নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

করুণাধারা

করুণাধারা

জীবন যখন শুকাইয়া যায় করুণাধায় এসো

করুণাধারা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে হাসিনা ভারতকে বলেছিলেন তাকে দিল্লিতে নেবার জন্য প্লেন পাঠাতে

০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৭


ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলছে: view this link



বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইস্তফা দিয়েছেন। বোন রেহানাকে নিয়ে তিনি ঢাকার বাসভবন তথা ‘গণভবন’ ছেড়েছেন বলে খবর। তাঁকে কপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ের উদ্দেশে। বাংলাদেশ বায়ুসেনার কপ্টারটি উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছেন এয়ার কমোডর আব্বাস। তিনি ১০১ স্কোয়াড্রনের সদস্য। দিল্লিতে যাবেন হাসিনা।
.......
কপ্টারে বাংলাদেশ ছেড়েছেন হাসিনা। একটি সূত্রের দাবি, হাসিনা নয়াদিল্লির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে উদ্ধারের জন্য ভারত থেকে বাংলাদেশে বিমান পাঠানো হবে না বলে জানিয়ে দেয় নয়াদিল্লি। ভারতের তরফে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের আকাশসীমায় ভারত কোনও বিমান পাঠাতে পারে না। কারণ, তাতে আইন লঙ্ঘিত হতে পারে। ভারত থেকে জানানো হয়, হাসিনাকে আগে ভারতে পৌঁছতে হবে। তার পর সেখান থেকে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। কপ্টারে ঢাকা থেকে দিল্লি পর্যন্ত যাওয়া যায় না। এ ক্ষেত্রে তাঁর নিকটবর্তী অবতরণ স্থান হতে পারে ত্রিপুরার আগরতলা বিমানবন্দর। তার পর সেখান থেকে তাঁকে বিশেষ বিমানে করে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে খবর। কয়েকটি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, ঢাকা থেকে কলকাতা বিমানবন্দর বা শিলিগুড়ির কাছে বাগডোগরা বিমানবন্দরেও নামতে পারেন হাসিনা। তবে সেগুলি ঢাকা থেকে দূরে। হাসিনার সবচেয়ে নিকটবর্তী বিমানন্দর ত্রিপুরার আগরতলা।



মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭

সোনাগাজী বলেছেন:


শেখ মুজিবের মুর্তি ভাংগার এই ঐতঝাসিক মহুর্তে আপনি একটা সেলফি তুলে রাখলে ভালো হতো।

০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৮

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য।

২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:০২

জুন বলেছেন: কিছু দিন আগে মমতা ব্যানার্জি বলেছিল পাশের দেশে যে সংঘর্ষ চলছে তাতে কেউ যদি এসে আমাদের দরজা খটখট করে তবে দরজা খুলে দিবো। এতে আমাদের উনি ক্ষেপে গিয়ে মতীজীর কাছে নালিশ করলেন। মতিজিও তাকে শাসালেন যে এটা অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার, এতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কিছু বলা তার সাজে না। এখন দুই বোন কার বাসার দরজা খটখট করছে জানতে চাই করুনাধারা।
অগাস্ট এখন শোক না স্বৈরাচার মুক্তির মাস।
কষ্ট লাগে যেসব ছাত্র ছাত্রী ও নিরীহ মানুষ মারা গেছেন তাদের জন্য। বিজয়টা দেখে যেতে পারলো না সাইদ মুগ্ধ সহ আরও অনেকে।

০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

করুণাধারা বলেছেন: এখন দুই বোন কার বাসার দরজা খটখট করছে জানতে চাই করুনাধারা।

আর কার বাসায়, আপনার মতিজি ওরফে মতিচুরের লাড্ডুর বাসায়, দিল্লিতে। কিন্তু মতিজি হয়তো উনাকে এখন বোঝা বলে ভাবছেন। কয়দিন বাড়িতে রাখেন কে জানে! এরপর কোথায় যাবেন উনি!

