নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোলকধাঁধায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৪



ছয়মাস পর পর রক্তের কিছু পরীক্ষা করাই, সেটা করার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলাম। দেখি মানুষে গিজগিজ করছে, সবাই জ্বরের রোগী! রক্ত পরীক্ষার রুমে দেখি রোগীদের বিশাল লাইন, স্ট্রেচারে করেও রোগী আসছে। ভয়াবহ অবস্থা! বেসরকারি এই হাসপাতালে কখনো এতো মানুষ দেখিনি! এত ভিড়ের কারণ ডেঙ্গু। ডেঙ্গুর ভয়াবহ পরিস্থিতি বোঝার জন্য এখন কোন হাসপাতালে গিয়ে দাঁড়ানোই যথেষ্ট !

কিন্তু পরিস্থিতি কেন এতো খারাপ হলো, এর দায় কার, আমাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিটি কর্পোরেশন নাকি নাগরিকদের, সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজে পাইনি! বলা হচ্ছে, জমে থাকা পানিই এডিস মশার উৎস স্থল, তাই জনসাধারণ যেন ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে বাড়ির ভেতরে বাইরে কোথাও পানি জমে আছে দেখলে তা ফেলে দেন। কিন্তু বাড়ির ভেতর- বাইর ছাড়াও এমন অনেক জায়গাতেই পানি জমে থাকতে দেখেছি, যেগুলো থেকে পানি নিষ্কাশন করা দুঃসাধ্য, যেমন উপরের ছবিতে ফুটপাতে ম্যানহোলের ঢাকনায় জমা পানি। পানিটা কয়েকদিন ধরে জমা, যদিও ময়লা কিন্তু আশ্বস্ত হবার কোনো অবকাশ নেই কারণ ময়লা পানিতেও এডিস জন্মে! এমন অনেক জমা পানি দেখেছি ফুটপাতে ভাঙ্গা টাইলসের গর্তে, রাস্তায়, ওভারব্রিজের নীচে। মাছের বাজারে সবসময় সর্বত্র পানি জমা থাকে, এটার দায়িত্ব জনসাধারণের নয়, বরং সিটি কর্পোরেশনের। কিন্তু এই সব ভাঙ্গা জায়গা যেখানে পানি জমে তা কখনো মেরামত করা হয়না, নিয়মিত ওষুধ ছিটানোও হয় না। ফলে এগুলো এডিস মশা বিস্তারের স্থান হিসেবে সব সময় রয়েই যায়... এই তো অবস্থা।‌ প্রদীপের নীচে অন্ধকার!

অবশ্য ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের কর্তারা দীর্ঘদিন ধরে নানারকম চেষ্টা করে যাচ্ছেন, যার সবকটিই ব্যর্থ হয়েছে। ফগার মেশিন দিয়ে এক জায়গার মশা আরেক জায়গায় পাঠানোর কার্যক্রম সবসময়ই চালু আছে, এর সাথে যুক্ত হয়েছে হাঁস, ব্যাঙ, মাছ, কার্টুন বই। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত হাঁস, মাছ ও ব্যাঙ দিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ডিএসসিসি।
২২ মে ২০২২ ঢাকাপ্রকাশ ২৪ ডটকমে সম্পর্কে বলা হয়
মশার লার্ভা ও প্রজননস্থল ধ্বংস করতে ডিএসসিসি লেক-খাল-জলাশয়ে মাছ অবমুক্ত থেকে শুরু করে হাঁস বা ব্যাঙেরও প্রয়োগ করেছিল। কিন্তু এ সব পদক্ষেপে সুফল পাওয়া যায়নি বলেই অভিযোগ নগরবাসীর।

গাপ্পি মাছ: কিউলেক্স মশা নিধনে ডিএসসিসি নগরীর বিভিন্ন ড্রেনে গাপ্পি মাছ অবমুক্ত করেছিল ২০১৮ সালে। কিন্তু ঢাকার ড্রেনের পানি এতটাই দূষিত যে কয়েকদিনের মধ্যেই গাপ্পি মাছ মরে ভেসে উঠে। তখন অনেক সমালোচনা হয় বিষয়টি নিয়ে।

গাপ্পি মাছের পর হাঁস: গাপ্পি মাছ দিয়ে মশা নিধন ব্যর্থ হওয়ার পর ২০২০ সালে মশা নিধনে কয়েক হাজার হাঁস রাজধানীর বিভিন্ন খাল, ঝিল ও জলাশয়ে ছেড়েছিল ডিএসসিসি। যদিও একবছর পর সেসব হাঁসের প্রায় ৯০ ভাগই গায়েব যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। তদারকির অভাবে হাঁসগুলো চুরি হয়ে যায়।

এরপর নামানো হলো ব্যাঙ: গাপ্পি মাছ ও হাঁস দিয়ে মশা নিধনের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ না হওয়ায় ২০২১ সালের মার্চে রাজধানীর খাল, ঝিল, লেক, পুকুর ও জলাশয়ে নামানো হলো বিশেষ প্রজাতির ব্যাঙ। এটিও ডিএসসিসির একটি উদ্যোগ।

এই উদ্যোগের বিফলতার পর ডিএসসিসি হয়তো তেমন কিছু করে নি, কারণ গুগল করে তেমন কোন খবর পাইনি, ৪ জুলাই ২০২৩ এ প্রকাশিত এই খবরটি ছাড়া। খবরের এক অংশ উদ্ধৃত করছি:

"রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ ঢাকা দক্ষিণে। যদিও দক্ষিণের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলছেন, ঢাকার বাইরে থেকেও বহু ডেঙ্গু রোগী ঢাকা দক্ষিণের হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। নগরবাসী সচেতন হলে মাত্র সাতদিনেই ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।"

মনে হয় ডিএসসিসির নগরবাসী খুব অসচেতন, তাই এতদিন পরেও অবস্থার উন্নতি না, অবনতি হচ্ছে।

দুই সিটি কর্পোরেশন ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি মোবাইল ফোনের জন্য "স্টপ ডেঙ্গু" নামে একটা আ্যাপ বানিয়েছে। ১৯ অগাস্ট ২০১৯ এর এই খবরে জানা যায়, স্টপ ডেঙ্গু

"স্টপ ডেঙ্গু" অ্যাপ তৈরি করেছে ই ক্যাব, তাদের সহযোগিতায় আছে কয়েকটি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সরকারি বিভাগ আর ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। এই অ্যাপের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে,
এর মাধ্যমে মূলত ডেঙ্গু মোকাবেলায় দেশের প্রতিটি নাগরিককে যুক্ত করার চেষ্টা করা হবে।

