![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মধ্যবিত্তের তথাকথিত ভদ্দরনোকি আমার মধ্যে নাই। আমি কটূবাক্য বর্ষণ করতে পছন্দ করি। আমার কোনো পোস্টে মন্তব্য দেওয়ার সময় দ্বিতীয়বার চিন্তা করার আহবান জানাই। অবান্তর মন্তব্য করে আমাকে কটূশব্দ ও বাক্য টাইপ করতে বাধ্য করবেন না। আমার কাছে ভদ্দরনোক শব্দের অর্থ হলো আপোষকামী। মধ্যবিত্ত শ্রেনীটিকে আপোষ করে চলতে গিয়ে ভদ্দরনোক হতে হয়। এই শ্রেণীর অংশ হিসেবে বাধ্য হয়ে সমাজে আমাকেও আপোষ করে চলতে হয়। তাই আমি মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অন্য পরাজিতদের মধ্যে একজন, যারা আপোষকামী নয়, কিন্তু বাধ্য হয়ে যাদেরকে আপোষ করে চলতে হয়।
আমলনামায় চোখ বুলিয়ে অ্যাঞ্জেলকে উদ্দেশ্যে করে ঈশ্বর: এই অবিশ্বাসী-পাপীকে সোজা নরকে নিক্ষেপ করো।
অবিশ্বাসী: এইডা কোনো কথা কইলা?
কি এমন অপরাধ করছি আমি?
ঈশ্বর: তুই আমার কোনো নির্দেশ মানিস নাই।
অবিশ্বাসী: কোনডা যে তোমার নির্দেশ.......তা তো অহন পর্যন্তও বুঝবার পারলাম না। দুনিয়ায় হাজারটা ধর্ম পাঠাইছিলা তুমি। হাজারটা ধর্মীয় সম্প্রদায় মারামারি-ঠাপাঠাপি করেছে। তুমি যদি মানুষের ভালোই চাইতা, তাইলে এই কাম করতা না।
ঈশ্বর: কস কি রে হালার পুত?
অবিশ্বাসী: ঠিকই তো কইছি। তুমি হাজারটা ধর্ম পাঠাইছো এবং প্রত্যেক ধর্মের অনুসারীদের মনের মধ্যে ঢুকাইছো যে, তাঁদের ধর্মটাই সঠিক, বাকিটা মিথ্যা। ফলে সব সাম্প্রদায় ঔদ্ধত্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সম্প্রদায়ের লোকজন মনে করেছে, নিজের সম্প্রদায়ের লোকেরা ভাই ভাই, বাকিরা চুদির ভাই। এইটা কোনো কথা হইলো? তাইলে তুমি কোনডা মানতে বলতাছো আমারে? সবই তো খারাপ। লালনের গান হোনো নাই? : ‘বেদ বিধি পদ শাস্ত্র কানা............এক কানা কয় আরেক কানারে, চলো এবার ভবো পাড়ে। নিজে কানা পথ চেনে না পরকে ডাকে বারংবার।’
ঈশ্বর: তুই যে সমাজে জন্মেছিস ওই সমাজের লোকজন যে ধর্ম মানতো, সেইটাই মানতিস।
অবিশ্বাসী: ওরকম ধর্ম মানার কোনো মূল্য আছে? দুনিয়াতে হাজার বছর ধরে অনেক মিথ্যাই প্রতিষ্ঠিত ছিল। হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ জানতো, সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে। আমার সমাজ আর পরিবার যদি তোমারে শয়তান বলতে শেখাতো আর আমি যদি তাই মানতাম তাইলে তুমি খুশি হইতা? প্যাগান ধর্মের লোকেরা নাকি শয়তানকে পূজা করতো। ওই ধর্মের অনুসারীদের ঘরে তুমি যে শিশু পাঠাইছো ওই শিশু বড় হয়ে শয়তানকেই পূজা করেছে। ওই শিশুর দোষটা কি?
