নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুগল্প: হিটলার

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬



- এটা কী হলো সালাউদ্দিন ভাই! অফিস ট্রেনিংয়ে আমাদের গ্রুপের সবার নাম আছে, শুধু আমি বাদ! কিন্তু আমি তো ওদের অনেকের চাইতে বেশি কাজ করেছি...

কথা শেষ না করে ফাহিম আহত দৃষ্টিতে সালাউদ্দিন ভাইয়ের দিকে চেয়ে রইল।

- ভেরি স্যরি ফাহিম, ভুল করে তোমার নাম বাদ পড়ে গেছে! কিন্তু তুমি তো ভাই স্পেশাল, তাই তোমার জন্য আমার বিশেষ প্ল্যান আছে... এই ট্রেনিং নিয়ে ভাবছো কেন? এটা তো শুধু অফিসের ট্রেনিং, আসল ট্রেনিং কোরিয়ায়, হা হা! সেটার জন্য তুমি মোটামুটি সিলেক্টেড হয়েই গেছ।

সালাউদ্দিন ভাই বললেন। বরাবরের মতোই মুখে আন্তরিক হাসি।

নিজেকে স্বান্তনা দিল ফাহিম, অফিস ট্রেনিংয়ে ওর নাম নাই তার কারণ হতেই পারে সালাউদ্দিন ভাই ভুলে গেছিলেন। সালাউদ্দিন ভাই যে ওকে স্পেশাল বললেন, আসলেই সে স্পেশাল। কারণ এই সফটওয়্যার কোম্পানিতে তাদের টিমের সকলেই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, একমাত্র সেই গনিতের ছাত্র। অথচ নিজের আগ্রহ আর অধ্যবসায় দিয়ে সে কোডিংয়ে এতটাই দক্ষতা অর্জন করেছে যে, তাদের টিমের প্রজেক্টের বেশিরভাগ কাজই সে করে!

একমাস পর দেখা গেল কোরিয়া ট্রেনিংয়ের জন্য দু'জন নির্বাচিত হয়েছে, তার মধ্যে ফাহিম নেই। ফাহিমের বন্ধু ইকবাল বলল,

- সালাউদ্দিন ভাইয়ের রেকমান্ডেশন অনুযায়ী আমাদের গ্রুপ থেকে কোরিয়ায় ট্রেনিংয়ের জন্য নির্বাচন করা হয়। বোঝা যাচ্ছে উনি তোকে রেকমান্ড করেননি।

- কিন্তু কেন!! আমি এত কষ্ট করলাম, প্রজেক্টের কাজ সবচেয়ে বেশি আমিই করেছি, পারফরম্যান্স ওয়াইজ তো আমারই হবার কথা...

ফাহিম বুঝতে পারছে না, টিম লিডার সালাউদ্দিন ভাইয়ের হাসিমুখের পেছনে কি ফাহিমের প্রতি প্রচন্ড বিদ্বেষ লুকিয়ে আছে কিনা!!! এমন আচরণের কারণটা ধরতে না পেরে ধীরে ধীরে সে মনমরা হয়ে যেতে লাগলো। নতুন আরেকটা প্রজেক্ট শুরু হয়েছে, কিন্তু ফাহিম কাজ করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে, এই চাকরিতেই উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে!!

পরের মাসে সবার বেতনের সাথে সদ্য সমাপ্ত প্রজেক্টের জন্য বোনাস যোগ হলো। প্রজেক্টের কাজে পারফরম্যান্স অনুযায়ী বোনাস নির্ধারিত হয়, বেতনের শতকরা দশ, বিশ অথবা ত্রিশ হারে।‌

দেখা গেল দুজন বোনাস পেয়েছে বেতনের শতকরা ত্রিশ ভাগ হারে, বেশিরভাগই শতকরা বিশ আর ফাহিম আর আরেকজন শতকরা দশ। এই আরেকজন অফিসে প্রতিদিন দেরি করে আসে, প্রজেক্টের কাজ তেমন কিছুই করেনি, অথচ সবচেয়ে বেশি কাজ করা ফাহিমকে এর সমান হিসেবে মূল্যায়ন করা হলো!

