| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জুল ভার্ন
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
মুখোশের মহাজাগতিক মেলা....
মুখ ঢাকা মুখোশের এই দুনিয়ায় এখন মানুষ চিনতে গেলে বোধহয় বিশেষ ডিপ্লোমা লাগবে- “মুখোশবিদ্যা ও চরিত্রতত্ত্বে স্নাতকোত্তর”!
কারণ, একই মানুষ সকালে ভদ্র, দুপুরে সাধু, বিকেলে বিপ্লবী, আর রাতে আবার হঠাৎ নৈতিকতার মহাগুরু!
একই অঙ্গে- চার রূপ, পাঁচ ভাষা, সাত চরিত্র!
বিজ্ঞানীরা আজ পর্যন্ত রোবট, রকেট, এআই- সবই বানালো…বিজ্ঞানীরা মংগল গ্রহে পানি খুঁজে পেলো-
কিন্তু মানুষের ভেতরের অরিজিনাল চরিত্র খুঁজে বের করার মতো একটা সস্তা স্ক্যানারও বানাতে পারলো না!
“আসল-নকল মানুষ চেনার মেশিন” এখনো আবিষ্কার করতে পারেনি। অবশ্য একটা মেশিন বানাতে গেলে আগে ‘নকল’ মানুষের স্যাম্পল লাগবে-
ওই জায়গাতেই গবেষণা ব্যর্থ হয়ে যায়। স্যাম্পল নিতে গেলেই সবাই বলে- “আমিই খাঁটি, অরিজিনাল! বাকি সবাই নকল!”
আর রাজনীতির বাজারে তো মুখোশের অফার চলছে-
“একটি কিনলে- চিন্তার খরচ ফ্রি!”
হাতুড়ি লীগ-হেলমেট লীগ, জা-শি, জামাত, এনসিপি, এবি- নাম পাল্টালেই মানুষ বদলে যায়না, স্বভাব চরিত্র বদলে যায় না! গায়ে নতুন লেবেল লাগালেই চরিত্র রিব্র্যান্ড হয়ে যায় না! একই মুখোশ শুধু রঙ বদলায়- পর্দার আড়ালে মানুষটা কিন্তু সেই একই ওল্ড স্টক।
অতএব, এ যুগে মানুষকে চিনতে চাইলে চেহারা দেখলে চলবে না- ধারণা ধরতে হবে, আচরণ বুঝতে হবে, আর কথা কম বিশ্বাস করতে হবে। কারণ সত্যিটা খুব সোজা-
নাম যা-ই হোক, ভিতরের মানুষটা যখন বের হয়,
সেই চরিত্র কিন্তু কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না।
২|
২৫ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৫
সামিয়া বলেছেন: মুখোশ পরে মানুষ বাঁচে, কারণ নিজেদের সত্যিটা দেখাতে ভয় পায়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২৮
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: মুখোশের মহাজাগতিক মেলার বড় খেলোয়ার রাজনীতিবিদরা।