নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
জানুয়ারি মাসের শেষ ভাগে সংঘটিত হওয়া বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে মানুষের মধ্যে বেশ অস্থিরতা কাজ করছিল। বিশেষত ২০শে জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসীন হওয়াকে কেন্দ্র করে পতিত স্বৈরাচার অনলাইনে খুব উল্লাস দেখাচ্ছিল। কিন্তু তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। দেশের সকল কাজকর্ম আগের মতোই চলছে। ইন্টেরিম সরকার এখনও ক্ষমতায় নির্বিঘ্নে দেশ পরিচালনা করছে। কিন্তু ধর্ম প্রাণ মুসলমানদের মধ্যে আসলে যে বিষয়ে আতঙ্ক কাজ করছিল তা হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা কে কেন্দ্র করে। ডিসেম্বর মাসে খুব সম্ভবত তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষ মাওলানা জুবাইয়ের ও মাওলানা সাদপন্থীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন্ প্রাণ হারান। সারা দেশে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠে। মানুষের মধ্যে এক ধরণের বিস্ময় কাজ করেছিল যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত করা নিয়ে দেশে এখন সংঘাত হচ্ছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে এমনিতেই দেশের মধ্যে প্রতিদিন আন্দোলন, মারামারি চলছে। তার মধ্যে এমন সংঘাতে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা কমে গিয়েছে।
২০১৮ সালে তাবলীগ জামাত দুই অংশে ভাগ হয়ে যায়। একদল ভারত পন্থী মাওলানা সাদের অনুসারী এবং অন্য পক্ষ মাওলানা জুবায়েরের অনুসারী। মাওলানা জুবায়েরের জামাতের মধ্যে বাংলাদেশের তথাকথিত অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের প্রভাব রয়েছে। মাওলানা সাদ কোন এক বক্তৃতায় বলেছিলেন, অর্থের বিনিময়ে ধর্মীয় জ্ঞান ও শিক্ষা দান অনুচিত। এরপর থেকে বাংলাদেশ অংশের তথা জুবাইয়ের পন্থীরা মাওলানা সাদ কে সঠিক আলেম নয় ফতুয়া দেয় এবং তাকে বাংলাদেশে যাতে না আসতে পারে তার জন্য বিগত সরকার কে চাপে রাখে। অন্যদিকে মাওলানা সাদের অনুসারীরা উনাকে ছাড়া ইজতেমা হতে দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দেয়। ফলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার বাধ্য হয়ে দুইটি বিশ্ব ইজতেমা আয়োজন করার জন্য দুই পক্ষকে অনুমতি দেয়। তারপরও মাওলানা সাদ ও জুবাইয়ের পন্থীরা বিভিন্ন সময় কাকরাইল মসজিদ দখল নিয়ে, জোড় জামাত নিয়ে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন।
জুবায়েরপন্থী অংশটির বর্তমান নেতৃত্ব হেফাজতে ইসলামের হাতে। ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হওয়া অভ্যুত্থানে হেফাজতে ইসলাম সক্রিয় ভূমিকা রাখে। বর্তমানে সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান আলী রিয়াজ তার এক আর্টিকেলে দাবী করেছেন বাংলাদেশ জামায়তে ইসলামীর কওমী শাখা হচ্ছে হেফাজতে ইসলাম। এই ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় পীর সাহেব চরমোনাইয়ের একটি ভাষণে। তিনি বলেছিলেন, জামায়াতে ইসলামী কওমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হুজুরদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। অনেক হুজুর তাদের এই ট্রাপে পড়ে গিয়েছে। ইন্টেরিম সরকারের সময় তাই হেফাজতে ইসলাম খুব প্রভাবশালী হয়ে পড়ে। তারা মাওলানা সাদ কে ভারতের দালাল আখ্যায়িত করে বাংলাদেশে আসতে দিবে না বলে হুশিয়ারি জানায়। অন্যদিকে মাওলানা সাদের অনুসারীরা শুরু থেকেই বলে আসছে ইন্টেরিম সরকার নিরপেক্ষভাবে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। তারা আরো অভিযোগ করেছে মাওলানা মামুনুল হকের প্রভাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাদপন্থী অনেক সমর্থকদের গ্রেফতার করেছে। অবশ্য পরে তারা ছাড়া পেয়ে যায়।
ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের প্রখ্যাত আলেম মাওলানা আরশাদ মাদানী বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। ২০২৪ সালেও যখন তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে অস্থিরতা দেখা যায় তখন আরশানী সাহেব দুই পক্ষের সাথে বসে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দেন। এবারও শান্তির দূত হিসাবে মাওলানা আরশাদ মাদামী সাহেব বাংলাদেশে এসেছেন। তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যেই মাওলানা আরশাদ সাহেব সাহেবের প্রচুর ভক্ত ও ছাত্র রয়েছেন যারা উনাকে মান্য করেন। ইন্টেরিম সরকার থেকে হয়তো বড়ো হুজুরকে অনুরোধ জানানো হয়েছে যে তিনি বাংলাদেশে সফর করে দুই পক্ষকে নিয়ে আসন্ন সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করেন। মাওলানা সাহেব বাংলাদেশে খুব ব্যস্ত সময় কাটাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তাবলীগ জামাতে বিএনপি-আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি সহ অনেক দলের সাপোর্টাররা গিয়ে থাকেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লোকজন্ বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেয়। এমন একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সংঘাত হলে বাংলাদেশের যেমন বদনামি হবে মুসলিম বিশ্বের মানুষের কাছে অন্যদিকে অমুসলিমরা এটিকে চরমপন্থীদের সংঘাত প্রচার করে প্রোপাগাণ্ডা চালাবে।
জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের অধিকাংশ ধর্মপ্রাণ মানুষ বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে সংঘাতের যে আশঙ্কা করছিল আশা করি মাওলানা আরশাদের আগমনে তা কিছুটা প্রশমিত হবে। এখন তাবলীগ জামাতের দুই অংশের লোকের সদিচ্ছার উপর বাকিটা নির্ভর করছে।
বি :দ্র :- আলেমদের তত্ত্বাবধানে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ইজতেমা-জনকন্ঠ(২৪ জানুয়ারি) । মাওলানা আরশাদ মাদানী কে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ। আশা করি বিজ্ঞ আলেমসমাজ দেশের এই ক্রান্তি লগ্নে নিজেদের ঐক্য ধররে রাখতে সক্ষম হবেন।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:২৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এত ডিপে যাওয়ার কি আছে? । বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে মারামারি না হলেই স্বস্তি !
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৩১
অগ্নিবাবা বলেছেন: গোপন সুত্রের খবর বাংলাদেশে থেকে গজওয়াতুল হিন্দ জিহাদে ভারতের মাজার পুজারী মুসলমানেরা যোগ দেবেন না। কারন তারা ভারতে সস্তায় গরুর মাংস খাচ্ছে এবং মজায় চিল করছে। মাজার পূজারী এইসব মুসলমানেরা খুব আতংকিত যে, ইস্লামী শাসন কায়েম হলে তারা আর ধর্ম কর্ম করতে পারবে না, তাদের মাজার ভেঙ্গে দেওয়া হবে। সুফীবাদী এ আর রহমানের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে, তিনি কেন্দে কেন্দে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করছেন যে গান গাওয়ার অপরাধে তাকে যেন কোতল করা না হয়। ভারতের মুসলমানদের ভিতরে এখন ইসলাম ফোবিয়া দেখা দিছে। এই আল্লামা মাদানী নিশ্চয়ই ভারতের র এর এজেন্ট, গজওয়াতুল হিন্দ বানচাল করতে তিনি বাংলাদেশে গিয়েছেন, মুমিনগন সাবধান। ভারতীয় কাউকে বিশ্বাস করা ঠিক হবে না।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হনুমানের ভক্তরা কি করছে? মুসলিমরা গাজাওয়াতুল হিন্দ নিয়ে ব্যস্ত আর হিন্দুরা নিজেদের হনুমান বানাতে ব্যস্ত। পার্থক্য তেমন নেই।
