নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাথা থেকে করোনা কিছুতেই তাড়াতে পারছি না, এদিকে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী সম্পর্কে লিখতে চাচ্ছি। তাই করোনা নিয়ে তাঁর কার্যক্রম দিয়েই লেখা শুরু করি...
করোনা মোকাবেলায় দেশে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয় মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে, খুব ঢিলেঢালা ভাবে, ধারণা করা হচ্ছিল যে গরম পড়লেই করোনা বিদায় হবে। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী এমন ধারণা নিয়ে নিশ্চিন্তে বসে থাকলেন না, তিনি মার্চের শুরু থেকেই করোনা মোকাবেলায় সম্ভাব্য করণীয় সম্পর্কে ভাবতে শুরু করেন। এর কয়েক মাস আগে তাঁর স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে, বয়স সাতাত্তর বছর, নিজে উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন, তাই ঘর থেকে বেরোনো বন্ধ করলেন কিন্তু কম্পিউটার আর নিজের কম্পিউটারের মতো মস্তিষ্ক ব্যবহার করে তিনি ব্যস্ত হয়ে উঠলেন নানা সমস্যার সমাধান করতে। সেসময় স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেকেই পিপিই পাচ্ছিলেন না, তাই স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পিপিই তৈরির কাজকে তিনি অগ্রাধিকার দিলেন। মার্চের মাঝামাঝি, তিনি যে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ছিলেন, সেই বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ চার প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে তৈরি শুরু হলো চার লক্ষ পিপিই। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, রোটারি ক্লাব ঢাকা নর্থ ওয়েস্ট ও পে ইট ফরোয়ার্ড /অনেস্ট।
দেশে- বিদেশে তার অনেক ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, তাদের তিনি অনুরোধ জানালেন সবাই যেন নিজের নিজের কর্মপরিধির মধ্যে থেকে এই নতুন ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় বের করতে গবেষণা করেন। (বিদেশে অনুরোধ করতে হয়, কারণ দেশে ফান্ড না পাওয়ায় কেউ গবেষণা করতে সক্ষম হয় না)। তাঁর ছাত্র ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় এট আরবানা শ্যাম্পেনের অধ্যাপক ডা. তাহের সাইফ, তার দুজন ছাত্র নিয়ে গবেষণা করে দেখলেন সহজলভ্য কাপড়ে স্বল্প খরচে সার্জিক্যাল মাস্কের কাছাকাছি কার্যকারীতা সম্পন্ন মাস্ক তৈরি করা সম্ভব। এই মাস্ক সহজে তৈরি করা যায় বলে বিপুলসংখ্যক মানুষ এটা ব্যবহার করতে পারেন, ফলে ডাক্তাররা সহজে তাদের একান্ত প্রয়োজনীয় N-95 মাস্ক পাবেন। ছোট আবিষ্কার, কিন্তু এর প্রভাব বড়। (গবেষণা পত্রটি একটি নামী জার্নালে প্রকাশিত হয় এবং পরবর্তীতে এর গুরুত্ব বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসি নিউজে অধ্যাপক তাহের সাইফের এই গবেষণার খবর দেখানো হয়।)
তিনি বুঝেছিলেন, দেশে যত ভেন্টিলেটর আছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল, করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে, এত অল্প সংখ্যক ভেন্টিলেটর দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দেয়া যাবে না। এই সমস্যা থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজলেন তিনি। মার্চ মাসেই ইউরোপ আমেরিকায় পর্যাপ্ত ভেন্টিলেটরের অভাব দেখা দেয়, তখন সেসব দেশের কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বল্প খরচের বহনযোগ্য ভেন্টিলেটর নির্মাণের নকশা করা হয়। তিনি নিজ উদ্যোগে আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ডিজাইন করা ভেন্টিলেটরের নকশা সংগ্রহ করে সেটা বুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টকে সরবরাহ করেন, যাতে এই নকশা অনুসরণ করে ভেন্টিলেটর তৈরি করা যায়। এই কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানও তিনি করেছিলেন বুয়েট অ্যালামনাইদের থেকে, বুয়েট অ্যালামনাইরা তাঁর সকল কর্মকান্ডে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে তাঁর পাশে থেকেছেন। আশ্চর্যের বিষয় এটাই যে, মার্চের শেষ দিকে যখন আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন মাত্র ৪০/৪২ জন, সবাই নিশ্চিন্তে ছিলেন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে, সেই সময় তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন পরিস্থিতি খারাপ হলে কী করা যায় তা ভেবে। তিনি বলেছিলেন, 'যদি কোভিড-১৯-এর আরও বেশিসংখ্যক আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়, যাঁদের হাসপাতালে নিতে হবে এবং তাঁদের আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে, তাহলে আমাদের সামনে যন্ত্রের একটা অপ্রতুলতা দেখা দিতে পারে। সেটা কীভাবে সমাধান করা যায়, সে জন্য বুয়েট অ্যালামনাই বুয়েটের সাথে, আমাদের যারা প্রাক্তন ছাত্র আছে তাদের সাথে একটা উদ্যোগ নিচ্ছে। কীভাবে দ্রুত আমাদের ক্যাপাসিটি বাড়ানো যায়।' অন্তিম আহ্বান
এই প্রকল্প সম্পর্কে কোন আপডেট পাইনি কোন পত্রিকায়, পরে এই ভিডিওতে তাকে বলতে শুনলাম, বায়োমেডিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এমন ভেন্টিলেটর তৈরি করছিল যা একই সাথে একাধিক রোগী ব্যবহার করতে পারে, সেই ভেন্টিলেটরের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া হয়েছিল, কিন্তু ডিজি হেলথ থেকে সেই ভেন্টিলেটর ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়নি!!
মৃত্যুর আগের দিনে করা এই ভিডিও কনফারেন্সে তিনি তিনি কোভিডকালীন সময়ে দেশের বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে অস্ট্রেলিয়াস্থ বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের প্রশ্নের উত্তর দেন দীর্ঘ সময় ধরে।সবশেষে উপস্থাপক অনুষ্ঠান শেষ করেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর দীর্ঘায়ু কামনা করে... এর পরদিন তিনি সেহরি খেতে জাগবেন বলে ঘুমিয়ে পড়েন, কিন্তু আর তিনি জাগেন নি...
দেশে করোনা প্রথম শনাক্তের (৮ই মার্চ) পরের সাত সপ্তাহ (২৭ এপ্রিল) তিনি করোনা সংকট নিরসনে এইসব কাজ ছাড়াও আরো কাজ করেছিলেন। তিনি দেখেছিলেন উপার্জনহীন দরিদ্র মানুষদের প্রাপ্য সাহায্য তাদের না দিয়ে অন্যরা আত্মসাৎ করছেন। তিনি ব্যবস্থা করলেন প্রথমে এমন মানুষদের তালিকা তৈরি করে সরাসরি তাদের কাছে অর্থ সাহায্য পাঠাতে, তিনি গ্রামীণ ফোন বোর্ডের সদস্য সচিব হিসাবে দেড়শ কোটি টাকা অর্থ সাহায্য এভাবে দরিদ্রদের দেবার ব্যবস্থা করেন। (সূত্র: উপরের ভিডিও)
এই ভিডিওতে তিনি হাওরের ধানকাটা থেকে শুরু করে গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট আরও অনেক বিষয়ে কথা বলেছেন, এমনকি অতি প্রয়োজনীয় অক্সিজেনেরও সংকট দেখা দেবে সেই আশংকা প্রকাশ করেছিলেন। অক্সিজেন সংকট বিষয়ে তাঁর এই আশংকা এখন সত্যি বলে দেখা যাচ্ছে!!
সাতাত্তর বছর বয়সী মানুষটি করোনা শুরুর পর মাত্র সাত সপ্তাহ সময় পেয়েছিলেন, কিন্তু এর মধ্যেই করোনা সংকট উত্তরণে অনেক কাজ করেছিলেন। এটা তাঁর কোন চাকরি ছিল না, কেউ তাকে এসব দায়িত্ব নিতে বলেনি, তবু তিনি নিজের অন্য অনেক দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে এইসব কাজও করে চলেছিলেন। কেন করেছিলেন? জাতীয় অধ্যাপকদের কি কোন দায় আছে জাতীয় দুর্যোগে কাজ করার? সেক্ষেত্রে আর কোন জাতীয় অধ্যাপককে দেখতে পেলাম না কেন তাঁর সাথে?
কোন দায় থেকে তিনি কাজ করতেন না, তিনি ভালবাসতেন এদেশকে আর এদেশের মানুষকে।পরিচিত অপরিচিত সকল মানুষের উপকারের জন্য তিনি হাত বাড়িয়ে দিতেন। জগৎ সভায় বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল হয়ে থাকুক এটা তাঁর ঐকান্তিক ইচ্ছা ছিল, সেজন্য চাইতেন দেশে প্রকৃত শিক্ষার বিস্তার, চাইতেন দেশের আগামী দিনের নাগরিকেরা হবে ধীমান ও বিজ্ঞানমনস্ক। এজন্য তিনি প্রবল উৎসাহ নিয়ে ছুটির দিনে ছুটে যেতেন গণিত অলিম্পিয়াড কিংবা প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায়, তাঁর উপস্থিতি প্রতিযোগীদের অনুপ্রেরণা যোগাত, এইসব তরুণ- কিশোরদের তিনি নিজের বাসায় তাদের আমন্ত্রণ করে নানা বিষয়ে আলোচনা করতেন, সবশেষে ভূরিভোজে আপ্যায়িত করতেন(তাঁর মৃত্যুর পর অনেকের স্মৃতিচারণ থেকে জেনেছি)। এই সব প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিযোগীদের সাফল্যে তিনি খুব আনন্দিত হতেন।
তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হয়েছিলেন, কারণ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হলে রাজনৈতিক কিছু চাপ মেনে কাজ করতে হয়। ভিসি থাকাকালীন নিয়মিত ভাবে বিদেশে কর্মরত গুণী বাংলাদেশীদের তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে আমন্ত্রণ জানাতেন, যেন তাদের কাজের সাথে তাঁর ছাত্ররা পরিচিত হয়ে তাদের মত হতে অনুপ্রাণিত হয়। (যেমনভাবে সামুতে গিয়াসউদ্দিন লিটন প্রবাসী গুণীজনদের সাথে পরিচয় করাতেন)!
