়ের ছাপ খুঁজে পেয়েছে, এখন এই ছাপ ধরে অনুসরণ করে ওরা ডেভিডদের ধরে ফেলবে, তাই যত তাড়াতাড়ি পারে ওদের সরে পড়তে হবে। ডেভিড জানতে চাইল স্যালী আর ক্যাথেরিনের খবর কেউ জানে কিনা। রেচেল জানাল যে স্যালী আর ক্যাথেরিন অত্যাচারের পর অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল, তারপর থেকে আর যোগাযোগ নেই, এর অর্থ একটাই হতে পারে, ওদের দুজনকে মেরে ফেলেছে!!
দুই বন্ধুর এমন মৃত্যুর খবর শুনে ডেভিড আর মাইকেল স্তব্ধ হয়ে গেল; প্রথম কথা বলল মাইকেল। বলল, ধরা পড়লে কথা আদায়ের জন্য রোজালিন আর পেট্রার উপরও প্রচন্ড নির্যাতন করবে। সেই যন্ত্রনাময় মৃত্যু থেকে বাঁচাতে যেন ডেভিড ওদের আগেই মেরে ফেলে...
প্রান্তভূমিতে আগমন
আবার যাত্রা শুরু করার পর দেখা গেল পেট্রা একদম চুপচাপ; তারপর যখন বকবক শুরু করল তখন বোঝা গেল এতক্ষণ ও ঐ মহিলার কথা শুনছিল।
- যিল্যান্ড খুব মজার দেশ- সেখানে সবাই ভাবনা চিত্র বানাতে জানে, অবশ্য সবাই একাজে খুব দক্ষ যে তা না, বেশিরভাগই তোমার আর ডেভিডের মতো। অবশ্য আমার বন্ধু তাদের থেকে অনেক বেশি দক্ষ, কিন্তু উনি বলেছেন যে আমার মতো আর কাউকে এত জোরদার ভাবনা চিত্র উনি বানাতে দেখেননি। উনি বলেছেন, আমার কিছুটা প্রশিক্ষণের দরকার, তারপর আমি এমন সাঙ্ঘাতিক দক্ষ হয়ে উঠব যা অনেক কাজে লাগবে... উনি বলেন, যেসব মানুষ শুধু মুখে কথা বলতে জানে তারা অসম্পূর্ণ মানুষ, তারা খুব একাকী, তারা জানেইনা কিভাবে অনেক মানুষ মিলে একসাথে ভাবতে হয়...
পেট্রা আপনমনে কথা বলতে লাগলো, আর ঘোড়ার পিঠে চেপে ডেভিডরা অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে এগিয়ে যেতে থাকলো। প্রায় তিন ঘন্টা চলার পর যে জঙ্গলে ঢুকলো, অন্ধকারেও তার গাছপালার অস্বাভাবিক আকার আকৃতি দেখে ওরা বুঝল যে প্রান্তভূমিতে পৌঁছে গেছে!! এরপর কি করবে, কোনদিকে যাবে ভাবতে ভাবতেই ডেভিডের মনে হলো মাথার উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়ল, সঙ্গে সঙ্গেই ডেভিড জ্ঞান হারালো।
রোজালিন কোমল স্বরে ক্রমাগত ডাকতে থাকায় একসময় ডেভিড চেতনা ফিরে পেল। নড়তে গিয়ে দেখতে পেল ওর পা বাঁধা, শুনতে পেল মাইকেল উদ্বিগ্ন ভাবে ওর কাছে জানতে চাইছে কী ঘটেছে। জবাব দিল রোজালিন; বলল, গাছের ডালের উপর ওত পেতে থাকা চার পাঁচজন প্রান্তিক মানুষ ওদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, একজন সরাসরি ডেভিডের ঘাড়ে, ফলে ডেভিড অজ্ঞান হয়ে যায়। তারপর আরো কয়েকজন প্রান্তিক মানুষ ঘোড়া ঘিরে ধরে, অজ্ঞান ডেভিডকে একটা ঘোড়ায় আর বাকি দু'জনকে অন্য ঘোড়ায় চাপিয়ে প্রান্তভূমির আরো ভেতরে নিয়ে যাচ্ছে। প্রান্তিক এই লোকগুলো বেশ হাসিখুশি। নোংরা, ছেঁড়াফাটা কাপড় ছাড়া ওদের সবকিছুই সাধারণ মানুষের মত।
