![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
জুলাই অভ্যুত্থানের পর সমাজে এক নতুন ধরণের প্রবণতা দেখা দিয়েছে। মব-জাস্টিস নামে নতুন পার্টির আবির্ভাব হয়েছে। এই বিষয়ে বলা রাখা ভালো মব সৃষ্টির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে অথবা স্থাপনায় আক্রমণ করা কখনো জাস্টিসের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। দেশের প্রচলিত আইন অনুসরণ করেই সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে নিজের হাতে আইন তুলে নেয়ার প্রবণতা রয়েছে। ছিনতাই -কারী, চোর- ডাকাত পিটিয়ে হত্যা করার ঐতিহ্য এই দেশের মানুষের রয়েছে। দেশের প্রচলিত আইন অনুসরণ করে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার প্রতি মানুষের আগ্রহ কম। আরেকটি কারণ হচ্ছে দেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের বিভিন্ন কারণে অনীহা চলে এসেছে। সাধারণ জনগন ন্যায় বিচার পাবেন কিনা অথবা অপরাধীর আইনের ফাঁক ফোকরে বের হয়ে এসে তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে কিনা সে আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ মব-জাস্টিসের আশ্রয় নেয়।
মব-জাস্টিস পার্টি জাস্টিসের নামে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে । এই মব-জাস্টিস পার্টি আসলে কারা? দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকতে কেন তারা মব সৃষ্টি করে জাস্টিস করতে চায় ? ছাত্র-জনতার সম্মেলিত প্রচেষ্টায় একটি সফল গণঅভ্যুত্থান হয়েছে দেশে। অভ্যুত্থানের পর দেশের আইনশৃংখলা বাহিনী বিশেষত পুলিশ বাহিনীর চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে। বিগত সরকারের আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত হয়েছিলো পুলিশ বাহিনী। তারা ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। তাই অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পর পতিত স্বৈরাচারের সহযোগী হিসাবে পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছিলো। পুলিশ বাহিনীর মোর্যালিটি ভেঙে পড়েছে এসব কারণে। তারা আগের মতো ভূমিকা রাখতে পারছিলো না আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার। অন্যদিকে পতিত স্বৈরাচারের প্রতি পুলিশের সহনশীল মনোভাবের কারণে ক্রিমিনালদের গ্রেফতার নিয়ে সংশয়ের মুখে অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী প্রধান শক্তি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আইনশৃংখলা বাহিনীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। এতে বিগত সরকারের মদদপুষ্ট অনেক ক্রিমিনাল কে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছিলো।
ইন্টেরিম সরকার ক্ষমতা গ্রহণের তিনমাস পর্যন্ত ছাত্র-জনতার মাঠে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাহায্য করার উদ্যোগ সর্ব মহলে প্রশংসা পেয়েছিলো। কিন্তু ছয়মাস পার হলেও যখন ছাত্র-জনতা ঘরে ফিরে গেলো না এবং মব-জাস্টিসের নামে মানুষ পিটিয়ে হত্যা করার প্রবণতা বন্ধ হলো না জনমনে একটি প্রশ্নই উঁকি দিচ্ছে সরকার কেন ছাত্র-জনতা ও মব-জাস্টিসের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না ? সরকারের পক্ষ থেকে খালি হুমকি ধামকি ব্যতীত আর কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় নি। এদিকে মব-জাস্টিস যেন থামছেই না। সর্বশেষ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কতিপয় লোক মব সৃষ্টি করে দুইজন ইরানি নাগরিক কে মিথ্যা অভিযোগে মারধর করে। এই ঘটনা মিডিয়ায় আসায় সরকার আ্যাকশন নিতে বাধ্য হয়। সরকার যদি পূর্বে মবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতো তবে বিদেশি নাগরিকদের এমন ন্যাক্কারজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় না।