যাইহোক, এই যে, কিছুক্ষণ আগে কয়েকজনরে স্বর্গে পাঠাইলা, উহারা কোনো মানুষের পর্যায়ে পড়ে? স্বর্গটাকে তো গরু-ছাগলের খোয়ার বানায়া ফেলতাছো। সেটা তোমার রুচি। তোমার রুচির ওপর আমার আস্থা কোনো কালেই ছিল না। গোলাম আযম-নিযামীরেও স্বর্গে পাঠাইলে অবাক হমু না।
ঈশ্বর: স্বর্গে যাদের পাঠাইলাম ওরা মানুষ না? সমস্যা কি ওদের? ওরা তো আমারে মানছে।
অবিশ্বাসী: ওরা যে তোমারে মানছে----ওইটাই তো সমস্যা। জন্মের পর থেকে ওদের সমাজ আর পরিবার বলছে যে, ইশ্বর আছে, ঈশ্বর ভালো, ঈশ্বরের নিয়ম মানতে হবে। তাই ওরা মানছে। ওদের পরিবার-সমাজ যদি বলতো ঈশ্বর নাই বা ঈশ্বর আসলে শয়তান, আর শয়তানই আসলে ঈশ্বর, মহৎ...। ওরা তো তাই-ই মানতো। ওদের তো বিচার বুদ্ধিই নাই্। ওয়ারিশ সূত্রে ওরা আস্তিক ছিল। ওদের কোনো ছিদেম (বিচারবুদ্ধি) নাই। ওরা ছাগল ছাড়া আর কি! দুনিয়াতে এই ছাগলগুলোরে নিয়েই ধর্ম ব্যবসায়ীরা খেলেছে। দুনিয়ায় অশান্তি তৈরি করেছে। ওই ছাগলগুলো ছিল ধর্ম ব্যবসায়ীদের ফুটবল।
তুমি তো দেখছোই, তোমার দেওয়া বহুবিধ ধর্ম দুনিয়ায় অশান্তি সৃষ্টি ছাড়া কোনো কামে আসে নাই। ইউরোপে খ্রিস্টানরা যখন ধর্মীয় শাসনকে লাত্থি মেরেছে তখনই তারা উন্নতি করেছে। দাসপ্রথা বিলুপ্ত করেছে। গির্জা তাতেও বাধা দিয়েছিল। যাইহোক, গির্জা লাত্থি মারার পর ওরা সব নাগরিককে সম্মান দিতে শিখেছে, উন্নত হয়েছে। যদিও সাম্রাজ্যবাদী ওই দেশগুলো অন্য গরিব দেশের জন্য মঙ্গলজনক ছিল না। তাঁরা পশ্চাদপদ ধর্মীয় প্রভাবিত দেশে সাম্রাজ্য বিস্তারের জন্য ধর্মকেই ব্যবহার করেছে। তারাই তালেবান বানিয়েছে নিজেদের স্বার্থে। আবার তালেবানরে সন্ত্রাসীও বানিয়েছে, নিজেদের স্বার্থে। সে অন্য বিষয়। পুঁজিবাদী সাম্রাজ্য বিস্তারের লক্ষ্যে ওই সব দেশের কূট রাজনীতি অন্য দেশের জন্য ক্ষতিকর ছিল। কিন্তু এটা তো মানতেই হবে, ধর্মের বলয় থেকে বের হয়ে উন্নত দেশগুলোর নাগরিকেরা সভ্য হয়েছিল। তারা অন্তত নিজেদের দেশের সব মানুষকে সম্মান করতে শিখেছিল। কিন্তু যে জাতি যত বেশি ধর্মপ্রবণ ছিল ওই জাতি ততো বেশি দুই নম্বর অসৎ ছিল। তা তো তুমি দেখেছোই। লোভ আর ভয় থেকে কখনোই মানুষ নৈতিক হয়নি।
ঈশ্বর (কিছুক্ষণ চিন্তামগ্ন থাকার পর): বুঝলাম। তুই কোনো ধর্ম না-হয় নাই মানলি, আমারে তো মানবি। বিশ্বাস করবি। নাকি?
অবিশ্বাসী: আরে রাখো তোমার মানা। মানা না মানায় কি আসে যায়? আমি কি তোমার হাত-পা ধরে বলেছিলাম, আমারে দুনিয়ায় পাঠাও? আর দুনিয়াতে তোমার ইজারাদারদের (ধার্মিকেরা) কর্মকাণ্ডে মেজাজটাই তো বিগড়ে ছিল। দুনিয়ায় কোনো কর্মকাণ্ডেই তোমার উপস্থিতি দেখি নাই। একটা শিশু পাপ করার আগেই কানাখোড়া হয়ে কেমনে জন্মায়? ওই শিশুর দোষটা কি? ফিলিস্তিনে ইহুদিরা নারী-শিশুসহ বাড়িঘর-মাজার বোমা মেরে তুলা-তুলা বানায়া ফেলাইছিল। কই আছিলা তহন? .....অাঁটি বান্দিতিছিলানি? যাউকগা, তোমার কাছে একটা প্রশ্ন: কোনো লোক যদি খারাপ উদ্দেশ্যে খারাপ কিছু তৈরি করে তবে সে ভালো না খারাপ?
ঈশ্বর: অবশ্যই খারাপ।
অবিশ্বাসী: তাইলে শয়তানরে যে বানাইছে সে কেমন?
ঈশ্বর: তুই একটা বেয়াদব।
অবিশ্বাসী: আমারেও তো নাকি তুমিই বানাইছো? দুনিয়াতে উচিত কথা বলতাম বলে ভণ্ড সব লোকজন আমারে বেয়াদব কইতো। এহন তুমিও যদি ওই একই কথা কও, তাইলে কেমনে হয়?
ঈশ্বর: দুনিয়াতে তুই আমার নামে আজেবাজে কথা বলেছিস।
অবিশ্বাসী: আজেবাজে কথাতো কই নাই। সমালোচনা করেছি। তোমার যে চরিত্রের কথা বিশ্বাসীদের মুখে শুনেছি, তাতে সমালোচনা করাটা স্বাভাবিক না? হাগামোতা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে তোমার মন্ত্র পড়তে হবে। সব সময় তোমার পূজা করতে হবে। এসব কোনো কথা হলো? দুনিয়ায় গেছি কি বাল ছেড়ার জন্য? দুনিয়াটা দেখুম না? অলটাইম তোমার নাম নেওয়া আর পূজো করার কি আছে? এসব ফালতু বিধান দেখেই বোঝা যায়, তোমার মানসিকতা অত্যন্ত নিচুমানের। আদিম যুগের মানুষের মতো।
ঈশ্বর: কস কি?
