নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগের পর্ব: নতুন জীবন- সতের
যন্ত্রযান ও আঠার সুতা
পেট্রা লড়াই দেখছিল না, একমনে কিছু শুনছিল। ডেভিডকে জিজ্ঞেস করল,
- কিসের এমন গমগম শব্দ হচ্ছে ডেভিড?
উত্তর এল যিল্যান্ডের মহিলার থেকে,
- এই শব্দে ভয় পেয়ো না পেট্রা, আমরা পৌঁছে গেছি!
যিল্যান্ডের মহিলা যে সত্যিই পৌঁছে গেছেন তাতে আর কোনো সন্দেহ ছিল না, কারণ একটা অদ্ভুত গমগমে আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল, আর তা ক্রমেই বাড়ছিল। এরই মধ্যে ডেভিড দেখল জঙ্গল থেকে আরো ঘোড়সওয়ার বেড়িয়ে খোলা জায়গায় জমা হচ্ছে, প্রান্তিক মানুষদের দিকে তীর ছুঁড়ছে, এদের অনেককেই ডেভিড জন্মাবধি চেনে, আজ তারা ছুটে এসেছেন ওকে হত্যা করতে...
এসব ভাবতে ভাবতে ডেভিড দেখল ঘোড়সওয়ারেরা উপর দিকে তাকিয়ে চিৎকার করছে। ডেভিডও সেদিকে তাকাল, দেখল কুয়াশার মত একটা আবরণে আকাশ ঢেকে গেছে, তারমধ্যে চমকাচ্ছে নানা রঙের বিদ্যুতের মতো আলো, সাদা চকচকে একটা প্রকান্ড মাছের মতো জিনিস কুয়াশার ভেতর দিয়ে দেখা যাচ্ছে! ডেভিডের মনে পড়ল ছোটবেলায় স্বপ্নে সে এরকম আকাশে ভাসমান মাছ দেখত!
আকাশ থেকে ক্রমাগত মাকড়সার জালের মতো হালকা সুতা ঝরে পড়ছিল, আর সবকিছু ঢেকে দিচ্ছিল। একটা মহা হুলুস্থুল শুরু হলো, ঘোড়াগুলো ভয়ে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পালাতে গিয়ে একটা আরেকটার উপরে পড়তে লাগলো... মানুষ চাপা পড়ছিল...ডেভিড মাইকেলকে ডাক দিলে মাইকেল সাড়া দিল, ডেভিড দেখতে পেল মাইকেল দাঁড়িয়ে আছে একটা পড়ে যাওয়া ঘোড়ার পাশে। মাইকেল গুহার দিকে তাকিয়ে ডেভিডদের দেখে হাত নাড়ল, তারপর বলল,
- আসছি এখুনি...
বলে গুহার দিকে আগাতে আগাতে বাম হাত দিয়ে ডান কব্জি থেকে ঝরে পড়া কিছু সুতা সরাতে গেল, কিন্তু হঠাৎ ভয়ে চিৎকার করে উঠল,
- এটা ভীষণ আঠালো, আমার হাত আটকে গেছে, নাড়তে পারছিনা!!
শান্তভাবে যিল্যান্ডের মহিলা মাইকেলকে বললেন যে ভয়ের কিছু নেই, ও যেন মাটিতে শুয়ে পড়ে, আর কোনরকম নড়াচড়া না করে। মাইকেল বাধ্য ছেলের মতো শুয়ে পড়ল, কিন্তু ওর মনের সংশয় স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। বাকি সব মানুষ শরীর থেকে সুতা সরানোর চেষ্টা করছিল, কিন্তু যেখানেই তাদের হাত লাগছিল সেখানেই হাত আটকে যাচ্ছিল! কেউ দৌড়ে পালাতে গেল, দু'পা যেতেই আঠালো সুতায় পা আটকে মাটিতে পড়ে গেল। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা গেল, সব মানুষ আর ঘোড়া মাটির সাথে আটকে গেছে, তখনো তাদের উপর অবিরাম সুতা ঝরে পড়ছে...
রোজালিন আর পেট্রা একটু ভেতর দিকে বসে বাইরে দেখছিল। হঠাৎ পেট্রা পরম নিশ্চিন্ত হয়ে "যাক,ওরা এসে গেছেন" বলায় ডেভিড দেখল, বড় মাছের মত জিনিসটা মাঠে এসে নেমেছে, আর গুহার খোলা মুখ দিয়ে ভেতরে হালকা সুতা ভেসে আসছে... আর কিছু দেখার আগেই ওর মুখের উপর সুতার হালকা ছোঁয়া টের পেল, দুই চোখ আঠালো সুতায় বন্ধ হয়ে গেল!!
ডেভিড চুপচাপ শুয়ে ছিল, কিন্তু অনবরত সুতা শরীরে জমা হওয়ায় ওর মনে হচ্ছিল ওর হাতে মুখে কেউ পাখির পালক দিয়ে সুরসুরি দিচ্ছে, আবার কিছুক্ষণ পরেই সুতাগুলো শক্ত হয়ে চামড়ায় ব্যথা করছিল। ডেভিড শুনল মাইকেল ভাবছে, এভাবে শুয়ে না পড়ে তাড়াতাড়ি পালিয়ে যাওয়া ভালো হতো। ডেভিড কিছু বলার আগেই যিল্যান্ডের মহিলা ওদের আশ্বস্ত করে ধৈর্য্য ধরতে বললেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই গমগমে আওয়াজ থেমে গেল, কোনরকম শব্দই শোনা যাচ্ছিল না। যিল্যান্ডের মহিলা মাইকেলকে বললেন এক,দুই করে গুনতে, যাতে উনি ওর কাছে পৌঁছাতে পারেন। মাইকেল সংখ্যার আকার পাঠাচ্ছিল, বারোতে পৌঁছাতেই ডেভিড দেখল সংখ্যার আকারের সাথে স্বস্তি আর কৃতজ্ঞতা মিশে গেছে, শুনতে পেল মাইকেলের কন্ঠ,
- ওরা ওই গুহায় আছে, ওই যে...
পরিচয় পর্ব
মইয়ের ক্যাচক্যাচ শোনা গেল, একটু পরে ডেভিড টের পেল ওর সারা গায়ে ভেজা কিছু ছেটানো হচ্ছে। চোখের আঠালো ভাব কেটে যেতেই ও চোখ খুলে দেখল মইয়ের শেষ ধাপে হাতে পিচকিরী নিয়ে যিনি দাঁড়িয়ে আছেন, চকচকে সাদা পোশাকে তিনি পুরোপুরি আবৃত, একটা স্বচ্ছ আবরণের ভেতর দিয়ে শুধু তার চোখ দেখা যাচ্ছে। তিনি গুহার ভেতরে ঢুকে রোজালিন আর পেট্রাকেও মুক্ত করতে লাগলেন, ওর পেছন পেছন ভেজা পোশাকে মাইকেল উঠে এল। ডেভিড বাইরে তাকিয়ে দেখতে পেল বড় মাছের মতো যন্ত্রের উপরের ঘূর্ণির মত জিনিসটা থেমে আছে, মাছের মধ্যে একটা খোলা দরজা দেখা যাচ্ছে। ফাঁকা জায়গার দৃশ্যপট পুরোপুরি বদলে গেছে, মনে হচ্ছে পুরো জায়গাটা অজস্র মাকড়সার জালে ঢেকে গেছে; কুটির, তাঁবু, মানুষ, ঘোড়া সব জালে আটকা পড়ে নিথর হয়ে রয়েছে।
বাইরে থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে ডেভিড ভেতরে তাকালো। রোজালিন আর পেট্রা মুক্ত হয়েছে, পেট্রার কৌতুহলী চোখ আগন্তুকের চকচকে পোশাকের উপর! তিনি হাতের দস্তানা আর মাথার আবরণ খুলে নিয়ে ওদের দেখতে লাগলেন, ওরা চারজনও গভীর বিস্ময়ে উনাকে দেখতে লাগলো, কারণ এত নিখুঁত সুন্দর মানুষ ওরা কখনো দেখেনি। যিল্যান্ডের মহিলা পেট্রার দিকে তাকিয়ে হাসলেন, উনার থেকে ডেভিডদের কাছে যে ভাবনা চিত্র এল তাতে আনন্দ, সন্তুষ্টি, কৃতিত্ব অর্জন, স্বস্তি, অনুমোদন, সর্বোপরি প্রবল বিস্ময় একাকার হয়ে ছিল। যিল্যান্ডের মহিলার এই ভাবনার সবটুকু পেট্রা ধরতে পারল না, ও একটু অস্বস্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে রইল, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ও খিলখিল করে হেসে উঠায় ডেভিডের মনে হলো যিল্যান্ডের মহিলা আর পেট্রার মধ্যে কোনো বার্তা বিনিময় হলো, কিন্তু তা এমন স্তরের যে ডেভিড তা ধরতে পারেনি!
