নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভাঙ্গবে কেন!!

০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০



বেশিরভাগ মানুষই বাতাস থেকে অক্সিজেন খুব সহজেই ফুসফুসে টেনে নিতে পারেন, কিন্তু সিওপিডি/ ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস/ এ্যাজমা রোগীদের জন্য এটা খুব কঠিন একটা কাজ; শুধু কঠিন না, মাঝে মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস নেবার এই সাধারণ কাজটাও এধরণের একজন রোগীর কাছে একেবারে অসাধ্য সাধন করার মতো হয়ে দাঁড়ায়! এজন্য কিছু ঔষধ আছে, জীবন রক্ষাকারী স্টেরয়েড আছে, কিন্তু এগুলো ব্যবহারের বিরূপ প্রভাবও আছে।

ইনহেলার আবিষ্কারের পর শ্বাসকষ্টের রোগীদের কষ্ট অনেকটা কমে এল। এটার মাধ্যমে ঔষধ সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছে সংকুচিত শ্বাসতন্ত্রকে প্রসারিত করে, ফলে ইনহেলার ব্যবহারের কয়েক মিনিটের মধ্যে শ্বাসকষ্টের উপসম হয়। উপসমকারী ইনহেলারের পর এল স্টেরয়েড ইনহেলার, যেটা শ্বাসকষ্ট হওয়া ঠেকিয়ে দিতে পারে। প্রতিদিন দুবার, বারো ঘন্টা পরপর এই ইনহেলার ব্যবহার করে অনেক সিওপিডি/ ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস/ এ্যাজমা রোগী শ্বাসকষ্ট বিহীন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে লাগলেন, এবং রোজাও রাখতে সক্ষম হলেন কারণ ইসলামিক স্কলারদের মতে যে সমস্ত কারণে রোজা ভঙ্গ হয় ইনহেলার বা অক্সিজেন ব্যবহার সেসব কারণের অন্তর্ভুক্ত নয়।

এটাই জানতাম এতদিন পর্যন্ত। কিন্তু গত রমজানে
নতুন নকিবের পোস্ট থেকে রোজা ভাঙার মাসায়েল সম্পর্কে জানলাম, ইনহেলার ও অক্সিজেন ব্যবহারে রোজা ভেঙে যায়!! এই তথ্য আমার কাছে একেবারে নতুন ও অজানা;  তাই আরো জানার জন্য অন্তর্জালে খুঁজলাম। অক্সিজেন ব্যবহারে রোজা ভেঙে যায়- এমন তথ্য কোথাও পাই নি, কিন্তু দেখলাম ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভাঙ্গবে কি ভাঙ্গবে না এ নিয়ে মতভেদ আছে, না ভাঙ্গার পক্ষে অধিকাংশ মত। দুই ধরনের মতের দুজনের বক্তব্যের লিঙ্ক নিচে দিলাম। রোজা ভাঙ্গবে না বলছেন:

১) view this link

২) view this link

তারা বলছেন, রোজা পালন করতে পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়, ইনহেলারে ব্যবহৃত স্বল্প ঔষধ ও পানি পান কিংবা আহারের বিকল্প হতে পারে না, আবার অক্সিজেন ব্যবহারে ক্ষুধা তৃষ্ণা দূর হয়না তাই এটাও রোজা ভাঙ্গার কারণ হতে পারে না।
 
ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভেঙে যাবে বলছেন:

৩) view this link

৪) view this link

তারা বলেছেন, ইনহেলারে আছে ঔষধের সাথে পানির ড্রপলেটস, যা মুখের মাধ্যমে গলা আর তারপর পাকস্থলীতে পৌঁছে, সুতরাং রোজা ভেঙে যাবে। শেষের লিঙ্কটির বক্তব্যের শেষে বলা হয়েছে:  "আমাদের মতামত জ্ঞানীদের বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে, যা পরিষ্কারভাবে বলে, যে কোনও উপাদান গলায় পৌঁছায় তা পেটে পৌঁছানোর অনুরূপ;  এবং প্রতিটি উপাদান যা পাকস্থলীতে পৌঁছেছে ইচ্ছাকৃতভাবে, তা রোজা ভঙ্গ করে।" 

নতুন নকিব অনেক গুলো মাসায়েল উল্লেখ করেছেন, তার থেকে কয়েকটি উদ্ধৃত করছি।

 এক) ইনজেকশন নিলে রোজা ভঙ্গ হবে না। (জাওয়াহিরুল ফতোয়া)
 
দুই) ইনহেলার দিয়ে মূলত শ্বাসকষ্ট দূর করার লক্ষ্যে তরল জাতীয় একটি ঔষধ স্প্রে করে মুখের ভিতর দিয়ে গলায় প্রবেশ করানো হয়ে থাকে। এভাবে মুখের ভিতর ইনহেলার স্প্রে করার দ্বারা রোজা ভেঙে যাবে। (ইমদাদুল ফতোয়া)

ছয়) রোজা অবস্থায় ঔষধ ব্যবহৃত অক্সিজেন ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। তবে শুধু বাতাসের অক্সিজেন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)

ষোল) ঢুস মলদ্বারের মাধ্যমে দেহের ভেতর প্রবেশ করে, তাই ঢুস নিলে রোজা ভেঙে যাবে। ঢুস যে জায়গা বা রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে এ জায়গা বা রাস্তা রোজা ভঙ্গ হবার গ্রহণযোগ্য স্থান। (ফতোয়ায়ে শামী)

সতের) ইনসুলিন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না। কারণ ইনসুলিন রোজা ভঙ্গ হবার গ্রহণযোগ্য রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে না এবং গ্রহণযোগ্য খালি জায়গায় প্রবেশ করে না। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)

চৌদ্দ) স্যালাইন নেয়া হয় রগে, আর রগ যেহেতু রোজা ভঙ্গ হবার গ্রহণযোগ্য রাস্তা নয়, তাই স্যালাইন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না, তবে রোজার কষ্ট লাঘবের জন্য স্যালাইন নেয়া মাকরূহ। (ফতোয়া দারুল উলুম)

অর্থাৎ রগের মাধ্যমে গ্লুকোজ নিলেও রোজা ভাঙ্গবে না।

 রোজা ভঙ্গের যে সব মাসায়েল নতুন নকিব উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে থেকে আমি যে ছয়টি উদ্ধৃত করেছি, তা পড়ে জানলাম যে (১) এমন কিছু, যা পানাহারের বিকল্প হতে পারে তা গ্রহণ করলেও রোজা ভাঙ্গবে না, যদি না তা মুখ দিয়ে দেহে ঢোকে। (২) অথচ অতি স্বল্প পরিমাণ পানির ড্রপলেটে রোজা ভেঙে যাবে, যদি তা মুখ দিয়ে যায়। (৩) রাস্তাই মূল কথা; রাস্তা যদি লিডিং টু পাকস্থলী হয়, তবে সে রাস্তায় সামান্যতম ঔষধ, এমনকি অক্সিজেন গেলেও রোজা ভেঙে যাবে। 

 তাহলে দেখা যাচ্ছে,  সুস্থ্ রোজাদার নাক দিয়ে অক্সিজেন নিলে অসুবিধা নেই, কিন্তু অসুস্থ রোজাদার শ্বাসকষ্ট লাঘব করার জন্য  মুখ দিয়ে অক্সিজেন নিলেই রোজা ভেঙে যাবে!

অথচ গ্লুকোজ ইনজেকশন নিয়ে আহারের অভাব পূরণ করা যাবে, স্যালাইন নিয়ে পিপাসা নিবারণ করা যাবে- রোজা ভাঙ্গবে না, কারণ  রাস্তা...

ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভাঙ্গবে কি ভাঙ্গবে না সেটা আলোচনা করার উদ্দেশ্যে এই পোস্ট দেয়া। আগেই চারটি লিঙ্ক দিয়েছি দুই ধরনের মতের, এবং নতুন নকিবের পোস্টের যেখানে মাসায়েল উল্লেখের মাধ্যমে তিনি তার মত প্রকাশ করেছেন। ২ নম্বর মাসায়েলে তিনি উল্লেখ বলেছেন, ইনহেলারে তরল পদার্থ মুখের ভিতর স্প্রে করা হয় বলে তাতে রোজা ভেঙে যায়। আমি নতুন নকিবের সাথে এই বিষয়ে একমত না; কেন তা নিচে ব্যাখ্যা করছি। অনুরোধ থাকলো নতুন নকিব এবং সব ব্লগারদের প্রতি, আমার ব্যাখ্যা পড়ে দেখতে এবং কোথাও ভুল হলে তা ধরিয়ে দিতে।

১) ইনহেলারে তরল ঔষধ প্রচন্ড চাপে গ্যাসের আকারে বের হয়, যাতে তা সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছাতে পারে। এটা অনেকটা এলপিজির মত, এমনিতে তরল কিন্তু চাপে হয়ে যায় গ্যাস। বলতে পারেন, এর মধ্যে তরল আছে ড্রপলেট আকারে। কিন্তু সেই ড্রপলেট কি এতটাই বেশি যে তা পানি পানের সমতুল্য হতে পারে? এক পাফে যতটুকু গ্যাস বের হয় তার আয়তন ১৫-২০ মিলিলিটার, https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/10145633/ চায়ের চামচে এক চামচ। এটা এতটাই অল্প যে গ্রহণ করলে মুখে কোন ভিজে ভাব অনুভূত হয় না। এটা সহজেই পরীক্ষা করে দেখা যায়; হাতের পাতায় একটা ইনহেলারের পাফ নিয়ে দেখুন, কোন  ভেজা দেখা যায় না।

২) আর মুখে ভিজে ভাব হলেই যদি রোজা ভেঙে যায়, তবে রোজাদাররা যখন কুলি করেন, দিনে  তারা যতবার খুশি কুলি করেন, তখন তাদের মুখের ভেতর এতটাই ভিজে যায় যা ইনহেলারের পাফের চাইতে অনেক বেশি। তাদের থুতুতেও পানির "ড্রপলেট" মিশে যায়। সেই ড্রপলেটের কিছু পাকস্থলীতে পৌঁছায়। এতে যদি তাদের রোজা না ভাঙ্গে, তবে ইনহেলারে কেন ভাঙবে?

হয়ত ইনহেলারে থাকা ঔষধকে আহারের সমতুল্য ধরা হয়। দেখা যাক ইনহেলারের এক পাফে কতটা ঔষধ থাকে। আমি যে দুটা ইনহেলারের ছবি দিয়েছি, তারমধ্যে নীলটার (ভেন্টলিন) ও সাদাটার (সীরডুপলা) এক ডোজে ঔষধের পরিমাণ যথাক্রমে ১০০ মাইক্রোগ্রাম ও ২৫০ মাইক্রোগ্রাম (এটা ছবিতে দেখা যাচ্ছে)। এক মিলিগ্রামের একহাজার ভাগের একভাগ হচ্ছে এক মাইক্রোগ্রাম, আবার এক গ্রামের একহাজার ভাগের একভাগ হচ্ছে এক মিলিগ্রাম। তাহলে ভেন্টোলিন ও সীরডুপলা ইনহেলারে ওষুধের পরিমাণ যথাক্রমে:

১০০/(১০০০)/(১০০০) গ্রাম= এক গ্রামের দশ হাজার ভাগের একভাগ।

২৫০/(১০০০)/(১০০০) গ্রাম= এক গ্রামের চারহাজার ভাগের একভাগ।

এক চা চামচ পানির ওজন ৪.৯৩ গ্রাম। view this link সহজ করার জন্য ৪.৯৩ কে ধরলাম ৫, তাহলে ভেন্টোলিনের এক ডোজের ওষুধের ওজন এবং সীরডুপলার এক ডোজের ওষুধের ওজন এক চামচ পানির ওজনের যথাক্রমে পঞ্চাশ হাজার ভাগের এক ভাগ ও বিশ হাজার ভাগের একভাগ!! 

এই পরিমাণ ঔষধ খেলে কি পানাহারের সমতুল্য হয় যে রোজা ভেঙে যাবে? যেখানে দাঁতে আটকে থাকা খাবার বুটের দানার চেয়ে কম হলে সেটা খেলেও রোজা ভাঙ্গবে না!!

৩) যারা এই ফতোয়া দিয়েছেন তারা হয়তো জানেন না যে ইনহেলারের ডিজাইন আর ব্যবহার পদ্ধতি এমন ভাবে করা হয়েছে যে এর ঔষধ পুরোটাই শ্বাসনালীতে চলে যায়, খাদ্যনালীতে নয়।  ইনহেলার নেয়ার নিয়ম হচ্ছে- প্রথমে  প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসের বাতাস পুরো বের করে দিয়ে তারপর পাফ নিতে হয়। প্রথমত প্রশ্বাসে বাতাস বের করে দেবার ফলে ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি হয় এবং ইনহেলারের এ্যাঙ্গেল এমন যে ইনহেলারের প্রেসারাইজড ধোঁয়া সেই ভ্যাকুয়াম বা শূন্যস্থান পূরণ করতে শ্বাসনালী দিয়ে ফুসফুসে চলে যায়। তাই দেখা যায়, ইনহেলার নিলে শ্বাসকষ্টের রোগী কয়েক মিনিটের মধ্যে সুস্থ বোধ করেন। যদি ধরে নেই খাদ্যনালী হয়ে পাকস্থলীতে ঔষধ গেছে, তাহলে শ্বাসকষ্ট কমল কিসে?

৪) তরল ড্রপলেট ঔষধ ধোঁয়ার আকারে পেটে গেলে যদি রোজা ভেঙে যায়। তাহলে খাবারের ড্রপলেট বাষ্পের সাথে পেটে গেলে রোজা ভাঙ্গবে নাকি অটুট থাকবে? চুলায় টগবগ করে তখন ঝোল বা পায়েস উথলায় তখন চুলার পাশে দাঁড়িয়ে যিনি রান্না করছেন তিনি কেবল সেই খাবারের গন্ধই না, বরং ঝাল বা মিষ্টি স্বাদও অনুভব করেন। রমজান মাসে রান্নাঘরে খাবারের বাষ্পের মধ্যে যিনি রান্না চালিয়ে যান, তাকে কখনোই বলা হয়নি খাবারের বাষ্প ইনহেইল করার ফলে তার রোজা ভেঙে গেছে; ফতোয়াবিদরা একে রোজা ভাঙার কারণ মনে করেন না কেন?

ইনহেলারে রোজা ভাঙ্গবে না বলা দ্বিতীয় লিঙ্কটির শেষ অংশে বলা হয়েছে:

ইমাম ইবনে হাজম বলেছেন: "আমরা কখনও নাক, কান, চোখ দিয়ে খাওয়া বা পান করার কথা শুনিনি।" এটাই সত্য।  যখন আমরা কোনও ব্যক্তিকে নাকে বা চোখে ড্রপ নিতে দেখি, তখন আমাদের কারও কি এমন মনে হয় যে সে পান করছে? এ ছাড়াও, যখন প্রাচীনকালে জ্ঞানীরা বলেছিলেন যে, কোনও জিনিস দেহে প্রবেশ করলেই রোজা ভেঙে যায়, তখন তারা মানব দেহের শারীরবৃত্তীয় বিষয়ে পুরোপুরি সচেতন ছিল না।  তারা ভেবেছিলেন, আমরা নাক, চোখ বা কানের মাধ্যমে যা কিছুই গ্রহণ করি তা শেষপর্যন্ত পেটে পৌঁছায়।  কিন্তু আজ আমাদের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান আমাদের নিশ্চিত করেছে যে, এটি ঠিক নয়।  সুতরাং, আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে এই ঔষধগুলির কোনোটিই রোজাকে ভঙ্গ করে না। একজন রোজাদার কান বা চোখের ড্রপ, নাকের বা মুখের ইনহেলার, পেশীতে বা রগে ইনজেকশন, সাপোজিটরি বা এনিমা গ্রহণ করতে পারেন কারণ এগুলো তার রোযাকে নষ্ট করে  না।

যদি আমরা বলি যে এই ধরণের ঔষধ গ্রহণের মাধ্যমে রোজা ভেঙে যায়, তাহলে আমরা কোটি কোটি মানুষকে রোজা রাখা থেকে বিরত রাখতে চাইছি এসব ঔষধ গ্রহণের মাধ্যমে যাদের রোজার কোন ক্ষতি হয় না। এটা একটা গুরুতর বিষয়!!