অবিশ্বাসী: ঠিকই কই। ধরা যাক, কাউরে আমি কোনো জিনিস দিলাম। আর আমি মনে মনে চাইলাম ওই ব্যক্তি সারা জীবন আমার নাম নিক এবং আমার স্তুতি করে যাক। আমি কি তাহলে ছোটলোক মানসিকতার লোক নই? যে মানুষটাকে আমি জিনিসটা দিয়েছিলাম, সে যদি জানতে পারে আমার মানসিকতা এ ধরনের তবে ওই মানুষটার ন্যূনতম ব্যক্তিত্ব থাকলে বলবে, তোর এই বালের জিনিস কি আমি চেয়েছিলাম? নে ধর, ফিরিয়ে দিলাম। তোমার যায়গায় আমি হলে এসবে ধুনফুনের কথা কইতাম না। আমি মানুষরে স্বাধীন বানায়া দিতাম। জন্মের সময়ই কাউরো কানা-খুঁড়া-আন্ধা বানাইতাম না। সব মানুষরে সমান অধিকার দিতাম। আর তুমি, যে কয় খান কেতাব পাঠাইছো, ওই কেতাব শান্তি প্রতিষ্ঠা না করে হাজারটা বিভাজন তৈরি করেছে। তুমি যদি মানুষের শান্তিই চাইতা, তাইলে এমন বাণী পাঠাইতা, যা হতো শ্বাশ্বত, চিরন্তন। এবং সবাই মেনে চলতো।
ঈশ্বর: তাইলে তুই কি কইতে চাস? আমি ভুল করছি?
অবিশ্বাসী: এইডা যদি এহনও না বোঝো, তাইলে কেমনে হয়। তুমি লোভ আর ভয় দেখাইছো। তুমি ক্ষমতার জোরে পূজো আদায় করতে চাও। সম্মান কি জিনিস তাই তো বোঝো না তুমি। আমাকে জানার পর কোনো ব্যক্তির যদি আমাকে পছন্দ হয়, তবে সে মন থেকে সম্মান করবে। ওইটাই প্রকৃত সম্মান। আর আমার ক্ষমতা আছে, তাই ভয়ে কোনো লোক যদি আমারে সম্মান করে তাহলে ওইটা কোনো সম্মান হইলো? তুমি লোভ আর ভয় দেখায়া সম্মান-শ্রদ্ধা এসব আদায় করতে চাইছো।
ঈশ্বর: তার মানে তুই কি বলতে চাস? কেউ আমারে মন থেকে সম্মান করে নাই? ভয় আর লোভ থেকে সম্মান করে?
অবিশ্বাসী: এ ব্যাপারে আমি তোমারে কোনো কথা কইতে চাই না। তবে তোমারেই একটা প্রশ্ন করি: তুমি যদি বলতে, দুনিয়ার পর সব শেষ, আর কোনো হিসাব-নিকাশ থাকবে না। স্বর্গ-নরক বলে কিছু নেই। তারপরও তোরা মানুষেরা যদি আমার কতোগুলো নির্দেশ পালন করিস, তবে আমি খুশি হবো। তাহলে কি তোমার খুশির মূল্য দিত মানুষ?
ঈশ্বর: তোরা (মানুষ) খারাপ। লোভ আর ভয় না দেখাইলে তোরা ঠিক হইতি না।
অবিশ্বাসী: হা...হা...হা....হা...। লোভ আর ভয় দিয়ে মানুষ কি ঠিক হইছিল? বরং দুনিয়াতে মানুষের মনের মধ্যে মারাত্মক লোভ ঢুকাইয়া রাখছিলা। লোভ আর ভয়ই ছিল দুনিয়ার সবচেয়ে খারাপ জিনিস।
ঈশ্বর: কেমনে খারাপ?
অবিশ্বাসী: তুমি কইছো দুনিয়াতে মাল (মদ) খাওয়া হারাম। আর স্বর্গে মালের নদী (সারাবুন তাহুরা) বানায়া রাখছো। এইটা কোনো কথার মতো কথা? আবার তুমি কইছো, দুনিয়াতে অবাধে সেক্স করা যাবে না। অথচ বেহেশতে হুরপরী দিয়া ভইরা রাখছো। এসব কি? তুমি বলতে পারতে কামের চাইতে প্রেম উত্তম.......এই জাতীয় নীতিকথা। তুমি এক মুখে দুই কথা কও। দুনিয়াতে যা খারাপ, পরোকালে তাই ভালো। এক মুখে দুই কথা বলে তুমি মানুষের মনে ঢুকায়া দিছ: মাল খাওয়া এবং সেক্স করাটাই আসলে বিরাট সুখের জিনিস। এর উপরে সুখের কোনো জিনিস নাই। এ কারণেই মনে হয়, আরবের বাদশারা তাদের দেশটাকে বাইজি বাড়ি বানায় ফালাইছিল। তেল বেঁচে মদ আর মাইয়া নিয়ে পইড়া ছিল তারা। অথচ দেহ, নাস্তিক অধ্যুষিত ইউরোপের নাগরিকেরা মাল খাইতো পরিমিত, তাঁরা বুঁদ হয়ে থাকে নাই। আর তোমার পেয়ারের লোভী বান্দারা মাল খাইয়া বুঁদ হয়ে পইড়া আছিল। একদিকে ইহুদিরা ফিলিস্তিনের মানুষরে বোমা মাইরা তুলা-তুলা বানায়া ফেলছিল। আর অন্যদিকে ইহুদিদের সাপ্লাই দেওয়া মদ আর মাইয়া নিয়ে পইড়া ছিল বাইজি বাড়ির বাদশারা। তারা গরীব মুসলিম দেশের শিশু নিয়ে উটের জকি বানায় রাখতো। গরিব মাইয়া নিয়ে তারা কাজের বেটি বানাইতো আর ভোগ করতো। ওইসব গরিব শিশু আর মেয়েদের কি ঈশ্বর ছিল না? তাছাড়া তোমার সৃষ্ট বহুবিধ ধর্ম মানুষের মারাত্মক ক্ষতি করছে। তুমি নিজেই হিসাব করে বের করো তো, ধর্মীয় ও জাতীয়তাবাদী সাম্প্রদায়িকতার কারণে যুগে যুগে দুনিয়ায় কত হানাহানি আর রক্তপাত ঘটেছে? হিন্দু ধর্মের কঠোর নিয়মকানুন এক কালে কতো পতিতা তৈরি করেছে? তোমার পাঠানো বাণীতে লোকজন বিভ্রান্ত হয়েছে, ঠাপাঠাপি করেছে।
ঈশ্বর: মানুষ যদি না বুঝে বিভ্রান্ত হয় তাতে আমার কি দোষ?