যিল্যান্ডের মহিলা পেট্রাকে উঁচু করে ধরলেন, পেট্রা উনাকে ছুঁয়ে দেখল। উনি পেট্রাকে নামিয়ে ওকে চুমু খেয়ে হাসলেন, তারপর বললেন,
- আমাদের এত কষ্ট করে আসা সার্থক হয়েছে! অনেক ঝামেলা হয়েছে অনুমতি পেতে... এর আগে এই দূরত্বের অর্ধেকও আমরা কেউ আসিনি... এতদূরে জাহাজ পাঠানো অনেক ব্যয়বহুল, এটা করে কতটা লাভ হবে তা নিয়ে সবার সন্দেহ ছিল... কিন্তু এত কষ্ট করে আসা সার্থক হয়েছে, আমরা অমূল্য রত্ন খুঁজে পেয়েছি।পেট্রা এত অল্প বয়সে, কোনরকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই ওর ভাবনা পৃথিবীর একেবারে অন্য প্রান্তে পৌঁছে দিতে পারে, এটা অবিশ্বাস্য এক দক্ষতা!! প্রশিক্ষণ পেলে ওর দক্ষতা অনেক বেড়ে যাবে...ওকে প্রশিক্ষণ দেবেন আমাদের সেরা প্রশিক্ষকেরা... তারপর একসময় ও হবে সবার শিক্ষক...
যিল্যান্ডের মহিলা সোফির ডালপাতার বিছানায় বসে ওদের কিছুক্ষণ দেখলেন, তারপর পেট্রার হাত ধরে রেখে বললেন,
- একে অন্যকে সাহায্য করে তোমরা বহুদূর এসেছ, সেজন্য তোমাদের অভিনন্দন জানাই। আশাকরি আমাদের মাঝে নতুন জীবন শুরু করে তোমরা সুখী হবে, আমাদের থেকে তোমরা আরো অনেক কিছু শিখতে পারবে...
চল, এবার রওয়ানা হই।
মাইকেল উনাকে অনুরোধ করল ওয়াকনুকে গিয়ে রেচেলকেও তুলে নিতে। উনি একটু চিন্তিত হয়ে মাছ- যন্ত্রের ভেতরে থাকা কারো সাথে যোগাযোগ করলেন, তারপর মাথা নেড়ে বললেন,
- মাইকেল, আমি খুবই দুঃখিত, ওকে গিয়ে তোলার উপায় নেই, যদি পারতাম আমরা অবশ্যই ওকে নিতাম। কিন্তু আমরা আমাদের হিসাবের চেয়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে ফেলেছি... এই যন্ত্র চলে একরকম জ্বালানি দিয়ে, এখন যেটুকু আছে তাতে খুব সাবধানে গেলে আমরা ঠিকমতো পৌঁছাতে পারব। কিন্তু ওয়াকনুকে নামতে আর উঠতে বাড়তি জ্বালানি খরচ হবে, ফলে আমাদের ফিরতি যাত্রা শেষ করতে হবে মাঝপথে, হয়ত কোন সমুদ্রের উপরে...
উনি চুপ করলেন, সহানুভূতি আর ধৈর্য্য নিয়ে ওদের সময় দিলেন পরিস্থিতি বোঝার জন্য। সবাই চুপ করে বসে রইল, গভীর নিস্তব্ধতা নেমে আসায় ওরা লক্ষ্য করলো, বাইরের এতগুলো মানুষ আর প্রাণী কোন শব্দ করছে না! এর অর্থ বুঝতে পেরে রোজালিন কেঁপে উঠল,
- ওরা... ওরা কি সবাই মরে গেছে? আমি, আমি ভেবেছিলাম ওরা...
- হ্যা, ওরা মারা গেছে। প্লাস্টিকের সুতাগুলো শুকিয়ে ওদের অচেতন করেছিল, পরে মারা গেছে। তীরধনুক বা বর্শায় মৃত্যুর তুলনায় এই মৃত্যু কষ্টহীন।
রোজালিনের মতো ডেভিডও কেঁপে উঠলো, এইভাবে এত মানুষকে মেরে ফেলা ও মানতে পারছিল না। কিন্তু যিল্যান্ডের মহিলাকে একেবারে নির্বিকার দেখাচ্ছিল, ওরা দুজন মানতে পারছে না দেখে উনি বললেন,
- প্রাণী হত্যা কোন আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা নয়, তবু নিজে বাঁচার জন্য কখনো কখনো অন্যকে মারতে হয়... প্রান্তিক মানুষদের জীবন ছিল চরম কষ্টকর, তাদের জীবনে কোন আশা- আনন্দ ছিল না। এইরকম জীবন যাপনে যারা তাদের বাধ্য করেছিল, অর্থাৎ তোমার বাবারা, তারা অনেকটা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী ছিল, তোমরা তো সেটা দেখেছ! কিন্তু প্রকৃতির নিয়মই এটা, সর্বময় ক্ষমতার অধিকারীকেও একসময় যেতে হয়। তোমরা কি মহা টিকটিকির কথা শুনেছ? পৃথিবী থেকে তাদেরও চলে যেতে হয়েছিল।
তোমরা এদের জন্য দুঃখবোধ করছ, এদের মাঝে তোমাদের জীবন কেটেছে তাই এদেরকে তোমরা তোমাদের স্বজন বলে ভাবছ। কিন্তু আসলে ওরা তোমাদের স্বজন নয়, তোমরা ওদের চাইতে উন্নত প্রজাতির, তোমরা আমাদের মতো সম্মিলিত ভাবে ভাবতে পার, এই ক্ষমতা ব্যবহার করে আমরা একসাথে অনেক দুর্যোগ কাটাতে পারি, নতুন অনেক কিছু সৃষ্টি করতে পারি...
জীবনের প্রয়োজন অগ্রগতি, অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন পরিবর্তনকে মেনে নেয়া, পরিবর্তনের বা বিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়ানো- এই সবই আমাদের জীবনের অংশ।
যে জীবন কোন ব্যতিক্রম বা পরিবর্তন গ্রহণ করতে পারে না সে জীবন স্থবির, এই স্থবিরতা জীবনের অগ্রগতি রোধ করে, অতএব যে মানুষেরা এমন স্থবির জীবন যাপন করে তারা আমাদের শত্রু... তাদের চলে যেতেই হবে। যদি এখনো তোমাদের মনে সংশয় থাকে, মনে করে দেখ এই মানুষগুলো অন্যরকম মানুষের সাথে কি আচরণ করার শিক্ষা তোমাদের দিয়েছিল! ভেবে দেখ, এই মানুষগুলো তোমাদের সাথে কী করতে যাচ্ছিল, কেন করতে যাচ্ছিল...
যিল্যান্ডের মহিলার কথা সবই ঠিক বলে মনে হচ্ছিল, তবু ডেভিড নিজেকে তার আত্মীয়স্বজনের থেকে আলাদা প্রজাতির বলে ভাবতে পারছিল না। কিন্তু পেট্রার দিকে চোখ পড়তেই ওর মনে পড়ে গেল কয়েকদিন যাবত সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, মনে পড়ে গেল অতীতের নানা স্মৃতি; পানিতে ভেসে থাকা হ্যারিয়েট খালার খোলা দুই চোখ, এ্যানের আত্মহত্যা, অত্যাচার করে হত্যা করা ক্যাথেরিন আর স্যালীর মুখ, বন্য জীবনে সোফির কষ্ট, ঘাড়ে তীর বিঁধে মাটিতে লুটিয়ে পড়া... পেট্রার জীবনও এদের জীবনের মতো যন্ত্রণাময় হতে পারতো, যদি যিল্যান্ডের মহিলা সাহায্য না করতেন...
মাইকেল
যিল্যান্ডের মহিলা যতক্ষণ কথা বলছিলেন, মাইকেল মুগ্ধ দৃষ্টিতে যন্ত্র- মাছ দেখছিল। কথা শেষ হবার পর ও পাথুরে মেঝের দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ ভাবল, তারপর পেট্রাকে অনুরোধ করল রেচেলের সাথে যোগাযোগ করে ওকে জানাতে যে, মাইকেলরা সবাই নিরাপদে আছে। সেটা জানাবার পর মাইকেল ওর হয়ে রেচেলকে বলতে বলল যে, তিন চার দিনের মধ্যেই মাইকেল ওকে নিতে যাবে, এই সময়টা যেন রেচেল ধৈর্য্য ধরে থাকে, সতর্ক থাকে।
মাইকেলের কথা শুনে বাকিরা অবাক হল, এর অর্থ কি ও যিল্যান্ডে যাচ্ছে না! রোজালিন কিছু বলতে যেতেই মাইকেল ওকে থামিয়ে দিল, বলল যে রেচেলকে একা ফেলে রেখে ও যাবে না। রোজালিন জিজ্ঞেস করল,
- কিন্তু ওকে নিতে যাবে অর্থ কী? কোথায় নিয়ে যাবে?