কষ্ট লাগে যেসব ছাত্র ছাত্রী ও নিরীহ মানুষ মারা গেছেন তাদের জন্য। বিজয়টা দেখে যেতে পারলো না সাইদ মুগ্ধ সহ আরও অনেকে।

খুব কষ্ট লাগে। তাঁরা এখন দুঃখ কষ্টের ঊর্ধ্বে চলে গেছেন। কিন্তু তাদের মা বাবা ভাই বোন, তাদের দুঃখ রয়েই যাবে। অনেক দরিদ্র পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী মানুষটি জীবিকার সন্ধানে বের হয়ে ঘাতকের বুলেটে প্রাণ দিয়েছেন। কষ্ট লাগে এদের স্ত্রী সন্তানদের কথা ভেবে।

৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:১১

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: জুন বলেছেন: অগাস্ট এখন শোক না স্বৈরাচার মুক্তির মাস।

০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

করুণাধারা বলেছেন: কোন কিছু নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি ঠিক না। জন্মদিন নিয়ে, মৃত্যুদিন নিয়ে এত বেশি বাড়াবাড়ি হয়েছে যে মানুষ বিরক্ত হয়েছে কিন্তু সেই বিরক্তি প্রকাশ করতে পারেনি। এখন তারা মনের সব ক্ষোভ প্রকাশ করছে।

৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:২১

সোনাগাজী বলেছেন:



@আঁধারের যুবরাজ,

ব্লগার জুনেরা সব সময় ভালো ছিলো, এখনো ভালো থাকবে; জুন দুবাই বেড়াতে যাবেন, থাকনবে হোটেলে; সেই হোটেলের বার্থরুম পরিনার করে দিবে সীতাকুন্ডের রহমত আলী।

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:



@আঁধারের যুবরাজ,

ব্লগার জুনেরা সব সময় ভালো ছিলো, এখনো ভালো থাকবেন; জুন দুবাই বেড়াতে যাবেন, থাকনবে হোটেলে; সেই হোটেলের বার্থরুম পরিস্কার করে দিবে সীতাকুন্ডের রহমত আলী।

৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ডাইনী হাসিনা বিদায় হয়েছে, তবে তার চামচা আর দোসররা দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে। এদেরকে ধরে ধরে আপ্যায়ন করতে হবে। কেউ যেন খালি হাতে না যায়!!! =p~

০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

করুণাধারা বলেছেন: ডাইনী হাসিনা বিদায় হয়েছে, তবে তার চামচা আর দোসররা দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে আছে। এদেরকে ধরে ধরে আপ্যায়ন করতে হবে। কেউ যেন খালি হাতে না যায়!!!

আমার এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে বিদায় হয়েছে!!! এ ছিল এক রক্তচোষা শয়তান হায়না! আমার আন্তরিক ইচ্ছা ছিল ওর হেলিকপ্টারটা যেন না উড়ে।

সবগুলো দোসর চামচাকে ধরে আটকাতে হবে, কেউ যেন না পালাতে পারে। তারপরে যত টাকা লুট করেছে সব পাই পয়সা ধরে আদায় করতে হবে।

৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৪০

মিরোরডডল বলেছেন:





১৫-১৬ বছর অনেক দীর্ঘ সময় পেয়েছিলো।
তার সুযোগ ছিলো অনেক ভালো করার।

অন্য সরকার যা করেনি, শেখ হাসিনা সেরকম অনেক ভালো কিছু কাজ করেছিলো নো ডাউট। দেশকে অনেক এগিয়ে নিয়েছিলো, কিন্তু পাশাপাশি দেশের মূল সমস্যা দুর্নীতি দমনে কোন ভুমিকা রাখেনি, উল্টো দলের অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়েছে বছরের পর বছর।

যদি তিনি দুর্নীতি, শিক্ষা, চাকরি, বাজারের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এসব সমস্যার জন্য তার ভূমিকা দায়িত্বের সাথে পালন করতেন, সাধারণ মানুষের কাছে যেতে পারতেন, তাহলে ভোট চুরি করতে হতোনা, পাবলিকই তাকে আবার ভোট দিয়ে জয়ী করতো।
পাগলও নাকি নিজের ভালো বোঝে কিন্তু উনি কেনো বুঝলেন নাহ!!! Why did she become such a dictator!!!

