নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগ কি আবার ফিরে আসবে?

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৫


গত কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউটিউবার এবং সামু ব্লগের অনেকে খুব এক্সাইটেড ভারতের বিদেশ মন্ত্রী জয়শংকরের আমেরিকা সফর নিয়ে। সেই সফরে নাকি ফয়সালা হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ও আওয়ামী লীগের বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরে আসা। ইহা কোন নতুন বিষয় নয়। ক্ষমতায় থাকার সময় আওয়ামী লীগের অনেক বড়ো বড়ো নেতার মুখে শুনেছিলাম দিল্লী আছে আওয়ামী লীগ আছে, তলে তলে সব ম্যানেজ হয়ে গেছে , ভারত কে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে আওয়ামী লীগ কে ক্ষমতায় রাখে টাইপ কথাবার্তা। একটা দল কতটা জনবিচ্ছিন্ন হলে দেশের মানুষের সমর্থন বাদ দিয়ে বিদেশি শক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে চায়। আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের রাগ ক্ষোভ এমনি এমনি আসে নাই। আওয়ামী লীগের সাপোর্টার দের ভাবখানা এমন খুব জনপ্রিয় একটা দলকে ফু দিয়ে কেউ ফালায় দিয়েছে। ইহা মহা অন্যায় হয়েছে। নিজেরাই নিজেদের জনবিছিন্ন করেছে । এখন যখন বিরোধী পক্ষ সুযোগ দেখতে পেয়েছে তা কাজে লাগিয়ে আওয়ামী লীগ কে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। এই নিয়ে খুব সম্ভবত তিনবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে গেল। এখন কোটি টাকার প্রশ্ন হচ্ছে আওয়ামী লীগ কি আবার ফিরে আসবে দেশের রাজনীতিতে?

আওয়ামী লীগ প্রথমবার যখন আন্ডারগ্রাউন্ডে তখন তাদের ভালো জনসমর্থন ছিলো। মূলত ছাত্র ও তরুণদের মধ্যে আওয়ামী লীগের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিলো। মওলানা ভাসানীর মতো নেতা ছিলেন। আওয়ামী লীগ সকল ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে সেবার রাজনীতিতে ফেরত আসে।

দ্বিতীয়বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হয়ে আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যাওয়ার ঘটনা মূলত দেশি-বিদেশি চক্রান্তের কারণে ঘটেছে। দেশ স্বাধীনের পর খোদ আওয়ামী লীগের অনেক স্টেক হোল্ডার শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে চলে যান। আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন গুলোর বেপরোয়া মনোভাব, বামপন্থী দের বিদ্রোহ শেখ মুজিবুর রহমান কে খুব বেকায়দায় ফেলে দেয়। তাছাড়া শেখ মুজিবুর রহমান শাসক হিসাবে দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেন নি। ১৯৭৪ সালের দূর্ভিক্ষ, বাকশাল কায়েম করতে গিয়ে আমেরিকার বিরাগভাজন হওয়া সহ নানা ধরণের কর্মকান্ড আওয়ামী লীগ কে দ্রুত অজনপ্রিয় করে তুলে জনসাধারণের মাঝে। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান কে পরিবার সহ হত্যার ঘটনা বিদেশি শক্তির ইন্ধন ছাড়া সম্ভব ছিলো না। এরপর জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে মোটামুটি আওয়ামী লীগ কে নেতৃত্বশূন্য করে দেয়ার চেষ্টা হয়। দীর্ঘদিন না চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ১৯৮১ সালে শেখ পরিবারের বড়ো কন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত হন। তখন হাসিনা বেশ তরুণ বয়সী ছিলেন, আওয়ামী লীগের ছাত্র নেতারা তখন বেশ পরিণত রাজনীতিবিদ হয়ে গিয়েছিলেন ততোদিনে। সবাই মিলে আবার আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনে পুরোদস্তুর কাজ শুরু করেছিলেন। অবশেষে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় দেশের মানুষের জনসমর্থন নিয়ে দেশের ক্ষমতায় যায়।

