নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তবু তুমি একবার খুলিয়া দক্ষিণদ্বার
বসি বাতায়নে
সুদূর দিগন্তে চাহি কল্পনায় অবগাহি
ভেবে দেখো মনে-
একদিন শতবর্ষ আগে
চঞ্চল পুলকরাশি কোন্ স্বর্গ হতে ভাসি
নিখিলের মর্মে আসি লাগে--
নবীন ফাল্গুনদিন সকল বন্ধনহীন
উন্মত্ত অধীর--
উড়ায়ে চঞ্চল পাখা পুষ্পরেণুগন্ধমাখা
দক্ষিণসমীর--
সহসা আসিয়া ত্বরা রাঙায়ে দিয়েছে ধরা
যৌবনের রাগে
তোমাদের শতবর্ষ আগে।
সেদিন উতলা প্রাণে, হৃদয় মগন গানে,
কবি এক জাগে--
কত কথা পুষ্পপ্রায় বিকশি তুলিতে চায়
কত অনুরাগে
একদিন শতবর্ষ আগে।
খোলা জানালার পাশে বসে নয়, বরং আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম শতবর্ষ প্রাচীন এক বাড়ির সামনে, কল্পনায় ভেসে গিয়ে মনে ভাবছিলাম, শতবর্ষ আগে এমন এক সুন্দর সকালে কবিগুরু এই বারান্দায়, কিংবা বারান্দার পাশের গাছের ছায়ায় চেয়ার পেতে বসে কবিতা লিখছেন...
একশো দশ বছর আগে, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বাড়িটিতে থেকেছিলেন। এখানে থেকেই তিনি গীতাঞ্জলির ইংরেজি অনুবাদের প্রুফ দেখেছিলেন, এখানে বসে তিনি ইংরেজ কবি ইয়েটসকে অনেক চিঠি লিখেছিলেন, অনেক কবিতাও লিখেছিলেন। বাড়িটি অবস্থিত আর্বানায়, আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় এট আর্বানা শ্যাম্পেন নামক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে, ঠিকানা ৫০৮ হাই স্ট্রিট, আর্বানা। সাদা দোতলা বাড়িটি কাঠ দিয়ে তৈরি, নির্মিত হয়েছিল ১৯০৩ সালে। ১৯১২ সালের অক্টোবরে তিনি এখানে এসেছিলেন, সাথে ছিলেন পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী। আর্বানা ছিল তখন ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে সবুজ এক উদ্যান, সেই শ্যামলিমা হয়তো কবির মনে প্রশান্তি এনে দিয়েছিল, তাই এই বাড়ি ভাড়া নিয়ে টানা ছয়মাস এখানে থেকে লেখালেখি করেছিলেন। দোতলা এই বাড়িটি তখনও এমনই ছিল, একতলায় তিনটি এবং দোতলায় তিনটি ঘর, একতলায় টানা বারান্দার শেষে কাঠের তিনটা সিঁড়ি, নামলেই ঘাসে ছাওয়া লন, তারপর রাস্তা। আজও এই বাড়িটি, বাড়িতে কবিগুরুর ব্যবহৃত জিনিসপত্র, এমনকি বাড়ির আশপাশের বাড়িগুলো আর পরিবেশ একই রকম রেখে দেয়া হয়েছে। বাড়ির আশপাশের রাস্তাগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য এলাকার রাস্তার মতো পিচঢালা না, একশো বছর আগে যেমন ইট বিছানো পথ ছিল এখনও তেমনই আছে, লাইটপোস্টগুলোও সেইসময়কার মতই রাখা আছে। (আমেরিকানরা ঐতিহাসিক স্থানগুলোকে অবিকল রেখে দেবার কাজটি খুব ভালভাবে করতে পারে। এই ইলিনয়ের স্প্রিঙফিল্ডে ঊনবিংশ শতকে আব্রাহাম লিংকনের বাড়ি ও তার আশপাশ, কাঠের টিউবওয়েল, তার পড়শিদের বাড়ি, রাস্তা, এমনকি সেসময় যে কাঠের ওয়াগন চলত তাও রাস্তায় রাখা আছে।) কিন্তু কবিগুরু তো তখনও নোবেলজয়ী হননি, তাহলে কেন তাঁকে সম্মান জানাতে তার ভাড়া করা বাড়িটি আজও একই রকমভাবে রেখে দেয়া হয়েছে!! এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখি, আর্বানা থেকে চলে যাবার কয়েক মাস পরেই তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান, তারও আগে ১৯১২ সালেই তিনি আর্বানায় কয়েকদফা বক্তৃতা দিয়েছিলেন বলে বেশ পরিচিত ছিলেন। সুতরাং তিনি যখন প্রথম অশ্বেতাঙ্গ হিসেবে নোবেল পুরস্কার পেলেন, তখন তিনি আর্বানায় অতি পরিচিত এক ভারতীয় কবি, তাই সেসময়ই তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে এই বাড়ি, তাঁর দেয়া বক্তৃতার কপি, সেই সময়ে ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় এট আর্বানা শ্যাম্পেনে তার আগমনের খবর, নোবেল পাওয়ার খবর সম্বলিত "দৈনিক ইলিনি" পত্রিকার কপি এই সমস্ত কিছু সুরক্ষিত রাখা হয়েছে।