- সে কথাই ভাবছিলাম! ধরা পড়ে যাবার ভয় সবসময় মাথায় নিয়ে আমরা ওয়াকনুকে থেকে যেতে পারি, অথবা এই ভয়াবহ প্রান্তভূমিতে পালিয়ে আসতে পারি... কিন্তু এর কোনটাই ভালো সমাধান না। রেচেলের কি একটা সুন্দর জীবন পাবার অধিকার নেই? আমি চেষ্টা করে যাব আমাদের জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলার, সেজন্য আমরা সেখানে যাব এই যন্ত্র আমাদের যেখানে নিয়ে যেতে পারল না...
যিল্যান্ডের মহিলা চোখে সহানুভূতি নিয়ে মাইকেলের কথা শুনছিলেন। ওর কথা শেষ হতেই উনি বললেন,
- এটা অনেক দীর্ঘ পথ; তাছাড়া মাঝে মাঝেই দুর্গম, বিপদসংকুল এলাকা পড়বে!
- তা জানি, কিন্তু পৃথিবী তো গোলাকার, নিশ্চয়ই অন্যপাশ দিয়েও আপনাদের এলাকায় যাওয়া যায়।
- সেই পথ খুব কঠিন, বিপজ্জনকও...
- ওয়াকনুকও বিপজ্জনক! তাছাড়া আমি যখন এখন জানতে পেরেছি যে আমাদের মত অনেক মানুষ থাকে এমন এলাকা আছে, তখন সেখানে যাবার চেষ্টা আমাকে করতেই হবে।
- এই জ্ঞানই তোমার শক্তি মাইকেল! তুমি জানতে পেরেছ যে তুমি কোন বিকৃত, অস্বাভাবিক সৃষ্টি না, সুন্দর একটা জীবন তোমার নিশ্চয়ই হবে, আমাদের মাঝে। তুমি নিশ্চিত থেকো মাইকেল, তোমার জন্য আমরা অপেক্ষায় থাকবো...
নতুন জীবন
দরজাটা ধড়াম করে বন্ধ হয়ে গেল। যন্ত্রটা প্রবলভাবে ঝাঁকুনি দেবার সাথে সাথে প্রচন্ড বাতাসের ঘূর্ণি উঠল, একটু পরেই মেঝেটা দুলে উঠলো, যন্ত্রটা মাটি ছেড়ে উপর দিকে উঠতে লাগলো, তারপর দক্ষিণ- পশ্চিমমুখী হয়ে যেতে থাকলো। পেট্রা একই সাথে আনন্দিত আর উত্তেজিত! মাইকেলের উদ্দেশ্যে বলল,
- কী অপূর্ব সুন্দর দেখাচ্ছে ওপর থেকে! যদি তুমি দেখতে মাইকেল! আমি মাইলের পর মাইল দেখতে পাচ্ছি, তোমাকে খুবই পিচ্চি দেখাচ্ছে।
নিচে একাকী দাঁড়ানো মাইকেল উপরে তাকিয়ে হাত নাড়ল, ওর ভাবনাও এসে গেল।
- এখন আমাকে দেখে তোমার পিচ্চি মনে হচ্ছে পেট্রাসোনা, কিন্তু যখন আমি তোমাদের কাছে পৌঁছাব তখন দেখবে আর একথা মনে হবে না!!
দীর্ঘসময় চলার পর ডেভিড একসময় ছেলেবেলায় দেখা স্বপ্নের দৃশ্য হুবহু দেখতে পেল! সেই নীল সমুদ্র রোদে ঝলমল করছে, জেটিতে বাঁধা সারি সারি নৌকা, তাতে নানা রঙের পালতোলা। সাদা রঙের বাড়িগুলোর মাঝে মাঝে বাগান আর পার্ক, সুন্দর রাস্তা, আরেকটা মাছের মতো যন্ত্র আস্তে আস্তে নিচে নামছে...
ডেভিডের মনে হচ্ছিল হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গিয়ে ও দেখবে আগের মত স্বপ্ন দেখছে!! ও রোজালিনকে জিজ্ঞেস করল রোজালিনও এসব দেখতে পাচ্ছে কিনা। রোজালিন মুগ্ধ স্বরে বলল,
- সত্যিই অপূর্ব ডেভিড! কখনো ভাবিনি এমন কিছু দেখব! কিন্তু তুমি কি কিছু শুনতে পাচ্ছ না? মনকে আরো ছড়িয়ে দিয়ে শোনার চেষ্টা কর... পেট্রাসোনা, এবার দয়া করে একটু চুপ কর, ডেভিডকে শুনতে দাও...
ডেভিডের মনে হলো ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছির গুঞ্জন শুনতে পাচ্ছে, রোজালিনকে জিজ্ঞেস করল এ কিসের শব্দ!
- বুঝতে পারলে না ডেভিড, অসংখ্য মানুষ, সব আমাদের মত!
একটু সময় শুনে ডেভিড বুঝতে পারল রোজালিন ঠিকই বলেছে, ও বুঝতে পারল যে এসব স্বপ্ন নয়, সবই বাস্তব, কারণ আগে স্বপ্নে কখনো সাথে রোজালিন ছিল না! ডেভিড রোজালিনের ভাবনার সুখী, আনন্দিত আকার দেখতে পেল, সেই আনন্দিত রোজালিন খুশি হয়ে ডেভিডকে কিছু বলতে যেতেই মাথায় প্রচণ্ড ধাক্কা লাগল, দু'জনেই হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরলো! চারপাশে যেন প্রতিবাদের ঝড় উঠলো, আবারো পেট্রা অনিয়ন্ত্রিতভাবে তার আনন্দ- উত্তেজনা প্রকাশ করেছে, তাই এই ধাক্কা! পেট্রা লজ্জা পেয়ে সবার কাছে ক্ষমা চাইলো, তারপর বলল,
- ওফ্! কী দুর্দান্ত, সবকিছু...
রোজালিন হাসতে হাসতে বলল,
- এমন ধাক্কা দেবার জন্য এই প্রথমবার তোমাকে কোনোই দোষ দিচ্ছি না পেট্রা! সত্যি... সবকিছুই কী দুর্দান্ত!!!
২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: উত্তর দিতে দেরি করায় খুব দুঃখিত প্রান্ত, রমজানে ব্যস্ততা বেড়ে যায় দেখে রমজান মাস শুরুর আগেই পোস্ট দেয়া শেষ করেছিলাম।
হ্যা, যিল্যান্ড সম্ভবত নিউজিল্যান্ড। পারমাণবিক বিস্ফোরণে পৃথিবীর উত্তর ভাগ ধ্বংস হয়ে গেলেও দক্ষিণে দুটো দ্বীপ দেশ টিকে যায় বলে গল্পে বলা হয়েছে। আমি মনে করি পৃথিবী ধ্বংস করার মত এমন দুর্বুদ্ধি কারো হবে না।
ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড পড়িনি, পড়ার ইচ্ছা হল।
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রান্ত, শুভকামনা রইল।
২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১৯
সোহানী বলেছেন: যাক শেষ করলাম অবশেষে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্তই একটানা আগ্রহ নিয়ে পড়েছি।
গল্পটি অবশ্যই সুন্দর আর আপনার লেখনির গুনে অনবদ্য হয়ে উঠেছে। এরকম আরো চমৎকার লিখা চাই.......
২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:০৭
করুণাধারা বলেছেন: যেভাবে শেষ করব ভেবেছিলাম তা হয়নি, তবু শেষ করতে পেরেছি এতেই খুশি...
প্রথম থেকে যে কয়জন পাঠক সবসময় পাশে থেকে উৎসাহ দিয়ে গেছেন, আপনি তাদের একজন!! আপনার এই সাথে থাকায় আমি করোনা কালের নানা ঝামেলার মধ্যেও লিখতে মেতে অনুপ্রাণিত হয়েছি, অনেক ধন্যবাদ সোহানী। শুভকামনা।
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই ধারাবাহিকটি ভালো ছিলো।
আশা করি আবার নতুন কোনো ধারাবাহিক শুরু করবেন।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:০৯
করুণাধারা বলেছেন: দেরি করে উত্তর দেয়ায় দুঃখিত রাজীব নুর, ঘরে হঠাৎ কাজ বেড়ে গেছে, সময় পাইনি...
মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৬
শের শায়রী বলেছেন: অনুবাদ দু ধরনের ভাবার্থে আর একটা আক্ষরিক, আমার ধারনা আপনি যেভাবে ভাবার্থে অনুবাদ করছেন তা অসাধারন। প্রচুর অনুবাদ বিভিন্ন সময় পড়ছি সে আলোকেই বললাম। দারুন এক সিরিজ সাফল্যের সাথে সময়ের সাথে খাপ খাওয়ানো গল্প শেষ করায় অভিনন্দন বোন।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৩
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমাকে অনুপ্রাণিত করল শের শায়রী, অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা।
বইটা অনুবাদ করতে গিয়ে যা করলাম তাকে হয়ত ভাবার্থে অনুবাদ বলা যায়, কারণ অনুবাদ করতে গিয়ে দেখলাম বইতে আছে, ধ্বংসলীলার পর কয়েকশ' বা হাজার বছর কেটে গেলেও কয়েকটি বাইবেল টিকে গেছে, তারা বাইবেলের নির্দেশনা অনুযায়ী সব কাজ করে। বারবার বাইবেলের প্রসঙ্গ এসেছে, এটা আমার খুব অবাস্তব মনে হওয়ায় বাদ দিয়ে নিজের মত লিখেছি। ২০০ পৃষ্ঠার বইয়ের প্রথম ১০০ পৃষ্ঠা শেষ করেছি ১২ পর্বে, পরের ১০০ পৃষ্ঠা ৬ পর্বে। তাই বলা যায় শেষ দিকে তাড়াহুড়া করেছি, কিন্তু এই কঠিন সময়ের সব পর্বেই আপনার মন্তব্য পেয়েছি। সেজন্য আরেকবার ধন্যবাদ...
শুভকামনা রইল।
৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: সুন্দর পরিসমাপ্তি হল।
অসাধারন গল্প, বর্ননা চমৎকার। পড়ে উপভোগ করেছি সব গুলো পর্বই।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৫
করুণাধারা বলেছেন: কাছের-মানুষ, আপনার মন্তব্য আমার জন্য অনেক অনুপ্রেরণা, অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইল।
৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুনিপুণ কারিগর
২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:১৬
করুণাধারা বলেছেন: নিয়মিত ভাবে মন্তব্য দিয়ে অনুপ্রাণিত করায় অনেক ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি। শুভকামনা রইল।
৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুক্তির সোনালী আলোয় নতুন পথ যাত্রায় শেষ হলো সিরিজ!
আহ ! শান্তি আর স্বস্তি
পেট্রার মতো ধাক্কা মারা আনন্দ হলো
হা হা হা
দারুন সিরিজের জন্য ধন্যবাদ। অসাধারণ ভাবানুবাদে দারুন ভাবে সার্থক এবং সফল বুঝতেই পারছেন
শের শায়রী ভায়া (ম্যা'ভাই)র মন্তব্যে সহমত।
নতুন জীবন সিনড্রোমে আমিতো অলরেডি খোঁজা শুরু করে দিয়েছি..
আমার ভাবনা চিত্র, সিগনাল কেউ ধরতে পারছে কিনা?
হা হা হা
+++++
২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২২
করুণাধারা বলেছেন: কেউ আপনার সিগন্যাল ধরতে পারলে অবশ্যই জানাবেন ভৃগু, এটা দারুন ব্যাপার হবে।
নিয়মিত মন্তব্য আর প্লাসের মাধ্যমে দেয়া আপনার অনুপ্রেরণা আমাকে সাহায্য করেছে সিরিজ শেষ করতে। অশেষ ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।
৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অভিনন্দন আপু !
চমৎকার একটা সিরিজের দারুণ এক পরিসমাপ্তির জন্য।
আমাদের জন্য ও আসুক এমন এক নতুন করোনা মুক্ত জীবন।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২৮
করুণাধারা বলেছেন: আমাদের জন্য ও আসুক এমন এক নতুন করোনা মুক্ত জীবন। এটা এখন সবসময়ের প্রার্থনা। কবে আবার কেউ কাউকে সন্দেহ করবে না, ঘৃনা করবে না...এই আতঙ্কের জীবন বদলে নতুন জীবন আসুক।
সিরিজে নিয়মিত মন্তব্য আর প্লাস দিয়ে অনুপ্রাণিত করার জন্য অনেক ধন্যবাদ মনিরা। অনেক শুভেচ্ছা রইল।
৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কোথায়??
২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৩০
করুণাধারা বলেছেন: বাসাতেই আছি। নানা ঝামেলায় ব্লগে আসতে পারিনি। দুঃখিত দেরি করে উত্তর দেবার জন্য।
ভালো থাকুন।
১০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:২১
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
ডেভিড ছেলেবেলায় দেখা স্বপ্নের ...
নতুন এক পৃথিবী পেলো এবং সেই সাথে পেট্রা সহ সবাই
নতুন জীবন, সেক্ষেত্রে বলতে হয় পেট্রা খুব সৌভাগ্যবতী।
সোফীকে যে এমন ভাবে উপস্থাপন করা হবে সেটা ছিল এক ধরনের চমক । আজকের পূর্বের কয়েকটি দৃশ্যপটের বর্ণনা চমৎকার করেছেন। সব মিলিয়ে অনেক ভালোলাগা জানিয়ে
শেষ করলাম।
রমজানের রহমত সবার উপর বর্ষিত হোক ।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: রমজানের রহমত সবার উপর বর্ষিত হোক । আমীন।
রমজানে এমনিতেই ব্লগে কম আসি, তারপর এবার অনেক রকম ঝামেলায় নিজের পোস্টেই প্রতিমন্তব্য করতে আসতে এত দেরি হল। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত মুক্তা নীল।
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা রইল।
১১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ১৩ থেকে এই পর্ব পর্যন্ত একটানে পড়ে ফেললাম। একসাথে এতোগুলো পর্ব পড়ে যে মজা পেয়েছি, তা বলার মতো না। একটা একটা করে পর্ব পড়ে দিনের পর দিন অপেক্ষা করে আবার আরেকটা পর্ব পড়াতে আসলে মজা কম।
যতো যাই বলেন, আপনার এই অনুবাদটা চমৎকার লাগলো। আসলে চমৎকার বললেও কম বলা হয়। ইংরেজী কমবেশী সবাই জানে, কিন্তু অনুবাদ সবাই করতে পারে না। এমন আরো অনুবাদ আপনার কাছ থেকে চাই।
আপনি আজকাল ব্লগে কম আসছেন মনে হলো। আমিও ব্যস্ততার জন্য ততোটা আসতে পারি না, তবে সমস্যা হলো, আপনি আসছেন না মন খারাপ করে। আমাদের ফেইবুক আড্ডার মানুষ একজন কমে গেলে ভালো লাগে না। ব্লগে আসেন, আড্ডা দেন.....মন ভালো হবে আশাকরি।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৮
করুণাধারা বলেছেন: যতো যাই বলেন, আপনার এই অনুবাদটা চমৎকার লাগলো। আসলে চমৎকার বললেও কম বলা হয়। ইংরেজী কমবেশী সবাই জানে, কিন্তু অনুবাদ সবাই করতে পারে না। এমন চমৎকার প্রশংসায় আপ্লুত হলাম, পারলে বাঁধিয়ে রাখতাম কথাগুলো, আপাতত বোল্ড করে রাখি!!
