নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন জীবন- সতের

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:০৫

আগের পর্ব: নতুন জীবন- ষোল

মোমবাতি নিভিয়ে সোফি নেমে গেল, ডেভিড অন্ধকারে বসে দেখতে লাগল বাইরে ফাঁকা জায়গায় মাঝে মাঝে মাঝে আগুন দেখা যাচ্ছে, হয়ত কেউ রান্না করছে, মাঝে মাঝে আগুনের আবছা আলোয় অস্পষ্ট ছায়ামূর্তি দেখা যাচ্ছে। কিছুক্ষণ পর রোজালিনের নিশ্চিন্ত হবার ভাবনা চিত্র এল, "যাক, মিটে গেছে.." বলে।

এরপর দীর্ঘ সময় প্রতীক্ষার পর গুহার নিচে একটা আওয়াজ পাওয়া গেল। রোজালিন জিজ্ঞেস করল,
- তুমি এখানে আছ তো ডেভিড? আমি আসবো?
ডেভিড ওদের আসতে বলল।

সোফি আর রোজালিন
একটু পরেই একে একে তিনজন উঠে এল। সোফি আবার মোমবাতি জ্বেলে দিল, সেই আলোতে রোজালিন আর পেট্রা আতঙ্কে চোখ বিস্ফারিত করে দেখতে লাগলো, কিভাবে সোফি বালতি থেকে পানি নিয়ে ছোরা আর ওর কাপড় থেকে রক্ত ধুয়ে ফেলছে... ধোয়া শেষ করে সোফি রোজালিনের মুখোমুখি এসে দাঁড়ালো; দুজনেই দুজনকে খুঁটিয়ে দেখতে লাগলো। সোফি অনেকক্ষণ ধরে রোজালিনের সুন্দর পশমী জামা আর চামড়ার জুতা দেখল, তারপর নিজের নোংরা- ছেঁড়া  পোশাক আর জুতার দিকে তাকিয়ে কিছু ভাবতে লাগলো।

ডেভিড সোফিকে বলল, রাতের অন্ধকারে ওরা পালিয়ে জঙ্গলে চলে যেতে চায়, কিন্তু সোফি বলল, প্রহরীর মৃতদেহ আবিষ্কারের পর যখন ওরা দেখবে রোজালিনরা পালিয়েছে, তখন ওরা প্রথমেই যাবে জঙ্গলে খুঁজতে, সোফির গুহায় কেউ আসবে না। তাই গুহা নিরাপদ, তিন-চার দিন পর সব শান্ত হলে ডেভিডরা গুহা ছেড়ে যেতে পারে। রোজালিন বলল,
- কিন্তু তুমি কেন আমাদের জন্য এত ঝামেলা পোহাচ্ছ?

ডেভিড মাকড়সা মানবের জন্য সোফির ভালবাসার কথা রোজালিনকে বলল, কিন্তু এই ব্যাখ্যায় রোজালিনকে তেমন সন্তুষ্ট মনে হলো না। মোমবাতির মৃদু আলোয় দু্ই তরুণী পরষ্পরের দিকে চেয়ে রইল; সোফি হঠাৎ কেমন হিংস্র ভঙ্গিতে রোজালিনের সামনে এসে বলল,
- জাহান্নামে যাও! তোমার ওই সুন্দর চেহারা নিয়ে তুমি জাহান্নামে যাও! আমি উনাকে পছন্দ করি দেখে হাসি পাচ্ছে না? হাসো, খুব হাসো আমাকে নিয়ে...

বলতে বলতেই সোফি কাঁদতে শুরু করল, তারপর ওর ডালপালার বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে বুকফাটা কান্নায় ভেঙে পড়লো, ডেভিড দেখল ওর খালি পা দেখা যাচ্ছে, তাতে ছয়টা আঙ্গুল! রোজালিন অনুতপ্ত আর হতভম্ব মুখে বসে রইল!