অন্তর্জাল থেকে দৈনিক ইলিনির তিনটি খবরের ছবি দিলাম, প্রথমটাতে ১৯১২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্রের বাবা এবং ভারতীয় কবি হিসেবে কবিগুরুর আগমনের খবর, দ্বিতীয়টিতে আলোচনা ও বক্তৃতার খবর এবং তৃতীয়টিতে তার নোবেল পুরস্কার পাবার খবর দেয়া হয়েছে।
অবশ্য নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির পর তিনি আরো দুবার আর্বানা এসেছিলেন, ১৯১৬-১৯১৭ এবং ১৯২০ সালে। কিন্তু সেসময় আমেরিকার নানা প্রান্তের মানুষেরা তার বক্তৃতা শোনার জন্য উদগ্রীব অপেক্ষায় ছিলেন, তাই সারা আমেরিকার নানা অঞ্চলে বক্তৃতা দেবার মাঝে স্বল্প সময়ের জন্য তিনি আর্বানায় এসেছিলেন।
কিন্তু এই বাড়িতে থাকাকালীন তিনি যেসব বক্তৃতা দিয়েছিলেন, যেসব সভায় গিয়েছিলেন তার সবকিছুই নথিবদ্ধ করা আছে আর্বানায়। ১৯১২ সালের দশই নভেম্বর তিনি প্রথম বক্তৃতা দেন, সেটাই ছিল কোন জনসভায় ইংরেজি ভাষায় দেয়া তাঁর প্রথম বক্তৃতা। এই বক্তৃতার বিষয় ছিল উপনিষদের বাণী। তিনি এই বক্তৃতা দিয়েছিলেন ইউনিটারিয়ান চার্চে, পরে যা পরিবর্তিত হয়ে নাম হয় চ্যানিং- মারী ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশন এখন কবিগুরুর স্মৃতিময় সবকিছু সংরক্ষণ করে রেখেছে। বক্তৃতা দেবার সময় যে টেবিলে কাগজ রাখতেন (Lecturn), সেই টেবিলটিও ফাউন্ডেশনে সংরক্ষিত আছে। এই ফাউন্ডেশন এখন প্রতিবছর রবীন্দ্রনাথের আর্বানায় আগমন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় টেগোর ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে, যে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রবীন্দ্র প্রেমীরা একত্রিত হন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিধন্য এই বাড়িটি এতদিন একজন আমেরিকানের মালিকানায় ছিল। সম্প্রতি কাজল মুখোপাধ্যায় ও মৌসুমী দত্তরায় নামের নিউইয়র্কবাসী দুজন বাঙালি বাড়িটি কিনে নিয়েছেন। তারা ভবিষ্যতে বাড়িটিকে মিউজিয়ামে পরিবর্তিত করতে চান
এই বাড়িতে বসে লেখা চিঠি এবং কবিতাতে তিনি এই বাড়ির ঠিকানা লিখেছেন, যেমন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরকে লেখা এই চিঠি, এবং এই কবিতা।
সেসময় তো আর আজকের মতো বিশ ঘন্টা প্লেন জার্নি করে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকা যাওয়া যেত না!! কবিগুরু গিয়েছিলেন প্রথমে বোম্বে থেকে জাহাজে চড়ে বিলাতে, সেখান থেকে আবার জাহাজে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে নিউইয়র্ক, তারপর ট্রেণে করে শিকাগো, তারপর ঘোড়ার গাড়ি করে আর্বানা! দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে সুদূরের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কবিগুরু কেন এসেছিলেন জানা গেল না। সম্ভবত রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরামর্শে তিনি আর্বানায় আসেন। তাঁর স্বাস্থ্য ভালো যাচ্ছিল না, তাই হয়তো রথীন্দ্রনাথ মনে করেছিলেন যে এখানে তাঁর বিশ্রাম হবে। কিন্তু রথীন্দ্রনাথ কেন এই জায়গাটাই নির্বাচন করলেন!! একটি লেখায় পড়েছিলাম, গবেষণার কাজে রথীন্দ্রনাথের দ্বিতীয়বার এখানে আসা প্রয়োজন ছিল, ভগ্ন স্বাস্থ্যের পিতাকে বিশ্রাম আর সঙ্গ দেবার জন্য তিনি তাঁকে সাথে নিয়ে এসেছিলেন, সাথে ছিলেন স্ত্রী প্রতিমা দেবী, যিনি রান্নার কাজ করতেন। রান্নার কথাটা কিন্তু আমার অনুমান নয়, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরকে লেখা চিঠিতে কবিগুরু নিজেই একথা লিখেছেন। কী রান্না করতেন জানতে পারলে ভালো হতো!
