![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
মধ্যপ্রাচ্য, ইতিহাসের জন্মভূমি, সভ্যতার দোলনা। অথচ আজ এ যেন এক কসাইখানা, যেখানে মুসলিম রক্ত ঝরছে সবচেয়ে বেশি, আর তার পেছনে কলকাঠি নাড়ছে মুসলিমরাই। আপনি যদি নিরপেক্ষ চোখ নিয়ে এ অঞ্চলের দিকে তাকান, দেখবেন ধর্ম এখানে কেবলই একটা আবরণ, যার আড়ালে চলছে ক্ষমতা, প্রভাব আর সম্পদের নির্লজ্জ হানাহানি। এখানে পবিত্র ধর্মীয় স্লোগান ওঠে, কিন্তু আসল দেবতা হলো ভূরাজনৈতিক স্বার্থ।
সিরিয়ার যুদ্ধ কি জনগণের যুদ্ধ ছিল? কাগজে-কলমে হ্যাঁ, আরব বসন্তের ঢেউয়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিস্ফোরণ হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে, ইরান যখন বাশার আল-আসাদের পাশে দাঁড়াল, তখন আর তা জনগণের যুদ্ধ থাকেনি। ২০১১ সালের পর তেহরান যখন সরাসরি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC) এবং হিজবুল্লাহর মাধ্যমে সিরিয়ায় সামরিক হস্তক্ষেপ করল, তখন কি ইরানের জনগণের মতামত নেওয়া হয়েছিল? প্রশ্নই ওঠে না। ইরান সরকার একে ‘ধর্মীয় কর্তব্য’, ‘শিয়া ঐক্য রক্ষা’ বা ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ বলে চালিয়ে দিয়েছে। জনগণ কি চেয়েছিল তাদের সন্তানরা সিরিয়ার মরুভূমিতে প্রাণ দিক? নিশ্চয়ই না। তারা চায় দুবেলা ভাত, একটি স্থিতিশীল অর্থনীতি, আর মাথা গোঁজার ঠাঁই। সিরিয়ায় ইরানের প্রক্সি যুদ্ধ ছিল সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি এবং IRGC-এর ভূরাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন, জনগণের আকাঙ্ক্ষার নয়।
ইরানের সংবিধান বলে তারা একটি ইসলামিক প্রজাতন্ত্র, যেখানে জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। হাস্যকর! এই গুরুত্ব কতটুকু, তা বোঝা যায় যখন গার্ডিয়ান কাউন্সিল নামের এক অভিজাত ইসলামিস্ট গোষ্ঠী ভোটের প্রার্থী ঠিক করে দেয়। উদারপন্থী বা সংস্কারপন্থীদের সেখানে কোনো ঠাঁই নেই। জনগণ রাষ্ট্রপতিকে ভোট দেয় বটে, কিন্তু কে প্রার্থী হবে, তা ঠিক করে সেই ১২ সদস্যের কাউন্সিল, যার অর্ধেক সুপ্রিম লিডার আর বাকি অর্ধেক প্রধান বিচারপতির নিয়োগপ্রাপ্ত। অর্থাৎ, পুরোটাই সুপ্রিম লিডারের পকেটে।
সর্বোচ্চ নেতাকে নির্বাচন করে 'অ্যাসেম্বলি অব এক্সপার্টস', যারা নিজেরাও গার্ডিয়ান কাউন্সিলের অনুমোদিত। একবার সুপ্রিম লিডার নির্বাচিত হলে তাকে হটানোর কোনো উপায় নেই। তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন সশস্ত্র বাহিনী, বিচার বিভাগ, রাষ্ট্রীয় মিডিয়া, পররাষ্ট্রনীতি, এমনকি পরমাণু কর্মসূচিও। প্রেসিডেন্ট এখানে এক নির্বাহী প্রশাসক মাত্র, পুতুল।
তাহলে কি জনগণের কোনো গুরুত্ব নেই? তাত্ত্বিকভাবে আছে, বাস্তবে নেই। তারা চায় বেকারত্ব কমুক, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসুক, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাক। ৪০-৫০% মূল্যস্ফীতির বোঝা কাঁধে নিয়ে তারা কি পারমাণবিক বোমা চায়, নাকি পেটে দু'মুঠো ভাত? উত্তরটা স্পষ্ট। সিরিয়া বা ইয়েমেনে প্রক্সি যুদ্ধ জনগণের প্রয়োজন নয়, এটা ইরানি শাসকগোষ্ঠীর শিয়া প্রভাব বলয় তৈরি এবং ইসরায়েলকে ঘিরে কৌশলগত চাপ সৃষ্টির ধর্মীয়-রাজনৈতিক আদর্শবাদ মাত্র।
