নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
জুলাই অভ্যুত্থান নিসন্দেহে বাংলাদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। একটি মাফিয়া দলের নিকট দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছিল। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল। মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল। এর প্রতিবাদে ছাত্র-জনতা মাফিয়া আওয়ামী লীগ রেজিমের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসে অভ্যুত্থান ঘটায়। অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা কেমন হবে, দলগুলোর নিজেদের মধ্যে কিভাবে সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা হবে তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। উপরের দুইটি ছবি লক্ষ্য করুন ভালোভাবে। জুলাই অভ্যুত্থানে অংশগ্রহনকারী বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ কেমন দেখতে চান তার একটি নমুন রেখে গিয়েছেন দেয়ালের পোস্টারে। একপক্ষ চাচ্ছেন সেক্যুলার বাংলাদেশ অন্য পক্ষ চান ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ। দুইটি ধারণা কি পরস্পরবিরোধী নাকি একটি অন্যটির সাথে নিবিড় ভাবে সম্পর্কিত তা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
বাংলাদেশ একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হলেও এখানে নানা মতের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এক সাথে বসবাস করে যাচ্ছেন। ধর্ম বা ভিন্ন মত কখনোই এখানে একে অপরের প্রতিপক্ষ হতে দেখা যায় নি। এমন একটি দেশের শাসন ব্যবস্থা হিসাবে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কে সর্বাপেক্ষা উন্নত হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আর গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে মূলত ধর্ম নিরপেক্ষতা বা কোন মতের নিরপেক্ষতা হিসাবে মনে করে মানুষকে ক্ষমতার কেন্দ্রে চিন্তা করা হয়। এতে সমাজের সকল মতের মানুষের অধিকার যেমন সুরক্ষিত থাকে সেই সাথে প্রতিটি মানুষ নিজ নিজ ইচ্ছা অনুসারে জীবন যাপনের অধিকার রাষ্ট্র কতৃক নিশ্চয়তা দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় অনেকে এই সেক্যুলার ব্যবস্থার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন নি। অনেকে মানুষ কে ক্ষমতার কেন্দ্রে স্থান দেয়া মেনে নিতে প্রস্তুত নন। তাদের মত হলো ধর্মকে ক্ষমতার কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হলে সমাজে প্রকৃত কল্যাণ সাধিত হবে। তাছাড়া মানুষের ইচ্ছামতো জীবন যাপনের একটি নিদিষ্ট সীমারেখা থাকা প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন। এই জন্য তারা সেক্যুলার রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চান না। তারা ইনক্লুসিভ তথা সকলের অংশগ্রহন ও মতামত কে প্রাধান্য দিয়ে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে চান। জুলাই অভ্যুত্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেক হোল্ডার হিসাবে তাদের এই মনোভাব ইগনোর করার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের রাজনৈতিক দল রয়েছে। সেক্যুলার ও বামপন্থী দল, জাতীয়তাবাদী দল, ইসলামিক দল সহ আরো অনেক মতের দল আছে। রাজনৈতিক দলগুলো কি ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রস্তুত? সাধারণত গণতান্ত্রিক কাঠামো ব্যবস্থায় জনগণের ভোটের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় যায়। রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে কতটা ইনক্লুসিভ বা অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থা প্রচলন আছে তা নিয়ে ভাবতে হবে। তবে তারও আগে ইনক্লুসিভ বা অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক ও সামাজিক নয়া বন্দোবস্তর রূপরেখা বোঝা জরুরি।
ইনক্লুসিভ বা অংশগ্রহণমূলক সমাজ ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা বলতে মূলত সকল কাজে সমাজের সকল শ্রেণির সমান অংশগ্রহণ করাকে বোঝায়। সমাজের দুইটি বিপরীতমুখী শ্রেণির মানুষ একই রকম সুযোগ সুবিধা ও মতামত প্রকাশের সুযোগ পাবেন। রাষ্ট্রের দৃষ্টিতে সবাই এক। কারো মধ্যে ভেদাভেদ করা যাবে না। যোগ্যতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সবাই সমাজে নিজ নিজ স্থান অর্জন করবেন। এতে অন্য কোন পক্ষের কোনরূপ অসন্তুষ্টি দেখানো চলবে না। ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে উন্নত দেশগুলোর সমাজ ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা ঠিক এরকম। আর উন্নত বিশ্বে এই সমাজ ব্যবস্থাকে সেক্যুলার ব্যবস্থা বলে আখ্যায়িত করা হয়। তাহলে বাংলাদেশ ইনক্লুসিভ এবং সেক্যুলারের দুইটি ভিন্ন অর্থ কেন দেখা যাচ্ছে?