গত কয়েক সপ্তাহে শুধু মাত্র ওনার কিছু ননসেন্স কথা আর সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয়ায় কতগুলো জীবন চলে গেলো।
আজ বিজয় মিছিল হচ্ছে, কিন্তু মৃতদের পরিবারের প্রিয়জন হারানোর কষ্ট সারাজীবন থাকবে।

shame! her pride and stubbornness ruined her.


০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

করুণাধারা বলেছেন: ১৫ বছর দীর্ঘ সময়, এই সময়ে অনেক কিছুই করা সম্ভব যদি দেশে বিরোধী দল না থাকে এবং হরতাল বা সরকার বিরোধী কোন কর্মসূচি না থাকে। উনি সফলতার সাথে বিরোধী দলকে দমন করতে পেরেছেন, ফলে তার কাজের কোন জবাবদিহিতা ছিল না। একদিকে উন্নয়ন করেছেন দেশবাসী মাথার উপর দিনের বোঝা চাপিয়েছেন এবং আরেক দিকে কয়েক লাখ কোটি টাকা পাচার হতে দিয়েছেন। মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। তার পোষা বাহিনী সর্বদা নজর রাখত, একটা সামান্য কথা কেউ ফেসবুকে বা অন্য কোথাও বললেই তার নামে দশটা মামলা হয়ে যেত। বিরোধিতা দেখলেই গুম হত। আগামী কয়েক মাস ধীরে ধীরে এইসব প্রকাশ হতে থাকবে।

তিনি যদি দুর্নীতিকে শক্ত হাতে দমন করতেন, তাহলে দেশের চেহারা অন্যরকম হতো। সেটা করেননি, বরং মানুষের উপর ক্রমাগত নিপীড়ন চালিয়ে গেছেন। মানুষ খেতে পায় না, এটা তিনি হালকা ভাবে দেখেছেন। তিনি কি নিজে কখনো কাঁঠালের বার্গার খেয়েছিলেন? মানুষকে কাঁঠালের বার্গার খেতে বলার মতো মশকরা একমাত্র উনিই করতে পারেন। তবে সবচেয়ে খারাপ হয়েছে এই রক্তের নদী বইয়ে দেওয়া। এরপর কোনভাবেই উনি এদেশে থাকতে পারতেন না।

৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৪

শায়মা বলেছেন: জুন বলেছেন: কিছু দিন আগে মমতা ব্যানার্জি বলেছিল পাশের দেশে যে সংঘর্ষ চলছে তাতে কেউ যদি এসে আমাদের দরজা খটখট করে তবে দরজা খুলে দিবো। এতে আমাদের উনি ক্ষেপে গিয়ে মতীজীর কাছে নালিশ করলেন। মতিজিও তাকে শাসালেন যে এটা অন্য দেশের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার, এতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কিছু বলা তার সাজে না। এখন দুই বোন কার বাসার দরজা খটখট করছে জানতে চাই করুনাধারা


হা হা একটু আগে আমার কাজিনের সাথে এই খটখটানী নিয়ে আমি হাসতেহাসতে মারা যাচ্ছিলাম। কিন্তু কিছুদিন আগে না বকতিমায় বললেন উনি পালায় না..... তার কি হলো!!! আমরা তাকে অনেক সন্মান করতাম কিন্তু রাজনীতি নিয়ে ছেলেদের মৃত্যু এই ব্যাপারে তার নির্লিপ্ততা আবরারের মৃত্যুর সময় আমাকে অবাক করেছিলো। আর এবারের আবু সায়ীদের মৃত্যু মুগ্ধ সহ এতগুলো মানুষের মৃত্যুর পরেও ক্ষমতা আকড়ে বসে থাকবার নেশা ক্ষোভ আর হতাশার সৃষ্টি করেছিলো।

০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪

করুণাধারা বলেছেন: মানুষের মৃত্যু উনার কাছে ডালভাতের মতন সহজ। শুধু আবরার না, এরপরে ফারদিন নামে একটি ছেলেকেও ছাত্রলীগ হত্যা করেছিল। মধ্যবিত্ত পরিবার এই মেধাবী ছেলেটির উপর নির্ভর করেছিল। হাত-পা বাঁধা লাশ পাওয়া গেল নদীতে, বলা হলো আত্মহত্যা করেছে!! তার বাবা তখন প্রধানমন্ত্রী কাছে আকুতি জানিয়েছিলেন ঘটনার ঠিকমত তদন্তের জন্য, বুয়েটের ছেলেরাও আন্দোলন করেছিল এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য। কিন্তু এটা ধামাচাপা দেয়া হয়েছিল, তিনি কর্ণপাত করেননি। আজকে আমার এই ঘটনাগুলো মনে পড়ছে ওদের পরিবার নিশ্চয়ই আজকে খুশি!

