নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক
নানা সমস্যার কারণে রাজধানী ঢাকা শহর ক্রমশই বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। এর দায় অনেকটাই রাজউক বা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের। অথচ ঢাকাকে একটি আধুনিক বসবাসযোগ্য নগরীতে পরিণত করার জন্য পরিকল্পনা করা এবং বাস্তবায়নের ক্ষমতা দিয়ে এই প্রতিষ্ঠানটিকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।
রাজউকের শুরু ৬৯ বছর আগে ১৯৫৬ সালে, ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট বা ডিআইটি নামে। ১৯৫৯ সালে প্রাদেশিক রাজধানী ঢাকার ক্রমবর্ধমান অধিবাসীদের বাসস্থান, শিক্ষা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার কথা মাথায় রেখে ঢাকার ৫৭০ কিলোমিটার এলাকার জন্য একটা মাস্টার প্ল্যান করা হয়। এই মাস্টারপ্ল্যান করার দায়িত্বে ছিলেন ব্রিটিশ পরিকল্পনাবিদ মিনোপ্রাইয়ো, স্পেন্সলী এবং ম্যাকফারলেন। এই পরিকল্পনায় ঐতিহ্যবাহী এবং দৃষ্টিনন্দন ভবন সমৃদ্ধ পুরনো ঢাকাকে অপরিবর্তিত রেখে নতুন ঢাকায় ধানমন্ডি গুলশান বনানী ইত্যাদি পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়, মতিঝিলকে গড়ে তোলা হয় বাণিজ্যিক এলাকা হিসাবে। এই পরিকল্পনার অধীনে নতুন ঢাকায় কিছু দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা তৈরি করা হয়। মার্কিন স্থপতি ড্যানিয়েল ডানহাম এবং বব বুইগির নকশায় ইসলামী স্থাপত্য রীতিতে ষাটের দশকে তৈরি হয় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। 'সেকেন্ড ক্যাপিটাল' নামে দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য সমৃদ্ধ এলাকা গড়ে তোলা হয় মার্কিন স্থপতি লুই কানের নকশায়, যার অন্তর্ভুক্ত ছিল আজকের সংসদ ভবন।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার জনসংখ্যা বাড়তে লাগলো। এই বাড়তি জনসংখ্যার আবাসস্থল হিসেবে ঢাকাকে বসবাসযোগ্য করে তোলার জন্য ডি আই টি বা ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্টকে ১৯৮৭ সালে পরিবর্তিত করা হয় রাজউক বা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ হিসেবে। ১৯৯১ সালে রাজউকের আওতাধীন এলাকা বাড়িয়ে করা হয় ১৫০০ বর্গ কিলোমিটার। রাজউক প্রতিষ্ঠার পর (এবং এত বছর অবধি) ঢাকা শহর নিয়ে প্রথম পরিকল্পনা করা হয় ১৯৯৫ সালে, এর নাম ঢাকা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান বা ডিএমডিপি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সময়কাল ধরা হয় ১৯৯৫-২০১৫, পরে এই সময়কাল ২০৩৫ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ড্যাপ বা ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান এই ডিএমডিপি পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত।
ড্যাপ অর্থাৎ বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত অঞ্চল ১৫২৮ বর্গ কিলোমিটার, গাজীপুরের শালবন থেকে নারায়ণগঞ্জের বানিজ্যিক এলাকা, মাঝে আছে সাভার, কেরানীগঞ্জ, পুরান ঢাকাসহ ঢাকার অন্যান্য এলাকা। ড্যাপের উদ্দেশ্য এই এলাকায় নাগরিক সুবিধা বাড়িয়ে এক উন্নত মহানগর গড়ে তোলা। এজন্য ড্যাপে যা যা আছে:
