নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরিদ্র দেশের জনসংখ্যা কে জনশক্তি তে পরিণত করতে হলে কর্মমুখী শিক্ষার বিকল্প নেই।

সৈয়দ কুতুব

নিজের অজ্ঞতা নিজের কাছে যতই ধরা পড়ছে প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ততই অবিশ্বাস জন্মাছে!

সৈয়দ কুতুব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকা বিএনপির কাছে কি চায় ?

০৩ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:১৬


বাংলাদেশে এখন যে রাজনৈতিক আবহাওয়া বিরাজ করছে, তাকে 'ব্যস্ত' বললেও কম বলা হয়। দেশের ভেতরে ও বাইরে কূটনীতিকদের দৌড়ঝাঁপ এবং ঘন ঘন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকগুলো নানা জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিচ্ছে। বিশেষ করে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমিরের সাথে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের ধারাবাহিক বৈঠকগুলো রাজনীতির মঞ্চে এক নতুন নাটকীয়তা সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন একটাই: রাজনীতিতে হচ্ছেটা কী ?

জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে লন্ডনে ট্রেসি জ্যাকবসন এবং তারেক রহমানের মধ্যে একটি একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যা নিশ্চিত করেছেন তারেকের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর এবং মার্কিন দূতাবাস। এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে আগামী নির্বাচন, সরকার গঠন এবং বিএনপির রাজনৈতিক রূপরেখা নিয়ে। নির্বাচনে জয়ী হলে কেমন দেশ গড়তে চায় বিএনপি এমন মৌলিক প্রশ্নগুলো আলোচনায় এসেছে। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, অক্টোবর মাসেও ট্রেসি জ্যাকবসন আবার লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। এত ঘনঘন বৈঠকের পেছনে কী কারণ থাকতে পারে? এই প্রশ্নটি এখন বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে স্পেন, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সুইডেন, রাশিয়া সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের ধারাবাহিক সাক্ষাৎ যেন আরেকটি রহস্যের জন্ম দিয়েছে। এটি কি কেবলই সৌজন্য সাক্ষাৎ, নাকি এর পেছনে গভীর কোনো রাজনৈতিক সমীকরণ রয়েছে? জামায়াত কি তবে আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার মতো পরিস্থিতি তৈরি করছে? এ কারণেই কি সকলে তাদের সাথে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে?

জামায়াতের পক্ষ থেকে এমন সময় এই বৈঠকগুলো হচ্ছে, যখন তারা নিজেদেরকে 'লিবারেল ও প্রগতিশীল' দল হিসেবে প্রমাণ করার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি নারী নেতৃত্বকে ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সাথে দেখা করিয়ে তারা এই বার্তা দিতে চাইছে। অন্যদিকে, জামায়াত ক্ষমতায় এলে নারীরা কেবল নারীদের সামনে নাচতে পারবে এমন ফতোয়া দেওয়া হচ্ছে। এই দ্বৈত চরিত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তোলে: জামায়াত রাষ্ট্রদূতদের কাছে কী বার্তা দিচ্ছে? তারা কি আসলে শরিয়া চায় নাকি গণতান্ত্রিক রাজনীতি করবে ?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জাকসুতে শিবিরের জয় জামায়াতকে নতুন আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। তারা মনে করছে, জাতীয় নির্বাচনে ০৩ আসন থেকে একলাফে তারা একক ভাবে ১৬০ আসন পর্যন্ত পেতে পারে। এই আত্মবিশ্বাসের ভিত্তিতেই জামায়াত সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে আবার একই সাথে সমানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) পদ্ধতিতে নির্বাচন চাইছে।