এদেশে প্রযুক্তির বিকাশেও তাঁর অবদান অনন্য।
স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম কম্পিউটার আসে তাঁরই উদ্যোগে, ১৯৭৮ সালে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেই থেকে দেশে কম্পিউটার শিক্ষার সূচনা হয়, তিনি কম্পিউটার কাউন্সিলের সভাপতি হয়ে নানা ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার করেন। তাঁকে বলা হতো চলন্ত কম্পিউটার, তার মনে রাখার ক্ষমতা এত অসাধারণ ছিল যে কোন রকম বই বা কাগজপত্র ছাড়াই তিনি ক্লাসে স্ট্রাকচার বিষয়ের কঠিন সমস্যা অনায়াসে সমাধান করতেন; কারো ফোন নাম্বার জানার দরকার হলে তিনি হাসিমুখে শুনতেন আর নিজের মাথায় কপি করে রেখে দিতেন।
"আমার চোখের সামনে দিয়ে একটা পরিচ্ছন্ন নগরকে বসবাসের প্রায় অযোগ্য মহানগরে পরিণত হতে দেখলাম। আমার কাছে মনে হয়, এই ঢাকা এখন জনসাধারণের চলাচলের জন্য সবচেয়ে বিপৎসংকুল মহানগরীর অন্যতম।" খুব দুঃখের সাথে তিনি একথা বলেছিলেন, কারণ রাজধানী বাঁচাবার শেষ উপায় হিসেবে তিনি ড্যাপের বাস্তবায়ন চেয়েছিলেন, রাজধানীর পরিবেশ উন্নয়নের জন্য গৃহীত নানা উদ্যোগে তিনি পরামর্শক ছিলেন, অথচ ড্যাপ বাস্তবায়িত হয়নি। গভীর হতাশা নিয়ে বলেছিলেন, "--- আমরা বলেছিলাম, বেআইনিভাবে যেগুলোতে মাটি ভরাট করা হয়েছে, কোনো দালান বানানো হয়নি, সেগুলোতে মাটিটা সরিয়ে ফেললেই হয়। পেশায় আইনজীবী মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বললেন, ‘আমাদের আইনে একটা কথা আছে যে একটা অবৈধ শিশু যদি জন্মগ্রহণ করে, তার বেঁচে থাকার অধিকার আছে, তাকে বেঁচে থাকার সুযোগ দিতে হবে।’ তারপর তো আর এই ড্যাপের বাস্তবায়ন হলো না। ল্যান্ড ডেভেলপারস আর এক্সট্রিমলি পাওয়ারফুল। এদের বিরুদ্ধে কথা বললে জীবনের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হতে পারে।" ড্যাপ
দেশের সমস্ত বড় অবকাঠামো নির্মাণের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন, বিদেশি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ ব্যবস্থাপনা ও অর্থব্যয়ের পরিকল্পনা বুঝতে তাঁকে আইন ও অর্থনীতি সম্পর্কে পড়াশোনা করতে হয়েছে, যাতে ভুল কোন চুক্তির ফলে দেশের আর্থিক ক্ষতি না হয়। এই সব লক্ষ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় তিনি দেশের পক্ষে প্রধান ব্যক্তি ছিলেন, অথচ কখনোই এ থেকে কোন আর্থিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টাও করেননি... কয়েক বছর আগে ডেভেলপারকে দেবার আগে পর্যন্ত তিনি প্রায় সারাজীবন পঞ্চাশের দশকে পিতার নির্মিত বাড়িতেই থেকেছেন...
এই শান্তশিষ্ট, সাদাসিধা মানুষটি যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর হয়ে উঠতেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে এমন কঠোর অবস্থান নিতে কম মানুষই পারে!! একথা বলছি, সম্প্রতি (তাঁর মৃত্যুর পর) সততার জন্য প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনকে হত্যা করা হলো। কিন্তু সকলে, বিশেষ করে প্রকৌশলীরা নির্লিপ্ত রইলেন!! কাউকে এর প্রতিবাদ করতে দেখিনি, ব্লগে সোহানী ছাড়া।view this link অথচ বুয়েট ছাত্র আবরারকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর যখন ব্যাপারটা ধামাচাপা দেবার চেষ্টা চলছিল তখন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী বুয়েট অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বিপুলসংখ্যক অ্যালামনাই নিয়ে সমাবেশ করে হত্যাকান্ডের বিচার দাবিকরেন, ফলে আবরারের খুনীদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন হত্যার পর এখন তার পরিবারকে হুমকি দেয়া হচ্ছে... সোহানীকে অনেক বড় একটা ধন্যবাদ তাঁর পোস্টের জন্য।
নানা ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ছিলেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী, কিন্তু তিনি সবচাইতে পছন্দ করতেন শিক্ষা দান করতে, তাঁর অর্জিত জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে... কর্মক্ষেত্রে ছাত্রদের সফলতা তাঁকে বিপুল আনন্দ দিত, তাদের সাথে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন, তাদের জন্য তার দ্বার থাকতো অবারিত। তাঁর স্মরণে আয়োজিত দুটো ভার্চুয়াল মিটিং আমি দেখেছি, সেখানে দেখেছি তাঁর প্রতি ছাত্রদের গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা; একজন খুবই কীর্তিমান ছাত্রকে ভগ্ন কন্ঠে বলতে শুনলাম, "আমি অভিভাবক হারিয়ে ফেললাম... আমার পড়াশোনা আর গবেষণা সব উনার পরামর্শ নিয়ে করেছি" শুনে মনে পড়ল স্কুলে পাঠ্য বইয়ে পড়েছিলাম, শিক্ষক এরিস্টটলের সম্পর্কে মহামতি আলেকজান্ডারের একটি উক্তি , "To my father, I owe my life; to Aristotle, how to live worthily." তাঁর অনেক ছাত্রই জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতেন তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী, তাদের কীর্তিমান হবার পেছনে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর অবদান অনেকখানি।
২০১০ সালের ২০শে অক্টোবর ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় জামিলুর রেজা চৌধুরীকে সম্মানসূচক ডক্টর অফ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করে। তিনিই প্রথম বাংলাদেশী যিনি কোন ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই সম্মান অর্জন করেন। তাঁকে নিয়ে গর্ব অনুভব করি ।
এই তথ্য দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই ডা. এম এ আলীর প্রতি।
এই ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অনেক বক্তাই বলছিলেন সময় ব্যবস্থাপনায় তাঁর আশ্চর্য কুশলতার কথা; এতসব কাজের মাঝেও প্রতিবেশী, আত্মীয়- পরিজনদের আনন্দে- বিপদে ছুটে যেতেন, বিয়ের অনুষ্ঠান যেমন থাকতেন তেমনি ছুটে যেতেন জানাজার নামাজে...
তিনি ছিলেন খুবই মেধাবী, মাত্র কুড়ি বছর বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছিলেন। তারপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করে দেশে ফিরে আসেন। বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হলে তিনি অনেক গবেষণার সুযোগ পেতেন, খ্যাতি অর্জন করতে পারতেন, কিন্তু তিনি রয়ে গেলেন নিজের দেশে, মানুষ গড়ার কারিগর এবং দেশের অবকাঠামো নির্মাণের কারিগর হয়ে। তাঁর চাইতে মেধাবী মানুষ এদেশে অনেক পাওয়া যাবে হয়তোবা, কিন্তু দেশের প্রতি গভীর ভালোবাসা নিয়ে এভাবে কাজ করে যাওয়া এমন আরেকজন মানুষ পাওয়া যাবে কি? আমাদের আগামী প্রজন্ম যখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল বা পদ্মা সেতু ধরে ছুটে যাবে, তারা কি জানবে এর প্রতিটার সাথে ডা. জামিলুর রেজা চৌধুরী নামের একজন মানুষের স্বপ্ন আর পরিশ্রম জড়িয়ে আছে!!
২৮ এপ্রিল ডা. জামিলুর রেজা চৌধুরীর মৃত্যুর পর তাকে নিয়ে সামুতে একমাত্র পোস্ট ছিল "জামিল স্যারেরর বৃষ্টিস্নাত বিদায়", লেখক সাজিদ উল হক আবির। তাঁর মৃত্যুর পরদিন (২৯ এপ্রিল) ও তার পরদিন (৩০ এপ্রিল) মারা যান যথাক্রমে বলিউডের অভিনেতা ইরফান খান ও ঋষি কাপুর। তাদের দুজনের মৃত্যুতেই সামুর ব্লগাররা শোকাকুল হয়ে অনেকগুলো পোস্ট দেন। ব্লগার নূর মোহাম্মদ নূরু কতশত মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে পোস্ট দিয়ে চলেছেন, কিন্তু অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে নিয়ে তিনি কোন পোস্ট দেননি!!! অবশ্য সামুর কোন ব্লগারই যে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে নিয়ে লেখেননি এমন নয়। ব্লগার মুনির হাসান view this linkতাঁর স্মরণে প্রথম আলোয়
দীর্ঘ লেখা দিয়েছেন, মুনির হাসান সেটা সামুতে পোস্ট করতে পারতেন, যেমনভাবে ব্লগার "এক নিরুদ্দেশ পথিক" প্রথম আলোয় প্রকাশিত তাঁর লেখা সামুতে পোস্ট করেন। কিন্তু না, মুনির হাসান অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে নিয়ে লেখা সামুতে দেননি!! এমনকি উনাকে নিয়ে লেখা সাজিদ উল হক আবিরের একমাত্র পোস্টটিও উধাও!! আরেকটা জিনিস লক্ষ্য করেছি, অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর মৃত্যুর দু সপ্তাহ পর মৃত্যু বরণ করেন আরেকজন জাতীয় অধ্যাপক, ডা. আনিসুজ্জামান, যিনি ছিলেন সামুর একজন ব্লগার। সামুর প্রথম পাতায় তার ছবি প্রায় দুই মাস যাবত থাকতে দেখি, উপরে লেখা "আমরা শোকাহত"। সম্প্রতি এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুর পর সেটা পাল্টে এন্ড্রু কিশোরের ছবি দেয়া হয়েছে, (তিনি সামুর ব্লগার ছিলেন এমন তথ্য পাইনি)!! কিন্তু অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর মৃত্যুতে সামু একদিনের জন্যও শোক প্রকাশ করেনি!! তাহলে কি সামুতে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী এমন কেউ যাকে নিয়ে লেখা যাবে না, বলা যাবে না কথা??
এমন হলে আমার এই পোস্টও হয়ত সাজিদ উল হক আবিরের পোস্টের মত উধাও হয়ে যাবে... এমন হলে আমিও সামু থেকে উধাও হয়ে যাব। তার আগে নাহয় এই বিশাল পোস্ট, সামুতে আমার লেখা সবচেয়ে বড় পোস্ট দিয়ে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর প্রতি আমার শ্রদ্ধা জানিয়ে গেলাম।
সবার জন্য শুভকামনা।
উনাকে নিয়ে নির্মিত ভিডিও: স্মরণ
১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০৫
করুণাধারা বলেছেন: প্রথম মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ ডার্ক ম্যান। আমি এত বড় পোস্ট কখনো লিখিনা, কিন্তু লিখলাম এটা ভেবে যে অন্তত কয়েকজন ব্লগারও যদি এই পোস্ট পড়েন তবে জানতে পারবেন তিনি কতটা সৎ, মেধাবী আর পরিশ্রমী ছিলেন। এমন মানুষের খুব দরকার এই সময়ে।
আমি উনার কথা কাকে স্মরণ করাবো!! উনাকে নিয়ে একটিমাত্র পোস্ট লেখা হয়েছিল, সেটাও দেখলাম নাই... তাই আমার মনে হলো ব্লগ কর্তৃপক্ষ হয়তো চান না উনাকে নিয়ে কেউ লিখুক। আমি এব্যাপারে কিছুটা ধন্দের মধ্যে থেকে এই পোস্ট দিলাম।
ভালো থাকুন ডার্ক ম্যান, শুভেচ্ছা।
২| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০২
রাতুল_শাহ বলেছেন: জেআরসি স্যার আমাদের সবার শ্রদ্ধেয়ভাজন ছিলেন।
উনার প্রতি শ্রদ্ধা ও দোয়া রইলো।
১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১১
করুণাধারা বলেছেন: জেআরসি স্যার আমাদের সবার শ্রদ্ধেয়ভাজন ছিলেন।
উনার প্রতি শ্রদ্ধা ও দোয়া রইলো। অনেক ধন্যবাদ রাতুল শাহ, শেষ কয়েক মাস উনি নাকি সবাইকে বলতেন উনার জন্য দোয়া করতে। আমিও উনার জন্য দোয়া করি।
৩| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১০
রাকু হাসান বলেছেন:
অজানাকে জানালেন। খুব কম তথ্যই জানতাম । প্রকৃত দেশপ্রেমিক কে হারালাম । এই ক্ষতি পূরণ হবে না । শ্রদ্ধাঞ্জলি স্যারের প্রতি। আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। একজন বটবৃক্ষকে হারালাম।
১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৬
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাকু হাসান। উনাকে খুব শ্রদ্ধা করতাম, ভালো লাগছে আপনাদের সাথে উনার সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করতে পেরে।
শুভেচ্ছা আপনার জন্য।
৪| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: একজন সত্যিকারের গুণী ব্যক্তির প্রতি অসাধারণ একটি শ্রদ্ধাঞ্জলি এখানে প্রকাশ করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
মা শা আল্লাহ, লেখাটি অনেক তথ্যসমৃদ্ধ এবং শ্রদ্ধাব্যঞ্জক, এমন একটি পোস্ট লিখতে পারায় আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
পোস্টটা মন দিয়ে পড়েছি, কিন্তু পোস্টে অনেকগুলো লিঙ্ক দিয়েছেন, সেগুলো পড়া হয়নি। আশাকরি সেগুলো পড়ে/দেখে/শুনে আবার ফিরে আসবো।
পোস্টে ভাল লাগা + +।
১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩১
করুণাধারা বলেছেন: এত বড় পোস্ট নিয়ে সংশয়ে ছিলাম কেউ পড়বেন কিনা, তবু ইচ্ছা হলো আমার একান্ত প্রিয় সামু ব্লগে সবার সাথে আমার ভাবনা শেয়ার করি। আপনার মন্তব্য আর প্লাস পেয়ে অনুপ্রাণিত বোধ করছি। অনেক ধন্যবাদ।
অনেকগুলো লিঙ্ক দিয়েছি, কিন্তু কোন কারনে প্রথম আলোর লিঙ্ক কাজ করছে না। ভিডিও নামে একটা লিঙ্ক কাজ করছে, এটা মৃত্যুর আগের দিনের, দীর্ঘ সময় তিনি কথা বলেছেন অনেক কিছু নিয়ে, তাঁর আশা এবং হতাশা এই ভিডিওতে অনেকটাই বোঝা যায়। আরেকটা ভিডিও আছে একদম শেষে। এই দুটি ভিডিও দেখার জন্য আপনার প্রতি অনুরোধ রইল।
সুস্থ্য থাকুন, শুভকামনা রইল।
৫| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: Respect
১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: শুধুই শ্রদ্ধা!! এই সৎ, বৃদ্ধ মানুষটির জন্য একবার দোয়া করবেন না নেওয়াজ আলি?
