নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মা আর নানীর সময়ের গৃহসজ্জার প্রধান উপকরণ ছিল নানাধরণের সূঁচিশিল্প। বিভিন্ন ধরণের কাপড়ে, বিভিন্ন রঙের সুতা ব্যবহার করে তারা যে শিল্পকর্ম করতেন, এযুগে এমনটা আর দেখা যায় না। বিছানার চাদর, বালিশের ওয়াড়, টেবিল ঢাকা কাপড়, ড্রেসিং টেবিলের আয়নার কাপড়, সোফার পিঠের, রেডিও ঢাকার কাপড়ের উপর তাঁরা রঙিন সুতোয় ফুটিয়ে তুলতেন ফুল লতাপাতার ছবি। আবার এই কাপড়গুলোর ধার মুড়ে বোতাম ঘর সেলাই করতেন, যাতে কাপড়টির স্থায়িত্ব বাড়ে এবং দেখতেও সুন্দর দেখায়! সেলাই দেখেই বাড়ির গৃহিণীর রুচির পরিচয় পাওয়া যেতো। কোনো বাসায় গেলে যদি দেখা যেতো ক্যাটক্যাটে লাল জবা ফুল আর ক্যাটক্যাটে সবুজ পাতার সূঁচিকর্ম, তখন বোঝা যেতো গৃহিণীর রুচি বড় চড়া ধরনের। আবার সূঁচিকর্ম যদি হতো স্নিগ্ধ রঙের সুন্দর শেড সুতা দিয়ে করা, তাহলে বোঝা যেত গৃহিণী রুচি স্নিগ্ধ ধরনের!
এই ধরণের সূঁচিকর্মকে বলা হয় এমব্রয়ডারি, আমার নানী বলতেন "এম্বডারি"। আবার এমব্রয়ডারিরও আলাদা নাম আছে যেমন ভরাট সেলাই(সাটিন স্টিচ), চেইন স্টিচ, লেজিডেজি, হেরিং বোন, শ্যাডো ওয়ার্ক, ফ্রেন্চ নট, গুজরাটি স্টিচ ইত্যাদি। সেলাই গুলোর নাম যেহেতু ইংরেজি, তাই মনে হয় এগুলো বিলাত থেকে এদেশে এসেছে। কিন্তু কিভাবে বিলাতি সেলাই এদেশের ঘরে ঘরে ঢুকে পড়লো তা জানিনা, এ জীবনে আর জানাও হবে না।
এই সেলাই করা হতো যে সুতা দিয়ে সেগুলো ছিল বিলেতি, তার নাম ছিল লাসি সুতা। সুতার লাসিতে কাগজের ট্যাগ লাগানো থাকতো, তাতে একটা নাম্বার দেয়া থাকতো সুতার রং বোঝাতে। সেলাই করতে করতে সুতা শেষ হয়ে গেলে সেই নাম্বার অনুযায়ী রং মিলিয়ে আবার সুতা কেনা যেত।
এমব্রয়ডারি যদি বিদেশী ধরণের সেলাই হয়, তবে কাঁথা সেলাই আমাদের দেশের আদি এবং খাঁটি দেশী ধরণের সেলাই। আজকাল এই সেলাইকে বলে কাঁথা স্টিচ। এও সূঁচ সুতার এক আশ্চর্য শিল্প কর্ম! কোন রকম নকশা না এঁকেই কাঁথার উপর জীবনের নানা ছবি এঁকে চলতেন গৃহিণীরা। কাঁথা সূঁচিকর্মের কদর আগে তেমন ছিল না, এখন বেড়ে চলেছে। কাঁথা সেলাইয়ের জন্য রঙিন সুতা গৃহিনীরা কিনতেন না, বলা যায় কেনার পয়সা থাকতো না। তাঁরা পুরানো শাড়ির পাড়ের সুতা খুলে আলাদা আলাদা রঙের গুটলী বানিয়ে রাখা রাখতেন পরে সেই সুতা দিয়ে কাঁথা সেলাই করতেন। সে সময় আজকের মতো নানাধরণের শাড়ি ছিল না, মহিলারা পরতেন একরঙা জমিনে সুতার নকশী পাড় শাড়ী, তাই সুতা সহজেই সংগ্রহ করা যেত। এই নকশী পাড় দিয়ে আবার জায়নামাজও তৈরি করতেন তারা, কারণ সেসময় আজকালকার মতো মখমলী জায়নামাজ পাওয়া যেতো না। বিভিন্ন রঙের, বিভিন্ন নকশার পাড় জোড়া দিয়ে সুন্দর নকশার জায়নামাজ তৈরি হতো। এই ধরণের জায়নামাজের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম, আমার মায়ের মৃত্যুর পর একদিন মায়ের আলমারির এককোণে একটা শাড়ির পাড়ের জায়নামাজ দেখে মনে পড়লো, একসময় আমাদের মত মধ্যবিত্ত বাড়িতে বেশিরভাগ এধরণের জায়নামাজই থাকতো...
নকশী কাঁথা সেলাইয়ে ফিরি। আমার মা বা নানী নকশি কাঁথা শিল্পে পারদর্শী ছিলেন না, তাই এই অত্যাশ্চর্য জিনিসটি কীভাবে তৈরি হতো সে সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই।
কাট ওয়ার্ক বলে এক ধরনের সেলাই ছিল, যেখানে বোতাম ঘর নামের সেলাই দিয়ে ফুল লতাপাতা আঁকা হতো কাপড়ে। তারপর এর মাঝ থেকে কিছু কিছু কাপড় কেটে নেয়া হতো। এটাও সম্ভবত আমদানিকৃত সেলাই। আজকাল আর হাতে করা কাট ওয়ার্ক সেলাই দেখতে পাই না।
ক্রস স্টিচ নামক সেলাই দিয়ে খুবই সুন্দর বিছানার চাদর হতো। "সেলুলা" নামে একধরনের ফুটাওয়ালা কাপড় পাওয়া যেত, অনেকটা চটে যেমন ফুটা থাকে, তেমনি। এই কাপড়ে ক্রস সেলাই দিয়ে সুন্দর সব ছবি আঁকা হতো চাদরে।
ক্রস স্টিচের ছবি আঁকা হতো গ্রাফ পেপারে, সেই ছবি দেখে ঘর গুনে গুনে সেলাই করতে হতো। এটা বেশ কঠিন কাজ, কিন্তু এই সেলাই এত সুন্দর যে সেলাই শেষ হলে মনে হতো পরিশ্রম সার্থক হয়েছে!
এমব্রয়ডারির নকশার বই কিনতে পাওয়া যেত নিউমার্কেটে, কিন্তু আমার মা এই অহেতুক খরচ করতেন না। ফুল পাতা আঁকতে পারে এমন কাউকে দিয়ে মা কাগজের উপর ছবি আঁকিয়ে নিতেন, এটা সযত্নে রেখে দিতেন এমব্রয়ডারির নকশা হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। সেই কাগজের নিচে কার্বন পেপার তার নীচে কাপড়, এভাবে রেখে নকশার উপরে পেন্সিল ঘুরিয়ে নিলেই কাপড়ের উপর কার্বনের দাগে নকশা ফুটে উঠতো, তারপর সেলাই করলেই ফুল পাতা... কার্বন পেপারও পয়সা খরচ করে কিনতেন না, আব্বার অফিসের টাইপ রাইটারে ব্যবহৃত কার্বন পেপার সংগ্রহ করে ব্যবহার করতেন।
আজ আর সেই টাইপ রাইটার নেই অফিসে, কার্বন পেপারও নেই, সেই এমব্রয়ডারি করার মানুষগুলোও নেই...
এসব ছাড়াও আরেক ধরণের সূঁচিশিল্পের চল ছিল নানীর সময়ে, যা পরবর্তীতে আর দেখা যায় নি। কাপড়ের উপর সূঁচিশিল্পের মাধ্যমে কোনো দার্শনিক উক্তি লেখা হতো, তারপর তাকে ফ্রেম করে ঘরের দেয়ালে ঝুলিয়ে দেয়া হতো। এর উদ্দেশ্য কী ছিল গৃহিণীর সূঁচিশিল্পে নৈপূণ্য প্রদর্শন, নাকি গৃহিণীর দার্শনিক মনের প্রকাশ করা, সেটা বুঝতে পারিনি। আমার নানাবাড়িতে ফ্রেমে বাঁধানো নানীর সেলাই করা এই বাণীটি ছিল:
"হৃদয় বোঁটায় আর ফোঁটে না,
ঝরলে পরে আয়ুর ফুল।"
অনেক ভেবেও এই বাক্যের অর্থ উদ্ধার করতে পারিনি, কিন্তু নাম- দেশ- ফুল- ফল খেলায় ফুলের নাম হিসেবে "আয়ু" লিখতাম। কেউ সন্দেহ পোষণ করলে বিপুল প্রতাপে জানাতাম যে এটা আমার নানীর পরিচিত ফুল, অবশ্যই আয়ু নামে ফুল আছে!