=================================================================================
যারা কখনো তীব্র শ্বাসকষ্টে ভোগেননি তারা এই পোস্টের কিছুই হয়তো বুঝতে পারবেন না... আমার সবসময় মনে হয়, আল্লাহ এতটাই দয়াময় যে তিনি কোন বান্দার জন্যই ইবাদতে কোন কঠোরতা আরোপ করেননি বরং প্রতিটা ইবাদত পালনের জন্য সহজ করে দিয়েছেন।

পুনশ্চ:
১৪ নম্বর মন্তব্যে নতুন নকিব যে তথ্য দিয়েছেন এবং তার মূল পোস্টের যার লিঙ্ক আমি দিয়েছি  সাত নম্বর মাসায়েলের কিছু অংশ বোল্ড করে এখানে দিলাম।

১৪ নম্বর মন্তব্য) বাজারে সাধারণতঃ যে সকল ইনহেলার পাওয়া যায় তার Base হচ্ছে এরোসল (Aerosol) অর্থাৎ এরোসলের মাধ্যমেই ওষুধ নাকের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। উদাহরণ হিসেবে সলবিউটামল ইনহেলারের কথাই ধরা যাক। সলবিউটামল ইনহেলার নেয়া হয় এবং প্রথমবার ওষুধ গ্রহণের মাত্রা যদি হয় ৪০ থেকে ১০০ মাইক্রোগ্রাম, তবে সর্ব্বোচ্চ প্লাজমা ঘনত্বে (Peak Plasma Concentration) পৌঁছাতে সময় লাগবে ৩-৫ ঘন্টা। রক্তে পৌঁছালে যেহেতু ওষুধ মগজে পৌঁছে, সুতরাং রোজা ভেঙ্গে যাবে।

সাত. রোজা অবস্থায় মস্তিষ্ক অপারেশন করে ঔষধ ব্যবহার করা হোক বা না হোক রোজা ভাঙ্গবে না। (আল মাকালাতুল ফিকহী)

B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-) B:-)



 



 
 














মন্তব্য ১০৬ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (১০৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৯

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পোস্ট করেছেন। আমি এতদিন জানতাম যে ইনহেলারে রোজা ভাঙে না। রোজার ব্যাপারটা যেহেতু শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত,তাই বৈজ্ঞানিকভাবে বিবেচনা করে সময়ের সাথে সাথে গ্রহণযোগ্য সংস্কার প্রয়োজন রোজা ভাঙা বা না ভাঙার ব্যাপারে।তবে তা রোজার পবিত্রতা ও মূলনীতি ঠিক রেখে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৪

করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল। আমি এতদিন ধরে জেনে এসেছিলাম যে ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভাঙে না, কিন্তু নতুন নকিবের পোস্ট পড়ার পর অন্তর্জালে দেখলাম অনেকেই বলছেন রোজা ভেঙে যায়। আমার মত শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য এটা একটা দুঃসংবাদ। তাই আমি ইনহেলারের ব্যবহার ব্যবচ্ছেদ করে দেখতে চেয়েছি।

সময়ের সাথে সাথে গ্রহণযোগ্য সংস্কার প্রয়োজন রোজা ভাঙা বা না ভাঙার ব্যাপারে।তবে তা রোজার পবিত্রতা ও মূলনীতি ঠিক রেখে। ঠিক বলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ।

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:



হালাল ইনহেলার বানানোর দরকার।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২১

করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো! হালাল ইনহেলার তৈরি করলেই সব সমস্যার সমাধান হবে।

আমার আগামী পোস্টে নিউইয়র্কের আকাশে ভাসমান বাড়ি সম্পর্কে লেখার ইচ্ছা আছে। আশাকরি সে সম্পর্কে আপনার মতামত পাবো।

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৩

ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: কনফিউশনে পইড়া গেলাম, অহন কী করি?? এইরকম তো ভাইবা দেহি নাই /:) /:)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩০

করুণাধারা বলেছেন: কনফিউশন পড়ার কোন দরকার নাই ;) বোঝাই যাচ্ছে আপনি কখনো কাউকে বাতাসের জন্য খাবি খেতে দেখেন নাই, আপনার কিচ্ছু করার দরকার নেই, এরকম সুস্থ থাকুন সবসময়, শুভেচ্ছা রইল।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ক্ষুদ্র খাদেম।

৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার মনে হয় ইনহেলারে রোজা ভাঙ্গার কারণ হতে পারে না।
বাতাসেওতো জলীয় বাষ্প থাকে, তাহলে নিশ্বাস নিলেই তো রোজা ভেঙ্গে যাবে।
বাধ্য না হলে কেই ইনহেলার ব্যবহার করেন না।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: বাধ্য না হলে কেউ ইনহেলার ব্যবহার করেন না।

এটাই মূল কথা পাগলা জগাই, আমাদের ধর্মে এমন কোন কঠোরতা নেই যে মানুষ কষ্ট পাবে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: হালাল ইনহেলার বানানোর দরকার।

মন্তব্য পছন্দ হয়েছে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্যও আমার পছন্দ হয়েছে রাজীব নুর।

ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।

৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমার বাবা ইনহোলার অনেকদিন ধরে ব্যবহার করে

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

করুণাধারা বলেছেন: ইনহেলার একটা আধুনিক ডিভাইস তা ব্যবহারে এক মিনিটের মধ্যে শ্বাসতন্ত্র প্রসারিত হতে পারে যাতে সহজেই বাতাস থেকে অক্সিজেন নেয়া যায়। আগে ছিল ট্যাবলেট (এখনও আছে) তা খাবার পর ভেঙে রক্তে শোষিত হয়ে সমস্যার সমাধান হতে কয়েক ঘণ্টা লাগতো...

আপনার বাবার জন্য শুভকামনা রইল।

৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:১৮

আমি সাজিদ বলেছেন: নিয়ত আসল। এরপর আসে ইনসুলিন, অক্সিজেন, ইনহেলার বাকিসব!

রোগাক্রান্ত শরীরে রোযা নয়। একটা রোযাদার মানুষ শ্বাসের জন্য খাবি খাচ্ছে, দুই পাফ ইনহেলার দিলে আরাম পাবে, এমন অবস্থায় ইনহেলার দেওয়া যাবে। ওটা শ্বাসনালীকে সরু থেকে মোটা করে রোগীকে আরাম দেয়। আমি এই সহজভাবেই বুঝি আপি।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: নিয়ত আসল। এরপর আসে ইনসুলিন, অক্সিজেন, ইনহেলার বাকিসব! ইসলামে নিয়তকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, যেমন কোন কোন খাবার হারাম তা জানিয়ে আল্লাহ বলেছেন কেউ যদি সীমালঙ্ঘন বা অবাধ্যতার উদ্দেশ্য না নিয়ে অনন্যোপায় হয়ে তা খায় তাতে পাপ হবে না। এই দৃষ্টিতে দেখলে ক্রনিক রোগে ভোগা একজন মানুষকে আল্লাহ কি রোজা রাখার সুযোগ দেবেন না?

সুন্দর মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ আমি সাজিদ, শুভকামনা রইল।

৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:২৬

আমি সাজিদ বলেছেন: ইন্ট্রাভেনাস রুটে শারীরিক দুর্বলতা কাটানোর জন্য গ্লুকোজ বা বিভিন্ন অনুপাতের নরম্যাল স্যালাইন নিলে রোযা ভাঙ্গবে না অথচ দুই তিন চাপ যেকোন ইনহেলার নিলো আর রোযা ভেঙ্গে গেল? এত সোজা বিষয়টা? হায় আল্লাহ!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৫

করুণাধারা বলেছেন: যারা এই ফতোয়া দিচ্ছেন তারা বিচার করছেন কোন পথে যাচ্ছে। অক্সিজেন যেহেতু মুখ দিয়ে যায়, তাই তাদের মতে অক্সিজেন ব্যবহারে রোজা ভেঙে যাবে। অথচ আল্লাহ বলছেন পানাহার করলেই রোজা ভাঙ্গবে। অক্সিজেন কি পানাহারের সমতুল্য?

আবার ইন্ট্রাভেনাস স্যালাইনে রোজা ভাঙ্গবে না, কারণ তা রগ দিয়ে যাচ্ছে!!

আল্লাহ আমাদের প্রকৃত জ্ঞান দিন- এটাই প্রার্থনা।

৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই জাতীয় সমস্যা নিয়ে কোন সহীহ হাদিস খুজে বের করা দরকার।

কোরান ও হাদিসে অবশ্যই সমাধান আছে।
খুজে বের করুন।


খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট।
অসাধারণ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২২

করুণাধারা বলেছেন: কোরান ও হাদিসে অবশ্যই সমাধান আছে।
খুজে বের করুন।


অবশ্যই সমাধান আছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পথ দেখান।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। শুভকামনা রইল।

১০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইটা নিয়া টেনশানের কিছু নাই আপা। ইসলাম ধর্ম এসেছে মানুষের জীবনকে সহজ করার জন্য, জটিল আর কঠিন না। আমার আম্মা, দুই বোন সবারই এ্যজমা আছে। আমারও দেশে থাকতে একসময়ে ছিল। এখানে আসার পরে এমনি এমনিই সেরে গিয়েছে। শ্বাসকষ্ট কি জিনিস আমি খুব ভালো করেই জানি।

ইনহেলার কেউ শখে নেয় না। অক্সিজেনের অভাবে একজন রোজাদার খাবি খাবে, কিন্তু ইনহেলার নিতে পারবে না.......এতোটা কঠোর আল্লাহ হতেই পারেন না। এমনকি অষুধ হিসাবে এ্যলকোহলও সেবন করা যায় যদি জীবন রক্ষার প্রশ্ন সামনে চলে আসে। আপনার কোন পটকা হুজুরের বাণী (নকীব ভাইয়ের কথা কই নাই, যাহারা রোযা ভঙ্গের ফতোয়া দিয়াছেন তাহাদের কথা বলছি :) ) দেখার দরকার নাই। ওসব আলোচনা আলোচনাতেই থাক। মহান আল্লাহ আমাদেরকে জ্ঞান দিয়েছেন সেটাকে কাজে লাগানোর জন্য, গোড়ামী করার জন্য না। গোড়ামীর জন্যই আজ মুসলমানদের এই দশা। আপনি দরকার মতো নিশ্চিতভাবে ইনহেলার নিতে পারেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ দয়াবান এবং ক্ষমাশীল।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪০

করুণাধারা বলেছেন: ইসলাম ধর্ম এসেছে মানুষের জীবনকে সহজ করার জন্য, জটিল আর কঠিন না। আমিও এই ধারণাই রাখি। প্রতি পদে ফ্লেক্সিবিলিটি আছে, অনন্যোপায় হলে হারাম বলে উল্লিখিত খাবার খাওয়া যাবে, পানি ব্যবহারে রোগের ভয় থাকলে অজু গোসলের সহজ বিকল্প আছে, সফরে গেলে নামাজ সংক্ষেপে পড়া যায়, ভুল করে খেলে রোজা ভাঙে না- এমন অসংখ্য সহজ বিধান আল্লাহ দিয়েছেন। কোন বান্দা ইবাদত পালনের জন্য কষ্টে ছটফট করবে এটা কখনোই আল্লাহর কাম্য হতে পারে না। এক্ষেত্রে ফতোয়া হচ্ছে রোজা ভেঙে ফেলার। তারা এই ক্রনিক রোগে ভুগছেন, তারা তো আজীবন রোজা রাখতে পারবেন না। অথচ ইনহেলার ব্যবহার করলে তিনি রোজা রাখার সন্তুষ্টি পেতে পারেন।

আমিও দেখেছি বিদেশে গেলে আমি একদম ভালো থাকি! এমনকি নেপালেও, এটাতো আমাদের দেশের মতোই।

সাপোর্টিভ মন্তব্য আর প্লাস দিয়ে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, অনেক ধন্যবাদ ভুয়া মফিজ।

১১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৩

রামিসা রোজা বলেছেন:
আপা ,ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভঙ্গ হয় না ,তা আমিও জানতাম কারন আমার আপন খালার এই সমস্যা ছিলো ।
তবে কিছুটা কনফিউজড তো ছিলো ।
এই নিয়ে পারিবারিকভাবে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছে ।
হাদীস অনেকে করছে বিকৃত ও কোরআনের সঠিক মর্মার্থ
এর পরিবর্তে অপব্যাখ্যার শেষ নেই ।

আপনার লেখায় অনেক কিছুই পরিষ্কারভাবে উপস্থাপনা করেছেন।
লেখায় ভালোলাগা সহ ধন্যবাদ জানবেন ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

করুণাধারা বলেছেন: তবে কিছুটা কনফিউজড তো ছিলো ।

সেটাই আসল কথা রামিসা রোজা। আমি ইনহেলার নিয়ে রোজা রাখি, হিসাব অনুযায়ী এতে রোজা ভাঙ্গার কথা না, তারপরও মনে সবসময় একটা ভয় থাকে। এই অবস্থায় যখন দেখলাম ইনহেলার ব্যবহারের বিপক্ষে অনেক ফতোয়া, তখন আমি আরেকবার বিষয়টা নিয়ে ভাবলাম এবং সবার সাথে ভাবনা শেয়ার করতে চাইলাম। যে রোগগুলোর উল্লেখ করেছি সেগুলো ক্রনিক রোগ, এমন না যে কয়েকদিন ইনহেলার ব্যবহার করে ফিদইয়া দিয়ে বা পরে কাজা পূরণ করতে পারেন। এরা কখনোই রোজা রাখতে সমর্থ হবেন না যদি ইনহেলার ব্যবহার করতে না পারেন।

আমার ইনহেলারগুলো অনেক বছর থেকে আমার খালা লন্ডন থেকে পাঠান। তিনি একজন ডাক্তার এবং ধর্ম ভীরু মানুষ। তিনি বলেছেন এতে রোজা ভাঙ্গার কথা না। নিশ্চিত হবার জন্য তিনি তার ছেলেকে, যে নিয়মিত মসজিদে ইসলামিক স্কলারদের সাথে আলোচনা করেন তাদের জিজ্ঞেস করতে বলায় তাঁরাও এটা নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ রামিসা রোজা।

১২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৮

নতুন নকিব বলেছেন:



বিস্তারিত লিখে পোস্ট দেয়ায় অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখি, আপনার এখানে আবার আসার চেষ্টা করবো।

অনেক অনেক ভালো থাকার দুআ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩

করুণাধারা বলেছেন: আপনাকে পেয়ে ভালো লাগছে নতুন নকিব। ইতিমধ্যেই আপনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন, আমি কাজ সারতে গিয়ে উত্তর দিতে দেরি করে ফেললাম।

আপনার জন্যও দুয়া রইল।

১৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩১

নীল আকাশ বলেছেন: আমি প্রথমেই এই পোস্ট নির্বাচিত করার দাবী জানাচ্ছি। যথেষ্ঠ কষ্ট করেছেন এই পোস্ট লেখার জন্য।
ইমাম ইবন হাজাম এর লাইনগুলি অনেক কিছুই পরিষ্কার করে দেয়। তবে আপনাকে আমি অনুরোধ করছি এই সব ফতোয়া দেবার সময় ফতোয়াগুলির নীচে ফতোয়ার লিংক / সূত্রগুলি দিয়ে দেবার জন্য। এতে কোন প্রশ্ন উঠবে না অথেনটিছিটি নিয়ে।

আমি ইনহেলার গ্রহণ করিনা। সুতরাং এটা নিয়ে কোন অভিজ্ঞতাই নেই আমার। তবে আমি ম্ফিজ ভাইয়ের মতো মনে করি ইসলাম
এত কঠোর হবার কথা নয়। ইনহেলার কেউ শখে নেয় না। অক্সিজেনের অভাবে একজন রোজাদার খাবি খাবে, কিন্তু ইনহেলার নিতে পারবে না.......এতোটা কঠোর আল্লাহ হতেই পারেন না। একজন অসুস্থ মানুষ কষ্ট করে যে রোজা রাখছে সেটাই তো অনেক। আল্লাহ সবই দেখছেন দুই কাধের দুই ফেরেস্তা কেন একজন মানুষ রোজা অবস্থায় সেটা নিচ্ছে তার কারণ এবং উদ্দেশ্য তো দেখেই লিখে রাখছে।
খুব সুন্দর একটা পোস্ট। শুভ কামনা আপনার জন্য।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪১

করুণাধারা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ জানবেন নীল আকাশ। আপনার দাবি পূরণ হবে না যদিও, কিন্তু আপনার মন্তব্য আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে।

আপনি ইমাম ইবনে হাজামের বক্তব্যের লিঙ্ক দিতে বলেছেন, আমি পোস্টে যে চারটি লিঙ্ক দিয়েছি এটা তার দুই নম্বরে আছে। আপনার সুবিধার্থে আরেকবার দিলাম:
view this link

এইখান থেকে ইমাম ইবনে হাজামের বক্তব্যের কিছু অংশ বাংলায় অনুবাদ করে দিয়েছি। আপনার জন্য মূল ইংরেজি অংশটুকু তুলে দিলাম। আশাকরি কিছুটা সময় ব্যয় করে পড়ে দেখবেন আমি বাড়তি কিছু লিখেছি কিনা। (( )) অংশ টুকু বাদ দিয়েছি পোস্ট বড় হয়ে যাচ্ছে দেখে।
 Imam Ibn Hazm says: “We have never heard of anyone eating or drinking through nose, ear, eye or genital.” This is absolutely true. When we see a person taking nasal or eye drops, does it occur to any of us that he is drinking? Besides, when scholars of old said that taking anything through any passageway into the body invalidates the fast, they were not fully aware of the anatomy of the human body. They thought that whatever we take through the nose, eyes or ears ends up in the stomach. But our scientific knowledge today makes us certain that this is not true. Hence, we could say without fear of contradiction that none of these medications invalidates fasting. One may take nasal, ear or eye drops, nasal or mouth inhalers, intra-muscular or intravenous injections, suppository or enema for medical reasons without invalidating his or her fast.

((This gives us the added advantage of enabling many people to fast while controlling or treating their conditions. The reader will have no difficulty in observing the fast, if he takes his inhaled medication when it is needed. The inhaler does not give him any food or drink to quench his thirst or alleviate hunger. He may take it and maintain his fast, hoping to receive God’s reward for that.))

If we were to say that any such medicine invalidates fasting, we actually prevent millions of people from fasting, who will have no trouble observing this duty if they take the right medication. That is something very serious.