বাংলাদেশের বড়ো দুইটি রাজনৈতিক দল হলো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এই দলগুলোতে কি সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের সমান অংশগ্রহণ রয়েছে? উত্তর হচ্ছে না! এই দুইটি দলের ক্ষমতায় দীর্ঘদিন ধরে একটি নিদিষ্ট পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। এতে দলগুলোর মধ্যে সকল শ্রেণির মানুষের সমান অংশগ্রহণ সম্ভব হচ্ছে না। এতে দল দুইটির ক্ষমতার কেন্দ্রে কখনো মুচি বা মেথরের ছেলে হতে পারবেন না। রাজার পর রাজার ছেলে/মেয়ে যেমন সিংহাসনে বসেন ঠিক তেমনি এখানেও নেতার পর তার সন্তান-সন্ততি ক্ষমতায় যাবেন। সাধারণ মানুষের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ কোনদিন পাবেন না। তাই দলগুলোর মধ্যে ইনক্লুসিভ বা সবার অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক চর্চা সম্ভব নয়। অন্যদিকে নামে মাত্র ক্ষমতার পালাবদল কে গণতন্ত্র বলে দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে।
বামদলগুলো সবার অংশগ্রহণে রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাইলেও তাদের দলের মধ্যে সেটার চর্চা নাই। একটি বামদলের নেতৃত্ব কখনো কোন মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিত লোকের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ার সুযোগ নাই। কারণ বামদলগুলোতে কোন নিদিষ্ট ধর্মের মতাদর্শ অনুসারী ব্যক্তির স্থান তেমন শক্তিশালী নয়।
ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর ন্যায় ও সাম্যের কথা বললেও মূলত অংশগ্রহণ মূলক রাজনীতি তাদের পক্ষে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় মতাদর্শ এই কাজে তাদের সমর্থন দিবে না। তাই ভিন্ন ধর্মের কারো ন্যায় ও যোগ্যতা থাকলেও ইসলামিক দলের প্রধান হতে পারবেন না। তাছাড়া সমাজের অনগ্রসর ব্যক্তিও এসব দলগুলোর দলের প্রধান হতে পারবেন না। তাই এসব দল ক্ষমতায় গেলেও রাজনীতিতে সমান অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সম্ভব নয়।
বাংলাদেশে আপাত দৃষ্টিতে গণতান্ত্রিক ও ইনক্লুসিভ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন এক সাথে পুরোপুরি সম্ভব নয়। এখানে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কাঠামোতে বিভিন্ন মতের দল রাজনীতি করে ক্ষমতায় যেতে চায়। অথচ প্রকৃত গণতান্ত্রিক কাঠামোতে এধরণের কোন সুযোগ নেই। প্রতিটি দল যে মতাদর্শ অনুসরণ করুক না কেন তাদের দলকে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা কে স্বীকৃতি দিয়ে তবেই রাজনীতি করতে হবে। তাই উন্নত বিশ্বে আমরা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি দেখতে পেলেও বাংলাদেশে তা দেখা যাচ্ছে না। শুধু মুখে মুখে আমার দলে সবচাইতে বেশি গণতন্ত্র চর্চা হয় এই কথা বলে গণতান্ত্রিক কাঠামোতে ইনক্লুসিভ বা অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাইলে লাভ হবে না।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এখানে কোন শাসন ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলা হয়নি। বরং রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষে ইনক্লুসিভ রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আমাদের দেশে শুরু থেকেই গণতান্ত্রিক সিস্টেম চালু আছে।
