নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমজনতার শিক্ষা ব্যবস্থা-২; নতুন কারিকুলাম রম্য

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪

আমাদের দেশের আমজনতার শিক্ষা (মূলধারার শিক্ষা, বড়লোকের ইংরেজি মাধ্যম নয়) ব্যবস্থা নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন থাকেন তাদের জন্য বিশাল সুখবর, এদেশের আমজনতার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ইউরোপের উন্নত দেশ ফিনল্যান্ডের মতো করে গড়ে তোলার ব্যবস্থা হয়েছে! এ ব্যবস্থায় কোন পরীক্ষা নেই। ‌এবছর শুধু ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর জন্য, আগামী বছর থেকে দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম, নবম শ্রেণী এই চার শ্রেণীতেও এই ব্যবস্থা চালু হবে, অর্থাৎ ২০২৬ সালের এসএসসি এই ব্যবস্থায় হবে। এই শিক্ষা ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য:

১) এতে পড়াশোনার মতো বিরক্তিকর ব্যাপার পুরো বাদ! নাচগান- আনন্দমুখর ক্লাস হবে এই ব্যবস্থায়। নানা বিষয়ে হাতে কলমে শিক্ষা দেবার জন্য পিকনিক ও মেলার আয়োজন করা হয়, যেখানে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।
পিকনিক

২) এটা ডিভাইস ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা। অর্থাৎ ছাত্রদের বেশিরভাগ পড়াশোনা করতে হবে ডিভাইস দিয়ে, ইন্টারনেট ব্যবহার করে। কোনো বিষয়ে জানার জন্য গুগল সার্চ দিয়ে সে বিষয়ে তথ্য এবং ছবি নিয়ে, সেগুলো প্রিন্ট করে কাগজ কেটে সেই কাটা কাগজ খাতায় সেঁটে দিতে হয় মূল্যায়নের জন্য।



৩) পরীক্ষা নামে খাতা কলম নিয়ে বসে লেখার দিন শেষ। প্রজেক্ট, অ্যাসাইনমেন্ট এসবের উপর ভিত্তি করে আছে মূল্যায়ন পদ্ধতি। প্রতি বিষয়ে, ছাত্ররা দলীয় ভাবে কাজ করার পর দলীয় মূল্যায়ন করেন শিক্ষক।

৪) মূল্যায়নের তথ্য এ্যাপ ভিত্তিক প্রযুক্তির মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে। অতি আধুনিক, ডিজিটাল ব্যবস্থা!

৫)নম্বর বা গ্রেডিং থাকছে না। মূল্যায়নে ব্যবহার হচ্ছে ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, এবং বৃত্ত। ত্রিভুজের অর্থ, এর যেমন শীর্ষ আছে তেমনি শিক্ষার্থীদের শীর্ষে উঠতে হবে। বৃত্ত বোঝায় সাধারণ শিক্ষার্থী যাদের চলতে চলতে উন্নতি করতে হবে। চতুর্ভুজের অর্থ চার দেয়ালে বন্দী, এদের বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। বিভিন্ন সূচক (Indicator) যাচাই করে বৃত্ত ত্রিভুজ চতুর্ভুজ দেয়া হচ্ছে, কিন্তু এই চিহ্ন কেউ জানতে পারছে না একজন ছাত্র অংক করতে কতটা দক্ষ, সাহিত্য বা অন্য বিষয়ে কতটা জ্ঞান অর্জন করেছে, যেটা আগে নম্বর বা গ্রেড জানলেই বোঝা যেত। ফাঁকিবাজ ছাত্রদের এই ব্যবস্থায় খুব লাভ হবে, কেউ পরীক্ষার রেজাল্ট জিজ্ঞেস করলে ছবির মতো এই মূল্যায়ন শীট ধরিয়ে দেবে, দেখে প্রশ্নকারী কিছুই বুঝবে না।



৬) ২০২৪ সাল থেকে ক্লাস নাইনে সাইন্স, আর্টস, কমার্স ইত্যাদি বিভাগ থাকবে না। এখন নবম শ্রেণীতে বিজ্ঞানের ছাত্রদের বিজ্ঞানের তিনটি বিষয় এবং উচ্চতর গণিত বিষয়ে পড়তে হয়। ২০২৪ সাল থেকে নবম শ্রেণীতে উচ্চতর গণিত পুরো বাদ হবে এবং বাকি তিনটি বিজ্ঞানের বিষয়ের তিন ভাগের দুই ভাগ বাদ দিয়ে ১০০ নাম্বারের একটি বিজ্ঞান বিষয়ের পরিণত করা হবে।

৭) ২০২৪ সাল থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন হবে, এখনকার মতো নবম শ্রেণীতে নয়। রেজিস্ট্রেশন নম্বর এ্যাপে সংরক্ষিত থাকবে। কোন রোল নাম্বার ব্যবস্থা থাকবে না এরপর।

৮) নম্বর বা গ্রেডিংয়ের ফলে আগে ভালো- খারাপ ছাত্র ইত্যাদি বৈষম্য মূলক পদ্ধতি ছিল। এই বৈষম্যমূলক পরিচিতি লোপাট করে সবাইকে সমান নজরে দেখাই এই মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু হয়েছে। এ সম্পর্কে বলা হয়েছে:
কেউ গোল্ডেন জিপিএ-৫ (সব বিষয়ে ৮০ নম্বরের ওপরে) পেলে তাকে সবচেয়ে মেধাবী বলে বিবেচনা করা হয়। আবার কেউ জিপিএ-৪ বা ৩.৫ পেলে তাকে ততটা মেধাবী নয় বা ফল ভালো হয়নি বলে বিবেচনার সংস্কৃতি বিদ্যমান। এটিকে ‘নন-সেন্স’ ও ‘ইডিয়টিং’, অর্থাৎ ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ ও ‘নির্বুদ্ধিতা’ বলে মনে করেন নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে কাজ করা অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান। তিনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) শিক্ষাক্রম ইউনিটের সদস্য।

সূত্র:https://www.google.com/amp/s/www.jagonews24.com/amp/887027

৯) এই দুই শ্রেণীর পাঠ্য বিষয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে (আগামী বছর থেকে অন্য শ্রেণীতেও হবে)। সপ্তম শ্রেণীতে দশটি বিষয় আছে, যেমন: ( ১)বাংলা (২)ইংরেজি (৩)গণিত (৪)বিজ্ঞান (৫)ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান (৬)জীবন ও জীবিকা (৭)স্বাস্থ্য সুরক্ষা (৮)ডিজিটাল প্রযুক্তি (৯)শিল্প সংস্কৃতি (১০)ধর্ম।

কিছু বিষয়ের নাম পরিচিত মনে হলেও, এর শিখন- পঠন পদ্ধতি আমূল বদলে গেছে। মূলত বই খাতা ব্যবহার না করে কাগজ কেটে পড়াশোনা করা এই পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য। বীজ গনিতের এই সমস্যা যেমন কাগজ কাটিং পদ্ধতিতে শেখানো হয়। জ্যামিতিতে ত্রিভুজ কাকে বলে সেটা শেখানো হয় মাঠে গিয়ে দড়ি দিয়ে।



১০)হাতে কলমে শিক্ষা ব্যবস্থার কিছু ছবি দেখা যাক। বিজ্ঞানে ভূমিকম্প নিয়ে শুধু পড়ানোই হয় না, ভূমিকম্প থেকে কিভাবে আত্মরক্ষা করতে হবে তাও শেখানো হয়। (এই ছবি দেখে মনে পড়লো, আমি তো এক চির রুগ্ন ছাত্রী ছিলাম, এইসব জিনিস করতে গেলে চতুর্ভুজ পেতে হতো, ফলে লেখাপড়ার ইতি ঘটতো, ফলে জীবনে কখনো সামুতে আসা হতো না।)



১১)জীবন ও জীবিকা বিষয়ে জীবিকার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় শেখানো হয়। যেমন আলুভর্তা, ডিম ভাজা করা ইত্যাদি। বলা হচ্ছে, বিদেশে এইসব কাজ জানার খুব কদর, তাই এগুলো শেখানো হচ্ছে। মনে হচ্ছে এই শিক্ষার্থী মেয়েরা কাজের মেয়ে হিসেবে বিদেশে গিয়ে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করবে।



১২) এই শিক্ষাব্যবস্থায় ছেলে এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোন পার্থক্য রাখা হয়নি। ফলে ছেলেরা রান্না শিখছে, মেয়েরা ধান বোনা শিখছে। ছবি। ছেলেরা কাঁথা সেলাই, পিঠা বানানো শিখছে। ছেলে-মেয়ে সবার জন্য মুরগি পালন শেখা অত্যাবশ্যক। ফলে ঢাকায় ফ্ল্যাটে যারা থাকে, সেই ছেলেমেয়েদেরও বলা হয়েছে ঘরে মুরগি পালন করে মুরগি পালনের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে।





১৩) মনে হয় আমাদের ব্লগার শায়মা আর সোহানী এই শিক্ষা ব্যবস্থার পেছনে আছে! একটা পাঠ্য বিষয়ের নাম "জীবন ও জীবিকা", যেটা সোহানীর বইয়ের নাম থেকে নেয়া। আবার বিজ্ঞান ক্লাসে টেরেরিয়াম বানানো শেখানো হয়, যেটা শায়মার প্রিয় বিষয়। এছাড়াও শায়মার প্রিয় নাচ, গান, ছবি আঁকা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কাগজ কেটে নানাধরনের কারুকাজ করতে হয়, এমনকি কাগজের রোবট পর্যন্ত বানাতে শিক্ষা দেয়া হয় বিজ্ঞান ক্লাসে, এগুলোও শায়মীয় কাজ।



১৪)এই শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের মা-বাপের জন্যও শিক্ষামূলক। শিক্ষার্থীদের নানা রকম পিঠা, যেমন পাটিসাপটা নকশী পিঠা ইত্যাদি ১০ জনের জন্য বানিয়ে নিয়ে যেতে যখন বলা হয়, তখন যেসব মায়েরা পিঠা বানানো না শিখে শুধু আরাম করে দিন কাটিয়েছেন, তারা এসব পিঠা বানানো শিখতে বাধ্য হন। কারণ বানিয়ে না দিতে পারলে সন্তান হয়ে যাবে চতুর্ভুজ!! একই ভাবে যে মায়েরা কাঁথা সেলাই না শিখে জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন, তাঁরাও এখন সন্তানকে ত্রিভুজ করার জন্য কাঁথা সেলাই শিখতে বাধ্য হয়েছেন।



বাবাদের জন্যও দারুন শিক্ষামূলক। অনেক বাবা আগে বাটন ফোন ব্যবহার করতেন। এখন এই শিক্ষা ব্যবস্থায় (যাকে বলা হচ্ছে ডিভাইস ভিত্তিক) শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ ডেস্কটপ না থাকুক, ইন্টারনেট সংযোগ সহ একটা স্মার্টফোন অত্যাবশ্যক, কারণ গুগল সার্চ করে তাকে অ্যাসাইনমেন্ট করতে হয়। অতএব বাবারা স্মার্ট ফোন কিনে স্মার্ট হবার সুযোগ পেয়েছেন এই শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে। তাছাড়াও সন্তানের লেখাপড়ার জন্য খরচ করা শিখেছেন এই ব্যবস্থায়। আলুভর্তার উপকরণ কিনতে তো লাগে দু্ই পয়সা, কিন্তু বিরিয়ানি রান্নার উপকরণ কেনার জন্য তাদের সন্তানদের বেশ কিছু টাকা দিতে হয়। যারা ঘরে সন্তানদের বিরিয়ানি খাওয়াতে পারেন না, তারা এই ব্যবস্থার ফলে সন্তানদের বিরিয়ানি খাওয়াতে পারছেন।