অনেক পরে বুঝতে পেরেছি, লেখার ওপর সূঁচিশিল্প নানীর করা হলেও, লেখাটা নানীর না! নানীর হয়তো আমার মতোই এর অর্থ বুঝতে পারেননি।
আরেক ধরণের সেলাই তাঁরা করতেন, তার নাম রিফু সেলাই। শক্ত পোক্ত কাপড় যদি কোনো কিছুতে খোঁচা লেগে ফেঁসে যেত, তাহলে সেই কাপড় বাতিল করে না দিয়ে, সেই কাপড় থেকে কিছু সুতা নিয়ে সোনামুখী সুঁই নামক সরু সুঁই দিয়ে ছেঁড়া জায়গা এমনভাবে রিফু সেলাই করা হতো, যে বোঝাই যেত না কোনো ছেঁড়া ছিল। আমি অবশ্য রিফু সেলাইয়ে পারদর্শী নই, আর এখন তো ছেঁড়া কাপড় বাতিল করে দেয়াটাই দস্তুর, কে আর এখন ছেঁড়া কাপড় রিফু করে! রিফু নামে কোনো সেলাই আছে তাই এখন কেউ জানে না।
আমি এইসব সেলাই খুব ভালো পারতাম না, কিন্তু অন্য একটা সেলাই খুব পারতাম, যা আমার মা বা নানী কখনো করেননি। এই সেলাইয়ের নাম স্মকিং। আমি নিজের জন্য আর পরে ছোটমেয়েদের জন্য স্মক করা জামা অনেক বানিয়েছি।
এতক্ষণ যে এতরকম সেলাইয়ের কথা বললাম সেগুলো আমি নিজে না করলেও চোখে দেখেছি, নামও জানি। কিন্ত আমার মেয়ে এসব কিছুই জানে না। স্কুলের সেলাই ক্লাসের জন্য ছাড়া সে কখনো কোন সেলাই করেনি। তাই বলা যেতেই পারে, আমাদের চার প্রজন্মের মধ্যে আমিই শেষ যে কিনা হাতে সেলাই করতো!! এখন তো হাতে এমব্রয়ডারির যুগ শেষ, চলছে মেশিনে এমব্রয়ডারির যুগ।
মেশিনের কথায় মনে পড়লো, আমার মা-নানীর সময়ে মেশিনে সেলাই করাটা মহিলাদের অবশ্য কর্ম ছিল। তাঁদের সময় পুরুষদের পরিধেয় কাপড় বাদে বাড়ির আরও সমস্ত কাপড় তাঁরা সেলাই মেশিন দিয়ে সেলাই করতেন। কী সেলাই করতেন? বালিশের ওয়াড়, পর্দা, টেবিল ক্লথ, পরিধেয় পোষাক আরো অনেক কিছু। সেলাই মেশিনে সেলাই করে বাঙালি মধ্যবিত্ত ঘরের নারীরা সংসারে অনেক সাশ্রয় করতেন। পুরোনো দিনের সিনেমাতে প্রায়শই সেলাই মেশিনের দেখা মিলতো, বাড়ির দশভুজা নারীটি একহাতে সংসারের সমস্ত কাজ শেষে বাড়তি রোজগারের জন্য মেশিনে সেলাই করে চলেছেন এমন দৃশ্য থাকতো সিনেমায়। মেশিনে সেলাইকারী হিসেবে শাবানা রয়েছেন প্রথম স্থানে। আবার সত্যজিৎ রায়ের "মহানগর" ছায়াছবিতে দেখা গেল বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেলাই মেশিন বিক্রি করছেন মাধবী মুখোপাধ্যায়।
আমার নানীর ছিল সিঙ্গার পা মেশিন, আমার মায়ের ঊষা কোম্পানির হাত মেশিন। সেই মেশিনে আমি দীর্ঘদিন নিজের পোশাক সেলাই করেছি, দর্জির খরচ বাঁচানোর জন্য। নিজের সংসারে আমি কিনেছিলাম একটা ব্রাদার ইলেকট্রিক সেলাই মেশিন, যাতে বিভিন্ন ধরনের এমব্রয়ডারি করা যেত। অবশ্য সেই মেশিনে সেলাই বেশিদিন করিনি, কারণ ততোদিনে দর্জির খরচ বহন করার মতো স্বচ্ছলতা এসেছে আমার, আবার অনেক বুটিক শপে পছন্দনীয় পোশাক পাওয়া যায়, সর্বোপরি সময়ের অভাব। বালিশের ওয়াড়, পর্দা এইসবই এখন বাজারে এতটাই সহজলভ্য যে, এখন কেউ ভাবতেই পারবে না একসময় এইসব জিনিস কেউ বাড়িতে সেলাই করতো!! আজকাল তো কেউ এসব সেলাই করে না; আমার মেয়ে একবারও সেলাই মেশিনে সেলাই করেনি, সেই অবকাশ অথবা আগ্রহ তার কখনোই হয়নি। অর্থাৎ সেলাই মেশিন ব্যবহারকারী আমিই ছিলাম শেষ প্রজন্ম!
অথচ আমাদের ছাত্রাবস্থায় মনে হয় শুধু আমাদের দেশে নয়, বিদেশেও আমাদের মতোই সেলাই মেশিন ব্যবহৃত হতো। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার এক বান্ধবী ছিল খুবই ফ্যাশন সচেতন, সে আড়ংয়ের ডিজাইনারও ছিল। সে বিলাত থেকে একধরনের কাগজ আনতো যেটা কাপড়ের উপর ফেলে ইস্ত্রি করলে কাপড়ে দুই লাইন দাগ পড়তো, একটা দাগ বরাবর কাপড় কেটে নিলে মাপ মতো পোশাক কাটা হতো, আরেকটা দাগ বরাবর সেলাই করলেই পোষাক তৈরি হয়ে যেত। মনে হয় বিলাতেও এমন মানুষ ছিল যারা এই কাগজের সাহায্যে কাপড় কেটে ঘরে বসে সেলাই করতো। আমার এই বান্ধবী ছিল উচ্চবিত্ত পরিবারের, সে নিজের পোশাক সেলাই করতো দেখে আমার মনে হয়, সেটা একটা সময় ছিল যখন এদেশে মধ্যবিত্ত উচ্চবিত্ত নির্বিশেষে অধিকাংশ পরিবারেই ঘরে সেলাইয়ের চল ছিল। আজ এই জিনিস আর দেখা যায় না।
আর ছিল উল বোনা!! অবসর সময়ে মা- খালারা উল দিয়ে সোয়েটার, মাফলার, মোজা,কানঢাকা টুপি বানাতেন, এসব যে তৈরি অবস্থায় দোকানে পাওয়া যেতে পারে তা বোধহয় কেউ কল্পনাও করতো না। বাসার ছোট-বড়, পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে সকলের জন্য এসব বানানো হতো। কত তার ডিজাইন, সেই ডিজাইন আবার একজন আরেকজনের থেকে শিখতেন, বেশি অভিজ্ঞরা ডিজাইন দেখেই সেটা তুলে নিতে পারতেন । আমার প্রিয় ছিল বকুল ফুল ডিজাইন, আর দুই রঙের উল দিয়ে খোপ খোপ করে বোনা ডিজাইন।
একটা সোয়েটার যে মাত্র একজন মাত্র এক বছর পরবে এমন চিন্তা করে বোনা হতো না, মোটামুটি একটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে সোয়েটার বোনা হতো। যার জন্য সোয়েটার বোনা হবে, প্রথমে তার সোয়েটারের লম্বার মাপ নেয়া হতো আঙুলের হিসাবে, মাপার ফিতা সবার ঘরে থাকতো না। একইভাবে গায়ের মাপ, হাতের মাপ নেয়া হতো। এরপর এইসব মাপের সাথে আরো কয়েক আঙ্গুল করে যোগ করে বড় মাপের সোয়েটার বানানো হতো, যেন দু-তিন বছর পর লম্বায় বাড়লেও সোয়েটারটা পরা যায়। সেই সোয়েটার ছোট হয়ে গেলে ছোট ভাইবোন কেউ আরো কিছুদিন পরত। একেবারে যখন আর কেউই পরার মত থাকতো না, তখন সেই সোয়েটার খুলে উলের বল বানিয়ে রাখা হতো। বিভিন্ন রঙের এই বল দিয়ে নতুন ডিজাইনে কারো জন্য সোয়েটার হতো। আবার কখনো এক রঙের সোয়েটারের বুকে অন্য রঙ দিয়ে কোন ছবি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা হতো, অধিকাংশ সময়েই সে চেষ্টা বিফলে যেতো। আমার একটা লাল সোয়েটারে ছিল হলুদ হরিণের ছবি, একজন দেখে জিজ্ঞেস করেছিল, "এটা কি গরু?" আমি মাকে গিয়ে একথা বলায় মা বললেন, "হরিণের শিং দু'টা বোঝা যাচ্ছে না তো, তাই..."
মা যখন আমার জন্য নতুন সোয়েটার বানাতেন, লম্বার মাপ নিতেন মাঝে মাঝে, তখন সেটা শেষ হবার জন্য অধীর প্রতীক্ষায় থাকতাম। আর তা গায়ে দেবার পর যে অপরিসীম আনন্দ... এই অনুভূতিগুলো আমার মেয়ের কখনো হয়নি। তার জন্য কেনা হতো নানা রকমের অনেক সোয়েটার। সেগুলো সুন্দর, কিন্তু মায়ের হাতে বোনা সোয়েটারে যে ভালবাসা জড়িয়ে থাকে তা তো আর থাকতো না!
আমি প্রথম সোয়েটার বুনেছিলাম দশ বছর বয়সে, নিজের জন্য। সবার কাছ থেকে অল্প করে উল চেয়ে নিয়ে বিচিত্র বর্ণের একটা সোয়েটার বুনেছিলাম। উল কম পড়েছিল, তাই সোয়েটারের হাতা পুরো লম্বা হয়নি। অবশ্য এর জন্য আমার আনন্দ কিছু কম পড়ে নি!!
উল বোনা এখন কেবলই স্মৃতি। অনেক বছর যাবত বোনা ছেড়েছি, হাতে বোনা সোয়েটারের কদর আর নেই। আজকাল কাউকেই আর বুনতে দেখি না। আমার মেয়ে অবশ্য স্কুলের সেলাই ক্লাসের জন্য মোজা, মাফলার বুনে ছিল। কিন্তু সে কোনদিন জানেনি সোয়েটার বোনার আনন্দ কেমন হয়! অবশ্য আমার এক তিরাশি বছর বয়স্কা খালা আছেন, তিনি এখনও নিয়মিত বুনে চলেন ইউ টিউবে ডিজাইন দেখে, তার নাতনীর ছেলেমেয়েদের জন্য। সেই বাচ্চারা বিদেশে থাকে, হয়তো তারা এখনো হাতে বোনা সোয়েটারের কদর করে।
এদেশে সাধারণ মানুষের ঘরে উল বোনার প্রচলন কবে আর কীভাবে শুরু হয় আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে। আমার মনে হয় এর শুরু গত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে, কারণ আমি বিশ, ত্রিশ আর চল্লিশের দশকের কিছু পারিবারিক ছবিতে দেখেছি, ছোট-বড় নির্বিশেষে পুরুষরা কোট আর মহিলারা শাল পরে আছেন, কেউ সোয়েটার পরা নেই। তাই মনে হয় বাড়িতে উল বোনা শুরু হয়েছে এই সময়ের পরে থেকে।। কীভাবে শুরু সেটা ভাবতে গিয়ে আমার মনে হয়েছে, এদেশীয় কোন বিলাত ফেরত নারী হয়তো শুরু করেছিলেন আর দ্রুত তা ছড়িয়ে যায়। বিলেত ফেরত বললাম এজন্য যে, এই উল আর বোনার কাঁটা সবই আসতো বিলাত থেকে। উলের নাম্বার থাকতো সরু থেকে মোটা অনুযায়ী, আবার উল বোনার কাঁটা বিভিন্ন নাম্বারের হতো, সবই বিলেতি জিনিস।
আরেকটা সেলাই ছিল কুর্শি কাঁটার লেস বোনা, মা আর নানীর সময়ে কুর্শি কাঁটার সেলাই নারীদের প্রায় সকলেই করতেন। কত রকম টেবিল- ঢাকা আর লেস বানানো হতো! সুতার নাম ছিল ক্রচেট সুতা, গুটলী করা থাকতো সুতা। ক্রচেট সুতা হতো সাদা, লেস বানানোর সময় মাঝে মাঝে এরসাথে রঙিন পুঁতি দিয়ে এখন চমৎকার শিল্পকর্ম হতো। আসলে সেকালে যারা কুরুশ বুনতেন তারা সকলেই দক্ষ শিল্পী ছিলেন। কুরুশের সেলাই আমি খুব কম করেছি, সারাজীবনে শুধু একবার একটা উলের শাল আর একবার মেয়ের জামার লেস। আমার মেয়ে কুর্শির লেস করা দূরে থাক, দেখেছেই খুব কম, এযুগে আর কেউ কুরুশের টেবিল ঢাকা, রেডিও- টেলিভিশন ঢাকা এসব বানায় না।
আজকাল কোনো মহিলা সেলাই করেন শুনলেই মনে হয় তিনি গার্মেন্টস কর্মী!! অথচ একসময় আমাদের মা- নানী অনেক, আর আমিও কিছু কিছু সেলাই করেছি! আমার খুব অবাক লাগে ভাবতে, আমার মা- নানীরা তাদের সংসারের বিপুল কর্মকাণ্ড সামলে কীভাবে এত সেলাই করতেন; নানীর ছিল ডজন খানেক ছেলেমেয়ে, মায়ের হালি খানেক আর আমার দুজন! আসলে সেযুগে তো মায়েদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে স্কুল কোচিংয়ে দৌড়াতে হতো না সারাদিন ধরে, টিভি- সিরিয়ালও দেখতে হতো না, কিন্তু আমাকে এসব করতে হয়েছে। তাই আমার সেলাই করার সময় হয়নি। তাঁরা রান্না আর ঘরকন্নার ফাঁকে ফাঁকে যেটুকু সময় পেতেন সেলাই করতেন। এটা ছিল তাদের বিনোদন। পাড়ার কয়েক জন মহিলা একসাথে বসে গল্পগুজব করার সময়ও বসে সেলাই করতেন, একজন আরেকজনের থেকে নতুন কোনো সেলাই শিখে নিতেন। তখন সেলাইয়ে পারদর্শী হবার একটা উদ্দেশ্য ছিল বিয়ের বাজারে দাম বাড়ানো। আমার মায়ের সময়ে মেয়েদের বিয়ের সময় যেসব গুণ নির্ণয় করে পাত্রী নির্বাচন করা হতো তার অন্যতম ছিল সেলাই কাজে দক্ষতা। আমার সময়ে এই দক্ষতার দাম পড়ে গেছে, তাছাড়া বিয়ের বাজারে দাম বাড়াতে আমি এত কষ্ট করতে অনিচ্ছুক ছিলাম, ফলে আমার দ্বারা তেমন সেলাই কর্ম সম্পন্ন হয়নি। আর আমার কন্যা... তার সময় হাতের মুঠোয় বিশ্ব চলে এসেছে, সেলাই করা তার কাছে নিছকই সময় নষ্ট...