১)ভূমি ব্যবহার নির্ধারণ: আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প এলাকা, এবং সবুজ অঞ্চল আলাদা এবং নির্দিষ্ট করা।
২)সড়ক এবং পরিবহন ব্যবস্থা: রাস্তা, ফুটপাত, এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টের পরিকল্পনা।
৩) সার্ভিস সুবিধা: পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ব্যবস্থার উন্নয়ন।
৪) পরিবেশ সংরক্ষণ: জলাশয়, খাল, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করা, ঢাকা নগরীকে জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত নিম্ন ভূমি এবং জলাধার রাখা।
৫) জনসংখ্যা ও ভবন পরিকল্পনা: একটি এলাকার জনসংখ্যা ঘনত্ব অনুযায়ী ভবন নির্মাণের বিধি-বিধান তৈরি করা। এজন্য আছে রাজউকের ইমারত নির্মাণ বিধিমালা।
এই পাঁচটি বিষয় নিয়ে ড্যাপ তৈরি হলেও ড্যাপ বলতে এখন কেবল বাড়ি বানানোর নিয়ম কানুন বোঝায়। ড্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে যেন এলাকার জনঘনত্ব এবং নাগরিক সুবিধা অনুযায়ী বাড়ির ফ্লোর স্পেস নির্ধারিত হয়। ড্যাপের আগে জমির মালিক তার জমিতে যতগুলো ইচ্ছা ফ্ল্যাট নির্মাণ করতে পারতেন, এখন পারেন না। এখন বাড়ি নির্মাণের জন্য এলাকা অনুযায়ী রাজউক বাড়ির ফার (floor area ratio) নির্ধারণ করেছে। উদাহরন হিসেবে বলা যায়, পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা উত্তরায় একটা তিন কাঠার প্লটে ফার ৩.৫, সেই অনুযায়ী একজন বাড়ি মালিক প্রতি ফ্লোরে ১৩৫০ বর্গফুট করে ছয় ফ্লোর (G+6) বানাতে পারেন, কিন্তু উত্তরার খুব কাছে অবস্থিত উত্তরখানে যেহেতু নাগরিক সুবিধা কম ( নাগরিক সুবিধা অর্থ রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ইত্যাদি) সেখানে তিন কাঠা প্লটের ফার ২, ফলে সেখানে কম উচ্চতার বাড়ি অর্থাৎ কম ফ্ল্যাট বানানো যাবে।
আবার জনঘনত্ব বেশি আছে কিন্তু নাগরিক সুবিধা আর বাড়ানো সম্ভব না এমন এলাকা যেমন পুরনো ঢাকায়, জনঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ড্যাপে ফার কম রাখা হয়েছে, ফলে এসব এলাকায় কম ফ্লোর স্পেসের বাড়ি বানাতে হবে।
মোটামুটিভাবে এই হচ্ছে ড্যাপ, অর্থাৎ ডিএমডিপি নামে রাজউক ঢাকা শহরের জন্য চল্লিশ বছর (১৯৯৫-২০৩৫) সময় কালের যে মহাপরিকল্পনা করেছে তার সার অংশ। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উপায় হিসেবে বাড়ির ফ্লোর সংখ্যা ও ফ্ল্যাট সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার বিধিমালা তৈরি করেছে রাজউক। কিন্তু এলাকায় নাগরিক সুবিধা বাড়ানো, বা বিকেন্দ্রীকরণের কোনো কার্যক্রম করছে না।
দুই
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ক্রমশই রাজধানীকে অবনতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অন্য অবনতি ছাড়াও, আক্ষরিক অর্থেই ঢাকার ভূমির অবনতি হচ্ছে বছরে ১০.৪১ মি.মি. করে, বিপুল জনগোষ্ঠীর জন্য ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করা এবং তা রিচার্জ না হবার কারণে। ঢাকার ভূমি অবনমন