ক্ষমতার দম্ভে উনি বারবার অন্যায় আচরণ করে গেছেন। এতগুলো ছেলে মরলো, উনি যদি একবার বলতেন, ভুল হয়ে গেছে! ভুল শোধরানোর সুযোগ দাও! তাহলে হয়তো সুযোগটা পেতেও পারতেন! কিন্তু তারপর যেভাবে বাড়াবাড়ি শুরু করলেন কাদের গং দ্বারা, তখনই তার শেষের শুরু হয়ে গেল।

৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭

শায়মা বলেছেন: গণভবনের জিনিসপাতি ভাঙ্গচুর আমার কাছে অসভ্যতা মনে হয়েছে। এইগুলো কারো বাবার সম্পত্তি না। রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি। জামদানী শাড়িগুলি অবশ্য কাদের সম্পত্তি আমি জানিনা। আর বঙ্গবন্ধুর মূর্তী ভাঙ্গাটাও আমি পছন্দ করলাম না। মানুষ এমন সৃজনশীল সৃষ্টি কি করে নষ্ট করে? আর তার মূর্তী ইতিহাসের অংশ। এটা ভেঙ্গে ফেলা ঠিক না আমার মতে।

০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪১

করুণাধারা বলেছেন: আমি জানি না গণভবন এমন আরক্ষিত থাকলো কি করে! এটা সহজেই অনুমেয় ছিল যে, এভাবে লুটতরাজ হবে। কারা লুটতরাজ করেছে? লোকজন যাদের ১০০ টাকা দিয়ে মিছিলে ডেকে নেওয়া যায় সম্ভবত এরা আওয়ামী লীগের মিছিলে নিয়মিত গেছে। তুমি ঠিকই বলেছো, এগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি, এগুলো কেন এভাবে নষ্ট করবে।

আর মূর্তি! এমন হবারই কথা। সব সময় বিদ্রোহের পর মূর্তি ভাঙচুর করা হয়। হীরক রাজার প্রতিবাদী দিলাম সাম্প্রতিককালে সাদ্দাম হোসেনের কত মূর্তি ভাঙ্গা হলো!! লেলিনের অনেকগুলো মূর্তি ভাঙ্গা হয়েছিল। খারাপ লেগেছিল লেনিনের সংরক্ষিত দেহটা নিয়েও এরা অসম্মান করেছিল। কি করেছিল ঠিক জানিনা।

একটা কথা মনে পড়ল, আমি সাড়ে পাঁচটার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম জনস্রোত দেখার জন্য। দেখি মানুষের হাতে উদ্ভট জিনিস, একজনের হাতে মাটি থেকে উপড়ানো একটা ফুলের গাছ, আরেকজনের হাতে রিভলভিং চেয়ারের নিচের অংশ। সম্ভবত দেরি করে যাওয়ায় এরা এর বেশি কিছু পায় নাই। এগুলো দেখার কেউ কি ছিল না!!

১০| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৬

নয়া পাঠক বলেছেন: এই সব পাগলগাজীদের কি আর বোধদয় হবে না, না মগজে আর কোন স্থান নেই নতুন আর ভালো কিছু গ্রহণ করার মতো। তার দোসর রাতারাতি শরীরের চামড়া পাল্টানো ব্লগার ‘গোফরান’ আবার আমাকে কমেন্ট ব্যান রেখেছে। এদের দেখলে সত্যিই অনেক কষ্ট হয়, টাকার জন্য মানুষ কি না করে। :P

০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

করুণাধারা বলেছেন: পাগলগাজী নামটা একদম ঠিক আছে। একটা মানুষ যদি সব সময় অর্থহীন আবোল তাবোল কথা বলে তাহলে তাকে পাগলই বলে।