অবিশ্বাসী: হা..হা..হা..। তুমি নাকি সর্বশক্তিধর। তুমি মানুষরে শান্তিতে থাকার জন্য যুগে যুগে বাণী পাঠাইছো। অথচ মানুষ ওই বাণীতে বিভ্রান্ত হয়েছে। এটাতো তামার বাণীরই ব্যর্থতা নয় কি?। তুমি কি বুঝতে পারো নাই যে, তোমার বাণীতে ভুল ব্যখ্যার অবকাশ রয়েছে। তোমার বাণীতে ভুল ব্যখ্যার অবকাশ রাখা হলো না কেন? আবার তুমি বাণী পাঠিয়েছে নির্দিষ্ট একটি গোত্রের ভাষায়। সার্বজনীন কোনো ভাষায় নয়। আমি কেন হিব্রু, আরবি, সংস্কৃত পড়তে যাব? তুমি সার্বজনীন কোনো ভাষা তৈরি করে সেই ভাষায় বাণী দিতে পারতা। তাইলেও না হয় বুঝতাম। আর তোমার নির্দেশনার কোনো সার্বজনীনতা নেই। তোমার বাণী চরমভাবে ব্যর্থ।
ঈশ্বর: আমি মানুষরে পরীক্ষা নিতে চাইছি।
অবিশ্বাসী: তুমি কিন্তু কথা ঘুরায়া ফেলতাছো। আমি কইলাম তোমার বাণীর ব্যর্থতার কথা, আর তুমি আনছো পরীক্ষার কথা। আর পরীক্ষা নেওয়ারই বা কি আছে? তার মানে, তুমি পরীক্ষার ফল কি হবে তা জানো না? মানুষ তো ফল জানতো না, তাই পরীক্ষা নিত। আমার এক বন্ধু আমার প্রতি কতোটুকু উপকারী তা জানার জন্য ওই বন্ধুর কাছে আমি কিছু অর্থ চেয়েছিলাম। সে আমাকে অর্থ দিয়েছিল।কিন্তু আমি যদি আগে থেকেই জানতাম, অর্থ চাইলে ওই বন্ধু তা আমাকে দিয়ে দিবে। তবে আমি পরীক্ষার নাটক করতে যাব কেন? এসব নখরামি কেন? কি সব আবোলতাবোল কথা কও?
(চলবে..................)
০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৮
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: শয়তানের শয়তানি করার ক্ষমতাও তো ঈশ্বরই দিয়েছেন নাকি? নাকি অন্য এক ঈশ্বর দিয়েছেন। বা ঈশ্বর কি জানতেন না যে, তার সৃষ্ট ওই ফেরেশতা একদা শয়তান হবে? সবই তো ঈশ্বরেরই নাটক। কাজেই ওই হিসাবে শয়তান তো ঈশ্বরের সৃষ্টি।
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪
চে গেভারা বলেছেন: আর পরীক্ষা নেওয়ারই বা কি আছে? তার মানে, তুমি পরীক্ষার ফল কি হবে তা জানো না?
বেশ কয়েকটা পয়েন্ট চোখে পড়লেও এটা মারাত্মক ভাবে চোখে পড়েছে।
ধরুন আপনি আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। কথা কাটাকাটি হচ্ছে আমাদের মাঝে। এখন আপনার সামনে ২ টা পথ, হয় বিনয় দ্বারা কথা কাটাকাটি শেষ করলেন নাহয় কথা কাটাকাটি কে হাতাহাতিতে নিয়ে গেলেন।
মহান আল্লাহ ঠিক করে রেখেছে , কোনটা করলে কি ফল হবে।
কিন্তু করাটা আপনার হাতেই
০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৪৫
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আপনার সঙ্গে একমত নয়। ধর্ম মত অনুযায়ী ঈশ্বর ভবিষ্যত জানেন। ভবিষ্যত নির্ধারণও করে রেখেছেন। তার মানে ফলটাও উনি জানেন। আপনাকে একটা কথা বলতে হবে: হয় ঈশ্বরের সব ক্ষমতা তিনিই সব কিছু করেন, মানুষের কোনো ক্ষমতা নেই। অথবা আপনাকে বলতে হবে মানুষ স্বাধীন। এখানে ঈশ্বর নাক গলান না।
দুইটার মাঝামাঝি কোনো উত্তর দেওয়া যায়া না।
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৪
মফিজ বলেছেন: অবিশ্বাসী মানে কী?সে ঈশ্বরে বিশ্বাসী নয়।কাকতালীয় ভাবে ঈশ্বরের দেখা পেল!!!তর্ক শুরু করলো?