২০০৯-২০২৪ সাল বাংলাদেশের ইতিহাসে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় ছিলো। এসময় বাংলাদেশের সাথে বাইরের দেশের কানেক্টিভিটি প্রচুর পরিমাণ বেড়ে যায়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন চরমপন্থী দের ব্যাপক তৎপরতা ছিলো। শেখ হাসিনার মূল দায়িত্ব ছিলো দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয় সেদিকে খেয়াল রাখা, দেশের তরুণদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করা, বিদেশি বিনিয়োগ যাতে বেশি পরিমাণে দেশে আসে সেদিকে নজর দেয়া। কিন্তু শেখ হাসিনা এসবে নজর না দিয়ে বড়ো বড়ো সেতু নির্মাণ ও মেট্রোরেল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। জ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের কথা বেমালুম ভুলে গেলেন। এতে সমাজে অশিক্ষা ও কুশিক্ষা বেড়ে গেল। শেখ হাসিনা বেসরকারি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে সরকারি চাকুরিকে জনপ্রিয় করে তুললেন। নিয়োগ বাণিজ্য, প্রশ্ন ফাঁসের মহাউৎসবে তরুণদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ অনেক কমে গিয়েছিল। সমাজে দুর্নীতি, ঘুষ, অন্যায় ও আনাচার বেড়ে গিয়েছিল। ধনী-গরীবের বৈষম্য বেড়ে যাওয়া ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছিল। সমাজে একধরণের সেন্সর ছিলো যা মুক্ত চিন্তার পক্ষে সহায়ক নয়। তাছাড়া আওয়ামী লীগের প্রোঢ নেতারা প্রায় সবাই দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছিলেন, ছাত্র সংগঠন গুলো সাধারণ ছাত্র ও বিরোধী ছাত্র সংগঠন গুলোর উপর সীমাহীন অত্যাচার করেছে। তাই জনসাধারণ ও তরুণদের মধ্যে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন আ্‌শঙ্কা জনক ভাবে কমে গিয়েছে। তাছাড়া দীর্ঘ ১৫ বছর একটানা ক্ষমতায় থাকার ফলে পরিস্থিতি আগের মতো নেই। তরুণদের মধ্যে সেক্যুলার মনোভাবের রাজনীতির তুলনায় ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতির প্রতি বেশি ঝোঁক দেখা যাচ্ছে। সেক্যুলার দল হিসাবে আওয়ামী লীগ নিজেকে পরিচয় দিতে চাইলেও ক্ষমতার প্রয়োজনে ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বারবার নেগোসিয়েশন করতে দেখা গিয়েছিল। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পতনে এবার ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর অবদান রয়েছে। বামপন্থী ও সুশীলেরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চলে যায়। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের পক্ষে এমন কোন পজেটিভ সিগন্যাল নাই যা তাদের ফিরে আসতে সহায়ক হবে। আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের অবস্থা এতই করুণ যে বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতারা ছাত্রলীগে পদ পদবী নিয়ে রাজনীতি করতো। তাই ছাত্রলীগ থেকে সহায়তা পাবে এমনটাও ভাবা যাচ্ছে না।

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফিরে আসার ক্ষীণ যে সম্ভাবনা রয়েছে তা হলো বিরোধী পক্ষ ও বর্তমান সরকার যদি দেশ চালাতে ব্যর্থ হয়।আওয়ামী লীগের প্রবীণ অনেক নেতা জেলে, অনেকে ভারতে আছেন। বাংলাদেশের মানুষের আবার একটা সিনটোম আছে যে দল নিপীড়নের শিকার হয় তখন সে দলের প্রতি সিমপ্যাথি বাড়ে। অতীতে এমন ঘটনা অনেকবার ঘটেছে। এছাড়া বিদেশি শক্তিগুলোর আওয়ামী লীগের প্রতি কেমন মনোভাব ধরে রাখে সেটাও গুরুত্বপূর্ণ ।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আওয়ামী লীগ কি আবার ফিরে আসবে? আসতেও পারে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আওয়ামী লীগের বুদ্ধি এন্টি আওয়ামী লীগের দের থেকে বেশি। না হলে ১৫ বছর গোল দিতে পারতো না।