পেট্রা বড়দের চুপ করে বসে থাকতে দেখে নিজেই উঠে সোফির কাছে গেল, তারপর সোফির কালো চুলে হাত বোলাতে বোলাতে বললো,
- কেঁদো না! প্লিজ, তুমি কেঁদো না...
এক মূহুর্তের জন্য কান্না থামল, সোফি হাত বাড়িয়ে পেট্রার গলা জড়িয়ে ধরল; কান্না পুরোপুরি না থামলেও  কমে আসছিল গভীর বেদনার সুর।

গুহায় অন্তরীণ
গুহার শক্ত মেঝেতে ঘুমিয়ে ডেভিডের যখন ঘুম ভাঙ্গল তখন গুহার প্রবেশপথের বাইরে ঝলমলে রোদ দেখা যাচ্ছে। তখনই মাইকেল এল, ডেভিডকে জানাল ভোরের আলো ফুটতেই ওরা অভিযান শুরু করেছিল, প্রান্তিক মানুষেরা কয়েক জায়গায় আড়ালে ওঁৎ পেতে ছিল, কিন্তু মাইকেলদের বাহিনীর সাথে লড়াইয়ে হেরে গিয়ে পিছু হটেছে। সুতরাং মাইকেলরা বিনা বাঁধায় এগোচ্ছে, প্রান্তিক মানুষেরা যদি দলবেঁধে আক্রমণ করেও, তবুও মাইকেলদের রুখতে পারবে না।

 ডেভিড ভাবনায় পড়ল, এখন গুহা থেকে বের হলে প্রান্তিক মানুষদের হাতে ধরা পড়বে, আর গুহায় থাকলে পরে ওর নিজের মানুষের হাতে ধরা পড়বে! মাইকেল ডেভিডের দুর্ভাবনার সঙ্গী হলো, ওর কাছে জানতে চাইল, পেট্রার যিল্যান্ডের বন্ধুর উপর কতটা ভরসা করা যায়। এসময় যিল্যান্ডের মহিলার প্রত্যয়ী কন্ঠ শোনা গেল,
- পুরোপুরি ভরসা করতে পার, আমরা সময়মতো পৌছে যাব, এখন থেকে আর সাড়ে আট ঘণ্টা পর!
এরপর উনি বলে চললেন,
- কী ভয়াবহ দৃশ্য!! আমরা অনেক পোড়াভূমি দেখেছি, কিন্তু এমন ভয়ঙ্কর কিছু দেখার কথা আমাদের সুদূরতম কল্পনাতেও ছিল না। যতদূর দেখা যায় মাইলের পর মাইল ভূমি পুড়ে জমাটবাঁধা কালো কাঁচের মত হয়ে গেছে, কোথাও প্রাণের কোনো চিহ্ন নেই, মাঝে মাঝে একচিলতে পোড়াভূমি... তারপর আবারো সেই জমাটবাঁধা কালো কাঁচ... প্রাচীন মানুষেরা এই এলাকায় কী করেছিল, যে এমন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে? আমরা কেউ কখনো এতদূর পর্যন্ত আসিনি, মনে হচ্ছে যেন পৃথিবীর শেষ সীমানায় পৌঁছে নরকের মধ্যে দিয়ে চলেছি, যেখানে শুভ ও সুন্দরের কোন চিহ্ন নেই!! কিন্তু কেন?? কেন?? ঈশ্বর মানুষের হাতে অনেক ক্ষমতা দিয়েছিলেন, সেই মানুষগুলো নিশ্চয় ক্ষমতার উন্মাদনায় মত্ত হয়ে গিয়েছিল, নাহলে কেন তারা তাদের সেই ক্ষমতা এমনভাবে প্রয়োগ করলে যে, বিশাল পাহাড়গুলো অঙ্গার আর বিস্তীর্ণ ভূমি কালো কাঁচ হয়ে রইল- এত শতাব্দী পরেও!! ভয়ানক, কী ভীষণ ভয়ানক! শুধু তোমরা আছ বলেই এই ভয়াবহ এলাকা পার হয়ে এতদূর এসেছি, নাহলে আমরা ফিরে যেতাম...
মহিলার কন্ঠ চাপা পড়ে গেল পেট্রার তীব্র আর্তনাদে, ঘুম ভেঙ্গে উঠে মহিলার ফিরে যাবার কথা শুনেই ভয় পেয়ে গেছে পেট্রা। ডেভিড ওকে শান্ত করল।

পেট্রা জেগেছে দেখে মাইকেল ওকে বলল রেচেলের খোঁজ নিতে, ও এতদূর থেকে যোগাযোগ করতে পারছে না। পেট্রা রেচেলের সাথে যোগাযোগ করে জানাল যে, ও একা হয়ে গিয়ে খুব ভয় পাচ্ছে। মাইকেল পেট্রাকে বলল, ও যেন রেচেলকে বলে মনে সাহস রাখতে। পেট্রা জানিয়ে দিল।