১৫) এবার দেখা যাক বিভিন্ন বিষয়ে মূল্যায়ন কীভাবে হয়। একজন ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীর মা বলছেন:

৬ষ্ঠ শ্রেণীর অর্ধবার্ষিক মূল্যায়নের নামে যা ছিল ( পরীক্ষা বলা যাবে না মূল্যায়ন বলতে হবে)

বাংলা -১টি কবিতা আবৃত্তি করতে হবে, সংবাদ পত্র থেকে ৫ লাইন সংবাদ পাঠ করতে হবে এবং একজন বন্ধুর সাথে প্রমিত ভাষার কথোপকথন লিখে জমা দিতে হবে।

ইংরেজি -বন্ধুর সাথে কোন বিষয় নিয়ে কথা বলতে হবে এবং সেই কনভারসেশন লিখেজমা দিতে হবে এবং একটা paragraph লিখতে হয়েছিল।

গণিত -একজন বন্ধু আর একজন বন্ধুর জন্য অংক দিবে সেটা সমাধান করতে হবে।

বিজ্ঞান-বই বাদ দিয়ে করোনা ভাইরাস নিয়ে ১৫টা প্রশ্ন দিয়েছিল সেগুলো গুগল ঘেঁটে বার করতে হয়েছে এবং সেগুলো পরীক্ষায় লিখতে হয়েছিল

ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান-একজন মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার আত্নপরিচয় লিখতে হয়েছিল

জীবন ও জীবিকা- একজন পেশাজীবীর সাক্ষাৎকার

শিল্প ও সংস্কৃতি-কবিতা আবৃত্তি/ড্রইং/গান এবং বন্ধুখাতা

ডিজিটাল প্রযুক্তি- নিজেদের স্কুল নিয়ে ১০টা পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড বানানো তাও বাংলায়

সাস্থ্য ও সুরক্ষা -৭ দিনের দিনলিপি লিখে বর্ননা করা

ইসলাম ধর্ম - কোন বিষয় নিয়ে গ্রুপওয়ার্ক

এগুলো ছাড়াও অনেক গ্রুপওয়ার্ক আ্যসাইনমেন্ট ,পোষ্টার করতে হয়েছে।এই ধরনের মূল্যায়ন ২০/৩০ নম্বরের হতে পারে এর বেশি না।এই মূল্যায়নের জন্য বইয়ের কোন দরকার নেই।


১৬) বাংলা ইংরেজি আগে ছিল দুই পত্র, প্রথম পত্রে সাহিত্য এবং দ্বিতীয় পত্রে ব্যাকরণ ও রচনা লেখা। এখন এইসব ব্যাকরণ রচনা বাদ হয়ে অভূতপূর্ব ধরণের বাংলা ইংরেজি বই হয়েছে। এখানে দলগতভাবে কথোপকথন, অভিনয় করে ক্লাসের সময় পার করা হয়। এই যে দেখেন অভিনয় করার ইংরেজি ক্লাস!



১৭)যেহেতু মূল্যায়নে ছাত্রদের লেখাপড়ার ভূমিকা নেই, শিক্ষকদের ভূমিকা প্রধান, তাই এই শিক্ষা ব্যবস্থার ফলে শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ানো এবং কোচিং ব্যবসার রমরমা অবস্থা হয়েছে। আরও বেড়েছে স্মার্টফোন ইন্টারনেটের ব্যবহার, কাগজ কাপড় চাল ডাল আলু পেঁয়াজ সবকিছুর ব্যবহার। এককথায় দেশের অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করেছে এই শিক্ষা ব্যবস্থা।

আমাদের কার কার সন্তান ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীতে এই অভূতপূর্ব শিক্ষা লাভ করছে? বাকপ্রবাস?

আমার তরফ থেকে বিশাল অভিনন্দন জানবেন!

ছবি সব অন্তর্জাল থেকে সংগ্রহ করা।



মন্তব্য ৫৯ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫৯) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০

বাকপ্রবাস বলেছেন: প্রত্যেক বিষয়ে এমন ব্যাবহারিক ২০ মার্কস রাখা যায়।
বর্তমান ব্যাবস্থায় গরীর শিক্ষার্থী হারিয়ে যাবে, ওদের সামর্থ নেই খরচ চালানোর, গ্রামের স্কুলগুলো হা করে বসে থাকবে, না আছে অর্থ, না আছে ভাল নেট ওয়ার্ক ইত্যাদি।
অভিভাবকদের এখন দুশ্চিন্তা হল, প্রতিদিন সন্তান কোন নিউজ নিয়ে ঘরে আসে, কাজ ফেলে উপকরণ খুঁজতে হচ্ছে দোকানে দোকানে বাজারে বাজারে, যাদের ঘরে মহিলা অভিভাবক তাদের জীবন যায় যায় অবস্থা। পুরুষ থাকলেও তার চাকরী ব্যাবসা আছে, এসব জোগাড় করার টাইম কই
শিক্ষার্থীর বাড়ির কাজগুলো সমধা করার জন্য, অভিভাক হতে কাজের লোজ পর্জন্ত জড়িত হতে হচ্ছে প্রতিদিন

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

করুণাধারা বলেছেন: আপনার মনে হচ্ছে ত্রিভুজ চতুর্ভুজ বৃত্ত দিয়ে পরবর্তীতে উচ্চ শিক্ষায় যাওয়া যাবে? ত্রিভুজ (৮০-১০০), বৃত্ত (৩৩-৭৯), চতুর্ভুজ (০-৩২) বুঝলাম, কিন্তু যে ৩৩ পেয়েছে সেও বৃত্ত আবার যে ৭৯ পেয়েছে সেও বৃত্ত। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হবার জন্য নূন্যতম কিছু নাম্বার দরকার। যে বৃত্ত পেয়েছে তাকে কিভাবে বোঝা যাবে সে কি ধরনের শিক্ষার্থী!!

এসএসসিতে বিজ্ঞান হবে ১০০ নম্বরের, উচ্চতর গণিত থাকবে না! এই ব্যবস্থায় এইচএসসির বিজ্ঞান এবং গণিত কি পড়া সম্ভব!! যদি সম্ভব না হয় তাহলে কি জ্ঞান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাবে!! অথচ যারা ইংরেজি মাধ্যমে পড়ছে, তারা যথাযথভাবে গণিত বিজ্ঞান ইত্যাদি পড়ছে। ফলে দেখা যাবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় তারাই সুযোগ পাবে।

যেসব ছাত্রছাত্রী শহরে থাকে, তাদের পক্ষে ছোট বাড়িতে মুরগি পালন করা সম্ভব? ধান চাষের প্রয়োজনীয়তা কি সকলের জন্য?

আমি এই শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে খুব ভাবনায় পড়েছি।

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:০২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পড়তে পড়তে হাঁপিয়ে উঠেছি। বেশ কিছুদিন ধরেই নতুন শিক্ষাব্যবস্থার উপর আলোচনা-সমালোচনার লেখালেখি চোখের সামনে ভাসতে দেখছিলাম, কিন্তু গভীরে ঢুকে পড়া হয় নি, আজ পড়ে বেশ কিছু জ্ঞান হলো। তবে, এটাই যদি নতুন শিক্ষাব্যবস্থা হয়, তাহলে পড়াশুনা সবার দ্বারা সম্ভব হবে না, যদি সরকার থেকে যাবতীয় উপকরণ সরবরাহ করা না হয়। সেইক্ষেত্রে শিক্ষাখাতে বাজেটও হতে হবে এখনকার চাইতে কয়েক গুণ বেশি।

সবচাইতে বড়ো সমস্যা হবে শিক্ষক প্রশিক্ষণ। ক্রিয়েটিভ কোয়েশ্চন সিস্টেম চালু হবার পর এখনো পর্যন্ত শিক্ষকদের মধ্যে কোয়েশ্চন সেটিং ও শিক্ষাদান পদ্ধতি নিয়ে অনেক দুর্বলতা আছে।

৮০'র দশকে যখন নতুন সংস্করণের বই চালু করা হলো, সেখানেও ব্যবহারিক প্রয়োগের উপর জোর দেয়া হয়েছিল বইয়ের কন্টেন্টে। কিন্তু পড়ানোর সময়ে এবং প্রশ্নপত্র তৈরির সময়ে শিক্ষকগণ আগের পদ্ধতিই অনুসরণ করতেন, কারণ, তারা পড়ে এসেছেন পুরোনো পদ্ধতিতে :)

ছাত্রজীবন সবচাইতে মধুর হতো, যদি কোনো পরীক্ষা না থাকতো - এ কথাটা নাকি রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন (ক্লাস সিক্স-সেভেনে থাকা অবস্থায় জনৈক শিক্ষক বলেছিলেন)। এখন যদি পরীক্ষা পদ্ধতি রহিত করা হয়, তাহলে ছাত্ররা ঠিকই মধুর জীবন যাপন করবে প্রভূত আনন্দের সাথে :) তবে, যে-উদ্দেশ্য নিয়ে এ পদ্ধতি প্রবর্তন করা হলো, শিক্ষকগণকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে পারলে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক জ্ঞান বাড়বে নিঃসন্দেহে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:০২

করুণাধারা বলেছেন:

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৭

করুণাধারা বলেছেন: সবচাইতে বড়ো সমস্যা হবে শিক্ষক প্রশিক্ষণ। ক্রিয়েটিভ কোয়েশ্চন সিস্টেম চালু হবার পর এখনো পর্যন্ত শিক্ষকদের মধ্যে কোয়েশ্চন সেটিং ও শিক্ষাদান পদ্ধতি নিয়ে অনেক দুর্বলতা আছে।

এটাই সবচাইতে বড় সমস্যা। গত ১২ বছরে নানা রকম নিরীক্ষা চালানো হয়েছে স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে, কখনো সৃজনশীল পদ্ধতি কখনো জেএসসি পিইসি ইত্যাদি। কোনরকম গবেষণা উপযোগিতা যাচাই ছাড়াই শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়েছে, শিক্ষকদের কোন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। ফলে দেখা গেল প্রতিটি ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে। আগের পদ্ধতি গুলোতে একটা ভালো জিনিস ছিল, সেখানে ছাত্রদের উপর আর্থিক চাপ দেয়া হয়নি। অথচ ফিনল্যান্ডের উপযোগী এই ব্যবস্থায় ছাত্রদের খরচ যোগাতে গিয়ে অভিভাবকরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। যে অভিভাবকের স্মার্ট ফোন কেনার সাধ্য ছিল না তাকে এখন সন্তানের স্কুলের জন্য ডেটা সহ স্মার্টফোন নিতে হয়েছে। উচ্চ বাজার মূল্যের কারণে নাজেহাল অভিভাবকদের পিকনিকের খরচ পিঠাপুলি কাঁথা কেনার খরচ যোগাতে হয়েছে। কি করে বলি এই শিক্ষা ব্যবস্থা দেশের আমজনতা অর্থাৎ ৮০ভাগ মানুষের জন্য উপযোগী!!

শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের কথা বলছেন, আমার এই ছবিটা দেখে খুব হাসি পেয়েছে! শিক্ষককে রান্নার কাজ করতে দিয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে জীবনের হাড়ি খুন্তি ধরে নাই!