===================================
আমার নানী, মা, আমি, আমার কন্যা- এই চার প্রজন্মের জীবনের নানা দিক নিয়ে আমি মাঝে মাঝে কিছু লিখি, তারপর সেটা শেষ না করে ফেলে রাখি। এই লেখাটা মোটামুটি শেষ করা ছিল। তাই শৈশবের স্মৃতিচারণ নিয়ে ব্লগে পোস্ট দেখে আমার মনে হলো (এই লেখাও অনেকটা স্মৃতিচারণমূলক, যদিও শৈশবের স্মৃতিচারণ নয়) এটা পোস্ট করে দেই। তাই করলাম।
১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই, বাক্যটির অর্থ ব্যাখ্যা করার জন্য। দীর্ঘদিন ধরে এই বাক্যটা আমার মাথায় রয়ে গেছে, আর আমি অর্থ খুঁজে বেড়িয়েছি...
এই লেখাটা অনেক আগে লিখেছিলাম, কিন্তু ব্লগে দেবো কিনা বুঝতে পারছিলাম না। এইসব সুঁই সুতার কাহিনীর সাথে পরিচিত কাউকে পাবো বলে সন্দিহান ছিলাম। ভালো লাগলো দেখে যে আপনি এইসব সেলাইয়ের অনেক কিছুর সাথে পরিচিত। আসলে এই সেলাই গুলো অনেকটা শিল্পকর্মের মতো ছিল, মা সেলাই শুরু করলে সন্তানেরা অধীর আগ্রহ নিয়ে তা শেষ হবার অপেক্ষা করতো, কখনো দুয়েক ফোঁড় দিত। আজকাল আর এমন দেখা যায় না।
আরেকবার ধন্যবাদ আপনার সেলাই অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য এবং দুটো সেলাই- বাণী দেবার জন্য। আমি চেষ্টা করেও কোনো বাণী মনে করতে পারিনি! তাজমহল সংক্রান্ত একটা সেলাই - বাণী ছিল বলে মনে হচ্ছে, বাণীর উপরে আঁকা তাজমহলের ছবি মনে করতে পারলেও বাণীটি মনে করতে পারছি না। এমন কতকিছু হারিয়ে গেছে...
২| ১৪ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৫০
অপু তানভীর বলেছেন: আমাদের বাসায় এখন উলের জায়নামাজ রয়েছে । আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন এটা বানানো হয়েছিলো । এটা কেবল মাত্র ঈদের নামাজের জন্য যখন যাই তখন বের করা হয় এখন ।
আসলে সেই সময়ে এই সবের প্রচলিন ছিল খুব । এখন আর নেই । কারণ হিসাবে বলা যায় এখন আমাদের হাতে অনেক অপশন রয়েছে । সেই মা নানীদের হাতের কাজ ছাড়া এই গুলো পাওয়া যেত না । চাইলেও খুব একটা জোগার করা যেত না কিন্তু এখন দেখেন চাইলেই এগুলো আমরা কিনে নিতে পারি খুব সহজেই । এই কারণে ধীরে ধীরে এসব করা আমাদের নানী দাদীরা কমিয়ে দিয়েছেন । এছাড়া তখন অবসর বিনোদনের অপশনও ছিল খুবই কম । সময় কাটানোর জন্যই মূলত তারা এই কাজ গুলো করতো । কিন্তু এখন অনেক কিছু হাজির হয়েছে সময় কাটানোর জন্য ।
১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: "তাছাড়া তখন অবসর বিনোদনের অপশনও ছিল খুবই কম" - এটাই আসল কথা। বলা যায় তখন বিভিন্ন রকম সেলাই করাটা মায়েদের- মেয়েদের একটা হবি ছিল বা প্যাশন ছিল। এতে যেমন অর্থ সাশ্রয় হতো, তেমনি শিল্প সৃষ্টির আনন্দ পাওয়া যেত। এখন তো আনন্দের আরো নানা রকম উপকরণ সহজলভ্য হয়ে গেছে।
উল দিয়ে বানানো জায়নামাজ দীর্ঘস্থায়ী হয়, কিন্তু এটাতো খরচ বেশি। তাই শাড়ির পাড়ের জায়নামাজ বেশি তৈরি হতো।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ অপু তানভীর।
৩| ১৪ ই মে, ২০২৩ সকাল ৯:৩৬
মিরোরডডল বলেছেন:
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটা অনবদ্য লেখা।
আমার মাকেও দেখেছি এমন, মায়ের কাছ থেকে বড় দুই বোনও অনেক কিছু শিখেছিলো এবং তাদেরকে করতে দেখেছি, বিশেষ করে হ্যান্ড স্টিচ। হাতের কাজের সাথে মেশিন এমব্রয়ডারির তুলনা হয়না।
মেশিন এমব্রয়ডারি ইজি, কিন্তু হাতের কাজ অনেক কঠিন, যার মধ্যে পরিশ্রমের সাথে জড়িয়ে থাকে একজন মানুষের কল্পনাশক্তি এবং আবেগ। এর মাঝে ক্রিয়েটিভিটি এবং সৌন্দর্যবোধ প্রকাশ পায়। সবাই এ কাজ পারে না, যারা পারে তারা অনেক গুণী।
১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: "হাতের কাজ অনেক কঠিন, যার মধ্যে পরিশ্রমের সাথে জড়িয়ে থাকে একজন মানুষের কল্পনাশক্তি এবং আবেগ" চমৎকার বাক্য মিড! এককথায় অনেক কিছু প্রকাশ পেয়েছে।
"এর মাঝে ক্রিয়েটিভিটি এবং সৌন্দর্যবোধ প্রকাশ পায়। সবাই একাজ পারে না, যারা পারে তারা অনেক গুণী।" একেবারে ঠিক। চড়া রঙের ব্যবহার, কিংবা যেনতেন ভাবে করা হাতের কাজ দেখলে বোঝা যায় যিনি এটা করেছেন তার সৌন্দর্যবোধ তেমন ভালো না।
৪| ১৪ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন। সন্ধ্যায় এই ব্যাপারে কিছু মন্তব্য করার ইচ্ছা আছে।
১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: উত্তর দিতে এত দেরি করায় দুঃখিত। ইতিমধ্যেই আপনি কয়েকবার ঘুরে গেছেন, অনেক ধন্যবাদ। আশা করি এক এক করে সব উত্তর দিতে পারব।
৫| ১৪ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:১৪
মিরোরডডল বলেছেন:
আরও একটা ছিলো আপু, অ্যাপ্লিক, ছোট ছোট কাপড়ের ডিজাইন করে সেটা আবার মেইন ফ্যাব্রিকের উপর হাতের সেলাই করে বসানো হতো। বিছানার চাদর, বালিশের ওয়াড়, এগুলোতো ছিলোই প্লাস নিজের ডিজাইন করা কাঁথা স্টিচ, অ্যাপ্লিকের শাড়ি সালোয়ার কামিজ মা বোনদেরকে পড়তে দেখেছি।
এই নকশী পাড় দিয়ে আবার জায়নামাজও তৈরি করতেন তারা
এরকম অবশ্য দেখিনি।
উল বোনার প্র্যাকটিসটা এখানে এখনও আছে।
অনেক সিনিয়রদের দেখি এই কাজটা খুব আনন্দের সাথে করে।
আমি একজনকে চিনতাম সে তার ৯৪ বছর বয়সেও সারাক্ষণ বসে বসে ছোট বাচ্চাদের উলেন ড্রেস বানিয়ে চ্যারিটিতে দিতো। আমিও তারসাথে কন্ট্রিবিউট করতে চাইতাম কিন্তু আমিতো এ কাজ পারিনা। তাই আমার পার্টিসিপেশন আমি তাকে উল কিনে দিতাম আর সে উলেন সোয়েটার বানাতো। সেগুলো প্রত্যন্ত শীতাঞ্চলের শিশু বাচ্চাদের জন্য ভারত চায়না নেপালে সেন্ড করা হতো। ২০১৮তে সে মারা যায়।
এরকম অনেক নিটিং গ্রুপ আছে, এদের দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে, যেমন ধারাপু এই পোষ্টে উল্লেখ করেছে।
হ্যান্ডমেইড এসব কাজের আবেদন এখনও আছে, কিন্তু সময়ের সাথে অনেক পরিবর্তিত হয়ে গেছে।
থ্যাংকস ধারাপু, অনেক মধুর স্মৃতি!