অনেকে সন্দেহ পোষণ করছেন এসব মব-জাস্টিসের সাথে সরকারের কোনো একটি অংশ জড়িত। কারণ পূর্বে সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে ছাত্র-জনতা মব সৃষ্টি করে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে অপসারণের অভিযোগ রয়েছে। ছাত্র-জনতা পরিচয়ে কেউ মব সৃষ্টি করে কারো প্রাইভেট প্রপার্টি তল্লাশি করলে আইনশৃংখলা বাহিনীর নিরব ভূমিকা দেখা যায়। হলুদ সাংবাদিকরা খবরের কাগজে মব-জাস্টিস পার্টিকে ছাত্র-জনতা হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে নৈরাজ্য কে বৈধ করার মিশনে নেমেছে। ছাত্র-জনতার পরিচয়ে মব সৃষ্টি করলে যেন সাত খুন মাফ! গতকাল মধ্যরাতে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে গুলশান শাহাবুদ্দিন পার্ক এলাকায়। গায়েবি ক্ষুদে বার্তার উপর নির্ভর করে একদল লোক ছাত্র-জনতার পরিচয় দিয়ে সাবেক এমপি তানভীর ইমামের সাবেক স্ত্রীর ফ্ল্যাটে বিপুল পরিমাণ টাকা ও অস্ত্র আছে এই দাবী করে তল্লাশি করে। রোজা রমজান মাসে তাদের এনার্জি লেভেল দেখতে সাধারণ মানুষের ঘুম হারাম। নিজেদের ছাত্র-জনতা হিসাবে পরিচয় দেওয়ার কারণে আইনশৃংখলা বাহিনী তাদের কোনোরূপ বাধা দিতে দেখা যায় নাই। মিডিয়ার সামনে 'ছাত্র-জনতার' পরিচয় দেয়া মব-জাস্টিস পার্টির আস্ফালন ছিলো চোখে পড়ার মতো। এই ঘটনায় সারাদেশে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সরকারের নিস্ক্রিয় ভূমিকার সমালোচনা করছেন অনেকে। দেশে শাসন ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার ছয় মাস পরেও কেন আইনশৃংখলা বাহিনী ব্যতীত অন্য কেউ মানুষের বাড়ি তল্লাশি করছে তা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। সরকার কি দেশ চালাতে পারছে না ?
দেশে পরিকল্পিত ভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টির পিছনে অনেক গ্রুপ কাজ করছে। এক পক্ষ চায় নৈরাজ্যের সুযোগ নিয়ে দেশে সামরিক শাসক আসুক। অন্য পক্ষ চায় দেশে একটি বিল্লবী সরকার গঠন করে নিজেদের বাসনা পূর্ণ করতে। উভয় পক্ষ যে কোনো মূল্যে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে তাই তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে ।
০৬ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১:১৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি তো ভেবেছি ইরানের ইসলামিক বিপ্লবের কথা বলবেন !
২| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৩০
ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:
শিবিরের ভাড়াটেরা বড় ধরণের পয়সা আয় করেছে, ইহাকে ফরাসী বিপ্লব বলাই ঠিক হবে।
০৬ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৩৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: অভ্যুত্থান না বিপ্লব - এই তর্কেই কেটে যাচ্ছে দিনরাত।
৩| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৩৩
ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:
শিবিরের হায়েনাগুলো যতদিন সরকারে আছে, ছাত্র মবকে কেহ থামাতে পারবে না।
০৬ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৩৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: 'ছাত্র' শব্দের বারোটা বেজে যাচ্ছে।
৪| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:১৫
কাঁউটাল বলেছেন: আপনার লেখায় "আওয়ামী" "আওয়ামী" গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আয়নাঘরের যুগ আবার ফেরত আনতে চান নাকি?