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এখন যাদের বয়স ১০ বছর থেকে শুরু করে ৩০ বছর এই প্রজন্ম কখনও আওয়ামীলীগের জুলাই নির্যাতনকে ভুলবে না। একটা দেশের তরুণ প্রজন্মকে ক্ষেপীয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করা যায় না। আওয়ামীলীগের রাজনীতির মূল শক্তি হল হানাহানি, ষড়যন্ত্র, গুম, হত্যা এবং জাতি বিভাজনের রাজনীতি। এদের মূল শক্তি হল পেশীশক্তি, প্রশাসন, গোয়েন্দা, পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী আর ভণ্ড বুদ্ধিজীবী। সামনের দিনগুলিতে এই দেশে ইসলামী শক্তিগুলি আরও শক্তিশালী হবে। জঙ্গি দমনের নামে আলেম এবং মাদ্রাসার লোকদের উপরে অমানুষিক নির্যাতন হয়েছে। দেশের পুলিশ আর দেশের এবং ভারতের গোয়েন্দাদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে এদেরকে নির্যাতন করা হয়েছে। আবার যদি আওয়ামীলীগ আসার মত পরিস্থিতি তৈরি হয় সেই ক্ষেত্রে এই ইসলামপন্থী লোকগুলি নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য পুনরায় রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে। একই কথা সেনাবাহিনীর জন্য। সেনাবাহিনীর লোকেরা মুলত ইসলাম ভালোবাসে এবং 'র' কে অন্তর থেকে ঘৃণা করে। তারা এবার দেখেছে যে কিছু কুলাঙ্গার সেনা কর্মকর্তা সেনাবাহিনীর মান সম্মান নষ্ট করেছে। ফলে তাদের অন্তত ৯৫% এবার হাসিনার বিপক্ষে চলে গিয়েছে। এদের মধ্যে যারা চাকরীতে থাকবে তারা ভবিষ্যতে উঁচু পদে যাবে। তারা যেহেতু হাসিনার বিরোধিতা করেছে তাই তারাও তাদের নিজেদের নিরাপত্তার জন্য ভবিষ্যতে চাইবে না যে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসুক। সেই ক্ষেত্রে তাদের চাকরীর সমস্যা হবে এমন কি জীবনও ঝুকিতে পড়তে পারে।

আওয়ামীলীগকে হুমকি ধামকি দিয়ে ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সবার আগে তাদেরকে আর্মির সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে হবে। তারপরে ইসলামী দলগুলির সাথে সম্পর্ক ভালো করতে হবে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা অনেকটা ক্ষমা চেয়ে ক্ষমতা লাভ করেছিলেন। সামনে ক্ষমতায় আসতে হলে তাদেরকেও কৌশলী হতে হবে। মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। গত জুলাই এবং গত ১৬ বছরে তারা যে গুম, খুন, দুর্নীতি, নির্যাতন করেছে এটা মানুষের মন থেকে দূর হতে অন্তত ১০ বছর লাগবে।

আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি উভয়েরই তাদের রাজনীতির স্টাইল আমুলে পরিবর্তন করতে হবে। দেশের মানুষের দরিদ্রতা কমছে এবং শিক্ষা বাড়ছে। এখন থেকে ২০/৩০/৪০/৫০ বছর আগে গলাবাজি করে যা করা যেত সেটা আগামী দিনে করা যাবে না। যারা এখন তরুণ তারাই ৫/১০/১৫/২০ বছর পরে দেশের হাল ধরবে। এই প্রজন্মের মন থেকে আওয়ামীলীগ ভীতি সহজে যাবে না।

ইসলামী দলগুলি এবারের আন্দোলনে শিখেছে যে প্রতিবাদ করা সম্ভব। তারাই এক পর্যায়ে ধরেই নিয়েছিল যে প্রতিবাদ করা সম্ভব না। কিন্তু ছাত্ররা দেখিয়ে দিয়েছে যে আওয়ামীলীগ এবং হাসিনার মত দল এবং মানুষকেও সাইজ করা যায়।

আমার ব্যক্তিগত ধারণা অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে অধিকাংশই আওয়ামীলীগ বিরোধী। এটা আগে আরও বেশী ছিল। এই বারের আন্দোলনের কারণে জনগণ সর্বদা আওয়ামীলীগের ব্যাপারে সতর্ক থাকবে। আওয়ামীলীগের সমান অপকর্ম কোন দল করলে মানুষ আওয়ামীলীগের কথা ভাবতে পারে। কিন্তু আওয়ামী আসলে একটা ইউনিক দল। এদের মত সহিংসতা বা ষড়যন্ত্র, অন্য কোন দলের পক্ষে করা সম্ভব না।

