![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মধ্যবিত্তের তথাকথিত ভদ্দরনোকি আমার মধ্যে নাই। আমি কটূবাক্য বর্ষণ করতে পছন্দ করি। আমার কোনো পোস্টে মন্তব্য দেওয়ার সময় দ্বিতীয়বার চিন্তা করার আহবান জানাই। অবান্তর মন্তব্য করে আমাকে কটূশব্দ ও বাক্য টাইপ করতে বাধ্য করবেন না। আমার কাছে ভদ্দরনোক শব্দের অর্থ হলো আপোষকামী। মধ্যবিত্ত শ্রেনীটিকে আপোষ করে চলতে গিয়ে ভদ্দরনোক হতে হয়। এই শ্রেণীর অংশ হিসেবে বাধ্য হয়ে সমাজে আমাকেও আপোষ করে চলতে হয়। তাই আমি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অন্য পরাজিতদের মধ্যে একজন, যারা আপোষকামী নয়, কিন্তু বাধ্য হয়ে যাদেরকে আপোষ করে চলতে হয়।
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর 'সাহিত্যিকের মৃত্যু এবং আমাদের গদগদে আবেগ' শিরোনামে একটি গদ্য রচনা করেছিলাম। আজ গদ্যটি স্মরণ করছি। যারা পড়েননি তাদের পড়ার আহবান জানাই। প্রাসাঙ্গিক হওয়ায় রিপোস্ট মেরে দিলাম।
Click This Link
২০ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: বিরুপ কোনো মনোভাব নেই। তাঁর মূল্যায়নটা অতিরিক্ত হয়ে যায়। এবং আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় বহু পাঠককে হুমায়ূনীয় সাহিত্যে বন্দী হতে দেখেছি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যখন দেখি হুমায়ূন আজাদ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আহমদ ছফা, শরীফ.......দের মতো সাহিত্যিকদের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁদের নিয়ে ব্লগে লেখার লোক কম তখন মনে বড় বেদনাবোধ করি। এটা কাম্য নয়। হুমায়ূন আহমেদের নিয়ে বাড়াবাড়িও কাম্য নয়। যার যা মূল্যায়ন তাই হওয়া উচিত। পাঠকদের সচেতনতার জন্যই আমি ওই লেখাটি মেরে দেই। হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে আমার লেখাটির যৌক্তিক সমালোচনা আপনি করতে পারবেন না। এটা আপনাকে আমি চ্যালেঞ্জ দিতে পারি।
২০ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: বিরুপ কোনো মনোভাব নেই। তাঁর মূল্যায়নটা অতিরিক্ত হয়ে যায়। এবং আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় বহু পাঠককে হুমায়ূনীয় সাহিত্যে বন্দী হতে দেখেছি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। যখন দেখি হুমায়ূন আজাদ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আহমদ ছফা, শরীফ.......দের মতো সাহিত্যিকদের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁদের নিয়ে ব্লগে লেখার লোক কম তখন মনে বড় বেদনাবোধ করি। এটা কাম্য নয়। হুমায়ূন আহমেদের নিয়ে বাড়াবাড়িও কাম্য নয়। যার যা মূল্যায়ন তাই হওয়া উচিত। পাঠকদের সচেতনতার জন্যই আমি ওই লেখাটি মেরে দেই। হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে আমার লেখাটির যৌক্তিক সমালোচনা আপনি করতে পারবেন না। এটা আপনাকে আমি চ্যালেঞ্জ দিতে পারি।
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৩৭
সাদরিল বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ আমাদের সময়ের লেখক। সমসাময়িক জনপ্রয় লেখকের ক্ষেত্রে আবেগটা একটু বেশি থাকাই স্বাভাবিক।তাছাড়া তিনি জনপ্রিয় হওয়ায় মিডিয়াও তাকে নিয়ে নানা সংবাদ প্রচার করে ফলে আবেগটা বেশী ধরা পড়ে। হুমায়ুনের আগে যে সকল সাহিত্যিকেরা এসেছিলেন তাদের সময়ে এতো মিডিয়া কভারেজ ছিলো না।
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৩
রাজিব বলেছেন: হুমায়ূন আজাদ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আহমদ ছফা, শরীফ.......দের মতো সাহিত্যিকদের লেখা পড়ার মত পাঠক বাংলাদেশে বরাবরই কম আর যারা পড়েন তাদের অনেকেই ব্লগে আসেন না এটাই সত্য। আমি নিজেও আপনার মত হুমায়ূন আহমেদের ভক্ত নই কিন্তু তারপরও তাঁর কাছে ঋণী মনে করি। বাংলা প্রকাশনা শিল্পকে হুমায়ূন আহমেদ একাই টেনে তুলেছেন। ছোট বেলায় মানে ১৯৮০ এর দশকে ভারতীয় বইয়ের দাপট দেখেছি কিন্তু ৯০ এর দশকে এসে হুমায়ূন আহমেদের দাপট দেখতে পেলাম।
হুমায়ুন আহমেদের লেখা পড়ে যারা আটকে থাকেন তাদের দৌড় মাসুদ রানার বাইরে বোধহয় কোন দিন যেত না। তাই এজন্য তাদের নিয়ে আমার খুব একটা আক্ষেপ নেই। আপনি কি মনে করেন হুমায়ূন আহমেদের বই না পড়লে তারা আহমেদ শরীফের ভক্ত হতো? আমি তা মনে করি না।
হুমায়ূন আহমেদ আরেকটা অসাধারণ কাজ করেছিলেন- অসংখ্য জনপ্রিয় টিভি নাটক লিখেছিলেন। তাই তাঁর কাছে আমাদের কিছুটা হলেও ঋণ আছে। তাঁর ভক্তরা আবেগ দেখান সমস্যা নেই। বরং তাঁর ভক্তদের দেখে আমরা সে ধরনের সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মত লেখকদের দেখাতে শিখতে পারলে ভালই হতো।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৫
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: সাহিত্যের আলোচনায় কে প্রকাশনা শিল্পকে টেনে তুললো সেটা প্রাসঙ্গিক নয়। কোনো সাহিত্যিক কি প্রকাশনা শিল্প বাঁচলো কি মরলো সেটা বিবেচনা করে শিল্প সৃষ্টি করেন?
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৩৫
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: প্রতি বছর হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যু বা জন্মদিনে আপনি হাজির হন। আপনার লেখা দেখে মনে হয় এই সাহিত্যিকের প্রতি আপনার বিশেষ নেতিবাচক ধারনা আছে।
আপনাকে দেখে তাই এবার আমিও হাজির হলাম আপনার ব্লগে। নিশ্চয় ভালো আছেন তবে এই সাহিত্যকের প্রতি বিরূপ মনোভাবটা দেখছি এখনও আছে।
ভালো থাকবেন।