নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে ভরা আমাদের এই শহর।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:২৮



মোহাম্মদপুরের কাচ্চি ভাই। পুরো ভবন কাঁচে ঘেরা।

ভুলে গেলে অনেক ঝামেলা কমে যায়! তাই এই অগ্নিকাণ্ডের কথা আমরা কিছুদিন পর ভুলে যাব, যেমন আগের অনেকগুলো অগ্নিকাণ্ডের এর কথা ভুলে গেছি!

তবে ভুলতে যতক্ষণ লাগবে, সেই সময়ের মধ্যে আমরা নিজেদের বাড়ি, যে সকল মার্কেট হাসপাতালে যাই সেগুলোর অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখতে পারি, হয়তো কোন দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যেতে পারি! আগে বলে নেই, উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশেও ভবন নির্মাণের জন্য অগ্নি নিরাপত্তার বিধান রাখা হয়েছে। রাজধানীর জন্য বিধান দাতা কর্তৃপক্ষ রাজউক; রাজউকের ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুযায়ী, ছয়তলার বেশি উচ্চতার বাড়ি হাইরাইজ ভবন এবং এমন ভবনে আগুন থেকে নিরাপত্তা দিতে এই জিনিসগুলো করতে হবে:

১) সমস্ত বাড়িতে তাপ নির্ণায়ক, আগুন, ধোঁয়া নির্ণায়ক যন্ত্র বসাতে হবে। যদি কোথাও তাপমাত্রা ৬২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের উপরে উঠে, তাহলে  স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্প্রিংকলার  চালু করার ব‍্যবস্থা থাকতে হবে। 

২) যথেষ্ট পরিমাণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ফার্স্ট এইড ব্যবস্থা এবং অগ্নি নির্বাপনের দক্ষ কর্মী রাখা অত্যাবশ্যকীয় করা হয়েছে এসব ভবনে।

 ৩) সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হয়েছে জরুরী নির্গমন ব্যবস্থা বা ফায়ার এক্সিটের ওপর। এটা একটা বিশেষ সিঁড়ি, বিশেষ ভাবে নির্মিত দেয়াল ঘেরা এবং অগ্নি নিরোধক দরজা দেয়া থাকবে। আগুন আর ধোঁয়ামুক্ত থাকার জন্য এই সিঁড়িতে পর্যাপ্ত ব‍্যবস্থা থাকবে। বিধিমালার লিঙ্ক: view this link

এই সিঁড়ি ছাড়াও ভবনে বাঁধাহীন ভাবে নেমে যাবার জন্য সাধারণ সিঁড়ি ও লিফট থাকা অত্যাবশ্যক।‌

এই বিধিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঢাকার প্রায় সমস্ত ভবন নির্মিত হচ্ছে। এই বিধিমালায় বলা আছে, কোন ভবন নির্মাণের পর ফায়ার সার্ভিসসহ ১১টা দপ্তরের ছাড়পত্র পাওয়ার পর রাজউক অকুপেন্সি সার্টিফিকেট পরীক্ষা দেবে। এটা ছাড়া ভবন ব‍্যবহার বা বসবাস করা যাবে না। এই বিধিমালা পাশের পরে রাজউক ৪০,০০০ ভবন নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে, যেগুলোর মধ্যে মাত্র ১৬২ টি ভবনের অকুপেন্সি সার্টিফিকেট আছে!! বাকিরা অকুপেন্সি সার্টিফিকেট ছাড়াই ভবন ব্যবহার করছেন, অর্থাৎ বাসিন্দাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন, এবং মাঝে মাঝে অগ্নিকাণ্ড ঘটছে। view this link

অগ্নিকাণ্ডের পর গতকাল রাজউক জানিয়েছে, বেইলি রোডের ভবনটিতে রেস্তোরাঁ করার অনুমতি ছিল না। view this link তাহলে এতদিন ধরে এতগুলো রেস্তোরাঁ এখানে ব্যবসা করছে কি করে? এগুলো দেখা কার দায়িত্ব? বেইলি রোডের প্রায় সমস্ত বহুতল ভবনে নানারকম রেস্তোরাঁ চলছে। এগুলো করার কি অনুমতি আছে? সাতমসজিদ রোডের যে অসংখ্য বহুতল ভবনের প্রতি তলায় রেস্তোরাঁ, সেগুলোর কি অনুমতি আছে? এগুলো কি ঝুঁকিহীন?

কর্তৃপক্ষ জানে এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারছে কারণ কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ অর্থের বিনিময়ে এদের ব্যবসা করতে সহায়তা করছে। কারণ যখন দুর্ঘটনা ঘটে, তখন এদের কোনো শাস্তি হয় না, এরা পার পেয়ে যায়। যেমন ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ২৬ জন মারা যাবার পর পূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছিলেন,

"আপাত অবস্থায় আমার নিকট প্রতীয়মান হয়েছে যে, দায়িত্ব অবহেলার কারণে এই মানুষগুলির জীবন গিয়েছে। কারও দায়িত্বের অবহেলার কারণে যদি কোনো মানুষের মৃত্যু হয়, সেটাকে দায়িত্বে অবহেলাজনিত কারণে হত্যাকান্ড হিসেবে গন্য করার সুযোগ রয়েছে। আমরা প্রাথমিক অনুসন্ধানের পরই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।"