শুভকামনা রইল।
৬| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৯
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ব্লগ কর্তৃপক্ষ নিয়ে আপনার ধারণা সঠিক না। এটা হয়তো উনাদের দৃষ্টি এড়িয়ে গেছে । আপনি যে দুইজন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেছেন একজন সরাসরি ব্লগের সাথে কিছু সময় অতিবাহিত করেছেন এবং আরেকজন জনপ্রিয় পাবলিক ফিগার ছিলেন । জামিল স্যার গুণী মানুষ । গুণী মানুষের কদর গুণী মানুষরাই বেশি বুঝে ।
ব্লগের সাথে মান-অভিমান থাকবেই । জামিল স্যার ইতিহাসের অংশ । ইতিহাস তার আপন কত্থপথ নিজেই ঠিক করে নেয় ।
১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৬
করুণাধারা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ডার্ক ম্যান।
ব্লগ কর্তৃপক্ষ নিয়ে আমি কোন ভুল ধারণা করছিনা, তবে জেআরসি স্যার আর সামু দুই-ই আমার প্রিয়। বলতে পারেন উনার ব্যাপারে সামুর উদাসীনতায় কষ্ট পেয়েছিলাম। তবে এখন আর কষ্ট নেই, সামু না থাকলে এতকথা কোথায় বলতাম, আপনাদেরকে শোনাতাম কীভাবে?
শুভেচ্ছা থাকলো।
৭| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সবার মত ঢাক ঢোল পিটিয়ে দেখানোর জন্য কাজ উনি করতেন না বলেই মনে হয় ওনাকে আমরা মৃত্যুর পর আর দশ জন মানুষের মত দায়সারাভাবে স্মরণ করেছি। বাংলাদেশে সাধারণত এ ধরনের মেধাবী লোকেরা থাকেন না। ওনাদের মত মেধাবী লোকদের বিদেশের উন্নত জীবনের আহবানকে অগ্রাহ্য করা কঠিন। আমার অভিজ্ঞতায় উনি একজন ভালো বাড়িওয়ালাও ছিলেন। উনি ভাড়া বৃদ্ধির ব্যাপারে অনেকটাই উদাসীন ও নির্লোভ ছিলেন। আপনার পোস্ট হারিয়ে যাওয়ার কোনও শম্ভবনা দেখি না।
১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: সবার মত ঢাক ঢোল পিটিয়ে দেখানোর জন্য কাজ উনি করতেন না বলেই মনে হয় ওনাকে আমরা মৃত্যুর পর আর দশ জন মানুষের মত দায়সারাভাবে স্মরণ করেছি।
একেবারে ঠিক বলেছেন। উনি শুধু নিজের কাজ করে গেছেন, কী পেলেন কী হারালেন তা ভাবতে বসেন নি...
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা রইল।
৮| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানাই।
পত্রিকায় তার লেখা আমি মন দিয়ে পড়তাম। বিশেষ করে ঈদ সংখ্যা গুলোতে তার প্রবন্ধের মুগ্ধ পাঠক ছিলাম।
১০ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৫
করুণাধারা বলেছেন: অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে শ্রদ্ধা জানাই।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকুন রাজীব নুর।
৯| ১০ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০৬
জোবাইর বলেছেন: আপনার লেখাটি পড়ে জামিলুর রেজা চৌধুরীর অনেক অজানা জনহিতৈষী কাজকর্ম সম্পর্কে জানতে পারলাম। অনেক ব্লগার হুজুগে মাতামাতি করে কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পোস্ট-মন্তব্য করেন। এই হুজুগের ধামাঢোলে গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিষয়ে ব্লগে পোস্ট আসে না। এটা খুবই দুঃখজনক!
ব্লগে আমার জানামতে যেসব বুয়েটিয়ান আছেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর ব্যাপারে পোস্ট দেওয়ার প্রথম দায়িত্ব ছিল তাদের। কারণ তারা উনার সম্পর্কে আমরা আমজনতার চেয়ে বেশি জানেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এই তথাকথিত বুয়েটিয়ান ব্লগারদের লেখা, মন্তব্য, কথাবার্তা, আচরণ ইত্যাদির মধ্যে প্রযুক্তি বা বুয়েট সম্পর্কিত কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না। যা পাওয়া যায় তা হচ্ছে জামাত-শিবির টাইপের মৌলবাদী চিন্তা-ভাবনা।
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী সম্পর্কে আবির'এর দেওয়া পোস্টটি উধাও হওয়া সম্পর্কে ব্লগ কর্তৃপক্ষের অভিমত কী জানা প্রয়োজন। এ ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট মন-মানসিকতা ব্লগের জন্য মোটেই ভালো নয়। বাংলাদেশে আজ সত্যিকারের দেশপ্রেমিক লোকের খুবই অভাব। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী একমাত্র ব্যক্তি যিনি ব্যক্তিগত জীবনে সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত থেকে নিজেকে নোংরা রাজনীতি বা রাজনৈতিক দলের প্রভাব থেকে মুক্ত রেখে সব সরকারের আমলেই দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য কাজ করেছেন।
১০ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: ব্লগে আমার জানামতে যেসব বুয়েটিয়ান আছেন অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর ব্যাপারে পোস্ট দেওয়ার প্রথম দায়িত্ব ছিল তাদের। একেবারে ঠিক বলেছেন। জামিলুর রেজা চৌধুরীকে পুরকৌশলের শিক্ষক- শুধু এই দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে দেখাটা ভুল, উনি সকল বুয়েটিয়ানদের জন্য কাজ করেছেন। উনি সবসময় বুয়েটের উন্নতির কথা ভাবতেন, এজন্য উনার যেসব ছাত্ররা বিদেশের নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন বা পড়েন তাদের থেকে সেখানকার পঠন পদ্ধতি, নিয়ম কানুন সম্পর্কে খুব আগ্রহ নিয়ে শুনতেন। মেধার বিকাশে উনার বিশেষ আগ্রহ ছিল। আমার মনে হয় শিক্ষা ব্যবস্থায় উনাকে পরামর্শক রাখলে ভালো হতো।
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী একমাত্র ব্যক্তি যিনি ব্যক্তিগত জীবনে সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত থেকে নিজেকে নোংরা রাজনীতি বা রাজনৈতিক দলের প্রভাব থেকে মুক্ত রেখে সব সরকারের আমলেই দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য কাজ করেছেন। আপনার মূল্যায়ন খুব ভালো লাগলো। আপনার মন্তব্য ও প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম, অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
১০| ১০ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৮
ঢুকিচেপা বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম আপনার লেখার মাধ্যমে।
ওনার ভাল কাজের বিনিময়ে আল্লাহ্ অবশ্যই প্রতিদান দিবেন।
শ্রদ্ধা রইল অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর প্রতি ।
ধন্যবাদ।
১০ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭
করুণাধারা বলেছেন: ওনার ভাল কাজের বিনিময়ে আল্লাহ্ অবশ্যই প্রতিদান দিবেন। খুব ভালো লাগলো কথাটা! শুনেছি উনি সবাইকে দোয়া করতে বলতেন।
আপনার মন্তব্য আর প্লাসে অনুপ্রাণিত হলাম, অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা রইল।
১১| ১০ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫
ইসিয়াক বলেছেন: অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা ও দোয়া রইলো।
১০ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ইসিয়াক, আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।
১২| ১০ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনি ২০০২/২০০৩ সালে বেগম জিয়ার এডভাইজার ছিলেন; উনি একটা প্ল্যান দিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশ তখন ২০০ কোটী টাকার সফটওয়ার রপ্তানী করবে; বাংলাদেশ ২ টাকার সফটওয়ারও রপ্তানী করতে পারেনি।
১০ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যে ভুল করে প্লাস দিয়েছি, ওটাকে মায়নাস ধরে নেবেন।
উনি ২০০২/২০০৩ সালে বেগম জিয়ার এডভাইজার ছিলেন; উনি একটা প্ল্যান দিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশ তখন ২০০ কোটী টাকার সফটওয়ার রপ্তানী করবে; বাংলাদেশ ২ টাকার সফটওয়ারও রপ্তানী করতে পারেনি। এমন তথ্য আপনি কোথায় পেলেন? অতি অবশ্যই আপনার এই কথার সত্যতা প্রমাণের জন্য তথ্য সূত্র উল্লেখ করবেন জানি, এই মনগড়া ডাহা মিথ্যার পক্ষে কোন প্রমাণ দিতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে আপনাকে ব্লগের চরম মিথ্যুক এবং হিংসুটে ব্লগার বলে জানব।
আপনার এই মন্তব্য পড়ার পরে আমি উইকিপিডিয়ায় তাঁর সম্পর্কে তথ্য যা পেয়েছি তা এই, " ....অধ্যাপক চৌধুরী বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনের সফটওয়্যার রফতানি এবং আইটি সার্ভিস রপ্তানী-সংক্রান্ত টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ছিলেন ১৯৯৭ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত। তিনি প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি টাস্কফোর্সের একজন সদস্য।২০১২ সালের নভেম্বর মাসে তিনি বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হন এবং ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়াপারসন মনোনীত হয়ে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।[১০][১১] এছাড়া তিনি আরও অসংখ্য..."
কারো সুখ্যাতি শুনলে আপনার গাত্রদাহ হয় কেন বলুন তো?
খালেদা জিয়া যে আপনার কোন কুকীর্তি ধরে ফেলেছিলেন, বসে বসে তাই ভাবছি...