ইরান কি মুসলিম বিশ্বের 'মোড়ল' হতে পারবে ? তাত্ত্বিকভাবে সম্ভব হলেও বাস্তবে অসম্ভব। এর প্রধান কারণ, সুন্নি-শিয়া বিভাজন। ইরান একটি শিয়া রাষ্ট্র, যেখানে বিশ্বের ৮৫% মুসলিম সুন্নি। সৌদি আরব, মিশর, তুরস্ক—সবাই শিয়া ইরানের উত্থানকে সন্দেহের চোখে দেখে। ইরানের 'বিপ্লব রপ্তানির' নীতি অনেক সুন্নি রাষ্ট্রকে ক্ষুব্ধ করেছে। আরব লীগ বা ওআইসি-তে ইরানের প্রভাব খুবই সীমিত। বরং প্রক্সি মিলিশিয়াদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে ইরান নিজেই নিজেকে একঘরে করে ফেলেছে। অর্থনৈতিক দুর্বলতা আর নিষেধাজ্ঞা তো আছেই। ইরান শুধু হিজবুল্লাহ, হুথি বা আসাদের মতো কিছু শিয়া মিলিশিয়া ও সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে, কিন্তু বৃহত্তর মুসলিম বিশ্বের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। তারা ফিলিস্তিনের কাঁধে বন্দুক রেখে নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে চায়।
ইসরায়েল ও ইরানের শত্রুতা কোনো ধর্মীয় বিরোধ নয়, এটি নিছকই ভূরাজনৈতিক সংঘাত। ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লব ইরানের শাহের ইসরায়েলবান্ধব নীতিকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। খোমেনি ইসরায়েলকে 'অবৈধ দখলদার রাষ্ট্র' ঘোষণা করেন। তখন থেকেই ইসরায়েল ইরানকে অস্তিত্বগত হুমকি হিসেবে দেখতে শুরু করে। ইরান সরাসরি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র না ধরলেও, হিজবুল্লাহ, ইসলামিক জিহাদ, আর হামাসের মতো ইসরায়েলবিরোধী শক্তিগুলোকে অর্থ, অস্ত্র আর প্রশিক্ষণ দিয়ে শক্তিশালী করেছে। এর পেছনে আদর্শের চেয়েও বড় হলো পারমাণবিক কর্মসূচি, মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তার, এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠতার মতো কৌশলগত কারণ।
হামাস একটি সুন্নি গোষ্ঠী হলেও ইরান কেন তাদের সাহায্য করে? এর পেছনে ধর্ম নয়, নিরেট রাজনীতি আর কৌশল কাজ করে। ইরান ফিলিস্তিন ইস্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের 'মুসলিম বিশ্বের বিবেক' হিসেবে উপস্থাপন করতে চায়। হামাসকে সমর্থন দিয়ে তারা ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, সৌদি আরব-ইসরায়েল ঘনিষ্ঠতাকে ব্যাহত করে, এবং মুসলিম বিশ্বে জনপ্রিয়তা বাড়ায়। ২০১২-১৩ সালের সিরিয়া গৃহযুদ্ধে হামাস যখন আসাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়, তখন ইরান-হামাস সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল। ইরান হামাসের অর্থ ও অস্ত্র সহায়তা কমিয়ে দেয়। কিন্তু ২০১৭ সালের দিকে পরিস্থিতি পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে ইরান আবার হামাসকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে, সম্পর্কটা আদর্শের নয়, প্রয়োজনের।
সাম্প্রতিক সময়ের কাতার-সৌদি দ্বন্দ্ব, হামাস-মিসর সম্পর্কের অবনতি, এবং সৌদি-আমিরাত-ইসরায়েল ঘনিষ্ঠতা—এগুলো মধ্যপ্রাচ্যের জটিল ভূরাজনৈতিক দাবার ছক। কাতার যখন সৌদিদের কোপানলে পড়ল, তখন তারা ইরান ও তুরস্কের দিকে ঝুঁকলো এবং হামাসের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখল। মিসরে মুসলিম ব্রাদারহুডের পতনের পর হামাসের ওপর চাপ বাড়ল, যার ফলে হামাস আরও বেশি ইরানের ওপর নির্ভরশীল হলো। আর যখন সৌদি আরব ও আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে 'আব্রাহাম অ্যাকর্ডস' স্বাক্ষর করে, তখন ফিলিস্তিনিদের প্রতি আরব দেশগুলোর 'বিশ্বাসঘাতকতা' আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ইরান এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে 'একমাত্র প্রতিরোধ নেতা' হিসেবে জাহির করার চেষ্টা করে।
আসলে, এই কসাইখানায় রক্ত ঝরছে সেই মুসলিমদেরই, যারা ধর্মকে ঢাল বানিয়ে নিজেদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তি বাড়াতে চায়। এখানে ধর্মীয় স্লোগান ওঠে, কিন্তু আসল খেলাটা হলো ক্ষমতার। মুসলিম বিশ্বের মোড়লগিরিটা এখানে কেবলই এক অলীক স্বপ্ন, কারণ নিজেদের ঘরই যে আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ছে, সেখানে নেতৃত্ব তো দূরের কথা, অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই যে কঠিন!