কেবল প্রাথমিক না, বিস্তারিত অনুসন্ধানের পর দেখা গেল এফ আর টাওয়ারে ১৮ তলা ভবনের প্ল্যান পাস করিয়ে ২৩ তলা ভবন নির্মাণ করা হয় অবৈধভাবে, কাজটা করেছেন নির্মাতা রূপায়ণ এবং জমির মালিক। view this link এই ভবনে কোন অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। অথচ এই ভবনের মালিক, নির্মাতা এবং রাজউকের যে ৫১ জন কর্মকর্তা নিরাপত্তাহীন এই ভবন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন তাদের উপর কিন্তু অবহেলা জনিত হত্যাকান্ডের দায় চাপে নি। এই ভবনের নির্মাতা রূপায়ণের মালিক লিয়াকত মাত্র ২০,০০০ টাকা মুচলেকা দিয়ে জামিন নেবার পর তার উপর কোন দায় আসেনি!! এফ আর টাওয়ার কান্ডে মালিক বা নির্মাতা কেউ গুরুদন্ড পেয়েছে বলে খবর আসেনি।

বেইলি রোডের অগ্নি কান্ডের জন্য একতলার চায়ের দোকানদার সহ তিনজনকে ধরা হয়েছে!!! অথচ বিল্ডিং কোডকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভবন নির্মাণ করে, অফিস হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে বেশি ভাড়া পাবার জন্য রেস্তোরাঁ হিসেবে ভাড়া দিলেন যারা তাদের ধরা দূরে থাক, নামটাও আসে নি!!

ঢাকার অধিকাংশ বাড়ির যেভাবে এমন ভাবে বানানো হয় যে তাতে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে অতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। বানিজ্যিক ভবন গুলো বানানো হয় অতি লাভজনক হিসেবে; বিম, কলাম, আর ছাদ ঢালাই করে কাঁচ দিয়ে ঢেকে দেন নির্মাতা আর যিনি ফ্লোর স্পেস কেনেন তিনি সেই ফ্লোরে পছন্দ অনুযায়ী ঘর তৈরি করেন, নানারকম বোর্ড আর কাঠ দিয়ে। এগুলো খুবই দাহ্য পদার্থ, তাই যখন এমন ভবনে আগুন লাগে তখন খুব তাড়াতাড়ি আগুন ছড়িয়ে যায়, কাঁচ বদ্ধ জায়গা থেকে ধোঁয়া বের হতে পারে না... হয়ে ওঠে মৃত্যু কূপ!

আবাসিক ভবনগুলোও অধিকাংশ অনিরাপদ। রাজধানীবাসী অনেকের মত আমিও একটা অনিরাপদ বাসায় থাকি। এ বাসায় ইমারত নির্মাণ বিধিমেলার কিছুই মানা হয়নি। ‌আমি থাকি নয়তলায় এক ফ্ল্যাটে। এই বাড়ির সবতলায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র আছে, বেশিরভাগই ডেট এক্সপায়ার্ড। তাছাড়া আমরা বাসিন্দারা কেউ জানি না কি করে এগুলো ব্যবহার করতে হয়।  জরুরী নির্গমন সিঁড়ি বলে একটা সিঁড়ি আছে, (বিল্ডিং কোড মানার কথা বলে বানানো হয়েছে) সেটা এত সরু যে দুজন মানুষ পাশাপাশি নামতে পারবে না, এটাতে ফায়ার ডোর বা ফায়ার ওয়াল নেই বরং সিঁড়িতে বিভিন্ন ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা অদরকারী আসবাবপত্র জমা রাখেন। যদি আগুন লাগে, দাহ‍্য পদার্থ দিয়ে ভরা এই সরু সিঁড়ি জ্বলতে থাকবে, নামা যাবে না। আরেকটা যে বড় সিঁড়ি আছে, সেটা দিয়ে নামারও উপায় থাকবে না; সেটাও তখন হয়ে যাবে গনগনে চিমনি! কারণ ধোঁয়ায় থাকা বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, আর জলীয়বাষ্প বাতাসের চেয়ে হালকা হওয়ায় সবসময় খোলা সিঁড়ি পথে উপরে উঠতে থাকে! (এজন্যই দমকল বাহিনীর মতে, আগুনে পোড়ার চাইতে বেশি মৃত্যু হয় ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে।) এই অবস্থায় যদি সিঁড়ি দিয়ে নামতে না পারি, ঘরে বসে থাকি আর দমকলের মই আমার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছায়, তবু বের হতে পারবো না কারণ বারান্দা আর জানালা খাঁচায় ঘেরা!

মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটির আগুনের কথা মনে পড়ছে। একজন এগারো তলায় ইন্টেরিয়র ডেকরেশন করাচ্ছিলেন। কাঠমিস্ত্রি কাজ করতে করতে সিগারেট না নিভিয়ে ফেলে গিয়েছিল, সেটা থেকে ফ্ল্যাটে আগুন ধরে। চৌদ্দ তলার এক পরিবার আগুন দেখে ভয় পেয়ে ছাদে উঠতে গিয়ে দেখে ছাদে তালা। তারপর কার্বন মনোঅক্সাইডের বিষে তারা পুরো পরিবার সিঁড়িতেই মারা যায়।

মার্কেটেও অগ্নিকাণ্ড হয়। বসুন্ধরা সিটি মার্কেটে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা না থাকায় ২০০৯ সালে সাতজন অগ্নিকাণ্ডে নিহত হন।

হাসপাতালেও আগুন ধরার অনেক ঘটনা আছে। ২০১৯ এ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আগুন ধরে। অভিজাত ইউনাইটেড হাসপাতালে ২০২০ সালে অগ্নিকান্ডে পাঁচজন রোগী মারা যান।

তাই হাসপাতালে গেলে আমি জরুরি নির্গমন সিঁড়ি খুঁজতে থাকি। খুব কম হাসপাতালে এমন সিঁড়ি পেয়েছি। S আদ্যোক্ষরযুক্ত একটি হাসপাতালে এই সিঁড়ি ঠিকঠাক পেয়েছি, মেঝেতে পায়ের চিহ্ন এঁকে সিঁড়ির কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে, সিঁড়িও ঠিকমতো বানানো।‌ কিন্তু BS আদ্যোক্ষরযুক্ত আরেকটা হাসপাতালে জরুরী নির্গমন সিঁড়ি দেখলাম ফায়ার ডোর আর ফায়ার ওয়াল যুক্ত, সেই সিঁড়ি ধরে নামতে নামতে এসে পৌঁছালাম বেসমেন্টের ক্যাফেটেরিয়ায়, সেখানে সিলিন্ডারের গ্যাসে রান্না হচ্ছে!!