১৩| ১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী সম্পর্কে আপনার পোস্ট পড়ে। গুনী মানুষগুলো হারিয়ে যাচ্ছে দেশ থেকে
১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: গুনী মানুষগুলো হারিয়ে যাচ্ছে দেশ থেকে
যে অবস্থা, এরপর দেশে আর গুণী মানুষেরা থাকবেনই না...
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ঢাবিয়ান, ভালো থাকবেন।
১৪| ১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি লিখছেন, "কারো সুখ্যাতি শুনলে আপনার গাত্রদাহ হয় কেন বলুন তো? খালেদা জিয়া যে আপনার কোন কুকীর্তি ধরে ফেলেছিলেন, বসে বসে তাই ভাবছি"
-ভাবতে থাকেন, এতে আপনার মগজ বিবর্তিত হওয়ার সামান্য সম্ভাবনা আছে। আমাকে তথ্য পেতে হবে না, আমি সেই সময়ের ইতিহাসের সাক্ষী।
১৫| ১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভীষণ ভালো লাগলো আপু পোষ্টটি। আপনার শ্রদ্ধাঞ্জলির মধ্যে নিজের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করলাম একজন স্বনামধন্য গুণী মানুষের জন্য।মার্চে শ্রদ্ধেয় অধ্যাপকের প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গে @ সাজিদ উল হক আবিরের পোস্টটিও পড়েছিলাম।উনি অত্যন্ত কাছ থেকে দেখেছিলেন অধ্যাপক মহাশয়কে।অত্যন্ত আবেগঘন ছিল সেদিন কার সেই পোষ্টটি। কিন্তু দেশ ও জাতির প্রতি উনার আরও একটা কর্মযজ্ঞ যে আছে সেটা আপনার পোস্ট না পড়লে জানতে পারতাম না। অ্যারিস্টোটলের প্রতি আলেকজান্ডার দি গ্রেট যথার্থই উক্তি করেছেন।একজন বরেণ্য অধ্যাপক সম্পর্কে আজকে আপনার উক্তিটি তুলে ধরা ভীষণ প্রাসঙ্গিক লেগেছে।
তবে একটু বৈসাদৃশ্য লাগলো আর একজন অধ্যাপকের সঙ্গে উনাকে উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করা হয় নি বলাতে।একদিক দিয়ে হয়তো আপনি ঠিকই বলেছেন।তবুও উভয়কে শ্রদ্ধা রেখে এবং আপনার আবেগকে সম্মান জানিয়েই বলছি, সামুতে ওনাকে নিয়ে পর্যাপ্ত লেখালেখি না হওয়ায়, শ্রদ্ধেয় আনিসুজ্জামান স্যারের সঙ্গে শ্রদ্ধেয় জামিলুর রেজা স্যারের তুল্যমূল্য আলোচনা বোধহয় সঠিক নয়।অবশ্য আমার দৃষ্টিতে।দুজনেই গুনি মানুষ।ডঃ চৌধুরী স্যার আবার প্রচারবিমুখ।অন্যায়ের সঙ্গে আপসহীন, প্রবল ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন মানুষ।কোন কিছুতেই সহজে দমে যাওয়ার পাত্র নন।এমন মানুষদের স্মরণ সভা বা শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে তাদের কৃত্তিকে কখনও খাটো করা যায় না।
কয়েকদিন আগে ব্লগে একটা পোস্ট দেখেছিলাম।সৈয়দ মুজতবা আলী জার্মানদেশ থেকে ডক্টরেট করেছিলেন।অথচ নিজের নামের আগে কখনও ডক্টরেট কথাটি ব্যবহার করতেন না।কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে ওনার কবরস্থানের সামনে স্মৃতিফলকে ডক্টরেট কথাটি জ্বলজ্বল করছে- ছবি দিয়ে এক ব্লগার একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। বিষয়টি আমার কাছে খুব আকর্ষণীয় লেগেছিল। সত্যিই তো ডক্টরেট কথাটি বরং এমন লোকের সামনে বসে নিজেকে কিছুটা গর্বিত ভাবতেই পারে। আইনস্টাইন এর সামনে ডঃ আইনস্টাইন বলাটা যে কারনে অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। সেই একিই যুক্তিতে স্যারের শ্রদ্ধাঞ্জলি যথোপযুক্ত মনে না হলেও ওনার কৃতিত্ব কে কখনোই ম্লান করা যাবেনা বরং বাংলাদেশের সার্বিক অবকাঠামোর উন্নতিতে ওনার নাম ভাস্বর হয়ে থাকবে।
অফ টপিক:-সেবার আপনার মানসিক বিষন্নতা খবর পেয়ে খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম।যদিও তার পর্যাপ্ত কারণ ছিল। আশাকরি আপনি এখন সমস্ত বাঁধা বিঘ্ন অতিক্রম করে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছেন।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।
১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২২
করুণাধারা বলেছেন: পদাতিক চৌধুরী, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি সকল গুণী মানুষদের সম্মান জানানো দরকার, কর্মক্ষেত্রে বিভিন্নতা থাকতে পারে কিন্তু তাদের কাছে আমরা কোনো না কোনো ভাবে ঋণী।
সামুকে আমার মনে হয় ভার্চুয়াল বাংলাদেশ! এখানে নানা মতের, নানা পদের, নানা শ্রেণীর নানা বয়সের মানুষের যেমন দেখা পাওয়া যায় সেটা আমি অন্য কোনো ব্লগে দেখিনি, ফেসবুকে তো নয়ই। সেসব জায়গায় তারা থাকেন তারা একটি মাত্র শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত, যাকে বলা যায় "এলিট ক্লাস"। এটা আমাদের সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে না, কিন্তু সামু এই প্রতিনিধিত্ব করে। সামুতে থেকে আমি বাংলাদেশের আমজনতার অনুভূতি বুঝতে পারি। তাই অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর প্রতি সামুর দৃষ্টিভঙ্গি দেখে অবাক এবং দুঃখিত হয়েছি। হয়তো কোন কারণ আছে, যা জানি না...
তবে উনি জনকল্যাণমূলক অনেক কাজ করতেন তার প্রচারণা ছিল না। দরিদ্র অথচ মেধাবী যেসব ছাত্র-ছাত্রী অর্থের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারত না, তাদের জন্য তিনি একটা ব্যাংকের সহায়তায় ফান্ড তৈরি করেন এবং একটা কমিটি করে এই ধরনের ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা করতেন, এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য তো করতেনই। শিক্ষক হিসাবেও তিনি ছিলেন অসাধারণ। নিজে অতি মেধাবী, কিন্তু কম মেধার ছাত্র-ছাত্রীদের শেখাতে উনি বিশেষ চেষ্টা করতেন। আমার কাছে উনি পরম শ্রদ্ধেয়।
আপনি আমার বিষন্নতার কথা মনে রেখেছেন দেখে ভালো লাগলো। আসলে সময়টাই এমন, ভয় আর অনিশ্চয়তায় ভরা যে ভালো থাকা কঠিন! তবে ভালো থাকার চেষ্টা করছি, সময় নিশ্চয়ই ভালো হবে...
আপনার জন্যও শুভকামনা রইল পদাতিক চৌধুরী।
১৬| ১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
করুণাধারা আপা,
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী সাহেব নিঃসন্দেহে ভালো মানুষ ছিলেন। বাংলাদেশী নামক জাতি গুণীমানুষের মূল্যায়ন বুঝেন না বলে এই দেশে গুণীমানুষ নেই। এই দেশে আছে মাইগ্রেশন করার জাতি। ঘুম থেকে উঠে দেখি এক মাইল লম্বা মানুষের লাইন! কোনো এক দূতাবাসের সামনে অথবা আদম অফিসের সামনে - কোনোভাবে দেশের বাইরে যেতে পারলেই হলো - তারপর শুরু করে দেন দেশের বদনাম।
বাংলাদেশী ও বাংলাদেশী প্রবাসী নিজ দেশের বদনাম করে সময় পান না তারা আর কি কাজ করবেন? তাই প্রবাসেও তারা অবহেলিত!
১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯
করুণাধারা বলেছেন: কোনোভাবে দেশের বাইরে যেতে পারলেই হলো - তারপর শুরু করে দেন দেশের বদনাম।
ভাই ঠাকুর মাহমুদ, আমাদের অধিকাংশের চরিত্র আপনি একবাক্যে বলে দিয়েছেন। নিজের মা দরিদ্র আর অশিক্ষিত হলেও মা তো মাই, তাকে তাচ্ছিল্য করা ঠিক নয়, এই কথাটা আমরা ভুলে যাই। আমাদের দেশে অনেক মানুষ চরমভাবে অসৎ এবং অমানবিক, আমরা তাদের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করতেই থাকি, অথচ এদের বিপরীতে যে কিছু সৎ মানুষ আছেন তাদের আমরা সম্মান করতে চাই না। যদিবা কেউ তাদের প্রশংসা করে, তখন কেউ কেউ এগিয়ে আসেন মিথ্যা অপবাদ রটনা করতে। দুনিয়ার হিসাব চুকিয়ে চলে যাওয়া মৃত মানুষটিও এসব হিংসুকের রটনা থেকে রক্ষা পান না...
আপনার মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।
১৭| ১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫১
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী
.............................................................
একটি শ্রদ্ধেয় ও সম্মানিত নাম,
আমার গভীর আস্হা ও ভালবাসা সবসময় উনার জন্য ছিল ।
............................................................................