২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩১
আদিত্য ০১ বলেছেন: inclusive শব্দটা ঠিক অংশগ্রহণমূলক না, অন্তর্ভুক্তিমূলক, দুইটি অর্থে একটু হের ফের আছে, যেমন সরকার সংবাদ পত্রের স্বাধিনতা পক্ষে কথা বললেও, হাসনাত একটা টিভি তে গিয়ে লিস্ট ধরিয়ে দিছে, মানে সাংবাদিক অন্তর্ভুক্ত থাকবে কিন্তু সবাই অংশগ্রহণ করতে পারবে না। সো inclusive শব্দটা ব্যবহার সেটা ভেবেই করা হয়েছে, উচিত ছিলো participative/collaborative ব্যবহার করা।
সেকুলার দিয়ে সবাইকে অংশগ্রহণ বুঝায় না, কিন্তু জামাতের মত ধর্ম ব্যবসা যাতে না করতে পারে বা পাকি দোসর জামাত একটা সময় মনস্টার হইয়ে পেন্ট খুলে যেন পাকিদের মত না বলে, এ আদমি মুসলিম হ্যা। এই কয় মাসে জামাতে ভয়ঙ্কর রুপ একটু হলেও দেখেছেন। সেকুলার এই জন্য। আমার পরিচিত একজন তাবলীগ জামাতে যায় ও ইসলামকে মানে, কিন্তু তিনি জামাতকে মনে প্রাণে ঘৃনা করে ৭১ এ নারকীয় তান্ডবের কারনে। এই জামাত ৩০ লাখ শহীদের ওপর পা রেখে হাসনাত সারজিসদের দিয়ে তাদের বি টিম বানিয়ে দেশ প্রেমের সবক দেয়। সেই জামাতের শয়তানি মাথা থেকে ইনক্লুসিভ শব্দটা বের হয়েছে
হ্যা তৃতীয় একটা দেশে পরিবারতন্ত্র থাকার অনেকগুলো কারন আছে। পৃথিবীতে কোথাও ১০০ শতাংশ গণতন্ত্র মানা হয় না বা মানবতা শব্দটা মানা হয়, এই আমেরিকা নিজে মানবতা বা মানবিক অধিকার নিয়ে সেকেন্ডে বুলি আওড়ায়, কিন্তু তারা ইসরাইল কে দিয়ে ফিলিস্তিনি লাখ লাখ শিশু ও নিরীহ মানুস মারাচ্ছে, তখন তাদের গণতন্ত্র বা মানবতা বা মানবিক অধিকার কোথায় যায়। আসলেই গাটসে যার জোর থাকবে সে গণতন্ত্র বা মানবতা বা মানবিক অধিকার যেভাবে ডিফাইন করবে, সেভাবে হবে
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হাসনাত কি ভেবেছে সেটা মুখ্য নয়। আপনি ইনক্লুসিভের যে ব্যাখ্যা দিলেন সেটা আপনার একান্তই নিজস্ব ব্যাখ্যা। রাজনৈতিক পরিসরে সবার অংশগ্রহণ বুঝাতে ইনক্লুসিভ বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ আলেম ওলামাও এখন থেকে শাসনকাজে থাকবে।
৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি বলেছেন;
ইনক্লুসিভ বা অংশগ্রহণমূলক সমাজ ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা বলতে মূলত সকল কাজে সমাজের সকল শ্রেণির সমান অংশগ্রহণ করাকে বোঝায়। সমাজের দুইটি বিপরীতমুখী শ্রেণির মানুষ একই রকম সুযোগ সুবিধা ও মতামত প্রকাশের সুযোগ পাবেন। রাষ্ট্রের দৃষ্টিতে সবাই এক। কারো মধ্যে ভেদাভেদ করা যাবে না। যোগ্যতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সবাই সমাজে নিজ নিজ স্থান অর্জন করবেন। এতে অন্য কোন পক্ষের কোনরূপ অসন্তুষ্টি দেখানো চলবে না। ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে উন্নত দেশগুলোর সমাজ ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা ঠিক এরকম। আর উন্নত বিশ্বে এই সমাজ ব্যবস্থাকে সেক্যুলার ব্যবস্থা বলে আখ্যায়িত করা হয়। তাহলে বাংলাদেশ ইনক্লুসিভ এবং সেক্যুলারের দুইটি ভিন্ন অর্থ কেন দেখা যাচ্ছে?