আমাদের দেশে স্বল্প খরচে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ খুবই অল্প, তীব্র প্রতিযোগিতামূলক। সেখানে পরীক্ষা বিহীন পদ্ধতি নাম্বার ছাড়া পদ্ধতি এসবের ফলে মূল শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। সুযোগ পাবে কেবল ইংরেজি মাধ্যম এবং ক্যাডেট কলেজে ছাত্ররা, যেখানে এখনো পরীক্ষা হয় নাম্বার দেয়া হয়।

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:১৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ভাল খারাপ এখন বোধগম্য হচ্ছে না। চালু হলে সুফল কি আর কুফল কি তা বুঝা যাবে।

উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মেলালে ই হবেনা, প্রয়োজনীয় উপকরন, অবকাঠামো, বাজেট সব সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে বা নাগালের মধ্যে আনতে হবে, তা না হলে অনেকেই পিছিয়ে পড়বে বিশেষ করে যারা দরিদ্র পরিবারের ।

+++

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

করুণাধারা বলেছেন: আপনি ছবিগুলো দেখুন, দেখে মনে হচ্ছে এগুলোর সাথে লেখাপড়ার কোনো সম্পর্ক আছে?

আমার ধারণা এটা কোন ভালো শিক্ষা ব্যবস্থা নয়। আগে কয়েকবার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নীরিক্ষা চালিয়ে বাতিল করেছেন (সৃজনশীল পদ্ধতি, জেএসসি, পিইসি ইত্যাদি)! এটাও বাতিল করতে হবে, মাঝখানে থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের গিণিপিগ বানানো হলো।

শিক্ষা ব্যবস্থায় কেন বৈষম্য থাকবে? ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা নিয়ে কেন এমন নিরীক্ষা হয় না? আমার ক্ষোভ এখানেই।

উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মেলালে ই হবেনা, প্রয়োজনীয় উপকরন, অবকাঠামো, বাজেট সব সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে বা নাগালের মধ্যে আনতে হবে, তা না হলে অনেকেই পিছিয়ে পড়বে বিশেষ করে যারা দরিদ্র পরিবারের । এই শিক্ষা ব্যবস্থায় দরিদ্ররা শিক্ষা চালিয়ে যেতে পারবে না। :( তাই একে ভালো বলি কী করে!!

আমি যা বলতে চেয়েছিলাম লেখায় সেটা স্পষ্ট হয়নি। তাই স্যাটায়ার বোঝাতে এডিট করে রম্য লিখে দিলাম।

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপু, পুরাই কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়েছি। কিছু বলার ভাষা আর নাই। শিক্ষা ব্যবস্থা ধংশ করার এই মিশন সম্পর্কে কি মন্তব্য আর করতে পারি? এই সরকারের পতন ঘটানোই একমাত্র সমাধান।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১

করুণাধারা বলেছেন: এই পোস্ট লিখেছি অতি দুঃখ নিয়ে। আমাদের দেশের বিদ্বান মানুষের মতামত নিয়ে এই শিক্ষা ব্যবস্থা আসে নি, কার সুপারিশে এসেছে সেটা স্পষ্ট নয়। কিন্তু যারা দেশের কথা ভাবেন, তাঁরা কেন এটা নিয়ে কথা বলেন না। :(

ত্রিভুজ চতুর্ভুজ বৃত্ত শেখার জন্য লাগে পাঁচ মিনিট। অথচ দেখুন, এগুলো শেখানো হচ্ছে মাঠে দড়ি দিয়ে। এইসব করতে গিয়ে ৪৫ মিনিটের ক্লাস সময় শেষ হয়ে যায়।

একটা কথা মনে হচ্ছে, এরা যতো বেশি জানে, ততো কম মানে। হয়তো এজন্যই কম জানানোর এই শিক্ষা ব্যবস্থা।

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:



ব্যাপারটা কি হচ্ছে, কোন সঠিক লেখক লিখলে বুঝা যেতো; আপনার লেখায় আসল বিষয় সঠিকভাবে উঠে আসছে বলে মনে হয় না।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

করুণাধারা বলেছেন: আমার অপারগতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।

এই ছবি দেখুন, লেখাপড়া বাদ দিয়ে স্কুলে এইসব করলে এদের ভবিষ্যত কী হবে মনে হয়? Skilled labour/cook? লেখার শুরুতে একটা রান্নার ভিডিও আছে। দেখতে পারেন।

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল গুলোতে লেখাপড়া ভালো হয়। সমস্যা বাংলা মিডিয়ামে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

করুণাধারা বলেছেন: ভাত না খেয়ে বার্গার খেলে তো ভালো হয় যেমন! B-)

রাজীব নুর, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্ব গতিতে মানুষ দিশেহারা, সেই সময়ে সন্তানের শিক্ষা ব্যয় অনেক বাড়িয়ে দেয়া হলো এই শিক্ষা ব্যবস্থায়। আর্থিক কারণে কিছু অভিভাবক সন্তানদের বাংলা মাধ্যমে পড়ান, তারা খুবই কঠিন সময় পার করছেন এখন।

৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শেরজা তপন বলেছেন: আমার তো মাথা ঘুরাচ্ছে!!!
দাঁড়ান একটু রেস্ট নিয়ে আসি .…

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০৪

করুণাধারা বলেছেন: আর আসছেন! :(

অনুরোধ থাকলো, ভিডিও আর ছবিগুলো দেখে যান, কী একটা খেলা খেলা লেখাপড়া ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিজের সন্তানদের এই সিস্টেমে পড়তে হচ্ছে না দেখে খুশি থাকতেই পারেন, কিন্তু যারা এই ব্যবস্থায় পড়তে বাধ্য হচ্ছে, তাদের জন্য একটু মন খারাপ অন্তত করুন।

৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,




শেরজা তপন এর মতো আমারও মাথা "আউলাইয়া" গেছে আর "ঘুরাইতাছে!" !
শিক্ষানীতি নিয়ে দেশে কি হচ্ছে তা আপনার এই লেখাতেই প্রথমে জানতে পারলুম। অবাক কান্ড! শিক্ষানীতি প্রবর্তনের পেছনের এই "নোবেল জয়ীরা" এ্যাদ্দিন কোথায় ছিলেন? :( এসব আরও আগে চালু হলে এখনকার মতো পথেঘাটে ছাত্রছাত্রীদের ১০০ কেজি ওজনের ব্যাগ নিজ কাঁধে নিয়ে বা বাপ-মায়ের কাঁধে দিয়ে চলতে দেখা যেতোনা। দেশের হাট-মাঠ-ঘাট সব অনেক আগেই হাতে কলমে শিক্ষা নেয়া "তালবে-এলেম" দিয়ে ভরে যেতো। ছাত্রছাত্রীদের বাসা বাড়ীতে রান্নার কোনও পাট থাকতোনা কারন ছাত্রছাত্রীরা মায় শিক্ষকেরাও পিকনিক করেই উদরপূর্তি করে নিতো। ছাত্রছাত্রীদের মা'কে তাদের বাপের ছেঁড়া লুঙ্গি কষ্ট করে সেলাই করতে হতোনা। ষষ্ঠ বা সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীদের ক্লাশ ওয়র্ক করতে ডাকলেই তারা এসে কারও বাপের ছেঁড়া লুঙ্গি সেলাই করে দিয়ে যেতো। :P জমি বর্গা নিয়ে আলু চাষ করা কৃষকেরা কৃষি-মজুরের অভাবে গ্রামের স্কুলে খবর দিলেই ছাত্রছাত্রীরা এসে তার জমিতে আলু লাগিয়ে দিয়ে যেতো! ইত্যাকার কতো কাজই যে চাইতে না চাইতেই হয়ে যেতো , তাইনা ? :|

হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছিনে..... :((

০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২০

করুণাধারা বলেছেন: আমার পোস্টের সারমর্ম আপনি বলে দিয়েছেন।

পোস্টটা বিদ্রুপাত্মক ভাবে লিখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু মন্তব্য দেখে বুঝলাম অনেকেই ভাবছেন আমি এই ব্যবস্থার প্রশংসা করেছি, তাই অবশেষে এডিট করে শিরোনামের শেষে রম্য লিখলাম। যদিও এটা রম্য নয়, অনেক দুঃখ নিয়ে লিখেছি। আমি গ্রামের এমন মেয়েকে জানি, যে মায়ের সাথে পিঠা বানিয়ে, মুরগি পালন করে তার ডিম বিক্রি করে কায়ক্লেশে পড়ার খরচ জোগাড় করে। এই মুরগি পালন, পিঠা বানানোমূলক পড়া হয়তো তার জন্য ভালো হবে, কিন্তু ডিভাইস নির্ভর, কাগজ কেটে গণিত শেখা, মাঝে মাঝে স্কুলে রান্না করে নিয়ে যাওয়া, এসব সে করতে পারবে না। ফলাফল, তার পড়া বন্ধ হয়ে যাবে। যে নীতি নির্ধারকেরা আমাদের দেশে ফিনল্যান্ডের শিক্ষা প্রবর্তন করলেন তারা কি একবারও ভেবে দেখেছেন আমাদের দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা ফিনল্যান্ডের মতো কিনা!! আমাদের দেশের স্কুলগুলো কেমন!! গ্রামের ছাত্র-ছাত্রী অনেকের বাড়িতে টিভিই নেই, তারা ইন্টারনেট যুক্ত কম্পিউটার কিংবা মোবাইল কোথায় পাবে!!

ছাত্রছাত্রীদের বাসা বাড়ীতে রান্নার কোনও পাট থাকতোনা কারন ছাত্রছাত্রীরা মায় শিক্ষকেরাও পিকনিক করেই উদরপূর্তি করে নিতো। ভালো বলেছেন। এখন মায়েরা রন্ধনবিদ হয়ে উঠছেন, কারণ হঠাৎ হঠাৎ সন্তান স্কুল থেকে ফিরে বলছে পরদিন দশজনের জন্য অমুক খাবার রান্না করে নিয়ে যেতে হবে!!

বইয়ের মলাটের ছবি দিলাম। দেখে আপনার মতোই আমি হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছিলাম না! :(



৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:৩৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: শিক্ষা নিয়ে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের গিনিপিগ হিসেবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। দুঃখজনক।

০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৪

করুণাধারা বলেছেন: শিক্ষা নিয়ে আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদের গিনিপিগ হিসেবে ব্যাবহার করা হচ্ছে। দুঃখজনক।

খুবই দুঃখজনক। প্রশ্ন ব্যাংক, সৃজনশীল পদ্ধতি, জেএসসি পিইসি ইত্যাদি পদ্ধতি প্রণয়ন করে বারবার ছাত্রদের গিনিপিগ বানানো হয়েছে এবং পরে সব পদ্ধতি ব্যর্থ বলে বাতিল হয়েছে। এটাও তেমনি হবে, মাঝখান থেকে কিছু ছাত্র-ছাত্রী মোবাইলে আসক্ত হয়ে যাবে।

১০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:৪৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হবার যোগার। বিদেশে যে আলুভর্তা, ডিম ভাজি করতে জানা লোকের এত চাহিদা সেটা জানা ছিল না।

নতুন কারিকুলাম তৈরির বিষয়টা এত কঠিন কেন হবে? ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখা নিয়ে এত এত পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন কেন তা বোধগম্য নয়। আমার মতে এটি সহজ ভাবে সমাধান করা সম্ভব। একটা সহজ উপায় হল ভারতীয় কারিকুলাম কিছু রদবদল করে অনুসরণ করা যেতে পারে (একান্ত ব্যক্তিগত মতামত অবশ্য)।

০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: শিরোনামে রম্য লেখা দেখে আপনি কি ভাবলেন এই পোস্ট পড়ে হাসা অবশ্য কর্তব্য!! B-)

আসলে লেখার পর দেখলাম কেউ কেউ ভাবছেন আমি এই কারিকুলামের বিভিন্ন দিক দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি!! আসলে আমি উল্টোটাই ছিলাম, তাই শিরোনাম এডিট করে রম্য লিখে দিলাম!