উনার চিন্তার ও ভাবনার বিষয়গুলি ছড়ায়ে থাকা ছাত্র ছাত্রীরা
বাস্তবায়ন করতে পারলে, উনার প্রতি সঠিক সম্মান জানানো হবে ।
১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯
করুণাধারা বলেছেন: উনার চিন্তার ও ভাবনার বিষয়গুলি ছড়ায়ে থাকা ছাত্র ছাত্রীরা
বাস্তবায়ন করতে পারলে, উনার প্রতি সঠিক সম্মান জানানো হবে ।
স্বপ্নের শঙ্খচিল, খুব আশ্চর্য হলাম আপনার মন্তব্য পড়ে!! উনার স্মরণে আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় উনার ছাত্ররা ঠিক এই কথাই বলেছেন! ওরা বলছিলেন, উনি যেভাবে ভাবতেন যা যা করার স্বপ্ন দেখতেন উনার ছাত্র-ছাত্রীরা সেভাবে কাজ করলেই উনাকে সম্মান জানানো হবে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ স্বপ্নের শঙ্খচিল, শুভকামনা রইল।
১৮| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য গুলো পড়টে আবার এলাম পোষ্টে। পড়লাম।
১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
করুণাধারা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর। আপনার ভাবনা হীন জীবন দেখে খুব ভালো লাগে। এমন থাকুন সর্বদা।
১৯| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৮
কল্পদ্রুম বলেছেন: ভেন্টিলেটর নিয়ে ওনার প্রচেষ্টার ব্যাপারটা আমার অজানা ছিলো।
১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০৭
করুণাধারা বলেছেন: এই খবরটা আমি পত্রিকায় পড়ে বুকমার্ক করে রেখেছিলাম।
ভেন্টিলেটরের প্রয়োজনীয়তার কথা যখন কারো মাথায় আসেনি তখন তিনি ভেবেছিলেন। মার্চে উনি ভেন্টিলেটর নিয়ে ভেবেছেন, এপ্রিলের ১৫ তারিখে সিলেটের ডাক্তার মঈনের মৃত্যুর পর ভেন্টিলেটর আলোচনায় আসে। এরপর মে মাসে চট্টগ্রামে এস আলম গ্রুপের একজন মালিক মারা যান, তখনো ভেন্টিলেটরের প্রয়োজনীয়তার কথা ওঠে। এখন আর ভেন্টিলেটর নিয়ে কোন ভাবনা নেই!!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ কল্পদ্রুম, শুভেচ্ছা।
২০| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৪
কল্পদ্রুম বলেছেন: এম আই টি-র ঐ নকশা অনুযায়ী আফগান মেয়েদের একটি দল টয়োটা গাড়ির পুরাতন পার্টস ব্যবহার করে সাশ্রয়ী ভেন্টিলেটর তৈরির চেষ্টা করেছিলো এমনটা পড়েছিলাম।গতমাসের কোন একটি নিউজ পত্রিকায়।আসলে আমাদের সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তা প্রয়োজনের তাগিদটা বুঝতে চান না।প্রটোকলের নাম করে নিজের ক্ষমতার দাপট দেখানোটাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় তাদের কাছে।
১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২২
করুণাধারা বলেছেন: আসলে আমাদের সরকারি বিভিন্ন কর্মকর্তা প্রয়োজনের তাগিদটা বুঝতে চান না।প্রটোকলের নাম করে নিজের ক্ষমতার দাপট দেখানোটাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় তাদের কাছে।
দুর্ভাগ্যজনক সত্যি কথা। দায়িত্বপ্রাপ্তরা নিজেদের সব বিষয়ে বিপুল জ্ঞানধারী বলে মনে করেন, তাই অন্যের আইডিয়া এককথায় নস্যাৎ করে দেন। ওয়ালটন ওদের মতো করে ভেন্টিলেটর বানাক, কিন্তু বায়ো মেডিক্যালের ছাত্ররা যে ভেন্টিলেটর বানিয়েছিল সেটাকে কর্মকর্তারা এককথায় নস্যাৎ করে দেবার ফলে ছাত্ররা আর এধরণের কাজ করতে উৎসাহিত হবে না। এটা দুর্ভাগ্যজনক।
২১| ১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০৬
শায়মা বলেছেন: অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই।
আসলে এই অসাধারণ মানুষটিকে নিয়ে বুয়েটিয়ানরা যতটা জানে সামু ব্লগারদের হয়ত ততটা জানা নেই। তাই এন্ড্রু কিশোর বা অধ্যাপক আনিসুজ্জামান স্যারকে নিয়ে পোস্ট বেশি এসেছে কিন্তু উনার মত মানুষকে নিয়ে আসেনি। সাজিদ আবির ভাইয়া, রাতুল শাহ এরা প্রকৌশলী হওয়ায় তারা উনাকে জানে এবং তাই সাজিদ আবির ভাইয়া রাতুল শাহ উনার সম্পর্কে বলেছে।
অভিমান বা রাগ করো না আপু। তোমার জান্য জানতে পারলাম উবার অনেক অনেক কথা। সামু ব্লগারেরাও অনেকেই জানলো এটাও আমাদের অনেক পাওয়া।
১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: না শায়মা, রাগ করিনি, বলতে পারো ভালবাসার অভিমান। সামু আমার নিঃশ্বাস ফেলার জায়গা, ভালবাসার জায়গা, এখানে সবকিছুই ঠিকঠাক দেখতে চাই। সেটা না দেখে দুঃখ হয়েছে বলতে পারো। তবে সবসময় সবকিছু ঠিক থাকবে ভাবাও ঠিক না, ভুল তো হতেই পারে...
এই ভুলের ফলে আমার একটা লাভ হলো আমি অনেকদিন পর আবার ব্লগে কর্মক্ষম হয়ে উঠতে পারলাম!! অনেকদিন অপেক্ষার পর যখন দেখলাম কেউ উনাকে নিয়ে পোস্ট দিলেন না, তখন আমিই অন্তর্জালে খোঁজ করে উনার সম্পর্কে সঙ্কলন করলাম লিঙ্ক দিয়ে, যাতে যার আগ্রহ হয় সে পুরো খবর জানতে পারে... এখন ভালো লাগছে, মনে হচ্ছে আমি আমার দায়িত্ব পালন করলাম।
ভালো থেকো, শুভেচ্ছা...
২২| ১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০০
শায়মা বলেছেন: অবশ্যই তুমি দায়িত্ব পালন করেছো!!! অনেক অনেক ভালোবাসা আপুনি!!
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২০
করুণাধারা বলেছেন:
২৩| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪
জুন বলেছেন: সবার কাছে সম্মানলাভ করতে খুব কম মানুষই পারে করুনাধারা। তার জ্ঞ্যান প্রজ্ঞা আচার ব্যাবহার খুব কম মানুষই আয়ত্ত করতে পারে। খুব সুন্দর ও সহজ করে লিখেছেন তাকে নিয়ে। তার মৃত্যুতে একটি মহীরুহর পতন হলো।
আরেকজন ব্যাক্তিকে আমি অনেক শ্রদ্ধা করতাম তিনি আবদুল্লা আল মূতি শরফুদ্দিন। বাচ্চাদের জন্য লেখা বিজ্ঞান বইগুলো আমার মত বুড়োধাড়িও অত্যন্ত কৌতুহল নিয়ে পড়তাম।
আলমুতি শরফুদ্দিন স্যারকে নিয়ে কথা বলার জন্য কাকু না এসে আবার আমাকে ডোডো পাখি লিলিপুটিয়ান উপাধি দিয়ে যায় সেটাই ভাবছি।
+
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: তার মৃত্যুতে একটি মহীরুহর পতন হলো। সত্যিই তাই। তিনি যেসব প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন তার ব্যয় ছিল লক্ষ কোটি টাকার বেশি। এই প্রকল্পগুলোর নির্মাণ যাতে ঠিক মতো হয়, আর্থিক ক্ষতি না হয়, সেদিকে তিনি দৃষ্টি রাখতেন। সততা এবং কর্মদক্ষতায় তিনি ছিলেন অসাধারণ। এমন মানুষের চলে যাওয়া দেশের জন্য ক্ষতি...
আবদুল্লাহ আল মূতি শরফুদ্দিনকে আমিও অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতাম, তার বই আমিও গোগ্রাসে গিলতাম।
আপনার কাকুর মাথা ঠিক নেই, কখন যে কি বলেন!!
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ জুন।
২৪| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
আপা ,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন একজন প্রকৌশলী
জাতীয় অধ্যাপক গবেষক বিজ্ঞানী তথ্যপ্রযুক্তিবিদ এবং
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের সকল দিক নিয়ে কাজ করার
কারিগর কে নিয়ে একটা সুন্দর আর্টিকেল লেখার জন্য।
দেশের অসংখ্য বড় বড় স্থাপনা উনার হাত ধরেই এসেছে।
স্যার নিজ যোগ্যতা ও গুণে আজ উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে
আমাদের মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবেন। সিলেট তথা পুরো দেশবাসীর গর্ব ।
দোয়া করি মহান আল্লাহ শ্রদ্ধেয় স্যারকে পরম শান্তিতে
রাখুন।
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: দোয়া করি মহান আল্লাহ শ্রদ্ধেয় স্যারকে পরম শান্তিতে
রাখুন। আমীন।
প্রকৌশলী জাতীয় অধ্যাপক গবেষক বিজ্ঞানী তথ্যপ্রযুক্তিবিদ এবং
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের সকল দিক নিয়ে কাজ করার
কারিগর...
দেশের অসংখ্য বড় বড় স্থাপনা উনার হাত ধরেই এসেছে
অল্প কথায় উনার সম্পর্কে এর চাইতে ভালো বর্ণনা আর কিছু হতে পারে না। আমি আরেকটু যোগ করি, উনি ছিলেন খুবই ভালো শিক্ষক এবং নিরহংকার মানুষ। উনাকে শেষ বারের মত দেখার ছবিটা চোখে ভাসে, প্রচন্ড রোদের মধ্যে ভাঙাচোরা এক ফুটপাত ধরে উনি এক মসজিদের দিকে যাচ্ছেন জানাজার নামাজে শরিক হতে; অথচ তাকে কেউ ডাকেনি সেখানে, কারণ উনার নিজের স্বাস্থ্য ভালো ছিল না, উনি নিজের খেয়াল রাখতেন না... এই মানুষ সম্পর্কে কেউ মিথ্যা বললে মেজাজ ঠিক রাখা যায়না।
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ মুক্তা নীল।
২৫| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১২:২৫
উদ্বাস্তু মানুষ আমি বলেছেন: স্যারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। স্যারের মত নিবেদিত ও জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব আর কাউকে পাবো কিনা এতে সন্দিহান। স্যার কোন প্রকল্পে জড়িত থাকলে, সে প্রকল্পের প্রতি একটা বিশ্বাস থাকে।
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: স্যারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। স্যারের মত নিবেদিত ও জ্ঞানী ব্যক্তিত্ব আর কাউকে পাবো কিনা এতে সন্দিহান। স্যার কোন প্রকল্পে জড়িত থাকলে, সে প্রকল্পের প্রতি একটা বিশ্বাস থাকে।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ উদ্বাস্তু মানুষ আমি। চারপাশে এখন অর্থলোভী মানুষ দেখছি, তাঁর মত মানুষ সত্যিই বিরল। উনি যে সব প্রকল্পে ছিলেন তার কোনটিতেই লুটপাটের অভিযোগ আসে নি।
২৬| ১২ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:১৭
সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু পোস্টটির জন্য। আপনি যা লিখেছেন আ আমি মনে মনে অনেক আশা করেছিলাম আরো অনেকের কাছ থেকে। আসলে আমার যা মনে হয়েছে উনাকে ঠিক সবাই চিনে না বা জানে না। খুব অল্প মানুষই উনাকে জানে ও ইনার কর্মকান্ড সম্পর্কে জানে। আর বুয়েটের খুব অল্প কিছু মানুষ এ লেখালেখির জগতে জড়িত, তারপরও আপনার মতো আমিও মুনির ভাই, আনিসুল হক সহ আরো গণ্যমাণ্য ব্যাক্তিদের কাছ থেকে শ্রদ্ধা আশা করেছিলাম। মুনির ভাই উনার সাথে বরাবরেই ছিলেন।
বুয়েট এ্যালামনাই এর কাছ থেকে আরো অনেক কিছু আশা করেছিলাম। যেমনটা বলেছেন দেলোয়ারের হত্যা নিয়ে। আমি দেলোয়ারের হত্যা পত্রিকায় পাইনি, প্রথম খবর পেয়েছি আমার ভাইয়ের কাছ থেকে যে বুয়েট এ্যালামনাই এর মেম্বার। সে ও খুব দু:খ পেয়েছিল দেশের সবার নীরবতায়। তাই আমি বিষয়টা সামনে আনার চেস্টা করেছিলাম।
সাজিদের লেখাটি নেই কেন? আমারো একই প্রশ্ন? আমি লিখাটি পড়েছিলাম।
অনেক দু:খেও বলি, এদেশে গুনীদের কদর জানে না, গুনীদের সন্মান দিতে জানে না। আর এ কারনেই গুনীরা দেশ ছেড়ে পালায়, গুনী জন্মায় না।
আর লিখা ছেড়ে যাবেন না, তাহলে আপনাদেরকে কোথায় পাবো। আমরা কেমন যেন একটা মায়ার বাঁধনে বাধাঁ। এ বাধঁন ছিন্ন করলে আপনি যেমন কষ্ট পাবেন তেমনি আমরাও পাবো।
১২ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১৭
করুণাধারা বলেছেন: উনাকে ঠিক সবাই চিনে না বা জানে না। খুব অল্প মানুষই উনাকে জানে ও ইনার কর্মকান্ড সম্পর্কে জানে।
এই কথাটা ইদানিং আমারও মনে হচ্ছে, হয়ত উনার সম্পর্কে কম জানা থাকায় কেউ ব্লগে উনাকে নিয়ে লেখেননি। আমি যতটুকু সম্ভব লিঙ্ক দিয়ে উনার সম্পর্কে লিখেছি। অনেক সময় জানানোর দায়িত্ব নিজেকে নিতে হয়, যেমন আপনি প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন সম্পর্কে লিখেছেন... Error 522 এর যন্ত্রনায় আগে আপনার পোস্টের লিঙ্ক দিতে পারিনি, এখন আপনার দুটো লেখার লিঙ্ক দিয়ে দিয়েছি।
এটা ঠিক, এদেশে গুণীর কদর হয় না। উনি বিদেশে থাকলে গবেষণার অনেক সুযোগ পেতেন, সাথে সাথে অনেক সুনাম অর্জন করতে পারতেন। যে দেশে সাহেদের মতো মানুষেরা দাপট নিয়ে বাস করে, সে দেশে ভালো মানুষের না থাকাই ভালো...