২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: জনগণ যেমন হবে, শাসকও তেমন হবে। পাকিস্তানের সামরিক শক্তি আছে কারণ জনগণের একটি বড় অংশ তাদের সমর্থন করে।
২| ২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৪২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ইরাক লিবিয়া সিরিয়া কেমন দেশ ছিলো তা গড় বাংলাদেশিকে বলে লিখে বোঝানো সম্ভব না। হয়তো সময় সুযোগ হলে আমি লিখবো এই দেশ সম্পর্কে।
২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি শুধু সিরিয়া সম্পর্কে কিছুটা জানি। আমার একজন সিরিয়ান বন্ধু ছিল। সে আমাকে কিছু কথা বলেছিল; যুদ্ধে মারা গেছে। বেচারা মেডিকেল স্টুডেন্ট ছিল। আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।
৩| ২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫২
ওমর খাইয়াম বলেছেন:
@ঠাকুরমাহমুদ ,
প্রশ্নফাঁসরা নিজ জাতি ও দেশ সম্পর্কে ৫ লাইনও জানে না ঠিক মতো; তারা আরবদের নিয়ে কি জানবে?
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ২০ লাইন লেখার মতো ৪/৫ জন ব্লগার আছেন মাত্র; বাকীরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গরূর রচনাও লিখতে পারবে না।
২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:০৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশের মিডিয়ার মতো হলুদ মিডিয়া আর কোনো দেশে আছে কিনা জানি না। বিশ্ব সংবাদ মানুষ কীভাবে জানবে? সব সময় একপেশে ভাবে খবর দেখানো হয়। পুরো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ রাশিয়াকে সমর্থন করেছে। পুতিনের মতো ডিক্টেটরকে মানুষ লাইক করে, কারণ সে একমাত্র আমেরিকার বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়। সবকিছু মিডিয়ার কারণে হচ্ছে। ঢালাওভাবে দেশের পাবলিক কে দোষ দেওয়া ঠিক না।
৪| ২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:১৫
ওমর খাইয়াম বলেছেন:
আপনি মিডিয়া মিডিয়া করছেন কেন? সামুতে কি হচ্ছে?
এখানে তো সবাই শিক্ষিত! ব্লগে শতকারা কতজন হামাস, হেজবুল্লাহ, হুতি, শিয়া মিলিশিয়াকে সাপোর্ট করেছে?
২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:২৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সামহোয়্যারইন ব্লগে বিভিন্ন মত ও আদর্শের অনুসারী আছেন। সেখানে হামাস, হেজবুল্লাহ, হুতি বা শিয়া মিলিশিয়ার সমর্থক যেমন থাকতে পারেন, তেমনি এর বিরোধীরাও থাকতে পারেন। এটা একটি উন্মুক্ত আলোচনার প্ল্যাটফর্ম।
৫| ২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:১৭
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: সাদ্দাম হোসেন, গাদ্দাফি, হুসনি মোবারক, বাশার আল আসাদ এরা কি মোল্লা /প্র্যাকটিসং ধার্মিক ছিল?
না ধর্মের ভিক্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করতো?