আগারগাঁওয়ের নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে জরুরী নির্গমন সিঁড়ি খুঁজতে গিয়ে দেখলাম প্রতি তলায় বুক সমান উঁচু দেয়াল ঘেরা একটা ফাঁকা জায়গা, দেয়ালে অনেক গুলো ফায়ার এক্সটিংগুইশার লাগানো। বুঝলাম এখানে জরুরী নির্গমন সিঁড়ি হবার কথা ছিল, তা না হয়ে টাকা হয়ে কারো একাউন্টে চলে গেছে।

যারা এতদূর পর্যন্ত পড়েছেন, তাদের কাছে অনুরোধ থাকলো যে বাড়িতে, বেড়াতে কিংবা হাসপাতালে গেলে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন আছে তা লক্ষ্য করবেন। না থাকলেও কিছু করার নেই, যেমন আমি নিজে অনিরাপদ বাড়িতে থাকি...

আরেকটা জিনিস, যদি আপনার বাড়ির গ্রাউন্ড ফ্লোরে সারি দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা থাকে তবে চেক করে নেবেন এগুলো কতটুকু নিরাপদ। অনেক সময় রাস্তায় চলতে গিয়েও দেখা যায় অনেক রেস্তোরাঁ ফুটপাতের উপর সিলিন্ডার রেখেছে। এটা বিপজ্জনক।মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁ তিনতলায়, সরু সিঁড়ি দিয়ে উঠতে হয়। এরা গ্যাস সিলিন্ডার সব সারি দিয়ে রেখেছে ভবনের বাইরে, পাশের বাড়ির সীমানা ঘেঁষে। এই ভবনের মালিক এবং রেষ্টুরান্ট মালিককে বারংবার বলা সত্ত্বেও তারা সিলিন্ডার সরাচ্ছে না।

যেহেতু এইসব অনিয়ম দেখার জন্য কোনো কর্তৃপক্ষ নেই, কোথাও থেকে প্রতিকার পাবার উপায় নেই, তাই আমাদের নিজেদের সুরক্ষার কথা নিজেদের ভাবতে হবে। অন্তত নিজের বাড়িতে আগুন লাগলে বেরোবার পথ আছে কিনা সেটা দেখতে হবে।



মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০

সোনাগাজী বলেছেন:


আগুন লাগলে লিফট ব্যবহার করা ভয়ংকর, উহা থেমে যেতে পারে।

আপনি যেই বাড়ীতে আছেন, সেটার ফায়ার এক্সিট সিঁড়িতে মানুষ কিসব রেখেছে বলেছেন; সেগুলো সরানোর ব্যপারে আপনি কিছু করার কথা ভাবছেন? আপনার ফ্ল্যাট থেকে সেই সেই সিঁড়ি হয়ে বের হওয়া যায়?

০২ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০১

করুণাধারা বলেছেন: আগুন লাগলে লিফট বন্ধ করে দেয়া হয়। থাকে শুধু সিঁড়ি।

আমাদের ভবনে একটা কমিটি আছে, তাদের বিধিমালায় আছে সিঁড়িতে কারো জিনিস রাখা যাবে না। তারপরও যারা রাখে, তাদের জিনিস পত্র নিয়ে বাইরে ফেলে দেবার সাহস কমিটির নেই, আমার কেন কারোরই নেই। অথবা কেউ এ ব্যাপারে সচেতন নয়।

বাড়ি নির্মাণের সময় রাজউকের প্ল্যানে দেখানো হয়েছে এটা জরুরী বহির্গমন সিঁড়ি। কিন্তু বানানো হয়েছে দুই ফিট চওড়া করে, এতে জরুরি অবস্থায় নামা সম্ভব নয়। যেভাবে বানানোর কথা ছিল, ভবন নির্মাতা তার অনেক ব্যাত্যয় করেছে, এর কোন প্রতিকার চেয়ে পাওয়া যায় না। আমি তো বলেছি হাসপাতালেও জরুরি বহির্গমন পথ অন্য কাজে ব্যবহার হয়। এসবের প্রতিকার করা সম্ভব হয় না এদেশের সিস্টেমের জন্য।


২| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি ঢাকায় যাওয়াকে এড়িয়ে চলি।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৫

করুণাধারা বলেছেন: ঢাকায় থাকাটা একটা অভ্যাস, সেজন্য ছাড়তে পারিনা। ঢাকায় থাকার কিছু সুবিধা আছে, অসুবিধাও অনেক।

ভালোই করেছেন।

৩| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৪

মিরোরডডল বলেছেন:




একটা দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাবার পরই সাবধান হওয়া উচিত ছিলো, সেখানে বার বার এরকম দুর্ঘটনা হচ্ছে আর একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

ফায়ারের সময় লিফট ব্যবহার নিষিদ্ধ। কারণ সেইসময় ইলেক্ট্রিসিটি ফেইলিওরের চান্স থাকে, তখন মানুষ ভিতরে আটকে যাবে এবং পাওয়ার আউটেজের কারণে বাইরের সাথে কন্টাক্ট করতে পারবে না। আরও বিশেষ কিছু কারণ আছে।

