![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
রাজনীতিতে সব জায়গা সমান নয়, কিছু জায়গা প্রতীকী - আর প্রতীক কখনোই নিরপেক্ষ থাকে না। গোপালগঞ্জ হলো তেমন একটি স্থান, যা শুধুমাত্র ভৌগোলিক নয়, বরং আওয়ামী লীগের ইতিহাস, আবেগ ও আত্মপরিচয়ের উৎসস্থল। এখানে রাজনৈতিক কর্মসূচি মানেই তাদের মানসিক মানচিত্রে প্রবেশ করা। এনসিপির ‘পদযাত্রা’ যখন গোপালগঞ্জে পৌঁছালো, তখন তা আর ছিল না কেবল একটি কৌশলগত পদক্ষেপ তা হয়ে দাঁড়ায় প্রতীকভেদী এক বার্তা। প্রশ্ন হলো, তারা কি জানতেন সেই বার্তা কী দাঁড়াবে? নাকি এটি কেবল অপ্রস্তুত ‘রাজনৈতিক বিপ্লবী’-দের চূড়ান্ত অসতর্কতা ?
সারাদেশে যেখানে কর্মসূচির নাম “পদযাত্রা”, সেখানে গোপালগঞ্জ অংশকে “মার্চ টু গোপালগঞ্জ” বলা হয়েছিল। এই ছোট ভাষাগত পরিবর্তনটিই মূলত আন্দোলনের মনস্তত্ত্ব বদলে দেয়। 'মার্চ' শব্দটি ঐতিহাসিকভাবে বাহিনী-সদৃশ, প্রতিরোধমুখী এবং আক্রমণধর্মী। এই শব্দচয়নে আওয়ামী লীগের আত্মিক আঙিনায় একধরনের মনস্তাত্ত্বিক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া হয়। ভাষা কেবল প্রকাশ নয় এটি সঙ্কেতবাহী। রাজনীতিতে এমন সঙ্কেত পাঠানোর পূর্বে পরিণতির বোঝাপড়া না থাকলে তা আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতির বদলে আস্থাহীনতা তৈরি করে।
বাঙালি রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আবেগ, পারিবারিকতা এবং প্রতীকের প্রতি আনুগত্য অত্যন্ত জোরালো। শেখ মুজিবকে ঘিরে আবেগ, শেখ হাসিনাকে ঘিরে আনুগত্য এই জোড়ায় গোপালগঞ্জ হয়ে উঠেছে একধরনের পবিত্র এলাকা। আপনি সেই জায়গায় গেলেন, অথচ জনসাধারণের মনের ভিতরকার মানচিত্র পড়তে পারলেন না এটি রাজনৈতিক সংযোগ বিচ্ছিন্নতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ। জনতা প্রতীকপূজক, আপনি যদি প্রতীক-চূর্ণের বার্তা দেন (ইচ্ছাকৃত হোক বা না হোক), জনতা তখন প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে।
আধুনিক রাজনৈতিক আন্দোলনের এক বড় সমস্যা হচ্ছে ফেসবুকনির্ভর আত্মপ্রতিষ্ঠার খেলা। এনসিপির অনেক কর্মী ও নেতার মধ্যে ‘সেলফি পলিটিক্স’ আর ‘স্ট্যাটাস বিপ্লব’-এর ছাপ প্রকট। জনগণের বাস্তব মনস্তত্ত্ব বুঝে এগিয়ে যাওয়ার বদলে আন্দোলনের দৃশ্যমানতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আর এ কারণে অনেক সময় আন্দোলনের আত্মা হারিয়ে যায় পড়ে থাকে শুধু ক্যামেরার সামনে ঝুঁকে পড়া কিছু দৃশ্য, আর অনাবশ্যক ভাষার ঝাঁজ। ‘শহীদ হবার প্রস্তুতি’ নয়, বরং ‘শহীদ হবার নাটক’ এই পার্থক্য জনগণ টের পায়।
আওয়ামী লীগের পতনের পিছনে শেখ হাসিনার ভাষা, দম্ভ, এবং ক্ষমতার আগ্রাসনের ভূমিকা রয়েছে এটা সত্য। কিন্তু সেই ইতিহাসকে যারা শুধুমাত্র প্রতিশোধ হিসেবে পড়ে, তারা রাজনৈতিক শিক্ষা নেয় না বরং প্রতিনিয়ত সেই একই ফাঁদে পা দেয়। আজ এনসিপি শেখ হাসিনার মুখের ভাষা বিশ্লেষণ না করে তাঁর ধাঁচ অনুকরণ করছে, শুধু চরিত্র পরিবর্তন করে। শেখ হাসিনার পতনে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল, কিন্তু গোপালগঞ্জ ‘মার্চ’-এ জনগণকে কি সত্যিই যুক্ত করা গিয়েছিল ?
রাজনীতি মানেই কৌশল। আপনি জানেন কোথায় কী বলতে হয়, কীভাবে বলতে হয়, কখন নীরব থেকে এগোতে হয়। গোপালগঞ্জে যাওয়া দোষের ছিল না। সাহসিকতার প্রমাণ ছিল, এমনকি রাজনীতির পয়েন্টও ছিল। কিন্তু সেই সাহসের নামে যে ভাষা ব্যবহৃত হলো, তা পরিণত হলো আত্মঘাতী বুমেরাংয়ে। প্রশ্ন থাকে, ভবিষ্যতের তরুণ রাজনীতিবিদরা এই পাঠ পড়বেন তো? নাকি ভাষা ও প্রতীকের ফাঁদে পড়ে একের পর এক আন্দোলনকে পরিণতির আগেই থামিয়ে দেবেন ?