বলা হয়েছে এটা জীবনমুখী শিক্ষা বিদেশে এমন কাজ জানা লোকের প্রচুর চাহিদা!!!

আমিও আপনার মতোই মনে করি ভারতীয় কারিকুলাম অনুসরণ করলে আমাদের জন্য সবচাইতে ভালো হবে। কেন এটা করা হয় না আমি জানিনা। ভারতীয়দের আর্থ সামাজিক অবস্থা আমাদের মতই, কিন্তু তারা বিজ্ঞান শিক্ষায় অনেক এগিয়ে আছে আমাদের থেকে।ভারতের শিক্ষায় আইটিকে প্রাধান্য দেয়া হয়, যার ফলে আজকের বিশ্বে অতি প্রয়োজনীয় বিষয় তথ্যপ্রযুক্তিতে তারা এগিয়ে গেছে ।আমাদের দেশে তথ্যপ্রযুক্তির নামে যা শেখানো হচ্ছে তা মোটেও কার্যকরী নয়। আরেকটা কথা, আমার ছেলে মেয়েরা বাংলা মাধ্যমে পড়তো যেই যেই স্কুলে সেখানে আমাদের দেশের ইংরেজি বই না পড়ে ক্লাস এইট পর্যন্ত ভারতীয় স্কুলের ইংরেজি বই পড়ানো হতো। সেগুলো উচ্চমানের।

১১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিছু সংস্কার করলে পদ্ধতিটা সবার জন্য উপকারী হতে পারে। যেমন মেলা পিকনিকের নামে অভিভাবকের খরচ বেড়ে যাবে। অনেকের আর্থিক সামর্থ্য হবে না। তাই এটাকে ঐচ্ছিক করা উচিত বা স্কুলের পক্ষ থেকে খরচ বহন করা উচিত।

ডিভাইসের আর্থিক সামর্থ্য সবার হবে না। সেই ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিটা বাদ দেয়া উচিত। সব স্কুলের পক্ষেও ইন্টারনেট বা ডিভাইস রাখা সম্বব না। ফলে অনেক স্কুলের পক্ষেও এটা করা সম্ভব হবে না।

তথ্য প্রযুক্তির সুবিধা দেশের প্রত্যেকটা স্কুলে পর্যাপ্ত পরিমানে না থাকলে এই পদ্ধতি কাজে আসবে না। বাংলাদেশে সেই অবস্থা তৈরি হতে আরও অনেক সময় লাগবে।

অতি প্রতিযোগিতার মনোভাব দূর করার জন্য হয়তো এই পদ্ধতি আনা হয়েছে। অনেক ছাত্র/ছাত্রি খারাপ ফলাফলের জন্য হীনমন্যতায় ভোগে। শিশুদের উপর যেন মানসিক চাপ না পড়ে সেই চেষ্টা হয়তো করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে সব স্কুলে এই ব্যবস্থা করা সম্ভব না বর্তমান পরিস্থিতিতে।

বিজ্ঞানের বিষয় স্কুলে কমিয়ে দিলে কলেজে গিয়ে অনেক চাপ পড়বে। এখনই এস এস সির তুলনায় এইচ এস সির সিলাবাস অনেক গুন বড়। অনেক শিক্ষার্থী কলেজে গিয়ে পিছিয়ে পড়ে।

আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়তাম তখন আমাদের কৃষি বিজ্ঞান ছিল। আমাদেরকে ৪ জনের দল করে স্কুলের পিছনে আলাদা আলাদা জমি দেয়া হয়েছিল। আমার মনে আছে আমরা সেখানে ২ মাসে লাল শাক এবং অন্যান্য কিছু তরকারির চাষ করেছিলাম। মেয়েদের গার্হস্থ বিজ্ঞান ছিল। মেয়েরা কি কি জানো শিখতো তখনই। এছাড়া আমরা পরবর্তীতে ফুলের বাগান এবং সব্জির বাগান তৈরি এবং পরিচর্যার কাজ করেছি। এগুলি ভালোই লাগতো। এগুলি খারাপ না যদি সব স্কুলে সেই ব্যবস্থা করা যায়। ক্লাস সেভেন পর্যন্ত এই সব কাজে ব্যস্ত রাখলে শিক্ষার্থী ক্ষতি হওয়ার কথা না। ক্লাস এইট বা নাইন থেকে শিক্ষার্থীদের এই সব কাজ কমিয়ে দিয়ে মূল লেখাপড়াতে নিয়ে আস্তে হবে যেন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভালো করে।

অভিভাবকের উপর আর্থিক চাপ যেন না পড়ে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

আমার মনে হয় শায়মা আর সোহানি মূল কালপ্রিট। :)

তবে প্রমিত ভাষার চর্চা খারাপ না। আমাদের একজন উপদেষ্টা আছে সে এক কালে বিশাল বড় সরকারী আমলা ছিলেন এখনও বিভিন্ন পত্রিকায় নাকি কলাম লেখেন কিন্তু মিটিংয়ের মধ্যেও তার কথার মধ্যে আঞ্চলিক শব্দ বা ভাব চলে আসে। আনুষ্ঠানিক ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষা পরিহার করা উচিত।

আমার ধারণা বাচ্চা কাচ্চারা এই পদ্ধতি পছন্দ করবে কিন্তু অভিভাবকদের জন্য অনেক ক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যা হবে। অনেক স্কুলের সামর্থ্য নাই এই পদ্ধতি অনুসরণ করার।

০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮

করুণাধারা বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ সাচু পুরো পোস্টটা ভালোভাবে পড়বার জন্য। শায়মার সেই গয়নার পোস্টে আঁকা গয়না দেখে যাকাত দেবার মন্তব্য দেখে আমি বুঝেছি খুব কম ব্লগারই পোস্ট পড়ে মন্তব্য করেন, তাই পোস্ট দিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকি এমন মন্তব্য আসলে কী উত্তর দেব ভেবে। B-)

শায়মার কথায় মনে পড়লো, ব্লগে শায়মার অনুপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, ও অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। নিশ্চয়ই স্কুলে স্কুলে টেরেরিয়াম নাচ গান করে বেড়াচ্ছে, তাই ব্লগে আসার সময় পাচ্ছে না।

আমি এখানে যেটা বলতে চাচ্ছিলাম, এই শিক্ষা ব্যবস্থায় গণিতকে একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ত্রিভুজ চতুর্ভুজ বৃত্ত এগুলো ক্লাস ওয়ানের বাচ্চারাও চেনে, অথচ এখন ক্লাস সেভেনে গণিতের ক্লাসে ছাত্রদের দড়ি দিয়ে এগুলো বানিয়ে চেনা লাগছে!! মন্তব্যের ছবিটা দেখুন। শিক্ষায় পরিবর্তন আনতে গণিতকে ঢেলে সাজানো দরকার ছিল। সেটা হয়নি বরং আরো ধ্বংস করে দিয়েছে। বিজ্ঞানের মূল হচ্ছে গণিত। গণিতের ভিত্তি কাঁচা থাকলে বিজ্ঞান পড়বে কী করে!!

বিজ্ঞানের বিষয় স্কুলে কমিয়ে দিলে কলেজে গিয়ে অনেক চাপ পড়বে। এখনই এস এস সির তুলনায় এইচ এস সির সিলাবাস অনেক গুন বড়। অনেক শিক্ষার্থী কলেজে গিয়ে পিছিয়ে পড়ে। ঠিক বলেছেন।

ঠিক তেমনি, ব্যাকরণ না জানলে ভাষা শেখা হয় না। আগের কারিকুলামে বাংলা ইংরেজি দুই পেপার ছিল। এখন ব্যাকরণ রচনা ট্রান্সলেশন এইসব বাদ দিয়ে জীবন জীবিকা আরো যেসব বিষয় যোগ করা হয়েছে সেগুলো চাইতে ভাষা শিক্ষা ঠিক মত হওয়া দরকার ছিল।

আমাদের দেশের অবস্থা ফিনল্যান্ডের মতো নয় এখানে অনেক পরিবারের শিক্ষার্থীরা ঘরে খাবার না থাকায় না খেয়ে স্কুলে যায়। সেখানে বিজ্ঞান বইয়ের পিকনিক শেখাবার এবং সেটা হাতে-কলমে করাবার উপকারিতা আমি বুঝতে পারিনি। আমি গ্রামের একটা মেয়েকে জানি, যে তার মায়ের সাথে লোকের বাড়িতে কাজ করে নিজের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করে, প্রতিবেলা ঠিকমতো খেতে পায় না। সে পিকনিক বিষয়ে কি করে অংশগ্রহণ করবে, ভালো নাম্বার পাবে? এমন শিক্ষা কার্যক্রম করার আগে ভাবা দরকার ছিল আমজনতা পক্ষে এই শিক্ষার বাড়তি ব্যয় করা সম্ভব কিনা, এমনিতেই জীবনযাত্রার ব্যয় এত বেড়ে গেছে যে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।

আপনি ঠিকই বলেছেন ডিভাইস সব পরিবারের পক্ষে পাওয়া সম্ভব নয়। তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োজন আছে কিন্তু ইন্টারনেট ডিভাইস ইত্যাদি সবার জন্য সহজলভ্য নয় সেটাও তো মনে রাখতে হবে। বাচ্চাদের ডিভাইস দিতে বলেছে অথচ অনেক স্কুলে কোন লাইব্রেরীই নাই, বিদেশে (যে দেশের আদলে এই কারিকুলাম বলে বলা হচ্ছে।) কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট সুবিধা সহ লাইব্রেরী ছাড়া কোন স্কুলই হয় না।

কিন্তু আমাদের দেশে সব স্কুলে এই ব্যবস্থা করা সম্ভব নয় বর্তমান পরিস্থিতিতে। ১০০% সহমত।

বিজ্ঞানের বিষয়ে এইসব রান্না খাওয়া পিকনিক না করে বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা যেত। যেখানে ছাত্রছাত্রীরা মাথা খাটাতো নতুন কিছু করার জন্য। হতে পারে আবর্জনা পুড়িয়ে বায়োগ্যাস, অথবা সূর্য রশ্মিকে এক জায়গায় ঘুনিভূত করে তাপ উৎপাদন করা, কিংবা ম্যাগনিফাইং গ্লাস ব্যবহার করে প্রাথমিক স্তরের অণুবীক্ষণ যন্ত্র বানানো।

অতি প্রতিযোগিতায় যদি হীনমান্যতা সৃষ্টি হয়, তাহলে প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দেয়ার চাইতে হীনমন্যতা যাতে সৃষ্টি না হয় সেজন্য কাউন্সিলিং করা বা সাইকোলজি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা যায়। সবাই গণিত অলিম্পিয়াডে জয়ী হতে পারবেনা রোবোটিক্সে যেতে পারবেনা তাই বলে প্রতিযোগিতা কি বন্ধ করে দেয়া হয়?