ব্লগে আসছি না ঠিক, কিন্তু মনখারাপ করে আসছি না এটা ঠিক না। এত ঝামেলার মধ্যে পড়ে গেছি যে মনখারাপ করার সময় পাই না। এক মাসের বেশি হল আমার বাসার পার্ট টাইম কাজের মহিলাকে ছাড়তে হল, সাথে সাথে ঘরের কাজ বেড়ে গেল। কাজ করতে লাগলাম।
দোকনপাট খোলা কিনা জানিনা, থাকলেও এসব কিনতে আমাকেই যেতে হবে, আবার ঘরে বাইরের লোক ঢুকাতে হবে!! প্রথমে নষ্ট হল ফোনের চার্জার, পানির ফিল্টার, ওয়াশিং মেশিন, তাও চালিয়ে যাচ্ছিলাম, এরপর প্যাচ কেটে গেল রান্না ঘরের সিংকের কলের। এখন সারাদিন অন্য সিংকের থেকে ছোট হাড়িতে করে পানি এনে বড় এক হাড়ি ভরে রাখি, তারপর সেটা থেকে বারবার বাটিতে পানি নিয়ে ধোয়াধুয়ি, রান্না। জান কেরোসিন- বিস্তারিত বিবরণ দিলাম যেন অনুপস্থিতির কারণ বুঝতে পারেন।
আপনার নিয়মিত মন্তব্য সিরিজ শেষ করতে আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
১২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৪৯
আনমোনা বলেছেন: এই দুঃসময়ের মধ্যেও শেষ পর্যন্ত পড়তে পেরে খুব ভালো লাগলো। শেষ কয়েকটা পর্ব খুব তাড়াহুড়ো করে লিখেছেন, আশা রাখি ভবিৎষতে ভালো সময় আসলে রি-রাইট করবেন।
মাইকেলকেই হিরো। মাইকেল আর রেচেলকে নিয়ে দিব্যি আরেকটা বই হয়ে যায়।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:১৬
করুণাধারা বলেছেন: এই ঘোর দুর্দিনে আপনাকে দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগলো আনমোনা। আশাকরি ভালো আছেন। আপনাদের খারাপ সময় তো মনে হয় কেটে গেছে।
ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে রি রাইট করব। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে পাশে থাকার জন্য। শুভকামনা রইল।
১৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:৩৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ধন্যবাদ আপু আপনাকে। চমৎকার একটি ধারাবাহিক শেষ করলেন।
মাকড়সা মাছের ঘটনাটা খুব চমৎকার লেগেছে। যিল্যান্ডের মহিলা যেভাবে ওদেরকে বিশেষ যানে করে উদ্ধার করলেন তা এককথায় অভিনব। পেট্রা, ডেভিড, রোজালিন নতুন জীবনে পৌঁছে গেলেও রেচেলের জন্য তিন-চারদিন মাইকেলের থেকে যাওয়াটা মাইকেলের আরেকটি গ্রেটনেস ফুটে উঠেছে। সব মিলিয়ে দারুণ চিত্তাকর্ষক একটি সিরিজ শেষ করলেন। আবারো ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:২২
করুণাধারা বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী, লাইক দিয়ে চলে গেলেন, আমি তো ভাবছিলাম আর আসবেনই না!!
অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করে অনুপ্রাণিত করায়। তাড়াহুড়া করে সিরিজ শেষ করেছি, তাও আপনাদের থেকে সাড়া মেলায় আমি অভিভূত!!
ভালো থাকুন, শুভকামনা।
১৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:১৪
নীল আকাশ বলেছেন: বইটা অনুবাদ করতে গিয়ে যা করলাম তাকে হয়ত ভাবার্থে অনুবাদ বলা যায়, কারণ অনুবাদ করতে গিয়ে দেখলাম বইতে আছে, ধ্বংসলীলার পর কয়েকশ' বা হাজার বছর কেটে গেলেও কয়েকটি বাইবেল টিকে গেছে, তারা বাইবেলের নির্দেশনা অনুযায়ী সব কাজ করে। বারবার বাইবেলের প্রসঙ্গ এসেছে, এটা আমার খুব অবাস্তব মনে হওয়ায় বাদ দিয়ে নিজের মত লিখেছি। ২০০ পৃষ্ঠার বইয়ের প্রথম ১০০ পৃষ্ঠা শেষ করেছি ১২ পর্বে, পরের ১০০ পৃষ্ঠা ৬ পর্বে। তাই বলা যায় শেষ দিকে তাড়াহুড়ু করেছি,
ঠিক এই কাজটার কথাই আমি একদম প্রথমে বলেছি। সবকিছু আক্ষরিক অনুবাদ পড়তে ভালো লাগে না। লেখা বেশ সুন্দর ভাবে শেষ হয়েছে। পাঠকরা খুশি হয়েছে। আমিও আপনার সাথে খুশি!
তবে এইফিনিসটা আবার আপনার নিজের মতো করে অন্ততঃ একটা প্যারা লিখুন। আমার কাছে ফিনিস পুরোপুরি পছন্দ হয়নি। মনে হচ্ছে ফিনিস নিয়ে বেশি মাথা ঘামান নি। এই অংশটা আরেকটু বড় হলে ভালো হতো, মানাতো।
ধন্যবাদ।
০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১:০৭
করুণাধারা বলেছেন: এই মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ নীল আকাশ, তাছাড়া পুরো সিরিজ ধরেই আপনার নানা সাজেশন পেয়েছি, অতি সুন্দর একটা ছবি দিয়েছেন! এইসব কিছুর জন্যই অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
শেষ করেছি হুবহু লেখকের কথা অনুবাদ করে। মাঝখানে গ্যাপ না পড়লে এটা মাসখানেক আগে শেষ হতো। সেটা করতে না পারায় আমি ঠিক করলাম রমজানের আগে শেষ করব, কারণ রমজান মাসে ব্লগে খুব কম থাকি। তাই শেষটা তাড়াহুড়া করতে হল, পরে কখনো সম্ভব হলে ফিনিশিং ঠিক করে দেব।
ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।
১৫| ০২ রা মে, ২০২০ দুপুর ১:৫৬
জুন বলেছেন: এমন পরাবাস্তব বা কল্প কাহিনী এক নাগাড়ে পড়তেই ভালোলাগে করুনাধারা। কাল একটা সিনেমা দেখলাম টিভিতে mad max বা এই জাতীয় নাম। সেটাও ধ্বংসের দিকে যাওয়া মরুভূমি সদৃশ এক পৃথিবীর মানুষের বাচার গল্প।
লেখায় অনেক ভালোলাগা রইলো । আমি ভাবছি এবার পুরোটা একসাথে পড়বো। তাহলে বুঝতে এবং উপভোগ করতে পারবো।
+
০৯ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:০১
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্য আর প্লাসে অনুপ্রেরণা দেয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ জুন।
এটার কাহিনী ঠিক একালের নয়, কোনোকালে ক্ষমতাধরদের হাতের পারমাণবিক বোমায় পৃথিবী এভাবে তেজস্ক্রিয় হয়ে যাবে এটা ভাবতেও ভালো লাগেনি। কিন্তু ভালো লেগেছে এই কাহিনীতে অশুভের বিরুদ্ধে শুভ এর জয় হয়েছে দেখে...