একজন ব্লগার বুজতে চাইছেন না, যে উনার বয়স হয়েছে-
ব্রেইনের আংশিক কাজ করা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
কোন গ্রাউন্ড ছাড়া যা মন চায় একটা লিখে দিচ্ছে।
২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:২৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ব্লগিং জগত এর ডার্থ ভেডার' (Darth Vader) তিনি ।
৬| ২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:৩৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
সাদ্দাম হোসেন, গাদ্দাফি বাসার আল এরা স্যুটেড বুটেড লোক কিন্তু এরা ধর্মতন্ত্রকে জঙ্গিবাদে রুপান্তর করেছে। বিনিময়ে সেই দেশের মানুষ আজ পথের ফকির। - ওমর খৈয়াম যথার্থ বলেছেন, আমরা তার কথা পড়তে ভুল করছি।
আমি সময় চাইছি, ইরাক সিরিয়া, লেবানন, লিবিয়া নিয়ে আমি লিখবো। এই গুলো আমার দেখা ঘটনা।
২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:৪২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ঠিক আছে ।
৭| ২৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৮:১৭
কামাল১৮ বলেছেন: ইসলাম ধর্ম একটি জঙ্গি মতবাদ।যার মুলমন্ত্র জিহাদ।
২৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৮:২৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এসব আমেরিকার বয়ান যারা গাজায় জেনোসাইড চালায় ।
৮| ২৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৪৮
কামাল১৮ বলেছেন: এইগুলো আমার নিজস্ব মতবাদ।আমি মার্ক্সবাদ ছাড়া অন্য কোন মতবাদ প্রচার করি না।
২৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:২৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি যে মতবাদের হন না কেন যদি এক চোখ দিয়ে দেখেন সবকিছু তাহলে ঠিক হবে না।
৯| ২৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:০০
কামাল১৮ বলেছেন: জেনোসাইড চালানের জন্য কোন বয়ান প্রয়োজন হয় না।এটা আমেরিকা ইসরায়েলের রাজনৈতিক দৃষ্টি ভঙ্গি।আমেরিকার প্রয়োজন ইসরায়েলকে শক্তিশালী করে মধ্যপ্রাচ্যে টিকিয়ে রাখা।এই জন্য যা যা দরকার সে তাই করবে।ইরান আক্রমনের কারনও তাই।
২৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৩০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এভাবে মানুষ মারা হলেও সেটা আপনার মনে দাগ কাটে না।
১০| ২৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৩৬
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যের শাসকরা ক্ষমতা ছাড়া আর কিছুই বোঝেনা।
২৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তাদের জনতা দরকার নাই।
১১| ২৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৪৩
কামাল১৮ বলেছেন: আমার মনে দাগ কাটেনা আপনাকে কে বলছে।আমি যুক্তি দিয়ে বিচার করতে চেষ্টা করি।আমার যুক্তিতে যেটা আসে আমি সেটা বলার চেষ্টা করি।ধর্মিয় দৃষ্টৃকোন থেকে আমি বিয়য়টা দেখি না।আপনার সাথে এখানেই আমার পার্থক্য।দুই জনের দেখা এক হবে না।
২৯ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার লজিক একপেশে হয় বেশিরভাগ সময়ে ।
১২| ২৯ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪
নতুন বলেছেন: আপনি যদি নিরপেক্ষ চোখ নিয়ে এ অঞ্চলের দিকে তাকান, দেখবেন ধর্ম এখানে কেবলই একটা আবরণ, যার আড়ালে চলছে ক্ষমতা, প্রভাব আর সম্পদের নির্লজ্জ হানাহানি। এখানে পবিত্র ধর্মীয় স্লোগান ওঠে, কিন্তু আসল দেবতা হলো ভূরাজনৈতিক স্বার্থ।
Its Just Good Business...