আপনি যেমন কৃষি পড়েছেন তেমনি আমার ছেলেও পড়েছে। গার্হস্থ্য বিজ্ঞান আমি আর আমার মেয়ে দুজনেই পড়েছি। এসবে উপকার হয়েছে নিঃসন্দেহে। ক্লাস এইট পর্যন্তই এই বিষয়গুলো ছিল। কিন্তু এখন যেমন মেয়েদের ধান চাষ করা শেখানো হচ্ছে, কিংবা শহরের ছাত্রছাত্রীদের বলা হচ্ছে বাসায় মুরগি পালন করে পালনের বিভিন্ন পর্যায়ে লিখতে, এটা করা সবার জন্য সম্ভব বলে মনে হয় না।‌



গতকাল এক চাকুরিজীবী মা বলছিলেন, মেয়ে স্কুল থেকে এসে বলছে আজ দশজনের মতো মাছ রান্না করে নিয়ে যেতে হবে। ফ্রিজে আগে থেকে রান্না করা বা দোকান থেকে কেনা তরকারি হলে চলবে না। এটা কি লেখাপড়া সম্পর্কীয় কিছু বলে মনে হয়!!

অনেক কথা লিখলাম, যা বলতে চাই, একটা নতুন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করার আগে এ সম্পর্কে সবাইকে জানতে দেয়া ছিল, তাহলে হয়তো এই বিভ্রান্তি হতো না। এই ব্যবস্থায় শিক্ষকেরা খুশি, কারণ তাদের স্কুলে পড়ানোর পরিশ্রম কমে গেছে, তারা মন দিয়ে কোচিং করতে পারছেন। ছাত্ররা খুশি, স্কুল মানে এখন খেলাধুলার জায়গা হয়ে গেছে। আমিও খুশি, আমার ছেলেমেয়েরা এমন কারিকুলামে পড়া থেকে বেঁচে গেছে ! কিন্তু এখন থেকে যন্ত্রণা বেড়ে গেছে কিছু অভিভাবকের, তাদের কথা জানাতে এই লেখা।

১২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আমার মাথা ঘুরাচ্ছে। লেখা পড়ে শেষ করার পর মাথার এমন অবস্থা যে জীবনে কখনো স্কুলে গেছি কিনা মনে করতে পারছিনা।
এর জন্য লেখক দায়ী B-)

০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫২

করুণাধারা বলেছেন: তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। নাহলে পরের পোস্ট পড়বেন কী করে!!
:) :) :)

১৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাত না খেয়ে বার্গার খেলে তো ভালো হয় যেমন! B-)

রাজীব নুর, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্ব গতিতে মানুষ দিশেহারা, সেই সময়ে সন্তানের শিক্ষা ব্যয় অনেক বাড়িয়ে দেয়া হলো এই শিক্ষা ব্যবস্থায়। আর্থিক কারণে কিছু অভিভাবক সন্তানদের বাংলা মাধ্যমে পড়ান, তারা খুবই কঠিন সময় পার করছেন এখন।

খরচ তো আছেই। খরচ থেকে মাফ নাই।

দেখুন ভালো শিক্ষা পেতে হলে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলেই পোড়তে হবে। সরকারি স্কুল বা বাংলা মিডিয়াম স্কুলের মান খুবই বাজে। বাংলা মিডিয়ামের ছেলেমেয়েরা ইংরেজিতে কথা বলতেই পারে না। ইংলিশ মিডিয়ামের বাচ্চা ছেলেমেয়েরা কি সুন্দর ইংরেজিতে কথা বলে।
লেখাপড়ার খরচ অনেক। এজন্যই তো দরিদ্র পিতা মাতারা তাদের ছেলেমেয়েকে সরকারি স্কুলে দেয়, মাদ্রাসায় দেয়। আমাদের সরকারের উচিত অন্তত লেখাপড়ার খরচ সহজ করে দেওয়া।

০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: হুমায়ুন আহমদের বই থেকে:

তোদের হলুদ মাখা গা
তোরা রথ দেখতে যা
আমরা হলুদ কোথায় পাবো
আমরা উল্টো রথে যাব

পরীকে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করাতে যে খরচ করেন তা দিয়ে বাংলা মাধ্যমের ১০ জনের খরচ মিটে যায়!! সেই বাংলা মাধ্যমের অভিভাবকদের কথা বলার জন্য এই পোস্ট।

পরীর জন্য শুভকামনা রইল।

১৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:০০

মিরোরডডল বলেছেন:




একদমই নতুন কিছু জানলাম আপু।
কোন ধারণা ছিলোনা।

আমরা আসলে সবকিছুতে বাড়াবাড়ি রকমের বাড়াবাড়ি করে ফেলি।
সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অভাবে মেস করে ফেলি।

পরিবর্তনকে তখনই ওয়েলকাম করতে হবে যখন সেটা কোন পজিটিভ আউটকাম আনবে।
সিস্টেম কিছু চেঞ্জ করতে হলে তার সুবিধা অসুবিধা জেনে বুঝে তারপর ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে।

ক্লাস সিক্স সেভেনে বেসিক ফাউন্ডেশন তৈরি করার সময়। ইংলিশ ম্যাথ সায়েন্স হিস্ট্রি টেকনোলজি কারেন্ট অ্যাফেয়ার এসব বিষয়ে মূল স্টাডি সিলেবাস ঠিক রেখে পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলাম প্র্যাকটিক্যাল গ্রুপ এক্টিভিটিজ থাকতে পারে, সেগুলোও হবে স্টাডি রিলেভেন্ট, অকাজ না।

ধারাপুকে থ্যাংকস অভিনব এই বিষয়টি শেয়ার করার জন্য :)
লেখার মাঝে ভালোই রম্য ছিলো, তাই পড়তে ভালো লেগেছে।


০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪

করুণাধারা বলেছেন: পরিবর্তনকে তখনই ওয়েলকাম করতে হবে যখন সেটা কোন পজিটিভ আউটকাম আনবে।
সিস্টেম কিছু চেঞ্জ করতে হলে তার সুবিধা অসুবিধা জেনে বুঝে তারপর ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে।


যারা হুট করে পরিবর্তন করেন তারা কেন এমন করেন জানিনা। আগেও বারেবার নতুন নতুন শিক্ষা কার্যক্রম প্রণয়ন করে দেখা গেছে সেগুলো কোন সুফল আনছে না, তখন বাতিল হয়েছে। কিন্তু মাঝখান থেকে কিছু ছাত্র দুর্ভোগে পড়েছে। ডঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবালের একটা কথা আছে এ প্রসঙ্গে। বলেছেন, "একটা ফ্যান যদি ঠিকমত ঘুরতে থাকে, তাহলে সেটা খুলে কিছু স্ক্রু টাইট দিয়ে আবার লাগানোর কোন অর্থ হয় না। এটা তো এমনিতেই কার্যকরী আছে! তেমনি যে শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন সমস্যা হচ্ছে না, সেটা বদলানোর কোন প্রয়োজন হয় না।" আগেও বারবার শিক্ষা নীতি বদল হয়েছে, কিন্তু এবারের কারিকুলাম শিক্ষক এবং ছাত্রের জন্য খুব সুবিধা জনক হলেও অভিভাবকের জন্য খুবই বিড়ম্বনাময় হয়েছে।

তোমার মন্তব্য ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ মিড।

১৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড।

০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬

করুণাধারা বলেছেন: শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড সন্দেহ নেই বিন্দুমাত্র। জাতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য একটা উন্নত মানের কার্যকরী শিক্ষা ব্যবস্থা দরকার, যা আমাদের দেশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন। ভালো থাকুন।

১৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:১১

সোহানী বলেছেন: আপু, তুমি কি ফান করছো নাকি সত্যিই এমন কিছু দেশে চালু করেছে?

অনেকদিন দেশ বিদেশের সংবাদ দেখি না। এ গাজার মৃত্যু নিতে পারছি না তাই খবর থেকে দূরে থাকছি।

কিন্তু এরকম অভাবনীয় আইডিয়া কার বা কাহাদের মাথা থেকে বের হয়েছে তাকে তো এবার নোবেল দিতেই হবে!!!!!!!!!

এসব কি চলছে দেশে?? আমি হাসবো নাকি কাঁদবো বুঝতে পারছি না। আমার বইয়ের নাম ধার করছে তা আমি মাপ করলাম কিন্তু এ বাচ্চাগুলোকে, পুরো জাতীকে যে ধ্বংস করছে তা কিভাবে মাপ করবো?

সার্কাস চলছে দেশে কিন্তু এখনতো দেখি সার্কাস না পাগলাগারদ!!!!!!!!!!!!!!

লিখাটা ফেসবুকে শেয়ার করলাম, আপু। এ নিয়ে লিখতে হবে..............

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১২

করুণাধারা বলেছেন: না সোহানী, আমি ফান করছি না। :(( শিরোনাম এডিট করে পরে রম্য জুড়ে দিয়েছি, যাতে পোস্ট পড়ার পর কেউ মনে না করেন যে আমি সত্যি সত্যি এই ব্যবস্থার পক্ষে! এই দুই ক্লাসের অভিভাবকদের এমন দিশেহারা অবস্থা! ভাবো তো, আদরের সন্তানকে নিয়ে চলতে চলতে যদি দেখি পথ শেষ হয়েছে গভীর খাদে গিয়ে, তাহলে আমাদের কেমন লাগবে? এই অভিভাবকদের এখন তেমন অবস্থায় হয়েছে।

এই ব্যবস্থায় শিক্ষকেরা খুশি, কারণ আগের মত পড়ানো, প্রশ্ন করা, খাতা দেখার কষ্ট তাদের নেই বরং এই দুর্মূল্যের বাজারে যখন মানুষের খাবার খেতে নাভিশ্বাস উঠছে তখন তারা নিয়মিত নানা ধরনের খাবারের স্বাদ নেবার সুযোগ পাচ্ছেন‌। শিক্ষার্থীরা খুশি কারণ তাদের পড়াশুনা করা লাগছে না বদলে তুলে নানা রকম মেলা পিকনিক এসব করতে পারছে, তার চেয়ে বড় কথা সারাক্ষণ মোবাইল হাতে রাখছে। ‌

কিন্তু সন্তানকে এমন দেখে অভিভাবকরা ভালো থাকতে পারছেন না, তার উপর পিকনিক মেলার খাওয়া, কাগজ, প্রজেক্ট এর নানা ধরনের উপকরণ, এই বাড়তি চাপ তারা নিতে পারছেন না। তাই তারা প্রতিবাদ করছেন। ফলে তাদেরকে ট্যাগায়িত করে তাদের হুমকি দেয়া হচ্ছে।

নতুন এই যে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হল এ সম্পর্কে কোথাও কোন প্রচার হয়নি, এবং এখন পর্যন্ত এ সম্পর্কে পত্রিকা টিভিতে উন্মুক্ত আলোচনা নিষিদ্ধ। ফলে কেউ জানতে পারেনি এই সম্পর্কে এমনকি অভিভাবকদের অসন্তোষ নিয়েও কোনো রিপোর্ট কেউ করতে পারছে না। মোট কথা, এই কারিকুলাম একটা গোপনীয় বিষয় হয়ে গেছে। কেন হবে? এটা যদি ভালোই হবে, তাহলে সবাইকে জানতে দিতে অসুবিধা কোথায়?

এরকম অভাবনীয় আইডিয়া কার বা তাদের মাথা থেকে বের হয়েছে তাকে তো এবার নোবেল দিতেই হবে!!!!!