সেদিন লাঞ্চে ফাহিমের প্রিয় ইটালিয়ান খাবার ছিল, কিন্তু ফাহিম লাঞ্চে গেল না। বসে উথালপাথাল ভাবলো, যা তার প্রাপ্য তা কেন তাকে দেয়া হচ্ছে না... অনেক ভেবেও এ প্রশ্নের উত্তর পেল না! লাঞ্চ থেকে ফিরে সবাই ওকে জিজ্ঞেস করলো কেন লাঞ্চে যায়নি। সালাউদ্দিন ভাই চিন্তিত মুখে বললেন,

- তোমার কি শরীর খারাপ ফাহিম? লাঞ্চে যাওনি কেন?

ফাহিম উত্তর দিল না, তাকালোও না; কোন কাজ না করেই কম্পিউটারের সামনে বসে রইল ছুটির সময় হওয়া পর্যন্ত। পঁচিশ বছরের একটা যুবকের এমন অভিমানী হওয়া মানায় না, কিন্তু দুঃখ আর অভিমান একটা ভারী পাথরের মতো সারাদিন এমনভাবে ফাহিমের বুকে জমে থাকলো যে, ওটা সে সরাতেই পারলো না!

অফিস থেকে বের হবার সময় ইকবাল সঙ্গী হলো, পাশাপাশি হাঁটতে হাঁটতে বলল,

- বসুন্ধরার ফুড কোর্টে যাই চল্। আজকে তো লাঞ্চ করিস নি!

একটা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের টুকরায় সস লাগিয়ে ফাহিম আনমনে উপর প্লেটের উপর আঁকিবুকি কাটছিল। ইকবাল বার্গার চিবাতে চিবাতে বলল,

- খাওয়া বাদ দিয়ে কি ভাবছিস?

- ভাবছি আমার দোষটা কোথায়! কেন সালাউদ্দিন ভাই আমাকে পছন্দ করেন না!

- দোষ তোর না! এটা সালাউদ্দিন ভাইয়ের সমস্যা। আমি আজ সারাদিন এ নিয়ে ভাবছিলাম, হঠাৎ মনে পড়ল সালাউদ্দিন ভাই একদিন বলছিলেন, আমাদের গ্রুপে গণিতের একজন থাকায় ইউনিফর্মিটি নষ্ট হয়ে গেছে!

- গণিতের হলে সমস্যা কোথায়! আমি তো কঠিন কোডিং টেস্ট উৎরে তারপর এডভান্সড লেভেল প্রোগ্রামার হিসেবে এখানে চাকরি পেয়েছি। অনেক সিএসইর ছাত্রও এই কোডিং টেস্ট পাশ করতে পারেনি!!

- হয়তো সেটাই সমস্যা! হয়তো এজন্যই সালাউদ্দিন ভাই তোকে পছন্দ করেন না!

- আমার দোষটা কোথায়?

- দোষ কোথাও নেই। ব্যাপারটা হলো, একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে যেমন বিশেষভাবে পছন্দ করতে পারে, তেমনি বিশেষভাবে অপছন্দও করতে পারে, এই পছন্দ- অপছন্দের পেছনে কোন যুক্তি কাজ করে না। যেমন ট্রাম্প, সে মনে করে তার মতো সাদা চামড়ার মানুষেরাই সেরা... যেমন হিটলার, সে মনে করে ইহুদিরা অতি নিকৃষ্ট। তেমনি সালাউদ্দিন ভাইও...

কথাটা শেষ না করেই চুপ করে গেল ইকবাল।

ছবি সূত্র: https://bn.crazypng.com/118.html

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সময় নিয়ে আসছি আপু।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: আচ্ছা আসেন সময় নিয়ে। অপেক্ষায় রইলাম।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯

অপু তানভীর বলেছেন: এই ব্যাপারটা অনেকের ভেতরেই দেখা যায় । কর্ম ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি দেখা যায় সরকারি আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে পাশ করাদের ভেতরে !