০৬ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:২২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমার পোস্ট দেখে আসতে পারেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার নামে যা শুরু হয়েছে তা নিয়ে কথা বলার সময় এসেছে। আওয়ামী লীগের দোহাই দিয়ে অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না।
আওয়ামী লীগ কে ব্যান করা হউক। বিচার করুক কোনো সমস্যা নেই। ট্যাগিং না করে অন্যায়ের সমালোচনা করতে শিখুন।
৫| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:১২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তথাকথিত ছাত্র-জনতা দেশটাকে শে ষ করে দিয়েছে।
এদের থামানো খুবই জরুরী।
০৬ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:২৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি খবর পেয়েছি আজকে তৌহিদি জনতার নামে আওয়ামী ওলামা লীগ নারীদের খেলতে বাধা দিয়েছে, মাজার ভেঙেছে। যেখানে আপনারাই কালপ্রিট অন্য দের সমালোচনা করতে লজ্জা থাকা উচিত। জনগণ লাল কার্ড দেখিয়েছে আপনাদের।
৬| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:২৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: আমি খবর পেয়েছি আজকে তৌহিদি জনতার নামে আওয়ামী ওলামা লীগ নারীদের খেলতে বাধা দিয়েছে, মাজার ভেঙেছে। যেখানে আপনারাই কালপ্রিট অন্য দের সমালোচনা করতে লজ্জা থাকা উচিত। জনগণ লাল কার্ড দেখিয়েছে আপনাদের।
ইহা আপনার মারাত্বক বেঠিক ধারণা। আলীগ পালিয়ে আছে। তারা এখন এটা করতে সাহস পাবে না।
তবে তাদের সময় এলে তারা ছেড়ে দেবে না।
তথাকথিত ছাত্র-জনতাকে এক মিনিটের জন্যও ঘুমোতে দিবে না।
তবে সেই সময় আসতে অনেক দেরী। এখন তারা পালিয়ে আছে।
নেতা না থাকলে কেউই প্রতিবাদে সামিল হতে পারে না।
০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:০২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সবাই পালায় নাই। কেউ কেউ অন্য দলে অনুপ্রবেশ করে স্যাবোটাজ করছে।
৭| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৬:০০
কাঁউটাল বলেছেন: হারামি টি ইমামের (এইচ টি ইমাম) ছেলের বাসা না হয়ে অন্য কোথাও কিছু হলে নিশ্চই এত উতলা হতেন না? ফ্যাসিস্ট রেজিমের চিফ আর্কিটেক্ট ছিল হারামি ইমাম।
০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:০৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এইচ টি ইমামের ছেলের সাবেক বউ এর বাসা। যার সাথে ডিভোর্স হয়েছে ২০/২৫ বছর আগে। ইরানি নাগরিকের প্রসঙ্গ এনেছি। এড়িয়ে গেলেন মনে হয়? প্রেস সচিবের বক্তব্য দেখে আবার কমেন্ট করেন।
৮| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৬:০৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আর কটা দিন সবুর।
তারপর সবাই ইউনুছকেই সব চেয়ে বড় ফ্যাসিস্ট বলিবে।
০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:০৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনাদের কটা দিন আর শেষ হবে না।
৯| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ৭:০৯
কামাল১৮ বলেছেন: আপনি কি অন্ধ? ইউনুস ও সমন্বয়করা এসব করছে। আর্মির একটা অংশ এর সাথে জড়িত।
০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:০৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যখন দেশে বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় তখন সবাই সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে। ছাত্র-জনতার নামে কারা গিয়েছিল গুলশানে প্রেস সচিব ক্লিয়ার করেছে। আমি অন্ধ না দেখেই খবর পেলাম তৌহিদি জনতা ওরফে ওলামা লীগ স্যাবোটাজ করেছে অনেক স্থানে।
১০| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: যারা ছাত্র জনতার পরিচয় দিচ্ছে এরা আসলে জামাত শিবিরের লোক। এরাই দেশের পরিবেশ নষ্ট করছে।
০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:১০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি পক্ষপাত দুষ্ট কথা বলছেন। ছাত্র-জনতার নাম ব্যবহার করে যারা মব সৃষ্টি করছে সবাই যে দল করে এমন নয়। ক্রিমিনালরা তাদের নাম ব্যবহার করে সুযোগ নিতে চাচ্ছে। এতে বদনাম হচ্ছে সাধারণ ছাত্রদের।
১১| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৪২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ডাস্টবিন শফিকের কোন কথাই আর বিশ্বাসযোগ্য নহে।
০৬ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৫
জিএমফাহিম বলেছেন: এনারকিজম একটা রাজনৈতিক দর্শন। এটা খুবই টেকনিকাল একটা টার্ম। যদিও পলিটিকাল সাইয়েন্স আর আইডিওলজিকাল এনারকিস্ট এর বাইরে এই টার্মকে খুবই নেগেটিভ অর্থেই ব্যবহার করা হয়।
চাইলে পড়তে পারেনঃ
https://plato.stanford.edu/entries/anarchism/
০৬ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১:০৪
ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:
আমরিকান ক্যু'কে "ফরাসী বিপ্লব" বলে চালায়ে দিচ্ছে প্রশ্নফাঁসরা। এর ফলে সমস্যা হচ্ছে।