খুবই উঁচু পদে আসীন কারো মাথা থেকে এই আইডিয়া বের হয়েছে কিন্তু সেই নামটিও গোপন করা হচ্ছে।

আসলে এটি সাম্প্রতিক বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক, উচ্চ খরচের এবং উচ্চমানের একটা শিক্ষা কারিকুলাম। এর নাম International baccalaureate system. গুগল করে এটা সম্পর্কে দেখে নাও।‌ এই সিস্টেমে পড়াতে একজন শিক্ষককে অন্তত পাঁচ বছরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হয়, যিনি তার ছাত্রদের মনস্তত্ত্ব বুঝে তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন, তার মধ্যে জানার ইচ্ছে জাগিয়ে তুলতে পারেন এবং তাকে গড়ে তোলার কাজে ঠিকভাবে সহায়তা করতে পারেন। এজন্য একজন শিক্ষকের দায়িত্বে থাকে সর্বোচ্চ ১৫ জন ছাত্র, যাদের সার্বিক দেখভাল তিনি করতে পারেন। এদের পরীক্ষা হয় না কিন্তু সঠিকভাবে যেন এরা মূল্যায়িত হয় সেজন্য শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আমাদের দেশে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে শিক্ষকদের মাত্র কয়েক দিন প্রশিক্ষণ দিয়ে!! শিক্ষকরা খুবই সংশয়ে থাকছেন তাদের কর্তব্য ঠিক করতে।

তোমার কি মনে হয়, আমাদের দেশে মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন শিক্ষক মাত্র ১৫ জন ছাত্রের দায়িত্বে থাকেন? ভিকারুন্নেসা স্কুলের মত নামী স্কুলে এক সেকশনে প্রায় আশি জন ছাত্র থাকে। আমার পরিচিত এক শিক্ষক বললেন, ৮০ জন ছাত্রকে কিভাবে মূল্যায়ন করব ৪০ মিনিটের ক্লাসে।

এ বাচ্চাগুলোকে, পুরো জাতিকে যে ধ্বংস করছে তা কিভাবে মাপ করবো?

মাপ করা উচিত না! কিন্তু আমার খুব অবাক লাগছে দেখে, আমাদের শিক্ষাবিদ বুদ্ধিজীবীরা এ ব্যাপারে দারুন ক্ষমাশীল, একেবারে নিশ্চুপ! আমরা জনগন খুব উদাসীনভাবে এসব দেখে যাচ্ছি। একবারও ভাবছি না এই গিনিপিগগুলো আমারও সন্তান হতে পারতো!!

ফেসবুকে শেয়ার করলে আমি খুব খুশি হবো সোহানী। কারণ পত্রিকায় টিভিতে না আসায় এই খবর অনেকেই জানেনা!! ফেসবুকে শেয়ার করলে আরো কিছু মানুষ জানতে পারবে, জানলে হয়তো আরো কিছু প্রতিবাদকারী পাওয়া যাবে!

১৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

আরোগ্য বলেছেন: কিছু বলার নেই। এমনিতেই পিচ্চি পোলাপানরা মোবাইল না দেখলে খাবার গিলে না এহন বড় পোলাপানরা মোবাইল না হলে পড়ালেখা করবে না। বয়স তো কম হয়নি, ভীমরতি হবে এটাই স্বাভাবিক। ভীমরতির বহিঃপ্রকাশ সবক্ষেত্রেই প্রদর্শন করছে। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে জানি না পরিশেষে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কেমন হবে আর কিভাবে জীবনযাপন করবে।

তাহলে সত্যি শায়মা আপার হাত আছে, এখন পর্যন্ত স্বপক্ষে যুক্তি দিতে আসেন নি কেন? :P

০৭ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২২

করুণাধারা বলেছেন: এই সিক্স সেভেন এ যারা পড়ে, তারা সদ্যকৈশোরের পা দেয়া। এরা শিশু নয় যে তাদের যা বলা হয় তারা সেটা করবে, আবার প্রাপ্ত বয়স্ক নয় যে তাদের নিজেদের বুদ্ধি বিবেচনা থাকবে। সুতরাং হাতে মোবাইল দিলে তারা যে সেটার সদ্ব্যবহার করবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আর সবচাইতে বড় কথা, আমাদের দেশে সাধারণ শিক্ষায় যারা শিক্ষিত হয় তাদের অনেকের হাতে মোবাইল দূরের কথা টিভির রিমোটও কখনো ওঠেনি। এদেরকে যদি ডিভাইস নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থায় আনা হয় তাহলে অনেকেই এখানেই শিক্ষা শেষ করতে বাধ্য হবে।

শিক্ষকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি, এমন একটি ব্যয়বহুল শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের আমজনতার জন্য উপযুক্ত নয়। সবচেয়ে বড় কথা, যে ত্রিভুজ চতুর্ভুজ বৃত্ত দিয়ে মূল্যায়ন হচ্ছে তার উপযুক্ততা কোথায়!!

শায়মা বড়লোকের স্কুলের শিক্ষক, সেখানে এইসব অনলাইন ক্লাস কাগজ কাটাকাটি পিকনিক করে বাচ্চারা আনন্দ পায়। তাই শায়মা তাকে এই ব্যবস্থাকে সাপোর্ট করতেই পারে। কিন্তু যে বাচ্চা সপ্তাহেও একদিন ডিম খেতে পায় না, তার জন্য এই শিক্ষা ব্যবস্থা না!

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আরোগ্য।

১৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৮

শায়মা বলেছেন: আপুনি
প্রথম ভিডিওটাতে পিকনিক দেখে একটা জিনিস বুঝলাম বাচ্চারা কি যে আনন্দ পাচ্ছে। কিন্তু টিচার সেই আনন্দে বাচ্চাদের সাথে মিশে যেতে তো পারেইনি বরং সটান দাঁড়িয়ে আছে এবং ভিডিওর দিকে তাকিয়ে। বুঝা যাচ্ছে যেন মিথ্যে অভিনয় চলছে। টিচারকে সত্যিকারের অভিনেতা হতে হবে। যেন সে বাচ্চাদের সাথে সামিল হয়েছে আনন্দযজ্ঞে।

রান্নাবান্নার পর বাচ্চারা যেভাবে প্রেজেনটেশন দিচ্ছিলো তাতেও বুঝা গেলো এই শিক্ষাব্যবস্থা বিফলেই যাবে। মূল্যহীন হবে। কারণ প্রেজেনটেশনের আগেই উচিৎ ছিলো টিচারের নিজেরই একটা প্রেজেনটেশন দেওয়া। দেখো এই যে মরিচ এর রং স্বাদ উপকারিতা কি ধরনের মশলা এসব গিয়ান দিয়ে রাখা। নিজেদেরকে ভাবতে শিখানো। নিজেদেরই ব্রেইন স্ট্রর্মিং করে কি করে কোনো কিছু ফিল করতে দেখতে বুঝতে শিখতে হয় সেই ব্যপারটা শেখানো। আমার ধারণা প্রপার এক্সপ্লানেশন দেবার ক্ষমতা একজন দক্ষ টিচারের অতীব জরুরী। এইখানে সেই বিষয়টার অভাব।

বাচ্চারা কাগজ দেখে দেখে লুকিয়ে লুকিয়ে গড়গড় করে বলছে ইহা মরিচ ঝাঁঝালো স্বাদযুক্ত! যাহা আমার কাছে আসলেও হাস্যকর মনে হয়েছে। এইভাবে হবে না ...... আসল উদ্দেশ্য ছিলো প্রাকটিকালী মরিচ পেঁয়াজ আদা রসুন চিনিয়ে তার জাঁত ধর্ম গুনকে বুঝতে শেখা তা না করে গড় গড় হড় বড় লুকিয়ে চুরিয়ে এদিক সেদিক দেখে ভরপেট খেয়ে টিচারেরাও বাড়ি গেলেন বাচ্চারাও নাচতে নাচতে বাড়ি গেলেন। :( শেখা হলো কি ? শুধুই রান্নাটাই। তাও নিশ্চয় মেয়েরাই শুধু হাঁড়ি ঠেলেছিলেন.......

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৮

করুণাধারা বলেছেন: শিক্ষাদান এবং গ্রহণ, দুটোই যদি আনন্দের সাথে হয় তবে তাতে কাঙ্খিত ফল লাভ করার আশা করা যায়। সেটা এখন হচ্ছে কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

আমি যখন প্রথম এই কারিকুলামের কথা জানলাম, তখনই তোমার কথা মনে হয়েছে।‌ সব তোমার মনের মতো বিষয়!! খালি পুতুল নাচটা বাদ গেছে।‌ দ্যাখোতো এই পুতুল নাচ কীভাবে কারিকুলামে আনা যায়।‌

১৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭

শায়মা বলেছেন: তবে ভূমিকম্প বিষয়ক ড্রিল, ছেলে মেয়েদের কাজে পার্থক্য না রাখা এসব তো ঠিকই আছে। আবার মাকেও পিঠা বানায় নেওয়া চতুর্ভূজ যেন ছেলে মেয়ে না হয়ে যায় সেই ভয়ে এটাও ঠিক আছে। বাচ্চা জন্ম দিয়ে আর দায়িত্ব নেই নাকি। আমাদের স্কুলেও প্যারেন্ট টিচার স্টুডেট ইনভল্ভমেন্টে অনেক কাজ থাকে। হে হে বাবা মায়েরা টাকা দিয়ে বাচ্চা স্কুলে পাঠায় দিলেই হবে থাকো তাদের কর্মকান্ডের সাথেও কিছু মিছু।



আর আসলেই তো পুরাই সোহানী আপু আর আমার বিদ্যাবুদ্ধি চুরি করে তারা শিক্ষা দীক্ষা কার্য্যক্রম বানিয়েছে দেখছি। ১৩ নং যা লিখেছো না!!!!!!!!!!!!! হা হা হা আপু তিনারা মনে হয় আমাদের ফেসবুক ফলোয়ার। তাহাদের নামে তো আমাদের বিদ্যাবুদ্ধি চুরীর মামলা করতে হবে। :P

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২১

করুণাধারা বলেছেন: তবে ভূমিকম্প বিষয়ক ড্রিল, ছেলে মেয়েদের কাজে পার্থক্য না রাখা এসব তো ঠিকই আছে। আবার মাকেও পিঠা বানায় নেওয়া চতুর্ভূজ যেন ছেলে মেয়ে না হয়ে যায় সেই ভয়ে এটাও ঠিক আছে।

একদম ঠিক আছে। তবে ছাত্রের বয়স ১২/১৩ বছর না হয়ে ৬/৭ বছর হলে বেশি ঠিক হতো। মাকেও পিঠা বানায় নেয়া, কিংবা দশজনের উপযোগী মাছের তরকারি রান্না করে দেয়াও ঠিক আছে। তবে যে মা সারাদিন গার্মেন্টসে সেলাই করে ঘরে ফিরে কোনো মতে দুটো ডালভাত রেঁধে নেয়, তার জন্য এটা করা কষ্টকর। আর মূলধারার শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগ পরিবারই কিন্তু মা-বাবা দু'জনের উপার্জনে কষ্টেসৃষ্টে চলে। তাই বাবা মায়েরা টাকা দিয়ে বাচ্চা স্কুলে পাঠায় দিলেই হবে থাকো তাদের কর্মকান্ডের সাথেও কিছু মিছু। বলা মানে এদের উপর চাপ দেয়া।

২০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৯

শায়মা বলেছেন: আপুনি আমার হাতওয়ালা এই পোস্ট আমি আমার প্রিয়তে নিয়ে যাচ্ছি!