কমার্শিয়াল এবং রেসিডেন্সিয়াল সব ধরণের বহুতল ভবনে সেইফটি প্রিকশন থাকা উচিত, মেইক সিওর করা উচিত যে ফায়ার অ্যালার্ম, ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ফায়ার এক্সিট প্রপারলি কাজ করে। ঢাকায় কংক্রিটের জঙ্গলে এগুলো কিছুই মেইনটেইন হয়না।


০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০১

করুণাধারা বলেছেন: একটা দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাবার পরই সাবধান হওয়া উচিত ছিলো, সেখানে বার বার এরকম দুর্ঘটনা হচ্ছে আর একই বিষয়ের পুনরাবৃত্তি কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

সেটাই। প্রতিটি মানুষের সাথে তার প্রিয়জনের হাসি আনন্দ জড়িয়ে থাকে। তার মৃত্যুতে সেই সব হাসি আনন্দ বিষাদে ছেয়ে যায়। তাই খুব গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিল যেন আর কোন অগ্নিকাণ্ড কেউ প্রাণ না হারায়। এজন্য preventive measures হতো আগুনের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলোতে নজরদারি করা, বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য করা। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল যেন ভবনগুলো অগ্নি নিরাপত্তা বিধি মেনে নির্মিত হয়। তারপর দরকার আগুন লাগলে কিভাবে নিরাপদে বের হতে হবে তা জানানো। ফায়ার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের সাথে মিলে প্রতি এলাকায় ওয়ার্ড কমিশনার এই দায়িত্বটা পালন করতে পারতেন সহজেই।

দুঃখের কথা হচ্ছে, এগুলো কিছুই করা হয় না।

৪| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যেভাবে অগ্নিকান্ড ঘটছে সেজন্য ঢাকায় যেতে ভয় করে। বিশেষ প্রয়োজনে ঢাকায় যেতে হলে দ্রুত ঢাকা ত্যাগ করার চেষ্টা করি। একবার লাইফ পেয়ে বয়সের হাফ সেঞ্চুরী করেছি। এখন ফুল সেঞ্চুরী করার জন্য চেষ্টায় আছি। বাবা-চাচা ও ফুফুরা নার্ভাস নাইটিতে আউট হয়েছেন।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৫

করুণাধারা বলেছেন: শুধু অগ্নিকাণ্ড না ঢাকায় আরো নানারকম দূর্ঘটনা ঘটে যার কোন প্রতিকার হয় না, কোন ফলোআপ দেখি না। কিছুদিন আগে অফিস থেকে ফেরত যাবার সময় ৩৭ বছর বয়স্কা এক নারীর মাথায় ইট পড়ে মৃত্যু হয়। কেউ জানে নি কিভাবে ইট এল। দেখলাম ফেব্রুয়ারি মাসে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ক্রেন থেকে কন্টেইনার লোহা ইত্যাদি পড়ে তিনজন মারা গেছেন। এইসব খবর পত্রিকায় খুব ছোট ভাবে আসে। আসলে ঢাকায় সকালে বের হয়ে সন্ধ্যায় নিরাপদে ঘরে ফিরে আসতে পারলে মনে হয় যুদ্ধ জয় করে ফিরে আসা হলো।

দোয়া করি ফুল সেঞ্চুরি পূরণ করুন।

৫| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩১

মিরোরডডল বলেছেন:





সেই সিঁড়ি ধরে নামতে নামতে এসে পৌঁছালাম বেসমেন্টের ক্যাফেটেরিয়ায়, সেখানে সিলিন্ডারের গ্যাসে রান্না হচ্ছে!!

এই কাহিনী কোথায়? :)

বুঝলাম এখানে জরুরী নির্গমন সিঁড়ি হবার কথা ছিল, তা না হয়ে টাকা হয়ে কারো একাউন্টে চলে গেছে।

আমাদের ধারাপু সব জানে :)

০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:১৬

করুণাধারা বলেছেন: এই কাহিনী কোথায়? :)

নাম বললে আমার চাকরি থাকবে না। B-) এটুকু বলতে পারি, এটা ঢাকার একটা নামকরা হাসপাতাল, এর মালিকানায় কয়েকজন ডাক্তার এবং একজন ইঞ্জিনিয়ার। যিনি ইঞ্জিনিয়ার তিনি হাসপাতালের এম ডি। তারপরও এই অবস্থা!

আমি অবসেসড হয়ে গেছি, যেখানে যাই ফায়ার সেফটি পরীক্ষা করি। না, নিজের জান বাঁচানোর জন্য না। বরং কিছু অর্থের জন্য মানুষ কিভাবে অন্য মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে জেনেও নিত্যনতুন পন্থা অবলম্বন করে বাড়ির safety features ভেঙে ফেলে সেটা দেখার জন্য। আজকে দুটো বাড়ি আর একটা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। বাড়িতে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা ছিল না।হাসপাতালে জরুরি বহির্গমন নামে একটা সিঁড়ি আছে, কিন্তু সেটাতে ফায়ার সেফটি নেই।

৬| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মিরোরডডল বলেছেন:




যেহেতু এইসব অনিয়ম দেখার জন্য কোনো কর্তৃপক্ষ নেই, কোথাও থেকে প্রতিকার পাবার উপায় নেই, তাই আমাদের নিজেদের সুরক্ষার কথা নিজেদের ভাবতে হবে। অন্তত নিজের বাড়িতে আগুন লাগলে বেরোবার পথ আছে কিনা সেটা দেখতে হবে।

ওয়েল সেইড ধারাপু।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২২

করুণাধারা বলেছেন: বললাম তো...