শারীরিক সুস্থতা আল্লাহর বিশেষ নিয়ামত। যারা এই নিয়ামত পেয়েছেন, তারা হয়তো অসুস্থ মানুষের শরীর এবং মনের কষ্ট কিছুই বোঝেন না। আমি তিন বছর বয়স থেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছি, কেবলমাত্র শারীরিক এই সমস্যার জন্য আমি অনেক কষ্টে পড়ালেখা করেছি, এখনও নানা শারীরিক বিধি নিষেধ মেনে চলতে হয়। এটা কোনো নিরাময়যোগ্য রোগ নয়, আমাকে আজীবন এই রোগ নিয়ে থাকতে হবে কিন্তু ইনহেলার ব্যবহার করে এখন অনেকটা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছি। রমজান মাসে রোজা পালনের তৃপ্তি থেকে আমাকে আল্লাহ আজীবনের জন্য বঞ্চিত করবেন, এই ভাবনা আমার ঠিক মনে হয় না। আল্লাহর কথা মনে হলেই আমার প্রথম যে কথা মনে হয়, হুয়ার রাহমানুর রাহিম। সেজন্যই দুই মতের মধ্যে আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয় ইনহেলারে রোজা না ভাঙ্গার বিধান। আমি যখন মধ্যপ্রাচ্যে ছিলাম তখন একজন দ্বীনদার ইজিপশিয়ান ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে আমি এই বিধানের সমর্থন পেয়েছি।

আল্লাহই ভালো জানেন এবং তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ পথনির্দেশক।

১৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



অসুস্থ ও রুগ্ন ব্যক্তির প্রতি ইসলাম ধর্মে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। লক্ষ্য করলেই দেখা যায়, তাদের জন্য ধর্মের অধিকাংশ বিধি বিধান পালনে শিথিলতা প্রদান করা হয়েছে। আমরা নিজেরা কোনো কিছু বানিয়ে কিংবা ইচ্ছে করে নিজের মত করে চালিয়ে দিতে পারবো না। অর্থাৎ, ব্যক্তিগত মতামত, অভিমত কিংবা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত হয় না। যোগ্য, প্রাজ্ঞ এবং কুরআন হাদিসে পারদর্শী উপযুক্ত মুহাক্কিক আলেমগণই এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত বা ফায়সালা প্রদানের একমাত্র হকদার।

বাজারে সাধারণতঃ যে সকল ইনহেলার পাওয়া যায় তার Base হচ্ছে এরোসল (Aerosol) অর্থাৎ এরোসলের মাধ্যমেই ওষুধ নাকের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। উদাহরণ হিসেবে সলবিউটামল ইনহেলারের কথাই ধরা যাক। সলবিউটামল ইনহেলার নেয়া হয় এবং প্রথমবার ওষুধ গ্রহণের মাত্রা যদি হয় ৪০ থেকে ১০০ মাইক্রোগ্রাম, তবে সর্ব্বোচ্চ প্লাজমা ঘনত্বে (Peak Plasma Concentration) পৌঁছাতে সময় লাগবে ৩-৫ ঘন্টা। রক্তে পৌঁছালে যেহেতু ওষুধ মগজে পৌঁছে, সুতরাং রোজা ভেঙ্গে যাবে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, শ্বাস গ্রহণের রাস্তা দিয়ে কোন ঔষধ উদাহরণ স্বরূপ ভেনটোলিন ইনহেলার ব্যবহার করলে তার ১০% উপকরণ সরাসরি ফুসফুসে পৌছায়, বাকী ৯০% উপকরণ পরিপাকযন্ত্র শোষন করে, আর এ অবস্থায় ঔষধ সরাসরি রোগীর পেটে গিয়ে পৌঁছায়।

যেহেতু ইনহেলার গ্রহণের রাস্তাটি সেটাই যেটা দ্বারা খাদ্য পেটে যায়, বা খাদ্য পৌঁছানোর নালির নিকটবর্তী শিরা দিয়ে তা গ্রহণ করা হয়, তাই এর দ্বারা রোযা ভেঙ্গে যাবে। সতর্কতা শুধুমাত্র এই জায়গাটাতেই। তবে এরকম সতর্কতা হিসেবে শরয়ী অনেক বিধানই সাব্যস্ত হয়। উদাহরণ দিলে অনেকই পাওয়া যাবে। বুঝার সুবিধার্থে দু'একটি তুলে ধরছি-

এক. ঘুমকে অযু ভঙ্গের কারণ সাব্যস্ত করাঃ

ঘুমকে অযু ভঙ্গের কারণ সাব্যস্ত করার কারণ কি? এর উত্তর হচ্ছে, এটা এ হিসেবে যে, ঘুমিয়ে গেলে নিতম্ব জমিন থেকে উঠে যেতে পারে, ফলে বায়ু বের হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। যদিও ঘুম অযু ভঙ্গের কারণ নয়, বরং বায়ু বের হওয়া হল অযু ভঙ্গের কারণ। কিন্তু যেহেতু ঘুমিয়ে গেলে এসব ব্যাপারে ঘুমন্ত ব্যক্তির কোন অনুভব অনুভূতি সজীব থাকে না, তাই ঘুমটাকেই সতর্কতাস্বরূপ অযু ভঙ্গের কারণ সাব্যস্ত করা হয়েছে। সূত্রঃ বাদায়েউস সানায়ে-২/৫৩৫

দুই. সহবাস করা সত্বেও বীর্যপাত না হলেও গোসল ফরজ হওয়াঃ

সহবাস করা সত্বেও বীর্যপাত না হলেও গোসল করাকে ফরজ বা আবশ্যক সাব্যস্ত করা হয়েছে। অথচ গোসল আবশ্যক হওয়ার মূল কারণ হল বীর্যপাত হওয়া। এ ক্ষেত্রে বীর্যপাত না হওয়া সত্বেও গোসল করা আবশ্যক এজন্য সাব্যস্ত করা হয়েছে যে, যেহেতু বীর্যপাত সহবাসের কারণেই হয়ে থাকে। তাই কারণের উপরেই সতর্কতাস্বরূপ মূল বিষয়ের হুকুম সাব্যস্ত করা হয়েছে। সূত্রঃ হেদায়া-১/১৯, বাদায়েউস সানায়ে-১/১৪৬

তিন. ঐ ব্যক্তির উপর রোযা রাখা আবশ্যক করা হয়েছে সতর্কতাস্বরূপ যে নিজে চাঁদ দেখেছে কিন্তু বিচারক তথা চাঁদ কমিটি তার চাঁদ দেখাকে গ্রহণ করেনিঃ

এমনিভাবে ঐ ব্যক্তির উপর রোযা রাখা আবশ্যক করা হয়েছে সতর্কতাস্বরূপ যে নিজে চাঁদ দেখেছে কিন্তু বিচারক তথা চাঁদ কমিটি তার চাঁদ দেখাকে গ্রহণ করেনি। সূত্রঃ হেদায়া-১/১৯, বাদায়েউস সানায়ে-১/১৪৬, ফাতওয়ায়ে শামী-১/২৯৯

যেহেতু ইনহেলার সে রাস্তা দিয়েই ব্যবহার করা হয়, যা দিয়ে খাদ্য গ্রহণ করা হয়, তাই সতর্কতামূলত রোযা ভেঙ্গে যায় বলেই হুকুম আরোপিত করা হবে।

রোযা অবস্থায় প্রয়োজন ছাড়া ইনহেলার ব্যবহার করা জায়েজ নয়। যদি অত্যাধিক অসুস্থতার কারণে কেউ একান্ত বাধ্য হয়ে ইনহেলার ব্যবহার করেন তাহলে তার জন্য রোযা না রাখার অনুমতি আছে। তবে পরে সেই রোযার কাযা আদায় করতে হবে। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে-

فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ۖ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ ۗ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمُ الْعُسْرَ وَلِتُكْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَىٰ مَا هَدَاكُمْ وَلَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ [٢:١٨٥]

কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে,সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর এবং তোমাদের হেদায়েত দান করার দরুন আল্লাহ তা’আলার মহত্ত্ব বর্ণনা কর,যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর। -সূরা বাকারা-১৮৫

একইরকমভাবে রোজা অবস্থায় ওষুধ-মিশ্রিত অক্সিজেন ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। তবে শুধু বাতাসের অক্সিজেন নিলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না বা রোজা ভাঙবে না।

সর্বোপরি অসুস্থ ব্যক্তির জন্য রোযা না রাখার সুযোগ রয়েছে। রোযা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার করলে রোযা ভেঙ্গে যায়। তাই সাহরীর শেষ সময় এবং ইফতারের প্রথম সময় ইনহেলার ব্যবহার করলে যদি তেমন অসুবিধা না হয় তবে রোযা অবস্থায় ইনহেলার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা জরুরি। কিন্তু অসুস্থতা বেশি হওয়ার কারণে যদি দিনেও ব্যবহার করা জরুরি হয় তাহলে তখন ব্যবহার করতে পারবে। সেক্ষেত্রে করণীয় হল :

১. উক্ত ওজরে দিনের বেলা ইনহেলার ব্যবহার করলেও অন্যান্য পানাহার থেকে বিরত থাকবে।

২. পরবর্তীতে রোগ ভালো হয়ে গেলে এই রোযার কাযা করে নিবে।

৩. আর ওজর যদি আজীবন থাকে তাহলে ফিদয়া আদায় করে দিতে হবে।

আশা করি, বিষয়টি ক্লিয়ার হবে। আপনার জানার এই উদগ্র আগ্রহ এবং প্রচেষ্টাকে শ্রদ্ধা করি। সকলের জন্য কল্যানের দুআ। বিশেষ করে ভূয়া মফিজ ভাইকে স্পেশাল ধন্যবাদ যে, তিনি আমাকে পটকা হুজুরদের কাতার থেকে টেনে তুলে আলাদা লাইনে দাঁড় করিয়েছেন। B-)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: এই বিস্তারিত মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ নতুন নকিব।

সলবিউটামল ইনহেলার নেয়া হয় এবং প্রথমবার ওষুধ গ্রহণের মাত্রা যদি হয় ৪০ থেকে ১০০ মাইক্রোগ্রাম, তবে সর্ব্বোচ্চ প্লাজমা ঘনত্বে (Peak Plasma Concentration) পৌঁছাতে সময় লাগবে ৩-৫ ঘন্টা। রক্তে পৌঁছালে যেহেতু ওষুধ মগজে পৌঁছে, সুতরাং রোজা ভেঙ্গে যাবে। মগজে ঔষধ পৌছালে রোজা ভেঙে যায় এটা আমি জানতাম না।

ইনহেলারের এক পাফে কতটুকু ঔষধ ফুসফুসে যায় এবং কতটুকু পেটে যায় তা নিয়ে যে গবেষণা হয়েছে তাও আমার জানা ছিল না। চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, শ্বাস গ্রহণের রাস্তা দিয়ে কোন ঔষধ উদাহরণ স্বরূপ ভেনটোলিন ইনহেলার ব্যবহার করলে তার ১০% উপকরণ সরাসরি ফুসফুসে পৌছায়, বাকী ৯০% উপকরণ পরিপাকযন্ত্র শোষন করে, আর এ অবস্থায় ঔষধ সরাসরি রোগীর পেটে গিয়ে পৌঁছায়।
ইনহেলারের ব্যবহার করা শেখানোর সময় আমাদের শেখানো হয় কীভাবে ফুসফুস থেকে সবটুকু বাতাস বের করে তারপর ইনহেলার ব্যবহার করে শ্বাস বন্ধ করে রাখতে হয়। বলা হয় যে, এই পদ্ধতিতে ঔষধের সবটুকু সরাসরি ফুসফুসে চলে যায়। ডাক্তাররা ভুল জানেন।

কোন ওষুধ বা ইনহেলার ছাড়া একজন  শ্বাসকষ্টের রোগী ১৪/১৫ ঘন্টা থাকতে পারেন না। আর ক্রনিক রোগীদের রোগ ভালো হবার নয় যে তারা পরবর্তীতে কাযা করে নেবেন। তাদের জন্য একটাই অপশন, কষ্ট কমাতে ইনহেলার ব্যবহার করতে পারেন, রোজা না রেখে ফিদইয়া দিয়ে।

বিস্তারিত ভাবে বুঝিয়ে বলার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ, তবে আমি আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না। আমার পোস্টেই দুটো লিঙ্ক দিয়েছি আপনার মতের বিপরীত মতের, আমি সেই মতটাই গ্রহণ করেছি... এই পোস্ট আপনার সাথে কোন বিতর্ক করার জন্য নয়, কেবলমাত্র আমার ভাবনা শেয়ার করার জন্য।

মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নতুন নকিব। ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।

১৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম সবার মন্তব্য গুলোতে চোখ বুলাতে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

করুণাধারা বলেছেন: লাঞ্চের আগে বিভিন্ন ব্লগে এভাবে ঘুরাঘুরি করা ভালো অভ্যাস, তাতে সুরভী ভাবীর তৈরি সুখাদ্যগুলোর যথাযথ সদ্ব্যবহার হবে... B-)

ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা রাজীব নুর।

১৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি কিছু হুজুরকে পটকা হুজুর এই জন্য বলি যে, এনারা ঠিকমতো না বুঝেই ফতোয়া দিয়ে দেয়। একসময়ে ছবি তোলা, টেলিভিশন দেখা নিয়েও এ'ধরনের ফতোয়া দেখেছি আমি। পরে শর্তসাপেক্ষে সে'সবকেও জায়েজ করা হয়েছে। এমন আরো উদাহরন রয়েছে।

ইনহেলারের ব্যাপারটাও তেমনি। এখানে উল্লেখ্য, আমি প্রথমেই দেখি, কোরআন শরীফ কি বলে। হাদিসের ব্যাপারে যেহেতু অনেক বিতর্ক আছে, কাজেই সেক্ষেত্রে, অর্থাৎ হাদিস মানতে আমি আমার লব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগাই। অন্য কথায়, কোরআন শরীফের মতো নির্দ্বিধায় মেনে নেই না। কারন, অনেক ক্ষেত্রেই আমি এ'ধরনের বিতর্কে হুজুরদের সহনশীলতা এবং যথাযথ জ্ঞানের অভাব দেখেছি।

আপনি যে সকল যুক্তি ইনহেলারের পক্ষে দিয়েছেন, তার সবগুলিকেই আমি আমার এখন পর্যন্ত অর্জিত জ্ঞানে সঠিক মনে করছি। সূরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতটি এ'ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়ার কথা না। অন্য যেসব রেফারেন্স এসেছে, তা আমার কাছে ইনহেলারের ক্ষেত্রে যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি।

আমি নিশ্চিত, ফতোয়া দানকারী হুজুরদের কারো শ্বাসকষ্ট হলে এই ফতোয়া তৎক্ষনাৎ পরিবর্তিত হয়ে যাবে। =p~

@ নতুন নকীবঃ ইসলাম সম্পর্কে আপনার জ্ঞান অনেক, তাই আপনার কথাকে আমি গুরুত্ব দেই। তবে এখন পর্যন্ত আমার পর্যবেক্ষণে মনে হয়েছে, আপনার সহনশীলতার কিন্চিৎ অভাব আছে। সবমিলিয়ে আপনাকে এখনও পটকা হুজুর মনে হয়নি। সেইসঙ্গে এটাও ঠিক........কোনদিন যদি মনে হয়, আমি জানাতে একটুও দেরী করবো না। :)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

করুণাধারা বলেছেন: আমি প্রথমেই দেখি, কোরআন শরীফ কি বলে। হাদিসের ব্যাপারে যেহেতু অনেক বিতর্ক আছে, কাজেই সেক্ষেত্রে, অর্থাৎ হাদিস মানতে আমি আমার লব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগাই। অন্য কথায়, কোরআন শরীফের মতো নির্দ্বিধায় মেনে নেই না। কারন, অনেক ক্ষেত্রেই আমি এ'ধরনের বিতর্কে হুজুরদের সহনশীলতা এবং যথাযথ জ্ঞানের অভাব দেখেছি। পুরোপুরি আমার মনের কথা। আমার সবচাইতে অবাক লাগে দেখে, এই ধরনের হুজুরেরা ধরেই নেন "মেয়েমানুষের" কোন রকম জ্ঞান থাকতে পারে না। আমার মা এশার নামাজ পড়ে ঘুমানোর মধ্যে ফজরের নামাজের আগেই স্ট্রোক করেন এবং পরদিন ফজরের আজানের সময় ইন্তেকাল করেন। মসজিদে ঘোষণা দেবার কথা বলায় হুজুর জানান যে কয় রাকাত নামাজ বাদ গেছে তার জন্য অর্থ দিতে হবে। জ্ঞানহীন মানুষের উপর নামাজ ফরজ হয় কীভাবে, হুজুর আমার মত মেয়েমানুষের এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চান নি! সেজন্য মনে হয়, তাদের অনেকের প্রয়োজনীয় ধর্মীয় জ্ঞানের বড় অভাব।

আমি নিশ্চিত, ফতোয়া দানকারী হুজুরদের কারো শ্বাসকষ্ট হলে এই ফতোয়া তৎক্ষনাৎ পরিবর্তিত হয়ে যাবে। আমিও নিশ্চিত, এদের একজনেরও শ্বাসকষ্ট নেই বলেই এমন বিধান দিয়েছেন। একটা ক্রনিক অসুখ নিয়ে মানুষ নিয়মিত ঔষধ খেয়ে ৪০/৫০ বছর বাঁচতে পারে, এতগুলো বছর ফিদইয়া দিয়ে যেতে হলে (কাযা করার মত নিরাময় কখনো হবে না) অবশ্যই তারা অন্য মত দিতেন। আমি প্রথম লিঙ্কে ডা. মনজুর ইলাহীর ভিডিও দিয়েছি, তার যুক্তিগুলো ঠিক মনে হয়েছে।

আবার ফিরে আসায় অনেক ধন্যবাদ, কিন্তু আবারও এসে তর্ক না বাড়ানোই ভালো। #:-S তর্ক করে কেবল শক্তি ক্ষয় হয়, জিতলে দুই পয়সাও পাওয়া যায় না!! ভালো থাকেন।




১৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ব্যাপারে দুই রকমের মতামতের উল্লেখ করেছেন। তবে আপনার লেখা ও লিঙ্কগুলি পড়ার পর আপনারটাই বেশী যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে আমার কাছে। আপনি কয়েকটি সুন্দর যুক্তি নিজে থেকে দিয়েছেন ( কুলি করার ব্যাপারটা, রান্না করার সময় রাধুনির অবস্থা, প্রতি পাফে ওষুধের অতি সামান্য পরিমান থাকা ইত্যাদি)। আমার কাছে মনে হয়েছে যে ইনহেলারে কোন খাদ্য, পানি বা পুষ্টি উপাদান থাকে না। তাই সমস্যা হওয়ার কথা না। ইসলাম ধর্মে একই বিষয়ের উপর দুই রকমের ফতওয়া হতে পারে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে দুইটাই সঠিক হতে পারে। একটা সহি হাদিসে এসেছে ( এই মুহূর্তে সূত্র দিতে পারছি না। আমি আমার মতো করে সংক্ষেপে বলছি মূলভাব ঠিক রেখে) যে একবার রসূল (সাঃ) একটা দলকে কোথাও পাঠানোর আগে বললেন যে তোমরা অমুক জায়গায় গিয়ে আসরের নামাজ পড়বে। ঐ দলটি নির্দিষ্ট জায়গায় যাওয়ার আগেই আসরের ওয়াক্ত প্রায় শেষ হওয়ার মতো অবস্থা হোল। তখন দলের কেউ কেউ ঐ জায়গায় পৌঁছানোর আগেই আসরের নামাজ পড়ে ফেললেন আবার অনেকে ঐ জায়গায় পৌঁছে কাজা নামাজ পড়লেন। পরে ফিরে আসার পর রসূল (সাঃ) কে ওনারা ঘটনা বর্ণনা করলে উনি বললেন যে উভয় দলই ঠিক করেছে। ইনহেলার ঐ যুগে ছিল না। তাই এখন এর উপর বিভিন্ন রকমের মতামত আসতে পারে। দুইজন প্রখ্যাত আলেম দুইরকম বলতে পারেন। কে সঠিক কে ভুল কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারবে না। আবার উভয়েই সঠিক হতে পারেন। আমাদের উচিত যেটা আমাদের কাছে বেশী গ্রহণযোগ্য মনে হয় সেটা অনুসরণ করা। এই পার্থক্যগুলি বিশ্বাসগত না তাই দুই ব্যক্তি দুই রকম আমল করলে সমস্যা নাই। আপনার বিশ্লেষণী শক্তি, যুক্তি প্রদর্শন ও উপস্থাপন ভালো লেগেছে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

করুণাধারা বলেছেন: ধর্মীয় কোনো ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে ইখতিলাফ থাকলে আমাদের মত সাধারণ মানুষ কাকে অনুসরণ করবে? আমার মনে হয় আমাদের নিজেদের দুই পক্ষের কথা বিবেচনা করে নিজে কিছু জ্ঞান অর্জন করে তারপর একটা পথ বেছে নিতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য জ্ঞানার্জন সহজ করে দিয়েছেন, এখন ঘরে বসেই অনেক কিছু জানা সম্ভব।

কুরআনে রোজা অবস্থায় পানাহার নিষিদ্ধ বলা হয়েছে, হাদিসে আছে দাঁতে আটকে থাকা খাবার গিলে ফেললে রোজা ভাঙ্গবে না। তাই আমার মনে হয় রোজা ভাঙ্গার জন্য খাবারের পরিমাণের ভূমিকা আছে। এক চামচ পানির পঞ্চাশ হাজার ভাগের একভাগ পানি (আমি লিঙ্ক দিয়ে ওজনের পরিমাপ দেখিয়েছি) পেটে গেলেও রোজা ভাঙ্গবে না। আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন, তিনিই সঠিক পথনির্দেশ দেবেন বলে ভরসা রাখি।

আপনি যে হাদীসের উল্লেখ করেছেন তা জানা ছিল না, এখন থেকে এটা মনে থাকবে আশা করি।

সুচিন্তিত মন্তব্য আর প্লাসের জন্য ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর। ভালো থাকুন সবসময়।

১৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: জীবন বাঁচানো ফরজ। জীবন থেকে রোজা বড় ফরজ নয়।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: ১০০ মাইক্রোগ্রাম= ১/১০ মিলিগ্রাম= ১/১০০০০ গ্রাম বা এক গ্রামের দশ হাজার ভাগের একভাগ ঔষধ খেয়ে জীবন বাঁচানো যায়, এই পরিমাণ ঔষধে রোজা ভাঙ্গবে বলেও আমি মনে করি না।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নূর আলম হিরণ, শুভকামনা রইল।

১৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

মিরোরডডল বলেছেন:



রোজা ভেঙ্গে যাবে খুবই দুর্বল লজিক । সবকিছু ডিপেন্ড করে পারপাস আর ইন্টেনশনের ওপর । এখানে পারপাস হচ্ছে ট্রিটমেন্ট আর এটা কোনো ফুড না যতোই খাদ্যনালী দিয়ে যাক অর হোয়াটেভার । এটা কোনোভাবেই রোজাভঙ্গের পানাহারের মধ্যে পড়েনা । ধারাপু ডোন্ট ইভেন থিঙ্ক এবাউট ইট । আল্লাহ নোজ দ্যা বেস্ট । হি মাস্ট নোজ দ্যা ইনটেনশন । সো লিভ ইট উইথ হিম । প্রয়োজনে অবশ্যই ইনহেলার নেবেন ।





০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: মিরোরডডল, প্রথম ভালো লাগা আপনাকে পেয়ে, দ্বিতীয় ভালো লাগা চমৎকার মন্তব্য পেয়ে।

সবকিছু ডিপেন্ড করে পারপাস আর ইন্টেনশনের ওপর । এখানে পারপাস হচ্ছে ট্রিটমেন্ট আর এটা কোনো ফুড না যতোই খাদ্যনালী দিয়ে যাক অর হোয়াটেভার । এটাই মূল কথা, একটা কথাই আছে নিয়তে বরকত।

আল্লাহ নোজ দ্যা বেস্ট । হি মাস্ট নোজ দ্যা ইনটেনশন । সো লিভ ইট উইথ হিম । প্রয়োজনে অবশ্যই ইনহেলার নেবেন
এই কথায় অনেক অনুপ্রাণিত বোধ করছি। আল্লাহ অবশ্যই জানেন আমার অন্তরে কী আছে!!

অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। অনেক শুভেচ্ছা রইল।

২০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আমি নিশ্চিত, ফতোয়া দানকারী হুজুরদের কারো শ্বাসকষ্ট হলে এই ফতোয়া তৎক্ষনাৎ পরিবর্তিত হয়ে যাবে।

-@ভুয়া মফিজ ভাই, সত্যি কথা বলতে কি, ইসলাম, ইসলামী বিধি বিধান সম্পর্কে আমার দেখামতে আপনার ধারণা বেশ পরিষ্কার। এবং আপনি যেসব ধারণা বা অভিমত এ পর্যন্ত এই ব্লগে প্রকাশ করেছেন, 'আয়া সোফিয়ার খুবই কাছাকাছি স্থানে আরেকটি মসজিদ বর্তমান থাকায় আয়া সোফিয়াকে মসজিদের সাবেক অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারটা বাদে' বাদবাকি সবগুলোতেই সঠিক দেখেছি। আয়া সোফিয়ার আলোচনায় আগেও সম্ভবতঃ বলেছিলাম, এখানেও প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি, জামে মসজিদ অর্থাৎ, পাঞ্জেগানাসহ জুমুআর মসজিদ একবার প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে তারপরে কোনো কারণে সেই স্থান বা মসজিদ ভবন অন্য কোনো কাজে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে- এমন কোনো মাসআলা বা ফতোয়া অদ্যাবধি আমি পাইনি। যদিও আয়া সোফিয়ার ব্যাপারটায় বৈশ্বিক রাজনীতি জড়িত। রাজনীতি যতই থাকুক, এটিও মসজিদ যেহেতু, তাই এর হুকুম পৃথক হওয়া উচিত নয়। মসজিদের হুকুমই এখানেও প্রযোজ্য হওয়া উচিত বলেই মনে করি।

যাই হোক, আমার মতামতে ভুলভ্রান্তি থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এই ক্ষেত্রটাতেই আপনার সাথে দ্বিমত পোষন করা ব্যতিত আর তেমন মনে পড়ে না যে, আপনার সাথে অন্য কোনো বিষয়ে দ্বিমত হয়েছে। সঙ্গত কারণে আপনার সুচিন্তিত মতামত আমার কাছে সবসময়ই গুরুত্ব বহন করে।

আমি নিশ্চিত, ফতোয়া দানকারী হুজুরদের কারো শ্বাসকষ্ট হলে এই ফতোয়া তৎক্ষনাৎ পরিবর্তিত হয়ে যাবে। =p~

-জানি না, হয়তো হতেও পারে। তবে অনেক আলেম উলামা শ্বাসকষ্টে ভুগেছেন এবং এখনও এটা থেমে যায়নি। সর্বোপরি আমাদের মনে রাখা দরকার, এগুলো ফরজ ওয়াজিব পর্যায়ের সকলের জন্য অবশ্যপালনীয় কোনো বিষয় নয়। শুধুমাত্র অসুস্থ ও রুগ্ন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রেই এই মাসআলার প্রয়োজন পড়ে। আর আমার উপরের মন্তব্যেও অতি রুগ্ন ব্যক্তিদের করণীয়গুলো বলেছি। তারপরেও কুরআন হাদিসের আলোকে আরও সহিহ এবং অধিকতর গ্রহনযোগ্য কোনো মাসআলা এই বিষয়ে পাওয়া গেলে তার উপরে আমল করতে বাধা থাকা উচিত নয়।

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিবিধ উপায় উপকরণ আবিষ্কারের সাথে সাথে নতুন নতুন মাসআলার উদ্ভব হয়েছে, হচ্ছে এবং ধারণা করা অমূলক নয় যে, ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। যেমনটি আপনিও মন্তব্যে ব্যক্ত করেছেন। তবে একটা সময় শুধু ছবি তোলা বা টেলিভিশন দেখাকেই হারাম মনে করা হতো না, বরং আরও অনেক কিছুর ব্যাপারেই এই ধরণের মনোভাব পোষন করতেন তৎকালিন আলেম উলামাগণ। সময়ের পরিবর্তনে, মানুষের প্রয়োজন এবং কল্যান বিবেচনায় হারাম সাব্যস্ত বিষয়গুলোর কিছুকে শর্তসাপেক্ষে বৈধতা দান করা হয়েছে। এটাকে আমি ইসলামের উদারতা মনে করি। আর সত্যিকারার্থে ইসলাম কঠোরতার জীবন বিধান নয়। মানুষের জন্য অধিকতর সহজ বিষয়গুলোই ইসলাম যুক্ত করে দিয়েছে। একটা সময় তো উপমহাদেশে ইংরেজি শিখতে নিষেধ করা হতো। 'ইসলামে রাজনীতি হারাম' এমন কথা বলার ঘটনাও তো ঘটেছে। যেসব আলেমগণ এই কথা বলেছেন তারাও কিন্তু সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। সেই অবস্থান থেকে তারা পরে আবার ফিরে এসেছেন।
সুতরাং, এই যে সংস্কার এটা চলমান প্রক্রিয়া। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে সকল যুগে সকল কালেই এই দায়িত্ব আলেম উলামাগণ পালন করেছেন। তাদের সাথে থাকা, তাদের অনুসরণ করার ভেতরেই কল্যান। কুরআনুল কারিমের আদেশ এটাই। আল্লাহ তাআ'লা ইরশাদ করেন-

وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ ۚ [٣١:١٥]

যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। -সূরা লুকমান-১৫

অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে-

فَاسْأَلُوا أَهْلَ الذِّكْرِ إِن كُنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ [٢١:٧]

অতএব তোমরা যদি না জান তবে যারা জানে তাদেরকে জিজ্ঞেস কর। -সুরা আম্বিয়া-৭

আরেক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنكُمْ ۖ [٤:٥٩]

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা জ্ঞানী ও প্রাজ্ঞ তাদের। -সূরা নিসা-৫৯

প্রিয় নবিজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নির্দেশনাও তাই। নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-

لَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرِينَ عَلَى الْحَقِّ، لَا يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ، حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللهِ.

এই উম্মতের একটি দল সর্বদা হকের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। তাদের বিরুদ্ধাচরণকারীরা তাদের দ্বীনের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। যাবৎ না কেয়ামতের নির্ধারিত আলামত প্রকাশ পায়। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৯২০

আলেম উলামাদের ভেতরে যারা এই মহান খিদমত আঞ্জাম দেয়ার কাজটি করে থাকেন, তাদেরকে নিতান্ত সাধারণ ব্যক্তি মনে করা ঠিক নয়। যারা গবেষনা বা ইজতিহাদের এই কাজগুলো করে থাকেন, তাদেরকে বলা হয় মুজতাহিদ। আর হাদীসে এসব মুজতাহিদরা সঠিক করলে একটি সওয়াব আর ভুল করলে দু’টি সওয়াব হবে মর্মে সুসংবাদ দেয়া হয়েছে-

عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا حَكَمَ الْحَاكِمُ فَاجْتَهَدَ فَأَصَابَ فَلَهُ أَجْرَانِ وَإِذَا حَكَمَ فَاجْتَهَدَ فَأَخْطَأَ فَلَهُ أَجْرٌ

হযরত আমর বিন আস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যখন কোন হাকেম হুকুম বলতে গিয়ে ইজতিহাদ করে, আর তার ইজতিহাদ সঠিক হয়, তাহলে তার জন্য রয়েছে দু’টি সওয়াব। আর যদি ইজতিহাদে ভুল হয়, তাহলে তার জন্য রয়েছে একটি সওয়াব। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৯১৯, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪৫৮৪, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৭৬}

তাহলে আয়াত দ্বারা আমরা বুঝতে পারলাম যে সকল বিষয় ইজতিহাদী। সেসব বিষয়ে মুজতাহিদগণ ইজতিহাদ করবে। আর হাদীস বলছে মুজতাহিদ সঠিক বললেও সওয়াব। আবার ভুল বললেও সওয়াব।

আর যারা সাধারণ মুসলিম তথা ইজতিহাদের যোগ্যতা যাদের নেই। তাদের কাজ হল ইজতিহাদী বিষয়ে তাদের নিকটস্থ মুজতাহিদের অনুসরণে আল্লাহ তাআলা প্রদত্ত শরীয়ত মান্য করে চলা।

যেমন, পবিত্র কুরআনের এক আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে-

وَمَا كَانَ الْمُؤْمِنُونَ لِيَنفِرُوا كَافَّةً ۚ فَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ [٩:١٢٢]

আর সমস্ত মুমিনের অভিযানে বের হওয়া সঙ্গত নয়। তাই তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের বিষয়ে ফক্বীহ হতে পারে এবং সংবাদ দান করে স্বজাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে। -সূরা তওবা-১২২

এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা গুটি কতক মানুষকে দ্বীনের বিষয়ে ফক্বীহ হতে নির্দেশ দিচ্ছেন। আর উক্ত ফক্বীহ ব্যক্তিকে বলা হচ্ছে তার স্বজাতিকে এসে সতর্ক করার জন্য। আর গায়রে ফক্বীহ ব্যক্তিদেরকে উক্ত মুজতাহিদ ফক্বীহের নির্দেশনা মানার কথাও পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে এ আয়াত দ্বারা।

আর 'সহনশীলতার' যে ব্যাপারটা বলেছেন, আসলে আপনার প্রতি বিরক্ত হয়ে বা ক্ষোভ প্রকাশের উদ্দেশ্যে উপরের মন্তব্যে আপনাকে স্মরণ করেছি, বিষয়টা এরকম ছিল না। আমি জানি, আমাদের প্রতি আপনার প্রগাঢ় আন্তরিকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে শুধুই আপনাকে কিছুটা আনন্দিত করার ইচ্ছে ছিল। হয়তো আমার পূর্বোক্ত মন্তব্যের ঐ অংশটুকুতে আমার অভিপ্রায়ের অনুকূল প্রকাশটা ঠিকঠিকভাবে ঘটেনি বলে আপনার কাছে একটু কষ্টদায়ক ঠেকেছে। অনিচ্ছাকৃত বিষয়টার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।

আল্লাহ তাআলা যদি তাঁর আপন দয়া, অনুগ্রহ আর রহমতের দ্বারা আমাদের ক্ষমা না করেন, আমাদের আমল দ্বারা, আমাদের ইবাদাত দ্বারা কোনোভাবেই আমরা বাঁচতে পারবো না। তাঁর রহমতই শেষ ভরসা। ভালো থাকুন, ভাই। সকলের প্রতি কল্যানের দুআ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: নতুন নকিব, আমি চাই না আমার পোস্ট নিয়ে কারো মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হোক। আমরা প্রত্যেকেই নিজের কাজের জন্য দায়ী থাকবো আল্লাহর কাছে, এবং সবাই সব ব্যাপারে একমত তো নাই হতে পারি...