এই ব্যবস্থার সাপোর্টে আমি ১০০০ কথা বলতে পারবো কারন যত কিছু লিখেছো আসলেই এর প্রতিটা কাজই আমরা করি আমাদের স্কুলগুলোতে এবং সুফলও পাই।

তবে এই পোস্ট নিয়ে আমাকে ভাবতে হবে। কারণ পিকনিকের যা ছিরি দেখলাম টিচারের কার্য্যকলাপের তাতে মনে হয় না এই ব্যবস্থায় কোনো সুফল পাওয়া যাবে।


এখন তো মনে হচ্ছে সকল সমস্যার মূলে টিচারের অবিচল মস্তিস্ককে প্রক্ষালন করার মেশিন বানাতে হবে।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৬

করুণাধারা বলেছেন: আপুনি আমার হাতওয়ালা এই পোস্ট আমি আমার প্রিয়তে নিয়ে যাচ্ছি! শায়মার প্রিয় লিস্টে আমার পোস্ট যাচ্ছে, আমি খুবই আনন্দিত হলাম। :D

আমি জানি এর সাপোর্টে তুমি একশোটা কথা বলতে পারবে। আমিও এর বিরুদ্ধে একই সংখ্যায় কথা বলতে পারতাম। তবে এখন আমার মনে হচ্ছে সময়ই বলে দেবে কারিকুলাম ঠিক হয়েছে কিনা।

২১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

নতুন বলেছেন: আপনি যেই বিষয়গুলি বললেন সেই বিষয়গুলি পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার কত ভাগ %?

আপনার লেখাতে মনে হচ্ছে স্কুলে বাংলা, ইংরেজী, গনিত, বিজ্ঞান শেখানো বাদ দিয়ে শুধুই রান্নাবান্না শেখানো হচ্ছে???

ছোটবেলায় আমাদের সময়ে অনেক কিছুই শিখেছি, মুখস্ত করেছি তার কতগুলি জিনিস আমাদের ব্যক্তিজীবনে কাজে লেগেছে?

আমাদের দেশে ব্যবহারিক এবং ইন্টারেকটিভ ভাবে পড়াশুনার জন্য শিক্ষকদের আগে প্রশিক্ষন দিতে হবে এবং স্কুলে সেই রকমের জিনিসপত্রের জোগান দিতে হবে সরকারকে...

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৩

করুণাধারা বলেছেন: আপনার লেখাতে মনে হচ্ছে স্কুলে বাংলা, ইংরেজী, গনিত, বিজ্ঞান শেখানো বাদ দিয়ে শুধুই রান্নাবান্না শেখানো হচ্ছে???

আপনার উল্লেখিত বিষয়গুলো বাদ দেয়া হয়নি, কিন্তু কলেবর অনেক কমিয়ে আনা হয়েছে। বিজ্ঞানের অনেক বিষয়ের মধ্যে রান্না এসেছে। বিজ্ঞান বইয়ের একটা অধ্যায়ের নাম পিকনিক।‌ তাপের সঞ্চালন বোঝানো হচ্ছে বিরিয়ানি রান্না করে।

আমাদের দেশে ব্যবহারিক এবং ইন্টারেকটিভ ভাবে পড়াশুনার জন্য শিক্ষকদের আগে প্রশিক্ষন দিতে হবে এবং স্কুলে সেই রকমের জিনিসপত্রের জোগান দিতে হবে সরকারকে...

এটাই মূলকথা। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। আবার অনেক দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা এই বাড়তি খরচের চাপ নিতে পারছে না।

২২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমাদের পুরাতন শিক্ষাব্যবস্থা এতটাই মহান, যে এটা বেকারের বাম্পার উৎপাদন করে। যেই জিনিস কোনো কামে লাগাইতে পারবে না, সেইটা মুখস্থ কইরা তারা জীবনের ২৫-২৬ বছর পার কইরা দেয়। বাংলাদেশের ৮০ ভাগ তথাকথিত শিক্ষিত মানুষ, এমএ, বিএ, এমবিএ বিবিএর চেয়ে একজন স্বশিক্ষিত ইন্টার পাস বেশি উপযুক্ত মানুষ। আর এই এম এ বি এ এমবিএ বিবিএ রা পাস করে আবার সেই বিসিএস এর জন্যে মুখস্থই করে। এখানে রিসার্চ, থিসিস মানে নীলক্ষেতের চোথা। এই পড়াশোনা কেন করতেই হবে আমাকে বুঝান! এই এম্বিএবিবিএএমেবিএরা শিক্ষার ভারে জবুথবু হয়ে ট্যাক্সি চালাবে না, স্কিলনির্ভর কাজ করবে না, তারা চায় ডেস্কে বসে কেরাণিগিরি করতে। এই বিশাল 'শিক্ষিত' জনসাধারণের চেয়ে আমাদের একজন মিস্ত্রী, একজন সুইপার অথবা একজন ড্রাইভার অনেক বেশি দরকার। এই যে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, ইতিহাস, অর্থনীতি নিয়ে এত ডিগ্রি বাগাচ্ছে এরা কেউ এই সাবজেক্টের বিশেষজ্ঞ হইতে পারতেছে? বিসিএস এর পড়া বা ব্যাংকের কাজ শেখার জন্যে ইন্টার পাসই যথেষ্ট। সামনে এআই এর যুগ ম্যাডাম। অথর্বরা কোনো কাজে আসবে না। প্রতিটা মানুষকে স্কিলড হতে হবে। গরুর চারটি পা একটি মাথা আর একটি লেজ, এই জিনিস মুখস্থ করে টিকে থাকা যাবে না।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: আপনার মতো এমন বিজ্ঞজন যা বলছেন তার কোন প্রতিবাদ করার যোগ্যতা আমার নেই।

দেখা যাক এই শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের দেশকে কোথায় নিয়ে যায়।

২৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

নতুন বলেছেন:

১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন। ভিডিওটা দেখলাম।

২৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৬

শায়মা বলেছেন: ওহ পুতুলনাচ তো কারিকুলামেই আনি আমরা।

ফিঙ্গার পাপেট গল্প বলে পড়া শেখায় সবই করায়।

আর পুতুলনাচে থাকে মোরাল।

গল্প শেষে সেই মোরাল বুঝানো হয়। সেই মোতাবেক কাজ থাকে। বাড়ির কাজ, ক্লাসের কাজ.......


যাই বলো আর তাই বলো কিছুদিন একটু গড়বড় হবে বটে তবে এই হবে পরিবর্তনের সূচনা যার ফল ইনশা আল্লাহ ভালোই হবে। :)

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৭

করুণাধারা বলেছেন: দেখা যাক কী হয়! আমি যে তোমার মত আশাবাদী হতে পারছিনা। :(

উত্তর দিতে খুব দেরি করে ফেললাম। দুঃখিত সে জন্য।

নতুন বছর কল্যাণ নিয়ে আসুক তোমার জীবনে, শুভকামনা রইল।

২৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪০

আরোগ্য বলেছেন: আপা সময় করে ভিডিওটা দেখে প্রতিমন্তব্য রাখবেন

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪০

করুণাধারা বলেছেন: দেখেছি আরোগ্য। আরও কয়েকদিন আগেই দেখেছি। এ প্রসঙ্গে কীভাবে বলবো বুঝতে পারছি না... এটা একটা সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার অংশ যা বাস্তবায়িত হলে পরিবার প্রথা থেকে মানুষ দূরে সরে যাবে, ধর্মের কথা ভুলে যাবে। এরপর এই ধরনের মানুষকে ম্যানুপুলেট করা খুব সহজ হবে। মোটামুটি ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যেই একটা প্রজন্মকে এভাবে মানুষ থেকে অমানুষ বানিয়ে নেয়া যায়। সেটাই লক্ষ্য! :(

২৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



পোষ্টটির শিরোনাম দেখে ভেবেছিলাম এই লেখাটি পাঠের পৃর্বে সরকারী পর্যায়ে প্রনীত
নতুন অলোচ্য শিক্ষা ব্যবস্থাটির বিষয়ে বিস্তারিত জানাটা প্রয়োজন । একটু জানতে চেষ্টা করেছিলাম
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এই শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার বিয়য়ে কতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছিল ,
তারা এটা নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে কোন কনসালটেশন করেছে কিনা,করে থাকলে সে সকল কনসালটেশনের
অলোচনায় কারা ছিল , তাদের ফিডব্যক কি ছিল , সে গুলি কিভাবে সমন্বিত করা হয়েছে , নাকি জাতীয়
পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে সারা দেশের শিক্ষা সংস্লিষ্টদের সাথে কোন আলোচনা ছাড়াই নিজেরা ছোট একটি কমিটি
করে কাজটি করেছে । আর এখন এর উপরে সমালোচকদের মতামত হজম করে তা শিক্ষা ব্যবস্থায় সমন্বিত
করার কোন জায়গা তরা রেখেছেন কিনা। কোন জায়গা যদি না রেখে থাকে তাহলে বেহুদা এ বিষয়ে সময় দেয়া
কতটা যুক্তি সঙ্গত হবে ।

আর জাতীয় শিক্ষাক্রম আর পাঠ্য পুস্তক বোর্ডের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা কার সাথেই বা শিক্ষা নীতি নিয়ে কথা বলবে ।
শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলার মত সংগঠনগুলির দিকে তাকালে কি দেখি আমরা!!
সেই উনসত্তর সালের গন অভুত্থানের সময় জাতীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফার মধ্যে
মাত্র ১ টি দফার কিছু কথা ছিল শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে , বাকি সব রাজনীতির কথা ।
সুত্র https://bn.wikipedia.org/wiki/ এগারো_দফা_কর্মসূচী

এর পরে সকল প্রকারের ছাত্র আন্দোলনই ছিল গদি ছাড় আর গদি চাই নিয়ে ।
২০১৮ সালের সকল ছাত্ররা মিলে কোটা সংস্কার আন্দোলন , সেখানেও দাবী শুধু চাকুরীর সুযোগ সুবিধার কথা নিয়ে।
সুত্র https://bn.wikipedia.org/wiki/ ২০১৮-এর_কোটা_সংস্কার_আন্দোলন

দেশে বিদ্যমান বড় দুটি ছাত্র সংগঠনের মধ্যে
‘শিক্ষা শান্তি প্রগতি’, হলো ছাত্রলীগের মূলনীতি, এই মূল লক্ষের মধ্যে শিক্ষা শান্তি প্রগতির কি গতি তা দেখাই যাচ্ছে??

