![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!
উনিশ শতকের প্রথমার্ধে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে একটি রক্তক্ষয়ী ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংঘাত সংঘটিত হয়েছিল যা ইতিহাসে বেরেলভী জিহাদ বা ওয়াহাবী আন্দোলন নামে পরিচিত। এই সংঘাতে একদিকে ছিল সৈয়দ আহমদ বেরেলভীর নেতৃত্বাধীন ইসলামিক সংস্কারবাদী আন্দোলন, অন্যদিকে ছিল মহারাজা রণজিৎ সিংহের শক্তিশালী শিখ সাম্রাজ্য। এই যুদ্ধের পিছনে জটিল রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক কারণ ছিল যা আজও ঐতিহাসিক বিতর্কের বিষয়।
এই যুদ্ধের মূল যুদ্ধক্ষেত্র ছিল উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ যা বর্তমানে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া নামে পরিচিত; বেরেলভীর সময়ে এই অঞ্চলটি ছিল শিখ সাম্রাজ্যের অংশ। পেশোয়ার উপত্যকা ছিল এই অঞ্চলের প্রধান শহর এবং কৌশলগত কেন্দ্র, যেখানে বেরেলভী তার ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ খাইবার গিরিপথের কারণে এই অঞ্চলের ভৌগোলিক গুরুত্ব ছিল অপরিসীম, কারণ এটি আফগানিস্তান ও ভারতের মধ্যে প্রধান যোগাযোগ পথ হিসেবে কাজ করত। সৈয়দ আহমদ বেরেলভীর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে একটি শক্তিশালী ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যা ভবিষ্যতে সমগ্র ভারত বিজয়ের কৌশলগত ঘাঁটি হিসেবে কাজ করবে। তিনি পেশোয়ার উপত্যকায় একটি খিলাফত প্রতিষ্ঠা করে খাঁটি ইসলাম পুনঃপ্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং 'দার উল-হারব' ও 'দার উল-ইসলামের' তত্ত্ব প্রচার করেন, যার মতে অমুসলিম শাসনাধীন যে কোনো এলাকায় জিহাদ ফরজ। যদিও বাহ্যিকভাবে এটি ইসলামিক সংস্কার আন্দোলন হিসেবে প্রচারিত হয়েছিল, কিন্তু প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল এবং একটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
বেরেলভী ও তার অনুসারীরা প্রচার করেছিলেন যে শিখ শাসনে মুসলিমরা চরম অত্যাচারের শিকার, যেমন শিখ আইনে একজন হিন্দুর প্রাণের মূল্য ছিল একজন মুসলিমের দ্বিগুণ এবং পাঞ্জাবি মুসলিমরা তাদের আয়ের নব্বই শতাংশ কর দিতে বাধ্য ছিল। কাশ্মীরে মুসলিম-বিরোধী আইন, যেমন গরু জবাইয়ের জন্য মৃত্যুদণ্ড ও আজানের উপর নিষেধাজ্ঞার অভিযোগ করা হতো। তবে অনেক নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক গবেষণায় ভিন্ন চিত্র পাওয়া যায়; মহারাজা রণজিৎ সিংহের দরবারে উচ্চপদে অনেক মুসলিম কর্মকর্তা ছিলেন এবং শিখ সাম্রাজ্যে ধর্মীয় সহনশীলতার নীতি অনুসরণ করা হতো। পাঞ্জাবের মুসলিমরা প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর তুলনামূলক শান্তিতেই ছিল। সম্ভবত কিছু স্থানীয় অসন্তোষ ছিল, কিন্তু বেরেলভী ও তার অনুসারীরা এগুলোকে অতিরঞ্জিত করে তাদের জিহাদি আন্দোলনের বৈধতা তৈরি করেছিলেন।