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮

করুণাধারা বলেছেন: এই ব্যাপারটা সত্যিই অনেকের ভিতরে দেখা যায়। শুধু কর্মক্ষেত্রে না, সামাজিক ক্ষেত্রেও অনেক সময় অনেকে যথাযথ কোনো কারণ ছাড়াই অন্যকে অপছন্দ করেন। রেসিস্ট মানেই নিজেকে সেরা ভাবা, অন্যকে অযৌক্তিকভাবে ঘৃণা করা।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: বারো রকমের মানুষ, ২৪ রকমের মতামত।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৯

করুণাধারা বলেছেন: আশাকরি এই পোস্টে সব রকম মন্তব্য দেখতে আপনি আরেকবার আসবেন। আমন্ত্রণ রইল।

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৮

ইসিয়াক বলেছেন: শুধু কর্মক্ষেত্রে নয় সবক্ষেত্রেই কোন কোন মানুষ খুব সাধারণ কারণে অবহেলার শিকার হয়।একজন যোগ্য মানুষের যোগ্যতার সঠিক মূল্যায়ণ না হলে কর্ম স্পৃহা নষ্ট হয়। প্রতিভার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: একজন যোগ্য মানুষের যোগ্যতার সঠিক মূল্যায়ণ না হলে কর্ম স্পৃহা নষ্ট হয়। ঠিক।

আমাদের অনেকের ভেতরে এক ধরণের রেসিজম কাজ করে, কোনো কারণ ছাড়াই অন্যকে অপছন্দ করা হয়। আমি এমনও শুনেছি, শিক্ষক ক্লাসে এক ছাত্রকে "এই তুই এত বেঁটে কেন?" বলে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখতেন! এই ধরনের ব্যবহারের শিকার হবার যন্ত্রণা কেবল ভুক্তভোগীই বুঝতে পারে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ইসিয়াক!

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯

সোনালি কাবিন বলেছেন: শিরোনামকে ফোকাসে রেখে সুন্দর বুনেছেন গল্প ।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: শিরোনামকে ফোকাসে রেখে সুন্দর বুনেছেন গল্প ।

এই গল্পটা বুনেছি একটা পরীক্ষা করার জন্য! ;)

৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: বিদেশে আছে রেসিয়াল প্রায়োরিটি। সভ্য দেশ যদিও সেটা কেউ স্বীকার করতে চায় না।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০২

করুণাধারা বলেছেন: এর কারণ কী তা জানি না। কিন্তু আমাদের মানসিকতায় কিছু জিনিস সেট হয়ে যায়, আমরা মুখে না বললেও মনে মনে আরেকজনকে ট্যাগায়িত করে ফেলি, আর সেই ট্যাগ পছন্দসই না হলে তাকে উপেক্ষা আর দুর্ব্যবহার করি... কেউ কেউ, কারো কারো সাথে...

৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: গল্প ভালো হয়েছে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৪

করুণাধারা বলেছেন: আপনার এই মন্তব্য আমার জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকল।

অসংখ্য ধন্যবাদ।

৮| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপু যেন আমার জীবনের গল্প। আমি প্রমোটি বলে আমার কোনো মূল্য নেই এখানে। আমি একজন জেডি হয়ে দুনিয়ার কাজ করে যাচ্ছি। অন্য সবাই কাজের জন্য এসে আমাকে বলে আপনার উপর তো অমানবিকতা করা হচ্ছে। আপনার হেল্পিং হ্যান্ড না থাকার কারণ কী? আমি কাকে কী বলবো। সারাদিন এক বিন্দু অবসর পাই না। এত কষ্ট এই চাকুরী জীবনের দুই বছরের পাচ্ছি। অথচ ডাইরেক্ট জয়েন করাদের কত মূল্যায়ন। আমার রিপোর্ট দিতেও শুনেছি ভালো দিতে চায় নি। অথচ এরাও রিটায়ার্ডে যাবে । আমাদের কাছেই আসতে হবে। মনটা এত খারাপ হয়। এত কাজ করেও যোগ্য সম্মান পাই না একমাত্র প্রমোটি বলে।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৮

করুণাধারা বলেছেন: জেনে দুঃখ পেলাম ছবি! সহমর্মিতা জানাই, আর দোয়া করি আল্লাহ যেন এই কঠিন অবস্থা সহজ করে দেন।

অফিসের কর্মীদের মূল্যায়ন হবে তার কাজ দিয়ে, কে প্রোমোটি আর কে ডাইরেক্ট সেটা কেন প্রাধান্য পাবে!! নিজের বাড়ির পর মানুষ সবচেয়ে বেশি সময় থাকে অফিসে। সেখানকার পরিবেশ যদি নিরপেক্ষ এবং স্বস্তিদায়ক না হয় তাহলে কাজে উৎসাহ আসবে কীভাবে!!