অপর দিকে জাতীয় ছাত্রদলের প্রধান শ্লোগান হচ্ছে - শিক্ষা, ঐক্য, প্রগতি, এখানেও ঐক্য আর প্রগতির কি হাল তাও
সবাই দেখতে পাচ্ছি ভাল করে ।

আর বাকি রইল শিক্ষক সমিতি সমুহের মুল নীতি , সেখানেও দেখা যায়-
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির মুল নীতি হলো নিজেদের সুযোগ সুবিধার জন্য মাঝে মধ্যে
সারা দেশে সমাবেশ , মানববন্ধন আর অনশন ।
দেশের শিক্ষা নীতি নিয়ে তাই আমলারা যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে নিজেদের মনের মতন করে ।

যাহোক, আপনার লেখায় থাকা ১৭টি বিষয়ের মধ্যে দেখা যায় সে সকল ভাল ভাবেই বাস্তবায়ন করা যাবে
যদি তাতে কিছু প্রয়োজনীয় রদবদল করা যায় , সে সাথে তা বাস্তবায়নের জন্য দেশের আর্থ -সামাজিক ,
প্রাতিষ্ঠানিক ও ফিজিক্যাল অবকাঠামোর উন্নয়ন সাধন করা হয় । সর্বোপরি শিক্ষা খাতে নিয়োজিত সকল
প্রকার জনবলকে উপযুক্ত মানে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ ও সততার সাথে দায়িত্ব পালনে বাধ্য করা যায় ।
মোদ্দা কথা শিক্ষাখাতে দেশের মোট জিডিপির একটি বড় অংশ নিয়োগ করা হলে দেশে আপনার এই
পোষ্টে রম্যকারে বলা শিক্ষা ব্যবস্থা বেশ ভাল ভাবেই বাস্তবায়ন করা যাবে । কদিন আগে দেখলাম
নতুন কোন এক শিক্ষক সমাবেসে নতুন শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন এবার নাকি শিক্ষাখাতে মেগা প্রকল্প হবে।

তবে শিক্ষা ব্যবস্থা যতই যুগোপযোগি ও সুন্দর করা হোক না কেন-
শিক্ষকদের আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদা রাষ্ট্রীয় ভাবে প্রতিষ্ঠা হলেই কেবল ইতিবাচক পরিবর্তন প্রত্যাশা করা যায় ।
দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে অনেকের মতো আমিউ জানিনা আমরা কি কখনো বৃটিশ আমলের সৃষ্ট
আমলাতান্ত্রিকতার পরিবেষ্টিনি থেকে এ জাতিকে মুক্ত করে শিক্ষা-ভিত্তিক দেশ উপহার দিতে পারবো কিনা?
তারপরও আমার বিশ্বাস আমাদের প্রিয় রক্তেগড়া স্বদেশ এগিয়ে যাবে স্বমহিমায়,আমাদের সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায়।

রম্যাকারে হলেও জনস্বার্থ বিষয়ক একটি পোষ্ট দিয়ে আলোচনা করার সুযোগ সৃষ্টির জন্য ধন্যবাদ ।
সময় সুযোগ পেলে পরে এক সময় এসে আপনার পোষ্টে থাকা ১৭ টি বিয়য়ের উপরই আলোচনা করার ইচ্ছা রাখি ।
সে লক্ষ্যে পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১২

করুণাধারা বলেছেন: নতুন এই শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে লিখতে গেলে আগে পরিবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থাটির বিষয়ে বিস্তারিত জানাটা প্রয়োজন কিন্তু এটা পরিশ্রমসাধ্য কাজ তাই আমি সেটা না করে কিছুটা ফাঁকিবাজি এবং তাড়াহুড়ো করে এই পোস্ট দিয়েছিলাম।

তবে আপনি সেই পরিশ্রম সাধ্য কাজটি করেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থার নানা অনুসঙ্গ নিয়ে জেনেছেন এবং এ ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। আপনার দেয়া লিঙ্ক গুলো পড়লাম।

আর বাকি রইল শিক্ষক সমিতি সমুহের মুল নীতি , সেখানেও দেখা যায়-
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির মুল নীতি হলো নিজেদের সুযোগ সুবিধার জন্য মাঝে মধ্যে
সারা দেশে সমাবেশ , মানববন্ধন আর অনশন


সঠিক পর্যবেক্ষণ। জানিনা দাবি আদায়ের জন্য মানুষ গড়ার কারিগররা কেন এ পথে হাঁটেন!!

দেশের শিক্ষা নীতি নিয়ে তাই আমলারা যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে নিজেদের মনের মতন করে

এটাই মূল কথা। যে কাজ করার কথা শিক্ষাবিদদের, সেই কাজ আমলারা করছেন। বিদেশ ভ্রমণ করে, সেদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অনুকরণে আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইছেন। শিক্ষার মতো ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা যে ফলপ্রসূ না হতে পারে এটা তারা ভেবে দেখেন না।

এই শিক্ষা ব্যবস্থা যারা প্রবর্তন করেছেন তারা অবশ্যই জ্ঞানী গুণী, তাদের সদিচ্ছা সম্পর্কেও আমার সন্দেহ নেই। কিন্তু খুব তাড়াহুড়া করে এটা চালু করা হয়েছে, সেজন্য নতুন বইয়ে নানা অসংগতি রয়ে গেছে, শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি এবং যে জনগোষ্ঠীর জন্য এই শিক্ষা তাদের জন্য এটা কতটা উপযোগী তা যাচাই করা হয়নি। ফলে নানা রকম অসুবিধা দেখা দিয়েছে। এটা এদেশের মূল ধারার শিক্ষা ব্যবস্থা, দেশের বিভিন্ন রকম আর্থিক ব্যবস্থার মানুষদের সন্তানেরা, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সন্তানেরা এই ব্যবস্থায় লেখাপড়া করছে। তাই এই শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যয়বহুল করা ঠিক নয়। উন্নত দেশের অনুকরণে এই শিক্ষা ব্যবস্থা ডিভাইস নির্ভর করে করা হয়েছে। কিন্তু উন্নত দেশের শিক্ষার্থীরা যেমন কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারে অভ্যস্ত, আমাদের দেশে সকল শিক্ষার্থীরা তো তেমন অভ্যস্ত নয়, অনেকের এই সুবিধাগুলোই নেই। আমাদের বাড়ির গৃহকর্মে যারা সহায়তা করেন, দারোয়ান, গার্মেন্টসের কর্মী এমন অনেকের সন্তানেরা এসব ব্যবস্থা লেখাপড়া করে। নতুন শিক্ষাব্যবস্থা ডিভাইস নির্ভর এবং ব্যয়বহুল হবার ফলে তাদের সামর্থ্য হচ্ছে না সন্তানদের এর সাথে খাপ খাওয়াতে ফলে তারা শিক্ষালয় থেকে ঝরে পড়ছে। আমার উদ্বেগ এখানেই, যদিও রম্যাকারে লিখেছি কিন্তু আমি এটা নিয়ে চিন্তিত।

আমরা কি কখনো বৃটিশ আমলের সৃষ্ট আমলাতান্ত্রিকতার পরিবেষ্টিনি থেকে এ জাতিকে মুক্ত করে শিক্ষা-ভিত্তিক দেশ উপহার দিতে পারবো কিনা?
তারপরও আমার বিশ্বাস আমাদের প্রিয় রক্তেগড়া স্বদেশ এগিয়ে যাবে স্বমহিমায়,আমাদের সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায়।


আমাদের সকলেরই বিশ্বাস, আমাদের দেশ একদিন স্বমহিমায় বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

চমৎকার মন্তব্য করার জন্য, লাইক করার জন্য, এবং পোস্টটি প্রিয়তে নেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আশাকরি ভবিষ্যতেও এমন সুচিন্তিত মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকবেন। তবে সেজন্য আপনার সুস্থ থাকা প্রয়োজন। সুস্থ থাকুন, দোয়া করি।


২৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২

সোনালি কাবিন বলেছেন: মনে হয় আমাদের ব্লগার শায়মা আর সোহানী এই শিক্ষা ব্যবস্থার পেছনে আছে! একটা পাঠ্য বিষয়ের নাম "জীবন ও জীবিকা", যেটা সোহানীর বইয়ের নাম থেকে নেয়া।

# হা হা হা :-B

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭

করুণাধারা বলেছেন: নাহ্! শায়মা আর সোহানী কখনোই এমন চক্রান্তকারী হতে পারেনা। আমি আসলে মনের দুঃখে এই কথা লিখলাম... :(

উত্তর দিতে খুব দেরি হয়ে গেল। দুঃখিত, সোনালি কাবিন। শুভকামনা রইল।

২৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: এটা যেহেতু "আমজনতার শিক্ষা ব্যবস্থা-২", নিশ্চয়ই "আমজনতার শিক্ষা ব্যবস্থা-১" ও আছে। এই সিরিজের প্রথম পর্বটা কোথায় গেল? সেটাকে তো খুঁজে পাচ্ছি না। সম্ভব হলে সেটার লিঙ্ক অথবা পোস্টের তারিখটি উল্লেখ করুন। সেটা পড়ে এসে এটা পড়বো এবং মন্তব্য করবো।

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

করুণাধারা বলেছেন: আমি অনেকদিন আগে আমাদের দেশের সাধারন মানুষদের ইংরেজি শিক্ষা নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। দেশের "সংখ্যাগরিষ্ঠ সাধারন মানুষ" না বলে আমজনতা বলাটা আমার কাছে সহজ মনে হয়েছে, তাই তাদের শিক্ষা নিয়ে লিখতে গেলে তাদের আমজনতা বলে উল্লেখ করেছিলাম। এই পোস্ট আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ, সাধারণ নিম্ন আয়ের মানুষের স্কুলগামী সন্তানদের কথা ভেবে লেখা। এখানে "-২" উল্লেখ করেছিলাম নিজের জন্য। আর কেউ এটা লক্ষ্য করেননি, আপনি লক্ষ্য করেছেন এবং জানতে চেয়েছেন, অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই যে সেই পোস্টের লিঙ্ক।view this link আমার পুরোনো প্রায় সব পোস্টেই আপনি মন্তব্য করেছেন, এই পোস্টেও আপনার মন্তব্য আছে ১৪ নাম্বারে! পোস্টের লিংক দিতে গিয়ে আরেকবার পড়ে দেখলাম। আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম, আমাদের আমজনতার ইংরেজি শিক্ষা নিয়ে লেখা এই পোস্ট এখনো প্রাসঙ্গিক। আরেকবার পড়ে দেখার জন্য আপনাকে অনুরোধ করছি।

অনেক ধন্যবাদ আবারও ফিরে আসার জন্য।

২৯| ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: এসব রম্যের জন্য অচিরেই জাতিকে উচ্চ মাশুল গুণতে হবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই।
সময়োপযোগী পোস্ট লিখেছেন। এ পোস্টে পাঠকও অনেক পেয়েছেন। তবে আপনার বক্তব্যের শ্রোতা পাবেন না; পেলেও সবকিছু মেনে নেয়ার লোকদেরকেই পাবেন।

আপনার সেই পোস্টটা আবারও পড়ে এলাম। পড়ে সেখানে নতুন একটা মন্তব্যও রেখে এলাম।

২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৫৩

করুণাধারা বলেছেন: দুঃখিত, উত্তর দিতে খুব দেরি করে ফেললাম!

এই পোস্টটা লিখেছিলাম মূলত ব্লগার বাকপ্রবাসের একটা লেখা দেখে যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন তার সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া কন্যার এইসব প্রজেক্টের কাজে তার স্ত্রী সারাদিন ব্যস্ত থাকেন। মনে পড়ল, তিনি প্রবাসে থাকেন এবং তার স্ত্রী তিনটি ছোট শিশুকে নিয়ে দেশে থাকেন। সম্ভবত এইসব প্রজেক্ট এর কাজে আর্থিক সমস্যায় তাকে পড়তে হয় না, কিন্তু ঘর বাইর দুই দিক দেখতে গিয়ে তার স্ত্রীর সমস্যা হয়। তখন আমি চেনা জানাদের মধ্যে এই শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলাম আর দেখলাম সকলেই নেতিবাচক মন্তব্য করছে না। সেটার জন্য এই পোস্ট। তবে যা বুঝতে পারলাম, ব্লগারদের অধিকাংশের সন্তানরাই মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থী নয়, অধিকাংশই ইংরেজির মাধ্যমে পড়াশোনা করছে।

সবকিছু মেনে নেয়ার লোকদেরকেই পাবেন।

সেটাই। আমরা এখন সবকিছু মেনে নেই। :(

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, পুরনো পোস্টে আরেকবার গিয়ে মন্তব্য করে আসার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.