রাজউক এত বছর ধরে কী করেছে? রাজউকের আওতাধীন এলাকায় ভবন নির্মাণের জন্য ছাড়পত্র দেয়া, নকশা অনুমোদন, নির্মাণের বিভিন্ন স্তরে তদারকি করা ইত্যাদি এবং আবাসিক এলাকা তৈরি করা ও প্লট- ফ্ল্যাট বিক্রি। গত ত্রিশ বছরে রাজউক তিনটা আবাসিক প্রকল্প করেছে, উত্তরা থার্ড ফেজ, পূর্বাচল এবং ঝিলমিল। আগের আবাসিক এলাকাগুলো (ধানমন্ডি ইত্যাদি) মোটামুটি পাঁচ ছয় বছরের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যেতো, কিন্তু এখন একটা আবাসিক এলাকা বসতি স্থাপন উপযোগী করতে রাজউক কমবেশি ২০ বছর সময় নেয়। উত্তরা থার্ড ফেজের কথা ধরি। প্লট বরাদ্দ দেবার জন্য আবেদন নেয়া হয় ২০০১ এবং পরে আবার ২০০৩ সালে, বরাদ্দ দেয়া হয় ২০০৭ সালে। তারপর প্লটের সীমানা নির্ধারণ এবং রাস্তা নির্মাণ করে বাড়ি বানানোর উপযোগী করেছে ২০২০/২০২১ সাল নাগাদ, অর্থাৎ প্রকল্প শুরুর ২০ বছর পর। এখনো এই এলাকায় জনবসতি গড়ে ওঠেনি। যদি রাজউক আরও সক্রিয় হতো, তাহলে পূর্বাচল, উত্তরা থার্ড ফেজ, ঝিলমিল এলাকা স্যাটেলাইট টাউন হিসেবে গড়ে উঠতো এবং ঢাকার উপর চাপ কম হতো।
দেখে মনে হচ্ছে সব কাজ ডিজিটাল পদ্ধতিতে হয়, আসলে ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হয়না।
রাজউক উন্নয়নের বদলে যেভাবে অবনতি করছে:
১) বায়ু দূষণ: রাজধানীর বায়ু দূষণের দায় অনেকটাই রাজউকের। বিভিন্ন নির্মাণকাজের সময় সিমেন্ট, বালি, ও অন্যান্য উপকরণের ধূলা বাতাসে মিশে দূষণ বৃদ্ধি করে। নির্মাণ সামগ্রী যাতে খোলা জায়গায় না থাকে তদারকি করা রাজউকের দায়িত্ব, রাজউক তা করে না।
২) জলাবদ্ধতা: রাজধানীতে জলাবদ্ধতাও অনেকটা রাজউকের গাফিলতির কারণে। ড্যাপে রাজউক ঢাকার আশেপাশের নিম্ন ভূমিকে জলাধার হিসেবে সংরক্ষণ করার বিধিমালা তৈরি করেছে অথচ সেই ভূমি ভরাট করে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিরা ভূমি ব্যবসা করছে। রাজউক তা নিয়ন্ত্রণ করছে না।
৩) তাপমাত্রা বাড়ানো: গরমকালে রাজধানীর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার একটা কারণ কাঁচ দিয়ে আবৃত বাড়ি। ঢাকার অধিকাংশ বানিজ্যিক ভবন দেখা যায় কাঁচ দিয়ে আবৃত, কারণ এই ধরনের ভবন নির্মাণে তুলনামূলকভাবে কম খরচ হয় এবং সময় কম লাগে। কিন্তু এই ভবনগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের বহুল ব্যবহার করতে হয়, ফলে ভবনের বাইরে গরম বেড়ে যায়।
৪) অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি: আবাসিক এবং বানিজ্যিক ভবনগুলোর ৬৬ শতাংশ অগ্নি নিরাপত্তার বিধান মেনে তৈরি হয় না। অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে রাজুকের বিধি-বিধান আছে এইখানে view this link
অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে আছে ঢাকার দুই তৃতীয়াংশ ভবন।
৫) ভূমিকম্পে ধসে যাবার মতো বাড়ির অনুমোদন: আজকাল মাঝে মাঝেই মৃদু ভূমিকম্প হচ্ছে। একটু বেশি মাত্রার ভূমিকম্প হলে কতগুলো বাড়ি টিকে থাকবে সেই হিসেবে যেতে ইচ্ছা করছে না!