নাগরিক সচেতনতা বাড়ানো এবং সবার কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেয়াই এই অ্যাপের কাজ। তথ্য পৌঁছানোর কাজ হবে এভাবে, কেউ এডিস মশার উৎপত্তিস্থল বা কোথাও পানি জমে থাকতে দেখলে তিনি সেটার ছবি তুলে সাথে সাথে এই অ্যাপে আপলোড করবেন, তারপর জমা দেবেন( কোথায় তা বলা হয়নি।) মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে যাতে কোন জায়গা থেকে ছবি পাঠানো হচ্ছে সেটা ম্যাপিং হয়ে যায় অ্যাপে।‌ এভাবে সরাসরি সেই লোকেশনের তথ্য এর কাছে চলে যাবে।

তারপর কি ব্যবস্থা নেয়া হবে সে সম্পর্কে কোন তথ্য দেয়া নেই। এই অ্যাপটির কার্যকারিতা সম্পর্কে এ যাবতকাল তেমন কিছু শোনা যায় নি। সম্ভবত এটি একটি বিফল প্রজেক্ট! আসলে ডেটাসহ স্মার্টফোন কম মানুষের হাতেই আছে, সুতরাং রাস্তাঘাটে বেরিয়ে জমা পানি দেখে তৎক্ষণাৎ ছবি তুলে পাঠাতে কম মানুষই পাঠাতে পারবে, অ্যাপ প্রস্তুতকারী হয়তো এটা বিবেচনা করে দেখেননি।

এর পরের খবর ক'দিন আগের, ২৬ জুলাই ২০২৩। ঢাকার দুই সিটির কর্মসূচি অনেক, ফলাফল শুন্য। এই খবরে বলা হয়েছে:

রাজধানীতে ডেঙ্গুর এমন নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হলেও মশা নিধনে তেমন কিছুই করতে পারছে না ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। তাদের মশা নিধনে কোনো পদ্ধতিই কাজে লাগছে না। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।

তবে আগামী আগস্ট, সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে বলে মনে করছেন কীটতত্ত্ববিদরা। তারা জানান, বর্ষা মৌসুমে সামনের দিনগুলোতে ডেঙ্গু আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। কারণ, যেখানেই বৃষ্টির পানি জমছে, সেখানেই এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। আবার এমন কিছু জায়গায় এডিস মশা প্রজনন করছে, যেখানে বৃষ্টির পানির সম্পর্ক নেই। এর মধ্যে রয়েছে বহুতল ভবনের পার্কিংয়ের জায়গা, নির্মাণাধীন ভবনের বেজমেন্ট, ওয়াসার মিটার বাক্স এবং বাসাবাড়িতে জমিয়ে রাখা পানি।

মশা নিয়ে জনসচেতনা তৈরিতে সবচেয়ে বেশি প্রচারণা বা কর্মসূচি চালাচ্ছে ডিএনসিসি। তারা স্কুলে পাঠ্যপুস্তকে এডিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ে জনসচেতনতামূলক অধ্যায় যুক্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব করেছে। মশা নিয়ে গবেষণায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ডিএনসিসির সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। স্কুল-কলেজে ফ্রি বিলি করতে মশা সচেতনতার এক লাখ কার্টুন বই ছাপানো হয়েছে। এছাড়া ঢাকা উত্তরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদরাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চলছে।


ডিএনসিসির ডেঙ্গু সচেতনতামূলক প্রচারণা।

এমন উদ্যোগের পরও ডিএনসিসি এলাকায় মশার উপদ্রব লাফিয়ে বাড়ছে।

জনসচেতনতা বাড়াতে নেয়া কিছু উদ্যোগকে মাঝে মাঝে হাস্যকর মনে হয়। যেমন অক্টোবর ১৮, ২০১৯ এর এই খবর:
view this link

সিটি কর্পোরেশনের কর্মীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে এফডিসিতে মশা নিধন অভিযানে অংশ নিলেন খল অভিনেতা মিশা সওদাগর ও চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি কর্পোরেশন একটা কাজ ভালোভাবে করছে; কোনো ভবনে পানি জমা আছে দেখলেই মোটা অংকের টাকা জরিমানা করা! এই পদ্ধতি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কোনো সুফল বয়ে এনেছে বলে জানা যায়নি।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ: জরিমানা করেই যেন দুই সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব শেষ।

২৪ জুলাই ২০২৩ এর এই খবরে বলা আছে,

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সারা বছর কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় এমন ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মশা নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকার এখনো তেমন কোনো নীতিমালা তৈরি করতে পারেনি।

তাই সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় মশা নিধন কর্মকাণ্ড অকার্যকর হয়ে পড়েছে। কোথাও প্রশিক্ষিত জনবল নেই। তাই জরিমানা করে ও লোক দেখানো কিছু কাজ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হবে।

তারা বলছেন, একবার এডিসের প্রজননস্থল ধ্বংসের পর সেখানে আবার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। লার্ভা শনাক্তে দুই সিটিতে কোনো গবেষণাগারও নেই। নেই কোনো কীটতত্ত্ববিদও। এ কারণে ডেঙ্গু রোধে লোক দেখানো কার্যক্রম ফলপ্রসূ হচ্ছে না।


অথচ ছয় মাস আগে, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ এর খবরে দেখতে পাই,view this link ডিএনসিসির মেয়র বলছেন, শিগগিরই ল্যাব বা গবেষণাগার স্থাপন করা হবে। মশা নিধন কার্যক্রম দেখতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি শহরে গিয়েছিলেন, সেখান থেকেই তিনি গবেষণাগার স্থাপনের ধারণা পান। সেই কার্যক্রম দেখার পর ঢাকা শহরে মশা নিধনে এতদিন ভুল পদ্ধিতি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিস) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘আমরা এতো দিন ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। তাতে মশা তো ধ্বংস হয়নি বরং অর্থের অপচয় হয়েছে। তাই অতিদ্রুত ডিএনসিসি মশার প্রজাতি চিহ্নিত করতে একটি ল্যাব স্থাপন করতে চাই।’



মায়ামিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ শিখছেন ডিএনসিসির মেয়র।

দুই মাস পরেই, ১৯ মার্চ, ২০২৩ এর খবরের শিরোনাম, সেই ভুল পদ্ধতিতেই মশা নিধনে অভিযান শুরু ডিএনসিসির।

"কিংকর্তব্যবিমূঢ়" শব্দটির অর্থ, "কর্তব্য স্থির করতে অক্ষম এমন, হতবুদ্ধি।" ডিএনসিসির এইসব কর্মকান্ড দেখে মনে হয়, ডেঙ্গু তাদের কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে তুলেছে! নাহলে কীভাবে তারা মনে করে বাচ্চাদের জন্য কার্টুন বই দিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব !!


মশার কামড় ক্ষতিকর!!

