নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সরকারি চাকুরির প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ বেড়ে যায়। শেখ হাসিনার সরকার ৮ম পে স্কেল ঘোষণা করলে ইউনিভার্সিটি পাশ তরুণেরা উচ্চ বেতনের বেসরকারি চাকুরি ছেড়ে সরকারি চাকুরির পরীক্ষায় বসে। বিশেষ করে বিসিএসের প্রতি ক্রেজ পৌছায় অন্য লেভেলে। সরকারি চাকুরির সুযোগ সুবিধা ও সামাজিক মর্যাদার কথা চিন্তা করে ছাত্ররা সরকারি চাকুরি পাওয়ার জন্য রাতদিন পড়ার টেবিলে সময় ব্যয় করে। কিন্তু হাসিনা সরকার মেধাবী তরুণদের সরকারি চাকুরির প্রলোভন দেখানোর পিছনে ঘৃণ্য উদ্দেশ্য ছিলো। মেধাবীদের অঢেল সুযোগ সুবিধা ও দুর্নীতি করার সুযোগ করে দিলে তারা সরকারের বিরুদ্ধে যাবে না এমন মনে করে সরকার তার পরিকল্পনা সাজায়। এই ভাবে প্রশাসনের তরুণ আমলারা দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়েন। তবে আমলাদের হাত ধরে প্রশাসন পঁচে যাওয়ার ঘটনা আরম্ভ হয় ১৯৯৬ সালের শেখ হাসিনার প্রথম শাসনামলে।
১৯৯৬ সালে বিএনপির শাসনামলের শেষ দিকে আমলারাদের নিয়ে 'জনতার মঞ্চ ' গঠন করে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন সাবেক পরিকল্পনা সচিব ম খা আলমগীর। তার হাত ধরেই আমলারা রাজনৈতিক কার্যক্রমে জড়িত হয়ে পড়েন। ম খা আলমগীর তার কাজের পুরস্কার স্বরুপ শেখ হাসিনা তাকে প্রতিমন্ত্রী বানান। এরপর ২০০৯ সালে ক্ষমতায় শেখ হাসিনা পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর মখা আলমগীর স্বরাস্ট্র মন্ত্রী হন। অন্যদিকে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও সিনিয়র সচিব এইচ টি ইমাম প্রশাসন কে পুরোপুরি রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা শুরু করেন। নীতিহীন এই আমলার অনুমোদন ছাড়া কোন পদন্নোতি, নতুন নিয়োগ ও বদলি হতো না। বিতর্কিত একাধিক বিসিএস পরীক্ষায় কট্টর ছাত্রলীগ করা প্রার্থীদের নিয়োগে জালিয়াতি ও প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি ছিল অনেকটা ওপেন সিক্রেট। তার ইশারা ছাড়া কোনো দপ্তরই নড়ত না। একচেটিয়া প্রভাব বিস্তার ও প্রশাসনকে পুরোপুরি আওয়ামীকরণে তার ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। এইচ টি ইমামের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তার অনুসারীরা নিয়োগ, পদোন্নতি ও বদলি বাণিজ্যকে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মে পরিণত করেছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের একচ্ছত্র আধিপত্য আর ক্ষমতার অপব্যবহার দেখে অন্য আমলারাও রাজনীতিতে জড়িয়ে নিজেদের আখের গোছাতে থাকেন। ভোটবিহীন হাসিনা সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর দাবিদার আমলারা নিজেদের মতো করেই প্রশাসনে দাপট দেখাতে থাকেন। কর্মকর্তারা নিজেদের ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মী কিংবা আওয়ামী পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য দাবি করে অবৈধভাবে নানা সুযোগ-সুবিধা নিতে থাকেন।