১৮২৬ সালে সৈয়দ আহমদ বেরেলভী তার প্রায় দেড় হাজার অনুসারীদের নিয়ে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে যান এবং শিখবিরোধী অভিযান শুরু করেন। ১৮২৭ সালের ১১ জানুয়ারি তাকে খলিফা ও ইমাম হিসেবে ঘোষণা করা হয়, যা অটোমান সাম্রাজ্যের বাইরে খিলাফত দাবির কারণে বিতর্ক সৃষ্টি করে। তিনি স্থানীয় পাঠান উপজাতিদের সাথে জোট গঠন করলেও সকল উপজাতির পূর্ণ সমর্থন পাননি। এই সংঘাতের প্রথম বড় রূপ নেয় আকোড়া খট্টকের যুদ্ধে (১৮২৬), যেখানে বেরেলভীর অনুসারীরা চার হাজার শিখ সৈন্যের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য বিজয় অর্জন করে। তবে ১৮৩০ সালে পিরসাবাকের যুদ্ধে জেনারেল হরি সিংহ নালওয়ার নেতৃত্বে শিখ সেনাবাহিনীর কাছে ওয়াহাবী বাহিনী মারাত্মকভাবে পরাজিত হয়, যার ফলে বেরেলভীর শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।
চূড়ান্ত পরিণতি আসে ১৮৩১ সালের ৬ মে বালাকোটের যুদ্ধে। এই যুদ্ধের আগে স্থানীয় কিছু নেতার বিশ্বাসঘাতকতার কারণে বেরেলভী ও তার অনুসারীরা বিপাকে পড়েন। রাজকুমার শের সিংহের নেতৃত্বে শিখ বাহিনী আকস্মিক ও সুপরিকল্পিত আক্রমণ চালায় এবং এই যুদ্ধে সৈয়দ আহমদ বেরেলভী, তার প্রধান সহযোগী শাহ ইসমাইল দেহলভী এবং প্রায় ছয়শো মুসলিম যোদ্ধা নিহত হন। এই পরাজয়ের মূল কারণ ছিল রণজিৎ সিংহের খালসা বাহিনীর সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব; এই বাহিনীতে প্রায় আশি হাজার নিয়মিত সৈন্য ছিল, যারা ফরাসি জেনারেল ক্লদ অগাস্তে কোর, ভেনতুরা এবং ইতালীয় জেনারেল পাওলো ডি অ্যাভিতাবাইলের মতো ইউরোপীয় প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে আধুনিক যুদ্ধ কৌশল ও অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করত। অন্যদিকে ওয়াহাবী বাহিনী ছিল তলোয়ার ও পুরাতন বন্দুকের উপর নির্ভরশীল একটি অসংগঠিত গেরিলা দল, যারা স্থানীয় সব উপজাতির সমর্থন লাভেও ব্যর্থ হয়েছিল।
এই সংঘাতের ফলে যুদ্ধকালে উভয় পক্ষের নারীরা অত্যাচার, অপহরণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হন, বিশেষ করে শিখ ও হিন্দু নারীদের অবস্থা ছিল করুণ; উভয় পক্ষই অল্পবয়স্ক ছেলেদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করেছিল এবং কিছু এলাকায় ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে গণহত্যা চালানো হয়েছিল। যুদ্ধের ফলে শিখরা উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে তাদের কর্তৃত্ব আরও শক্তিশালী করে এবং এই বিজয় শিখ সেনাবাহিনীর দক্ষতা ও সংগঠনের প্রমাণ দেয়। অন্যদিকে প্রধান নেতাদের মৃত্যুতে ওয়াহাবী আন্দোলন দুর্বল হয়ে পড়ে এবং এই অঞ্চলে ওয়াহাবী প্রভাব প্রায় বিলুপ্ত হয়। তবে দীর্ঘমেয়াদে এই যুদ্ধ ব্রিটিশদের পাঞ্জাব দখলের পথ সুগম করে। এই ইতিহাসের অধ্যায় শিক্ষা দেয় যে প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব এবং সুসংগঠিত সেনাবাহিনীর সামনে শুধুমাত্র ধর্মীয় উদ্দীপনা দিয়ে টিকে থাকা সম্ভব নয়, এবং জনগণের সমর্থন ছাড়া কোনো আন্দোলন দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না।
তথ্যসূত্র: Hunter, William Wilson এর The Indian Musalmans যা ১৮৭১ সালে প্রকাশিত হয় এবং ওয়াহাবী আন্দোলনের সবচেয়ে বিস্তারিত ও নির্ভরযোগ্য ইংরেজি বিবরণ হিসেবে বিবেচিত । Ahmad, Qeyamuddin এর The Wahabi Movement in India যা ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত এবং ওয়াহাবী আন্দোলনের বিস্তারিত বিশ্লেষণ প্রদান করে। Chopra, B.R. এর Kingdom of the Punjab যা ১৯৬৯ সালে প্রকাশিত এবং পাঞ্জাব রাজ্যের ইতিহাস ও শিখ সাম্রাজ্যের বিবরণ উপস্থাপন করে।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইসলামে কোনো জোর জবরদসতি নাই । আপনিও চলে আসুন ইসলামের ছা্য়াতলে । .