বিলম্বে হলেও গোফরানের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে দেখে ভালো লাগছে। আশাকরি আর কাউকে বিএনপি জামাত বলবেন না উনি, এরপর থেকে।

১১| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৬

শায়মা বলেছেন: আমাদের বাসার পাশে ৭১ টিভিতে আগুন। যে কোনো সময় আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। সোনাগাজী ভাইয়া তাপ তাপ করে বদদোয়া দেবার পর জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি ধোয়া :(

০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:২৮

করুণাধারা বলেছেন: উত্তর দিতে অনেক দেরি করে ফেললাম শায়মা! এতক্ষণে ৭১ টিভির আগুন নিভে গেছে, কিন্তু খবর পেয়েছি আরো কয়েকটা টিভি স্টেশনে আগুন দেয়া হয়েছে। খুবই দুঃখজনক পরিস্থিতি। কালরাতে অনেকের বাসায়, বড় বড় শোরুমে লুটপাট করে আগুন দেয়া হয়েছে। এখন আর কিছু অবশিষ্ট নেই, তাই এখন ছোটখাটো দোকানগুলো লুটপাট করা হচ্ছে, স্বল্প পুঁজির কিছু মানুষকে সর্বস্বান্ত করে দিতে। :(

১২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাসিনার পেয়ারের মোদী একটা বিমান পর্যন্ত পাঠাতে রাজী হল না। এগুলি থেকে শিক্ষা নিতে হবে আমাদের নেতাদের। নেতাদের পতন আসতে যে সময় লাগে না সেটা আজকে আবার প্রমাণিত হল। পতন হলে সাথীদের চোখ উল্টাতে এক সেকেন্ডও সময় লাগে না। হাসিনার বিচার করা প্রয়োজন। তার নামে অন্তত ১০০০ হত্যা মামলা করা প্রয়োজন। ওর কবরও যেন বাংলাদেশে না হয়। আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন, পুলিশ, প্রশাসন, গোয়েন্দা, ব্যবসায়ী নেতা সহ যারা অত্যাচারে হাত রাঙ্গিয়েছিল তাদের ধরে ধরে বিচার করতে হবে। গত কয়েকদিনে প্রায় এক হাজার মানুষের হত্যাকারীদের এবং ১০,০০০ মানুষকে আহত যারা করেছে তাদের বিচার করতে হবে। হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের একটা একটা করে ধরতে হবে এবং বিচার করতে হবে। ইতিমধ্যে আমার গ্রামের আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আগুন দেয়া হয়েছে শুনলাম। একটা থানায় দেখলাম পুলিশ থানা ছেড়ে দূরে আড়ালে দাড়িয়ে আছে ভয়ে। আরেক জায়গায় দেখলাম পুলিশের কার্যালয় ভাংচুর হচ্ছে। মানুষের ক্ষোভ এখন প্রকাশিত হচ্ছে।

ব্লগের মুক্তিযোদ্ধারা সাধারণ ছাত্র এবং জনগণের পালস বুঝলো না। তারা এখনও বলে যাচ্ছে এই আন্দোলন সফল করেছে জামাত আর বিএনপি। এরা শুধরাবে না। আওয়ামীলীগের চামচামি এরা আর কতদিন করবে। আওয়ামীলীগ তো শেষ আগামী ১০০ বছরের জন্য।

আমার কাছে স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে যে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। একটা ঐতিহাসিক দিন আজ।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: গত কয়েকদিনে প্রায় এক হাজার মানুষের হত্যাকারীদের এবং ১০,০০০ মানুষকে আহত যারা করেছে তাদের বিচার করতে হবে।

দুঃখজনক এটাই যারা মারা গেছে এরা সবাই হয় অল্প বয়সী, অথবা মধ্যবয়সী এমন কেউ যিনি জীবিকা অর্জনের কাজে বের হয়ে মারা গেছেন। এভাবে মারা গেছে পরিবারের প্রিয় সন্তান অথবা ছোট ছোট সন্তানদের বাবা। এই শোক স্বজনরা আজীবন বয়ে বেড়াবেন। কি কারনে এই নির্দোষ মানুষ গুলো মারা গেল! কিভাবে একটা মানুষ এত নির্মম হয়ে হত্যাকান্ড ঘটাতে পারল!!