ডেভিড তাকিয়ে দেখল চারপাশে অস্বাভাবিক সব উদ্ভিদ। ওর ঘোড়ায় যে প্রান্তিক মানুষ বসে আছে তার কোন অস্বাভাবিকতা প্রথমে নজরে না পড়লেও পরে দেখল লোকটার ডানহাতে তিনটা আঙ্গুল নেই। ডেভিডের জ্ঞান ফিরেছে দেখে লোকটা ডেভিডের দিকে একটা চামড়ার পাত্র বাড়িয়ে দিয়ে পানি পান করতে দিল, তারপর ডেভিডের সাথে অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা করল। সে বলল, ডেভিডদের বন্দী করা হয়েছে, কারণ প্রান্তভূমি এলাকায় নতুন কেউ এলে তাকে বন্দী করাই নিয়ম।
ডেভিড বুঝতে পারছিল, এই অস্বাভাবিক রাজ্যে ওদের আগমনের কারণ বোঝাতে হবে, কিন্তু ওদের শারীরিক কোন বিকৃতি নেই, তাহলে ওদের অস্বাভাবিকতা কোথায় এটা কিভাবে বোঝাবে সে ব্যাপারে মাইকেলের সাথে আলোচনা করল। মাইকেল বলল, ডেভিড যেন শুধু ওদের তিনজনের কথাই বলে, যে ওরা পরষ্পরের সাথে ভাবনা চিত্রের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, এটাই ওদের অস্বাভাবিকতা!!
ডেভিড পেট্রাকে বুঝিয়ে বলল, ও যেন মাইকেলদের বা যিল্যান্ডের মহিলার উল্লেখ না করে। পেট্রা বুঝতে পারল, কিন্তু বলে উঠলো,
- যিল্যান্ডের বন্ধু তো একেবারে কাছে চলে এসেছে!
বলে আবার তার বন্ধুর সাথে কথা বলতে লাগলো। উনি যে সত্যিই কাছে চলে এসেছেন, সেটা ডেভিড আর রোজালিন দুজনেই বুঝতে পারছিল কারণ ওদের কাছেও পেট্রার বন্ধুর ভাবনা চিত্র পৌঁছাচ্ছিল। রোজালিন উনার সাথে যোগাযোগের জন্য যতদূরে পারে ওর ভাবনা অভিক্ষেপণ করল, মহিলা প্রত্যুত্তরে জানালেন ওদের সাথে যোগাযোগ করতে পেরে উনার খুব ভালো লাগছে, এখন পেট্রাকে নিয়ে তার উদ্বেগ কিছুটা কমেছে, পেট্রা তার শিশুসুলভ ভাষায় যেভাবে পরিস্থিতি বর্ণনা করছিল তা তিনি ভালভাবে বুঝতে পারেননি। তিনি রোজালিনের কাছে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলেন।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্য আর প্লাস পেয়ে অনুপ্রাণিত বোধ করছি মনিরা, সন্দেহ ছিল এভাবে লেখা কেউ পছন্দ করে কিনা।
পরের পর্ব আগামীকাল দেব ইন শা আল্লাহ।
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালোবাসা ও শুভ কামনা আপনার জন্য।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: আপনার জন্যও ভালোবাসা ও শুভকামনা, নেওয়াজ আলি।