এর কয়েক বছর আগে, ১৯০৬ সালের এপ্রিলে আঠারো বছর বয়সী রথীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইলিনয় এসেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে। কবিগুরু তাঁকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠিয়েছিলেন কৃষি বিজ্ঞান পড়তে। সেসময় উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা বিলাতে গিয়ে ব্যারিস্টারি পড়তেন, কিন্তু রথীন্দ্রনাথ ব্যারিস্টারি না পড়ে কৃষি বিজ্ঞান পড়েছিলেন, কারণ কবিগুরু চেয়েছিলেন রথীন্দ্রনাথ যেন কৃষি বিজ্ঞানে পারদর্শী হয়ে দেশে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ শেখাতে পারেন। কবিগুরুর ইচ্ছা পূরণ হয়েছিল, রথীন্দ্রনাথ ১৯০৯ সালে কৃষি বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে দেশে ফিরে যান, শিলাইদহ কুঠিবাড়ির কাছেই একখন্ড জমিতে কৃষি গবেষণাগার তৈরি করেন, আমেরিকা থেকে নানা যন্ত্রপাতি আনিয়ে তা নিয়ে গবেষণা চালান। ট্র্যাকটর দিয়ে জমি চাষ করাও শেখান তিনি। যে কৃষকেরা কেবল ধান চাষ করতে জানতেন, রথীন্দ্রনাথ তাদের একই জমিতে আলু আর আখ চাষ করা শেখান। আমেরিকা থেকে উন্নত জাতের ভুট্টা বীজ আনিয়ে ভুট্টা চাষ করা শেখান।৩) আমার মনে হয় রথীন্দ্রনাথের আনা এই ভুট্টা বীজ ছিল এদেশে চাষের জন্য আনা প্রথম ভুট্টা বীজ, তার হাত ধরেই আমাদের দেশে ভুট্টা চাষের সূচনা হয়। সেই ভুট্টা বীজ হয়তো আনা হয়েছিল আর্বানার ভুট্টা ক্ষেত থেকে ...
ভুট্টা ক্ষেতের প্রসঙ্গে মনে পড়লো, আমাদের সামুর ব্লগার রাগিব হাসান এই ভুট্টা ক্ষেতের মধ্যে থাকতেন এবং ব্লগিং করতেন...
আর্বানা- শ্যাম্পেনে এসে কবিগুরুকে নতুন করে জানলাম। আগে তাঁকে জানতাম কেবল একজন কবি হিসেবে, যার মন মেঘের সঙ্গী হয়ে নিঃসীম শূন্যে উড়ে চলে যায়... কিন্তু এখন জানলাম, মাটিময় পৃথিবী আর মাটিমাখা মানুষও তার মনের মধ্যে ছিল। তিনি কেবল কবি নয়, বরং প্রজার কল্যানকামী জমিদার ছিলেন, যিনি ভেবেছিলেন যে মাটির উর্বরতা বাড়িয়ে, নতুন কোনো ফসল উৎপাদন করে উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে পারলে তাঁর দরিদ্র প্রজাদের জীবনমান উন্নত হবে। সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রয়োজন ছিল আধুনিক কৃষি বিজ্ঞানে পারদর্শী কেউ একজন মানুষ যে কৃষকদের মাঝে তার জ্ঞান ছড়িয়ে দেবে, তাদের করবে দিক্ষিত। একমাত্র পুত্র রথীন্দ্রনাথকে তিনি একাজের জন্য দায়িত্ব দিলেন... তা না হলে হয়তো রথীন্দ্রনাথ হতেন ব্যারিস্টার কিংবা বিলাসী জমিদার!
