![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
বাংলা গানের ভাণ্ডারে কাজী নজরুল ইসলাম এক অনন্য নাম। তিনি বাংলা সাহিত্যে ইসলামী সংগীতের এক শক্তিশালী ধারা তৈরি করেছেন। তারই লেখা কালজয়ী গজল "ও মোর রমজানেরও রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ" বাংলা মুসলিম সমাজে ঈদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে গেছে। আজও ঈদের দিনে এই গান না বাজলে যেন ঈদের আমেজই পূর্ণ হয় না। কিন্তু কীভাবে এই গানটি জন্ম নিল, এবং কিভাবে এটি ঈদ সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠল? চলুন, জেনে নেওয়া যাক এর ইতিহাস।
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন নিছক একজন কবি বা গীতিকার নন, বরং তিনি ছিলেন এক জননন্দিত বিপ্লবী। তবে তার সৃষ্টিতে ইসলামী ভাবধারা, বিশেষত ইসলামী সংগীতের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রকাশ পাওয়া যায়। ১৯৩০-এর দশকে ব্রিটিশ ভারতের মুসলিম সমাজে ইসলামী গান ও গজলের প্রচলন থাকলেও তা মূলত আরবি-ফারসি বা উর্দু ভাষায় সীমাবদ্ধ ছিল। নজরুল বাংলা ভাষায় ইসলামী গজলকে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে অসংখ্য গান ও কবিতা লিখতে থাকেন। তিনি মনে করতেন, বাংলাভাষী মুসলিমদের জন্য এমন সংগীত প্রয়োজন, যা তাদের ধর্মীয় আবেগ ও সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হবে। ঈদুল ফিতরের আনন্দকে ঘিরে "ও মোর রমজানেরও রোজার শেষে" গানটি রচনা করেন নজরুল। এটি সম্ভবত ১৯৩১-৩২ সালের দিকে লেখা হয়েছিল। গানটির মূল সুরারোপ করেছিলেন তিনি নিজেই। পরবর্তীতে এটি বিভিন্ন শিল্পীর কণ্ঠে পরিবেশিত হয়েছে।
গানটির প্রতিটি চরণ রমজানের সংযম ও আত্মশুদ্ধির বার্তা বহন করে। এটি শুধু ঈদের আনন্দ উদযাপনের গান নয়, বরং রোজার শিক্ষা ও ত্যাগের মাধ্যমে ঈদের মাহাত্ম্য ফুটিয়ে তোলে।
গানটিতে বলা হয়েছে—
"ও মোর রমজানেরও রোজার শেষে
এলো খুশির ঈদ
তুই যত পাপী, যত গুণহী,
তোরে আদর করিব খোদা তুই রেহাই পাবি রে!"
এই কথাগুলো ইসলামের ক্ষমাশীলতা ও দয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়। পুরো মাসব্যাপী রোজা রেখে সংযম ও আত্মশুদ্ধির পর ঈদ আসে এক মহা আনন্দ হিসেবে। কিন্তু এই আনন্দ শুধু ধনীদের নয়, বরং গরিব-দুঃখী, পাপী-তাপী সকলের জন্য। নজরুল এই গানে ইসলামের সাম্যের আদর্শকে চিত্রিত করেছেন।
গানটি প্রথমদিকে গ্রাম্য মক্তব-মাদ্রাসায় ও ইসলামিক জলসাগুলোতে গাওয়া হতো। কিন্তু ১৯৫০-এর দশক থেকে এটি বেতার ও টেলিভিশনে প্রচারিত হতে থাকে, এবং ধীরে ধীরে বাংলাদেশের ঈদ উৎসবের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে। আজও ঈদের আগের রাত বা ঈদের দিন সকালে রেডিও-টিভিতে এই গানটি প্রচার করা হয়, যা একপ্রকার ঈদের আগমনী ধ্বনি হিসেবে বিবেচিত হয়। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে ঈদের সময় এই গান গাওয়া এবং বাজানো এখনো প্রচলিত রয়েছে। এটি বাংলা ইসলামী গানের ইতিহাসে অমর হয়ে আছে। নজরুলের লেখা আরও অনেক ইসলামী গান রয়েছে, তবে ঈদের জন্য লেখা গান হিসেবে এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল প্রচারিত।
"ও মোর রমজানেরও রোজার শেষে" শুধুমাত্র একটি গান নয়, এটি ঈদ উৎসবের আবেগ ও ধর্মীয় অনুভূতির প্রতিচিত্র। কাজী নজরুল ইসলাম তার অসামান্য প্রতিভা দিয়ে বাংলা ইসলামী সংগীতকে সমৃদ্ধ করেছেন, আর এই গান তার অন্যতম সেরা উদাহরণ। প্রতিবছর যখন ঈদের চাঁদ ওঠে, তখন এই গান আমাদের মনে করিয়ে দেয় ঈদের প্রকৃত শিক্ষা—সাম্য, সংযম, ক্ষমা ও আনন্দের মিলন। তাই এই গান কেবল সুর আর বাণীর নয়, বরং ঈদের আবেগ ও অনুভূতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমাদের বাসায় এটা সবসময় বাজতে থাকে। ঈদ মুবারক!
২| ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬
অপ্সরা বলেছেন: এখনও কি বাঁজছে?
৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হ্যা। সারারাত বাজবে। সাউন্ডবক্সে!
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:১১
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: ঈদ মুবারাক।
৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:১৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ঈদ মুবারাক !
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:১৯
অপ্সরা বলেছেন: বাপরে!!!
ভিডিও করে একটু দেখাও দেখি...... কই আছে এমন দৃশ্য আজও টিকে বাংলার ঘরে ঘরে ......
৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:২৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছি আপু ! শেষ রাতের মার্কেটিং করতে । বাসায় আজ মন টিকে না।
৫| ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: মিছা কথা বলবা না!!!!!! বাড়িতেই আছো!!! ভিডিও না দেবার ফন্দী না!!!!!!
বাসায় নাই তো সাউন্ড বক্স একা একা বাঁজবে!!!!!
৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যা ভালো মনে করেন।
৬| ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৪
চেংগিস খান বলেছেন:
কলোনী থেকে স্বাধীন হওয়ার ঘটনাটা কি কবি বুঝতে পেরেছিলেন, সেটা জানা সম্ভব হয়নি; বাংলার স্বাধীনতা উনাকে সামান্য স্বস্তি দিয়েছিলো: শেখ উনাকে ঢাকায় এনে মহান কাজ করে গেছেন।
৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৪৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: উনি কি লাল বিপ্লবী ছিলেন ? আবার উনাকে জাতীয় কবির সম্মান দিয়ে গেজেট প্রকা্শ করেছে সরকার !
৭| ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৪০
কামাল১৮ বলেছেন: নজরুল অনেকটা সময় ভারতীয় কমিউনিষ্ট পার্টির প্রতিষ্ঠানীক সদস্যদের একজন মোজাফরআহমের সাথে এক মেছে অনেক দিন ছিলেন।সেই সময় তিনি কমিউনিষ্ট প্রভাবে প্রবাহিত হয়।জীবনের অনেকটা সময় এটা কাজ করে।কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য ছিলেন এমনটি জানা যায় না।
৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:৪৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৪২
কামাল১৮ বলেছেন: লিখি একভাবে ছাপা হয় অন্য ভাবে।
৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:৪৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তিনি লাল বিপ্লবী আমাদের মতো !
৯| ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:১৩
অধীতি বলেছেন: এই গান হলো ঈদের পূর্ণতা।
৩০ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:৪৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এ গান আমাদের পরিবারের খুব পছন্দের।
১০| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:১৫
Sulaiman hossain বলেছেন: গানটা ছোটবেলা থেকে শুনছি,এখন শুনলে ছোটবেলার ঈদের আনন্দের কথা মনে পরে,অনেক ভালো একটি গান।আপনাকে ধন্যবাদ
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:২৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এই গান ছাড়া আমাদের চলেই না।
১১| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ কুতুব,
ও মোর রমজানেরও রোজার শেষে......
ঈদ মোবারক!
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:৫১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ঈদ মোবারক !
১২| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানি তাগিদ
ঈদ মুবারক!
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:৫৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ঈদ মুবারাক!
১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: কালজয়ী শব্দটা এই গানটার জন্যই প্রযোজ্য।
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ঈদ মুবারক!
১৪| ৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:২৭
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ঈদ মোবারক!
আপনার জীবন হোক শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরপুর।
৩১ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৪০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ঈদ মোবারক!
১৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১৯
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: ঈদ মুবারক ।
০১ লা এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৪৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইদ মুবারক!
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫১
অপ্সরা বলেছেন: ঈদ মুবারাক ভাইয়া!
এই গান ছাড়া আমাদের ঈদকে ঈদ মনে হয় না !!!