![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মধ্যবিত্তের তথাকথিত ভদ্দরনোকি আমার মধ্যে নাই। আমি কটূবাক্য বর্ষণ করতে পছন্দ করি। আমার কোনো পোস্টে মন্তব্য দেওয়ার সময় দ্বিতীয়বার চিন্তা করার আহবান জানাই। অবান্তর মন্তব্য করে আমাকে কটূশব্দ ও বাক্য টাইপ করতে বাধ্য করবেন না। আমার কাছে ভদ্দরনোক শব্দের অর্থ হলো আপোষকামী। মধ্যবিত্ত শ্রেনীটিকে আপোষ করে চলতে গিয়ে ভদ্দরনোক হতে হয়। এই শ্রেণীর অংশ হিসেবে বাধ্য হয়ে সমাজে আমাকেও আপোষ করে চলতে হয়। তাই আমি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অন্য পরাজিতদের মধ্যে একজন, যারা আপোষকামী নয়, কিন্তু বাধ্য হয়ে যাদেরকে আপোষ করে চলতে হয়।
গাঁজা সেবনে আইনি বিধি-নিষেধ থাকলেও ‘বিশেষ অবস্থায়’ এর চাষের পক্ষে রায় দিয়েছে জার্মানির একটি আদালত।
‘বিশেষ অবস্থা’ বলতে আদালত দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথায় যারা ভুগছেন শুধু তাদের কথাই বলেছে।
সম্প্রতি দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথার কারণ দেখিয়ে পাঁচ ব্যক্তি জার্মানির ‘ফেডারেল ইনস্টিটিউট ফর ড্রাগস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেসে’ নিজ বাসায় গাঁজা চাষের অনুমতির আবেদন করেন। তবে সংস্থাটি তা নাকচ করে দেয়।
এর পরই জার্মানির কোলন আদালতের শরণাপণ্ন হন ওই আবেদনকারীরা।
আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, ব্যবস্থাপত্রে তাদের গাঁজা সেবনের অনুমোদন রয়েছে। তবে অতিরিক্ত দাম হওয়ায় তা কেনার সাধ্য তাদের নেই। তাছাড়া তাদের স্বাস্থ্যবীমায় বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত নয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে রুলে আদালত ফেডারেল ইনস্টিটিউট ফর ড্রাগস অ্যান্ড মেডিকেল ডিভাইসেসকে আবেদন পুনর্বিবেচনা করতে বলে।
মঙ্গলবার রায়ের পর জার্মানির ওই আদালতের মুখপাত্র স্টেফান সেফার্ট বলেন, “যদিও এখন পর্যন্ত গাঁজা চাষে কারো অনুমতি নেই, তারপরও শুধুমাত্র দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথার রোগীরা নিজেদের জন্য তা চাষ করতে পারবেন।”
আমার বক্তব্য: নিউজটি দেখে অনেক সুশীল বাঙালীই ভাবতে পারেন, জার্মান আদালত বোধ হয় পাগল হয়ে গেছেন। এটা যারা ভাবছেন সমস্যাটা তাঁদেরই। সন্দেহপ্রবণ সুশীল-বাঙালীরই সমস্যা। ব্যথানাশক অ্যালোপ্যাথি ওষুধের তীব্র পাশ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। অতিরিক্ত পেইন কিলার খাওয়ায় কিডনি আক্রান্ত হয়ে আমার এক আত্মীয়কে মরতে দেখেছি। অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়ে মারা যেতে সুশীল বাঙালীর আপত্তি নাই। ওই বস্তুতেই আপত্তি।
ওয়াশিংটনে গাজার চাষের অনুমতি দেওয়া সংক্রান্ত খবর শুনে অনেক সুশীল ছাগলকে হাসাহাসি করতে দেখেছি। ওই সুশীল–ছাগলেরা ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বোধ হয় পাগল। উহারা যে গবেষণায় ও জ্ঞান বিজ্ঞানে এক শ বছর এগিয়ে তা এই ছাগলেরা বোঝে না। যুক্তরাষ্ট্রে গাজার বীচি থেকে তেল বানায় যাকে বলা হয় 'হ্যাশ ওয়েল' ডিসপেনসারিতে ওই তেল পাওয়া যায়। ওই তেল পেলে আমি আমার মাকে খাওয়াইতাম ব্যথানাশক হিসেবে। চিকিৎসার প্রয়োজনে বাংলাদেশের আদালতের উচিত একে বৈধতা দেওয়া । গাজার নেতিবাচক দিকটা শুধুই মানসিক। এ বিষয়ে আমি পরে একটি বিস্তারিত গদ্য রচনা করবো।
নিউজটির লিংক Click This Link
২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:৫১
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: বিষয়টা মজার নয়। মেডিকেল ইউজের বিষয়টা নিয়ে
বাঙালীকেও সিরিয়াসলি ভাবতে হবে।
২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:০৯
সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: বাঙালি তো ভাববেই তবে সেটা টানার জন্য এবং সিরিয়াসলিই!
বাঙালি সব ব্যাপারে সবসময়ে সিরিয়াস থাকে। সেটা হোক জামবাগ খাওয়ায় বা টিকটিকির ল্যাঞ্জায়।
আর প্রেসক্রিপশন সে তো মোরে মোরে পাওয়া যায়।
মনে হইতাছে সামনে বাঙালির ব্যথার রোগ বাইরা যাইবো !!!
২৬ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: দেখুন, নিষিদ্ধ করে কোনো নেশা ঠেকানো যায়নি, যায়ও না। বিয়ার অনেক মুদির দোকানেও পাওয়া যায়, চার–পাঁচটা মেরে দিলে কাজও হয়ে যায় না। অথচ বাঙালী বিয়ার ওইভাবে খায় না। খায় হলো ফেনসিডিল। কাজেই ওটা নিয়ে মাথা ঘামায়া লাভ নাই। ক্যালিফোর্নিয়াতেও বিনোদন বা নেশার ব্যবহার হিসেবে গঞ্জিকা সেবন করা হয়ে থাকে।
৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৭
শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের দেশে শুধু রপ্তানির জন্য গাজা চাষের অনুমোদন দেওয়া হোক । এ দেশের মাটি গাজা চাষের উপযুক্ত এবং গাজার কোয়ালিটিও ভালো হয়।
২৬ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:০১
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: গাজা জিনিসটা এমন যে, সব মাটিতেই হয়। দুনিয়ার কোনো দেশেই যদি নিষিদ্ধ না হতো তাহলে ওই জিনিস কাওকেই কিনে খাওয়া লাগে না। গাজার যে দাম তা হলো নিষিদ্ধ হওয়ার দাম। বিভিন্ন স্তরে পুলিশের দেওয়া ঘুষের অর্থই গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৮:২১
সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: পৃথিবী দেখি গাঁজাময় হইয়া যাইতেছে!
হল্যান্ডে আগেই চালু ছিল, কানাডায় রাস্তার ভেন্ডিং মেশিনে পাওয়া যাবে, ঐদিকে বলিভিয়া চাষ করার অনুমতি দিয়াছে !!!
সত্যিই সেই দিন আর বেশী দেরী নাই!
ভোম ভোলানাথ !!!