বাচ্চাদের জন্য কার্টুন বই প্রকাশের এর এই খবরে দেখা যায়, view this link(২৪ জুলাই ২০২৩)

মশার কামড় ক্ষতিকর" বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বইটি সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, চলতি বছরের শুরুতে ডিএুনসিসির একটি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি ডেড কান্ট্রিতে গিয়ে দেখেন সেখানে মশার কামড় নিয়ে স্কুলগুলোয় শিক্ষার্থীদের একটি বই পড়ানো হয়। এর ফলে তারা মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে সফলতা পেয়েছে। সেই বইটি ডিএনসিসি সংগ্রহ করে বাংলায় অনুবাদ করে "মশার কামড় ক্ষতিকর" নামে এক লক্ষ বই স্কুলের শিশুদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। অনুষ্ঠানে উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মশার কামড়ে যেসব রোগ হয়, সেগুলো সম্পর্কে আমরা আমাদের ছোট মণিদের জানাতে চাই। বইটির মাধ্যমে তারা যখন জানবে, বাড়ি গিয়ে তারা নিজেদের মা-বাবাকে বলবে, সচেতন করবে। বইটির প্রতিটি পৃষ্ঠায় থাকা ছবিগুলোয় রং করে শিক্ষার্থীরা মশার কামড়ের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে শিখবে। যেমন এতে বলা আছে, কিছু মশা কামড়ালে চুলকানি হয়, কোনো কোনো মশার কামড়ে আবার অসুস্থ হয়। তাই সুস্থ থাকতে হলে মশার কামড় খাওয়া যাবে না। বাইটের সঙ্গে ফাইট করতে হবে। বইটির শেষ করলে “সাব্বাস” সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।

মায়ামির স্কুল আর বাংলাদেশের স্কুল!! ডেঙ্গু দমনের এমন চমৎকার বুদ্ধি যার মাথা থেকে বের হয়েছে সেই প্রতিভাবানকে আমিও সাব্বাস জানাই!

ডেঙ্গু সংক্রান্ত আরো দুটি খবর:
কীটনাশক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে ঢাকার এডিস মশা। ১০ অগাস্ট ২০২৩

অগাস্ট পিক সিজন হতে পারে। বিবিসি বাংলা, অগাস্ট ১, ২০২৩

২২ জুলাই ২০২৩ এর খবর, এডিস মশা ঠেকাতে 'বিটিআই' আনছে ঢাকা উত্তর সিটি, এতে কি হবে। এই খবরে বলা হয়, এডিস মশা নির্মূলে এর উৎস স্থলে প্রয়োগ করা হবে বিটিআই। বিটিআই সম্পর্কে এই খবর থেকে জানা গেল, "বিটিআই এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া। মশার লার্ভা ধ্বংস করে বিটিআই। এর বৈশিষ্ট্য হলো, এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই মানুষের শরীরে। শুধু তা–ই নয়, পানিতে এটি প্রয়োগ করলে অন্য জলজ প্রাণীরও এতে ক্ষতি হয় না।"

এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য জানা গেল যে, বিটিআই কেবল এডিস মশার লার্ভা ধ্বংস করে কিন্তু পূর্ণ মশার উপর এর কোন কার্যকারিতা নেই। ‌


এরপর, এডিস নিধনে বিটিআই প্রয়োগ শুরু করলো ঢাকা উত্তর। ৭ অগাস্ট ২০২৩।view this link

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্রাধিকার দিয়ে বিটিআই প্রয়োগ করা হবে।কালের কন্ঠের অগাস্ট ৯, ২০২৩।

কিন্তু এক সপ্তাহ গেল না, জানা গেল বিটিআই বলে যা আনা এবং প্রয়োগ করা হয়েছে, তা খাঁটি নয়!! মশা মারতে আনা বিটিআই আমদানি নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠানের। প্রথম আলো ১৫ অগাস্ট ২০২৩

এই খবরে বলা হয়েছে, আমদানিকারক মার্শাল এগ্রোভেট সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল লিমিটেড তৈরি বলে যে বিটিআই কীটনাশক এনেছেন, তা সত্য নয় বলে বেস্ট কেমিক্যাল লিমিটেড জানিয়েছে। তারা "জালিয়াতির সতর্কবার্তা" শিরোনামে তারা জানিয়েছে,

এটা আমাদের নজরে এসেছে যে বাংলাদেশের মার্শাল অ্যাগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড পাঁচ টন বিটিআই লার্ভিসাইড পণ্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) সরবরাহ করেছিল। এতে তারা জালিয়াতির মাধ্যমে (ফ্রডলি) আমাদের কোম্পানির নাম (বেস্ট কেমিক্যাল) বিটিআইয়ের প্রস্তুতকারক হিসেবে ব্যবহার করেছে।

এই সতর্কবার্তায় তারা আরো বলেছে, মার্শাল এগ্রোভেট মি. লি শিয়াং নামের এক ব্যক্তিকে বেস্ট কেমিক্যাল এর রপ্তানি ম্যানেজার এবং বিটিআই বিশেষজ্ঞ দাবি করেছিল অথচ তিনি বেস্ট কেমিক্যাল এর কোনো কর্মী নন। ওই বার্তায় এই জালিয়াতির বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

খবরের পরবর্তী অংশে আছে বেস্ট কেমিক্যাল লিমিটেড, মার্শাল এগ্রোভেট এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মার্শাল এগ্রোভেটের কাউকে পাওয়া যায়নি। ডিএনসিসির উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা একজন আরেকজনের উপর দোষ চাপিয়েছেন। যেমন লি শিয়াং পরিচয় দিয়ে ভূয়া বিটিআই বিশেষজ্ঞর উপস্থিতি সম্পর্কে ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, "আমরা তো ব্যবহারকারী পর্যায়ের। আমদানি হয়েছে ভান্ডার ও ক্রয় শাখা থেকে। তারাই এর ব্যাখ্যা দিতে পারবে।"

এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান ভান্ডার ও ক্রয় কর্মকর্তা রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

ডিএনসিসির মেয়র এই জালিয়াতির ব্যাপারে জানান,
"ঠিকাদারকে কোন টাকা পরিশোধ করা হয়নি।" আরো জানান, আইইডিসিআরকে বিটিআইয়ের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছে। যেটা আনা হয়েছে সেটা আসলেই বিটিআই কিনা। আগামী বৃহস্পতিবার এর মধ্যে ফল জানা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিশ্বাস না হয় করলামই যে, মার্শাল এগ্রোভেট বিনা পয়সায় ঢাকা উত্তর সিটিকে বিটিআই দিয়েছে, লি শিয়াং নামের লোকটিকে সাজিয়ে আনার খরচও তারা উত্তর সিটি থেকে নেয় নি, কিন্তু তার পরও প্রশ্ন থাকে, (১)তারা যে বিষ ঢালল গুলশান লেকে পরিবেশের উপর তার কতটা প্রভাব পড়বে সেগুলো কি যাচাই করা হচ্ছে? (২) এখন তাহলে মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম কি বন্ধ থাকবে?