কেউ কেউ হয়তো পুরো পোস্ট পড়বে, তারপর ভুলে যাবে যে আগুনের ঝুঁকি কমাতে আমাদের কিছু করার আছে। আবার কেউ কেউ পুরো পোস্ট পড়বে, কিন্তু সেও আগুনের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে কোন পদক্ষেপ নেবে না; কারণ তার জন্য এটা কোন দরকার নেই! সে তো এই ঝুঁকিপূর্ণ শহরেই থাকেনা... B-)

৭| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:০৩

কামাল১৮ বলেছেন: কয়েকদিন সাবধানতা সম্পর্কে লেখালেখি হবে কাজ হবেনা কিছুই।তারপর যেই সেই।এটাই দেখে আসছি বহু বছর।কোন কাজের চলমান সচেতেনতা নাই।সাময়িকর হৈচৈ আছে।কতৃপক্ষ কয়েকদিন নড়েচড়ে বসে তার পর সব থেমে যায়।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২৬

করুণাধারা বলেছেন: কোন কাজের চলমান সচেতনতা নেই।

আমরা আবেগপ্রবণ জাতি। একটা ঘটনা ঘটার পর কিছুদিন সামাজিক মাধ্যমে ঝড় বয়ে যায়। তারপর আমাদের উৎসাহ ফুরিয়ে যায়, আমরা ভুলে যাই এবং চুপ করে যাই। ঠিক এই কারণে একই রকম দুর্ঘটনা বারবার ঘটতে পারে আর প্রকৃত দায়ী ব্যক্তি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।

৮| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন:

উপড়ের খবরটায় আর্কেটেক্ট যেই পরামর্শ দিয়েছেন , এই কাজটাই এখন সবাইকেই করতে হবে। অর্থাৎ যখন যেখানে সিলিন্ডার দেখা যাবে বা অন্য কোন বিপদজনক কিছু দেখা যাবে , তা ছবি তুলে সোস্যাল মিডিয়ায় দিয়ে দিতে হবে।




সাবেক ডিজি সাহেব যা বলেছেন তা একটা সতর্কবার্তা। ঢাকা শহড়ের বহুতল ভবনের রেস্তূরেন্টে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করতে হবে। মালিকদের কোটি কোটি টাকার ব্যবসায় যখন লালবাত্তি জ্বলবে , একমাত্র তখনই তারা হয়ত সেফটির বিষয়ে উদ্যোগী হবে।

০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৩

করুণাধারা বলেছেন: অনেকেই সতর্কবার্তা দিচ্ছেন কিন্তু এগুলো কেউ মনে রাখবে না। ‌ যদি দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি না হয় তবে বারবার এই ঘটনা ঘটতে থাকবে। ফারুক রূপায়ণ টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের পর কারো শাস্তি হয়নি।

তবে এই ধরনের ঘটনা দেখেও ঢাকা শহরের বহুতল ভবনের রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া বন্ধ হবে না। আমি শুনলাম শুক্রবার সকালে অনেকেই বেইলি রোডের রেস্তোরাঁগুলোতে নাস্তা করতে গিয়েছেন, বরাবর যেমন শুক্রবারে নাস্তা করতে যান। এতগুলো মানুষের মৃত্যু তাদের মনে কোন ছায়া ফেলেনি।

এই ধরনের ঘটনা রোধ করার একমাত্র উপায় কঠোর শাস্তি। সেটা কখনো হয়নি। এই যে এই ভবনের মালিক, যার নাম পর্যন্ত এখন পর্যন্ত অপ্রকাশিত, শুনেছি তিনি খুবই প্রভাবশালী মানুষ। যে জন্য ফায়ার সার্ভিস তিনবার নোটিশ দেওয়ার পরও সেটা অগ্রাহ্য করে থাকতে পেরেছেন। অতএব ধরে নিন, কিছুদিন পর আবার এমন ঘটনা ঘটবে।

৯| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৩৪

শায়মা বলেছেন: ঢাকায় তো মনে হয় ৯৯ % বাড়িতেই ফায়ার আলার্ম নেই। অথচ ফায়ার এলার্ম আর এমারজেন্সী এক্সিট থাকলেও আমার মনে হয় অনেক মানুষ বেঁচে যেতে পারে।

আর ইন্টেরিওর ফলস সিলিং করা বাড়িগুলো তো আগুন ধরাবার জন্য ১০০% উপযুক্ত।

আসলে বাংলাদেশে আমরা ভাগ্যের জোরে বেঁচে থাকি আর দূর্ভাগ্যের জোরে মরি।

কোনো চিন্তা নেই ভাবনা নেই ....... দূর্ঘটনার কয়েকদিন পর সব ভুলে যাই । নিয়তির হাতে সব ছেড়ে দেই।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: ঢাকায় তো মনে হয় ৯৯ % বাড়িতেই ফায়ার আলার্ম নেই।

মনে হয় কেন হবে, আমি নিশ্চিত ফায়ার এলার্ম নেই, বিশেষ করে বাসাবাড়িতে। তুমি কোথাও দেখেছ? আমি কোন হাসপাতালে পর্যন্ত প্রোপার ফায়ার এসকেপ দেখিনি।

তবে এখন গার্মেন্টসে আর কিছু উন্নত বিল্ডিংয়ে আছে।

আসলেই দুর্ঘটনার কয়েক দিন পরেই সব ভুলে যাই আমরা। আজকে ইউটিউবে দেখলাম বেইলি রোডের রেস্তোরাঁগুলো আবার জমজমাট হয়ে উঠেছে।

১০| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের কোনো পরিবর্তন হবে না।
তাই আমাদের উচিৎ এই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া। নইলে মৃত্যু হবে আগুনে অথবা সড়ক দূর্ঘটনায়।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৪৫