১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: আশ্চর্য মিড! আমি কী করে আ্যাপ্লিকের কথা ভুলে গেলাম! অনেক ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেবার জন্য। পরে কোন এক সময় এটা আমার পোস্টে যোগ করতে হবে, নাহলে সেলাই কাহিনী সম্পূর্ণ হবে না।
আরেকটা সেলাই ছিল, নানা রকম টুকরো কাপড় জুড়ে কিছু তৈরি করা। এর আধুনিক নাম প্যাচ ওয়ার্ক। এভাবে তৈরি হতো ঝোলা ব্যাগ, ট্রের ঢাকনী, এসব।
উলের সেলাই এখনও যারা করেন, তাদের বয়স অনেক বেশি। আমি উল্লেখ করেছি আমার একজন তিরাশি বছর বয়সী খালা এখনও উল বোনেন। কিন্তু কমবয়সীরা জানেই না কীভাবে উল বোনে। আমার মায়ের খুব শখের, যত্ন করে রেখে দেয়া কিছু উলের কাঁটা আছে। ক'দিন পর এগুলো ফেলে দিতে হবে, কারণ এগুলো ব্যবহার করার মতো কেউ আর নেই।।
৬| ১৪ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের সেলাই মেশিনের ব্যবসা আছে।
চায়না আর ইন্ডিয়া থেকে সেলাই মেশিন কিনে এনে সারা বাংলাদেশে সেল করা হয়। ইদানিং সেলাই মেশিনের চাহিদা কমে গেছে। ইলেকট্রিক মেশিনের চাহিদা বেড়েছে।
১৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:০০
করুণাধারা বলেছেন: যাক, এই পোস্ট দেবার সুবাদে জানা গেল আপনাদের সেলাই মেশিনের ব্যবসা আছে! আসলে আগে যেমন ঘরে ঘরে নিজেরা সেলাই করত, এখন আর সেটা হয় না। তাই সেলাই মেশিনের চাহিদা কমে গেছে। ইলেকট্রিক সেলাই মেশিন সম্ভবত গার্মেন্টসের ব্যবহার হয় তাই এগুলোর চাহিদা এখনো আছে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাজীব নুর।
৭| ১৪ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯
কাছের-মানুষ বলেছেন: লেখার বিষয়বস্তু সুন্দর। বাংলাদেশের প্রায় মেয়েকে আগে দেখতাম শেলাই পারত, এখন জানিনা অনেকে পারে কিনা! যখন ডেনমার্কে থাকতাম তখন কিছু মেয়েকে ট্রেনে বসে বসে উল বোনতে দেখেছি! তবে বাংলাদেশে মনে হয় এখন এগুলো আর তেমন কেউ করে না!
১৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:০২
করুণাধারা বলেছেন: অনেক দিন পর আপনাকে পেয়ে খুব ভালো লাগছে কাছের মানুষ। অনেক দিন আপনার কোনো পোস্ট পাই না!!
"Explainable hate speech detection in under-resourced Bengali language" মনে হয় খুব ইন্টারেস্টিং পেপার। এটা নিয়ে একটা পোস্ট দিতে পারেন। গুগল স্কলার থেকে দেখলাম আপনার অনেক পেপার আছে! অভিনন্দন জানবেন।
মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।
৮| ১৪ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:৪৬
আমি সাজিদ বলেছেন: কি চমৎকার পোস্ট! দেশে মোখার এই তান্ডবের সময়ে মন শান্তি করা লেখা এটা।
আমার নানা বাড়িতে নানীর সেলাই করা এই বাণীটি আছে -
" ফুল ফুটে ঝড়ে যায় দুনিয়ার রীতি
তুমি কিন্তু বন্ধু মোর রেখ মোর স্মৃতি "
পাশেই নানা নানীর বিয়ের ছবি। নানা মারা গেছেন ২০১৬ তে।
১৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:০৪
করুণাধারা বলেছেন: মনে শান্তি এনে দেয়া মন্তব্য, আমি সাজিদ। অনেক ধন্যবাদ।
আমি চেষ্টা করেও কোনো বাণী মনে করতে পারছিলাম না। আপনার নানীর সেলাই করা বাণী, আর সাথে আপনার নানা মারা যাবার কথা শুনে মনে হলো, এই বাণী জীবনে কখনো গভীর অর্থবহ হয়ে ওঠে।
৯| ১৪ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপু এগুলো তো আমিও করেছি। বলতে গেলে অনেক বলতে হবে। সময় করে বলবো ইংশাআল্লাহ।
১৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:০৪
করুণাধারা বলেছেন: গত শতাব্দীতে জন্ম হয়েছে এমন অধিকাংশ বাঙালি মেয়েরা কিছু না কিছু সেলাই করতে জানতেই হতো।
সেলাইয়ের গল্প শোনার অপেক্ষায় রইলাম ছবি!
১০| ১৪ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মা সেলাই করতেন অনেক। তবে আমার জন্মের আগে আরও বেশী করতেন শুনেছি। আমার বোনের পরের ভাইয়েরা তার ছিটেফোঁটা দেখেছি। আমার মা ১৯৬৫ সালে তাদের সংসারের শুরুতে একটা সিঙ্গার সেলাই মেশিন কিস্তিতে কিনেছিলেন। সারা জীবন এটাকে আমরা দেখেছি। আমার বড় বোনের চেয়েও মেশিনটার বয়স বেশী। ২০১২ সালে আমার মা যখন মারা যান তখনও মেশিনটা চালু ছিল। এখনও আমার বোনের কাছে আছে। চেষ্টা করলে সেটাকে চালানো যাবে। আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন এই মেশিনেরর ববিন হোল্ডারের সাহায্যে ববিনে সুতা প্যাঁচাতে মজা লাগতো। আমরা দুই ভাই এই কাজ আমার মাকে করে দিতাম। মজা লাগতো। এটাতে তেল দিয়েছি।
আমি যখন ক্লাস টু বা থ্রিতে পড়ি তখন আমার মায়ের কাছ থেকে উল বোনা শিখেছিলাম। ডিজাইন করতেও পারতাম দুই একটা। এগুলি করতাম আনন্দের জন্য। বেশীর ভাগ সময় আমার মা সেগুলি আবার খুলে ফেলতেন। আমাদের ভাইদের সোয়েটার আমার মা সব সময় বানাতেন। সোয়েটারের গলা তৈরি করা কঠিন ছিল। সম্ভবত চারটা বার তার চেয়ে বেশী কাটা লাগে। কাটার নাম্বার থাকে এটা মনে আছে।
কাথা সেলাইয়ের জন্য শাড়ির সুতা খুলতে আমি দেখেছি। এখনও গ্রাম থেকে কাথা সেলাই করে পাঠানোর মত আত্মীয় আমার আছে। এছাড়া এক ধরণের পাটিও গ্রাম থেকে আত্মীয়রা পাঠায়।
শতরঞ্জি ছিল আমাদের বাসায় এক সময়। এখন এই নামটাই প্রায় ভুলতে বসেছি। কাসা/ পিতলের থালা, বাটি, গ্লাস, বদনা ছিল আমার দাদার বাড়িতে।
নিউ মার্কেট এমব্রয়ডারি নকশার বই দেখেছি। সেলাই করে চটের ব্যাগে বা কাপড়ে লেখা হত 'ফরগেট মি নট'। আমার ফুফুকে জামা ছিঁড়ে গেলে রিফু করতে দেখেছি।
১৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:০৭
করুণাধারা বলেছেন: ভাগ্যিস এই পোস্টটা দিয়েছিলাম! এই পোস্ট না দিলে জানতেই পারতাম না আমাদের মাঝে সুঁই আর বুনন শিল্পে দক্ষ এত গুণী ব্লগার আছেন!!
আমার শিরোনামে বলা আছে "মেয়েদের সেলাই", কিন্তু ছেলেরাও যে সেলাই করে সেটা আমি ভুলে গিয়েছিলাম। আমার মনে আছে, আমার যখন বয়স পাঁচ/ ছয় বছর আর আমার বড় ভাইয়ের বয়স ৮/৯ বছর, তখন একদিন সময় বড় ভাই উলের কাঁটায় ঘর তুলছিল। সেটা দেখে তার বয়সীই তার এক বন্ধু বলেছিল, "আরে তুমি কেন সোয়েটার বুনছো, এটা তো তোমার বউ তোমাকে বুনে দিবে!" আমার ছেলের বয়স যখন ছয়সাত বছর তখন সে কাপড়ে ফ্রেম আটকে চমৎকারভাবে ভরাট সেলাই করে উইনি দ্য পুহ করেছিল।
সেলাইয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করায় অনেক ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর।
১১| ১৪ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শেরজা ভাই সোনামুখী সুইয়ের কথা মনে করিয়ে দিলেন। এই সুইয়ের মাথায় সত্যি সত্যি সোনালী রঙ থাকতো। সুই দিয়ে বড় জোর জামার বোতাম লাগাতে পারি অথবা প্যান্টের হুক অথবা শার্ট বা প্যান্টের সেলাই খুলে গেলে সেটা ঠিক করতে পারি। এই সুইও বাংলাদেশে তৈরি হতো না সম্ভবত। চীন থেকে আসত। আমরা একটা সুই বানাতেও পারি না। খুবই দুঃখের কথা।
হাতের তালুর চামড়ার ভিতরে সুই ঢুকাতে মজা লাগতো। যদিও এটা করা ঠিক না। সুই আর ব্লেডকে চুম্বক দিয়ে ঘষে চুম্বক বানিয়ে ফেলতাম।
১৬ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
করুণাধারা বলেছেন: সোনামুখী সুঁইয়ের মাথায় সত্যি সত্যি সোনালী রং থাকতো।
আপনার সেটা দেখার চোখ ছিল। আজকাল মনে হয় কেউ সুঁই কেমন তা চেয়েও দেখবে না, সুতা পরিয়ে সেলাই করা তো দূরের কথা।
সুঁই সম্ভবত এখনো দেশে তৈরি হয়না। আমি এক প্যাকেট সুঁই কিনেছিলাম, প্যাকেটে চায়নিজ লেখা। এদেশে গার্মেন্টসের এত সেলাই হয়, অথচ সুঁই তৈরি করার সামর্থ্য হলো না!!
সুঁইকে চুম্বক দিয়ে ঘষে চুম্বক বানিয়ে খেলার কথাটা মনে করিয়ে দিলেন... এটা একটা প্রিয় খেলা ছিল আমাদের।
১২| ১৪ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মিরোরডডল বলেছেন:
শেরজা তপন বলেছেন:
আমিও নিয়মিত সেলাই করতাম মার দেখাদেখি। উল দিয়ে সোয়েটারও বুনেছি তবে ফিনিশিং দিতে পারিনি।
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন:
আমার মায়ের কাছ থেকে উল বোনা শিখেছিলাম। ডিজাইন করতেও পারতাম দুই একটা।
বাহ! you guys were so sweet!
তা বৌয়ের জন্য উলেন সোয়েটার বানানো হয়েছে? না হলে অবশ্যই বানিয়ে দিবে
এর চেয়ে সুন্দর গিফট আর কি হবে!
প্রিয়জনের হাতে বোনা সোয়েটারে যে ভালোবাসার পরশ থাকে, সেটা কি লাখ টাকায় কেনা গহনাতে পাবে? নেভার!!!
১৬ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
করুণাধারা বলেছেন: বুনন শিল্পে শেরজা তপন আর সাড়ে চুয়াত্তরের দক্ষতার কথা জেনে আমি রীতিমত বিস্মিত আর বিমোহিত হয়ে গেলাম!!
লাখ টাকার গহনার চেয়ে বৌয়ের জন্য নিজের হাতে বানানো সোয়েটারের দাম বেশি!!!
এমন হলে শুধু শেরজা তপন আর সাড়ে চুয়াত্তর না, যারা উল বুনতে পারেনা তাঁরাও বোনা শিখে নিয়ে বৌয়ের জন্য সোয়েটার বানাতে শুরু করবেন। পাঁচশ টাকা খরচ করে লাখ টাকা খরচের ফল পাওয়া যায়। আইডিয়াটা বেশ ভালো লেগেছে মিড!