একটু পরেই সোফির ঘুম ভাঙ্গল; শান্ত ভঙ্গিতে ওর চলাফেরা দেখে ডেভিডের আশ্বস্ত হলো, ওর মনের কষ্ট কেটে গেছে ভেবে!! গুহায় ঢোকার পথে একটা পাথরের চুলা ছিল, সোফি সেটা ধরিয়ে তার উপর একটা হাঁড়িতে পানি দিয়ে তারমধ্যে দানাদার কিছু ঢেলে দিয়ে রোজালিনকে বলল রান্নার দিকে খেয়াল রাখতে; নিজে মই বেয়ে নেমে গিয়ে একটু পর ফিরল হাতে গোলাকৃতির একধরনের খাবার নিয়ে। ডেভিডকে জানাল, প্রহরীর মৃতদেহ আবিষ্কারের পর প্রান্তিক মানুষেরা ডেভিডদের খোঁজে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েছে, কিন্তু ওদের মূল সমস্যা এখন আক্রমণকারীদের ঠেকানো, ডেভিডদের খুঁজতে ওরা বেশি সময় নষ্ট করবে না! ডেভিড ওকে জানাল মাইকেলের থেকে যা জেনেছিল, সোফি একটু ভেবে বলল, জঙ্গল পার হয়ে নদীর তীরে পৌঁছাতে মাইকেলদের প্রায় তিন ঘন্টা লাগবে, তাহলে কয়েক ঘণ্টা হাতে আছে।

সোফি ওর হাতের গোলাকার রুটি ভেঙে হাঁড়িতে দিয়ে কিছুক্ষণ সেদ্ধ করে চুলা নিভিয়ে খাবারটা কয়েকটা পাত্রে ঢেলে সবাইকে খেতে দিল। খেতে খেতেই পেট্রার বাড়ির কথা মনে পড়লো, হঠাৎ করে ও মাইকেলকে জিজ্ঞেস করে বসলো,
- মাইকেল, আমার বাবাও কি তোমাদের সাথে আছেন?

ডেভিড কিছু করার আগেই দেখল, অসাবধানতা বশত মাইকেল একটা "হ্যা" চিত্র তৈরি করে ফেলেছে! ছোট্ট পেট্রা পর্যন্ত বুঝতে পারলো ওর বাবা কেন আসছেন! ডেভিডের মনে পড়ল তার বাবার নির্মমতা, হ্যারিয়েট খালাকে যিনি মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পেরেছেন নিজের সন্তানদেরও তিনি মেরে ফেলতে পারবেন... ওদের নীরবতা দেখে সোফি জানতে চাইল কী ঘটেছে, ডেভিড সোফিকে ওর বাবার কথা বলল, তারপর সোফির কথা ভাবতে লাগলো। সোফির শতচ্ছিন্ন পোশাক, ওর এই কষ্টের জীবন, এরজন্য ওর বাবার মতো মানুষেরাই দায়ী। ও ভাবল,
- ঈশ্বর বিশুদ্ধতা পছন্দ করেন... নিজের পিতাকে সম্মান করতে হয়... আমার কী করা উচিত, তাকে ক্ষমা করা নাকি তাকে শেষ করা?

অজান্তে ডেভিড তার ভাবনা দূরে প্রক্ষিপ্ত করে ফেলেছিল, তাই যিল্যান্ডের মহিলার থেকে প্রশ্নের উত্তর পেয়ে ও চমকে গেল।
- তাকে আসতে দাও! এটা একটা লড়াই, তোমাদের টিকে থাকার লড়াই, এমন এক প্রজাতির বিরুদ্ধে যারা এখনো প্রাচীন মানুষের অনেক বৈশিষ্ট্য বয়ে বেড়াচ্ছে, যে প্রাচীন মানুষেরা নিজেদের ধ্বংস ডেকে এনেছিল। এদেরও ধ্বংস হতেই হবে, টিকে থাকবে শুধু আমাদের প্রজাতি, আমরা গড়ব এক নতুন পৃথিবী...

যুদ্ধ ও মৃত্যু
সোফি গুহার মুখের কাছে বসে খেতে খেতে জিজ্ঞেস বাইরে কী হচ্ছে দেখছিল। ও বলল, বেশিরভাগ পুরুষ মানুষ গর্ডনের তাঁবুর আশেপাশে ঘুরছে, গর্ডন হয়ত ফিরে এসেছে। খাওয়া শেষ করে ও বলল,
- কী ঘটছে দেখে এসে তোমাদের বলব।
প্রায় ঘন্টাখানেক পর ফিরে সোফি জানাল, ওরা নদীর পাড়ে নানা জায়গায় লুকিয়ে ঘাপটি মেরে থাকবে, মাইকেলরা নদী পার হলেই আক্রমণ করবে। ডেভিড মাইকেলকে জানিয়ে দিয়ে বলল, মাইকেল যেন যেকোনো অজুহাত দেখিয়ে নদী পার হতে দেরী করে...