করুণাধারা বলেছেন: নইলে মৃত্যু হবে আগুনে অথবা সড়ক দূর্ঘটনায়।

আরো আছে, পথে বের হলে মাথায় ইট পড়েও মানুষ মারা যাচ্ছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ক্রেণ থেকে কন্টেইনার লোহা এইসব করে গত মাসে তিনজন মারা গেছে।

১১| ০২ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,




"ঢাকা" নামের মৃত্যুকূপের শহরে বসবাসকারীদের জন্যে আপনার এই লেখা সচেতনতামূলক । শহরবাসীদের নিজস্ব করণীয় ছাড়া এই মৃত্যুকূপ থেকে রেহাই পাওয়ার আর দ্বিতীয় কোনও রাস্তা নেই।
ঢাবিয়ান এর মন্তব্য ধরে আমাদের সেসবই করতে হবে। সমস্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাগুলির ছবিতুলে সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিতে হবে, তা আবাসিক ভবন বা বানিজ্যিক ভবনই হোক কিম্বা পথঘাটের স্থাপনা, বাস-লঞ্চটার্মিনাল যা কিছুই হোক না কেন। দায়িত্বপ্রাপ্তদের দিকে তাকিয়ে থাকলে হবেনা। কর্তৃপক্ষের দায় এড়ানোর কারনে একটার পরে একটা দূর্ঘটনার জন্ম হওয়াতে এখন নিজেদের সুরক্ষিত রাখার জন্যে জনগণের সন্মিলিত উদ্যোগে পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৫২

করুণাধারা বলেছেন: শহরবাসীদের নিজস্ব করণীয় ছাড়া এই মৃত্যুকূপ থেকে রেহাই পাওয়ার আর দ্বিতীয় কোনও রাস্তা নেই।

কিন্তু শহরবাসী প্রতিকার চাইতে কার কাছে যাবে! গ্যাস সিলিন্ডারের সমস্যাটা শহরের সবখানে দেখা যায় কিন্তু এটা নিয়ে কোথাও অভিযোগ করার জায়গা নেই। ‌ আমি নিজে চেষ্টা করে দেখেছি।

ঢাবিয়ানের প্রস্তাব ভালই, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের উৎসাহ খুব অল্প সময় থাকে। কিছুদিনের মধ্যেই আমরা ভুলে যাব এই অগ্নিকাণ্ডের কথা। তখন আর মনে থাকবে না ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা দেখলেই তার ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে দেবার কথা।

আসলে এই শহরে আমরা যারা বাস করি, তারা নিয়তির উপর নির্ভর করে অসহায় ভাবে জীবন পার করি। :(

১২| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৫৪

আরোগ্য বলেছেন: আমাদের এলাকায় প্রত্যেক বাসার নিচে মোটর পার্টসের মার্কেট কিংবা গোডাউন। আর উপরে বাসায় চলে সিলিন্ডার। লাইনের গ্যাস থাকে না বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার ব্যবহার করতে হয়।
দেশ তো উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে আর দেশের মানুষ অব্যবস্থাপনার কবলে পৃষ্ঠ হচ্ছে। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুক। সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: এসব দেখার কেউ নেই। ‌ তাই আমরা বেঁচে থাকি নিয়তির উপর নির্ভর করে।

আজ সকালেই ইউটিউবে দেখলাম বেইলি রোডের খাবার দোকান গুলো আবার জমজমাট হয়ে উঠেছে। আমাদের স্মৃতি এত স্বল্পায়ু!! সুতরাং আবারো অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে, অন্য কোথাও অন্য কোনখানে।

খবরে দেখলাম এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ড পর একজন মন্ত্রী দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের ৬২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। ফলে তার মন্ত্রিত্ব চলে যায়। সুতরাং কোথাও প্রতিকার পাওয়া জায়গা নেই আমাদের।

১৩| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ১:০৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই শহরকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হোউক

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: কে করবে? এই শহর থেকে সুবিধা নেবার এত উপায় আছে যে এই শহর কখনোই পরিত্যাক্ত হবে না। পরে সুবিধাবাদীরা অন্য কোথাও সেকেন্ড হোম বানিয়ে চলে যাবেন।

১৪| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:৩৬

এম ডি মুসা বলেছেন: শান্তি এবং মানুষ নিরপরাধ থাকুক।

০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: আল্লাহ যেন আপনার প্রার্থনা পূরণ করেন। আমরা সবাই শান্তিতে থাকতে চাই।

১৫| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনার দেখা এবং অনুসন্ধান করার দৃষ্টিতে দেখা বিষয়গুলো আরো বেশি প্রচার করুন।
যেটুকু সচেতনতা আপনি দেখাচ্ছেন শুধু জরুরী এক্সিট আছে কিনা দেখার জন্য তা শুধু দেখে কি হবে। প্রচার করুন। অনৈতিক কাজগুলোকে ।
যারা কাজ শেষ না করে একাউন্টে টাকা রেখেছেন তাদের মুখোশের আড়ালে রাখা উচিত না।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪

করুণাধারা বলেছেন: অনিয়ম তো শুধু হাসপাতালে না অনেক জায়গাতে হচ্ছে যেগুলো আমরা দেখেও দেখি না। ‌অগ্নি নিরাপত্তা দেয়ার জন্য বাড়িগুলো এমন ভাবে বানানোর কথা যেন ফায়ার ব্রিগেডের গাড়িগুলো যেতে পারে বাড়ির সামনা পর্যন্ত। অথচ রাজউক এমন বহুতল বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দিচ্ছে, যেখানে আগুন লাগলে দমকল পৌঁছাতেই পারবেনা। ধানমন্ডির প্লটগুলোর কথা ধরি; এগুলো বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল একটা বাড়ির জন্য। এখন সেইসব প্লটের অনেকগুলোতে দেখা যায় একাধিক বাড়ি। একপাশে সরু একটা রাস্তা দিয়ে পিছনে বহুতল বাড়িতে যেতে হয়। পিছনের বাড়িতে আগুন লাগলে দমকলের গাড়ি পৌঁছাতে পারবেনা। রাজউক এমন বাড়ি বানানোর অনুমতি দিচ্ছে, বিপজ্জনক জেনেও।