আর্বানায় রবীন্দ্রনাথকে জানতে গিয়ে প্রথমবারের মতো রথীন্দ্রনাথকেও জানার আগ্রহ জন্মায়, কারণ তিনিই কবিগুরুকে এখানে নিয়ে এসেছিলেন! রথীন্দ্রনাথ সম্পর্কে খুব কমই জানা ছিল, তার ছবিও কখনো আগে দেখিনি। কীর্তিমান পিতা রবির ছায়ায় নিজেকে ঢেকে তিনি জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। অবশ্য আর্বানাতে তাঁর নিজস্ব পরিচয় ছিল, তাই উপরে দেয়া খবরের কাগজের খবরে (প্রথম ছবিতে) রবীন্দ্রনাথের একটা পরিচয় দেয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র রথীন্দ্রনাথের বাবা হিসাবে! পিতাকে তিনি ডাকতেন "বাবামশাই" বলে, পিতাকে নিয়ে "পিতৃস্মৃতি" নামে বই লিখেছেন, পিতার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পাশে থেকেছেন, বিশ্বভারতীর স্বপ্ন বাস্তবায়নেও পিতাকে সহায়তা করেছেন। রথীন্দ্রনাথ নিজের প্রাপ্য সমস্ত সম্পদ ব্যয় করেছেন বিশ্বভারতীর জন্য, কাজ করে গেছেন বিশ্বভারতীর জন্য, অথচ তিনিই পরে বিতাড়িত হয়েছেন বিশ্বভারতী থেকে, এমনকি রবীন্দ্র জন্ম শতবার্ষিকীর কোনো অনুষ্ঠানে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁকে আমন্ত্রণ জানায়নি! এই ভাগ্য বিড়ম্বিত মানুষটির মৃত্যু হয় পিতার জন্ম শতবার্ষিকীর বছরেই, ১৯৬১ সালে।
রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
আমি যেমন আমার মেয়ের সাথে এই সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয়টি ঘুরে ঘুরে দেখেছি, কবিগুরুও নিশ্চয়ই ছেলের সাথে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা জায়গা ঘুরে দেখেছেন, হয়তো মরো প্লট দেখতেও এসেছিলেন। মরো প্লট দেখতে গিয়ে আমার একথা মনে হলো। এই "মরো প্লট" একটুকরো জমি। এই প্লট ১৮৭৬ সালে কৃষি গবেষণার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়। এটা আমেরিকার প্রাচীনতম কৃষি গবেষণা প্লট। বিশ্ববিদ্যালয় যারা দেখতে আসে তারা প্রায় সকলেই এই জমিটি দেখতে আসে। তাই মনে হয় কবিগুরুও এখানে এসেছিলেন!! হয়তো কোন সুন্দর সকালে আমার মতোই ফসলে ছাওয়া মাঠটি মুগ্ধ হয়ে দেখেছিলেন... একশো বছর আগে!! মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে যখন এসব ভাবছিলাম, তখন একটা হালকা বাতাস ফসলের মাঠ পার হয়ে আমার উপর দিয়ে বয়ে গেল, আর যেতে যেতে যেন বলে গেল, "কে বলে গো এই প্রভাতে নেই আমি!!"
তথ্য নেয়া হয়েছে:
১)http://www.sachalayatan.com/tareqanu/52171
২)https://www.parabaas.com/article.php?id=5369
৩)http://www.sachalayatan.com/porimanob/45730
৪)https://www.google.com/amp/s/www.anandabazar.com/amp/world/the-house-in-usa-with-the-memory-rabindranath-tagore-now-bought-by-two-bengalis-dgtlx/cid/1301975
৫)https://archives.library.illinois.edu/slc/rabindranath-tagore/
৬)https://archives.library.illinois.edu/slc/rabindranath-tagore-2/
৭)https://thespace.ink/cover-story/tagore-in-urbana-illinois/
৮)https://www.jiyobangla.com/bn/news/remembering-rathindranath-tagore2
8)https://aces.illinois.edu/research/history/morrow-plots
প্রথম ছবিটি আমার তোলা। জুম করলে বাড়ির নাম্বার, এবং এটা রবীন্দ্রনাথের বাড়ি সেটা লেখা আছে দেখা যায়। কবিতার ছবি বাদে বাকি ছবি অন্তর্জাল থেকে সংগৃহীত।
১৩ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ এমজেডএফ, পোস্টে প্রথম মন্তব্য এবং প্রথম লাইক করার জন্য। আমার ব্লগে প্রথমবারের মতো আপনাকে পেয়ে খুব ভাল লাগছে।
আর্বানায় যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ি দেখে আমি খুব আবেগে আপ্লুত হয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল, যেন অনেক অপরিচিতর মাঝে একজন পরিচিত মানুষকে খুঁজে পেলাম! শুনেছি টেগোর ফেস্টিভ্যালে বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক রবীন্দ্রপ্রেমী মানুষ জমা হন, তারা রবীন্দ্রনাথ নিয়ে গবেষণা করেন, এখনও !! আমি অন্তর্জালে এ সম্পর্কিত কিছু পড়াশোনা করলাম, এবং তারপর ভাবলাম ব্লগে তা শেয়ার করি... তাই এই পোস্ট।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আজি হতে হাজার বছর পরেও বাঙালির মানসপটে বেঁচে থাকবে। অবশ্যই!
২| ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি লেখা পাঠ করলাম।
১৩ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮
করুণাধারা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ রাজিব নুর। এরপর মন্তব্য পড়ার জন্য আবার আসবেন কিন্তু।
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:১৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক অজানা ইতিহাস জানলাম। ভাল লেগেছে পড়তে ++++++
১৩ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: যেহেতু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে লিখেছি, তাই রথীন্দ্রনাথের কথা তেমন লিখিনি। তেমন কিছুই জানতাম না তার সম্পর্কে। তার ছবিও কখনো দেখিনি আগে। এই প্রথম রথীন্দ্রনাথ সম্পর্কে কিছু জানার চেষ্টা করলাম। এই মানুষটি পিতার জীবদ্দশায় তেমন সংকটে না পড়লেও মৃত্যুর পরে সংকটে পড়েছিলেন এবং অপমানিত হয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। নাহলে হয়তো তিনিও একজন কীর্তিমান মানুষ হতে পারতেন...
৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৭
শায়মা বলেছেন: আমার এক বোন আর্বানায় জব করছে। তাকে তোমার এই পোস্টটি পড়াবো আপুনি!
১৩ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: আমার মনে হয় তোমার বোনের সময় অথবা ইচ্ছা হবে না এসব ছাইপাশ পড়ার।
৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৭
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার লেখা।
১৩ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০০
করুণাধারা বলেছেন: আপনাকে বহুদিন পর দেখে খুব ভালো লাগছে প্রামানিক। আশাকরি ভালো আছেন।
সুস্থ থাকুন, শুভকামনা রইল।
৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩০
শায়মা বলেছেন: সেও ইঞ্জীনিয়ার তোমার মত।
কেমিকেল ইঞ্জীনিয়ার।
পুস্তকের পড়া ছাড়া যদিও কিছুই বুঝে না কিন্তু রোমান্টিক মনের।
ঢাকা ইউনিতে আইবিএ তে পরীক্ষা দিয়ে রিটেনে ফা্রস্ট সেকেন্ড এমন কিছু হয়েছিলো।
ভাইভাতে গিয়ে জিগাসা করলো অবসরে কি করো?
সে বললো ম্যুভি দেখি।
কোন ম্যুভি প্রিয়
দেবদাস
কে লিখেছেন?
রবীন্দ্রনাথ!
১৩ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১
করুণাধারা বলেছেন: কোন ম্যুভি প্রিয়
দেবদাস
কে লিখেছেন?
রবীন্দ্রনাথ!
আমিও এমনই ছিলাম। স্কুলে ইংরেজি পাঠ্য বইয়ে একটা গল্প ছিল The barber of Baghdad নামে, সেই যে পাজি নাপিত গরিব কাঠুরের কাঠের সাথে সাথে কাঠ রাখার ঝুড়িটাও নিয়ে নেওয়ার গল্প। এইটা আমার মাথায় কেন জানি বসে ছিল। পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছিল, who was Aristotle? আমি উত্তর দিয়েছিলাম, Aristotle was the barber of Baghdad. আমার টিচার পরে আমার সেই উত্তর পুরো ক্লাস কে শুনিয়েছিলেন।
তোমার বোনও আমার কিসিমেরই মনে হচ্ছে।
৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১০
শায়মা বলেছেন: হা হা হা বুঝাই যাচ্ছে ইঞ্জিনীয়ারেরা এমনই হয়।
আমার বোন যে কোন কিসিমের শুনলে হাসতে হাসতে মরবে। সে অবশ্য পিএইচডি করে এখন জব করছে তার আগে যেখানে জব করতো। বস কিছু বললেই কাঁদতে বসতো। বস তো উল্টা ভয় পেয়ে যেত এমন বেক্কল দেখে।
একবার তার বাড়িউলীর কুকুর তার কাছে দৌড়ে এসেছিলো সে সোজা বাড়িউলীর টেবিলের উপর উঠে গেছিলো। ভাগ্যিস হালকা পলকা ছিলো নইলে টেবিলের খবরই ছিলো।
সে এমন এমন হাসির কান্ড করে যা আমাকে শুনায় যখন আমি হাসতে হাসতে মরেই যাই।
১৪ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬
করুণাধারা বলেছেন: বোনের কুকুর কান্ড শুনে তোমার হাসি পেল! ভয় হলো না বোনের জন্য! তুমি মনে হচ্ছে কুকুর- প্রেমী!! আমি একেবারেই না।
আমেরিকায় নাকি কুকুর- বিড়ালকে ভয় পেতে দেখলে মালিক খুব ক্ষুব্ধ হন! কুকুর- বিড়ালকে ভয় পাওয়াকে নিজের আদরের সন্তানকে ভয় করার সমান বলে ভাবেন... ভাগ্যিস কুকুরপ্রেমী এমন কোন পাগলের সাথে আমার দেখা হয়নি!
৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: ওয়াও!!! কবিপুত্র সন্মন্ধে খানিকটা জানলেও এবিষয়টা সন্মন্ধে একেবারেই জানতাম না।
চমৎকার লেখগা পড়ে বিমোহিত হলাম। ধন্যবাদ ব্লগারদের জন্য এমন দারুণ তথ্য সমৃদ্ধ নিবন্ধের জন্য।
১৪ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯
করুণাধারা বলেছেন: আমার একটা অবজারভেশন আছে, প্রতিভাবান বা কীর্তিমান মান মানুষদের প্রতিভার বা কীর্তির উত্তরাধিকার বড়জোর তিন পুরুষ পর্যন্ত থাকে। দ্বারকানাথ- দেবেন্দ্রনাথ- রবীন্দ্রনাথ কিংবা উপেন্দ্রকিশোর- সুকুমার- সত্যজিৎ এর উদাহরণ। ভেবেছিলাম রথীন্দ্রনাথের তেমন কোন প্রতিভা ছিল না। রথীন্দ্রনাথ সম্পর্কে যতটুকু জানতাম, তিনি অনেকটা রবীন্দ্রনাথের প্রাইভেট সেক্রেটারির মতো কাজ করতেন, তার শিক্ষা দীক্ষা সম্পর্কে জানা ছিল না। পরে জানলাম তিনি নানা গুণের অধিকারী ছিলেন, পিএইচডি করতে ১৯১২ সালে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় গিয়েছিলেন কিন্তু পিতার ইচ্ছায় তিনি সেটা আর করেন নি...
আমার ভালো লাগছে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে... আপনাকেও ধন্যবাদ কষ্ট করে পড়ার জন্য।
৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০৩
রানার ব্লগ বলেছেন: বাহ করুনাধারা বাহ!!
১৪ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:০০
করুণাধারা বলেছেন: এটা কি প্রশংসাসূচক বাক্য, রানার ব্লগ!!
অসংখ্য ধন্যবাদ।
১০| ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
একেবারেই অজানা এবং দুঃস্প্রাপ্য সংগ্রহ নিয়ে কবিতার মতোই সেজে উঠেছে লেখাটি।
প্রসঙ্গক্রমে বলি - প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায় আমাদের দেশে গুনীদের কদর তো নেই-ই, নেই তাদের স্মৃতিকে ধরে রাখার সামান্য চেষ্টাটুকুও। বরং পারলে তাদের পরশধন্য জিনিষগুলো ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি, বাসস্থান সহ জায়গা জমি দখল করতে কেউই পিছপা হয়না। অন্যান্য সভ্য দেশের সাথে আমাদের কী বৈপরীত্য! অথচ কাউকে নিয়ে গর্বিত হওয়ার মতো আমাদের কিছু আছে কিনা জানতে চাইলে তাদের নামগুলিই তুলে ধরা হয়।
ধন্যবাদ এমন একটি বিষয় জানিয়ে দেয়ার জন্যে।
১৪ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৩
করুণাধারা বলেছেন: বরং পারলে তাদের পরশধন্য জিনিসগুলো ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি, বাসস্থান সহ জায়গা জমি দখল করতে কেউই পিছপা হয় না।
ঠিক তাই! অথচ ইচ্ছা করলেই এগুলো সংরক্ষণ করা যেতো! আমাদের পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলো একে একে ভেঙে ফেলা হচ্ছে!! যখনই বাড়ি ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত হয় তখন প্রথম দিকে কিছুটা প্রতিবাদ করেন কেউ কেউ তারপর রিএক সময় ভেঙে ফেলা হয়। সুকুমার সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। সেটার ভগ্ন দশা সংরক্ষণের অভাবে। এমনকি শিলাইদহের কুঠিবাড়ির চাইতেও আর্বানার বাড়িটি আশপাশের পরিবেশসহ সুন্দরভাবে সংরক্ষিত আছে। অথচ এই বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ মাত্র ছয় মাস ছিলেন, তিনি অন্য দেশ থেকে আসা একজন কবি। তবু তার ব্যবহৃত সমস্ত কিছু একশো বছরের বেশি সময় ধরে সংরক্ষিত আছে।
১১| ১৪ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৫৪