অন্যান্য রাষ্ট্রদূতরা যেখানে জামায়া্তের সাথে সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করছেন, সেখানে ট্রেসি জ্যাকবসনকে ভিন্ন মনে হচ্ছে। তিনি কেন বারবার তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করছেন? আমেরিকা তারেক রহমান এবং বিএনপির কাছে আসলে কী চায় ? বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের এই ঘন ঘন ব্যস্ততা এবং গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ এটাই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের রাজনীতি এখন একটি সংকটময় মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে। এটা স্পষ্ট যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আগামী নির্বাচন এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

ট্রেসি জ্যাকবসন এবং অন্য রাষ্ট্রদূতদের এই পদক্ষেপগুলো হয়তো কেবল কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষার অংশ, কিন্তু এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ক্ষমতার ভারসাম্যে এক অদৃশ্য প্রভাব পড়ছে। আগামী দিনগুলোতে জামায়াত তার 'ডাবল স্ট্যান্ডার্ড'-এর বিষয়ে কতটা সফলভাবে কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করতে পারে এবং তারেক রহমানের সাথে আমেরিকার আলোচনা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কী ধরনের সমীকরণে দাঁড়ায়, সেটাই দেখার বিষয়।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৪০

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:




পোষ্টের নীচের ছবিটাতে বুঝা যাচ্ছে যে, দেশে "বিপ্লব" হয়েছে।

আমেরিকা ও ইউরোপ আমাদের ছাত্রদের বিপ্লবকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১১:৫৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তারেকের কাছে বারবার কি যায় আমেরিকা ? ঢাবিতে হিজাবকে ফ্যাসিবাদ বিরোধী প্রতীক ঘোষণা করা হয়েছে ।

আমার বড়ো মামি জামাতের রুকন ছিলেন । তিনি প্রাইমারী স্কুলের টিচার ছিলেন চিটাগাং । এক কথায় দুর্দান্ত ছিলেন । এলাকায় সবচেয়ে সুস্বাদু, কেক বানাতে পারতেন । তিনি যদি লিগ কিংবা বিএনপির পলিটিক্স করতেন তবে ফাটিয়ে দিতে পারতেন । তার বড়ো বোন একটা ইশকুলের হেড মিস ছিলো। সুনদর সাবলিল ভাষায় কুরআন , বাংলা কবিতা পারতেন । বাংলা বানানে উনার এক্সপারটিজ ছিলো । শেখ সাহেব যখন জেলে ছিলেন তখন তিনি উহার জননো কুরআন খতম দিয়েছিলেন। পরে ইসলামি ছাত্রী সংস্থায় নাম লিখালেন । বড়ো মামা বিজ্ঞান শিক্ষক ছিলেন । উহাদের লাভ মেরেজ। নানা প্রায় ত্যাজ্যপুত্র করে দিয়েছিলেন পলিটিকাল নারীকে বিবাহ করার কারণে। মামার মনে ছিল প্রেম করেছি বেশ করেছি। :-B

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:০৬

শ্রাবণধারা বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট।

আমার ধারণা প্রশ্নটি "আমেরিকা বিএনপির কাছে কী চায়" এই পর্যায়ে যায়নি। তারা দেখতে চাচ্ছে চোর-চোট্টা, চাদাঁবাজ ও অপদার্থ, কিন্তু কিছুটা হলেও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, লিবারেল দল হিসেবে বিএনপির সাথে কাজ করা যাবে কি না। অর্থাৎ তাদের এজেন্ডা গুলো বাস্তবায়িত হবে কিনা।

আমার মনে হয়, আমেরিকার প্রথম পছন্দ জামাতের মতো জঙ্গিবাদী, কেয়ামতপন্থি দল। কারণ জঙ্গিবাদী জামাতের সঙ্গে ডিল করা তাদের জন্য সহজ। বাংলাদেশকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা ও প্রয়োজনে জঙ্গি-জেহাদিদের কে নিয়ন্ত্রণে রাখাও তাদের পক্ষে সহজ। আমেরিকা মনে করে যে, বাংলাদেশের মতো দেশে গণতন্ত্র নয়, জঙ্গিবাদী শরিয়া বা মোল্লাতন্ত্র বেশি কার্যকরী- এই হিসেব অনুযায়ী তাদের কাজ চলছে বলে মনে হয়।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:১৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তলে তলে কার সাথে কি কথা হইতেসে কে জানে। জামাত যদি পাওয়ারে যেতে পারে সবার আগে বিএনপিকে সাইজ করবে । লিগ আর জামাতের এখন কুসুম কুসুম ভালোবাসা । শেখ হাসিনার এডভাইজার এখন জামাতের আমিরের এডভাইজার । ধরষণ মামলার আসামি।