অথচ এতসব কিছু না করে কলকাতার মশা নিয়ন্ত্রন কার্যক্রম অনুসরণ করলে এরচেয়ে ভালোভাবে মশা নিধন করা যেত। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যেভাবে সফল হয়েছে কলকাতা।

ডেঙ্গু দমন শিখতে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে আমেরিকা যাবার দরকার হয় না, ঢাকা থেকে ৩২৫ কিলোমিটার দূরে কলকাতায় গেলেই শেখা যায়। ঢাকার সাথে মায়ামি বা সিঙ্গাপুরের যত সাদৃশ্য, তার চাইতে ঢের বেশি সাদৃশ্য কলকাতার সাথে। দুই শহরেই জনসংখ্যার ঘনত্ব, নগরায়ন, ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য প্রায় অভিন্ন। দুই শহরেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের ইতিহাসও প্রায় কাছাকাছি সময়ের। তাই কলকাতা কীভাবে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করছে সেটা জানা আমাদের জন্য অর্থবহ হতে পারে। এই খবরের কিছু অংশ উদ্ধৃত করছি:

কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন মশা নিয়ন্ত্রণে তিন স্তরের নিয়ন্ত্রণ কমিটি করেছে, এই কমিটির পাশাপাশি আছে প্রতি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য কেন্দ্র, যেখানে শুধু ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় মোট ২৫০ জন চিকিৎসক আছেন। তাদের একটি তথ্য ভান্ডার আছে যেখানে কোন ওয়ার্ডে কোন কোন বাড়িতে চৌবাচ্চা ডোবা বা কুয়া আছে তার হিসাব রাখা হয়। কেউ ভবন নির্মাণ করতে গেলে মশা নিয়ন্ত্রণ কমিটির পক্ষ থেকে তাদের একটি নির্দেশিকা ধরিয়ে দেয়া হয়। সেখানে নির্মাণাধীন ভবন কিভাবে মশামুক্ত রাখা যাবে তার নির্দেশনা থাকে। কিভাবে মশক মুক্ত রাখা যাবে এসব ভবন হঠাৎ পরিদর্শনে যান র্যাপিড অ্যাকশন টিমের সদস্যরা। প্রথম দফায় লার্ভা পেলে জরিমানা করা হয় না। পরে পাওয়া গেলে এক লাখ রুপি জরিমানা করা হয়।

কলকাতার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সাফল্যের সিংহভাগ কৃতিত্ব রাজনৈতিক নেতৃত্বকেই দিতে চান প্রধান ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মকর্তা দেবাশীষ বিশ্বাস। এই কীটতত্ত্ববিদ বলেন মশা নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আসলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়।

ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, 'কলকাতার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আমরা জেনেছি। আমরা সেখান থেকে বেশ কিছু বিষয় শিখেছি।'


কলকাতায় বা পুরো পশ্চিম বঙ্গে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কম, সবচাইতে সাম্প্রতিক যে সংবাদ পড়েছি তা ২৬ জুলাই ২০২৩ এর। view this link এখানে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ১৩ থেকে ২২ জুলাই—এই ১০ দিনে ডেঙ্গুর সংক্রমণে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

অথচ বাংলাদেশ একদিনে, শুধু উনিশে জুলাইতে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে! গতকাল (১৫ অগাস্ট ২০২৩) পর্যন্ত এ বছরে ৪২৬ জন মারা গেছেন!

ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা দেখেই কিনা জানিনা, DNCC কবরস্থান সম্পর্কিত তথ্য দেয়া এই অ্যাপটি বানাতে আগ্রহী হয়েছে।view this link
গত ১০ অগাস্ট ২০২৩ তারিখে আ্যাপটির উদ্বোধন হয়। গুগল প্লে স্টোর থেকে গ্রেভইয়ার্ড ম্যানেজমেন্ট ডিএনসিসি (Graveyard Management DNCC) নামের অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। এর থেকে কবরস্থান সম্পর্কিত সব তথ্য জানা এবং আবেদন করা যাবে।

কিন্তু এটা না বানিয়ে বরং এমন একটি আ্যাপ যদি বানানো হতো, যেটা ব্যবহার করে একজন ডেঙ্গু রোগী জানতে পারতো কোন হাসপাতালে আসন খালি আছে, কোন এলাকার নিকটবর্তী কোন হাসপাতালের খরচ কত, তাহলে সেটা এই ডেঙ্গু মৌসুমে উপকারী হত!

অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, আমাদের নগরপিতারা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে এক গোলকধাঁধার মধ্যে পথ খুঁজে বেড়াচ্ছেন!

সকল তথ্যসূত্র দেয়া আছে।
প্রথম ছবিটি রাস্তা থেকে তোলা। বাকি ছবিগুলো অন্তর্জাল থেকে নেয়া।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অফিসে আছি। সময় নিয়ে পড়ে আবার আসবো। তবে জায়েদ খানের ছবিটা পছন্দ হয়েছে। একে এই কাজে স্থায়ীভাবে নিয়ে নিলে ভালো হবে।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৪৮

করুণাধারা বলেছেন: অফিসের ব্যস্ততার মাঝেও সকাল সকাল আমার পোস্টে চলে এসেছেন! অসংখ্য ধন্যবাদ!

খালি জায়েদ খান না, কয়দিন পর যদি দেখা যায় রিয়াজ, ফেরদৌস, মমতাজ প্রমুখ ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াতে রাস্তায় নেচে গিয়ে বেড়াচ্ছেন, তাহলে অবাক হব না। ডেঙ্গুর নিয়ন্ত্রণের জন্য কত উদ্ভট উপায় এদের মাথা থেকে বের হয়!!

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

শায়মা বলেছেন: কি সাংঘাতিক ডেঙ্গু পরিস্থিতি আপুনি!
আমার কি যে ভয় লাগে ডেঙ্গু রোগীর অবস্থা যখন চিন্তা করি।
আপুনি ডেঙ্গু রোগীকে একটা জিনিস সব সময় মাথায় রাখতে হবে। জ্বর কমিয়ে রাখা যেভাবেই হোক মাথায় পানি ঢালা, গা স্পঞ্জ করা এবং একই সাথে স্যালাইন মানে কোনোভাবেই ডিহাইড্রেড যেনো না হয় শরীর।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৫১

করুণাধারা বলেছেন: আমার সবচাইতে খারাপ লাগে যখন ডেঙ্গু আক্রান্ত ছোট ছোট বাচ্চাদের ছবি দেখি। ডেঙ্গুতে এত মানুষ মারা যাচ্ছে, দিনদিন অবস্থা খারাপ হচ্ছে, তবু এখনো কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। খুবই দুঃখজনক।

৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:০১

শায়মা বলেছেন: ভূয়া মফিজ ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!! আমি তো ভেবেছিলাম তুমি ব্লগে আর আসোই না। :(


করুনাধারা আপুনি তুমি কি বাংলাদেশে থাকো নাকি? আমি তো ভেবেছিলাম বাংলাদেশের বাইরে। আজ হসপিটাল গিয়ে এত ডেঙ্গু রোগী দেখেছো জেনে বুঝলাম তুমি বাংলাদেশেই আছো।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: ভাগ্যিস পোস্ট খানা দিয়েছিলাম! ভূয়ার দেখা পাওয়া গেল অবশেষে!