২০১৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিলুপ্তির পর হাসিনাকে ক্ষমতায় বসাতে যে কজন আমলা ষড়যন্ত্র করেন, তাদের গুরু ছিলেন এইচ টি ইমাম। মূলত তার পরামর্শেই আমলারা পরপর তিনটি ভোটারবিহীন একপক্ষীয় নির্বাচন করেন। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া হাসিনাকে বারবার ক্ষমতায় বসানোর দাবিদার কর্মকর্তারা ব্যাপক বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তাদের কেউ কেউ নৌকার মনোনয়নে ভোটবিহীন নির্বাচনে এমপি হওয়ার বাসনা জানান। শেখ হাসিনা তাদের সে বাসনা অপূর্ণ রাখেননি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসন থেকে সাবেক সিনিয়র সচিব মনজুর হোসেন বুলবুলকে এমপি বানান হাসিনা। ২০২৩ সালে নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরী) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান। সাজ্জাদুল হাসানের বড় ভাই ওবায়দুল হাসানকে দেশের প্রধান বিচারপতি বানিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।
আমলাদের একটি অংশ যদি একচেটিয়া ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন, তখন স্বাভাবিকভাবেই অন্যরা আর বসে থাকেন না। যে যার মতো করেই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এভাবে মূলত প্রশাসন নষ্ট হয়েছে। কারণ প্রশাসনের শীর্ষ পদের আমলারা সৎ থাকতে পারলে তারা শুদ্ধতার প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। আর নিজেরাই যদি দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতিতে জড়ান তাহলে অন্যদের সৎ থাকা, এটা বলার নৈতিক শক্তি থাকে না।
কার্টেসী : কালবেলা নিউজ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমলাদের ও সেনাবাহিনীর থেকে মুক্তির উপায় বলেন। আমার একজন মামা বাংলাদেশের একটি নামকরা পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন। আমলা ও সেনাবাহিনী দেশ টাকে খাইছে এই কথা তিনিও বলতেন। আপনি মিলিটারী ছোট করার কথা বলেন। আমার মামাও বলতেন একই কথা। মামার থেকে বিস্তারিত জানার আগেই মামা ইহজগত ত্যাগ করেন। এত বড়ো মিলিটারি কি এখন কমানো সম্ভব? এরা যুদ্ধ ঘোষণা করবে না?
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৮
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
মিলিটারী নিজের থেকেই ছোট হয়ে গিয়েছিলো ১৯৭১ সালে; যুদ্ধের শুরুতে বাংলাদেশে ৭ হাজারের মতো সৈন্য ( বেংগাল রেজিমেন্ট ) সদস্য ও ৩/৪ শত অফিসার ছিলো ( অনেককেই ইপিআর'এ ডেপুটেশান হিসেবে ); ২৫শে মার্চের রাতে বেশীরভাগ অফিসার ও সৈন্যরা পালিয়ে গেলেও মাত্র ৬৫/৭০ জন অফিসার ও ১১/১২ শত সৈন্য যুদ্ধে অংশ নেয়; মুল যুদ্ধ করে ইপিআর। যুদ্ধ শেষে ইপিআরদের একাংশকে বেংগল রেজিমেন্টে নেয়া হয়। সব মিলে ২৫ হাজারের নীচে। এদের রেখে দিলেই হতো।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ব্যবসায়ীদের নাকি রাজনীতিতে প্রবেশের সুযোগ দিয়েছে ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া? শেখ হাসিনা নাকি ১৯৯১ সালে মোটামুটি সৎ লোকেদের প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছিলেন? যদিও আমরা জানি সব সেনাবাহিনীর কারসাজি!
৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪৫
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
শেখ হাসিনা অনেক সিদ্ধান্তই নিতেন আবেগ দিয়ে ।
আবেগ দিয়ে নিয়ে সিদ্ধান্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সঠিক হয় না।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভুল পথে চলেছেন। দেশ কে ডুবিয়েছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৭
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
উনার বাবা, বেগম জিয়া ও শেখ হাসিনাকে হজম করেছে আমলারা ও মিলিটারী।