০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: হুমম, তর্কের মাধ্যমে ঈশ্বরের কর্মকাণ্ড এবং যুক্তি তুলে ধরা।এটাকে টেকনিক বলতে পারেন।
৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১
ইলি বিডি বলেছেন: ধর্ম মত অনুযায়ী ঈশ্বর ভবিষ্যত জানেন। ভবিষ্যত নির্ধারণও করে রেখেছেন। তার মানে ফলটাও উনি জানেন
দুইটার মাঝামাঝি কোনো উত্তর দেওয়া যায়া না।
৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২১
কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েসন বলেছেন: আপনি ধর্মকারীতে লেখেন, আস্তিক বনাম নাস্তিক গ্রুপেও লেখেন
তাই না?
০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৮
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: না। নামগুলো প্রথম শুনলাম।
৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩
মকসুদ মনি বলেছেন: আমিই আমার ঈশ্বর।
৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লিখেছেন। বিষয়টি অনেক পুরোনো বিতর্কের সুত্রপাত করবে। সেদিকে যাওয়া ঠিক হবেনা। ভালই লাগল।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২১
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:৪৯
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: অবিশ্বাসী কেউ ঈশ্বরের সঙ্গে দেখা হলে এমন কথা বলবে বলে মনে হয় না। দ্বিধাগ্রস্ত কেউ হলে মেনে নেয়া যেতে পারে। অবিশ্বাসী কেউ ঈশ্বরের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে আমার মনে হয় ঈশ্বরকে বরং প্রশ্ন করবে - "তুমিই যে ঈশ্বর প্রথমে এইটা প্রমাণ কর, নইলে দূরে যা"।
অবিশ্বাসী যে স্বর্গ নরক আছে এটাই বিশ্বাস করে না সে যুক্তি দিয়ে নরক থেকে স্বর্গে যাবার চেষ্টা করবে এটা মানতে পারছি না।
যাই হোক আপনার মতের সাথে আমার মত নাও মিলতে পারে। ভালো থাকুন।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২০
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আপনার সঙ্গে একমত নই। তর্কের মাধ্যমে ঈশ্বরের কর্মকাণ্ড এবং যুক্তি তুলে ধরা।এটাকে টেকনিক বলতে পারেন। অনেক উপন্যাসিক পাবেন যারা মৃত মানুষকে চরিত্র বানায়। সেটা গল্প বলার একটি ধরন। আমি আমার যুক্তিতর্ক তুলে ধরার জন্য এটার আশ্রয় নিয়েছি। পাশাপাশি কিছুটা মজা করাও লক্ষ্য। ঈশ্বর সম্পর্কে আমার ধারণা কি, সেটা আমার সৃষ্টিকর্ত কি ছোটলোক শিরোনামের একটি পোস্টে রয়েছে। এটাকে আপনি সিরিয়াসলি নিতে পারেন না। সমাজে প্রচলিত ধর্মগুলোতে ঈশ্বরের ধারণা এবং চরিত্র নিয়ে কমেডি তো হতেই পারে।
৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪
বিষন্ন রাত্রি বলেছেন: ঈশ্বর কোন নাস্তিককে এমন জবাবই দেবে তা কিভাবে বলতে পারেন? এমনও তো হতে পারে ঈশ্বর এমন একটি জবাব দিলেন যার বিপক্ষে কোন কথাই আর বলতে পারলেন না| যেহেতু আপনি নিজেই স্বীকার করেন যে ঈশ্বর সবই জানেন| যদি একটা সাধারণ মানুষ এতটা যুক্তি দেখাতে পারে, এত কথা শোনাতে পারে সৃষ্টিকর্তা কেন পারবে না?
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ঈশ্বরের সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে ধর্মের কারণে দুনিয়ার হানাহানি অশান্তির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এখানে আপনার যদি কোনো যুক্তি থাকে দেখাতে পারেন। আমি কিছুই স্বীকার করিনি। ধর্মগ্রন্থে যা বলা হয়ে থাকে সেই আঙ্গিকেই কথাগুলো বলেছি। আমি কি মানি বা না মানি তা জানতে আমার
সৃষ্টিকর্তা কি ছোটলোক শিরোনামের গদ্যটি পাঠ করতে পারেন।
Click This Link
১০| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৩:৫৩
সবুজ০০৭০০৭ বলেছেন: লেখা পড়ে মোটামুটি হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খেয়েছি। ঈশ্বরকেতো আপনি মোটামুটি ল্যাংটা করে ছেড়েছেন। আশা করা যায় ঈশ্বর ইহজীবনে আর আপনার ধারে কাছেও আসবে না।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৬
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: ঠিকই কইছেন। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বর্ণিত ঈশ্বর নিতান্তই ফালতু ব্যক্তিত্ব ও মানসিকতার অধিকারী। এ ধরনের ঈশ্বরকে ঠাপাই না আমি।
১১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২
আশ্রাফনী বলেছেন: ভাই আপনার কথাই লজিক আছে কিন্তু সেটা তো আপনার লজিক ঈশ্বররের না। আর তা ছাড়া প্রশ্ন কিলাইছেন আপনি উত্তরও ও কিলাইছেন আপনি .।।। এটা কিছু হইলো.