বাংলাদেশ ছাড়া আর কোথায় থাকবো আমি! অল্প কদিনের ঝটিকা সফরে গিয়েছিলাম। অনেক আগেই ফিরেছি।

তোমার নজর কিছুই এড়ায় না!! :|

৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শায়মা বলেছেন: ভূয়া মফিজ ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!! আমি তো ভেবেছিলাম তুমি ব্লগে আর আসোই না। :(

টাইট অবস্থার কারণে ব্লগে আসা হয় না তেমন একটা, তবে একেবারে তালাক দিইনি!! ;)

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০০

করুণাধারা বলেছেন: শুধু কি টাইট অবস্থা! আমার তো মনে হয় ব্লগের প্রতি ভালোলাগাটাও কমে আসছে।

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৩০

মোগল সম্রাট বলেছেন:

শুধু বন্যার ত্রান বিতারনের জন্য ব্যবহার না করে আমাদের দেশ প্রেমিক
আনসার বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিডিআর বাহিনীর যারা ব্যারাকে, ফাড়িতে, পুলিশ লাইনে হুদাই সময় কাটায় তাগো ১ মাসের জন্য এই কাজে নিয়োজিত কইরা একটা চিরুনী অভিযান পরিলানা করলে ২ বছরের মইধ্যে মশা কি জিনিস উহা দেশের মানুষ ভুইলা যাইতো।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০৬

করুণাধারা বলেছেন: এটা ভালো বলেছেন!

করোনা কালীন অনেক রথী- মহারথীরা পরাস্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। মন্ত্রী, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, শিল্পপতি সকলেই করোনার ভয়ে ভীত ছিলেন। ডেঙ্গুতে মানুষ মারা যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু এরা কেউই তেমন রথী মহারথী নয়। সেজন্য হয়তো ডেঙ্গু নিয়ে যাদের ভাবার কথা তারা ভাবেন না, কোনো ব্যবস্থা নেন না। :(

৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৪৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অদূরদর্শিতা, নীতিহীনতা, সুষ্ঠ পরিকল্পনার অভাব, টাকা পয়সার অপচয়, মারিং-কাটিং ইত্যাদি যা যা টার্ম আছে, সরকারের যে কোনও পরিকল্পনার মধ্যে তার সবই পাবেন। ডেঙ্গু তো একটা উদাহরন মাত্র। বাড়ির কাছে কোলকাতায় গেলে কি আর আম্রিকা ভ্রমণ হতো? এসব আপনাকে বুঝতে হবে। এসব বোঝেন না বলেই তো আপনার দেশপ্রেম নিয়ে সন্দেহ হয়!!! =p~

চট্টগ্রামের অবস্থা দেখেন নাই? কতো টাকা খরচ করলো জলাবদ্ধতা নিরসনে? ফলাফল শুন্য।

এসব দেখে দেখে জনগন টায়ার্ড। খেলারামেরা খেলে যাক, সব খেলারই পরিসমাপ্তি ঘটে একটা সময়। তখন কপাল চাপড়ালেও কোন লাভ হয় না। এইটা ইতিহাসের শিক্ষা।

মোগল সম্রাটের মন্তব্যে লাইক।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২২

করুণাধারা বলেছেন: অদূরদর্শিতা, নীতিহীনতা, সুষ্ঠ পরিকল্পনার অভাব, টাকা পয়সার অপচয়, মারিং-কাটিং ইত্যাদি যা যা টার্ম আছে, সরকারের যে কোনও পরিকল্পনার মধ্যে তার সবই পাবেন ঠিক! কিন্তু বিটিআইয়ের নামে যে বিষ ঢালা হলো, তার দায় কে নেবে? সিঙ্গাপুরের কোম্পানি যদি না জানাতো যে এগুলো জাল বিটিআই, তাহলে আমরা জানতেও পারতাম না আর সারা শহরের সমস্ত জায়গায় এই বিষ ঢেলে দিয়ে আমাদের জন্য বিপদ সৃষ্টি করা হতো। এটা জানার পর আমি এই পোস্ট লেখার কথা ভাবলাম।

বাড়ির কাছে কোলকাতায় গেলে কি আর আম্রিকা ভ্রমন হতো এই সংক্রান্ত সব খবরই উল্লেখ আছে যে আমেরিকা মেয়র সাহেবকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের খরচে!! এটা পড়ার পর আমার মনে হয়েছিল ঠাকুর ঘরে কে রে...

চট্টগ্রামের চাইতে বান্দরবানের অবস্থা খারাপ। অপরিকল্পিতভাবে একটা রেললাইন স্থাপন করা হয়েছিল, যার ফলে পাহাড়ি পানি নিষ্কাশিত না হতে পেরে বান্দরবনকে ভাসিয়ে দিয়েছে, আগে যা কখনো ঘটেনি! এদিকে রেললাইনও ভেঙে পড়েছে! ১০০ কিলোমিটার রেললাইন বানাতে খরচ হয়েছে আঠারো হাজার কোটি টাকা। এখন আবার নতুন করে বানাতে হবে, নতুন খরচ।

সেটা নিয়ে আমার আপত্তি নেই। তবে প্রচন্ড আপত্তি আছে, নিজেরা নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে থেকে ক্ষমতাবানেরা যেভাবে সবাইকে ডেঙ্গুর ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছেন তাতে।

৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৮:৫২

শায়মা বলেছেন: হা হা ব্লগকে তালাক!!! :P @ভুয়া মফিজ ভাইয়া :)

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৪

করুণাধারা বলেছেন: ব্লগকে তালাক! :D

তিন তালাক না দিলেই হবে। :P

৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: @শায়মাঃ আসলে ব্লগে না আসার বহুবিধ কারন আছে। সবটা ব্যাখ্যা না করলে যে কারো পক্ষে বোঝা মুশকিল। অনেককেই বলতে দেখি অল্প সময়ের জন্য মাঝে-মধ্যে ব্লগে কি আসা যায় না? অবশ্যই যায়। কিন্তু ওই যে বললাম........সবটা ব্যাখ্যা না করলে বোঝা মুশকিল!! ওইটাই হলো আসল কথা।

আজকে একটু সময় পেয়ে উকি দিলাম আর কি!!!

