| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নতুন নকিব
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...
অন্তর্জাল থেকে নেওয়া সূর্যোদয়ের ছবিটি এআই দ্বারা উন্নত করা হয়েছে।
ইসলামের পবিত্র আলো ওদের চোখে যেন চিরন্তন গাত্রদাহের কারণ। এই মাটি আর মানুষের উন্নয়ন আর আত্মমর্যাদার উজ্জ্বল পথচলা দেখলেই ওদের বুকে অদৃশ্য বিষাক্ত কাঁটা দংশন করে। কুরআনকে ওরা বানোয়াট গল্পের সারিতে বসায়, ঐশীবাণীকে বলে কল্পলোকের নিছক উপাখ্যান। নবী ও রাসূলদের প্রজ্ঞা, যেটি যুগে যুগে মানবতার আলো হয়ে পথ দেখিয়েছে, তা ওরা অবমূল্যায়ন করে শিশুশ্রেণির বাচ্চাদের জ্ঞানের চেয়েও নিচে বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার মাধ্যমে। আরব জাতিকে ওরা বেদুইন বলে তুচ্ছ করে, যেন পুরো আরবসভ্যতা মরুর বালুকায় ছুটে চলা কোনো পথহারা কাফেলার চেয়ে বেশি কিছু নয়। ওদের অন্যতম হাস্যকর দাবি, বেদুইনদের নিয়ন্ত্রণ করতেই নাকি আসমানের ফেরেশতা মিথ্যা অহীর আয়োজন করেছিলেন। এমন বিকৃত কল্পনায় ওদের মস্তিষ্কই যেন এক উজাড় মরুভূমি।
দেশের পক্ষে উচ্চারিত একটি বাক্যও ওদের সহ্য হয় না। ধর্মের মর্যাদা রক্ষার আহ্বান তুললেই ওরা রক্তচক্ষু নিয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। জামায়াত, শিবির কিংবা স্বাধীনতাবিরোধী ট্যাগিংয়ে ঝাপিয়ে পড়ে আমাদের মুখ বন্ধ করতে চায়। এই ওরাই এতকাল খুবলে খেয়েছে এই দেশকে। ওদের কারণেই আজ বিধ্বস্ত স্বদেশ। ওদের কাছে মানবতা ও দেশমাতৃকা ধর্ষিতা হয়েছে বারংবার। ওরা সত্য সহ্য করতে পারে না। সে কারণেই আবরারদের সহ্য করতে পারেনি। কারণ, আবরার ফাহাদরা ওদের গোমর ফাঁস করে দিত।
আসলে ওরা এ দেশের স্বাধীনতার উত্তরসূরি কেউ নয়, স্বাধীনতার বুলিকে পুজি করে ওরা শুধু ব্যবসাই করেছে। এদেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে শাসন আর শোষনের যাতাকলে পিষ্ট করেছে। দেশের সম্পদ পাচার করে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিনত করেছে। ওরা বরং এ দেশের ভাত খেয়ে অন্যের সুরে নেচে গেয়ে আনন্দিত বোধ করেছে। ঢাকায় বৃষ্টি নামলে ওরা দৌঁড়ে গিয়ে দিল্লীর আকাশে ছাতা ধরতে চেয়েছে। কিন্তু জনগণ ওদের এই কষ্ট বেশিদিন সহ্য করেনি। সসম্মানে ওদেরকে পাঠিয়ে দিয়েছে ওদের কাঙ্খিত ঠিকানায়। ওদের নিঃশ্বাসে ভিনদেশের গন্ধ, কথায় ভিনদেশের স্বপ্ন, হৃদয়ের গভীরে গোপনে লুকিয়ে থাকে অন্য দেশের পতাকার ছায়া।
বাংলাদেশ নিজের শক্তিতে উঠে দাঁড়াক; এটা ওদের গা জ্বালিয়ে দেয়। ওরা চায় না এই জাতি নিজের পরিচয়ে, নিজের মর্যাদায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। ওদের আকাঙ্ক্ষা, বাংলাদেশও যেন সেই ভিনদেশের করুণার ওপর চিরদিন নির্ভরশীল থাকে, যার ছায়াতলে আজ ওদের মিথ্যুক প্রতারক দলনেতারা লুকিয়ে আছে, সেই অপশক্তির সামনে যাদের ইতিহাসই হলো নতজানু আত্মসমর্পণ। ওরা চায় আমরা ভুলে যাই আমাদের শক্তি, আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের স্বাধীনতা।
কিন্তু আমরা থেমে যাবার পাত্র নই। থামবো না কখনও। আমরা এগিয়ে যাবো স্বাধীনতার দ্যুতিময় আলোকে হৃদয়ে ধারণ করে। ধর্মের সম্মান, দেশের মর্যাদা, মানুষের আত্মসম্মান রক্ষার অভিযাত্রায় আমরা দৃপ্ত পদক্ষেপে হাঁটবো। বিভেদের অন্ধকার ভেদ করে আমরা তৈরি করবো ঐক্যের উজ্জ্বল পথ। কারণ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আমাদের মুঠোয়, বাংলাদেশের স্বপ্ন আমাদের শিরায় শিরায়। কোনো বিদেশী অপশক্তির সিন্ধান্তে নয়, কোনো পরাধীন স্বপ্নের শেকলে নয়; আমাদের আগামী নির্মিত হবে আমাদের অদম্য সাহস, আমাদের বিশ্বাস, আমাদের সংগ্রামী চেতনায়।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে নিজের আলোয়; নিজের চেতনায়; নিজের স্বাধীনতার অটল বিশ্বাসের দূরন্ত উদ্দীপনায়। এই অঙ্গীকারই আমাদের পথরেখা। এই পথরেখা অনুসরণ করেই আমরা গড়ে তুলবো আমাদের ভবিষ্যৎ; একটি স্বাধীন, মর্যাদাশীল, মাথা উঁচু বাংলাদেশ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি গায়ে নিচ্ছেন কেন? রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।