রাজনীতি শুধু রাস্তা দখল বা প্ল্যাকার্ড তোলার খেলা নয়। এটা প্রতীক বোঝার, জনতা পড়ার এবং ভাষার ভার বহন করার সূক্ষ্ম শিল্প। এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ আমাদের মনে করিয়ে দেয়—প্রতীক না বুঝে তাকে চ্যালেঞ্জ করলে ফল কখনো রাজনৈতিক জয় হয় না, হয় বিভ্রান্তি, অনাস্থা, এবং ক্রমশ একাকী হয়ে পড়া।
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৪১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সারজিস আগের দিন কি ভাবে কথা বলেছে দেখেন । যে কেউ যে কোনো কিছু ভাবতে পারে ।
২| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: এনসিপি অন্যায় করেছে। জাস্ট অন্যায়। ওদের কত বড় সাহস- গোপালগঞ্জ গিয়ে বলছে, মুজিব মুর্দাবাদ।
ট্যাঙ্কে না লুকালে, ওদের কপালে দুঃখ ছিলো।
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৪৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: মুজিববাদ মুরদাবাদ বলা কোনো বিষয় না। তারা পলিটিক্স করছে কত কথাই বলবে । এভাবে পলিটিকাল সমাবেশের নামকরণ ঠিক হয় নি।
৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৫৪
জিপসি রুদ্র বলেছেন: মূলসত্য হইতাছে, তারা চাইছিলো জাতির পিতার সমাধিস্থল ৩২'এর লাহান গুঁড়িয়ে দিবে। এবং এটা কিন্তু তারা ঘোষণা দিয়েই গিয়েছিলো। তারা কী ভুলে গেছে শেখ মুজিব আমাদের জন্য বঙ্গবন্ধু কিন্তু গোপালগঞ্জের জন্যতো সে তাদের প্রিয় "মিয়া ভাই"। আমরা বঙ্গবন্ধুরে বাঁচাইতে পারি নাই পাঁচই আগষ্টের পরে। কিন্তু গোপালগঞ্জ তাদের " মিয়া ভাই"রে ঠিকই বাঁচাইছে ১৮জন লাশ হয়ে। আমি আমৃত্যু গোপালগঞ্জের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:২৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: হামলা যেহেতু প্রথমে আওয়ামী লীগই করেছে, তাই এই ঘটনার ৯০ শতাংশ দায় তাদেরই।
৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৩১
মেঘনা বলেছেন: বিরোধী মত এবং প্রতীককে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এই মানসিকতাই প্রমাণ করে এমসিপি নয়া স্বৈরাচার।
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:২৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এনসিপির মাঝে কিছু ইনডিকেশন আছে যা ফেলে দেয়া যাবে না বাট হামলা যেহেতু প্রথমে আওয়ামী লীগই করেছে, তাই এই ঘটনার ৯০ শতাংশ দায় তাদেরই।
৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:২৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশে বা পৃথিবীর ইতিহাসে কবে কোন রাজনৈতিক দল সেনাবাহিনীর ট্যাঙ্ক কামান নিয়ে রাজনৈতিক সভা করতে যায়?
বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন রাজনৈতিক দলর সন্ত্রাসি কাজে রাষ্ট্র এভাবে প্রোটেক্ট, প্রোমোট করে? করতে বারাক ওবামার মত রীতিমতো কন্ট্রোল রুম খুলে গালাগালি করে গুলির নির্দেশ দেয়?
একমাত্র 'ছিপিপার্টি'।
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:২৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এনসিপি সরকারি দল এটা আমিও মানি । হামলা যেহেতু প্রথমে আওয়ামী লীগই করেছে, তাই এই ঘটনার ৯০ শতাংশ দায় তাদেরই। কোনো কিছু হাসিল হলো না এতে তাদের।
৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:০১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কে হামলা করলো?
ছিপিপার্টির কোন নেতাকর্মী আহত হয়েছে?
একটি প্রানীও আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি। ছিপিপার্টির কোন নেতাকর্মীর গায়ে একটা চুলের টোকাও লাগে নি।
পুলিশ ও আর্মিরও কেউ আঘাতপ্রাপ্ত বা আহত হয়নি।
এরপরেও গ্রামবাসীদের ধর ধর স্লোগান শুনে ভয় পেয়ে ছিপিরা হামাগুড়ি দিয়ে ইদুরের মত ট্যাঙ্কে লুকায়ে ট্যাঙ্কের ছিপি আটকায়।
আর কথিত দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী কন্ট্রোল রুম থেকে নির্দেশ পেয়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করলো। রাতে আরো মারছে।
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনারা সমাবেশের আগে ও পরে হামলা করেছেন । সেনাবাহিনি কবর পাহারা দিয়েছিলো যাতে কিছু না ঘটে । সকল আওয়ামি টেরর গোপালে গিয়ে লুকিয়ে আছে।
৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৪১
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: রাট্রের অর্ধেক ছুরি হওয়া অর্থ গোপালগন্জ হয়ে ভারতে গেছে । বাকিটা গোপালিদের কাছে আছে । চোর বাটপারদের আখড়া হচ্ছে গোপাল গঞ্জ । এনসিবি এই প্রথম একটা ভালো উদ্যোগ নিয়েছে । দেশবাসী তাদের সাথে আছে ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:১৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমারো মনে হয় তাদের কিছুটা অহংবোধ ছিল। সেই সংগে গোপালগঞ্জে আম্লিগের চরিত্র প্রকাশ পেয়েছে।