সামনে হয়তো বিএনপি আওয়ামীলীগকে নিয়ে বাণিজ্য করবে। কিন্তু তারা পরিণামে ধরা খাবে। কারণ আওয়ামীলীগের শক্তি এবং একতার তুলনায় বিএনপি কিছুই না। সামনের নির্বাচনে বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলে আমার মনে হয় না।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিএনপি-আওয়ামী লীগ এক হলে কামান দাগিয়ে এই আন্দোলন দমাতে পারবে না। ইসলামিক দলগুলো রাজনীতি বুঝে না।

৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এন্টি আওয়ামী লীগের একাত্তরের বিরোধীতা ঠিক ছিল না। আর জামায়াত তড়িঘড়ি ক্রেডিট নিতে গিয়ে লেজে গোবরে করে ফেলেছে। জনগণ আওয়ামী লীগকে ঘৃণা করলেও জামায়াতকে ভালোবাসে না।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জামায়াত কে নিয়ে এত চিন্তা করা লাগে নাকি কাগু! আমি সচরাচর জামাত নিয়ে লিখতে চাই না কারণ..... ।

৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দ্বিতীয় প্যারাগ্রাফের শুরুতে ভুলে 'আওয়ামীলীগকে' শব্দটা লেখা হয়েছে। লিখতে চেয়েছিলাম আওয়ামীলীগ।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সমস্যা নেই।

৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২৬

কামাল১৮ বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বের দেশর সরকার গুলি বৃহত শক্তির সমর্থনেই ক্ষমতায় থাকে।আগে থাকতো আমেরিকা সোভিয়েত উইনিয়নের সমর্থনে ।এখন থাকে আমেরিকা অথবা রাশিয়া চীনের সমর্থনে।মাঝখানে বছর দশেক শুধু আমেরিকার সমর্থনে ছিলো।তখন আমেরিকা ছিলো একক ভাবে সুপার পাওয়ার।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। যে কাহিনী দেখতেসি!

৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গণঅভ্যুত্থান করতে রাজনীতি বোঝা লাগে না। রাজনীতি বোঝা লাগলে বাচ্চা ছেলে মেয়েরা গদি উল্টাতে পারতো না এবার। আপনি যেটাকে রাজনীতি বলছেন সেটা রাজনীতি না সেটা হল অপরাজনীতি। যেটা আওয়ামীলীগ, বিএনপি বা জাতীয় পার্টি করতো। দেশের মানুষ এই অপরাজনীতি আর দেখতে চায় না। ধীরে ধীরে রাজনীতির পরিবেশ ভালো হবে। ভালো লোক রাজনীতি করবে। সেটা হতে আরও ৫/১০ বছর লাগবে।

আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি কখনও এক হবে না। সামনে বিএনপি হয়তো ক্ষমতায় আসবে। আওয়ামীলীগ এবং বিএনপি উভয়েই ক্ষমতার বাইরে এই রকম পরিস্থিতি হওয়ার সম্ভবনা দেখি না। তাই তাদের একত্রে আন্দোলন করাও কখনও হবে না। আওয়ামীলীগের দাগী লোকেরা আর কখনও রাজনীতিতে সুবিধা করতে পারবে না (হাসিনা সহ)। আওয়ামীলীগকে নতুন নেতা এবং কর্মী তৈরি করতে হবে। এইসব পাণ্ডা নির্ভর রাজনীতি এই দেশে সামনের দিনগুলিতে চলবে না।

নতুন প্রজন্মকে খাটো করে দেখিয়েন না। এরা এখনও রাজনীতির জন্য তৈরি নয় কিন্তু। কিন্তু সামনের দিনগুলিতে আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির অপকর্মের কারণে এরা বাধ্য হবে রাজনীতি শিখতে। আর আর্মি একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এটা মনে রাখতে হবে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নির্বাচনে জিততে রাজনীতি বোঝা লাগে। ইসলামিক দলগুলোর ১০০ জন ওয়াজীর নাম আপনি বলে দিতে পারবেন কিন্তু ১০ জন রাজনীতি জানে এমন কারো নাম পারবেন না বলতে। তাই এরা আনুপাতিক হারে নির্বাচন চায়।