আপনার কথায় মনে হচ্ছে যে সেকুলার আর ইঙ্কলুসিভ একই জিনিস। আপনি বলতে চাচ্ছেন ইঙ্কলুসিভকেই উন্নত বিশ্বে বলে সেকুলার। সেকুলার আর ইঙ্কলুসিভ এক কথা না। সেকুলার মানে যে রাষ্ট্রের পরিচালনায় কোন ধর্মের কোন ভুমিকা নাই। অর্থাৎ ধর্ম পালন হবে শুধু ব্যক্তিগত পর্যায়ে।
আর ইঙ্কলুসিভ বলতে বুঝায় যেখানে সকল শ্রেণীর মানুষের মৌলিক অধিকার সমান এবং সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কোন শ্রেণীর মানুষের উপরে কোন বাধা নাই।
আপনি কেন দুটি জিনিসকে এক বলছেন? এটা আপনার ভুল ধারণা।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৫৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইনক্লুসিভ আর সেক্যুলার এসব কথার মারপ্যাচ। ইনক্লুসিভ বললে সবাইকে সাথে নিয়ে আগানো বুঝায়। সেক্যুলার কি সবাই কে সাথে নিয়ে এগুতে মানা করেছে? সমস্যা হলো বাংলাদেশে ইনক্লুসিভ এবং সেক্যুলার কোনটাই সম্ভব নয়। আপনি মেনে নিতে প্রস্তুত আছেন আপনার প্রধানমন্ত্রী একজন হিজড়া সসম্প্রদায়ের মানুষ হবেন? আপনি মানলেও অনেকেই মানবে না। কিন্তু সেক্যুলার বা ইনক্লুসিভ সিস্টেমে একজন হিজড়া দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া খুব পসিবল। তবে টেনশন নাই বাংলাদেশে জীবনেও এমন কিছু হবে না।
৪| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০১
আদিত্য ০১ বলেছেন: লেখক বলেছেন: হাসনাত কি ভেবেছে সেটা মুখ্য নয়। আপনি ইনক্লুসিভের যে ব্যাখ্যা দিলেন সেটা
হাসনাতের ঘটনা রূপক বা উদাহরন হিসেবে এনেছি, বাংলাদেশের আলেম উলামা অধিকাংশ ধর্ম ব্যবসায়ী, তারা নিজেদের ওয়াজের ব্যবসা ও ক্ষমতা লোভে আচ্ছন্ন। তারা নিজেদের মধ্যে ঐক্য ঠিক রাখতে পারে না, ইজতেমা নিয়ে কি হচ্ছে জানানেই সব।
সো এই আলেম উলামা থেকে ইসলামের জ্ঞান নিলে শয়তান মিটমিট করে হাসবে। এরা ইসলামকে পুজি করে সব করে
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সবাইকে নিয়ে এগুতে হবে। কাউকে বাদ দেয়ার পক্ষপাতী নই।
৫| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি দুটি ভিন্ন টার্মকে এক মনে করছেন। সেকুলার আর ইঙ্কলুসিভের মধ্যে কোন সম্পর্ক নাই। আপনি এই দুইটা শব্দ সম্পর্কে ভুল ধারণার মধ্যে আছেন।
একটা রাষ্ট্র সেকুলার হওয়া সত্ত্বেও ইঙ্কলুসিভ না হতে পারে। যেমন ভারত একটি সেকুলার রাষ্ট্র কিন্তু এদের সমাজ ব্যবস্থা বাস্তব ক্ষেত্রে ইঙ্কলুসিভ না। ওদের দেশে নিম্ন শ্রেণীর হিন্দু এবং মুসলমানরা সামাজিক বৈষম্যের স্বীকার। শুধু মাত্র তার ধর্ম বা বর্ণের কারণে সে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়। আমাদের দেশেও অনেক ক্ষেত্রে একই অবস্থা। আমরা সেকুলার বলি নিজেদের কিন্তু আমাদের সমাজে অনেক ব্যাপারে মানুষ ন্যায্য সুযোগ থেকে বঞ্চিত। যেমন আমাদের দেশে হিজড়ারা সামাজিকভাবে কোণঠাসা।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি ভারতের উদাহরণ দেয় নাই। ভারত কে তো উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে আপনি মানেন না। আমি ব্রিটেন, জার্মানি ও ইটালির মতো দেশগুলোর কথা বলেছি।
৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ভুল ধারণার উপরে আছেন। সেটা আগে বোঝার চেষ্টা করেন। সেকুলারিজম আর ইঙ্কলুসিভ সমাজ বা রাষ্ট্র যে পৃথিবীর কোন দেশের প্রেক্ষাপটেই এক জিনিস না সেটা বোঝার চেষ্টা করেন। এই টার্ম দুটির আলাদা অর্থ আছে। উন্নত দেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামো সেকুলার এবং সেই দেশগুলি ইঞ্চলুসিভ সমাজ তৈরি করেছে তার মানে এটা না যে সেকুলার আর ইঙ্কলুসিভ একই জিনিস।
আপনি কি ভারতকে উন্নত রাষ্ট্র হিসাবে মানেন। যদি মানেন তাহলে ভুল ধারণার মধ্যে আছেন। বিশ্বের সবচেয়ে বেশী দরিদ্র মানুষ ভারতে থাকে। উন্নত রাষ্ট্র পরিমাপের মাপকাঠি আছে। ভারত সেটাতে পাস করবে না।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি ভারত কে আমাদের থেকে উন্নত ভাবি। কারণ তারা কোনদিন তাদের দেশে সামরিক শাসন আসতে দেয় নি। এটাই তাদের উন্নতির পরিচয় দেয়। আর আমি ভুল হতেই পারি কিন্তু আপনি ইনক্লুসিভ বলতে কি বোঝাতে চান সেটা বলেন। আমি পড়ি বুঝি ভুল ভাঙার চেষ্টা করি।
৭| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫৩
নিমো বলেছেন: আমরা বর্তমানে ইনক্লুসিভের উপরে কিছু থাকলে, সেটার পথে আছি। কুকুর, কবুতরও এখন সচিব হিসাবে পদায়ন হয়েছে, যা আগুন লাগার ঘটনায় দৃশ্যমান হয়েছে।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনাকে নাৎসি স্যালুট। আপনি প্রাণীদের কথাও ভেবেছেন। ধন্যবাদ।
৮| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৫৬
আদিত্য ০১ বলেছেন: প্রসঙ্গ ছাড়া বলতেছি, আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করছি দীর্ঘ সময় ধরে। আমার নিকের নাম দেখেই এক ব্লগার আমাকে হিন্দু ভেবে নমস্কার দিয়ে সম্বোধন করেছে, সে জামাত পন্থী তার লেখা দেখে বুঝা যায়। আমি তাবলীগের বইয়ানে বসেছি। তার মানে এই না যে এই বাংলাদেশে অধিকাংশ আলেম যা বলবে তাই আমি অন্ধের মত বিশ্বাস করবো। মামুনুল হকের মত উগ্রপন্থি যে দিন থেকে আসছে সেদিন থেকে তাব্লীগে দুই গ্রুপে সৃষ্টি হইয়েছে, মামুনুল হকের মত খাটাশগুলোকে যদি সরকারে অংশগ্রহনমূলক কিছু করলে, সেইটা উগ্রপন্থীদের কাজ হবে। এইগুলার মাথায় গোবর। বাংলাদেশ যে ব্যাঙের ছাতার মত এত মাদ্রাসা, এইগুলা দিয়ে কি হচ্ছে। কিছুই না, আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, সো ইসলাম প্রকৃত কি বলে সেটা জানি বুঝি, জামাত বা মামুনুল হক বা ওয়াজিদের বক্তব্য মোটেও পছন্দ হয় না। এদেরকে সরকারে কোন কাজে রাখা মানে দেশের অবস্থা এখনকার মত অন্ধকারে যাবে
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১:০৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি যেভাবে বিভিন্ন কারণে বাদ দিতে চান এতে সমস্যা বাড়বে। আপনার মামুনুল হক হুজুরের প্রতি এত রাগ থাকা উচিত নয়। কারণ উনারা শেখ হাসিনাকে সরাতে তেমন কিছুই করেনি। শেখ হাসিনা নিজে থেকেই কট খেয়েছেন।
৯| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬
কামাল১৮ বলেছেন: গনতন্ত্রের ভিতরেই সব আছে।গনতন্ত্রই হলো বেশির ভাগের শাসন।বর্তমান বিশ্বে এর থেকে ভালো কোন ব্যবস্থা নাই।গনতন্ত্র থাকলে আলাদা করে সেকুসারিজমের দরকার হয় না। পৃথিবীতে সামপ্রদায়িক গনতন্ত্র বলে কিছু নাই।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:০৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশে সব সম্ভব!