ধর্ষক চিরকাল ধর্ষকই। ১৯৭১ আর ২০২৫ আলাদা কিছু নয়। এই দেশে ধর্ষকদের ঠাঁই কোনোদিন হবে না। স্বাধীনতার নাম বিক্রি করে খাওয়া নব্য ধর্ষকদের এদেশের সাধারণ জণগণ ঝেটিয়ে দেশছাড়া করেছে। দুঃখ পেলেও কিছু করার নেই।
২|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮
এ পথের পথিক বলেছেন: কিছু আদব কায়দা হীন মানব খোলসে বসবাসকারী অদ্ভুত জীব রয়েছে যারা হুদাই ইসলামের বিধিবিধান, কুরআন কে নিয়ে মিথ্যা কথা প্রচার করে বেড়ায় । এরা দেশ ও জাতীর শত্রু । এদের কাছে নৈতিকতার কোন উৎস নেই । দেখা যাবে এ শ্রেণীর মানুষজন বেশীর ভাগ আম্লিকের, তারপরে বামদলের, তারপর বিদলের, তারপর অল্প কিছু আমপাব্লিক । এরা ইসলামের ব্যাপারে মিথ্যা বলে নিজের ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখে ।
এসব মানুষের নৈতিকতার কোন স্ট্যান্ডার্ড নেই, এরা বিশ্বাস করে না আমাদের চুড়ান্ত জবাব দিহি করতে হবে । এরা দেশের জন্য, দেশের জনগনের জন্য দু পয়সার কোন উপকার করেনি (হয়ত দু এক জন করেছে ) । এরাই মানুষকে হত্যা করে, চুরি করে, ধর্ষন করে, মানুষকে আয়না ঘরে রাখে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে, আয়নাঘর বানায় । আবার দেখবেন এরাই দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধ, মানবতা, নারী মুক্তি আর কত কি বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলে । বলতে পারেন চেতনা ব্যবসা, ৭১ ব্যবসা, নারী মুক্তির ব্যবসা আরো কত কি । ঠিক চোরের মায়ের বড় গলা প্রবাদের মত ।
এরা বধির, গাধা, অন্ধ এরা ভাল মন্দের পার্থক্য করতে পারে না, করার চেষ্টা করে না, যদিও পার্থক্য করতে পারলেও নিজের প্রবৃত্তিকে দমিয়ে রাখতে পারে না কিছু সময় আরামে থাকার জন্য ।
এরা দেশ ও দশের শত্রু, এদের কারনে আমাদের দেশ এত পিছিয়ে ।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০০
নতুন নকিব বলেছেন:
সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা মানুষের চেহারা নিয়ে জন্মালেও ভিতরে তারা যেন বিবেকহীন ছায়া। ধর্ম, নৈতিকতা, দেশপ্রেম- যে মূল্যবোধ মানুষকে মানুষ করে তোলে, তারা সেসবকে মিথ্যার বাজারে সস্তা পণ্যের মতো বিক্রি করে বেড়ায়। রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে এরা চেতনা-বাণিজ্যের অভিনয়ে মুখে ফেনা তোলে, আর পেছনে দেশকে রক্তক্ষরণ করায়।
চুরি, দুর্নীতি, মিথ্যাচার- এসব এদের নিত্যসঙ্গী, আর সত্যের পথে হাঁটা এদের স্বভাববিরুদ্ধ। তাই এরা দেশের নয়, অন্ধকারের বন্ধু; অগ্রগতির নয়, পশ্চাদপদতার কারিগর। তবু সত্যের আলো শেষ পর্যন্ত সব ভণ্ডামিকে ছাপিয়ে যায়- কারণ অন্ধকার কখনোই স্থায়ী নয়।
মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:১৮
কলাবাগান১ বলেছেন: "এদের কাছে মানবতা ও দেশমাতৃকা ধর্ষিতা হয়েছে বারংবার। " এর জন্য বিশ্ব রের্কড করেছে জামাত -শিবির ১৯৭১ সন থেকেই আবার বলবেন না যেন শিবির তখন ছিল না।
দেশ আজ ধ্বংস স্তুপ হলে এই আই দিয়ে নিজের কম্পিউটার ইউজ করে ছবি উন্নত করে পোস্ট দিতে পারতেন না...ধ্বংস স্তুপ হলে এখন গুহায় থাকতেন।