নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
বাংলাদেশের সুশীল সমাজকে নিয়ে চাইলে আপনি ফিল্ম বানাতে পারেন, বই লিখতে পারেন। এরা দেশের একটি অতি আশ্চর্য শ্রেণী। এদের পড়ালেখা বেশি, বই লিখেন, পত্র-পত্রিকায় সমালোচনা করেন, কখনো আমলা কখনো গামলা ইত্যাদি। জাতির বিবেক গঠনে এরা কাজ করে থাকেন। বিদেশি প্রেসক্রিপশন এরা দেশের আরোগ্য লাভে ব্যবহার করতে চান। কেউ কেউ আবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে সুচতুর ভাবে অন্য রাজনৈতিক দলকে বাঁশ দেন। সুশীলদের বিভিন্ন শ্রেণীর মধ্যে রয়েছে এনজিওর কর্ণধার, অবসর প্রাপ্ত আমলা, সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা, লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক । এরা বিভিন্ন দলের সুশীল শাখা হিসাবে সমাজে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব করেন।
বিগত শেখ হাসিনার আমলে এসব সুশীল সমাজের প্রেসক্রিপশন ধরে শেখ হাসিনা শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ১/১১ এর সময়ের সুশীল সমাজ চেয়েছিলেন বড়ো দুইটি রাজনৈতিক দলকে মাইনাস করে উহারা সংস্কার পার্টি গঠন করবে। কিন্তু সেই প্রজেক্ট ফেইল করে। এসব সুশীলদের মধ্যে আবার শতকরা ৮০ ভাগ আওয়ামী লীগ পন্থী সুশীল। এরা মূলত আওয়ামী লীগের সুদিনে স্লিপার সেল হিসাবে ও আওয়ামী লীগের খারাপ সময়ে এরা একটিভ হয়। এবার জুলাই অভ্যুত্থানের সময় বিশেষত জুলাই আগস্ট মাসে অনেক আওয়ামী সুশীলস তাদের খোলস চেঞ্জ করে ছাত্র-জনতার পক্ষে চলে যায়। তারা ছাত্রদের সুরক্ষার জন্য আদালতে মামলা করে। ৫ই আগস্টের পর শেখ হাসিনা পলায়নের পর আওয়ামী সুশীলসরা ছাত্র-জনতার সাথে বিজয় উৎসব করে যদিও তাদের অন্তর পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছিল। সবার আগে সুশীলদের আসল মুখোশ ছেড়ে বের হয়েছিল পান্না সাহেব। এরপর বিভিন্ন টকশোতে রেগুলার অংশগ্রহণ করে ইনিয়ে বিনিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলেন ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। সাংবাদিক মাসুদ কামাল তো আরো এক কাঠি উপরে। তিনি তো একমাসের মধ্যে ড. ইউনূসের সরকার কেন বাংলাদেশ কে বেহেশত বানাতে পারছে না তার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। এরকম হাজারো আওয়ামী সুশীলস রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ড. ইউনূসের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর ভুলত্রুটি মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুজে বের করার জন্য মাঠে নামেন। তারা ইউটিউব চ্যানেল খুলে শুরু করে দেন আগেই তো ভালো ছিলো বলা লোকজনের সাক্ষাতকার নেয়া। এরা মূলত এমন একটি প্রেক্ষাপট তৈরি করতে চান মানুষকে ব্রেইন ওয়াশ করে যাতে আওয়ামী লীগ ফিরে আসলে মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার না হয়।
সুশীলদের মধ্যে এনজিওর কর্ণধার কিছু মানুষ এবার ড. ইউনূসের সরকারে জায়গা পেয়েছেন। এরা আবার সর্বসম্মতি ক্রমে সরকার গঠিত ৬টি সংস্কার কমিটির মধ্যে কিছু সুশীলকে নিয়োগ দিয়েছেন। উপদেষ্টা পরিষদের সুশীলস দের বেকগ্রাউন্ড চেক করলে দেখা যাবে এরা শেখ হাসিনার সময়ে সরকার থেকে অনেক প্রিভিলিজ পেত। সারাজীবন যাদের থেকে প্রিভিলিজ পেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে এখন অনেকের সংকোচ হয়। নাম ধরে ধরে বলা যাবে কারা বিগত ১৫ বছর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দাওয়াত পেত, সুযোগ সুবিধা পেত। এরা যখন সরকারে গিয়েছে তাদের প্রধান দায়িত্ব হিসাবে আওয়ামী লীগ কে যতটুকু সম্ভব কম কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তার ব্যবস্থা করছেন। ঢিলেমি ভাবে ডিসিশন নিচ্ছেন এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলছেন।