১০| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯
Ruhin বলেছেন: দেশের মুসলমানদের একটা বড় অংশ আসলে মুনাফেক প্রকৃতির। ব্লগেও এই ধরণের মুসলিমের প্রাচুর্য লক্ষ্য করা যায়। ফলে এই দেশে এখনই ইসলামী শাসনের কথা বললে এই বৃহৎ মুনাফেক সমাজ ভোট দিবে না।
আমাদের দেশ এতদিন মুলত সেকুলার ব্যবস্থায় চলেছে। সংবিধানে বিসমিল্লাহ যোগ করা ছাড়া ইসলাম বা অন্য কোন ধর্মের প্রভাব তেমন নাই। সামাজিক কারণে সামান্য কিছু ইসলামী নিয়ম আমরা সবাই মানি। রাষ্ট্রও সেটাকে সম্মান করার চেষ্টা করে। অন্য ধর্মের কোন প্রভাব আমাদের রাষ্ট্রীয় নিয়ম নীতি, আইন কানুন বা সংবিধানে নাই
কিন্তু বাংলাদেশের সমাজ অন্যান্য মুসলিম প্রধান দেশের তুলনায় অনেক রক্ষণশীল। ১৯৫০,৬০,৭০ দশের ইরাক,ইরান,মিশর, সিরিয়া দেখেন আর তখনকার বাংলাদেশ দেখেন।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সত্য বচন।
১১| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪
আমি সাজিদ বলেছেন: আজ ও আগামীকালের ঘটনাবলীর উপর আপনার নিরপেক্ষ বিশ্লেষণের অপেক্ষায় থাকলাম। সংবিধান, রাজনৈতিক দলগুলো, আন্দোলনকারীরা, সব মিলিয়ে।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হ্যাপী নিউ ইয়ার এডভান্স!
১২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়লাম।
০১ লা জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেশের ভোটারদের অর্ধেক হল নারী। তাদের সিংহভাগ কখনও চাইবে না যে দেশে ইসলামী দলগুলি ক্ষমতায় আসুক। কারণ তাদের মধ্যে একটা ভীতি কাজ করে যে ইসলামী দলগুলি ক্ষমতায় এলে তাদেরকে বোরকা, নেকাব, হিজাব এগুলি পড়তে বাধ্য করা হবে। এই কারণে জামায়াতে ইসলামী এবং অন্যান্য ইসলামী দলগুলি কাঙ্ক্ষিত ভোট পাবে না। জামায়াত এই জন্য এখন বলছে যে মেয়েদেরকে পর্দা করতে বাধ্য করা হবে না।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে ইসলামী দল কোন দেশে ক্ষমতায় আসা মানে পশ্চিমা ক্ষমতাধর শক্তির নিশানায় পরিনত হওয়া। বিএনপির স্বভাব চরিত্র আরেকটু ভালো হলে তারা হতে পারতো দেশের অধিকাংশ ইসলাম প্রিয় জনগণের জন্য প্রিয় দল। কারণ বিএনপি ইসলামের একটা লেবাস তাদের গায়ে জড়িয়ে রেখেছে সব সময়। তারা জামায়াতের সাথে আতাত করলেও মানুষ তাদের কিছু বলে না। কিন্তু বিএনপি প্রায়ই ভুল রাজনীতি করে। সারা জীবন তারা ভারত বিরোধী থাকার পরে এখন তারা ভাব দেখাচ্ছে যে ভারতের সাথে তাদের ভালো সম্পর্ক। আবার উল্টা কাজ কারবারও করে। রিজভি তার বউয়ের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তাই বিএনপি অনেক কাজ কারবার বেকুবের মত। এদের কোন শক্ত নীতি নাই। দলে কোন বুদ্ধিমান লোক নাই। আছে রিজভির মত আধা পাগল লোক আর মির্জা ফখ্রুলের মত দালাল টাইপের লোক। আমরা যখন খুব ছোট ছিলাম তখন মানুষের মুখে শুনতাম যে আওয়ামীলীগ হল হিন্দুদের দল। সম্ভবত এই দুর্নাম কাটানোর জন্য শেখ হাসিনা কয়েক বছর আগে মাথার চুল ঢেকে পাক্কা মুসলমান সাজতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে আবার দেখা গেল চুল আবার দেখা যাচ্ছে। এটার কারণ সম্ভবত এটা যে হাসিনা যখন দেখলে যে তার ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসার দরকার নাই তখন এই সব চুল ঢাকাকে তার কাছে ঝামেলা মনে হয়েছে। হাসিনার উচিত ছিল হুজুরদের সাথে সদ্ভাব রাখার। কিন্তু সে 'র' এর সাথে সদ্ভাব রেখেছিল। শেখ হাসিনা বোঝে নাই যে সামরিক এবং বেসামরিক আমলাদের চোখ উল্টাতে এক সেকেন্ডও সময় লাগে না।
ইসলামী দলগুলিকে বাস্তববাদী হতে হবে। তারা যদি প্রচার করে বেড়ায় যে তারা ক্ষমতায় গেলে ইসলামী শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করবে তাহলে তারা ভোট কম পাবে। তাদের উচিত হবে আগে মানুষের আস্থা অর্জন করা। তাদেরকে বলতে হবে ক্ষমতা গেলে তারা দেশের কী কী উন্নয়ন করবে। অধিকাংশ মানুষ কড়া ইসলামী শাসনের জন্য তৈরি না। ক্ষমতায় যদি তারা কখনও যায়ও তাদের উচিত হবে কাজের মাধ্যমে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করা। ইসলামী নিয়ম নীতি প্রয়োগ করতে গেলে হিতে বিপরীত হবে। মানুষ যখন ইসলামকে সঠিকভাবে বুঝতে পারবে তারা নিজে থেকেই ইসলামী নিয়ম নীতি মানবে।
দেশের মুসলমানদের একটা বড় অংশ আসলে মুনাফেক প্রকৃতির। ব্লগেও এই ধরণের মুসলিমের প্রাচুর্য লক্ষ্য করা যায়। ফলে এই দেশে এখনই ইসলামী শাসনের কথা বললে এই বৃহৎ মুনাফেক সমাজ ভোট দিবে না।
আমাদের দেশ এতদিন মুলত সেকুলার ব্যবস্থায় চলেছে। সংবিধানে বিসমিল্লাহ যোগ করা ছাড়া ইসলাম বা অন্য কোন ধর্মের প্রভাব তেমন নাই। সামাজিক কারণে সামান্য কিছু ইসলামী নিয়ম আমরা সবাই মানি। রাষ্ট্রও সেটাকে সম্মান করার চেষ্টা করে। অন্য ধর্মের কোন প্রভাব আমাদের রাষ্ট্রীয় নিয়ম নীতি, আইন কানুন বা সংবিধানে নাই।
দুর্নীতির এই দেশে কল্যাণ রাষ্ট্র টাইপ কিছু করা সম্ভব না যতদিন দুর্নীতি থেকে আমরা মুক্তি না পাই। বিএনপি বা আওয়ামীলীগ যে রাজনীতি করে তার মধ্যে কল্যাণ রাষ্ট্রের 'ক' ও নাই। এরা বোঝে লুটপাট, গুণ্ডামি, ভণ্ডামি আর লুচ্চামি। ইঙ্কলুসিভ বলতে আপনি যা বুঝিয়েছেন সেগুলি আমাদের দেশের এই সব সনাতনী কাঠামোর দল দ্বারা সম্ভব না।
তবে সার্বিক বিবেচনায় আমাদেরকে কল্যাণ রাষ্ট্রের জন্য চেষ্টা করতে হবে। আমাদের সংবিধান পড়লে মনে হবে এই সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র ব্যবস্থা হবে
জনগণের কল্যাণমুখী। কিন্তু বাস্তবতা হল এই দেশ হল চরম বৈষম্যের এবং চরম পুঁজিবাদের একটি দেশ। প্রচলিত কোন রাজনৈতিক দল এগুলিই বোঝে এবং এগুলিই চালিয়ে যাবে। আমাদের কপালে দুঃখ আছে যদি আগের মতই বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ স্টাইলে দেশ চলে। আওয়ামীলীগ যদি ফিরে আসতে পারে তাহলে তারা লক্ষ লক্ষ লোককে হত্যা করবে প্রতিটা জেলা, উপজেলা, ইউনিয়নে। আর্মির কারণে আওয়ামীলীগের পাণ্ডা এবং গড ফাদাররা বেঁচে গেছে। কিন্তু আওয়ামীলীগ ফোঁস ফোঁস করছে। তারা দয়া মায়া দেখাবে না।