তবে, মূল কারন প্রচন্ড ব্যস্ততা। বাকীসব সেটার সাথেই সম্পর্কিত। সব বিস্তারিত বলতে গেলে আলাদা পোষ্টই দেয়া লাগবে। :)

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৮

করুণাধারা বলেছেন: অল্প সময়ের জন্য ব্লগে কি আসা যায় না এই ব্যাপারটা আমি বুঝি। অল্প সময়ের জন্য আসলে অনেকের পোস্টে মন্তব্য করা যায় না। তাই মনে হয় অল্প সময়ের জন্য না এসে, ফাঁক পেলে একদিন বেশি সময়ের জন্য আসাই ভালো।

না হয় ব্যস্ততা সম্পর্কিত একটা পোস্টই দিলেন... ;)

৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:০৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: ঢাকা শহরে মশা নিধনে যে প্রক্রিয়ায় কাজ করা হয়, তা ভুল পদ্ধতি বলে মনে করছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি শহরে গিয়ে মশা নিধন কার্যক্রম দেখে তাঁর এই উপলব্ধি হয়েছে!! তিনি বলেছেন , ‘আমরা এত দিন ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। এতে মশা তো ধ্বংস হয়নি। বরং অর্থের অপচয় হয়েছে।’!!!!!!

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের যে বর্ননা দিলেন তা পড়ে অবাক হইনি। একজন অনির্বাচিত মেয়র নিজের অদক্ষতা ও রাস্ট্রীয় সম্পদ অপচয়ের কথা মিডিয়ায় প্রকাশ করতে এতটূকু লজ্জাবোধ করে না।

ডেঙ্গুতে আজপর্যন্ত যত মানুষ মারা গেছে , তা স্বাভাবিক মৃত্যূ নয়। এর দায় একজন চরম অদক্ষ, দুর্নীতিবাজ অনির্বাচিত মেয়র ও তার দলবলের ।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: একজন অনির্বাচিত মেয়র নিজের অদক্ষতা ও রাস্ট্রীয় সম্পদ অপচয়ের কথা মিডিয়ায় প্রকাশ করতে এতটূকু লজ্জাবোধ করে না। শুধু কি অদক্ষতা আর রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়!! কোনরকম যাচাই-বাছাই না করে তিনি বিটিআই বলে খালে- বিলে কি মেশালেন? সিঙ্গাপুরের কোম্পানি যেদিন না জানাত যে, এটা জাল বিটিআই, তাহলে কোটি কোটি টাকার এই জিনিস এনে খালে বিলে মেশানো হতো, সেটা যেত ভূগর্ভস্থ পানিস্তরে! তারা না হয় বিদেশী পানি কিনে খান, সাধারণ মানুষদের উপর এই জিনিসের বিষক্রিয়ায় ক্ষতি হতো কতটা, সেটা কেউ ভেবে দেখেছে? মার্শাল এগ্রোভেট নামের এই জাল কোম্পানির কোন শাস্তি হবে না!!

ডেঙ্গুতে আজপর্যন্ত যত মানুষ মারা গেছে , তা স্বাভাবিক মৃত্যূ নয়। এর দায় একজন চরম অদক্ষ, দুর্নীতিবাজ অনির্বাচিত মেয়র ও তার দলবলের । অবশ্যই! কার্টুন বই আমাদের মতো দেশে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগতে পারে!! এমন কত উদ্ভট অপচয় হয়েছে অথচ মানুষ অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পারছে না। সেই খবরগুলো আমি লিখিনি। :(

১০| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০২

শায়মা বলেছেন: ডেঙ্গুর এত ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও বলতে বাধ্য হচ্ছি। আমার বাসা আমার বাসার আশেপাশে স্কুলে আমি কিন্তু একটা মশারও দেখা পাই না। আমি অবাক হই এত মশা আর ডেঙ্গু আমাদের এ দিকটায় কিন্তু কম। বনানী ডিওএইচএও নাকি মশার কারখানা..... এমটাই শুনলাম আজ সকালে।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪৫

করুণাধারা বলেছেন: ডেঙ্গু করোনার মত মারাত্মক নয়, একে নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়ও আছে। মানুষ নিজের বাসা বাড়ি তার আশপাশ পরিষ্কার রাখতে পারে কিন্তু রাস্তাঘাট ফুটপাত এসব জায়গায় অসংখ্য ভাঙ্গাচোরা আছে, তার মধ্যে সহজেই পানি জমে থাকে। এগুলো পরিষ্কার করার দায়িত্ব জনসাধারণের না, দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের।

সিটি কর্পোরেশন এই দায়িত্ব পালন করে, যেখানে গুরুত্বপূর্ণ মানুষের বসবাস। সেখানে সিটি কর্পোরেশন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করে। তুমি সেই এলাকায় থাকো, তোমার স্কুলও সেই এলাকায় তাই তুমি মশা দেখতে পাওনি। আমি হাসপাতালে গিয়ে বুঝেছি ডেঙ্গুতে কত মানুষ আক্রান্ত।

১১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৩৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ডেঙ্গু করোনার থেকেও মারাত্নক হচ্ছে।

১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: ডেঙ্গু করোনার থেকেও মারাত্মক হচ্ছে

:(( একদম ঠিক বলেছেন। বলা হচ্ছে, এই অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাবে।

১২| ১৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই মশাগুলির বিরুদ্ধে হেলমেট বাহিনীকে খেপিয়ে তোলা গেলে দেশে একটাও এডিস মশা থাকবে না। দরকার হলে এগুলির বিরুদ্ধেও গায়েবানা মামলা দিয়ে দেয়া হবে। গুমের হুমকি দিলে এই মশাগুলি নিজেরাই গুম হয়ে যাবে।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৫৯

করুণাধারা বলেছেন: এই মশাগুলির বিরুদ্ধে হেলমেট বাহিনীকে খেপিয়ে তোলা গেলে দেশে একটাও এডিস মশা থাকবে না।

কথা ঠিক। কিন্তু হেলমেট বাহিনী মশার বিরুদ্ধে ক্ষেপবে বলে মনে হয় না। :(

আসলে পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন করতে পারছেন না দায়িত্বশীলরা। তাই তারা অকারণ ছুটেছুটি করে চলেছেন, নিরর্থক।

১৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৪৫

জুন বলেছেন: ডেংগু নিয়ে একটি গবেষণা মুলক পোস্ট করুনাধারা। আমাদের দেশ এখন ভাংগাচুড়া একটা জনপদ। যেখানে যাবেন সেখানেই উন্নয়ন এর ছোয়া কিন্ত উন্নতি নেই। এই যে কত লক্ষ কোটি টাকা দিয়ে চিটাগং কক্সবাজার ট্রেন লাইন করলো যা পাহাড়ি ঢলে বেকে উলটে পালটে গেল। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বললেন এ থেকে তারা শিক্ষা নিয়েছে কিভাবে এসব জায়গায় ট্রেন লাইন বসাতে হয়।! আশ্চর্য লাগে পাহাড়ের পাশে রেললাইন বসানোর আগে তারা কোন কিছু জরীপ করে নাই! প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা এরকম শিক্ষা নিচ্ছে আর মিলিয়ন মিলিয়ন টাকা বানের পানিতে ভেসে ভেসে তাদের পকেটে ঢুকে বিদেশে চলে যাচ্ছে।
ডেংগুর ও একই অবস্থা। বিকাল তিনটা বাজলেই বিকট শব্দ তুলে আমাদের কানের বারোটা বাজিয়ে চলে। শেষ পর্যন্ত আমার ভরসা ওডোমস আর সারাদিন নেটের জানালা দরজা বন্ধ রাখা। জানিনা কত দিন এই ভাবে এডিসের হাত থেকে রক্ষা পাবো :(
+

১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০৪

করুণাধারা বলেছেন: যেখানে যাবেন সেখানেই উন্নয়ন এর ছোঁয়া কিন্তু উন্নতি নেই।

গভীর পর্যবেক্ষণের সারসংক্ষেপ অল্প কথায় বলে দিয়েছেন জুন।

এই যে কত লক্ষ কোটি টাকা দিয়ে চিটাগাং কক্সবাজার রেললাইন করল যা পাহাড়ি ঢলে বেঁকে উল্টে পাল্টে গেল। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বললেন এ থেকে তারা শিক্ষা নিয়েছে কিভাবে এসব জায়গায় রেল লাইন বসাতে হয়।

দামী শিক্ষা নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এই শিক্ষার দাম মাত্র আঠারো হাজার কোটি টাকা।

প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা এরকম শিক্ষা নিচ্ছে আর মিলিয়ন মিলিয়ন টাকা বানের পানিতে ভেসে ভেসে তাদের পকেটে ঢুকে বিদেশে চলে যাচ্ছে। তাই যত ভাঙ্গা, ততো ফূর্তি তাদের! মেরিন ড্রাইভের রাস্তা অবস্থা দেখেছেন?

এইসব জিনিসে আমাদের মাথার উপর ঋণ বাড়ছে ঠিকই, তবু বেঁচে আছি। কিন্তু ডেঙ্গু নিয়ে যা করা হচ্ছে তাতে আমাদের জীবন চলে যাচ্ছে। কর্মকর্তাদের তাতে কিছু আসে যায় না। কারণ তারা নিজেদের নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে রেখেছেন।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জুন।

১৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: বাপরে অনেক তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট। এই নিয়ে আমার কিছু কথা ছিল বলার কিন্তু ভালো লাগছে না বলতে ব্লগারদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটা নিবন্ধের জন্য।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০৮

করুণাধারা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা এমন চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রেরণা দেবার জন্য।

ডেঙ্গু নিয়ে আগে অনেক সময় আর অর্থ অপচয় হয়েছে। কিন্তু এবার বিটিআই নিয়ে যাওয়া হল, তাতে আমরা নতুন কোন স্বাস্থ্যগত হুমকি মুখে পড়তে পারি। এই বিষয়টা ভেবে খুব উদ্বিগ্ন বোধ করি। বাচ্চাদের সাবধানে রাখবেন, নিজেরও সাবধানে থাকবেন।

১৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:১১

অপু তানভীর বলেছেন: প্রতিবছরই নির্দিষ্ট একটা সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ ঘটে । আর আমাদের তোড়জোড় শুরু হয়ে যখন সেটা শুরু হয় তার পর থেকে কোন ভাবেই আগে থেকে না । অথচ কর্তা ব্যক্তিরা যদি সময়ের আগেই ব্যবস্থা নিতেন তাহলে অবস্থা এতো খারাপ হয় না ।

আমাদের দেশের সব কিছুর দাম আছে কেবল মানুষের জীবন বাদ দিয়ে । এটাকে রক্ষা করার জন্য তাই কারোই এতো মাথা ব্যাথা নেই । দেখবেন সামনের বছরও ঠিক একই ভাবে একই সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ হবে ।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:১৯

করুণাধারা বলেছেন: প্রতিবছরই একটা নির্দিষ্ট সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ ঘটে সেই সময়টা বর্ষাকাল। কিন্তু এখন সারাবছরই ডেঙ্গু হয়, সবসময়ই মানুষ মারা যাচ্ছে। তবে একটা কথা আছে,, এই মানুষগুলো কেউ মন্ত্রী উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কিংবা বড় শিল্পপতি নয়।‌ কোভিডের সময় এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অনেক মারা গেছিলেন। এখন এই গুরুত্বপূর্ণ মানুষগুলোর জন্য নিরাপত্তা বলয়ের সৃষ্টি করে বাকিদের জন্য লোক দেখানো কিছু ব্যবস্থা ঢাকঢোল পিটিয়ে দেখানো হচ্ছে। অথচ কলকাতায় গৃহীত ব্যবস্থা তাদের মৃত্যু হার কমিয়ে এনেছে অনেক।

দেখবেন সামনের বছরও ঠিক একইভাবে একই সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ হবে :(


১৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ডেঙ্গু ভয়াবহ অবস্থার রূপ নিয়েছে। জরুরী সমাধান প্রয়োজন।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২২

করুণাধারা বলেছেন: যারা দায়িত্বশীল পোস্টে আছেন তারা মনে হয় ডেঙ্গুর ভয়াবহতা অনুভব করতে পারছেন না। নইলে এত মৃত্যু দেখার পরও তারা কেন আজও একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনা করতে পারছেন না কেন?!

১৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো একটা পোষ্ট দিয়েছেন।
আমার বাসায় তিনজন ডেঙ্গু আক্রান্ত। এরপর দুজন হাসপাতালে ভরতি।

১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৩

করুণাধারা বলেছেন: দুঃখজনক খবর।‌ দোয়া করি সকলে যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন।

১৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,




ডেঙ্গুর মতো জটিলতায় ভরা 'মশক নিধন"য়েরও জটিলতা নিয়ে আপনিও জটিল একটি লেখা লিখেছেন। বেশ পরিশ্রমী একটি পোস্ট। সারগর্ভ এই লেখাটি পড়ে বা কারো মাধ্যমে শুনেও যদি প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের কিছু লজ্জা হয়!