সংকার কমিটিতে থাকা সুশীলেরা তো পারলে সংস্কার করে দেশকে ইউরোপ আমেরিকা বানায় ফেলতে চান। তাই এসব সংস্কার কমিটিতে বিদেশ নাগরিকত্ব পাওয়া বাংলাদেশি সুশীলেরা নিয়োগ পেয়েছেন। তারা সবাই মিলে এখন পর্যন্ত যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার মধ্যে আলোচিত হচ্ছে নির্বাচন বিষয়ক সংস্কার। আনুপাতিক হারে নির্বাচন, এমপি হওয়ার বয়স এগিয়ে আনা, ভোটার বয়স এগিয়ে আনা, সংসদে উচ্চ ও নিম্ন কক্ষ সৃষ্টি করা, প্রতি চারবছর পর নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমিয়ে ফেলা, সরাসরি ভোটের মাধ্যমে রাস্ট্রপতি নির্বাচন সহ আরো অনেক কিছু । কিন্তু উপদেষ্টা ও সংস্কার কমিটির বাইরে থাকা সুশীলেরা প্রশ্ন তুলেছেন এসব সংস্কার করে কি হবে যদি না দলগুলোর নিজেদের সংস্কার না হয়। অর্থাৎ পরিবারতন্ত্র থেকে কিভাবে রাজনৈতিক দলকে মুক্ত করা যায় তার সংস্কারও দরকার বলে মনে করেন সুশীল সমাজ। মজার ব্যাপার হইলো ক্ষমতায় থাকা সুশীলস ও বাইরে থাকা সুশীলেরা কেউ গণতান্ত্রিক কাঠামোতে বিভিন্ন মতাদর্শের দলের রাজনীতি করার ক্ষেত্রে কোন সংস্কার নিয়ে আলোচনা করছেন না। এত বিজ্ঞ ব্যক্তিদের চোখে এত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিভাবে এড়িয়ে গেল তাই আচানক ব্যাপার। এখন উপরের সংস্কারগুলো পুরোপুরি সম্পন্ন হতে যে দীর্ঘদিন লাগবে এবং একটি অনির্বাচিত সরকার দেশ চালাবে তা নিয়ে সুশীলস'দের কোন মাথাব্যথা নাই। সুশীলস দের মধ্যে অনেকে আবার জঙ্গী বয়ান তৈরি করতে মাঠে নেমেছে যা ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত। নির্বাচন কমিশন সংস্কারে থাকা এক সুশীল তো বলেই ফেলেছেন " এমন সংস্কার করবো যে মানুষ আজীবন মনে রাখবে "। অর্থাৎ নানাভাবে সুশীলেরা মানুষের মধ্যে তাদের গার্বেজ মার্কা মতবাদ দিয়ে যাচ্ছেন। জনগণও ইন্টারনেট এমবি খরচ করে এসব সুশীলসদের নৃত্য দেখছে।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৩৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পরিবর্তনের হাওয়া পেতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে অন্ধ অনুসরণ করা বন্ধ করতে হবে। সবার আগে দেশ এই মনোভাব রাখতে হবে।
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:০০
রাকু হাসান বলেছেন:
সুশীল পার্টি গঠন হোক । এদের সুশীল বলতে নারাজ আমি । সুবিধা পার্টি বলায় সমীচীন। মেরুদণ্ডহীন প্রাণী। গত স্বৈরাচারের আমলে কয়জন সুশীল দেশ ছেড়েছেন! কিংবা ঘুম খুন হয়েছেন। কতজন সুশীল মুক্তিযোদ্ধা আছে সে বিরাট প্রশ্ন। বাজারে এই আলাপও আছে ,অনেক সুশীল কলকাতা গিয়ে রেশনে টাকা খেয়ে আয়েশী জীবনযাপনের । এ বিষয়ে অল্প কিছু লিখেছিলাম ..
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:১৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৪:২৫
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: সুন্দর লেখা এই সুশীল সমাজ নিয়ে ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৪৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:০৬
কামাল১৮ বলেছেন: যাঁদের কথা বলেছেন তাদের অনেকের নখের যোগ্যতাও কি আপনার আছে।আপনার পোষ্ট পড়েইতো আপনার যোগ্যতা তাচ করা যায়।অনেক সুশীলের মাঝে শ্রেষ্ঠ সুশীল ছিলেন আহাম্মদ শরীফ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:২০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: না! আমার এমন যোগ্যতা নাই। কিন্তু যারা অসৎ, জ্ঞানপাপী, তাদের মতো হতেও চাই না। এমন মুক্তিযোদ্ধা কে সম্মান জানাতে চাইনা যারা সেকেন্ডে ১০ টা মিথ্যা বলে। আমার যোগ্যতা, মেধা কম থাকতে পারে কারণ সেটা স্রষ্টার হাতে। কিন্তু আমি যদি সৎ ভাবে জীবন যাপন করতে পারি তাই সই।
৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৫৯
কামাল১৮ বলেছেন: সুশীলরা যতটুকু ক্ষতি করেছে সেটা তেমন কিছু বড়ক্ষতি না।বড় ক্ষতি করেছে কিছু লুটপাটকারী।অর্থনৈতিক ক্ষতিই হলো বড়ক্ষতি।গাজী সাহেব তাদের কথা প্রায় লেখেন।তাদের মধ্যে প্রধান হলো বসুন্ধরা গ্রুপ।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:৪৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: টাকার বিনিময়ে বসুন্ধরা গ্রুপকে কে প্রিভিলিজ দিয়েছে? আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার সাথে একমত। আমাদের ভাগ্যে কি রয়েছে, তবে যদি বেশির ভাগ মানুষ পরিবর্তনের হাওয়ায় ভাসতে পারতো তবে হয়তো আগামী প্রজন্ম সুখী হতো।