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আমার পোস্টে মন্তব্য করার সবুজ বাটন আসছে না। আপনার এই পোস্ট আগামীকাল পড়ে মন্তব্য করব। যেজন্য আসা একটু আগে আরোগ্যের একটি মেইল পেলাম। দিনে দুটি ইনজেকশন নিতে হচ্ছে। ডাক্তার চেঞ্জ করেছে। সন্দেহবশত আইসোলেশনে থাকলেও এখনকার ডাক্তার নিউমোনিয়ার উপর জোর দিয়েছেন। হ্যাঁ আপনি ঠিকই ধরেছেন ওর যাবতীয় দায়িত্ব ওকে নিজেকেই করতে হচ্ছে। গত কয়েকদিনের মধ্যে আজকে একটু বেটার ফিল করছেন।
আপনারা সকলেই ভাল থাকবেন আপু।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪৪
করুণাধারা বলেছেন: নিয়ম ভেঙে আগে আপনাকে উত্তর করছি পদাতিক চৌধুরী। আরোগ্যের খবরটা জেনে খুব ভালো লাগছে, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ খবর জানানোর জন্য। আসলে আমার এটা ভেবে খারাপ লাগে, এই বয়সেই অসুস্থ অবস্থায় তাকে অসুস্থ মা আর নানীর দেখাশোনা করতে হয়। হয়তো এটা আল্লাহর পরীক্ষা!! আল্লাহ ওকে সুস্থ্য করে দিন।
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ধারাবাহিক পোষ্ট।
থ্রিল আছে, আনন্দ আছে। মজা আছে। আকর্ষন আছে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪২
করুণাধারা বলেছেন: বাহ্, আপনার মন্তব্য পেয়ে মন ভরে গেল। শুভেচ্ছা জানবেন।
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:১৬
মা.হাসান বলেছেন: আপনার বর্ননার ভঙ্গিটি এত শক্তিশালী আর সাবলিল যে তৃতীয় পুরুষেও চমৎকার লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্যও আনন্দিত মনে গ্রহণ করলাম। শুভকামনা...
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:২৮
সোহানী বলেছেন: টেনশানে এ পর্ব শেষ করলাম। তাড়াতাড়ি বাকিটা দেন নতুবা রাতে ঘুম হবে না..........
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: টেনশন করার দরকার নেই, আজই হয়তো শেষ পর্ব দিয়ে দেব। এই দীর্ঘ সময় সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ সোহানী।
৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৪৯
কাছের-মানুষ বলেছেন: অফলাইনে সবগুলো পর্বই পড়েছিলাম, চমৎকার গল্প সেই সাথে আপনার বর্ণনাও অসাধারণ, এত ভাল অনুবাদ / রূপান্তর খুব কম মানুষই পারে। কিছুদিন আগে আমি একটি অনুবাদ গল্প কয়েক পৃষ্ঠা পড়ে আর পড়তে পারিনি, অনুবাদ যাচ্ছেতাই ছিল, সবাই এটা পারে না। আপনার অনুবাদ দারুণ হচ্ছে, সাবলীল।
আমি বলব কষ্ট হলেও আপনি কাহিনী সংক্ষেপে না করে স্বাভাবিক গতিতে লিখে যান। এটা একটা এচিভমেন্ট হয়ে থাকবে।
গল্পের নামটি আমার কাহিনীর সাথে বেমানান লাগছে! একটি মানান সই নাম হলে ভাল হত, নতুন জীবন নামটি দিয়ে হয়ত পুনর্জীবন বুঝাতে চেয়েছেন তবে থিমকে তুলে ধরছে না আমার মতে!