১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৩
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: জ্বি হইলো। ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত ঈশ্বরের যে স্বরুপ এবং তাতে যে বিস্তর গোজামিল রয়েছে সেটা তুলে ধরাই উদ্দেশ্য
১২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪৬
ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: চলবে যখন তখন শেষ দেখেই মন্তব্য করি, তবে কিছু ভাবনায় যুক্তি আছে কিছু ভাবনায় নেই, যেহেতু এখানে অবিশ্বাসীর সাথে ইশ্বরের কথা সেহেতু অবিশ্বাসীর বিপক্ষে অবস্থান নিতে হবে, ইশ্বের বিপক্ষে নিয়ে আগুনে জ্বলতে চাইনা,আগুন বড় খারাপ জিনিস,কালকে রান্না করতে গিয়ে একটু ছেকা খেয়েছি তাতেই প্রাণপাখি উড়িউড়ি অবস্থা সেখানে হাজার বছর আগুনে জ্বলবো,ওরে বাবা আমি নাই অবিশ্বাসের পক্ষে। আর অবিশ্বাসী যেহেতু তাকে হাদিস কোরাণ দিয়ে বুঝিয়ে লাভ নেই, তাকে বুঝাতে হবে যুক্তি দিয়ে কি বলেন লেখক?
একটা বিষয় ভালো লাগলো যে আমাদের আল্লাই যখন সব,উনি যখন সৃষ্টি কর্তা পালন কর্তা সেহেতু ওনার সাথে একটু খোলা মেলা আলোচনায় ক্ষতি নেই,তবে অবশ্যই ওনাকে যথাযথ সন্মানের সাথেই করতে হবে।দেখি আপনার পোস্টের শেষ অংশে কি আছে।
১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৭
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: যে ভাবনাগুলোতে যুক্তি নেই বলে মনে হয় সেগুলো ব্যাখ্যাসহ উল্লেখ করুন। ধন্যবাদ।
১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২২
এক চিলতে রোদ বলেছেন: বুঝলাম #পরাজিত# ভাই আপনার মনে ঈশ্বর নিয়ে অনেক প্রশ্ন রয়েছে অনেক অজানা অধ্যায় রয়েছে। এবং আপনি আপনার অজানা প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনার মনগড়া উত্তর দিয়ে সাজিয়েছেন। আর এখানেই সমস্যা বেধেছে। ঈশ্বর তার সৃষ্টির মনে যতটুকু প্রশ্ন জাগতে পারে তার প্রায় সব কিছুর উত্তর ই তার কোরআন-হাদীসে উত্তর করে গেছেন। আপনার মনে প্রশ্নগুলো জাগা স্বাভাবিক তার জন্য উত্তর খুঁজুন এর পর মনপূত না হলে তার পর প্রচার করুন।।
১৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫০
এক চিলতে রোদ বলেছেন: আপনার খোড়া যুক্তিগুলোর প্রায় প্রতিটি ই অবান্তর এবং আপনি যদি হাদীস-কোরআন ঠিক মতো চর্চা করতেন তবে আর এই রকম পোস্ট গুলো করতেন না।।।
আমি কিছুর উত্তর দিই এবং আপনি কথা দিন বাকি গুলোর উত্তর খুঁজে মনপূত না হলে তবেই এর বিরুদ্ধে লিখবেন।।।
আপনি ঈশ্বরকে প্রশ্ন করছেন, কেন সে কেন দুনিয়াতে এত ধর্ম বানিয়েছে এত ভেদাভেদ বানিয়েছেন!!! আপনি ঈশ্বরের সঠিক রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না।।
হ্যা, ঈশ্বরই এই মহান সৃষ্টির সব কিছুর স্রষ্টা। ক্ষুদ্র বালুর কণা থেকে বিশাল সাগর সব কিছুই তাঁর নির্দেশেই সৃষ্টি হয়েছে। এবং পাশাপাশি তার দিকে ধাবিত পথের পাশাপাশি আরো অনেক ভুল পথও সৃষ্টি করেছেন। এখন বাকি কাজটা আপনার সঠিক পথ খুঁজে বের করার।। যেন পথ ভ্রান্ত না হন এর জন্য নবী-রাসূল এসেছিলেন। কোরআন-হাদীস বয়ান করে গেছেন।। পথ খুঁজুন, সঠিক পথে চলুন।
নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ আপনাকে সৃষ্টির সেরা জীব করেছেন; যা নিজের হাতে মূর্তি গড়ে তাকে ঈশ্বর ভাবার মতো বোকামি থেকে বিরত থাকার জন্য যথেষ্ট।।।
আচ্ছা আপনার মনে আরো একটা প্রশ্ন যা সব নাস্তিকের মনেই জাগে; যাদের পিতা-মাতা ভুল ঈশ্বরের চরণে লুটায় তাদের ক্ষেত্রে কি কোন বিশেষ ছাড় আছে কিনা!!!!
