নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলো –অন্ধকারে যাই- মাথার ভিতরে স্বপ্ন নয়,- কোন এক বোধ কাজ করে! স্বপ্ন নয়- শান্তি নয়-ভালোবাসা নয়, হৃদয়ের মাঝে এক বোধ জন্ম লয়! আমি তারে পারি না এড়াতে, সে আমার হাত রাখে হাতে; সব কাজ তুচ্ছ হয়,-পণ্ড মনে হয়। -জীবনানন্দ দাশ

কুশন

আমার জন্ম ফরিদপুরের সালতা গ্রামে। বর্তমানে আমেরিকা প্রবাসী। আমার বাবা একজন কৃষক। বাবার সাথে বহুদিন অন্যের জমিতে কাজ করেছি।

কুশন › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৭১

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:৩৪



ভুট্রো অনেক চালাক চালাক কথা বলেছিলেন, পূর্ব পাকিস্তানে তার পার্টির জন্য সে ভোটও আদায় করতে পারেনি, আবার বঙ্গবন্ধুর সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রশ্নে সে কোনো যুক্তিগত ধার ধারেনি। তখন অনেকে ভেবে ছিল, পাকিস্তান যদি ভাঙ্গে, তবে তার জন্য কে বেশী দায়ী হবে, শেখ মুজিব না ভুট্রো?

ভারত সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে মৈত্রী চুক্তি করেছিল। চীন ও আমেরিকা পাকিস্তানের বন্ধু। চুড়ান্ত বিপদের সময় তারা সাহায্য করবে। কিন্তু বিভিন্ন মহল থেকে ইঙ্গিত এসেছিল যে চীন ও আমেরিকা মনে করে, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার উচিত সামরিক চাপ কমিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের নাগরিকদের মন জয় করা। ইয়াহিয়া খান হঠাৎ ঠিক করেছিলেন, পূর্ব পাকিস্তানে প্রশাসন ও সামরিক বাহিনীকে আলাদা করে নেবেন ।

টিক্কা খানকে আরও গুরুত্বপূর্ন পদ দেবার জন্য পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিন্তু তাতেও তিনি সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, পূর্ব পাকিস্তানের দায়িত্ব নেবার জন্য আমাকে তাড়াহুড়ো করে রাওয়ালপিন্ডি থেকে ডেকে আনা হয়েছিল ৪ঠা মার্চ।আরো বলেছিলেন, আপনাদের প্রতি আমার শুধু একটাই অনুরোধ, সব সময় মনে রাখবেন, মুঠো আলগা করা চলবে না, এই বাঙ্গালী জাতটাকে শক্ত করে চেপে রাখবেন।

রাজনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজতে গিয়ে ইয়াহিয়া খান আর একটি ভুল করেছিলেন। যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল, তারা ছাড়া তিনি আর সব কারাবন্দীদের মুক্তির আদেশ দিয়েছিলেন এবং সমস্ত দুস্কৃতকারীদের ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত ঘোষনা করেছিলেন। প্রেসিডেন্টের ক্ষমা ঘোষনায় সাধারণ মানুষের মনে হয়েছিল, এবার বুঝি শেখ মুজিব ফিরে আসবেন। ইয়াহিয়া খান কোনো বড় শক্তির চাপেই এমন নরম হয়েছেন। এবার তিনি শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হবেন। ধাপ্পা আর মিথ্যে স্ট্যাটিসস্টিকই হলো সব যুদ্ধের প্রধান হাতিয়ার!

পূর্ব পাকিস্তানে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কখনো জোরালো করা হয়নি, পশ্চিমেই বেশীর ভাগ রাখা হয়েছিল। ৭০ সালের ইলেকশনের আগে থেকেই বাঙ্গালীদের ওপর জোর জুলুম করা হয়েছিল, কিন্তু গোড়া থেকে বন্ধু ভাবা হয়নি। শুধু সৈন্য সংখ্যা দিয়ে, প্লেন আর জাহাজ দিয়ে যুদ্ধ জেতা যায় না। যুদ্ধে জয় পরাজয় হয় সেনাপতির জন্য। সঠিক সংখ্যক সৈন্য, সঠিক জায়গায় এবং সঠিক সময়ে নিয়োগের কায়দা যে সেনাপতি জানে, সে-ই জেতে। পূর্ব পাকিস্তান ভাগ্যবান, তারা যথা সময়ে একজন যোগ্য সেনাপতি পেয়েছে।