বাধ্য না হলে এই ব্লগ ছেড়ে কোথায় যাব!! এটাতো আমার নিঃশ্বাস ফেলার জায়গা।
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ সোহানী। শুভেচ্ছা।
২৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
একজন নিভৃতচারীর কাহিনী।
নাটক পরিচালক কখনও মঞ্চে ওঠেন না। দর্শক তাকে দেখেননা , জানেনও না। তারা মঞ্চ দাপিয়ে বেড়ানো চরিত্রগুলোকেই দেখেন , জানেন। চমৎকৃত হন।
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর ভাগ্যে ব্লগে এমনটাই ঘটেছে। জামিলুর রেজা চৌধুরী জাতীয় অর্থনীতি আর জাতির এগিয়ে চলার উপাখ্যান মঞ্চায়নের নেপথ্য এক কারিগর, এক পরিচালকও বটে। তাই তাকে দেখার - জানার মানুষ কম। এতে আপনার কষ্ট বেড়েছে বটে কিন্তু তাঁকে জানানোর কাজটি করে আপনি তো আমাদের দায়মুক্ত করলেন।
আপনার পাশে দাঁড়িয়ে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে আপনার মতোই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫০
করুণাধারা বলেছেন: সত্যিই তিনি ছিলেন নিভৃতচারী, একমনে নিজের কাজ করে গেছেন কারো স্বীকৃতির আশা না করে। তাঁর অসমাপ্ত কাজ শেষ হবে, অন্য কেউ করবেন, হয়তো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই। কিন্তু কিছু কাজ করতে না পারার ব্যর্থতার কষ্ট নিয়েই তাঁকে চলে যেতে হয়েছে, তেমন রাজধানীকে বসবাসযোগ্য করার জন্য তিনি ড্যাপের বাস্তবায়ন চেয়েছিলেন কিন্তু পারেননি। এ নিয়ে পোস্টে তাঁর হতাশার উল্লেখ করেছি। তিনি চেয়েছিলেন রাজধানীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সুফল পেতে। কিন্তু এটা করার সুযোগ তিনি পাননি। তারপরও তিনি যা যা করেছেন তার অবদান কম নয়। তাঁকে কি ভুলে যাওয়া যায়!!
আপনার পাশে দাঁড়িয়ে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে আপনার মতোই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
আমি আপ্লুত হলাম।
চমৎকার মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা। শুভকামনা রইল।
২৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:০৪
অর্ণব তনয় বলেছেন: আপনি কি তার ছাত্রী ছিলেন ???
১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: উনার ছাত্রীর নাম করুনাধারা!!! এমন নাম উনি কখনো শোনেননি। শুনলে খুব হাসতেন মনে হয়...
২৯| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৩
নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় আপু,
শ্রদ্ধেয় জামিলুর রেজা চৌধুরী'কে লেখা অবশ্যই আমাদের দরকার ছিল। এটা আমাদের অমার্জনীয় অপরাধ হয়েছে। এই করোনাকালীন সময়ে পারিবারিক জীবন নিয়ে আমি মারাত্মক ব্যস্ত। হুটহাট করেই ব্লগে আসা হয়। তাও মোবাইল থেকে ঢুকতে পারি না। অফিসে আসলে বড্রব্যান্ডে দেখতে পাই। আপনার এই পোস্টও মিস হয়ে গিয়েছিল। আপনার ব্লগবাড়িতে যেয়ে খুজে পেয়েছি এটা।
আমি উনার কোন ক্লাস পাইনি। উনি সিভিলের ছিলেন। তবে উনার সাথে বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। অমায়িক একজন মানুষ ছিলেন। আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসীব করুন।
পোস্ট খুব সুন্দর হয়েছে। আবার পড়ার জন্য প্রিয়তে রেখে দিলাম।
দেশ থেকে ভালো মানুষগুলি এক এক করে হারিয়ে যাচ্ছে.............
১৫ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য আর প্লাস দিয়ে অনুপ্রাণিত করায় অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা নীল আকাশ।
আশাকরি করোনা কালে সকল ঝামেলা সামলে ভালো আছেন, আসলে উনার স্মরণে লেখার কথায় আমি আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলিনি, আপনি উনার ছাত্র নন। কিন্তু ব্লগে উনার বিভাগের কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী আছেন বলে জানি, ভেবেছিলাম তাদের কেউ উনার স্মরণে লিখবেন। নেটে জেআরসি স্যার লিখে সার্চ দিলে অসংখ্য লেখা আসে উনাকে নিয়ে, তাদের কেউ কেন সামুতে লেখে না!! ম্যাক (মোহাম্মদ আলী চৌধুরী) স্যারের মৃত্যুর পর সামুতে অনেকেই উনাকে নিয়ে লিখেছিলেন, দুজনের কথা মনে আছে- এক নিরুদ্দেশ পথিক এবং ফাহমিদা বারী। সেই পোস্ট পড়ে ব্লগে অনেকেই জানতে পেরেছিলেন তাঁর সততা ও গবেষণার কথা, তিনি অতি অল্প খরচে বিদ্যুতের প্রি পেইড মিটার তৈরি করেছিলেন কিন্তু তাঁর মিটার গ্রহণ না করে বিদেশী মিটার আমদানি করা হয়। তাঁর কাজের স্বীকৃতি দেয়া হলে জনগণ উপকৃত হত... পাপিয়া, পাপুল, সাহেদদের মতো অসৎ মানুষের মধ্যে যে গুটিকতক সৎ, কীর্তিমান মানুষ আমাদের দেশে আছেন তাদের কথা জানার দরকার আছে না? নিউটন, আইনস্টাইনের জীবন কথা জেনে কী হবে!!
এখানে ভিডিও নামে একটা লিঙ্ক দিয়েছি, সময় করে ওটা পড়বার জন্য অনুরোধ করছি। দেশের মানুষের জন্য উনি এত ভাবতেন... উনাকে শিক্ষা ক্ষেত্রে উপদেষ্টা করলে হয়ত প্রশ্ন ফাঁস জেনারেশনের বদলে আমরা একটা ধীমান জেনারেশন পেতাম...
আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসীব করুন। আমীন।
৩০| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাকে বুঝতে হবে.....দেশটার নাম বাংলাদেশ। এদেশে থাকেন যেহেতু, এসব নিয়ে মন খারাপের কিছু নাই।
এখানে আপনি যা পাওয়ার কথা, তা পাবেন না। যা ঘটার কথা, সেটাও ঘটবে না। এদেশের ক্ষমতাসীনরা শুধুমাত্র দেখে, একটা মানুষ কতোটা টাকাওয়ালা আর কতোটা তেল দিতে পারে। জ্ঞান বলেন আর মেধাই বলেন, সবই মুল্যহীন এদেশে। আর দেশের জন্য, জনগনের জন্য কিছু করতে গেলে তো আরো সন্দেহ......ঘটনা কি? এই লোক এসব করছে কেন? নিশ্চয়ই নাম কামানোর আর ভবিষ্যতে নির্বাচনের ধান্ধা!!!
তবে সামু‘র বিষয়টা বুঝলাম না। একজন গুণীকে যথাযথ সন্মান জানানোতে কার্পন্য কেন? ব্লগারদের মধ্যে থেকেও অনেকে দায়িত্ব পালন করতে পারতো ওনার সম্মন্ধে লেখা দিয়ে। যা হোক, আপনি সে অভাব পূরণ করেছেন।
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই। ওনার বিদেহী আত্মা আল্লাহর দরবারে যথাযথ মর্যাদা পাবে, এটাই কামনা এবং দোয়া। সর্বশক্তিমান উনাকে বেহেশতে নসীব করুন।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১
করুণাধারা বলেছেন: বুঝতে হবে.....দেশটার নাম বাংলাদেশ। বুঝেছি , কিন্তু মনখারাপ হয়ই...
ঠিকই বলেছেন, জ্ঞান আর মেধা মূল্যহীন এদেশে। টাকা থাকলেই নেতা হওয়া যায়, সালাম পাওয়া যায়, সম্মান কেনা যায়। কিন্তু এসব দেখে মনখারাপ হবে না! অসৎ আর মূর্খ জাতির একজন হিসেবে পরিচিতি খুব আনন্দদায়ক তো না...
মনখারাপ হয় যখন দেখি গণিত অলিম্পিয়াডে স্বর্ণপদক পাওয়া কিশোরটিকে এদেশে কেউ কদর করে না, ভিনদেশী বিশ্ববিদ্যালয় তাকে খাতির করে নিয়ে যায়। ক্রিকেটে জয় পেলে সারাদেশ আনন্দে ভরে ওঠে, মেধার লড়াইয়ে জয় পেলে কেন কেউ গ্রাহ্য করে না!! সামু আমার কাছে ক্ষুদ্রাকারে বাংলাদেশ, তাই হয়ত সামুও এমন হয়ে গেছে...
অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই। ওনার বিদেহী আত্মা আল্লাহর দরবারে যথাযথ মর্যাদা পাবে, এটাই কামনা এবং দোয়া। সর্বশক্তিমান উনাকে বেহেশতে নসীব করুন। আমীন।
মন্তব্য আর প্লাস দিয়ে অনুপ্রাণিত করায় অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা।
৩১| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অসৎ আর মূর্খ জাতির একজন হিসেবে পরিচিতি খুব আনন্দদায়ক তো না... এই দুঃখেই তো আজ আমি আধা বাংলাদেশী, আর আধা বৃটিশ!!!
মুর্খ আর শিক্ষিত, দুই জাতির মধ্যে চেক এন্ড ব্যালেন্স করে দিন চালিয়ে নিচ্ছি কোন রকমে! কি করবো বলেন, আর কোন উপায় ছিল না।
১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২
করুণাধারা বলেছেন: এটা খুবই দুঃখজনক, সারাক্ষণ সতর্ক থাকতে হয় কে কোনদিক দিয়ে ক্ষতি করবে ভেবে। এই বয়সে আর কোথাও যাবার শক্তি নেই, তাই ছেলেমেয়েদের পাঠিয়ে দিতে হলো। এখন দিনশেষে ভাবতে হয় না, ওরা ঠিকমতো ঘরে ফিরবে তো!!
৩২| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি ।
১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৯
করুণাধারা বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার।
ভালো থাকুন করোনা কালে, শুভেচ্ছা।
৩৩| ১৫ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: চিন্তা করবেন না।
দেশের মতো অনিশ্চিত অবস্থা ওখানে নাই। ওখানে দিনশেষে ঘরে ফেরার নিশ্চয়তা আছে। বরং মন ঠিক করে উড়াল দেন। সবাই চোখের সামনে থাকবে। শান্তিতে থাকবেন।
দেশে থেকে কি লাভ?
১৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২১
করুণাধারা বলেছেন: দেশে থেকে লাভ নেই কিছু, কিন্তু এখানে সবকিছু যে এত পরিচিত; বিদেশের অচেনা পরিবেশে দেশের চেনা অসুবিধা আর ঝামেলাগুলো খুব মিস করব...
আমার ইচ্ছা আছে একটা বয়স্ক আবাসন বানাবার, যদি আল্লাহ সুস্থ্য আর কর্মক্ষম রাখেন। এটা প্রচলিত ধারার বৃদ্ধাবাস হবে না। দেখি কী হয়...