না, তাদের জন্য কোন বিশেষ ছাড় নেই। তবে তারা যদি তাদের জীবদ্দশায় তাদের মূর্তির ঈশ্বেরর পূজার ভুল বুঝতে পেরে একটি বারের জন্য হলেও মহান আল্লাহ তা'আলার পথে চলে তবে তার ক্ষমা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।। কারণ, ঈমানদার বান্দা যখন তার দরবারে হাত তোলে মহান আল্লাহ তখন তাকে খালি হাতে ফেরাতে লজ্জা পান।।।
আর একটা জিনিস মনে রাখবেন, পৃথিবী একটা পরীক্ষাক্ষেত্র।এই পরীক্ষাক্ষেত্রে আপনি একটা গিনিপিগ মাত্র। এখানে আপনার কথা তখনি শোনা হবে যখন আপনি আপনার মনিবকে খুশি করতে পারবেন। এখানে আপনি না চাইলেও আপনাকে পরীক্ষা দিতে হবে। কঠোর শ্রম দিতে হবে পরিক্ষায় পাশ করতে। আর যারা ব্যর্থ তারাই তো জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত আর সেখানে তারা আজীবন অবস্থন করবে।।
মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল। এখনো হয়তো ক্ষমার দরজা খোলা আছে তার বান্দাদের জন্য।।
(চলবে যদি প্রয়োজন হয়)....
১২ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩১
পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আপনার কথাগুলো অবান্তর। আপনি সুন্নিতে জন্ম নেছেন তাই সুন্নীর গুণগান গাইছেন। এটা আমার কাছে অবান্তর। আর সঠিক পথ কোনটা? আপনার বিশ্বাস যেটায় সেটা? এই কথাটাই তো অবান্তর। ঈশ্বর কি জানতেন না তার গ্রন্থে ভুল ব্যাখ্যার অবকাশ আছে?
১৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:০৯
In2the Dark বলেছেন: পুরো পোষ্টটা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ
এবার আসি মন্তব্যে,
আপনার দেখানো যুক্তিগুলো আসলেই অনেক প্রখর।
ধর্মের ব্যাপারে বিজ্ঞরা থাকলে আশা করি যুক্তিগুলো সমাধান করবেন।
আমি নাস্তিক না তবে শুধু সৃষ্টিকর্তা কেউ আছে এইটুকুই বিশ্বাস করি। তাছাড়া সৃষ্টিকর্তার এসব কাপযাপ যা আপনি পোষ্টে বর্ননা করলেন সেগুলোর ব্যাপারে আমার মতামতও আপনার মতই।
উপড়ে অনেকের কমেন্ট পড়ে মনে হলো উনাদের স্বর্গ অথবা বেহেশত কনফার্ম হয়ে আছে।
- আমার একটা কথা, আল্লাহ বেহেশত বানিয়েছেন ৮ টা এবং দোজখ ৭ টা। ১ টা বেহেশত বাদ দিলে দুইটা সমান সমান। এর মানে যতজন মানুষ সৃষ্টি করবে তার অর্ধেক যাবে বেহেশেত আর অর্ধেক দোযখে। তাহলে আপনি বেহেশতে গেলে আমি দোজখে যাব আর আমি বেহেশতে গেলে আপনি দোজখে যাবেন। হোয়াট দা.....!
১৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১০
In2the Dark বলেছেন: পুরো পোষ্টটা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ
এবার আসি মন্তব্যে,
আপনার দেখানো যুক্তিগুলো আসলেই অনেক প্রখর।
ধর্মের ব্যাপারে বিজ্ঞরা থাকলে আশা করি যুক্তিগুলো সমাধান করবেন।
আমি নাস্তিক না তবে শুধু সৃষ্টিকর্তা কেউ আছে এইটুকুই বিশ্বাস করি। তাছাড়া সৃষ্টিকর্তার এসব কাপযাপ যা আপনি পোষ্টে বর্ননা করলেন সেগুলোর ব্যাপারে আমার মতামতও আপনার মতই।
উপড়ে অনেকের কমেন্ট পড়ে মনে হলো উনাদের স্বর্গ অথবা বেহেশত কনফার্ম হয়ে আছে।
- আমার একটা কথা, আল্লাহ বেহেশত বানিয়েছেন ৮ টা এবং দোজখ ৭ টা। ১ টা বেহেশত বাদ দিলে দুইটা সমান সমান। এর মানে যতজন মানুষ সৃষ্টি করবে তার অর্ধেক যাবে বেহেশেত আর অর্ধেক দোযখে। তাহলে আপনি বেহেশতে গেলে আমি দোজখে যাব আর আমি বেহেশতে গেলে আপনি দোজখে যাবেন। হোয়াট দা.....!
১৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:১০
In2the Dark বলেছেন: পুরো পোষ্টটা পড়ে হাসতে হাসতে শেষ
এবার আসি মন্তব্যে,
আপনার দেখানো যুক্তিগুলো আসলেই অনেক প্রখর।
ধর্মের ব্যাপারে বিজ্ঞরা থাকলে আশা করি যুক্তিগুলো সমাধান করবেন।
আমি নাস্তিক না তবে শুধু সৃষ্টিকর্তা কেউ আছে এইটুকুই বিশ্বাস করি। তাছাড়া সৃষ্টিকর্তার এসব কাপযাপ যা আপনি পোষ্টে বর্ননা করলেন সেগুলোর ব্যাপারে আমার মতামতও আপনার মতই।
উপড়ে অনেকের কমেন্ট পড়ে মনে হলো উনাদের স্বর্গ অথবা বেহেশত কনফার্ম হয়ে আছে।
- আমার একটা কথা, আল্লাহ বেহেশত বানিয়েছেন ৮ টা এবং দোজখ ৭ টা। ১ টা বেহেশত বাদ দিলে দুইটা সমান সমান। এর মানে যতজন মানুষ সৃষ্টি করবে তার অর্ধেক যাবে বেহেশেত আর অর্ধেক দোযখে। তাহলে আপনি বেহেশতে গেলে আমি দোজখে যাব আর আমি বেহেশতে গেলে আপনি দোজখে যাবেন। হোয়াট দা.....!
১৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৪
নতুন বলেছেন: অনেকেই বলে বেশি পড়াশুনা কইরা নাস্তিক হয়েগেছে...
কিন্তু আসলে ধমের` বইয়ের বাইরে পড়লে মানুষ নিজে থেকে প্রশ্ন করতে শেখে... তখন ধমের` অনেক যুক্তি অসাড় মনে হয়... তখন মনে সন্দেহ শুরু হয়...
দুনিয়াতে এখন অনেক মানুষই ধমের চিন্তা বাদ দেয়া শুরু করেছে...
তবে কারুর ধম` বিশ্বাসে আঘাত লাগে এমন কিছু বলা বা করা ঠিক না.. সবাই এক সময়ে বুঝতে পারবে...
১৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ভাই, ধইরা নিলাম আপনার সব লজিক ঠিক। কিন্তু একটা প্রশ্ন করি। ধইরা নিলাম ঈশ্বর নাই। ইহকালই হইলো একমাত্র কাল। পরকাল বইলা কিছু নাই। তাইলে একজন নাস্তিক হিসেবে আপনি ক্যানো সুশীল আচরন করবেন? আপনার যদি মনে হয় কাউরে খুচাইয়া খুচাইয়া মারাতেই আনন্দ, তাইলে তার সেই আনন্দ লাভের চেস্টা করতে দোষ কোথায়? নীতি কপচাইয়া লাভটা কি হবে? পরকালে বিশ্বাস না করলে ঘুষ খান আর বিষই খান, একই তো কথা হইলো। সাময়িক জীবনে যতটা মজা নেয়া যায়। আর এই মজা নেয়ার জন্য সবাই উইঠা পইরা লাগলে দুনিয়া কি ঠিক থাকতো?
আর আপনার সব প্রশ্নগুলার উত্তরে পরে আসবো। আগে নাস্তিক হইলে আস্তিকের চেয়ে আচরন ভালো হবে এইটা কোন হিসেবে বুঝতে পারলেন একজন নাস্তিক হিসেবে সেইটা বইলেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২১
অদ্বিত বলেছেন: সুপার। জটিল হয়েছে। শুধু একটা জিনিস বাদে। ঈশ্বর খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে শয়তানকে তৈরি করে নাই। সৃষ্টি করছে সেই একই উদ্দেশ্যে যে উদ্দেশ্যে মানুষ সৃষ্টি করছে। I mean, ইবাদত করার জন্য। পরে শয়তান শয়তানি করা শিখে গেছে, খারাপ হয়ে গেছে। অন্তঃত শয়তানের অস্তিত্ব স্বীকারকারী ধর্মগুলো তো তাই বলে।
আর একটা ব্যাপারে আমার আপত্তি আছে - সেটা হল অবিশ্বাসীর এই উক্তিটি;
অবিশ্বাসী: ঠিকই কই। ধরা যাক, কাউরে আমি কোনো জিনিস দিলাম। আর আমি মনে মনে চাইলাম ওই ব্যক্তি সারা জীবন আমার নাম নিক এবং আমার স্তুতি করে যাক। আমি কি তাহলে ছোটলোক মানসিকতার লোক নই? যে মানুষটাকে আমি জিনিসটা দিয়েছিলাম, সে যদি জানতে পারে আমার মানসিকতা এ ধরনের তবে ওই মানুষটার ন্যূনতম ব্যক্তিত্ব থাকলে বলবে, তোর এই বালের জিনিস কি আমি চেয়েছিলাম? নে ধর, ফিরিয়ে দিলাম।
ঈশ্বর আমাদের আদৌ কি কিছু দিছে ? আর দিয়ে বলছে যে সেই দানের জন্য তার ইবাদত করতে ? I don't think so. ঈশ্বর তো আমাদের সৃষ্টি করছে ( ধর্মমতে ), কিছু দেয় নাই তো। অবিশ্বাসীর উক্তিটা এমন হওয়া দরকার ছিল - ''ধর, আমি একটা রোবট সৃষ্টি করলাম। আর আমি মনে মনে চাইলাম ওই রোবট সারা জীবন আমার নাম নিক এবং আমার স্তুতি করে যাক। আমি কি তাহলে ছোটলোক মানসিকতার লোক নই? যে রোবটটাকে আমি বানাইছিলাম, সে যদি জানতে পারে আমার মানসিকতা এ ধরনের তবে ওই রোবটটার ন্যূনতম ব্যক্তিত্ব থাকলে বলবে, দরকার নাই আমার টিকে থাকার। আমি এখনই নিজেকে ধ্বংস করে ফেলছি, তাও তোর ইবাদত করব না।''
অবিশ্বাসীর উক্তিটা এরকম হওয়া দরকার ছিল।
যাকগে তারপরও বলব সুন্দর হয়েছে।