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:১৫

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:




@শ্রাবণধারা ,

আমেরিকা বাংলাদেশকে আরেকটি ইরান/আফাগনিস্তান হিসেবে দেখতে চায়! আপনার ব্যখ্যা ভালো লেগেছে! চাকুরী না করে, সরকারী টাকায় চললে মানুষ লিলিপুটিয়ান হয়ে যয়!
[native code]
}

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:২১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: উনাকে শুধু শুধু কটু কথা শুনানো ঠিক না । বাংলাদেশের বহু মানুষ এমন আশংকায় দিন পার করছে । যেভাবে সারাদিন টকশো আর খবরে জামাতময় নিউজ থাকে বলার বাহিরে । Islam bank এ আগের লোকজন ছাটাই করে নতুন লোকজন নিবে । ইলেকশন কমিশনে ইসলামি bank থেকে ইলেকশন পরিচালনার জননো লোক নিবে শোনা যায় ।

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:১৭

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:


@শ্রাবণধারা ,

বাংলাদেশে ট্রাম্পের এজেন্ডা কি? সে বেড়াতে আসবে ঢাকায়?

৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:২৮

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



ইেলকশান করাচ্ছে দুতাবাস; ওদের কাছে ওদের প্ল্যান আছে।

আমেরিকান কুটনীতিবিদরা বুঝতে চাচ্ছে যে, তারেককে দেশে আনা কি ঠিক হবে!

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:৩৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তারেক কেনো দেশে ফিরছে না এটাই কেহ বুঝতে পারছে না।

৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১২:৪৮

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:




আপাতত মিলিটারী ও ব্যুরোক্রেটদের ভয়ে তারেক আসছে না, আমেরিকা সেটার ব্যবস্হা করলে সে ফিরতে পারবে।

৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:১০

শ্রাবণধারা বলেছেন: "জেনারেশন একাত্তর বলেছেন: @শ্রাবণধারা , বাংলাদেশে ট্রাম্পের এজেন্ডা কি? সে বেড়াতে আসবে ঢাকায়?"

@জেনারেশন একাত্তর,
আপনার প্রশ্নটা এমনই গাধার বাচ্চা সুলভ যে উত্তর দেওয়া বৃথা। কারণ আপনি নিরেট অশিক্ষিত একজন। ট্রাম্পের এজেন্ডা বোঝার জন্য আমেরিকান ইম্পেরিয়ালিজম সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। সেটার জন্য নোম চমস্কির এই লেকচার দিয়ে শুরু করতে পারেন। আমি জানি, এটা বোঝার মতো বুদ্ধি বা লেখাপড়াও আপনার নেই। তারপরও, আপনার মতো বর্বর অশিক্ষিতের জন্য আমি আর কী-ই বা করতে পারি?

view this link

৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:১৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: ভুল লিংক কপি করেছি। সঠিক লিংক হবে এটা:

view this link

৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ১:২৪

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



@শ্রাবণধারা,

নওমস্কি কি লিখেছে সেটা পড়ার জন্য আপনি আছেন; আমি ট্রাম্পের বক্তব্য শুনি ও বুঝি যে, সে চাহে না এসব ASSHOLE দেশ নিয়ে মাথা ঘামাতে।

১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ২:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: আমেরিকা সরাসরি কিছু চায় না।ইশারায় বুঝায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.