দুনিয়াতে ক্ষমতা দখলের রাখার জন্য রাজনিতিকরা সব রকমের খেলা খেলে থাকে। ধর্ম মানুষকে নিয়ন্ত্রনের জন্য চমতকার একটা কার্ড। আমার কাছে এটা এইস অফ স্পেডের মতন ক্ষমতা ওয়ালা কার্ড ধর্ম।
২৯ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৪৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ধর্ম মানুষকে এক করতে পারে বা তাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে পারে, যা রাজনীতিবিদরা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেন।রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে নৈতিক সমর্থন দিতে ধর্মীয় মূল্যবোধ ব্যবহার করা হয়, যা জনসমর্থন আদায় সহজ করে।ধর্ম মানুষের গভীর আবেগের সাথে জড়িত। রাজনীতিবিদরা এই আবেগকে ব্যবহার করে জনমতকে নিজেদের পক্ষে নিতে পারেন।ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা নেতাদের সমর্থন রাজনৈতিক ক্ষমতাকে বৈধতা দেয়, যেমন শাসকরা নিজেদের শাসনকে ঐশ্বরিক বলে দাবি করতেন।রাজনৈতিক সংঘাত বা যুদ্ধে ধর্মকে একটি বড় চালিকা শক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ।
১৩| ২৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৩১
আমি নই বলেছেন: হাতে গোনা কয়েকটা দেশের রাজনীতিবিদরা ছারা বলা যায় দুনিয়ার সব দেশের রাজনীতিবিদদের একই অবস্থা। তাই শুধু ইরানের সুপ্রিম লিডারের দোষ দিয়ে লাভ কি? জনগনের কথা কেউ চিন্তা করেনা।
বড় উদাহরন আমেরিকা, আমেরিকায়তো সরাসরি জনগনের ভোটে শাষক নির্বাচিত হয়, সেই দেশটা কি জনগনের প্রয়োজনে দেশে দেশে যুদ্ধ করে বেড়ায়? ৩৭ ট্রিয়িলন ডলার লোন, খুবই কস্টলি হেল্থকেয়ার , বেকারত্ব, হোমলেসের সংখ্যাও ব্যাপকহারে বাড়তেছে, জনগনের এরকম হাজারটা সমস্যা সত্বেও সামরিক খাতে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করতেছে, প্রত্যাক্ষ-পরোক্ষ ভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করতেছে কি জনগনের জন্য? কখনই না, রাজনীতিবিদরাই লবিষ্টদের কাছে টাকা খেয়ে দেশকে এমন এক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়, যে যুদ্ধে জনগনের কোনোই লাভই নেই।
আমরা এক অস্থির সময় পার করতেছি, ইসলাম ধর্মে এরকম সময়েয় ব্যাপারে অনেক ভবিষ্যদ্বাণী আছে। ব্যপক হারে মানুষের বিবেক বুদ্ধি কমে গেছে, চরম মাত্রার স্বার্থপর হয়ে গেছে, সুতরাং ভালো কিছু আপনি আশা করতেই পারেন না। যত দিন যাবে অবস্থা খারাপের দিকেই যাবে এবং যাচ্ছে।
২৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
১৪| ২৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৫১
নতুন বলেছেন: ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা নেতাদের সমর্থন রাজনৈতিক ক্ষমতাকে বৈধতা দেয়, যেমন শাসকরা নিজেদের শাসনকে ঐশ্বরিক বলে দাবি করতেন।রাজনৈতিক সংঘাত বা যুদ্ধে ধর্মকে একটি বড় চালিকা শক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হয় ।
ধর্মের শুরুটাই এমন ভাবে।
প্রথমত ধর্মীয় নেতাদের সমাজপতি/রাস্টনায়কেরা প্রতিরোধ করার চেস্টা করেছে। পরে যখন দেখেছে এটা খুবই একটা শক্তিশালী কার্ড তখন তারাই এটা ব্যবহার করেছে ধর্মের প্রসার করেছে সাধারন জনগনকে একত্র করতে। ব্যবহার করতে।
আজই একজন পীর পরিবাররের সন্তানেরা সম্পর্কে জানি যাদের ব্রিটিস পাসপোর্ট আছে, ফাস্টক্লাসে বিমান ভ্রমন করে। লক্ষ টাকার জুতা, ব্যাগ ব্যবহার করে ( অন্যর কাছ থেকে শোনা তথ্য না ) কিন্তু পীরের ওরসে কিন্তু দরিদ্ররা ১০টাকা ১০০ টাকা মানতের টাকা দিয়ে যায়। ওরশের কয়েক দিন বস্থা ভরে টাকা জমা করে রাখে তারা।
২৯ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশ একটি কঠিন সময়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। মানুষ দল বেঁধে মনের আনন্দে ধর্ম অবমাননা করছে—এমন অভিযোগ তুলছে র্যাডিকালরা, এবং সে অভিযোগের ভিত্তিতে লোকজনকে গ্রেফতারও করা হচ্ছে। বিষয়টি ক্রমে এমন এক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছাতে পারে, যেখানে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ (আলেমদের) বিরুদ্ধে কিছু বললেই সেটিকে 'ধর্ম অবমাননা'র অভিযোগে পরিণত করে সাধারণ মানুষ কিংবা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে জেলে পাঠানো হতে পারে। এমন একটি পরিস্থিতির সম্ভাবনা ক্রমেই প্রবল হয়ে উঠছে।