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
সব ধর্মই ১টি বিশাল মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত: নবী, রসুল, অবতার, দেব, দেবতাদের সাথে সৃষ্টিকর্তার যোগাযোগ হয়েছিলো! ইহা চরম মিথ্যা।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:০২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ওয়াহাবি-শিখদের ঘটনা আমাদের ইশকুল লেভেলে পড়ানো হয় না । বিসিএসে আছে তবে ডিটেইলস নাই । ভারতে পড়ানো হয় । আপনি পড়েছিলেন কোনো বইতে ?
আমি ফিউচারে এই ধরণের বিষয় নিয়ে ইউটিউবে ভিডিও বানাবো। তাই এসব নিয়ে নাড়াচাড়া করি । ভালো ভিউ পায় ইতিহাস নিরভর ভিডিও সঠিক ভাবে মেক করতে পারলে।
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৩
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: ছাত্র শিবির সুনাম কামিয়েছে কথা ও কাজ দিয়ে। জামাত ডুববে তাদের বুড়া হাবরাদের এই মার্কা ফালতু কথা বার্তার মাধ্যমে । পরিবারতন্ত্রের একমাত্র বিকল্প হচ্ছে এনসিপি ।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যাহাই শিবির, তাহাই জামাত । এনসিপি এদের মাঝামাঝি।
৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩৭
কামাল১৮ বলেছেন: নবী মদিনায় ইসলাম প্রচার করেছিলো জোরজবরদস্তি করেই।মদিনায় প্রচারিত তার প্রচারিত সুরাগুলি দেখুন।মক্কার গুলি না।তবেই বুজতে পারবেন।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি বুঝেছেন তাই আমার বোঝা হয়ে গেছে ।
৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪৭
Spirit বলেছেন: এই ইতিহাসের অধ্যায় শিক্ষা দেয় যে প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব এবং সুসংগঠিত সেনাবাহিনীর সামনে শুধুমাত্র ধর্মীয় উদ্দীপনা দিয়ে টিকে থাকা সম্ভব নয়,[/sb
তাই নাকি?
তাহলে আফগানিস্তানে কেন বিশ্বের তিন সুপার-পাওয়ার (গ্রেট ব্রিটেন, রাশিয়া, আমেরিকা) শোচনীয় পরাজয় বরণ করল?
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: যারা Spirit (ভুত) তারা ভাবে কেবল আফগানিস্তানের বকলম রা গ্রেট ব্রিটেন, রাশিয়া, আমেরিকাকে হারিয়েছে । ।
৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৩
Spirit বলেছেন: তাহলে কে হারিয়েছে বলুন?
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সাধারণ মানুষ ব্রিটিশদের হারিয়েছে। একই ভাবে আমরাও ব্রিটিশদের পরাজিত করেছি । সে সময় পেয়ারেলাল মুজাহিদিন রা ছিলো না । ১৯৭৯ সালে সোভিয়েতের সাথে ওয়ারে মুজাহিদিন রা পাকি আইএসআই আর আমেরিকার সহায়তায় হারিয়েছে। সোভিয়েত কে হটাতে আমেরিকা মুজাহিদিন দের ইউজ করেছে । সবশেষ আমেরিকার সাথে ওয়ারে পাকি আইএসআই আর সওদি থেকে সহায়তা পেয়েছে । আমেরিকার জনগন ও সরকার চায়নি ডলার খরচ বাড়াতে । তাই সরে আসে । ইউকে-ইউএসএ-রাশিয়া তাদের মূল লক্ষ্য ছিল সাময়িক উদ্দেশ্য হাসিল করা, চিরকাল থেকে যাওয়া নয়।
জনগণের আসল বিজয় এখনো আসেনি।
৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১২
Spirit বলেছেন: সোভিয়েত-বিরোধীযুদ্ধে না হয় আমেরিকার সাপোর্ট ছিল। কিন্তু উনবিংশ শতকের ব্রিটিশ-বিরোধীযুদ্ধ আর একবিংশ শতকের আমেরিকা-ন্যাটো বিরোধীযুদ্ধে তো 'বকলমরা' একাই তো তথাকথিত সুপার-পাওয়ারদের কবর খুঁড়েছিল।
ইতিহাস জানা থাকলে দ্বিমত থাকার কথা না।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার এনসার দিয়ে দিয়েছি ।
৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩২
Spirit বলেছেন: সাধারণ মানুষ ব্রিটিশদের হারিয়েছে.......