এর বিচার অবশ্যই হতে হবে। সাথে সাথে অন্যসব দুষ্কৃতিকারীদের পাপের বিচার হতে হবে। ভবিষ্যতে যেন এই ধরনের কাজ কেউ আর না করতে পারে। তবে এমন কিছু হবে বলে বিশ্বাস হয়না। নির্ভরযোগ্য নেতা একজনকেও দেখতে পাই না!! :(

ঠিকই বলেছেন, ব্লগের মুক্তিযোদ্ধারা সাধারণ ছাত্রদের পালস বুঝতে পারছে না। তারা সেই মুক্তিযুদ্ধের ইগো নিয়ে আছে।

১৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

শেরজা তপন বলেছেন: শ্রীলঙ্কা থেকে হাসিনার সরকার শিক্ষা নেয়নি। তিউনিসিয়া থেকে শিক্ষা নেয়নি। মিসরে কীভাবে হোসনে মোবারক জনরোষে উড়ে গেছে, সেখান থেকে সরকার শিক্ষা নেয়নি। জনগণের সরকার না হলে এমন পরিণতি হয়।

এরশাদের চেয়ে শেখ হাসিনা ১০০ গুণ বেশি খারাপ হয়ে বিদায় নিয়েছেন। এরশাদ পালিয়ে যাননি। তিনি পালিয়ে গেছেন। তিনি পালিয়ে গেছেন, কিন্তু আওয়ামী লীগ দলটাকে ধ্বংস করে দিয়ে গেলেন। তাঁর হিংসা, দম্ভ, অহংকার দলটাকে ধ্বংস করল।


~ এম সাখোয়াত হোসেন (প্রথম আলো)

০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪১

করুণাধারা বলেছেন: আমার ভাবতে অবাক লাগে, একটা মানুষ কি করে এতটা আত্মকেন্দ্রিক হয়! কি করে উনি ভাবলেন যে, এক লক্ষ মানুষ মেরে ফেলতে হলেও উনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। (এই ধরনের একটা কথা নাকি উনি বলেছিলেন)

উনার এই পলায়নের খেসারত দিতে হচ্ছে তার দলের সমস্ত মানুষকে এবং তার মৃত পিতাকে। মৃত পিতাকে বেশি সম্মান দেখাতে গিয়ে উনি খুবই বাড়াবাড়ি করেছেন, এখন তাকে এত অসম্মান করা হচ্ছে!! আমার বিরক্ত লাগছে ভেবে, এখন আবার নাম বদলের হিড়িক পড়বে! কত টাকা যে অপচয় হবে এতে!

১৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

রাসেল বলেছেন: শেখ হাসিনা কি দিল্লি হয়ে লন্ডনের পথে?

০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: নির্বিচারে নিরীহ মানুষকে খুন করেছেন উনি। উনাকে এখন আর কেউ আশ্রয় দিবে না। ব্রিটেন না করে দিয়েছে, ফিনল্যান্ডও না করেছে। এখন ভারত হয়তো আশ্রয় দিবে, হয়তো দিবে না...

১৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮

কামাল১৮ বলেছেন: লোক আর খুজে পেলো না ,আসিফ নজরুলকে খুজে পেলো।সে জামাতের চাই।লক্ষন ভালো না।কয়েক দিন পর সব কিছু স্পষ্ট হবে।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪৩

করুণাধারা বলেছেন: দেখা যাক কি হয়!

১৬| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মিড বলেছে.............অন্য সরকার যা করেনি, শেখ হাসিনা সেরকম অনেক ভালো কিছু কাজ করেছিলো নো ডাউট। দেশকে অনেক এগিয়ে নিয়েছিলো মিড এখনও উন্নয়নের সংজ্ঞাই বুঝতে পারলো না। আফসোস!!!!