১৫| ২৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৫
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাংলাদেশ একটি কঠিন সময়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। মানুষ দল বেঁধে মনের আনন্দে ধর্ম অবমাননা করছে—এমন অভিযোগ তুলছে র্যাডিকালরা, এবং সে অভিযোগের ভিত্তিতে লোকজনকে গ্রেফতারও করা হচ্ছে। বিষয়টি ক্রমে এমন এক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছাতে পারে, যেখানে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ (আলেমদের) বিরুদ্ধে কিছু বললেই সেটিকে 'ধর্ম অবমাননা'র অভিযোগে পরিণত করে সাধারণ মানুষ কিংবা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে জেলে পাঠানো হতে পারে। এমন একটি পরিস্থিতির সম্ভাবনা ক্রমেই প্রবল হয়ে উঠছে।
গত বছর দেশে যাইনি, এ বছর দেশে গেলে বর্তমানের জনগনের আচরন আরো ভালো বুঝতে পারবো।
তবে দেশের জনগনের মাঝে কট্টরপন্হা বাড়ছে। ধর্ম অবমানার জন্য যদি পিটিয়ে মানুষ মারতে চায় তবে সেটা যে ধর্মের শিক্ষা না সেটা ঐ মব কে বোঝাবে কে?
২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:০৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দেশের খবর দেখলে কিছুটা ধারণা পেয়ে যাবেন।
১৬| ২৯ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২২
কামাল১৮ বলেছেন: লজিক্যালি সত্য একটাই।কোন একটা বিষয়ে সত্য একটাই।দুই রকম বলে টাউটরা।যারা সত্য কে লুকায়।
২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ৮:১৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: একটি ভাস্কর্যের কথা ভাবুন। সামনে থেকে দেখলে একরকম দেখায়, পাশ থেকে অন্যরকম, আর ওপর থেকে দেখলে আরও একরকম। ভাস্কর্যটি কিন্তু একই (একক সত্য), কিন্তু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি তা কীভাবে দেখি তা পরিবর্তন করে দেয়। একইভাবে, একটি পরিস্থিতির অন্তর্নিহিত সত্য একটাই হতে পারে, কিন্তু আমাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, বিশ্বাস এবং পক্ষপাতিত্ব তা কীভাবে দেখি এবং ব্যাখ্যা করি তা প্রভাবিত করে।
১৭| ২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:০০
কথামৃত বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদ যতদিন থাকবে ততদিন যুদ্ধ লেগেই থাকবে
২৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:৪৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভালো বলেছেন ।
১৮| ৩০ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:৪৫
কামাল১৮ বলেছেন: যে বস্তুটাক্ দেগছেন তার কোন পরিবর্তন হয়।যে দেখছে তার অবস্থানের পরিবর্তন হয় মাত্র।তাতে করে সত্য সত্যই থাকে।সত্য মিথ্যা হয়ে যায় না।
৩০ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দেখার নজর একপেশে হলেই সত্য মারা যায় ।
১৯| ৩০ শে জুন, ২০২৫ রাত ১:৩২
কামাল১৮ বলেছেন: ধার্মিকদের এই এক সমস্যা।তারা তাদের বিশ্বাসকেই সত্য মনে করে।সত্য হলো আপনার দেখার বাইরে এক বস্তুগত বাস্তবতা।চেষ্টা করেন এই বাক্যটা বুঝতে পারেন কিনা।
৩০ শে জুন, ২০২৫ রাত ১:৫৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সত্যকে আমি ভালোবাসি সবার চেয়ে বেশি, কিন্তু সেই সত্যকে গ্রহণের আগে আমি তার বিচার করতে চাই যুক্তির মানদণ্ডে। যে সত্য প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে না, সেটি সত্য হতে পারে না ।
২০| ৩০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মীয় ক্যাচালে আমি নাই।
৩০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:০৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইহা শতভাগ পলিটিকাল লেখা ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৩৮
ওমর খাইয়াম বলেছেন:
সব মুসলিম দেশে মোল্লারা মানুষকে ধর্মীয় টোপ দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে, কিংবা করার চেষ্টা করছে। মোল্লারা জ্ঞানহীন সমাজ গড়ে তুলেছে মুসলিম দেশগুলোতে।