যদি আগের পর্বগুলো মনে না থাকে, আরেকবার পড়ে দেখতে পারেন, তাহলে সমাপ্তি বোঝা সহজ হবে। শুভকামনা রইল।
১৬| ০৮ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
সেই ১৪ পর্বের পরে যিল্যান্ডের রথে উঠে ইন্টার-গ্যালাক্টিক পথে ধীরে ধীরে ৪টি স্তর পেরিয়ে কাঙ্খিত দেশে আসতে পারলুম।
বেশ কিছু সত্য উঠে এসেছে এই চার পর্বে। চমৎকার লেগেছে গল্পের ভেতরে থাকা এই সত্য ভাবনার কিছু।
নানা রকমের ভাবনার, নানা রকমের চেতনার মানুষের মিশেলেই এই জগৎ সংসার। আর বিকৃত মন-মানসিকতার মানুষেরাই এই সংসারটাতে যতো অশান্তি সৃষ্টি করে, করে তোলে জীবনটাকে দুর্বিসহ ..... ডেভিডের বাবার মতো লোকেরাই।
“যেসব মানুষ শুধু মুখে কথা বলতে জানে তারা অসম্পূর্ণ মানুষ"। আসলেও তাই। “যতো গর্জন ততো বর্ষায় না”, প্রবাদ বাক্যটি মনে করিয়ে দিলেন।
প্রান্তভূমির দিকে যাত্রা পথের শেষে অনেকক্ষন হারিয়ে থাকা সোফির দেখাও মিললো। মিললো ভাবনা চিত্রের ধারনাটিও। ভাবনা চিত্র বিষয়টি আসলেই নতুন ভাবনার যোগান দেয়- টেলীপ্যাথিক ধারনাটি সামনে এসে যায় । এক সময় মানুষ হয়তো "থট রিডিং" এর কৌশল শিখে ফেলবে পুরোটাই।
মানুষ তথা পৃথিবী নামক গ্রহটির মায় বিশ্বব্রহ্মান্ডের একটি নতুন জীবনের জন্যে যে রসদ দরকার তাও আছে গল্পে--“মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হওয়া......”। সভ্যতা টিকিয়ে রাখতে এই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।
যদিও স্বার্থপরতা আর উচ্চাকাঙ্খা সভ্যতার ধংস ডেকে এনেছে বার বার কিন্তু ইতিহাস বলে এবং আপনিও লেখায় তা বলে দিয়েছেন - “সর্বময় ক্ষমতার লোকটিকেও এক সময় সরে যেতে হয়, ঝরে পড়তে হয়।“
কষ্টসাধ্য একটি অনুবাদ করেছেন। প্রশংসা না করলে শোভনীয় হবেনা। দারুন।
তবে আমার মনে হয়, হবহু অনুবাদ না করে বেশ কিছু লাইন ধরে ধরে তাদের আক্ষরিক অর্থ উপমান-উপমেয় আকারে/সংযোগে নিজের মতো করে লিখলে আরও হৃদয়গ্রাহী হোত। যাক এটা আমার নিজস্ব ভাবনা, অন্য অর্থে নেবেন না, আশা করি।
১১নং প্রতিমন্তব্যের সূত্র ধরে এই করোনাকালে একঘেয়েমীর ক্লান্তি একটু দূর করি - এই ফাঁকে ইঞ্জিনিয়র বা নিদেন পক্ষে টেকনিশিয়ান হয়ে যেতে পারতেন, ঘরের বিকল হওয়া সব কিছু টেপাটেপি করে আবার কাজে লাগানোর মতো করে ফেলে। চেষ্টা করুন
নিরাপদে থাকুন। ভালো থাকুন।
০৯ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩
করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমার সিরিজটিকে পূর্ণতা দিল আহমেদ জী এস! দীর্ঘ মন্তব্যর মধ্য দিয়ে আপনি যা তুলে এনেছেন আমিও বারবার এগুলো নিয়েই ভেবেছি। কোন ক্ষমতাধরই শেষ পর্যন্ত থাকে না... ক্ষমতার দম্ভে মানুষ প্রলয় ডেকে আনতে পারে। কিছুকাল আগেই তো এক প্রেসিডেন্ট দম্ভ করে বললেন, "আমি শুধু একটা সুইচ টিপে দিলেই অনেকগুলো মিসাইল গিয়ে তোমার দেশ ধ্বংস করে দেবে।" উত্তরে আরেক প্রেসিডেন্ট বললেন, "আমার টেবিলেও একটা সুইচ আছে, আমিও তোমার দেশে মিসাইল পাঠাতে পারি।" এই ধরনের নির্বোধ, দাম্ভিক মানুষ ক্ষমতায় থাকলে আমরা খুব নিশ্চিন্তে থাকতে পারিনা।
অবাক লাগে এটা ভেবে, ১৯৫৫ সালে লেখক কিভাবে ভেবেছিলেন এমন লোকেরা ক্ষমতায় এসে পৃথিবীতে ঝুঁকি বাড়াবে!!
টেলিপ্যাথি আমাকে বরাবরই আকর্ষণ করে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের গবেষণায় আরো কিছু উন্নতি হল আমার মনে হয় টেলিপ্যাথি নিয়ে মানুষের জ্ঞান বাড়বে। অবশ্য সারাক্ষণ মনের ভিতরে তার খুশি সে ঢুকে পড়বে, এই ব্যাপারটা ঠিক ভালো ঠেকছে না।
আপনার প্রশংসা আমার অনুপ্রেরণা হয়ে রইল। অনুবাদের ব্যাপারে তা বলেছেন তা খুবই ঠিক, কিন্তু করতে যে পারিনি তার দোষ আমার না, করোনার। সে যদি এভাবে জ্বালাতন না করতো, আমি ঠিকই আস্তেধীরে সুন্দর করে অনুবাদ করতে পারতাম।
করোনা কালে কতকিছুই তো হলাম, দেখি আপনার কথা মত টেকনিশিয়ান হয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারি কিনা। এটাই হওয়া বাকি আছে শুধু!!!
ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।
১৭| ২১ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫
শায়মা বলেছেন: অনেকদিন ব্লগে ঠিক ঠাক বসে থাকতে পারিনি। পড়তে পারিনি লেখাগুলো। মজার মজার কথা বা হাসি ঠাট্টায়, আনন্দ বেদনায় ঝগড়ায় কাটেনি আমার ব্লগবেলা। তাই মিস করে গেছি অনেক অনেক লেখা। এই লেখাটার ১৭ পর্ব হয়ে গেছে। ইনশাল্লাহ ঈদের ছুটিতে পড়ে ফেলবো সব সব !
২১ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:০৯
করুণাধারা বলেছেন: বহুদিন পর ব্লগে ফিরে এসেছ বলে ধন্যবাদ। এভাবে একেবারে উধাও না হয়ে মাঝে মাঝে ঢু মারো অন্তত, পোস্ট দেবার কথা নাহয় কদিন পরেই বলছি।
হ্যা, ছুটিতে বসে সব পর্ব পড়ে জানাও কেমন লাগলো টেলিপ্যাথির গল্প। তোমাকে খুব মিস করছি কিন্তু।
ঈদের আগাম শুভেচ্ছা রইল।
১৮| ২১ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:২৩
শায়মা বলেছেন: লাভ ইউ আপুনি!
আমি আগেও বিজি হতাম প্রায়ই কিন্তু এইভাবে বিজি আসলেও কখনও হয়ে যাইনি এর আগে। হয়ত এডিকশনটা বেশি ছিলো যেটা অন্য কোথাও স্থানান্তরিত হয়েছে।
যাইহোক ইনশাল্লাহ আবার ফিরিবোক। অং বং পোস্ট একটা বানিয়েই ফেলি না হয় আজকে!
৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৫৫
করুণাধারা বলেছেন: উত্তর দিতে খুব দেরি করে ফেললাম, শুয়ে শুয়ে ভাবা ছাড়া আজকাল আর কোন কিছুতে উৎসাহ পাই না
তবে অনেকদিন পর তোমাকে দেখতে পেয়ে ভালো লাগছে। তোমার পোস্ট মোটেও অং বং হয়নি, বরং রং ঢং ভরা চমৎকার পোস্ট হয়েছে। এমন পোস্ট আরো দিও।
ঈদটাও পার করে ফেললাম উত্তর দিতে দিতে! তবু, বিলম্বিত ঈদ শুভেচ্ছা জেনো।
১৯| ২৪ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:২৯
জাফরুল মবীন বলেছেন: গতকাল রাত থেকে পড়া শুরু করেছি....আজ সকালে শেষ হলো।আমি ভাগ্যবান যে সবগুলো পর্ব একটানা পড়ার সুযোগ পেয়েছি।
পড়ার শুরুতেই অনুবাদ সাহিত্য মনে হচ্ছিল।শেষে আপনার দেওয়া ভূমিকা থেকে নিশ্চিত হলাম।ভিন্ন ভাষার কোন সাহিত্য উপাদানকে নিজ ভাষায় উপস্থাপনে যে মুন্সিয়ানা দরকার তা ভালোভাবেই পরিলক্ষিত হয়েছে।নিজস্ব প্লটকে নিজ ভাষায় লেখা আর ভিন্ন ভাষার লেখাকে নিজ স্ট্যাইলে উপস্থাপন করার মাঝে যে মৌলিক পার্থক্য আছে সে ফ্লেভার পুরো লেখাতেই পেলাম।
শুরুতে ডেভিডের অবাস্তব স্বপ্ন দেখা এবং শেষে সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন আমার নিজের একটি ধারনার সাথে মিলে যাওয়ায় পূলকিত হলাম।আমার কেন জানি মনে হয় মানুষের কোন কল্পনা বাস্তবতার গন্ডির বাইরে হতে পারে না।আজ হয়ত সেটা হয়ত চরম অবাস্তব ও অযৌক্তিক হতে পারে কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেটা হয়ত চরম সত্য বলে প্রতিভাত হবে একসময়।
মনোজাগতিক বিষয়ে প্রচন্ড আগ্রহ থাকায় পুরো লেখাটি চরম আকর্ষণ করেছে।এর মাঝে বিভিন্ন আত্মোপলব্ধির বিষয়গুলোও চিন্তার খোরাক যুগিয়েছে।
লেখনি এতটাই সাবলীল ছিলো যে মনে হচ্ছিল ঘটনাগুলো দেখতে পাচ্ছি।
আপনাকে অভিনন্দন; অভিনন্দন মূল লেখক জন ওয়াইন্ডহ্যামকে।
আপনি চাইলে বই আকারে বের করতে পারেন।আশা করি পাঠক নন্দিত হবে।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
সুস্থ থাকুন,ভালো থাকুন।
৩১ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানাই এমন অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্য করে আমাকে অনুপ্রাণিত করবার জন্য। আবার কখনও কিছু অনুবাদ বা রূপান্তর করার সুযোগ এলে আপনার কথাগুলো আমাকে উৎসাহ যোগাবে।
এই গল্পের বইটা আমি অনেক কাল আগে শেষ পড়েছিলাম। আবার এই গল্প মনে পড়ল পারমাণবিক শক্তির অবিবেচনাপ্রসূত ব্যবহার নিয়ে ভাবতে ভাবতে। তারপর ভাবলাম গল্পটা ব্লগে শেয়ার করি। একজন ব্লগার একটা পোস্ট দিয়েছিলেন চেরনোবিল ঘুরে এসে, আজো সেখানে তেজস্ক্রিয়তার কারণে বিস্তীর্ণ এলাকায় গাছপালা স্বাভাবিক ভাবে জন্মাতে পারেনা। আমাদের রূপপুর কী হবে কে জানে...
