নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
সদ্যই আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সপরিবারে হোয়াইট হাউসে উঠেছেন। নির্বাচনে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদেরসহ অন্যান্য সবাইকে এক প্রীতিভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। নিরাপত্তা রক্ষীরা যাচাই-বাছাই করে সেসব অতিথিদের ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছেন। প্রীতিভোজের শুরুতেই ডোনাল্ড ট্রাম্প সবার উদ্দেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, 'আমার প্রিয় সমর্থক এবং সহযোগী বন্ধুরা। আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এবারের এই নির্বাচন। আপনারা ছিলেন বলেই আমি আবার গ্রেট আমেরিকার সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের এই মহান দেশ গড়ার পেছনে যাদেরই অবদান আছে সবাইকে আমি স্বীকৃতি দেব।' উপস্থিত অতিথিবৃন্দের মধ্যে তুমুল করতালি উঠে। সবাই উচ্ছ্বসিত।
এই সময় একজন বেয়াড়া সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, 'কিন্তু মি. প্রেসিডেন্ট, দেশ গড়ায় যাদের অবদান আছে তাদের তো সবসময়ই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এটা তো নতুন কিছু না।' ট্রাম্প মুখ বাঁকা করে তার বিখ্যাত হাসিটা হাসেন, তারপর বলেন, 'না, এমন অনেকে আছেন যাদের আমেরিকার উন্নতির পেছনে বিশাল ভূমিকা আছে কিন্তু তাদের কথা কেউ স্মরণ করেনি, স্বীকৃতিও দেয়নি। তারা রয়ে গেছে নিভৃতে। আমি এবার তাদের সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেব।' এবার উপস্থিত অতিথিগণের মধ্যে তীব্র কৌতূহল দেখা যায়। সেই সাংবাদিক সাহেব কৌতূহলী গলায় জিজ্ঞেস করেন, 'মাননীয় প্রেসিডেন্ট মহোদয়, এমন কারা আছে যাদের অবদান থাকা সত্ত্বেও এখনও স্বীকৃতি জানানো হয়নি?' ট্রাম্প মুচকি হাসেন, তারপর মাথার সোনালি চুল ঠিক করে বলেন, 'তৃতীয় বিশ্বের কিছু মানুষ আছে যারা নিজেদের দেশের সমস্ত টাকা-পয়সার লুটে আমাদের দেশে ইনভেস্ট করেছে। আমাদের দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার জন্য তারা তাদের সরকারি ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে এই দেশে নিয়ে এসেছে। এই দেশের আবাসন খাতে অনেক টাকা ইনভেস্ট করেছে। আমি সেই সব দেশের মানুষদের স্বীকৃতি দিতে চাই। আমেরিকার জন্য তারা রেমিট্যান্স যোদ্ধা। আর এদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ নামে একটি দেশের মানুষ। প্রথম দশ জনের মধ্যে সাতজনই বাংলাদেশের। আমার পার্শ্ববর্তী দেশ কানাডাতেও তাদের ভূমিকা অপরিসীম। সে দেশে এমনকি একটা বেগমপাড়াও আছে। আমি বিগত ট্রুডো সরকারকে তাদের স্বীকৃতির ব্যাপারে অনুরোধ করেছিলাম। উনি অনুরোধ রাখেননি। কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রীকে আমি আহ্বান জানাবো দেশের সত্যিকারের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের যেন স্বীকৃতি দেওয়া হয়।'
উপস্থিত অতিথিবৃন্দের মধ্যে একটা দ্বিধা দেখা দেয়। প্রেসিডেন্টের এমন উদ্ভট কথাতে হাততালি দেবে নাকি দেবে না! সেই সাংবাদিক এবার উৎকণ্ঠা নিয়ে প্রশ্ন করেন, ' কিন্তু মিস্টার প্রেসিডেন্ট, এরা তো নিজের দেশের সর্বনাশ করে আমাদের এখানে এসেছে। এরা না আবার আমাদের ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি করে পাচার করে দেয়। এরা আমাদের দেশের জন্য তো বিপদজনক।' ট্রাম্প এবার মুচকি হেসে বলে, 'আমার কথা এখনো শেষ হয়নি। পুরোটা শুনে তারপর প্রশ্ন করবেন। আমি এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ন্যাশনাল ল্যাবে পাঠাব। তাদের ওপর আজীবন গবেষণা চলবে। কী করে একটা দেশের মানুষ তার নিজের দেশের সব টাকা লুটপাট করে অন্য আরেকটা দেশে পাচার করে নিয়ে আসে। তাদের শরীরের কোন জিন এই বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী। বিজ্ঞানীরা সেটা খুঁজে বার করুক। যাতে করে এদেশের মানুষ কখনও তাদের মতো না হয়ে যায়। আমেরিকার স্বার্থে এই রেমিট্যান্স যোদ্ধারা আমাদের গবেষণাগারে নিজেদের উৎসর্গ করবে। আমরা তাদের বীরের সম্মান দেব।' এবার পুরো হলজুড়ে করতালিতে ফেটে পড়ে। আর এদিকে গতিউর, নজির, কাইফুজ্জামান, আলম সহ অনেক রেমিট্যান্স যোদ্ধারা আতংক নিয়ে ট্রাম্পের এই ভাষণ শুনছিল। লোকটা কি সত্যিই ওদের ল্যাবরেটরির গিনিপিগ বানাবে?