রাজউকের ইমারত নির্মাণ বিধিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এত ভবন নির্মাণ হচ্ছে, সেসব কি রাজউক দেখছে না? অবশ্যই দেখছে। কিন্তু "যত অনিয়ম তত আয়", রাজউক এই তত্ত্বে বিশ্বাসী।
তিন
ঢাকা শহরের জমি উচ্চমূল্যের, রাজউক ক্ষমতাসীনদের জন্য প্লট উপহার দেয় কোন নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে। নিয়ম আছে রাজউকের প্লট বা বাড়ি যিনি একবার পেয়েছেন, তিনি দ্বিতীয়বার আর রাজউক থেকে কিছু পেতে পারেন না। রাজউক শেখ রেহানাকে গুলশানে একটি বাড়ি দেবার পর আবার পূর্বাচলে ১০ কাঠা জমি দিয়েছে। পত্রিকার শিরোনাম: রাজউকের সহায়তায় অনুগত ও তোষামোদকারীদের ৮৩০ প্লট উপহার দেন হাসিনা। view this linkএভাবে প্রভাবশালীদের আদেশ অনুযায়ী বিধি বহির্ভূতভাবে প্লট দেয়ার মাধ্যমে রাজউকের কর্মকর্তারা নিজেদের জন্য নানা সুবিধা আদায় করে নেন। রাজধানীর উন্নয়ন নয়, বরং একে খুবলে খাওয়াই রাজউকে কর্মরত সকলের কাজ। এখানকার পিয়নরাও সবাই কোটিপতি (চারশো কোটিপতি কিনা জানিনা অবশ্য)! সামান্যতম কাজও রাজউকে ঘুষ ছাড়া করা যায়না। এভাবে ঘুষের বিনিময়ে অবৈধকে বৈধতা দিয়ে দিনে দিনে এই রাজধানীকে বসবাসের জন্য অসুবিধাজনক, বিপজ্জনক এবং অস্বাস্থ্যকর করে তুলছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০৬
করুণাধারা বলেছেন: স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিটা সরকারই ছিল হয় চোর, নয়তো অদক্ষ অথবা এই দুইটার সংমিশ্রণ। আসল কাজে সদিচ্ছার অভাব আর অকাজে অতি-আগ্রহী। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। ঢাকা তিলোত্তমা হওয়ার বদলে হয়েছে ময়লার ভাগাড়, বসবাসের অযোগ্য আর দূষণের রাজধানী। কোন সরকারেরই কোন বাস্তবায়নযোগ্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নাই।
আরেকটু যোগ করি, যখন যারা ক্ষমতায় এসেছে তাঁরা কেউ ঢাকাকে ভালোবাসেননি, তাই রাজউককে ঢাকার উন্নয়নের কাজে নিয়োজিত না করে ব্যবহার করেছেন প্লট পাবার মাধ্যম হিসেবে।
তবে একসময়ে দেখবেন এটা হবে কংক্রীটের জন্জাল।
কংক্রিটের জঞ্জালইতো বানানো হবে, কারণ এতে দফায় দফায় টাকা বানানো যায়। পার্ক কেন বানাবে!! কংক্রিটের জঞ্জাল বানিয়ে এতো লাভ হবে যে সেটা দিয়ে বিদেশের সুন্দর সুন্দর পার্কে ঘুরে আসা যাবে।
পুরান ঢাকায় কত সুন্দর বাড়ি ছিল। ঐতিহ্যের নিদর্শন হিসেবে এগুলো রেখে দেয়া যেতো, তা না করে সেগুলো ভেঙ্গে নতুন দালান উঠছে, কারণ যত বেশি নির্মাণ তত বেশি লাভ! হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে যে সাকুরা বিল্ডিং ছিল সেটা ভেঙ্গে এখন বহুতল বাণিজ্যিক ভবন হবে। মন খারাপ হয়, চেনা সবকিছু হারিয়ে যাচ্ছে।
পার্কের কথায় মনে পড়লো, শিশু পার্ক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, কারণ এটা শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান!