হয়তো এটা আপনার সবরের পরীক্ষা... দোয়া করি এই পরীক্ষায় যেন উৎরে যান, মনের শান্তি ফিরে পান আবার।

৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সদা হাস্যোজ্জ্বলের মধ্যেও ভিতরে লুকিয়ে থাকা অমানবিক সালাউদ্দিন ভাইকে ফাহিম চিনতে পারেনি।এই আপাত চিনতে না পারা থেকেই তার মধ্যে অভিমানবোধ চলে এসেছে। কাহিনী সুন্দর হয়েছে।
শেষ কথাটাও খুবই ভালো বলেছেন আপু।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৩

করুণাধারা বলেছেন: অনেক মানুষ এমন আছেন, যারা নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই অন্য মানুষের প্রতি তীব্র বিদ্বেষ পোষণ করেন এবং তার ক্ষতি করার চেষ্টা করে থাকেন। অথচ তারা এমন স্বাভাবিক আচরণ করে যান যে, বোঝাই যায় না তাদের মনে প্রচন্ড বিদ্বেষ লুকিয়ে রেখেছেন। সালাউদ্দিন ভাই এমন একজন মানুষ!!

আবার ফিরে এসে মন্তব্য করায় অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা, পদাতিক।

১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

শায়মা বলেছেন: এই সালাউদ্দিন ভায়ের নাম্বারটা দাও তো। বেটারে এমন ঘোলের শরবৎ খাওয়াবো ......... X((

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৩

করুণাধারা বলেছেন: বেটারে এমন ঘোলের শরবৎ খাওয়াবো তুমি এটা করতে পারবে, সন্দেহ নেই।

তোমার ঘোলের শরবত শুনে 'হারানো সুর' সিনেমার একটা দৃশ্য মনে পড়ল! সুচিত্রা সেন অরুন্ধতী দেবীর জন্য শরবত দিচ্ছেন দেখে খলচরিত্র খল হাসি হেসে বলছে, "শরবত খাওয়ান তাতে আপত্তি নেই, তবে দু এক গ্লাস যেন আমরাও পাই! হা হা!"

আরেকটা কথা মনে পড়লো, তোমার ওই ঘোলময় পোস্ট পড়ে বুঝেছিলাম বেশিরভাগই ব্লগারই পোস্ট না পড়ে মন্তব্য করে। তুমি মেজরিটি না মাইনরিটি কে জানে!! :P

১১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১১

শায়মা বলেছেন: আমিও সব পোস্ট পড়ি না। তবে আমার পছন্দের পোস্টগুলো ভালোভাবেই পড়ি যেমন এটাও পড়লাম। তারপর সালা ভায়ের কানটা ধরে মলে দিতে ইচ্ছা হলো। X((

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৫

করুণাধারা বলেছেন: তুমি হয়তো এমন পলিটিক্সে পড়োনি কখনো, তাই জানো না যে সালাউদ্দিন ভাইয়ের মতো চরিত্র আমাদের আশেপাশের অনেক আছে, বন্ধুর মুখোস মুখে এঁটে।

যাক গে, খারাপ মানুষ নিয়ে ভাববার দরকার নেই। তুমি বরং একটা হাসিখুশি পোস্ট নিয়ে আসো। অনেক দিন পোস্ট দাও না!! আবার তোমার জরুয়া বহেন, জরুয়া কাজিনরাও আজকাল ব্লগে আসে না!! :| নাকি আসে, আমি কি চিনতে পারছিনা!!