৭| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশে বড় দলগুলি ভোট পায় মুলত মার্কায়। মার্কা হিসাবে নৌকার চাহিদা কমে গেছে। ফলে ভোট কমে যাবে। এই কারণেই ডঃ কামাল হোসেন ১৯৯১ সালে এক অর্ধ শিক্ষিত ধানের শীষ প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন। বিএনপির সেই লোক কোন ভালো রাজনীতিবিদ ছিল না। রাজনীতি জানার সাথে ভোট পাওয়ার তেমন কোন সম্পর্ক নাই। আওয়ামীলীগের নেতারা রাজনীতি জানে। কিন্তু এখন সেই নেতারা ভোটে দাঁড়ালে হেরে যাবে। ওবায়দুল কাদের দাঁড়ালে ভোট পাবে বলে আপনার মনে হয়? বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সে রাজনীতি জানে না এটা বলা যাবে না।

যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় সেই ক্ষেত্রে ওয়াজিদের মধ্যে অনেকে তাদের পরিচিতির কারণে ভোটে জিতবে। যেমন শায়েখ আহামদুল্লাহ, মিজানুর রহমান আজহারি, চরমোনাইয়ের হুজুর, আমীর হামজা, হেফাজতের কয়েকজন নেতা। সমস্যা হল আমাদের আম জনতার। আমরা মার্কা দেখে কলাগাছকেও ভোট দিবো। এই কারণেই এই দেশের রাজনীতির এই অবস্থা।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ২:১৪

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দেখা যাক সামনে কি হয়!

৮| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:২২

আদিত্য ০১ বলেছেন: আমেরিকা বা পরশক্তি দেশের ইশারায় ছোট দেশগুলোর ক্ষমতার পালা বদল হয়। আবার সে দেশের এন্টি বা বিরোধী শক্তিগুলোও ফেক্টর থাকে, আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে নামানোর এই মেটিকুলাস ডিজাইন এইটা অনেক আগে থেকেই হচ্ছিলো, আওয়ামীলীগের কিছু অসৎ নেতাদের কারনে সেটার কারনে কাজ করেছে। মূলত আমেরিকা চাচ্ছিলো আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে নামানো, ২০২৩ এর অক্টোবরে বিএনপির সমাবেশ থেকে সেইটার একটা প্ল্যান ছিলো, কিন্তু বিএনপি ঐক্য নড়বড়ে থাকার কারনে তা হয় নি। আওয়ামীলীগ ফিরবে। সেটা সময় বলে দেবে। তবে সর্বোচ্চ ২/৩ বছর লাগতে পারে। এর আগেও হতে পারে। কারন এখন দেশের যে অবস্থা টালমাটাল, এইটা থেকে বের হতে পারবে না। বিএনপি বা জামাত এককভাবে জয়ী হতে পারবে না। তার জোট করলে হয়ত পারবে। ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করলেও ভোট পাবে না, তারা জামাতের বি টিম হিসেবে কাজ করছে ও থাকবে, এইটা আপনি ভালোভাবে এনালাইসিস করলে বুঝবেন। হ্যা বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় থাকবে ৫ বছর। তবে জামাত সে পাকিদের আশ্রিত দল ও পাকিদের ৭১ এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য কাজ করছে তা প্রমান করেছে এই কয়মাসে। জামাত বা ধর্মভিত্তিক দল এই দেশের মানুস ভয় পায়, এরা ইসলামকে নিয়ে ব্যবসা করে। তার আরেক উদাহরন আহমদুল্লাহ বা ওয়াজীরা

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ২:১৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি দেখি বিদেশি শক্তি-জামাত-ওয়াজী দের পিছনে পড়লেন। B-))

৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৫

চারাগাছ বলেছেন:
বিএনপিই আওয়ামীলীগ কে ফিরয়ে আনবে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ২:১৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কিংবা জামাত! খোদ ইউনূস সরকার আওয়ামী লীগের লোকজন উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন।

১০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৩:৪৭

আ. স. ম. জিয়াউদ্দিন বলেছেন: ফিরে আসবে মানে কি?
আওয়ামীলীগ গেলো কোথায়?
আওয়ামীলীগ তো আছেই - দেশের একটা বিরাট অংশ আওয়ামীলীগকে ধারন করে - এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির জন্যে আওয়ামীলীগের বিকল্প আছে কি?

প্রশ্ন হলো - ক্ষমতায় আসবে কিনা - আপাতত না - তবে ইতিহাসের পাঠ বলে ফিরে আসবে এবং ভালো ভাবেই আসবে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৫৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ফিরে আসা মানে ক্ষমতায় আসা!