৩৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে নিলাম। সাথে ভাল লাগা রইল।
২১ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪১
করুণাধারা বলেছেন: লাইক দেয়ার এবং পোস্ট প্রিয়তে নেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আমি তুমি আমরা।
খুশি হব যদি ভিডিও লেখা লিঙ্কে দেয়া ভিডিওটা একবার দেখেন। এটা দেখলে বোঝা যায়, অসুস্থতার মধ্যেও তিনি কীভাবে দেশের নানা সমস্যা নিয়ে ভাবতেন। তিনি অর্থ, যশ কিংবা প্রতিপত্তির জন্য কাজ করতেন না, বরং মানুষের দুর্নীতির কারণে তাঁর অনেক পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পারেন নি। তাঁর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে পারলেই তাঁকে সম্মান জানানো হবে- কিন্তু তেমন মানুষ কেউ আছেন বলে জানি না!!
৩৫| ২০ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৪৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
প্রকৌশল জ্ঞানের একজন জীবন্ত এনসাইক্লোপিডিয়া অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলী।
তিনি ছিলেন এ দেশের একজন শ্রেষ্ঠ প্রকৌশলী, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ্যার এ দেশীয় অগ্রনায়ক ।
এই কয়েকদিন আগেও আমার গৃহায়ন সংক্রান্ত পোষ্টটি লেখার সময় তাঁকে নিয়ে ভাবতেছিলাম।মনে পড়ছিল তার পিএইচডি অভিসন্দর্ভ ‘কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন অব হাইরাইজ বিল্ডিং’-এর কথা । তিনি তার স্বপ্নের কথা বলতেন:
“একজন নির্মাণ প্রকৌশলী হিসেবে আমার স্বপ্ন দেশীয় নির্মাণসামগ্রী সর্বোচ্চ ব্যবহার করে এ দেশের কোটি কোটি মানুষকে স্বল্প ব্যয়ে পরিবেশবান্ধব ঘরবাড়ি নির্মাণ করতে সাহায্য করা, যা ভূমিকম্প ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে পারবে”।
দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে তার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের ।যখন রাষ্ট্র তাকে চেয়েছে, তিনি সাড়া দিয়েছেন।
১৯৭০ এর দশক থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সব মেগা প্রকল্পে জামিলুর রেজা চৌধুরীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অবদান রয়েছে।তিনি সমন্বিত ভূমি ও সড়ক পরিবহন নীতিমালার কথা বলেছেন। জাতীয় বিল্ডিং কোড ১৯৯৩ তৈরির স্টিয়ারিং কমিটিতে তিনি ছিলেন । নিজ দেশের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে নিতে অন্যতম সহায়ক ব্যক্তিত্ব ছিলেন জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিনি দেশের দীর্ঘতম পদ্মা বহুমুখী সেতুর আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মণ্ডলীর প্রধান ছিলেন। প্রথম ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস হাইওয়ে, কর্ণফুলী নদীর সুরঙ্গ, ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের পরামর্শকের দায়িত্বও পালন করেছেন ।
মনরঘাতি করোনার হাত হতে দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য তাঁর গৃহীত কার্যক্রমের একটি পরিস্কার চিত্র এ পোষ্টে তুলে ধরায় আমরা তাঁর মুল্যবান অবদানের কথা জানতে পারলাম ।
দুর্বাভ্য আমাদের, তাঁকে আমরা যথাযোগ্য সন্মান দিতে পারিনি । তাঁতে কি আসে যায় তাঁর , গুণীর কদর কখনো কমেনা, তাঁরা চিরঞ্জিব হয়েই থাকবেন মানুষের মনে । যারা তাঁকে সন্মান করতে চায় তারা ঠিকই চিনে নেয় তাঁকে ।২০১০ সালের ২০শে অক্টোবর ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় জামিলুর রেজা চৌধুরীকে সম্মানসূচক ডক্টর অফ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি প্রদান করে। তিনিই প্রথম বাংলাদেশী যিনি কোন ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই সম্মান অর্জন করেন। তাঁকে নিয়ে গর্ব অনুভব করি ।
দেশ বরেন্য এই গুণী ব্যক্তিটির অসংখ্য কৃতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য দিকগুলি সংক্ষেপে তুলে ধরার জন্য আপনার প্রতি রইল অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
লেখাটি প্রিয়তে গেল ।
ভাল থাকার শুভকামনা রইল
২১ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪
করুণাধারা বলেছেন: ডঃ এম এ আলী, আবাসন এবং গৃহ নির্মাণ নিয়ে আপনার সাম্প্রতিক দুটি গবেষণা মূলক পোস্ট পড়তে গিয়ে আমার বারবার মনে হয়েছে, এই পোস্ট দুটি ডা. জামিলুর রেজা চৌধুরী যদি দেখতেন উনি খুবই উৎসাহিত হতেন, আপনার ভাবনার প্রকৃত মূল্যায়ন তিনিই করতে পারতেন। আপনি হয়তো জানেন, বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, যা নানারকম গৃহ এবং গৃহ নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে গবেষণা করে তা মূলত উনার পরিকল্পনায় কাজ শুরু করেছিল। কে জানে হয়ত আপনার ভাবনার বাস্তবায়নে উনি কাজ করতেন। তবে আমি আশাবাদী যে, উনি না থাকলেও অন্য কেউ আবাসন এবং গৃহ নির্মাণ নিয়ে আপনার ভাবনার মূল্যায়ন করবেন।
তাঁকে আমরা যথাযোগ্য সন্মান দিতে পারিনি একথা ঠিক। আবার এটাও ঠিক যে, তিনি অর্থ যশ প্রতিপত্তির জন্য কাজ করতেন না। অনেক কাজ তিনি করতে পারেন নি কারণ দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে উনার পরামর্শ শোনা হয়নি। ঢাকা শহর এভাবে বর্ষায় পানিতে তলিয়ে যেত না যদি উনার পরামর্শ মেনে নেয়া হতো!! আপনার একটা পুরনো পোস্টের কথা মনে পড়ছে, যেখানে বারবার মন্তব্য করতে গিয়েও আমি বিরত হয়েছি এই ভেবে যে সত্যি কথাটা বড় কঠিন!! পোস্ট ছিল এদেশের মেধাবী সন্তানরা কেন দেশে ফিরে তাদের মেধা দেশের জন্য নিয়োজিত করেন না। আসলে অনেক মেধাবী মানুষ দেশের জন্য কাজ করার জন্য ফিরে আসেন, কিন্তু তারপর ফিরে যান। ডা. জামিলুর রেজা চৌধুরীর কন্যা অসাধারণ মেধাবী, এম আই টি থেকে ডক্টরেট করে দেশে ফিরেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে যায়। তাই মনে হয়, ডা. জামিলুর রেজা চৌধুরী যে নানারকম অসুবিধা সহ্য করে দেশে থেকে গেছিলেন এটা দেশের প্রতি তাঁর বড় অবদান, এটার মূল্যায়ন হওয়া উচিত।
আপনি উনার সম্পর্কে একটি তথ্য দিয়েছেন এজন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। তথ্যটি মূল পোস্টে সংযুক্ত করে দিয়েছি।
মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।
৩৬| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য ।
কথাগুলি মুল পোষ্টে সংযোজন করায়
খুশী হয়েছি ।
আমার পোষ্টে করা আপনার মন্তব্যের
প্রতিমন্তব্যটি দেখে আসতে পারেন ।
শুভেচ্ছা রইল
২২ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:০৯
করুণাধারা বলেছেন: আবার ফিরে আসায় অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার মন্তব্যর জবাবে দেয়া আপনার চমৎকার প্রতিমন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। নোটিফিকেশন আসেনি বলে আগে দেখিনি।
সুস্থ্য থাকুন সর্বদা, শুভকামনা রইল।
৩৭| ২২ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার ইচ্ছা আছে একটা বয়স্ক আবাসন বানাবার, যদি আল্লাহ সুস্থ্য আর কর্মক্ষম রাখেন। এটা প্রচলিত ধারার বৃদ্ধাবাস হবে না। দেখি কী হয়... এটা তো আমার বহুদিনের লালিত স্বপ্ন!
আমার ইচ্ছা, জীবনের শেষ ক'টা দিন দেশে এ'ধরনের কোন একটা আবাসনে কাটিয়ে দেয়ার, অন্যান্য সহবৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের সাথে। তবে, আমার এই ইচ্ছার সাথে অনেকেই সহমত পোষণ করে না, তাছাড়া আরো অন্যান্য বহুবিধ সমস্যাও আছে। সেজন্যে স্বপ্ন এখন পর্যন্ত স্বপ্নই আছে। আপনি শুরু করেন। আমি এই ব্যাপারে আপনার সাথে থাকতে চাই.....যদি অনুমতি দেন।
২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০৯
করুণাধারা বলেছেন: আমি কিন্তু এই কথা সিরিয়াসলি লিখেছি!
আত্মীয়স্বজন বা পরিচিতদের অনেককেই ইদানিং দেখছি বার্ধক্যে খুব কষ্টকর জীবন যাপন করতে, তাদের সন্তানরাও বাবা-মায়ের জন্য উৎকণ্ঠিত থাকে। যেমন ধরেন আমার এক আত্মীয়ের কথা। স্বামী সিএসপি ছিলেন সচিব, স্ত্রী ডাক্তার। অর্থ, সম্মান প্রতিপত্তি কিছুর অভাব ছিল না। দুই কৃতী ছেলে বিদেশে। আজ দুজনেই আশি বছরের বেশি বয়সী, বিশাল বাড়িতে একাকী অসুস্থ অসহায় পড়ে থাকেন কাজের লোকের দয়ায়... এমন আরও অনেক আছে। এটা একটা বড় সমস্যা, কেউ কোন উদ্যোগ নেয় না সমাধানের।
আমি ভেবেছিলাম ডিসেম্বরে বন্ধুদের সাথে আলোচনা করব, প্রতি বছর ২৫শে ডিসেম্বর আমাদের ব্যাচের সবার সমাবেশ হয়, বিদেশে থাকারাও এই তারিখে ঢাকায় থাকার প্ল্যান করেন। আমার মনে হচ্ছিল অনেকের মাথায় এটা ঢুকাতে পারলে কিছু না কিছু বের হয়ে আসবে। জানিনা এবছর কী হবে...
আবাসন হিসাবে আমার পছন্দ ঢাকা থেকে এক ঘন্টা দূরে নদীর কাছাকাছি কোন জায়গা। ধলেশ্বরীর পাশে সিঙ্গাইর বেশ ভালো লেগেছে। চারশো স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাট হলেই চলবে, সাথে থাকবে লাইব্রেরী উইথ ওয়াইফাই, হেলথ সেন্টার আর উন্নত এ্যামবুলেন্স, ফুল বাগান, সবজি বাগান, ছেলেমেয়েরা এলে তাদের সাথে থাকার জন্য এয়ার বিএনবি টাইপ বড় ফ্ল্যাট... ইত্যাদি ইত্যাদি।
একটাই কথা, কোন অসৎ মানুষের জায়গা হবে না, যত টাকা দিক না কেন।
আপনি যদি সিরিয়াস হন, তাহলে বলি, ব্রিটিশ সিনিয়র সিটিজেনরা অনেক সুবিধা পান, আমার মনে হয় শেষ বয়সে বৃটেনে থাকা ভালো। তবে কেন জানি না, আমার এমন কিছু আত্মীয় বারবার আশি উর্ধ্ব বয়সেও মাঝে মাঝে দেশে কাটাতে আসেন। এই জিনিসটা আমি বুঝিনা...