সোহানী বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট পড়ার সুযোগ করে দেবার জন্য ধন্যবাদ। অনেক অজানা বিষয় জানলাম।
হাঁ, আমি ইউরোপ বা নর্থ আমেরিকার যেখানেই গেছি সেখানেই দেখেছি পুরোনো ঐতিহ্যকে কি সযতনে লালন পালন করে। যাহোক, আমাদের সে সুযোগ ইচ্ছে বা সম্পদও নেই।
আমি সত্যিই অবাক হচ্ছি, রবীন্দ্রনাথ এর ছেলেকে নিয়ে এ পর্যন্ত কোন লিখা পড়িনি। আপনার এ লিখাই প্রথম। বিশ্বভারতীর বিশ্বাঘাতকতা পড়ে মন খারাপ হলো। আমাদের অস্থি মজ্জায় বেইমানী।
রথীন্দ্রনাথকে নিয়ে লিখা খুঁজবো।
১৪ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৭
করুণাধারা বলেছেন: ঐতিহ্য লালন করতে খুব বেশি সম্পদের প্রয়োজন হয় না যদি, ইচ্ছাটাই বড় কথা। আমাদের পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাড়িগুলো সংরক্ষণ করা যেতো সহজেই, কিন্তু এদেশে যেসব কর্তার ইচ্ছায় কর্ম হয় তাদের কারো ইচ্ছে হয়নি সংরক্ষণ করার!
আমার ধারণা ছিল রথীন্দ্রনাথ কীর্তিমান বাবার অপদার্থ ছেলে। কিন্তু পড়তে গিয়ে দেখলাম, তিনি ছিলেন এমন একজন মানুষ যার প্রতিভা ছিল নানামুখী। তিনি পিএইচডি করার সুযোগ পেয়ে ১৯১২তে ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় গিয়েছিলেন, কিন্তু পরে বাবার ইচ্ছায় সেসব ছেড়ে দেন, তারপর বাবার ইচ্ছায় শিলাইদহের কৃষি গবেষণা ছেড়ে শান্তিনিকেতনের সবকিছু গড়ে তোলার কাজে নিয়োজিত হন। তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে যা কিছু সম্পদ পেয়েছিলেন সব দান করেছিলেন শান্তিনিকেতনকে। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে পরে সরকারি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর করা হলে তিনি উপাচার্য হন, কিন্তু তারপর নানা রকম পলিটিক্স এর ফলে তিনি বিতারিত হন...
রবীন্দ্রনাথ নিজেও জানতেন তার জীবনের রথীন্দ্রনাথের অবদান। এ সম্পর্কে আমার পড়া একটা নিবন্ধ থেকে কিছুটা কপি করে দিচ্ছি:
... যথাযোগ্য মর্যাদাও তিনি পাননি । পুত্রের এই দিকটার কথা অপর লোক হয়ত বোঝেনি । - কিন্তু স্নেহশীল পিতা অবশ্যই তা মর্মে অনুভব করেছিলেন । তাই রথীন্দ্রনাথের পঞ্চাশ বছরের জন্মদিনে তিনি লিখেছিলেন -
"তোমার সকল চিত্তে
সব বিত্তে
ভবিষ্যের অভিমুখে পথ দিতেছিলে মেলে,
তার লাগি যশ নাই পেলে ।
কর্মের যেখানে উচ্চদাম
সেখানে কর্মীর নাম
নেপথ্যেই থাকে একপাশে ।"
১২| ১৪ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ কেন এত কষ্ট করে ঐ দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে ওখানে গেলেন, প্রথম থেকে পড়তে পড়তে আমার মনেও এ প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছিল। যাই হোক, পরে আপনি নিজেই সেটা অ্যাড্রেস করেছেন।
ট্যাগোরের স্মৃতি সংরক্ষণের প্রতি আমেরিকানদের এই ভালোবাসা ও আন্তরিকতা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হলাম।
একটা সমৃদ্ধ পোস্ট।
ভালো লাগলো এটা জেনে যে, দেবদাস মুভির গল্পকার আমাদের রবিকাকা এবং এরিস্টটল ছিলেন বাগদাদের একজন বার বার
১৪ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২
করুণাধারা বলেছেন: ট্যাগোরের স্মৃতি সংরক্ষণের প্রতি আমেরিকানদের এই ভালোবাসা ও আন্তরিকতা দেখে সত্যিই মুগ্ধ হলাম।
আমিও মুগ্ধ হয়েছিলাম। এই বাড়িটা, তার আশেপাশের কয়টি বাড়ি, রাস্তা সবকিছু দেখে মনে হয় সময় এখানে একশো বছরের বেশি সময় ধরে থেমে আছে। তখন মনে পড়ে যায় "আজি হতে শতবর্ষ পরে..." কবিতাটা।
মনে হয় আমরা গুনির কদর করতেই জানিনা!!