শায়মা বলেছে...........গণভবনের জিনিসপাতি ভাঙ্গচুর আমার কাছে অসভ্যতা মনে হয়েছে। এইগুলো কারো বাবার সম্পত্তি না। রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি। আর বঙ্গবন্ধুর মূর্তী ভাঙ্গাটাও আমি পছন্দ করলাম না। মানুষ এমন সৃজনশীল সৃষ্টি কি করে নষ্ট করে? আর তার মূর্তী ইতিহাসের অংশ। এটা ভেঙ্গে ফেলা ঠিক না আমার মতে। গণভবনের জিনিসপাতি ভাঙ্গচুর করে নাই, নিয়ে গিয়েছে। এইগুলো হাসিনা তার বাপের সম্পত্তি মনে করতো, জনগনও তাদের বাবার সম্পত্তি মনে করেই নিয়েছে। আর মূর্তি ভাঙ্গার বিষয়ে বলি, মানুষের মনে কি পরিমান ঘৃণা পয়দা করতে পারলে এমন ঘটনার উদ্ভব ঘটে, এটাও মনে রাখতে হবে। সকল কু-কর্মেরই প্রতিক্রিয়া হবে, সেটা আমাদের পছন্দ হোক বা না হোক। এই দেশটা কারো বাপের দেয়া উপহার না, এটাই এখন প্রতিপদে জনতা বুঝিয়ে দিবে।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫

করুণাধারা বলেছেন: আচ্ছা...

টু মিড এবং শায়মা...

১৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ধুলো মেঘ বলেছেন: গোফরান নামে রঙচোরাকে চিনে রাখুন। সে এখন ভোল পাল্টানোর চেষ্টা করছে।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: আহা থাক! এখন বেশ ভালো লাগছে। আর বিএনপি জামাত হুমকি শুনবে না...

১৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫

জুন বলেছেন: @ চাদগাজী আমি যখন দুবাই ছিলাম তখন রুম সার্ভিসের মেয়েরা সবাই ফিলিপিনো ছিল। বাংলাদেশের কাউকে দেখি নাই।
@ শায়মা তুমি শ্রীলঙ্কার ঘটনা দেখো নাই টিভিতে? কি ভাবে রাজাপাকসের বিছানায় শুয়ে, সুইমিংপুলে সাতরে, প্রাসাদের জিনিস পত্র ভেংগে মনের ঝাল মিটিয়েছিল। না খেয়ে মানুষ মরতে বসেছিল আর তাদের বিলাস ব্যাসনে দিন যাপন। সেইম অবস্থা আমাদের দেশেও। টের পায় নাই জনগণের ক্ষোভ।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮

করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ জুন, চাদগাজী আর শায়মার সাথে আমারও জানা হলো। কারণ শ্রীলংকার ঘটনা আমি টিভিতে দেখি নাই, এখন জানলাম।

১৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:২৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ধুলো মেঘ বলেছেন: গোফরান নামে রঙচোরাকে চিনে রাখুন। সে এখন ভোল পাল্টানোর চেষ্টা করছে। আপনে টেনশান নিয়েন না। ব্লগের প্রতিটা রঙচোরাকে আমরা চিনি। রঙ পাল্টনোর চেষ্টা করে কোন লাভ নাই। অবশ্য নতুন ব্লগারদেরকে বিভ্রান্ত করা সোজা। আপনে সময়ে সময়ে পোষ্ট দিয়ে সবাইকে সতর্ক করতে পারেন। কাউকে না কাউকে তো দায়িত্ব নিতেই হবে, তাই না!!!! :)

০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৫০

করুণাধারা বলেছেন: এ নিয়ে আসলে আমাদের টেনশনের কোন দরকার নেই। বরং যে রঙ পাল্টায়, সেই সর্বক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকে, কোন দিক থেকে যদি তার আসল রংটা বের হয়ে যায়...

২০| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪০

আহলান বলেছেন: স্বামী স্ত্রীর এমন সম্পক্ক যে পালকি পাঠালো না ! এ বড় অন্যায় - আফসোস কি বাত হ্যায়!

০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৫১

করুণাধারা বলেছেন: পালকি পাঠানো দূরের কথা, নিজে নিজে স্ত্রী যখন গিয়ে হাজির হলেন, তখন স্বামী তো দেখাও করলেন না। আসলেই আফসোস কি বাত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.