যাক ! করোনার পরেও বেঁচে থাকলে ভাবব এটা নিয়ে।
৩৮| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:২৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমিও কিন্তু সিরিয়াস।
আপনার প্ল্যান খুবই ভালো। আমারও অনেক প্ল্যান আছে। সময়ে শেয়ার করা যাবে। আমি অবশ্য বড় একটা জায়গা কেনার পক্ষে, যেখানে পুকুর, গোয়ালঘর, সব্জি, ফল বাগান ইত্যাদিও থাকবে। সবার সাথে মিলে সবকিছু ঠিকঠাক করেন। টাকা পয়সা আমি আমার সাধ্যানুযায়ী যোগান দিবো। প্রসঙ্গক্রমে জানিয়ে রাখি, আমি কিন্তু অসৎ মানুষ না। আর এখানে আয় করা প্রতিটা পাই-পয়সা হালাল।
দেশের তুলনায় এখানের সব সিটিজেনরাই অনেক সুবিধা পায়। তবে বুড়া বয়সে একমাত্র চিকিৎসাটাই জরুরী। তেমন বড় কোন প্রয়োজন হলে না হয় কিছুদিনের জন্য এখানে চলে আসবো ফ্রী চিকিৎসার জন্য। আর পেনশান বা আর কিছু সুবিধা আমি পৃথিবীর যেখানেই থাকি না কেন, পাবো।
শেষ বয়সে দেশে থাকা, দেশে মরে যাওয়াটাই আমার কাছে বড় ব্যাপার। এ'দেশে মরতে চাই না।
২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: অবশ্যই, জায়গা অনেক দরকার। মাছ মুরগী দুধ সবজি ফল সব নিজস্ব উৎপাদন। গাজীপুরে আমি একটা রিসোর্টে এর সব কিছু থাকতে দেখেছি, অতএব এমন করা যায়।
দেখি, সময়ই বলে দেবে কী হবে... কিছু আগাতে পারলে অবশ্যই আপনাকে জানাব। আপনার পরিকল্পনা শোনা যাবে।
সৎ পয়সার কথা বলেছি কারণ ঢাকায় অনেকে ২০/২২টা ফ্ল্যাট কিনে রাখে। তাঁরা দরকার না থাকলেও এমন ছোট একটা ফ্ল্যাট কিনে ফেলে রাখতে চাইবে।
৩৯| ২৩ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২১
ডার্ক ম্যান বলেছেন: এটা দেখুন
১৩ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৩
করুণাধারা বলেছেন: দেখলাম, কিন্তু ওপেন হয়না!!
৪০| ০১ লা আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৩
ইসিয়াক বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইলো আপু।
১৩ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৫
করুণাধারা বলেছেন: শুভেচ্ছা পেয়ে আনন্দে আপ্লুত হলাম ইসিয়াক। অনেক ধন্যবাদ।
দেরি করে উত্তর দেবার জন্য আন্তরিক দুঃখিত। আপনার জন্যও রইল অনেক শুভকামনা।
৪১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মুক্তা নীল বলেছেন: আপা ,
অনেকদিন ধরে আপনাকে দেখছি না ব্লগে , ভালো আছেন তো ? আশারাখি শীঘ্রই ফিরবেন আমাদের মাঝে।
১৩ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৭
করুণাধারা বলেছেন: ফিরে আসার জন্য আপনার আন্তরিক এই আহ্বান খুব ভালো লাগলো মুক্তা নীল। আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আপনার বাঁকে ফিরে এলাম।
অনেক শুভকামনা মুক্তা নীল।
৪২| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: এখানে আমি মন্তব্য আগেই করে গিয়েছিলাম (৩ নং)। আজ এসে দেখি আমার দেয়া প্লাসটা নেই। হয়তো দেবো ভেবে পরে দিতে ভুলে গিয়েছিলাম। যাহোক, আজ সেটা দিয়ে গেলাম।
১১ নং প্রতিমন্তব্যটিতে ভাল বলেছেন বিশেষ করে প্রথম বাক্যটি!!
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪
করুণাধারা বলেছেন: আবার ফিরে আসায় অনেক ধন্যবাদ। ডাবল প্লাস দেবার নিয়ম থাকা উচিত ছিল; তাহলে আপনার থেকে দুটো প্লাস পাওয়া যেত...
১১ নম্বর প্রতিমন্তব্যে ভুল করে প্লাস দিয়েছিলাম, যদি মায়নাসে মায়নাসে প্লাস এভাবে প্লাসটাকে ভাঙ্গতে পারতাম তাহলে দুটো মায়নাস করে দিতে পারতাম...
৪৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্লাস দিতে গিয়ে দেখি প্লাস নিচ্ছেনা, কারণ এ পোস্টে দেয়া প্রথম প্লাসটাই আমার ছিল!
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: প্রথম প্লাস দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৪৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৫
মা.হাসান বলেছেন: ১) ব্যানার-- ব্যানর কি মডারেটর /অ্যাডমিন নিজে থেকে লাগায়? মনে হয় না। আমার মনে হয় এটা বিজ্ঞাপন। পয়সা খরচ করে কেউ লাগাতে চাইলে তখন লাগানো হয়। গত বছর ঈদে কোনো ব্যানার ছিলো না বলে রাজীব নুর পোস্ট দিয়েছিলো। এবার হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান-মুসলমান ঐক্য পরোষদের উদ্যোগে এখনো ঈদের ব্যানার শোভা পাচ্ছে।
ব্রাকের ফজলে আবেদ সার মারা যাবার পর সামুতে মাস দুই বা আরো বেশি সময় ধরে শোকের ব্যানার ছিলো। ব্র্যাক ব্যাঙ্কেও এত সময় শোকের ব্যানার দেখি নি। সামুর বিজ্ঞাপন খরচ মনে হয় খুব বেশি না।
২) সাজিদ উল হক আবির আমার জানা মতে ইঙরেজী সাহিত্যের ছাত্র এবং শিক্ষক, প্রকৌশলী নন। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে লিখেছিলেন।
৩) সাজিদ উক হকের ব্লগে অপ্রসাঙ্গিক, অযৌক্তিক , কুৎসিত আক্রমন দেখেছি। উনি এই কারনেই ব্লগ থেকে দূরে কি না জানা নেই।
৪) সাজিদ ওনার সব লেখা ড্রাফটে নিয়েছেন/ডিলিট করেছেন। লেখা গুলো ফিরে আসবে কি না বলা মুশকিল। উনি নিজেও অনেকদিন অনুপস্থিত ছিলেন। কয়েকদিন আগে আবার ওনাকে দেখেছি। কামনা করি উনি ফিরে আসুন।
৫)আপনার জানা আছে কি না জানি না, হাইকোর্টের একটা নির্দেশের কারনে দেশের পৌরসভা গুলো বেওয়ারিশ কুকুর মারতে পারে না। হারাধন নামের একজন লিখেছিলেন মডু (নাকি অ্যাডমিন, মনে নেই) কুকুর পোষেন। হারাধনকেও আর দেখি না। না হলে ওনার কাছে বিস্তারিত জেনে নিতাম।
কুকুর ঘেউ ঘেউ করলে ভদ্র লোকেরা অন্য রাস্তা দিয়ে চলে যান। আমি অতটা ভদ্র না, লাঠি নিয়ে তাড়া দেই। কুকুর বে-ওয়ারিস না মালিক আছে কেয়ার করি না। কুকুর আমাকে খানিকটা এড়িয়ে চলে। নিজের নিরাপত্তার জন্য বেড়া দেয়া যায়, লাঠিও রাখা যায়, যার যেটা পছন্দ। কোনো অ্যাকশন না নিলে কুকুরের ঘেউ ঘেউ সহ্য করতে হবে।
৬) যাদের নিজেদের জীবনে কোনো অর্জন নেই, তারা আলোকিত মানুষদের নামে কুৎসা রটনা ছাড়া আর কি ই বা করতে পারেন?
অনেক শুভকামনা।
২৩ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: ১) আমি ঈদের ব্যানারের কথা বলিনি, সামুতে দেখেছি বিশিষ্ট কেউ মারা গেলে তার স্মরণে ছবির উপর শোকাহত লিখে দীর্ঘদিন ছবি ঝোলানো থাকে। এটা বিজ্ঞাপন নয়, সামুর পক্ষ থেকে সম্মান প্রদর্শন। ডা. জামিলুর রেজা চৌধুরী এই সম্মান পাবার যোগ্য বলে আমার মনে হয়েছে, কারণ অন্য সব কারণ বাদ দিলেও তার সততা সম্পর্কে কেউ ভিন্নমত পোষণ করেন না।
২) যে বিশ্ববিদ্যালয়ে উনি ভিসি ছিলেন, সাজিদ উল হক আবির সেখানে প্রভাষক ছিলেন।
৩-৪) আমার মামার মতো আমিও সাজিদ উল হক আবিরের গুনগ্রাহী।
৫) মেজাজ সব সময় টং হয়ে থাকে। আপনার এ মন্তব্য পড়ে হাসলাম, কিছুক্ষণের জন্য মাথা ঠান্ডা!!
৬) যাদের নিজেদের জীবনে কোনো অর্জন নেই, তারা আলোকিত মানুষদের নামে কুৎসা রটনা ছাড়া আর কি ই বা করতে পারেন? ঠিক। তবে মৃত ব্যক্তি সম্পর্কে মিথ্যা রচনা আমার কাছে খুব কুরুচিকর মনে হয়।
অনেক ধন্যবাদ দীর্ঘদিন পর আসায়, এবং দীর্ঘ মন্তব্য ও প্লাসের জন্য। শুভকামনা আপনার জন্যও।
৪৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৩
ওমেরা বলেছেন: একজন গুনিমানুষ সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম একটা গুনি আপুর লিখায়। অনেক ধন্যবাদ আপু।
২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১২
করুণাধারা বলেছেন: তোমাকেও অনেক ধন্যবাদ ওমেরা, পোস্ট পড়ে মন্তব্য আর প্লাস দিয়ে অনুপ্রাণিত করায়। শুভকামনা রইল।
৪৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪০
আখেনাটেন বলেছেন: বাংলাদেশের বৃহৎ বৃহৎ অবকাঠামোগুলো নির্মাণের প্রত্যেকটির সাথে শ্রদ্ধেয় স্যারের নাম জড়িয়ে রয়েছে। নির্দলীয় এই গুণী মানুষটিকে নিয়ে সত্যিই কম আলোচনা হয়েছে।
অনেক ভালো লাগল যে কেউ একজন উনাকে নিয়ে বিশদ লিখেছেন ব্লগে।
২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৬
করুণাধারা বলেছেন: দেশের সৎ এবং মেধাবী মানুষদের সম্পর্কে জানা দরকার, আজকাল পত্রিকা খুললেই তো কেবল অসততা দলীয়করণের কাহিনী...
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা আখেনাটেন।
৪৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৫
সোহানাজোহা বলেছেন: অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
২৮ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৭
করুণাধারা বলেছেন: আমীন।
অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা সোহানাজোহা।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
ডার্ক ম্যান বলেছেন: স্যার অনেক গুণী মানুষ ছিলেন । তাঁর প্রভাব এদেশে অনেকদিন রয়ে যাবে ।
সবাইকে দিয়ে সব কাজ হয় না। আপনি যেমন উনাকে নিয়ে লিখেছেন কিন্তু সবাইকে নিয়ে লিখতে পারেন না । মুনির হাসান মনে হয় প্রথম আলোতে চাকরি করেন । জীবনের প্রয়োজনে অনেকে সামুকে ছেড়ে গেছে এবং ভবিষ্যতেও যাবে । এটা দোষের কিছু না ।
ব্লগে শোক প্রকাশের বিষয়টি আপনি মনে করিয়ে দিতে পারতেন । বুয়েটের কিছু শিক্ষার্থী ব্লগে লেখালেখি করেন , তারাও বিষয়টি নজরে আনতে পারতো ।