যে লিংকটা দিয়েছি সেটা দেখেছেন? দশ কাঠা করে ৮৩০ প্লট, ৮৩০০ কাঠা। প্রতি কাঠার দাম এক কোটি করে এর দাম ৮৩০০ কোটি টাকা!! দেশট তোমার বাপের নাকি গানের কথা মনে পড়ছে! এর সাথে ষাট কাঠার দাম যোগ করলেই কী, না করলেই কী!
প্রথম স্থান দখল করায় অভিনন্দন!
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৪৫
খাঁজা বাবা বলেছেন: অতি গুরুত্বপূর্ন বিষয়
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:১১
করুণাধারা বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে দেখে ভালো লাগছে খাঁজা বাবা!
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য, এবং লাইক দেবার জন্য। আসলেই এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ছয়জনের নামে ৬০ কাঠা জমি নিয়ে হইচই হচ্ছে, অথচ ৮৩০ জনের নামে ৮৩০০ কাঠা নিয়ে কোনো কথা নেই। এখানে কত মানুষের জন্য রাজউক ফ্ল্যাট বানাতে পারতো!!
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:২১
প্রামানিক বলেছেন: এতোদিন জনগণকে বাঁশ দিয়েছে এখন রাস্তায় বাঁশ দেয়
২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:১৩
করুণাধারা বলেছেন: এতোদিন জনগণকে বাঁশ দিয়েছে এখন রাস্তায় বাঁশ দেয়
আপনার মন্তব্য পড়ে খুব হাসলাম! এভাবে ভেবে দেখিনি। ভালো বলেছেন।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:৫৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: ভেবেছিলাম জুলাই -অগাস্ট বিপ্লবের পর আওয়ামি আমলের যাবতীয় দুষ্কর্মের অবসান হবে । কিন্তু হায় যা শুনতে পারছি তাতো ভয়াবহ। প্রসাষন, পুলিশ, বিচারবিভাগ সর্বত্রই এখনও আগের মতই। পুরা মাত্রায় চলছে দুর্নীতি ও ঘুষ। যেসব উপদেষ্টাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারা বেশিরভাগই নিরীহ ও অপদার্থ টাইপ। কোন প্রকার একশন নেবার কোণ ক্ষমতাই এদের নাই। নাহিদ ইসলাম , আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলম আর সইতে না পেরে এবার মুখ খোলা শুরু করেছে।নাহিদ স্পষ্ট করে বলেছে যে, সরকার গঠনের আগেই ৬ আগস্ট অ্যাটর্নি জেনারেল এবং পুলিশের আগের আইজির নিয়োগ হয়েছিল- যারা মূলত বিএনপির লোক। এরকমভাবে সরকারের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত নানান স্তরে বিএনপিপন্থি লোকজন রয়েছে। ।
দেশের বর্তমান নাজুক আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রমান করছে যে, সব ক্ষেত্রে চেহারাই পালটেছে কেবল কিন্তু পাল্টায়নি গলে পচে যাওয়া সিস্টেম। বিএনপি ক্ষমতায় যাবার আগেই বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তারা আওয়ামিলীগের চেহারাতেই ফিরবে!!!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৪৫
করুণাধারা বলেছেন: প্রশাসন এবং পুলিশ, যারা আওয়ামী সরকারের সমস্ত দুষ্কর্মের হাতিয়ার ছিল, তাদের হাতে রাখতে আওয়ামী লীগ তাদের নানাভাবে কোটি কোটি টাকা উপার্জনের সুযোগ দিয়েছিল। এরা এখনো, এই সরকারেও, নিজেদের পদে বহাল আছে, এবং এদের দ্বারাই সরকার পরিচালিত হচ্ছে। এরা দেশের উন্নতির কথা না ভেবে নিজেদের স্বার্থ দেখছে। এতদিন পার হয়ে গেল, এখন পর্যন্ত একটা পদক্ষেপ দেখতে পেলাম না যা জনজীবনে স্বস্তি আনতে পারে। সরকারি অফিসগুলো ঠিক আগের মতই ঘুষের বিনিময়ে কাজ করছে।
বিএনপি দুর্নীতি করতে পারে আওয়ামী লীগের মতো, কিন্তু গুম খুনের মত যেসব অপরাধ আওয়ামী লীগ সর্বদা সেসব এভাবে করবে না। দেখা যাক কি হয়। আমি খুব হতাশা নিয়ে সামনের দিনগুলোর দিকে তাকিয়ে আছি।
৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৩৫
শায়মা বলেছেন: আপুনি তুমি তো সিভিল ইঞ্জিনীয়ার না ?