জ্বি, সাধারণ মানুষরাই হারিয়েছে। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন উলামায়ে কেরাম। আর তারা সবাই ধর্মীয় উদ্দীপনা থেকেই যুদ্ধ করেছিল।
আপনার পোস্টে কী বলছেন মনে আছে?
"এই ইতিহাসের অধ্যায় শিক্ষা দেয় যে প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব এবং সুসংগঠিত সেনাবাহিনীর সামনে শুধুমাত্র ধর্মীয় উদ্দীপনা দিয়ে টিকে থাকা সম্ভব নয়,"
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এংলো-আফগান ওয়ারে কোনো উলেমা লিড করেনি ।
আফগানিস্তানের ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধে গোত্রীয় প্রধান, আমির, রাজবংশীয় শাসক, আর সাধারণ মানুষ বেশি ভূমিকা রেখেছে। মোল্লাদের ভূমিকা স্থানীয় স্তরে প্রেরণা ও সংগঠনে থাকলেও তারা কখনোই মূল কাণ্ডারি ছিল না।
এই ইতিহাসের অধ্যায় শিক্ষা দেয় যে প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব এবং সুসংগঠিত সেনাবাহিনীর সামনে শুধুমাত্র ধর্মীয় উদ্দীপনা দিয়ে টিকে থাকা সম্ভব নয়- আমার কথা শতভাগ সঠিক । আপনার মানসিকতর লোকজন মুসলিম দেশ গুলোর মসনদে আছর বলেই আজ মুসলিম রা মার খায় সবখানে । জিওপলিটিকাল নলেজ না থাকলে সব জায়গায় ইমানি জোশ নিয়ে কমেনট করবেন না।
৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩৮
Spirit বলেছেন: সোভিয়েত কে হটাতে আমেরিকা মুজাহিদিন দের ইউজ করেছে ।
এই গাঁজাখুরি কথা কই পাইলেন ভাই?
সোভিয়েত বিরোধীযুদ্ধে আমেরিকার মৌখিক সমর্থন ছাড়া একটা মুজাহিদদের আর কোনো সাপোর্ট ছিল?
এই যুদ্ধে আমেরিকা মুজাহিদদের একটি ডলার কিংবা একজন সৈন্য দিয়ে সাহায্য করেছে এমন কোনো প্রমাণ দিতে পারবেন?
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৪৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার কোলড ওয়ার কোনো নিয়ে ধারনা নেই । Click This Link
১০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০০
Spirit বলেছেন: "সবশেষ আমেরিকার সাথে ওয়ারে পাকি আইএসআই আর সওদি থেকে সহায়তা পেয়েছে।"
ভাই! আপনি ইতিহাসের একটি পাতাও কি কখনো পড়েছেন? না কপি-পেস্ট নীতিতে সামুতে পোস্ট করে যাচ্ছেন?
আমেরিকা-আফগান যুদ্ধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাকবাহিনী ও সরকার আমেরিকাকে অস্ত্র, ঘাটি দিয়ে সমর্থন করেছিল। ফলে, পাকিস্তানের অনেক আলেম পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কথা বলেছিলেন। খায়বার পাখতুনখোয়ারের জনগণ এই ইস্যুকে কেন্দ্র করেই পাকিবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।
আগে বলছিলেন আফগানরা 'বকলম' এখন দেখি..।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি যাদের নিয়ে বারবার কথা বলছেন এরা আমেরিকার বাই product . সোভিয়েত কে হটানোর পর মুজাহিদিন group গুলোর মাঝে গেনজাম হয় । বড়ো হুজুরদের করাপশন আর গুতোগুতির মাঝে তালেবানদের জনমো হয় । আপনার পাকি আর সওদি লিয়াজু কিভাবে কাজ করে সেটা জানা নেই । পাকি আইএসআই কতগুলো জংগি পালে যারা আমেরিকা কে দেখতে পরে না। আফগান দের সওদি ডলার দেয় নিয়মিত । বকলম দের এসব বুঝতে পারার কথা না।
আমি কপি paste করছিু কারণ এমন একজনের সাথে কথা বলছি যার মাথা ভরতি গু ।
১১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৪
Spirit বলেছেন: "আপনার কোলড ওয়ার কোনো নিয়ে ধারনা নেই"
আছে ভাই। আপনি যে লিংক দিছেন, এগুলো একাধিক অনেক আগেই পড়ছি।
আমেরিকা সোভিয়েত বিরোধী যুদ্ধে মৌখিক সমর্থন ছিল, এটা আমি অস্বীকার করি না। কিন্তু বাস্তবে...??