যাইহোক চালিয়ে যান লেখা স্বাভাবিক নিয়মে।
২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬
করুণাধারা বলেছেন: প্রথমবার আমার ব্লগে আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগছে কাছের-মানুষ। আপনার প্রশংসা পেয়ে খুব ভালো লাগলো। আমার এই প্রিয় গল্পটা ব্লগে শেয়ার করতে চেয়েছিলাম, ঠিকমতো আগাচ্ছিলামও, কিন্তু তারপর পরিস্থিতি এমন ভীতিকর আর অনিশ্চিত হয়ে উঠল যে আমি আর ঠিকমতো রূপান্তর করতে পারছিলাম না, পরে কখনো করার সুযোগ পাবো কিনা তাও জানিনা। তাই এভাবে শেষ করে দেবার সিদ্ধান্ত নেই।
গল্পের নাম ব্রিটিশ সংস্করণে Chrysalids, অ্যামেরিকান সংস্করণে Re-birth. কোনটার অর্থ নতুন জীবন না, কিন্তু আমি কোন উপযুক্ত নাম পাইনি তাই নতুন জীবন দিয়েছি। আপনার কথা মাথায় থাকল, ভালো কোন নাম মনে এলে এটা বদলে দেব।
ধন্যবাদ আর শুভকামনা।
৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: শুভ সকাল।
০১ লা মে, ২০২০ রাত ১২:১৯
করুণাধারা বলেছেন: দুঃখিত রাজীব নুর, সময়মতো আপনার শুভকামনার প্রত্যুত্তর করতে পারিনি। এখন করছি, আপনার গোটা জীবনের জন্য শুভকামনা।
৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এক বিপদ না পেরুতেই আরেক বিপদে বন্দী!!!
একটু আশা যিল্যান্ডের উদ্ধারকারী...
টেনশনতো বেড়ে যাচ্ছে সবদিকেই। উদ্ধারের আর পর্ব শেষ হয়ে যাবার
++++
০১ লা মে, ২০২০ রাত ১২:২৩
করুণাধারা বলেছেন: ভৃগু, রমজানের আগে থেকেই ব্যস্ততা বাড়ে, তাই প্রত্যুত্তর করতে এত দেরি। দুঃখিত দেরির জন্য।
মন্তব্য আর প্লাসে অনুপ্রেরণা দেয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ, শুভকামনা রইল।
১০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
নতুন প্রান্তভূমি আসার পর বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে এই
তিনজনের অবস্থা কোন দিকে মোড় নেয় সেটা দেখার
অপেক্ষায় রইলাম। কেমন জানি একটু ভয় ভয়
লাগছিল ভয় কেটে যাচ্ছে বোঝা গেলো।
০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১:১২
করুণাধারা বলেছেন: অনেক দেরি করে ফেললাম উত্তর দিতে মুক্তা নীল, খুবই দুঃখিত।
আশাকরি ইতিমধ্যে বাকি পর্বগুলো পড়া হয়ে গেছে!! মন্তব্য আর প্লাস দিয়ে অনুপ্রাণিত করায় অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।
১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২
জুন বলেছেন: পড়ছি করুনাধারা। পাঠকদের ধরে রাখার জন্য আপনার লেখনী অত্যন্ত শক্তিশালী।
কৌতুহল নিয়ে পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
+
০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১:১৬
করুণাধারা বলেছেন: প্রশংসায় আপ্লুত হলাম জুন, যদিও লেখনী আমার নয়... পরের জাগা পরের জমি ঘর বানাইয়া আমি রই...
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা রইল।
১২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ব্যতিক্রমী অস্বাভাবিকত্ব:- ভাবনা চিত্রের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন। চমৎকার জায়গায় নিয়ে এলেন আপু। পেট্রা ওদের মধ্যেও ব্যতিক্রমী। এদিকে এরা পৌঁছে গেছে প্রখন্তভূমিতে অন্যদিকে যিল্যান্ডের মহিলাও হাজির হলো বলে। এমতাবস্থায় ডেভিড কিভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে তা জানার অপেক্ষায়।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।
০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১:২২
করুণাধারা বলেছেন: ভাবনা চিত্র ব্যাপারটা বেশ আকর্ষণীয় মনে হয়েছে আমার কাছে, এতে ভাষার বিভিন্নতার অসুবিধা থাকে না। ভাষা দিয়ে যদি যোগাযোগ করতে হয়, তাহলে টেলিপ্যাথি থাকলেও তেমন সুবিধা হবে না। অবশ্য টেলিপ্যাথি সম্পন্ন মানুষের মাথায় নিশ্চয় গুগল ট্রান্সলেটর জাতীয় কিছু থাকবে...