এইসময় নিচে থেকে সোফিকে কেউ ডাকল, সোফি বলল মাকড়সা- মানব ওকে ডাকছে, সাড়া দিয়ে ও তাড়াতাড়ি নেমে গেল। আরো ঘন্টাখানেক কেটে যাবার পর যিল্যান্ডের মহিলা যোগাযোগ করলেন, বললেন ডেভিডরা যেন এক দুই করে সংখ্যা গুনতে থাকে, সেটা শুনে উনি ডেভিডদের অবস্থান নির্ণয় করবেন। কিছুক্ষণ পর উনি জানালেন যে ওদের অবস্থান উনি বুঝতে পেরেছেন।

গুহার বাইরে একটু উঁকি দিয়ে ডেভিড দেখল,  পুরুষদের কাউকে দেখা যাচ্ছে না, কয়েকজন মহিলা হাতে তীরধনুক নিয়ে ঘুরছে। এইসময় মাইকেল কথা বলল, জানাল ওরা বুঝতে পেরেছে প্রান্তিক মানুষেরা কোথায় ঘাপটি মেরে আছে, এদের পরাস্ত করা মাইকেলদের জন্য কঠিন হবে না। ডেভিড দোটানায় পড়ে গেল, প্রান্তিক মানুষেরা পরাস্ত হলে ওকে ওর বাবার মুখোমুখি হতে হবে, আর সেটা এড়াতে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলেও ধরা পড়তে হবে... অপেক্ষা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই!

ওরা তিনজন শুনতে পেল কয়েকবার গুলির শব্দ হলো, পড়িমড়ি করে জঙ্গলের গাছের আড়াল থেকে নানা রকম শারীরিক বিকৃতিসম্পন্ন মানুষ বের হয়ে ফাঁকা জায়গায় আসতে লাগলো, তাদের হাতে তীরধনুক বা বর্শা, তাদের মাঝে মাকড়সা- মানবকে দেখা গেল, ওর পাশে তীরধনুক হাতে সোফিও আছে। বোঝা গেল প্রান্তিক মানুষেরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে!! গুলির শব্দ বেড়ে যাচ্ছিল, ডেভিডরা দেখল সাঁই সাঁই করে তীর ছুটছে... এই সময় শোনা গেল যিল্যান্ডের মহিলার প্রশ্ন,
- তোমরা নিরাপদে আছো তো?

ডেভিড গুহার মুখে বসে দেখতে লাগলো, একসময় দেখল প্রান্তিক মানুষদের দুইদিক থেকে শত্রুপক্ষ ঘিরে ধরেছে, ওরা দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পালাচ্ছে, অনেকে গুহার দিকে আসছে। ডেভিড ঠিক করল ওদের গুহায় কেউ আসার চেষ্টা করলেই ও মই তুলে নেবে! এই সময় ডেভিডদের ডানপাশের জঙ্গল থেকে একজন একজন করে ঘোড়সওয়ার বেরোতে লাগলো। ডেভিডের নজর গেল মাকড়সা- মানবের তাঁবুর দিকে, দেখল মাকড়সা- মানব ধনুকের ছিলা টেনে তৈরি হয়ে ঘোড়সওয়ারদের দিকে লক্ষ্য রাখছে, যেন কারো অপেক্ষায় আছে, সোফি ওর জামার ছেঁড়া পাতা ধরে টেনে যাচ্ছে ওকে নিয়ে পালানোর জন্য। হঠাৎ মাকড়সা- মানব স্থির হয়ে দাঁড়াল, বিদ্যুতের বেগে ওর তীর ছুটল, ডেভিড দেখল তীর গিয়ে ওর বাবার বুকের বাম পাশে বিঁধল! ডেভিডের বাবা প্রথমে ধাক্কা খেয়ে শেবা ঘোড়ার উপর থেকে হেলে পড়লেন, তারপর পুরোপুরি পড়ে গেলেন মাটিতে। মাকড়সা- মানব তীরধনুক ফেলে দিয়ে লম্বা হাত দিয়ে সোফিকে একটান মেরে ধরে দৌড়াতে লাগলো, বেশি দূর যাবার আগেই একঝাঁক তীর এসে ওর হাতে- পিঠে বিঁধে ওকে মাটিতে পেড়ে ফেলল! সোফি না থেমেই দৌড়াতে লাগল, ওর হাতে একটা তীর বেঁধার পরেও দৌড়াচ্ছিল কিন্তু ঘাড়ে একটা তীর বিঁধতেই ও  পড়ে গেল...


মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:১১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: নন্দিত ভাবে উপস্থাপন ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২১

করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি, ভালো থাকুন।

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যাক বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে হলো না....

বিজয়ের কাছাকাছি শেষ করত্ওে শান্তি অনুভব হলো! :)

সামনের পর্বে কি শেষ হয়ে যাবে?

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৪

করুণাধারা বলেছেন: বিজয়ের কাছাকাছি শেষ করত্ওে শান্তি অনুভব হলো! আমার যেমন লেখা শেষ করতে পেরে শান্তি লাগছে।

পর্ব তো শেষ, মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।

৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা। ভাষা সুন্দর। আকর্ষন আছে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৪

করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
এখনো শঙ্কিত লাগছে লাগছে লাগছে রোজালিন
প্রেট্টা ডেভিড শেষ পর্যন্ত কি অবস্থা হয় আর সোফির
জন্য তো বটেই ।
অনেক কষ্ট করছেন আপা এই অনুবাদটি নিয়ে বুঝাই যাচ্ছে ধন্যবাদ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:২৯

করুণাধারা বলেছেন: সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ মুক্তা নীল, গল্পের সমাপ্তি সুখের হয়েছে। ওরা সবাই ভীতিকর জীবন থেকে একটা সুন্দর জীবন পেয়েছে।

অনুবাদ করতে কষ্ট হতো না, যদি না এই করোনার দিন আসত।
শুভকামনা রইল মুক্তা নীল।

৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ২৪ঘন্টার ব্যবধানে সবগুলো খন্ড পড়লাম। খুবই আকর্ষনীয় প্লটটা। আপনার লেখার হাত দারুণ। শেষ কেমন হবে বুঝতে পারছি হয়তো। শুভ্র শুভকামনা।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩০

করুণাধারা বলেছেন: প্লট আমার না, আমি কেবল রূপান্তর করেছি প্রান্ত। তোমার ভাল লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।

৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০১

সোহানী বলেছেন: টেনশানে শেষ করলাম.....

২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩২

করুণাধারা বলেছেন: আজকেই শেষ টেনশন! :)

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপাতত এটা শেষ করলাম। যাই এখন শেষ পর্বে।

০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: প্রায় শেষে এসে পড়েছেন। এতদিন সাথে থাকায় ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরী।

৮| ২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: উহ! কি ভয়ঙ্কর যুদ্ধের রূপকথা! যীল্যান্ডের মহিলা ত্রাতার ভূমিকায়, এটা জেনে আশ্বস্ত বোধ করছি।
বর্তমান বিশ্বেও একজন নিউ যীল্যান্ডিও মহিলাকে আমার কাছে বিশ্ব নেতা মনে হয়। তাঁকে আমি খুব সমীহ করি।
পোস্টে দশম ভাল লাগা + +।

২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১১

করুণাধারা বলেছেন: বর্তমান বিশ্বেও একজন নিউ যীল্যান্ডিও মহিলাকে আমার কাছে বিশ্ব নেতা মনে হয়। তাঁকে আমি খুব সমীহ করি

মনে করিয়ে দিলেন!! আমিও তাকে খুব সমীহ করি। রাষ্ট্রের হাল ধরে ঠিকমতো চালনা খুব কঠিন কাজ, উনি খুবই দক্ষতার সাথে একাজ করছেন। গত বছর মসজিদে হত্যাকান্ডের পরে তার নেয়া পদক্ষেপ সারা বিশ্বে তাকে মানবতাবাদী বলে পরিচিত করে তুলেছিল। আর কোভিড পরিস্থিতি তিনি যেভাবে নিয়ন্ত্রণে আনলেন, তাতে বোঝা যায় যে তিনি দেশের জন্য কতটা নিবেদিত প্রাণ!! তাকে সমীহ না করার কারণ নেই।

মন্তব্য ও প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই, সুস্থ থাকুন সপরিবারে।

৯| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৮

আখেনাটেন বলেছেন: যুদ্ধ ও শান্তি মনে হচ্ছে..............

২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

করুণাধারা বলেছেন: যুদ্ধের শেষে তো শান্তিই থাকবে; মরা মানুষেরা কি আর অশান্তি করতে পারে!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.