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার ধারণা নেই ।
১২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৫
Spirit বলেছেন: আর সোভিয়েতের পরাজয়ের কারণেই আমেরিকা বৈশ্বিক একক ক্ষমতা অর্জন করেছে।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সোভিয়েত আমেরিকার চেয়ে ভালো না ।
১৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:০৮
Spirit বলেছেন: ইউকে-ইউএসএ-রাশিয়া তাদের মূল লক্ষ্য ছিল সাময়িক উদ্দেশ্য হাসিল করা, চিরকাল থেকে যাওয়া নয়।
তাই?
আমেরিকা আফগান আক্রমনের আগে বুশ বলেছিল, আফগানে তারা মুজাহিদদের নির্মূল করবে।
বিশ্বাস না হলে ইউটিউবে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বৃহৎ শক্তিগুলোর কেউই আফগানিস্তানে স্থায়ী উপনিবেশ স্থাপন করতে চায়নি। রাশিয়া চেয়েছিল নিজেদের পছন্দের একটি সরকারকে ক্ষমতায় ধরে রাখতে, আর ইউএসএ-ইউকে জোট চেয়েছিল সন্ত্রাস দমনে তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে। উভয় ক্ষেত্রেই, তাদের উদ্দেশ্য ছিল সুনির্দিষ্ট ভূ-রাজনৈতিক বা নিরাপত্তা সংক্রান্ত স্বার্থে কাজ করা।
১৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮
Spirit বলেছেন: The conflict drew significant international attention, with the United States covertly supporting the Mujahideen by providing training and military
একটা ওয়ারে ট্রেইনিং আর অস্ত্র সরবরাহই কি মূল কাজ?
তর্কের খাতিরে আপনার কথাই যদি সঠিক মেনে নেই, তাহলে এবার প্রশ্ন যখন খোদ আম্রিকাই এটাক করেছিল তখন কারা মিলিটারি ট্রেইনিং দিয়েছিল।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ISI তালেবান নেতাদের এবং তাদের যোদ্ধাদের পাকিস্তানের অভ্যন্তরে, বিশেষ করে কোয়েটা (Quetta) শহরে এবং বেলুচিস্তানের অন্যান্য উপজাতীয় এলাকায় নিরাপদ আশ্রয় (Sanctuary) পেতে সহায়তা করেছিল। এই আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থেকেই তারা আফগানিস্তানে আক্রমণ পরিকল্পনা করত। পাকিস্তান তার ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ (যেমন ভারতে প্রভাব বিস্তার এবং আফগানিস্তানে একটি বন্ধু সরকার প্রতিষ্ঠা) নিশ্চিত করার জন্য তালেবানকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সম্পদ (Strategic Asset) হিসেবে ব্যবহার করেছে। আইএসআই তালেবানকে সামরিক কৌশল, প্রশিক্ষণ, রসদ সরবরাহ এবং অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিয়েছে বলে বিভিন্ন ন্যাটো ও মার্কিন প্রতিবেদন আছে । সৌদি আরব ছিল পাকিস্তান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে মাত্র তিনটি দেশের মধ্যে একটি যা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানের সরকারকে (ইসলামিক আমিরাত অফ আফগানিস্তান) স্বীকৃতি দিয়েছিল। তারা তালেবানকে অর্থ ও সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করেছিল। ।
১৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৭
নিমো বলেছেন: @Spirit, ব্লগেতো গবুচন্দ্রর অভাব নাই, আপনি কেন নূতন করে আমদানি, ভাততো পাবেন না।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সামু পরিবারের নতুন সংযোজন । ভালো লাগছে উনাকে পেয়ে ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৭
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
ইসলামে জ্ঞানের চর্চা নেই, অস্ত্রই ইসলামের সমাধান।