মনোজাগতিক বিষয়ে আমারো খুব আগ্রহ- আমার মনে হয় মস্তিষ্কের ক্ষমতার ব্যবহার আরো কিছুটা বাড়লেই টেলিপ্যাথির বাস্তব রূপ দেখা যাবে, সেই সময় আসবেই...
আমার কেন জানি মনে হয় মানুষের কোন কল্পনা বাস্তবতার গন্ডির বাইরে হতে পারে না। আমারও তাই মনে হয়। এই যে আজ আপন হাতের মুঠোয় পুরে বিশ্বজগত দেখতে পাচ্ছি, নজরুলের এই কল্পনা বাস্তব হতে পারে এটা পঁচিশ বছর আগেও কেউ ভাবেনি!! ভবিষ্যত পৃথিবী নিয়ে এমন কিছু কল্পনার কথা পড়েছি, খুবই অবাস্তব শোনালেও আমার মনে হয় সেটা ভবিষ্যতে সত্যি হবে।
এটা আমার নিজের লেখা না হলেও ভাবানুবাদ করেছি বলে বই হিসেবে প্রকাশ করতে পারলে ভালো লাগতো হয়ত, কিন্তু শুনেছি বই বের করা খুব ঝামেলার কাজ, আর আমি এখন সমস্ত জটিলতা আর ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে চাই। তাই এখন আর বই প্রকাশের কথা ভাবছি না। আপনাদের ভালো লেগেছে পড়ে- এটাই আমার অনেক বড় পাওয়া!!
ভালো থাকার চেষ্টা করছি, পারছি না ঠিক। মানসিক সমস্যা নিয়ে লেখা আপনার পোস্টগুলো এসময় বেশ সহায়ক হচ্ছে।
আপনার জন্যও শুভকামনা, ভালো থাকুন সপরিবারে।
২০| ২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬
শায়মা বলেছেন: আপুনি
খবর নিতে এলাম
কোথায় আছো???
০১ লা জুন, ২০২০ রাত ১২:০৫
করুণাধারা বলেছেন: কষ্ট করে খবর নিতে এসেছ- অনেক ধন্যবাদ।
কোথায় আছো??? যাবার জায়গা তো অনেক আছে- রান্নাঘর, খাবার ঘর, বারান্দা, বসার ঘর... আপাতত আছি শোবার ঘরে, ভাবছি এরপর কোথায় যাওয়া যায়!!!
২১| ২৩ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর এবং স্বস্তির একটি পর্ব দিয়ে সিরিজটি শেষ হলো। নিষ্ঠার সাথে অনুবাদ কর্মটি চালিয়ে যাবার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন। আমি নিজেও অনুবাদ করি, তাই জানি কাজটা কত কঠিন এবং নিখুঁতভাবে করতে গেলে কত শতবার অভিধান, উইকিপিডিয়া ইত্যাদি ঘাঁটাঘাটি করতে হয়!
মাহে রমজান শুরু হবার আগের রাতে সিরিজটি শেষ করতে পেরে আপনি যে কত বড় একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন, তা বেশ আঁচ করতে পারছি।
ওরকম একজন "যীল্যান্ডের মহিলা" (পুরুষ হলেও চলবে) এর আওয়াজ শোনার ইচ্ছে হয়!
২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২
করুণাধারা বলেছেন: ওরকম একজন "যীল্যান্ডের মহিলা" (পুরুষ হলেও চলবে) এর আওয়াজ শোনার ইচ্ছে হয়! এমন ইচ্ছে আমারও খুব হয়। একসময় রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘ সময় কাঁটাতার, যদি কোন ইউ এফ ও নজরে পড়ে। এলিয়েন দেখার ইচ্ছাও খুবই ছিল...
আপনার মন্তব্য আর প্লাস আমার জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে রইল, যদি সুযোগ হয় আরেকটা কাহিনী রূপান্তর করার। ইহুদি লেখক Leon Uris এর লেখা The Hajj, মূলত একজন মুসলিম হাজী সম্পর্কে লেখা হলেও ধর্ম আর ইতিহাস এ বইয়ের অনেকখানি জুড়ে আছে। এটা আমার প্রিয় একটা বই।
আল্লাহ তাআলাকে অশেষ শুকরিয়া রোজার আগেই এটা শেষ করতে পেরেছি বলে, ইদানিং লেখার জন্য মনঃসংযোগ করতে পারিনা। একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, আপনি মন্তব্য করেছিলেন কিন্তু পরে একজন ব্লগারের পরামর্শে সেটা মুছে দিয়েছি। এমনিতে অনেক উদ্বেগে থাকি, আর না বাড়ানোই ভালো।
আগে প্রতিমন্তব্য করতে দেরি করতাম না, ইদানিং তাও করছি... আশাকরি সেজন্য বিরক্ত হবেন না। ভালো থাকুন।
২২| ২৩ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: সিরিজটির চতুর্দশ পর্ব থেকে শেষ পর্ব পর্যন্ত সবক'টিতে মন্তব্যে রেখেছি, যা হয়তো আপনি এখনো দেখেন নি। আশাকরি, একবার সময় করে দেখে যাবেন।
আপনার এ সিরিজটির সবগুলো পর্বের সবগুলো মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য পড়েছি। পাঠকের মন্তব্যগুলো পড়ে আমার মনে হয়েছে, আপনার এ সিরিজটির মনযোগী পাঠকদের মধ্যে মুক্তা নীল অন্যতম। এজন্য তিনি একটা বিশেষ ধন্যবাদ পেতেই পারেন। আর ১১ নম্বরে খুবই আন্তরিক একটা প্রতিমন্তব্য রেখে যাবার জন্য স্বয়ং লেখিকাও একটি আন্তরিক ধন্যবাদ পেতে পারেন। আশাকরি, এতদিনে সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠেছেন।
আর নিঃস্বার্থ প্রেমিক মাইকেল এর জন্য রেখে গেলাম টুপি খোলা অভিবাদন।
কিন্তু ভালো লেগেছে এই কাহিনীতে অশুভের বিরুদ্ধে শুভ এর জয় হয়েছে দেখে... (১৫ নং প্রতিমন্তব্য) - জ্বী, এটাই এ সিরিজ পড়ে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, সবচেয়ে বড় স্বস্তি!