১৩| ১৪ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ মিরোরডডল - বউয়ের জন্য উলের একটা সালোয়ার বানাইয়া দিব ভাবছি। কারণ উলের সোয়েটারের গলা বানাতে পারি না। অনেক কঠিন কাজ। গলা ছাড়া সোয়েটার মাথা দিয়ে ঢুকানো সম্ভব না। শুধু মাত্র গলা ছাড়া পেত্নি হলে এই সোয়েটার পড়তে পারবে।
১৬ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
করুণাধারা বলেছেন: সোয়েটারের বদলে সালোয়ার হলে কি তার দাম লাখ টাকার গহনার চেয়ে বেশি হবে কিনা তা মিরোরডডল ভালো বলতে পারবে! দেখা যাক কি বলে!!
১৪| ১৪ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
মিরোরডডল বলেছেন:
বউয়ের জন্য উলের একটা সালোয়ার বানাইয়া দিব ভাবছি।
হা হা হা হা হা
ওহ মাই গড!!
ইউ আর রিয়েলি সামথিং
সাচুর মাথায় সারাক্ষণ দুষ্টচিন্তা থাকে। এতকিছু থাকতে উলের সালোয়ার।
যেটুকু ভালোবাসা ছিলো, সেটাও নিঃশেষ করার বুদ্ধি
অনেক হাসলাম সাচু
১৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:০৫
করুণাধারা বলেছেন: উলের সালোয়ার কিন্তু নতুন ধরণের আইডিয়া! সাচুর নাম গিনেস বুকে উঠে যাবার চান্স আছে!
১৫| ১৪ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
তখনকার সময় সেলাইয়ের হাতে খড়ি হলেই বোধহয় সব ধরনের সেলাই পারা সম্ভব ছিলো।
১৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:০৬
করুণাধারা বলেছেন: তখনকার দিনে লেখাপড়ায় হাতেখড়ি না হলেও সেলাইয়ে হতো। তারপর মেয়েরা জীবনভর নানারকম সেলাই করতেন।
১৬| ১৪ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ মিরোরডডল - আমার বউ খুবই সহজ সরল। যা বুঝাবো তাই বুঝবে। অসম্ভব জিনিস তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি। উলের সালোয়ার বানিয়ে দেয়ার আরেকটা কারণ আছে। কারণ সে মাঝে মাঝে আমার পায়জামা পড়ে বসে থাকে আর আমি পায়জামা খুঁজে পাই না। উলের পায়জামা দিলে এই ভুল করবে না।
১৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:০৭
করুণাধারা বলেছেন: !!
বাহ!
১৭| ১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:১৭
শায়মা বলেছেন: আপুনি!!!
তোমার এই পোস্ট পড়ে বুঝিলাম স্মৃতিময় আর্টিকেল কাহারে বলে!!!
আমার মা আমার মতই নানারকম শিল্পচর্চা করেছিলেন কিন্তু ঠিক আমারই মতন নানামুখী প্রতিভার চর্চা করতে চাইলেও যেই সুযোগ ও সুবিধা বিধাতা আমার জীবনে দিয়েছেন তাহা আমার মায়ের জীবনে আসেনি বা সেই সুযোগের সদ্বব্যবহার করতে পারেনি আমার মা তার কারণ হয়ত তার ধৈর্য্যের অভাব বা আরও কিছু........
যাহাই হোক এতকিছুর মধ্যেও সেলাই ফোড়াই সূচিকর্ম ও উলের কাজ কুর্শীকাটার কাজ যাই বলো না কেনো সে সবে তিনি ছিলেন ফার্স্ট। যেখানে যা দুই চোখে দেখবে তাই করে ফেলতে পারতো নিজের মগজ দিয়েই। আমার ছেলেবেলাতেও আমি নানা রকম উলের স্যুয়েটার, কুর্শীকাটার টেবিল ক্লথ এমনকি বিছানার চাদর নানা রকম সূঁচের কাজ করেই যেতে দেখেছি তাকে।
আমার ধারনা আমাদের আজকের দেখা এই জেনারেশনের ঠিক আগের জেনারেশনটাতেও এই সেলাই ফোড়াই এর চল বেশে ভালোভাবেই ছিলো কিন্তু এখন সেলাই মেশিন কুর্শিকাটা কিছুই চিনবেনা শহরের ছেলেমেয়েরা। এই স্মৃতি আমাদের অনেককেই নিয়ে যাবে আমাদের সোনালী অতীতে।
শুধু আমার মাই নন আমার নানীও ছিলেন অসাধারণ এক সূঁচিশিল্পী। নানীর হাতের করা কাঁথের ঘুন দিয়ে বানানো নৌকা, মাছের আঁশের তৈরী মাছ বা মাছের দাঁত দিয়ে তৈরী ময়ুরপঙ্খী আজও আমার চোখে ভাসে। আমার কাছে নানীর একটা রেশম সূতার বানানো ছবি আছে যেখানে লেখা ছিলো অমল ধবল পালে লেগেছে মন্দ মধূর হাওয়া........
অনেক পরে আমি গানটা শিখেছিলাম যার পরের লাইন ছিলো........
দেখি নাই কভু দেখি নাই অমন তরণী বাওয়া.......
প্রিয়তে থাকুক এই পোস্ট আর আমি চাইবো এই পোস্ট স্মরনিকাতেও ছাঁপা থাকুক......
১৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:১৫
করুণাধারা বলেছেন: মায়ের কিছু গুণের কথা এই প্রথমবার বললে, কিন্তু তুমি না বললেও আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম যে তোমার মা অনেক গুণী। নাহলে তোমার এত গুণ কোথা থেকে এলো!?
তোমার নানীর কুর্শি কাঁটার লেসের কথা তুমি আগে কোনো একটা লেখায় বলেছিলে। শিল্পের বোধ মানুষ যতটা পারিপার্শ্বিক থেকে অর্জন করে তার চেয়ে বেশি অর্জন করে জন্মগত ভাবে। তোমার মা-নানীর শিল্প বোধ না থাকলে তুমি কি আর এমন শিল্পী হতে পারতে!
নানী আর মায়ের স্মৃতিচারণ করা মন্তব্যে লাইক। উত্তর দিতে দেরি হলো... দুঃখিত।
১৮| ১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: করুণাধারা আপা, শায়মা আপার শিল্প চর্চা মানে তো হইল ব্লগে থালাবাটি হাঁড়িপাতিলের পোস্ট দেয়া।
উনি অনেক বড় মাপের একজন সুচিশিল্পী। এই গুণ উনি ওনার নানীর কাছে থেকে পেয়েছেন। কুরশি কাঁটা দিয়া উনি লেপ, তোশক, কম্বল এমন কি গামছা, লুঙ্গি পর্যন্ত বানাইতে পারেন। মন্তব্যের জায়গা কম তাই ওনার সব গুণ এইখানে লিখতে পারেন নাই। তাই আমি বলে দিলাম।
আপনি একটু তাল দিলে ওনার আরও গুণ ছিটকাইয়া ছিটকাইয়া বার হবে। একটু অপেক্ষা করেন।
১৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:১৮
করুণাধারা বলেছেন: আপনি একটু তাল দিলে ওনার আরও গুণ ছিটকাইয়া ছিটকাইয়া বার হবে।
অবশ্যই বার হবে। আমি জানি যে শায়মার গুণাবলীর অধিকাংশই অপ্রকাশিত রয়ে গেছে। আশাকরি শায়মা ধীরে ধীরে সব প্রকাশ করবে।
১৯| ১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১০
শেরজা তপন বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ মিরোরডডল - আমার বউ খুবই সহজ সরল। যা বুঝাবো তাই বুঝবে। অসম্ভব জিনিস তাকে বুঝিয়ে দিয়েছি।
হাঃ হাঃ হাঃ পৃথিবীতে সহজ সরল মেয়ে আছে প্রচুর কিন্তু সহজ সরল বউ নাই একটাও।
মিরোরডডল
বাহ! you guys were so sweet!
তা বৌয়ের জন্য উলেন সোয়েটার বানানো হয়েছে? না হলে অবশ্যই বানিয়ে দিবে
শেষমেষ ঐটা আমাকেই পড়তে হবে গো দিদি
সুঁই ধাগায় আগুন লাগিয়ে করুণাধারা আপু গেলেন কই ...
১৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:১৫
করুণাধারা বলেছেন: সেলাই মেশিনের পোস্টে এমন জনসমাগম হবে ভাবিনি!! আমি তো আমার ছেলেমেয়েদের কাছে গিয়েছি, তাই জবাব দিতে দেরি হয়ে গেল। দুঃখিত।
এই পোস্ট বছরখানেক আগে লেখা। আরো অনেক পোস্ট লেখা আছে। ক্যাচাল পোস্টও আছে। তার মধ্যে থেকে হঠাৎ ইচ্ছে করলো এই পোস্টটা দিতে, তাই দিয়ে দিলাম কিন্তু তখন ভাবিনি যে, সময়মতো উত্তর দিতে পারবো না। আশা করি একে একে সবগুলো উত্তর দিয়ে দিব।
২০| ১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১২
শায়মা বলেছেন: করুনাধারা আপুনি আমার গুন তোমার জন্মের আগে থেকে জানে সাচুর বাচ্চা ভাইয়া ঘেচু!!!
যাইহোক তুমি ভাবীজির জন্য উলের পাজামা বানাবে শুনে তোমার জন্য কয়েকটা ডিজাইন আনলাম ভাইয়া-
আরেকটা মৎস্যকুমারী ডিজাইনও আছে!
কি সুন্দর লাগবে আমাদের সাচীভাবীজকে।
১৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:২১
করুণাধারা বলেছেন: বলেছি না যে তোমার অপ্রকাশিত অনেক প্রতিভা আছে! এমন জিনিস খুঁজে বের করতে পারে একমাত্র প্রতিভাবান মানুষেই!
২১| ১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:২৪
মিরোরডডল বলেছেন:
শায়মাপু, তুমি বলেছিলে সাচু কূটনাবুড়া। ১৮ নং কমেন্ট পড়, কূটনামি কাকে বলে।
শেরজার কমেন্ট থেকে বুঝলাম শেরজা জটিলের সাথে সংসার করছে
সুঁই ধাগায় আগুন লাগিয়ে করুণাধারা আপু গেলেন কই ...
আপু আজকে একটা সোয়েটার বুনতে বসেছে, ওটা শেষ করে আসবে।
ধৈর্য বৎস, ধৈর্য !
শায়মাপু মৎস্যকুমারী ডিজাইনটা পছন্দ হয়েছে।
ওটা পরলে আর ঘরের কোন কাজ করা যাবে না, সব কাজ সাচু করবে।
১৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:২৪
করুণাধারা বলেছেন: এসে গেছি আবার! দেখা যাক আর কোন সেলাইবিদ পাওয়া যায় কিনা!
২২| ১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৭
শায়মা বলেছেন: কুটনাবুড়া শুধু না সাচুভাইয়া নাকি আগে সার্কাসে এক্টিং করত এখন রিটায়ার করেছে। একটু আগেই আমাকে বললো জানো? এটা তো আমি জানতাম না !!!!!!!!!!
বাপরে কত গুন!!!!!!!!!!
বাপরে কত অজানারে!!!!!!!!!!