এতকিছু বদলাচ্ছে এবার রাজউককেও বদলায় দেওয়া হোক।
অনেক দেশেই পুরোনো ঐতিহ্য নষ্ট করে না আর আমাদের এখানে কি হয়?
সব ভাঙ্গো চুরো ....... নতুন কিছু পাগলামী করো .......
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: তুমি তো ভালোই গোয়েন্দাগিরি করতে পারো! আমিও এই কাজটা করতে পারি বেশ ভালোভাব। চলো দুজন মিলে একটি গোয়েন্দাগিরির অফিস খুলে ফেলি।
এতকিছু বদলাচ্ছে এবার রাজউককেও বদলায় দেওয়া হোক।
আসলে তো কিছু বদলায়নি, আগের কাপে রঙ চায়ের বদলে এখন দুধ চা দেয়া হচ্ছে।
রাজউককে যদি বদলে দেওয়া যেত, তবে ঢাকা শহরের চেহারা বদলে যেত। রাজউকে এখন নগর উন্নয়ন সম্পর্কিত সমস্ত সিদ্ধান্ত নেন আমলারা, যাদের এ সম্পর্কিত কোন জ্ঞান নাই। বুয়েট সহ দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে urban and regional planning নামে একটি বিভাগ আছে, এই বিভাগের থেকে যারা পড়াশোনা করেছে তাদেরকে রাজউকে নিয়োগ দিলে ভালো কাজ করতে পারত, ঢাকার ঐতিহ্য বজায় রেখে সুন্দর একটা একটা শহর পরিকল্পনা করতে পারত। কিছু আর্কিটেক্টদের নিয়োগ দিলে তারা কাঁচের বাক্স সদৃশ্য ভবনগুলোর বদলে পরিবেশের জন্য ভালো হয় এমন বিল্ডিং ডিজাইন করতে পারত।
কিন্তু হায় !এসব কিছুই হয় না! সবাই শুধু টাকা কামানোর ধান্দা করছে...
৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫৩
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: প্রতিটি পদে পদে অনিয়ম! এই দেশ চলবে কীকরে?!
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: অনিয়ম তো চলছেই... সব জায়গায়! কতবার শুনলাম গণপরিবহন নিয়মের মধ্যে আনা হবে, কিছুদিন আগেও শুনলাম ঢাকায় চলাচলকারী সব বাসগুলো এক কোম্পানির অধীনে চলবে, মানুষের ভোগান্তি কমবে, কোথায় কি!! অন্তত বাসগুলোর এলোপাতাড়ি চলা আর যেখানে সেখানে থেমে মানুষ তোলাটা যদি বন্ধ করতে পারতো!
৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৯
অপু তানভীর বলেছেন: ঢাকা ছেড়ে পালানো ছাড়া আর কোন উপায় নেই। এটাই একমাত্র উপায় ।
অফট: আপনার মেইল এড্রেস দিতে বলেছিলাম।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫
করুণাধারা বলেছেন: আসলেই পালাতে হবে। অল্প জায়গায় অনেক মানুষের বসবাস, এ অবস্থা চলতে থাকলে কয়েক বছর পর পানি আর পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে, ঢাকার তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে, বায়ু দূষণ আর শব্দ দূষণ বাড়বে। তখন ঢাকা ছেড়ে পালাতে হবে।
মেইলে এড্রেস কোন এড্রেসে দেব? আমি এই পাবলিক প্লেসে দিতে চাই না। যেহেতু আমার একটামাত্র এড্রেস আছে। তাছাড়া আমি তো অন্তরালে থাকা মানুষ, সাক্ষাৎকার দিতে ভয় পাই।
৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:০৫
আখেনাটেন বলেছেন: ঢাকা নগরীকে তিলে তিলে মেরে ফেলা হয়েছে অপরিকল্পনা, অদূরদর্শিতা ও অব্যবস্থাপনার মাধ্যমে। চিন্তা করুন, প্রায় ৪/৫ হাজার একর জায়গা নিয়ে একটি আবাসিক এলাকা 'বসুন্ধরা'। অথচ এখানে না আছে কোনো বলার মতো পাবলিক পার্ক কিংবা লেক/জলাশয়। অথচ পুরো এলাকাটা জলাভূমি ছিল একসময়। কীভাবে ঘটল এমন? কেইবা এগুলোতে সায় দিয়েছে।
এতদিনের উন্নয়নের থলের বিড়াল বের হচ্ছে নানাদিক থেকে এখন। উন্নয়ন যদি টেকসই না হয়, তা যতই ঢাকঢোল পিটে জানানো হোক, তার কংকাল একদিন বের হবেই। শুধু দেশের মাথারা যদি বুঝত এসব! একজন ত নেংটি তুলে পালিয়ে বেঁচে গেছে মনে হচ্ছে। এখন সামনে যারা আসবেন তারা কিভাবে এ অরাজকতা সামাল দেন এর উপর দেশের অনেক কিছু নির্ভর করছে।
৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:১০
শায়মা বলেছেন: আপুনি রাজউককে বদলালে তো আবার সব ভেঙ্গে চুরে নতুন করে গড়তে আমাদের ভবলীলা সাঙ্গ হয়ে যাবে।
কাঁচ বদলে পাত্থর দেবে কিনা তাতেই বা কি নিশ্চয়তা!!!
তাই মন্দের ভালো রাজউক টিকে আছে দিনের পর দিন যুগের পর যুগ আর তাতেই বাড় বেড়েছে আর কি উনি ধরা ছোয়ার বাইরে চলে গেছেন। হনুগিরি সিন্ড্রোম ......
যাইহোক আপুনি এসব গোয়েন্দাগিরির রেজাল্ট হইলো আমার পুরান দিনের কাজ কর্মের ফল। এখন তো মরারও টাইম নাই। কোথায় গোয়েন্দা আর কোথায় আমি এবং আমি
১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩৪
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: বিস্তারিত অনেক জানলাম ।
১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
আরোগ্য বলেছেন: বর্তমান পৃথিবীর মানুষ হিংস্র আর স্বার্থান্বেষী। কার ঘাড়ে পা দিয়ে কে উপরে উঠতে পারে, সেই ঘাড় তার ভার সইতে পারবে কিনা তা পরিমাপ করার সময় কই?