“সর্বময় ক্ষমতার লোকটিকেও এক সময় সরে যেতে হয়, ঝরে পড়তে হয়" - একটা ধ্রুব সত্য, যা যুগে যুগে যাদের উদ্দেশ্যে উচ্চারিত হয়েছে, তাদের দ্বারাই বিস্মৃত হয়েছে, ফলে তাদের জন্য কঠিন পরিণতি ডেকে এনেছে।
বিদ্রোহী ভৃগু এর মত আমারও অনেক ভাবনাচিত্র আছে, কিন্তু সেগুলো আপাততঃ 'মিউটেড'।
২৫ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪
করুণাধারা বলেছেন: আমি খুবই দুঃখিত, এবং লজ্জিতও আপনার আগের মন্তব্যগুলোর উত্তর দিতে এতো দেরি করায়। আমি সেগুলো দেখেছি, তারপর প্রতিমন্তব্য করতে ভুলে গেছি... অনেক ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেবার জন্য। এবার নিশ্চয়ই করব।
আপনি আপনার অনেকটা সময় দিয়ে এই সিরিজ আর সবকটি মন্তব্য প্রতিমন্তব্য পড়েছেন জেনে খুব আনন্দবোধ করছি। মুক্তা নীল এই সিরিজের মনোযোগী পাঠকের অন্যতম, তবে সবচেয়ে মনোযোগী পাঠক নিঃসন্দেহে আপনি!!! আপনি কেবল পড়েননি, এই কপি পেস্ট বিহীন সময়ে কাহিনী থেকে কিছু উদ্ধৃতি দিয়েছেন যা করতে অনেক সময় লাগে। এজন্য একটা বড়সড় ধন্যবাদ।
১১ নম্বর প্রতিমন্তব্যতে যে সব সমস্যার কথা বলেছিলাম, তার অনেকগুলোর সমাধান হয়েছে, বাকিগুলোর সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছি।
আপনার দেশে ফেরার কাহিনীর বাকিটা একবারে পড়ে শেষ করব বলে ঠিক করেছি। সম্প্রতি কাতার এয়ারওয়েজে আমেরিকা থেকে দেশে ফেরা কয়েকজনের ভ্রমনের অভিজ্ঞতা শুনে মনে হল, চাইনিজরা আপনাদেরকে কোভিডের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা দেয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট মনোযোগী ছিল। ভালো থাকুন সবসময়।
২৩| ২৫ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: সম্প্রতি কাতার এয়ারওয়েজে আমেরিকা থেকে দেশে ফেরা কয়েকজনের ভ্রমনের অভিজ্ঞতা শুনে মনে হল, চাইনিজরা আপনাদেরকে কোভিডের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা দেয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট মনোযোগী ছিল - সত্যি কথা বলতে কি, চীনাদের বিরুদ্ধে আমার কোনই অভিযোগ নেই। বিশেষ করে বলতে হয় চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন কর্মীদের কথা, ওরা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমাদেরকে যথেষ্ট ভালভাবে দেখভাল করেছিল। বারবার ওরা খালি বলছিল 'স্পেশাল সিচুয়েশন', 'স্পেশাল সিচুয়েশন' এবং এ নিয়ে তারা বেশ এপোলজেটিক ছিল। শুধুমাত্র টার্মিনালে একজন ইংরেজী না জানা অফিশিয়াল গোমরামুখো ছিলেন এবং যাত্রীদের প্রতি কোন সহায়তা প্রদানের ব্যাপারে অনুৎসাহী ছিলেন, এমন কি তিনি কোন কথাও বলতে চাচ্ছিলেন না। সেটা হয়তো এ কারণে হবে যে তিনি ইংরেজী মোটেও জানতেন না, হয়তো সেলফোন টেকনোলজী ব্যবহারেও পারদর্শী ছিলেন না। কথা বলে বা শুনে যেহেতু তিনি কাউকেও কিছু বোঝাতে পারবেন না, এজন্যই বোধকরি কারো সাথে কথা না বলাটাকেই তিনি বেছে নিয়েছিলেন। একমাত্র উনি ছাড়া আর বাদ বাকি প্রতিটি কাউন্টারেই, প্রতিটি এনক্লোজারেই আমরা সৌজন্য ও সহায়তামূলক আচরণ পেয়েছিলাম। আর মোনাশ ইউনি'র সে সহযাত্রী মেয়েটির অভূতপূর্ব সহায়তার কথা তো কখনোই ভোলার নয়।
২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩২
করুণাধারা বলেছেন: চাইনিজ মানুষের সাথে আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নেই, অন্যের থেকে বেশিরভাগ সময়ই তাদের সম্পর্কে ভালো কিছু শুনিনি। তাই আপনার কাছ থেকে ওদের সম্পর্কে নতুন কিছু জানলাম, বলাই বাহুল্য ভালো লেগেছে।
তবে সম্প্রতি আমাদের এয়ারপোর্টে বিদেশাগত যাত্রীদের এমনভাবে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে যে, মনে হচ্ছে এদেশে করোনায় কোন প্রাণহানি হয়নি!! ভবিষ্যতে কী হবে ভেবে খুব উদ্বিগ্ন আমি। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
২৪| ২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪১
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: এইবার এই সিরিজের পোস্টগুলো নিয়ে বসতে পারবো
আমি কিন্তু এই পোস্টটা পড়িনি। এটা আর্কিওপটেরিক্সের ভূত যে কমেন্ট করে গেল
২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪০
করুণাধারা বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আর্কিওপটেরিক্স,
দীর্ঘ দিন আমার ব্লগে আপনার অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে পত্র দ্বারা এই সিরিজ পড়ার জন্য সশরীরে আসবার জন্য আমন্ত্রণ জানালাম।
( করোনার দিনে ভূত টুত শুনতে ভালো লাগে না, সুস্থ্য থাকুন সর্বদা।)
২৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৬
ফয়সাল রকি বলেছেন: সুন্দর একটা সিরিজ সফলভাবে শেষ করায় অভিনন্দন।
পড়েছি অনেক আগেই কিন্তু লগিন না করায় মন্তব্য করা হয়নি।
মূল লেখা পড়ার ইচ্ছা আছে।
ভালো থাকবেন।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯
করুণাধারা বলেছেন: আমার দুটা অপশন ছিল, করোনা কালে শেষ হলে ধীরে সুস্থে শেষ করা অথবা করোনার দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে কোনমতে শেষ করা। দুনম্বরটাই বেছে নিলাম, কারণ দীর্ঘদিন পর হয়ত কেউ আর ডেভিডের পরিনতি জানতে আগ্রহী হবেন না। তাড়াহুড়া করে কিছু করলে ভালো হয়না, কিন্তু শেষ করতে পেরে ভালো লাগছে।
আপনি পড়েছেন জেনে ভালো লাগছে। আশাকরি ব্লগে নিয়মিত হবেন।
মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ, শুভকামনা রইল।
২৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:১৪
মা.হাসান বলেছেন: শুরুর দিকের পর্ব গুলো নিয়মিত পড়লেও রোজার সময় থেকে আমিও ব্লগে অনিয়মিত; এখন ব্যস্ততা অনেক বেড়েছে বলে আসতে পারি না।
অনেক আগে বইটি পড়েছি। অনেক কিছুই ভুলে গিয়েছিলাম। তবে আকাশে ওড়ার কথা এবং এরকম স্বপ্ন দেখার কথা মনে আছে।
আপনার অনুবাদ খুব ভালো হয়েছে।
অসাধারণ কাজ করেছেন।
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩
করুণাধারা বলেছেন: এই গল্পের শুরুতে আপনার মন্তব্য পেতাম, অতি কষ্টে শেষ পর্ব দেবার পর আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে মন্তব্য পাওয়া গেল!! অনেক ধন্যবাদ।
এত পুরানো বইটাও আপনার পড়া? আগেও দেখেছি আপনি অনেক গল্প, এমনকি টিভির নাটকের গল্প পর্যন্ত জানেন। কত যে আপনার পড়াশোনা!!
ধন্যবাদ আর শুভকামনা।
২৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৫
আখেনাটেন বলেছেন: যাক, শেষ ভালো সব ভালো তার........এখন মাইকেল ভালো ভালো র্যাচেলকে পেলেই হল।
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৪
করুণাধারা বলেছেন: ঠিক কথা, মাইকেল এখন কোনমতে রেচেলকে নিয়ে যিল্যান্ডে পৌছাতে পারলেই হলো।
র এ কিছুতেই য ফলা দিতে পারিনা (র্্যা হয়ে যায়), তাই ভুল জেনেও রেচেল লিখতে হল। আপনি কীভাবে যে ঠিক বানান করলেন!!
শেষ পর্ব পর্যন্ত সাথে থেকে লাইক দিয়ে অনুপ্রেরণা দেয়ায় অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
২৮| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:০০
আখেনাটেন বলেছেন: অবশেষে এই অসাধারণ সিরিজ লেখাটি শেষ করতে পারলাম। মূল লেখককেও ধন্যবাদ এত চমৎকার একটি কাহিনি পাঠকের সামনে তুলে ধরার জন্য। আর আপনার অনুবাদও অনেক প্রাঞ্জল।
জয়তু যিল্যান্ড.....
২৬ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১২
করুণাধারা বলেছেন: এমন মন্তব্য পেয়ে আপ্লুত হলাম আখেনাটেন। যদিও শেষ দিকে এসে খুব তাড়াহুড়া আর সংক্ষেপ করেছি বলে আফসোস রয়ে গেছে।
অবশেষে এই অসাধারণ সিরিজ লেখাটি শেষ করতে পারলাম। নিজে বললাম অসাধারণ সিরিজ লেখা!! কোথায়, মনে করতে পারছি না!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৮
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: জিল্যান্ড খুব সম্ভব নিউজিল্যান্ড হবে। যেহেতু দ্বীপের কথা আসছে।
একটি বিজ্ঞান ভিত্তিক সভ্যতা স্ক্র্যাচ থেকে গড়া তোলার জন্য শুধু একটি জ্ঞানকে পরের প্রজন্মে পৌঁছাতে হবে। সেটি হচ্ছে এটমিক স্ট্রাকচার জ্ঞান । এই কথাটি বলেছেন যুগ শ্রেষ্ঠ পদার্থবিদ এবং শিক্ষক রিচার্ড ফাইনম্যান।
দারুণ ছিলো নতুন জীবন। আপনি ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড পড়েছেন?
শুভকামনা