কত অজানারে জানাইলে তুমি, কত ঘরে দিলে ঠাঁই--
দূরকে করিলে নিকট, বন্ধু, পরকে করিলে ভাই॥
পুরানো আবাস ছেড়ে যাই যবে মনে ভেবে মরি কী জানি কী হবে,
নূতনের মাঝে তুমি পুরাতন সে কথা যে ভুলে যাই॥
জীবনে মরণে নিখিল ভুবনে যখনি যেখানে লবে
চিরজনমের পরিচিত ওহে তুমিই চিনাবে সবে।
তোমারে জানিলে নাহি কেহ পর, নাহি কোনো মানা, নাহি কোনো ডর--
সবারে মিলায়ে তুমি জাগিতেছ দেখা যেন সদা পাই॥
১৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:২৫
করুণাধারা বলেছেন: বাপরে কত গুণ!
Exactly!
২৩| ১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ শায়মা আপু -
স্কুলের গুড়াগাড়াদের পড়াইতে পড়াইতে এখন জাঙ্গিয়া, হাফপ্যান্ট আর পায়জামার পার্থক্য কি সেইটাও ভুইলা গেসেন। প্রথম ছবিটা কি পায়জামা না কি জাঙ্গিয়া?
দ্বিতীয় পায়জামাটা পছন্দ হইসে। এইটা সাইবেরিয়া গিয়া বউরে পড়তে বলব।
মৎস্যকুমারীরটা আসলে লেপ তোষক। ঐটা মিরোরডডলের পছন্দ হইসে। এক পিস অস্ট্রেলিয়া পাঠাইয়া দেন মিররের জন্য। ভালো অস্ট্রেলিয়ান জাতের মেয়ে ভেড়ার পশম যেন ব্যবহার করা হয় সেইটা নিশ্চিত করবেন।
২৪| ১৪ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৫২
শায়মা বলেছেন:
আরেকবার ধন্যবাদ আপনার সেলাই অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য এবং দুটো সেলাই- বাণী দেবার জন্য। আমি চেষ্টা করেও কোনো বাণী মনে করতে পারিনি! তাজমহল সংক্রান্ত একটা সেলাই - বাণী ছিল বলে মনে হচ্ছে, বাণীর উপরে আঁকা তাজমহলের ছবি মনে করতে পারলেও বাণীটি মনে করতে পারছি না। এমন কতকিছু হারিয়ে গেছে...
আমি পেয়েছি!!!!!!!!!!!!
আমার নানীর এমন একটা বাণী লেখা সূঁচিকর্ম ছিলো........
তাজমহলের পাথর দেখেছো দেখেছো কি তার প্রাণ?
অন্তরে তার মমতাজ নারী বাহিরেতে শাজাহান!!!!!!!!
১৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:২৮
করুণাধারা বলেছেন: হ্যাঁ, এটাই সেই বাণী। বাণীর উপরে নিশ্চয়ই সুতা দিয়ে তাজমহল আঁকা আছে!
ধন্যবাদ শায়মা, বাণীটা খুঁজে দেবার জন্য।
২৫| ১৫ ই মে, ২০২৩ সকাল ৯:৩৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট। ইন্টারনেট এসে কেড়ে নিয়েছে মানুষের সুঅভ্যাাসগুলো। সেলাই, উল বোনা, কুশি কাটার কাজ নিয়ে সব মেয়েরাই ব্যস্ত থাকত। আপনার ছবিগুলো সেই সময়ের কথা মনে করিয়ে দিল।
১৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:৩১
করুণাধারা বলেছেন: সেলাই, উল বোনা, কুশি কাটার কাজ নিয়ে সব মেয়েরাই ব্যস্ত থাকত।
ঠিক। এরফলে সুকুমার বৃত্তির চর্চা হতো। সিরিয়ালের কূটনামী দেখার চেয়ে সেটা ভালো।
২৬| ১৫ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
১৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:৩১
করুণাধারা বলেছেন: আমি আপনার অপেক্ষায় বসে ছিলাম এতক্ষণ!
২৭| ১৫ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:০৫
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: একটি চমৎকার স্মৃতি জাগানিয়া লেখা। আমার মা সকলের ঈদের জামা সেলাই করে দিতেন, আমরা ছয় বোন ছিলাম। বড়-আপার বিয়ে হয় ১৯৭৭ সনে, তারপর থেকে তিনি তেমন আর সেলাই করতেন না, বড় আপা আম্মাকে সেলাইয়ের কাজে সহায়তা করতেন। তখনকার দিনে পোস্টার ছিল না, আমার হাতের কাজ করা সুচের কাজ বাইরের ঘরে বাঁধানো থাকতো।
১৮ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৫০
করুণাধারা বলেছেন: মা- বোনের সেলাই নিয়ে আপনার স্মৃতি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ হাসান জামাল গোলাপ। আপনি যে সময়ের উল্লেখ করেছেন, সেসময় ঘরে সেলাই মেশিন নেই এমন মধ্যবিত্ত পরিবার ছিল না বললেই চলে। ঈদের কাপড় সহ পরিধেয় সব কাপড়ই বাড়িতে সেলাই করা হতো। এর ছাটকাট সবসময় ঠিক হতো না, কিন্তু এরসাথে জড়িয়ে থাকতো কিছু সৃষ্টির আনন্দ।
একই আনন্দ থাকতো নিজের হাতে করা ফ্রেমে বাঁধানো সূঁচিকর্ম দেখার সময়। অনেক সময় হারিয়ে যাওয়া প্রিয়জনের কথা মনে করিয়ে দিত এই সূঁচিকর্ম। আপনার আম্মার জন্য দোয়া রইল।
মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ হাসান জামাল গোলাপ।
২৮| ১৫ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:২০
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: একটা typo হয়েছে, 'আমার হাতের কাজ' নয়, হবে আম্মার হাতের কাজ।
১৮ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৫০
করুণাধারা বলেছেন: জ্বী, আমি বুঝতে পেরেছি।
২৯| ১৬ ই মে, ২০২৩ সকাল ৭:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
স্মৃতির কাঁথা সেলাই করলেন।
মনে আছে, সেই ১৯৬৬ সালে ক্লাস এইটের বৃত্তির টাকা পেয়ে মায়ের জন্যে কিস্তিতে একটি "সিঙ্গার" হ্যান্ড সেলাই মেশিন দিয়েছিলুম ৬০ টাকা দিয়ে। প্রথম ইনস্টলমেন্ট ছিলো ২০ টাকা। তখনকার যুগে এ টাকাই অনেক টাকা। আমাদের ভাই-বোনদের সেদিন কি উৎসাহ্ ! যে যেমন করে পেরেছে, কাটা-ফাঁটা-ছেঁড়া কাপড় এনে সেলাইয়ের মহোসব শুরু করে দিয়েছে। ঠেলাঠেলি - কাড়াকাড়ি.....
আপনার এই লেখায় সেদিনের কথা মনে পড়ে গেলো। সাথে "মা"য়ের কথাও মনে পড়লো, মনে পড়লো সেদিনের তার হাসি হাসি মুখখানা। মা দিবস গেলো। কিন্তু আমার মা যে অনেক আগেই গত হয়েছেন !
আপনার স্মৃতির পাতায় "লাচি" বা "লাসি" সুতোর যে কারুকাজ করলেন তাতে ছেলেবেলার দিনগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠলো। গ্রামের বাড়ীতে গেলে অনেক বাসা-বাড়ীর অন্দরমহলে ঢোকার দরজার মাথায় কাঁচের ফ্রেমে বাঁধানো সূচিকর্ম দেখা যেতো। সেখানে রঙিন সুতোয় লতাপাতা আর পাখির
ছবিতে মা-বোনেরা ফুটিয়ে তুলতেন এই কথাগুলো - " যাও পাখি বলো তারে/ সে যেন ভোলেনা মোরে" অথবা " তুমি মোর বন্ধু বটে.....( বাকীটুকু মনে নেই)" অথবা দুটো মুখোমুখি হরিনের ছবির চারপাশে ঘুরিয়ে লিখতেন " সোনার হরিন কোন বনেতে থাকো"
নেটে অনেক খুঁজেও সে ধরনের ছবি পেলুমনা তাই যা পেয়েছি তা থেকে কয়েকটি তুলে দিলুম এ প্রজন্মের ব্লগারদের জন্যে যাতে তারা গত শতাব্দীর মেয়েদের জীবনযাত্রার একটি দিক দেখতে পান-----
যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন আর সুস্থ্য........
১৮ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০
করুণাধারা বলেছেন:
প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই, অন্তর্জাল খুঁজে সূঁচিকর্ম দিয়ে করা কিছু বাণীর ছবি দিয়ে আমার পোস্টকে সমৃদ্ধ করবার জন্য। এই বাণীময় শিল্পকর্মটির সাথে এই প্রজন্মের পরিচয় নেই, আপনি তাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন।
"স্মৃতির কাঁথা", উপমাটি চমৎকার। আসলেই নানা রঙের স্মৃতির সুতায় বোনা এই লেখাটা।
সেলাই করাটা বড় আনন্দময় কাজ ছিল। তাই সেলাই মেশিন কিনে আনার আপনার স্মৃতি এখনো উজ্জ্বল হয়ে আছে! আপনার লেখা পড়ে আমারও মনে পড়লো প্রথম মেশিনে সেলাই করার কথা, সেই ছেঁড়া ফাটা টুকরো কাপড় মেশিনে দিয়ে সেলাই করার আনন্দের কথা... আরেকটা জিনিস মনে পড়লো, আজকাল আমরা ঘরের ফ্রিজ টিভি কিছুদিন পরপরই পাল্টাই, অথচ একটা সেলাই মেশিনে প্রায় সারা জীবন কেটে যেতো!
প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই ফ্রেমে বাঁধানো সূঁচিকর্ম দেখা যেতো। জানি না কেন, এই বাঁধানো সূঁচিকর্মে যেসব কথা লেখা থাকতো আমি তার কিছুই মনে করতে পারছিলাম না। আপনি তার কয়েকটি মনে করিয়ে দিলেন...
চমৎকার মন্তব্য এবং প্লাসের জন্যে কৃতজ্ঞতা। কৃতজ্ঞতা জানাই আমাকে শুভকামনা জানানোয়। আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।
৩০| ১৬ ই মে, ২০২৩ সকাল ৯:৩০
সোহানী বলেছেন: ওরে আপু এইটা আপনি কি লিখলেন!!!!!!! পুরাই আমার শৈশব তুলে আনলেন।
লিখা পড়তে পড়তে একটা একটা বিষয় মাথায় উকিঁ দিচ্ছে আর তখনই দেখি আপনি তা বলে দিলেন..........। সেই সুঁই সূতার লেজিডেজি ডিজাইন, কাটওয়ার্ক, উলের কাজ, কুরশির কাজ, সেলাই মেশিনের কাজ............... কি করি নাই এ জীবনে।
আমার মা ছিলেন কড়া মা এসব নিয়ে। সব কিছু শিখতে হবে পাশাপাশি। সিক্স এর বার্ষিক পরীক্ষার পর সুঁই সূতার কাজ শিখি, এইটের বৃত্তির পর প্রথম সেলাই শিখি, এসএসসি এর পর উল/কুরসির কাজ.............। সাথেতো নাচ/গান/আবৃত্তি/বক্তৃতা............ জীবনটা ছিল তেজপাতা ।
কিন্তু এখন এসে বলি, মা ধন্যবাদ। এতো এতো প্রেসারে রেখেছিল বলে জীবনে দূর্যোগে ভেঙ্গে পড়িনি। ঠিকই সামলে নিয়েছি।
এতো চমৎকার একটা লিখা উপহার দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমারো ঠিক লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে, কিন্তু আমি হলপ করে বলতে পারি একই রকম স্মৃতিচারন হবে। ..............