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: বিশ্ব ইজতেমা কোনো কোরআন হাদীস বর্নিত ধর্মীয় বিধান নয়। তারপরও এই নিয়ে বিভক্তি এবং খুনোখুনি- হয় এক ছাতার নিচে হবে, নয়তো বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যেখানে এত লোক ইজতেমা হউক সেখানে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া এত সহজ নয়। তবে আমার মূল বক্তব্য হচ্ছে এবার দেশের পরিস্থিতি যে কোন সময়ের চেয়ে জটিল। নির্বাচিত সরকার থাকলে এত চিন্তা ছিলো না।
৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২৬
অগ্নিবাবা বলেছেন: হনুমান ভক্তরা অনেক দিন আগে থেকেই ভারতকে হিন্দু রাস্ট্র বানানোর জন্য জয় শ্রীরাম বলে চেল্লায়ে গলা শুকাচ্ছিলো কিন্তু হালে পানি পাচ্ছিল না, ভারতের সেকু মাকুরা হনুমানেরে দৌড়ের উপ্রে রাখছিল। কিন্তু সারা দুনিয়ায় শান্তি ধর্মের অনুসারীরা এত শান্তি কায়েম করছে যে শান্তির ঠেলায় কাফেরগো নাভিশ্বাস উঠছে। তারপর গাজাউতুল হিন্দ এর হুমকি শুনে হনুমানেরা সব এক জোট হচ্ছে, সেকু মাকুদের আর কেউ গোনায় ধরছে না। এইবার খেলা হবে। আপনে ত আবার দুই নৌকায় পা দিয়ে রাখছেন। বুদ্ধিমানের লক্ষন।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি কোন পক্ষ নই। তাই আমার বক্তব্য আপনি কোন পক্ষ থেকে চিন্তা করলে বুঝবেন না। আমার মূল বক্তব্য হচ্ছে আমাদের দেশে সামনের দিন গুলোতে কি হতে যাচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা কে কেন্দ্র করে তা নিয়ে এনালাইসিস করা। তাবলীগ জামাতের ৯০ ভাগ লোক অহিংস ও অরাজনৈতিক । কিন্তু ২০১৮ সালের পর থেকে তাবলীগ জামাতের গায়ে কেন জানি রাজনৈতিক রঙ লেগে গেছে।
বাংলাদেশের অধিকাংশ ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দল তাবলীগ জামাত পছন্দ করে না। কিন্তু এত বৃহৎ সংখ্যক কমিউনিটির নেতৃত্ব নিয়ন্ত্রণে নিতে পারলে নিজেদের স্থান অনেক শক্তিশালী হয় রাজনীতির মাঠে।
৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: ইজতেমা বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।
সৌদির হজ্ব থেকে ইনকাম হয়। কিন্তু ইজতেমা থেকে ইনকাম হয় না।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কে বলেছে ইনকাম হয় না? বিদেশি রা আসেন, হোটেলে থাকেন তখন ইনকাম হয় না? ইজতেমার জন্য অনেকে গাড়ি ভাড়া করেন, সেখানে অস্থায়ী খাবার দোকান হয়, অনেকে আতর, তসবীর দোকান দেন তখন ও ইনকাম হয়।
৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১১
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: তাবলীগের বর্তমান সমস্যা নিয়ে কিছুদিন পূর্বে আপনি কোনো একটি পোস্টে একমাত্র সঠিক মন্তব্যটি করেছিলেন। তাবলীগ সংক্রান্ত অধিকাংশ পোস্ট এবং মন্তব্য সঠিক ছিল না। বর্তমান সমস্যার পেছনে অন্যতম দায়ী হেফাজত এবং পাকিস্তানের গ্রুপ ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:১৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি এদের ভিতরের খবর জানি। আমার চার ফুফাতো ভাই দেওবন্দ থেকে পড়াশোনা করে কওমী মাদরাসায় শিক্ষকতা করে। তারাই এসব জানায়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:১৯
নতুন বলেছেন: ডিসেম্বর মাসে খুব সম্ভবত তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষ মাওলানা জুবাইয়ের ও মাওলানা সাদপন্থীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে চারজন্ প্রাণ হারান। সারা দেশে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠে। মানুষের মধ্যে এক ধরণের বিস্ময় কাজ করেছিল যে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ইবাদত করা নিয়ে দেশে এখন সংঘাত হচ্ছে।
এটা দুইগ্রুপ মাওলানাদের করে কেটে খাওয়ার ধান্দার ঝামেলা মাত্র। ধর্ম তো উছিলা মাত্র।
সমাজের মানুষের ধর্মভিরুতাকে পুজি করে বেশির ভাগ ধর্মগুরু নেতা হয়ে জিবিকা নির্বাহ করছে মাত্র।
ব্যবসাই আসল ধর্ম কভার মাত্র।