১২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: পরিবার / কর্মক্ষেত্র/ আত্মীয়-স্বজন সব জায়গায় সালাউদ্দিন এর মতে লোক আছে থাকবে।
আমরা কারো প্রয়োজন, কারো বা প্রিয়জন আবার অনেক ক্ষেত্রে উভয়ই।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: পরিবার / কর্মক্ষেত্র/ আত্মীয়-স্বজন সব জায়গায় সালাউদ্দিন এর মতে লোক আছে থাকবে।

ঠিক কথা। এমন মানুষের উপস্থিতি অনেক সময় কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

অনেক দিন পর আপনাকে আমার ব্লগে পেয়ে ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল ডার্ক ম্যান।

১৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৬

আরোগ্য বলেছেন: অফিস পলিটিক্স। বর্তমানে এই অফিস পলিটিক্সের কারণে অনেকের জীবন দুর্বিষহ। আমার পরিচিত এক আপা চাকরি ছেড়ে দেয়ার অবস্থা।
অনেকদিন পর করুণাধারা আপার পোস্টে আসা। আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৫

করুণাধারা বলেছেন: বহুদিন পর আমার ব্লগে আরোগ্যর দেখা পেয়ে খুব ভাল লাগছে! আল্লাহর রহমতে আমি ভালো আছি।

একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে অপছন্দ করতে পারে বিচিত্র কারণে। সেটা করতে পারে, কিন্তু এর ফলে তার মনে প্রবল বিরুপতা জন্ম নেয় এবং সে অপছন্দের মানুষটির কষ্ট দিতে থাকে। কোন অপরাধ না করেই একজন নির্দোষ মানুষ শাস্তি পায়। আমার উল্লেখিত ঘটনাটি অফিসের, কিন্তু সমাজের নানান স্তরে এটা দেখা যায়।

আল্লাহ যেন আপনার আপার এই সমস্যার সমাধান করে দেন।

শুভকামনা রইল আরোগ্য।

১৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪২

শায়মা বলেছেন: আমি অফিস পলিটিক্সে পড়ার আগে আমাকে যে ফেলাবে তাকেই পড়িয়ে চুবিয়ে ডুবিয়ে দেবো! :)

কিন্তু আমার জব আর অনেকগুলো টব নিয়ে আমি আসলেই হিমশিম আজকাল তাই জড়ুয়া তড়ুয়ারা কেউই আসছে না। ওকে কালকেই একখানা অংবং পোস্ট নিয়ে আসবো ইনশা আল্লাহ! :)

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১২

করুণাধারা বলেছেন: ঠিকই বলেছ, তোমাকে অফিস পলিটিক্স ধরতে পারবে না কারণ এগুলো করার আগে মূল্যায়ন করা হয়, অপেক্ষাকৃত দুর্বল মনের মানুষরাই এর শিকার হয়। কেন যে আমাদের সবার শক্তি থাকে না অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার... :(

গল্প ছাড়াও কিছু মুভি রিভিউ (আয়নাবাজি, আর কী যেন), কবিতা পড়ে মনে হয়েছে তোমার লেখা। কোথায় হারালো সেই দিন...

১৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,




এও এক ধরনের মনস্তাত্বিক বিষয় আসয়। মানব মনের কোথাও লুকানো সুক্ষ্ণ হিংসাবোধ থেকেই এমন সব ঘটনার জন্ম হয়।
মানব মনের গতি-প্রকৃতি, ভাব, ক্রিয়া, প্রতিক্রিয়ার সেই দিকটিই ফুটে উঠেছে এই গল্পের আড়ালে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৩

করুণাধারা বলেছেন: এও এক ধরনের মনস্তাত্বিক বিষয় আসয়। মানব মনের কোথাও লুকানো সুক্ষ্ণ হিংসাবোধ থেকেই এমন সব ঘটনার জন্ম হয়।

সহমত। একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে অকারণ অপছন্দ করার পেছনের কারণ হয়তো লুকানো সূক্ষ্ম হিংসাবোধ! এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে আমাদের দেশের শাশুড়ি বউ। অনেক পরিবারে নিরীহ বউকে শাশুড়ি অপছন্দ করেন আবার শাশুড়িকেও অনেক বউ অপছন্দ করেন, কারণ এই সূক্ষ্ম হিংসাবোধ। তবে বোধবুদ্ধি সম্পন্ন একজন মানুষের উচিত যাচাই করে নেয়া, তার অপছন্দের কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ আছে কিনা! নাহলে একজন নির্দোষ মানুষের প্রতি অবিচার করা হয়।

১৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পটা পড়ে মনে হচ্ছে, এটা কোন সত্য ঘটনা নিয়ে লিখিত। সত্যিই তাই কি?
এমন অবিচারের কারণে সৃষ্ট অভিমানের বার বহণ করা খুব কঠিন!
"এই গল্পটা বুনেছি একটা পরীক্ষা করার জন্য!" - পরীক্ষার ফলাফল কী পেলেন? নাকি তা পেতে আরও অপেক্ষা প্রয়োজন?
কাজী ফাতেমা ছবি'র মন্তব্যের উত্তরে যে সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন, তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার প্রতিমন্তব্যে আমার মনোভাবের স্পষ্ট ও স্বচ্ছ প্রতিফলন রয়েছে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩০

করুণাধারা বলেছেন: আপনার ধারণা সঠিক! এটা সত্যি ঘটনা নিয়ে লিখিত। হুবহু এই ঘটনাগুলো ঘটেছিল। ফাহিম আর ইকবালের নাম বদলে দিয়েছি কিন্তু সালাউদ্দিন ভাইয়ের নাম বদলাইনি!

তবে এমন ঘটনা আমি অন্যদের থেকেও শুনেছি, কাউকে প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হয় অথবা তার ওপর অনেক কাজের ভার চাপানো হয়। কাজী ফাতেমা ছবি এর উদাহরণ, এমন হওয়াটা সত্যিই দুঃখজনক।

পরীক্ষার ফলাফল পাইনি, পাবো কিনা জানিনা। পেলে অবশ্যই জানাবো।

১৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৪৮

কালো যাদুকর বলেছেন: উপযুক্ত প্রমান থাকলে আর সাহস থাকলে এরকম রেসিস্ট লোকদের ভাল শায়েস্তা করা যায়। দুএকটা করেছি ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: অবশ্যই এমন রেসিস্টদের শায়েস্তা করা দরকার। কিন্তু ওই যে বললেন, প্রমাণ থাকা আর সাহস থাকা, এই দুটো একসাথে অনেক সময় পাওয়া যায় না।

আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম কালো যাদুকর। ভালো থাকুন।

১৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:

"যে ফুল না ফুটিতে
ঝরেছে ধরণীতে,
যে নদী মরুপথে
হারালো ধারা,
জানি হে জানি তাও
হয় নি হারা।"

এমনি করেই কিছু কিছু ফাহিমরা মার খায়, খেতেই থাকে। অবশেষে হারিয়ে যায় কালের অতলে। স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি, তেলবাজি, চাটুকারিতা অথবা কোনো কারন ছাড়াই ফাহিমরা মার খায়। বস যদি ফাহিমদের চাইতে যোগ্যতা ও দক্ষতায় দুর্বল হয়ে থাকে তাহলেও ফাহিমরা মারা খায়। কারন, এটাই ওদের নিয়তি।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: বস যদি ফাহিমদের চাইতে যোগ্যতা ও দক্ষতায় দুর্বল হয়ে থাকে তাহলেও ফাহিমরা মারা খায়। কারন, এটাই ওদের নিয়তি।
সহমত। একই কথা ১৫ নম্বর মন্তব্যে আহমেদ জী এস বলেছেন যে, এক ধরনের সূক্ষ্ম হিংসাবোধ এ ধরনের অন্যায় আচরণ করতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে। জোর যার মুল্লুক তার, এই নিয়মে সবলের (ক্ষমতাবান) অন্যায় আচরণের ভুক্তভোগী হতে হয় দুর্বলকে।

মন্তব্য ও প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ গেঁয়ো ভূত।

১৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রাইভেট অফিসে এই ধরণের অনেক বৈষম্য দেখেছি। এছাড়া আরেকটা জিনিস থাকে সেটা হলে দলাদলি বা সিন্ডিকেট। একজন হিসাব রক্ষক ১০ বছর ধরে একই পদে ভালো ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তার পদান্নতি দেয়া হলও না। কারণ দেখানো হল তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কম। অথচ সে সেই দায়িত্ব ভালোভাবেই পালনে সক্ষম।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৩

করুণাধারা বলেছেন: প্রাইভেট অফিসে এই জিনিস দেখা যায়, কিন্তু এতে আমি বুঝিনা এতে মানুষের কর্মস্পৃহা বজায় থাকে কি করে! কাজের আউটপুট বাড়াতে হলে কর্মীকে উৎসাহ দেয়া দরকার, পদোন্নতি বেতন, বাড়ানো বা যে কোনভাবে। একই প্রতিষ্ঠানে সবাই এগিয়ে না গেলে কি করে প্রতিষ্ঠান আগায়!