সবার মন্তব্য পড়ে হাসতে হাসতে শেষ। অনেকদিন পর সবাইকে প্রানবন্ত লাগছে।
আর হাঁ. একটা বিষয় মনে হয় বাদ পড়েছে...... জরি চুমকির কাজ। আমার মায়ের বেশ কিছু শাড়ি ছিল আমরা সবাই তাতে কাজ করেছিলাম জরি চুমকির। মা চলে যাবার পর বাবা মনে হয় সবকিছু দান করে দিয়েছিল সবাইকে। আমি ছিলাম না বলে কিছুই রাখতে পারিনি।
১৮ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
করুণাধারা বলেছেন: এই পোস্ট দেবার পর অনেকের সেলাই অভিজ্ঞতার কথা জানতে পারছি সোহিনী, আর জানতে পেরে ভালো লাগছে! তবে এটাও ঠিক, আমরাই সেলাই ফোড়াই করা শেষ প্রজন্ম। আমার মেয়ে স্কুলের সেলাইয়ের বাইরে কখনো সেলাই করতে চায়নি, আমিও জোর করিনি। অথচ সুন্দর একটা সূঁচিকর্ম একটা শিল্প সৃষ্টির আনন্দ এনে দেয়। আপনার মা আপনাকে নানা কিছুর তালিম দিয়েছেন... উনার জন্য দোয়া করি।
ভালো লাগলো আপনার সেলাই করার অভিজ্ঞতা। তবে মন্তব্যের শেষ অংশ পড়ে মনখারাপ হয়ে গেল। আসলে আমাদের প্রিয় অনেক জিনিসই হারিয়ে যায়, মনে রেখে যায় হারিয়ে ফেলার দুঃখ...
জরি চুমকির কাজের উল্লেখ করতে ভুলে গেছিলাম, কারণ এই কাজ আমি দেখলেও নিজে কখনো করিনি। এটা করা বেশ কঠিন আর সময়সাপেক্ষ কাজ, জরির সুতা কেবলই পেঁচিয়ে যায়! চুমকি বসানোও কঠিন। জানিনা কী করে আপনারা পুরো শাড়ি করেছেন জরি-চুমকির কাজ করে!! বড় কঠিন কাজ!
সুন্দর মন্তব্য আর প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ সোহানী।
৩১| ১৬ ই মে, ২০২৩ সকাল ৯:৪০
মিরোরডডল বলেছেন:
সোহানী আপু তোমার নাচ দেখা আর গান শোনার সৌভাগ্য আমাদের কবে হচ্ছে সেটা বলো।
কমেন্টের মাধ্যমে কিন্তু জেনে গেলাম তোমার এই সুপ্ত প্রতিভার কথা
১৮ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
করুণাধারা বলেছেন: আমিও অপেক্ষায় রইলাম।
৩২| ১৬ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:৫০
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ স্মৃতিচারণ আমাকেও আমার মা, শাশুড়ি আর আপি'র (বড়বোন) স্মৃতি মনে করিয়ে দিল। তিনজনই আজ প্রয়াত; শীতকালে তাদের প্রত্যেকের স্নেহ-ভালোবাসা মাখা হাতের কাজ করা সোয়েটার, মাফলার, হাতমোজা ইত্যাদি আমি পরিধান করে শীত নিবারণ করেছি।
উল বোনা ছাড়া আমার মা ক্রুশের কাজও ভালো জানতেন। সূচীকর্মে আমার স্ত্রীও একদা যশস্বী ছিলেন। মাদের মাধ্যমেই বংশ পরম্পরায় এসব নিপুণ শিল্পকর্ম বাংলার ঘরে ঘরে প্রসারিত হতো। আজ এসব দক্ষতা বিলুপ্তপ্রায়।
"স্মৃতির কাঁথা সেলাই করলেন" - আহমেদ জী এস এর মন্তব্যের শুরুর এ ছোট্ট কথাটা কতই না সুন্দর, কতই না কাব্যিক! নেট ঘেঁটে এ প্রজন্মের জন্য যে ছবিগুলো খুঁজে এনে তিনি এখানে পরিবেশন করেছন্য, সেজন্য তাকে সাধুবাদ।
পোস্টে প্লাস আগেই দিয়েছিলাম।
১৮ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০
করুণাধারা বলেছেন: আজ এসব দক্ষতা বিলুপ্তপ্রায়।
দুঃখজনক হলেও কথাটা সত্যি! এমব্রয়ডারি মেশিন, উল বোনার মেশিন আসার ফলে আমরা সূঁচিকর্ম আর উল বোনায় অনাগ্রহী হয়ে উঠেছি। এছাড়াও জীবনযাত্রা এখন আগের তুলনায় জটিল হয়ে উঠেছে, সময়ের অভাবেও আর এসব সেলাই করা হয়না!
আপনার মা, শাশুড়ি আর বড়বোনের হাতের কাজ করা সোয়েটার, মাফলার আর হাতমোজায় শীত নিবারণের অভিজ্ঞতা আপনার আছে। তাই আপনিই বুঝতে পারবেন যে, এই জিনিসগুলোর সাথে আপনার প্রতি তাদের কতটা মমতা জড়িয়ে ছিল।
আপনার স্ত্রীও সূঁচিকর্মে একদা যশস্বী ছিলেন। আজও নিশ্চয়ই তার হাতের কাজ কিছু আছে, অতীত দিনের কিছু সুখস্মৃতি হয়ে... আসলে আমরাই শেষ প্রজন্ম, যারা সূঁচিকর্ম করতাম গভীর ভালোবাসা নিয়ে, বর্তমান প্রজন্মের খুব অল্পই এর সাথে পরিচিত। এই প্রজন্মের জন্য নেট খুঁজে আহমেদ জী এস কিছু সূঁচিকর্মের ছবি এনেছেন, আপনার সাথে সাথে আমিও তাকে এজন্য সাধুবাদ জানাই।
মন্তব্য আর প্লাস দিয়ে অনুপ্রাণিত করলেন... অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৩৩| ১৬ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর এর উলের সালোয়ার বানানোর কুবুদ্ধি এবং এর পেছনের কারণটা জেনে খুব হাসি পেল, তাই নিজে নিজেই হেসে ফেললাম।
ছেলেমেয়েদের নিয়ে আনন্দে ভরপুর হোক আপনার প্রতিটি ক্ষণ। কিছু কিছু অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেও মন্দ হতো না।
জার্নিটা ঠিকঠাক ছিল, ঝক্কি ঝামেলাবিহীন?
শুভকামনা---
১৮ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১২
করুণাধারা বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তরের সালোয়ার বানানোর কুবুদ্ধি খুব অভিনব মনে হয়েছিল, কিন্তু শায়মা যেভাবে চটপট কিছু ডিজাইন এনে হাজির করলো তা দেখে আমি বিস্ময়ে থ হয়ে গেলাম!!! কত অজানাকেই না জানা হচ্ছে এই ব্লগে এসে।
ছেলেমেয়েদের নিয়ে সত্যি আনন্দময় সময় কাটছে। শুভকামনা জানানোয় আপনাকে ধন্যবাদ।
আরেকটা ধন্যবাদ আমাকে যাত্রা সংশ্লিষ্ট কিছু তথ্য দিয়ে সাহায্য করার জন্য। এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আমি যাত্রা শুরু করি, আপনি ফ্রি ইন্টারনেটের তথ্য জানানোর ফলে দুবাই এয়ারপোর্টে পৌঁছে সকলের সাথে মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পেরেছি, কথা বলার চেষ্টা করে সময় নষ্ট করিনি।
আলহামদুলিল্লাহ যাত্রা ঝক্কি ঝামেলা বিহীন ছিল। আশাকরি পরবর্তীতে অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবো। আমার মেয়ে শিকাগো থেকে সড়কপথে তিন ঘন্টা দূরত্বের একটা সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় শহরে থাকে, ছেলেরও ক্লাস না থাকায় পাশের স্টেট থেকে চলে এসেছে। তাই এখন আমার নির্ভাবনার দিন। এইসব কারণে মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল।
৩৪| ১৮ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: "দুবাই এয়ারপোর্টে পৌঁছে সকলের সাথে মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পেরেছি, কথা বলার চেষ্টা করে সময় নষ্ট করিনি" - That was the right approach. আমি তিন প্রান্তের তিন ছেলেকে কল করতে গিয়ে অযথা বেশ কিছু সময় নষ্ট করেছিলাম। পরে সিক্সথ সেন্স এর ডিক্টেশন অনুযায়ী বুঝতে পেরেছিলাম, কথা না বলে বরং মেসেজ দিয়েই সবাইকে পরিস্থি্তি সম্পর্কে জানানো সম্ভব এবং পরে সেটাই করেছি। একেবারে শেষ মুহূর্তে আমার ব্লগপোস্টটা আপনার নজরে পড়েছিল এবং সেটা কিছুটা কাজেও দিয়েছিল, এটা এখন জেনে ভালো লাগছে।
"তাই এখন আমার নির্ভাবনার দিন" - আপনার এই আনন্দানুভূতি আমি বেশ উপলব্ধি করতে পারছি। এসব আনন্দের মুহূর্তগুলো বান্দার প্রতি দয়াময় আল্লাহতা'লার বিশেষ 'করুণাধারা'র মত। এ আনন্দ, স্বস্তি, আত্মতৃপ্তি ও 'নির্ভাবনা'র অনুভূতি অত্যন্ত স্বর্গীয়। অনেক কষ্ট ও ত্যাগস্বীকার করে সন্তানদেরকে সঠিক পন্থায় লালন করার পর মা-বাবার প্রতি এ যেন আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন এর এক বিশেষ উপহার। আমিও এ উপহার লাভ করে ধন্য। তাই তাঁর প্রতি সর্বান্তঃকরণে কৃতজ্ঞতা!
০১ লা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৩০
করুণাধারা বলেছেন: আপনার এই সুন্দর মন্তব্যটির প্রতিমন্তব্য লিখতে গিয়ে মনে হলো তাড়াহুড়া করে লিখলে ঠিকমতো লেখা হবে না, সময় নিয়ে ভালোভাবে লিখবো। কিন্তু তারপর নানারকম ব্যস্ততা আর দেশে ফেরার পর আবার নির্ভাবনার দিন শেষ হয়ে গেল, এইসব কারণে জবাব দিতে দেরি হয়ে গেল!
একটা জিনিস উপলব্ধি করে ভালো লাগছে, ব্লগ কেবল আমাদের পড়ার আর লেখার জায়গাই নয়, এখান থেকে অনেক দরকারি তথ্যও পাওয়া যায়। আপনার পোস্ট পড়ছিলাম খুব তাড়াহুড়া করে, কিন্তু লাভ হলো এই যে আমি একটা দরকারি তথ্য পেলাম, যা না জানা থাকলে হয়তো দুবাইতে নেমে সীম কিনতে ছুটতাম!