আমি উত্তর দেবার আগেই ভুয়া মফিজ উত্তর দিয়েছেন। আমার মনে হয়েছে দুজনের কেউই আগ্রাসী হয়ে ওঠেন নি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্যরি আপা, আপনি না করার পরেও আবার আসলাম। এ'ধরনের তর্কে হারজিৎ আমার কাছে মুখ্য না, বিষয়বস্তু পরিস্কার হওয়া মুখ্য। তারপরেও ভিন্ন কারনে আসার ইচ্ছা ছিল না। সেটা হলো বিরাট প্রতি-মন্তব্য করতে প্রচুর টাইপ করতে হবে, সেই ভয়ে। তারপরেও ভাবলাম, আলোচনার সুযোগটা হাতছাড়া করা ঠিক না। :)

@ নকীব ভাই, আপনার শেষের কথাগুলি মজা করে বলা, সেটা আমি বুঝেছি। হয়তো আমার পূর্বোক্ত মন্তব্যের ঐ অংশটুকুতে আমার অভিপ্রায়ের অনুকূল প্রকাশটা ঠিকঠিকভাবে ঘটেনি বলে আপনার কাছে একটু কষ্টদায়ক ঠেকেছে। অনিচ্ছাকৃত বিষয়টার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। দুঃখ প্রকাশের কিছু নাই। আপনি ঠিকভাবেই প্রকাশ করেছেন আর আমি বুঝেছি তখনই। আপনি তো জানেনই, আমার সেন্স অফ হিউমার অনেক স্ট্রং!!! :P

আপনার সহনশীলতার কিন্চিৎ অভাব আছে, কথাটা বলা অন্য কারনে। সেটা হলো, আয়া সোফিয়ার যে প্রসঙ্গের কথা আপনি বলেছেন, সেটা আলোচনা হওয়া উচিত ছিল আমার পোষ্টে। আমি আপনাকে আমন্ত্রণও জানিয়েছিলাম, আপনি একবারের জন্যও আসেন নাই, সেজন্যে। এই সম্মন্ধে আমি এখানে আপনাকে অনেক মতামত দিতে পারি, তবে এই পোষ্টের বিষয়বস্তু অন্য। এখানে সেটা নিয়ে কথা বলা অপ্রাসঙ্গিক হবে, আপা বিরক্ত হবেন, তাই বিস্তারিত বলছি না। শুধু বলি, আয়া সোফিয়া নিয়ে আমার মতামতকে কেউ সফলভাবে কাউন্টার করতে পারেন নাই। পারলে আমি অবশ্যই সেটা মেনে নিবো।

আসি এই পোষ্টের ব্যাপারে। আপনি বলেছেন, সময়ের পরিবর্তনে, মানুষের প্রয়োজন এবং কল্যান বিবেচনায় হারাম সাব্যস্ত বিষয়গুলোর কিছুকে শর্তসাপেক্ষে বৈধতা দান করা হয়েছে। এটাকে আমি ইসলামের উদারতা মনে করি। আর সত্যিকারার্থে ইসলাম কঠোরতার জীবন বিধান নয়। মানুষের জন্য অধিকতর সহজ বিষয়গুলোই ইসলাম যুক্ত করে দিয়েছে। একটা সময় তো উপমহাদেশে ইংরেজি শিখতে নিষেধ করা হতো। 'ইসলামে রাজনীতি হারাম' এমন কথা বলার ঘটনাও তো ঘটেছে। যেসব আলেমগণ এই কথা বলেছেন তারাও কিন্তু সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। সেই অবস্থান থেকে তারা পরে আবার ফিরে এসেছেন।
সুতরাং, এই যে সংস্কার এটা চলমান প্রক্রিয়া। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে সকল যুগে সকল কালেই এই দায়িত্ব আলেম উলামাগণ পালন করেছেন। তাদের সাথে থাকা, তাদের অনুসরণ করার ভেতরেই কল্যান।
আপনার এই কথায় কন্ট্রাডিকশান আছে। এখানে দেখেন, আপনি বলেছেন, যেসব আলেমগণ এই কথা বলেছেন তারাও কিন্তু সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। আবার বলেছেন, সেই অবস্থান থেকে তারা পরে আবার ফিরে এসেছেন।

এখন সাধারন মুসলমানগন এইসব শ্রদ্ধেয়দের প্রাথমিক কথায় কি বিভ্রান্ত হয় নাই? ভুল কাজ করে নাই? উনারাই আবার পরে অবস্থান পরিবর্তন করে কি এই বার্তাই দেন নাই যে, উনাদের পূর্বের কথা ঠিক ছিল না, এখনকারটা ঠিক? তাহলে ঘটনা দাড়ালো কি? তাছাড়া, একেক আলেম একেকভাবে ব্যাখ্যা দেন। মানুষ কাকে অনুসরন করবে? কে ঠিক বলছেন, সেটা বুঝবে কিভাবে? এখানেই নিজস্ব জ্ঞান-বুদ্ধি প্রয়োগের বিষয়টা সামনে চলে আসে। উদাহরন হিসাবে চিংড়ি খাওয়ার ব্যাপারে চার ইমামের বক্তব্য দেয়া যায়।

আল্লাহ বলেছেন, যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। শর্তহীনভাবে মেনে নিচ্ছি। কিন্তু যখন অলেমদের মধ্যে মতান্তর থাকে তখন কোনজন আল্লাহর অভিমুখী, সেটা আমাদের মতো আম-মুসলমানদের বোঝা বেশ কঠিন। তাই বলেছি, নিজের লব্ধ জ্ঞানও প্রয়োগ করা উচিত।

অতএব তোমরা যদি না জান তবে যারা জানে তাদেরকে জিজ্ঞেস কর। -সুরা আম্বিয়া-৭ আপনি তিনজন আলেমকে জিজ্ঞেস করলেন, উনারা যদি ভিন্ন ভিন্ন মত দেন, তখন কি করবেন? আলেম উলামাদেরকে আমি নিতান্ত সাধারণ ব্যক্তি মনে করছি না। কিন্তু কোনজন ফক্বীহ (যদিও এসব টার্ম আমি তেমন বুঝি না, বাংলা হলে ভালো হতো) কিভাবে বুঝবেন? কারন, উনারা তো আবার সময়ের পরিবর্তনে, মানুষের প্রয়োজন এবং কল্যান বিবেচনায় হারাম সাব্যস্ত বিষয়গুলোর কিছুকে শর্তসাপেক্ষে বৈধতা দান করেন, এটা তো আপনারই কথা।

কাজেই আমার শেষ কথা হলো, আমাদেরকে রিজিড না হয়ে ফ্লেক্সিবল হতে হবে। ধর্ম নিয়ে নিজেদেরকেই পড়ালেখা করতে হবে আর মূল বিষয় ঠিক রেখে কমনসেন্স এ্যপ্লাই করতে হবে। অন্যকথায় ড. মানজুরে ইলাহীর ব্যাখ্যা মতো, মূল বিষয়টা বুঝে সে অনুযায়ী চলতে হবে। বর্তমানে এতো বেশী তথাকথিত অল্পশিক্ষিত আলেমের আবির্ভাব হয়েছে যে, এর কোন বিকল্প নাই।

আশাকরি, আমার বক্তব্য পরিস্কার করতে পেরেছি। আপনাকে ধন্যবাদ। আপাকেও ধন্যবাদ বিরক্ত না হওয়ার জন্য। :)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৭

করুণাধারা বলেছেন: এমনিতে কোন বিষয়ে তর্ক বিতর্ক ভালো লাগে, অনেক কিছু জানা যায়, কিন্তু দিনের পর দিন লম্বা লম্বা লিখে তর্ক করাকে আমার কাছে মনে হয় ভীষণ ভাবে শক্তির অপচয়। এই পোস্ট view this link দেখার পর থেকে আমি তর্ক বিতর্ক ভয় পাই, তাই আপনাকে বলেছিলাম থেমে যেতে, যেমন আমি এই পোস্টে থেমে গেছি...

তবে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হওয়াও জরুরি, আশা করি সেটা হবে। শুভকামনা রইল।

২২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোস্টটির আদ্যোপান্ত পড়লাম। পোস্টটি যে ইসলামের প্রতি গভীর মর্মবোধ ও অসুস্থ অবস্থাতেও রোজা পালন করার তাগিদ থেকে বিষয়টি পরিষ্কার। আপনার দেওয়া দু'পক্ষের লিংক ও কমেন্টের মধ্যে মূলতঃ নকিব ভাইয়ের মূল্যবান কমেন্টদুটিও দেখলাম। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে, এরপরে আর কোন সংশয় থাকার কথা। কথায় বলে জীবন বাঁচানো ফরজ। আর সেই তাগিদটা যদি নিজের শারীরিক প্রয়োজনে হয়ে থাকে তাহলে কোন দোষের নয় বলে আমার ব্যক্তিগত ধারণা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আমার মা প্রথমবার সেন্সলেস হয়েছিল রোজায় থাকা অবস্থায়। জেলা হসপিটালে নিয়ে গেলে সেরিব্রাল অ্যাটার্ক বলে কলকাতায় রেফার করে। কিন্তু হসপিটালের চিকিৎসার উপর আস্থা না রাখতে পেরে আমরা পথিমধ্যে বাগুইআটির একটা নার্সিংহোমে ভর্তি করাই। এখানেই প্রথম জানতে পারি মায়ের সুগার ফল্ট হয়েছে। পাঁচদিন আইসিইউ সহ মোট 18 দিন নার্সিংহোমে উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার নামে হাত-পা বেঁধে রাখাতে মায়ের বেডশু হয়ে যায়। মাকে বেঁধে রাখার ব্যাপারে আমাদের মত পেশেন্ট পার্টির কোনো অভিযোগকে ওরা পাত্তাই দেয়নি। ওদের যুক্তি অন্যান্য পেশেন্টের ডিস্টার্ব না করাতে কিছুটা মানসিক ভারসাম্য হারানোয় ওনাকে বেঁধে রাখা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত 18 দিনের মাথায় ডাক্তার কিংশুক করকে অনুরোধ করে মায়ের ছুটি করায়। বাড়ি ফিরে মায়ের বেডশু সারাতে আরও দুইমাস সময় লেগেছিল। প্রতিদিন কর্মস্থল বাড়ি ও নার্সিংহোমে আসা যাওয়ার কারণে সেবার রমজান মাসে রোজা রাখায় আমাদের দফারফা হয়ে যায়।পরে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এমন সেন্সলেস হলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাড়িতে সর্বক্ষণ গ্লুকোজ রাখতাম। পরে আরও চার বার মায়ের এমনই সুগার ফল্ট হয়েছিল। শেষের দিকে মাল্টি অর্গান এফেক্টেড হওয়ায় শুধু গ্লুকোজ জল দিলে আর কাজ হতো না। হসপিটালে নিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
এই সময়গুলোতে আমরা আর মাকে রমজান মাসে রোজায় থাকতে দিতাম না'। ভুয়া ভাইয়ের মতোই সে সময়ে মনে হতো নিজের অর্জিত জ্ঞান দিয়ে, রোজা সুস্থ মানুষের জন্য।মা অবশ্য 2015 সালের 14 সেপ্টেম্বর আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। মাকে পাশে রেখে দেখেছি, অসুস্থ মানুষের সময়ে খাওয়া ও ওষুধ সেবন ভীষন জরুরী। অনিয়ম হলে চূড়ান্ত পরিণতি ঘটতেই পারে। আমার ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে মনে হয় এই বিবেচনাবোধকে ইসলাম সহমর্মিতার দৃষ্টিতে দেখেন।
ভালো থাকুন আপু। কখনোই অনিয়ম করবেন না, সময়ে খাওয়া-দাওয়া করবেন।


০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪২

করুণাধারা বলেছেন: পোস্টটি যে ইসলামের প্রতি গভীর মর্মবোধ ও অসুস্থ অবস্থাতেও রোজা পালন করার তাগিদ থেকে বিষয়টি পরিষ্কার

আমার পোস্টের অর্থ এই দাঁড়াল!!! না, আসলে পোস্টটির মূল বক্তব্য হচ্ছে রোজায় ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভাঙে কিনা। এ ব্যাপারে ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে দ্বিমত আছে, নতুন নকিব যে মত সমর্থন করেন আমি তার বিপরীত মত সমর্থন করি এবং আমি কেন সেই মতের সমর্থন করি তার সপক্ষে এই পোস্টে কিছু তথ্য দিয়েছি। অবশ্যই নতুন নকিব আমার চেয়ে অনেক বেশি জানেন, তাই আপনি তার মন্তব্যই পড়েছেন এবং বলছেন এরপর আর কোনো সংশয় থাকা উচিত নয়। কিন্তু আমাকে না হয় আমার সংশয় নিয়েই থাকতে দিন...

আপনার মায়ের কথা জেনে খুবই দুঃখ বোধ করলাম। ডায়বেটিস এক ভয়ানক রোগ, হঠাৎ করেই সুগার লেবেল ফল করে বিপদ ডেকে আনে। সেই সময়ে আপনাদের শারীরিক এবং মানসিক চাপ কতটা গেছে বুঝতে পারছি। আপনি আপনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন, তারপর আল্লাহ তাঁর জন্য যে হায়াত নির্ধারিত করেছিলেন তা পূর্ণ হয়েছে, তাই তিনি আল্লাহর কাছে চলে গেছেন। দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাকে জান্নাত নসিব করেন।

মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ পদাতিক চৌধুরী। শুভকামনা রইল।

২৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩২

আমি সাজিদ বলেছেন: বেশ সুন্দর আলোচনা হচ্ছে। পদাতিক ভাইয়ের কমেন্টটায় 'একজন পেশেন্টের স্বজন' এই দৃষ্টিকোন থেকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করা আছে। উনার কমেন্টের পর আশা করি অনেকেই উনার সেসময়ের কষ্টটা কিছুটা হলেও কল্পনা করতে পারবেন।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫০

করুণাধারা বলেছেন: হ্যা, আলোচনা হচ্ছে বেশ শান্তি পূর্ণ ভাবে। এজন্য নতুন নকিবের কৃতিত্ব সবটুকু।

পদাতিক চৌধুরীর সে সময়ের অবস্থা কল্পনা করে দুঃখ বোধ করছি। প্রাণপণ চেষ্টা করার পরও প্রিয়জনকে যখন হারাতে হয় তখন তা খুবই কষ্টকর হয়। মনে হচ্ছে পদাতিক চৌধুরী এখনও সেই ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন।

আবার ফিরে আসায় ধন্যবাদ আমি সাজিদ। শুভকামনা।

২৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রোজা রাখার অর্থ তো সংযম করা, পানাহার থেকে বিরত থাকা। নিয়মটা এমন হওয়া প্রয়োজন ছিল - ওষুধ খেলে রোজা ভঙ্গ হবে না, কারণ, তা ক্ষুধা নিবারণ করে না, জীবন রক্ষার্থে ব্যবহৃত হয়। এমন একটা ফতোয়া কি ভবিষ্যতে আসার সম্ভাবনা নেই?

আমি জীবনে অনেক অসুখ-বিসুখে ভুগেছি। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর কদাচিৎ রোজা ভেঙেছি। তবে, অসুখের সময় আমি নিজের বুদ্ধিতে অনেক ডাইনামিক কাজ করেছি, এবং আমার উদাহরণ কাউকে ফলো না করতে বিনীত অনুরোধ করছি। সময়ের অভাবে মাত্র কয়েকটা কমেন্ট পড়তে পেরেছি- একজনের কমেন্ট ভালো লেগেছে- নিয়তটাই তো আমার আসল কথা। রোজা রেখে ইনহেলার নেয়া বা ওষুধ খাওয়া, ইনজেকশন নেয়া, আমার নিয়ত কতখানি ব্যত্যয় ঘটাচ্ছে, সেটাই পর্যালোচনার বিষয়।

অনেক কষ্টসাধ্য পোস্ট। তবে, এটা নিয়ে এত গভীর কনফিউশনে না থেকে বোল্ড ডিসিশনে যেতে হবে। একজন মুমূর্ষু/শ্বাসকষ্টে ভোগা মানুষ তো অসুখের অজুহাতে রোজা না রাখলেও পারেন, সেখানে তিনি আল্লাহর ওয়াস্তে রোজা রাখছেন, ইনহেলার নেয়া, ওষুধ খাওয়া, ইত্যাদি রোজা ভঙ্গের কারণের মধ্যে আসার জন্য খুবই গৌণ বিষয় মনে হয়।

০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩০

করুণাধারা বলেছেন: এমন ফতোয়া দেয়া হয়েছে যে ওষুধ হিসেবে যেকোন ইনজেকশন নেয়া যেতে পারে, তা গ্লুকোজ স্যালাইন এমন কিছু হতে পারে যাতে পানাহারের প্রয়োজন মিটবে কিন্তু রোজা ভাঙ্গবে না। আবার এক গ্রামের দশ হাজার ভাগের একভাগ ওষুধ থাকা ইনহেলারের এক ডোজ ধোঁয়ায় রোজা ভাঙ্গবে!!! বাতাসের  অক্সিজেন নাক দিয়ে টানলে রোজা ভাঙ্গবে না, কিন্তু সিলিন্ডারের অক্সিজেন মুখ দিয়ে টানলে রোজা ভাঙ্গবে, কারণ তাতে নাকি ঔষধ আছে!! ফতোয়া দানকারী আলেম নামীয়দের ইলমের অবস্থা এতটাই খারাপ যে অক্সিজেন সিলিন্ডারে ঔষধবিহীন বিশুদ্ধ অক্সিজেন থাকে এটাও জানে না, অথচ এই নিয়ে মিথ্যা ফতোয়া দিতে আসে।

আমি কোনো কনফিউশন নিয়ে এই পোস্ট দেই নি, আমি কোথাও বলিনি আমি কোনো সংশয়ে আছি!! চিকিৎসা এবং শরীর বিদ্যা এবং বিজ্ঞানের সকল শাখা সম্পর্কে খুব অল্প জ্ঞান নিয়ে আলেম নামধারীরা যে ফতোয়া দিয়ে বসে তাতে কিছু অসঙ্গতির প্রমাণ দেখিয়ে এই পোস্ট দিয়েছি এবং শিরোনামে বিস্ময় প্রকাশ করেছি ইনহেলারে রোজা ভাঙ্গবে কেন বলে। আমি মধ্যপ্রাচ্যে থাকাকালীন আলেম ডাক্তারদের কাছে থেকেই জেনেছি ইনহেলারে রোজা ভাঙে না, অতএব এই নিয়ে আমি সংশয়ে নেই। জানিনা কেন অধিকাংশ মন্তব্যকারীর ধারণা হলো যে ইনহেলারে রোজা ভাঙে কিনা সেই নিয়ে আমি  বড় দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছি!!

আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, শুভকামনা রইল।

২৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: হ্যা, আলোচনা হচ্ছে বেশ শান্তি পূর্ণ ভাবে। এজন্য নতুন নকিবের কৃতিত্ব সবটুকু। মানে কি? আমার কোন কৃতিত্বই নাই! আমি কি বানের জলে ভাইস্যা আইলাম!!! :((

০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৩

করুণাধারা বলেছেন: নাতো!! আপনি বানের জলে ভেসে আসবেন কেন, আপনি তো শক্ত পায়ে হেঁটে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন! সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। :)

আলোচনার সব কৃতিত্ব অবশ্যই নতুন নকিবের প্রাপ্য। আমি চারটি বিষয়ের উল্লেখ করেছিলাম যেগুলো ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভেঙে যাবে এই ফতোয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, আমি নতুন নকিবকে এবং আহ্বান করেছিলাম সে সম্পর্কে আলোচনা করতে। নতুন নকিব দীর্ঘ আলোচনা করেছেন এই চারটি বিষয়ের উল্লেখ না করেই- তাহলে আলোচনার কৃতিত্ব তাকে দেব না? তাছাড়া তার মাধ্যমে নতুন কিছু জানা হল, যেমন:
চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, শ্বাস গ্রহণের রাস্তা দিয়ে কোন ঔষধ উদাহরণ স্বরূপ ভেনটোলিন ইনহেলার ব্যবহার করলে তার ১০% উপকরণ সরাসরি ফুসফুসে পৌছায়, বাকী ৯০% উপকরণ পরিপাকযন্ত্র শোষন করে, আর এ অবস্থায় ঔষধ সরাসরি রোগীর পেটে গিয়ে পৌঁছায়।

আমার মেয়ে আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োমেডিক্যাল ইন্জিনিয়ারিং এ গবেষণা করছে। তাকে যখন এই তথ্যটা দেই তখন সে রেগে গিয়ে বলে আর কখনো এইসব ব্লগ করবে না!! নিঃশ্বাস নেয়া ৯০% বাতাস শ্বাসতন্ত্রে না গিয়ে পাকস্থলীতে গেলে কত ভালো হতো, সব করোনা ভাইরাস হজম হয়ে যেত!! দুনিয়া হতো করোনা মুক্ত।

আরেকটা তথ্য পাওয়ায় আমি পোস্টে সংযোজন করেছি, সেটাও আপনার জন্য তুলে দিলাম:

"১৪ নম্বর মন্তব্যে নতুন নকিব যে তথ্য দিয়েছেন এবং তার মূল পোস্টের যার লিঙ্ক আমি দিয়েছি  সাত নম্বর মাসায়েলের কিছু অংশ বোল্ড করে এখানে দিলাম।

১৪ নম্বর মন্তব্য) বাজারে সাধারণতঃ যে সকল ইনহেলার পাওয়া যায় তার Base হচ্ছে এরোসল (Aerosol) অর্থাৎ এরোসলের মাধ্যমেই ওষুধ নাকের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করানো হয়। উদাহরণ হিসেবে সলবিউটামল ইনহেলারের কথাই ধরা যাক। সলবিউটামল ইনহেলার নেয়া হয় এবং প্রথমবার ওষুধ গ্রহণের মাত্রা যদি হয় ৪০ থেকে ১০০ মাইক্রোগ্রাম, তবে সর্ব্বোচ্চ প্লাজমা ঘনত্বে (Peak Plasma Concentration) পৌঁছাতে সময় লাগবে ৩-৫ ঘন্টা। রক্তে পৌঁছালে যেহেতু ওষুধ মগজে পৌঁছে, সুতরাং রোজা ভেঙ্গে যাবে।

সাত. রোজা অবস্থায় মস্তিষ্ক অপারেশন করে ঔষধ ব্যবহার করা হোক বা না হোক রোজা ভাঙ্গবে না।
(আল মাকালাতুল ফিকহী)
"

আমার কষ্ট করে লেখা পোস্ট সম্পর্কে কোন কিছু না বলে (অর্থাৎ পড়ার দরকার মনে করেন নি) কেউ যখন কেবল নতুন নকিবের মন্তব্যকে গুরুত্ব দেন, তখন আমিই বা নতুন নকিবকে সেরা আলোচকের কৃতিত্ব না দিয়ে কই যাই? আফটার অল, আমি নিছকই একজন মেয়েমানুষ, আমার কথার গুরুত্ব দেবার দরকার বা কী!! :(

২৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২১

সোহানী বলেছেন: শতভাগ সহমত আপু।

উপরের বিষদ আলোচনা পুরোটা পড়ি নাই আর আমার এতো জ্ঞানও নাই যে এ নিয়ে কোন তর্কে যাবো। তবে আমি মানবিকতায় বিশ্বাসী। আর আমার মতে ইসলাম ধর্মও পূর্ণ মানবিকতাবে সাপোর্ট করে। তাই এ নিয়ে কোন দ্বিমত হবে পারে না। শুধুমাত্র ইনহেলার ইউজ করার কারনে রোজা ভাঙ্গার কোন যুক্তি নেই কিছুতেই।

ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: হ্যা, আলোচনা হচ্ছে বেশ শান্তি পূর্ণ ভাবে। এজন্য নতুন নকিবের কৃতিত্ব সবটুকু। মানে কি? আমার কোন কৃতিত্বই নাই! আমি কি বানের জলে ভাইস্যা আইলাম!!! :((

হাহাহাহা.......... বানের জলে না বরফের চাঁইয়ে ভাইস্যা আইছেন হবে =p~

০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১

করুণাধারা বলেছেন: সোহানী, পোস্টের শেষে আমি বলেই দিয়েছি এটার মর্মার্থ বুঝতে পারবেন কেবল যিনি নিজে কোন ক্রনিক শ্বাসকষ্টের রোগে ভুগছেন অথবা এমন কোন রোগীকে কাছে থেকে দেখেছেন; যেমন ভুয়া মফিজ। এছাড়া অন্যদের এটা বুঝতে পারার কথাও নয় আবার পোস্টের বিষয়টা একেবারেই আকর্ষণীয় নয়। ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভাঙ্গবে অথবা ভাঙ্গবে না- এটা নিয়ে দু' রকমের অভিমত আছে, যে অভিমত বলে রোজা ভাঙবে না আমার সেটাকে যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে এবং তাই আমি আমার মতের স্বপক্ষে এবং অপর মতের বিপক্ষে যুক্তি দিয়েছি। ভেবেছিলাম কোন ব্লগার এ ব্যাপারে দ্বন্দ্বে থাকলে হয়ত একটা অভিমত গ্রহণ করতে পারবেন। দেখে শুনে মনে হচ্ছে ব্লগে এমন কেউ নেই, অথবা...

অথবা ধারণা করছেন আমার অভিমত ভুল হতেই হবে, কারণ আমি নারী। আমি প্রথম ব্লগে এসে একটা গল্প লিখেছিলাম, শিরোনাম দেখে কেউ তা পড়েন নি, মন্তব্য করেছেন যারা তারা সবাই নারী একমাত্র খায়রুল আহসান ছাড়া। আজ আবার নিজেকে মানুষ নয়, মেয়েমানুষ বলে মনে হচ্ছে। লিঙ্ক দিলাম,view this link আশাকরি সময় করে পড়ে দেখবেন।

অনেক শুভকামনা।

২৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
তবে, এটা নিয়ে এত গভীর কনফিউশনে না থেকে বোল্ড ডিসিশনে যেতে হবে। আপু, কথাটা আমি আপনাকে বলি নি, বলেছি সবার উদ্দেশেই, যেমন, ব্যক্তিগতভাবে রোজা রেখে চিকিৎসার জন্য যা কিছু প্রয়োজন আমি সবই গ্রহণ করতাম (বর্তমানে আমার জন্য রোজা রাখা নিষেধ, কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার ফলে)। তবে, আমার উদাহরণ কাউকে ফলো না করার জন্য বিনীত অনুরোধ করেছি।

আপনি কোনো কনফিউশনে নেই, সেটা জেনেই লিখেছিলাম - কষ্টসাধ্য পোস্ট।

শুভেচ্ছা রইল।

০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১০

করুণাধারা বলেছেন: ঠিক! অন্ধ বিশ্বাস না করে সবদিক যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।

আপনি কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করেছেন জেনে একটু অবাক হলাম- কখনোই আপনাকে আহা উহু করতে দেখিনি!! I like the spirit! শুভকামনা রইল আপনার জন্য। আমিও ছোটবেলা থেকে রোগের সাথে লড়াই করে চলেছি কিন্তু হার মানি নি।

আপনি কোনো কনফিউশনে নেই, সেটা জেনেই লিখেছিলাম - কষ্টসাধ্য পোস্ট। ধন্যবাদ। তবে বুঝতে পারছি লিঙ্কসহ এত তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট দিয়েও লাভ হয়নি, এটাকে কেউ কেউ আমার অভিমত বলে মনে করছেন। আসলে যাদের এই অভিমত তাঁরা আলেম, আমি শুধু তাদের মতের সমর্থনে কিছু তথ্য দিয়েছি যাতে শ্বাসকষ্টের রোগীরা বুঝতে পারেন আল্লাহ তাদের উপর কোন কঠোরতা আরোপ করেন নি, এক চা চামচের সমপরিমাণ ধোঁয়া গিললে রোজা ভাঙে না।

আপনার জন্যও শুভেচ্ছা।

২৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪২

নতুন বলেছেন: রোজার উদ্দেশ্য কি শরীরকে উপোষ রাখা? কোন কিছু শরীরে না প্রবেশ করতে দেওয়া?

রোজার মুল উদ্দেশ্য একটা শিক্ষা মানুষের মনে দেওয়া, শারীরিক একটা প্রকৃয়ার মাধ্যমে।

তাই ঔষুধ যেটা দরকার সেটা নিলে রোজা ভাঙ্গার কারন নাই। যাদের কাছে রোজা শারীরক পরিক্ষা তাদের কাছে্ ইনহেলার নিলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।

যাদের কাছে রোজা একটা ট্রেইনিং,শিক্ষা, একটা উপলব্ধি তারা বুঝতে পারে যে রোজার আসল উদ্দেশ্য শারিরিক কস্ট করে না খেয়ে থাকা না। তারা ইনহেলারের কারতে রোজা ভাঙ্গার মতন একটা যুক্তি দেবেনা।

০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৩

করুণাধারা বলেছেন: রোজা রেখে ফলে বিষ মিশিয়ে বিক্রি করা যাবে, মজুতদারি করে খাবারের দাম বাড়ানো যাবে, মিথ্যা গীবত চালানো যাবে, রান্নার সময় মুখ ভরে খাবারের বাষ্প নেয়া যাবে, বারেবারে কুলি করা যাবে, ঘুষ খাওয়া যাবে তাতে কোন অসুবিধা নেই, রোজা ভাঙ্গবে কেবল এক চামচ ধোঁয়া যাতে এক গ্রামের দশ হাজার ভাগের একভাগ পরিমাণ ওষুধ রয়েছে সেটা ইনহেল করলে, যাকে বাংলায় বলে প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে টেনে নেয়া।

আশার কথা এই যে, এই মতের বিরুদ্ধে আলেমদের যুক্তিপূর্ণ মত রয়েছে। সেটা জানানোর জন্য এ পোস্ট দেয়া।

আপনি বোধহয় প্রথমবার আমার পোস্টে এলেন। আমার এই পোস্টে view this link আপনার মন্তব্যের অংশ ব্যবহার করেছিলাম, সেজন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

শুভকামনা জানবেন।

২৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,




সহমত।

ধর্মের নিয়নকানুনগুলো অনুসরণের রাস্তাটাই মানুষ অহেতুক ত্যাড়াব্যাকা করে তোলে নিজের বোধবুদ্ধির কারনে। সোজা রাস্তায় চলাটাই যেন তাদের জন্যে কষ্টকর হয়ে ওঠে।
যদি ভুল না করে থাকি, তবে রোজা তো শুধু অনাহারের কষ্ট অনুভব করাই নয় বরং সাথে সাথে অকল্যানকর সমস্ত কিছু থেকে নিজেকে দূরে রাখার বা সংযত রাখার অভ্যেস গড়ে তোলার জন্যে একটি প্রতিকী অনুশীলন মাত্র।এই অনুশীলন তাকে সমস্ত অপকর্ম (ধর্মীয় মতে) করার তাড়না থেকে সরিয়ে শুদ্ধ হতে সাহায্য করবে। সেই অনুশীলনকালে সোজা রাস্তা ছেড়ে ত্যাড়াব্যাকা রাস্তায় চলে এখানে সেখানে হোচট খাওয়ার কোনও যৌক্তিকতা দেখিনে।

১২ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৮

করুণাধারা বলেছেন: তবে রোজা তো শুধু অনাহারের কষ্ট অনুভব করাই নয় বরং সাথে সাথে অকল্যানকর সমস্ত কিছু থেকে নিজেকে দূরে রাখার বা সংযত রাখার অভ্যেস গড়ে তোলার জন্যে একটি প্রতিকী অনুশীলন মাত্র।

সহমত। এক চামচ ধোঁয়া যাতে substance আছে ১০০ মাইক্রোগ্রাম বা এক গ্রামের দশ হাজার ভাগের একভাগ, সেটা ফুসফুসে না গিয়ে যদি পাকস্থলীতে যায় (তাহলে এক মূহুর্তে শ্বাসকষ্ট কমে কিসে?) এবং এজন্য রোজা ভেঙে যাবে বলে ফতোয়া তৈরি হতে পারে তাহলে রোজা মাসে খাবারের দাম বাড়িয়ে, খাবারে ভেজাল দিয়ে ইত্যাকার হাজার দুর্নীতি করে যারা রোজাদারের কষ্ট বাড়ায় তাদের রোজায় কোন দোষ হয় না কেন!! এ সংক্রান্ত কোন ফতোয়া না থাকা প্রমাণ করে এগুলো তেমন দোষনীয় নয়!!



৩০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাপানি রোগ প্রায়শই ক্রনিক হয়। ক্রনিক ও জটিল রোগীদের আজীবন ইনহেলার নিয়মিত ব্যবহার করতে হয়। সামান্য অনিয়ম হলে তাদের শারীরিক বড় সমস্যা হয় যা নিরাময় করা কঠিন হয়ে পরে। ফলে অনেকের ক্ষেত্রে হাপানি একটা স্থায়ী সমস্যা। এই প্রসঙ্গে আমি একটা মাসালা বলছি। সেটা হোল অনেক বয়স্ক মানুষ আছেন যারা নিজেদের প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এটা তাদের একটা রোগ। এদের ক্ষেত্রে নিয়ম হোল এরা অজু করে নামাজ পড়ে ফেলবে। যদি নামাজরত অবস্থায় অজু ভেঙ্গেও যায় তারপরও তার নামাজের কোন ক্ষতি হবে না। কারণ এই ব্যাপারে সে অসহায়। এই উদাহরণ দেয়ার উদ্দেশ্য হোল যে মানুষের যখন নিজের দেহের উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকে তখন অনেক শরিয়তের নিয়ম তার জন্য শিথিল হয়। যারা ক্রনিক ও জটিল হাপানি রোগী তারা কখনই ক্বাযা রোজা রাখতে পারবে না। তাই আমার মনে হয় যারা ইনহেলার নিয়ে রোজা রাখবে আল্লাহ তাদের রোজা কবুল করে নিবেন কারণ তারা নিরুপায়। আল্লাহ রাহমানুর রাহিম। আল্লাহ ও আল্লাহর রসুল (সাঃ) কখনই ইসলামের বিধানকে জটিল করেননি। বাকি আল্লাহ ভালো জানেন।

১২ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: আবার ফিরে এসে সুচিন্তিত মন্তব্য করায় অনেক ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর। আসলে এই ক্রনিক কথাটাই অনেকের মাথায় ঢোকে না বলে সমস্যা। ফিদইয়া দিয়ে যেখানে রোজা রাখার কষ্ট এড়ানো যায় সেখানে কেউ কেন রোজা রাখতে চাইবে? চাইবে এজন্যই যে তাদের জীবনে কখনোই রোজা রাখার সুযোগ আসবে না, অথচ তারা রোজা রাখার প্রশান্তি যাচনা করে...

দুই পক্ষেই মত আছে (লিঙ্ক দিয়েছি), আমি এক পক্ষ নিয়েছি।

আল্লাহ ভালো জানেন। নিঃসন্দেহে।

বল, তিনিই দয়াময়, আমরা তাহাকে বিশ্বাস করি ও তাঁহারই উপর নির্ভর করি, শীঘ্রই তোমরা জানিতে পারিবে কে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রহিয়াছে। তরজমা, সূরা মূলক, আয়াত ২৯

৩১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি ব্লগার আহমেদ জী এস ভাই এর সাথে সহমত পোষণ করছি। আমি আরও যোগ করছি, ধর্মের জন্য মানুষ, নাকি মানুষের জন্য ধর্ম? এর উত্তরে সঠিক জবাব পাওয়া যাবে ইনহেলার কেনো রোজা ভাঙ্গার/মাকরুহ হওয়ার কারণ হয়ে দাড়াবে?