নতুন সরকার আসার পর ভেবেছিলাম আমাদের পুরান ঢাকার দিকে নকর দিবে কিন্তু আমরা সবসময়ই অবহেলিত। তারপরও আশায় বুক বাঁধে।
১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যে ব্রিটিশ নাগরিকরা ঢাকার মহা পরিকল্পনায় সহায়তা করিয়াছিলেন। উহারা এখন বাঁচিয়া থাকিলে এবং ঢাকা শহরকে দেখিলে হার্ট অ্যাটাক করিয়া মারা যাইতেন অথবা আত্মহত্যা করিতেন।
উহারা (রাজউক) আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প এলাকা এবং সবুজ অঞ্চল পৃথক না করিয়া একটার সহিত আরেকটাকে মিশাইয়া ফেলিয়াছে।
রাস্তা, ফুটপাথ আর পাবলিক ট্রান্সপোর্ট জনসংখ্যার তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল।
পানি, বিদ্যুৎ আর গ্যাসের বড়ই আকাল ঢাকা শহরে।
ঢাকাতে শুনেছি এক কালে শতাধিক খাল ছিল। যেমন সেগুনবাগিচা খাল, মহাখালি খাল, বাসাবো খাল, বেগুনবারি খাল, কল্যাণপুর খাল ইত্যাদি। উহারা কোথায় হারাইয়া গেল।
জনসংখ্যার অনুপাতে ভবন নির্মাণ হয়তো হচ্ছে। কিন্তু নাগরিক সুবিধা এবং বিকেন্দ্রীকরণ হচ্ছে না।
আমার মতে রাজধানী স্থানান্তর ছাড়া ঢাকাকে বাঁচানো যাবে না। ঢাকার লোক সংখ্যা হয়তো অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের চেয়েও বেশী। ইউরোপের অনেক দেশের লোক সংখ্যা ঢাকার চেয়ে কম।
রাজউকের আবাসিক প্রকল্পগুলি সঠিক সময়ে শেষ হলে শহরের উপরে চাপ কমতো।
বায়ু দূষণে আমরা প্রায়ই ১ম, ২য় বা ৩য় হই।
বেশ কিছু বড় অগ্নিকান্ড ঢাকাতে হয়েছে। তারপরেও আমাদের হুশ নাই। ঢাকায় যদি বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয় তাহলে লক্ষ লক্ষ্ মানুষ মারা যাবে।
ঢাকাতে অনেক ক্ষেত্রেই একই ব্যক্তি একাধিক জমি বা প্লট পাচ্ছে।
আসলে শেখ রেহানাকে দুই জায়গায় জমি আর ফ্লাট না দিয়ে গুলশানের ১০ কাঠা জমির উপরে একটা বহুতল বাড়ি বানিয়ে দেয়া উচিত ছিল।
শেখ হাসিনা তার তোষামোদকারীদের লন্ডনে বা কানাডায় ফ্ল্যাট উপহার দিলে ঢাকার উপরে চাপ কমতো।
ঢাকা বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে গেছে আরও অন্তত ৩০ বছর আগে থেকে। এই কারণে আমি ঢাকায় থাকি না। আমার স্ত্রী বলার পরেও থাকি না।
পোস্ট খুব ভালো লাগলো। আপনি মনে হয় আগে রাজউকে চাকরী করতেন। তা না হলে হাড়ির খবর কিভাবে জানলেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্বাধীনতার পর থেকে প্রতিটা সরকারই ছিল হয় চোর, নয়তো অদক্ষ অথবা এই দুইটার সংমিশ্রণ। আসল কাজে সদিচ্ছার অভাব আর অকাজে অতি-আগ্রহী। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। ঢাকা তিলোত্তমা হওয়ার বদলে হয়েছে ময়লার ভাগাড়, বসবাসের অযোগ্য আর দূষণের রাজধানী। কোন সরকারেরই কোন বাস্তবায়নযোগ্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নাই।
যেমন মনে করেন, পুরানো ঢাকার জেলখানা এখন আর নাই। এটাকে একটা পার্কে রুপান্তরিত করলে পুরানো ঢাকার ফুসফুস হিসাবে কাজ করতো। তবে একসময়ে দেখবেন এটা হবে কংক্রীটের জন্জাল। এমন হাজারো উদাহরন আছে নতুন-পুরাতন ঢাকায়।
দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলা ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নাই।