আসলে এটা একটা রূপক গল্প! নির্বহনের জন্য! :|

২০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০২

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


এটা আমার সাথে প্রায়ই হয়। তবে এখন নিজের দিক দেখে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি। এই সরিয়ে নেয়াটা দারূণ একটা সুযোগ এনে দিয়েছে। এখন আমি নিজেকে পরিপূর্ন করতে পেরেছি।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২১

করুণাধারা বলেছেন: এটা অনেকের সাথেই হয়, শুধু আমাদের দেশে না বিদেশেও! আমার এক বন্ধু অস্ট্রেলিয়ায় কাজ করে। সে বলে, সে সব সময় এমনভাবে কাজ করে যেন এমন সুবিধাজনক অবস্থান বজায় রাখে যে তাকে সরিয়ে কেউ সুবিধা করতে না পারে। আপনি সরিয়ে নিতে পেরেছেন নিজেকে, খুবই ভালো পদক্ষেপ। শুভকামনা রইল।

আমার ব্লগে মনে হয় আপনাকে প্রথমবার পেলাম, অনেক ধন্যবাদ।

২১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আশাকরি এই পোস্টে সব রকম মন্তব্য দেখতে আপনি আরেকবার আসবেন। আমন্ত্রণ রইল।

আমি এসেছি। কে কি মন্তব্য করলেন সে গুলো দেখলাম, জানলাম।
হিটলার ভালো ছবি আঁকতেন, ভায়োলিন বাজাতেন। প্রেমে ধোঁকা খেয়ে হিটলার মন্দ মানুষ হয়ে যায়।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৩

করুণাধারা বলেছেন: হিটলার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ রাজীব নূর। হিটলারের জীবনীতে এই কথাগুলো যোগ করে দেব। B-)

২২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৬

মিরোরডডল বলেছেন:




এ ঘটনা সব জায়গায় আছে ধারাপু।
কর্পোরেট অথবা প্রাইভেট সেক্টরে, রিলেটিভ অথবা ফ্রেন্ডসদের মধ্যেও, ইভেন আমাদের এই ব্লগেও আছে।
কোন মানুষ ত্রুটিমুক্ত পরিপূর্ণ না, দোষে গুণে মিলিয়ে আমরা সবাই।

কাউকে অপছন্দ করলে তার ভালো কাজকেও এপ্রিশিয়েট না করা অথবা সবকিছুর মাঝে তার দোষ খোঁজা, কেউ যেটা ডিজার্ভ করে সেটা থেকে তাকে বঞ্চিত করা, এগুলো এক কথায় রেসিজম। আবার বলা যায়, দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার অথবা ক্ষমতার অপব্যবহার। যেটা একেবারেই কাম্য না।

প্রতিবাদ অবশ্যই করতে হবে কিন্তু দুঃখজনকভাবে যাদের সাথে এমন হয়, তারা নাজুক স্বভাবের বিধায় ওদের সাথে পেরে উঠে না। আবার অনেকে প্রটেস্ট করার সামর্থ্য থাকলেও চক্ষুলজ্জার জন্য পাল্টাপাল্টি করে না, এভাবেই তারা পার পেয়ে যায়।

ধারাপুর লেখা ছোটগল্প মনে হয় প্রথম পড়লাম, ভালো লেগেছে।


২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮

করুণাধারা বলেছেন: আমি যে সবসময় তোমাকে মনে করি intelligent (যার বাংলা কেবল বুদ্ধিমতী বললে বোঝানো যায় না!) বলে, সেটা আরেকবার ঠিক প্রমাণ হলো!! আমি যা বলতে চাচ্ছিলাম এই গল্প দিয়ে সেটা তুমি বুঝেছ!!