মানুষ দিন দিন ধর্মকে এতোটা কঠিন রূপ দিতে চাচ্ছেন যে আগামিতে ধর্মে শুধু জিহাদ আর হত্যা থেকে যাবে বাদবাকি ইরেজার দিয়ে মুছে দেওয়া হবে (হয়তোবা) নয়তো - আমার প্রশ্ন, *** ইসলামের জন্মলগ্নে কি ইনহেলার বা ইনহেলার জাতিয় কিছু ছিলো? তাহলে ইনহেলার রোজা ভাঙ্গার কারন হয়ে দাড়াবে এই হাদিস কেবা কারা লিখেছেন? - অর্থাৎ হাদিস মাসআলা নতুন নতুন লেখা হয় যা কিনা নবি রাসুল বা সাহাবায়ে ইকরাম দ্বারা লেখা/বলা হয়নি।

আমার আর কিছু বলার নেই।।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: ধর্মের জন্য মানুষ, নাকি মানুষের জন্য ধর্ম? এর উত্তরে সঠিক জবাব পাওয়া যাবে ইনহেলার কেনো রোজা ভাঙ্গার/মাকরুহ হওয়ার কারণ হয়ে দাড়াবে? অবশ্যই মানুষের জন্য ধর্ম, আল্লাহ তাকওয়া পরীক্ষা করেন, যে অনন্যোপায় আল্লাহ অবশ্যই তার প্রতি পরম দয়াময়।

আমি নিজস্ব মত প্রকাশ করি নাই, ইসলামিক স্কলারদের দেয়া দুইটি মত পর্যালোচনা করে রোজা না ভাঙার পক্ষের মত সমর্থন করেছি। আপনার মন্তব্য ও প্লাস আমার জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা। অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

(আমার মনে পড়ছে আমি আগে এ মন্তব্যের উত্তর লিখেছিলাম। কোথায় ভুল করলাম যে তা প্রকাশ হলো না!!)

আপনার জন্য অনেক শুভকামনা।

৩২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

জুন বলেছেন: আমি মানবিকতায় বিশ্বাসী। আর আমার মতে ইসলাম ধর্মও পূর্ণ মানবিকতাবে সাপোর্ট করে। তাই এ নিয়ে কোন দ্বিমত হবে পারে না। শুধুমাত্র ইনহেলার ইউজ করার কারনে রোজা ভাঙ্গার কোন যুক্তি নেই কিছুতেই।
সোহানীর সাথে একমত ।

১২ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫১

করুণাধারা বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমার জন্য অনুপ্রেরণা জুন। আল্লাহ কখনই মানুষের উপর এমন ভার চাপান না তা বহন করা তার জন্য কষ্টকর। প্রচন্ড শ্বাসকষ্টের সময় এক চা চামচ ধোঁয়া খেলে রোজা ভেঙে যায়- এই মানসিক কষ্ট মানুষকে দেবার মতো নিষ্ঠুর আল্লাহ নন।

মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা রইল।

৩৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: “Allah SWT doesn’t burden a soul more than it can bear”- আমার জন্য এটুকুই যথেষ্ট। এর বাইরে আর আমি কোন ফতোয়া খুঁজতে যাব না।
সব আমলের মূলে থাকে নিয়্যত। নিয়্যত ভাল তো সবই ভাল।
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বাতাসেওতো জলীয় বাষ্প থাকে, তাহলে নিশ্বাস নিলেই তো রোজা ভেঙ্গে যাবে। বাধ্য না হলে কেই ইনহেলার ব্যবহার করেন না।
আমারও একই ধারণা। তবে আল্লাহ সকল জ্ঞানের মালিক, এবং তিনি সত্য মিথ্যা সম্পর্কে সম্যক অবগত।
আমি সাধারণতঃ কোন পোস্টের সবগুলো মন্তব্য/প্রতিমন্তব্য না পড়ে নিজে মন্তব্য করি না। তবে আজ রাত হয়ে যাওয়ায় এর ব্যতিক্রম হলো। তাই আপনার পোস্টে পুনয়ায় একবার আসার আশা ব্যক্ত করে বিদায় নিচ্ছি।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫১

করুণাধারা বলেছেন: পোস্টের শেষে আমি উল্লেখ করেছি যে এই পোস্ট তারাই বুঝতে পারবেন যারা তীব্র শ্বাসকষ্টে ভোগেন, বলতে ভুলে গেছি যারা ইনহেলার ব্যবহার করেন তারা...

ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভাঙ্গবে কিনা তা নিয়ে দুই বিপরীত মত আছে, আমি দুই মতেরই লিঙ্ক দিয়েছি। আমার কাছে এক নম্বর লিঙ্কে দেয়া ডা. মানজুরে ইলাহীর মত অধিকতর গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। ইনহেলারে এত স্বল্প পরিমাণ ঔষধ থাকে যে তাকে পানাহার বলে মনে করা ভুল।

এটা নিছক আলোচনা, আমার কেন মনে হয়েছে ইনহেলার ব্যবহারে রোজা ভাঙ্গবে না তার পক্ষে কিছু যুক্তি দিয়েছিলাম। আপনি মন্তব্য না পড়ে যদি একবার এক নম্বর লিঙ্কে দেয়া ভিডিও দেখেন তবে ভালো হয়।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ে সুচিন্তিত মন্তব্য করার জন্য। শুভকামনা রইল।

৩৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি মন্তব্য না পড়ে যদি একবার এক নম্বর লিঙ্কে দেয়া ভিডিও দেখেন তবে ভালো হয়। - আচ্ছা, দেখবো এবং মন্তব্যও করবো ইন শা আল্লাহ!

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫১

করুণাধারা বলেছেন: আবার এসে জানানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ। ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন লিঙ্কটি এবং মন্তব্য করেও ফেলেছেন। সেজন্য আবারো ধন্যবাদ।

৩৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: এক নম্বর লিঙ্কে দেয়া ভিডিওটি দেখলাম। আমি মুফতি সাহেবের সাথে সম্পূর্ণ একমত। ইনহেলার কখনো পান কিংবা আহার, কোনটারই বিকল্প হতে পারেনা।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: আমি যে মতটি সমর্থন করি আপনিও সেটাই ঠিক মনে করেছেন, এটা জানতে পেরে মানসিক প্রশান্তি অনুভব করছি। আল্লাহ যেন আমাদের সবসময় সঠিক পথে চালিত করেন।

ইতিমধ্যেই আপনার পোস্টের প্রতিমন্তব্য থেকে আমি এটা জেনেছি। আবার আমার পোস্টে এসে জানিয়ে যাওয়ায় অশেষ কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকুন।

৩৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বোন আমার ৩১ নং মন্তব্য উত্তর আমি পাইনি।
দুঃখজনক হলেও সত্য আমি বংশগতভাবে বাই জেনেটিক শ্বাসকষ্ট রোগটি পেয়েছি। এ বিষয়ে কিছু বলার নেই। ব্লগার’রা বিশ্বাস করবেন না। আমার কেনো জানি মনে হয় ব্লগার’রা এতোটাই আধুনিক যে রোগ শোক তাদের ঠিক বুঝে আসে না।

১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৪

করুণাধারা বলেছেন: আমি অত্যন্ত দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী এই ভুলের জন্য। এই ভুল কীভাবে হলো বুঝতে পারছি না। আমার মনে আছে আমি উত্তর লিখেছিলাম, সম্ভবত "মন্তব্য প্রকাশ করুন" এ ক্লিক করতে ভুলে গিয়েছিলাম।

ইনহেলার কীভাবে কাজ করে আর কত অল্প ধোঁয়া বের হয় এ ব্যাপারটা আরেকটু তলিয়ে ভাবলে মতদ্বৈততা থাকতো না বলে মনে হয়। রান্নার সময় যখন হাঁড়িতে টগবগ করে ঝোল উতলায় তখন যে বাষ্প বা ধোঁয়া বের হয় তাতে চুলার পাশে দাঁড়নো আমি স্বাদ গন্ধ সব পাই, হাঁড়ি ঢেকে দিলে দেখা যায় ঢাকনিতে তেল মশলার আস্তরণ, ঢাকনি না থাকলে যেটা বাতাসের সাথে মিশে পেটে যায়। আবার আরব দেশে বালু ঝড়ের সময় আমি মুখে বালুর কচকচ স্পষ্ট অনুভব করতাম। কখনোই কেউ বলেনি এতে রোজা ভেঙে যায়!!

আপনার প্রথম মন্তব্যের উত্তর এখন দেব ইন শা আল্লাহ। আপনি আবার ফিরে এসেছেন, আমার ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন- অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবসময়, অনেক শুভেচ্ছা রইল।

৩৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অবশ্যই মানুষের জন্য ধর্ম, আল্লাহ তাকওয়া পরীক্ষা করেন, যে অনন্যোপায় আল্লাহ অবশ্যই তার প্রতি পরম দয়াময়। -
আপনার এই emphatic ব্যাখ্যার জন্য (৩১ নং প্রতিমন্তব্যে) অশেষ ধন্যবাদ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪১

করুণাধারা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ অনুপ্রেরণা দিতে ফিরে আসায়। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩৮| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২২

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: আমার নিজের মতে ইনহেলারে রোজা ভাঙ্গাই উচিৎ না।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৮

করুণাধারা বলেছেন: ঠিক! এক চামচ ধোঁয়া গিললে রোজা ভাঙ্গার কোন কারণ নেই!!

৩৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৪

ওমেরা বলেছেন: আমি একজন ইসলামী স্কলারের আলোচনা শুনেছি, উনি বলেছেন রোজা রেখে চোখের ড্রপ , কানের ড্রপ নিলে রোজা ভাংবে না কিন্ত নাকে ড্রপ নিলে রোজা ভেংগে যাবে, ইনহেলার নিলে রোজা ভাংবে না ।
আল্লাহ কোন কিছুই মানুষের জন্য কঠিন করেন না ।
অনেক ধন্যবাদ আপু ।

এই লিখাটা আমার চোখেই পারেনি এতদিন , কত কিছু জানতে পারলাম ।
অনেক ধন্যবাদ আপু ।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫২

করুণাধারা বলেছেন: এই তথ্য জেনে খুব ভালো লাগলো ওমেরা।
আল্লাহ কোন কিছুই মানুষের জন্য কঠিন করেন না । আল্লাহ পরম দয়াময়, মানুষের মন কঠিন!!

সুন্দর মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ ওমেরা।

৪০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বোন এটি খুবই সামান্য একটি বিষয়। আপনি আমার বোন, আপনি এতোটা দুঃখিত হবার কোনো কারণ নেই।

দুঃখজনক হলেও সত্য আমি বংশগতভাবে বাই জেনেটিক শ্বাসকষ্ট রোগটি পেয়েছি। ঘুমোতে গেলে বিছানার পাশে ইনহেলার আর পানির পট ছাড়া আমি ঘুমোতে পারি না। যাক, সবই আল্লাহর ইচ্ছা।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: না, আমি দুঃখিত হইনা। খুব ছোটবেলা থেকেই আমি কষ্ট করছি, কিন্তু কষ্টের সাথেই তো স্বস্থি আছে...

সবই আল্লাহর ইচ্ছা। সবসময় তার দেয়া নেয়ামত আর রহমতের জন্য শুকরিয়া আদায় করি, বিশেষ করে এই করোনার সময়ে আল্লাহ সুস্থ্য রেখেছেন সেটা তার অশেষ রহমত।

আপনাকেও ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা, ভালো থাকুন সবসময়।

৪১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু অনেকদিন ধরে আপনাকে ব্লগে দেখছিনা।যদি ব্যস্ততার কারণে হয় তাহলে ঠিকই আছে। অন্যথায় খুবই চিন্তার মধ্যে আছি।
শুভেচ্ছা নিয়েন আপু।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: আমাকে নিয়ে আপনার এই উদ্বেগ মন ছুঁয়ে গেল পদাতিক চৌধুরী। উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল... দুঃখিত।

 চিন্তার কিছু নেই, প্রতি বছরের মতো এবারও আমি শীতকালে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। তবে আল্লাহকে অনেক শুকরিয়া যে করোনা নয়। আপনি আমার পোস্ট আর্কাইভে গেলেই দেখতে পাবেন সব ডিসেম্বরে আমি ব্লগে অনুপস্থিত, শুধু গতবছরের ডিসেম্বরে জানিনা কীভাবে তিনটা পোস্ট দিয়েছিলাম।

আমার জন্য আপনার উদ্বেগ দেখে আপ্লুত হয়েছি। আশাকরি শিগগিরই পোস্ট পড়া আর মন্তব্য করা শুরু করবো।

ভালো থাকবেন।

৪২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




করুণাধারা আপা,
আমার সালাম নিবেন। আপনি কেমন আছেন? আশা করি আপনি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আপনাকে বেশ কিছুদিন হলো ব্লগে দেখি না তাই চিন্তাহত হয়ে মন্তব্য করছি। ব্লগে লগইন হলে প্লিজ চিন্তামুক্ত করবেন।

শুভ কামনা রইলো।
আপনার ভাই - ঠাকুরমাহমুদ


২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫২

করুণাধারা বলেছেন: ভাই- ঠাকুর মাহমুদ,
আপনিও আমার সালাম নেবেন। আমি খুবই দুঃখিত আপনাদের চিন্তায় ফেলায়, আমার মাঝে মাঝেও অন্তত ঢুঁ মারা উচিত ছিল কারণ এই দুঃসময়ে দীর্ঘ অনুপস্থিতি উদ্বেগ সৃষ্টি করতেই পারে। আসলে সব শীতেই আমি অসুস্থ থাকি, এবারও তাই হয়েছে, সে কারণেই এই অনুপস্থিতি। তবে আল্লাহর অশেষ রহমত যে করোনার আক্রমণ থেকে নিরাপদ আছি। আপাতত লগ ইন করলাম, আশাকরি চিন্তামুক্ত হবেন। আশাকরি শিগগিরই আপনার চমৎকার পোস্ট সব পড়ে মন্তব্য করতে পারবো।

ভালো থাকবেন, শুভকামনা রইল। 

আপনার বোন- করুনাধারা।

৪৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি কেমন আছেন? অনেকদিন ধরে আপনাকে ব্লগে দেখা যাচ্ছেনা। আশা করছি আপনি ভাল আছেন এবং নিছক ব্যস্ততার কারণেই ব্লগে উপস্থিত হতে পারছেন না।
গতকাল বোধকরি আপনার জন্মদিন ছিল। অনুমান সত্য হলে, জন্মদিনের ঈষৎ বিলম্বিত শুভেচ্ছা!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৪

করুণাধারা বলেছেন: এই পোস্টে পঞ্চমবারের মতো আসবার জন্য, এবং আমার খবর নিতে আসায় ধন্যবাদ জানাই। আমি প্রতি বছর শীতে যেমন থাকি এবারও তেমন আছি, প্রতি বছর শীতে অসুস্থ থাকি, এবারো তাই। আমাদের ঢাকা শহর বায়ুদূষণে সারা বিশ্বের শহরগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে, আমার মতো কারো জন্য এটা মোটেও সুখবর না।

গতকাল বোধকরি আপনার জন্মদিন ছিল দিনটা ঠিক আছে, মাসটা ঠিক নেই! তবে শুভেচ্ছা পেয়ে ভালো লাগলো, ছয়মাস আগে থেকেই নাহয় শুভেচ্ছা সঞ্চয় করে রাখলাম... অনেক ধন্যবাদ।

আপনাকেও জন্মদিনে বিলম্বিত শুভেচ্ছা। আমি মাঝে মাঝে অফলাইনে আসি, পোস্ট পড়ি কিন্তু অনেকের পোস্টে মন্তব্য করতে পারবো না দেখে কোন পোস্টেই মন্তব্য করিনি। আশাকরি এখন একে একে সেগুলো করবো।

শিগগিরই আপনার পোস্ট পড়তে যাবো।

ভালো থাকুন, সবসময়।

৪৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: অনেকদিন ব্লগে দেখছিনা, আপনি ঠিক আছেন তো?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৬

করুণাধারা বলেছেন: আমার অনুপস্থিতি আপনার চোখে পড়বে বলে ভাবিনি পদ্মপুকুর, তাই আপনার এই খবর নিতে আসায় খুব ভালো লাগছে।

আমি ভালো আছি আবার ভালো নেই। করোনায় না হলেও হাঁপানিতে ভুগছি। আশাকরি শিগগিরই ফিরব, আপনার নতুন পোস্ট পড়বো।

শুভকামনা রইল।

৪৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগে আপনার শেষ উপস্থিতি ছিল ২৩শে নভেম্বর, চিলেকোঠার প্রেম পোষ্টে। আজ ২৩শে ডিসেম্বর, এক মাস পার হলো। এখন একটু চিন্তা করাই যায়......কি বলেন!! আমার সর্বশেষ পোষ্টেও আপনার পদচারনা নাই। পোষ্টটা কেমন ফাকা ফাকা লাগছে, আপনার অবধারিত মন্তব্য না পেয়ে।

হুমায়ূন ভাইকে নিয়ে পোষ্ট দেয়াতে মনে হয় রাগ করেছেন। তবে সেজন্যে ব্লগেই আসবেন না, এটা ঠিক না। :P

যদি রাগ না করে থাকেন, তাহলে অন্ততঃ একটা আওয়াজ দিয়ে আবার শীতনিদ্রাতে চলে যান। কোন অসুবিধা নাই। আমরা অন্ততঃ জানি যে, আপনি আমাদেরকে ভুলে যান নাই; কিংবা, আপনি ঠিকঠাক আছেন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২০

করুণাধারা বলেছেন: ব্লগে আপনার শেষ উপস্থিতি ছিল ২৩শে নভেম্বর, চিলেকোঠার প্রেম পোষ্টে। আজ ২৩শে ডিসেম্বর, এক মাস পার হলো। এখন একটু চিন্তা করাই যায়......কি বলেন!!