আসলে অগ্নিকাণ্ডের সম্ভাবনাকে সবাই উড়িয়ে দেয়। আপনি যেমন বলেছেন, সেভাবে আমি চেষ্টা করেছি সবাইকে জানাতে কিন্তু কেউ গুরুত্ব দেয়নি। এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকান্ডের পর থেকেই আমি সবাইকে বলতে চেষ্টা করি। অন্য বাড়ির (যেমন হাসপাতাল)কথা দূরে থাক, নিজের বাড়ির সিঁড়িটা চলাচলের উপযোগী রাখা উচিত, এটাই কাউকে বোঝাতে পারিনি!!

১৬| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঢাকা শহরের কোনো ভবন যথাযথ নিয়ম মেনে বানানো হয়েছে কি না আমার সন্দেহ হয়।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

করুণাধারা বলেছেন: ঢাকা শহরের কোন ভবন যথাযথ নিয়ম মেনে বানানো হয়েছে কিনা আমার সন্দেহ হয়। ঠিক বলেছেন।

খুব অল্প ভবন নিয়ম মেনে বানানো হয়। বানাতে গিয়ে গুরুত্ব দেয়া হয় অর্থ সাশ্রয় করাকে। ফলে যেসব জায়গায় পয়সা বাঁচানো যায়, যেমন সিঁড়ি বিম কলাম এগুলো ঠিক মত বানানো হয় না। ফলে ভবন ঝুঁকিপূর্ণ থাকে।

১৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:১৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: বিষয়টি নিয়ে যতগুলো লেখা পত্র-পত্রিকায়, ব্লগে এবং ফেসবুকে পড়লাম, এই লেখাটি তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো। ফোন থেকে পোস্টটি আগে পড়েছিলাম কিন্তু মন্তব্য করতে দেরি হয়ে গেল।

সর্বত্র বিশৃঙ্খলায়ময় আমাদের এই শহরে কতটা যে ঝুকির মধ্যে নাগরিকরা বসবাস করেন, দূর্ঘটনা ঘটবার আগে এটা সচরাচর অনুভব হয়না। তাই হাসপাতালের মত প্রতিষ্ঠানের জরুরি নির্গমন সিঁড়ি খুঁজে পাওয়া যায়না - যেটা নাকি টাকা হয়ে কারো একাউন্টে চলে যায়!

আপনার দেয়া লিংক গুলোর কোন কোনটা যে রাজউকের সাইটে নিয়ে যাবে এমনটি আশা করেছিলাম। তবে হয়তো খবরের কাগজে বলেই বিষয়গুলো সম্পর্কে সহজে একটা ধারনা পাওয়া যায়।

একজন প্রকৌশলী- সুনাগরিকের দৃষ্টি থেকে এই মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার গভীরে গিয়ে বিষয়টির এমন পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং বিস্তারিত আলোচনা ব্লগে পড়তে পারা একটি সৌভাগ্য বটে।

০৪ ঠা মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ শ্রাবণধারা!

এফ আর টাওয়ারের দুর্ঘটনার কয়েক মাস পরেই, ধানমন্ডির এক চৌদ্দ তলা ভবনের ফ্ল্যাটে আগুন লেগে একজন মারা যায়, এর ক'দিন পর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আগুন ধরে। এই হাসপাতালটি বহুতল নয়, চওড়া সিঁড়ি আছে এবং হাসপাতালের সামনে অনেকখানি খোলা জায়গা আছে, ফলে অল্প সময়ের মধ্যে সব রোগীকে সেই খোলা জায়গায় নামিয়ে আনা হয় এবং কেউ মারা যায়নি। এই ঘটনার খবর দেখার পর থেকে আমি হাসপাতালগুলো লক্ষ্য করা শুরু করি। দেখি যে, বেসরকারি হাসপাতালে আট- দশটি লিফট থাকলেও সিঁড়ি থাকে একটি, আর অগ্নি নির্গমন সিঁড়ি থাকলেও অন্য কাজে ব্যবহার হয়। আমি চেষ্টা করেছি এই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে; কিন্তু পারিনি।

আবার ঢাকায়কিছু ভবন আছে যেগুলোর ভালো অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। তেমন একটি ভবন আব্দুল মোমেন বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট। এইখানে আমার পরিচিত একজন samsung এ চাকরি করতো। শুনেছি তাদের মাঝে মাঝে অগ্নিকাণ্ডের মহড়া হতো। ফায়ার এলার্ম বাজার সঙ্গে সঙ্গে নয়তলা অফিসের সবাই কাজ ছেড়ে ফ্লূরোসেন্ট পায়ের ছাপের ছবি অনুসরণ করে জরুরী বহির্গমন সিঁড়িতে পৌঁছে যায়, যেখানে স্প্রিঙ্কলার দিয়ে পানি পড়ার ব্যবস্থা আছে এবং সুশৃংখলভাবে নেমে সকলে কয়েক মিনিটের মধ্যে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে যায়। শুনেছি এমন ব্যবস্থা ঢাকার বেশ কিছু ভবনে আছে।

পাশাপাশি এমন ভবনও আছে, যার মালিকের কাছে অর্থের চেয়ে মানুষের জীবনের দাম নগন্য হয়, যেমন এফ আর টাওয়ারের মালিক এবং প্ল্যানের ব্যাত্যয় ঘটিয়ে ভবন নির্মাণ করে মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়া নির্মাতা। এরা খুব প্রভাবশালী। তাই পাঁচ বছর চলে যাবার পরও না এফ আর টাওয়ারের অতিরিক্ত তলা ভাঙ্গা হয়েছে না এই অনিয়ম করা খুনিদের কোনো শাস্তি হয়েছে!