১১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা আওয়ামীলীগ আবার এই দেশ পরিচালনা করবে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: :(

১২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর সবই বলেছেন তাই আমি কিছু বললাম না।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ব্লগ লিখেছেন কমেন্টে! :D

১৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: একটা সময় হয়তো আসবে,মীর জাফরদের সাহায্যে - মানুষের সাহায্যে অবশ্যি নয়।

কারন - মানুষ আর আওয়ামীলীগ এক নয়,হতে পারেনা।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সেরকমই মনে হচ্ছে।

১৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২০

কাঁউটাল বলেছেন: তাড়াতাড়ি ফিরে আসতে না পারলে আউয়ামিলিকের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। শেক হাসিনারে ফাঁসির রায় দিয়ে দিবে আর ১ বছরের মধ্যে। তখন আম্লিক শেষ। যা করার এখনই না করতে পারলে...........

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি রায় দিয়ে দিলেন!

১৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৭

আদিত্য ০১ বলেছেন: @ লেখক বলেছেন: আপনি রায় দিয়ে দিলেন!

হা হা মজা পাইলাম আপনার উত্তরে।

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: :-B

১৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৭

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: মুশকিল হচ্ছে আওয়ামীলীগের লোকদের মনমানসিকতার কোনো পরিবর্তন নেই। ফিরে আসা দরকার , এতো বড় রাজনৈতিক দল। কিন্তু নিজেদের ইতিবাচক পরিবর্তন না করলে কঠিন হবে ফিরে আসা।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আওয়ামী লীগ সমাজে অনেক ধরণের স্লিপার সেল নিয়োগ করে রেখেছে। এরা জুলাই অভ্যুত্থানের এক মাস আগে থেকে ভোল পালটে ছাত্র-জনতার পক্ষে চলে যায়। এরাই এখন ছাত্রদের পান থেকে চুন খসতে সমালোচনা করে। অনেকে মনে করেন আওয়ামী লীগের মধ্যেও সৎ নেতা আছেন এখনও! কিন্তু আমি তো দেখি না। আপনার বিশ্বাস হয় বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের আর কোন কর্মী বাকি আছে আওয়ামী লীগের হালুয়া রুটির ভাগ পাওয়া ছাড়া?

১৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২১

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: @আপনার বিশ্বাস হয় বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগের আর কোন কর্মী বাকি আছে আওয়ামী লীগের হালুয়া রুটির ভাগ পাওয়া ছাড়া?
- ওদের যে কোনো সাধারণ কর্মীও বিপুল টাকার মালিক হয়ে গিয়েছিলো।

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমাদের ফেনীতে ১০ ডিসিম সম্পত্তি ছিলো। করোনার সময় যখন সারা দেশের অবস্থা খারাপ তখন হটাৎ শুনি ফেনী ২ আসনের এমপি আমাদের জায়গা দখল করেছে এবং উহা সে কিনতে চায়। আমরা পুরো হতবাক হয়ে যাই। করোনার চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে ফেনী যাই। সেখানে গিয়ে দেখি নিজাম হাজারী তার কেনা সীমানার মধ্যে আমাদের জমি ঢুকিয়ে ফেলসে। এখন আমাদের খুজছে কেনার জন্য। মৌজা রেটের ৪ ভাগের ১ ভাগ দাম দিয়েছে বাবাকে। যখন বাবা তার সাথে ছিলো টু শব্দ করার সুযোগ ছিলো না বাবার। নিজাম হাজারীর ক্যাডার সব বাবার আশেপাশে ছিলো। বাবা দোয়া ইউনূস পড়তে পড়তে কোনোমতে টাকা নিয়ে চলে আসে। আমাদের এক আত্নীয়কে হাত করে নিজাম হাজারী এই আকাম করেছে। এখন সে আত্নীয় গ্রামে চলাফেরা করতে পারছে না। বাবাকে ফোন দিসে ৮/১০ দিন আগে। বলে আপনার ভাই কে বলেন সৌদি আরবের একটা ভিসা বের করতে। বাবা ফোন রেখে আমাকে বলছে আল্লাহ এত দিন পর আমার মনের আশা পূরণ করেছে। বদমাশ টা দেশ ছাড়া হবে এখন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.