নিয়াজীকে বলা হয়েছিল, আমাদের সৈ্ন্যরা যদি এ রকম নির্বিচারে বাঙ্গালী মেয়েদের ধর্ষন করে, তা হলে আমাদের প্রতি বাঙ্গালীদের মনে তো গভীর ঘৃণার সৃষ্টি হবে। আমাদের যতই সামরিক শক্ত থাক, কিছুতেই আর তাদের মন জয় করা যাবে না। নিয়াজী বলেছিল, আমাদের সুন্দরী মেয়েদের যদি ইন্ডিয়া নিয়ে নেয়, দেন ইট ইজ ওয়ান মোর রিজন টু ক্রাস ইন্ডিয়া! নিয়াজী'রা 'মুক্তি' শব্দটিকে খুব ভয় পেত। প্রকাশ্য দিবালোকে খুন হলো কুখ্যাত প্রাক্তন গভর্নর মোনেম খান। ঢাকার রাস্তায় যেখানে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটতে লাগল। প্রচন্ড শক্তিশালী বোমায় উড়ে গেল ইন্টারকন হোটেলের একটা অংশ, বিমানবন্দরের রান ওয়েতেও মুক্তি বাহিনীর মর্টারের শেল এসে পড়েছিল।

ভারত একটা গরিব দেশ, তবু তাকে অস্ত্রের প্রতিযোগিতা নামতে বাধ্য করেছিল এই পাকিস্তান আর চীন। ক্ষুধার্ত শিশুরা খেতে পায় না, আর অস্ত্রের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। ধনী দেশ গুলো সেই সব অস্ত্র বিক্রি করে আরও ধনী হয়। আমেরিকা এক ধমক দিয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া, শেখ মুজিব আর ভুট্রোকে আবার আলোচনার টেবিলে বসাতে পারত না? ওরা রাজনৈতিক ভাবে মিটিয়ে নিলে ভারতকে লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তুর ভার বহন করতে হতো না, সীমান্তের সংঘর্ষও এড়ানো যেত, এত নিরীহ মানুষের প্রাণ যেত না।

নিউ ইয়র্কের ভিলেজ ভয়েস নামে একটা পত্রিকায় অ্যালেন গীনসবার্গের সাক্ষাৎকার ও একটি কবিতা ছাপা হয়েছিল। কবি অ্যালেন গীনসবার্গ কলকাতার একজনকে নিয়ে পুর্ব-পাকিস্তান সীমান্তে গিয়েছিল। তার কবিতাটির নাম, সেপ্টেম্বর অন যোশর রোড। কবিতাটিতে উদ্বাস্তু শিবির গুলোর দুর্দশার যে বর্ননা ছিল, তা পড়ে অনেকেই চোখের জল সামলাতে পারেননি। অ্যালেন গীনসবার্গের মা নাওমি-কে নিয়ে লেখা 'কাদিস' কবিতাটার পর এইটাই তার দ্বিতীয় মর্মান্তিক কবিতা। যশোর রোডটা কলকাতা থেকে শুরু হয়ে চলে গেছে পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ বাংলাদেশের যশোর শহর পর্যন্ত।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ২:১৩

কলাবাগান১ বলেছেন: একটু আগেই বলেছিলাম যে রাজীব নূর এর পোস্টের পর পরই কুশন এর পোস্ট আসবে কিন্তু কুশন মনে হয় রাজীব নূর চিন্তা চেতনা কে কপি করে ফেলেছে। আপনার একটু সচেতন হওয়া দরকার। কুশন এর এই পোস্ট তো রাজীব নূর পোস্ট করেছিল আগে
২০১১ সালে রাত ৯:৫০ মিনিটে জয় বাংলা-১২ নামে
https://www.somewhereinblog.net/blog/rajib128/29443973

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৩:১৯

কামাল১৮ বলেছেন: এটা ভেঙ্গে যাবারই ছিলো।কেউ জোড়া লাগিয়ে রাখতে পারতো না।আওয়ামী লীগ না ঙাঙ্গলে অন্যরা ভেঙ্গে ফেলতো।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৭

অপু তানভীর বলেছেন: একবার পোস্ট দিলাম মাল্টি নিক নিয়া তারপরেও সাবধান হইলেন না !! স্বভাব যায় নি, যাবেও না ।

শুনেন একটা বুদ্ধি দেই । যেই আগের পোস্ট কপি করে এই নিকে পোস্ট করবেন সেই পোস্টটা আসল নিক থেকে সরিয়ে ফেলবে । বুঝেছেন ? ব্লগার কলাবাগান১ যেমন হাতে নাতে ধরে ফেলেছে তখন এভাবে ধরা সম্ভব হবে না । আপনার আরও কয়েকটা পোস্ট আছে এমন যেগুলো আসল নিক থেকে কপি পেস্ট করা !

এই যেমন কপি পেস্ট করার আরেটা স্বভাব । ঠিক এর আগের পোস্টটা আমি দুইটা আর্টিকেলটা থেকে প্রায় হুবাহু কপি করেছেন ।

বেকুব দিয়া হালচাষ কী হয়?

:D


৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বেইজ্জতির আর কিছু বাকি রাখলেন না। কট রেড হ্যান্ডেড। তাড়াতাড়ি একটা ভালো ব্যাখ্যা দাড়া করান।

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: #সাড়ে ব্যাখ্যা থাকলে তো দিবে B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.