বিনা পয়সায় জনসাধারণের জন্য নির্মাণ বিধিমালা দিয়ে রাখবে, রাজউক তেমন প্রতিষ্ঠানই না। কোন সাইটে গিয়ে আমি কোনো তথ্য পাইনি। পত্রিকাই এক্ষেত্রে ভরসা। এটা পড়তে পারেন। জরিপের নামের রাজউকের প্রতারণা।

১৮| ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫

ফয়সাল রকি বলেছেন: সেদিন দুপুরে হীরাঝিল রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম দুপুর তিনটার দিকে। প্রচুর ভীড়। নীচতলার একটা টেবিল দখল করে কয়েকজন বসলাম। বারবার কেবল একটা বিষয়ই মনে হচ্ছিল- যদি দুর্ঘটনা ঘটে কোন দিক দিয়ে পালাবো! গেট পর্যন্ত তো যেতেই পারবো না! ওদিকে খাবার দিতেও দেরি হচ্ছে! একটা আতংক নিয়ে বসে ছিলাম পুরাটা সময়।

২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: আমাদের দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। ‌ তাই নিজেকে রক্ষার জন্য নিজেকেই প্রস্তুত থাকতে হবে। এজন্য রেস্টুরেন্ট ব্যাংক বা যে কোন অফিসে গেলে নিজেকেই দেখতে হবে বের হবার রাস্তা কোনটি সহজ হবে, কারণ যে কোন দুর্যোগে লিফট বন্ধ হয়ে যায়।

আমিও ব্লগে কিছুটা অনিয়মিত, সেজন্য আপনার পোস্টে যাওয়া হয়নি। আশা করি রোজা মাস শেষ হলে আপনার পোস্ট পড়ে ফেলব।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ফয়সাল রকি।

১৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২৪ ভোর ৬:৩১

সোহানী বলেছেন: আপুরে আমাদের পুরো দেশই একটা ভয়ংকর অবস্থায় পৈাছেছে। আপনি কোনটা নিয়ে কথা বলবেন?? আগুন? পানি? বাতাস?গ্যাস? রাজউক? .......................... দেশের কোন জায়গায় সিস্টেম কাজ করছে??? কোথাও না। একটার সাথে আরেকটা জড়িত। একটা সিস্টেম কাজ না করলে বাকিগুলোও করবে না। হিসাবটা খুব সহজ। আমরা উন্নয়ন উন্নয়ন বলে বলে মুখের ফ্যানা তুলছি কিন্তু গোড়াতে গলদ রাখছি সব জায়গাতে।

মানুষ মরিয়া হয়ে গেছে.......... কিন্তু যারা ক্ষমতা রাখে তারাও পারছে না কিছু করতে। ওই যে সব সিস্টেমে এমনভাবে পঁচন ধরেছে যে তারাও সিস্টেমের গ্যাড়াকলে পড়ে গেছে।

তারপরও আপনার লিখাকে সাধুবাদ। আমাদেরতো আর কোন ক্ষমতা নেই কলম ধরা ছাড়া।

ভালো থাকুন আপু।

২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৪৪

করুণাধারা বলেছেন: আগুন? পানি? বাতাস?গ্যাস? রাজউক? .......................... দেশের কোন জায়গায় সিস্টেম কাজ করছে??? কোথাও না। :(

এর জন্য দায়ী আমরা। হাজার সমস্যার মধ্যে আমরা নির্বিকার হয়ে জীবন যাপন করি। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরে দিনযাপন করি, বর্ষায় পানিতে ডুবি, কখনো আগুনে পুড়ি, কখনো গাড়ি চাপা পড়ি... এর যে প্রতিকার হওয়া দরকার সেই বোধটাই তো আমাদের নেই!! যদি একটা জাদুর কলম পেতাম, আর এমন লেখা লিখতে পারতাম যেন সবাই ভেঙ্গে জেগে ওঠে। :|

২০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: এসব জেনে কেবলই শুধু আতঙ্কিত ও হতাশাগ্রস্ত হই। কারণ, জানি যে এর প্রতিকার সুদূর পরাহত। আপনি সুন্দর করে গুছিয়ে পরিস্থি্তির ভয়াবহতা খানিকটা তুলে ধরেছেন, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
জনসচেতনতামূলক পোস্টে প্লাস। + +

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫

করুণাধারা বলেছেন: ঢাকায় অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক বেশি। একটা দুর্ঘটনা ঘটলে তখন কিছুদিন আলোচনা হয়, তারপর সবাই ভুলে যায়। দুদিন আগে দেখলাম, তাদের তদন্তের পর রাজউক জানিয়েছে, বেইলি রোডে অগ্নিদুর্ঘটনায় রাজউকের কোন দায় বা গাফিলতি নেই!!! অর্থাৎ এমন আরো নিরাপদ ভবন তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবে... উদ্বেগ এবং একই সাথে দুঃখজনক, এই দায় এড়িয়ে যাওয়াটা।

মন্তব্য এবং প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ঈদ মোবারক।

২১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকেও ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা- ঈদ মোবারক!!!

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২৭

করুণাধারা বলেছেন: খুব দেরি করে ফেললাম উত্তর দিতে! তবুও দেরি করেই আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা জানাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.