নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পুরুষের পাশাপাশি নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তবে আন্দোলন ও পরবর্তী সময়ের দৃশ্যপট থেকে আড়াল করা হয়েছে তাদের ভূমিকা। সংস্কার কাজেও অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে পুরুষদেরই। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণ–অভ্যুত্থানের নারীদের সংলাপ, নারীরা কোথায় গেল?’ শিরোনামের অনুষ্ঠানে এমন আক্ষেপ জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমাসহ আরও কয়েকজন নারী।
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান শিরীন হকের উপস্থিতিতে এই সংলাপে আন্দোলনে শহীদ নারীদের স্বজন, আহত নারী শিক্ষার্থীসহ আন্দোলনের বিভিন্ন নারী নেতৃত্ব এ বিষয়গুলো তুলে ধরেন। সমন্বয়ক হিসেবে উমামা ফাতেমা তাঁর ভূমিকা ও পরবর্তী সময়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, ‘৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়ে খেয়াল করি, দৃশ্যপট থেকে আমি কমপ্লিট নাই। ভ্যানিশ হয়ে গেছি। ক্যামেরা কিছু ছেলেদের ফোকাস করে, তাঁরা আন্দোলনের মহানায়ক। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী সহযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে দেখলাম, তাঁরাও একই রকম অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে অনেক কৌশল করে, বাড়িতে মিথ্যা বলে, কোচিংয়ের কথা বলে, মায়ের পা ধরে সামাজিক ঘেরাটোপ ভেঙে নারীরা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। আন্দোলনের পর ওই নারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক হারে হয়রানির শিকার হন। সরকারকে বলার পর মনে হয়েছে, এটাকে তাঁরা বড় বিষয় মনে করেননি।
সরকারি বরিশাল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস নিপু জানান, আন্দোলনের সময় এক শিক্ষার্থীর বুক থেকে ২৩টি স্প্লিন্টার তুলেছিলেন হিজাবের পিন দিয়ে। তাঁকে লক্ষ্য করে পুলিশের ছোড়া চারটি কাঁদানে গ্যাসের শেলের দুটি স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে রেখে দিয়েছেন। সেই দুটি ব্যাগ থেকে বের করে অনুষ্ঠানে দেখালেন। জান্নাতুল বলেন, আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নারীদের ‘মাইনাস’ করা শুরু হলো। কামরাঙ্গীরচরের ওয়াজউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী সামিয়া আক্তার জান্নাত ১৫ জুলাই ভিসি চত্বরে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা স্মরণ করে বলেন, আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় বাড়ি এসে তাঁর মাকে অনেকে কটুকথা শুনিয়েছেন। মা–বাবা তাঁর পক্ষেই ছিলেন। বাকি সময় তিনি আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন মুখে কাপড় বেঁধে, যাতে কেউ তাঁকে চিনতে না পারে।
রাষ্ট্রের এই সংস্কারের সময়ে নারীদের সমানভাবে কাজের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সামিয়া বলেন, ‘রাষ্ট্র কি (আন্দোলনে) দেখে নাই নারীদের! রাষ্ট্র হয়তো ডাক দেবে না আমাদের। আমরা নিজেরাই আসব।’
নোয়াখালীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া রিশু বলেন, আন্দোলনের সময় নারী–পুরুষ কোনো ভেদাভেদ ছিল না। এখন অনেকেই আছেন দখলদারত্ব নিয়ে, নিজেদের তুলে ধরা নিয়ে। ঢাকার বাইরে যেসব নারী আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন, তাঁদের কোনো অবস্থানই নেই এখন। শুধু পুরুষদের জন্য না, এই আন্দোলন সফল হয়েছে ব্যাপকভাবে নারীদের অংশগ্রহণের কারণেই।
কার্টেসী : ডেইলি ক্যাম্পাস
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৫৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: অনেকেই বুঝতে পারেনি!
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:২১
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
জামাত শিবির হিজবুতের এই প্রতারণার আন্দোলনে কেউ থাকবে না।
আমার মিতার সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৫৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তারে আমেরিকা বসাইসে!
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:২৭
মিরোরডডল বলেছেন:
যেই দেশে ৯০ এর পর থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সুদীর্ঘ সময় নারী প্রাইম মিনিস্টার হওয়া সত্ত্বেও ধর্ষণের সঠিক বিচার হয়না, টাকা আর ক্ষমতার জোরে ধর্ষণকারী পার পেয়ে যায় (shame goes to these two prime ministers), সেই দেশে নারীরা আন্দোলনে থাকার পরও একসময় কালের আবর্তে হারিয়ে যাবে এটাইতো স্বাভাবিক।
বিষয়টা এরকম, নারীরাই যেখানে নিজেদের প্রপার মূল্যায়ন করতে পারেনা, সেখানে পুরুষদের কি দায়!!!
আমাদের দেশটা নিয়ে একইসাথে দুঃখও হয়, আবার শঙ্কাও হয়।
২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৫৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ফরহাদ মজহারের বউ কে না দিয়ে উপদেষ্টা একজন আন্দোলনকারী নারীকে দিলে ভালো করতো!
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:১৫
কামাল১৮ বলেছেন: নারীরা বুঝতে পারেনি এরা শিবির।বুঝতে পারলে এতো নারী আন্দোলনে আসতো না।