১৩ নম্বর মন্তব্যে "জুন" এর বক্তব্যটি আপনার আক্ষেপের জবাব হতে পারে।
কি বিচিত্র এই দেশ!!!!!!!!!!!!!!!
তবুও মানুষ জাগছেনা। সবাই-ই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত।

২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: আমি ইদানিং রাস্তায় বের হলে, হেঁটে কিংবা বাহনে, ফুটপাতে দেখতে দেখতে যাই। অবাক হয়েছি দেখে, কোনো ফুটপাত ২০ মিটারের বেশি অক্ষত নেই, কোনো না কোনো টাইলসের কোনাকানি ভাঙা থাকবেই আর তাতে যে পানি জমে বৃষ্টির সময় তা রোদ উঠলেও শুকাতে কয়েক দিন লাগে। এই কয়েক দিন এতে ডেঙ্গু চাষ হয়। রাস্তার অবস্থা আরো খারাপ। সমস্যা হচ্ছে এই অজস্র ভাঙ্গাচোরা মেরামত করা হয়না, মশার ওষুধও ছিটানো হয় না। এই সমস্যা সমাধান না করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে যত কার্যক্রম নেয়া হোক না কেন, সবই ব্যর্থ হতে বাধ্য।

মনে হচ্ছে দায়িত্ব প্রাপ্তরা ডেঙ্গুকে খুব হালকা ভাবে দেখছেন। আজ এই খবরটা দেখলাম।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নামে দেশে তামাশা চলছে।

এসব দেখে খুব হতাশ লাগে। তাই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের আদ্যোপান্ত পড়তে গিয়ে ভাবলাম সকলের সাথে শেয়ার করি...

১৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৪০

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা........ বই পড়িয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রন!!! এটা পড়ে হাসি থামাতে পারছি না।

যাহোক, ভয়াবহ এ অবস্থা থেকে মানুষ মুক্তি পাক। এ প্রার্থনা ছাড়া যে আর কোন ক্ষমতা নেই।

অনেকদিন পর আপনার লিখা পড়ে ভালো লাগছে।

২০ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৫

করুণাধারা বলেছেন: হাঁস- ব্যাঙ- মাছ, ছবি তোলার অ্যাপ, নায়কের মশক অভিযান, কার্টুন বই আরো কত নাটক চলছে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ডেঙ্গুর খবর দেখতে বসে মন খারাপ হয়, আজও একটা ছোট মেয়ের মৃত্যুর খবর!! যাদের হাতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব, তারা খরচ করছেন, ছোটাছুটি করছেন, কিন্তু লাভের খাতায় শূন্য। ‌ দেশের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের নামে দেশে তামাশা চলছে।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নামে দেশে তামাশা চলছে।

যাহোক, ভয়াবহ এ অবস্থা থেকে মানুষ মুক্তি পাক। এ প্রার্থনা ছাড়া যে আর কোন ক্ষমতা নেই। একমত।

২০| ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:




জ্বর হয়েছে শুনলেই আতংক। আই হোপ আজ ভালো আছো ধারাপু।

যে কদিন ঢাকা ছিলাম পুরোটা সময় ব্যস্ত ছিলাম বিভিন্ন কারণে ডক্টর হসপিটাল এগুলো নিয়েই।

তখন দেখেছি ডেঙ্গুর অবস্থা! কি বলবো, যা দেখে আসলাম। এক কথায় ভয়াবহ!!
বাসাবাড়িতে নিজেরা যতই মেইনটেইন করুক কিন্তু লোকাল পাবলিক এরিয়াগুলোতে একদম মেইনটেইনড না।
কি হসপিটাল, ডক্টরস চেম্বার অথবা এয়ারপোর্ট সব জায়গায় মশা মশা আর মশা।

পোষ্টের ছবির মতো এরকম সব জায়গায় কম বেশি দেখা যায়।
এগুলো সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব। একবারে যদিবা নাও পারে, সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিবছর একটু একটু করেতো স্টেপ নিতে পারে। কতবছর ধরে এই ডেঙ্গু সমস্যা, কোন পরিবর্তন আসছে সো ফার? নাথিং!
বরং আগের চেয়ে এখন আরো বেড়েছে মনে হয়। বিশেষ করে ঘরে ঘরে বাচ্চারা মারা যাচ্ছে, কি করুণ !!!!

যেখানে মানুষের জীবনের ঝুঁকি থাকে, সেগুলো হচ্ছে মেজর প্রবলেম যা প্রায়োরিটি বেসিসে এড্রেস করা দরকার।
সেরকম কোন ইনিশিয়েটিভ নেয়া হচ্ছে কি!!! তাই একই ঘটনার রিপিটেশন হচ্ছে প্রতি বছর।

তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্টের জন্য থ্যাংকস তোমাকে।

২৪ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

করুণাধারা বলেছেন: হ্যাঁ, ভালো আছি, জ্বর সেরে গেছে। ধন্যবাদ মিড।

খুব মন খারাপ হয়েছিল তার জন্য এই পোস্ট লিখেছিলাম। প্রায় প্রতিদিন ডেঙ্গুতে মৃত কোন শিশুর হাসিমুখের ছবি, অথবা ডেঙ্গুতে মা মারা যাওয়া কোন শিশুর অসহায় মুখের অথবা বাবা মারা যাওয়া শিশুর কাঁদো কাঁদো মুখের ছবি দেখতে হচ্ছে পত্রিকায়। টেলিফোনের অ্যাপ আর বই দিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কথা মানসিকভাবে সুস্থ কোন মানুষ ভাবতে পারেনা। অথচ আমরা তাই ভাবছি।

দুদিন আগে পত্রিকায় খবর এসেছে কীটতত্ত্ববিদেরা সেমিনার করে জানিয়েছেন, মশক নিয়ন্ত্রণে দুই সিটি কর্পোরেশন যা করছে তা তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়।

যেখানে মানুষের জীবনের ঝুঁকি থাকে, সেগুলো হচ্ছে মেজর প্রবলেম যা প্রায়োরিটি বেসিসে এড্রেস করা দরকার।
সেরকম কোন ইনিশিয়েটিভ নেয়া হচ্ছে কি!!! তাই একই ঘটনার রিপিটেশন হচ্ছে প্রতি বছর।
তুমি সমস্যা বুঝতে পারছো, আমিও পারছি, অথচ যাদের বোঝা দরকার তারা বুঝতে পারছেন না অথবা বুঝেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তাই এ বছর ডেঙ্গু সিজনের দুমাস যেতেই মৃত্যু ৫০০ জন ছাড়িয়ে গেছে। :(

২১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩০

সোনালি কাবিন বলেছেন: একদম ভজঘট অবস্থা । আরো ভয়াবহ দিন হয়ত সামনে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

করুণাধারা বলেছেন: প্রতিদিন আমি মৃত্যুর হিসাব করি। এত মানুষ মারা যাচ্ছে, অথচ এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কোন পরিকল্পনা নিয়ে আগানো হচ্ছে না। :(
সত্যিই ভজভট অবস্থা। :( :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.