নাএটা গল্প না, যদিও নাম দিয়েছি অনুগল্প। এমন ঘটনা কারো জীবনে সত্যিই ঘটেছিল। একটা ব্যাপার নিয়ে ভাবতে ভাবতে আমি এই ঘটনার সাথে মিল পেয়ে ভাবলাম গল্প বলে পোস্ট করে দেই।

অন্য গল্প বলি। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার রুমমেট হয়ে আসলেন অন্য বিভাগের সিনিয়র এক আপা। তিনি ছিলেন ফাস্ট গার্ল, মায়ের অতি আদরের কন্যা। হলে আসার কারণ ছিল, তিনি সারা রাত জেগে কাজ করতেন আর তার রাত জাগা দেখে তার মায়ের ব্লাড প্রেসার বাড়তে থাকতো। তাই তিনি হলে চলে আসলেন যেন তার রাত জাগা তার মাকে না দেখতে হয়। এই গল্প শুনে খুব অবাক হয়েছিলাম, মাকে খুব অদ্ভুত মনে হয়েছিল।

যখন আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে, তখন সেও রাত জাগতে লাগলো। তিনটা চারটার আগে ঘুমায় না। এই নিয়ে প্রতিদিন রাগারাগি হয়। তার ঘরের দরজা বন্ধ থাকে, আমি মাঝে মাঝে ঘুম থেকে উঠে দেখি বন্ধ দরজার নিচ দিয়ে আলো দেখা যায় কিনা! আলো দেখা গেলেই ধাম ধাম করে দরজায় ধাক্কা, "এক্ষুনি ঘুমাও" বলে। সে ঘুমাতো না আমার কথা শুনেও, আর আমার প্রেসার বাড়তো। মাঝে মাঝে রাগারাগি করে বলতো হলে চলে যাবে।

তারপর সে সত্যিই চলে গেল, আমার নাগালের বাইরে বিদেশে। কিন্তু আমার মাথায় সেই রাতজাগা ফোবিয়া রয়ে গেল। আমার ঘুমের সময় মোটামুটি মিড নাইট, মিডের ভোর চারটা! সেই সময় যদি দেখি মিড মন্তব্যর ঘরে, তখন আমার দুশ্চিন্তা শুরু হয় কখন ঘুমাবে!! তুমি কি গতরাতে ঘুমিয়ে ছিলে আদৌ?

আমি একটা পোস্ট দিতে চাচ্ছি আজকালের মধ্যে, প্লিজ মন্তব্য করতে এসো সেই পোস্টে।

২৩| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:১৮

সোহানী বলেছেন: আপুরে, দেশের কর্পোরেট বা নন-কর্পোরেট অফিসের হিসাব নিকাশই আলাদা। কে প্রমোশন পাবে, কে ডিমোশন পাবে তা কোনভাবেই কাজের উপর নির্ভর করে না। সেটা নির্ভর করে অনেক কিছুর উপর। তেলবাজী, ক্ষমতাবাজী, চামচিকাবাজী.........। তবে কখনই কোন বুদ্ধিমান, জ্ঞানী, দক্ষ লোকের প্রমোশন হয় না এটা নিশ্চিত। দীর্ঘ ১৫ বছরের উপরে এক্সপেরিয়েন্স ;)

যাহোক, গল্পে ভালোলাগা। ঠিক এরকম একটি গল্প আমার বইতে আছে। যদি বইটি না পড়ে থাকেন তাহলে এক সময় শেয়ার করবো।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: আমাদের দেশে অফিস গুলো মনে হয় অনন্য সাধারণ। সাধারণ সরকারি অফিসগুলোতে "আসি যাই বেতন পাই কাজ করলে ওভারটাইম চাই' ধরনের। যারা প্রশাসনের কাজ করেন তারা সকলের দণ্ডমুন্ডের কর্তা। এনারাও তৈলমর্দন ছাড়া অন্য কাজ তেমন করেন না।

ঠিকমতো কাজ করে মূলত বেসরকারি এবং কর্পোরেট অফিসগুলোর কর্মীরা। কর্পোরেট অফিসগুলোতে প্রচুর পয়সা দেয় এবং সেই অনুপাতে খাটায়, এবং সব সময় সবার মাথায় একটা ঘড়ি টিকটিক করে বাজতে থাকে, "এগিয়ে যেতে হবে না হয় পিছন থেকে ল্যাং মেরে কেউ এগিয়ে যাবে।"

জহির সাহেবের ঘটনাটা দুঃখজনক। সাচু এমন ঘটনার উল্লেখ করেছেন তার মন্তব্যে। গল্পটা শেয়ার করলে সবাই পড়া হতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.