এসব আনন্দের মুহূর্ত গুলো বান্দার প্রতি দয়াময় আল্লাহ তায়ালার বিশেষ 'করুণাধারা'র মতো। এ আনন্দ, স্বস্তি, আত্মতৃপ্তি ও নির্ভাবনার অনুভূতি অত্যন্ত স্বর্গীয়। অনেক কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে সন্তানদেরকে সঠিক পন্থায় লালন-পালন করার পর মা- বাবার প্রতি এ যেন আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের এক বিশেষ উপহার। আমিও এ উপহার লাভ করে ধন্য। তাই তাঁর প্রতি সর্বান্তঃকরণে কৃতজ্ঞতা!
খুব সুন্দর বলেছেন। আমিও আল্লাহকে সর্বান্তকর্মের সর্বান্তঃকরণে কৃতজ্ঞতা জানাই।
৩৫| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫০
কাছের-মানুষ বলেছেন: আমি আসলে আমার একাডেমিক কোন কিছু ব্লগে দেই না। ব্লগটা নিজের হোবি পালনের একটি মাধ্যম হিসেবেই থাকুক, একাডেমিকের মত কাটখোট্টা জিনিষ নিয়ে-তো সারাদিনই পড়ে থাকি!
ব্লগে পোষ্ট না দিলেও ঢু মারি মাঝে মাঝে, সম্প্রতি একটি ভ্রমণ সিরিজ লেখেছি ব্লগে। এবছর নিয়মিত অনেক জায়গায় ভ্রমণের ইচ্ছা আছে, সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করব আশা করি এবং আরেকটু নিয়মিত হব।
০১ লা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৩২
করুণাধারা বলেছেন: আচ্ছা বেশ! যে পোস্টগুলো লিখতে আপনার ভালো লাগে সেগুলোই দেবেন
আপনার ভ্রমণ কাহিনী গুলো পড়ছি, ভালো লাগছে। আশাকরি মন্তব্যে জানাতে পারবো। কিছু কারণে সময়ের অভাব হয়েছে, নিজের পোস্টেই প্রতিমন্তব্য করা হয়ে উঠছে না। সেজন্য উত্তর দিতে দেরি হলো। ভালো থাকবেন।
৩৬| ২২ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অসাধারণ হয়েছে গত শতাব্দিতে মেয়েদের সেলাই নিয়ে
লেখা স্মৃতি চারণ । এক কালের রমরমা মেয়েদের গৃহ
সেলাই কর্ম এখন বলতে গেলে স্মৃতির আতুর ঘরেই
ফিরে যাচ্ছে । এই ব্যস্ততার দিনে মানুষের হাতে দীর্ঘ
সময় নেয়া সেলাই কর্মে রত থাকার সময় কোথায় ।
আবার হাতের কাছেই যদি পছন্দের জিনিষটি পাওয়া
যায় । তবে আগের সেই বাহারী সুচী কর্ম সমৃদ্ধ নয়ন
লোচন কারী পরিধেয় বস্ত্র সামগ্রী তৈরীর জন্য সেই
শতাব্দি প্রাচীন ঘরে বসে রমনীকুলের সৈলাই নৈপন্য'
মাখা কর্মের জুড়ি মেলা এখনো ভাড় । সুন্দর করে
বিষয়গুলি তুলে এনেছেন আপনার এই লেখাটিতে ।
শতাব্দি প্রাচীন সেলাই মেশিন একটি আছে আমাদের ঘরে।
বছর পনের আগে একটি এন্টিকের দোকান থেকে বেশ কম
দামেই শতাব্দি পুরানো নীচে দেখানো একটি সেলাই মেশিন
কিনে নিয়ে এসেছিলাম, এটি এখনো দারুনভাবে কাজ করছ।
তবে ওজনে খুবই ভারী, দুজনে মিলে টানাটানি করে
এটিকে প্রয়োজনে স্থান বদলানো বেশ কঠিন ।
আপনার নানী বাড়ীতে ফ্রমে বাধা
মহামুল্যবান বাণীটির
হৃদয় বোঁটায় আর ফুঁটেনা
ঝড়লে পরে আয়ুর ফুল
এর রয়েছে বহুমুখী অর্থ ।
আমি প্রায়ই বাসে যাতায়াত করি ,
এখানে সিনিয়রদের জন্য বাস ভাড়া
ফ্রি কার্ড রয়েছে সকলেরই । তাই
সিনিয়রগন বাসেই বেশী যাতায়াত
করেন । বাসে প্রায়ই দেখি একজন
বৃদ্ধা হাতে দুটি কাটা দিয়ে উলের সুতায়
বাচ্চাদের পড়ার উপযোগী মাংকি ক্যাপ
বুনে চলেছেন আপন মনে ।
একদিন তাঁর পাশের সিটে বসে যাওয়ার
সময় গল্প কথনে জানতে পারলাম তিনি
ঘরে বসে নিয়মিত এই মাংকি ক্যাপ বানান,
আর তা তার সংস্পর্শে আসা ছোট ছোট
ছেলে মেয়ে ও পৌঢ়দেরকে উপহার হিসাবে
দিয়ে বলেন এটা পড়লে শীতে আরাম পাবে
You will get long life তার মানে এটা
পড়লে শীতের হাত থেকে বেচে গিয়ে আয়ু
বাড়বে। এখন বুঝেন সেই বৃদ্ধার হৃদয় বোঁটা
হতে আর ফুল না ফুটলেও কেমন করে তাঁর
কাঠির বোটা হতে ঝড়ে পড়ছে আয়ুর ফুল ।
অপনার নানী বাড়ীতে ফ্রেমে বাধা সেই
মহামুলবান বাণীটির গুঢ় অর্থ আমার কাছে
পরিস্কার ভাবেই ধরা দিয়েছে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
০১ লা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০
করুণাধারা বলেছেন: এক কালের রমরমা মেয়েদের গৃহ সেলাই কর্ম এখন বলতে গেলে স্মৃতির আতুর ঘরেই ফিরে যাচ্ছে। এই ব্যস্ততার দিনের মানুষের হাতে দীর্ঘ সময় নেয়া সেলাই কর্মে রত থাকার সময় কোথায়।
এটাই বাস্তবতা! যেহেতু সেই সময়টাকে আমি দেখেছি, তাই যারা তা দেখেনি তাদের কাছে সেই সময়টাকে তুলে ধরার প্রয়াস এই লেখা।
আমার মনে হয় ঘরে সেলাই করার স্মৃতি আপনার মনেও আছে, তাই এ্যান্টিক দোকানে এই ভারী সেলাই মেশিন দেখতে পেয়ে কিনে এনেছেন। এত পুরোনো মেশিন এখনও চলে! দেখতেও ঝকঝকে আছে।
আমার নানী বাড়িতে ফ্রেমে বাঁধানো বানী, যার মর্ম আমি উদ্ধার করতে পারিনি, আপনি শুধু যে তাঁর অর্থ বুঝেছেন তাই না, চমৎকার একটি ঘটনা বর্ণনার মাধ্যমে সেই অর্থ ব্যাখ্যা করেছেন! অনেক ধন্যবাদ ঘটনাটি বর্ণনা করার জন্য, এবং উলের বোনা মাংকি টুপির ছবিটি দেবার জন্য। এই টুপি আমাদের দেশেও বোনা হতো... এই ঘটনা প্রসঙ্গে মনে পড়লো, আমি দেখেছি আমাদের দেশে বর্ষিয়ানরা উল বোনার অভ্যাস এখনও ধরে রেখেছেন। এই অভ্যাস তাহলে বিলাতের বর্ষিয়ানদেরও আছে!
আপনার চমৎকার মন্তব্যটির উত্তর দিতে খুব দেরি হয়ে গেল, আমি সেজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আসলে এমন মন্তব্যর উত্তর তাড়াহুড়া করে দেয়া যায় না, কিন্তু আমি ঠিকমত লিখতে পারছিলাম না। দীর্ঘদিন পর আমার আমেরিকাবাসী সন্তানদের কাছে গিয়েছিলাম তখন অল্প দিনের জন্য, সেকারণে সময় পাচ্ছিলাম না।
আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য দোয়া করি, ভালো থাকুন। নিয়মিত পোস্ট আর মন্তব্য দিয়ে ব্লগকে সমৃদ্ধ করতে পারেন যেন, শুভকামনা।
৩৭| ২৮ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৬
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা @মিরোরডডল...... তুমিতো আচ্ছা বিচ্ছু। কোথা থেকে ধরে ফেল্লা আমার মুখ ফসকে বের হওয়া কথা।
আমি নাচবো গাইবো তবে কথা হলে তোমরা কেউ তা দেখে শুনে পালাতে পারবে না । মানে, ধরে বেধেঁ রাখা হবে তোমাদেরকে, শুনতেই হবে দেখতেই হবে। কোন মাপ হবে না, দোয়া চেয়েও লাভ হবে না .......................... হাহাহাহা
৩৮| ০১ লা জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪২
করুণাধারা বলেছেন: হাসিখুশি মিরোরডডল কী অবস্থায় আছে জানিনা। দোয়া করি যেন এ শোক কাটিয়ে উঠতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৩৫
শেরজা তপন বলেছেন: এমব্রয়ডারির রঙের শেড ছিল গৃহিণীর রুচির পরিচায়ক- ঠিক।
আমাদের ওখানেও এম্বডারি বলা হোত- ইনফ্যাক্ট এখনো বেশীরভাগ মানুষ 'এম্বডারি'ই বলে।
সেই নকশী পাড়ের জায়নামাজে নামাজ পড়ার অভিজ্ঞতা আছে।
আমি কিছু এমন ধারার বানী দেখেছি;
ডালিম পাকিয়া গেলে আপনি ফেটে যায়
ছোট লোক বড় হলে বন্ধুকে কাদায়
ভাই বড় ধন রক্তের বাঁধন
যদিও পৃথক হয় নারীর কারণ।
আপনার ওই বাণীর অর্থ হবে হয়তো;
আগের মত আর প্রেম (ফুল) জাগেনা ( ফোটেনা) মনে(হৃদয়ে)
আসল প্রেমতো(ফুল) বয়সের(আয়ুর) সাথে ঝড়ে গেছে।
আগে বাজার থেকে মায়ের জন্য সোনামুখী সুঁই কিনে আনতাম। দোকান থেকে কাগজে মুড়ে দিলে- কাগজ খোলার পরে প্রথমে সুঁই খুঁজে পেতাম না ( এত সূক্ষ্ম ও ক্ষুদ্র সেই সুঁই) সোনামুখী সুঁইয়ে সুতা পরানো বেশ কঠিন ছিল। ছোট বেলায় আমি সূচিকর্মে বেশ আগ্রহী ছিলাম। রিফু আমি নিজেই করতাম।
আমাদেরও সিঙ্গার সেলাই মেশিন ছিল- আমিও নিয়মিত সেলাই করতাম মার দেখাদেখি। উল দিয়ে সোয়েটারও বুনেছি তবে ফিনিশিং দিতে পারিনি।
আহ্ কত কথা মনে করিয়ে দিলেন!! মন্তব্য বেশী লম্বা হয়ে যাচ্ছে। পোস্টে +++