মারুফ মাহমুদ/সংগ্রহীত
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৩৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৫৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
ট্রাম্পকে বলবেন কাকরাইল মসজিদে হাজিরা দিয়ে জেনেটিক্স বদলাতে।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৫৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ৩১ জানুয়ারি যে কি হতে যাচ্ছে তা কে জানে! তবে ভারত থেকে জমিয়াতে উলামা হিন্দের একজন বড়ো মৌলভী এসেছেন। এরাও ওখন কূটনীতির পার্ট ভাবা যায় ! রাহাত ফতেহ আলী খান পাকিস্তানের কূটনীতির বাহক ছিলো!
৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৫৭
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ভালো লিখেছেন
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৫৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকে দ্রুত প্রথম পাতায় দেখতে চাই।
৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৫৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
তাবলীগ চলবে, হয়তো সময়মত ৩য় পর্ব চালু করা লাগবে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:০০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভারত থেকে আসা হুজুর আগামী রাজনীতির জন্য সন্দেশ এনেছেন কারো পক্ষ থেকে।
৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:০৩
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: কি ভাবে প্রথম পাতায় যেতে হয় জানিনা ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:০৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বেশি বেশি কমেন্ট করেন। ব্লগার শাহ আজিজ, মহাজাগতিক চিন্তা, শূন্য সারমর্ম, ক্লোন রাফা, রাজিব নুর এদের পোস্টে কমেন্ট করতে পারেন। উনারা মোটামুটি রেগুলার!
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৩৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তবে তাই হোক।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৪০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য৷
৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৫২
আদিত্য ০১ বলেছেন: কুতুব ভাই ভাগ বাটোয়ারা কেমন পাইলেন। আপনার নেতারা তো একেক জন মনে হয় ৫ মাসে টাকার কুমিরের সাথে আন্ডা বাচ্চাও পয়দা করছে। ছোট এরশাদ সারভিস নাকি নিজের ভাগ বড় পাইনাই বইলা পল্টি নেওয়ার ট্রাই করছে, ঐদিকে হাসনাত সাংবাদিকদের কলমের সাথে রড দিয়ে পিটাইছে কারন সাংবাদিকরা কেন তাদের ভাগ বাটোয়ারা ছবি তুলতে গেলো।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:০০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ঢাবির সমন্বয়ক গুলো নিজেরাই বৈষম্য করছে ! গতকাল দেখলাম জাতীয় ও প্রাইভেট ভার্সিটির সমন্বয়কদের পেটালো তারা। ব্লগেও দুইজন আছেন যারা ঢাবির কৃতিত্ব বলতে বলতে ফ্লেক্সি খান। প্রাইভেট ভার্সিটি ও জাতীয় ইউনিভার্সিটির পোলাপান কিছুই পেল না।
৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:০৪
আদিত্য ০১ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঢাবির সমন্বয়ক গুলো নিজেরাই বৈষম্য করছে ! গতকাল দেখলাম জাতীয় ও প্রাইভেট ভার্সিটির
আরও অনেক নিউজ আছে, দেখেন। সারভিস এখন শফির জুতা চাটে। আগামী দিনের জামাতী গোলাম। এরশাদ মরে গিয়েও সারভিসের মাঝে অমর। হাসনাত কলমের ভেঙ্গে দেওয়ার সাথে পিডায়।
ক্ষমতাটা চলে গেলে এই গেঞ্জিগুলার ড্যাডি কা মামা কোথায় যে কি হবে।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:১২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দেখা যাক!
৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:২২
আদিত্য ০১ বলেছেন: লেখক বলেছেন: দেখা যাক!
ইও ড্যাডি ইও ইও হবে!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:২৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা কামনা করছি!
১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:২৬
আদিত্য ০১ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা কামনা করছি!
হা হা হা... চালিয়ে যান
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৩০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনিও চালিয়ে যান। ধন্যবাদ।
১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১:৩৫
আদিত্য ০১ বলেছেন: গেঞ্জিরা আব্বু বা বাবা বা আব্বা বলে না ওরা ড্যাডি বলে। ওদের এমন অনেক কিছু ওয়ার্ড আছে। তাই আমি বলেছি। কুতুব ভাই রাগ করবেন না। রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। আপনি ভালো লেখেন। আপনার সব লেখায় কমেন্ট করি। বিতর্ক বা বাকযুদ্ধ থাকবে। অবশ্যই সেটা কাউকে ছোট করে না বা অশালীন বা ব্যক্তি আক্রমন করে না। আমি আপনাকে ছোট করে বলিনাই কখনও
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:২৮
গ্যাব্রিয়ল বলেছেন: ভালো বলেছেন।