আপনাকে নতুন কিছু জানাতে পেরে আমারও ভালো লাগলো, সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই!
১৩| ১৪ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে ক মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
অনেক গুলো মন্তব্যের উত্তর দেন নি। আমাকে আবার আসতে হবে।
১৪ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: যাক! অবশেষে এলেন! আপনার অপেক্ষায় ছিলাম!
শুক্রবারে কাজ থাকে ঘরে, তাই মন্তব্যের উত্তর দিতে দেরি হল। ভালো থাকবেন।
১৪| ১৪ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:১৮
শায়মা বলেছেন: আমাদের বাসায় সব সময় কুকুর ছিলো এবং আছে। তাহারা অতি ভদ্র! কাজেই নো চিন্তা! বিড়ালও ছিলো এখন নাই। কিন্তু কোনোটাই আমি ভয় পাই না তেমন।
১৪ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৫
করুণাধারা বলেছেন: আমি অনেকের বাসায় যাই না এদের ভয়ে !!
১৫| ১৫ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জানলাম অনেক কিছু।
১৬ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: আপনাকে কিছু জানাতে পেরে ভালো লাগছে।
১৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৭:৪৫
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই অসামান্য লেখাটি আগে দেখেছিলাম, কিন্তু মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনি।
আপনার ডেঙ্গু বিষয়ক আরেকটি অসামান্য পোস্টটা দেখে মনে হলো এই পোস্টে একটি কথা জানিয়ে যাই। সেটা হলো আবার্নায় রবীন্দ্রনাথের সেবার আসার একটা কারণ রথীন্দ্রনাথের স্নাতকোত্তর পড়ালেখা।
রথীন্দ্রনাথ জানাচ্ছেন:
"আমরা আমার কলেজ থেকে কাছেই একটি বাড়ি পেয়েছি এবং থাকতে শুরু করেছি। পিতাকে সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করতে দেখে আমি খুশি হয়েছি। আমি জানতাম যে যতক্ষণ তিনি তার ডেস্কে ব্যস্ত থাকবেন ততক্ষণ তিনি নড়াচড়া করার কথা ভাববেন না এবং আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস শেষ করার একটি সুযোগ পাব।"।
নীচের লিঙ্কটাতে আরও কিছু তথ্য চাইলে দেখে নিতে পারেন:
Click This Link
পরিশেষে, এই কদিন আগে সড়কপথে টরন্টো থেকে শিকাগো গিয়েছিলাম। শিকাগোতে দুইদিন ছিলা,ম কিন্তু ইচ্ছা থাকা স্বত্ত্বেও শেষ অব্দি আর্বানাতে যাওয়ার সুযোগ হয়নি!
১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৫৪
করুণাধারা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এই সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার মন্তব্যটি আমার জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে রইলো।
আর্বানায় রবীন্দ্রনাথের সেবার আসার একটা কারণ রথীন্দ্রনাথের স্নাতকোত্তর পড়ালেখা।
আপনার উল্লেখিত এই তথ্য থেকে একটা প্রশ্নের জবাব পেলাম।
রথীন্দ্রনাথের কথার উদ্ধৃতি এবং লিঙ্কটি দিতে আপনার মূল্যবান সময়ের অনেকখানি ব্যয় করেছেন, সেজন্য আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই। এরফলে আমার পোস্টটি সমৃদ্ধ হয়েছে।
রথীন্দ্রনাথ সম্পর্কে আমি তেমন প্রায় কিছুই জানতাম না, লিখতে গিয়ে জেনেছি। অন্য ব্লগারদের অবস্থাও মনে হয় আমার মতই। আপনি বেশ অনেক কিছু জানেন রথীন্দ্রনাথ সম্পর্কে।
অনেক সময় ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমরা অনেক জায়গার কাছাকাছি গিয়েও জায়গাটিতে যেতে পারিনা। আপনি যেমন শিকাগো থেকে আর্বানা যেতে পারেননি, আমিও তেমনি প্রায় তিন সপ্তাহ আর্বানায় থেকেও শিকাগো দেখতে যেতে পারিনি, খুব ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮
এমজেডএফ বলেছেন: যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একেবারে নিজের দেখা অভিজ্ঞতা থেকে রবিঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত আপনার চমৎকার লেখাটি পড়ে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আজি হতে হাজার বছর পরেও বাঙালির মানসপটে বেঁচে থাকবে।