আপনার জন্যও শুভকামনা রইল পদাতিক চৌধুরী।
১৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯
নীল আকাশ বলেছেন: অরিজিনাল লেখাও কী ৩য় পুরুষে?
লেখার শুরুতে কোন পুরুষ এটা না লিখলেও চলতো। পাঠক পড়ার সময় লেখার মাঝে ডুবে যেত টেরই পেত না।
এখন নাম করণ নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। লেখা মনে শেষ হয়ে এসেছে।
বই বের করার সময় আরও আকষর্নীয় নাম দিতে হবে। যিল্যান্ডের মহিলার চরিত্র'টাকে আমার কাছে রানী বা এই ধরণের কিছু মনে হচ্ছে। দেখা যাক কী হয়?
০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১:২৬
করুণাধারা বলেছেন: না, অরিজিনাল লেখা প্রথম পুরুষে, অধিকাংশ দীর্ঘ কথোপকথন। সেটা সঙক্ষেপ করার জন্য লেখার কাঠামো বদলে করেছি।
সাথে সাথে থেকে অনুপ্রেরণা দেয়ায় আরেকবার ধন্যবাদ নীল আকাশ। শুভকামনা রইল।
১৪| ১৬ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: যাক, ওরা শেষ পর্যন্ত প্রান্তভূমিতে পৌঁছাতে পারলো বলে স্বস্তি পেলাম।
ভাবনাচিত্র কথাটাকে ভাল লেগেছে।
৭ নং মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্যের একটি অংশ প্রসঙ্গে বলছি, আপাততঃ আপনার এ সিরিজটির নাম 'নতুন জীবন' এর বদলে "অন্য জীবন" রাখতে পারেন। পরে আরও কোন উপযুক্ত নাম পেলে তা আবার বদলে দিতে পারেন।
২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:১৫
করুণাধারা বলেছেন: ধাওয়া খেতে খেতে শেষ পর্যন্ত ওরা এমন জায়গায় পৌঁছাল যেখানে মানুষ আছে, সেই মানুষেরা ওদের কোন সাহায্য করতে না পারলেও মেরে ফেলার চেষ্টা করবে না...
সিরিজটির জন্য আপনি যে নাম প্রস্তাব করেছেন সেটা ভালো লেগেছে, যদিও কাহিনীর শেষ পর্বের নাম ইতিমধ্যেই "নতুন জীবন" রেখে ফেলেছি। এখন নাম বদলালেও সব বদলাতে হবে... সমস্যা হচ্ছে, গত তিন মাস যাবত আমার যে "নতুন জীবন" শুরু হয়েছে, তাতে আমি কোন কিছু করার উৎসাহ পাচ্ছি না। যদি আবার অন্য জীবন শুরু হয়, তখন নাহয় চেষ্টা করব...
আট নম্বর পর্বে আপনার মন্তব্যর আবার উত্তর দিয়েছি। অনুগ্রহ করে দেখে নেবেন।
শুভকামনা রইল।
১৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৫
আখেনাটেন বলেছেন: যিল্যান্ডের মহিলা কি ভিলেন নাকি..........প্রান্তিক মানুষেরা মনে হচ্ছে তাদের সমগোত্রিয়দের ভালো পায়...।
২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৪
করুণাধারা বলেছেন: প্রান্তিক মানুষেরা মনে হচ্ছে তাদের সমগোত্রিয়দের ভালো পায়...। আমিও সমগোত্রীয়দের ভালো পাই...
যিল্যান্ডের মহিলা কি ভিলেন নাকি? ক্রমশ প্রকাশ্য....
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: তৃতীয় পুরুষে বর্ণনা ও ভালো লাগছে ,
এ পর্বে কিছু স্বস্তি পাওয়া গেল ;
অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বের।