নিজের জন্য তিনমাস বরাদ্দ রাখলেন, আর আমার একমাসের অনুপস্থিতিতেই চিন্তায় পড়ে গেলেন ভবলীলা সাঙ্গ করলাম কিনা ভেবে!! নাহ্, আল্লাহর রহমতে বেঁচে আছি, তবে ভুগছি। কিন্তু এত কষ্ট করে যখন খোঁজ নিতে এসেছেন, এখন আমিও নাহয় কষ্ট করে ঘোরাঘুরি শুরু করি... আপনার পোস্ট দিয়েই শুরু করব ইনশাল্লাহ।

 
হুমায়ূন ভাইকে নিয়ে পোষ্ট দেয়াতে মনে হয় রাগ করেছেন। তবে সেজন্যে ব্লগেই আসবেন না, এটা ঠিক না।

ওই পোস্ট আর মন্তব্য পড়ে তো বিমলানন্দ লাভ করেছিলাম, রাগ করতে যাব কেন? রাগ না, কিন্তু ভীষণ হতাশ লাগছিল এক পোস্টে আপনার অকারন দীর্ঘ মন্তব্য দেখে। ব্লগে সবচেয়ে বিরক্তি লাগে তখন কেউ কোন বিষয় সম্পর্কে যুক্তি খন্ডন না করে অন্য বিষয়ের অবতারণা করেন। যে সময় নিয়ে বড় বড় মন্তব্য করেছেন সেই সময়ে একটা পোস্ট লিখতে পারতেন... আমার ভুল কিনা জানিনা, সামু ব্লগের পোস্টগুলো বেশিরভাগ ক্যাচাল পোস্ট মনে হয়। আগের মতো তাই আর আসবার আগ্রহ হয় না, আমার একটা লেখা আছে, সেটা পোস্ট করার ইচ্ছেটাই হারিয়ে গেছে...

আশাকরি নিশ্চিন্ত হয়েছেন। খবর নিতে আসায় অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, ভ্যাকসিন নেবার সাথে সাথে অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন, ছবিসহ হলে ভালো হয়।


৪৬| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৯

রামিসা রোজা বলেছেন:

অনেকদিন আপনাকে ব্লগে উপস্থিত না দেখে খুব চিন্তিত
ছিলাম । আজ আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগছে।
আশা করি ও দোয়া রাখি ভালো থাকুন সবসময়।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৩

করুণাধারা বলেছেন: আজ আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগছে।
আশা করি ও দোয়া রাখি ভালো থাকুন সবসময়।


অনেক ধন্যবাদ রামিসা রোজা। ইনশাআল্লাহ নিয়মিত হবো, ধীরে ধীরে আপনার পোস্ট গুলো পড়ে ফেলবো...

অনেক শুভকামনা।

৪৭| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৫

আখেনাটেন বলেছেন: রামিসা রোজা বলেছেন:

অনেকদিন আপনাকে ব্লগে উপস্থিত না দেখে খুব চিন্তিত
ছিলাম । আজ আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগছে।
আশা করি ও দোয়া রাখি ভালো থাকুন সবসময়।
-- আমিও তাই বলি। ভালো থাকুন। সাবধানে থাকুন। সুস্থ থাকুন।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৮

করুণাধারা বলেছেন: ডিসেম্বর মাসে ব্লগে আমার অনুপস্থিতি নিয়মিত ঘটনা, তবে এবার করোনার জন্য হয়ত সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন...

অনেক ধন্যবাদ আন্তরিক মন্তব্যের জন্য। আপনিও ভালো থাকুন, অনেক শুভকামনা।

৪৮| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি তো তিনমাসের ঘোষণা দিয়ে রেখেছি তাই না! আপনি তো কোন ঘোষণা দেন নাই। তাই টেনশান!!

হুমায়ূন ভাইকে নিয়ে পোষ্ট দেয়াতে রাগ করার কিছু নাই, জানি। ওটা এমনিতেই বলেছিলাম। ভাবলাম আপনাকে পগিয়ে-পাগিয়ে একবার হলেও ব্লগে টেনে নিয়ে আসি। রাগ করার কথা শুনে আশ্বস্থ্য করার জন্যে হলেও তো একবার হাজিরা দিবেন! দেখলেন তো, সেটাই হয়েছে। এবার কয়েকদিন আবার ডুব দেন.....কোন অসুবিধা নাই। ;)

অকারন দীর্ঘ মন্তব্য করলাম কই! অনেক সময়ে কোন কিছুর যুক্তি তুলে ধরতে দীর্ঘ আলোচনার দরকার পড়ে। এটা হলো, পরিস্থিতির চাহিদা। আমি যদিও চেষ্টা করি এ'ধরনের পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতে.......তবে সব সময়ে তো আর পারা যায় না!!

আপনি যেই লেখাটা লিখেছেন, তাড়াতাড়ি পোষ্টান। ক্যাচাল করার সুযোগ থাকলে জমিয়ে ক্যাচাল করা যাবে। =p~

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৪

করুণাধারা বলেছেন: আরেকবার আসার জন্য ধন্যবাদ।

আপনাকে তো বলি নাই দীর্ঘ মন্তব্য করেন কেন!! খালি বলেছি অদরকারি পোস্টে দীর্ঘ মন্তব্য করে নিজের সময় আর মেধা ব্যয় করা অর্থহীন, কারণ প্রতিমন্তব্য আসবে অবশ্যই অন্য বিষয়ের আলোচনা নিয়ে।

আপাতত মন্তব্য করতে করতে পোস্ট করার জন্য শক্তি সঞ্চয় করে নেই...

৪৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:২৩

মলাসইলমুইনা বলেছেন: এই লেখার মধ্যে করুনাধারা বিতরণের কোনো ব্যাপারতো নেই দেখি ! কঠিন বিষয়ে কঠিন (মানে দারুন) অনুসন্ধিৎসু লেখা। নিজের আগ্রহের কারণেই পড়া শুরু করেছিলাম কিন্তু আপনার লেখার টানটান ব্যাপারটাই লেখাতে আটকেও রাখলো শেষ পর্যন্ত। যাহোক, সবাই সব বলে শেষ করে ফেলেছে, আমার জন্য খুব বেশি কিছু বাদ রাখেনি।তাই অল্প কিছু কথা বলি ।

আমি একটু কনফিউজড হলাম ইনহেলার ইউজ করলে রোজা ভাঙার যে ফতোয়া/যুক্তিগুলো দেয়া হচ্ছে সেগুলো নিয়ে। মুখ দিয়ে ইনহেলার নিলেও ইনহেলারের ইনগ্রিডিয়েন্টগুলো যেহেতু এয়ার করভার্সন হিসেবেই মুখে ঢোকে তাই তাতে রোজা ভাঙ্গারতো কথা না । আমাদের গলায় মুখের সাথে সংযুক্ত দুটো নালী বা পাইপ আছে। একটা এসোফাগাস (esophagus) আর একটাকে বলে ট্রেচিয়া (trachea)। এই দুটো পাইপ পাশাপাশি মুখে থেকে গলা হয়ে শরীরের বিভিন্ন অর্গানের সাথে সংযুক্ত। এসোফাগাস দিয়ে মুখ দিয়ে নেয়া খাবার পাকস্থলীতে যায় । আর মুখ বা নাক দিয়ে নেয়া বাতাস ট্রেচিয়া দিয়ে লাংসে যায়। বাতাসতো পাকস্থলীতে যাবে না সাধারণত। খাবার সময় এ'রকম অনেক সময় হয় বলেই মানুষ চোক করে। তাই এয়ার হিসেবে মুখ দিয়ে নেয়া ইনহেলার ইনগ্রিডিয়েন্স পাকস্থলীতে যাবে আর রোজা ভেঙে যাবে সেই যুক্তিটা খুব লজিকাল না। আরেকটা কথাও আছে এখানে,খুবই ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে গেলে অনেক সময় মানুষ মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়।তাহলে কি সেই শ্বাস নেবার কারণেও রোজা ভাঙবে কারণ সেই বাতাসও পাকস্থলীতে যেতে পারে জলীয় বাস্পসহ? ইসলামিক সোসাইটি অফ নর্থ আমেরিকা (ISNA)-র ফিকাহ কাউন্সিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডক্টর মুজাম্মিল সিদ্দিকী ইনহেলার ইউজ করলে রোজা ভাঙবে কি না এ'ধরণের একটা প্রশ্নের উত্তরে সৌদি আরবের এক সময়ের গ্রান্ড মুফতি আর খ্যাতিমান মুসলিম স্কলার শেখ আবুল আজিজ ইবনে বাজ-এর একটা ফতোয়ার কথা বলেছেন।সেটা আমার কাছে লজিকাল লেগেছে। ফতোয়াতে সূরা আল আনামের ১১৯ নং আয়াত,"--- আল্লাহ ঐ সব জন্তুর বিশদ বিবরণ দিয়েছেন, যেগুলোকে তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন; কিন্তু সেগুলোও তোমাদের জন্যে হালাল, যখন তোমরা নিরুপায় হয়ে যাও---" উল্লেখ করে শায়খ ইবনে বাজ বলেছেন,যাদের জন্য ইনহেলার আবশ্যক তাদের ইনহেলার নেয়া জায়েজ (permisable)।এটা জায়েজ কারণ ইনহেলার খাবার বা ড্রিঙ্কের সাথে তুলনা করা যায় এমন কিছু না বরং এটাকে ব্লাড টেস্ট বা নন নিউট্রেশনাল ইনজেকশনের সাথে তুলনা করা যায়। ইবনে বাজের ফতোয়া উল্লেখ করে ডক্টর মুজাম্মিল আরো বলেছেন ইনহেলার আসলে সত্যিকার অর্থে শুধু কিছু ময়েশ্চার জোগাতে পারে।এটা মুখ দিয়ে পানি পান করার মতো (তৃষ্ণা দূর করা মতো)বা খাবার খাওয়ার মতো (ক্ষিধে দূর করার মতো) কিছু না। তাছাড়া আমরা যখন শ্বাস নেই তখন কিছু ময়েশ্চার আমাদের গলায় ঢোকে আর তার জন্য আমাদের রোজা ভাঙে না। সেই একই কারণে ইনহেলার ব্যবহার করাতেও রোজা ভাঙার কারণ নেই ।

যাক, এই লেখার জন্য দেরিতে হলেও অবশ্যই একটা বড় ধন্যবাদ আপনাকে দেয়া দরকার আরো দেরি না করেই । ব্লগে ইসলামের পক্ষে অনেক কথাই শুনি , অনেক ফতোয়ার কথাও শুনি। সেটা শুনে পক্ষে বিপক্ষে বন্যাধারার মতো ব্লগারদের নিজস্ব আর্গুমেন্টও শুনি। ইসলামের বিপক্ষেও অনেক কথাই (বকাবাজিও পড়তে পারেন) শুনি। কিন্তু মূল ইস্যুগুলো নিয়ে খুব বেশি ব্লগার আরো জানার চেষ্টা করেন না বলে মনে হয় না (তাদের সোর্স ছাড়া মন্তব্য দেখে এই ধারণা আমার) । আপনি সেটা করেছেন সেজন্য ভালো লাগছে (আপনি অবশ্য সব সময়ই করেন সেটা তবুও সেটা সবাইকে আবারো জানাতে এই মন্তব্যে)।এই অনুসন্ধিৎসু লেখাটা অন্য যে কোনো ব্লগারের চেয়ে আপনি লিখেছেন বলেই আরো বেশি ভালো লাগলো । ভালো থাকবেন ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫০

করুণাধারা বলেছেন: আমাদের গলায় মুখের সাথে সংযুক্ত দুটো নালী বা পাইপ আছে। একটা এসোফাগাস (esophagus) আর একটাকে বলে ট্রেচিয়া (trachea)। এই দুটো পাইপ পাশাপাশি মুখে থেকে গলা হয়ে শরীরের বিভিন্ন অর্গানের সাথে সংযুক্ত। এসোফাগাস দিয়ে মুখ দিয়ে নেয়া খাবার পাকস্থলীতে যায় । আর মুখ বা নাক দিয়ে নেয়া বাতাস ট্রেচিয়া দিয়ে লাংসে যায়। বাতাসতো পাকস্থলীতে যাবে না সাধারণত। খাবার সময় এ'রকম অনেক সময় হয় বলেই মানুষ চোক করে। তাই এয়ার হিসেবে মুখ দিয়ে নেয়া ইনহেলার ইনগ্রিডিয়েন্স পাকস্থলীতে যাবে আর রোজা ভেঙে যাবে সেই যুক্তিটা খুব লজিকাল না।

খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা তথ্য দিয়েছেন মলা......
হেঁচকি ওঠা যে খাদ্য নালীতে বাতাস ঢোকার জন্য হয় সেটা একবারও মাথায় আসে নি। সত্যিই তো, ইনহেলারের এই গ্যাসীয় পদার্থ খাদ্যনালীতে চলে গেলে তো হেঁচকি উঠতো! তা ওঠে না, অর্থাৎ খাদ্যনালীতে যাচ্ছে না। আসলে এটার ব্যবহার এমনভাবে করা হয় যেন পুরোটাই শ্বাসনালীতে যায়, যেমন ইনহেল করার আগে ভালভাবে এক্সহেল করতে হবে যেন ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি করে পুরো গ্যাস শ্বাসনালীতেই যায়। আর যদি পুরোটাই পাকস্থলীতে যায়, তাতে কিভাবে রোজা ভাঙ্গবে? ১০০ মাইক্রোগ্রাম বা ২৫০ মাইক্রোগ্রাম কতটুকু পদার্থ? এক কেজির দশ হাজার ভাগের একভাগ পদার্থ খাওয়াকে আহার বলা যায়? মোল্লারা জোব্বা পড়ে ফতোয়া দেবার আগে ওজন সম্পর্কিত এইটুকু জ্ঞান অর্জন করলে হয়তো এমন ভুল তথ্য দিতেন না, তাই বলে একজন ব্লগার নিজেকে সঠিক প্রমাণ করার জন্য বলে বসলেন ইনহেলারের ওষুধ মগজে পৌঁছে যায় বলে রোজা ভেঙে যায়!!! উদাহরণ হিসেবে সলবিউটামল ইনহেলারের কথাই ধরা যাক। সলবিউটামল ইনহেলার নেয়া হয় এবং প্রথমবার ওষুধ গ্রহণের মাত্রা যদি হয় ৪০ থেকে ১০০ মাইক্রোগ্রাম, তবে সর্ব্বোচ্চ প্লাজমা ঘনত্বে (Peak Plasma Concentration) পৌঁছাতে সময় লাগবে ৩-৫ ঘন্টা। রক্তে পৌঁছালে যেহেতু ওষুধ মগজে পৌঁছে, সুতরাং রোজা ভেঙ্গে যাবে। আবার উনার পোস্টে উনি বলেছেন, রোজা অবস্থায় মস্তিষ্কের অপারেশনে ঔষধ ব্যবহার করা হোক না হোক, রোজা ভাঙ্গবে না। (আল মাকালাতুল ফিকহী) একজন ব্লগারের কি উচিত না ব্লগে লেখার সময় নিজের মস্তিষ্কের ব্যবহার করা?

যাকগে এসব। অনেক দিন পর আপনার মন্তব্য, সুচিন্তিত মন্তব্য পেয়ে খুব ভাল লাগল মলা...... শিগগিরই আপনার পোস্টে যাবার আসা রাখি। ভালো থাকবেন।

৫০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দাওয়াত দিতে আইলাম আপা। একটা পোষ্ট দিসিলাম। গরীবের পোষ্টটা আপনার নজর এড়ায়ে গেছে মনে হয়!! :((

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫১

করুণাধারা বলেছেন: দাওয়াত কবুল!

৫১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তার সাথে আপ্নের দেখা হইলে বইলেন জুন আপা শডেগনে বইসা আছে =p~ এইটা জুন আপা আপনারে বলতে বলছে। মেসেজ কনভে করলাম! জুন আপার পোষ্টের দাওয়াত এইটা!!! :-B

১৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: জুন আপা শডেগনে বইসা আছে

ওই রকম মনি মুক্তায়ালা পোস্টে যাওয়ার একটা প্রিপারেশন লাগে না? যাক, এতদিনে সাহস করে ঢুঁ মারতে পারলাম!!

আপনাকে ধন্যবাদ হরকরার কাজ করার জন্য। :P

৫২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৫৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: নতুন কোনো পোস্ট দিচ্ছেন না যে আপি

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৪

করুণাধারা বলেছেন: দিতে ইচ্ছা করে, ইনশাআল্লাহ তাড়াতাড়ি দিব।

সুস্থ থাকুন, শুভকামনা।

৫৩| ১১ ই মার্চ, ২০২১ বিকাল ৫:৩১

অক্পটে বলেছেন: ইনহেলার নিলে রোজা ভেঙ্গে যাবে এটা একটা হাস্যকর যুক্তি! ইসলাম একটি যৌক্তিক ধর্ম এটাকে হাস্যকর বানাচ্ছে ধর্মান্ধরা। মরে যাক তবুও রোজা যেন না ভাঙ্গা হয়!!!!! আমার মা মারা গেছেন এই রকম ধর্মান্ধ বলদদের অযৌক্তিক মাসায়েলের ফাঁদে পড়ে। সবখানে এসেই তাদের মাসায়েল দুটো হয়ে যায়। একজন একভাবে বানায় আরেকজন আরেকভাবে। সহজ কোন কথা নেই।ইসলামের সৌন্ধর্য ওদের কারণে ম্লান হয়ে যায়।

১৮ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: ইসলাম একটি যৌক্তিক ধর্ম এটাকে হাস্যকর বানাচ্ছে ধর্মান্ধরা। মরে যাক তবুও রোজা যেন না ভাঙ্গা হয়!!!!! একদম ঠিক। আমি আগে হুজুরের ফতোয়া শুনে ইনহেলার না নিয়ে একটু বাতাসের জন্য খাবি খেতে খেতে মাগরিবের আজানের অপেক্ষা করতাম। হুজুরের ফতোয়া হচ্ছে, এমন হলে কাযা রোজা করতে, ক্রনিক রোগী কাযা করবে কীভাবে?

এত অল্প পরিমাণ ওষুধে পানাহার হয় কিনা যাচাই না করে তারা ফতোয়া দেন।

আপনার মায়ের জন্য দোয়া করি। উনার মত আর কেউ যেন মিথ্যা ফতোয়ার ফাঁদে না পড়েন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.